আপনারা কি জানেন যে, আসলে গল্প কখন তৈরি হয়?
সেটা হতে পারে কোন কঠিন সময় সফলতা কিংবা ব্যর্থতার গভীরে। যখন আমাদের জীবনে কোন কঠিন মুহূর্ত আসে—সফলতা কিংবা ব্যর্থতার পেছনে—তখনই একেকটি গল্পের জন্ম হয়। এটি অবশ্যই সেই সময়, যেখানে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে আমরা আমাদের শক্তি, সাধনা ও চেষ্টা দিয়ে এগিয়ে চলি,সেটা সম্ভব হয় আল্লাহর তৌফিকে। এমন মুহূর্তে আমরা হয়তো সফল নাও হতে পারি, কিন্তু এই চেষ্টা, পরিশ্রম, ধৈর্য এবং লড়াইই একদিন এক অনন্য গল্পে পরিণত হয়। তখন বুঝতে পারি, সফলতা না আসলও , কিন্তু সেই ব্যর্থতা বা কঠিন সময় আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
কিন্তু যে সময়গুলো আমরা পার করে আসি, সেই মুহূর্তগুলোর মধ্যে লুকিয়ে থাকে আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান গল্প। যদি পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি, এই তো কিছু দিন হলো নাজেরা কোর্স সম্পূর্ণ করেছি। দীর্ঘ একটি কোর্স। বছর খানিক তো লাগারই কথা তাই না! সেই কঠিন সময়গুলোই, যখন আমি মনে করেছিলেন কিছুই সম্ভব নয়, সেগুলোর মধ্যেই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অধ্যায় লুকিয়ে ছিল।
এই যে দীর্ঘ সময় ধরে কুরআন শেখার আগ্রহ নিজের মধ্যে ধরে রাখা, লেগে থাকার মানসিকতা তৈরি করা,বিষয়গুলো সহজ ছিল!?
আল্লাহ তা'আলা বলেন:
"এবং তোমরা ধৈর্য ধারণ করো, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।"
(সূরা আল-আনফাল, ৮:৪৬)
আল্লাহ তা'আলা স্পষ্টভাবে বলেছেন, যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করবে, আল্লাহ তাকে তাঁর সাহায্য এবং রহমত দান করবেন। ধৈর্য শুধু কষ্টের সময়ের জন্য নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, বিশেষত যখন আমরা কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা উদ্দেশ্য অর্জন করতে চাই, তখন ধৈর্য খুবই প্রয়োজনীয়।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
"ধৈর্য হলো বিশ্বাসের অঙ্গ, যেমন শিখরে গাছের শাখা থাকে, ধৈর্যও একজন মুসলমানের জীবনের শাখা।"
(সহীহ মুসলিম)
জীবনে ধৈর্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা আমাদের সঠিক পথে চলতে সাহায্য করে। যদি আমরা কুরআন শেখার ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরে রাখি, তাহলে আল্লাহ আমাদের সহায়তা করবেন এবং আমাদের চেষ্টা সফল করবেন। একটা কথা মনে হলে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা মাথায় নুইয়ে আসে। কুরআন আসরে আসার পূর্বে কখনো আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইনি যে কুরাআন শুদ্ধ করে পরতে চাই।এমনকি কখনো হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করেনি যে কুরআন আবার পরতে চাই। সেই কিনা প্রতিদিন কুরআনের মজলিসে সময় কাটাচ্ছি। এরকম উত্তম পরিকল্পনা কার হতে পারে বলেন তো!?
আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, "নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা উত্তম পরিকল্পনাকারী।" (সূরা আল-আনফাল, ৮:৩০)
তো তিনিই ভালো জানেন, কার জন্য কি কল্যাণকর। জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলোই আমাদের সবচেয়ে বড় গল্পের জন্ম দেয়। এই যাত্রায় ধৈর্য, পরিশ্রম, এবং আল্লাহর সাহায্য আমাদের সাহস জোগায়। কুরআন শেখার মতো একটি মহান উদ্দেশ্য অর্জন করতে গিয়ে, আমরা বুঝতে পারি—সত্যিকার সফলতা হলো চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া, অবিচল থাকা, এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখা। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে, আল্লাহর পরিকল্পনা সঠিক, কারণ তিনি জানেন, আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো কী।
📝 কুরআন আসরের পাঠিকা।
কুরআন আসর
কুরআন আসর অনলাইন ভিত্তিক একটি প্লাটফর্ম। যা অনলাইন মক্তব হিসাবে কাজ করে।
Operating as usual
বিনামূল্যে শিশুদের জন্য ১০ দিনব্যাপী অনলাইন কর্মশালা। আজই রেজিস্ট্রেশন করুন!
📌 রেজিস্ট্রেশন শেষ তারিখ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ইংরেজি।
📌 ক্লাস শুরুর তারিখ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইংরেজি।
📌 বয়সসীমা: ৭-১২ বছর।
📌 ফি: কোনো ফি নেই। তাই আজই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
🔷✅🔷🚨 রেজিষ্ট্রেশণ লিংক প্রথম কমেন্টে দেওয়া আছে।
"আলোকিত জীবন গড়ি: শিশুদের নৈতিক, ধর্মীয় ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার সেতুবন্ধন" শীর্ষক ১০ দিন ব্যাপী অনলাইন ফ্রি কর্মশালায় ভর্তি চলছে।
প্রতিযোগীতা পূর্ণ পরিবর্তিত বিশ্বে আপনার সন্তানকে কে ডিজিটাল ডিভাইসের অপ্রত্যাশিত ব্যবহার থেকে বিরত রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শিশুরা ইদানিং ডিভাইসের বিকল্পে কোনো কিছুই মানতে নারাজ। তাই প্রত্যেক অভিভাবককে কৌশলী হয়ে ডিভাইসের অর্থবহ ব্যবহারের মাধ্যমে সন্তানকে জ্ঞানবান, দক্ষ, সময়নিষ্ট ও সুশঙ্খলভাবে তৈরী করতে হবে।
সেই লক্ষ্য কে বাস্তবে রুপ দিতে আমরা আয়োজন করছি "আলোকিত জীবন গড়ি: শিশুদের নৈতিক, ধর্মীয় ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার সেতুবন্ধন" শীর্ষক ১০ দিন ব্যাপী অনলাইন ফ্রি কর্মশালা।
🔷📝🔶 ১০ দিন ব্যাপী কোর্সে যা যা থাকছে:
১. ইসলামের বুনিয়াদী শিক্ষা।
২. ইমানের দৃঢ়তাই সর্বোচ্চ স্মার্টনেস।
৩. ঘরে বসেই দ্বীনি শিক্ষা।
৪. আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ।
৫. আমাদের মহানবী আমাদের নেতা।
৬. আদর্শ ব্যক্তিত্ব গঠনে চরিত্রের ভূমিকা।
৭. আদব ও আখলাখ।
৮. আমাদের প্রাণের মসজিদ।
৯. বড়দের সাথে ব্যবহার।
১০. প্রযুক্তির অপব্যবহার ও সদ্বব্যবহার।
✅ কর্মশালার উদ্দেশ্য :
শিশুদেরকে নৈতিক, ধর্মীয় ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী, সৃজনশীল ও সমাজিক এবং দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করা।
✅ কোর্স ইন্সট্রাক্টর :
প্রতিটি আলোচ্য বিষয়ের উপর অভিজ্ঞ ও যোগ্যতা সম্পন্ন আলাদা আলাদা ইন্সট্রাক্টর ক্লাস পরিচালনা করবেন।
🛑 ক্লাসের সময়:
🗓️ ২১ শে ডিসেম্বর'২৪ ইং থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সন্ধ্যা ০৬:৩০ মিনিটে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।
➡️ ক্লাসের ব্যপ্তি: ১ ঘন্টা। ০৫ দিন অনলাইন ক্লাস ০৫ দিন ব্যবহারিক ক্লাস।
➡️ক্লাসের মাধ্যম : Zoom
➡️ ১০ দিন ব্যাপী এই কর্মশালায় কোনো ধরণের কোর্স ফি নেই। রেজিষ্ট্রেশনের শেষ তারিখ ১৮ ই ডিসেম্বর'২৪ ইংরেজী পর্যন্ত।
➡️ ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু-কিশোররা অত্র কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
সম্মানিত অবিভাবকগণ,
আপনাদের সন্তাদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদের আয়োজিত কর্মশালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়। তাই আর দেরি না করে আজই বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।।
✅🔷🚨 রেজিষ্ট্রেশণ লিংক প্রথম কমেন্টে দেওয়া আছে।
📢 অত্র মেসেজ আপনার নিকটজনদের সাথে শেয়ার করে তাদের সন্তানদের ফ্রী কোর্সে ভর্তি হতে সহযোগীতা করুন।
আল্লাহ আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে কবুল করুন এবং আমাদের সন্তানদের জন্য কল্যাণময় ভবিষ্যৎ দান করুন। আমিন।
যে মানুষটাকে কখনো দেখিনি যার কন্ঠস্বর কখনো শুনিনি যার পবিত্র সান্নিধ্যের উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য কখনো হয়নি। যে মানুষটা আর আমার মাঝে ১৪০০ বছরের বেশি ব্যবধান। সে মানুষটা কেমন করে এতো আপন হয়ে গেলো!
