Moniruzzaman Monir

Moniruzzaman Monir

Share

সঠিক উপায়ে শিখলে, অল্প পড়েও অনেক ভাল রেজাল্ট করা যায়- মনিরুজ্জামান মনির LEARN WITH MONIRUZZAMAN MONIR

12/06/2025

আপনি যদি ভেবে থাকেন বিমান সংরক্ষণ মানেই স্রেফ এটিকে কোথাও পার্ক করে রাখা, তাহলে আপনি একদম ভুল করছেন না, আবার একদম ঠিকও করছেন না। কারণ, বিমান হলো এমন এক বস্তু, যাকে ঠিক গ্যারাজে ঢুকিয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখা যায় না। এতে থাকে ৬০ ফুট লম্বা ডানা, একেকটি ইঞ্জিনের ওজন প্রায় ৪,০০০ কেজি, আর প্রতিটি ছোটখাট বিমানেরও ন্যূনতম ১০ লাখের ওপরে যন্ত্রাংশ থাকে।

এখানে আসল চ্যালেঞ্জটা হলো—এই বিমানের শরীর যেন মরিচা না ধরে, ইঞ্জিন যেন উল্টাপাল্টা না করে, আর ককপিটের নেভিগেশনগুলো যাতে ঠিকঠাক থাকে।। এজন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর গাণিতিক হিসাব।

প্রথমত, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ। বিমানের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেন ঘামতে না শুরু করে, তার জন্য হ্যাঙ্গারে তাপমাত্রা রাখতে হয় ২১ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। যদি এটি এক ডিগ্রি বাড়ে, তাহলে বিমানের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশের সম্প্রসারণ ঘটে ০.০০০১২ মিটার প্রতি মিটার দৈর্ঘ্যে। এটা শুনে মনে হতে পারে তেমন কিছু না, কিন্তু একটা বোয়িং ৭৭৭-এর ডানার দৈর্ঘ্য ৬০.৯ মিটার। কাজেই এক ডিগ্রিতে সেটি প্রায় ০.০০৭৩ মিটার বা ৭.৩ মিলিমিটার বাড়ে—মানে প্রায় একটা জামার বোতামের সমান। আর একটা জামার বোতামের সমান উল্টাপাল্টা ঘটনা মানেই মাঝ আকাশে বিশাল বিপদ।

এবার আসি আর্দ্রতার কথায়। বিমানের ভেতর যদি বেশি আর্দ্রতা থাকে, তাহলে ইলেকট্রনিক সার্কিট বোর্ডে পানির কণা জমে গিয়ে শর্ট সার্কিট হয়ে যেতে পারে। আর বিমানে শর্ট সার্কিট মানে অনেক সময় ‘আউচ!’ নয়, বরং ‘আউট!’ বলা। তাই আর্দ্রতা রাখতে হয় ৪৫% থেকে ৫০% এর মধ্যে। যদি ৫৫% হয়, তাহলে ককপিটের কাচে পানি জমে এবং পাইলটকে তখন নিজ হাতে উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়—যা সাধারণত তাদের জিএমএস (গ্লোবাল মেস সেন্স) স্কোরের সাথে যায় না।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—টায়ারের সংরক্ষণ। বিমানের টায়ার দেখতে যতটা বড় এবং গম্ভীর, ততটাই সংবেদনশীল। একটি বিমানের টায়ার প্রতি স্কয়ার ইঞ্চিতে ২০০ PSI চাপ সহ্য করতে পারে, যা এক হাড়ভাঙা টেনিস বলের চাপের ১৪ গুণ বেশি। তাই দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকলে টায়ার সমানভাবে চাপ না পেলে তা একপাশে বসে যেতে পারে। সমাধান? প্রতি ১৮ দিন অন্তর টায়ার ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিতে হয়, যেন সব অংশ সমানভাবে বসে। বিমানের টায়ার যেন “চেয়ার পটেটো” না হয়ে পড়ে!

বিমানের ইঞ্জিন হলো এই গল্পের রাজা। ইঞ্জিন ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তা হয়ে উঠতে পারে একজন সর্দিলাগা রোগীর মত। আপনি জানেন কি, প্রতি ৬ দিন অন্তর ইঞ্জিন ঘোরানো না হলে তার টারবাইন ব্লেডে ধুলো জমে গিয়ে ৪.৫% কর্মক্ষমতা কমে যায়? এক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি ৩০ দিন ইঞ্জিন বন্ধ থাকে, তাহলে তাতে খনিজ তেল জমে গিয়ে একধরনের “অ্যালগেব্রিক ক্লগিং” হয়, যেখানে তেলের ঘনত্বের মান চলে যায় ১.৩৮ cP থেকে ২.২৯ cP—মানে এটি ঘন হয়ে আঠার মতো হয়ে যায়। তেল দিয়ে বিমান চালানো যায়, আঠা দিয়ে নয়।

অনেকেই ভাবেন, বিমানের পেইন্ট বা রং শুধু দেখতে ভালো লাগার জন্য। আসলে এটি হল একধরনের তাপ-নিয়ন্ত্রক শিল্ড। যদি আপনি একটি সাদা রঙের বিমানকে মরুভূমিতে ফেলে রাখেন, তাও সে অন্তত ৪.৮ ডিগ্রি কম গরম হবে কালো রঙের তুলনায়। আর এই গরমের পার্থক্য মানে বিমানের ফিউজেলাজে প্রতি বর্গমিটারে ১২.৬ নিউটন অতিরিক্ত বল পড়বে—যা একেকটা স্ক্রুর ওপর ১.৮ কেজির চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আপনি যদি ভাবেন "বাহ! এটাও কি হিসাব করার জিনিস?"—তাহলে আপনি সম্ভবত বিমান প্রকৌশল নিয়ে পড়ালেখা করেননি, তাই আপনাকে দোষ দেওয়া যায় না।

আর হ্যাঁ, পাখি! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন—পাখি। আপনি যতই বিমানকে হ্যাঙ্গারে রাখুন না কেন, পাখিরা পছন্দ করে এর গা বেয়ে উঠে বসে থাকতে। প্রতি বছর শুধু এই পাখির বিষ্ঠার কারণে বিমানের বাহ্যিক অংশ পরিষ্কার করতে ব্যয় হয় প্রায় $১.৭ মিলিয়ন। আর বিমানে যদি পাখি বাসা বাঁধে, তবে সেটা হয় একেবারে জ্বালানি পাম্পের পাশে। একবার এক বিমানে ১৪টি চড়ুইয়ের বাসা পাওয়া গিয়েছিল—একটি ইঞ্জিনের মধ্যে। এতে শুধু পরিষ্কারের খরচই যায় $২৩,০০০।

