আপনার বিয়ে হতে পারে
পৃথিবীর নিকৃষ্টতম ব্যক্তিটির সাথে
যেমন আছিয়ার বিয়ে হয়েছিল ফির'আউনের সাথে
কিন্তু এর ফলে আল্লাহর প্রতি তাঁর বিশ্বস্ততা
কিংবা ভালোবাসা কোনোটাই কমেনি ..!
আপনার বিয়ে হতে পারে
পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তিদের মধ্য থেকে কারো সাথে
যেমন হয়েছিল লুত (আঃ)
কিংবা নূহ (আঃ)-এর স্ত্রীদের
কিন্তু সেটা তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারেনি .!
আপনার কারো সাথে বিয়ে নাও হতে পারে
যেমন হয়েছিল মারিয়াম (আঃ)-এর ক্ষেত্রে
কিন্তু আল্লাহ্ রব্বুল আলামীন তাঁকে পৃথিবীর
শ্রেষ্ঠ নারীদের মধ্যে শামিল করে
অতুলনীয় সম্মানে সম্মানিত করেছেন ..।
মনে রাখবেন
আপনার ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের অধিকার
সর্বপ্রথম আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'য়ালার ...!
আপনি যদি তাঁর রহমত আদায় করতে পারেন
তবে আপনি যে অবস্থানেই থাকুন না কেনো
আপনি সফল হবেন"ই!
🌺🌺🌺🌺 🌷ইনশাআল্লাহ🌷🌺🌺🌺
Moniruzzaman Monir
সঠিক উপায়ে শিখলে, অল্প পড়েও অনেক ভাল রেজাল্ট করা যায়- মনিরুজ্জামান মনির LEARN WITH MONIRUZZAMAN MONIR
Operating as usual
যদি সকল স্বামী / স্ত্রী তার স্ত্রী /স্বামী এর সমস্যা টাকে নিজের করে দেখতো। তাহলে আর যাই হোক ডিভোর্স হত না।
#তুমিময়_ভালোবাসা
[৩য় পর্ব ]
লেখক - শহীদ উল্লাহ সবুজ
ডাক্তারকে নিশ্চুপ দেখে ঘাবড়ে যায় মিরাজ। মিরাজের মনের ভিতর ভয় চলে আসে। মিরাজ আবার ডাক্তারকে বলল -- কি হলো ডাক্তার আপনি এই ভাবে চুপচাপ হয়ে আছেন কেন? কিছু তো একটা বলুন!
-- দেখুন ২৪ ঘন্টা না গেলে কিছুই বলতে পারছিনা। কারণ ওনার এখনো জ্ঞান ফিরে আসেনি। দোয়া করুন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওনার জ্ঞান ফিরে আসলে তো ভালো।
-- ডাক্তার আমরা কি ওর সাথে দেখা করতে পারি?
-- উনাকে কেভিনে নেওয়া হবে। তারপর দেখা করতে পারবেন। তবে কোনো কথা বলবেন না।
এই কথা বলে ডাক্তার চলে গেলো।
কিছুক্ষণের মধ্যেই নিহানকে কেভিনে নেওয়া হলো। মিরাজ বিহানের কেভিনে গিয়ে দেখে নিহান জ্ঞান হীন ভাবে পড়ে আছে।
মিরাজ বের হয়ে আসতেই তিশা আর তার বাবা মিরাজের দিকে এগিয়ে আসে।
-- কি অবস্থা ছেলেটার?
-- এখনও জ্ঞান ফিরে আসেনি। ডাক্তার তো বলল জ্ঞান না ফিরলে কিছুই বলতে পারবেনা। আংকেল রাত তো অনেক হয়ে যাচ্ছে আপনারা বাসায় চলে যান।
-- ঠিক আছে। কিন্তু তুমি?
-- আমি এখানেই থাকব। আমার কোনো সমস্যা হবেনা।
কিছুক্ষণ পরে দুজনেই চলে যায়। মিরাজ নিহানের কেবিনে বসে থাকে। আর অপেক্ষা করে কখন বিহানের জ্ঞান ফিরে আসে। দেখতে দেখতে সকাল হয়ে যায় আর তখনই নিহানের জ্ঞান ফিরে আসে। নিহানের জ্ঞান ফিরেছে দেখে মিরাজ তাড়াতাড়ি ডাক্তার কে ডেকে নিয়ে আসে। ডাক্তার নিহানকে ভালো ভাবে দেখে।
-- ভয় পাওয়ার মতো তেমন কিছু হয়নি। ঠিক ভাবে দেখাশোনা করলেই আশা করা যায় উনি খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। উনি মাথায় আর পায়ে আঘাত পেয়েছে।
-- ডাক্তার নিহান ঠিক হয়ে যাবে তো?
-- হুম। চিন্তা করবেন না। আর আপনি চাইলে ওনাকে বাসায় নিয়ে যেতে পারেন দুইতিন দিন পরে।
-- ধন্যবাদ ডাক্তার।
ডাক্তার ওয়েলকাম বলে চলে গেলো। মিরাজ নিহানের পাশে বসে নিহানের মাথায় হাত রাখতেই নিহান চোখ খুলে তাকায়।
-- এখন কেমন আসিস নিহান?
-- ভালো। মিরাজ কি থেকে কি হয়ে গেলো কিছুই বুঝতে পারলাম না। আমি তো সব প্রমাণ আনার জন্য বাসায় যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে এই এক্সিডেন্ট।
-- নিহান এসব বাদ দে। আগে তুই সুস্থ হয়ে নে। আর তুই আমাকে বল কি হয়েছিল তোদের মাঝে যে তিশা তোকে ছেড়ে চলে গেলো?
-- তাহলে শুন!
ফ্ল্যাশব্যাক
________________
আমাদের বিয়ের আগে আমাদের এক বছরের রিলেশন হয়। আসলে আমাদের পরিচয় টা হয় ভার্সিটির মধ্যে। আমরা দুজন একি ক্লাসে ভর্তি হলাম। আমি ক্লাসে বসে আছি। আর আজ আমাদের প্রথম ক্লাস ছিলো। ক্লাসের সবাই অপরিচিত। কাওকে চিনিনা। তাই কারোর সাথে কথা বলতেও পারছিলাম না। একা একা বসে রইলাম। সবাই দেখলাম জোড়া জোড়া আমি শুধুই একা বসে ছিলাম। দুই জন ছেলে আমার সাথে পরিচয় হলো। ওদের একজনের নাম অভ্র, আর অন্যজনের নাম সজিব। ওরা দুজনেই আমার আগের বেঞ্চে বসে আছে। অদের কাছে আমার নাম পরিচয় সব কিছুই বললাম। ক্লাস শুরু হয়ে যাবে এমন সময় হুট করে একটা মেয়ে ক্লাসে আসে। আর মেয়েটাকে দেখে আমার চোখ আঁটকে যায় মেয়েটার দিকে। জীননে প্রথম কাওকে ভালো লাগার অনুভূতি টা বুঝতে পারলাম। তিশা আশেপাশে তাকিয়ে কোনো সিট খালি না দেখে আমার পাশে এসে বসে। তিশা আমার পাশে বসতেই আমার হার্ট বিট ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। আমি নিজেকে শান্ত করার অনেক চেষ্টা করলাম। এটাই ছিল প্রথম ভালোলাগার অনুভূতি। হঠাৎ করে তিশা আমার দিকে হাত বাড়িয়ে বলল -- হাই আমি তিশা।
আমি তিশার চোখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না।
-- এই-যে হ্যালো! আপনাকে বলছি আমার কথা কি শুনতে পারছেন না?
