
☀️🌿 Good Morning! Have a blessed day 🌿☀️
He works best who works without any motive, neither for money, nor for fame, nor for anything else.
(CW/V1/Karma-Yoga/The Ideal of Karma-Yoga)
সাঁকরাইল সেন্ট্রাল শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সঙ্ঘ
সাঁকরাইল, হাওড়া - 711313
Operating as usual
☀️🌿 Good Morning! Have a blessed day 🌿☀️
He works best who works without any motive, neither for money, nor for fame, nor for anything else.
(CW/V1/Karma-Yoga/The Ideal of Karma-Yoga)
Want and anxiety are the causes of all unhappiness and happiness too. Is want increasing or decreasing? Is life becoming simple or complex? Certainly, complex. Wants are being multiplied. Your great-grandfathers did not want the same dress or the same amount of money [you do]. They had no electric cars, [nor] railroads, etc. That is why they had to work less. As soon as these things come, the want arises, and you have to work harder. More and more anxiety, and more and more competition.
Swami Vivekananda
(CW/V6/Lectures and Discourses/Worshipper and Worshipped)
🌜Good Night🌛
Pray for knowledge and light; every other prayer is selfish.
(CW/V1/Raja-Yoga/The First Steps)
🌺🌺🌺Jai Maa Bhavatarini🌺🌺🌺
☀️🌿 Good Morning! Have a blessed day 🌿☀️
Nothing else is necessary but these — love, sincerity, and patience.
(CW/V4/Writings: Prose/To my Brave Boys)
A disciple asked if all men can get rid of desires. Mother replied, "How can they? If they could, then the creation would come to an end. The world is going on because not all can be free of desires. People with desires are born again and again."
[Post # 1,568] Reminiscence of Swami Turiyananda (1863-1922):
My Master was a perfect yogi. Nothing remained hidden from him. He knew our minds through and through. We didn't have to ask him anything. He anticipated all our thoughts. We never had the impression that he was teaching us, yet he watched us all the time. Nothing escaped him. He knew what pitfalls stood in our way, and he made us avoid them.
"Only people who have renounced the world can resist the temptation of wealth."
[Post # 1,543] Reminiscence of Swami Premananda:
Be pure. Purity is religion. Unite your speech and mind. Sri Ramakrishna was the embodiment of purity.
A man earned a lot of money by taking bribes. One day this person touched the Master's feet while he was in samadhi and he cried out in pain. During the Master's samadhi we had to hold him so he would not fall, but we were afraid. We thought that if we were not pure enough, then, when we touched him during samadhi, he would publicly cry out in pain. So we prayed for purity.
আজ ঐতিহাসিক ১১ই সেপ্টেম্বর................
আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
১৮৯৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকার চিকাগো ধর্ম মহাসভায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। আজ তার ১২৯তম বর্ষপূর্তি। চিকাগো ধর্ম সম্মেলনে ভারত সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ বৈদিক জ্ঞানের আগুন জালিয়ে দিয়ে এলেন প্রতীচ্যে। তুলে ধরলেন বিজয় কেতন। আজ আমাদের সমগ্র জাতির কাছে গর্বের দিন। স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতার বঙ্গানুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করলাম আপনাদের সকলের জন্যে আরো একবার আজকের এই মহাপুণ্য দিনে............ জয়তু স্বামীজী মহারাজ!!!