এবার আসি অদ্ভুত এক গবেষণায়। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে থাকা বিমানগুলোর ইন্টারনাল সেন্সররা ‌মানসিকভাবে‌ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। একে বলে “instrument lag depression syndrome”—একধরনের অবস্থান যেখানে Altimeter বা গতি মাপার যন্ত্র ভুল তথ্য দিতে শুরু করে। ৩০ দিন পর দেখা যায়, প্রকৃত উচ্চতা ৩০০০ ফুট হলেও সেন্সর দেখায় ২৫০০ বা ৩৫০০।

এই অবস্থায় কিছু বিমান সংস্থা তাদের বিমানগুলিকে "ঘুরতে" বের করে—মানে, সপ্তাহে একবার অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য আকাশে ওড়ানো হয়। যাতে বিমানের যন্ত্রপাতি মনে করে তারা এখনও জীবিত, এবং তাদের চাকরি এখনও আছে। একে বলে “maintenance flight,” কিন্তু অভ্যন্তরীণভাবে এটিকে ডাকা হয় “mental health flight.”

মজার কথা হলো, বেশ কিছু সংস্থা আবার বিমানের মধ্যে “আনান্দ উৎসব” করে বিমান চালু রাখে—মানে ইঞ্জিন স্টার্ট করে, এয়ার কন্ডিশন চালায়, আলো জ্বালে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ভুয়া বোর্ডিং করিয়ে ছবি তোলে। এসব কিছুই শুধুমাত্র যন্ত্রগুলোকে বোঝাতে যে, তারা অবহেলিত নয়। আপনি যদি ভাবেন, “বাহ, বিমানেরও অনুভূতি আছে?”—তাহলে আপনি একধাপ এগিয়ে আছেন মানবিক প্রযুক্তির দৃষ্টিভঙ্গিতে।

এখন প্রশ্ন আসে—এই বিমানের সব কিছুর হিসাব রাখে কে? উত্তর—এয়ারক্রাফট মেইন্টেন্যান্স লগ। এটি হলো একধরনের বিমান ডায়েরি, যেখানে লেখা থাকে—“আজ ডানার নিচে ২.১ মিলিমিটার চিপ দেখা গেছে। সম্ভবত লেজ ঘষা লেগেছে।” এটি প্রতি দিন, প্রতি ঘণ্টা, এমনকি প্রতি মিনিটে আপডেট করতে হয়। গড়পড়তা একটি বোয়িং ৭৮৭-এর মেইন্টেন্যান্স রিপোর্ট বছরে প্রায় ২,৩০০ পৃষ্ঠার হয়ে থাকে। এতো বড় বই লেখার জন্য একজন সাহিত্যের লোকের চেয়ে একজন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বেশি প্রয়োজন হয়।

শেষমেশ, একটি বিষয় বলা দরকার—বিমান সংরক্ষণ মানেই শুধু যন্ত্রপাতির যত্ন নয়, বরং এটি একধরনের পোষ্য পালনের মতো। আপনি যেমন আপনার বিড়ালকে খাওয়ান, তার গায়ে হাত বুলান, মাঝে মাঝে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান—তেমনি বিমানকেও “খাওয়াতে” হয় (ফুয়েল দিয়ে), তার শরীর ঘষে পরিষ্কার করতে হয়, এবং মাঝে মাঝে ওড়াতে হয় যেন তার মন খারাপ না হয়।

তাই পরিশেষে বলা যায়, বিমান সংরক্ষণ শুধু বিজ্ঞান নয়, এটি শিল্প। এটি এমন এক ললিতকলা যেখানে গণিতের সূত্র, পদার্থবিদ্যার নিয়ম এবং খানিকটা হৃদয়ের আবেগ মিশে তৈরি হয় এক সুপ্ত ও শক্তিশালী জীবনরক্ষা প্রক্রিয়া। যদি কখনো কোনো বিমানে উঠে বসেন, মনে রাখবেন—এই উড়ন্ত দৈত্যটা অনেক গুনতি, অনেক ঘাম এবং শ্রমের বিনিময়েই আপনাকে নিয়ে উড়াল দিতে যাচ্ছে।

আপনি যখন জানালার বাইরে তাকিয়ে ভাববেন, “আহা! আকাশ কত নীল!”—ঠিক তখনই বিমানের সেন্সররা হিসাব কষছে, “আমি কি এখনও উচ্চতায় ৩২,০০০ ফুটে, নাকি পাইলট কফির সময় ভুলে গেছেন অটোপাইলট অন করতে?”

© Tubelight Media 2025

11/06/2025

বউঃ আপনি আমার কাছে আসবেন না । আমি এক বাচ্চার বাবা কে কখনোই স্বামী হিসাবে মানতে পারবো না ।

বাসর ঘরে ঢুকেই নতুন বউয়ের কাছে বসতেই এই কথা শুনতে হলো আমায়। এটা ও কেন যে কোনো মেয়েই তো চাইবে না তার বিয়ে কোনো বিবাহিত পুরুষের সাথে হোক। তাতে আবার আমার একটা ৭ বছরের মেয়ে আছে ।

আমিঃ হুম। আপনি চিন্তা করবেন না আমি আপনার উপর জোর করে অধিকার ফলাবো না। তবে একটা রিকুয়েষ্ট করি?
বউঃ হুম বলেন।

আমিঃ আমার যে মেয়েটা আছে সে কিন্তু আপনাকে খুব ভালোবাসে। তাই ওকে একটু সন্তানের মতো দেখবেন। ও আপনাকে আম্মু বলে ডাকবে।
বউঃ না। আমি অন্যের মেয়ের আম্মু হতে পারবো না । আর যদি আমায় আম্মু ডাকে তাহলে আমি যেদিনে চোখ যায় সেদিকে চলে যাবো।

আমিঃ সেটার প্রয়োজন হবে না । আপনি ড্রেস চেঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ুন ।

আমি চলে আসতে লাগলাম ।

বউঃ শুধুমাত্র আজ আব্বুর জন্য আমার এই অবস্থা । আমার জীবন টা ধ্বংস করে দিলো নিজের হাতে ।
( বউ নিজেই নিজেকে বলছে)

আমি চলে আসলাম ।

আমি সুমন । আর যার সাথে কথা বললাম সে আমার সদ্য বিয়ে করা বউ মুমু।
আর আমার একটা মেয়ে আছে রুহী। জন্মের সময় ওর আম্মু দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে নেয়।
এরপর আমি অনেক টা ভেঙ্গে পড়ছিলাম ।
কিন্তু রুহীর মুখের দিকে তাকিয়ে আবার নতুন করে বাচার আগ্রহ জন্ম নেয়।

এরপর আমার পুরো পৃথিবী টা রুহীকে ঘিরেই শুরু হয়।
আমি রুহীর আম্মু আমিই ওর আব্বু ।
ব্যাবসার চাপের জন্য রুহীকে খুব বেশি একটা সময় দিতে পারছি না ।
তাই ওকে একটা স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেই।
ভাবছিলাম ঐখানে নতুন বন্ধু হলে ওর সময়টা ভালোই কাটবে।
একদিন আমি ওকে স্কুল থেকে নিতে যাই সেই সময় ও আমায় মুমুকে দেখিয়ে দিয়ে বলে বাপি ঐ যে আম্মু।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি
মেয়েটা দেখতে অনেক টা রুহীর আম্মুর মতোই ।
কিন্তু রুহী তো ওর আম্মুকে দেখে নি তাহলে ঐ মেয়েটা কে আম্মু বললো কেন?