যারা বোঝেনা ২১ শতাব্দীতে বসবাস করা, শত শত কোটি মানুষ মধ্য যুগের আরব সমাজের একজন ব্যক্তির প্রতি এতো টান অনুভব করে কিভাবে? তাদের কেমন করে বোঝায় ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকে কেন এতো ভালবাসি।হে আল্লাহর রাসুল, গুণ, সৌন্দর্য, মর্যাদা, ক্ষমতা ও কৃপা- কোনোদিক থেকে কেউ কি আছে আপনার চেয়ে বেশি? এজন্যই তো আপনাকে ভালোবাসি।
সামান্য চৈত্র মাসের রোদ্দুরে চৌচির হওয়া খোলা মাঠে বসে থাকা, অসম্ভবপ্রায়। অথচ আপনি আরবের অসহ্য কাঠফাটা রোদে প্রতিটি অলিগলিতে অবিরাম- অবিশ্রান্ত, দৌঁড়ে-হেঁটে, প্রান্ত থেকে দিগন্ত ছুটেছেন, দীনি দাওয়াতে। রবের অমিয় বাণী পৌঁছে দিতে। এ ধৈর্যের উপমা কি হয়?
আমার চিন্তাশক্তি ও রচনা শৈলিজুড়ে কেবল আপনারই স্থান ইয়া রাসুলুল্লাহ সাঃ
আপনাকে শয়নে-স্বপনে দেখিনি কোনদিন। তবে আপনার অবয়ব, গঠন ও গড়ন সম্পর্কে খ্যাতিমান বক্তাদের বয়ান শোনেছি। তাতে আমি মোটেও প্রবোধিত নই। আপনার জন্মপূর্ব সময়, ধরার বুকে আপনার আগমন, বেড়ে ওঠা, দাম্পত্য-জীবন, নবুয়ত-প্রাপ্তি, মক্কা-ত্যাগ, মদিনায় হিজরত, সন্ধি, দাওয়াত, জিহাদ এবং আপনার আখলাক ও আদর্শ একাধিক সিরাত গ্রন্থে পড়েছি। তাতেও আমার সান্ত্বনা মিলেনি। আমি আপনাকে দেখতে চাই সুয়নে। দেখতে চাই শুধু একবার। স্বানুভবে আপনাকে আঁকতে চাই।
হে আল্লাহর রাসুল, আপনার মোহে হৃদয়ের মাঝে সদা অনুরণিত হয় অমন এক ঝংকার, অফুরন্ত সুখ- স্বাদ, অনির্বচনীয় স্নিগ্ধ আবেগ- যা রক্তধারায় মিশে গিয়ে সর্বসত্তায় আলোড়ন জাগাই। আমার উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ ও বাক্যে, নিত্যদিনের আচরণ ও কর্মে এবং দিন-রাতের ভাবনায় ও অনুভবে কেবল আপনার স্মরণ ও ইয়াদ। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
যদি কারো প্রশ্ন হয়, সৃষ্টিকর্তার পরে তুমি সবচেয়ে বেশি কাকে ভালোবাসো? উত্তর বলব- 'ঐ সমাজসংস্কারক, ন্যায়বিচারক, সাহসী যোদ্ধা, দক্ষ প্রশাসক, যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক এবং সফল ধর্মপ্রচারক, নির্লোভ, নিরহংকার, পরোপকারী, সহজ-সরল অনাড়ম্বর জীবনের অধিকারী, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একজন আদর্শ মহামানব, আমার জীবন পরিচালনার পথে যাঁর জীবনাচার অনুশীলন করে চললে ইহকালীন কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তি লাভে ধন্য হতে পারি। আর নিঃসন্দেহে তিনিই আমার প্রিয় নবিজি। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।'
হে আমার হাবিব! আল্লাহ তাআলা আপনাকে যে মর্যাদা দিয়েছেন, অন্য কোনো নবিকে সেই মর্যাদা দেননি। আরশ থেকে শুরু করে, কুরআনের পাতা ও কালেমা, যেখানে আছে আল্লাহর নাম, সেখানেই আপনার নামও উচ্চারণ হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! রবের কাছে এমন বিশেষ মর্যাদাবান ছিলেন আপনি! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
হে আল্লাহর রাসুল, হাশরের ময়দানের কঠিন মুহূর্তে যখন সব নবি পর্যন্ত 'ইয়া রব্বি নাফসি' বলতে থাকবেন, তখন আপনি সেজদায় লুটিয়ে পড়বেন আর চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলবেন, হে রব! আমার উম্মাত, আমার উম্মাত! এমন ভাগ্য ক'জনের কপালে হয়! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
হে আমিনার দুলাল মুহাম্মদ, আপনার নুরানী উৎকর্ষতে চন্দ্র-সূর্যও ম্লান। আপনি মরুর বুকে ফুটে উঠা প্রস্ফুটিত এক অনন্য ফুল। আপনি খুশবু ছড়ালেন পৃথিবীর আনাচে-কানাচে। আপনার দর্শনে অন্তরে সৃষ্টি হতো খোদায়ী নূরের তাজাল্লি। পিপাসার্ত চোখ একনাগাড়ে চেয়ে থাকতো আপনার অপরূপ সৌন্দর্যের দিকে। আপনার নবচেতনায় সতেজ হতো জাহিলি যুগের মূর্তিপূজক আত্মাগুলো। হে আল্লাহর রাসুল, আমার আত্মাও চাই আপনার সে সুমহান তাজাল্লি। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
পরিশেষে বলতে চাই আশা-আকাঙ্ক্ষা স্রেফ এতটুকুই আপনার অনুকরণে হতে চাই অমলিন। উদগ্র বাসনা মোর হে প্রিয় রাসূল ﷺ, জীবন যদি হতো আপনাতে বিলীন। সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
ইতি আপনার একজন গুনাহগার উম্মাতি
~লাবনী,সিরাত কোর্স:০১
ব্যস্ততম জীবনে ঘরে বসেই সময় ও আর্থিক সাশ্রয়ের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কুরআন ও ইসলাম শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ। আমাদের কোর্স একজন শিক্ষার্থীকে ঐশীজ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করবে। ইনশা আল্লাহ।
🔴 পাঠ্য সিলেবাস:
১। বর্ণ পরিচিতি থেকে শুরু করে শব্দ গঠন, হিজা, মতনসহ সম্পূর্ণ কুরআন মাজীদের সহীহ তেলাওয়াত তথা নাজেরা।
২। মাখরাজ, ইখফা, ইজহার, ইক্বলাব, মাদ্দ, গুন্নাহর বিশদ অনুশীলনের মাধ্যমে তাজওয়ীদের প্রয়োজনীয় বিষয়াবলী ব্যবহারিক পদ্ধতিতে শেখানো।
৩। জুয আম্মা (৩০তম পারা), সুরা মুলক, রহমান, ইয়াসীন, কাহাফ, ওয়াক্বিয়াসহ ৪২টি সুরা হিফজ।
৪। মাসনুন দোয়া, দারসুল কুরআন, আদাব ও আজকার, নামাজ শিক্ষা, ইলমুল ফিকহ ও ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষা নিয়ে নিয়মিত দারস।
৫। আরবী হস্তলিখা, খুতবাহ, ইহতিসাব ও দাওয়াতি কার্যক্রমের প্রশিক্ষণ।
🟢 কোর্সের সময়কাল:
✅ কোর্সের বেসিক লেভেলের মেয়াদ ছয় মাস। এই লেভেল সম্পন্ন করার পর সম্পূর্ণ কুরআন মাজীদের নাজেরা করার ব্যবস্থা আছে।
✅ আমাদের নাজেরা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফলাইন বা অনলাইনের যেকোনো প্রতিষ্ঠানে সরাসরি হিফজ শুরু করা কিংবা আরবী ভাষা শেখা অতীব সহজ হয়ে যাবে।
✅ প্রতি ক্লাসের ব্যাপ্তি ১ঘন্টা ৩০ মিনিট এবং নিয়মিত সপ্তাহে ক্লাস ৫ (পাঁচ) দিন ক্লাস ।
✅ কোর্সটি ১৫ বছর উর্ধ্ব নারী-পুরুষের জন্য। তবে বর্তমানে নারীদের ব্যাচে ভর্তি চলছে।
🛑 কোর্সের বৈশিষ্ট্য:
১। সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস। যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী থেকে পড়া আদায় করে ভুলগুলো হাতে কলমে শুদ্ধ করিয়ে দেওয়া যায়।