হে আমেরিকাবাসী ভগিনী ও ভ্রাতৃবৃন্দ, আজ আপনারা আমাদিগকে যে আন্তরিক ও সাদর অভ্যর্থনা করিয়াছেন, তাহার উত্তর দিবার জন্য উঠিতে গিয়া আমর হৃদয় অনিবর্চনীয় আনন্দে পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে। পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসি-সমাজের পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইতেছি। সর্বধর্মের যিনি প্রসূতি-স্বরূপ, তাঁহার নামে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি। সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের অন্তর্গত কোটি কোটি হিন্দু নরনারীর হইয়া আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ দিতেছি।
এই সভামঞ্চে সেই কয়েকজন বক্তাকেও আমি ধন্যবাদ জানাই, যাঁহারা প্রাচ্যদেশীয় প্রতিনিধিদের সম্বন্ধে এরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিলেন যে, অতি দূরদেশবাসী জাতিসমূহের মধ্য হইতে যাঁহারা এখানে সমাগত হইয়াছেন, তাঁহারাও বিভিন্ন দেশে পরধর্মসহিষ্ণুতার ভাব প্রচারের গৌরব দাবি করিতে পারেন। যে ধর্ম জগৎকে চিরকাল পরমতসহিষ্ণুতা ও সর্বাধিক মত স্বীকার করার শিক্ষা দিয়া আসিতেছে, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি। আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করিনা, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি। যে ধর্মের পবিত্র সংস্কৃত ভষায় ইংরেজী ‘এক্সক্লুশন’ (ভবার্থঃ বহিষ্হকরণ, পরিবর্জন) শব্দটি অনুবাদ করা যায় না, অমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া গর্ব অনুভব করি। যে জাতি পৃথিবীর সকল ধর্মের ও সকল জাতির নিপীড়িত ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণকে চিরকাল আশ্রয় দিয়া আসিয়াছে, আমি সেই জাতির অর্ন্তভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি। আমি আপনাদের এ-কথা বলিতে গর্ব অনুভব করিতেছি যে, আমরাই ইহুদীদের খাঁটি বংশধরগণের অবশিষ্ট অংশকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি; যে বৎসর রোমানদের ভয়ংঙ্কর উৎপীড়নে তাহদের পবিত্র মন্দির বিধ্বস্ত হয়, সেই বৎসরই তাহারা দক্ষিণভারতে আমাদের মধ্যে আশ্রয়লাভের জন্য আসিয়াছিল। জরথুষ্ট্রের অনুগামী মহান্ পারসীক জাতির অবশিষ্টাংশকে যে ধর্মাবলম্বিগণ আশ্রয় দান করিয়াছিল এবং আজ পর্যন্ত যাহারা তাঁহাদিগকে প্রতিপালন করিতেছে, আমি তাঁহাদেরই অন্তর্ভুক্ত। কোটি কোটি নরনারী যে-স্তোত্রটি প্রতিদিন পাঠ করেন, যে স্তবটি আমি শৈশব হইতে আবৃত্তি করিয়া আসিতেছি, তাহারই কয়েকটি পঙক্তি উদ্ধৃত করিয়া আমি আপনাদের নিকট বলিতেছিঃ ‘রুচীনাং বৈচিত্র্যাদৃজুকুটিলনানাপথজুষাং। নৃণামেকো গম্যস্ত্বমসি পয়সামর্ণব ইব।।
–বিভিন্ন নদীর উৎস বিভিন্ন স্থানে, কিন্তু তাহারা সকলে যেমন এক সমুদ্রে তাহাদের জলরাশি ঢালিয়া মিলাইয়া দেয়, তেমনি হে ভগবান্, নিজ নিজ রুচির বৈচিত্র্যবশতঃ সরল ও কুটিল নানা পথে যাহারা চলিয়াছে, তুমিই তাহাদের সকলের একমাত্র লক্ষ্য।
পৃথিবীতে এযাবৎ অনুষ্ঠিত সন্মেলনগুলির মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাসন্মেলন এই ধর্ম-মহাসভা গীতা-প্রচারিত সেই অপূর্ব মতেরেই সত্যতা প্রতিপন্ন করিতেছি, সেই বাণীই ঘোষণা করিতেছিঃ ‘যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্। মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ।।'–যে যে-ভাব আশ্রয় করিয়া আসুক না কেন, আমি তাহাকে সেই ভাবেই অনুগ্রহ করিয়া থাকি। হে অর্জুন মনুষ্যগণ সর্বতোভাবে আমার পথেই চলিয়া থাকে।
সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে। ইহারা পৃথিবীকে হিংসায় পূর্ণ করিয়াছে, বারবার ইহাকে নরশোণিতে সিক্ত করিয়াছে, সভ্যতা ধ্বংস করিয়াছে এবং সমগ্র জাতিকে হতাশায় মগ্ন করিয়াছে। এই-সকল ভীষণ পিশাচগুলি যদি না থাকিত, তাহা হইলে মানবসমাজ আজ পূর্বাপেক্ষা অনেক উন্নত হইত। তবে ইহাদের মৃত্যুকাল উপস্থিত; এবং আমি সর্বতোভাবে আশা করি, এই ধর্ম-মহাসমিতির সন্মানার্থ আজ যে ঘন্টাধ্বনি নিনাদিত হইয়াছে, তাহাই সর্ববিধ ধর্মোন্মত্ততা, তরবারি অথবা লিখনীমুখে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার নির্যাতন এবং একই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর ব্যক্তিগণের মধ্যে সর্ববিধ অসদ্ভাবের সম্পূর্ণ অবসানের বার্তা ঘোষণা করুক।
- স্বামী বিবেকানন্দ
অভ্যর্থনার উত্তর
(১৮৯৩ সালের, ১১ই সেপ্টেম্বর চিকাগো ধর্ম-মহাসভায়) (সাবর্ণ)
জয়তু বীরেশ্বর!!!
