ছাত্রসংগ্রাম-ChhatraSangram

ছাত্রসংগ্রাম-ChhatraSangram

Comments

*এই সময় - ধর্মতলা লালে লাল।*

*আনন্দবাজার - ভিড়ের ঠেলায় ভেসে গেল গোটা ধর্মতলা চত্বর।*

*ABP - ধর্মতলায় লাল ঝড়। ভিড়ের চাপে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল থেকে মঞ্চ সরানো হলো ভিক্টোরিয়া হাউসে।*

*TV9 - লাল চৌরঙ্গী। আমার ২১ বছরের সাংবাদিকতার জীবনে এমন ভিড় দেখিনি, বললেন TV9 এর এক সাংবাদিক।*

*News 18 Bangla - ধর্মতলায় থিকথিকে ভিড়। কার্যত অচল শহর কলকাতা।*

*Republic বাংলা - বাম বিক্ষোভে উত্তাল শহরের প্রাণকেন্দ্র।*

*Zee ২৪ ঘন্টা - কাতারে কাতারে বাম ছাত্র উপস্থিত হচ্ছেন, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শুধুই মাথার সারি।*

*The Wall - বাম দখলে ধর্মতলা। অবরুদ্ধ ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে ডোরিনা ক্রসিং।*
ই ন কি লা ব জি ন্দা বা দ ✊🏾

২০ সেপ্টেম্বর,২০২২;ধর্মতলা
ধর্মতলা কোনো কালীঘাট প্রাইভেট লিমিটেডের মালকিনের বাবার সম্পত্তি না!

সেটা আজকে চোখে চোখ রেখে মমতা ব্যানার্জীকে বুঝিয়ে দিল হাজার হাজার আনিস খান, সুদীপ্ত গুপ্ত মইদুল মিদ্দা,স্বপন কোলে রা।

২০ সেপ্টেম্বর,২০২২;ধর্মতলা
দম হ্যাঁ কিতনা দমন মে তেরে
দেখ লিয়া হ্যাঁ দেখেঙ্গে

SFI DYFI এর ডাকে ইনসাফ সমাবেশ
কুহেলী পোড়ানো মিছিলের হুতাশনে লাখ অযুতকে ডাক..
রাত পোহালেই
প্রজন্ম চত্বর হোক ধর্মতলা♥️
মুখোমুখি কমরেড দেবাঞ্জন দে(SFI কলকাতা জেলা সভাপতি)
সৌজন্যে Amra Bamfront ফেসবুক পেজ
ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলি করছে সরকারই,
অভিভাবকদের ফোন পেয়ে হতবাক বেসরকারী সংস্থা
20 সেপ্টেম্বর আসছে দিন
ধর্মতলার দখল নিন
Speech Of Umar Khalid at JNU Freedom Square
৮ দফার দাবি পূরণের দাবিতে রাজপথে কলকাতা পুরসভা অভিযানে সহ অন্যান্য বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠন।
ব্যারিকেড ভাঙল বিক্ষোভকারীরা। "মনে রাখবেন যে হিটলারের মতো আচরণ করে তাঁর হিটলারের মতোই মৃত্যু হয়" হুংকার কমরেড Minakshi Mukherjee

আগামী 20 সেপ্টেম্বর ধর্মতলায় চলুন....
এই সিঙ্গুরেই মমতা ব্যানার্জি ৯০% তৈরি হয়ে যাওয়া একটা কারখানা কে গুড়িয়ে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে নিজের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করেছিলেন! আর আমরা বলেছি কারখানা ওহি বানায়েঙ্গে!

আজ সিঙ্গুরে জনসভায় মিছিলে- স্লোগানে মুখরিত স্কুলের ক্ষুদেরাও..❤️

পরবর্তী মশাল বাহকদের তৈরি করার জন্য লাখো লাল সেলাম ছাত্র যুব সংগঠক দের...

জামিনে মুক্ত SFI পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক কমরেড অনির্বাণ রায়চৌধুরী 🫶
ইনসাফ চাইতে আগামী ২০ শে সেপ্টেম্বর আসছে দিন ধর্মতলার দখল নিন

ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসের পাতায় নতুন সংযোজন - ১২ দিন ধরে জেলে বন্দি থাকায় সম্মেলনে অনুপস্থিত কোনো নেতা নির্বাচিত হলেন সম্পাদক হিসেবে।

এসএফআই পূর্ব বর্ধমান জেলা ৩৭ তম সম্মেলন থেকে পুনরায় সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হলেন অনির্বাণ রায়চৌধুরী এবং সভাপতি প্রবীর ভৌমিক

মতাদর্শ কথা বলে..
ইংল্যান্ডের রানী কুইন এলিজাবেথের মৃত্যুতে দেশে ব্রিটিশের দালাল বিজেপি সরকার যেদিন রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ঘোষণা করে জাতীয় পতাকা অর্ধমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল সেদিনই রাজস্থানে আরএসএস বিজেপির যাবতীয় বাধাকে উপেক্ষা করে ভগৎ সিং এর মূর্তির সামনে জাতীয় পতাকা উত্তলন করলো SFI

★স্বাধীনতা ★ গণতন্ত্র ★সমাজতন্ত্র
Official page of SFI Birla Institute Of Technology Unit

The students' movement has repeatedly had to argue the case for students participation in politics. With the neoliberal market taking over Indian society the attack on students' politics has increased manifold. By doing so it seeks to prevent the students from linking their demands and rights to questions of policy which are decided by larger political processes. In this context the students' move

Operating as usual

22/09/2022

*এই সময় - ধর্মতলা লালে লাল।*

*আনন্দবাজার - ভিড়ের ঠেলায় ভেসে গেল গোটা ধর্মতলা চত্বর।*

*ABP - ধর্মতলায় লাল ঝড়। ভিড়ের চাপে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল থেকে মঞ্চ সরানো হলো ভিক্টোরিয়া হাউসে।*

*TV9 - লাল চৌরঙ্গী। আমার ২১ বছরের সাংবাদিকতার জীবনে এমন ভিড় দেখিনি, বললেন TV9 এর এক সাংবাদিক।*

*News 18 Bangla - ধর্মতলায় থিকথিকে ভিড়। কার্যত অচল শহর কলকাতা।*

*Republic বাংলা - বাম বিক্ষোভে উত্তাল শহরের প্রাণকেন্দ্র।*

*Zee ২৪ ঘন্টা - কাতারে কাতারে বাম ছাত্র উপস্থিত হচ্ছেন, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শুধুই মাথার সারি।*

*The Wall - বাম দখলে ধর্মতলা। অবরুদ্ধ ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে ডোরিনা ক্রসিং।*

20/09/2022

ধর্মতলার ইনসাফ সমাবেশে DYFI এর প্রাক্তণ সর্বভারতীয় সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের হুঙ্কার

ই ন কি লা ব জি ন্দা বা দ ✊🏾

২০ সেপ্টেম্বর,২০২২;ধর্মতলা

20/09/2022

লাল চৌরঙ্গি

ধর্মতলা কোনো কালীঘাট প্রাইভেট লিমিটেডের মালকিনের বাবার সম্পত্তি না!

সেটা আজকে চোখে চোখ রেখে মমতা ব্যানার্জীকে বুঝিয়ে দিল হাজার হাজার আনিস খান, সুদীপ্ত গুপ্ত মইদুল মিদ্দা,স্বপন কোলে রা।

২০ সেপ্টেম্বর,২০২২;ধর্মতলা

20/09/2022

দম হ্যাঁ কিতনা দমন মে তেরে
দেখ লিয়া হ্যাঁ দেখেঙ্গে

SFI DYFI এর ডাকে ইনসাফ সমাবেশ

20/09/2022

কুহেলী পোড়ানো মিছিলের হুতাশনে লাখ অযুতকে ডাক..

