Dakshineswar Shayak Library

Dakshineswar Shayak Library

Comments

দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি আগামী ২০ ফ্রেবুয়ারি ২০২২ এ ভাষা দিবস প্রাক্কালে একটা পত্রিকা প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে। সমস্ত সভ্য ও শুভানুধ্যায়ীকে লেখা দেবার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

লেখার নিয়মাবলী:
১. কবিতা, ছোট গল্প, ভ্রমণ কাহিনী, প্রবন্ধ, রম্য রচনা, ছবি , বা অন্য যে কোন বিষয় নিয়ে লেখা ।
২. নিজের নাম , ঠিকানা ও ই মেইল আই ডি লেখার সঙ্গে পাঠাবেন।
৩. লেখা ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর মধ্যে পাঠাতে হবে।
৪. লেখা অভ্ৰ কি বোর্ড এ টাইপ করে পাঠালে ভালো হয়।
৫. লেখা নির্বাচন ও প্রকাশের ব্যাপারে সম্পাদকমন্ডলী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

লেখা পাঠাবার ই মেইল আই ডি:
[email protected]
হোয়াটস আপ নম্বর: ৯৩৩০৯৬৩১৮১, ৯৮৩১৬২৭৪৩০

:
দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি আগামী ২০ ফ্রেবুয়ারি ২০২২ এ ভাষা দিবস প্রাক্কালে একটা পত্রিকা প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে। সমস্ত সভ্য ও শুভানুধ্যায়ীকে লেখা দেবার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

লেখার নিয়মাবলী:
১. কবিতা, ছোট গল্প, ভ্রমণ কাহিনী, প্রবন্ধ, রম্য রচনা, ছবি , বা অন্য যে কোন বিষয় নিয়ে লেখা ।
২. নিজের নাম , ঠিকানা ও ই মেইল আই ডি লেখার সঙ্গে পাঠাবেন।
৩. লেখা ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর মধ্যে পাঠাতে হবে।
৪. লেখা অভ্ৰ কি বোর্ড এ টাইপ করে পাঠালে ভালো হয়।
৫. লেখা নির্বাচন ও প্রকাশের ব্যাপারে সম্পাদকমন্ডলী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

লেখা পাঠাবার ই মেইল আই ডি:
[email protected]
হোয়াটস আপ নম্বর: ৯৩৩০৯৬৩১৮১, ৯৮৩১৬২৭৪৩০

:
আগামীকাল ( ২ জানুয়ারি, রবিবার) সকাল ৮ টায় পদযাত্রা।

সকলে আসুন।

দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরির ২৫ বছর।
আজ আনন্দবাজার পত্রিকা তে কলকাতার কড়চা বিভাগে দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরির কথা প্রকাশিত।
অশেষ ধন্যবাদ আমাদের প্রিয় Premangshu Choudhury কে।
আজ লাইব্রেরীতে আগামীদিনের পরিকল্পনা নিয়ে ও, ২ জানুয়ারি পদযাত্রা নিয়ে মিটিং হল।
উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ।
সবাইকে আমন্ত্রণ।

'সঙ্গে থাকো সঙ্গে থাকো সঙ্গে সঙ্গে থাকো সারাক্ষণ'
আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি আমাদের অঞ্চলে এখনও সেরকম উন্নত হয়ে যায় নি যে লাইব্রেরি ব্যবহার কমে যাবে- এটাই আমাদের বিশ্বাস।
তাই আপনার পাশে থাকা ছাত্রছাত্রীকে বলুন দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরিতে তারা যাতে আসে এবং লাইব্রেরি পরিষেবা নেয়।
দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি একটা স্নাতকস্তরের পাঠ্যপুস্তকের লাইব্রেরি।

বাকি তথ্য ফেসবুক পেজ এ আছে।
সুধী,

আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরির এ'বছর পঁচিশ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ১৯৯৬ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর এই লাইব্রেরি, অঞ্চলের স্নাতকস্তরের ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তকের চাহিদাজনিত দুর্ভাবনায় পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে পথচলা শুরু করে। নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরির এই গৌরবময় পথ চলায় আমাদের সাথে সাথে আপনারাও প্রয়োজনীয় সহযোগী হিসাবে আমাদের সাহস ও সুযোগ দিয়েছেন এবং দিয়ে চলেছেন বিভিন্ন সময়ে। কোভিড পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন লাইব্রেরির পরিষেবা বন্ধ ছিল । বর্তমানে আবার চালু করতে পেরেছি গত ৫ ডিসেম্বর থেকে। বিভিন্ন কারণে পঁচিশ বছরের উদযাপন আমরা প্রতিষ্ঠাদিবসে করতে পারিনি। তাই সংস্থার পক্ষ থেকে আমরা মনস্থির করেছি যে আগামী ২রা জানুয়ারি ২০২২, রবিবার সকাল ৮ ঘটিকায় দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি, ডাঃ রবীন্দ্রনারায়ণ গাঙ্গুলি স্মৃতি ভবন, ১১ নেপাল চন্দ্র চ্যাটার্জি স্ট্রিট কলকাতা-১১ থেকে একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রার আয়োজন করা হ'বে। উক্ত পদযাত্রায় আপনাকে/আপনাদের অংশগ্রহণ করতে আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

আশাকরি আমাদের আমন্ত্রণে গ্রহণ করে উক্ত পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করে আমাদের এই কর্মকান্ডকে সাফল্যমন্ডিত করবেন।

ধন্যবাদ সহ,

ইতি,

বিনীত
সম্পাদক
দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি
১১ ডিসেম্বর ২০২১
সবার আমন্ত্রণ
সবার আমন্ত্রণ

Dakshineswar Shayak Library was founded in 8th September,1996 and till today, it is helping undergra

Our library has a precious collection of thousands of valuable & rare books with a view to provide the members unbeatable level of knowledge & proper guidance in numerous fields & subjects such as -1)English,2)Bengali,3)Geography,4)History,5)Commerce.6)Chemistry,7)Physics,8)Mathematics,9)Zoology,10)Physiology,11)psychology,12)Political Science,13)Education,14)Economics,15)Botany 16)Computer Science 17) Sociology 18)Nutrition 19)Journalism 20)MBA 21)Economics and more...

