তিন বন্ধু মিলে সিঙ্গাপুরে বেড়াতে গেলেন। তারা সেখানে একটি হোটেলে উঠলো এবং রুম পেয়েছেন ৭০ তলায়! তবে হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী,রাত ১২ টার পর লিফ্ট বন্ধ থাকে!
একদিন তারা ঘুরতে বের হল। কিন্তু তারা ফিরতে দেরি হয়ে গেল। হোটেলে এসে দেখে লিফ্ট বন্ধ, তারা চিন্তায় পড়ে গেলেন, কিভাবে ৭০ তলায় হেঁটে উঠবে! পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা উপরে উঠতে লাগল। তাদের মধ্যে একজন গল্প আরম্ভ করল!
তার গল্প শেষ হতে হতে তারা,২৫ তলায় পৌঁছাতে সক্ষম হলো ! এরপর আরেক জন গানকরা আরম্ভ করল। গান শুনতে শুনতে দেখে ৫০ তলায় এসে গেছে ! এখন কি করা যায়? তারপর তৃতীয় জন, গান , গল্প কিছুই পারেন না, তাই তার জীবনের ঘটে যাওয়া দুঃখ-কষ্ঠের কথা শুরু করলেন । তার সব ঘটনা যখন বলা শেষ হয়, তখন তারা ৭০ তলায় গিয়ে পৌছে!
তারা যখন দরজা খুলতে গেল,দুর্ভাগ্য ক্রমে দেখা গেল ,চাবিটা রিসেপশনে!
তবে এখনকি আর সম্ভব! নিচে গিয়ে চাবি নিয়ে আসা? এমনি ভাবে, আমরা যখন জীবনের তিনটি ধাপ পার করে, কবরে গিয়ে পৌছবো , যখন জান্নাতের সামনে গিয়ে দেখবো চাবিতো(নামাজ) দুনিয়ায় থেকে আনতে পারিনি , তখন কি আর দুনিয়ায় ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে?
তাই প্রতিদিন জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, জান্নাতের চাবিটা সাথে রাখার প্রয়োজন নয় কি? মহান রাব্বুল আল আমিন, আমাদের সবাইকে বুঝবার তৌফিক দান করুন, আমিন! 🤍🤍
(Collected)
Tafiqul islam 97
আল্লাহ মহান।আল্লাহ এক।
আবূ’ন নু’মান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের পেছনে রয়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন, এদিকে আমরা (আসরের) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে দেরী করে ফেলেছিলাম এবং আমরা উযূ (ওজু/অজু/অযু) করছিলাম। আমরা আমাদের পা কোনমতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তিনি উচ্চস্বরে বললেনঃ পায়ের গোড়ালিগুলোর (শুষ্কতার) জন্য জাহান্নামের শাস্তি রয়েছে। তিনি দু’বার বা তিনবার এ কথা বললেন।
ইলমের ফযীলত
মুহাম্মদ ইবনু সিনান (রহঃ) ও ইবরাহীম ইবনুল মুনযির (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিসে লোকদের সামনে কিছু আলোচনা করছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর কাছে একজন বেদু্ঈন এসে প্রশ্ন করলেন, কিয়ামত কবে হবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আলোচনায় রত রইলেন। এতে কেউ কেউ বললেন, লোকটি যা বলেছে তিনি তা শুনেছেন কিন্তু তার কথা পছন্দ করেন নি। আর কেউ কেউ বললেন বরং তিনি শুনতেই পান নি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলোচনা শেষ করে বললেনঃ কিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্নকারী লোকটি কোথায়? সে বলল, এই যে আমি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ যখন আমানত নষ্ট করা হয় তখন কিয়ামতের প্রতীক্ষা করবে। সে বলল, কিভাবে আমানত নষ্ট করা হয়? তিনি বললেনঃ যখন কোন কাজের দায়িত্ব অনুপযুক্ত লোকের প্রতি ন্যাস্ত হয়, তখন তুমি কিয়ামতের প্রতীক্ষা করবে।
হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল (রহঃ) ... আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মানুষ তার পরিবারের জন্য সওয়াবের নিয়তে যখন খরচ করে তখন তা হয় তার সদকা স্বরূপ।
আহমদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আলী আল-মানজূফী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যাক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় কোন মুসলমানের জানাযায় অনুগমন করে এবং তার সালাত (নামায/নামাজ)-ই জানাযা আদায় ও দাফন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সাথে থাকে, সে দুই কীরাত সওয়াব নিয়ে ফিরবে। প্রতিটি কীরাত হল উহুদ পর্বতের মতো। আর যে ব্যাক্তি শুধু জানাযা আদায় করে, তারপর দাফন সম্পন্ন হওয়ার আগেই চলে আসে, সে এক কীরাত সওয়াব নিয়ে ফিরবে।
‘উসমান আল-মুয়াযযিন (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
মুহাম্মদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার তাঁর কাছে আসেন, তাঁর নিকট এক মহিলা ছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেনঃ ‘ইনি কে? আয়িশা (রাঃ) উত্তর দিলেন অমুক মহিলা, এ বলে তিনি তাঁর সালাত (নামায/নামাজ)-এর উল্লেখ করলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ‘থাম, তোমরা যতটুকু সামর্থ্য রাখ, ততটুকুই তোমাদের করা উচিৎ। আল্লাহর কসম! আল্লাহ্ তা’আলা ততক্ষন পর্যন্ত (সওয়াব দিতে) বিরত হন না, যতক্ষন না তোমরা নিজেরা ক্লান্ত হয়ে পড়। আল্লাহর কাছে সবচাইতে পছন্দনীয় আমল তা-ই, যা আমলকারী নিয়মিত করে থাকে।
আবদুস সালাম ইবনু মুতাহ্হার (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ-সরল। দ্বীন নিয়ে যে কড়াকড়ি করে দ্বীন তার উপর বিজয়ী হয়। কাজেই তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর এবং (মধ্যপন্থার) নিকটবর্তী থাক, আশান্বিত থাক এবং সকাল-সন্ধ্যায় ও রাতের কিছু অংশে (ইবাদতের মাধ্যমে) আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণীঃ আল্লাহর নিকট সবচাইতে পসন্দনীয় হল দীন-ই হানীফিয়্যা যা সহজ সরল।
ইবনু সালাম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যাক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমযানের সিয়াম পালন করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
হারামীয়া ইবনু হাফস (রহঃ) .... আবূ যুর’আ ইবনু ‘আমর ইবনু জারীর (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, তিনি ইরশাদ করেনঃ যে ব্যাক্তি আল্লাহর রাস্তায় বের হয়, যদি সে শুধু আল্লাহর উপর ঈমান এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাসের কারনে বের হয়ে থাকে, তবে আল্লাহ্ তা’আলা ঘোষণা দেন যে, আমি তাকে ঘরে ফিরিয়ে আনব তার সওয়াব বা গনীমত (ও সওয়ার) সহ কিংবা তাকে জান্নাতে দাখিল করব। আর আমার উম্মতের উপর কষ্টদায়ক হবে বলে যদি মনে না করতাম তবে কোন সেনাদলের সাথে না গিয়ে বসে থাকতাম না। আমি অবশ্যই এটা পছন্দ করি যে, আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হই, আবার জীবিত হই, আবার শহীদ হই, আবার জীবিত হই, আবার শহীদ হই।
আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যাক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় লায়লাতুল কদর-এ ইবাদতে রাত্রি জাগরণ করবে, তার অতীতের গুনাহ্ মাফ করে দেওয়া হবে।
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সিয়াম ঢাল স্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মুর্খের মত কাজ করবে না। যদি কেউ তাঁর সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাঁকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুই বার বলে, আমি সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই সাওম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চাইতেও উৎকৃষ্ট, সে আমার জন্য আহার, পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। সিয়াম আমারই জন্য। তাই এর পুরষ্কার আমি নিজেই দান করব। আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় দশ গুন।
Click here to claim your Sponsored Listing.