-- জ্বি। আমি নিহান।
আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ হয়ে রইলাম। আসলে তখন তিশার সাথে কথা বলতেও আমার খুব লজ্জা লাগছিল। আজকের প্রথম ক্লাস টা শেষ করে আমি আমার বাসায় চলে গেলাম। পরের দিন ক্লাসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে রাস্তায় বের হলাম। কিন্তু আজকে রাস্তায় একটা গাড়িও চোখে পড়ছেনা। তাই পায়ে হেটে ভার্সিটি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তাই আর দেরি না করে হাটা শুরু করলাম। হঠাৎ আমার কানে একটা শব্দ আসলো মনে হলো কেউ আমাকে ডাকছে। পাশে তাকিয়ে দেখি তিশা। তিশা রিকশার মধ্যে বসে আছে।
-- আপনি হেটে যাচ্ছেন কেন?
-- আসলে আজকে রাস্তায় কোনো গাড়ি পাচ্ছিনা তাই হেটেই রওয়ানা হলাম।
-- রিক্সায় উঠে আসুন।
-- না না সমস্যা নাই। আমি হেটেই চলে যেতে পারবো।
-- হেটে যেতে অনেক সময় লাগবে। হয়তো টাইম মতো ক্লাসে যেতে পারবেন না।
তিশার কথা শুনে আর কিছু না বলে রিক্সার মধ্যে উঠে বসলাম। এবার দুজনেই কথা বলতে বলতে পৌছে গেলাম। তিশা বাড়া মিটিয়ে ক্লাসে চলে গেলো। কাল যাদের সাথে পরিচয় হয়েছে তারা মাকে ডেকে নিয়ে গেলো। তাদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। ওদের সাথে খুব ভালো একটা বন্ধুত্ব সৃষ্টি হলো। ক্লাসে এসে দেখি আজ তিশা একটা মেয়ের সাথে বসেছে। আমি গিয়ে একটা ছেলের পাশে বসলাম। বার বার তিশার দিকে তাকাচ্ছিলাম। আমার দিকে সজিব বার বার তাকাচ্ছিল।বাট সেটা আমি খেয়াল করিনি।
-- কিরে মামা ব্যাপার কি?
সজিবের প্রশ্ন শুনে আমি থতমত খেয়ে গেলাম।
-- কিসের ব্যাপার?
- ডালমে কুচ কালাহে?
-- দূর কিছুই না। স্যার এসেছে।
ক্লাস শেষ করে বের হলাম। এমন সময় দেখলাম তিশা দাঁড়িয়ে আছে। আমি তিশার দিকে এগিয়ে গেলাম।
-- দাড়িয়ে আছেন যে? বাসায় যাবেনা?
-- আসলে একটা গাড়ি ও পাচ্ছিনা। তাই অপেক্ষা করছি৷
-- আজকে মনে হয় আর গাড়ি পাবেন না। চলুন হেটেই যাই।
তিশা কিছুক্ষণ চুপ থেকে আমার সাথে যাওয়ার জন্য রাজি হলো। এবার দুজনেই পায়ে হাটা শুরু করলাম। আমার কাছে আসলেই খুব ভালো লাগছে।
-- আচ্ছা আপনার সম্পর্কে তো কিছুই জানা হয়নি।
-- কি জানিতে চান?
আপনার পরিবারে কে কে আছে?
-- আমার পরিবার বলতে গেলে কেউ নাই।
-- কেউ নাই মানে? আপনার মা-বাবা!
-- মা-বাবা থেকেও না থাকার মতোই। মা-বাবার ডিভোর্স হয়ে যায়। আর দুজনেই আলাদা সংসার শুরু করে। আমি মামামামীর সাথে থাকি।
-- ওহ। মা-বাবার কথা মনে পড়েনা?
-- হুম খুব মনে পড়ে। তাদের খুব মিস করি। আমি সব পেয়েছি জীবনে শুধুই মা-বাবার ভালোবাসা পায়নি। আমার নানু আর একটা মামাতো বোন ও আছে। তারাও আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। মামা মামি কখনো মা-বাবার অভাব বুঝতে দেয়নি। যখন যা ছেয়েছি তাই পেয়েছি। কিন্তু আমি আমার মা-বাবাকে খুব মিস করি।
এসব বলতে বলতে তিশার চোখের কোণে পানি জমে যায়। তিশা অন্য দিকে তাকিয়ে চোখের পানি মুছে নেয়। আমার ও খুব খারাপ লেগেছে।
-- সরি।
-- সরি কেন বলছেন?
-- এই যে আমার জন্য কষ্ট পেলেন।
-- আরে সরি বলার কিছু নাই। আপনার ব্যাপারে কিছু তো বললেন না?
-- আমার পরিবারের আমি বাবা-মা। এই আমাদের পরিবার।
-- সুখী পরিবার আপনাদের।
আমি তিশার কথা শুনে একটা মুচকি হাসি দিলাম। তারপর আবার হাটা শুরু করলাম। দুজনের মাঝে ভালো একটা সম্পর্ক হয়ে যায়। অনেক দিন এই ভাবে কেটে যায়। তিশাকে আমি মনে মনে ভালোবেসে ফেললাম। তবে এখনও তিশাকে বলার সাহস হয়নি। আসলে আমি জানিনা তিশা আমার ভালোবাসা কি ভাবে মেনে নিবে। তাই ভয়ে কিছুই বলতে পারিনি। আমার বন্ধুরা ও জেনে গেছে আমি তিশাকে পছন্দ করি।
সজিব আমার কাছে এসে বলল -- নিহান তুই তিশাকে তোর ভালোবাসার কথা বলছিস না কেন?
-- কি ভাবে বলল! তিশাকি কি আমাকে ভালোবাসে?
-- তুই বুঝিস না? তিশা সব সময় তোর খোজ নেয়। তোকে ছাড়া কাওকে ও বুঝেনা। আমার মনে হয় তিশা ও তোকে ভালোবাসে।
-- আমার আগে শিউর হতে হবে।
-- আচ্ছা শুন! দুই দিন পরেই আমাদের ভার্সিটিতে অনুষ্ঠান আছে। তুই তিশাকে বল তোর পছন্দের শাড়ি পড়ে আসতে তাহলেই বুঝতে পারি।
-- ঠিক আছে।
চলবে??
আসসালামু আলাইকুম। অনেক দিন পরে গল্পটা লিখলাম। আসলে মোবাইল না থাকায় গল্প লিখতে পারিনি। সবাইকে অনেক অপেক্ষা করিয়ে রেখেছি তার জন্য দুঃখিত। এবার থেকে রেগুলার গল্প পাবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
--১৭ বছর পরে আজ মাকে খুজে পেলাম। ভিক্ষা দিতে গিয়ে!
-- রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম হঠাৎ দেখি একটা মহিলা রাস্তার খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছে। তাই একটু কাছে গেলাম।
--কাছে যেতেই চিনে ফেলি এটা আর কেউ না। আমার নিজের মা সেলিনা বেগম।
--মা বলে ডাকার সাথে সাথেই আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
--আমাকে চিনতে পারছো মা। আমি তোমার সন্তান হাসিব।
--আমার সন্তান ?
হাসিব : হুমমম আমি তোমার সন্তান হাসিব। ওই ছোট কালে আমাকে রেখে চলে এসেছিলে?