Operating as usual

08/09/2022

দেখতে দেখতে ২৬ বসন্ত পার হলো লাইব্রেরির, লক্ষ্য টা ছিল যারা পড়াশুনা করতে চাই, তাদের অর্থ বা বই কখনো বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই ভাবনা থেকে ১৯৯৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরির পথ চলা শুরু, সূচনা হয়েছিল একটু অন্য ভাবে, ভাবনা দানা বাঁধছিল তারও কিছু বছর আগে থেকে, 'শায়ক ' ত্রৈমাসিক পত্রিকা ও কিছু পরে দক্ষিণেশ্বর সারদা দেবী বালিকা বিদ্যামন্দির এ ফ্রী কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে, সেগুলো কিছু দিন বাদে অচিরেই বন্ধ হয়ে যায়, তার কিছু বছর পর শুরু হয় শায়ক লাইব্রেরির পথ চলা, প্রথমের কিছু বছর লাইব্রেরির স্থান হয় শিশু বিকাশ স্কুলের নিচে l

১৯৯৯ সালে আনন্দবাজার পত্রিকার "কলকাতার কড়চা" বিভাগে লাইব্রেরির কথা পড়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন গণেশ ভট্টাচার্য্য , ওনার অকাল প্রয়াত পুত্র নীলাদ্রি ভট্টাচার্য্য এর নামাঙ্কনে শুরু হয় নীলাদ্রি ভট্টাচার্য্য স্মৃতি সংগ্রহ l

লাইব্রেরির আয়তন বাড়ছিল ক্রমে, সাথে স্থান সংকুলানের সমস্যা দেখা দেয়, আড়িয়াদহের প্রবাদ প্রতিম ডাক্তার রবীন্দ্র নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এর কন্যা শ্রীমতী লীলা বিষ্ণু নিজের পৈতৃক বাড়িটি লাইব্রেরির উদ্দেশে দান করেন, সেই ২০০০ সাল থেকে লাইব্রেরির স্থায়ী ঠিকানা হলো ১১, নেপাল চন্দ্র চ্যাটার্জী স্ট্রিট |

তারপর ধীরে ধীরে তৈরি হয়েছে লাইব্রেরির ওপরের তলা, যেটি বর্তমানে নীলাদ্রি ভট্টাচার্য্য এর স্মৃতি তে নামাঙ্কিত, বহু মানুষ এই পথ চলাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তার মধ্যে বিশিষ্ঠ নাম ড: রথীন মিত্র, ২০০৬ সালে ওনার প্রয়াণে লাইব্রেরি অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে, পরবর্তীতে ওনার নামাংকনে তৈরি হয় "রথীন মিত্র স্মৃতি সংগ্রহ" |

গত বছর পার হলো লাইব্রেরির রজত জয়ন্তী, সাথে সম্পূর্ণ হলো লাইব্রেরি নবীভবন এর কাজ ।

আমরা আশা রাখবো এই ভাবেই লাইব্রেরি এগিয়ে চলুক শত বছর....

06/09/2022
28/08/2022
15/08/2022

৭৬তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা 🇮🇳

02/08/2022

ফুলুকে বলা হয় 'বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী'। ব্রিটিশ গোয়েন্দারা বলত ফুলু নাকি বিজ্ঞানীর ছদ্মবেশে বিপ্লবী। ফুলু নাকি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলোনের সময় বিপ্লবীদের অস্ত্র কেনার টাকা দিত। ফুলুর দেশপ্রেম এতই উগ্র ছিল, যে ঢাকার একজন উচ্চপদস্থ অফিসার বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, 'স্যার পি.সি. রায়ের মতো লোক যদি আধ-ডজন থাকতেন, এতদিনে দেশ স্বাধীন হয়ে যেত।' ১৯১৯ সালে ফুলুকে ব্রিটিশরা দিয়েছিল Companion of the Indian Empire(C.I.E.) উপাধি, সেই বছরই কলকাতার টাউন হলে রাউলাট বিলের বিরোধিতায় গর্জে উঠেছিল ফুলু, বলেছিল, 'দেশের জন্য প্রয়োজন হলে বিজ্ঞানীকে টেস্ট টিউব ছেড়ে গবেষণাগারের বাইরে আসতে হবে। বিজ্ঞানের গবেষণা অপেক্ষা করতে পারে, কিন্তু স্বরাজের জন্য সংগ্রাম অপেক্ষা করতে পারে না।'
প্রেসিডেন্সি কলেজে ২৭ বছর পড়িয়েছে ফুলু। ক্লাসে ফুলু পড়াতো বাংলা ভাষায়। নীচের দিকেই ক্লাস নিতে ভালোবাসত ফুলু, সে বলত 'কুমোর যেমন কাদার ডেলাকে তার পচ্ছন্দমত আকার দিতে পারে হাইস্কুল থেকে সদ্য কলেজে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের তেমনি সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যায়।' সে সব সময় চাইত তার ছাত্রছাত্রীরা তাকে ছাপিয়ে যাক। তাই সে লিখেছিল , ' সর্বত্র জয় অনুসন্ধান করিবে, কিন্ত পুত্র ও শিষ্যের নিকট পরাজয় স্বীকার করিয়া সুখী হইবে।' ফুলুর এক মুসলিম ছাত্র ছিলেন ডঃ কুদরত-ই খুদা। ১৯১৫ সালে কেমিস্ট্রিতে এম.এস.সি পরীক্ষায় কুদরত-ই খুদা প্রথম শ্রেণী পাওয়ায় কয়েকজন কট্টর হিন্দু শিক্ষক ফুলুকে অনুরোধ করেছিলেন কুদরত-ই খুদাকে প্রথম শ্রেণী না দেওয়ার জন্য। কিন্ত ফুলু যে অসাম্প্রদায়িক পিতার ভাবাদর্শে দীক্ষিত। ফুলুর কাছে যে যোগ্য সে যোগ্যই। তাই ফুলু রাজি হয়নি।
ফুলুকে একবার বিশ্বকবি লিখেওছিলেন, '…যেসব জন্ম-সাহিত্যিক গোলমালের মধ্যে ল্যাবরেটরির মধ্যে ঢুকে পড়ে, জাত খুইয়ে বৈজ্ঞানিকের হাটে হারিয়ে গিয়েছেন তাদের ফের জাতে তুলব। আমার এক একবার সন্দেহ হয় আপনিও বা সেই দলের একজন হবেন।' আসলে বিশ্বকবি অনুভব করেছিলেন, বিলেতে পড়াশুনা করলেও এবং ইংরেজিতে চোস্ত হলেও বাংলা ভাষা ছিল ফুলুর প্রাণ এবং ফুলুর মধ্যে লুকিয়ে ছিল এক সাহিত্যিক। ফুলুর ৭০ তম জন্মজয়ন্তীর দিনে রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন, আবেগমথিত কণ্ঠে বিশ্বকবি বলেছিলেন, 'আমরা দুজনে সহযাত্রী, কালের তরীতে আমরা প্রায় একঘাটে এসে পৌছেছি।' সেদিন রবীন্দ্রনাথ ফুলুর হাতে তুলে দিয়েছিলেন একটি তাম্রফলক, তাতে খোদাই করা ছিল কবির লেখা দুটি লাইন -'প্রেম রসায়নে ওগো সর্বজনপ্রিয়, করিলে বিশ্বের জনে আপন আত্মীয়।'
ছোটবেলা থেকেই কলা খেতে ভালোবাসত ফুলু, সকালে টিফিন করত দুটো কলা দিয়ে। চাঁপাকলা ফুলুর খুব প্রিয় ছিল। সেই সময় এক পয়সায় দুটো চাঁপাকলা পাওয়া যেত। একদিন এক ছাত্র স্যারের জন্য তিন পয়সা দিয়ে দুটো কলা নিয়ে আসায় কি রাগ ফুলুর, ছাত্রকে বলেছিল, 'নবাবি করতে শিখেছ, আমায় পথে বসাবে?'
এর কিছুক্ষণ পরেই কংগ্রেস নেতা ড . প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ এসেছিলেন ফুলুর কাছে, তাঁর তিনহাজার টাকা দরকার ছিল। যে যুগে এক পয়সায় দুটো কলা পাওয়া যেত, সে যুগে তিন হাজার টাকার মুল্য সহজেই অনুমেয়। বিনা বাক্যব্যয়ে তিনহাজার টাকার চেক লিখে দিয়েছিল ফুলু।
'বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী' রাড়ুলীর ফুলুর নাম তখন সারা বিশ্ব জানে। সাইমন কমিশনের সদস্যরা বিজ্ঞান কলেজের কথা ও ফুলুর কথা লন্ডনে অনেক শুনেছিল। তারা কলকাতায় এসে বিজ্ঞান কলেজ পরিদর্শনে এসেছিল, আসল উদ্দেশ্য ছিল ফুলুকে দেখা। এক দুপুরে তারা ফুলুর ঘরে এসে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিল। 'বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী' মারকিউরাস নাইট্রাইটের আবিস্কারক স্যার পি,সি,রায় গামছা পরে চেয়ারে বসে আছেন। কারণ ফুলু তার ধুতি খানা কেচে রোদে শুকাতে দিয়েছিল। ঘরের এক কোণে স্টোভ জ্বলছে, নিজের খাবার নিজেই রান্না করছিল ফুলু। একটু লজ্জা না পেয়ে ফুলু নাকি সেই অবস্থাতেই সাইমন কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
তিনি বুঝেছিলেন, ‘‘একটা সমগ্র জাতি শুধুমাত্র কেরানী বা মসীজীবী’’ হয়ে টিকে থাকতে পারে না। বাঙালি জাতিকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখালেন তিনি। ১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠা করলেন বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিকল ওয়ার্কস। মূলধন বলতে ছিল, মাত্র আটশো টাকা আর পূর্ণ আত্মবিশ্বাস।
তাঁর আদর্শ বাঙালি পালন করে না | আমাদের ক্ষমা করবেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় | জন্ম দিবসে বিনম্র প্রণাম |