২। পঠিত তেলাওয়াতের উপর সাপ্তাহিক তালক্বীন ও সমসাময়িক আলোচ্য বিষয়ে মাসিক হালাকা।
৩। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সার্বক্ষণিক তদারকি করাসহ সময়ের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ ও যথাসময়ে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
৪। মাসিক মূল্যায়ন পরিক্ষার ব্যবস্থা আছে। প্রতিদিন বাড়ির কাজ অনুশীলন/ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে আদায় করে শিখনফল যাচাই করা হয়।
৫। শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্তিক সংকীর্ণতা দূর করে তাদের বুঝাপড়া ও সহনশীলতার স্তরকে সমৃদ্ধ করতে একাধিক উস্তাজের অধীনে পাঠগ্রহণের বন্দোবস্ত।
৬। ইসলাম স্টাডিজ কোর্সগুলোর পাঠ্যবই মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য তালিকা থেকে সংগৃহীত।
৭। কোর্স শেষে সার্টিফিকেট প্রদান।
এই কোর্সের উপকারিতা:
🔷 এই কোর্স সম্পন্ন করার মাধ্যমে স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষার্থীর আরবী 'রীডিং' এর ভয় কেটে যাবে।
🔶 আরবী ভাষা শিখে কুরআন-হাদীস বুঝার প্রেরণা ও সাহস সঞ্চার হবে। ইসলামিক স্টাডিজের ক্লাসে উদ্ধৃত দোয়া,হাদিস,আয়াত পড়ার যোগ্যতা অর্জন হবে।
🔷 পরিবার-পরিজন, হোম স্কুলিংসহ অন্যদেরকে কুরআন শেখানোর মত দক্ষতা হাসিল হবে।
🔶 ক্লাসে ভালো ফলাফল, কর্মস্পৃহা, নিবিড় একাগ্রতা ও বিবেচনাবোধের ভিত্তিতে কুরআন আসরের বিভিন্ন প্রজেক্টে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজের সুযোগ আছে।
⏰ক্লাস সময়:
👉 দুপুর: ৩—৪:৩০ মি:
👉 রাত: ৮:৪৫—১০:১৫ মি:
🗓 ভর্তির শেষ তারিখ: ২৯/১১/২৪ ইং
➡️ ক্লাস শুরু: ০১/১২/২৪ ইং
🔶 ভর্তি ফি: ৫১০/ ও মাসিক ফি ৫১০/-
👉 ভর্তির লিংক: এটি পূরণ করতে কোনো ফি দিতে হয় না।
https://tinyurl.com/QAdmission
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের সাথে আপনার পথ চলা সুখকর, কল্যাণকর হবে। ইনশা আল্লাহ।
ব্যস্ততম জীবনে ঘরে বসেই সময় ও আর্থিক সাশ্রয়ের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কুরআন ও ইসলাম শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ। আমাদের কোর্স একজন শিক্ষার্থীকে ঐশীজ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করবে। ইনশা আল্লাহ।
🔴 পাঠ্য সিলেবাস:
১। বর্ণ পরিচিতি থেকে শুরু করে শব্দ গঠন, হিজা, মতনসহ সম্পূর্ণ কুরআন মাজীদের সহীহ তেলাওয়াত তথা নাজেরা।
২। মাখরাজ, ইখফা, ইজহার, ইক্বলাব, মাদ্দ, গুন্নাহর বিশদ অনুশীলনের মাধ্যমে তাজওয়ীদের প্রয়োজনীয় বিষয়াবলী ব্যবহারিক পদ্ধতিতে শেখানো।
৩। জুয আম্মা (৩০তম পারা), সুরা মুলক, রহমান, ইয়াসীন, কাহাফ, ওয়াক্বিয়াসহ ৪২টি সুরা হিফজ।
৪। মাসনুন দোয়া, দারসুল কুরআন, আদাব ও আজকার, নামাজ শিক্ষা, ইলমুল ফিকহ ও ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষা নিয়ে নিয়মিত দারস।
৫। আরবী হস্তলিখা, খুতবাহ, ইহতিসাব ও দাওয়াতি কার্যক্রমের প্রশিক্ষণ।
🟢 কোর্সের সময়কাল:
✅ কোর্সের বেসিক লেভেলের মেয়াদ ছয় মাস। এই লেভেল সম্পন্ন করার পর সম্পূর্ণ কুরআন মাজীদের নাজেরা করার ব্যবস্থা আছে।
✅ আমাদের নাজেরা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফলাইন বা অনলাইনের যেকোনো প্রতিষ্ঠানে সরাসরি হিফজ শুরু করা কিংবা আরবী ভাষা শেখা অতীব সহজ হয়ে যাবে।
✅ প্রতি ক্লাসের ব্যাপ্তি ১ঘন্টা ৩০ মিনিট এবং নিয়মিত সপ্তাহে ক্লাস ৫ (পাঁচ) দিন ক্লাস ।
✅ কোর্সটি ১৫ বছর উর্ধ্ব নারী-পুরুষের জন্য। তবে বর্তমানে নারীদের ব্যাচে ভর্তি চলছে।
🛑 কোর্সের বৈশিষ্ট্য:
১। সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস। যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী থেকে পড়া আদায় করে ভুলগুলো হাতে কলমে শুদ্ধ করিয়ে দেওয়া যায়।
২। পঠিত তেলাওয়াতের উপর সাপ্তাহিক তালক্বীন ও সমসাময়িক আলোচ্য বিষয়ে মাসিক হালাকা।
৩। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সার্বক্ষণিক তদারকি করাসহ সময়ের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ ও যথাসময়ে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
৪। মাসিক মূল্যায়ন পরিক্ষার ব্যবস্থা আছে। প্রতিদিন বাড়ির কাজ অনুশীলন/ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে আদায় করে শিখনফল যাচাই করা হয়।
৫। শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্তিক সংকীর্ণতা দূর করে তাদের বুঝাপড়া ও সহনশীলতার স্তরকে সমৃদ্ধ করতে একাধিক উস্তাজের অধীনে পাঠগ্রহণের বন্দোবস্ত।
৬। ইসলাম স্টাডিজ কোর্সগুলোর পাঠ্যবই মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য তালিকা থেকে সংগৃহীত।
৭। কোর্স শেষে সার্টিফিকেট প্রদান।
এই কোর্সের উপকারিতা:
🔷 এই কোর্স সম্পন্ন করার মাধ্যমে স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষার্থীর আরবী 'রীডিং' এর ভয় কেটে যাবে।
🔶 আরবী ভাষা শিখে কুরআন-হাদীস বুঝার প্রেরণা ও সাহস সঞ্চার হবে। ইসলামিক স্টাডিজের ক্লাসে উদ্ধৃত দোয়া,হাদিস,আয়াত পড়ার যোগ্যতা অর্জন হবে।
🔷 পরিবার-পরিজন, হোম স্কুলিংসহ অন্যদেরকে কুরআন শেখানোর মত দক্ষতা হাসিল হবে।
🔶 ক্লাসে ভালো ফলাফল, কর্মস্পৃহা, নিবিড় একাগ্রতা ও বিবেচনাবোধের ভিত্তিতে কুরআন আসরের বিভিন্ন প্রজেক্টে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজের সুযোগ আছে।
⏰ক্লাস সময়:
👉 দুপুর: ৩—৪:৩০ মি:
👉 রাত: ০৬:০০—০৭:৩০ মি:
🗓 ভর্তির শেষ তারিখ: ২৭/১২/২৪ ইং
➡️ ক্লাস শুরু: ০১/০১/২৫ ইং
🔶 ভর্তি ফি: ৫১০/ ও মাসিক ফি ৫১০/-
👉 ভর্তির লিংক: কমেন্টে দেওয়া আছে।
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের সাথে আপনার পথ চলা সুখকর, কল্যাণকর হবে। ইনশা আল্লাহ।
পৃথিবীর সব থেকে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ মানুষ প্রিয় নবীজি ﷺ কেমন ছিলেন? তাঁর দৈহিক গঠন কেমন ছিলো !!!
