আমরা গর্বিত .. কসবা সুরঞ্জনী প্রযোজিত 'মায়ার খেলা' নিয়ে কিছু কথা সাংবাদিক কলি ঘোষের কলমে আজ বর্তমান পত্রিকায় 😊
Kasba Suranjani - কসবা সুরঞ্জনী
Rabindra Sangeet Sikhha Kendra
Operating as usual
'মায়ার খেলা'...... চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে 😊শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যানার লাগানোর কাজ সম্পন্ন হল ।
' মায়ার খেলা'....... মহড়া চলছে 😊
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য - মায়ার খেলা
পরিবেশনা : কসবা সুরঞ্জনী
সঙ্গীত পরিচালনা: শ্রীমতী রীণা মুখোপাধ্যায়
নৃত্য পরিচালনা: শ্রীমতী পূর্ণিমা ঘোষ
আবহ সঙ্গীত: শ্রী কুমারেশ চন্দ
Madhusudan Mancha | 27-Mar-2024 | 6:00 PM
Online Tickets :
https://www.boshow.in/homePage.html?q=shows&s=Nritya
Enquiry Number : +91 9477030032
বিশিষ্ট অধ্যাপক ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ শ্রদ্ধেয় সোমেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় এর দ্বিতীয় প্রয়াণদিবসে 'কসবা সুরঞ্জনী'র পক্ষ থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম 🙏🙏🙏🙏
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য - মায়ার খেলা
পরিবেশনা : কসবা সুরঞ্জনী
Madhusudan Mancha | 27-Mar-2024 | 6:00 PM
Online Tickets :
https://www.boshow.in/homePage.html?q=shows&s=Nritya
Enquiry Number : +91 9836175648
'কসবা সুরঞ্জনী'র নিবেদন....
২৭ শে মার্চ, বুধবার, সন্ধ্যা ৬টা
মধুসূদন মঞ্চ, ঢাকুরিয়া, কলকাতা
যোগাযোগ : 9477030032 / 8583987934 /9330585656
আগামী ২৭শে মার্চ, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় মধুসূদন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে 'কসবা সুরঞ্জনী'র বার্ষিক অনুষ্ঠান। এবারের নিবেদন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত নৃত্যনাট্য 'মায়ার খেলা' । আপনাদের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। প্রবেশ পত্রের জন্য পোস্টারে দেওয়া ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।🙏🙏
#বাংলাসংগীতমেলা২০২৩
#কসবাসুরঞ্জনী
চিত্রগ্রহণ:- প:বঙ্গ তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর
'আর নাই রে বেলা'
#সঙ্গীত_মেলা_২০২৩
#কসবাসুরঞ্জনী
সঙ্গীত মেলায় 'কসবা সুরঞ্জনী' 😍
৩১শে ডিসেম্বর, রবিবার, মহাজাতি সদন এ বিকেল ৫টায় বাংলা সঙ্গীত মেলায় আমরা আসছি গান শোনাতে... আপনাদের সঙ্গে পেলে খুব ভালো লাগবে... আপনাদের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।
না ফেরার দেশে চলে গেলেন আমাদের সবার প্রিয় সঙ্গীত শিল্পী শ্রদ্ধেয় অনুপ ঘোষাল। 'কসবা সুরঞ্জনী'র পক্ষ থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম 🙏🙏
"ফুরায় যা তা ফুরায় শুধু চোখে..
অন্ধকারে পেরিয়ে দুয়ার যায় চলে আলোকে .."
আমাদের পরমপ্রিয় অভিভাবক শ্রদ্ধেয় মনু মুখোপাধ্যায়ের ৩য় প্রয়াণদিবসে 'কসবা সুরঞ্জনী'র পক্ষ থেকে জানাই অন্তরের গভীর শ্রদ্ধা ও প্রণাম 🙏🪷🙏🪷🙏
রবীন্দ্রসংগীত কর্মশালা আসছে.....
