
দারুচিনি দ্বীপ দিচ্ছে ডাক,
প্রাণের পঁচিশ সমুদ্রে যাক!
The 25th batch of Institue of Education & Research , University of Dhaka {Session-2018-2019}
Operating as usual
দারুচিনি দ্বীপ দিচ্ছে ডাক,
প্রাণের পঁচিশ সমুদ্রে যাক!
"সেইন্ট মার্টিনে প্রাণের পঁচিশ
উল্লাস হবে অহর্নিশ"
আমাদের ২৫তম ব্যাচের বন্ধু মোঃ সামির হোসেন গত ৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার আনুমানিক রাত ৮টার দিকে ইন্তেকাল করেছে।
ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সামিরকে হারানো মাধ্যমে আমরা শুধু বন্ধু হারাইনি, পুরো আইইআর এক অমূল্য রত্ন হারিয়েছে। শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে সে গত ২৪ আগস্ট থেকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ছিলো। এরপর শারীরিক অবস্থান অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউ-তে শিফট করা হয়। আমাদের এই বন্ধুটি জ্ঞানত কাউকে কোনো কষ্ট দেয়নি, বরং নিজের সাধ্যানুযায়ী সবাইকে শুধু সাহায্যই করে গিয়েছে। তবুও কেউ সামিরের মাধ্যমে কখনো কোনো কষ্ট পেয়ে থাকলে ওকে ক্ষমা করে দিবেন এবং ওর জন্য অন্তর থেকে দোয়া করবেন। আমাদের এই নির্বিবাদী, পরোপকারী, বিশুদ্ধ আত্মার বন্ধুকে যেন আল্লাহ তা'আলা জান্নাত নসিব করেন।
আমরা তোকে সবসময় মনে রাখবো, বন্ধু। তোকে আমরা ২৫তম ব্যাচ কখনো ভুলবোনা।
Hello Batch 25th of IER, DU.
Aren’t you coming to the long march?
15 Hrs to go👈
See you all at sharp 10 am tommorow 🫶
"নিপাত যাক অনাচার
Let's march to IER"
দেখা হচ্ছে সবার সাথে!
"আমার বিচার তুমি করো, তোমার বিচার করবে কে?
কবে তোমার দখল থেকে, মুক্তি আমায় দেবে?"
মহাজনদের সকল অন্যায় ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইআর)-এর শিক্ষার্থীরাও। স্বৈরাচারী শাসকের পক্ষ নেওয়া দুই রাজনৈতিক ক্ষমতাধর শিক্ষক ড. এম. অহিদুজ্জামান এবং ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে তাদের সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলনের আজ তৃতীয় দিন। তবে এখনো সব শুনেও যেন না শোনার ভান করে আছেন মহাজনেরা। আইইআরের প্রতিটা গেইটে শিক্ষার্থীদের ঝুলিয়ে দেওয়া তালাগুলো যেন তাদের চোখেই পড়ছেনা।
তাই আরো একবার তাদের ঘুম ভাঙাতে আজ দুপুরে ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে এবং বিভিন্ন প্রতিবাদী গান ও কবিতার মাধ্যমে তাদের দাবি দাওয়াসমূহ জানান দেয়।
সবাই জেনে রাখুন, অন্যায়ের বিপক্ষে শিক্ষার্থীদের এই অগ্নিঝড়া কণ্ঠস্বর থামার নয়। অনন্ত যতোদিন মুক্তি না মিলছে!
আগস্ট ১৪, ২০২৪ || শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
#দাবি_পূরণ_হবেনা_যতোদিন_আইইআর_এর_গেইটে_তালা_ঝুলবে_ততোদিন
আজ দুপুর ১টায় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের দেওয়া আল্টিমেটাম অনুযায়ী ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়নি। তাই পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ ১২ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।
স্বৈরাচারী শাসকের পক্ষ নেওয়া দুই রাজনৈতিক ক্ষমতাধর শিক্ষক ড. এম. অহিদুজ্জামান এবং ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে তাদের সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না দেওয়া হলে শ্রেণি কার্যক্রমে না ফেরার সিদ্ধান্তে তারা অনড় থাকবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া আজ ইনস্টিটিউটের দেয়ালে নানা রঙে গ্রাফিতি এঁকে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাদের ক্ষোভ, আক্ষেপ ও প্রত্যাশাসমূহ ব্যক্ত করে।
উল্লেখ্য, গতকাল শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম, অন্যায় ও দুর্নীতি সমূলে উপড়ে ফেলতে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পাশাপাশি ক্যাম্পাস জুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে অবস্থান করে তাদের সুস্পষ্ট দাবি দাওয়া উপস্থাপন করে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়।
আমরা শিক্ষার্থীরা আশা রাখি, আমাদের শিক্ষকবৃন্দসহ সকলে আমাদের এই কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আইইআর প্রবেশ করে যেকোনো ধরণের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। ধন্যবাদ!
আইইআর প্রশাসনের প্রতি শিক্ষার্থীদের অনাস্থা চরমে উঠেছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে আইইআরের দেয়ালগুলোতে। নানা রঙের গ্রাফিতিতে বহুদিনের চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছে শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইআর-এ) সব ধরনের স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট, বৈষম্য ও নিপীড়নমূলক কার্যক্রমের অবসান ঘটিয়ে একটি শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠান গড়া আমাদের, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অঙ্গিকার এবং লক্ষ্য।
সে লক্ষ্য পূরণের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হিসেবে আজকে অন্যায্য, অন্যায় কার্যক্রমের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরূদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর কেন্দ্রীয়ভাবে অভিযোগপত্র দাখিল এবং আইইআর প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিপত্র পেশ করা হয়েছে। সমান্তরালভাবে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান এবং আইইআর প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যৌক্তিক বক্তব্য উপস্থাপন ও স্লোগান-মিছিল করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ও আইনানুগ কর্তৃপক্ষ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে আগামীকাল দুপুর ১টা থেকে আইইআর-এ সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হল। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিবারের সাবেকদের প্রতি আহ্বান - আপনারা আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠানকে সর্বময় অন্যায়-শোষণ-আধিপত্যের হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদের, বর্তমানদের সাথে আন্দোলনে যোগ দিন। একাত্ম হোন। সংহতি প্রকাশ করুন। আইইআরকে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব করে প্রতিষ্ঠিত করার দায়, দায়িত্ব আমাদের সকলের।
আসুন, #একসাথে_নতুন_করে_আইইআর_গড়ি
"২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম"
আমাদের বিবৃতি!
আমাদের সকল শিক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!
একজন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা মানে সমস্ত শিক্ষক সমাজের গায়ে হাত তোলা। আমাদের শিক্ষককে আঘাত, অপমান ও হেনস্তা করার অধিকার তাদের কে দিল?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটউট এর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ শামসুজ্জামান অমি কে গত ১৮ই জুলাই, বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে আটক করে পুলিশ। এরপর বিমানবন্দর থানায় ১৭ই জুলাই এর তারিখে মিথ্যা মামলা দিয়ে ও অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে চালান করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, তার পরিবারে কেবল তার স্ত্রী ও আট মাসের একটি ফুটফুটে সন্তান রয়েছে।
এভাবে শিক্ষার্থীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে মোঃ শামসুজ্জামান অমি সহ সকল শিক্ষার্থীর নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।