জয় স্বামীজী মহারাজ জী কী জয়!!!
*অবতার বরিষ্ঠায় শ্রীরামকৃষ্ণায় তে নমঃ*🕉️🙏🙏💐☘️🕉️
-------------------------------------------
ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের ভাব ও বাণীর প্রদান ধারক ও বাহক 'স্বামী বিবেকানন্দ' শ্রীরামকৃষ্ণকে 'অবতার বরিষ্ঠায়' বলে আখ্যায়িত করেছেন । সেই বরিষ্ঠায় অবতারের বৈশিষ্ট্যগুলি আমরা যৎকিঞ্চিৎ অনুচিন্তন করতে পারি।
🕉️ অপ্রাকৃত জন্ম রহস্য ।
🕉️ চাল কলাবাঁধা বিদ্যার প্রতি অনীহা ,এটা শ্রীরামকৃষ্ণের নিজস্ব শক্তিশালী সিদ্ধান্ত তাঁহার ভবিষ্যৎ জীবনের ইঙ্গিত বহন করে ।
🕉️ তাহার আমিত্ব লোপ পাইয়াছিল , এবং জগদম্বার বালক হয়ে তাঁর হাতের যন্ত্র হয়ে এক বৃহৎ কর্মযজ্ঞ সাধন করেছেন
🕉️ গুরু করণ ব্যতীত, সাধন ব্যতীত, একমাত্র ব্যাকুলতা, পবিত্রতা, সত্যনিষ্ঠা এসব চরিত্র বলে ভগবান দর্শন যে সম্ভব তাহা শ্রীরামকৃষ্ণের জীবন দর্শন ।
🕉️ তিনি যুক্তি ,বিচার, বিজ্ঞানমনষ্কার উপর নির্ভর করে সত্যকে আবিষ্কার করেছেন ।
🕉️ তিনি ছিলেন ত্যাগী সম্রাট। উচ্চ আধ্যাত্মিক ভাবে অধিষ্ঠিত হয়ে গৃহী ধর্ম পালন করেছেন ।-- সন্ন্যাস ও গৃহী আশ্রমের সমন্বয় তাঁর পক্ষেই সম্ভব হয়েছে, ত্যাগের মধ্যে গ্রহণের শিক্ষা দিয়েছেন। আধ্যাত্মিক ও ব্যবহারিক জীবনের ভেদ মুছে ফেলা তাঁহার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
🕉️ ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য একটা পরম্পরা- সৃষ্টি তাঁহার অন্যতম বৈশিষ্ট্য । এবং তিনি নিজেই তা সৃষ্টি করে গিয়েছিলেন । তাঁহার প্রধান দুই শক্তিকে (শ্রী শ্রী মা ও স্বামী বিবেকানন্দ) কার্যভার সমর্পণ করেছিলেন ।
🕉️ শ্রীরামকৃষ্ণ কোন সম্প্রদায় ভুক্ত নয় "সিদ্ধ-সর্ব- সম্প্রদায়- সম্প্রদায়- বর্জিতম্।" কোন আশ্রম বাসী নয়। কোন দেশ, জাতি, বর্ণের মধ্যে আবদ্ধ নয় । তিনি সাগর সদৃশ্য । অনন্ত ভাবময় শ্রীরামকৃষ্ণ একদেশী ভাব কখন ও সহ্য করতে পারতেন না। তাঁর মহাবাক্য "যত মত তত পথ"।
🕉️ অবতারের আলোকচিত্র ফটো' এক দুর্লভ সংগ্রহ । যাহা অন্য অবতারের ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না ।
🕉️ শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত' এ যুগের অবতারের মুখনিঃসৃত অমৃত বাণী অমূল্য সম্পদ ; যাহা তাঁহার প্রকট কালে সরাসরি লিপিবদ্ধ হয়েছিল ।
9🕉️ বিজ্ঞানী শ্রীরামকৃষ্ণ আমাদের আশীর্বাদ করিয়াছেন "তোমাদের চৈতন্য হোক"। এই চৈতন্য ই আমাদেরে নিয়ে যাবে চন্দনের বন , রুপার খনি ,সোনার খনি ,পার করে "শ্রীরামকৃষ্ণ রূপ মহাসাগরে ।
🕉️🙏🏻☘️💐🕉️🙏🏻☘️💐🙏🏻
..........ঈশ্বরের সঙ্গে কথোপকথন .........
