কবিতা ও কথা

কবিতা ও কথা

Share

কবিতা ও কথা কবিতা বিষয়ক ফেইসবুক পেজ। নতুন ও পুরাতন নির্বাচিত গল্প, কবিতা, ছড়া পেতে লাইক ও ফলো দিন।

Operating as usual

23/02/2024

একটি ভুল পোজ, সারাজীবনের কান্না 😐

27/01/2024

তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
----কাজী নজরুল ইসলাম

তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?
চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী
বলে না তো কিছু চাঁদ।।
চেয়ে’ চেয়ে’ দেখি ফোটে যবে ফুল
ফুল বলে না তো সে আমার ভুল
মেঘ হেরি’ ঝুরে’ চাতকিনী
মেঘ করে না তো প্রতিবাদ।
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?।
জানে সূর্যেরে পাবে না
তবু অবুঝ সূর্যমুখী
চেয়ে’ চেয়ে’ দেখে তার দেবতারে
দেখিয়াই সে যে সুখী।।
হেরিতে তোমার রূপ-মনোহর
পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর।
মিটিতে দাও হে প্রিয়তম মোর
নয়নের সেই সাধ।।
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?

18/01/2024
17/01/2024

ইসলাম এক নক্ষত্র, যার সংস্পর্শে সমস্ত আঁধার বিলীন হয়ে যায়, ঘোর অমানিশাও তাতে নিজেকে সঁপে দিয়ে আলোকোজ্জ্বল হয়। ইসলাম তো এমন এক জ্যোতিষ্ক, যা উৎসারিত হয়েছে আরশে আজিমের মহিমান্বিত রওশন থেকে। জাহেলিয়াত পরাজয় কবুল করেছিল ইসলামের বুকে আশ্রয় পেয়ে। এই পবিত্র দ্বীন আত্মাকে করেছে প্রশান্ত, চরিত্রকে করেছে নিষ্কলুষ, জীবনকে করেছে সার্থক, মানবতাকে দিয়েছে মুক্তি। এর আলোকচ্ছটা যে জমিনে পড়েছে, সেখানে অঙ্কুরিত হয়েছে শান্তির সবুজ তরু। এই রওশনের ঝলক যে হৃদয় ধারণ করেছে, সে হৃদয় হয়েছে দারাজ দিল। যে যুগ ধারণ করেছে, তা হয়েছে খইরুল কুরুন বা সর্বোত্তম যুগ।
কিন্তু হায়! অজ্ঞতা ও অবহেলার কালো মেঘে সেই সূর্য আজ মেঘ লুপ্ত। আলোহীন এ ধরায় উঠে না প্রাণের জোয়ার। তোলে না কেউ আর মানবতার জয়োধ্বনি। অধিকার হারিয়ে মুমূর্ষুপ্রায় মানবতা। নব্য জাহেলিয়াতের এই গাঢ়-কালো মেঘপুঞ্জ চুর্ণ করতে দরকার একটি নির্ভেজাল ঈমানি দমকা হাওয়া; যে হাওয়ায় জ্ঞানের সৌরভ মিশে মোহিত করবে প্রতিটি হৃদয়। সেই মোহনীয় দক্ষিণা হাওয়ার গুঞ্জন তুলতেই আমাদের আয়োজন-‘ম্যাসেজ’।
_______________________
ম্যাসেজ
আধুনিক মননে দ্বীনের ছোঁয়া
AUTHOR ড. মিজানুর রহমান আজহারি
296 PAGES
___
অবস্থা : নতুন।
মূল্য : ৩০০ টাকা।
হোম ডেলিভারি সুবিধা।

16/01/2024

⭕ এই বাংলার শিক্ষক
মানুষ‌কে অপমান না ক‌রেও সং‌শোধন করার অসাধারণ শিক্ষা।

হঠাৎ এক‌দিন রাস্তায় এক বৃ‌দ্ধের সা‌থে এক যুব‌কের দেখা। যুবক একটু আগ বা‌ড়ি‌য়ে গি‌য়ে স‌ম্বোধন ক‌রে বৃদ্ধ‌কে জিজ্ঞাসা কর‌লেন, স্যার আমাকে চিন‌তে পে‌রে‌ছেন ? উত্ত‌রে বৃদ্ধ লোক‌ বল‌লেন না ! আমি তোমা‌কে চিন‌তে পা‌রি‌নি। অতপর বৃদ্ধ লোক জান‌তে চাই‌লেন তুমি কে?

