20/10/2022
🚫🚫 ভর্তি ক্লোজড 🚫🚫
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
📣📣 ভর্তি চলছে..
ভর্তি চলছে... 📢📢
[বিঃদ্র- সম্পুর্ণ পোস্ট পড়ার অনুরোধ রইলো]
🔰পূর্বে কোন হিফজ কোর্সে ভর্তি হয়ে থাকলে এড হবেন না প্লিজ! একজন একটি মাত্র হিফজ কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।
কোর্স - সূরা কাহাফ (প্রথম ১০ আর শেষ ১০ আয়াত) হিফজ ,
হাদিয়া- সম্পূর্ণ ফ্রী।
সিট - ২০ টি।
সময় - প্রতিদিন রাত ৮ - ৯ টা (জুমে)
কোর্স শেষে রয়েছে এচিভমেন্ট লেটার 👑
📌এইবার কোর্সের সিট সংখ্যা সীমিত তাই একমাত্র তারাই এড হবেন যারা শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে পারবেন ইন শা আল্লাহ। শেষ পর্যন্ত না থাকতে পারলে দয়া করে এড হবেন না ইং শা আল্লহ। অন্য বোনের হকের প্রতি সচেতন থাকবেন।
💯তাজবিদ সহিহ হওয়া বাধ্যতামূলক।
02/10/2022
🚫🚫 ভর্তি ক্লোজড 🚫🚫
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ..
📣📣ভর্তি চলছে..
ভর্তি চলছে..📢📢
▪️কোর্স - ৩০ তম পারা নাজারা তিলাওয়াত।
▪️হাদিয়া- সম্পূর্ণ ফ্রী।
▪️সিট সংখ্যা - ৮০ টি
▪️ক্লাস - সপ্তাহে ৩ দিন । প্রতি সপ্তাহে শনিবার, সোমবার, বুধবার। বিকাল ৪.৩০ - ৫.৩০ টা।
🔰 ক্লাস জুম মিটিংয়ে নেওয়া হবে ইং শা আল্লহ।
🔰️কোর্স শেষে রয়েছে এচিভমেন্ট লেটার ইং শা আল্লহ👑👑
📍একমাত্র তারাই এড হবেন যারা শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে পারবেন ইং শা আল্লহ। অবশ্যই অন্য বোনদের হকের প্রতি সচেতন থাকবেন।
[যেহেতু আমাদের একাডেমি সম্পূর্ণ হাদিয়া ফ্রী তাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের বোনদের গ্রুপে/পেইজে ইনভাইট করতে পারেন] পোস্ট শেয়ার করতে পারেন ইং শা আল্লহ ।
"কেউ হেদায়াতের দিকে আহ্বান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪}] ইন শা আল্লাহ।
09/09/2022
🚫🚫 ভর্তি ক্লোজড 🚫🚫
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..
[বিঃদ্র- সম্পুর্ণ পোস্ট পড়ার অনুরোধ রইলো]
📣📣 ভর্তি চলছে.. ভর্তি চলছে... 📢📢
কোর্স - তাজবিদ (ব্যাচ -০৫)।
সীট সংখ্যা - ১০০
হাদিয়া- সম্পূর্ণ ফ্রী।
সময় - ৪ মাস।
পরীক্ষা- মোট ৪ টি।
ক্লাস - রবিবার বিকাল ৪-৫ টা বিডি ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৪-৫ টা বিডি, টেলিগ্রামে এ ক্লাশ ইনফরমেশন থাকবে ও zoom meeting এ ক্লাশ নেয়া হবে।
কোর্স শেষে রয়েছে এচিভমেন্ট লেটার ইন শা আল্লাহ।
▫️পরীক্ষাঃ প্রতি মাসে ১ টা পরীক্ষা নেয়া হবে (মৌখিক)।
📍একমাত্র তারাই এড হবেন যারা শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।
📍সাদকায়ে জারিয়ার নিয়তে গ্রুপে ও পেইজে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের বোনদের ইনভাইট দিন।
♦️কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪}] ইন শা আল্লাহ।
28/07/2022
🚫🚫 ভর্তি ক্লোজড 🚫🚫
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ...
📢📢 ভর্তি চলছে... ভর্তি চলছে... 📢📢
👉[বিঃদ্রঃ- সম্পুর্ণ পোস্ট পড়ার অনুরোধ রইলো]
পূর্বে কোন হিফজ কোর্সে ভর্তি হয়ে থাকলে কমেন্ট করবেন না প্লিজ! একজন একটি মাত্র হিফজ কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।
কোর্স - সূরা মূলক হিফয
সীট সংখ্যা - ৫০ টি।
হাদিয়া- সম্পূর্ণ ফ্রী।
সময় - ১ মাস।
পরীক্ষা - ৪টি (প্রতি ১০ আয়াত পর পর ১ টি করে মোট ৩টি এবং সম্পূর্ণ সূরার উপর ১টি পরীক্ষা)
✅ প্রথম ক্লাসে "সূরা মূলক" এর গুরুত্ব সম্পর্কে " আলোচনা করানো হবে ইন শা আল্লহ্।
✅ ক্লাসের সময়ঃ-
⛔ শুক্রবার ও শনিবার সন্ধ্যা ৭ঃ৩০টা থেকে।
⛔ রবিবার ও মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে।
[ বিশেষ কারণে সময় পরিবর্তন হতে পারে ]
⭕ ক্লাস Zoom app এ নেয়া হবে ইন শা আল্লহ্। নির্দিষ্ট সময়ে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ক্লাস লিংক দিয়ে দেওয়া হবে।
♦একমাত্র তারাই এড হন যারা অর্থসহ অনুবাধন করে পড়তে চান এবং শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে পারবেন ইন শা আল্লাহ। (যেহেতু সিট সংখ্যা সীমিত তাই বিনীত অনুরোধ অন্য বোনদের হক নষ্ট করবেন না,আপুরা)।
👉💯তাজবিদ সহিহ হওয়া বাধ্যতামূলক।
♦️এই পোষ্টটি বেশী বেশী শেয়ার করুন যতদ্রুত সীট ফিলাপ হবে আমরা ততদ্রুত ক্লাস শুরু করে দিব।
ইন শা আল্লাহ্♦️
22/07/2022
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ..
ভর্তি চলছে.. ভর্তি চলছে...