📝রূপাঞ্জন গোস্বামী (The Wall)

02/08/2022

প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬২তম জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য 💐

24/07/2022

বহুদিন বাদে আবারও প্রচার শুরু হয়েছে আমাদের , লক্ষ্য সাধারণ ছাত্রছাত্রী দের কাছে পৌঁছনো, তাদের লাইব্রেরির উপযোগিতা সম্পর্কে জানান দেয়া, সদ্য রেজাল্ট বেরিয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের , কেরিয়ারের এর দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময় এটা, নিজের পছন্দের বিষয় বেছে নিয়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনো ছাত্র জীবনের একটা অংশ, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে গিয়ে বই কখনোই অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি সর্বদায় সচেষ্ট, সেই উদ্দেশ্যেই আজ প্রচার আর তার কিছু টুকরো অংশ...

Photos from Dakshineswar Shayak Library's post 24/05/2022

দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি ২৫ বছর ধরে ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে সাধ্যমত। এটি একটি টেক্সট বই এর লাইব্রেরি স্নাতকস্তরের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য।

আজ ২৪/০৫/২০২২ এ শায়ক লাইব্রেরীর সাথে হীরালাল কলেজের একটি মউ স্বাক্ষর হল। এর ফলে কলেজের স্টুডেন্টরা টেক্সট বই এর জন্য শায়ক লাইব্রেরির পরিষেবা যেমন পাবে তেমনি শায়কের ইউজাররাও হীরালাল কলেজের লাইব্রেরির পরিষেবা পেতে পারবে।

এটি একটা বড় পদক্ষেপ এবং স্নাতকস্তরের ছাত্র ছাত্রীরা এর ফলে উপকৃত হবে আশা রাখি আমরা।

উপরিউক্ত পরিষেবা ছাত্রীদের (ফিমেল স্টুডেন্ট) জন্য প্রাথমিক ভাবে প্রযোজ্য হবে। এই পরিষেবা সফল ভাবে কার্যকর হলে আগামী দিনে আরও অনেক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার প্রচেষ্টা থাকবে।

আগামী দিনে আপনাদের সহযোগিতা আমাদের কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা নিয়ে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ মউ স্বাক্ষরের কিছু মুহূর্ত তুলে ধরলাম আমরা।

21/03/2022

''ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত''

২১শে মার্চ...

আজ নীলাদ্রির জন্মদিন। নীলাদ্রি ভট্টাচার্য্যর জন্মদিন আমাদের লাইব্রেরির জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। সুস্থ স্বাভাবিক স্বপ্নময় কলেজ পড়ুয়া এক তরুন পথ দূর্ঘটনায় অকালে বাবা মায়ের কোল খালি করে চলে গিয়েছিলো একদিন হঠাৎ। শোকস্তব্ধ ব্যকুল বাবা মা হন্যে হয়ে যুঝছিলেন বুকের মাঝে হাহাকার নিয়ে আর খুঁজছিলেন এমন কিছু যেখানে তাঁদের সন্তানের স্মৃতি অমর হয়ে থাকতে পারে। যেখানে শোক সন্তাপ ভুলে কাজের আনন্দে সন্তানের অস্তিত্ব অনুভব করা যাবে।

'কলকাতা কড়চা' আমাদের লাইব্রেরির কথা ছেপেছিলো। শিশুবিকাশ স্কুলেই তখন লাইব্রেরি চলছে। নীলাদ্রির বাবা শ্রী গণেশ ভট্টাচার্য এবং মা শ্রীমতি মীরা ভট্টাচার্য্য-র চোখে পড়েছিলো এই সংবাদ। ওনারা এলেন। অকালে চলে যাওয়া স্নাতক পড়ুয়া নীলাদ্রির ছোঁয়া পেতে চান প্রায় সমবয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে। তাদেরই তো এই লাইব্রেরি! অতএব স্থির হ'ল এই স্নাতক পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের সুবিধার জন্য নীলাদ্রি ভট্টাচার্য স্মৃতি সংগ্রহ শায়কের প্রচলিত পরিকাঠামোয় সংযোজিত হ'বে।

২১ শে মার্চ ১৯৯৯। নীলাদ্রির জন্মদিনেই শুরু হয় দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরির সাথে 'ঁনীলাদ্রি ভট্টাচার্য স্মৃতি সংগ্রহ'-র সহযাত্রা।

শিশুবিকাশ স্কুল থেকে লাইব্রেরি ২০০০ সালে চলে যায় বর্তমান স্থায়ী ঠিকানায়। সঙ্গে নীলাদ্রির স্মৃতিতে তৈরি সংগ্রহশালার প্রচুর বই ও আলমারি।