--আমার সন্তান এতো বড় হয়েছে।
--বলেই হাসিব কে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে আর বলতে থাকে।
--আমাকে মাপ করে দিস বাবা
হাসিব : মা কেনো ছেরে এসেছিলে আমাকে ।
মা : তোর বাবার সাথে আমার ঝগড়া লেগেছিলো। পরে তোর বাব আমাকে বলেছে তোই ওই মুখ আমি দেখতে চাইনা। যদি কখনো দেখি তো সাথে সাথেই যেনো আমার মৃত্যু হয়। এই কথাটি শুনে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি তাই অভিমান করে তোকে রেখেই আমার বাবার বাসায় আসতে ছিলাম রাতে। কিন্তু মাঝ রাস্তায় এসেই আমাকে এক দল সন্ত্রাসী ধরে ফেলে। আর আমাকে সবাই এক এক করে ধ-র্ষ-ন করে। এই মুখ আর কাকে দেখাবো তাই তোদের ছেরে আমি শহরে গিয়েছিলাম আর এমন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছি।
--মায়ের মুখে এমন কথা শুনে হাসিব সাথে সাথেই কান্না করে দেয়।
হাসিব : জানো মা বাবা তোমাকে অনেক খুজেছে। কিন্তু কোথাও খুজে পায়নাই।
মা : কিন্তু বাবা কিছু দিন হলো এখানে এসেছি। সবাই আমাকে পাগলি বলে। কতো খারাপ কতা বলে।
হাসিব : চলো বাসায় চলো।
মা : না আমি জাবো না।
হাসিব : জানো মা বাবা এখনো তোমার অপেক্ষা করে তুমি ফিরে আসবে বলে।
মা : কি বলিশ।
হাসিব : হুম মা চলো।
--এর পরে হাসিব তার মাকে বাসায় নিয়ে আসে ? বাসায় এসেই দেখে যে হাসিবের বাবা আজাহার সাহেব খবরের কাগজ পরতেছে।
হাসিব : বাবা দেখো কাকে নিয়ে এসেছি।
বাবা : কাকে নিয়ে এসেছো বাবা।
হাসিব : মা কে নিয়ে এসেছি।
--কথাটি শুনেই খবরের কাগজটি ফেলে দিয়ে দৌরে এসে। সেলিনা বেগম কে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে আর সেই দিনের জন্যে মাপ চাইতে থাকে।
বাবা : আমাকে মাপ করে দাও সেলিনা আমার এই ভাবে বলাটা ঠিক হয়নি।
মা : আমার ভুল ছিলো আপনার ভূল হয়নি। আমাকে মাপ করে দিয়েন আপনি ।
বাবা : আর কখনো এমন করে ছেরে যেও না আমাকে । যদি যাও তো মরেই যাবো।
মা : এই না এই সব বলিয়েন না। আমি কখনো আর ছেরে যাবো না।
-তখনি হাসিব বলে উঠে?
হাসিব : যাই হোক অবশেষে আমাদের পরিবারে শুখ শান্তি ফিরে এলো।
বাবা : এখন তোমার বিয়ে কারার পালা।
--কথাটি শুনে সবাই হাসতে থাকে।
একটি কথাই বলবো কখনো কিছু করার আগে অবশ্যই ১ বারের জায়গাই ১০০ বার ভেবে কাজ করবেন ধন্যবাদ ।
#অনুগল্প : ভুল?
কাহিনী লেখা: মি. হাসিব
#তুমিময়_ভালোবাসা
#লেখকঃ_মারুফ_আহম্মেদ
াঠ
পরের দিন সকালে আব্বুর কথা শুনে আমার,,,,,
আব্বুঃ সানি শোন,,,
আমিঃ জী আব্বু বলো,,
আব্বুঃ আজকে তারা তারি বারিতে আসিস,,
আমিঃ কেনো আব্বু,,
আব্বুঃ আজকে রিতুকে ছেলে পক্ষ দেখতে আসবে তাই বললাম,,
কথাটা শোনার সাথে সাথে আমার ভিতরে মোচর দিয়ে উঠলো,,, নিজেকে সামলিয়ে বললাম,,
আমিঃ ওহহ আচ্ছা ঠিক আছে,,
কথাটা বলে নিজের রুমে চলে আসলাম,,
অনেক কষ্ট হচ্ছে রিতুর জন্যে,,
আমি যে রিতুকে ভালোবেসে ফেলছি তাকে কেমনে অন্যের কাছে দেখতে হবে,,,
আর রিতুই কি মত আছে এই বিয়েতে???
কোনমতে রুমে কাটিয়ে দিলাম আজকে আর বাহিরে গেলাম না,,,
বিকেলে পাত্রপক্ষ আসছে আমিও গেলাম,,,
আমি গিয়ে জানতে পারলাম,,, ছেলে একটা কোম্পানিতে জব করে,,, তার পরিবারে মা, বাবা আর তিনি থাকে,,,
আমি রিতুর দিকে চেয়ে আছি কতোইনা সুন্দর লাগছে রিতুকে,,,
কিন্তু আফসোস প্রিয় মানুষটা আজকের পর অন্যের হয়ে যাবে,,
রিতুকে যখন বলা হলো তোর কি ছেলে পছন্দ হয়েছে,,
তখন আমি ভাবছিলাম যে রিতু বলুক আমার এদের পছন্দ হয়নি,,
কিন্তু না আমার কথা ভুল প্রমাণিত হলো!!
রিতু হাঁসি মুখে জবাব দিলো,,
রিতুঃ জী পছন্দ হইছে,,,
কথাটা শুনে বুকে মোচর দিয়ে উঠলো,,,
সেখানে আর থাকলাম না রুমে চলে আসলাম,,,
রাতে মন খারাপ তাই ছাদে গেলাম,, দেখলাম রিতু আছে,, তাকে জিজ্ঞেস কললাম,,
আমিঃ রিতু তুইতো আমাকে ভালোবাসিস তাহলে কেনো এই বিয়ে করতে চাচ্ছিস,,
রিতুঃ আমি আর তোমাকে ভালোবাসি না ভাইয়া,, আমার বিয়ে ঠিক হইছে আমার কোনো মত নাই এই বিয়েতে,,
আমিঃ আমি যে তোরে ভালোবাসি তাহলে আমার কি হবে,,
রিতুঃ সেইটা আমি বলতে পারবো না,, তুমি আমাকে ভুলে যে য়ো,,
আমিঃ পারবো না আমি ভুলতো,, প্লিজ রিতু এমন করিস না,,
রিতুঃ আমি কিচ্ছু শুনতে চাইনা,,,
বলে রিতু নিচে চলে গেলো,, আমিও কিছুক্ষণ থেকে আমিও নিচে চলে গেলাম,,
আগের মতো কলেজে যাইনা সারাদিন রুমেই বসে থাকি, খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করি না,,
এভাবে কেটে গেলো ৫টা দিন আজকে রিতুর গায়ে হলুদ,,
তাকে খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে,, আমাকে কাছে তাকে অপরূপ সুন্দ লাগছে,,
শুধু দেখা ছারা কিছু করতে পারলাম না,, সবাই হলুদে কি আনন্দ করছে,, আমি ছাদের এক কোনায় গিয়ে দারিয়ে আছি,,
সেখান থেকে সব দেখতেছি,,,
দেখতে দেখতে গায়ে হলুদে অনুষ্ঠান শেষ হলো,, আমি আবার রিতুর কাছে গেলাম,,
আমিঃ রিতু তুই কি এই বিয়ে সত্যি সত্যি করতেছিস,,
রিতুঃ তুমি তো দেখতেই পারতিছো,,
আমিঃ প্লিজ রিতু ফিরে আয় আমি তোরে ছারা থাকতে পারতেছিনা,,
রিতুঃ সেইটা তোমার বেপার,,
কথাটা বলে রিতু ভিতরে চলে গেলো,,
এইদিকে আমার কষ্টটা যেনো বেরেই চলেছে,,
অনেক ভেবেচিন্তে একটাই সিদ্ধান্ত নিলাম এই বাড়িতে আর একমুহূর্তে আর থাকবো না,,
চোখের পানি মুছতে মুছতে নিচে চলে গেলাম,,
রুমে গিয়ে ব্যাগ পত্র নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে আসলাম,,
রাস্তায় এসে মনে হলো কোথায় যাবো এতো রাতে,, কিন্তু যেকরেই হোক রিতুর বিয়ে যেনো না দেখতে হয়,,,