ঈশ্বর : চলো , এবার যাবার সময় হয়ে গিয়েছে ।
মানুষ : এত তাড়াতাড়ি ? কিন্তু আমার যে অনেক কিছু করার ছিল ।
ঈশ্বর : আর কিছু করার নেই । এই স্যুটকেসটা নাও আর আমার সঙ্গে চলো ।
মানুষ : কী আছে এই স্যুটকেসে ?
ঈশ্বর : যা কিছু তোমার নিজের ...
মানুষ : আমার নিজের ? মানে আমার জিনিসপত্র , জামাকাপড় , টাকাপয়সা ....?
ঈশ্বর : ওইগুলো এই পৃথিবীর সম্পদ , তোমার নিজের কোনদিনই ছিল না ।
মানুষ : তবে কি ওইগুলো আমার স্মৃতি ?
ঈশ্বর : স্মৃতি তো শুধুই সময়ের সম্পদ ....
মানুষ : তবে কি আমার প্রতিভা ?
ঈশ্বর : না না , সেগুলো পরিস্থিতির অবদান ছিল ।
মানুষ : তাহলে কি এরা আমার পরিবার ও বন্ধু বান্ধব ?
ঈশ্বর : না , তারা ছিল তোমার জীবনযাত্রার সঙ্গী ।
মানুষ : আমার স্ত্রী এবং সন্তান ?
ঈশ্বর : তারা তো তোমার হৃদয়ে ।
মানুষ : তবে কি এটা আমার শরীর ?
ঈশ্বর : না না , সে তো শুধুই ধূলিকণা ।
মানুষ : তবে এ নিশ্চয়ই আমার আত্মা ।
ঈশ্বর : তুমি কিন্তু আবার ভুল বললে । তোমার আত্মা , সে তা আমার ।
মানুষটির দুচোখে জলের ধারা । ভয়ে ভয়ে সে তার দিকে বাড়ানো স্যুটকেসটি খুলল ।
খালি .....
ব্যথিত মনে অশ্রুসজল নয়নে মানুষটি ঈশ্বরের দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে রইল তারপর ধীরে ধীরে বলল : হে পরম পিতা , আমার নিজের বলতে কি কিছুই নেই ?
ঈশ্বর : ঠিক তাই । তোমার কোনদিন কিছুই ছিল না ।
মানুষ : তবে আমার বলতে কী আছে ?
ঈশ্বর : তোমার এই পৃথিবীতে কাটানো মুহূর্তগুলো । যতটা সময় কাটিয়েছ এই পৃথিবীতে , সেগুলো সব তোমার ছিল । জীবন তো শুধুই কতকগুলো মুহূর্ত মাত্র .....
তাই .....
বাঁচো , ভালোবাসো , অন্যকেও বাঁচতে দাও , আর পারলে মানুষের উপকার করো |
কথামৃতম ......... 🍂🍂
১৮৫৪ সালের আজকের দিনেই তিনি কলকাতার এক বিখ্যাত বৈদ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মধুসূদন গুপ্ত। মেধাবী ছাত্রটি পড়াশোনা করেছেন প্রথমে হেয়ার স্কুলে পরে প্রেসিডেন্সি কলেজে। এন্ট্রান্স পরীক্ষায় দ্বিতীয়, এফ.এ পরীক্ষায় পঞ্চম এবং বি.এ পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান লাভ করেছিলেন। শিক্ষক হবার ইচ্ছে ছোট থেকেই, তাই স্নাতক হবার পর কলকাতার সিটি, রিপন, মেট্রোপলিটন, এরিয়ান, ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, মডেল প্রভৃতি স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। পড়াতেন ইংরেজি, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান ও ইতিহাস ।
বিদ্যাসাগরে মশাইয়ের তৈরি শ্যামপুকুর ব্রাঞ্চ স্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকার সময়ই তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। কলেজে পড়তে পড়তেই ১৮৭৩ সালে সেকালের রীতি মেনে বিয়ে করেছিলেন, পাত্রী কেশবচন্দ্র সেনের সম্পর্কীত ভগিনী নিকুঞ্জ দেবী। গিন্নির সাথে ঝগড়া করে একদিন গিয়ে উঠলেন বরাহনগরে ভগ্নিপতি ঈশান কবিরাজের বাড়ি। এখানে থাকার সময় এক সন্ধ্যায় বেড়াতে গেলেন দক্ষিণেশ্বর। ১৮৮২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কোন একটি দিন।
রামকৃষ্ণদেব সেসময় ভক্তদের মাঝে বসে ভাগবতের ব্যাখা করছিলেন। ধূপধূনার গন্ধে চারিদিকে এক মনোরম পরিবেশ। মাস্টার মশাইয়ের কিন্তু ওখানে বেশিক্ষণ বসে থাকতে ভালো লাগলো না। বেরিয়ে চারপাশে বাগান দেখতে লাগলেন। ফেরার সময় আবার একবার মন্দিরে প্রবেশ করলেন, এবার ঠাকুর কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন তাঁর পরিচয়। জবাব দিতে গিয়ে দেখেন ঠাকুর কেমন অন্যমনস্ক। ভাবলেন উনি হয়তো ঈশ্বর চিন্তায় মগ্ন। উঠে বেরিয়ে আসছেন, পেছন থেকে ঠাকুর বলে উঠলেন, "আবার এসো"!
