ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট নির্বাচন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট নির্বাচন

Share

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে রেজিস্টার?

Operating as usual

26/08/2024

নতুন উপাচার্য পেলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাবির নতুন হলেন উপাচার্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর উপ-উপাচার্য ও ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস সোয়ানসি, এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ ও গবেষণা করা অধ্যাপক খান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে একাডেমিক ও কার্যকরী ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্টের উন্নয়নে অবদান রাখছেন।

11/07/2024

গত একবছর আগে ১৫২ টাকার বাজার
এখন ৪০৫ টাকা..! কারণটা কী...?

আগে:
১ কেজি আলু - ২০ টাকা
১ কেজি পিয়াজ - ৪০ টাকা
১ কেজি রসুন - ৬০ টাকা
১ হালি= ৪ পিস ডিম - ৩২ টাকা

এখন:
১ কেজি আলু - ৬০ টাকা
১ কেজি পিয়াজ - ৯৫ টাকা
১ কেজি রসুন - ২০০ টাকা
১ হালি = ৪ পিস ডিম - ৫০ টাকা

আগের ১৫২ টাকার জিনিস কিনতে আপনাকে এখন খরচ করতে হচ্ছে ৪০৫ টাকা।

মূল্যস্ফীতি কত পারসেন্ট হলো?
আর আপনার বেতন কত পারসেন্ট বাড়লো।
ভেবে দেখেছেন কখনো?

#বাজার
#ডিম
#পিয়াজ
#আলু
#রসুন

01/07/2024

Prothom Alo রিপোর্ট #পেনশন
নতুন পেনশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুবিধা 'কমবে'।

নতুন পেনশন ব্যবস্থায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুবিধা ‘কমবে’। শিক্ষকেরা তাই নতুন ব্যবস্থাটি প্রত্যাহারের দাবি করছেন। এ দাবিতে আজ সোমবার থেকে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) শুরুর দিন আজ চালু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশনের কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে আজ ১ জুলাই থেকে যাঁরা যোগ দেবেন, তাঁদের জন্য এ কর্মসূচি প্রযোজ্য হবে।

তবে সিদ্ধান্তটিকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতা করে আসছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বর্তমান পেনশন ব্যবস্থা ও নতুন পেনশন ব্যবস্থার তুলনামূলক একটি চিত্র তৈরি করেছে।
#বিশ্ববিদ্যালয়

07/06/2024

কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস!

Photos from ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট নির্বাচন's post 24/04/2024

ভিন্ন দৃশ্যপট!
২৩/০৪/২৪ ইং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়াতে "নানক গুরু দুয়ারা" নামক শিখদের মন্দির থেকে ত-র-বারি র‍্যালির দৃশ্যা।

অথচ আজ ২৫/০৪/২০২৪ সালাতুল ইস্তিসকা আদায় করতে দিলো না ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

16/04/2024

আসেন, সার্টিফিকেটের জন্য লাইন ধরেন...

Diploma (Eng.)+2years Experience = Bsc (pass) Eng...
এইভাবে অভিজ্ঞতার আলোকে যদি প্রথমে বিএসসি এবং পরে মাস্টার্স আর পিএইচডি দেওয়া যায়, তাহলে এতোসব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পেলে-পুষে কী লাভ?
খরচও বাচে আর জাতিও সহজে শিক্ষিত হয়। উন্নত বিশ্বও এই প্রক্রিয়াটা গবেষণা করে দেখতে পারে। 😂
কারণ, তাদের এইখাতে অনেক খরচা।

08/04/2024

#ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় #খাজাসলিমুল্লাহ #রবীন্দ্রনাথ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ এ আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা, প্রস্তুতি শুরু হয় ১৯১২ সাল থেকে। এটা তো সর্বজনবিদিত, তখনকার ঢাকা শহর ইংরেজ ও নবাবদের নিয়ন্ত্রণে ছিলো। মিউনিসিপালিটিতে কী লেখা আছে অথবা এ সংক্রান্ত জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাকের সাক্ষাৎকারের ভিত্তি কতটুকু, সেটা প্রশ্নাতীত নয়।

নবাব সলিমুল্লাহ বা নবাব এস্টেট থেকে জায়গা না দিলে এই জায়গা কে দিলো? এটা কি পরিত্যক্ত জায়গা? তাহলে শাহবাগ এলাকায়, মধুর ক্যান্টিন এলাকায় যে নর্তকীরা নাচতো, সেখানে কি রবীন্দ্রপূর্বপুরুষদের প্রেতাত্মারা গুটিবাজি করার জন্য মদের আসর বসাতো?