ভবনের জীর্ণতার সংস্কারের প্রয়োজন প্রকট হ'তে ২০১১ সাল নাগাদ ভবনের পরিমার্জনা সহ দ্বিতল নির্মান হয়। এই ভবনের দোতলায় একটি বড় পাঠকক্ষও সেই সাথে নির্মিত হ'ল।

২১শে মার্চ ২০১২। পাঠকক্ষ চিহ্নিত হয় ঁনীলাদ্রি ভট্টাচার্য স্মৃতি পাঠকক্ষ হিসাবে।

এমন ভাবেই নীলাদ্রি ও দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি ওতোপ্রোতো, অবিচ্ছেদ্য! বজায় থাকুক এই যৌথযাপন। উপকৃত হোক স্নাতক পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী সহ তাদের অভিভাবকগণ। সমৃদ্ধ হোক সমাজ। এই বসন্তদিনেই তো ফুল হয়ে ফোটার প্রত্যাশায় পৃথিবীতে নীলাদ্রির আবির্ভাব!.. আজ 'শতপুস্প বিকশিত' হয় তাঁরই স্মৃতিতে! সেই ফুলের পরাগে প্রাণসঞ্চার হোক সকল শুভনির্মানে। সেই ফুলের আবিরে রঙিন হোক চরাচর।

...কলমে সৌরভ দেববর্মন

06/02/2022

বিসর্জনের মুহূর্তে...

Photos from Dakshineswar Shayak Library's post 06/02/2022

সরস্বতী পূজোর খাওয়া- দাওয়া || ২০২২

06/02/2022
05/02/2022
05/02/2022

সরস্বতী পুজো 2k22🙏

05/02/2022
05/02/2022

লাইব্রেরিতে সরস্বতী পূজা চলছে।

07/01/2022

খবরের কাগজ কাটিং থেকে...

Photos from Dakshineswar Shayak Library's post 07/01/2022

পদযাত্রার কিছু টুকরো মুহূর্ত...

02/01/2022

আজ ২রা জানুয়ারি, শায়ক লাইব্রেরির সামনে থেকে পদ যাত্রা শুরু হয়ে গেছে।

Photos from Dakshineswar Shayak Library's post 01/01/2022

আগামীকাল পদযাত্রা, কাজ চলছে পুরো দমে...

Photos from Dakshineswar Shayak Library's post 01/01/2022

আজ আনন্দবাজার পত্রিকার কলকাতার কড়চা বিভাগে প্রকাশিত লাইব্রেরির খবর...

31/12/2021
26/12/2021

সকলে আসুন, একটা দিন লাইব্রেরির জন্য হাঁটি...

17/12/2021

২৫ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে শায়ক লাইব্রেরী

দেখতে দেখতে ২৫ বছরের যুবক আমাদের লাইব্রেরি, সাথে বাড়ছে প্রচার ও প্রসার, এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞে সকলকে একাত্ম হওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে...

https://fb.watch/9Xd4Lhcc52/

12/12/2021
Photos from Dakshineswar Shayak Library's post 05/12/2021

কোভিড পরিস্থিতিতে সাত মাসের বেশি সময় লাইব্রেরি বন্ধ থাকার পর , আজ থেকে লাইব্রেরি পথ চলা আবার শুরু হলো, এখন থেকে সপ্তাহে দুদিন বৃহ:স্পতিবার সন্ধ্যে ৭.৩০-৯.০০ টা ও রবিবার সকাল ১০.০০-১২.৩০ পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকবে..

আজকের কিছু টুকরো ছবি...

04/12/2021

কোভিড ও লকডাউনের পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন লাইব্রেরি পরিষেবা স্থগিত থাকার পর...

আগামী ৫ই ডিসেম্বর ২০২১(রবিবার) থেকে লাইব্রেরি পুনরায় পরিষেবা প্রদান করবে..

এমতাবস্থায় আগত সকল সদস্য/সদস্যা ও
পাঠক/পাঠিকাদের যথাযথ কোভিড বিধি অনুসারে পরিষেবার সাথে সংশ্লিষ্ট হ'তে অনুরোধ করা হচ্ছে।

03/12/2021

কলমে - সৌরভ দেববর্মণ

শায়কের রথে শায়কের পথে...

'আমরা কাজ করি আনন্দে'

সাল- ১৯৮৯, আত্মপ্রকাশ লিটল্ ম্যাগাজিন হিসাবে। তারপর সারদাস্কুলে ফ্রী কোচিং সেন্টার, এসবের মধ্যে দিয়ে বিক্ষিপ্ত অগ্রগতি হওয়ার পর স্বাভাবিক থমকে যাওয়া। লাইব্রেরি হিসাবে আত্মপ্রকাশের সময়টা থেকে ধরেই আড়াই দশকের গ্রন্থাগার 'দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি'-র পথচলা যা- আজও অব্যাহত। স্নাতক স্তরের পাঠ্যপুস্তকের এই লাইব্রেরির কোনো স্থায়ী ঠিকানা ছিলোনা। শ্রী অভিজিৎ রায় এবং শ্রীমতি অবন্তিকা রায়ের সৌজন্যে বিন্ধ্যবাসিনীতলায় শিশুবিকাশ স্কুলের অফিস ঘরে লাইব্রেরির পথচলা শুরু হয় ১৯৯৬ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর। প্রচার ও প্রসার বাড়তে থাকে। আজকাল পত্রিকাতে ও আনন্দবাজার পত্রিকার কড়চায় শায়কের লাইব্রেরির খবর বেরোয়। শ্রদ্ধেয় গণেশ ভট্টাচার্য মহাশয় ও শ্রীমতি মীরা ভট্টাচার্য্য মহাশয়া এভাবেই শায়কের কর্মকান্ডে সামিল হ'ন। তাঁদের অকাল প্রয়াত পুত্রের স্মৃতি রক্ষার্থে ঁনীলাদ্রি ভট্টাচার্য্য স্মৃতি সংগ্রহের উদ্বোধন হ'ল ১৯৯৯ সালের ২১শে মার্চ। শিশুবিকাশ স্কুলে স্থানাভাব ও নানান সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এলেন শ্রী দিব্যেন্দু বিষ্ণু এবং শ্রীমতি লীলা বিষ্ণু। এখন যে স্থায়ী ঠিকানা শায়কের, সেই ১১ নেপাল চন্দ্র চ্যাটার্জি স্ট্রিটের 'ডাঃ রবীন্দ্রনারায়ণ গাঙ্গুলি স্মৃতি ভবন' এনাদেরই মহতি সৌজন্য দান যা ২০০০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর।
২০০৫ সাল নাগাদ একতলায় একটি নতুন কক্ষ নির্মিত হ'ল। অপরিহার্য ছিলেন আমাদের অত্যন্ত্য আপনজন, মাস্টারমশাই শ্রী রথীন্দ্রনাথ মিত্র। শুধু শায়কের অভিভাবক নয় রথিন বাবু ছিলেন দক্ষিণেশ্বর-আড়িয়াদহ অঞ্চলেরই শুভচিন্তক। তাঁর প্রয়াণের পর ২০০৬ সালের ১৪ই মে ভবনের নবনির্মিত কক্ষটি "রথীন্দ্রনাথ মিত্র স্মৃতি কক্ষ" হিসাবে চিহ্নিত হয়।
বাড়তে থাকে লাইব্রেরির পরিষেবা। ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনে লাইব্রেরি তাদের প্রিয়জনে পরিণত হয় অচিরেই। সাধারন মানুষের অকৃপণ সহযোগিতার পাশাপাশি সরকারী কিছু অনুদান এবং বিধায়ক তহবিলের কিছু আর্থিক সাহায্যে ভবন দোতলা হ'ল এবং একটি পাঠকক্ষ নির্মিত হ'ল যা ২০১২ সালে ২১ শে মার্চ "নীলাদ্রী ভট্টাচার্য্য স্মৃতি কক্ষ" হিসাবে চিহ্নিত হয়।
নিয়মিত লাইব্রেরি চলছিলো এমন নানা ওঠাপড়া তরঙ্গের মধ্যে দিয়ে। অতিমারীর কারণে সাময়িক বন্ধ হ'ল শায়কের দরজা। এই সময়ে ভবনের মেরামতির কাজ হ'ল (যদিও আরও কাজ বাকি) এবং আবার পরিষেবা শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই লাইব্রেরি সাধারণত খোলা থাকে সপ্তাহে তিনদিন। রবিবার সকাল সাড়ে ন'টা থেকে সাড়ে বারোটা এবং বৃহস্পতি ও শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে ন'টা। এই অতিমারির সময়ে আমরা লাইব্রেরি খুলছি সপ্তাহে দু-দিন। বৃহস্পতি ও রবিবার।
লাইব্রেরিতে সায়েন্স, কমার্স ও আর্টস-এর অনার্স ও পাস কোর্সের সমস্ত বিষয়ের বই আছে।