কোর্স - ৪০ হাদিস মুখস্তকরণ অর্থসহ।
হাদিয়া- সম্পূর্ণ ফ্রী।
সময় -২ মাস।
পরীক্ষা- মোট ২ টি।
ক্লাসঃ সপ্তাহে ২ দিন । রেকর্ডেড ভিডিও দেওয়া হবে। এবং প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার দুপুর ৩ টায় মুখস্থ পড়া শুনাতে হবে zoom meeting এর মাধ্যমে
➡️কোর্স শেষে রয়েছে এচিভমেন্ট লেটার ইং শা আল্লহ👑
➡️️পরীক্ষাঃ প্রতি ২০ হাদিস পরপর পরীক্ষা নেয়া হবে মৌখিক।
📍একমাত্র তারাই এড হবেন যারা রাসূল (সঃ) এর কথা কাজ ও মৌন সম্মতিকে নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে চান, এবং শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে পারবেন ইং শা আল্লহ।
[যেহেতু আমাদের একাডেমি সম্পূর্ণ হাদিয়া ফ্রী তাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের বোনদের গ্রুপে/পেইজে ইনভাইট করতে পারেন] পোস্ট শেয়ার করতে পারেন ইং শা আল্লহ ।
"কেউ হেদায়াতের দিকে আহ্বান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪}] ইন শা আল্লাহ।
30/06/2022
🚫🚫 ভর্তি ক্লোজড করা হলো 🚫🚫
✳️ ভর্তি চলছে ✴️ আসমাউল হুসনা হিফজ কোর্স
সিট সংখ্যা - ৩০
ক্লাস রুটিন - রবি ও বৃহষ্পতিবার, বিকাল ৫:১০
(রুটিন বিশেষ কারণে পরিবর্তনীয়)
ডিউরেশন - ১.৫+ মাস
ক্লাস - জুম/মেসেঞ্জারে
পরীক্ষা - ৩ টি
কোর্স শেষে রয়েছে অ্যাচিভমেন্ট লেটার, ইনশাআল্লহ।
হিফয কোর্সের রেজিস্ট্রেশন শর্ত -
📌 তাজউইদ অবশ্যই সহীহ হতে হবে
তাজউইদ সহীহ নেই যাদের তারা দয়া করে রেজিস্ট্রেশন করে একটা সীটের হক্ব নষ্ট করবেন না।
📌 রেজিস্ট্রেশন করলে কোর্স অবশ্যই কমপ্লিট করতে হবে। দুইদিন থেকে চলে গিয়ে অন্যের হক্ব নষ্ট করা যাবে না। ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে হিফয বন্ধ করার নিয়ত থাকলে রেজিস্ট্রেশন করবেন না৷ হিফজ শেষ করবেন এই নিয়তের উপর স্থির থাকতে পারলে তবেই রেজিস্ট্রেশন করবেন। পারছি না, ব্যস্ততায় হিফজ করা হচ্ছে না এ ধরণের এক্সকিউজ গ্রহণযোগ্য হবে না।
রুলস -
🔺ক্লাসে যথা সময়ে উপস্থিত থাকতে হবে ৷
🔺এটেন্ডেন্স, এসাইনমেন্ট এর জন্য আলাদা আলাদা মার্ক থাকবে তাই কোর্সে রেগুলার ও সিরিয়াস থাকতে হবে৷
🔺ফ্রি বলে অবহেলা করা যাবে না৷ পেইড কোর্সে আপনি যতটা যত্নশীল মনোভাব রাখেন ঠিক সেরকম তাগিদ এখানেও থাকতে হবে। পেইড কোর্সের ব্যস্ততা এখানে দেখানো যাবে না, সময় বের করতে না পারলে রেজিস্ট্রেশন না করার অনুরোধ রইলো।
❌যারা উপযুক্ত কারণ না দেখিয়ে লিভ নিবেন বা কোর্স সম্পন্ন করবেন না তাদেরকে পরবর্তীতে আর কোনো কোর্সে নেওয়া হবে না।❌
আগ্রহী আপুরা কমেন্ট করুন ইং শা আল্লহ।
10/06/2022
🚫🚫 ভর্তি ক্লোজড করা হলো 🚫🚫
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ..
[বিঃদ্র- সম্পুর্ণ পোস্ট পড়ার অনুরোধ রইলো]
📣📣 ভর্তি চলছে... ভর্তি চলছে.. 📢📢
কোর্স - তাজবিদ (ব্যাচ -০৪)।
সীট সংখ্যা - ১০০
হাদিয়া- সম্পূর্ণ ফ্রী।
সময় - ৪ মাস।
পরীক্ষা- মোট ৪ টি।
ক্লাস - রবিবার বিকাল ৪-৫ টা বিডি ও বূধবার বিকাল ৪-৫ টা বিডি, টেলিগ্রামে এ ক্লাশ ইনফরমেশন থাকবে ও zoom meeting এ ক্লাশ নেয়া হবে।
কোর্স শেষে রয়েছে এচিভমেন্ট লেটার ইন শা আল্লাহ।
▫️পরীক্ষাঃ প্রতি মাসে ১ টা পরীক্ষা নেয়া হবে (মৌখিক)।
📍একমাত্র তারাই এড হোক যারা অনুধাবন করে পড়তে চান এবং শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।
📍সাদকায়ে জারিয়ার নিয়তে গ্রুপে ও পেইজে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের বোনদের ইনভাইট দিন।
♦️কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪}] ইন শা আল্লাহ।
03/06/2022
♦️দুঃখ-কষ্টের সময় পঠিতব্য দোয়া♦️
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কোন দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন হলে বলতেন -
يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ
ইয়া- হাইয়্যূ ইয়া- ক্বাইয়্যূমু বিরাহমাতিকা আসতাগীছ
হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই।
রেফারেন্স: হাসান। তিরমিযীঃ ৩৫২৪
01/06/2022
দোয়া কবুলের উত্তম সময়
» শেষ রাত্রির (রাত্রির তৃতীয় ভাগ তথা তাহাজ্জুদ নামাজের সময়) মধ্য ভাগ।
» লাইলাতুল ক্বদরের রাত্রি।
» আজান ও একামতের মধ্যবর্তী সময়।
» পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের পর।
» প্রত্যেক রাত্রের দ্বি-প্রহরের পর কিছু সময়।
» জুমার দিবসের কিছু সময়। আর তা হলো আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়।
» জুমার খুতবা থেকে জুমার নামাজের জামাতের সময় পর্যন্ত।
» বৃষ্টি বর্ষণের সময়।
» আল্লাহর পথে বেরিয়ে যুদ্ধের জন্য কাতারবন্দী হয়ে অগ্রসর হওয়ার সময়।
» পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের আজানের সময়।
» অযু অবস্থায় ঘুমিয়ে অতপর রাত্রিতে জাগ্রত হয়ে দোয়া করা।
» রমজান মাসে দোয়া করা।
» সেজদারত অবস্থায় দোয়া করা।
» জমজমের পানি পান করার সময়ের দোয়া করা।
» আরাফাতের দিনের দোয়া।
» জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের দোয়া।
» ইফতারির আগের দোয়া।
22/05/2022
🚫🚫 ভর্তি ক্লোজড করা হলো 🚫🚫
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ..
ভর্তি চলছে.. ভর্তি চলছে...