এটা তো ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত যে, রবীন্দ্রনাথ শুরুর দিকে ঢাকায় মুসলিম অধ্যুসিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হোক এটা চাননি। তিনি চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বা কোলকাতা কেন্দ্রিক বাঙালিদের অগ্রসরমানতা। এই চাওয়াটা অযৌক্তিক নয়। কিন্তু পরবর্তীতে যখন দেখলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবেই, তখন সরাসরি আর বিরোধিতার সুযোগ পাননি।

রবীন্দ্রনাথ যে ঢাকায় বা পূর্ব বাংলায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোক এটা চাননি, এর বড় প্রমাণ শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। তিনি যদি সত্যিকারার্থে পূর্ব বাংলার উন্নয়ন চাইতেন, তাহলে তো এ অঞ্চলে কিছু একটা প্রতিষ্ঠা করতেন। আদৌ কি কিছু তিনি এ অঞ্চলের জন্য করেছেন?

নির্মোহ দৃষ্টিতে পূর্বাপর ঘটনাবলিতে দৃষ্টিপাত করলে বিষয়টি সহজেই খোলাসা হয়ে যাবে।

©সুনয়না প্রিয়ভাষিণী
০২.০৪.২০২৪

08/04/2024

নবাব সলিমুল্ল্যাহ সংক্রান্ত একটি আলোচনা। আমি বহু মানুষের আলোচনায় রীতিমত বিভ্রান্ত। আমাকে একটু সাহায্য করুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নবাব সলিমুল্লাহ ও জমিদান: আতশকাঁচের নিচে একটি রাজনৈতিকায়িত বয়ান
=============
ঢাকার নবাব, নবাব সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দান করেছিলেন কিনা সে বিতর্ক অনেক পুরনো, এ নিয়ে হয়েছে অনেক জল ঘোলা। নানা মতের নানা মুনি এ বিতর্ককে প্রবাহিত করতে চেয়েছে সুবিধাজনক খাতে। তবে মোটা দাগে এই পক্ষগুলোকে দুটি পক্ষে ভাগ করা যায়, একটি হলো নবাব বিরোধীপক্ষ অন্যভাগ নবাবের জমিদান প্রসঙ্গের পক্ষে।

প্রশ্ন উত্থাপনকারী নবাববিরোধী গোষ্ঠীদের সবচাইতে বড় ঐতিহাসিক প্রামাণ্যপত্র বা সোজা বাংলায় যাকে দলিল বলা হয় সে দলিলের একটি হলো আব্দুর রাজ্জাক স্যারের কিছু আলাপচারিতার কোটেশন। শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির একটা অপিনিয়নকেও ঐতিহাসিক তথ্য বলে চালিয়ে দেওয়া যায় এই বিষয়টি হিস্ট্রিওগ্রাফি এবং ঐতিহাসিক সত্যতা বলে মেনে নিতে হবে বলে এই প্রথম শোনা গেল।

সে যাই হোক এই লেখাটি লেখার সময় ইতিহাস গবেষণা পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার দাবি রাখলেও কলেবর বৃদ্ধি না করার জন্য কেবলমাত্র জমিদান সংক্রান্ত বিতর্কের মধ্যেই লেখাকে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করলাম। পুরো লেখাটির শেষে রেফারেন্সগুলো দেওয়ার ক্ষেত্রে "এন্ড নোট পদ্ধতি" ব্যবহার করা হয়েছে। তবে পাঠকের সুবিধার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সাথে সাথেই রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে।