আমিঃ আম্মু তুমি ওনাকে আম্মু বললা কেন?
রুহীঃ বাপি ওটা তো আম্মু। দেখো ঐ যে আম্মু যাচ্ছে ।

এরপর থেকে যখনই রুহী মুমুকে দেখে আম্মু আম্মু বলে ডাকতে থাকে।
ও সব সময় আমায় বলতো আম্মুর কাছে যাবো। তুমি আম্মুকে নিয়ে আসো নয়তো আমায় আম্মুর কাছে দিয়ে আসো।
রুহীকে অনেক যত্ন করে আদর দিয়ে বুকে আগলে রেখেছি। ওর চাওয়া গুলো পূরণ করার সব সময় চেষ্টা করছি কিন্তু এটা তো অসম্ভব ।
কারণ আমি রুহীর আম্মুর জায়গাটা আর কাউকে দিতে চাই না । আর দিতে হয়তো পারবোও না
রুহী খুবই কান্না করতে শুরু করে ।
উপায় না দেখে মুমুর বাবার সাথে কথা বলি ওনাকে পুরোটা বলি ।
এরপর অনেক টা সমস্যার পর ফাইনালি আজ বিয়ে করলাম ।

যাই হোক
আমি রুম থেকে বের হয়ে বাইরে আসলাম।
রুহী ড্রয়িং রুমে টিভি দেখছে আমার এক বন্ধু সহ।

আমিঃ রুহী ঘুমাতে হবে না?
বন্ধুঃ আচ্ছা দোস্ত আমি তাহলে এখন আসি। কাল দেখা হবে ।

আমিঃ হুম ।

আমার বন্ধু চলে গেল । আমি গিয়ে দরজা লক করে দিলাম ।
এরপর রুহীকে নিয়ে পাশের রুমে আসছি।

রুহীঃ বাপি আমরা ঐ রুমে ঘুমাবো না আম্মুর সাথে?
আমিঃ না মা। আজ আম্মু খুব ক্লান্ত । তাই আজ আমরা এই রুমে ঘুমাবো।

রুহীঃ আম্মুর সাথে আমি দেখা করে গুড নাইট বলে আসি?
আমিঃ না। আম্মু হয়তো ঘুমিয়ে পড়ছে । তুমি কাল বলিও।

রুহী আর আমি পাশের রুমে এসে শুয়ে পড়লাম ।

রুহীঃ আম্মু অনেক সুন্দর তাই না বাপি?
আমিঃ হুম আম্মু । অনেক সুন্দর । তবে আম্মু কিন্তু তোমার উপর রেগে আছে ।

রুহীঃ কেন?
আমিঃ তুমি এতদিন তোমার আম্মুকে দূরে রাখছো তাই ।

রুহীঃ আমি তো ইচ্ছে করে রাখি নি। আম্মু কি আমার সাথে কথা বলবে না?
আমিঃ বলবে তবে এখন বলবে না। রাগ কমলে তারপর।

রুহীঃ আম্মুর রাগ কিভাবে কমে?
আমিঃ তুমি তোমার আম্মুর সামনে কোনো কথা বলবা না । এমন কি আম্মু বলে ডাকবা না। তবে আমার সামনে আম্মু বলবা সমস্যা নেই । কিন্তু তোমার আম্মুর সামনে বলবা না আর আম্মুকে বিরক্ত ও করবা না কেমন।

রুহীঃ কেন বাপি?
আমিঃ এসব করলে তোমার আম্মুর রাগ কমবে ।

রুহীঃ আচ্ছা বাপি আমি আম্মুকে একটুও জ্বালাবো না।
আমিঃ আমার লক্ষী মেয়ে ।

এরপর আমরা সারাদিন এ ঘটে যাওয়া সুন্দর সুন্দর ঘটনা গুলো বলি আর হাসি। একটু জোরেই হাসাহাসি করি । তবে আজ পুরো বিষয়টা মুমু অর্থাৎ রুহীর নতুন আম্মু কে নিয়ে ।

আমরা দুজন প্রতিদিন অনেক গল্প করি হাসাহাসি করি । এটা আমাদের নিত্য দিনের রুটিন ।
লক্ষ করে দেখলাম মুমু লুকিয়ে লুকিয়ে আমাদের দেখছে হয়তো বোঝার চেষ্টা করছে আমরা কি নিয়ে এতটা হাসাহাসি করছি।

গল্পঃ আমার সন্তান
১ম পর্ব

10/06/2025

হিন্দু বাড়ি থেকে কোন আক্কেলে কোরবানির গরু কিনলা,বাপ? সত্যি ক‌ইরা বলো তো, তোমার ব‌উ এই বুদ্ধি দিছে ,তাই না? সকাল থেইকা গরু আমার বাড়িতে আর এই সন্ধ্যা বেলায় আমি খবর পাইলাম... এইটা রতনের মার গরু। আজকে তোমার আব্বা নাই ব‌ইলা সংসারে আমার কোনো দাম নাই।

জাহানারা বানু বিছানায় শুয়ে শুয়ে হাঁপাচ্ছেন। তার হাঁপানির সমস্যা রয়েছে। রেগে গেলে তিনি হাঁপাতে থাকেন।

জাহানারা বানুর ছেলে মিজান মাথা নিচু করে বললো,

"আম্মা আপনি তো জানেন,রতনদার মায়ের অবস্থা। উনি কি এই বয়সে, গরু নিয়ে হাঁটে যেতে পারবে? রতনদা এইভাবে তার দুইটা বাচ্চা রেখে মরে গেলো।মাসী কি কষ্ট করতেছে বাচ্চা দুইটা নিয়া। সেজন্যই পারভীন বললো, মাসীর কাছ থেকে গরুটা কিনে নিতে।মাসীর খুব টাকার দরকার। দেখলেন তো ,কতো কম দামে দিয়ে দিলো মাসী।আর গরুটা দেখতে কি সুন্দর! এই গরু হাট থেকে কিনলে, কম করে দশ পনেরো হাজার টাকা বেশি দাম পড়বে।"