দুদিন পরে ফের গেলেন দক্ষিণেশ্বর, তবে এবার সকাল আটটায়। ঠাকুর আবার তার পরিচয় জিজ্ঞেস করতে করতে হঠাৎ বলে উঠলেন, বিয়ে করেছিস ? উনি হ্যাঁ বলতেই নিজের ভাইপো কে হাঁক দিয়ে বললেন "ওরে রামলাল, যাঃ বিয়ে করে ফেলেছে!” শুনে মাস্টার মশাইটি ভাবলেন এতদিন ধর্মচর্চা উপাসনা করলেও আদর্শ ধার্মিকের চোখে জাগতিক স্তরের ওপরে তিনি উঠতে পারেননি। ঠাকুর এরপর কিছুটা সান্ত্বনার সুরে বললেন, “দেখ, তোর লক্ষণ ভাল ছিল — আমি কপাল চোখ ইত্যাদি দেখলে বুঝতে পারি।”
কান্ট, হেগেল, হার্বার্ট স্পেনসার প্রভৃতি পাশ্চাত্য দার্শনিকদের মতবাদ পড়া মাস্টার মশাইয়ের এতদিন ধারণা ছিলো, মানবজীবনে বুদ্ধিই সর্বশ্রেষ্ঠ বস্তু এবং যাহার বিদ্যালাভ হইয়াছে, সেই প্রকৃত জ্ঞানী। সেদিন সেরকম শিক্ষা না পাওয়া এক মহাপুরুষের কাছ থেকে জানলেন, ঈশ্বরকে জানাই জ্ঞান আর সব অজ্ঞান। ঠাকুর আবার জিজ্ঞেস করলেন সাকারে বিশ্বাসী কিংবা নিরাকারে? মাস্টার জবাব দিলেন, তাঁহার নিরাকার ভাল লাগে। ঠাকুর বললেন নিরাকারে বিশ্বাস থাকা উত্তম বটে, তবে সাকারও সত্য। এই দ্যাখনা আমার মন্দিরের দেবী মৃন্ময়ী নয়, চিন্ময়ী!
মাস্টার মশাই তখনি বলে উঠলেন তাই যদি সত্যি হয় তবে যারা প্রতিমায় উপাসনা করেন, তাদের তো বুঝিয়ে দেওয়া উচিত যে আসলে মাটির প্রতিমা ঈশ্বর নয়, প্রতিমায় ঈশ্বরকে উদ্দেশ করে পূজা করা হয় মাত্র।
অমনি শ্রীরামকৃষ্ণ বলিয়া উঠিলেন, “কলকাতার লোকের ওই এক! কেবল লেক্চার দেওয়া, আর বুঝিয়ে দেওয়া! যদি বুঝাবার দরকার হয়, তিনিই বুঝাবেন। তোর অতো মাথাব্যাথা কেন? তোর নিজের যাতে জ্ঞানভক্তি হয়, তার চেষ্টা কর।” মাস্টার মশাইয়ের অভিমানের সৌধ একেবারে ভেঙেচুরে পড়লো। তিনি বুঝলেন, ধর্ম অনুভূতির বস্তু — বুদ্ধি ততদূর অগ্রসর হতে পারে না।
সেই শুরু, সেদিন থেকে মাস্টার মশাই নিজেকে নিবেদন করলেন শ্রীরামকৃষ্ণ চরণে । ছোট থেকেই ডায়েরি লেখা অভ্যাস ছিল, এরপর থেকে যখনই পরমহংসের সাথে দেখা হতো তাদের কথোপকথনের স্টেনোগ্রাফিক রেকর্ড রাখতে শুরু করেন নিজের ডায়েরিতে। এই রেকর্ডটিই পরবর্তীকালে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত নামক বইয়ের আকার নেয়। প্রথম দিকে যখন ডায়েরি লিখতে শুরু করেছিলেন, তখন তার সেটি প্রকাশের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। রচনাপদ্ধতি সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন, "বাড়ি ফেরার পর স্মৃতি থেকে সব কিছু লিখে রাখতাম। মাঝে মাঝে সারা রাতও জেগে থাকতে হত...মাঝে মাঝে টানা সাত দিন বসে থেকে লিখতে হত। গানগুলিকে স্মরণে আনতে হত, কোন ক্রমে সেগুলি গাওয়া হয়েছিল, সেগুলিও মনে করতে হত। সমাধি ও অন্যান্য সব ঘটনার কথা মনে করতে হত।"