তারপর আমি চলে গেলাম রেলওয়ে স্টেশন,,
তারপর সেখান থেকে চলে যাচ্ছি ঢাকায়,,
ঢাকায় গিয়ে মনে পরলো আমার তো পাসপোর্ট আছে,,
একবার বন্ধুদের সাথে কানাডায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য করছিলাম কিন্তু একটা ফ্রেন্ডের সমস্যার জন্য যাওয়া হয়নি,,,
এখন এইটা কাজে দিবে,,
যেই ভাবা সেই কাজ,, অতপর আমি কানাডায় চলে আসলাম আমার ফোনে চিম নাই বাসায় রেখে আসছি,,,
এইখানে একটা নতুন সিম নিলাম তারপর একটা চাকরির খুজ করতে লাগলাম,, কারণ এইখানে একটা চাকরি না পাইলে কেমনে থাকবো খাবো কি,,
তারপর আমি একটা চাকরির খোজ করতে শুরু করলাম একটা মাল্টিনাশনাল কম্পানিতে চাকরির জন্যে লোক নিবে,,, আমি সেইখানে গেলাম,, সব কিছু বুজে শুনে চাকরিটা হয়ে গেলো,,,
কাছে টাকা ছিলো তাই একটা রুম ভারা নিলাম,,, রুমে এসেই মনটা খারাপ হলো,, আজকে তো রিতুর বিয়ে সেতো অকেন খুশি বিয়ে করছে,, তাকে বউ করে সাজিয়ে নিয়ে আসবে কতোই না সুন্দর লাগবে তাকে,,
এইসব ভাবছি আর কান্না করছি,,ভুলতে হবে রিতুকে কিন্তু আমার পক্ষে তা সম্ভব না,,,
#এইদিকে বিয়ে বাড়িতে আমাকে কেউ খুজে পাচ্ছে না,,
পুরা বাড়ি খুজতেছে আমাকে কিন্তু কেউ পাচ্ছে না,,,
এইকথা রিতুর কানে যেতেই সেও বিয়ের আসোর থেকে উঠে আমাকে খুজতে লাগছে,, কিন্তু আমাকে পাচ্ছে না,,,
এইদিকে রিতু পাগল হয়ে দেছে,,
অবশেষে রিতু আমার রুমে গেলো,,,
এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখছে,,,
হটাৎ করে তার চোখে কিছু একটার উপর চোখ পড়লো,,,,,
#চলবে,,,,
( ভুলক্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)
#ধুন্যবাদ,,,
বন্ধুর বিয়েতে এসে নিজের স্ত্রীকে কনের সাজে দেখে আমি চমকে উঠলাম। কিছুক্ষণের জন্য আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। চার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে হঠাৎ এই ভাবে দেখবো আমি কখনও ভাবতেই পারিনি। আমার স্ত্রীর বিয়ে হচ্ছে তাও কি-না আমারই বন্ধুর সাথে। আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিনা। এটা আদোও সত্যি নাকি আমার চোখের ভুল? আমি ভালো ভাবে চোখ মুছে নিলাম, না এটা তো আমার চোখের ভুল না। এটা তো আমার স্ত্রী তিশা। তিশাকে এখানে দেখে আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি। এক দৌড়ে চলে গেলাম তিশার কাছে। আর তিশাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে শুরু করলাম।
-- তিশা! তুমি এখানে? আমি তোমাকে কতো যায়গায় খুঁজেছি, কিন্তু কোথাও তোমার কোনো খোঁজ পাইনি। এতো দিন তুমি কোথায় ছিলে?
-- কে আপনি আমাকে তিশা বলে ডাকছেন? আমি তো তিশা না, আমি নওরিন। দেখুন আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে।
-- না তুমি আমার তিশা। তোমাকে আমি পাগলের মতো হন্নে হয়ে খুঁজেছি। আমার বিশ্বাস ছিলো একদিন তোমাকে আমি ঠিক ফিরে পাবোই। দেখো আজ তোমাকে আমি সত্যি সত্যিই পেয়ে গেলাম।
-- আরে আজব তো! আমাকে ছাড়ুন তো আপনি। কখন থেকে পাগলের মতো যা-তা বলে যাচ্ছেন।
এই কথা বলে তিশা একটা ধাক্কা দিয়ে আমাকে সরিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে এখানে অনেক লোকজন জড়ো হয়ে গেলো। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে অবাক চোখে। আমার বন্ধু মিরাজ আমার কাছে এসে আমাকে একটা সাইডে নিয়ে যায়।
-- কিরে কি শুরু করলি তুই? আর তুই এসব কি বলছিস? তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে?
-- দোস্ত ও তিশা।
-- তিশা মানে কি? ওর নাম তো নওরিন। আর ওর সাথে আমার দুই বছরের সম্পর্ক। আমরা একি সাথে পড়াশোনা করেছি। তুই পাগলের মতো কীসব বলছিস নিহান? তোকে তো নওরিন এর ব্যাপারে সব কথাই বলেছি।
-- মিরাজ আমার কথা বিশ্বাস কর ও তিশা। আমার স্ত্রী তিশা।
এবার আমি আবার চলে গেলাম তিশার কাছে।
-- তিশা তুমি কি আমাকে চিনতে পারছো না? আমি তোমার নিহান। তোমার ভালোবাসার নিহান। আমি জানি তুমি আমার উপরে রাগ করে আছো সেই জন্য এমন করছো তাইন? দেখো আমি কান ধরছি আর কখনও তোমাকে আমি কষ্ট দেবোনা। প্লিজ তুমি আর এমন করোনা তিশা। আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি।
তিশার বাবা এগিয়ে আসে আমার দিকে।
-- এই ছেলে কি সমস্যা তোমার? কি ছাও এখানে তুমি? কখন থেকে দেখছি পাগলের মতো কীসব বলছ তুমি? তুমি কে?
আমি কিছু বলতে যাবো এমন সময় আমার বন্ধু মিরাজ এসে আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল -- সরি আংকেল ও আমার বন্ধু আমি দেখছি ব্যাপার টা।
-- কেমন মানুষ নিয়ে আসলে?
-- সরি আংকেল।
এই কথা বলে মিরাজ আমাকে জোর করে একটা রুমে নিয়ে গেলো। আর সে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমাকে বলল -- নিহান তুই কি এখানে আমার বিয়ে ভেঙে দিতে এসেছিস? কি শুরু করলি বলতে পারিস? তোর জন্য এখানে আমাদের সবার মান ইজ্জত মাটিতে মিশে যাচ্ছে।
-- আরে তুই বুঝতে পারছিস না তিশা আমার উপরে অভিমান করে আছে সেই জন্য ও আমার সাথে এমন করছে। তিশা আমাকে খুব ভালো বাসে। তুই একটু তিশাকে বুঝিয়ে বল প্লিজ আমি ওকে ছাড়া মরেই যাব।
-- তুই এই রুমের ভিতরেই থাক। এখান থেকে বের হবি না আমি না বলা অব্দি। আমি গিয়ে কথা বলে আসছি।
এই কথা বলে রুম থেকে বেরিয়ে যায় মিরাজ। রুম থেকে বের হয়ে দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে দেয়। এবার মিরাজ সোজা তার হবু শ্বশুর এর কাছে চলে গেলো।
-- আংকেল আমার বন্ধু যেসব বলছে এটা কি আসলেই সত্যি?