মিজানের কথায় জাহানারা বানুর রাগ এতটুকু কমলো না, বরং তিনি আরো রেগে গেলেন।

"আসছেন বিবি হাতেম তাঈ! তোমার আব্বারে আগেই বলসিলাম আমি,এই এতিম মেয়ের সাথে তোমার বিয়েটা না দিতে। সুন্দর মেয়ে দেখলো আর পাগল হয়ে ছেলের ব‌উ করে নিয়া আসলো।বাবা মা ছাড়া বড় হ‌ইসে পারভীন। কোনো ধর্ম কর্মের এলেম পাইসে? তুমি কেমন করে তার কথায়, রতনের মায়ের থেকে গরুটা কিনলা? আমার সাথে একবার পরামর্শ করতে পারতা। টাকা কি পুরাটা দিয়া দিসো নাকি? ফেরত দিতে পারবা না গরুটা? এই ভর সন্ধ্যায় রতনের মা কেন আসছে ? আর কি সর্বনাশ করার বাকি আছে?"

জাহানারা বানুর শ্বাস টান শুরু হয়ে গেল।তিনি জোরে জোরে শ্বাস টানছেন আর হাউমাউ করছেন।

পারভীন বাইরে গরু দেখাশোনার তদারকি করছিল। জাহানারা বানুর হৈচৈ শুনে দৌড়ে ঘরে এলো।

"আম্মা শরীর খারাপ লাগছে আপনার?কি নিয়ে এতো রাগারাগি করছেন? ঈদের আগে আপনার শরীর খারাপ হলে এতো ঝামেলা কে সামাল দিবে বলেন তো?"

জাহানারা বানু পারভীনকে ঠেলে সরিয়ে দিলেন।

"কোন সাহসে তুমি মিজানরে হিন্দু বাড়ির গরু কিনতে বললা? রতনের মার কষ্ট কমাইতে গিয়া, আমরা সবাই কি পাপের ভাগী হবো?"

পারভীন এতক্ষনে শাশুড়ি মায়ের রাগের কারণ বুঝতে পারলো।

"আম্মা, হিন্দু বাড়ির গরু কিনতে আমাদের ধর্মে কোন মানা নাই। হিন্দু বাড়ির গরুর দুধ বাজার থেকে কিনে আনি না আমরা? যেকোনো জিনিস, টাকা দিয়ে একবার কিনে নিলে তো, সেটার মালিক‌ও বদল হয়ে যায়।গরু আপনার ছেলে কিনে এনেছে,এটা এখন আমাদের গরু। চাইলে আপনি সিদ্দিক মামাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করতে পারেন।"

কথা বলতে বলতে, শাশুড়ির বুকে মালিশের তেলটা বের করে আনলো পারভীন।এই তেলটা মালিশ করলে হাঁপানিতে খুব আরাম হয়।

সিদ্দিক মামার নাম শুনে জাহানারা বানু একটু ঠান্ডা হলেন। সিদ্দিক মামা অনেক বড় আলেম, জাহানারা বানুর খালাতো ভাই। গলার স্বর‌ও একটুখানি নরম হলো এবার।

"রতনের মা কেন আসছে? টাকা পয়সা দেওয়া শেষ না? সিদ্দিককে একটা ফোন করো। আমি কথা বলবো..."

পারভীন ইশারায় সিদ্দিক মামাকে ফোন দিতে বললো মিজানকে। তারপর ইতস্তত করে বললো,

"আম্মা, গরুটা তাদের খুব আদরের ছিল। রতনদার মেয়ে সবিতা, সারাদিন গরুটার সাথে সাথে থাকতো। আজকে ওদের গোয়ালঘরটা খালি হয়ে গেছে, মেয়েটা সকাল থেকে কান্না করছে। সারাদিন তাকে কিচ্ছু খাওয়ানো যায় নি। সেজন্যই মাসী ওকে নিয়ে এখানে এসেছে,গরুটা দেখাতে। আমি সবিতার কাছে গিয়েছিলাম, মেয়েটার গায়ে জ্বর চলে আসছে।"

সিদ্দিক মামা ফোন ধরেছেন, সব শুনে মামা বললেন

"পারভীন আর মিজান একদম ঠিক কাজ করেছে,আপা। কোরবানিতে কোনো সমস্যা তো নেই ই, উল্টা বয়স্ক প্রতিবেশীর কষ্ট কমানোর জন্য তারা অতিরিক্ত স‌ওয়াব পাবে, ইনশাআল্লাহ। কোরবানির গরু আপনি অমুসলিমদের কাছ থেকে নিশ্চিন্তে কিনতে পারেন।শুধু তাই নয় আপা, কোরবানির মাংস‌ও আপনি অমুসলিম প্রতিবেশীকে দিতে পারেন।এটা প্রতিবেশীর হক।আর প্রতিবেশী যদি হিন্দু হয়, এবং গরুর মাংস না খায় তাহলে, আপনার গরু কাটা বা রান্নায় তাদের যেন কোন কষ্ট, অসুবিধা না হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। ইসলাম সম্প্রীতি শিখায়, শান্তি শিখায়...বিবাদ নয়। যেকোনো অমুসলিম যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি তার সাথে বিবাদে জড়াতে পারবেন না। আর সে যদি প্রতিবেশী হয়, তাহলে তো কথাই নেই... প্রতিবেশীকে কোনো অবস্থাতেই কষ্ট দিতে পারবেন না। তার সুবিধা অসুবিধা সবার আগে দেখতে হবে।"

জাহানারা বানু ফোন রেখে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে র‌ইলেন। তার শ্বাসকষ্ট কমে এসেছে। কাঁপা গলায় বললেন,

"আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, আমাদের একটা টকটকা লাল গরু ছিল। আমরা তারে লালী ডাকতাম। আমিও সারাদিন গরুটার সাথে সাথে থাকতাম। আম্মা যখন গরুটারে খাওয়াইতো, আমিও আম্মার সাথে খাওয়াইতাম।গরুটারে গোসলের জন্য পুকুরে নামাইলে, আমারেও আব্বা পুকুরের কিনারে বসাইয়া গোসল করাই দিতো।লালীরে যখন বিক্রি করলো, তখন হায়রে আমার কান্দা।লালীরে স্বপ্ন দেইখা ঘুমের মধ্যে চিল্লাইতাম।এই করতে করতে ভয়ানক জ্বর আসলো...ওই সময় থেইকা হাঁপানি শুরু হ‌ইলো। অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখাইয়া জ্বর সারলো।আব্বা এরপর আর কখনো বাড়িতে গরু কিনে নাই। গোয়ালঘর ভাইঙ্গা সেইখানে গাছ গাছালি লাগাই ফেলসে।"
জাহানারা বানু যেন ছোট বেলায় ফিরে গেছেন।