19/09/2022

রাত পোহালেই
প্রজন্ম চত্বর হোক ধর্মতলা♥️

16/09/2022

মুখোমুখি কমরেড দেবাঞ্জন দে(SFI কলকাতা জেলা সভাপতি)

মুখোমুখি কমরেড দেবাঞ্জন দে(SFI কলকাতা জেলা সভাপতি)
সৌজন্যে Amra Bamfront ফেসবুক পেজ

16/09/2022

ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলি করছে সরকারই, অভিভাবকদের ফোন পেয়ে হতবাক বেসরকারী সংস্থা

ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলি করছে সরকারই,
অভিভাবকদের ফোন পেয়ে হতবাক বেসরকারী সংস্থা

16/09/2022

20 সেপ্টেম্বর আসছে দিন
ধর্মতলার দখল নিন

16/09/2022

Speech Of Umar Khalid at JNU Freedom Square #FreeUmarKhalid

Speech Of Umar Khalid at JNU Freedom Square

15/09/2022

৮ দফার দাবি পূরণের দাবিতে কলকাতা পুরসভা অভিযানে SFI, DYFI

৮ দফার দাবি পূরণের দাবিতে রাজপথে কলকাতা পুরসভা অভিযানে সহ অন্যান্য বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠন।
ব্যারিকেড ভাঙল বিক্ষোভকারীরা। "মনে রাখবেন যে হিটলারের মতো আচরণ করে তাঁর হিটলারের মতোই মৃত্যু হয়" হুংকার কমরেড Minakshi Mukherjee

আগামী 20 সেপ্টেম্বর ধর্মতলায় চলুন....

14/09/2022

আজ সিঙ্গুরে জনসভায় মিছিলে- স্লোগানে মুখরিত স্কুলের ক্ষুদেরাও..❤️ #sfi #dyfi

এই সিঙ্গুরেই মমতা ব্যানার্জি ৯০% তৈরি হয়ে যাওয়া একটা কারখানা কে গুড়িয়ে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে নিজের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করেছিলেন! আর আমরা বলেছি কারখানা ওহি বানায়েঙ্গে!

আজ সিঙ্গুরে জনসভায় মিছিলে- স্লোগানে মুখরিত স্কুলের ক্ষুদেরাও..❤️

পরবর্তী মশাল বাহকদের তৈরি করার জন্য লাখো লাল সেলাম ছাত্র যুব সংগঠক দের...

14/09/2022

জামিনে মুক্ত SFI পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক কমরেড অনির্বাণ রায়চৌধুরী

জামিনে মুক্ত SFI পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক কমরেড অনির্বাণ রায়চৌধুরী 🫶

12/09/2022

ইনসাফ চাইতে আগামী ২০ শে সেপ্টেম্বর আসছে দিন ধর্মতলার দখল নিন

12/09/2022

ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসের পাতায় নতুন সংযোজন - ১২ দিন ধরে জেলে বন্দি থাকায় সম্মেলনে অনুপস্থিত কোনো নেতা নির্বাচিত হলেন সম্পাদক হিসেবে।

এসএফআই পূর্ব বর্ধমান জেলা ৩৭ তম সম্মেলন থেকে পুনরায় সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হলেন অনির্বাণ রায়চৌধুরী এবং সভাপতি প্রবীর ভৌমিক

মতাদর্শ কথা বলে..

12/09/2022

ইংল্যান্ডের রানী কুইন এলিজাবেথের মৃত্যুতে দেশে ব্রিটিশের দালাল বিজেপি সরকার যেদিন রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ঘোষণা করে জাতীয় পতাকা অর্ধমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল সেদিনই রাজস্থানে আরএসএস বিজেপির যাবতীয় বাধাকে উপেক্ষা করে ভগৎ সিং এর মূর্তির সামনে জাতীয় পতাকা উত্তলন করলো SFI

07/09/2022

কোর্টে তোলার সময় SFI পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অনির্বাণের বার্তা🫶🏼। #sfi #ReleaseAllPoliticalPrisoners

"১০ তারিখের আগে ছাড়া পাই না পাই Conference ব্যাপক করে যেনো হয় সর্বোচ্চ জমায়েত নিয়ে"

কোর্টে তোলার সময় SFI পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অনির্বাণের বার্তা🫶🏼।

সম্মেলন হচ্ছেই।আগামী ১০ সেপ্টেম্বর,কাটোয়া শহরে প্রকাশ্য সমাবেশে দলে দলে যোগ দিন



05/09/2022

বিকল্পের নাম SFI

04/09/2022

SFI এর রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি অনির্বাণ রায়চৌধুরি সহ বর্ধমানে আন্দোলনরত প্রতিটি কমরেডের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি চাই‼️

03/09/2022

'বাম-বিদায়' - ২০১১ সালের ১৪ মে আনন্দবাজার হেডলাইন করেছিল এই শব্দবন্ধটি। সেদিনের নিরিখে আপাত সত্য এই কথাটির পেছনে ছিল গূঢ় অথচ দাম্ভিক এক ব্যঞ্জনা। ওরা বাম সরকারের বিদায় লেখেনি। লিখেছিল বাম বিদায়। একটি পন্থার সর্বনাশ। তৃণমূলকে সামনে রেখে যারা যারা এ বাংলায় বামপন্থার ইতি টানার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেদিন তাদের সকলের মুখপত্র হয়ে উঠেছিল এই শিরোনাম ......

অথচ, ২০১১'র আগে থেকেই ৮,৯ সাল থেকেই বামপন্থীদের উপর আক্রমণ তীব্র হয়েছে। শাল-পলাশের আঙিনায় একেরপর এক লাশের উপরে উড়েছে ভনভনে মাছি। জল শুকিয়েছে মায়ের চোখের তবু ভয় কাটেনি সেই লাশে হাত দেওয়ার। সুদীপ্ত, স্বপন, সৈফুদ্দিন, তিলক, অভিজিত, আনিশ শহীদের তালিকা দীর্ঘ হয়েছে। হচ্ছে এখনও। একেরপর এক নির্বাচনে বামপন্থীদের পরাজয়, বিভিন্ন আইনসভা থেকে কার্যত মুছে যাওয়া, রোজ আক্রমণ, পাল্টা মারতে না পারার শোক এই সব মিলিয়ে 'বাম-বিদায়' শিরোনামই যেন বাংলার ভবিতব্য হয়ে উঠছিল .......

কিন্তু মহাকাল বরাবর অদৃশ্য থেকেই হাসেন। যেমন হেসেছেন এখানেও। কিচ্ছু না পাওয়ার আশায়, কেবলই দিতে আসার মন্ত্রে এই আগুনকালে দীক্ষা নিচ্ছিল এক দল ছেলেমেয়ে। বাড়িতে, পাড়ায় - 'এখন কেউ এসএফআই করে? পাগল নাকি?' শুনতে শুনতে আর ক্রোধে কাঁপতে কাঁপতে বড় হয়েছে আস্ত একটা প্রজন্ম। লড়াই কঠিন হয় নানা কারণে। ৬০-৭০ এর লড়াই কি আরও কঠিন ছিল না? হতে পারে। কিন্তু, তখনও চোখের সামনে একটা সোভিয়েতের ঝলমলে মডেল ছিল। লোককে সেই ইমারত দেখিয়ে টেনে আনার সংস্থান ছিল। আর এখন, একটা প্রাথমিকভাবে 'রাজনীতি বিমুখ' প্রজন্ম, চোখের পাতায় হতাশার জলভরা মেঘ আর নাক বরাবর বুলডোজার নিয়ে চরম আগ্রাসী দুই শক্তি। অসীম সামর্থ্যে বলীয়ান একটা দল দখল করে বসে আছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা, পাড়ার ঠেক। তারইমধ্যে খেলা ভাঙার খেলা ......