-- আরে এটা সত্যি হবে কি করে? তোমার ওই বন্ধটার মনে হয় মাথায় কোনো সমস্যা আছে।
-- আমি আমার বন্ধুকে চিনি খুব ভালো করে। আচ্ছা আমি কি একটু নওরিনের সাথে কথা বলতে পারি?
-- হুম অবশ্যই পারো।
মিরাজ এবার তিশার কাছে চলে গেলো। তিশা খাটের উপরে চুপটি করে বসে আছে। মিরাজ গিয়ে তিশার পাশে বসে।
-- নওরিন তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিল। আর তুমি সব সত্যি বলবে।
-- কি জানতে চাও?
-- আমার বন্ধু নিহান যা বলছে তাকি আসলেই সত্যি?
-- আমি তো ওনাকে আজ প্রথম দেখেছি। ওনার মনে হয় কোথাও সমস্যা হচ্ছে।
-- আমিও কিছুই বুঝতে পারছিনা। হঠাৎ করে নিহান এমন আচরণ করছে কেন? আচ্ছা আমি দেখছি।
এই কথা বলে মিরাজ আবার নিহানের কাছে চলে আসে।
-- নিহান তোর কি হয়েছে বলতো! তুই এমন পাগলামি কেন করছিস?
-- তোর কাছে এসব পাগলামি মনে হচ্ছে? দেখ ভাই ওই আমার তিশা। আর তিশাকে আমি চার বছর আগেই হারিয়ে ফেলছি। তিশা রাগ করে আমার থেকে দূরে চলে গেছে।
-- এটা তো নওরিন, তিশা না।
-- ওই আমার তিশা।
-- আচ্ছা তোর কাছে কোনো প্রমাণ আছে যে নওরিন যে তিশা?
-- হ্যাঁ আছে। আমাকে একটু সময় দে। আমি বাসায় গিয়ে সব প্রমাণ নিয়ে আসছি।
এই কথা বলে নিহান বের হয়ে চলে গেলো। মিরাজ নিহানের দিকে তাকিয়ে রইলো। এই দিকে বিয়ের সব কাজ শুরু হতে লাগলো। কিছুক্ষণ পার হয়ে গেলো। মিরাজ নিহানের অপেক্ষায় এখনও বসে আছে। কিন্ত নিহানের কোনো খোঁজ নেই। কাজি সাহেব চলে এসেছে।
মিরাজের শ্বশুর হেলাল সাহেব মিরাজের খোঁজ করতে করতে সেই রুমে চলে আসে যেখানে মিরাজ আগে থেকে এসেই অপেক্ষা করছে নিহানের।
-- বাবা তুমি এখানে? আর আমি তোমাকে সব যায়গা খুঁজলাম। কাজি সাহেব অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।
-- আংকেল আরেকটু অপেক্ষা করুন নিহান প্রমাণ আনতে গিয়েছে।
-- কিসের প্রমাণ?
-- ও বলছে নওরিন নাকি তিশা তার।
-- আরে তোমার বন্ধুর মাথায় সমস্যা আছে। দেখো এসব বলে পালিয়ে গিয়েছে। তুমি আসো তো।
এই কথা বলে হেলাল সাহেব মিরাজের হাত ধরে কাজি সাহেবের কাছে নিয়ে যায়। আর তাকে বসিয়ে দেয় নওরিন এর সাথেই।
অন্যদিকে নিহান খুব তাড়াতাড়ি করে বাসায় চলে যাচ্ছে। রাস্তায় কোনো গাড়ি না থাকায় পায়ে হেটেই রওনা দিল। নিহানের চোখে বার বার ভেসে উঠছে তিশার মুখ।
এই দিকে কাজি সাহেব বিয়ের সব কিছু রেডি করে ফেলে। তখন মিরাজ কাজি সাহেবকে বলল,
-- কাজি সাহেব আর একটু অপেক্ষা করুন। আমার বন্ধুকে আসতে দিন। ও আসলেই বিয়ের কাজ শুরু করবেন প্লিজ।
-- আর কতক্ষণ অপেক্ষা করব? অনেক্ক্ষণ তো হয়ে গেলো।
-- প্লিজ আরেকটু অপেক্ষা করুন।
অন্যদিকে নিহান অন্যমনস্ক হয়ে হাটা শুরু করে। দূর থেকে একটা ট্রাক খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে। নিহান হাটতে হাটতে কখন সে রাস্তার মাঝখানে চলে গেলো সে খেয়ালি করেনি। ট্রাক খুব দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে। ড্রাইভার কয়েকবার হর্ণ বাজায় কিন্তু হর্ণের তীব্র শব্দ ও সে শুনিতে পারছেনা। ট্রাকের দূরত্ব নিহানের থেকে তেমন একটা দূরে না। ড্রাইভার গাড়ি ব্রেক করার চেষ্টা করে কিন্তু নিহান ট্রাকের খুব কাছে থাকায় ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়ে নিহান রাস্তার এক পাশে গিয়ে পড়ে যায়। তার শরীর থেকে র*ক্ত বের হতে শুরু করে দেয়। নিহান এবার চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে সে চোখের সামনে সব ঝাপসা দেখছে। শরীরে কোনো শক্তি পাচ্ছেনা নিহান।
এই দিকে কাজি আর অপেক্ষা করতে পারছেনা।
-- এই ভাবে আমার সময় নষ্ট করতে পারেন না আপনারা। আমার সময়ের মূল্য আছে।
এবার মিরাজ পকেট থেকে ফোন বের করে নিহানের নাম্বারে ফোন দেয়। কিন্তু ফোন বেজেই যাচ্ছে নিহান ফোন রিসিভ করছেনা। একে একে কয়েকবার কল দেয়। কোনো রেসপন্স না পেয়ে এবার মিরাজ বিয়ে শুরু করতে বলে। বিয়ের কাজ শুরু হয়ে গেলো। নওরিন কে এনে মিরাজের পাশে বসালো। নওরিনকে মিরাজের সামনে নিয়ে আসতেই মিরাজ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে নওরিনের দিকে। কারণ নওরিনকে অসাধারণ সুন্দর লাগছে আজকে। খুব সুন্দর করে সাজিয়ে আনা হলো। কাজি সাহেব সব কিছু রেডি করে মিরাজকে কবুল বলতে বলল।
মিরাজ কবুল বলার ঠিক আগ মুহুর্তে মিরাজের ফোন বেজে উঠে।
চলবে??