ঢাবি প্রতিষ্ঠায় নবাবের সংগ্রামের শুরুর কথা৷
-----------------
বাংলার সোশ্যাল হিস্ট্রিয়ান এম এ রহিমের উদ্বৃতি মোতাবেক- "The University was a compensation to the Muslims for the annulment of the partition of Bengal." (হিস্ট্রি অফ ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা, মোঃ আব্দুর রহিম)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন যে রাজনৈতিক প্রেষণা কাজ করেছে তার সার নির্যাস উঠে এসেছে এই কোটেশনে। প্রবল চাপের সেই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করাটাও একটা বিদ্রোহের মত। তবু পূর্ববঙ্গের পিছিয়ে থাকা কৃষক সমাজকে শিক্ষার আলো দেখাতে এগিয়ে আসেন নবাব সলিমুল্লাহ খান।
১৯০৬ সালে, নবাব সলিমুল্লাহ খানের ঢাকাস্থ আহসান মঞ্জিলে সেসময় মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আরো একটি বৈপ্লবিক প্রস্তাবনা উঠে আসে। সেটি আর অন্য কিছু নয়, পূর্ববঙ্গের কৃষক সমাজের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাবনা। শুরু থেকেই প্রবল পৃষ্ঠপোষকতা করেন নবাব সলিমুল্লাহ খান।
নতুন প্রদেশ গঠিত হওয়ার সাথে সাথেই নবাব সলিমুল্লাহ তার কাজ শুরু করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ইংরেজদের সাথে তদবির করা শুরু করেন। প্রথম পদক্ষেপে তিনি ঢাকায় মোহামেডান হোস্টেল তৈরির চেষ্টা করেন ১৯০৬ সালে।
বেশ কয়েক বছর ধরে ইংরেজ এবং তৎকালীন এলিটদের সাথে চেষ্টা-প্রচেষ্টার পর অবশেষে ১৯১২ সালে এটি আলোর মুখ দেখতে পায়। ঢাকা কলেজের নিকটে ঢাকা হল নামে প্রথম একটি অসাম্প্রদায়িক হলের ভিত্তি স্থাপিত হয় যা পরবর্তীতে শহীদুল্লাহ হল। আরো কিছুকাল পরে মোহামেডান (মুহাম্মাদান এর ইংরেজিয়ায়িত রূপ) হোস্টেল মুসলিম ছাত্রদের জন্য তৈরি করা হয। এটিই বর্তমানে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল।
এই হল তৈরির খরচ এস্টিমেট করা হয়েছিল ৩,৪৯,৪০০ টাকা। নবাব বিরোধী ঐতিহাসিকদের বয়ানে, নবাবকে ঋণগ্রস্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ইংরেজরা নাকি নবাবকে এক লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন বঙ্গভঙ্গের সময়। অথচ নবাব এই হলগুলোর জন্যই এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার ৯০০ টাকা দান করেছিলেন। নবাব আলী চৌধুরী দান করেছিলেন ৩৫ হাজার টাকা মতো, বাকি টাকা অন্যান্য নেতৃবৃন্দ জোগাড় করেছিলেন।
নবাবের জমিদারি পড়তির দিকেই যদি থাকবে তবে হল তৈরির টাকা এলো কোত্থেকে? আসল কথা হলো, এই বক্তব্যের কোন সত্যতাই নেই। যদি ধরেও নেয়া হয়, এক লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন, তাহলে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা কী করে দিলেন? এ কি এক হাস্যকর অবস্থা৷ [ডঃ আশরাফুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এলাকার ইতিহাস (১৫৯৯-২০১২), পৃ ৩২৯-৩৩৭]।
মাঝখানে আরো অনেক অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে নবাবকে। কলকাতার বিরোধিতা, ইংরেজদের অসহযোগিতার সে এক ভিন্ন ইতিহাস। সেই ইতিহাস পড়তে হলে কলেবর বৃদ্ধি হবে আরও অনেক বেশি।

জমিদান সংক্রান্ত
----------------------
নবাব সলিমুল্লাহর জমিদান বিতর্কের নবাববিরোধী অংশের একমাত্র ঐতিহাসিক দলিল হলো অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের একটি সংলাপ। পূর্বেই বলা হয়েছে ইতিহাস লিখন পদ্ধতি মোতাবেক কারো ব্যক্তিগত অপিনিয়ন, স্মৃতি নিঃসরিত কথা কখনো ঐতিহাসিক তথ্য হয়ে উঠতে পারে না, যতক্ষণ না সেটা হিস্টোরিক্যাল মেথডোলজির মধ্য দিয়ে না যাচ্ছে। উপরন্ত আব্দুর রাজ্জাকের কথার ভেতরে রয়েছে স্ববিরোধীতা।
তিনি ওই বইয়ে, সরদার ফজলুল করিমকে বলেছেন- নবাব পরিবারকে ঢাকার সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখতো না। আবার তিনি অন্যত্র বলছেন নবাবের কাছে মানুষ তাদের সম্পদ ওয়াকফ বা দান করে যেত।
নবাবকে যদি মানুষ ঘৃণাই করে, তাহলে তার কাছে তাদের মূল্যবান সম্পদগুলোকে ওয়াকফ করে দেবে কেন? যাকে আমরা ঘৃণা, অবিশ্বাস করি তার হাতে নিশ্চয়ই আমাদের দানকৃত সম্পদগুলো তুলে দেই না।
সুতরাং আব্দুর রাজ্জাকের ইতিহাস চেতনার নৈর্ব্যক্তিকতার এপ্রোচ এক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ এবং নবাব পরিবারের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত বলে প্রমাণিত হয়।

এতোটুকুই যথেষ্ট তাদের বক্তব্য খন্ডন করার জন্য। তবু আরেকটু এগিয়ে গিয়ে চলুন ঢাকা শহর নিয়ে কাজ করার সবচাইতে বেশি পরিচিত কিছুটা সমালোচিত ডক্টর মুন্তাসির মামুনের বই ঢাকা সমগ্র-১ এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের সাথে একটি আলাপচারিতা দেখা যাক-
"শাহবাগ তো নবাবের ছিলই, অনুমান করে নিচ্ছি রেসকোর্স ময়দানও নবাবেরই ছি। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামকে আমি একবার বলতে শুনেছি, তিনি নবাব পরিবারের দলিলপত্র ঘাটতে গিয়ে রেসকোর্স ময়দানকেও নবাবের সম্পত্তি হিসেবে পেয়েছিলেন তাও তার মৃত্যুর পর।"
এখানে মুনতাসির মামুন এবং সিরাজুল ইসলাম এর অবজেক্টিভিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে না। তারা একাডেমিক ইতিহাসবিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক। তারা দুজনেই ছিলেন চরম মার্কসবাদী এবং আদর্শিকভাবে নবাবের আদর্শের থেকে যোজন যোজন দূরত্বে। আদর্শিক দন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও যখন এমন অকপট স্বীকারোক্তি তখন এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সাব্যস্ত হতেই পারে।