যে মানুষটাকে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ বলা হয়। যাকে স্বপ্নে দর্শন পেলে জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়।কেমন ছিলেন তিনি? স্বপ্নে কখনো তিমি আসলে তাকে কি চিনতে পারবো? সিরাত কোর্স করার আগে তেমন ভাবে নবীজির জীবনী পড়া হয়নি। জানতাম না সেই মানুষটির দেহ অবয়ব সম্পর্কে। যতটুকু জেনেছি সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
রাসূল ﷺ এর উচ্চতা এমন অধিক ছিলোনা যা অসামঞ্জস্য এবং তার গঠন বেমানান ছিলোনা। তিনি ছিলেন মধ্যম আকৃতির, সুঠাম দেহের অধিকারী একজন সুদর্শন মানুষ। তাঁর দিকে তাকানোর জন্য মাথা উঁচু করতে হতো না আবার নিচু করতেও হতোনা। নবীজি ﷺ এর চুল সোজা ছিলোনা আবার কুঁকড়ানোও ছিলোনা। অর্থাৎ উভয়ের মাঝামাঝি ছিলো। আর মধ্যম পন্থায় উত্তম। তার চুলগুলো ছিল ঘাড় পর্যন্ত প্রলম্বিত হালকা হালকা কুঁকড়ানো। তাঁর কপাল ছিল চওড়া, ভ্রু ছিল জোড়া ভ্রু । তাঁর চোখের সাদা অংশ ছিল রক্তিমাভাব সাদা, কালো অংশ ছিল কৃষ্ণ কালো। তাঁর চোখ দেখে মনে হতো যেনো সুরমা লাগানো। তিনি যখন হাসতেন,তখন মৃদু হাসতেন।
নবীজি (স) ধবধবে সাদা ছিলেন না যেটা চুনের ন্যায় বা দৃষ্টিকটু দেখায়। তার সাদার মধ্যে লাল আভা শোভা পেত। অর্থাৎ লাবন্যময়।
◾বারা ইবনুল আজিব (র) নবীজি স এর বর্ননা দিতে গিয়ে বলেন,আমি কখনো রাসূল ﷺ এর চেয়ে সুন্দর কোনকিছু দেখিনি।
রাসূল ﷺ এর উভয় কাঁধের মাঝে কিছুটা প্রশস্ত ছিলো। হাত পায়ের তালু ও আঙুল সমূহ ছিলো মাংসল।গ্রন্থিসমূহ মোটা মজবুত ছিলো। বুক থেকে নাভি পর্যন্ত একটা পশমের চিকন রেখা প্রলম্বিত ছিলো। তিনি হাটার সময় সামনে কিছুটা ঝুকে চলতেন মনে হতো যেন উচু জায়গা থেকে নামছেন।
◾জাবির ইবনু সামুরা (র) একদিন পূর্নিমার রাতে লাল ডোরাকাটা কাপড়ে নবীজি (স) কে দেখতে পান। তিনি বলেন, আমি একবার রাসূল (স) এর দিকে আর একবার চাঁদের দিকে তাকায়। এভাবে কয়েকবার করার পরে তিনি সিদ্ধান্তে পৌঁছান এবং বলেন, রাসূল (স) চাঁদের চেয়েও অধিক সুন্দর ছিলেন।
📝🔶 নোট: লাল ডোরাকাটা পোশাক পরিধান করেছিলেন নবীজি। লাল পোশাক পরিধান করতে পারবো আমরা কিন্তু শুধু লাল হওয়া যাবেনা। কারন নবীজির পোশাক লাল ডোরাকাটা ছিলো।
রাসূল(স) রাগান্বিত হলে মুখমন্ডল রক্তিম বর্ণ ধারন করতো। মনে হতো যেনো ডালিমের রস সিঞ্চিত হয়েছে। তাঁর মুখের সম্মুখ ভাগে দুটো দাতের মধ্যে কিছুটা ফাক ছিলো। তিনি যখন কথা বলতেন তখন তাঁর দাঁত দুটোর ফাক দিয়ে আলোর আভাস পাওয়া যেতো। দাড়ি মোবারক ছিলো ঘন সন্নিবেশিত।
◾রাসূল (স) এর বণর্না দিতে গিয়ে তাঁর হাত সম্পর্কে আনাস (রা) বলেন, রাসূল (স) এর হাতের তুলনায় অধিক কোমল এবং মোলায়েম রেশম বা মকমল আমি স্পর্শ করিনি।
◾রাসূল স এর দেহ মোবারক নিংসৃত সুগন্ধির তুলনায় অধিক সুগন্ধিযুক্ত কোন আতর বা মেশক আম্বরের সুগন্ধি আমি গ্রহণ করিনি।
◾ঘর্মাক্ত অবস্থায় রাসূল (স) কে দেখে মনে হতে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে বিদুৎ চমকাচ্ছে।
⬛ বাস্তব জীবনে রাসূল ﷺ এর দৈহিক গঠনের প্রতিফলন–
__________________________________
রাসূল ﷺ এর দৈহিক অবয়ব চাইলেই কেউ ধারন করতে পারবেনা। নবীজি (স) এর চেহারা মুবারক কিংবা তাঁর শারীরিক গঠনের তুলনা কোন সাধারণ মানুষের সাথে তুলনীয় নয়। কিন্তু আমরা চেষ্টা করলেই রাসূল (স) এর চারিত্রিক গঠন কে নিজের মধ্যে ধারন করতে পারি। নবীর সুন্নত দিয়ে জীবনকে আরো সুন্দর করে সাজাতে পারি।
নবীজির চেহারা মুবারকের সাথে আমরা কাউকে তুলনা করতে পারিনা। রাসূল (স) আমাদের মডেল, আমাদের আইকোন, আমাদের জন্য আইডল। ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবন সকল পর্যায়ে তিনি আমাদের জন্য মডেল এবং অনুকরনীয়। তাই তাঁর সিরাত আমাদের জন্য অনুকরণীয়, অনুপম আদর্শ। তিনি গোটা ধরনীর জন্য রহমত। তিনিই আমাদের একমাত্র অনুসরণীয় আর অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। রাসূল ﷺ এর সুরত ধারন করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু রাসূল যেভাবে চুল বড় রাখতে পছন্দ করতে,তাঁর দাড়ি মুবারক যেমন ছিলো, তিনি কিভাবে নিজেকে পরিপাটি রাখতেন এসব আমরা অনুসরন করতে পারি আমাদের নিজেদের জীবনে।
✏️ লাবনী
চলমান কোর্স: সিরাত কোর্সের একজন পাঠিকা।
সম্পন্ন কৃত কোর্স:
✅ পূর্নাঙ্গ কুরআন শিক্ষা কোর্স।
✅ নাজেরা কোর্স।
হযরত মুহাম্মদ( সাঃ) এর চুল সাদা হওয়া প্রসংগে
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থানে কয়েকটি চুল সাদা ছিল। আনাস (রাঃ) এর মতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাথায় যে কয়েকটি চুল সাদা ছিল তা তিনি গুনতে পারতেন। নবীজি (সাঃ) এর চুল অনেক সাহাবীর মতে ২০ টি মতান্তরে ১৭টি মতান্তরে১৮/১১ টি পাকা ছিল। অর্থাৎ নবীজির চুলে খুব বেশী পাক ধরেছিল না। বার্ধক্য দিয়ে নবীজির সৌন্দর্য আল্লাহ নষ্ট করেননি।
নবীজি চুলে ও দাড়িতে তেল লাগাতেন। তেল লাগালে পাকা চুল দেখা যেত না। আর যখন তেল লাগাতেন না তখন পাকা চুল দেখা যেত। অনেক সাহাবীর মতে নবীজি (সাঃ) খিজাব অর্থাৎ রঙ ব্যাবহার করতেন যা লাল,হলুদ বা অন্য রং। অনেক সাহাবীর মতে নবীজি (সাঃ) এর চুল মেহেদী দ্বারা রঞ্জিত থাকতো।
সুরা হুদ, ওয়াকিয়াহ, মুরসালাত, আম্মা ইয়াতাসাআলুন, ইজাশ শামসু অর্থাৎ যে সকল সুরাতে কিয়ামতের আলোচনা ও পুর্ববর্তী উম্মতের শাস্তির উল্লেখ আছে সেগুলোর চিন্তায় নবীজি বার্ধক্যে উপনীত হবার পুর্বেই চুলে পাক ধরেছে। এক কথায় দুঃখ,কষ্ট,চিন্তা, ভাবনার ফলে নবীজির চুল পাক ধরেছিল। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন: যে ব্যক্তি চোখের সামনে ক্বিয়ামতের দৃশ্য দেখতে চায়, সে যেন إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ ও إِذَا السَّمَاءَ انْفَطَرَت এবং إِذَا السَّمَاءَ انْشَقَّتْ সূরাগুলি পাঠ করে।