বিস্তারিত জানতে কসবা সুরঞ্জনীর ফেসবুকের পাতায় নজর রাখুন।
https://youtu.be/KNODAoh5aIw?si=Z8S5p2zYULfKrFKk
দ্বিতীয় গান ✨
সকলের মতামত আশা রাখি 🙏
TOMAR KHOLA HAWYA | KASBA SURANJONEE | DIRECTION : RINA MUKHERJEE | ANANYO MUSIC RABINDRA SANGEET
https://youtu.be/ZgwoggdAdSE?si=XofqwLYtd2Lb1Vzp
কসবা সুরঞ্জনী'র প্রথম প্রয়াস✨
অনন্য মিউজিক এর ইউটিউব চ্যানেলে আজ কসবা সুরঞ্জনী'র দুটি গান প্রকাশিত হয়েছে ।।
পূজোর গান 🎤🎧 রবীন্দ্রসঙ্গীত ✨
সকলকে শোনার অনুরোধ জানাই ,গানটি শুনে অবশ্যই সকলের মতামত জানাবেন 🙏
কৃতজ্ঞতা: অনন্য মিউজিক
PANTHO JONER TUMI PANTHO JONE | KASBA SURANJONEE | DIRECTION : RINA MUKHERJEE | ANANYO MUSIC RABINDRA SANGEET
কিংবদন্তি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রদ্ধেয়া কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্মদিনে 'কসবা সুরঞ্জনী'র শ্রদ্ধাঞ্জলী 🙏🪷🙏
শততম বর্ষে কিংবদন্তি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রদ্ধেয়া কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (মোহর দি)। আজ তাঁর জন্মদিনে কসবা সুরঞ্জনীর পক্ষ থেকে জানাই অন্তরের গভীর শ্রদ্ধা, প্রণাম 🙏🪷🙏🪷🙏🪷🙏🪷🙏🪷🙏🪷🙏
এটা কী করলে অরুন্ধতী!! এই অকাল মৃত্যুর খবর যে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা.. স্বেচ্ছামৃত্যৃর পথ বেছে নেওয়ার কি খুব প্রয়োজন ছিল?? অমৃতলোকে খুব ভালো থেকো।।"কসবা সুরঞ্জনী'র পক্ষ থেকে শিল্পী র আত্মার শান্তি প্রার্থনা করি 😞😞😪😪🙏🙏🙏🙏🙏🙏
তোমায় প্রণাম শতবার 🙏🪷🪷🙏
আজ কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও শিক্ষিকা শ্রদ্ধেয়া সুচিত্রা মিত্র'র ৯৯ তম জন্মদিনে "কসবা সুরঞ্জনী''র পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম 🙏🪷🙏🪷🙏
৫ই সেপ্টেম্বর, 'সৃষ্টি পরিষদ' ইন্দুমতী সভাগৃহে শ্রদ্ধেয়া বিভা সেনগুপ্ত দিদি কে বিশেষ সন্মাননা প্রদান এর আয়োজন করে...সেই বিশেষ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিল 'কসবা সুরঞ্জনী'.. তার ই কিছু স্মরণীয় মূহুর্ত সকলের সাথে ভাগ করে নিলাম 🙏