জীবনের শেষ পাঁচ বছর ঝামাপুকুর মর্টন ইন্সটিটিউশন (বর্তমানে আমহার্স্ট স্ট্রীটের হিন্দু অ্যাকাডেমি) কিনে তার অধ্যক্ষ এবং পরিচালক হন। শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সন্ন্যাসী শিষ্যদের কেউ কেউ তার শিষ্য এবং তার ছাত্ররা অনেকে পরে রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের সন্ন্যাসী হয়েছিলেন। সেজন্য অনেকে তাকে ছেলে ধরা মাস্টার বলে ডাকতেন। প্রসঙ্গত এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন বিপ্লবী রাসবিহারী বসু।
"কথামৃত-এর প্রথম খণ্ড (১৯০২) প্রকাশের আগে আ লিফ ফ্রম দ্য গসপেল অফ শ্রীরামকৃষ্ণ (১৮৯৭) নামে একটি ছোট ইংরেজি পুস্তিকা লেখেন। রামকৃষ্ণ দেবের মৃত্যুর পর তাঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে মাস্টার মশাই নিজের ডায়েরিটি প্রকাশের উদ্যোগ নেন। তিনি ভেবেছিলেন এর মাধ্যমে রামকৃষ্ণের চিন্তাভাবনার কথা সঠিকভাবে লোকসমক্ষে প্রচার করা যাবে। ডায়েরি প্রকাশের আগে তিনি সারদা দেবীর অনুমতিও নেন। ১৮৯৮ থেকে ১৯০২ সালের মধ্যে তাঁর ডায়েরির অংশবিশেষ বঙ্গদর্শন, উদ্বোধন, হিন্দু পত্রিকা, সাহিত্য পত্রিকা, জন্মভূমি প্রভৃতি প্রথম সারির সাময়িকপত্রে প্রকাশিত হয। প্রথম চারটি খণ্ড যথাক্রমে ১৯০২, ১৯০৪, ১৯০৮ ও ১৯১০ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর অসুস্থতার জন্য পঞ্চম খণ্ডটির প্রকাশ বিলম্বিত হয়। অবশেষে ১৯৩২ সালে পঞ্চম খণ্ডটি প্রকাশিত হয়। কোনদিনও চাননি তাঁর নাম সর্বসমক্ষে আসুক, তাই 'শ্রীম' ছদ্মনামে প্রকাশ করতেন রচনাবলী। ১৯৩২ সালে মারা যান পরমহংসদেবের এই পরম গৃহী ভক্ত শ্রী মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত। জন্মদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি 🌹🌹
**স্বামীজীর জীবনের স্মরণীয় ঘটনা**
একদিন সন্ধ্যাবেলায় খেতড়িররাজা সঙ্গীতের আয়োজন করেছেন | একজন বাইজী গান গাইবে | স্বামীজী রাজার অতিথি|রাজা তাঁকে গান শুনতে আমন্ত্রণ জানিয়ে লোক পাঠালেন |
স্বামীজী এলেন না,বলে পাঠালেন :সন্ন্যাসীর পক্ষে এমন আসরে উপস্থিত থাকা অনুচিত | গায়িকা এতে মর্মাহত হয়ে গান ধরল : 'হামারে প্রভু অবগুণ চিত না ধরো, সমদরশী হ্যায় নাম তিহারো অব মোহি পার করো'—
প্রভু, আমার দোষ দেখ না | তোমার নাম সমদর্শী—আমাকে উদ্ধার কর |স্বামীজীর কানে গানটি পৌঁছল |গানটির ছত্রে ছত্রে এই সত্যটি প্রকাশিত যে ভগবান সর্ব বস্তুতে বিরাজ করছেন |
গানটি শুনে স্বামীজী মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিলেন :'এই কি আমার সন্ন্যাস ?আমি সন্ন্যাসী, অথচ আমারও এই নারীর মধ্যে আমার ভেদজ্ঞান রয়ে গেছে|'