#তুমিময়_ভালোবাসা
[সূচনা_পর্ব ]
শহীদ উল্লাহ সবুজ
আসসালামু আলাইকুম নতুন গল্প নিয়ে আবার ফিরে আসলাম। গল্পটা একটু অন্যরকমের হবে। আশা করি ভালো লাগবে। ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন ধন্যবাদ।
এক বৃদ্ধ ট্রেনে উঠেছে। উপরোক্ত বগিতে
বৃদ্ধ একাই ছিলো।
হঠাৎ ১২ জন যুবক চলন্ত ট্রেনের
ঐ বগিতে উঠেই চিৎকার করে গান গাচ্ছিলো।
ছুরি দিয়ে আম কেটে কেটে খাচ্ছিলো ।
হঠাৎ একটি যুবক বলে উঠলোঃ
"চল আমরা ট্রেনের চেইনটা টেনে ট্রেনটাকে
থামিয়ে দেই।"
#২য় যুবকঃ "না দোস্ত, লেখা আছে পাঁচ
শত টাকা জরিমানা অনাথায় ছয় মাস জেল।"
#১ম যুবকঃ "আমরা একশো টাকা করে
চাঁদা তুলি। বারোশো টাকা হবে বাকী
সাত শো টাকা দিয়ে লাঞ্চ করবো।
Let's fun friends" (বারোশো টাকা
তুলে ১ম যুবকের পকেটে রাখলো)
#৩য় যুবকঃ "দোস্ত, আমরা চেইন টেনে
ঐ বুইড়াটাকে দেখিয়ে দিলে পাঁচ শো
টাকাও বাঁচলো Fun হলো। আমরা ১২
জনে সাক্ষী দিলে টিটি মেনে যাবে।"
বৃদ্ধ কাঁদতে কাঁদতে হাত জোড় করে
বললোঃ "বাবা, তোমরা আমার ছেলের
বয়সী। কেনো আমাকে বিপদের মধ্যে
ফেলবে?"
যুবকগুলো বৃদ্ধের অনুরোধ অবজ্ঞা করে
চেইনটা টান দিতেই। টিটি চলে এসে
জিজ্ঞাসা করলোঃ "কে চেইন টেনেছে?"
যুবকগুলো বৃদ্ধকে দেখিয়ে বললোঃ
"ঐ চাচা মিয়া টেনেছে।"
টিটি বৃদ্ধকে বললোঃ "অকারনে চেইন
টানলে পাঁচ শত টাকা জরিমানা অথবা
ছয় মাস জেল।"যুবকগুলো চিৎকার
করে বললোঃ "স্যার, বুইড়া অকারনেই
টেনেছে। হো হো হো হো........."
বৃদ্ধ একটু দাঁড়িয়ে বললোঃ
"টিটি সাহেব আমি বিপদে পড়েই চেইন
টেনেছি।"
টিটি বললোঃ "কি বিপদ?"
বৃদ্ধ বললোঃ "ঐ যুবকগুলো আমার
গলায় ছুরি ধরে আমার বারো শো টাকা
ছিনতাই করেছে।"
টিটি বললোঃ "কি সর্বনাশ?"
বৃদ্ধ বললোঃ "দেখুন ঐ যুবকটির পকেটে
টাকা আর ঐ ব্যাগে ছুরি।"
টিটি পুলিশ কল করে ১২জন যুবককে
গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছিলো।
তখন বৃদ্ধ তার পাকা চুল/দাড়ি দেখিয়ে
যুবকগুলোকে বললোঃ
"এইগুলো বাতাসে পাকে নাই"
[collected]
নিখুঁত অনুসরণ 😍
ভাল লাগলে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার চাই।
পৃথিবী কতো ছোট অন্য গ্রহের চেয়ে। মানুষের কতো বুদ্ধি সবার চেয়ে। এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে গেল। শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতির কতো যান আবিষ্কার করলো। কয়েক সেকেন্ডেই শত শত মাইল চলে যায়। চাঁদেও গেল। সুর্যের কাছেও গেল।
ছোট চুলের মতো রোবট বানালো মানুষ। সে রোবট ঘুরে বেড়ায় মানুষের শরীরে। আবার কী ক্ষমতা তার , এই রোবট অপারেশনও করে, মানুষকে সুস্থ করে তোলে।
গতকদিন তামাম দুনিয়াবাসীর চোখ ছিল টাইটানিক দেখতে যেয়ে নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিনের দিকে। তার ভেতরে থাকা পাঁচজন মানুষের বেঁচে ফেরার আশা করে কতো দোয়া কতো কিছু।
কতো আশঙ্কা।
মানুষ ঘরে বসেই তাবদ দুনিয়া দেখছে ছোট্ট একটা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে। হাজার হাজার মাইল দূরে ঠিক ঠিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে মি সা ই ল দিয়ে।
এই ক্ষমতাধর মানুষ, এই সুপারক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ উদ্ধার করতে পারেনি হারিয়ে যাওয়া সেই সাবমেরিনের মানুষগুলোকে।
অর্থাৎ এতো কিছু থেকেও মানুষ বড্ড অসহায় কখনো কখনো । সাত মিলিয়ন আগের ডাইনোসরের জিবাশ্ন আবিষ্কার করা মানুষ আজো পুরো টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করতে পারেনি। পানির কাছে, গভীরতার কাছে কাবু হয়ে আছে আজো এই আধুনিক বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ।
কী দাঁড়ালো এতে!
যত কিছুই আবিষ্কার হোক যত অজানা পথ উন্মোচন হোক না কেন মানুষের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আছে, থাকবে।
অতএব মানুষের হাতে সব নিয়ন্ত্রণে আসা সম্ভব নয়। আর এতো কিছু যিনি বানিয়েছেন যিনি নিয়ন্ত্রণ করছেন সেই সৃষ্টিকর্তা কতো কতো শক্তিশালী ভাবা যায়?
মহান আল্লাহ্ এগুলো কী নিখুঁত ভাবেই না নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছেন।
মানুষকে নতুন নতুন আবিষ্কার করার ক্ষমতা দিয়েছেন। কিন্তু এক পর্যায়ে মানুষকে হার মানতেই হয়।
অতএব সেই মহান ক্ষমতাধর আল্লাহর কাছে ফিরে না গিয়ে মানুষ আর কোথায় যাবে?
আসুন মহান রবের দিকে ফিরে যাই যিনি সকল ক্ষমতার মালিক।
আল্লাহ বলেন,
“বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে। এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও, তোমরা কি অনুধাবন করবে না?” (সূরা যারিয়াতঃ ২০)
লেখক - আলী ইমরান
ছবি : OceanGate Submarine
সকল বাইকার ভাইরা পড়বেন
***গতির ক্ষতি***
বাইক টা মোর দিছে শ্বশুর
আব্বায় দিছে তেল
তাই তো আমার গতির সাথে
জেট বিমান ও ফেল।
দুর্ঘটনা ঘটলে ঘটুক
আমার কিসের ভয়
গেলে যাবে বাপ-শ্বশুরের
আমার কিছু নয়।
চলরে আমার মোটরগাড়ি
জোরসে মারো টান
কে কি বলে শুনব না আজ
ধরছি চেপে কান।
আহা হা হা কি মনোরম
গাঁয়ের বাঁকা রাস্তা
ছয় শ কিলো ঘুরে এসে
করব রে আজ নাস্তা।
এমন গতি তুলবরে আজ
আমার গতি দেখে।
থমকে যাবে পথের পথিক
পন্থ চলা রেখে।
গতির চোটে কাঁপছে মানুষ
উড়ছে পথের ধুলো
লাফিয়ে উঠছে পথের ধারের
বান্ধা ছাগল গুলো।
গতি আর ও বাড়িয়ে দিলাম
পথটা পেয়ে সরু
হঠাৎ দেখি সামনে আমার
বিশাল বড় গরু।
ধাক্কা লেগে হুন্ডা আমার
পড়ল গিয়ে খাদে
আমার তখন হুঁশ ছিল না
ফিরছে দুদিন বাদে।
দু দিন বাদে জ্ঞান ফিরলে
চেয়ে দেখি ভাই
আমার যে দুই পা ছিল তার
একটা সাথে নাই।
সকল কিছু শোনার পরে
চমকে গেল গা
বাইকটা না কি ঠিকই আছে
আমার গেছে পা।
আমার শখের বাইকে এখন
অন্য মানুষ চড়ে
পা হারিয়ে কান্দি আমি
বন্ধি হয়ে ঘরে।
ঘরে বসে ভাবি যদি
পা টা পেতাম ফিরে
তিড়িং বিড়িং ছেড়ে আমি
বাইক চালাতাম ধীরে।
মনরে বলি মন যদি তুই
বুঝতে দু দিন আগে
তবে কি তোর পা হারিয়ে
পঙ্গু হওয়া লাগে!