শ্রদ্ধেয়া কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ( মোহর দি) তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে 🙏🙏🙏🙏
শুভ শিক্ষক দিবস দিদি 🙏🪷🙏
খুব ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন 🙏
'কসবা সুরঞ্জনী'র সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই অন্তরের গভীর শ্রদ্ধা, প্রণাম ও ভালোবাসা 🙏♥️♥️🙏
চিঠিপত্র ১
জে, ডি, এণ্ডার্সন্কে লিখিত
আপনি বলিয়াছেন, আমাদের উচ্চারণের ঝোঁকটা বাক্যের আরম্ভে পড়ে। ইহা আমি অনেক দিন পূর্বে লক্ষ্য করিয়াছি। ইংরেজিতে প্রত্যেক শব্দেরই একটি নিজস্ব ঝোঁক আছে। সেই বিচিত্র ঝোঁকগুলিকে নিপুণভাবে ব্যবহার করার দ্বারাই আপনাদের ছন্দ সংগীতে মুখরিত হইয়া উঠে। সংস্কৃত ভাষার ঝোঁক নাই কিন্তু দীর্ঘহ্রস্বস্বর ও যুক্তব্যঞ্জনবর্ণের মাত্রাবৈচিত্র্য আছে, তাহাতে সংস্কৃত ছন্দ ঢেউ খেলাইয়া উঠে। যথা--
অস্ত্যুত্তরস্যাং দিশি দেবতাত্মা।
উক্ত বাক্যের যেখানে যেখানে যুক্তব্যঞ্জনবর্ণ বা দীর্ঘস্বর আছে সেখানেই ধ্বনি গিয়া বাধা পায়। সেই বাধার আঘাতে আঘাতে ছন্দ হিল্লোলিত হইয়া উঠে।
যে ভাষায় এইরূপ প্রত্যেক একটি বিশেষ বেগ আছে সে ভাষার মস্ত সুবিধা এই যে, প্রত্যেক শব্দটিই নিজেকে জানান দিয়া যায়, কেহই পাশ কাটাইয়া আমাদের মনোযোগ এড়াইয়া যাইতে পারে না। এইজন্য যখন বাক্য ( sentence) আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয় তখন তাহার উচ্চনীচতার বৈচিত্র্যবশত একটা সুস্পষ্ট চেহারা দেখিতে পাওয়া যায়। বাংলা বাক্যের অসুবিধা এই যে, একটা ঝোঁকের টানে একসঙ্গে অনেকগুলো শব্দ অনায়াসে আমাদের কানের উপর দিয়া পিছলিয়া চলিয়া যায়। তাহাদের প্রত্যেকটার সঙ্গে সুস্পষ্ট পরিচয়ের সময় পাওয়া যায় না। ঠিক যেন আমাদের একান্নবর্তী পরিবারের মতো। বাড়ির কর্তাটিকেই স্পষ্ট করিয়া অনুভব করা যায় কিন্তু তাঁহার পশ্চাতে তাঁহার কত পোষ্য আছে, তাহারা আছে কি নাই, তাহার হিসাব রাখিবার দরকার হয় না।