তাঁর চোখ খুলে গেল তিনি বুঝলেন : সবার মধ্যে সেই এক সত্তা— কাউকে তিনি ঘৃণা করতে পারেন না |তৎক্ষণাৎ স্বামীজী সঙ্গীতের আসরে এসে উপস্থিত হলেন |শোনা যায়, গান হয়ে যাবার পর বাইজীকে মাতৃ-সম্বোধন করে তার কাছে স্বামীজী ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন |
*অবতার তত্ত্ব*
ঠাকুর নরেন কে বলছেন, *আচ্ছা কেউ কেউ যে আমাকে ঈশ্বরের অবতার বলে, তোর কী বোধ হয় ?*
এই কথা শুনে নরেন্দ্র বললেন, অন্যের মত শুনে আমি কিছু করবো না , আমি নিজে যখন বুঝবো, আমার নিজের যখন বিশ্বাস হবে, তখনই বলবো।
এরপর
কাশীপুর উদ্যান বাটিতে ঠাকুর যখন ক্যানসার রোগে যন্ত্রনায় অস্থির হয়ে, ভাতের তরল মন্ড পযর্ন্ত্য গলধঃকরণ করতে পারছেন না , তখন নরেন্দ্র একদিন ঠাকুরের পাশে বসে ভাবছেন, *যদি এই যন্ত্রণার মধ্যে তুমি বলতে পারো আমি সেই ঈশ্বরের অবতার, তাহলে বিশ্বাস হয়। চকিতে ঠাকুর বললেন, যে রাম যে কৃষ্ণ, সে-ই রামকৃষ্ণ রুপে এখন ভক্তের জন্য অবতীর্ণ হয়েছে। ঠাকুরের এই কথা শুনে নরেন অবাক হয়ে রইলেন আর মনে মনে ভাবছেন, তুমি সত্যই অবতার ঠাকুর !*
*জয় ঠাকুর*
● তাড়াতাড়ি সরে যাচ্ছিলেন ভুবনেশ্বরী দেবী। আর কিছুর জন্য নয়, যে শাড়ি পরে আহ্নিক করছিলেন সেটা শতচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
● ভূবণেশ্বরী দেবীর মুখ দিয়ে একটা কথা বেরিয়ে এল : - " নরেন আমাকে একটা গরদের শাড়ি কিনে দিতে পারিস ? এটা আর পরা যায় না।"
● মাথা হেঁট করল নরেন। সে বেকার, ভূতের বেগার খাটছে। কোথায় পাবে সে মায়ের জন্য গরদ কেনার পয়সা ? লজ্জা মা কেন পাবে, লজ্জা পেল ছেলে।
● এদিকে, সেদিনই এক মাড়োয়ারি ভক্ত এসেছে দক্ষিণেশ্বরে। সঙ্গে মিছরির থালা আর তার উপরে একখানা গরদের কাপড়। দেখে ঠাকুরের বড় খুশি খুশি ভাব। দুদিন পরে নরেন এসে হাজির। নরেন যাকে মানে না, সেই আবার দক্ষিণেশ্বরে টেনে আনে।
● "শোন, কাছে আয় - - -
" নরেনকে ডাকলেন ঠাকুর।
নরেন কাছে এল। কিন্তু দাঁড়িয়ে রইল, বসল না। "শোন, এই মিছরির থালা আর গরদখানা তুই নিয়ে যা - - - - -" উচ্চস্বরে হেসে উঠল নরেন। " আমি কি ছোট ছেলে, আমায় মিছরি দিয়ে ।ভোলাবেন ? আর গরদ-- ?"
● "এই গরদখানা তোর মাকে দিবি। তার আহ্নিক করার শাড়ি ছিঁড়ে গেছে। এই গরদ পরে সে আহ্নিক করবে।"
● নরেনের বুকের মধ্যে ধ্বক্ করে উঠল ।
- - -"আপনাকে কে বললে ?"
- - -"ওরে আমি জানতে পারি। শোন গরদখানা নিয়ে যা। তোর জন্য নয়, তোর মায়ে'র জন্য বলছি।"
● - - -"মায়ে'র জন্য আপনার কাছে ভিক্ষে করতে যাব কেন ? যখন রোজগার করতে পারব তখন কিনে দেব মাকে।"
● নরেন চলে গেল হনহন করে। তার তেজ দেখে ঠাকুর হাসতে লাগলেন। এই নাহলে নরেন !