অনেক অশ্রু, রক্ত, ঘাম, মান আর শ্রম দিয়ে এই সময়কে বুনেছে আজকের ছাত্র ফেডারেশন। বড়রা পিঠে হাত রেখেছে। যারা হতদ্যোম হয়ে পড়েছিল তারাও তাকিয়ে থেকেছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অর্থাৎ পিপিপি মডেলের নামে দেশজুড়ে ক্লাসরুম বেচার নীল নকশার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে আমাদের প্রেম পড়াশোনা পলিটিক্সের পিপিপি মডেল। কোভিডকালে অক্সিজেন হাতে, কোভিড শেষে বই-কলম হাতে পাশে দাঁড়িয়েছে ছেলেমেয়েদের। মাস্কের দিন যেতেই মার্ক্সকে নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে বন্ধ করে রাখা স্কুল কলেজ খুলিয়ে ছেড়েছে এই এসএফআই। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের প্র‍্যাক্টিকাল ক্লাসে প্রতিটি আক্রমণের সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া শিখিয়ে এসেছে। গানে গল্পে কবিতায় একটা অন্যরকম স্রোত ক্রমশ মিশে গিয়েছে বৃত্ত থেকে বৃত্ততরের কাছে। মিশতে মিশতে ভাসতে ভাসতে গতকাল কলেজস্ট্রীটে। যারা দেখেছেন, যারা শুনেছেন তারা জানেন ওটাকে শুধু 'সমাবেশ' বা 'মিছিল' বলে চালিয়ে দিলে ভুলই হবে। ওটা আরও বেশি কিছু ......

কাল অর্ক গাইছিলেন, আমরা ফসল ফলাই, আমরাই গড়ি ইমারত। সেই মেহনতি ইনসান যাদের জন্য এত আয়োজন তারা নিশ্চয়ই ভরসা পেয়েছেন কাল। গর্বাচেভের মৃত্যুতে আরেকবার সোভিয়েত পতনের প্রসঙ্গ স্মরণ করেছে যে দুনিয়া সেখানেও নিশ্চয়ই ক্রোড় ক্রোড় মানুষ জেনেছেন যে তেভাগার বাংলায় আবার হাজার হাজার ছেলেমেয়ে জড়ো হচ্ছে সমাজতন্ত্রেরই পক্ষে।

বাম বিদায়ের স্বপ্ন যারা দেখেছিলেন
আজ ফের তাদের চোখের সামনেই
বাম উদয়ের আবাহন ......
✍️ Akash kar ( SFI North 24 pgs district Secretary)

03/09/2022

গতকালের SFI এর ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশে.....

"আমরা লড়েছি কাকদ্বীপে লড়েছি তেলেঙ্গানায়
আমাদের নাম লেখা আছে ব্রিটিশের জেলখানায়.."

ধন্যবাদ Arko Mukhaerjee দাদা ❤️

গতকালের SFI এর ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশে.....

Photos from ছাত্রসংগ্রাম-ChhatraSangram's post 31/08/2022

এসএফআই রাজ্য কমিটির উদ্যোগে ভারতবর্ষের শিক্ষা আন্দোলন সংক্রান্ত দাবি নিয়ে পোস্টার সেট...




#শিক্ষা_বাঁচাও
#সংবিধান_বাঁচাও
#দেশ_বাঁচাও

31/08/2022

"মিছিলেও প্রেম হোক ভেঙে যাক মোহ তুমি সাজো ব্যারিকেড আমি বিদ্রোহ" #SFI_JATHA #MarchForEducation #sfi

দেখা হোক, ২রা সেপ্টেম্বর ❤️❤️❤️

29/08/2022

Independence Democracy Socialism Zindabaad

Independence Democracy Socialism Zindabaad


28/08/2022

মরুশহরে বিজয়ঝড় চলছে শ্বেত পতাকার।রাজস্থানে ছাত্রসংসদ নির্বাচনে প্রতিটি জেলায় ঝড় তুললো SFI ।

মরুশহরে বিজয়ঝড় চলছে শ্বেত পতাকার।
রাজস্থানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি জেলায় ঝড় তুললো SFI।
এখনও অবধি প্রায় ৩০ কলেজের ছাত্র সংসদে বোর্ড গড়তে চলেছে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন।

সিকরের সায়েন্স, আর্টস কলেজ সহ জেলার সব থেকে বড় কলেজ ও উল্লেখযোগ্য ভাবে শুধুমাত্র মেয়েদের কলেজে অভাবনীয় ফলাফল করছে SFI

সায়েন্স কলেজ, শিকর - SFI পুরো প্যানেল জয়ী
শেখাওয়াতি ইউনিভার্সিটি - SFI পুরো প্যানেল জয়ী
গুড়ুগ্রাম কলেজ, শ্রী বিজয়নগর - অঙ্কিত চৌধুরী, SFI জিএস পদে জয়ী
আলওয়ার আর্টস কলেজ - SFI সমর্থিত প্রার্থী সাজিদ খান জিএস পদে জয়ী
ভগৎ সিং কলেজ, নোহর - জয়ী SFI
স্টেট্ কলেজ, ভদ্রা - SFI জয়ী
এচিভার কলেজ, নোহর - SFI জয়ী
গভর্মেন্ট কলেজ, ফতেপুর - SFI জয়ী
মহারাজা অগ্রসেন কলেজ, ভদ্রা - SFI জয়ী
বিবেকানন্দ কলেজ, ভদ্রা - SFI জয়ী
রুইয়া কলেজ, রামগড় - SFI পুরো প্যানেল জয়ী

এবিভিপির একদা ঘাঁটি, সংস্কৃত কলেজ, সালাসার - SFI জয়ী
গভর্মেন্ট আচার্য্য সংস্কৃত কলেজ, চিরানা, ঝুনঝুনু - SFI জয়ী
মোহতা কলেজ, রাজগড় - SFI জয়ী
গার্লস কলেজ NMT, ঝুনঝুনু - SFI জয়ী
গভর্মেন্ট গার্লস কলেজ, সিকর - SFI জয়ী
মহারানী সুদর্শনা কলেজ, বিকানের - SFI জয়ী
MLB কলেজ, নোখা - SFI জয়ী
MD কপেজ, ফেফানা - SFI জয়ী

রয়াল কলেজ, নোহর - এবার জিতে জয়ের হ্যাটট্রিক করলো SFI
HKM কলেজ, ঘাড়সানা - SFI জয়ী
গভর্মেন্ট সায়েন্স কলেজ, কোটা - SFI জয়ী
গভর্মেন্ট গার্লস কলেজ, শ্রী গঙ্গানগর - SFI জয়ী
গোডারা উইমেন্স কলেজ, শ্রীগঙ্গানগর, SFI জয়ী
স্টেট্ কলেজ, অনুপগড় - SFI জয়ী
গভর্মেন্ট কলেজ, লোশাল - ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে SFI জয়ী
গভর্মেন্ট আর্টস কলেজ, সিকর - ১৪০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী SFI
মোরারকা কলেজ, ঝুনঝুনু - এবারে জয়ের হ্যাটট্রিক করলো SFI
পরশুরাম কলেজ, দুঙ্গারানা - SFI জয়ী
লাল সেলাম রাজস্থান
❤️

20/08/2022

আসমুদ্র হিমাচল মিশছে লাল তারায়...

আসমুদ্র হিমাচল মিশছে লাল তারায়...