যে সমস্ত বিষয়ের বই শায়ক লাইব্রেরিতে পাওয়া যায় তা হ'ল -
ইংলিশ( English), বাংলা( Bengali), ভূগোল( Geography), ইতিহাস( History), কমার্স( commerce), কেমিস্ট্রি ( Chemistry), ফিজিক্স ( Physics), ম্যাথমেটিক্স( Mathmatics), জুলজি ( Zoology), ফিজিওলজি ( Physiology), সাইকোলজি ( Psychology), পলিটিক্যাল সায়েন্স ( Political science), এডুকেশন( Education), ইকনমিক্স( Economics), বটানি (Botany), কম্পিটার সায়েন্স(Computer Science), বিজনেস ম্যানেজমেন্ট(MBA).

রজতজয়ন্তী বর্ষে আসার এই পথচলাতে শায়ক যে পরিষেবাটুকু দিতে সক্ষম হয়েছে তা অঞ্চলের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজনের আন্তরিক অংশগ্রহণ ও সহযোগিতাতেই সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে ইচ্ছা আছে এই লাইব্রেরীর পরিষেবার উন্নতিসাধনের পাশাপাশি আধুনিকীকরণের। সময়ের দাবী মেনে ডিজিটাইজ লাইব্রেরি গঠন এবং ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার পর ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সংক্রান্ত কিছু কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অঞ্চলের সকল সুধী নাগরিকদের কাছে সহযোগিতা কাম্য। সবাই এগিয়ে আসুন।
লাইব্রেরির কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হতে আপনাদের আসতে হবে লাইব্রেরিতে। ই-মেল : [email protected]। ফলো করতে হ'বে Dakshineswar Shayak Library নামের ফেসবুক পেজ। ফোন করতে পারেন 7397755541, 7595929233, 9339144259 নম্বরে। আপনার যে কোনরকম অনুদান বা অংশগ্রহণ সাদরে গৃহীত হ'বে।

Photos from Dakshineswar Shayak Library's post 28/11/2021

করোনা পরবর্তী লকডাউনের বন্দি দশা কাটিয়ে আগামী ৫ ই ডিসেম্বর লাইব্রেরি নতুন ভাবে শুরু হচ্ছে, সেই উদ্দেশ্যে আজ সারা সকাল আড়িয়াদহ-দক্ষিনেশ্বরের নানা জায়গায় মাইকে প্রচার ও লিফলেট বিলি করা হয়েছে, সাথে ২৫ বছরে পদার্পণের আঙ্গিকে লাইব্রেরিও সেজে উঠেছে নতুন ভাবে...

26/11/2021

For more updates please visit to our page or call to our phone numbers...

08/09/2021

দেখতে দেখতে আজ 25 বছরের যুবক দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি , কেমন ছিল তার শুরুর দিন গুলো, ছত্রে ছত্রে রয়েছে কোন লড়াই, রোমন্থনে লাইব্রেরির বিশিষ্ট সদস্য সৌরভ দেববর্মন
********************

আমার তখন প্রায় সেই বয়েস যে বয়সে আজ শায়ক-এর লাইব্রেরী উপস্থিত। আমার বন্ধুদলও কাছাকাছি প্রায় সমবয়সী। পড়াশোনা ক্যারিয়ার তখন পরিনতির দিকে হেলতে চলেছে অনেকেরই। জোরদার ঠেক বসতো নিয়মিত। সকাল সন্ধ্যায় স্বর্গীয় পোকাদার চায়ের দোকান তখন আমাদের মতো বেকারদের 'বিধানসভা'। চা টোস্ট ঘুগনির সাথে চুটিয়ে আড্ডা।

একদিন আমি, নানু(শুভ্র) আর রঞ্জনদাই শুধু এসেছি পোকাদার দোকানে। এমনটাই অনেকক্ষেত্রে ঘটতো। টিউশন দেওয়ার ফাঁকফোকর গুলো আদ্যাপীঠের পাথুরে সিঁড়ি বা পোকাদার বেঞ্চে কাটাতাম। নানু আর রঞ্জনদার অনেক বই, অনেক পড়াশুনা। বাড়িতে পড়া হয়ে যাওয়া অনেক বইয়ে ধুলো জমছে। রঞ্জনদা প্রস্তাব দিলো একটা লাইব্রেরী হলে বইগুলো অনেকে পড়তে পারতো। ব্যাস শুরু হ'ল মাথার মধ্যে স্বপ্নের পোকা নড়াচড়া। নানু আমি আর রঞ্জনদা মোটামুটি লড়ে যাবো টাইপ লেগে পড়লাম। ভাবনা গোছাতে গোছাতেই আরো কয়েকজন বন্ধু যেমন রাজু দত্ত, ন্যাপা কিশোর প্রভৃতি অনেকে চলে এল। ফেব্রুয়ারী হবে বোধ হয়, তাইনা!...