কোর্স - ৪০ হাদিস মুখস্তকরণ অর্থসহ।
হাদিয়া- সম্পূর্ণ ফ্রী।
সময় - ১ মাস।
পরীক্ষা- মোট ২ টি।
ক্লাসঃ সপ্তাহে ৬ দিন। প্রতিদিন দুপুর ৩ টায় রেকর্ডেড ভিডিও দেওয়া হবে। এবং প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার দুপুর ৩ টায় মুখস্থ পড়া শুনাতে হবে zoom meeting এর মাধ্যমে
➡️কোর্স শেষে রয়েছে এচিভমেন্ট লেটার ইং শা আল্লহ👑
➡️️পরীক্ষাঃ প্রতি ২০ হাদিস পরপর পরীক্ষা নেয়া হবে মৌখিক।
📍একমাত্র তারাই এড হবেন যারা রাসূল (সঃ) এর কথা কাজ ও মৌন সম্মতিকে নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে চান, এবং শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে পারবেন ইং শা আল্লহ।
[যেহেতু আমাদের একাডেমি সম্পূর্ণ হাদিয়া ফ্রী তাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের বোনদের গ্রুপে/পেইজে ইনভাইট করতে পারেন] পোস্ট শেয়ার করতে পারেন ইং শা আল্লহ ।
"কেউ হেদায়াতের দিকে আহ্বান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪}] ইন শা আল্লাহ।
07/04/2022
🚫🚫 ভর্তি ক্লোজড 🚫🚫
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া
বারকাতুহ।
ভর্তি চলছে.. ভর্তি চলছে...
[বিঃদ্র- সম্পুর্ণ পোস্ট পড়ার অনুরোধ রইলো]
পূর্বে কোন হিফজ কোর্সে ভর্তি হয়ে থাকলে কমেন্ট করবেন না প্লিজ! একজন একটি মাত্র হিফজ কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।
কোর্স - সূরা কাহাফ (প্রথম ১০ আর শেষ ১০ আয়াত) হিফজ ,
হাদিয়া- সম্পূর্ণ ফ্রী।
পরীক্ষা - ২টি।
কোর্স শেষে রয়েছে এচিভমেন্ট লেটার।
▫️পরীক্ষাঃ ১০ আয়াত পর যেকোন কয়েকটি শুধু আয়াতের পরীক্ষা দিতে হবে।
♦একমাত্র তারাই এড হন যারা শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে পারবেন ইন শা আল্লাহ। 👉💯তাজবিদ সহিহ হওয়া বাধ্যতামূলক।
♦️এই পোষ্টটি বেশী বেশী শেয়ার করুন যতদ্রুত সীট ফিলাপ হবে আমরা ততদ্রুত ক্লাস শুরু করে দিব
ইন শা আল্লাহ♦️
03/04/2022
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
ভর্তি চলছে.. ভর্তি চলছে...
[বিঃদ্র- সম্পুর্ণ পোস্ট পড়ার অনুরোধ রইলো]
কোর্স - সূরা ওয়াকিয়া হিফজ
আয়াত সংখ্যা - ৯৬
হাদিয়া- সম্পূর্ণ ফ্রী।
কোর্স ডিউরেশন - ২মাস
ক্লাস - প্রতি শনিবার এবং বুধবার
পরীক্ষাঃ প্রতি ২০ আয়াত মুখস্ত করার পর সেই ২০ আয়াতের মধ্যে যেকোনো কয়েকটি শুধু আয়াতের পরীক্ষা দিতে হবে।
কোর্স শেষে রয়েছে এচিভমেন্ট লেটার ইন শা আল্লাহ।
⭕ যেহেতু এই সুরার আয়াতগুলো ছোট ছোট। তাই প্রতিদিন কয়েকটি করে আয়াতের রেকর্ডিং দিয়ে দেওয়া হবে গ্রুপে ১০ বার শুনে ১৫ বার রিপিট করে মেসেঞ্জারে ভয়েস মেসেজে পড়া দেবে।
মশক এবং রিভিশনের সুবিধার্থে প্রতি ৪জনে একটি ছোট গ্রুপ করে দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
📌একমাত্র তারাই এড হোক যারা শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।
📌তাজবিদ সহিহ হওয়া বাধ্যতামূলক।
[আগ্রহী আপুরা কমেন্ট করুন এবং পোস্টটি সবাই শেয়ার করে দিন ইং শা আল্লহ ]
01/04/2022
ে_রোজার_টুকিটাকি
☆ রোজা রেখে-
• চুলে,হাতে,পায়ে মেহেদি দেয়া যাবে
• চুলে তেল দেয়া যাবে
• চুল/নখ/অবাঞ্ছিত লোম কাটা যাবে
• হাতে/পায়ে/মুখে/শরীরে তেল/ক্রিম/ভ্যাস্লিন দেয়া যাবে
• ঠোঁটে লিপস্টিক/ভ্যাস্লিন দেয়া যাবে( যদি মুখের ভিতর না যায় )
• টুথপেষ্ট ইউয করে ব্রাশ করা যাবে, তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন টুথপেষ্টের স্বাদ গলার ভেতর না যায়, গেলে ভেঙে যাবে। তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা হচ্ছে না করা।
• চোখে কাজল/শুরমা/লাইনার/ড্রপ দেয়া যাবে
• গায়ে আতর/সেন্ট/বডি স্প্রে/পাউডার দেয়া যাবে।(ছিটাফোঁটা যেন মুখে না যায় )
• মুখে অক্সিজেন নেয়া যাবে(তবে অন্য মেডিসিন(দৃশ্যমান কিংবা তরল) মিক্স থাকলে নেয়া যাবেনা)
• ইঞ্জেকশন দেয়া যাবে
• থুতু গেলা যাবে
• মিসওয়াক করা যাবে
• অজুর কুলির পর মুখ ঝেড়ে পানি ফেলার পর মুখে থুতুর সাথে যা থাকে তা গেলা যাবে
• জিহ্বার আগা দিয়ে খাবারের স্বাদ নেয়া যাবে(তবে না গিলে তা ফেলে দিতে হবে
☆ রোজা ভাঙবে না যদি-
• কেউ ভুলবশত কিছু খেয়ে ফেলে
• অনিচ্ছাকৃত হালকা বা মুখ ভরে বমি হলো( কেউ যদি মুখে আসার পর আবার ইচ্ছাকৃত গিলে ফেলে তবে ভেঙে যাবে,অনিচ্ছাকৃত আবার গলা দিয়ে নেমে গেলে ভাঙবে না)
• স্বপ্নদোষ হয়
• দাঁত ফেলে
• হিজামা করে (শিঙা লাগানো)
• নাক দিয়ে রক্ত পড়ে
• রক্ত দান করে
• বেহুশ হয়ে যায়
• গলায় কিট,মশা ইত্যাদি অনিচ্ছায় ঢুকে যায়