নবীজি (সাঃ) সবুজ, লাল রঙ এর পোশাক পড়তেন। সবুজ কাপড় পড়া সুন্নত এই মতটি দুর্বল। আবার লাল রং পড়া হারাম এটিও দুর্বল। কেননা, নবীজি লাল কাপড়ের জামা পড়েছেন। কতেক আলেমের মতে বরং লাল কাপড় পরিধান মাকরুহ হতে পারে। অধিকাংশ আলীমদের মতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) অন্য যে কোন রং থেকে সাদা রং কে প্রাধান্য দিতেন,অন্য সব রং বরাবর। মুসলমানদের জন্য লৌকিকতা ছেড়ে সাধ্যের মধ্যে যে কোন পোশক বৈধ। তবে সুখ্যাতি ও অহংকারের জন্য পোশাক পড়লে তা শরিয়তপন্থী। আবার সামার্থ থাকা সত্ত্বেও ছেঁড়া বা নোংরা কাপড় পরিধানও উচিত নয়। এতে আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি অকৃজ্ঞতা প্রকাশ হয়। অনেক হাদীসে বলা হয়েছে, চাল চলনে যেন আল্লাহর প্রদত্ত নেয়ামত প্রকাশ পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে।
বাস্তবজীবনে প্রতিফলিত বিষয় সমুহ:
১। চুলে রং ব্যাবহার করা যাবে,তা অন্যায় নয়। অনেকে বলেন চুলে রং ব্যাবহার করা হলে নামাজ বা অযু হয়না তা ঠিক নয়। তবে এমন রঙ হতে পারবে না যা প্রলেপ তৈরী করে চামড়ায় পানি পৌছাতে বাঁধা দেয়।
২। পুরুষরা লাল,সবুজ,হলুদ যে কোন ধরনের রং এর পোশাক পড়তে পারেন। তবে অবশ্যই স্থানীয় ও মুসলিম মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্য হতে হবে।
৩। সুখ্যাতি, অহংকার বশত, নারীদের সদৃশ, অমুসলিমদের ধর্মীয় পোশাক সদৃশ পোশাক ব্যবহার করা যাবে না। ভৌগলিক এলাকা অনুযায়ী নারী পুরুষের পোষাকের ধরণ ভিন্ন হতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
📝 শারমিন সুলতানা সুমি।
শিক্ষার্থী: সিরাত কোর্স: ব্যাচ-০১
সম্পন্নকৃত কোর্স:
✅ পূর্নাঙ্গ কুরআন শিক্ষা কোর্স(বেসিক)
✅ নাজেরা কোর্স।
নাজেরা ব্যাচ দুইয়ের স্বপ্রণোদিত অনিন্দ্য কর্ম। এ ব্যাচ শেষ হয়েছে প্রায় ৩ মাস। কিন্তু তাদের পদচিহ্ন এখনো ঝলঝল করছে।
প্রতিষ্ঠান শুধু শেখায় না। শিক্ষার্থীদের থেকে শেখেও।
আমরা আমাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আমাদের কাজে শামিল করার প্রত্যাশায় থাকি।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর আংটি সম্পর্কে।
সিরাত কোর্সে যুক্ত হবার পর বুঝতে পারছি, কতটাই না অজ্ঞ আমি! জীবন পার করছি কীভাবে? নবিজী (সা:) এর সুন্নতের তেমন কিছুই জানি না। জানি না তার জীবনের কিছুও। যতটুকু জানি তার বেশিরভাগই সহিহ না। জীবনে চলার প্রতিটি পদক্ষেপে নবি (সা:) এর সুন্নত মেনে চলার জন্য সিরাত অধ্যায়নের বিকল্প নেই।অধ্যায়ন শুরু প্রাথমিক পর্যায়ে যতটুকু জেনেছি সেই জানার মধ্যের একটা বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা করবো। ইনশাআল্লাহ
🟫মুহাম্মদ (সা:) এর আংটি সম্পর্কে:
_________________________________________
মহানবী (সা:) এর আংটির আলোচনাতে দুইটি দিক উঠে এসেছে। একটি হচ্ছে আংটির ধাতু, আরেকটি আংটি পরিধান। নিচে বিশদভাবে আলোচনে করা হলো:-
◾আংটির ধাতু সম্পর্কে : আনাস ইবনু মালিক (রা:) এর মতে, নবিজি (সা:) এর ব্যবহৃত আংটি রুপার ছিলো, এবং নগিনাটি ছিলো আবিসিনীয় পাথরের, যাকে হাবশিও বলা হয়েছে। (সহিহুল বুখারি ৫৮৬৮,, সহিহুল মুসলিম ২০৯৪।)
➡️ হযরত উমর( রা :) এর এক বর্ণনায় আছে যে, নবী করিম (সা:) একটা স্বর্নের আংটি বানালেন এবং নগীনাটি হাতের তালুর দিকে রাখতেন, এতে লেখা ছিলো মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ। এই আংটি দিয়ে তিনি সিল মারতেন। (সহিহুল মুসলিম)
অত:পর যখন তিনি দেখলেন যে তার অনুরুপ আংটি সবাই বানিয়ে পড়া শুরু করেছে তখন তিনি সবার সামনে আংটিটা খুলে ছুড়ে ফেলে দিলেন।
এইখানে তার আংটি ছুড়ে মারা থেকে সচরাচর প্রশ্ন আসতে পারে যে— তিনি কেন অন্যরা তার মতো আংটি বানানো দেখে নিজের আংটি ছুড়ে ফেললেন? কয়েকটি বিষয় হতে পারে—
০১। হতে পারে এটার অপব্যবহার হচ্ছিলো দেখেই তিনি নিজের আংটি ছুড়ে ফেলেন। কেননা, রাসূল (স:) এর আংটির ধারণাটা মূলত দাপ্তরিক কাজে সীল মোহরের প্রয়োজনীয়তা থেকে এসেছিলো।
০২। কোনো জিনিস যখন তার উদ্দিষ্ট লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যায় তখন আর তার মূল্য থাকে না।
০৩। হয়তো রাসূল (স:) যখন স্বর্ণের আংটি মোহর হিসাবে বানিয়েছিলো তখন স্বর্ণ পুরুষের জন্য ব্যবহার জায়েজ ছিলো। আল্লাহ অহীর মাধ্যমে যখন স্বর্ণ ব্যবহার পুরুষের জন্য হারাম ঘোষণা করলেন তখন তিনি তা ছুড়ে মারলেন।
অন্য এক বর্ণনায়,, এসেছে এক ব্যাক্তির হাতে স্বর্ণের আংটি দেখে মহানবী (সা:) সেই ব্যাক্তির হাত থেকে আংটি খুলে ছুড়ে ফেলে দেন। পরে আবার ওই ব্যাক্তিকে বলেন যে আংটিটা তুলে এনে অন্য কাজে ব্যবহার করতে।
এই হাদীস থেকে সাধারণত বুঝা যায় যে, অলংকার হিসাবে স্বর্ণ ব্যবহার পুরুষদের জন্য নিষিদ্ধ হলেও সম্পদ হিসাবে গচ্ছিত রাখা কিংনা তার থেকে উপকার গ্রহণ করা নিষিদ্ধ নয়। ক্ষেত্র বিশেষ এটা নিরপদ, দরকারী ও প্রয়োজন।
➡️ আনাস (রা:) এর আরেক বর্ণনা মতে,” নবিজী (সা:) এর আংটি রুপার ছিলো,নগিনাও রুপার ছিলো আর তাতে লেখা ছিলো, মুহাম্মদ রসুল আল্লহ“ (ফতহুল বারি-১০/৩২২)
➡️ মহানবী (সা:) যখন অনারবদের চিঠিপত্রের মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার কথা ভাবলেন, তখন তিনি জানতে পারেন যে, অনারবেরা সিলমোহর ছাড়া চিঠি গ্রহন করেন না। কারণ সিলমোহর যে কোন প্রাপকের জন্য, সম্মান আর মর্যাদার চিহ্ন বহন করে। (সহিহুল বুখারি-৫৮৭২, সহিহুল মুসলিম-২০৯২)
