College-University Aspirants Unity-WB
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from College-University Aspirants Unity-WB, Academic camp, KOLKATA.
This page is for information share and discussion on recruitment by WBCSC, PSC and Universities in West Bengal for a transparent and fair selection of faculties.

*লক্ষ্য পূরণ হবে কোন পথে?*
কোনো আন্দোলন যখন দানা বাঁধতে শুরু করে তখন সরকার তথা যে প্রতিষ্ঠানের (আমাদের কাছে এই মুহূর্তে সিএসসি। এই তালিকায় সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে) বিরুদ্ধে কেউ লড়াই করেন সেই প্রতিষ্ঠান ও সরকার নানাভাবে সকলকে সংঘবদ্ধ হতে দিতে চায় না। সেজন্য নিজের লোকজনকে দিয়ে যারা আন্দোলন করছেন তাদের মধ্যে গন্ডগোল পাকিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। নানাধরনের ফেক খবর ছড়িয়ে দেয়, সন্দেহ সৃষ্টি করাতে চায়, যাতে লোকজন সঠিকটা না বুঝতে পারেন। এমনকী আন্দোলনকারিদের মধ্যেও ঝামেলা পাকাতে চায় কারণ তাতে শেষ পর্যন্ত সরকার তথা প্রতিষ্ঠানের লাভ হয়; তারা দুর্নীতি চালিয়ে যেতে পারে মানুষের বিচ্ছিন্নতা এবং নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে।
একটি সংগঠনে নানা মানসিকতার মানুষ থাকেন, আসেন; তাদের স্বার্থও ভিন্ন ভিন্ন হয়। তারা সংগঠনকে দেখেন তাদের মতো করে। ব্যবহারও করেন নিজের নিজের মতো করে। সকলের সক্রিয়তাও সমান থাকে না। সংগঠনে সময়ও দেন নিজের পরিমাপে। এমনকী অনেকে থাকেন যারা সংগঠনের কোনো কাজ বা সাহায্য না করে সংগঠের সমালোচনা করেন। এমনকী সরকার বা প্রতিষ্ঠান তার লোকজনকে দিয়েও এই কাজ করান। অথচ কিছু মানুষ সংগঠনের জন্য তাদের যাবতীয় ক্ষমতা দেন। মূলত তাদের জন্যই সংগঠন বেঁচে থাকে।
কিন্তু সংগঠনের কাজ সকলের লক্ষ্যকে এক করে (ব্যক্তি স্বার্থ ও সমষ্টির স্বার্থ), সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে, তার সমস্ত শক্তি দিয়ে (যারা সক্রিয় তাদেরকে, যারা অর্ধ জাগ্রত তাদেরকে, যারা নিষ্ক্রিয় তাদেরকেও), সংঘবদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠান তথা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা। তবেই জয় আসে। একক ব্যক্তির আন্দোলন বেশি দূর অগ্রসর হয় না। কারণ সরকার তথা প্রতিষ্ঠানের কাছে অসংখ্য অস্ত্র থাকে একক ব্যক্তির কণ্ঠরোধ করার, তাকে ধ্বংস করার।
ফলে সবাই আসুন এই সংগঠনের যে লক্ষ্য সেগুলির বাস্তবায়নের জন্য আরো বেশি সংঘবদ্ধ হয়ে, ব্যক্তি স্বার্থকে গৌণ করে সমষ্টির স্বার্থকে বড়ো করে তুলে দুর্নীতিবাজ সিএসসি ও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করি স্বচ্ছভাবে যোগ্য প্রার্থীদের
নিয়োগের জন্য। এরমধ্য দিয়ে ব্যক্তির তথা সমষ্টির সকলের লক্ষ্য পূরণ হবে।
সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ নিয়ে....
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্যপদ বৃদ্ধি, দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছ মেধা তালিকা প্রকাশের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের
*গণ কনভেনশন*
তারিখ- ১৫ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার
সময়- দুপুর ১২ টা
স্থান- দি থিওসোফিক্যাল সোসাইটি হল , কলেজ স্কোয়ার , কলকাতা
দাবী :-
১. ইউজিসির সুপারিশ মেনে ২০২০-র সিএসসি-র চলতি প্রক্রিয়াতেই সমস্ত ভ্যাকেনসি অনুমোদন করে পূর্ণ সময়ের অধ্যাপক নিয়োগ
২. দ্রুত ২০২০ সিএসসি-র সমস্ত বিষয়ের স্বচ্ছ মেধা তালিকা প্রকাশ
৩. ২০২০ সিএসসি-র নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্কোর প্যাটার্ন এবং সকল প্রার্থীদের ব্রেক আপ সহ প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ
৪. ২০২০ সিএসসি-র নিয়োগে অবিলম্বে সমস্ত বিষয়ের শূন্যপদ ঘোষণা করে পুজোর আগে ইন্টারভিউ সম্পূর্ণ করা
৫. সহকারী অধ্যাপক পদে আবেদনের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বিলোপ।
৬. প্রতি বছর স্বচ্ছভাবে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শূন্য পদে নিয়োগ
*কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চাকরিপ্রার্থী বৃন্দ*
Ph.- 98309 06464, 9433246760, 89101 48372.