• কান/নাক ফোঁড়ায়
• কান দিয়ে পানি প্রবেশ করে (তবে যদি কানের পর্দা ফাটা থাকে তখন রোজা ভাঙবে
• রক্ত বা সেলাইন নিলে রোজা মাকরুহ হবে নাকি রোজা ভাঙবে বা ভাঙবে না এই প্রশ্ন আসার আগে বলে রাখা ভাল,রোগীর অবস্থা যদি এতই খারাপ হয় যে তাকে রক্ত বা সেলাইন নিতে হচ্ছে সে ক্ষেত্রে রোগীর জন্য রোজা ভাঙা জায়েজ। বরং উচিৎ হবে এমন হালতে রোজা না করে চিকিৎসা নেয়া।
☆ রোজা ভেঙে যাবে যদি-
• হায়েজ/নিফাস হয়
• ইচ্ছাকৃত কিছু খায়
• ফরজ গোসল করার সময় গড়গড়া ও নাকের একদম ভিতরে পানি পৌছায়।( স্বাভাবিক ভাবে কুলি ও নাক পরিষ্কার করবে)
• সিগারেট/বিড়ি/হুক্কা/টানে
• স্বামী-স্ত্রী গভির চুম্বনের ফলে যদি একে অপরের থুতু গিলে ফেলে
• সহবাস করে
• নাকে ড্রপ দেয়
• পায়ুপথ দিয়ে মেডিসিন/পানি ইত্যাদি প্রবেশ করায়(তবে যদি চিকিৎসার জন্য পাইপ প্রবেশ করায়,ও সেই পাইপের সাথে যদি পানি বা কোনো মেডিসিন প্রবেশ না করায় তবে রোজা ভাঙবে না)
• পাথর/লোহার টুকরা, ফলের বিচি গিলে ফেলে
• ইনহেলার /নেবুলেইজার নেয়
☆ রোজার কাজা/কাফফারা/ফিদিয়া
• হায়েজ/নিফাস বা অন্য কোনো অসুস্থতা/দুর্বলতা বা মুসাফির।হওয়ার কারণে যদি কারো রোজা না রাখা হয়,তবে সে একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজা কাজা আদায় করে নিবে
• যদি কোন প্রয়োজন ছাড়া এমনিতেই ইচ্ছা করে রোজা ভেঙে ফেলে,তবে বিরতিহীন ৬০টি রোজা কাফফারা ও একটি কাজা সহ মোট ৬১ টি রোজা রাখবে।বিরতিহীন বলতে বুঝায়, কেউ যদি ৫০টি লাগাতার রেখে একদিন বাদ দেয় তবে তাকে আবার শুরু থেকে ৬০টি রাখতে হবে।তবে মহিলারা রোজার মাঝে হায়েজ আসলে,তা থেকে পবিত্র হয়ে যেখানে থেমেছিল তারপর থেকে কাফফারা আদায় করবে।
• ইচ্ছাকৃত সহবাস করে ফেললে বিরতিহীন ৬০টি রোজা কাফফারা ও একটি কাজা সহ ৬১টি আদায় করবে।বিরতিহীন বলতে বুঝায়, কেউ যদি ৫০টি লাগাতার রেখে একদিন বাদ দেয় তবে তাকে আবার শুরু থেকে ৬০টি রাখতে হবে।মহিলারা রোজার মাঝে হায়েজ আসলে,তা থেকে পবিত্র হয়ে যেখানে থেমেছিল তারপর থেকে কাফফারা আদায় করবে।
• কেউ যদি এই কাফফারা আদায় করতে না পারে কোনো খুব বেশি অসুস্থতা( কোনো মরন ব্যাধি ) বা বার্ধক্যজনিত কারণে, তবে সে ৬০ জন মিসকিন কে ২ বেলা পেট ভরে খাওয়াবে।
• কেউ যদি এমন ভাবে অসুস্থ হয় যে তার আর সুস্থ হওয়ার লক্ষণ নেই,অর্থাৎ এমন কোন সম্ভাবনা নেই যে সে সুস্থ হয়ে এরপর কাজা আদায় করবে,যেমন কারো মরন ব্যাধি হলো,সেই ক্ষেত্রে সে ফিদিয়া আদায় করবে। ফিদিয়া হচ্ছে একটি রোজার পরিবর্তে একজন মিসকিন কে খাওয়ানো(১.৫কেজি পরিমান চাল/গম/খেজুর।পুরো একমাসের ৪৫ কেজি।)তবে কেউ যদি আর সুস্থ হবেনা ভেবে ফিদিয়া আদায় করে দেয় ও পরবর্তীতে সুস্থ।হয় তবে তার আদায়কৃত ফিদিয়া সাদাকা হসেবে গন্য হবে ও তাকে রোজা গুলোর কাজা আদায় করতে হবে।
☆অতিরিক্ত কিছু কথাঃ
• রোজা শুদ্ধ ভাবে পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য অনেক শর্ত থাকলেও তারাবির নামাজের সাথে রোজার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অনেকে মনে করেন তারাবির ২০ রাকাত নামাজ আদায় না করলে রোজা শুদ্ধ হবেনা।
কেউ যদি সব শর্ত রেখে রোজা রাখেন কিন্তু তারাবি না পড়েন তবে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
• তবে এও বলে রাখি, সারাবছর নয় বরং এই একটি মাসেই আমরা বাড়তি সোওয়াবের আশায় তারাবির নামাজ আদায় করে থাকি। আর রমজান মাসটাই হলো অনেক বেশি করে ইবাদাত করার মাস। তাই কোনো অজুহাত রাখবোনা তারাবির নামাজ না পড়ার।
নোটঃ রোজার কাজা বা কাফফারা আদায়ের সময় তারাবির নামাজ পড়তে হবে না।
• কারো যদি গোসল ফরজ হয় কিন্তু ফজরের ওয়াক্তের আগে সময় না পায় গোসল করার তবে সে আগে সাহরি খেয়ে নিবে ও আজানের পর গোসল করতে পারবে।
☆ রোজার নিয়তঃ নিয়ত অর্থ সংকল্প করা, বা মনের উদ্দেশ্য, আমরা রোজা রাখার জন্য যে ঘুম থেকে উঠছি,বা সাহরি খাচ্ছি, এটাই আমাদের নিয়ত। নিয়তের জন্য আলাদা ভাবে “ নাওয়াইতু আনাসুমু গাদান ... ” এই দুয়াট পড়া সুন্নত বিরোধী। অর্থাৎ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিংবা উনার সাহাবীগন কেউই এমন টা বলেন নাই। এখানে আরেকটা বিষয় বলা জরুরি,আরবি হিসেবে দিন শুরু হয় মাগরিব থেকে। বা একটা দিন হলো এক মাগরিব থেকে আরেক মাগরিব। দেখা যাচ্ছে নিয়তে যা বলছি নাওয়াইতু আন আসুমা গদান এর অর্থ আমি আগামীকাল রোজা রাখার নিয়ত করছি। এর দ্বারা বিষয় টা এমন হলো এইযে আমি আজ রোজা রাখছি অথচ নিয়ত টা করেছি আগামীকাল রোজা রাখার জন্য অর্থাৎ আমি আজ নিয়ত ছাড়াই রোজা করলাম!