এর পর নবী করিম (সা:) রুপার আংটি বানালেন এবং সিল স্বরূপ তাতে লিখলেন মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ। এই আংটির সাহায্যে সিল দিয়ে তিনি অনারবদের এমনকি কাফিরদের চিঠিপত্রের মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত দেয়া শুরু করলেন।
➡️মহানবী (সা:) এর ব্যবহৃত আংটি, তার পরে আবু বকর (রা:) ব্যবহার করেছেন, এর পর উমর (রা:) এবং সর্বশেষ ওসমান (রা:) ব্যবহার করেছেন। ওসমান (রা:) এর হাত থেকে “ আরিস” কুপে পড়ে হারিয়ে যায় (এই কূপ মসজিদে কুবার পাদদেশে অবস্থিত)। অনেক খোজার পরেও আর পাওয়া যায় নি। আসলে এটি আল্লাহরই ইচ্ছে,কারণ তিনি নবিজির কোনো ওয়ারিশ রাখতে চান নি। (সহিহুল বুখারি- ৫৮৬৬)
উপরোক্ত হাদিস গুলো পর্যালোচনা করলে বোঝা যায়,নবিজি (সা:) এর আংটি রুপারই ছিলো কেবল একটি স্বর্ণ ছিলো। আর এতে লেখা ছিলো মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ। আর নগিনার ব্যপারে হাবশি বা রুপা বলা হয়েছে, এখানে হতে পারে তার একাধিক আংটি ছিলো অথবা আকৃতি বা উজ্জ্বলতার কারনে রুপাকেই পাথরের মত মনে হয়েছে।
স্বর্নের ব্যাপারে মনে করা হয়,, হয়ত স্বর্ন হারাম হবার আগে স্বর্ণের আংটি বানিয়েছিলেন,অথবা সবাই স্বর্ণ পড়ে অহংকারী হয়ে যেতে পারে সেই আশংকা থেকে স্বর্ণ হারাম করা হয়েছে।
বাস্তব জিবনে প্রতিফলন:
__________________________
🔶 পুরুষদের রুপার আংটি পড়া বৈধ।আর নারীদের জন্য স্বর্ণ, রুপা সবই বৈধ।
🔷 আংটিতে কারুকার্য করা যাবে কিন্তু আল্লাহ এবং তার হাবিব (সা:) এর নাম লেখা যাবে না। কারণ এতে তাদের অসম্মানিত হবার অশংকা থাকে।
🔶 পুরুষের স্বর্ণ পরিধান করা যাবে না কিন্তু সম্পদ হিসেবে কিনতে এবং গচ্ছিত রাখতে পারবে।
🔷 নবী করিম ( সা:) এর কোনো ওয়ারিশ ছিলো না। এই ওয়ারিশ না থাকাটায় উম্মতেত জন্য কল্যাণকর। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশ ও সভ্যতায় রাষ্ট্র প্রধানদের ওয়ারিশিদের কার্যকালাপ থেকে তা সহজে অনুমেয়।
🔶 বিধর্মীদের চিঠির মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত দেয়া বৈধ এবং চিঠিতে পাওয়া আমল পালন করাও বৈধ।
🔷 সিলমোহর একটা বিশ্বস্ততার চিহ্ন যেটা আমরা এখনো সব রকম দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার করা দেখি। দাপ্তরিক কাজে সীল মোহর প্রদানের ধারণাটি ভিন্ন সভ্যতা থেকে গৃহীত। সুতরাং ইসলামের মৌলিক আক্বিদাহ বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক নয়, মানুষের কাজে কল্যাণকর ও নিরাপত্তা দান করে এবং মানুষের জীবন যাত্রাকে সহজ করে এমন কোনো কিছু ভিন্ন জাতিগোষ্টি থেকে নেওয়া যেতে পারে। যেমন: ফেইসবুক, ইউটিউব, বিভিন্ন মেডিসিন, গাড়ি, জাহাজ ও প্রযুক্তি বর্তমানে আমরা ব্যবহার করছি।
🔶 কোনো মানুষকে নিজের আওতায় আনতে হলে সে যেমন আচরণ আশা করে তার সাথে তেমিব ব্যবহার করা। যদি সেটা শরীয়ত বিরোধী না হয়।
*মহানবী (সা:) এর আংটি পরিধান সম্পর্কে:*
___________________________
◾হযরত আলী (রা:) এর বর্ণনায়,” মহানবী (সা:) ডান হাতে আংটি পড়তেন” সুনানি আবি দাউদ-৪২২৬, সুনানি নাসায়ি-৫২০৩
◾জাবির ইবনু আব্দুল্লাহও বলেছেন তিনি ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে আংটি পড়তেন।
◾জাফর ইবনু মুহাম্মাদ (রা:) তার পিতা থেকে শুনেছেন যে, হাসান হুসাইন বাম হাতে আংটি পড়তেন। সুনানু তিরমিজি- ১৭৪৩
❌তবে সহী মুসলিমের এক বর্ণনায় এসেছে যে, মহানবী (সা:) মধ্যমা ও শাহাদাৎ আঙুলে আংটি পড়তে নিষেধ করেছেন। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধ নেই।
উপরের হাদিসের আলোকে আমরা জানতে পারলাম যে, পুরুষের মধ্যমা ও শাহাদাৎ আঙুলে আংটি পরা নিষেধ এবং নারী দুই হাতের যে কোন আঙুলেই পড়তে পারবে।
পরিশেষে বলা যায়, মহানবী (সা:) এর আংটি সম্পর্কে আমরা যেগুলো জানলাম তা আমাদের দৈনন্দিন জিবনের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত। এর মাধ্যমে এমন কিছু বিষয় জানলাম যেগুলো বৈধ যেটা আগে নিষেধ বলে জানতাম। আর এমন কিছু জেনেছি যেগুলো হয়ত আমাদের পরিবার বা সমাজ বৈধ বলে পালন করে আসছে যেগুলো নিষিদ্ধ। যেমন : বিয়েতে ছেলেদের স্বর্ণের আংটি দেয়া এবং সেটা নির্দিধায় ব্যবহার। আমরা স্বর্ণ হাদিয়া দেওয়াকে অবৈধ বলব না কারন আমরা জেনেছি পুরুষ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণ রাখতে পারবে কিন্তু পরিধান করা হারাম। অর্থাৎ পুরুষরা স্বর্ণ হাদিয়া পেলে সেটা গাহনা হিসাবে ব্যবহার না করে সম্পদ হিসাবে গচ্ছিত রাখবে।
সুতরাং যেগুলো জানলাম সেগুলো আমরা পরিবারে, সমাজে বাস্তবায়ন করবো। ইনশাআল্লাহ
📝 সানজানা পারভীন
✅ বেসিক কোর্স পাঠিকা-০২,
✅ নাজেরা ব্যাচ-০২,
👉 ভোকাবুলারি কোর্স ( চলমান),
👉 সিরাত কোর্স (চলমান)
কুরআন আসরে আসছিলাম সহিহ করে কুরআন শেখার জন্য। ভেবেছিলাম কখনোই আমাকে দিয়ে সম্ভব হবেনা,আলহামদুলিল্লাহ আমার ভাবনাটা ভুল প্রমানিত হয়ে কুরআন সহিহ শুদ্ধ করে শিখতে সক্ষম হয়েছি।
আর আমার পরিবার আমাকে সবসময় বলে আমি নাকি কুরআন আসর কে নিয়ে একটু বেশিই মাতামাতি, লিখালিখি, বলাবলি করি। কিন্তু তাদের কে কি করে বুঝাব যে কুরআন আসর থেকে পাওয়া শিক্ষাই আমার জীবনে অনেক বড় প্রাপ্তি এবং আল্লাহর সান্নিধ্যে আসার মাধ্যম।
পাশাপাশি কুরআন এর হিফজ করার তাওফিক দিয়েছেন মহান রব্বুল আলামীন। কত দ্বীনি বোনের সাথে পরিচিত হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ!