পরিবারের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের কারনে এবং মেধার সমৃদ্ধির জন্য রঞ্জনদার সমাজে বেশ একটা গ্রহনযোগ্যতা ছিলো। নানুও মেধাবী ছাত্র হিসাবে সমীহ ভালোবাসা লাভ করতো এবং শিক্ষিত সুশীল সমাজে এরা বেশ পরিচিত নাম ও মুখ ছিলো । বাস্তবিকই আমার পরিচিতি ও ক্যারিয়ারের ঔজ্জ্বল্য ওদের সাথে তুলনাতেই না আসা নিতান্ত ছাপোষা। এই অভাব অবশ্য অন্তরায় হয়নি কখনই। আমি ওদের অনুসারী হয়ে সকাল বিকাল পৌঁছে যেতাম সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট মানুষজনের পাশাপাশি সমাজবন্ধুবৎসল মানসিকতার মানুষজনের কাছে। অভিজ্ঞতা উৎসাহ আর জেদ উত্তোরোত্তর বাড়তে থাকলো।

অভিজিৎদার বাড়ি গেলাম। অভিজিৎদা প্রথমেই নিরুৎসাহিত করলেন। এবং সাথে সাথে কী কী কারনে লাইব্রেরী বন্ধ হয়ে যাবে কিছুদিন বাদে সেসব গল্প করলেন। মেলাতে পারছিলাম আমাদের আগের কিছু উদ্যোগের অকাল প্রয়াণের ইতিকথা। শায়ক লাইব্রেরী চালাচ্ছে আড়াই দশক ধরে, কিন্তু তারও আগে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা আমি, শম্ভু ব্যানার্জী শুরু করেছিলাম, সঙ্গে ছিলেন প্রদীপ দা মানে প্রদীপ গাঙ্গুলি। বাপি(পার্থ), সুকু, নানু, ন্যাপা সহ আরো কয়েকজন বন্ধু জুড়ে গিয়েছিলো পরে এই উদ্যোগে। কিছু ছাপানো পত্রিকা আর কয়েকটি দেওয়াল পত্রিকা শায়ক নামেই প্রকাশিত হয়েছিলো। একটু যখন প্রসার ঘটতে চলেছে তখনই বন্ধ হয়ে গেলো অপরিনত চিন্তা ভাবনার এই অসংগঠিত উদ্যোগ। শায়ক নাম ব্যানার হয়ে গেলো। সারদা স্কুলের সৌজন্যে ফ্রী কোচিং সেন্টার চালালাম আমরা কিছুদিন, তারপর তাও বন্ধ হ'ল। মনোযোগ সহকারে পড়াতাম। বেশ ভালো লাগতো পড়াতে। বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুব কষ্ট হয়েছিলো।

অভিজিৎদার কথা গিলতাম হাঁ করে। বেশ ভালো লাগলো অভিজিৎদার কথা। মনে হ'ল আগুন উস্কে দিতে চাইছেন। পাশাপাশি এটাও মনে হ'ল আমরা হয়তো শুরু করতে পারবো এবার।

তদ্দিনে অনেকের কাছে গেছি। শায়কের এই লাইব্রেরী বানানোর কথা বলে বই বা অর্থ চেয়েছি। আলোচনা করেছি তাঁদের অমূল্য অভিজ্ঞতা প্রসূত বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে। শুভদা(শ্রী শুভ চ্যাটার্জি), প্রফেসর কাকু(শ্রী সত্যেন মৈত্র) আমাদের উৎসাহিত ও সমৃদ্ধ করেছেন নানা সময়ে নানা ভাবে। আমাদের লাইব্রেরীতে নিছক গল্পের বই না রেখে কেনো শুধুই পাঠ্যপুস্তক তাও আবার স্নাতকস্তরের, সেই চর্চা প্রতিনিয়ত করতে হয়েছে। জায়গা চেয়েছি লাইব্রেরী করার মতো। অনেক মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস জুগিয়েছেন, বই দিয়েছেন আবার সামর্থ্য মতো অর্থ দিয়েছেন। চার পাঁচ মাস বাদে আমরা আবার গেছি অভিজিৎদার বাড়ি। অভিজিৎদা আমাদের এবার এমন একটা কথা বললেন যেটা শুনে বুকের ভেতরটা আনন্দে মুচড়ে উঠলো। শিশুবিকাশ স্কুলের নীচতলাটা ছেড়ে দিলেন লাইব্রেরী তৈরী করার জন্য। ব্যাস, আমদের স্বপ্ন পরিণতির দিকে এগোচ্ছে ভেবে দ্রুত হ'ল আমাদের স্পন্দন।

অস্থায়ী তো কী, ঠিকানা তো হ'ল! বই হ'ল, জায়গা হ'ল। এবার চাই আলমারি। ঁদিলীপ দেববর্মন, মানে আমার অকাল প্রয়াত সেজদা একটা আলমারি বানিয়ে দিলেন। দ্বিতীয় আলমারি একটা এলো দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সঙ্ঘ আদ্যাপীঠ থেকে। দিন ঠিক হ'ল। ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬।

সে এক হই হই ব্যপার। আগের কয়েকদিন যেন যুদ্ধকালীন তৎপরতা সবার মধ্যে। বইয়ের নম্বর করা, ক্যাটালগ করা, বিন কার্ড করা কত্তো কাজ। তার সাথে সূচনায় সমস্ত শুভানুধ্যায়ী সুজনদের উপস্থিতি নিশ্চিৎ করতে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো থেকে শুরু করে আদর আপ্যায়ন আন্তরিকতাপূর্ণ করে তোলার অক্লান্ত প্রয়াস।

আমাদের পথচলা শুরু হ'ল। প্রথম গ্রন্থাগার ব্যবহারকারী ছাত্র সদস্য হিসাবে সৌরভ মুখার্জীকে দিয়েই ঐতিহাসিক শুভারম্ভ। শুরুর পরের কিছুদিন ছিলো প্রায় মাছি তাড়ানোর দশা। সীমিত সাধ্যে সর্বাত্মক প্রচার চালাচ্ছি তখন। আয় বলতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের স্বেচ্ছা অনুদান। তাই চাকচিক্যের দিকে মন না দিয়ে গ্রন্থাগারের মূল লক্ষ্যে অবিচল থেকে মানুষের পরিশ্রমের উপার্জন থেকে দেওয়া অনুদানে লাইব্রেরীর বই কেনার কাজেই যাতে সর্বাধিক পরিমানে ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টাই করে গেছি। অঞ্চলের স্কুলগুলিতে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের জন্য বুক ব্যাঙ্ক ছিলো বলে কিছুটা স্বস্তি সেই শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা পেতেন। কিন্তু বইপত্রের আকাশছোঁয়া দাম আর জোগানের অভাবের জন্য স্নাতকশ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রী-অভিভাবকরা যে সমস্যায় পড়েন তার সুরাহা যাতে শায়ক হয়ে উঠতে পারে সেই চেষ্টাটাই প্রাধান্য পেতো।

অভিজিৎদার দেওয়া চ্যালেঞ্জ এবার আমাদের সামনে। শায়ককে টিকিয়ে রাখতে হ'বে। একটা গ্রন্থাগার তো আর রাতারাতি একটা সমাজের সম্পদে পরিণত হতে পারেনা! সকলে মিলে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। সদস্য সদস্যা ছাড়াও অঞ্চলের বহু মানুষের যথাসাধ্য অকৃপণ সহযোগিতা পেয়ে আসছি এত্তোগুলো বছর ধরে।