15/08/2022

তোমার ভয় নেই মা , আমরা প্রতিবাদ করতে জানি স্বাধীনতার ৭৫। 🧡🤍💚

তোমার ভয় নেই মা , আমরা প্রতিবাদ করতে জানি

স্বাধীনতার ৭৫।
🧡🤍💚

14/08/2022

"বিপ্লব গোলাপের শয্যা নয়. বিপ্লব হচ্ছে মৃত্যু পর্যন্ত অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যকার সংগ্রাম”-ফিদেল

"বিপ্লব গোলাপের শয্যা নয়. বিপ্লব হচ্ছে মৃত্যু পর্যন্ত অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যকার সংগ্রাম”(১৯৫৯ সাল)

13/08/2022

তুমি পাল্টে দেওয়ার কবিতা..... #SFI #SFIWB

তুমি পাল্টে দেওয়ার কবিতা.....


07/08/2022

যাদবপুরের আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বিজয়ের পর(২০২০) 😌❤️

যাদবপুরের আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বিজয়ের পর(২০২০)
😌❤️ Jadavpur Laal Hain Laal Rahegaa

05/08/2022

নরেন্দ্র মোদির "হর ঘর তিরঙ্গা" প্রসঙ্গে কমঃ দীপ্সিতা ধর

নরেন্দ্র মোদির "হর ঘর তিরঙ্গা" প্রসঙ্গে কমঃ দীপ্সিতা ধর

02/08/2022

বাংলার ছাত্র রাজনীতির অবিস্মরণীয় জুটি।
একজন চলে গিয়েছিলেন ৩রা অগাস্ট।
আরেকজন এগারো বছরের ব্যবধানে চলে গিয়েছিলেন ৬ই অগাস্ট।

সুভাষ-শ্যামল স্মরণে
ঝড়ের পাখিদের স্মরণে

স্বাধীনতা ৭৫'এ তাঁদের কমরেডদের মুখে
প্রাসঙ্গিক আলোচনা - পরপর
SFI WB - Students' Federation of India, West Bengal পেজে। সকলে শুনুন

26/07/2022

১৯৫৩ সালের আজকের দিনে কমরেড ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে ১৩৫ জন বিপ্লবী তথা গেরিলা যোদ্ধা কিউবার মনকাডা ব্যারাক আক্রমণ করেন কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই আক্রমণ ব্যর্থ হয় এবং ফিদেল কাস্ত্র সহ অন্যান্য আরো বিপ্লবীরা গ্রেফতার হয়।
সেদিনের এই আক্রমণ ব্যর্থ হয়েছিল ঠিকই কিন্তু সেদিন যে স্ফুলিঙ্গ জন্ম নিয়েছিল তা আগামীতে দাবানলে রূপান্তরিত হয়। সফল হয় কিউবা বিপ্লব। সাম্রাজ্যবাদী,মানবসভ্যতার সব থেকে বড় শত্রু, নরঘাতক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাকের ডগায় জন্ম নেয় 'সোসালিস্ট রিপাবলিক অফ কিউবা'☭

21/07/2022

মিথ্যার বেশাতির আড়ালে ২১শে জুলাই #21JulyGreatLie

মিথ্যার বেশাতির আড়ালে ২১শে জুলাই

Photos from ছাত্রসংগ্রাম-ChhatraSangram's post 21/07/2022

সত্য ঘটনা অবলম্বনে

21/07/2022


কি ঘটেছিল ২১শে জুলাই ????

● ৩টি বাস পোড়ানো হয়েছিল,

● ৩৫টি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল,

● গুলি-বোমা-পাথরে জখম হন ২১৫পুলিশ,

● ধর্মতলায় সাংবাদিক মার খেয়েছিলেন,

● ‘বহু সশস্ত্র দুষ্কৃতী (অ্যান্টিসোস্যাল) নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জড়ো হয়েছিল’ জানান মণীশ গুপ্ত

● জ্যোতি বসুকে গাড়ি থেকে নামাতে ছদ্মবেশ সোনালী গুহদের,

● মৃতদের একজনের নাম এখনও জানে না তৃণমূল,

● ১জন মারা যায় ‘সিরোসিস অব লিভারে’,

● বিরোধিতা করে জ্যোতি বসুর শরণাপন্ন হন গণিখান,

জন্মের আগেই ২১শে জুলাই চরিত্র বুঝিয়েছিল তৃণমূল!
দলটি আসলে ‘দুষ্কৃতীদের ক্লাস্টার’। ইতিহাসে এমন উদাহরণ খুব একটা নেই, যেখানে তৈরি হওয়ার আগেই কোনও দলের চরিত্র এভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন কোনও দল কী হতে পারে, কী কী করতে পারে তা স্পষ্ট করেছিল ২১শে জুলাই-ই।

তখন ১৯৯৩। মুখ্যমন্ত্রী তখন কমরেড জ্যোতি বসু। স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন মণীশ গুপ্ত। তৃণমূল কংগ্রেস তৈরিই হয়নি। মমতা ব্যানার্জি তখন কংগ্রেসে। তিনি তখন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী। তিনিই ডাক দিয়েছিলেন —‘মহাকরণ অভিযান’-র। ঘোষণা ছিল ‘মহাকরণ দখল করা হবে’। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস এই ‘অভিযান’-র বিরোধিতা করে।

আজকাল পত্রিকায় ১৯৯৩-র ২৪শে জুলাই একটি খবর প্রকাশিত হয়। শিরোনাম ছিল —‘গুন্ডামি রুখতে গণি বসুর সঙ্গে’। সংবাদে জানা যায়, তৎকালীন কংগ্রেস নেতা এ বি এ গণিখান চৌধুরী নয়াদিল্লির বঙ্গভবনে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন ২১শে জুলাইয়ের আগে। গণিখান চৌধুরী সেদিন পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা শক্ত হাতে রক্ষা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে ধরনের ব্যবস্থা নেবেন তাকে নিঃশর্তে সমর্থন জানানোর প্রতিশ্রুতি দেন। জ্যোতি বসুকে গণিখান চৌধুরী বলেন, ‘‘গুন্ডামি করে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীকে ঢুকতে না দেওয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে না। আপনাকে আমি নির্বাচনের মাধ্যমে গদি থেকে টেনে নামানোর চেষ্টা করবো। আপনিও তার বিরোধিতা করবেন। কিন্তু কেউ যদি জোর করে আপনার চেয়ারটা কেড়ে নিতে চায় তা হলে সেটা হবে স্রেফ গুন্ডামি। এটা কোনভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও-ও যে যুব কংগ্রেসের এই ধরনের বেপরোয়া ঘটনার সমালোচনা করেছেন তা জ্যোতি বসুকে গণিখান চৌধুরী জানান সেদিন।

কিন্তু তবু রক্ত ঝরেছিল। কী হয়েছিল ২১শে জুলাই? পুলিশের গুলিতে ১৩জন যুব কংগ্রেস ‘কর্মী’ নিহত হয়েছিলেন ময়দানে। ‘২১শে জুলাই’ বলতে সোজা কথায় এমনটাই বলা হয়। কিন্তু কেন পুলিশ গুলি চালালো? যারা মারা গিয়েছিলেন, তাঁরা কারা? সেদিন মমতা ব্যানার্জি, মদন মিত্র, সোনালি গুহদের কাণ্ডকারখানা কেমন ছিলো? মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা ব্যানার্জি ওই ২১শে জুলাই নিয়ে কী করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরগুলি খুঁজলেই বোঝা যায় — কী হয়েছিল ১৯৯৩-র ২১শে জুলাই।

স্বরাষ্ট্রসচিব হিসাবে মণীশ গুপ্ত সেদিনের ঘটনার বিষয়ে হাইকোর্টে ১৯৯৩-র ২রা আগস্ট একটি হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। সেই হলফনামা অনুসারে, ‘‘ওইদিন(১৯৯৩-র ২১শে জুলাই)-এ জমায়েতে ‘বহু সশস্ত্র দুষ্কৃতী(অ্যান্টিসোস্যাল) নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জড়ো হয়েছিলো।’’ সেদিন ১৩ জন যুবকের মৃত্যু হয়েছিলো। আশ্চর্য হলো মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু আজও তৃণমূল জানে না ওই ঘটনায় মৃত ১৩তম ব্যক্তিটি কে? তৃণমূলের ওয়েবসাইটে এখনও ওই ১৩ নম্বর জায়গার পাশে লেখা আছে —‘অ্যানোনিমাস’। অর্থাৎ অজানা। কেন তাঁর পরিচয় গোপন রাখেন মমতা ব্যানার্জি?