সংগৃহীত
কস্তুরী কি ? এবং কোথায় পাওয়া যায় ?
হরিণের দশ বছর বয়সে নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয়। এ সময় হরিণটিকে হত্যা করে নাভি থেকে তুলে নেওয়া হয় পুরো গ্রন্থিটি। তারপর রোদে শুকানো হয়। একটা পূর্ণাঙ্গ কস্তুরী গ্রন্থির ওজন প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম। ...
এটি বিশেষ ধরনের প্রাণিজ সুগন্ধি। হরিণের নাভি থেকে পাওয়া যায় এই কস্তুরী, যা মহামূল্যবান সুগন্ধি হিসেবে পরিচিত।
কস্তুরীনামাঃ সুগন্ধি বহু গুণসম্পন্ন এবং বহু নামসম্পন্ন। এর ঘ্রাণ প্রকৃত যোজনগন্ধা বললে কম বলা হয়। কথিত আছে কস্তুরীর এক তিল পরিমাণ কোন বাড়িতে ফেললে বহু বছর সেখানে এর ঘ্রাণ থাকে। তিন হাজার ভাগ নির্গন্ধ পদার্থের সঙ্গে এর এক ভাগ মেশালে সমস্ত পদার্থই সুবাসিত হয় কস্তুরীর ঘ্রাণে।
কস্তুরী সংগ্রহকারীরা এই সুগন্ধিকে প্রায় প্রকৃত অবস্থায় রাখেন না; সচরাচর অন্য পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করেন। অন্য পদার্থের মধ্যে রক্ত বিশেষ একটি উপাদান। শুকিয়ে যাওয়া রক্তের সঙ্গে কস্তুরীর বিশেষ সাদৃশ্য আছে । কস্তুরীর সুবাসেও আছে বৈচিত্র্য এবং এটি ভিন্ন ভিন্ন নামেও পরিচিত।
সুগন্ধি ফুলের মতোই যুগ যুগ ধরে মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে কস্তুরী মৃগ। এই মৃগ অর্থাৎ হরিণ এক প্রজাতির পুরুষ হরিণ। ইংরেজি নাম ‘মাস্ক ডিয়ার’। এরা খুব লাজুক স্বভাবের। তাই নিরিবিলিতে বাস করে। বিচরণ করে একান্ত নির্জনে।
হিমালয় পর্বতমালার উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উৎকৃষ্ট কস্তুরীমৃগ পাওয়া যায়। ওই অঞ্চলে একপ্রকার ছোট আকারের হরিণ আছে, তারা ছাগলের চেয়ে বড় নয় কিন্তু দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। এদের পা অতি সরু, মাথা সুন্দর এবং চোখ চমৎকার উজ্জ্বল ।
এই হরিণ অন্য হরিণ থেকে আলাদা নয়। অত্যন্ত শীতল পার্বত্য পরিবেশে বাস করায় এদের লোম সরু না হয়ে অত্যন্ত মোটা ও পালকের মতো হয়। এ ছাড়া পামির মালভূমির গ্রন্থি পর্বতমালায় তৃণভূমি সমৃদ্ধ উপত্যকায় এই হরিণ পাওয়া যায়।
কস্তুরী মৃগের ওপরের মাড়ি থেকে গজদন্তের মতো দুটি দাঁত ছোট আকারে বের হয়। এ ধরনের দাঁত সব প্রজাতির হরিণের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। এই দেখেই কস্তুরী মৃগ সনাক্ত করা হয়।
এই প্রজাতির হরিণ আত্মরক্ষায় পটু। কিন্তু তারা নিজেদের লুকিয়ে রাখতে পারে না, কারণ এদের দেহের তীব্র ঘ্রাণ। এই ঘ্রাণ অনুসরণ করে শিকারি ঠিকই এদের সন্ধান পেয়ে যায়। এই হরিণের নাভি থেকেই মূলত এই সুগন্ধি দ্রব্য সংগ্রহ করা হয়।
পুরুষ হরিণের নাভি মুখের গ্রন্থিতে এক বিশেষ ধরনের কোষের জন্ম হয়। এই কোষ যখন পূর্ণতা লাভ করে তখন এ থেকেই সুঘ্রাণ বের হতে থাকে। হরিণের ১০ বছর বয়সে সুগন্ধি কোষ পূর্ণতা লাভ করে।
তবে মজার ব্যাপার হলো, যে হরিণটির নাভিতে এই কোষের জন্ম, সে নিজে কিছুই বুঝতে পারে না। তার নাকে যখন এই সুগন্ধ এসে লাগে তখন সে পাগলের মতো ছুটতে থাকে এই সুঘ্রাণের উৎসের সন্ধানে।
অথচ সে বুঝতে পারে না যে, সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে তার নিজের দেহ থেকেই।
এই হরিণের দশ বছর বয়সে নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয়। এ সময় হরিণটিকে হত্যা করে নাভি থেকে তুলে নেওয়া হয় পুরো গ্রন্থিটি। তারপর রোদে শুকানো হয়। একটা পূর্ণাঙ্গ কস্তুরী গ্রন্থির ওজন প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম।
কস্তুরীকোষের বাইরের দিকটায় থাকে এলোমেলো কিছু লোম। সেগুলো ছাড়িয়ে শুকনো কোষটিকে যখন জলেতে ভেজানো হয়, তখন পরিষ্কার কস্তুরী বেরিয়ে আসে।
কোনো কোনো হরিণের মধ্যে পাওয়া যায় খুব কম পরিমাণে কস্তুরী। অপরদিকে এই প্রজাতির সকল হরিণের নাভিতে একই পরিমাণে কস্তুরী উৎপন্ন হয় না; হরিণের বয়স এবং পরিবেশভেদে কস্তুরীর পরিমাণের তারতম্য হয় । দেখা গেছে, এক কিলোগ্রাম কস্তুরী পাওয়ার জন্য প্রায় দুই হাজার হরিণ শিকার করতে হয়।
কস্তুরী যখন সংগ্রহ করা হয় তখন এর গন্ধ এত উগ্র থাকে যে হরিণের নাভিকোষ কেটে নেওয়ার সময় শিকারিরা মোটা কাপড় দিয়ে নিজেদের নাক বেঁধে নেয়। অনেক সময় এ গন্ধ সহ্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কারো কারো চোখ, নাক থেকে জল ও মুখ থেকে লালা ঝরা শুরু হয়। এমনকি জীবনহানিও ঘটে।
(সংগৃহীত)
"পুলিশ হয়ে জন্মেছি ঘুস খাবো না তা তো হয় না। গোয়ালাকে যেমন দুধে পানি মেশাতেই হয় পুলিশকে তেমনি ঘুস খেতে হয়। আমিও খাবো। শিগগির খাওয়া ধরবো। তবে ঠিক করে রেখেছি প্রথম ঘুষ খাবার আগে তরকারির চামচে এক চামচ মানুষের 'গু' খেয়ে নেব। গু টা খেতে পারছি না বলে ঘুস খাওয়া ধরতে পারছি না। তবে ঘুস তো খেতেই হবে। একদিন দেখবেন আঙুল দিয়ে নাক চেপে চোখ বন্ধ করে এক চামচ মানুষের 'গু' খেয়ে ফেলব। জিনিসটা খেতে হয়তোবা খারাপ হবে না। কুকুরকে দেখেন না―কত আগ্রহ করে খায়। কুকুরের সাথে মানুষের অনেক মিল আছে।"
—হুমায়ূন আহমেদ (পারাপার)
প্রচন্ড গরম! ঘরের বাতাস ও গরম হয়ে যাচ্ছে। ফ্যানের বাতাসে শরীররে ঠান্ডা না লেগে তাপ লাগছে! আর এই তাপের সমাধান আমরা ধরে নিয়েছি " এ সি" তেই সমাধান। সামর্থ্য যাদের আছে তাদেরতো কথা ই নেই প্রতি রুমে এসি। যাদের নেই তারাও খেয়ে না খেয়ে এসির জন্য হন্যে!