শিশুবিকাশ স্কুল কর্ত্তৃপক্ষের কাছে দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরীর ঋণ অপরিশোধনীয়। অভিজিৎদা অবন্তিকাদিরা হাসি মুখে কতো রকম ভাবে যে আমাদের সাহায্য, সহযোগিতা উৎসাহ জুগিয়েছেন তা বলে বোঝানো যাবে না।

আমরা মাথায় ছাদ পায়ে মাটি পেয়েছি। কিন্তু ক্রমশই শায়কের পরিসর বাড়ছিলো দ্রুত গতিতে। প্রচারেও কিছু গতি ও শ্রী বৃদ্ধি হচ্ছিল। ১৯৯৯ সালে হঠাৎ করেই একদিন লাইব্রেরিতে এলেন গণেশ কাকু। আনন্দবাজার পত্রিকায় সোমবারের 'কলকাতার কড়চা' বিভাগে আমাদের লাইব্রেরী সংক্রান্ত খবর দেখে খোঁজ খবর নিয়ে তিনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন। গণেশ কাকু মানে শ্রদ্ধেয় গণেশ ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের একমাত্র ছেলে নীলাদ্রী, স্নাতক স্তরে পড়াকালীন পথদূর্ঘটনায় মারা যায়। অকালে ঝড়ে যাওয়া পুত্র শোকাতুর বাবা-মায়ের কাছে শায়ক নির্বাচনের কারন এখানে তাঁরা শত পুত্র-কন্যার মাঝে নিজ সন্তানের বিয়োগ যন্ত্রনা ভুলে থাকতে চান। তাঁদের ইচ্ছা ও অনুদানে নীলাদ্রীর জন্মদিন ২১শে মার্চ ১৯৯৯-এ চালু হয় নীলাদ্রী ভট্টাচার্য্য স্মৃতি সংগ্রহ।

শিশুবিকাশ স্কুলে আর জায়গায় এঁটে ওঠা যাচ্ছিলো না। কিন্তু যাবো কোথায়! আবার লেগে পড়লাম কোমর বেঁধে। দিব্যেন্দু বিষ্ণু মানে বাঁটুলদা এবং তাঁর স্ত্রী শ্রীমতী লীলা বিষ্ণুর দানধ্যানের কথা লোকমুখে শুনেছিলাম। একদিন আমরা চলে গেলাম সন্ধ্যাবেলায়। কিছু অনুদান যদি পাই এমন ভাবনা নিয়েই গিয়েছিলাম। কিন্তু একটা গোটা বাড়ি অনুদান হিসাবে অফার করে বসবেন ওনারা, ভাবতেই পারিনি! নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। হাওয়ায় উড়তে উড়তে বেড়িয়ে এসে আমাদের বন্ধুদলকে যখন এই খবর জানাই তখন উৎসবের উচ্ছাস নেমেছিলো আমাদের বুকে।

অঞ্চলের বিশিষ্ট ডাঃ রবীন্দ্র নারায়ণ গাঙ্গুলীর সুযোগ্যা কন্যা লীলা বিষ্ণু তাঁর স্বর্গীয় পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে আড়িয়াদহের ১১ নেপাল চন্দ্র চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িটি শায়কের গ্রন্থাগার পরিচালনার স্বার্থে দান করলেন। এই বাড়িতে আমি ঝুমাকে টিউশন পড়াতে যেতাম কিছুদিন আগেও! ঝুমারা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতো। ঝুমা চুমকিরা সব আবার সেই সারদা স্কুলের কোচিং সেণ্টার যখন চলতো তখন থেকেই শায়কের সাথে সম্পর্কবদ্ধ এবং সক্রিয় কর্মী ছিলো। বাড়ি তৈরী করে ঝুমারা ভাড়া বাড়ি ছেড়ে চলে গেলো আর লীলা বৌদি বাড়িটি শায়ককে দান করলেন। স্থায়ী ঠিকানা পেলো শায়ক। স্বর্গীয় ডাঃ রবীন্দ্রনাথ গাঙ্গুলির জন্মদিন ১৩ই ফেব্রুয়ারী ২০০০ তারিখে দক্ষিণেশ্বর রীডিং ক্লাব, ডাঃ রবীন্দ্র নারায়ণ গাঙ্গুলি স্মৃতি ভবন হিসাবে চিহ্নিত হ'ল। ট্রাস্টি বোর্ডে পদাধিকার বলে কামারহাটি বিধানসভা অঞ্চলের বিধায়ক এই ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি হলেন। মাননীয় মানস মুখার্জী মহাশয়ের এম. এল. এ. ল্যাডের টাকা দফায় দফায় কয়েকবার পেয়ে গ্রন্থাগার ভবন নির্মান সহ সার্বিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটায় দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরী।

শ্বাস প্রশ্বাসের মতোই অপরিহার্য ছিলেন রথীনবাবু। পত্রিকা, ফ্রী কোচিং সেন্টারে তাঁর মানসিক সমর্থন তো ছিলোই, লাইব্রেরীর ভাবনা পর্যায় থেকেই তিনি আমাদের সাথে ছিলেন। উনি ছিলেন আমাদের চিন্তনের মেরুদন্ড। উনি চলে যাওয়ার পর ১৪ই মে ২০০৬ তারিখে শায়ক অভিভাবকহীন হওয়ার বেদনা সয়ে একতলার নব নির্মিত কক্ষটিকে ডঃ রথীন মিত্র স্মৃতি কক্ষ নামে চিহ্নিত করে। পরে দোতলা হ'ল। একটা বড় পাঠকক্ষ পাওয়া গেলো যা ২০১২ সালের ২১ শে মার্চ নীলাদ্রী ভট্টাচার্য্য স্মৃতি কক্ষ নামে সূচিত হয়।