রতনের মা দরজায় এসে দাঁড়ালেন, সাথে ছোট্ট সবিতা। কেঁদে কেঁদে ছোট্ট মেয়েটার চোখ লাল হয়ে গেছে।জাহানারা বানু সবিতাকে নিজের কাছে ডেকে বসালেন। মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন।

"ওমা, মেয়ের তো দেখি জ্বরে গা পুইড়া যায়। পারভীন ওগোরে খাওয়া দেও। তারপরে মেয়েটারে জ্বরের ওষুধ দিও।"

ছেলেকে বললেন, "গরুটা একটু দূরে নিয়া কোরবানি দিস,বাবা। সবিতা যেন না দেখে, কেমন?আর ঈদের পরে একটা সুন্দর একটা বাছুর কিনে রতনের মা'রে দিস। গোয়ালঘর টা খালি থাকলে ভালো দেখায় না।"

জাহানারা বানু শাড়ির আঁচলে চোখ মুছলেন। পারভীন আর মিজান দুই পাশ থেকে মাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে।

#মায়া

লিখেছেন Ruchira Sultana

21/05/2025

✅ শাশুড়ীর সাথে সম্পর্ক ভালো রাখার কিছু টেকনিক।
১. বিয়ের পর পরই সংসারের গিন্নী হতে যাবেন না কারন এই সংসার টাকে তৈরি করেছে আপনার শাশুড়ি তাই তাকে নিজের আপন করে নেন তাহলে সবি আপনার।
২. রান্না করতে গেলে শাশুড়িকে জিজ্ঞাসা করে রান্না করুন, প্রয়োজনে তার পছন্দের খাবার রান্না করুন।
৩. অবসর সময়ে একা সময় না কাটিয়ে শাশুড়ির সাথে তার বিয়ের পরের কথাগুলো জানতে চান, এতে আপনার শাশুড়ি পুরোনো সব স্মৃতিতে ঘুরে আসতে পারবে আপনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হবে।
৪. ভালো শাশুড়িদের কিছু ইসলামিক বই শাশুড়িকে উপহার দেন তাহলে অনেকটা উপকার হতে পারে।
৫. নিজের জন্য কিছু শপিং করতে গেলে শাশুড়ির জন্যও কিনে আনুন দেখবেন খুব খুশি হবে।
৬. শাশুড়ির সাথে একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করুন।
৭. শাশুড়ির চুলে তেল দিয়ে দেন,চুল আচড়িয়ে দেন।
৮. শাশুড়িকে শুনিয়ে শুনিয়ে আপনার মায়ের কাছে শাশুড়ির নামে ইনিয়ে বিনিয়ে প্রশংসা করুন দেখবেন মন গলে যাবে।
৯. শাশুড়ী রেগে বকা দিলে চুপ করে থাকুন,দেখবেন রাগ কমে গেলে নিজ থেকেই কথা বলবে।তর্কে জড়ালে ঝগড়া বাড়বে।
১০. শাশুড়ী অসুস্থ হলে সেবা করুন,বাড়ি থেকে বাইরে গেলে শাশুড়ির অনুমতি নেন।বাসায় ফিরলে বাহির থেকে শাশুড়ির প্রিয় খাবার কিনে আনুন।
১১. আশেপাশের মানুষের কাছে শশুর বাড়ির সবার সম্পর্কে প্রশংসা করুন ইনশাআল্লাহ সবাই ভালোবাসবে।
১২. আর শাশুড়ী কখনো মা হয় না এসব ধারনা মুছে ফেলুন।সব মানুষ এক রকম না তাই মানিয়ে নিতে শিখুন। যদি ভালো লাগে
এটাই আমার পেজ ফলো করুন
ভালোবাসা দিয়েই...
ভালোবাসা অর্জন করা সম্ভব!🙂
সংগৃহীত

17/05/2025

বাচ্চারা আনন্দ পায় না বলে স্কুলে আসে না। এক বৃদ্ধ শিক্ষক সেদিন এলেন পড়াবার জন্য।
--আচ্ছা লেখো তো, এক অক্ষরে 'ডাকাত'।
কেউ লিখতে পারলো না।

তিনি ডা' কাত করে লিখে বললেন- এই হলো ডাকাত।
সবাই হেসে হেসে কূটিকূটি।

আচ্ছা এবার বলো তো কীভাবে এক অক্ষরে 'কাতলা' লিখবে।
সবাই আবার অবাক।
শিক্ষক 'লা' কাত করে লিখে বললেন-- এই হলো কাতলা।
শিশুরা হাসছে তো হাসছে।

তারপর তিনি 'কা' লিখে মুছে দিয়ে বললেন-- বলো এবার কী লিখলাম।
সবাই আবারো অবাক।
তিনি বললেন-- এবার লিখলাম কানাই।
শিশুদের হাসির রোল উঠলো।

এবার তিনি ছাত্রদের বললেন-- বলো তো আমি কেমন পড়ালাম।

ছোট একটা শিশু দাঁড়িয়ে বললো-- আপনি আমাদের আজ কিছুই পড়ান-নি।

কিছুই পড়াইনি! কি বলো!

এবার শিশুটি বোর্ডে গিয়ে একটা সূর্য আঁকলো। সূর্যের চারপাশে কিরণ এঁকে বললো-- আজকে রবি শুধু তার আলো ছড়িয়েছে।

এই স্কুলটি হলো শান্তিনিকেতন
শিক্ষক টি কে জানেন?
"রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর"
আর বোর্ডে যে ছাত্রটি এঁকেছিলেন, তিনি ছোট্ট
“সত্যজিৎ রায়”।

15/05/2025

📌 সন্তান জন্মের পর আমাদের দেশের বেশীরভাগ স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কেই ভাটা পড়ে। ২ জন বা ৩ জন বাচ্চা হলে তো কথাই নেই। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হয়ে যায় ভাইবোনের মতো। বাচ্চার পিছনে দৌড়ে দৌড়ে, সংসারের কাজ করে করে স্বামীর সাথে রোমান্টিক সম্পর্কের মুড আর থাকেনা। সম্পর্কে শুরু হয় তিক্ততা।