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুশান্ত চ্যাটার্জির নেতৃত্বে ‘২১ শে জুলাইয়ের তদন্ত কমিশন’ তৃণমূল সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরই গঠিত হয়। ২০১৪-র ডিসেম্বরে এই কমিশন রিপোর্ট জমা দেয়। কমিশন সাক্ষ্য দিতে ডেকেছিল বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। কিন্তু যিনি সেই ‘অভিযান’-র উদ্যোক্তা, সেই মমতা ব্যানার্জিকেই এই কমিশন কখনো ডাকেনি। কমিশন কেমন কাজ করেছে, তা এরথেকেই কিছুটা বোঝা যায়। তবু কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুশান্ত চ্যাটার্জি তাঁর তদন্ত রিপোর্ট জানাতে বাধ্য হয়েছেন, যে ১৩জনের মৃত্যু হয়েছিল সেদিন, তাদের মধ্যে একজনের গায়ে গুলির কোনও আঘাতই মেলেনি। সেই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ ‘সিরোসিস অব লিভার’। সাধারণত এই রোগটি বেপরোয়া মদ্যপানের কারণে হয়। আর বেপরোয়া মদ্যপান দুষ্কৃতীদের পরিচিত বৈশিষ্ট্য।

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব তখন ছিলেন মণীশ গুপ্ত। পালাবদলের পর মমতা ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ হয়ে তিনি হন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাস্ত হলে তাঁকে মমতা ব্যানার্জি রাজ্যসভার সাংসদ (মিঠুন চক্রবর্তী পদত্যাগ করলে তাঁর শূূন্যস্থানে) করেছেন। স্বরাষ্ট্রসচিব হিসাবে তিনি সেদিনের ঘটনার বিষয়ে হাইকোর্টে একটি হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। ১৯৯৩-র ২রা আগস্ট তাঁর জমা দেওয়া সেই হলফনামা অনুসারে, ‘‘ওই দিন(১৯৯৩-র ২১শে জুলাই)-এ জমায়েতে বহু সশস্ত্র দুষ্কৃতী(অ্যান্টিসোস্যাল) নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জড়ো হয়েছিলো। ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সারা রাজ্যের কয়েক হাজার যুব কংগ্রেসকর্মী স্ট্র্যান্ড রোড, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, এসপ্ল্যানেড রো ইস্ট এবং ব্রেবোর্ন রোডে জমায়েত হয়। মেয়ো রোডে ১৫ হাজার, ধর্মতলায় ১৫ হাজার, ব্রেবোর্ন রোডে, স্ট্র্যান্ড রোডে ১০ হাজার, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে ৭ হাজার জমায়েত ছিলো। যুব কংগ্রেস কর্মীরা মহাকরণের দিকে ছুটতে থাকে। পুলিশ প্রথমে নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জনতাকে শান্ত করতে চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। ‘জনতা’ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাইপগান থেকে গুলি ছোঁড়ে। ইট, পাথর, সোডার বোতলও ছোঁড়া হয় যথেচ্ছ। পুলিশ তখন লাঠি চালায়। ৩৪১ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটায় পুলিশ এবং রাইফেল থেকে ৭৫ রাউন্ড ও রিভলভার থেকে ৪৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয়।’’

অর্থাৎ সেদিন ‘আন্দোলনকারীরা’ বোমা, পাইপগান নিয়ে এসেছিলো! তারা মহাকরণ দখল করতে ছুটছিলো। গুলি ছুঁড়ছিলো, বোমা মারছিলো।

মণীশ গুপ্তর হলফনামা আরও জানিয়েছিল, ‘‘সেদিন ৩টি বাস পোড়ানো হয়েছিলো। ৩৫টি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিলো। সব মিলিয়ে জখম হয়েছিলেন ২১৫ জনেরও বেশি পুলিশ। তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, ডি সি (সদর), ৭জন ডি সি, ১০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রয়েছে। ৩৪ জন পুলিশকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ হাসপাতালে। তাঁদের অনেকেরই পাইপগানের গুলি এবং বোমার স্প্লিন্টার লেগেছিলো। তালতলা থানার সার্জেন্ট ডি কে ঘোষালের গুলি লেগেছিলো। এক সাব ইনস্পেক্টর কালাচাঁদ সমাদ্দারের শরীরে আঘাত ছিল বোমার। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাব ইনস্পেক্টর এ কে গাঙ্গুলিকে এস এস কে এম হাসপাতালের সামনে মেরে মাথা ফাটিয়ে, হাত ভেঙে দিয়েছিলো দুর্বৃত্তরা।’’

আক্রান্ত, রক্তাক্ত হয়েছিলো পুলিশ। তাই গুলি চালিয়েছিলো।
সেদিনও সাংবাদিক পিটিয়েছিলো মমতা ব্যানার্জির দলবল, হুবহু আজকের মতো। দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ ধর্মতলায় স্কুটার আরোহী
সংবাদসংস্থা পিটি‌আই-র বরিষ্ঠ সাংবাদিক সঈদ আহ্‌মেদকে মমতা ব্যানার্জির কর্মীরা ঘিরে ধরে মেরেছিলো। মারাত্মক আহত হন তিনি।

আরও কী চক্রান্ত ছিল? সোনালি গুহর কথাই শোনা যাক। সাতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালি গুহ এখন রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষা। ১৯৯৩সালের ২১শে জুলাইয়ের স্মৃতিচারণা করতে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-য় একটি ছোট প্রবন্ধ লিখেছিলেন তিনি ২০১২-তে। সোনালি গুহ দলীয় মুখপত্রের (বর্ষ -৮,সংখ্যা ৩৯০, সাপ্তাহিক) সংখ্যার তৃতীয় পৃষ্ঠায় লিখেছিলেন,‘‘১৯বছর আগের ২১শে জুলাই। দিনটি ছিল বুধবার। সকাল-সকাল আমরা দিদির বাড়ি চলে এসেছিলাম। আগে থেকেই আমাদের কয়েকজন মেয়েকে গোপনে একটা দায়িত্ব দেওয়া ছিলো।’’ কী সেই দায়িত্ব? বিধানসভার উপাধ্যক্ষা লিখছেন,‘‘তা হলো, জ্যোতি বসুর গাড়ি আটকে দিতে হবে। আমরা তাই সটান চলে গেলাম রেড রোডে। কারণ ওই রাস্তা দিয়ে জ্যোতি বসুর কনভয় যাবে। মুসলিম মহিলাদের মতো বোরখা পরে সেদিন ওই রাস্তায় গিয়ে আমরা অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু শ্যামলী ভদ্র (প্রয়াত প্রাক্তন কাউন্সিলর)-র হাতের শাঁখা-পলা বেরিয়ে পড়ায় পুলিশ ধরে ফেলে।’’
পুলিশ সেদিন তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