এইজন্য দেখা যায়, আমাদের দেশে কথকতা যদিচ জনসাধারণকে শিক্ষা এবং আমোদ দিবার জন্য, তথাপি কথকমহাশয় ক্ষণে ক্ষণে তাহার মধ্যে ঘনঘটাচ্ছন্ন সংস্কৃত সমাসের আমদানি করিয়া থাকেন। সে-সকল শব্দ গ্রাম্যলোকেরা বোঝে না। কিন্তু, এই-সমস্ত গম্ভীর শব্দের আওয়াজে তাহাদের মনটা ভালো করিয়া জাগিয়া উঠে। বাংলা ভাষায় শব্দের মধ্যে আওয়াজ মৃদু বলিয়া অনেক সময় আমাদের কবিদিগকে দায়ে পড়িয়া অপ্রচলিত সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করিতে হয়।
এইজন্যই আমাদের যাত্রার ও পাঁচালির গানে ঘন ঘন অনুপ্রাস ব্যবহারের প্রথা আছে। সে অনুপ্রাস অনেক সময় অর্থহীন এবং ব্যাকরণবিরুদ্ধ; কিন্তু সাধারণ শ্রোতাদের পক্ষে তাহার প্রয়োজন এত অধিক যে বাছ-বিচার করিবার সময় পাওয়া যায় না। নিরামিষ তরকারি রাঁধিতে হইলে ঝাল-মসলা বেশি করিয়া দিতে হয়, নহিলে স্বাদ পাওয়া যায় না। এই মসলা পুষ্টির জন্য নহে; ইহা কেবলমাত্র রসনাকে তাড়া দিয়া উত্তেজিত করিবার জন্য। সেইজন্য দাশরথি রায়ের রামচন্দ্র যখন নিম্নলিখিত রীতিতে অনুপ্রাসচ্ছটা বিস্তার করিয়া বিলাপ করিতে থাকেন--
অতি অগণ্য কাজে ছি ছি জঘন্য সাজে
ঘোর অরণ্যমাঝে কত কাঁদিলাম--
তাহাতে শ্রোতার হৃদয় ক্ষুব্ধ হইয়া উঠে। আমাদের বন্ধু দীনেশবাবুর কর্তৃক পরমপ্রশংসিত কৃষ্ণকমল গোস্বামী মহাশয়ের গানের মধ্যে নিম্নলিখিত প্রকারের আবর্জনা ঝুড়ি ঝুড়ি চাপিয়া আছে। তাহাতে কাহাকেও বাধা দেয় না।
পুনঃ যদি কোনক্ষণে
দেখা দেয় কমলেক্ষণে
যতনে করে রক্ষণে
জানাবি তৎক্ষণে।
এখানে কমলেক্ষণ এবং রক্ষণ শব্দটাতে এ-কার যোগ করা একেবারেই নিরর্থক; কিন্তু অনুপ্রাসের বন্যার মুখে অমন কত এ-কার উ-কার স্থানে অস্থানে ভাসিয়া বেড়ায় তাহাতে কাহারও কিছু আসে যায় না।
একটা কথা মনে রাখিতে হইবে, বাংলা রামায়ণ, মহাভারত, অন্নদামঙ্গল, কবিকঙ্কণচণ্ডী প্রভৃতি সমস্ত পুরাতন কাব্য গানের সুরে কীর্তিত হইত। এইজন্য শব্দের মধ্যে যাহা কিছু ক্ষীণতা ও ছন্দের মধ্যে যাহা কিছু ফাঁক ছিল সমস্তই গানের সুরে ভরিয়া উঠিত; সঙ্গে সঙ্গে চামর দুলিত, করতাল চলিত এবং মৃদঙ্গ বাজিতে থাকিত। সেই-সমস্ত বাদ দিয়া যখন আমাদের সাধুসাহিত্য-প্রচলিত ছন্দগুলি পড়িয়া দেখি, তখন দেখিতে পাই একে তো প্রত্যেক কথাটিতে স্বতন্ত্র ঝোঁক নাই, তাহাতে প্রত্যেক অক্ষরটি একমাত্রা বলিয়া গণ্য হইয়াছে।