College-University Aspirants Unity-WB This page is for information share and discussion on recruitment by WBCSC, PSC and Universities in W

টাকা তোলার কত না উপায়!

কলেজ সার্ভিস কমিশনের প্রার্থীদের বর্তমানে করণীয় বিষয় সম্পর্কে কিছু প্রস্তাব
২০২০ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের (Advt. No.- 1/2020) যে সকল বিষয়ের মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সেগুলি নিয়ে সিএসসির প্রার্থী থেকে শুরু করে গবেষক, ছাত্রছাত্রী, সাধারণ মানুষ- অধিকাংশ জনের মধ্যে অসংখ্য প্রশ্ন ও ক্ষোভের জন্ম হয়েছে। এবং হওয়াটাই স্বাভাবিক যে ধরনের মেধা তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে তা সম্পর্কে। এইমতো পরিস্থিতিতে মেধা তালিকার বাইরে থাকা কিংবা কলেজের পড়ানোর যারা স্বপ্ন দেখছেন তাদের করণীয় উপায় সম্পর্কে কিছু প্রস্তাব (অনেক বিষয়ে আমার মতের সঙ্গে আপনার মত নাও মিলতে পারে কিন্তু তাই বলে সমালোচনা বা কু-মন্তব্য না করে আপনিও আপনার মতটি জানানোর পাশাপাশি এগিয়ে আসুন ও উদ্যোগী হন যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির বিষয়ে)।
*সমস্যা ও সন্দেহের মূল যায়গা (অসংখ্য রয়েছে, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল) :
1. মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের নামের পাশে কোনো নম্বরের উল্লেখ নেই। ফলে কে, কোন যোগ্যতায় চাকরি পাচ্ছেন বা তাদের চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা আদও আছে কিনা সেটাই প্রশ্ন চিহ্ন।
2. সিট সংখ্যা অত্যন্ত কম। ইচ্ছা করে সিট চেপে রাখা হয়েছে। রাজ্যের প্রায় প্রতিটা কলেজের প্রতিটা বিভাগে বহু স্থায়ী অধ্যাপকের পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। এমনকি একজনও স্থায়ী অধ্যাপক নেই তবুও বিভাগ চলছে এমন দৃষ্টান্তও প্রচুর। অথচ CBCS পদ্ধতিতে পঠন পাঠন চলছে কলেজগুলিতে। এবছর থেকে চার বছরের ইনটিগ্রেটেড কোর্স চালু হয়েছে। যার জন্য প্রয়োজন প্রচুর শিক্ষক। SACT-দের মাধ্যমে কিংবা অস্থায়ী অধ্যাপকদের মাধ্যমে কলেজগুলির পাঠন পাঠন চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
3. স্কোর প্যার্টান জানানো হয়নি। অ্যাকাডেমিক ও ইন্টারভিউতে কোথায় কত নম্বর রাখা হয়েছে তা জানার উপায় নেই।
4. অ্যাকাডেমিক দিক থেকে যাবতীয় দিকে এগিয়ে থাকা (NET/SET/PhD/Post.Doc./Publications/Experience- সবকিছু থাকা) প্রার্থীরা মেধা তালিকায় জায়গা পাননি, অথচ তার থেকে অ্যাকাডেমিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা প্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছেন।
5. নেতা-মন্ত্রীদের/দলের লোকদের/ ইন্টারভিউ বোর্ড মেম্বারদের/ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পরিচিতরা অ্যাকাডেমিক দিক থেকে বহুগুণ পিছিয়ে থেকেও চাকরি পাচ্ছেন। এককথায় স্বজন পোষণ ও দুর্নীতি।
6. মেধা তালিকায় সংরক্ষণ অংশে নাম থাকা অনেক প্রার্থী আদও সংরক্ষণের অন্তর্গত কিনা সেই সম্পর্কে সন্দেহ।
7. অন্যান্য…
ফেসবুক বা whatsapp-এই ধরনের সমস্যা ছাড়াও আরও অনেক বিষয়ে অনেকেই লেখালেখি করছেন। নিজেদের মধ্যে বিতর্ক বাড়িয়ে নিজেদেরই শক্তিক্ষয় করছেন। লেখালেখিতে নিজের দুঃখ কিছুটা কমে; কিছু মানুষের কাছে নিজের যন্ত্রণা, কষ্টের কথা জানানো সম্ভব হয়; কিছুজনকে সচেতন করা যায় কিন্তু সমস্যার সমাধান তাতে কি হয়? এজন্য প্রয়োজন সমস্যা সমাধানের জন্য নিজদের উদ্যোগী হওয়া।