- এদিকে দেশীয় কালচারে বাচ্চা নিয়ে ঘুমানো প্রায় সব পরিবারেই দেখা যায়। বাচ্চার বয়স ৫/৬/৭ কিন্তু মা বাবার সাথে শোয়। যেখানে আড়াই বা তিন হলেই বাচ্চাকে আলাদা করে দেয়া উচিত। কারন এরপর বাচ্চারা বুঝতে পারে অনেক কিছুই। রাতে ঘুম ভেংগে সে মা-বাবাকে অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখলে তার মনে যেমন প্রশ্নের উদ্রেক হবে, তেমনি উল্টোদিকে বাচ্চার সাথে একসাথে শোবার কারনে দাম্পত্যে বিঘ্ন তৈরি হয়।

বাচ্চার বয়স আড়াই বা তিন হলেই তাকে আলাদা করে দিন। বাচ্চা কিন্তু কষ্ট পাবেনা, কষ্ট পাবেন আপনি, বাচ্চা দূরে সরে যাবে মনে হবে। কিন্তু না, আসলে বাচ্চা দূরে সরে যায়না। এটা বাচ্চার ভালোর জন্য, আপনাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো থাকার জন্য অত্যাবশ্যকীয়।

বাচ্চার জন্য আলাদা বিছানা রেডি করুন। ওর রুমটাকে ওর পছন্দ মতো সাজিয়ে দিন। রাতে গল্প শুনিয়ে বা বই পড়িয়ে ওকে ঘুম পাড়ান। ঘুমিয়ে গেলে চলে আসুন আপনার রুমে। ও আপনার অনুপস্থিতি টেরও পাবেনা। রাতে ও উঠতে পারে এই ভয় থাকলে একটা বেবি মনিটর কিনে নিন, দাম বেশি নয়। ওর মাথার কাছে মনিটর রেখে রিসিভার আপনার নিজের বালিশের কাছে রাখুন। রাতে উঠলে আপনি সাথে সাথে টের পাবেন, যেমনটা পেতেন আপনার সাথে ঘুমালে। আপনি তো জানেনই সকালে কখন উঠে। তার একটু আগে গিয়ে ওর সাথে শোবেন। ও ঘুম হতে উঠেও আপনাকে পাবে। রাতে যে আপনি ছিলেন না, তা ও বুঝবেইনা।

দ্বিতীয় সন্তান হলে বেশীরভাগ মায়েরা প্রথম সন্তানকে অবহেলা শুরু করে। সব আদর যেন ছোটজনের জন্য, অথচ সে আদরের কিছুই বোঝেনা। আর যে বোঝে সেই বড়জনকে কথায় কথায় ডাক দেয়া, বকা দেয়া চলতে থাকে। মা/ রে*র কথা তো বাদই দিলাম। স্বাভাবিকভাবেই তার মনে ছোট বাচ্চাটার প্রতি বি- দ্বেষ সৃষ্টি হয়। ভাবে, ও না থাকলেই ভালো হতো, মা আদর করতো। অথচ মায়ের উচিত এই সময়ে বড়জনকে বেশি করে সময় দেয়া, আদর করা। বড়জনকে বোঝানো তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা একটুও কমেনি। আপনি আর আপনার স্বামী দুজনেরই দায়িত্ব এটা।

দু বাচ্চার মাঝে তুলনা করবেন না। কারন তারা দুজনই সম্পুর্ন আলাদা মানুষ। দুই বাচ্চার জন্য আলাদা নিয়ম বানাবেন না। একজনকে মোবাইল দেখিয়ে খাওয়াবেন, আরেকজনকে বলবেন খাওয়ার সময় নো ডিভাইস, তাহলে তো হবেনা। দুজনের বেডটাইম যেন এক হয়। কোনো জিনিস কিনলে একজনের জন্য নয়, দুজনের জন্যই কিনবেন।
ছোটটির বয়স যখন আড়াই হবে তখন ওকেও আলাদা করে দিন, বড়জনের সাথে। দুজন একসাথে ঘুমুবে বা একই রুমে দুটো বিছানায়।

দিনে এক হতে দেড়ঘন্টা আলাদা করে রাখুন যখন পরিবারের সবাই মিলে সময় কাটাবেন। হাসি আনন্দ করবেন। বাচ্চাদের সাথে স্বামী স্ত্রী একসাথে খেলবেন। নিজের পার্টনারের দিকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকাবেন। মেজাজ যদি বেশি খারাপ থাকে অকারণে, সরে যান প্রিয় মানুষগুলোর কাছ হতে তাদের আ*ঘাত করার আগেই। আলাদা রুমে বা বারান্দা বা ছাদে গিয়ে মেডিটেশন করুন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন যে কারনে আপনার মেজাজ খারাপ তা কতটা যুক্তিযুক্ত। গভীর নিঃস্বাস নিন। মন খারাপকে ছড়িয়ে দিন বাতাসে।

সংসার তৈরি হয় স্বামী স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে। সংসারের কাজ করতে করতে এই মানুষগুলোই যেন অবহেলিত না হয় সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই। ভালোবাসার সম্পর্কগুলো অটুট থাকুক।

14/05/2025

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। স্বামী রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল।
দশ মিনিট পর স্ত্রীর ফোন, "আমি যেদিকে দুচোখ যায় চললাম তোমার সংসার, ছেলেমেয়ে সব ফেলে।"
স্বামী "ঠিক আছে, যাও" বলে ফোন কেটে দিল। এটা বিশ্বাস!
দুপুরে স্বামী বাসায় ফিরে দেখে স্ত্রী কোথাও যায়নি, বাসাতেই আছে আর রান্নাবান্না করে টেবিলে খাবার সাজিয়ে রেখেছে। এটা মায়া।
এরপর দুজন দুই রুমে মন খারাপ করে করে শুয়ে আছে, কারো কোনো কথা নেই। কেউ কাউকে খেতেও ডাকছে না, নিজেও খাচ্ছে না। এটা অভিমান।
বিকেলে স্ত্রী বাচ্চাকে নিয়ে কোচিংয়ে চলে গেল। এটা দায়িত্ববোধ।
স্বামী বেচারা প্রচন্ড ক্ষুধার্ত হয়ে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে দেখে দুটো প্লেট সাজানো, দুটো গ্লাসে পানি ঢালা। খেতে গিয়েও কি ভেবে খেল না। ঠিক করল স্ত্রী এলে দুজন একসাথে খাবে। এটা অপেক্ষা।
বেডরুমে এসে স্ত্রীর মোবাইলে টেক্সট করল, "তুমি যে কারণে যেতে পার নি, আমিও সে কারণে খেতে পারি নি।" এটা ভালোবাসা!
শুধু ভালোবাসা দিয়ে সংসার টেকে না, সংসার টিকেয়ে রাখার জন্য দরকার বিশ্বাস, মায়া, অভিমান, দায়িত্ববোধ এবং অপেক্ষার।

