20/02/2024
আজ `ভৈমী একাদশী' এর-মাহাত্ম্য পড়া ও শোনা মাত্রই "অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের'' ফল লাভ হয় । এবং বহু পাপ থেকে মুক্তি হয় ।।:
।। তাই শীঘ্রই পাঠ করুন ।।
✓Date 👉 [ Feb 20/2/24 ]
✓তারিখ 👉 [ফাল্গুন ০৬ / ১৪৩০]
মাহাত্ম্য
👇
মাঘী শুক্লপক্ষীয়া `জয়া' একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য ভবিষ্যোত্তর পুরাণে শ্রীকৃষ্ণ-যুধিষ্ঠির সংবাদ রূপে বর্ণিত হয়েছে।
শ্রীগরুড়পুরাণে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষীয়া একাদশী তিথিকে `ভৈমী' একাদশী নামে অভিহিত করা হয়েছে। কল্পান্তরে বিভিন্ন পুরাণে বিভিন্ন রকম নাম দেখা যায়। পদ্মপুরাণ অনুসারে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষীয়া একাদশীর নামই `পান্ডবা নির্জলা' বা `ভীমসেনী'(ভৈমী) একাদশী।
যুধিষ্ঠির বললেন, হে কৃষ্ণ, আপনি কৃপা করে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর সবিশেষ বর্ণনা করুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন,হে মহারাজ, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী `জয়া' নামে প্রসিদ্ধ।এই তিথি সর্বপাপবিনাশিনী, সর্বশ্রেষ্ঠা, পবিত্রা, সর্বকাম ও মুক্তিপ্রদায়িনী। এই ব্রতের ফলে মানুষ কখনও প্রেতত্ব প্রাপ্তি হয়না।এই একাদশীর নিম্নরূপ উপাখ্যান শোনা যায়।
একসময় স্বর্গলোকে ইন্দ্র রাজত্ব করছিলেন।সেখানে অন্য দেবতারাও বেশ সুখেই ছিলেন।তারা পারিজাত পুষ্প শোভিত নন্দনকাননে অপ্সরাদের সাথে বিহার করতেন।একদিন ৫০ কোটি অপ্সরা নায়ক দেবরাজ ইন্দ্র স্বেচ্ছায় আনন্দভরে তাদের নৃত্য করতে বললেন।নৃত্যের সাথে গন্ধর্বগণ গান করতে লাগলেন।পুষ্পদত্ত, চিত্রসেন প্রভৃতি প্রধান প্রধান গন্ধর্বরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।চিত্রসেনের পত্নীর নাম মালিনী। পুষ্পবন্তী নামে তাঁদের এক কন্যা ছিল।পুষ্পদত্তের পুত্রের নাম মাল্যবান। মাল্যবান পুষ্পবন্তীর রূপে মুগ্ধ হয়েছিল। পুষ্পবন্তী পুনঃ পুনঃ কটাক্ষ দ্বারা মাল্যবানকে বশীভূত করেছিল।
ইন্দ্রের প্রীতিবিধানের জন্য তারা দুজনেই সেই সভায় যোগদান করেছিল।কিন্তু একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট থাকায় উভয়েরই চিত্ত বিভ্রান্ত হচ্ছিল।সেখানে তারা পরস্পর কেবল দৃষ্টিবদ্ধ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রইল। ফলে গানের ক্রম বিপর্যয় ঘটল।তাদের এইরকম তাল মান ভঙ্গভাব দেখে তারা যে পরস্পর কামাসক্ত হয়েছে,দেবরাজ ইন্দ্র তা বুঝতে পারলেন। তখন তিনি ক্রোধবশে তাদের অভিশাপ দিলেন, রে মূঢ়! তোমরা আমার আজ্ঞা লঙ্ঘন করেছ।তোমাদের ধিক। এখনই তোমরা পিশাচযোনী লাভ করে মর্ত্যলোকে নিজের দুষ্কর্মের ফল ভোগ কর।
ইন্দ্রের অভিশাপে তারা দুজন দুঃখিত হয়ে হিমালয় পর্বতে বিচরণ করছিল। পিশাচত্ব প্রাপ্ত হওয়ায় তারা অত্যন্ত দুঃখভোগ করতে লাগল।হিমালয়ের প্রচন্ড শীতে কাতর হয়ে নিজেদের পূর্বপরিচয় বিস্মৃত হল।এইভাবে অতিকষ্টে সেখানে দিনযাপন করতে লাগল।