নোটঃ নিয়তের জন্য মুখে দুয়া বলা আবশ্যক মনে করা সুন্নতের খিলাফ। তাই এই কাজ থেকে ফিরিয়ে নিতে অনেকে এভাবে বলেন যে নিয়ত বলতে হয়না। এবং যাকে বলা হয় তিনি বিষয়টি ভুল বুঝে মনে করেন, যে নিয়তই করতে হয়না। তখন তিনি সন্দেহে পড়ে যান এবং নিয়ত করা থেকেও বিরত থাকেন। অথচ নিয়ত ছাড়া কোন ইবাদাতই গ্রহণযোগ্য নয়। মূলত নিয়ত হলো করার জিনিস,বলার জিনিস নয়।নিয়ত মুখে বলা জরুরি নয়। অন্তরে করা জরুরি।আমাদের কে বুঝতে হবে আমাদের সব আমল কবুল হয় নিয়তের উপর নির্ভর করে তাই সব কাজের স্পষ্ট নিয়ত করবো। মুখে দুয়া বলে নয় বরং অন্তরে সংকল্প করে।
রোজা নিয়ে আরও কিছু লেখাঃ
ফিকহুস সিয়াম- ১
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2381691825399614&id=100006764583859
ফিকহুস সিয়াম- ২
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2382452991990164&id=100006764583859
ফিকহুস সিয়াম- ৩
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2383677035201093&id=100006764583859
সিয়ামরত অবস্থায় বিভিন্ন বস্তু ব্যবহারের হুকুমঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2385130258389104&id=100006764583859
হায়েজ/নিফাস/গর্ভাবস্থা/ব্রেস্টফিডিং ও রমাদ্বানঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2058796417746614&id=100008488274705
Feel Free To Like/Copy-Paste/Share
31/03/2022
👉সারাংশ লেখার জন্য এগুলো পড়তে পারেন।।
আজকের সারাংশ লেখার বিষয় -
১) সূরা লাহাব।
২) সূরা নাসর।
৩) সূরা কাফিরুন।
৪) সূরা কাওসার।
♦️সূরাতুল কাউসার♦️
মাক্কি। আয়াত তিন
এই সূরায় তিনটি মাকসাদ (উদ্দেশ্য) বিবৃত হয়েছে।
প্রথম মাকসাদ: নবীজি (সা.) এর উপর আল্লাহ তা‘আলা অনুগ্রহ ও ইহসান করেছেন। তাঁকে কাউসার দান করেছেন। কাউসার হল জান্নাতের একটি নহর। কিয়ামতের দিন নবীজি (সা.) নিজের উম্মতকে এই নহর থেকে নিজ হাতে পানি পান করাবেন। কাউসার শব্দের অর্থ প্রভূত কল্যাণ। এ অর্থের ভিত্তিতে নবুওয়াত, কিতাব, হিকমত, ইলম, হক, শাফা‘আত, মাকামে মাহমুদ, মু‘জিযা, কুরআন কারীম ইত্যাদিকেও কাউসার আখ্যায়িত করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মাকসাদ: নবীজিকে (সা.) হুকুম দেয়া হয়েছে, কাউসারের মতো এত বড় নিয়ামত লাভ করার শুকরিয়াস্বরূপ সালাতের প্রতি যতœবান হোন এবং আল্লাহ তা‘আলার
উদ্দেশ্যে কুরবানি করুন।
তৃতীয় মাকসাদ: নবীজিকে (সা.) এই সুসংবাদ শোনানো হয়েছে যে, আপনার দুশমনরা লাঞ্ছিত হবে। তাদের নাম-নিশানাও থাকবে না। এমনই হয়েছিল।
——–
♦️সূরাতুল কাফিরূন♦️
মাক্কি। আয়াত ছয়
এই সূরা নাযিল হয়েছে যখন মুশরিকরা নবীজিকে (সা.) আহ্বান করে বলল: আস! ‘কিছু নাও এবং দাও’ এই মূলনীতির ভিত্তিতে আমরা পরস্পরে আপোষরফা করে ফেলি। এক বছর তুমি আমাদের ইলাহদের ইবাদত করবে, আরেক বছর আমরা তোমার ইলাহের ইবাদত করবো।
এই সূরা ঈমান ও কুফরের মাঝে, একত্ববাদী ও
বহু-ঈশ্বরবাদিদের মাঝে সীমারেখা টেনে দিয়েছে। বলে দিয়েছে তাওহীদ ও শিরক পরস্পর সাংঘর্ষিক মতাদর্শ। উভয়ের মধ্যে আপোষের কোন সুযোগই নেই।
এভাবে অকাট্যাভাবেই আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের আশাকে ধুলিস্মাত করে দিয়েছে। চিরদিনের জন্য স্পষ্ট করে দিয়েছে ঈমানের মধ্যে কুফরের মিশ্রণ চলতেই পারে না। অসম্ভব।
——-
♦️সূরাতুন নাসর♦️
মাদানি। আয়াত তিন
এই সূরায় মক্কা বিজয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। এই দশম হিজরিতে নাযিল হয়েছে। এই সূরা নাযিল হওয়ার পর নবীজি (সা.) বলেছিলেন আমাকে আমার মৃত্যুর ইত্তিলা দেয়া হয়েছে।
নবীজিকে (সা.) দুনিয়াতে পাঠানোর উদ্দেশ্য পুরো হয়ে গিয়েছিল। নবীজি (সা.) যখন
দাওয়াত শুরু করেছিলেন তখন গ্রহণকারী ছিল দুয়েকজন। কিন্তু এখন লোকেরা দলে দলে, গোত্র-গোত্র ইসলামে দাখিল হতে শুরু করেছে। এজন্য নবীজিকে (সা.) হুকুম দেয়া হয়েছে আপনি এ বিজয় ও নিয়ামতসমূহের শুকরিয়া আদায় করুন। তাঁর তাসবীহ পাঠ করুন। তাঁর বড়ত্ব বর্ণনা করুন।
—–
♦️সূরাতুল লাহাব♦️
মাক্কি। আয়াত পাঁচ
এই সূরায়, নবীজির (সা.) চাচা কিন্তু অত্যন্ত নিকৃষ্টতম দুশমন আবু লাহাব এবং তার স্ত্রী উম্মে জামীলের পরিণতির কথা আলোচনা করা হয়েছে। আবু লাহাবের নিজের সন্তান ও সম্পদের ব্যাপারে অত্যন্ত গর্ব ছিল, কিন্তু সন্তান-সম্পদ তাকে আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচাতে পারে নি। এই দুই কুখ্যাত মিয়াবিবি লাঞ্ছনাকর এবং শিক্ষণীয় পরিণতি ভোগ করেছিল।
——
29/03/2022
💠সূরা নাস + সূরা ফালাক💠
👉সূরা নাস, পবিত্র কোরআনের ৬ আয়াত বিশিষ্ট ১১৪ তম মাক্কী সূরা।
১. সূরা নাসের শিক্ষা অনুযায়ী আমরা কার কাছে আশ্রয় চাইবো?