কিন্তু যা স্পষ্ট, তা হলো — ১৯৯৩সালের ২১শে জুলাই মহানগরের ফাঁকা রাস্তায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর গাড়ি আটকানোর চক্রান্ত করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। তারজন্য রীতিমতো আগে থেকে ছক কষা হয়েছিলো। এমনকি ছদ্মবেশেরও সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত নিরাপত্তা আজকের মতো আঁটোসাঁটো, কড়া ছিলো না। রাজ্যস্তরে ‘ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো’ কথাটির অস্তিত্বই ছিলো না। ছিলো না এ কে ৪৭হাতে নিরাপত্তাকর্মী। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ছিল ছোট। ফলে সহজেই অনুমান করা যায়, কমরেড জ্যোতি বসুকে ঘিরে নিরাপত্তা ছিল যথেষ্ট শিথিল। সেই সুযোগে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকে ঠিক কী করার ভাবনা ছিলো মমতা ব্যানার্জির— তা স্বাভাবিকভাবেই এড়িয়ে গেছেন সোনালি গুহ। তবে বলাবাহুল্য, জ্যোতি বসুর গাড়ি আটকে তাঁকে নেহাতই প্রণাম করা, শুভেচ্ছা জানানোর বাসনা নিশ্চয়ই ছিলো না তাঁদের। যদি শুধু বিক্ষোভ দেখানোর ইচ্ছাও থাকতো, তাহলে ছদ্মবেশ নেওয়ারও কোনো দরকার পড়তো না। এখানেই দানা বাঁধে সন্দেহ।

07/07/2022

তত্ত্বকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন -অজয় দাশগুপ্ত
৮ জুলাই ২০২২ (শুক্র বার)

২০০০ সালের শেষে কোনো একদিন। গণশক্তি দপ্তরের পাঁচতলায় মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ পাঠাগারে ঢুকতেই দেখি এক পাহাড় বইয়ের বোঝা নিয়ে চিন্তিত কর্মীরা। জিজ্ঞাসা করতেই জানালেন, জ্যোতিবাবুর বাড়ি থেকে এই সমস্ত বই পাঠিয়েছে। কমরেড প্রমোদ দাশগুপ্ত, কমরেড সরোজ মুখোপাধ্যায় সহ পার্টির প্রয়াত নেতাদের অনেকেরই ব্যক্তিগত সংগ্রহ মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ পাঠাগারে স্থান পেয়েছে। জানা গেল, জ্যোতিবাবু মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে অবসর নেওয়ার পর বাড়ি থেকে অতিরিক্ত কাগজপত্র ঝাড়াইবাছাই যখন হচ্ছিল, তখন বইগুলো জ্যোতিবাবু নিজেই এই পাঠাগারে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। জয়কৃষ্ণ ঘোষকে বলেছেন, ‘‘দ্যাখো, ওদের যদি কোনো কাজে লাগে।’’
খুবই কৌতুহল ছিল। খোঁজ নিচ্ছিলাম, কী কী বই আছে দেখার জন্য। পরে বুকশেলফে সাজানোর পর একদিন গিয়ে দেখলাম সেখানে ধর্ম নিয়ে ফিদেল কাস্ত্রোর মতামত সম্পর্কে সদ্যপ্রকাশিত বইটি যেমন আছে, তেমনি ইংরাজী সাহিত্যের বেশ কয়েকটি সাম্প্রতিকতম উপন্যাস রয়েছে। রয়েছে হাঙ্গেরির চিত্রকলা নিয়ে বই, অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বই।
এই বইগুলো কী জ্যোতিবাবু পড়েছেন? প্রশ্ন করেছিলাম জয়কৃষ্ণ ঘোষকে। জয়দা বললেন, ‘‘জ্যোতিবাবু সময় পেলেই বই পড়েন।’’ সকালে উঠে ‘গণশক্তি’ না পড়তে পারলে তিনি অস্থির হয়ে উঠতেন। একদম শেষের দিকে আমি জয়দাকে জিজ্ঞাসা করেছি, ‘‘উনি যে কাগজটা সামনে ধরে পড়ছেন, চোখের দৃষ্টি কি এখনও এত জোরালো?’’ জয়দা বলতেন, ‘‘উনি হেডিংগুলো পড়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, সেটা আমাকে পড়ে শোনাতে বলেন।’’

তবে ইংরাজী সাহিত্যের সাম্প্রতিকতম নভেলও যে তিনি পড়তেন, তার প্রমাণ বিভিন্ন সময়ে পাওয়া গেছে। ১৯৯৯ সালে একবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক চলাকালীন জ্যোতিবাবু অসুস্থতা বোধ করলে তাঁকে এইমস-এ ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে দেখতে গিয়ে তাঁর টেবিলে ঝুম্পা লাহিড়ীর লেখা সাম্প্রতিকতম উপন্যাসটি থাকার কথা বহুলপ্রচারিত সংবাদমাধ্যমেও দেখা গেছে।
কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের বহুবিধ গুণাবলী থাকলেও কখনও কখনও কোনও একটি দিক অন্য সমস্ত দিককে ছাপিয়ে যাওয়ায় তাঁকে সেই বিশেষ গুণের জন্য সকলে মনে রাখেন। কেউ তাত্ত্বিক নেতা হিসেবে পরিচিত হন, কেউ সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য সমাদৃত হন, কেউ কেউ আবার জননেতা হিসেবে শ্রদ্ধেয় হয়ে আছেন। যেমন অন্য অনেক গুণাবলী থাকা সত্ত্বেও এম বাসবপুন্নাইয়া, বিটি রণদিভে তাত্ত্বিক নেতা হিসেবেই সমধিক পরিচিত। আবার প্রমোদ দাশগুপ্ত, হরকিষেণ সিং সুরজিৎ সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ইএমএস নাম্বুদিরিপাদের মধ্যে অবশ্য উভয় গুণাবলীই প্রকট হয়েছিল। তিনি যেরকম মার্কসবাদী তত্ত্ব, দর্শন, সাহিত্য, ইতিহাস বিভিন্ন বিষয়ে অজস্র লিখেছেন, তেমনি জননেতার পর্যায়েও উন্নীত হয়েছিলেন।

জ্যোতিবাবু তাত্ত্বিক নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন না। কিন্তু তিনি তত্ত্বকে মানুষের মধ্যে নিয়ে গিয়েছিলেন, মানুষের ভাষায় মার্কসবাদকে ব্যাখ্যা করার মতো অনন্য দক্ষতা তিনি অর্জন করেছিলেন। জ্যোতিবাবু প্রায়ই বলতেন, ‘‘মানুষ, একমাত্র মানুষই ইতিহাস রচনা করে। এটা ঠিকই যে মানুষ কখনো কখনো ভুলও করে। কিন্তু নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে শেষ পর্যন্ত মানুষের জয়ই অবশ্যম্ভাবী।’’ এই উক্তিটি জ্যোতিবাবুর বলেই অধিকাংশ মানুষ জানেন। কিন্তু ১৯৯৮ সালের ১৩ নভেম্বর দিল্লিতে ১৩তম জওহরলাল নেহরু স্মারক বক্তৃতায় জ্যোতিবাবু নিজেই বলেছেন: ‘‘As a Marxist, I am interested not merely in interpreting the world but also in changing it. Karl Marx has aptly reminded us in ‘The Eighteenth Brumaire of Louis Bonaparte’:”Men make their own history but they do not make it just as they please: they do not make it under circumstances chosen by themselves, but under circumstances directly encountered, given and transmitted from the past.”

