
দেখতে দেখতে ২৬ বসন্ত পার হলো লাইব্রেরির, লক্ষ্য টা ছিল যারা পড়াশুনা করতে চাই, তাদের অর্থ বা বই কখনো বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই ভাবনা থেকে ১৯৯৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরির পথ চলা শুরু, সূচনা হয়েছিল একটু অন্য ভাবে, ভাবনা দানা বাঁধছিল তারও কিছু বছর আগে থেকে, 'শায়ক ' ত্রৈমাসিক পত্রিকা ও কিছু পরে দক্ষিণেশ্বর সারদা দেবী বালিকা বিদ্যামন্দির এ ফ্রী কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে, সেগুলো কিছু দিন বাদে অচিরেই বন্ধ হয়ে যায়, তার কিছু বছর পর শুরু হয় শায়ক লাইব্রেরির পথ চলা, প্রথমের কিছু বছর লাইব্রেরির স্থান হয় শিশু বিকাশ স্কুলের নিচে l
১৯৯৯ সালে আনন্দবাজার পত্রিকার "কলকাতার কড়চা" বিভাগে লাইব্রেরির কথা পড়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন গণেশ ভট্টাচার্য্য , ওনার অকাল প্রয়াত পুত্র নীলাদ্রি ভট্টাচার্য্য এর নামাঙ্কনে শুরু হয় নীলাদ্রি ভট্টাচার্য্য স্মৃতি সংগ্রহ l
লাইব্রেরির আয়তন বাড়ছিল ক্রমে, সাথে স্থান সংকুলানের সমস্যা দেখা দেয়, আড়িয়াদহের প্রবাদ প্রতিম ডাক্তার রবীন্দ্র নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এর কন্যা শ্রীমতী লীলা বিষ্ণু নিজের পৈতৃক বাড়িটি লাইব্রেরির উদ্দেশে দান করেন, সেই ২০০০ সাল থেকে লাইব্রেরির স্থায়ী ঠিকানা হলো ১১, নেপাল চন্দ্র চ্যাটার্জী স্ট্রিট |
তারপর ধীরে ধীরে তৈরি হয়েছে লাইব্রেরির ওপরের তলা, যেটি বর্তমানে নীলাদ্রি ভট্টাচার্য্য এর স্মৃতি তে নামাঙ্কিত, বহু মানুষ এই পথ চলাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তার মধ্যে বিশিষ্ঠ নাম ড: রথীন মিত্র, ২০০৬ সালে ওনার প্রয়াণে লাইব্রেরি অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে, পরবর্তীতে ওনার নামাংকনে তৈরি হয় "রথীন মিত্র স্মৃতি সংগ্রহ" |
গত বছর পার হলো লাইব্রেরির রজত জয়ন্তী, সাথে সম্পূর্ণ হলো লাইব্রেরি নবীভবন এর কাজ ।
আমরা আশা রাখবো এই ভাবেই লাইব্রেরি এগিয়ে চলুক শত বছর....