ক. মানুষের কাছে
খ. জ্বিনদের কাছে
✅গ. মানুষের রব, অধিপতি, ইলাহের কাছে
ঘ. পীর দরবেশদের কাছে
২. অন্তরে আত্নগোপনে থেকে কে মানুষকে কু-পরামর্শ দেয়?
ক. মানুষ
খ. ফেরেস্তা
গ. অতৃপ্ত আত্মা
✅ঘ. জ্বিন
৩. প্রকাশ্যে ও গোপনে কাদের মধ্য থেকে আমরা সর্বদা কুপরামর্শ পাই?
✅ক. মানুষ + জ্বিন
খ. নিকটাত্মীয়
গ. মৃত ব্যক্তি
ঘ. পাগল
👉সূরা ফালাক, পবিত্র কোরআনের ৫ আয়াত বিশিষ্ট ১১৩ তম মাক্কী সূরা।
১. আমরা কার কাছে আশ্রয় চাই?
✅ক. সকাল বেলার রবের কাছে
খ. নবী রাসূলদের কাছে
গ. মহা মানবদের কাছে
ঘ. প্রকৃতির কাছে
২. সূরা ফালাক শিক্ষা অনুযায়ী আমরা আশ্রয় চাই ........
✅ক. রাতের অনিষ্ট থেকে
খ. প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে
গ. ভয়ংকর প্রানী থেকে
ঘ. মহামারি থেকে
৩. পবিত্র কোরআনের কোন সূরায় গিরায় ফুঁক দানকারিণীদের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে?
ক. ইনশিরাহ
খ. আলাক্ব
গ. কাফিরুন
✅ঘ. ফালাক
৪. গিরায় ফুঁক দানকারিণী মানে .........?
✅ক. জাদুকর
খ. হাকিম
গ. জ্বিন
ঘ. ফেরেস্তা
৫. সূরা ফালাকের শিক্ষা অনুযায়ী আমরা কাদের থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখবো.....
ক. পরনিন্দাকারী
খ. গিবতকারী
✅গ. হিংসুক
ঘ. জালিম
💠নামকরণ: ফালাক ও নাস💠
সূরা ফালাক ও সূরা নাস উভয় সূরার নামকরণ করা হয়েছে সূরার প্রথম আয়াতে উল্লিখিত শব্দ থেকে। ফালাক (الفلق) শব্দের অর্থ : প্রভাতকাল। আর নাস (النَّاس) অর্থ : মানুষ। এ দুই সূরাকে একত্রে معوذتان বা আশ্রয় প্রার্থনা করার দুই সূরা বলা হয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জাদুগ্রস্থ হওয়ার পর এ সূরাদ্বয় দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা হলে আল্লাহ তা‘আলার রহমতে তিনি সুস্থ হন, তাই এ নামেও এ সূরাদ্বয় পরিচিত।
الْفَلَقِ
অর্থ প্রভাত কাল, উষা। আবার ফালাক অর্থ বিদীর্ণ করা, ফেটে বের হওয়া।
--------
💠সূরা নাস (মানবজাতি)১১৪ নং সূরা
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত ৬, রুকু ১
১) সূরা নাসে কার কাছে আশ্রয় চাওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উঃ "মানুষের রব, অধিপতি ও ইলাহ এর কাছে"।
২) কিসের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উঃ কুমন্ত্রণাদার অনিষ্ট থেকে যে দ্রুত আত্নগোপন করে এবং
মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয় জ্বীন ও মানুষ থেকে।
--------
💠সূরা ফালাক (নিশিভোর) ১১৩ নং সূরা
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত ৫, রুকু ১
১) কার কাছে আশ্রয় চাওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উঃ ঊষার রবের কাছে।
২) কার থেকে আশ্রয় চাওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উঃ ১. তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে।
২. রাতের অনিষ্ট থেকে যখন তা গভীর হয়।
৩. গিরায় ফুঁ দান কারী নারীদের অনিষ্ট থেকে।
৪. হিংসুকের অনিষ্ট থেকে।
-------
আগের পোস্টের লিংক-
সূরা নাস- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=711084070052652&id=100034531952556
সূরা ফালাক-https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=712220359939023&id=100034531952556
11/03/2022
🍁সূরা বাকারা💥
👉নামকরণ ও অবতীর্ণের সময়কাল: اَلْبَقَرَةُ (আল-বাকারাহ) শব্দের অর্থ গাভী। এ সূরার ৬৭-৭১ নং আয়াতে বানী ইসরাঈলের সাথে সম্পৃক্ত গাভী সংক্রান্ত একটি ঘটনা উল্লেখ রয়েছে। সেখান থেকেই বাকারাহ নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে। এটি মদীনায় অবতীর্ণ বিধি-বিধানসম্বলিত সূরাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সূরা। বিশিষ্ট তাবিঈ মুজাহিদ (রহঃ) বলেন: সূরা আল-বাকারার প্রথম চারটি আয়াতে মু’মিনদের ব্যাপারে, পরের দু’টি আয়াতে কাফিরদের ব্যাপারে এবং পরের ১৩টি আয়াতে মুনাফিকদের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে।
👉সূরা বাকারার ফযীলত: সূরা বাকারার ফযীলত সম্পর্কে অনেক সহীহ বর্ণনা পাওয়া যায়। ইমাম ইবনুল আরাবী (রহঃ) বলেন: সূরা বাকারাহ এক হাজার সংবাদ, এক হাজার আদেশ ও এক হাজার নিষেধ সম্বলিত একটি সূরা। (তাফসীর ইবনে কাসীর, আহকামুল কুরআন ইবনুল আরাবী, অত্র আয়াতের তাফসীর) সাহাবী আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: لَا تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ مَقَابِرَ، وَإِنَّ البَيْتَ الَّذِي تُقْرَأُ فِيهِ البَقَرَةُ لَا يَدْخُلُهُ الشَّيْطَانُ “তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত কর না। কেননা যে বাড়িতে সূরা বাকারাহ পাঠ করা হয় তাতে শয়তান প্রবেশ করে না।”(তিরমিযী হা: ২৮৭৭, সহীহ)
সহীহ মুসলিম এর বর্ণনায় রয়েছে: إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْفِرُ مِنَ الْبَيْتِ الَّذِيْ تُقْرَأُ فِيْهِ سُوْرَةُ الْبَقَرَةِ “যে বাড়িতে সূরা বাকারাহ পাঠ করা হয় সে বাড়ি থেকে শয়তান পলায়ন করে।”(সহীহ মুসলিম হা: ৫৩৯)
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমাদের মধ্যে কাউকে যেন এরূপ না পাই যে, সে এক পায়ের ওপর অন্য পা তুলে পড়তে থাকে, কিন্তু সে সূরা বাকারাহ তেলাওয়াত করে না। জেনে রেখ, যে ঘরে সূরা বাকারাহ তেলাওয়াত করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান দ্রুত পালিয়ে যায়। সবচেয়ে খালি ও মূল্যহীন সেই ঘর, যে ঘরে আল্লাহ তা‘আলার কিতাব (কুরআন) পাঠ করা হয় না। (নাসাঈ হা: ৯৬৩, হাদীসটি হাসান)