একদিন পিশাচ নিজপত্নী পিশাচীকে বলল, সামান্য মাত্র পাপ করিনি, অথচ নরক যন্ত্রনার মত পিশাচত্ব প্রাপ্ত হয়েছি। অতএব এখন থেকে অামরা আর কোনো পাপ করবনা।এভাবে চিন্তা করে তারা মৃতপ্রায় সেই পর্বতে বাস করতে লাগল। তাদের পূর্ব কোন পুন্যবশতঃ সেইসময় মাঘী শুক্লপক্ষীয়া `জয়া' একাদশী তিথি উপস্থিত হল।তারা একটি অশ্বত্থ বৃক্ষতলে নিরাহারে নির্জলা অবস্থায় দিবানিশি যাপন করল।শীতের প্রকোপে অনিদ্রায় রাত্রি অতিবাহিত হল।
পরদিন সূর্যোদয়ে দ্বাদশী তিথি উপস্থিত হল।একাদশীর দিন অনাহার ও রাত্রিজাগরণে তাদের ভক্তির অনুষ্ঠান পালিত হল। এই ব্রত পালনের ফলে ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় তাদের পিশাচত্ব দূর হল।তারা তাদের পূর্বরূপ ফিরে পেল এবং স্বর্গে ফিরে গেল। ইন্দ্র তাদের দেখে অত্যন্ত আশ্চর্য হলেন।তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কোন পুন্যফলে তোমাদের পিশাচত্ব দূর হল?আমার অভিশাপ থেকে কে তোমাদের মুক্ত করল?
মাল্যবান বললেন, হে প্রভু, ভগবান বাসুদেবের কৃপায় জয়া একাদশীর পুন্যপ্রভাবে আমাদের পিশাচত্ব দূর হয়েছে।তাদের কথা শুনে দেবরাজ ইন্দ্র বললেন, হে মাল্যবান, তোমরা এখন থেকে আবার অমৃত পান কর।একাদশী ব্রতে যারা আসক্ত এবং যারা কৃষ্ণ ভক্তি পরায়ণ তাঁরা আমাদেরও পুজ্য বলে জানবে।এই দেবলোকে তুমি পুষ্পবন্তীর সাথে সুখে বাস কর।
হে মহারাজ, এই ব্রত ব্রহ্মহত্যা জনিত পাপ কেও বিনাশ করে।এই ব্রত পালনে সমস্ত প্রকার দানের ফল লাভ হয়। সকল যজ্ঞ ও তীর্থের পুন্যফল এই ব্রত প্রভাবে আপনা হতেই পালন হয়। অবশেষে মহানন্দে অনন্তকাল বৈকুন্ঠে বাস হয়। এই ব্রতকথা পাঠ ও শ্রবণে অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের ফল লাভ হয়।
#হিন্দুরাষ্ট #শ্রীকৃষ্ণ #একাদশী
19/02/2024
আজ `ভৈমী একাদশী' এর-মাহাত্ম্য পড়া ও শোনা মাত্রই "অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের'' ফল লাভ হয় । এবং বহু পাপ থেকে মুক্তি হয় ।।:
।। তাই শীঘ্রই পাঠ করুন ।।
✓Date 👉 [ Feb 20/2/24 ]
✓তারিখ 👉 [ফাল্গুন ০৬ / ১৪৩০]
মাহাত্ম্য
👇
মাঘী শুক্লপক্ষীয়া `জয়া' একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য ভবিষ্যোত্তর পুরাণে শ্রীকৃষ্ণ-যুধিষ্ঠির সংবাদ রূপে বর্ণিত হয়েছে।
শ্রীগরুড়পুরাণে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষীয়া একাদশী তিথিকে `ভৈমী' একাদশী নামে অভিহিত করা হয়েছে। কল্পান্তরে বিভিন্ন পুরাণে বিভিন্ন রকম নাম দেখা যায়। পদ্মপুরাণ অনুসারে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষীয়া একাদশীর নামই `পান্ডবা নির্জলা' বা `ভীমসেনী'(ভৈমী) একাদশী।