সামগ্রিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান যে এলাকায়, সেই এলাকার ইতিহাস গবেষণা করতে গেলে শুরুটা করতে হবে বারো ভূঁইয়াদের সময় থেকে। এখনকার শাহবাগ ছিল বাগে-শাহী বা রাজবাগান। তারপর মীর জুমলা ঢাকা অধিগ্রহণ করলে এখানে প্রশাসনের কাঠামো গড়ে ওঠে। থাকতে দেওয়া হয় মুসা খানকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্জন হলের নিকটে অবস্থিত মুসা খান মসজিদ তারই স্মৃতি বহন করছে। মোগলদের পতনের পর তা চলে আসে নবাব আব্দুল গনি ও আর্মেনিয়ানদের হাতে। সেখানে এশারত মঞ্জিল, নিশাত মঞ্জিলসহ অন্যান্য নবাবী স্থাপনা গড়ে ওঠে। বর্তমান মধুর ক্যান্টিন আসলে এশারাত মঞ্জিলের দরবারগৃহ, সোজা বাংলায় ড্রইং রুম।

এভাবে নবাব সলিমুল্লাহও এসব জমির মালিকানা লাভ করেন। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হলে নতুন স্টেটে নতুন প্রশাসনিক কাঠামোর জন্য জমির প্রয়োজন হলে নবাব তার অধীনস্থ পরিবাগ, শাহবাগ, মিন্টু রোড এবং বর্তমান টিএসসি এলাকা ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেন। কিন্তু বঙ্গভঙ্গ ১৯১১ সালে রদ হলে নবাব সলিমুল্লাহ এবং অন্যান্য সম্ভ্রান্ত মুসলিম নেতৃত্ব তাদের জমি আর ফিরিয়ে নেননি। আইন সংগতভাবে তারা ফিরিয়ে নিতে পারতেন। অন্যভাবে বললে এটি তাদেরই "মালিকানায় ছিল"। এইখানে ইতিহাসের প্যাঁচ। ফিরিয়ে না নেওয়ার কারণে নবাবের মালিকানাভুক্ত জমি হয়ে গেল "সরকারী খাস জমি"। এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি রাজস্ব সরকারের কাছে পরিশোধ করা হয় "সালিমাবাদ" মৌজা নামে। এরচেয়ে বড় ঐতিহাসিক দলিল প্রমাণ আর কী হতে পারে। (প্রাগুক্ত, ড. আশরাফুল আলম)
তবে এও সত্যি যে কিছু অংশ সত্যিই খাস জমি ছিল, কার্জন হল, সুফিয়া কামাল হলের আশেপাশে জায়গাগুলো সরকারি জমি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাট অংশ নবাব সলিমুল্লাহর নিজস্ব জমি।
মোদ্দাকথা হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি ইনডাইরেক্টলি দান করেছেন নবাব সলিমুল্লাহ। কিছু অংশ সরকারি খাস জমি ছিল। কিছু অংশ ছিল নবাবের একান্ত নিজস্ব মালিকানাভুক্ত, আর বড় অংশ ছিল মালিকানা থাকা সত্ত্বেও যা ফিরিয়ে নেননি।
তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন জায়গায় এমন আছে যা নবাবের দানকৃত জমির বাইরে অবস্থিত?
দানকৃত শাহবাগ বাগানবাড়ির অংশে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া, সূর্যসেন হল, ইন্টারন্যাশনাল হল, বিজনেস স্টাডিজ ফ্যাকাল্টি, মধুর ক্যান্টিন অবধি।

দানকৃত টিএসসি এলাকার মধ্যে রয়েছে সম্পূর্ণ টিএসসি ও কলা ভবন। সলিমুল্লাহ মুসলিম অংশে ফুলার রোড ও পুরো সলিমুল্লাহ হল। পুরো রেসকোর্স ময়দান তো আছেই।
নবাবের ৬০০ একর জমিরও সব এখন ঢাবির হাতে নেই, ঢাবির হাতে ২৫৩ একর মত। সব বেহাত হয়ে গেছে। ঠিক নবাব বিদ্বেষীদের বিবেকের মত। ঢাবির যেসব শিক্ষার্থী নানা লেখনী পোস্টিংয়ের মাধ্যমে নবাব বিদ্বেষে মত্ত তারা থাকছেন হল পাড়ায়, পড়ছেন কলা ভবনে, হাঁটছেন নবাবের দান করা জমিতে। কী সাংঘাতিক তাদের নির্লজ্জতা, কী ব্যাপক তাদের নেমকহারামী৷ কী ভয়াবহ তাদের অকৃতজ্ঞতা।