উসাইদ বিন হুজাইর (রাঃ) একদা রাতে সূরা বাকারাহ পাঠ আরম্ভ করেন। তাঁর পাশেই বাঁধা ঘোড়াটি হঠাৎ করে লাফাতে শুরু করে। তিনি পাঠ বন্ধ করলে ঘোড়াও লাফানো বন্ধ করে দেয়। আবার তিনি পড়তে শুরু করেন এবং ঘোড়াও লাফাতে শুরু করে। তিনি পুনরায় পড়া বন্ধ করেন, ঘোড়াটিও স্তব্ধ হয়ে যায়। তৃতীয়বারও এরূপ ঘটে। তাঁর শিশু পুত্র ইয়াহইয়া ঘোড়ার পাশে শুয়ে ছিল। কাজেই তিনি ভয় করলেন যে, হয়তো ছেলের গায়ে আঘাত লেগে যাবে। সুতরাং তিনি পড়া বন্ধ করে ছেলেকে উঠিয়ে নেন। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করেন যে, ঘোড়ার চমকে ওঠার কারণ কী? সকালে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে হাযির হয়ে ঘটনাটি বর্ণনা করেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘটনা শুনে বললেন: উসাইদ! তুমি পড়েই যেতে। উসাইদ (রাঃ) বলেন: হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তৃতীয় বারের পরে প্রিয় পুত্র ইয়াহইয়ার কারণে আমি পড়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছিলাম। অতঃপর আমি মাথা আকাশের দিকে উঠালে ছায়ার ন্যায় একটি আলোকিত জিনিস দেখতে পাই এবং মুহূর্তেই তা ওপরের দিকে উঠে শূন্যে মিশে যায়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বললেন: তুমি কি জান সেটা কী ছিল? তাঁরা ছিলেন গগণবিহারী অগণিত জ্যোতির্ময় ফেরেশতা। তোমার (পড়ার) শব্দ শুনে তাঁরা নিকটে এসেছিলেন। যদি তুমি পড়া বন্ধ না করতে তাহলে তাঁরা সকাল পর্যন্ত এরূপ থাকতেন এবং মদীনার সকল লোক তা দেখে চোখ জুড়াতো। একজন ফেরেশতাও তাদের দৃষ্টির অন্তরাল হতেন না। (সহীহ বুখারী হা: ৫০১৮৮, সহীহ মুসলিম হা: ২১৯২)
👉সূরা আল-বাকারাহ ও আলি-ইমরানের ফযীলত: আবদুল্লাহ ইবনে বুরাইদাহ (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন- তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে বসেছিলাম। অতঃপর তাঁকে (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতে শুনলাম তোমরা সূরা বাকারাহ শিক্ষা গ্রহণ কর। কারণ এর শিক্ষা অতি কল্যাণকর এবং এর শিক্ষা বর্জন অতি বেদনাদায়ক। এমনকি বাতিল পন্থীরাও এর ক্ষমতা রাখে না। বর্ণনাকারী বলেন: এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন- সূরা বাকারাহ ও সূরা আলি-ইমরান শিক্ষা কর। এ দু’টি জ্যোতির্ময় নূরবিশিষ্ট সূরা। এরা এদের তেলাওয়াতকারীর ওপর সামিয়ানা, মেঘমালা অথবা পাখির ঝাঁকের ন্যায় কিয়ামাতের দিন ছায়া দান করবে। (মুসনাদ আহমাদ হা: ৩৪৮-৩৬১, মুসতাদরাকে হাকীম হা: ৫৬০, ইমাম হাকীম বলেন: হাদীসটি সহীহ মুসলিমের শর্তে কিন্তু তিনি বর্ণনা করেননি) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: কিয়ামাতের দিন কুরআন তেলাওয়াতকারীদেরকে আহ্বান করা হবে। সূরা বাকারাহ ও সূরা আলি-ইমরান (তেলাওয়াতকারীদের) অগ্রে অগ্রে চলবে মেঘের ছায়া বা পাখির মত। এরা জোরালোভাবে আল্লাহ তা‘আলার কাছে সুপারিশ করবে। (সহীহ মুসলিম হা: ৫৫৩)
১ নং আয়াতের তাফসীর: الم-(আলিফ-লাম-মীম) এ জাতীয় অক্ষরগুলোকে الحروف المقطعات “হুরূফুল মুক্বাত্বআত”বা বিচ্ছিন্ন বর্ণমালা বলা হয়। পবিত্র কুরআনে সর্বমোট ঊনত্রিশটি সূরার শুরুতে এরূপ অক্ষর বা হরফ ব্যবহার করা হয়েছে। যার প্রথমটি হচ্ছে সূরা বাকারার “الم”। এসবের মধ্যে কতকগুলো এক অক্ষর, আবার কতকগুলো দুই, তিন, চার এবং সর্বোচ্চ পাঁচ অক্ষরবিশিষ্ট। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ বিচ্ছিন্ন অক্ষরগুলোর কোন নির্ভরযোগ্য তাফসীর পাওয়া যায় না। এ জন্য বলা হয় “اَللّٰهُ أَعْلَمُ بِمُرَادِهِ بِذَلِكَ” মহান আল্লাহই এগুলোর ব্যাপারে ভাল জানেন। (আইসারুত তাফাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর) তবে এর ফযীলত প্রসঙ্গে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আমি এ কথা বলি না যে, আলিফ- লাম- মীম একটি অক্ষর। বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, মীম একটি অক্ষর। প্রত্যেক অক্ষরে একটি করে নেকী দেয় হবে। আর একটি নেকীর প্রতিদান দশ গুণ করে দেয়া হবে। (তিরমিযী হা: ২৯১০, সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব হা: ১৪১৬, সহীহ)
কেউ বলেছেন, এগুলোর অর্থ আছে, এগুলো সূরার নাম। কেউ বলেছেন, এগুলো আল্লাহ তা‘আলার নাম। আবার কেউ বলেছেন এগুলোর কোন অর্থ নেই। কারণ আরবি ভাষায় এরূপ বিচ্ছিন্ন অক্ষরের কোন অর্থ হয় না। আল্লামা মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহঃ) এ কথাই প্রাধান্য দিয়েছেন। ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন: এগুলো এমন বিষয় যার জ্ঞান আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিকট সীমাবদ্ধ রেখেছেন। সুতরাং এগুলোর তাফসীর আল্লাহ তা‘আলার দিকেই সোপর্দ করা উচিত। (কুরতুবী, ইবনে কাসীর ) অতএব “হুরূফুল মুক্বাত্বআত” যা সূরার শুরুতে রয়েছে, এগুলোর ব্যাপারে চুপ থাকাই সবচেয়ে বুদ্ধিমত্তার কাজ। এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা যাবে না, বরং বিশ্বাস করতে হবে যে, আল্লাহ তা‘আলা এগুলো অনর্থক অবতীর্ণ করেননি। এগুলোর পেছনে হিকমত রয়েছে যা আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন। তাছাড়া তৎকালীন আরবরা সাহিত্যে ছিল বিশ্ব সেরা। আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত কুরআন বিশেষ করে এ সকল বিচ্ছিন্ন অক্ষর দ্বারা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এ কুরআনের মত একটি কুরআন অথবা একটি সূরা তৈরি করে নিয়ে আসতে। এমনকি একটি আয়াত তৈরি করে নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ করলেন, তারা তাতেও সক্ষম হয়নি। এ চ্যালেঞ্জ কিয়ামত অবধি বহাল থাকবে, কিন্তু কেউ এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়নি এবং হবেও না। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে কুরআন কোন গণক, জ্যোতিষী বা মানুষের তৈরি কিতাব নয়, বরং বিশ্ব জাহানের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তা‘আলার বাণী যা শব্দ ও অর্থ উভয় দিক দিয়ে একটি চিরস্থায়ী মু‘জিযাহ।