যুধিষ্ঠির বললেন, হে কৃষ্ণ, আপনি কৃপা করে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর সবিশেষ বর্ণনা করুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন,হে মহারাজ, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী `জয়া' নামে প্রসিদ্ধ।এই তিথি সর্বপাপবিনাশিনী, সর্বশ্রেষ্ঠা, পবিত্রা, সর্বকাম ও মুক্তিপ্রদায়িনী। এই ব্রতের ফলে মানুষ কখনও প্রেতত্ব প্রাপ্তি হয়না।এই একাদশীর নিম্নরূপ উপাখ্যান শোনা যায়।
একসময় স্বর্গলোকে ইন্দ্র রাজত্ব করছিলেন।সেখানে অন্য দেবতারাও বেশ সুখেই ছিলেন।তারা পারিজাত পুষ্প শোভিত নন্দনকাননে অপ্সরাদের সাথে বিহার করতেন।একদিন ৫০ কোটি অপ্সরা নায়ক দেবরাজ ইন্দ্র স্বেচ্ছায় আনন্দভরে তাদের নৃত্য করতে বললেন।নৃত্যের সাথে গন্ধর্বগণ গান করতে লাগলেন।পুষ্পদত্ত, চিত্রসেন প্রভৃতি প্রধান প্রধান গন্ধর্বরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।চিত্রসেনের পত্নীর নাম মালিনী। পুষ্পবন্তী নামে তাঁদের এক কন্যা ছিল।পুষ্পদত্তের পুত্রের নাম মাল্যবান। মাল্যবান পুষ্পবন্তীর রূপে মুগ্ধ হয়েছিল। পুষ্পবন্তী পুনঃ পুনঃ কটাক্ষ দ্বারা মাল্যবানকে বশীভূত করেছিল।
ইন্দ্রের প্রীতিবিধানের জন্য তারা দুজনেই সেই সভায় যোগদান করেছিল।কিন্তু একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট থাকায় উভয়েরই চিত্ত বিভ্রান্ত হচ্ছিল।সেখানে তারা পরস্পর কেবল দৃষ্টিবদ্ধ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রইল। ফলে গানের ক্রম বিপর্যয় ঘটল।তাদের এইরকম তাল মান ভঙ্গভাব দেখে তারা যে পরস্পর কামাসক্ত হয়েছে,দেবরাজ ইন্দ্র তা বুঝতে পারলেন। তখন তিনি ক্রোধবশে তাদের অভিশাপ দিলেন, রে মূঢ়! তোমরা আমার আজ্ঞা লঙ্ঘন করেছ।তোমাদের ধিক। এখনই তোমরা পিশাচযোনী লাভ করে মর্ত্যলোকে নিজের দুষ্কর্মের ফল ভোগ কর।
ইন্দ্রের অভিশাপে তারা দুজন দুঃখিত হয়ে হিমালয় পর্বতে বিচরণ করছিল। পিশাচত্ব প্রাপ্ত হওয়ায় তারা অত্যন্ত দুঃখভোগ করতে লাগল।হিমালয়ের প্রচন্ড শীতে কাতর হয়ে নিজেদের পূর্বপরিচয় বিস্মৃত হল।এইভাবে অতিকষ্টে সেখানে দিনযাপন করতে লাগল।
একদিন পিশাচ নিজপত্নী পিশাচীকে বলল, সামান্য মাত্র পাপ করিনি, অথচ নরক যন্ত্রনার মত পিশাচত্ব প্রাপ্ত হয়েছি। অতএব এখন থেকে অামরা আর কোনো পাপ করবনা।এভাবে চিন্তা করে তারা মৃতপ্রায় সেই পর্বতে বাস করতে লাগল। তাদের পূর্ব কোন পুন্যবশতঃ সেইসময় মাঘী শুক্লপক্ষীয়া `জয়া' একাদশী তিথি উপস্থিত হল।তারা একটি অশ্বত্থ বৃক্ষতলে নিরাহারে নির্জলা অবস্থায় দিবানিশি যাপন করল।শীতের প্রকোপে অনিদ্রায় রাত্রি অতিবাহিত হল।
পরদিন সূর্যোদয়ে দ্বাদশী তিথি উপস্থিত হল।একাদশীর দিন অনাহার ও রাত্রিজাগরণে তাদের ভক্তির অনুষ্ঠান পালিত হল। এই ব্রত পালনের ফলে ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় তাদের পিশাচত্ব দূর হল।তারা তাদের পূর্বরূপ ফিরে পেল এবং স্বর্গে ফিরে গেল। ইন্দ্র তাদের দেখে অত্যন্ত আশ্চর্য হলেন।তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কোন পুন্যফলে তোমাদের পিশাচত্ব দূর হল?আমার অভিশাপ থেকে কে তোমাদের মুক্ত করল?