কলেজ সার্ভিস বিষয়ে সমস্যার সমাধানের জন্য দুটি অভিমুখে অগ্রসর হলে ভালো হবে বলে মনে হয়। সমস্যার সমাধান হবে কি হবে না সেই চিন্তা দূরে রেখেই উদ্যোগী হতে হবে। এখন যদি আমরা নিজেদের যাবতীয় ক্ষমতা দিয়ে সমস্যা সামাধানের জন্য উদ্যোগী না হোই, চেষ্টা না করি তাহলে কোনোদিন সমস্যার সমাধান হবে না। বছরের পর বছর এমন চলতেই থাকবে। একটা করে সিএসসির রেজাল্ট বেরোবে আর এইভাবেই হতাশ হতে হবে। দুটি অভিমুখ-
i) আন্দোলন
ii) কোর্ট কেস বা আইনের সাহায্য (দীর্ঘ মেয়াদি বলে পরে আলোচনা করা হল)
i) আন্দোলন:
১. যেসমস্ত বিষয়ের মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাদের ঐক্যবদ্ধ করা। পরবর্তীতে যেসব বিষয়ের ফল প্রকাশিত হবে তারা একে একে এসে পূর্বের দলের সঙ্গে যুক্ত হবে। (শুধু মেধা তালিকার বাইরে থাকা প্রার্থীরা নয়, যারা প্রথম কাউনসেলিং-এ চাকরি পাবেন না, যারা মেধা তালিকার শেষের দিকে রয়েছেন ভাবছেন কিছু হবে কিন্তু একবছর পরে প্যানেলের মেয়াদ ফুরালে আপনাদের জন্য হতাশা ছাড়া আর কিছুই অপেক্ষা করবে না, তারাও আসুন (দুবার মেধা তালিকার শেষের দিকে নাম থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ২০১৮ সালে যে কটি হয়েছিল আন্দোলনের চাপে হয়েছিল এবং আরও কয়েকটি ভয়তে সিএসসি এটি করেছিল)।
২. একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ বা whatsapp তৈরি করে সকলকে এক ছাতার তলায় আনা। প্রতি বিষয়ের প্রার্থীদের মধ্য থেকে অন্তত ৫ জনকে দায়িত্ব নিতে হবে সেই বিষয়ের প্রার্থীদের সংগঠিত করার জন্য। বিভিন্ন জেলায় জেলায় প্রার্থীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া।
৩. দ্রুত মিটিং করে নিজেদের দাবিগুলিকে সর্বজন মতের ভিত্তিতে একত্রিত করে লিপিবদ্ধ করা।
৪. সিএসসি দপ্তর, বিকাশ ভবন, নবান্ন, ইউজিসির পূর্বাঞ্চলীয় শাখা- সমস্ত দপ্তরে ডেপুটেশন জমা করা ও গণ ইমেইল করে নিজেদের সমস্যা ও দাবির কথা জানানো। এতে সমস্যার সমাধান হয়তো হবে না। কিন্তু আন্দোলনের আগে কয়েকটি ডেকরাম মানতে হয় এটি তার অঙ্গ।
৫. মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং বিরোধী দলের নেতা/ নেত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এবং আমাদের সমস্যার কথা জানানো এবং তাদেরকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ।
৬. কেলেজে CBCS চালু হয়েছে প্রায় ৫-৬ বছর হল। ফলে ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাতে যতজন স্থায়ী শিক্ষকের প্রয়োজন সেটি নিয়োগের জন্য সরকারকে চাপ দিতে হবে বিভিন্ন ভাবে।
৭. সবার মতামতের ভিত্তিতে কলকাতার একটি জায়গায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, সরকার এবং সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। একবার আন্দোলন করে থেমে গেলে চলবে না নিজেদের সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পরিকল্পনামাফিক লাগাতার আন্দোলন করে যাতে হবে।