গানের পক্ষে ইহাই সুবিধা। বাংলার সমতল ক্ষেত্রে নদীর ধারা যেমন স্বচ্ছন্দে চারিদিকে শাখায় প্রশাখায় প্রসারিত হইয়াছে, তেমনি সমমাত্রিক ছন্দে সুর আপন প্রয়োজনমতো যেমন-তেমন করিয়া চলিতে পারে। কথাগুলা মাথা হেঁট করিয়া সম্পূর্ণ তাহার অনুগত হইয়া থাকে।
কিন্তু, সুর হইতে বিযুক্ত করিয়া পড়িতে গেলে এই ছন্দগুলি একেবারে বিধবার মতো হইয়া পড়ে। এইজন্য আজ পর্যন্ত বাংলা কবিতা পড়িতে হইলে আমরা সুর করিয়া পড়ি। এমন কি, আমাদের গদ্য-আবৃত্তিতেও যথেষ্ট পরিমাণে সুর লাগে। আমাদের ভাষার প্রকৃতি-অনুসারেই এরূপ ঘটিয়াছে। আমাদের এই অভ্যাসবশত ইংরেজি পড়িবার সময়েও আমরা সুর লাগাই; ইংরেজের কানে নিশ্চয়ই তাহা অদ্ভুত লাগে।
কিন্তু, আমাদের প্রত্যেক অক্ষরটিই যে বস্তুত একমাত্রার এ কথা সত্য নহে। যুক্ত বর্ণ এবং অযুক্ত বর্ণ কখনোই একমাত্রার হইতে পারে না।
কাশীরাম দাস কহে শুন পুণ্যবান্।
"পুণ্যবান্' শব্দটি "কাশীরাম' শব্দের সমান ওজনের নহে। কিন্তু, আমরা প্রত্যেক বর্ণটিকে সুর করিয়া টানিয়া টানিয়া পড়ি বলিয়া আমাদের শব্দগুলির মধ্যে এতটা ফাঁক থাকে যে, হালকা ও ভারী দুইরকম শব্দই সমমাত্রা অধিকার করিতে পারে।
Equality, Fraternity প্রভৃতি পদার্থগুলি খুব মূল্যবান্ বটে, কিন্তু সেইজন্যেই ঝুটা হইলে তাহা ত্যাজ্য হয়। আমাদের সাধুছন্দে বর্ণগুলির মধ্যে যে সাম্য ও সৌভ্রাত্র দেখা যায় তাহা গানের সুরে সাঁচ্চা হইতে পারে, কিন্তু আবৃত্তি করিয়া পড়িবার প্রয়োজনে তাহা ঝুটা। এই কথাটা অনেকদিন আমার মনে বাজিয়াছে। কোনো কোনো কবি ছন্দের এই দীনতা দূর করিবার জন্য বিশেষ জোর দিবার বেলায় বাংলা শব্দগুলিকে সংস্কৃতের রীতি-অনুযায়ী স্বরের হ্রস্ব দীর্ঘ রাখিয়া ছন্দে বসাইবার চেষ্টা করিয়াছেন। ভারতচন্দ্রে তাহার দুই-একটা নমুনা আছে। যথা--
মহারুদ্র বেশে মহাদেব সাজে।
বৈষ্ণব কবিদের রচনায় এরূপ অনেক দেখা যায়। কিন্তু, এগুলি বাংলা নয় বলিলেই হয়। ভারতচন্দ্র যেখানে সংস্কৃত ছন্দে লিখিয়াছেন, সেখানে তিনি বাংলা শব্দ যতদূর সম্ভব পরিত্যাগ করিয়াছেন এবং বৈষ্ণব কবিরা যে ভাষা ব্যবহার করিয়াছেন তাহা মৈথেলী ভাষার বিকার।
আমরা বড়ো দাদা মাঝে মাঝে এ কাজ করিয়াছেন, কিন্তু তাহা কৌতুক করিয়া। যথা--
ইচ্ছা সম্যক্ ভ্রমণ-গমনে
কিন্তু পাথেয় নাস্তি।
পায়ে শিক্লী মন উড়ু উড়ু
এ কি দৈবেরি শাস্তি!