মাল্যবান বললেন, হে প্রভু, ভগবান বাসুদেবের কৃপায় জয়া একাদশীর পুন্যপ্রভাবে আমাদের পিশাচত্ব দূর হয়েছে।তাদের কথা শুনে দেবরাজ ইন্দ্র বললেন, হে মাল্যবান, তোমরা এখন থেকে আবার অমৃত পান কর।একাদশী ব্রতে যারা আসক্ত এবং যারা কৃষ্ণ ভক্তি পরায়ণ তাঁরা আমাদেরও পুজ্য বলে জানবে।এই দেবলোকে তুমি পুষ্পবন্তীর সাথে সুখে বাস কর।
হে মহারাজ, এই ব্রত ব্রহ্মহত্যা জনিত পাপ কেও বিনাশ করে।এই ব্রত পালনে সমস্ত প্রকার দানের ফল লাভ হয়। সকল যজ্ঞ ও তীর্থের পুন্যফল এই ব্রত প্রভাবে আপনা হতেই পালন হয়। অবশেষে মহানন্দে অনন্তকাল বৈকুন্ঠে বাস হয়। এই ব্রতকথা পাঠ ও শ্রবণে অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের ফল লাভ হয়।
#হিন্দুরাষ্ট #শ্রীকৃষ্ণ #একাদশী #হিন্দুরাষ্ট #রাধা
11/02/2024
“রঘুপতি রাঘব রাজা রাম” ।রামধুন।
লক্ষ্মণাচার্যের লেখা পাল্টে গান্ধী কেন ঈশ্বর আল্লা বসিয়েছেন ?
লক্ষ্মণাচার্যের আসল রামধুন কি হল।।
রঘুপতি রাঘব রাজারাম
পতিত পাবন সীতারাম,
সুন্দর বিগ্রহ মেঘশ্যাম
গঙ্গা তুলসী শালিগ্রাম,
ভদ্র গিরিশ্বর সীতারাম
জগৎ-জনপ্রিয় সীতারাম,
জানকীরমণ সীতারাম
জয় জয় রাঘব সীতারাম। ।”
গান্ধী এটাকে পাল্টে লিখেছে :
“রঘুপতি রাঘব রাজা রাম
পতিত পাবন সীতারাম।
সীতারাম সীতারাম,
ভজ প্যারে তু সীতারাম
ঈশ্বর আল্লাহ তেরে নাম
সবকো সুমতি দে ভগবান। ।”
এর কারণ হচ্ছে ?
গান্ধীকে “হিন্দু” কিনা, জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলতেন, তিনি হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ-ইহুদি সবকিছুই। মাঝারি মানের ছাত্র গান্ধী পরবর্তীকালে নিজের প্রয়োজনে বিকৃত করেছেন হিন্দু বিষয়ে লেখালেখিকে। এর বড়ো উদাহরণ, “রঘুপতি রাঘব রাজা রাম” শীর্ষক রামভজন বা রামধুনটি।
এখনো গান্ধীর বদলে দেওয়া এই বিকৃত রামধুনই গাইছেন অনেকে। না জেনেই গাইছেন।