13/05/2025

ছবিতে যে বাঁশের খুঁটিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি পাহাড়িদের নিজেদের তৈরি মোবাইল টাওয়ার। টাওয়ারের মাথায় এনালগ ফোন রেখে দেওয়া হয়েছে। আপনি যদি মোবাইলটা হাতে নেন, কথা বলতে পারবেন না। বাঁশের মাথায় মোবাইল রেখেই, বাঁশের গোড়ায় বসে ডায়াল করে লাউডস্পিকার অন করে কথা বলতে হবে। এক ইঞ্চি সরালেই নেটওয়ার্ক গায়েব। জায়গাটার নাম রাইতু মনি পাড়া।
আদিম জায়গায় যেতে ঘন্টার পর ঘন্টা হাঁটতে হবে। মানুষ নেই। দিক ভুলে গেলে কাউকে জিজ্ঞাসা করার উপায় নেই। সাথে রাখতে হয় লোকাল গাইড।
রোদে ক্লান্ত? পানি খাবেন?
ঝিরির পানিই খেতে হবে। পরিষ্কার, টলমলে, শীতল পানি। ঝিরির পানি আসে পাথরের ভেতর থেকে। এই পানির নাম খনিজ পানি। মাম-মুক্তা কিংবা ফ্রেস-প্রাণের পানির চাইতেও নিরাপদ এবং সুস্বাদু।
নাস্তা করবেন? ভাত খাবেন? উপায় নেই!
তবে কয়েকটা পরিবার আছে যারা কমার্শিয়ালি ট্যুরিস্টদের রান্না করে খাওয়ান। মেন্যু অল্প। ডাল থাকবে। আমার কাছে এই একটা খাবারই ভাল লেগেছে। বনমোরগ কদাচিৎ। পালিত মোরগের মাংস। অথবা ডিম। সাথে অতিরিক্ত হিসেবে আলুভর্তা।
যাত্রাপথে শুরুর দিকে ইচ্ছেমত কলা কিনে খেতে পারেন। কলার দাম কম। কলা চাষ হয় খাড়া পাহাড়ের গায়ে।
মাইলের পর মাইল জঙ্গল। মাঝেমাঝে কলাগাছের বাগান। বাশের বাগান কিন্তু কাঠ হবে এমন গাছ নেই। বড়গাছ বা ফলের গাছ না থাকায় পাখিও নেই তেমন।
রাতভর জোছনা ছিল। হয়তো ক্লান্তি নিয়ে মাচাঙে বসে আছি খালিগায়ে। জোছনায় ভেসে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ প্রান্তর। পাহাড় বেয়ে আসছে শীতল বাতাস। অথচ দিনে আগুনের মত উত্তপ্ত সব।
যাদের বাড়িতে ছিলাম, তাকে রাতে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কারো অসুখ হলে কী করেন?’
কিছুই করে না। অসুখ হলে মারা যায়। ঔষুধ কিংবা হাসপাতাল নেই। বিত্তবান কিংবা ক্ষমতাসীনদের কেউকেউ চারজন মানুষের কাঁধে উঠে দূরের হাসপাতালে আসে। তবে সেটা অনেক বছরে একবার ঘটে।
পাহাড়ের সবাই দেখতে একই রকম। হাসি আনন্দে কান্নায় তাদের মুখের ভঙ্গি বদলায় না।
ছোট ছোট পাথর দেখে যাত্রা শুরু হয়েছিল। যত গহীনে এসেছি ততই বড় হয়ে যাচ্ছিল পথের পাথর। ব্যস্তানুপাতে কমছিল মানবিক ত্রুটি। যেন ছোট পাথরের দুনিয়ার মানুষ বড়পাপের, আর বড় পাথরের দুনিয়ার মানুষ ছোটপাপের।
টানা পাঁচ দিন আমরা সবাই নেটওয়ার্কের বাইরে। মোবাইলগুলো নিতান্তই ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অধিকাংশ সময় ব্যাগবন্দি হয়ে ঘুমিয়ে থাকছে। সবাই রোদে পুড়ছে, পাহাড়ে চড়ছে। পানিতে ডুবছে, টানা বারান্দায় ডাল, ভর্তা খাচ্ছে। কেউ মোবাইল চাপছে না। কেউ কাউকে চেনে না কিন্তু সবার জন্য সবার অসীম দরদ। কারো পায়ে ফোস্কা পড়েছে। আরেকজন টেনে নিয়ে যাচ্ছে তার ভারী ব্যাগ। অথচ তারও হয়তো কোমরে বাথা, হাঁটুতে শক্তি নেই।
পাহাড় আমাকে সবসময় টানে! তাই আমি নেশায় পাহাড়ী।
আমি আবার পাহাড়ে যাব।
আমি আবার গহীনে যাব।
লেখা : ফেইসবুক হতে প্রাপ্ত ও নিজের অভিজ্ঞতা হতে কিছুটা পরিবর্তিত।

12/05/2025

কক্সবাজার আগমনে ইচ্ছুক সম্মানিত পর্যটকগনের প্রতি কিছু পরামর্শঃ আশা করি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

১. বাস থেকে নামার পর নিজেদের ইচ্ছামত অটোতে উঠবেন, অবশ্যই গন্তব্যস্থল উল্লেখ করে ভাড়া ঠিক করে উঠবেন। অটো ওয়ালাদের কথামতো অটো নিলে ওরা আপনাকে উনাদের নির্ধারিত হোটেলে নিয়ে যাবে।

২. সম্ভব হলে আগেই হোটেল বুকিং দিয়ে যাবেন। তবে বুকিং দেবার আগে ভাড়া ঠিক করে নেবেন। যারা কক্সবাজার এসে হোটেল ঠিক করতে চান তারা অবশ্যই অটো চালকের কথায় কোন হোটেলে যাবেন না। কম টাকায় অফার করলেও না।

৩. হোটেলে উঠার সময় অবশ্যই এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড সাথে আনবেন এবং হোটেলে কপি জমা দেবেন।

৪. বিচে নামার সময় মূল্যবান জিনিসপত্র হোটেলে রেখে আসাই উত্তম। বিশেষ করে মোবাইল সাগরের পানিতে খুবই দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই সাবধান।

৫. কিটকটে বসে কোন ম্যাসেজ বয় কে দিয়ে ম্যাসেজ করাবেন না, ম্যাসেজ বয় দেখলে কিটকটের দায়িত্বে থাকা কর্মিকে সরিয়ে দিতে বলবেন নাহলে কিছুক্ষণ পরেই টাকা চেয়ে বসবে। ম্যাসেজ করতে চাইলে টাকা ফিক্সড করে নিবেন।

৬. কোন ভিক্ষুক, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বিরক্ত করলে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবহিত করুন।