Reference:
1. History of University of Dhaka, MA Rahim
2. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এলাকার ইতিহাস (১৫৯৯-২০১২). ডঃ আশরাফুল আলম।
৩. ঢাকা সমগ্র-১, মুনতাসির মামুন।
৪. সৈয়দ আবুল মাকসুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষা।
৫. বাংলানামা, ২য় খন্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যা৷
৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পুর্ব বঙ্গীয় সমাজ : ড. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে আলাপচারিতা। সর্দার ফজলুল করিম।

© রুদ্র আসাদ

07/03/2024

এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। আঁকা আনিসুল হক।

06/11/2023
Photos from টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-১০০০'s post 11/09/2023

এটা কোনো সিদ্ধান্ত হইলো?

01/07/2023

সব শিক্ষকই ছাত্রদের শ্যালক এবং শিক্ষার্থীবান্ধব অভিভাবক!

সারাক্ষণ রাজনীতি করে যাচ্ছেন এমন শিক্ষকরাও শিক্ষক রাজনীতিকেই সবকিছু নষ্টের জন্য দায়ী বলে ঢালাও মন্তব্য করেন। তবে সরকার বিরোধী রাজনীতি নির্দোষ, এটা জায়েজ।
সরকারকে সমর্থন করলেই আপনি "দালাল" হয়ে যাবেন‌। আমার এক শ্রদ্ধাভাজন দার্শনিক শিক্ষক সকলের কাছে আমার প্রশংসা করতেন। বলতেন, "মিজান অত্যন্ত মেধাবী, সত্যিকারের শিক্ষকের যেসব গুণাবলী থাকা দরকার সবই তাঁর মধ্যে আছে। অনেকে ভালো ছাত্র হলেও ভালো শিক্ষক হন না। মিজান এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। সে 'জিরো ডিফেক্ট' এ কাজ করে", ইত্যাদি, ইত্যাদি। সবকিছুর পরে অতিরিক্ত এক লাইন যুক্ত করতেন, "তবে আওয়ামী লীগ করে।" বাম দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হন, বাম ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে অল্প সংখ্যক দর্শক-শ্রোতার সামনে আপনার ঐতিহাসিক মতাদর্শের সমর্থনে দীর্ঘ বক্তৃতা দেন তাতে আপনাকে কেউ কিছু বলবেনা। সমস্যা হবে আওয়ামী লীগ করলেই অথবা যদি আপনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করে থাকেন, তাহলে রক্ষা নেই।

বছর তিনেক আগে বড় একটা বিপদে পড়েছিলাম। মিডিয়ার খপ্পরে পড়েই এমনটি হয়েছিল। আমি তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ক্যাসিনো কাণ্ডে যুবলীগ তখন তছনছ। যেহেতু আমি দীর্ঘদিন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ছিলাম (আইনসম্মত ভাবেই), বহুবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলাম, বিশেষ করে ওয়ান-ইলেভেনের পর। আমি তখনো এ পদ থেকে পদত্যাগও করিনি বা আমাকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়নি। যুবলীগের ওয়েবসাইটে তখনো প্রেসিডিয়ামের এক নম্বর সদস্য হিসাবে আমার নাম লেখা ছিল। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদানের দিন থেকেই যুবলীগের সাথে সকল সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে সংগঠনটির সাথে কোন সম্পর্ক রাখিনি।

ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারিকে কথিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডার কেলেঙ্কারির কারণে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাঁদের স্থলে যথাক্রমে এক নম্বর সহসভাপতি এবং এক নম্বর জয়েন্ট সেক্রেটারিকে যথাক্রমে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সেক্রেটারি দায়িত্ব দেয়া হয়। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির কারণে যখন যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদ শুন্য হলো তখন এক কৌতুহলী সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, "আপনি যেহেতু যুবলীগের এখনো এক নম্বর সহ সভাপতি আপনাকে যদি নেত্রী যুবলীগের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয় তাহলে কি এই দায়িত্ব আপনি নেবেন?" আমি বলেছিলাম, "নেত্রী আমাকে যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে আমি সেটা নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। তবে শিক্ষকতার পেশাদারিত্বের সাথে কখনো আপস করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে যোগদানের পর যুবলীগের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। ভালো সময়ে আমি যুবলীগ করেছিলাম, এখন দুর্দিনে পালিয়ে যাওয়ার লোক আমি নই। আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি নেব। তবে সেটা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ ছেড়েই নেব। একসাথে আমি দুটি কাজ করবো না।" এই ছিল আমার কথা। বাকিটা ছিল মিডিয়ার সৃষ্টি: "উপাচার্যের পদ ছেড়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান হতে চান"! দুই সপ্তাহ জুড়ে মিডিয়ার শীর্ষ আলোচনার বিষয় ছিল এটি। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এক বছরের জন্য সাসপেন্ড হলে উপাচার্যের বিষয়টি মিডিয়ায় কিছুটা চাপা পড়ে যায়। তবে আলোচনার বিষয় হিসাবে এখনো এটা জীবন্ত। বিগত দুই তিন বছর যাবত এই আলোচনার কোনো ভাবেই থামছে না। এর থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসা যাচ্ছে না। অতিসম্প্রতি শাহজালাল কান্ডের সময় বিভিন্ন টকশোতে এবং লেখায় উপাচার্যরা যেসকল গর্হিত কাজ করেন তার তালিকায় এটাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। কেউ বলছে না, "আমি এটা হতে চাইনি বরং এই পদে আমি আগেই ছিলাম।"