তার মাঝে আল্লাহর প্রিয় হাবিব হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনকে এত সুন্দর ও গভীর ভাবে জানতে পারবো কখনো স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।
রাসুলুল্লাহ (সা:) এর সম্পর্কে জানতাম কিন্তু এত গভীর ভাবে কখনোই জানতাম না। কুরআন আসরে সিরাত কোর্স এ যুক্ত হয়েই বুঝতে পারছি যে প্রিয় নবীর সম্পর্কে কত কিছুই অজনার মধ্যে ছিলাম।
আল্লাহ তায়ালা এত নিয়ামত দান করেছেন যে দিনরাত একনাগাড়েই সারাজীবন শুকরিয়া করলেও কম হয়ে যাবে।
তাছাড়া ও কুরআন আসরের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি সর্বদা সর্বক্ষণ।
সেই জানা সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল (সাঃ) এর জীবনী থেকে একটা আলোচ্য বিষয় নিয়েই আমি আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ
রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর মোহরে নবুওয়াত!
---------------------------------------------------
মোহর অর্থ সিলমোহর / নিদর্শন / আলামত / দলিল বা প্রমাণ। মোহরে নবুয়াত মানে নবুওয়াতের দলিল বা প্রমাণ। এটি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওয়াতের নিদর্শন।
♻️ হাদিসের আলোকে মোহরে নবুওয়াত এর বর্ণনা:
_________________________
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর দুই কাঁধের মাঝে মোহরে নবুওয়াত ছিল। তবে তা বাম কাঁধের নিকটবর্তী ছিল। মোহরে নবুওয়াতের বিভিন্ন রকম বর্ণনা পাওয়া যায়, এর কারণ হলো সাহাবিদের দৃষ্টিভঙ্গী, কেউ তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, কেউ দূর থেকে, কেউ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দেখেন কেউবা যুদ্ধের ময়দানে তাকে যুদ্ধরত অবস্থায় দেখেন। যেই যেরুপ দেখেছেন তারা সেই রুপই বর্ণনা করেছেন।
🔎 মোহরে নবুওয়াত দেখতে যেমনি ছিলো:
__________________________________
১.হাজলা পাখির ডিমের মতো
২.উটপাখির ডিমের মতো
৩.আপেলের মতো
৪. কবুতরের ডিমসদৃশ লাল মাংসপিণ্ডের ন্যায়।
৫. পিঠে এক টুকরো বাড়তি গোশত (উঁচু গোশতের টুকরা)
৬. একগুচ্ছ কেশ বা চুল অর্থাৎ মোহরে নবুওয়াতের উপরে থাকা চুল
৭. মুষ্টিবদ্ধ আঙুলের মতো যার আশেপাশে আঁচিলের মতো কতগুলো তিলক রয়েছে।
অর্থাৎ, মোহরে নবুওয়াত গোশতের ছোট্টো টুকরো, যা নবিজির শরীরের রঙের মতো। ছোটো অবস্থায় কবুতরের ডিমসদৃশ, আর বড়ো অবস্থায় মুষ্টিবদ্ধ হাতের ন্যায়। এর আশেপাশে কালো তিলক এবং কেশগুচ্ছ রয়েছে।
◾ পর্যালোচনা:
_________________________
১) প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের যেমন স্বতন্ত্র একটা লগো বা সিল থাকে যাতে সেই প্রতিষ্ঠানটি বুঝা যায়, ঠিক তেমনি আল্লাহর তার রাসুলকে যে শেষ নবী হিসেবে প্রেরণ করেছেন সেটা তার প্রমাণ।
২) মোহরের মাধ্যম তার নবুওয়াতের মধ্যে সব ধরনের খুঁত প্রবেশ করা থেকে সংরক্ষণ করা হয়েছে যেমনটা সিলমোহরকৃত জিনিসে হয়ে থাকে।
৩) সাহাবীদের এবং যুগে যুগে সকল মানুষের আত্মবিশ্বাস আরও বেশি পাকাপোক্ত হয় এবং তিনিই যে নবী এই মোহর নবুওয়াতের মাধ্যমে প্রমানিত হয়।_
যেমনঃ সালমান আল ফারসি( রাঃ) রাসুল সাঃ এর মোহরে নবুওয়াত দেখেই ঈমান আনলেন।
▪️ সালমান আল ফারসি রাঃ এর ঘটনা:
হযরত সালমান ফারসী প্রথম জীবনে একজন অগ্নিউপাসক ছিলেন। পরে খৃস্টধর্ম এবং সবশেষে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি পারস্যের অধিবাসী ছিলেন। তার পিতা ছিলেন একজন বিত্তশালী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং অগ্নি উপাসক। সেখানে থাকাকালেই তিনি অগ্নি উপাসকদের ধর্মে গভীর দক্ষতা অর্জন করেন। এক মুহুর্তের জন্যও যাতে আগুন নিভতে না পারে-এভাবে কুন্ডলী জ্বালিয়ে রাখার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছিল। এ সময়ে ঘটনাক্রমে একটি জমি দেখাশুনার দায়িত্ব তার উপর ন্যস্ত করা হয়। এই জমি দেখতে গিয়ে তিনি বাড়ীর বাইরে যাওয়া আসা করতে লাগলেন। যাওয়া আসার পথের পাশে একটি খৃস্টান গীর্জা তার নজরে পড়ে। লোকজনের হৈ চৈ শুনে কৌতূহল বশতঃ তিনি সেই গীর্জার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। সেখানে তাদের উপাসনা দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে যান এবং মনে মনে বলেন, অগ্নি উপাসকদের ধর্মের চেয়ে এই ধর্ম অনেক ভাল। তখন গীর্জার লোকদের কাছে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, এই ধর্মের উৎস কোথায়? তারা জানালো যে, সিরিয়ায়। সিরিয়ায় গিয়ে তিনি লোকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন এই ধর্মের মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানী কে? তারা তাকে জানালো যে, গীর্জার পাদ্রীই সবচেয়ে জ্ঞানী। সালমান (রাঃ) পাদ্রীর নিকট হাজির হয়ে বললেন আমি এই ধর্মের প্রতি খুবই আগ্রহী। পাদ্রী সালমানকে তার গীর্জায় থাকতে দিলেন এবং সালমান (রাঃ) খৃস্টধর্মে জ্ঞান নিতে লাগলেন। এই সময়ে সালমান(রাঃ) বুঝতে পারলেন যে, উক্ত পাদ্রী খুবই অসৎ। পরে পাদ্রীটি মারা গেলে নতুন পাদ্রী আসে। নতুন পাদ্রী ছিল একজন নিরেট সৎলোক। সালমান (রাঃ) কিছুদিন তার কাছে থাকলেন। তারপর তার মৃত্যু ঘনিয়ে এলে সালমান (রাঃ) তাকে বললেন আপনার পর আমি কোথায় কার কাছে যাবো বলে দিন।