শায়কের পঁচিশ বছরের চলার পথের অনেক অনেক স্মৃতির আঁজলা সরিয়ে সরিয়ে যেতে হলে এ লেখা শেষ করা সম্ভবই হবে না। মনিমুক্তের মতো স্মৃতিকনা গুলো চিকচিক করে ওঠে মনের মধ্যে। আমাদের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যার মধ্যে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অন্যতম। কী ব্যপক উৎসব মুখরতা আর সাংগঠনিক মুন্সিয়ানায় শায়ক উচ্ছল হয়ে উঠতো! প্রথিতযশা শিল্পীদের নিয়ে ফান্ড রেইজিং প্রোগ্রাম যখন হ'ত তখন তার টিকিট বিক্রির জন্য সবার ইনভলভমেন্ট বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠতো। অনুভূতিপ্রবণ ন্যাপার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ছিলো বাড়তি আকর্ষণ। অঞ্চলের স্কুলগুলি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সাফল্যের নিরিখে শ্রেষ্ঠদের সম্বর্ধনার মাধ্যমে উৎসাহিত করা হ'ত। এছাড়া নিয়মিত সরস্বতী পূজো, রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন তো ছিলই, ছিলো ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান। সপ্তাহে তিনদিন, বৃহস্পতি ও শনিবার সন্ধ্যায় ও রবিবার সকালের অনেকটা সময় লাইব্রেরীর পরিষেবা চালু রেখে অন্যান্য সমাজ-সংস্কৃতিমূলক কর্মসূচীর বাস্তব রূপদান চাট্টিখানি কথা তো নয়! লাইব্রেরীর দিনগুলিতে লাইব্রেরী খোলার ক্ষেত্রেই হোক বা শায়কের যে কোনো অনুষ্ঠান শুরুর ক্ষেত্রেই হোক, সময়ানুবর্তিতার ব্যপারে আমরা খুবই সতর্ক থাকতাম। কখনও একমিনিট নড়চড় হ'লেও আমাদের গেলো গেলো রব পড়ে যেতো। গোপাল, গুরুদাসেরা আর ওদের ব্যাচমেট অনেকে লাইব্রেরীর ছাত্রছাত্রী হিসাবে এসে পরে পরিচালনায় জুড়ে গিয়ে অনেক রকম আন্তরিক চেষ্টাচরিত্র করেছে। রূপালী ছিলো একজন অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সদস্যা। একদম সাইলেন্ট ওয়ার্কার। ওর বিয়ের আগে কোনদিন কে লাইব্রেরী খুলবে এই দুশ্চিন্তা করতে হয়নি। অরবিন্দ দত্ত'র ডাকনাম রাজু। আমারও। বন্ধুমহলে ও হয়ে গিয়েছিলো দত্ত আর আমি প্রফ্। তো দত্ত'র কথা না বলে শেষ করাই যাবে না। ওর মতো ব্রিলিয়্যান্ট ছেলে অপরিসীম ধৈর্য্য নিয়ে হিসাব রক্ষার গুরু দায়িত্ব শুরুর প্রথম দিন থেকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে চলেছে। এর মাঝে ক্যান্সার সুমিতের মতো প্রাণচঞ্চল ছেলেকে হঠাৎ করে কেড়ে নিলো। শুভদারও(শুভব্রত ব্যানার্জী) তাড়া ছিলো খুব। হঠাৎ করে চলে গেলো গত বছর। শায়ক ব্যথাও কম সয়নি!

যাইহোক আমরা অনেকেই আজ আর নিয়মিত লাইব্রেরীতে আসা যাওয়া করতে পারিনা। নতুন প্রজন্ম হাল ধরেছে। কৌশিক(ঘোষ) ছিলো আমাদের আর পরের প্রজন্ম অর্থাৎ অরূপ,প্ললব, অরূন্ধতী, ভিকিদের মধ্যে সেতুর মতো। ট্রানজিশন পিরিয়ডটা বেশ সামলে দিয়েছিলো। আমাদের পরে তারাই সুষ্ঠু পরিচালনার ভার নিয়ে সফলতার সাথে লাইব্রেরি পরিচালনা করে আসছে বছরের পর বছর। আর বর্তমানে সৌরভ, পর্ণা, দীপ্তেশ, সুদীপরা সেই ধারা অক্ষুণ্ণ রেখে লাইব্রেরীকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। পঁচিশ বছর একটা মাইলস্টোন। এই ছেলে মেয়েগুলো নিজেদের পড়াশোনা ক্যারিয়ার সামলানোর পাশাপাশি উদ্বৃত্ত সময় লাইব্রেরীর জন্য উজার করে দিচ্ছে বলেই এখনও শায়ক জীবিত।

এ যেন এক রিলে রেস্! প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে হাতবদল হয়ে যাচ্ছে পরিচালনার দায়িত্বভার, ব্যাটনের মতো। যদ্দিন এমনটা হবে তদ্দিনই শায়কের আয়ু। আশা রাখি ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত আনাগোনায় মুখরিত হয়ে থাকবে শায়কের লাইব্রেরী বছরের পর বছর, দশকের পর দশক, শতকের পর শতক।

Videos (show all)

৭৬তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা 🇮🇳
আজ ২রা জানুয়ারি, শায়ক লাইব্রেরির সামনে থেকে পদ যাত্রা শুরু হয়ে গেছে।
লাইব্রেরীর পুজো...
দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরী তে Computer Science এর নতুন section খোলা হল.....

Location

Category

Telephone

Website

Address


11, Nepal Chandra Chatterjee Street, Ariadaha
Kolkata
700057

Opening Hours

Thursday 7:30pm - 9pm
Saturday 7:30pm - 9pm
Sunday 10am - 12:30pm

Other Education in Kolkata (show all)
Army Institute of Management, Kolkata Army Institute of Management, Kolkata
Plot No III /B-11, Action Area III, New Town, Rajarhat, Kolkata -
Kolkata, 700027

"Managerial Brass with Army Class" Army Institute of Management, Kolkata (AIMK) was established in July 1997 by the Army Welfare Education Society (AWES)

KriyaKids KriyaKids
KRIYA STUDIO. 26/3 Ballygunge Circular Road. Next To Red Hot Chilli Peppers
Kolkata, 700019

KriyaKids is a unique regular comprehensive enrichment program for 2-5 yr olds at the KRIYA STUDIO.

Xavier's Commerce Society Xavier's Commerce Society
St. Xavier's College (Autonomous), Kolkata
Kolkata, 700 016

Xavier's Commerce Society is the representative society of the B.Com department at St. Xavier's College, Kolkata.

Kredent Academy Kredent Academy
3 Pretoria Street
Kolkata, 700 071

Kredent Academy - (www.kredentacademy.com) is a Capital Market Training Institution.

gaming school gaming school
Kolkata, Ahmedabad, Nigeria, UK, Allahabad
Kolkata, 700109

game development Training Institute industry’s leading production-based training programs in anima

sT.mAry'S sCOol sT.mAry'S sCOol
92 Ripon Street
Kolkata, 700016

SMS is the most hospitable place i have ever visited....proud to be a marian....those champion like

Vivekananda college Trinamool Chatra Parishad Vivekananda college Trinamool Chatra Parishad
Rabindranath Thakur Road, 153, Diamond Harbour Rd, Mukund Das Colony, Thakurpuku
Kolkata, 700063

Vivekananda college Trinamool Chatra Parishad

My College Search My College Search
Kasba
Kolkata, 700107

Mycollegesearch.in is the reliable and trustworthy source to help you get admission.in MBBS | BDS | BAMS | BHMS at the top medical colleges across the globe.

ICCTA 2021 ICCTA 2021
Kolkata
Kolkata

International Conference on Computational Techniques and Applications – ICCTA 2021 is being organized by the international organizing committee by the International Research Foundation of Kolkata of ICCTA to be held during October 9-10, 2021

Gyan Tirth Gyan Tirth
Bidhanpally, Near High School
Kolkata, 743144

Our institution provides tutorial to school students from class 5 to 12. Our teacher is highly experienced and mentors students with much care.

Police Exam Preparation Police Exam Preparation
Kolkata, 700056

Educator of General Studies for the last 3+ Years [Competitive Field ]..WE teach General studies in a very lucid manner . This Page will be helpful for those who are preparing for government exams.