ওয়ান-ইলেভেনের পর জাতির "বিবেকরা" যখন পালিয়ে ছিল অথবা রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতিবিদ হওয়ার চেষ্টা করছিল তখন চরম ঝুঁকি নিয়ে বিরাজনীতিকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, যে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকা অবস্থায় সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন সেই ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ওই সময়ে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের "কথিত যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছা পোষণের" প্রসঙ্গটির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।

একজন সিনিয়র শিক্ষক যিনি সত্যিকার অর্থেই তাঁর বিষয়ে একজন প্রতিষ্ঠিত পন্ডিত, তিনি দুঃখ করে বলেছিলেন, "জনপ্রিয় শিক্ষক হওয়ার একটা সহজ ও সস্তা বুদ্ধি হচ্ছে কম পড়ানো, ছাত্রদের কম চাপ দেয়া, সহজ প্রশ্ন করা এবং বেশি নম্বর দেয়া।" ছাত্ররা যেহেতু অ্যাডাল্ট তাঁরা নিজেরাই পড়ে নিবেন। তাঁদেরকে অবাধ সুযোগ করে দিতে হবে। আলাপ-আলোচনা এবং আড্ডার মধ্য দিয়েই তাঁরা সবকিছু শিখে ফেলবে। সেটা "টিলার" উপরে বসে হোক আর "টঅং" এর চারপাশে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডার মাধ্যমেই হোক। বেশি পড়ানোর দরকার নেই। তবে এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের একটি বক্তৃতার অংশ মনে পড়ে গেল। স্যার বলেছিলেন ছাত্ররা শিক্ষকদের "শালা" বলবেই। ছাত্রদের যদি অতিরিক্ত পড়াশোনার জন্য চাপ দেন তখন বলবে, "এই শালা অনেক জ্বালাচ্ছে"। কোনো চাপ না দেয়ার কারণে বা না পড়ানোর কারণে আপনাকে "শালা" না বললেও কর্মজীবনে যখন কোনো সমস্যায় পড়বে তখন বলবে, "ওই শালা আমাদের ওই টপিকটা পড়ায়নি, যার কারণে এখন এই সমস্যাটি সমাধান করতে পারছি না।" অর্থাৎ ছাত্রদের "শ্যালক" আপনাকে হতেই হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বেশি পড়িয়ে হবেন, না কম পড়িয়ে হবেন।

রাজধানীর বাইরের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যিনি নিজে একজন নিবেদিত গবেষক, তাঁর বিষয়ের পৃথিবীর সেরা জার্নালে একাধিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে তিনি দুঃখ করে বলেছিলেন, "আপনার যদি মহান শিক্ষাবিদ বা শিক্ষাগুরু হওয়ার আগ্রহ থাকে, তাহলে শিক্ষাবান্ধব হওয়ার দরকার নেই, শিক্ষার্থী বান্ধব হলেই চলবে।" সব সময় ছাত্রদের আন্দোলন-সংগ্রাম, আনন্দ, বেদনা, উচ্ছ্বাস সবকিছুকে সমর্থন জানাবেন। প্রশাসনের বিপক্ষে দাঁড়াবেন। প্রশাসনের জন্যই তো ছাত্রদের যত "না পাওয়া"। সবকিছুর জন্য প্রশাসনেই দায়ী। এতে দুটো কাজ হবে। রাতারাতি আপনি ছাত্রদের "অভিভাবক" হয়ে যাবেন। প্রশাসনও আপনাকে তোআজ করবে। আর আপনিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নিয়ম কানুন না মেনে যা খুশি তাই করতে পারবেন। কেউ বাধা দিবেনা। কোন ছুটি ছাড়াই আপনি কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন এবং সারা দেশে ঘুরে ঘুরে ছাত্রবান্ধব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হতে পারবেন অথবা নিদেনপক্ষে বিভিন্ন আন্দোলনে মানববন্ধনের মানব ঢাল হতে পারবেন। নিজের বিষয়ে মৌলিক কোনো গবেষণা না করলেও 🐖 বা একটিও বিশ্বমানের ভালো প্রবন্ধ বা বই না লিখলেও আপনাকে জাতির সবাই মহাজ্ঞানী ভাববে। ভুলেও কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব নিবেন না। কারণ দ্রুত আপনি জনপ্রিয়তা হারাবেন। বাংলাদেশের মত "টানাটানির" দেশে দাবিকে সমর্থন করা যত সহজ, দাবি পূরণ করা তত সহজ নয়। দীর্ঘদিন শিক্ষার শান্ত পরিবেশ বজায় থাকা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাকে বলেছিলেন শিক্ষার্থীবান্ধব (জ্ঞান বা শিক্ষাবান্ধব নয়) "অভিভাবকদের" ছাত্রদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা গেলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত পরিবেশ বজায় থাকে, যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত পরিবেশেই কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিশ্চিত করে না।
(পাঠকদের এই লেখাটি সিরিয়াসলি না নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এটি একটি রম্য রচনা)

__অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান

05/05/2023

এটা কোনো বিজ্ঞজনের কাজ?

22/04/2023

ঈদ মোবারক

14/04/2023

শুভ নববর্ষ ১৪৩০

11/04/2023

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

04/04/2023

#বানান শুদ্ধি

◾প্রথম প্যারা:
১. সাথে> সঙ্গে [কাব্যিক শব্দ]
২. লক্ষ্য> লক্ষ [লক্ষ্য: উদ্দেশ্য; লক্ষ: খেয়াল করা]
৩. লক্ষ করেছি যে> লক্ষ করেছি যে, [অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কমা বসে।]

◾২য় প্যারা:
৪. উল্লেখিত> উল্লিখিত [উৎ+লিখিত= উল্লিখিত। বাংলা একাডেমির অভিধানে উল্লেখিত কোনো শব্দ‌ই নাই!]
৫. দারিদ্রের> দারিদ্যের [দরিদ্র+য=দারিদ্র্য। 'য' প্রত্যয় যুক্ত হ‌ওয়া এবং গুণ ও বৃদ্ধির সূত্র]
৬. অপর্যাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির> অপ্রপ্ত বয়স্ক শিশুর
৭. সাথে> সঙ্গে

◾৩য় প্যারা:
৮. হলো, > হলো: [একটি অপূর্ণ বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করলে কোলন বসে।]
৯. উদ্দেশে> উদ্দেশ্যে [উদ্দেশে= প্রতি; উদ্দেশ্যে= বিশেষ অভিষ্টসাধনের অভিপ্রায়ে।]

◾৪র্থ প্যারা:
১০. উদ্দেশে> উদ্দেশ্যে [উদ্দেশে= প্রতি; উদ্দেশ্যে= বিশেষ অভিষ্টসাধনের অভিপ্রায়ে।]
১১. সাজানো হয়েছিল> সাজানো হয়েছিল, [জটিল বাক্যের খণ্ডবাক্যকে আলাদা করতে কমা বসে।]
১২. ইতোপূর্বে> ইতঃপূর্বে/ইতিপূর্বে [ইতোপূর্বে লেখা যায়]

[সন্ধির সূত্র অনুযায়ী সাধারণত বিসর্গের পরে ক ও প থাকলে পদ মধ্যস্থ বিসর্গ বহাল থাকে। ইতোপূর্বে জাতীয় কোনো শব্দ অভিধানে নেই।]

১৩. পাশ্ববর্তী> পার্শ্ববর্তী [পাশে আছে এমন।]

Photos from ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট নির্বাচন's post 19/03/2023

সিনেট নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী।
অভিনন্দন

03/03/2023

ঢাবি সিনেট নির্বাচন ২০২৩
#ভোট_গ্রহণের_তারিখ
◾ঢাকার বাইরের কেন্দ্রে
৪ ও ১১ মার্চ ২০২৩
◾ঢাকার কেন্দ্রে
১৮ মার্চ ২০২৩

Registered Graduate | University of Dhaka 03/03/2023

#ঢাকা_বিশ্ববিদ্যালয়
#রেজিস্টার্ড_গ্রাজুয়েট
#সিনেট_নির্বাচন২০২৩

(ছ) #ভোটার_কার্ড: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ হতে ভোটার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের https://reggrad.du.ac.bd ওয়েব সাইট থেকে তার ভোটার কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

#ঢাকার_বাইরের_কেন্দ্রে_ভোট
(জ) ঢাকার বাইরের ২৯টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ: ঢাকার বাইরের নিম্নোক্ত কেন্দ্রগুলোতে ৪ মার্চ ২০২৩ তারিখ শনিবার স কাল ১০:০০টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে এবং অপরাহ্ন ২:০০টায় ভোট কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার বন্ধ করা হবে। ভোট গ্রহণ শেষে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবহৃত ভোটদানপত্র প্যাকেটে সীল-গালা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণনার জন্য নিয়ে আসবেন।