বিলেতে পড়াশুনো করার সময় নিয়মিত মার্কসবাদ চর্চা করতেন জ্যোতিবাবু। তিনি দেশে ফেরেন ১৯৪০ সালে। এদেশে কমিউনিস্ট পার্টি তখন বেআইনি। তার আগে তিনি যখন লন্ডনে ছিলেন তখনই সিপিজিবি-র নেতারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিস্ট গ্রুপের ভারতীয় ছাত্রদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন, জানিয়েছিলেন প্রকাশ্যে কোন সভা সমাবেশে অংশ না নিতে। কারণ ভারতে ব্রিটিশরা তখন কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সেই সময়টা কমিউনিস্ট গ্রুপের সদস্যরা প্রকাশ্যে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জ্যোতি বসুর নিজের কথায়:‘‘আমরা তখন মার্কসবাদী পাঠচক্রে যেতে শুরু করলাম। আমাদের পড়াতেন হ্যারি পলিট, রজনী পামদত্ত, ক্লিমেন্স দত্ত এবং ব্র্যাডলের মতো নেতারা। গোটা বিশ্ব তখন তপ্ত থেকে তপ্ততর। স্পেনে শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। ফ্রাংকোর স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রীদের সংগ্রাম নজর কাড়ছেসমস্ত প্রগতিশীল মানুষের। ফ্যাসিস্তদের বিরুদ্ধে স্বাধীন চিন্তার এই যুদ্ধে শামিল হতে গড়ে ঊঠেছে আন্তর্জাতিক ব্রিগেড। রালফ ফকস্, ক্রিস্টোফার কডওয়েলের মতো বিখ্যাত কমিউনিস্ট বুদ্ধিজীবীরা স্পেনে যেতে শুরু করেছেন। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের উপন্যাস ফর হুম দি বেল টোলস এই সংগ্রাম নিয়েই লেখা। আমি ভিতরে ভিতরে প্রবল আলোড়িত। মার্কসবাদী সাহিত্য পাঠ আর সমসাময়িক ঘটনা প্রবাহ আমাকে দ্রুত রাজনীতির মূল প্রবাহে টেনে নিচ্ছে।’’

ভারতে আসার পরেও কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতে তত্ত্বকে মানুষের ভাষায় প্রকাশ করা এবং মতাদর্শগত প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ায় তাঁকে কখনও পিছপা হতে দেখা যায়নি। ১৯৪৮ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেস। নানা দিক দিয়ে এই কংগ্রেস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল প্রতিনিধিদের কাছে। সে সময়ে সংষ্কারবাদী ও সংকীর্ণতাবাদী এই দুই ঝোঁকের বিরুদ্ধে মতাদর্শগত লড়াইয়ে তিনি তাঁর মত ব্যক্ত করতে দ্বিধা করেননি। এই কংগ্রেসে যে রাজনৈতিক থিসিস গ্রহণ করা হয়েছিল তার যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন যে সব জ্যোতি বসু ছিলেন তার মধ্যে একজন।
পরবর্তী সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপর্যয় সম্পর্কেও তিনি সুস্পষ্ট মত ব্যক্ত করেছিলেন। ২০০৭সালের ৭নভেম্বর ‘গণশক্তি’তে তাঁর লেখা ‘‘সমাজতন্ত্রের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছিল নভেম্বর বিপ্লব’’ শীর্ষক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন: ‘‘রাশিয়ায় পরবর্তীকালে যে মতাদর্শগত চর্চার অভাব ঘটেছিল সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। সে দেশে গিয়েও আমার নিজের এ বিষয়ে মনে হয়েছিল। প্রথম যাই ১৯৫৭ সালে। তারপর আরো কয়েকবার গিয়েছি। সাল মনে নেই, একবার সে দেশে গিয়ে ব্ল্যাক সি-র উপর দিয়ে একটা জাহাজে করে যাচ্ছিলাম। সেই জাহাজটি এক সময়ে হিটলারের জাহাজ ছিল। বিশ্বযুদ্ধের সময় সোভিয়েত বাহিনী তা কবজা করে। প্রায় ২২০০ যাত্রী সেই জাহাজে ছিল। প্রায় সকলেই ছুটি কাটাতে যাচ্ছে। জাহাজের মধ্যে খেলছে, সাঁতার কাটছে। কিন্তু দেখলাম কেউই খবরের কাগজ পড়ছে না। অথচ কাগজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ খবর ছাপা হয়েছে। ওদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সংক্রান্ত খবর ছাপা হয়েছে এবং রয়েছে এক রুশ মহাকাশচারীর প্রত্যাবর্তনের খবর। কিন্তু তাতেও ওদের কাগজ পড়ার আগ্রহ নেই। আমি এক দোভাষীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ওদের খবরের কাগজ পড়ার আগ্রহ নেই কেন? জবাবে সে বললো, ওরা ছুটি কাটাতে যাচ্ছে। তাই ওদের আগ্রহ নেই। ফিরে এসে কাগজ দেখবে। তাতে শুধু দেখবে ওদের আর্থিক সুযোগ সুবিধা কিছু বাড়লো কি না। তখন এই বিষয়টা নজরে এসেছিল। সবটা বুঝিনি-আজ বুঝি প্রবণতাটা তখন থেকেই তৈরি হয়েছিল।’’

এই নিবন্ধেই তিনি লিখেছেন: ‘‘….সোভিয়েতে বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে আমাদের পার্টি ১৯৯২ সালে মাদ্রাজ পার্টি কংগ্রেসে প্রস্তাব গ্রহণ করে। সেই প্রস্তাবে বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করা হয়। তারমধ্যে একটি হলো, সে দেশে শ্রমিকশ্রেণীর একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার বদলে পার্টির এবং বেশিরভাগ সময়ে পার্টি নেতৃত্বের একনায়কত্বে পরিণত হয়েছিল। এর ফলে পার্টি ও রাষ্ট্র জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে প্রতিরক্ষাখাতে ব্যয় বাড়াতে হয় সোভিয়েত ইউনিয়নকে। সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে গিয়ে উন্নতমানের ভোগ্যপণ্য তৈরির কাজ অবহেলিত থেকেছে। মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারেনি। এছাড়া মতাদর্শগত চেতনা প্রসারের ঢিলেমি দেখা দিয়েছিল।’’
বামফ্রন্ট সরকার তৈরি হওয়ার পরেও জ্যোতি বসু বারেবারে পার্টিকর্মীদের সরকার ও পার্টিতে কাজ এবং কোন মতাদর্শগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমরা এই সরকারকে দেখবো তা বলেছেন। ১৯৭৮ সালে ‘‘দেশহিতৈষী’’ পত্রিকার শারদ সংখ্যায় জ্যোতি বসু ‘‘প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের এক বছরের অভিজ্ঞতা’’ শীর্ষক এক নিবন্ধে লিখেছেন: ‘‘ধনতান্ত্রিক-সামন্ততান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে বিশেষ একটা রা‍‌জ্যে ক্ষমতাসীন হয়ে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার মৌলিক পরিবর্তন সাধনের এবং খোদ ব্যবস্থাটাকেই পালটে ফেলার চেষ্টা করতে পারে না। সুকঠিন বাধাবিপ‍‌ত্তির মধ্যে এই সরকারকে কাজ করতে হচ্ছে। প্রায় সমস্ত ক্ষমতা আর আর্থিক সংস্থান কেন্দ্রের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে আর সংবিধান খাড়া করছে নানা বাধাবিপত্তি; কারণ তার চরিত্র যতটা না যুক্তরাষ্ট্রীয় তার চেয়ে অনেক বেশি এককেন্দ্রিক।’’
১৯৮১ সালে ‘মার্কসবাদী পথ’’ প্রকাশিত হলে প্রথম সংখ্যাতেই জ্যোতি বসু বামফ্রন্ট সরকার সম্পর্কে পার্টিকর্মীদের দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে তা ব্যাখ্যা করেছিলেন। ‘‘মার্কসবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে বামফ্রন্ট সরকার’’ নামে সেই দীর্ঘ নিবন্ধে তিনি লিখেছেন: ‘‘জনগণকে আদর্শগত ও রাজনীতিগতভাবে উদ্বুব্ধ করার জন্যে ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পার্টিকর্মীরা বামফ্রন্টের কর্মসূচী রূপায়ণের কাজেই বা কতটা জড়িত হবে আর পার্টি গঠন এবং শ্রেণী সংগ্রামের প্রয়োজনে শ্রেণী সংগঠন গড়ে তোলা — এই কাজেই বা কতটা নিয়োজিত হবে সে বিষয়ে প্রায়ই বৃথা তর্কবিতর্ক হয়। যেন এই দুটি উদ্দেশ্য পরস্পর-বিরোধী। নতুন পরিস্থিতিতে পার্টির ভূমিকা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণার ফলে দক্ষিণপন্থী ও বামপন্থী উভয় ধরনেরই বিচ্যুতি ঘটেছে। আমাদের যে কথা ভালোভাবে মনে রাখতে হবে সেটা হলো যে সরকারে আমাদের অংশগ্রহণের ফলে পার্টির কাজ খুবই জটিল ও বিচিত্র ধরনের হয়ে দাঁড়িয়েছে। পূর্বোক্ত ঐ দুটি কর্তব্যকে যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং এর একটিকে আর একটি থেকে পৃথক করা যাবে না।’’