তিনি বললেন আমি যতটা খাঁটি ধর্মের অনুসারী ছিলাম, এখন তেমন আর কাউকে দেখি না। এখন যারা আছে, তারা অধিকাংশই ধর্মকে খানিকটা বিকৃত করেছে, আর খানিকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় রেখে দিয়েছে। তবে মুসেলে একজন আছে খাঁটি ধর্মের অনুসারী। তুমি তার কাছে চলে যাও।
সালমান মুসেলের পাদ্রী কাছে গেলেন। সেখানে কিছুদিন থাকার পর তিনিও মারা গেলেন। মারা যাওয়ার আগে নসিবাইনের এক ব্যক্তির সন্ধান দিয়ে গেলেন। অতঃপর সালমান রাঃ নসিবাইনে গেলেন। সেখানেকার পাদ্রীর কাছে কিছুদিন থাকার পর তিনিও মারা গেলেন। মারা যাওয়ার সময় আম্মুরিয়ার আর একজন পাদ্রী বা যাজকের সন্ধান দিয়ে গেলেন। এবং তিনি আম্মুরিয়ায় চলে গেলেন। আম্মুরিয়ায় কিছুদিন থাকার পর সেখানকার যাজকও মারা গেলেন। মৃত্যুর আগে সালমান (রাঃ) তার কাছে একজন সৎ যাজকের সন্ধান চাইলে তিনি বললেন, এখন আমার জানামতে সঠিক ধর্মের কোন অনুসারী যাজক পৃথিবীতে জীবিত নেই।
তবে একজন নতুন নবীর আবির্ভাবের সময় পৃথিবীতে ঘনিয়ে এসেছে। তিনি ইবরাহীম (আ) এর দ্বীনকে পুনরুজ্জীবিত করবেন। তিনি আরব ভূমিতে আবির্ভূত হবেন এবং দুই মরুর মাঝে খেজুরের বাগানে পরিপূর্ণ জায়গায় হিজরত করবেন। তিনি হাদিয়া নিবেন কিন্তু ছদকা গ্রহণ করবেন না। তার দুই কাঁধের মাঝে নব্যুয়তের সীল থাকবে। তুমি যদি সেই দেশে যেতে পার তবে যেও।
আরব চলে গেলেন। সেখানে এক ইহুদীর বাগানে কাজ করতেন। সালমান (রাঃ) এই ইহুদীর খেজুরের বাগানে কাজ করতে লাগলেন। তিনি ইহুদীর কাছে থাকতে লাগলেন। পরে তিনি বলেন আমাকে এক অন্য ইহুদী কিনে নিয়ে মদীনায় চলে এল। মদীনাকেই দেখে আমি চিনতে পারলাম যেন
ওটা অবিকল আম্মুরিয়ার পাদ্রীর বর্ণিত জায়গা। তাই আমি ওখানেই থাকতে লাগলাম।
একদিন তিনি রাসূল সাঃ এর ঘটনা শুনতে পান এবং কোথায় আছেন সব তথ্য পেয়ে যান।
তিনি বলেন আমি নিজের কাছে জমানো কিছু খাবার জিনিস নিয়ে সন্ধ্যা বেলায় গোপনে কুবাতে রাসূল (সা) এর কাছে উপস্থিত হলাম। তাকে বললাম, আমি শুনেছি, আপনার সাথে অনেক দরিদ্র লোক রয়েছে। তাদের কাছে আমি কিছু সাদাকাহ এনেছি। এই বলে উক্ত খাদ্য হাযির করলে তিনি সাহাবীদেরকে তা খেতে দিলেন। কিন্তু নিজে খেলেন না। তখন আমি মনে মনে বললাম, আম্মুরিয়ার যাজক যে তিনটি আলামতের কথা বলেছে, তার একটি পেয়ে গেলাম। অতঃপর আমি চলে এলাম।
আর একদিন আরো কিছু খাবার নিয়ে তা হাদীয়া হিসেবে পেশ করলাম। রাসূল (সা) তা নিজেও খেলেন এবং অন্যদেরকেও খাওয়ালেন। এরপর আমি দ্বিতীয় আলামতটিও পেয়ে গেলাম।
এরপর যখন তিনি বাকীউল গারকাদ নামক কবরস্থানে তাঁর জনৈক সাহাবীর দাফন সম্পন্ন করে ফিরে আসছিলেন, তখন আমি তাঁর কাছে উপস্থিত হলাম। সেই সময় রাসূল (সা) এর গায়ে ঢিলেঢালা পোশাক ছিল। আমি নব্যুয়তের মোহরটি দেখার জন্য তাঁর ঘাড়ের উপর চোখ বুলাতে লাগলেন। রাসূল (সা) আমার চাহনির হাবভাব দেখে বুঝে ফেললেন এবং তাঁর পিঠের উপর থেকে চাদর উঠিয়ে ফেলে দিলেন। আমি তখন নব্যুয়তের মোহর দেখে চিনতে পারলাম। আমি মোহরটিতে চুমু খাওয়ার জন্য ঝুঁকে পড়লাম এবং কাঁদতে লাগলাম। রাসূল (সা) আমাকে বললেন সামনে এস। আমি সামনে গিয়ে বসে পড়লাম। অতঃপর অতীতের সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম।
এরপর রাসূল (সা) আমাকে ইহুদীর দাসত্ব হতে মুক্ত হবার জন্য ৪০ আউন্স স্বর্ণ দিলেন। এবং ৩০০ টি খেজুর গাছের ছাড়া রোপন করার মাধ্যমে আমাকে আজাদ করলেন।
◾ শিক্ষা:
___________________
১. সঠিক জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনে বাহিরের দেশে যাওয়া যায়।
২.কোন ধর্মের অনুসারীদের মাঝে অসততা কিংবা খারাপ কিছু দেখতে পেলে সেই ধর্মকে দোষারোপ করা যাবে না। ব্যক্তির অপকর্মের দায় ব্যক্তির উপর বর্তায়, তার লালিত ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নয়।
৩. যারা হিদায়াতের জন্য আন্তরিকতার সাথে অবিচলভাবে লেগে থাকে তাদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে হিদায়াত দেওয়া হয়। অনেকেই বলে থাকে- আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন, এক্ষেত্রে আমাদের কী করার আছে? অথচ প্রথম উদ্যোগটি মানুষকেই নিতে হবে। তবেই আল্লাহ হিদায়াতের দরজা খুলে দিবেন।
৪. মুসলিমদের উচিত নওমুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো। আর্থিক ও মানসিকভাবে সব ধরণের সাহায্য-সহযোগীতা তাদের করা উচিত। অন্যথায় পারিপার্শ্বিক চাপে পড়ে তারা দ্বীন থেকেই দূরে সরে যেতে পারে। শুধুমাত্র মুখের কথাই দাওয়াহ নয় বরং নওমুসলিমদেরকে আর্থিকভাবে সাহায্য করাও অনেক বড় দাওয়াহ।
৫. একজন নেতা হিসাবে, সমাজ পরিচালক হিসাবে, একজন বস হিসাবে অধস্থনের পাশে থাকা,বিপদে-আপদে সহযোগীতা করা, কোনো সমস্যা থাকলে সমাধান করা । যেমনিভাবে রাসুল (স:) সালমান ফারসি কে দাসত্ব থেক মুক্ত করার জন্য স্বর্ণ ও খেজুরের গাছ দিয়ে সহযোগীতা করেছিলেন।
নাহিদা আক্তার:
সিরাত কোর্সের ছাত্রী!(চলমান)
পূর্বে সম্পন্ন করা কোর্সঃ-
▪️পূর্নাঙ্গ কুরআন শিক্ষা কোর্স।
▪️নাজেরা কোর্স।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Medina