৮. আন্দোলনকে নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে শিক্ষিত মানুষজন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকেও এরসঙ্গে যুক্ত করতে হবে। মনে রাখতে হবে জন বা গণভিত্তি কোনো আন্দোলনের গড়ে না উঠলে- বহু মানুষ এই বিষয়ে কথা না বললে, ভোট ব্যাঙ্কে টান ধরতে পারে সরকারকে যতক্ষণ এটা বোঝানো সম্ভব না হয় ততক্ষণ সরকার দুর্নীতি ও তার সিদ্ধান্ত থেকে দূর সরে না, দুর্নীতি করতেই থাকবে। ফলে আইন ও আন্দোলন দুই দিক থেকেই ধাক্কা দিতে হবে।
৯. বিভিন্ন ছাত্র, শিক্ষা সংগঠনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা এবং তাদেরকেও এই আন্দোলনে যুক্ত করা। যতো মানুষ বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে ততই বিষয়টির গুরুত্ব পাবে।
১০. ঘরে বসে থাকলে চলবে না অন্যরা আন্দোলনে যাক 'আমি দূরে থাকি' কিংবা 'কাজ ছিল', ‘অসুস্থ ছিলাম’- এমন অজুহাতে দূরে থাকলে চলবে না। আন্দোলনে আসতে হবে। যদি সত্যিই আপনার পক্ষে আসা সম্ভব না হয় প্রতিনিধি পাঠাবেন।
১১. যে সংগঠনই কলেজ সার্ভিসের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে যাচ্ছে বা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে তাদেরকেও যাবতীয়ভাবে সহায়তা করতে হবে ও তাদের আন্দোলনে আসতে হবে। আপনার দাবিটা সেখানে তুলে ধরার জন্য আপনিই যদি না আসেন তাহলে তারা কেন আপনাদের জন্য কথা বলবে? যেকোনো আন্দোলনে কত লোক হচ্ছে- সংখ্যা ফ্যাক্ট করে।
১২. বর্তমানে যারা পড়ুয়া কিংবা পরবর্তীতে NET/SET দিয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় আসবে ভাবছে তাদেরকেও সমস্যাটি বুঝাতে হবে। কারণ ভবিষ্যতে তাদেরকেও এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। ফলে তাদেরকেও আন্দোলনে যুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে।
১৩. যোগ্য শিক্ষক নাহলে শিক্ষার মান যে উন্নত হয় না সেই বিষয়টি সাধারণ অভিভাবক থেকে ছাত্রছাত্রী তাদেরকেও বুঝাতে হবে। ধীরে ধীরে আন্দোলনকে শিক্ষার সামগ্রিক সমস্যার আন্দোলন করে তুলতে হবে। তবেই সেটি জন ও গণ ভিত্তি পাবে। আন্দোলন নিয়ে বহু মানুষ কথা বলবেন। দাবী পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
১৪. শিক্ষিত মানুষ, সমাজে প্রতিষ্ঠিত যাঁদের কথাকে সকলে মান্যতা দেয়, বুদ্ধিজীবী(স্বার্থপর নয়, প্রকৃতই), বিভিন্ন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি, মিডিয়ার টকশোতে যারা আসেন/ সাধারণ মানুষ সকলকেই আমাদের বিষয়ে কথা বলতে অনুরোধ করতে হবে ও আন্দোলনে আসতে আহ্বান জানাতে হবে।
১৫. প্রচার ছাড়া, মিডিয়া ছাড়া সকলের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়। ফলে মিডিয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। বিভিন্ন পত্রিকা দপ্তরে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি লেখা, মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে হবে। কয়েকজন মিডিয়ার দায়িত্বে থাকবেন।
প্রেস কনফারেন্স করে আমাদের দাবি ও সমস্যাকে তুলে ধরা।
১৬. আন্দোলনের ক্ষেত্রেও সবার মতের ভিত্তিতে কয়েকজনকে বিশেষ বিশেষ দায়িত্ব দিতে হবে (যেমন লোকজনকে গ্রুপে যুক্ত করা, ব্যানার, লিফলেট, টাকারা হিসেবপত্র রাখা, পুলিশ পারমিশন করানো ইত্যাদি)। যাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে তারা সকলের মতামতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করবেন।
ii) কোর্ট কেস বা আইনের সাহায্য