👉আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সূরা বাকারাহ অতীব ফযীলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা।
২. যে বাড়িতে সূরা বাকারাহ তেলাওয়াত করা হয় সে বাড়িতে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না। তাই আমাদের বেশি বেশি এ সূরা তেলাওয়াত করা দরকার।
৩. “হুরূফুল মুক্বাত্বআত”বা বিচ্ছিন্ন অক্ষরের সঠিক জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার কাছে। অতএব এর তাফসীর আল্লাহ তা‘আলার দিকেই সোপর্দ করা উচিত। ৪. কুরআনুল কারীমের একটি অক্ষর তেলাওয়াত করলে দশটি নেকী হয়, বুঝে তেলাওয়াত করুক আর না বুঝে তেলাওয়াত করুক। তবে অবশ্যই বুঝে তেলাওয়াত করার চেষ্টা করতে হবে।
৫. কুরআন সর্বকালের সকল মানুষের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
10/03/2022
🍁সূরা আন-নাস💥
সূরা আন-নাস (আরবি: سورة الناس; মানবজাতি) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১৪ নম্বর এবং সর্বশেষ সূরা এর আয়াত, অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৬ এবং রূকু, তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১। সূরা আন-নাস মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে; যদিও কোন কোন বর্ণনায় একে মক্কায় অবতীর্ণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।এর ছয় আয়াতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য সংক্ষেপে আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করা হয়। এই সূরাটি এবং এর পূর্ববর্তী সূরা আল-ফালাককে একত্রে মু'আওবিযাতাইন (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু'টি সূরা) নামে উল্লেখ করা হয়। অসুস্থ অবস্থায় বা ঘুমের আগে এই সূরাটি পড়া একটি ঐতিহ্যগত সুন্নত।
💥নামকরণ
সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস আলাদা আলাদা সূরা হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এত গভীর ও উভয়ের বিষয়বস্তু পরস্পরের সাথে এত বেশি নিকট সম্পর্কিত যে এদেরকে একত্রে “মু’আওবিযাতাইন” (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে ডাকা হয়; আর এই সূরা দু’টি নাযিলও হয়েছে একই সাথে একই ঘটনার পরি-প্রেক্ষিতে।
💥শানে নুযূল
সূরা ফালাক ও পরবর্তী সূরা আন নাস একই সাথে একই ঘটনায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহু্দী রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর উপর জাদু করেছিল। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক ইহু্দী জাদু করেছে এবং যে জিনিসে জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে। রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) লোক পাঠিয়ে সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। তাতে কয়েকটি গিরু ছিল। তিনি এই সূরা দুটি পড়ে ফুক দেওয়ায় গিরুগুলো সাথে সাথে খুলে যায় এবং সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে শয্যা ত্যাগ করেন।
হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর উপর জাদু করলে তার প্রভাবে তিনি মাঝে মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়তেন এবং যে কাজটি করেননি, তাও করেছেন বলে অনুভব করতেন। একদিন তিনি হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে বললেনঃ আমার রোগটা কি, আল্লাহ্ তা'আলা তা আমাকে বলে দিয়েছেন। (স্বপ্নে) দুব্যক্তি আমার কাছে আসল এবং একজন শিয়রের কাছে ও অন্যজন পায়ের কাছে বসে গেল। শিয়রের কাছে উপবিষ্ট ব্যক্তি অন্য জনকে বলল, তাঁর অসুখটা কি? অন্যজন বললঃ ইনি জাদুগ্রস্ত। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলঃ কে জাদু করেছে? উত্তর হল, ইহুদীদের মিত্র মুনাফিক লবীদ ইবনে আ'সাম জাদু করেছে। আবার প্রশ্ন হলঃ কি বস্তুতে জাদু করেছে? উত্তর হল, একটি চিরুনীতে। আবার প্রশ্ন হল, চিরুনীটি কোথায়? উত্তর হল, খেজুর ফলের আবরণীতে 'বির যরোয়ান' কূপে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) সে কূপে গেলেন এবং বললেনঃ স্বপ্নে আমাকে এই কূপই দেখানো হয়েছে। অতঃপর চিরুনীটি সেখান থেকে বের করে আনলেন।
💥হাদিস
আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মিসীবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। - (ইবনে-কাসীর)
সহীহ মুসলিমে ওকবা ইবনে আমের (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তোমরা লক্ষ্য করেছ কি, অদ্য রাত্রিতে আল্লাহ তাআলা আমার প্রতি এমন আয়াত নাযিল করেছেন, যার সমতুল্য আয়াত দেখা যায় না। অর্থা ক্বুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক এবং ক্বুল আউযু বিরাব্বিল নাস আয়াতসমূহ। অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, তওরাত, ইঞ্জীল, যাবুর এবং কোরআনেও অনুরূপ অন্য কোন সূরা নেই।
এক সফরে রসূলুল্লাহ (সাঃ) ওকবা ইবনে আমেন (রাঃ)-কে সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করালেন, অত:পর মাগরিবের নামাযে এ সূরাদ্বয়ই তেলাওয়াত করে বললেনঃ এই সূরাদ্বয় নিদ্রা যাওয়ার সময় এবং নিদ্রা শেষে বিছানা থেকে উঠার সময়ও পাঠ করো। অন্য হাদীসে তিনি প্রত্যেক নামাযের পর সূরাদ্বয় পাঠ করার আদেশ করেছেন। - (আবু দাউদ, নাসায়ী)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হাবীব (রাঃ) বর্ণনা করেন, এক রাত্রিতে বৃষ্টি ও ভীষণ অন্ধকার ছিল। আমরা রসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে খুঁজতে বের হলাম। যাখন তাঁকে পেলাম, তখন প্রথমেই তিনি বললেনঃ বল। আমি আরয করলাম, কি বলব? তিনি বললেনঃ সূরা এখলাস ও কূল আউযু সূরাদ্বয়। সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো তিন বার পাঠ করলে তুমি প্রত্যেক কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। - (মাযহারী)