● ঠাকুর - রামলালকে ডাকলেন।
বললেন - "কাল সিমলায় নরেনের বাড়ি যাবি। যখন দেখবি, নরেন বাড়িতে নেই, সটান চলে যাবি তার মা'র কাছে। এই মিছরির থালা আর গরদখানা দিয়ে বলবি আমি পাঠিয়েছি। সাবধান !!! নরেন যেন ঘুণাক্ষরেও টের না পায়। "
● পরদিন দুপুরে লুকিয়ে অপেক্ষা করছে রামলাল। ঐ তো নরেন বেরোচ্ছে। মলিন চাদরখানা গায়ে ফেলে। অমনি ঐ ফাঁকে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েছে রামলাল। একেবারে ভুবনেশ্বরীর দরবারে।
● "আপনাকে এই মিছরির থালা আর গরদখানা ঠাকুর পাঠিয়ে দিলেন ।''
- - -"গরদের কাপড় !!! কি করে জানলেন তিনি ? এইখানে বিলের সাথে কি কথা হল, আর দক্ষিণেশ্বরে অমনি টেলিগ্রাম হয়ে গেল ?"
● সন্ধ্যায় নরেন বাড়ি ফিরে এল। ফিরে দেখল মা গরদের কাপড় পরে বসে আছেন পূজার ঘরে। অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল মায়ের দিকে !!!
● একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল শিরদাঁড়া দিয়ে।
চিরস্বাধীন নরেন থমকে গেল। কথা খুঁজে পেল না।
||◆ *জয় ঠাকুর* ◆ *জয় স্বামীজী* ◆||
** প্রকৃত গুরুরা বোধহয় এমনই হয়।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
শ্রীরামকৃষ্ণ শ্রীমা কে কিভাবে উচ্চশিক্ষা দিতেন সে সম্বন্ধে শ্রীঠাকুরের ভ্রাতুষ্পুত্রী শ্রীমতী লক্ষ্মীদিদি পরবর্তী কালে জনৈক সাধুকে বলেছিলেন, “ঠাকুর সদাসর্বদা মাকে সংসারের অনিত্যতা ও দুঃখকষ্টের কথা বলে বোঝাতেন 'বৈরাগ্য ও ভগবদ্ভক্তিই সার।' বলতেন, 'শেয়াল কুকুরের মতো কতকগুলি বাচ্চা-কাচ্চা বিইয়ে কি হবে??”
শ্রীসারদাদেবী সর্বদাই কাজকর্মে ব্যস্ত থাকতেন। কামারপুকুরের সংসারের সব কাজ নিজ হাতে করতেন। একদিন সকালে তিনি বাড়ির ভিতরে ন্যাতা দিচ্ছেন (গোবর মাটি দিয়ে লেপছেন), ঠাকুর বাইরে দাঁতন করছেন, আর নানা রঙ্গরসের কথা বলে সকলকে হাসাচ্ছেন। শ্রীসারদাদেবীকে লক্ষ্য করে তিনি বললেন, "ছেলের আন্নপ্রাশনে যে কোমরে গোট পরে নাচবে গাইবে, সেই ছেলে মরে গেলে সেইকোমর ভূঁইয়ে আছড়ে কাঁদতে হবে।” লজ্জাশীলা মা নীরবে সব শুনছিলেন। শ্রীঠাকুর বারংবার ছেলের মৃত্যুর কথা বলছিলেন। তা শুনে মা শেষটায় আস্তে আস্তে বললেন, “সবগুলোই কি আর মরে যাবে ?” মার কথা শেষ হতে না হতেই ঠাকুর চেঁচিয়ে বললেন, “ওরে, জাত-সাপের ল্যাজে পা পড়েছে রে, জাত-সাপের ল্যাজে পা পড়েছে। ওমা, আমি বলি, সাদাসিধে ভাল মানুষটি, কিছুই জানে না-পেটের ভিতর সব আছে! বলে কিনা, সবগুলোই কি মরে যাবে ?” তা শুনে শ্রীমা লজ্জায় ছুটে পালিয়ে গেলেন।
ওঁ নমঃ ভগবতে শ্রী রামকৃষ্ণায় নমঃ।
🙏🙏🙏🙏
🌹🌼🌹🌼🌹🌼🌹🌼🌹🌼🌹🌼🌹
In the last couple of years, Hospitality industry has become an important sector that has had a grea
We provide live English classes along with the compulsory fortnightly mock test for preparing childr
Primary school is Junior school. Basic level of primary education.
"Aspirant Guide" established more than a decade ago, is the prominent knowledge firm that acquaints
Here you will find scientific / educational / fact video on almost every topic that is knowledge for
It's an education page completely based on maths and science .
I have YouTube channel one is entaining & another is educational please visit my YouTube channel an