অনেক পরে ২০০৮ সালে কমরেড নিরুপম সেন-এর লেখা ‘বিকল্পের সন্ধানে’ বইয়ের ভূমিকায় তিনি লিখেছিলেন, ‘‘আমরা যে কখনও সরকার গঠন করতে পারবো, আর সেই সরকার যে এতদিন টিঁকবে, তা আগে কখনো ভাবতেও পারিনি। ১৯৫৭ সালে কেরালায় যখন প্রথম কমিউনিস্ট সরকার গঠিত হলো, তখনও আমাদের সামনে অতটা পরিষ্কার ধারণা ছিল না যে এই পূঁজিবাদী সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে একটি অঙ্গরাজ্যে কমিউনিস্টরা সরকার গঠন করলে কী করা সম্ভব, কতখানি করা সম্ভব। সেসব আমরা পরে ভেবেছি। ১৯৬৪ সালে সিপিআই(এম) যখন গঠিত হলো, তখন পার্টি কর্মসূচীতে আমরা বললাম, এরকম সরকারে গেলে সমাজব্যবস্থার খুব বড় কিছু অদল-বদল হয়তো আমরা করতে পারবো না। কিন্তু এই সংবিধানে যে অধিকার দেওয়া আছে, তাকে কাজে লাগাতে হবে। মানুষের স্বার্থে এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার আমাদের করতে হবে। মানুষকে কিছু রিলিফ আমরা নিশ্চয়ই দিতে পারবো এইসব সরকারকে ব্যবহার করে। পার্টি কর্মসূচী সময়োপযোগী করা হলে আমরা বলেছি, সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে এই সরকারগুলি বিকল্প নীতি তুলে ধরবে ও প্রয়োগ করার চেষ্টা করবে। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গে রিলিফের থেকে বেশি কিছুই আমরা মানুষকে দিতে পেরেছি। এটা ঠিকই, আমাদের লক্ষ্য হলো শ্রেণীহীন, শোষনহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা। কিন্তু সেকাজ এখনও অনেক বাকি। তাই এখনকার যা কাজ, তা এখনই করতে হবে। আজ এটা প্রতিষ্ঠিত, এই সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকার মানুষের স্বার্থে অনেক কাজ করতে পেরেছে।’’
কোনও মতাদর্শ তখনই শক্তিশালী হয়, যখন মানুষ তা গ্রহণ করে। জ্যোতি বসু সারাজীবন এই বিশ্বাসেই পথ চলেছেন এবং আজও অনুপ্রাণিত করে চলেছেন।

Videos (show all)

ধর্মতলার ইনসাফ সমাবেশে DYFI এর প্রাক্তণ সর্বভারতীয় সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের হুঙ্কার
লাল চৌরঙ্গি
মুখোমুখি কমরেড দেবাঞ্জন দে(SFI কলকাতা জেলা সভাপতি)
ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলি করছে সরকারই, অভিভাবকদের ফোন পেয়ে হতবাক বেসরকারী সংস্থা
Speech Of Umar Khalid at JNU Freedom Square #FreeUmarKhalid
আজ সিঙ্গুরে জনসভায় মিছিলে- স্লোগানে মুখরিত স্কুলের ক্ষুদেরাও..❤️  #sfi #dyfi
জামিনে মুক্ত SFI পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক কমরেড অনির্বাণ রায়চৌধুরী
কোর্টে তোলার সময় SFI পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অনির্বাণের বার্তা🫶🏼। #sfi #ReleaseAllPoliticalPrisoners
গতকালের SFI এর ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশে.....
"মিছিলেও প্রেম হোক ভেঙে যাক মোহ তুমি সাজো ব্যারিকেড আমি বিদ্রোহ" #SFI_JATHA #MarchForEducation #sfi
Independence Democracy Socialism Zindabaad
মরুশহরে বিজয়ঝড় চলছে শ্বেত পতাকার।রাজস্থানে ছাত্রসংসদ নির্বাচনে প্রতিটি জেলায় ঝড় তুললো SFI ।

Location

Category

Address


56, Barrackpore Trunk Road, Paikpara
Kolkata
700050

Other Education in Kolkata (show all)
Army Institute of Management, Kolkata Army Institute of Management, Kolkata
Plot No III/B-11, Action Area III, New Town, Rajarhat, Kolkata/
Kolkata, 700027

"Managerial Brass with Army Class" Army Institute of Management, Kolkata (AIMK) was established in

Fotograffitti Photography Studio and Institute Fotograffitti Photography Studio and Institute
Kolkata, 700020

Photography Studio and Institute.

KriyaKids KriyaKids
KRIYA STUDIO. 26/3 Ballygunge Circular Road. Next To Red Hot Chilli Peppers
Kolkata, 700019

KriyaKids is a unique regular comprehensive enrichment program for 2-5 yr olds at the KRIYA STUDIO.

Nirmal Agarwal College Coach Nirmal Agarwal College Coach
2/1C Townshend Road
Kolkata, 700025

www.cognixindia.org

Xavier's Commerce Society Xavier's Commerce Society
St. Xavier's College (Autonomous)
Kolkata, 700016

Xavier's Commerce Society is the representative society of the B.Com department at St. Xavier's College, Kolkata.

Kredent Academy Kredent Academy
3 Pretoria Street
Kolkata, 700071

Kredent Academy - (www.kredentacademy.com) is a Capital Market Training Institution.

gaming school gaming school
Kolkata, Ahmedabad, Nigeria, Allahabad
Kolkata, 700109

game development Training Institute industry’s leading production-based training programs in anima

sT.mAry'S sCOol sT.mAry'S sCOol
92 Ripon Street
Kolkata, 700016

SMS is the most hospitable place i have ever visited....proud to be a marian....those champion like

Vivekananda college Trinamool Chatra Parishad Vivekananda college Trinamool Chatra Parishad
Rabindranath Thakur Road, 153, Diamond Harbour Rd, Mukund Das Colony, Thakurpuku
Kolkata, 700063

Vivekananda college Trinamool Chatra Parishad

General Knowledge -Bicep General Knowledge -Bicep
Kolkata

Bhattacharjee Institution for Competitive Examination Preparation

My College Search My College Search
Kasba
Kolkata, 700107

Mycollegesearch.in is the reliable and trustworthy source to help you get admission.in MBBS | BDS |