বাংলায় এ জিনিস চলিবে না; কারণ, বাংলায় হ্রস্বদীর্ঘস্বরের পরিমাণভেদ সুব্যক্ত নহে। কিন্তু, যুক্ত ও অযুক্ত বর্ণের মাত্রাভেদ বাংলাতেও না ঘটিয়া থাকিতে পারে না।
সংস্কৃতের সঙ্গে বাংলার একটা প্রভেদ এই যে, বাংলার প্রায় সর্বত্রই শব্দের অন্তস্থিত অ-স্বরবর্ণের উচ্চারণ হয় না। যেমন-- ফল, জল, মাঠ, ঘাট, চাঁদ, ফাঁদ, বাঁদর, আদর ইত্যাদি। ফল শব্দ বস্তুত এক মাত্রার কথা। অথচ সাধু বাংলা ভাষার ছন্দে ইহাকে দুই মাত্রা বলিয়া ধরা হয়। অর্থাৎ ফলা এবং ফল বাংলা ছন্দে একই ওজনের। এইরূপে বাংলা সাধুছন্দে হসন্ত জিনিসটাকে একেবারে ব্যবহারে লাগানো হয় না। অথচ জিনিসটা ধ্বনি উৎপাদনের কাজে ভারি মজবুত। হসন্ত শব্দটা স্বরবর্ণের বাধা পায় না বলিয়া পরবর্তী শব্দের ঘাড়ের উপর পড়িয়া তাহাকে ধাক্কা দেয় ও বাজাইয়া তোলে। "করিতেছি' শব্দটা ভোঁতা। উহাতে কোনো সুর বাজে না কিন্তু "কর্চি' শব্দে একটা সুর আছে। "যাহা হইবার তাহাই হইবে' এই বাক্যের ধ্বনিটা অত্যন্ত ঢিলা; সেইজন্য ইহার অর্থের মধ্যেও একটা আলস্য প্রকাশ পায়। কিন্তু, যখন বলা যায় "যা হবার তাই হবে' তখন "হবার' শব্দের হসন্ত "র' "তাই' শব্দের উপর আছাড় খাইয়া একটা জোর জাগাইয়া তোলে; তখন উহার নাকী সুর ঘুচিয়া গিয়া ইহা হইতে একটা মরিয়া ভাবের আওয়াজ বাহির হয়। বাংলার হসন্তবর্জিত সাধু ভাষাটা বাবুদের আদুরে ছেলেটার মতো মোটাসোটা গোলগাল; চর্বির স্তরে তাহার চেহারাটা একেবারে ঢাকা পড়িয়া গেছে, এবং তাহার চিক্কণতা যতই থাক্, তাহার জোর অতি অল্পই।
কিন্তু, বাংলার অসাধু ভাষাটা খুব জোরালো ভাষা, এবং তাহার চেহারা বলিয়া একটা পদার্থ আছে। আমাদের সাধু ভাষার কাব্যে এই অসাধু ভাষাকে, একেবারেই আমল দেওয়া হয় নাই; কিন্তু, তাই বলিয়া অসাধু ভাষা যে বাসায় গিয়া মরিয়া আছে তাহা নহে। সে আউলের মুখে, বাউলের মুখে, ভক্ত কবিদের গানে, মেয়েদের ছড়ায় বাংলা দেশের চিত্তটাকে একেবারে শ্যামল করিয়া ছাইয়া রহিয়াছে। কেবল ছাপার কালির তিলক পরিয়া সে ভদ্রসাহিত্যসভায় মোড়লি করিয়া বেড়াইতে পারে না। কিন্তু, তাহার কণ্ঠে গান থামে নাই, তাহার বাঁশের বাঁশি বাজিতেছেই। সেই-সব মেঠো-গানের ঝরনার তলায় বাংলা ভাষার হসন্ত-শব্দগুলা নুড়ির মতো পরস্পরের উপর পড়িয়া ঠুন্ঠুন্ শব্দ করিতেছে। আমাদের ভদ্রসাহিত্যপল্লীর গম্ভীর দিঘিটার স্থির জলে সেই শব্দ নাই; সেখানে হসন্তর ঝংকার বন্ধ।
আমার শেষ বয়সের কাব্য-রচনায় আমি বাংলার এই চলতি ভাষার সুরটাকে ব্যবহারে লাগাইবার চেষ্টা করিয়াছি। কেননা দেখিয়াছি, চলতি ভাষাটাই স্রোতের জলের মতো চলে, তাহার নিজের একটি কলধ্বনি আছে। গীতিমাল্য হইতে আপনি আমার যে লাইনগুলি তুলিয়া দিয়াছেন তাহা আমাদের চলতি ভাষার হসন্ত সুরের লাইন।
আমার্ সকল্ কাঁটা ধন্য করে
ফুট্বে গো ফুল্ ফুট্বে।
আমার্ সকল্ ব্যথা রঙিন হয়ে
গোলাপ্ হয়ে উঠবে।