৭. বিচ থেকে ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শীঘ্রই ভ্রাম্যমাণ হকার মুক্ত করা হবে। আপনারা ভ্রাম্যমাণ হকার থেকে কেনাকাটা থেকে বিরত থাকুন। কিনলে অবশ্যই ভালোভাবে দামাদামি করে নিবেন।

৮. ফটোগ্রাফার থেকে ছবি তোলার ক্ষেত্রে আগে থেকেই দরদাম ঠিক করে নিতে হবে। সম্ভব হলে তার লাইসেন্স আছে কিনা সেটা যাচাই করে নিবেন এবং মোবাইল নাম্বার ও ফটোগ্রাফারের ছবি তুলে রাখবেন।

৯. বিচবাইক, ওয়াটার বাইকে চড়ার ক্ষেত্রে তাদের রেইট নির্ধারণ করে দেয়া আছে, যাচাই করে, দাম ঠিক করে উঠবেন।

১০. পানিতে নামার ক্ষেত্রে যেখানে লাইফ গার্ড রয়েছে তার আশেপাশে নামার চেষ্টা করবেন। ওরা আপনাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে। তাদের নির্দেশনা মেনে চলুন।

✅কক্সবাজারে যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ খুবই তৎপর ও আন্তরিক। প্রয়োজন হলে তাদের সাহায্য নিন।

যে কোন আইনী সহায়তা ও হয়রানি প্রতিরোধে যোগাযোগ করুন
📞 ডিউটি অফিসার ০১৩২০১৫৯০৮৭,
📞এএসপি ০১৩২০১৫৯২০৯,

#কক্সবাজার
#সতর্কতা
#ভ্রমনেরপ্রস্তুতি
#কক্সবাজারভ্রমন
#কক্সবাজারহোটেল
#দর্শনীয়স্থানকক্সবাজার

11/05/2025

বল্টু : বাবা, 😉 আমি তো তোমাদের একমাত্র সন্তান তাই না? 🤭💯
বাবা : হ্যাঁ, 😀 তোকেই তো কত কষ্ট করে পেলাম। 🤭😂
বল্টু : আচ্ছা বাবা, 😁 আমি ছেলে না মেয়ে? 😃☀️
বাবা : কেন? 💥🙈 তুই ছেলে। ⚡️☀️
বল্টু : আমি যদি মেয়ে হতাম, 😝 কতো বছর আগে আমাকে বিয়ে দিতে? 😊😆
বাবা : কেন? 💯⚡️ ৫-৬ বছর আগে। 🌈🥳
বল্টু : মাইয়ারে কত টাকা খরচ করে বিয়ে দিতে? 😇🤪
বাবা : কম হলেও দশ লাখ লাগতো। 🔥🌷
বল্টু : আমার দশ লাখ লাগবে না, 🤪 আট লাখ তুমি দাও। 🌈🤗 আর দশ লাখ মেয়ের বাবার থেকে নিয়ে আমাকে বিয়ে করাও। ✨🙈

10/05/2025

গাজওয়াতুল হিন্দ।
পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটাই হল “গাজওয়াতুল হিন্দ” তথা হিন্দুস্থানের যুদ্ধ।
যা ভারতবর্ষে হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের ধর্ম যুদ্ধ সংগঠিত হবে। এই যুদ্ধে নিশ্চিতভাবে মুসলমানদের বিজয় হবে। আর এই ভবিষৎ বাণী করেছিলেন হযরত রাসুলে পাক (সা.)।
কিন্তু কবে আসবে এই গাজওয়াতুল হিন্দ? আর ঈমানদার মুসিলমদের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ এই গাজওয়াতুল হিন্দ তা বলাবাহুল্য রাখেনা। গাজওয়া শব্দের অর্থ হলো অভিযান আর হিন্দ হলো স্থানের নাম। ১৪’শ বছর আগে বর্তমান ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রিলঙ্কা, অফগানিস্থান, পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানকে বলা হতো হিন্দ অর্থাৎ ভারতীয় উপমহাদেশকে বলা হতো হিন্দ বা হিন্দুস্থান।
পবিত্র হাদিস শরীফে গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটা হবে কাফের বা মুশরিকদের সাথে মুসলমানদের পৃথিবীর ভিতর বৃহত্তর জিহাদ বা যুদ্ধ। এই যুদ্ধে হিন্দুস্থানের মোট মুসলিমদের এক তৃতীয়াংশই শহীদ হবে, আরেক অংশ পালিয়ে যাবে আর শেষ অংশ জিহাদ চালিয়ে যাবে এবং চুড়ান্ত বিজয় লাভ করবে।
মুসলমানদের নিশ্চিত জয় হবে কিন্তু এটা এতোটাই ভয়াবহ হবে যে হয় তো অল্প কিছু সংখ্যক মুসলিমই বেঁচে থাকবেন বিজয়ের খোশ আমদেদ করার জন্য।
অন্য বর্ণনায় আছে, গাজওয়াতুল হিন্দ হিন্দুস্তানের চুড়ান্ত যুদ্ধ। রাসুল (সা) একদিন পুর্ব দিকে তাকিয়ে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছিলেন, এমন সময় এক সাহাবি রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) আপনি এমন করছেন কেন!
রাসুল (সা.) বললেন, আমি পুর্ব দিকে বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছি। সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুম উনারা জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) আপনি কিসের বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছেন? রাসুল (সা.) বললেন, পুর্ব দিকে মুসলিম ও মুশরিকদের (যারা মুর্তিপুজা করেন) সাথে যুদ্ধ শুরু হবে। যুদ্ধটা হবে অসম। মুসলিম সেনাবাহিনী থাকবে সংখ্যায় সীমিত, কিন্তু মুশরিক সেনাবিহিনী থাকবে সংখ্যায় অধিক।
ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা এত বেশি মারা যাবে যে রক্তে মুসলিমদের পায়ের টাকনু পর্যন্ত ডুবে যাবে এবং যুদ্ধে মুসলিমরা তিন ভাগে বিভক্ত থাকবে। এক ভাগ বিশাল মুশরিক বাহিনী দেখে ভয়ে পালিয়ে যাবে, তারাই হলো জাহান্নামী! আর এক ভাগ সবাই যুদ্ধে শহীদ হবেন। শেষ ভাগ আল্লাহর উপর ভরসা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত জয় লাভ করবেন।
নবী রাসুলে পাক (সা.) বলেন, এই যুদ্ধ বদর যুদ্ধের সমতুল্য (সুবহানাল্লাহ)।

Want your school to be the top-listed School/college in Rangpur?

Click here to claim your Sponsored Listing.

Location

Category

Telephone

Address


Rangpur