◾কেন্দ্রসমূহ:
(১) শেরপুর সরকারী কলেজ, শেরপুর (২) নেত্রকোনা সরকারী কলেজ, নেত্রকোনা (৩) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারী কলেজ, শরিয়তপুর (৪) সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজ, গোপালগঞ্জ (৫) শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল (৬) সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পিরোজপুর (৭) বরগুনা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, বরগুনা (৮) ঝালকাঠি সরকারী কলেজ, ঝালকাঠি (৯) পটুয়াখালী সরকারী কলেজ, পটুয়াখালী (১০) সরকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মাগুরা (১১) ভোলা সরকারী কলেজ, ভোলা (১২) লক্ষীপুর সরকারী মহিলা কলেজ, লক্ষীপুর (১৩) চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম (১৪) ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজ, কুমিল্লা (১৫) ব্রাম্মণবাড়ীয়া সরকারী কলেজ, ব্রাম্মণবাড়ীয়া (১৬) চাঁদপুর সরকারী কলেজ, চাঁদপুর (১৭) চৌমুহনী সরকারী এস এ কলেজ, নোয়াখালী (১৮) এম সি কলেজ, সিলেট (১৯) আযম খান সরকারী কমার্স কলেজ, খুলনা (২০) সাতক্ষীরা সরকারী মহিলা কলেজ, সাতক্ষীরা (২১) সরকারী মাইকেল মধুসুধন কলেজ, যশোর (২২) সরকারী কে সি কলেজ, ঝিনাইদহ (২৩) কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ, কুষ্টিয়া (২৪) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী (২৫) সরকারী আযিযুল হক কলেজ, বগুড়া (২৬) সরকারী কারমাইকেল কলেজ, রংপুর (২৭) সরকারী এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা (২৮) সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজ, সিরাজগঞ্জ এবং (২৯) বাগেরহাট সরকারী পি. সি. কলেজ, বাগেরহাট।
---------
(ঝ) ঢাকার বাইরের ১৩টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ: ঢাকার বাইরের নিম্নোক্ত কেন্দ্রগুলোতে ১১ মার্চ ২০২৩ তারিখ শনিবার সকাল ১০:০০টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে এবং অপরাহ্ন ২:০০টায় ভোট কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার বন্ধ করা হবে। ভোট গ্রহণ শেষে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবহৃত ভোটদানপত্র প্যাকেটে সীল-গালা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণনার জন্য নিয়ে আসবেন।

◾কেন্দ্রসমূহ:
(১) গাজীপুর সরকারী মহিলা কলেজ, গাজীপুর (২) নরসিংদী সরকারী কলেজ, নরসিংদী (৩) সরকারী তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ (৪) সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ, মানিকগঞ্জ (৫) সরকারী হরগঙ্গা কলেজ, মুন্সিগঞ্জ (৬) আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ (৭) গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ, ময়মনসিংহ (৮) কুমুদিনী সরকারী কলেজ, টাঙ্গাইল (৯) গুরুদয়াল সরকারী কলেজ, কিশোরগঞ্জ (১০) সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর (১১) সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর (১২) রাজবাড়ী সরকারী কলেজ, রাজবাড়ী (১৩) মাদারীপুর সরকারী কলেজ, মাদারীপুর।

#ঢাকা_কেন্দ্রে_ভোট_১৮মার্চ
(ঞ) ঢাকার ৪টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ: ঢাকার নিম্নোক্ত কেন্দ্রগুলোতে ১৮ মার্চ ২০২৩ তারিখ শনিবার সকাল ৯:০০টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে এবং বিকাল ৫:০০টায় ভোট কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার বন্ধ করা হবে। ভোট গ্রহণ শেষে ব্যবহৃত ভোটদানপত্র সীল-গালা প্যাকেটে গণনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকবে।

কেন্দ্রের নাম ভোটার নম্বর
◾নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- ১ থেকে ১৬,০০০ পর্যন্ত।
◾ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- ১৬,০০১ থেকে ৩২,০০০ পর্যন্ত।
◾ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- ৩২,০০১ থেকে ৪৮,০০০ পর্যন্ত।
◾শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- ৪৮,০০১ থেকে ৫৯,৩২০ পর্যন্ত।

(ট) ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা: সকল কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ শেষে ১৯ মার্চ, ২০২৩ তারিখ রবিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ১০:০০টা থেকে Optical Counting Systems (OCS) পদ্ধতিতে ভোট গণনা শুরু হবে এবং গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করে হবে।

বি: দ্র: (১) নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী/ভোটারকে কোন প্রকার টি.এ/ডি.এ প্রদান করা হবে না।

Registered Graduate | University of Dhaka Registered Graduate | University of Dhaka

02/03/2023

সিনেট নির্বাচন

Want your school to be the top-listed School/college?

Videos (show all)

কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস!
এমন খোলা অরণ্যে খুঁজি তোমায়
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ওমহান শহীদ দিবস
সুন্দরজহু হল...

Address


Ramna