আপনি লক্ষ্য করিয়া দেখিবেন এই ছন্দের প্রত্যেক গাঁঠে গাঁঠে একটি করিয়া হসন্তের ভঙ্গি আছে। "ধন্য' শব্দটার মধ্যেও একটা হসন্ত আছে। উহা "ধন্ন" এই বানানে লেখা যাইতে পারে। এইটে সাধুভাষার ছন্দে লিখিলাম--
যত কাঁটা মম সফল করিয়া
ফুটিবে কুসুম ফুটিবে।
সকল বেদনা অরুণ বরনে
গোলাপ হইয়া উঠিবে।
অথবা যুক্তবর্ণকে যদি একমাত্রা বলিয়া ধরা যায় তবে এমন হইতে পারে--
সকল কণ্টক সার্থক করিয়া
কুসুমস্তবক ফুটিবে।
বেদনা যন্ত্রণা রক্তমূর্তি ধরি
গোলাপ হইয়া উঠিবে।
এমনি করিয়া সাধুভাষার কাব্যসভায় যুক্তবর্ণের মৃদঙ্গটা আমরা ফুটা করিয়া দিয়াছি এবং হসন্তর বাঁশির ফাঁকগুলি সীসা দিয়া ভর্তি করিয়াছি। ভাষার নিজের অন্তরের স্বাভাবিক সুরটাকে রুদ্ধ করিয়া দিয়া বাহির হইতে সুর-যোজনা করিতে হইয়াছে। সংস্কৃত ভাষার জরি-জহরতের ঝালরওয়ালা দেড়-হাত দুই-হাত ঘোমটার আড়ালে আমাদের ভাষাবধূটির চোখের জল মুখের হাসি সমস্ত ঢাকা পড়িয়া গেছে, তাহার কালো চোখের কটাক্ষে যে কত তীক্ষ্ণতা তাহা আমরা ভুলিয়া গেছি। আমি তাহার সেই সংস্কৃত ঘোমটা খুলিয়া দিবার কিছু সাধনা করিয়াছি, তাহাতে সাধু লোকেরা ছি ছি করিয়াছে। সাধু লোকেরা জরির আঁচলাটা দেখিয়া তাহার দর যাচাই করুক; আমার কাছে চোখের চাহনিটুকুর দর তাহার চেয়ে অনেক বেশি; সে যে বিনামূল্যের ধন, সে ভট্টাচার্যপাড়ার হাটে বাজারে মেলে না।
প্রবন্ধ ছন্দ
চিঠিপত্র
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কৃতজ্ঞতা... ফেসবুক ওয়াল ( ভানুসিংহ ঠাকুর)
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
700107
Ground Floor Premises No G-C, 150/7/2 Beliaghata Main Road. Opposite: Alochhaya Bus Stop. Behind: Mukharuchi Sweets
Kolkata, 700010
Welcome to Institute of Cine & Tele Media (ICTM). Turn your Signature into Autograph.
Kolkata, 700070
It is Music School..Here We teach all kind of Music and Instrument(Keyboard).
B/16/H/5 Haralal Mitra Street
Kolkata, 700003
INDIAN CULTURAL INSTITUTION Youtube - https://www.youtube.com/channel/UCDVUVKyfROqSaJ16fFxRJcg Founder - Aparajita
Kolkata, 700051
Nritya Aalap is a centre for learning classical music and dance from beginners to advance level.
Kolkata, 700094,700092
Our vision is to provide a platform to nurture and explore indo oriental culture and aesthetics.
7, A. J. C Bose Road
Kolkata, 700017
GIFD is a leading Fashion & Interior Design and Modeling & Acting Institute in Kolkata.
Kolkata
Kolkata
Hullor is formed on a hope of making the future of theatre strong and beautiful. Its a online and offline platform for children, where they will learn the A B C D of theatre, they will perform and grow as a strong theatre person.