১৭. ২০২০ সালের নিয়োগে যেসমস্ত ত্রুটি চোখে পড়ছে সেইসকল বিষয়ের প্রমাণ সংগ্রহ করে দ্রুত উকিলের সঙ্গে দেখা করা। যেসমস্ত বিষয়ের ফল এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে তারাই করবে এখন। এরপর একেরপর এক যেসব বিষয়ের ফল প্রকাশিত হবে তারা যুক্ত হবে কেসে (যারা যুক্ত হতে চাইবে)। এই কেস যারা নিজেরা বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করছেন তারা করবেন।
১৮. কেসে যারা এখন থাকতে চাইছেন তাদের একত্রিত করা। প্রতি বিষয়ের প্রার্থীদের মধ্য থেকে অন্তত ৫ জনকে দায়িত্ব নিতে হবে সেই বিষয়ের প্রার্থীদের সংগঠিত করার জন্য। কেসের লোকজনকে নিয়ে একটা গ্রুপ তৈরি। পরবর্তীতে যারা কেসের জন্য এগিয়ে আসবে তাদেরকেও এই গ্রুপে যুক্ত করা।
১৯. কেস বিষয়ে যারা বোঝেন বা আগে যারা কলেজ সার্ভিসের বিরুদ্ধে কিংবা এই ধরনের নিয়োগ বিষয়ে কেস করেছেন তাদেরকেও এরসঙ্গে যুক্ত করা।
২০. আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উকিলের সঙ্গে কথা বলা। একজন নয় দু-থেকে তিনজন অন্তত। তাতে আইন আমাদের পক্ষে কতখানি তা যাচাই করে নেওয়া সম্ভব হবে। কেসের আগে ভালোভাবে সব জানা।
২১. কেস দুটি দিক থেকে হতে পারে-
ক. ব্যক্তিগত, ব্যক্তি স্বার্থে (নিজেকে বঞ্চিত মনে করছেন)। তাহলে তাকে documents এ সাহায্য করা যায় কিন্তু আর্থ ব্যয় তিনি করবেন।
খ. সার্বিক স্বার্থে- কেস যদি সকলের স্বার্থের দিক থেকে হয় তাহলে সকলে সেই কেসে সাহায্য করবেন কেসে থাকুন বা না থাকুন।
যে সমস্ত বিষয়ের এখনও পর্যন্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে তারাই এখন উদ্যোগ নেবে। সব বিষয়ের রেজাল্ট কবে প্রকাশিত হবে তার ঠিক নেই। আর সবার রেজাল্ট প্রকাশ হতে হতে এখন যাদের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে তাদের অনেকের উৎসাহে ভাটা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ধারাবাহিকভাবে কোর্টের কাজটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
২২. সবার মতামতের ভিত্তিতে কয়েকজনকে কেসের বিষয়ে বিশেষ বিশেষ দায়িত্ব দিতে হবে (যেমন লোকজনকে গ্রুপে যুক্ত করা, কেসের ডকুমেন্ট রেডি করা, কেসের ড্রাফ রেডি ও পড়া, তথ্য সংগ্রহ, টাকারা হিসেবপত্র রাখা, উকিলের সঙ্গে যোগাযোগ ইত্যাদি)। যাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে তারা সকলের মতামতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করবেন।
২৩. একটি ফোরাম গঠন করার চেষ্টা। তার মাধ্যমেই কেস করা।
২৪. একটি ফান্ড তৈরি করা। কোনো ব্যক্তির নামে নয়, ফোরাম হলে ফোরামের নামে কিংবা তা না হলে ৩/৪ জন-এর নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা। বিভিন্ন বিষয়ের প্রার্থী সেখানে থাকবে। ফলে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। একজন যদিও বা সরে যায় তখন অন্যরা তো থাকবে ফলে সমস্যা হবে না।
মনে রাখবেন কেস দীর্ঘ মেয়াদি একটি বিষয়। ফলে আন্দোলন করে সিট বৃদ্ধি থেকে শুরু করে আরও অনেক সমস্যার দ্রুত সম্ভব। তবে আন্দোলনকে সরকার অনেক সময় গুরুত্ব দিতে চায় না কোর্টের ধাক্কা না খেলে। ফলে যার যে পন্থাকে মনে হবে উপযুক্ত তিনি সেই পন্থাকেই অবলম্বন করবেন। তবে আমার ব্যক্তিগত মত দুটি পন্থাকেই অবলম্বন করা উচিত। কোন পথে সাফল্য আসবে কে বলতে পারে?