ফলে কি হচ্ছে? এসি নির্গত গরম বাতাস পরিবেশ কে আরো গরম করে তুলছে।
তাই এমন একটি শহর গড়লে কেমন হয়! উহুউউউ! আপনি একা নন আপনি আমি, আসুন.....আমরা সবাই
মিলে ,,,,
ছবি সংগৃহীত।
পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি বাবার চিঠিঃ
মা'রে,
শুরুটা কিভাবে করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। যেদিন তুই তোর মায়ের অস্তিত্ব ছেড়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলি সেদিন থেকে তোকে মা বলে ডাকতে শুরু করলাম। তোকে মা ডাকতে গিয়ে নিজের মা হারানোর ব্যথা ভুলেই গিয়েছিলাম। তোর মাকেও কোনদিন মা ছাড়া অন্য নামে ডাকেতে শুনিনি। বিদ্যালয়ে প্রথম দিন শিক্ষক তোর নাম জিজ্ঞেস করেছিলেন। তোকে মা বলে ডাকতে ডাকতে তোর ডাক নামটাও ভুলে গিয়েছিলাম। আমি তোর নাম বলতে না পারায় সবাই আমাকে নিয়ে হাসতে ছিলো। তাই চিঠির উপরে তোর নামের জায়গায় মা লিখেছি। হঠাৎ করে তুই এভাবে চলে যাবি আমি তা বুঝতেই পারিনি। ছেলেটা যেদিন বাইরে ব্যাগ হাতে তোর জন্য অপেক্ষা করছিল কখন তুই দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে আসবি? আমি তখন ভেতরে বসে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করছিলাম আর কতটা ভালবাসতে পারলে তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি না। তুই ঘরে বসে ভাবছিলি আজ যেতে না পারলে ছেলেটার কাছে ছোট হয়ে যাবি। আর আমি ভাবছিলাম তুই চলে গেলে সমস্ত পিতৃজাতির কাছে কি করে মুখ দেখাবো? জানিস মা, তুই তোর তিন বছরের ভালবাসা খুঁজে পেয়েছিস। কিন্তু আমার জীবন থেকে বিশ বছরের ভালবাসা হারিয়ে গেছে। মা'রে প্রত্যেকটা বাবা জানে রক্ত পানি করে গড়ে তোলা মেয়েটা একদিন অন্যের ঘরে চলে যাবে। তারপরও একটুও কৃপণতা থাকেনা বাবাদের ভেতরে। বাবাদের ভালবাসা শামুকের খোলসের মতো মা,বাহিরটা শক্ত হলেও ভেতরটা খুব নরম হয়ে থাকে। বাবারা সন্তানদের কতোটা ভালবাসে তা বোঝাতে পারেনা, তবে অনেকটা ভালবাসতে পারে। জানি মা, আমার লেখাগুলো পড়ে তোর খারাপ লাগতে পারে। কি করবো বল? তোরা তো যৌবনে পা রাখার পর চোখ, নাক, কান সবকিছুর প্রতি বিবেচনা করে প্রেম করিস। কিন্তু যেদিন জানতে পারলাম তুই তোর মায়ের গর্ভে অবস্থান করছিস সেদিন বুঝতে পারিনি তুই কালো না ফর্সা হবি, ল্যাংড়া না বোবা হবি,কোন কিছুর অপেক্ষা না করেই তোর প্রেমে পরেছিলাম তাই এতকিছু লিখলাম। আমি জানি মা তোদের সব সন্তানদের একটা প্রশ্ন বাবারা কেন তাদের ভালো লাগা টাকে সহজে মানতে চায় না? উত্তরটা তোর ঘাড়ে তোলা থাকলো,তুই যেদিন মা হবি সেদিন নিজে নিজে উত্তরটা পেয়ে যাবি। তোরা যখন একটা ছেলের হাত ধরে পালিয়ে যাস তখন ওই ছেলে ছাড়া জীবনে কারও প্রয়োজন বোধ করিস না।কিন্তু একটা বাবা বোঝে তার জীবনে নিজের মেয়েটার কতটা প্রয়োজন। যেদিন তোর নানুর কাছ থেকে তোর মাকে গ্রহন করেছিলাম সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে,যদি মেয়ে হয় তাহলে নিজের মেয়েটাকে তার স্বামীর হাতে তুলে দিয়ে কণ্যা দানের দায়িত্ব থেকে নিজেকে হালকা করবো। তাই তোর প্রতি এত অভিমান। মারে বাবার উপর রাগ করিসনা। তোরা যদি অল্প দিনের ভালবাসার জন্য ঘর ছেড়ে পালাতে পারিস, তবে আমরা বিশ বছরের ভালবাসার জন্য বেপরোয়া হবো না কেন? বাবারা মেয়ে সন্তানের জন্মের পর চিন্তা করতে থাকে নিজের মেয়েটাকে সুপাত্রের হাতে তুলে দিতে পারবে তো?আর যৌবনে পা রাখার পর চিন্তা করে কোনো প্রতারনার ফাঁদে পরে পালিয়ে যাবে না তো? তাই মেয়েদের প্রতি প্রত্যেকটা বাবার এতটা নজরদারি। যদি মন কাঁদে চলে আসিস বুক পেতে দেবো। হয়তো তোর মায়ের মতো তোকে পেটে ধরিনি, তবে পিঠে ধরার যন্ত্রণাটা সহ্য করতে পারছিনা।
ইতি
তোর জন্মদাতা "পিতা"
(এই চিঠিটা পড়ে অন্তত একটি মেয়ে/ছেলেও যদি তাদের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসে মন্দ কি.........?(কপি)
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Rangpur
Rangpur
ফলো করুন এই চ্যানেলটি, এই চ্যানেলে সব ধরনের ভিডিও পাবেন। এখন ইংরেজি হবে আপনার কাছে পানির মত সহজ।
Gaibandha, Rangpur Division
Rangpur, 5700
This is Home Tutor service. our working place is gaibandha. we serve qualified teacher to guardians
বড় সংগলশী খামাত পারা, নীলফামার
Rangpur, 5003
আমাদের স্কুলে উন্নত মানের পড়াশুনা হয়৷ স্কুলের বৈশিষ্ট্যসমূহ: ১৷ ভালো পরিবেশ ২৷ ভালো পড়াশোনা
Rangpur
Nasir Ahmed. B.s.c (hon's)Math, First Class. M.s.c (Math) First Class,CCR. Assistant teacher(math).
Rangpur
Rangpur, 5402
I am Nirob.I am proffetional freelancer & teacher. Contract number:01307335666
Rangpur, 5404
Our duties are to know the students and teach them actual way...
Pedia Bhaban, Railgate College Para, Lalbag
Rangpur, 5401
I'm an English speaking teacher with having vast experiences in American English speaking.