অতি দ্রুত যেটি করা প্রয়োজন:
২৫. ইতিমধ্যে যেসকল Whatsapp গ্রুপ রয়েছে তাদের একটি ছাতার তলায় আনা। একটি Facebook গ্রুপ খোলা এবং সেখানে নিয়মিত লেখালিখি ও আমাদের বিষয়ে বিভিন্ন পোস্ট, তথ্য শেয়ার করতে হবে।
২৬. প্রতিটি বিষয়ের একটি করে আলাদা Whatsapp গ্রুপ খোলা। তবে প্রতিটা গ্রুপ প্রধান গ্রুপের অধীনে কাজ করবে।
নীচের লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করে গ্রুপগুলিতে যুক্ত হন-
a) Follow this link to join my WhatsApp group: https://chat.whatsapp.com/CsJE6bp4ZE0DAzNwTWYopR
b)
Follow this link to join my WhatsApp group: https://chat.whatsapp.com/L2Nd9IddohK0x4K60mkFOT
আপনারা এবার আপনাদের মতামত দিন। পুনার বলছি আমার ভাবনার মধ্যে অসংখ্য ফাঁক থাকতেই পারে। আপনাদের সকলের সুধী চিন্তায় তা পূর্ণ হয়ে উঠুক।
সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ-এর জন্য আসুন আমরা হাতে হাত রেখে আরো বেঁধে বেঁধে থাকি। সকলে এক সুরে, এক লক্ষ্যে কাজে সামিল হই।
পারলে সকলের মধ্যে আমাদের বার্তা ছড়িয়েদিন। ধন্যবাদ।

সকলে আসুন। গণআন্দোলন গড়ে তুলুন। সরকার কে বোঝাতে হবে শিক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা আর চলবে না। আমরাই পারি। বার বার ধাক্কা দিলে জগদ্দল পাথরও নড়ে।

গ্রুপে নানা কথা না বলে, হাহুতাশ করে, নিজেদের মধ্যে তর্ক করলে সমস্যার সমাধান কোনোদিন হবে না।
ফলে সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসুন সবাই। বাড়িতে বসে থাকলে সমস্যার সমাধান কোনোদিন হবে না। উদ্যোগী হতে হবে। অন্যরা করুক, আমি বসে থাকি বা 'কাজ ছিল' বলে পাশ কাটাবো এই মানসিকতা ত্যাগ করে এগিয়ে আসুন।
যদি কলেজ সার্ভিসের সমস্যার সমাধান চান, বঞ্চিত হয়েছেন মনে করেন, বছরের পর বছর বঞ্চিত হবেন না বলে মনে করেন তাহলে নিজের বিষয়ের লোকজনকে ঐক্যবদ্ধ করুন। সব বিষয়ের সকলে সংঘবদ্ধ হন।
সকলে মিলে পরিকল্পনা মাফিক সিদ্ধান্ত নিন কী কী করণীয়।
সমস্যা সমাধানের পন্থা দুটি-
1. ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন
2. কোর্ট কেস।

বিপুল সংখ্যক শূন্যপদ কিন্তু নিয়োগ মাত্র কয়েকশো....
Assistant Professor: পদ সংখ্যা ৩০ হাজার, আছেন মাত্র ১৩৫৪৭; নেই অধ্যাপক অথচ চলছে কলেজ হলেও তার জন্য যে পরিমাণ স্থায়ী সময়ের অধ্যাপক নিয়োগ করার প্রয়োজন তার বিন্দুমাত্র রাজ্য সরকার করেনি বলে অভিযোগ চ...

সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া, স্বচ্ছ মেধা তালিকা প্রকাশ ও ভ্যাকেন্সি বৃদ্ধির দাবিতে সিএসসি ও উচ্চশিক্ষা দফতরে গণ স্বাক্ষর কর্মসূচী।
Sign campaign on WBCSC recruitment link:
Memorandum to the Chairman, CSC To The Chairman West Bengal College Service Commission বিষয়: সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া, স্বচ্ছ মেধা তালিকা প্র.....
অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে সরব DRSO
এবার কলেজে অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগে সরব গবেষক সংগঠন DRSO ।একাধিক দাবিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ সার্ভিস কমিশনের দফতরে ডেপুটেশন জমা দেন তাঁরা।
https://fb.watch/mVGCgsdIxr/?mibextid=2Rb1fB
https://youtu.be/AvKJCPr1flM?si=GdaDB1WuIfI0AzaP

সকলে এগিয়ে আসুন
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Website
Address
Kolkata