তারপর যুবক‌ বল‌লো যে আমি একসময় আপনার ছাত্র ছিলাম। ও আচ্ছা! ব‌লে সেই বৃদ্ধ লোক‌ যুব‌কের কা‌ছে কুশলা‌দি জানার পর জিজ্ঞাসা কর‌লেন এখন তু‌মি কি কর‌ছো? যুবক‌ অত‌্যন্ত বিন‌য়ের সা‌থে উত্ত‌রে বল‌লো আমি একজন শিক্ষক। বর্তমা‌নে শিক্ষকতা কর‌ছি।

সা‌বেক ছা‌ত্রের মুখ থে‌কে এই কথা শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষ‌ক অত‌্যন্ত খু‌শি হ‌য়ে বললেন "আহা, কতই না ভালো, আমার মতো হ‌য়ে‌ছো তাহ‌লে?"

হ্যাঁ ঠিক! আসলে আমি আপনার মত একজন শিক্ষক হতে পে‌রে‌ছি ব‌লে নি‌জে‌কে ধন‌্য ম‌নে কর‌ছি। তখন সেই যুবক এর পিছ‌নের কারণ বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে বল‌লো আপনি আমাকে আপনার মতো হতে অনুপ্রাণিত হ‌তে উদ্ধুদ্ধ করেছেন।

বৃদ্ধ শিক্ষক কিছুটা কৌতূহল দৃ‌ষ্টি নি‌য়ে যুবকের কা‌ছে শিক্ষক হবার পিছ‌নের কারণ জান‌তে জান‌তে চাই‌লে, সেই যুবক‌ তার শিক্ষক হ‌য়ে উঠার গল্প বল‌তে গি‌য়ে
বৃদ্ধ শিক্ষক‌কে ষ্মরণ ক‌রে দি‌লো স্কু‌লে ঘ‌টে যাওয়া সেই ঘটনা। সে দি‌নের ঘটনা বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে যুবক‌ তখন বৃদ্ধ শিক্ষ‌ককে উ‌দ্দেশ‌্য ক‌রে বল‌লো;

ম‌নে আছে স্যার,
একদিন আমার এক সহপা‌ঠি বন্ধু ‌যে আপনারও ছাত্র ছিল, সে একটি নতুন ঘড়ি নি‌য়ে ক্লা‌সে এসেছিল। তার ঘা‌ড়ি‌টি এতটাই সুন্দর ছিল যে আমি লোভ সামলা‌তে পা‌রি‌নি। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ঘ‌ড়ি‌টি আমার চাই। অতপর আমি তার প‌কেট থে‌কে ঘ‌ড়িট‌ি চুরি করি।
কিছুক্ষণ পর আমার সেই বন্ধু তার ঘড়ির অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং অবিলম্বে আমাদের স্যার অর্থাৎ আপনার কাছে অভিযোগ করে। তার এই অ‌ভি‌যোগ শু‌নে আপনি ক্লাসের উদ্দেশ্যে বলে‌ছি‌লেন, ‘আজ ক্লাস চলাকালীন সম‌য়ে এই ছাত্রের ঘড়িটি চুরি হয়েছে। যে চুরি করেছো, দয়া করে ঘা‌ড়ি‌টি ফিরিয়ে দাও।
হ‌্যাঁ আপনার বার্তা শু‌নেও আমি ঘা‌ড়ি‌টি ফেরত দেইনি কারণ এ‌টি আমার কা‌ছে খুব লে‌াভনীয় ছিল। তারপর দরজা বন্ধ করে আপনি সবাইকে বেঞ্চ ছে‌ড়ে উঠে দাঁড়ি‌য়ে ক্লাসরু‌মের ফ্লো‌রের ম‌ধ্যে একটি গোলাকার বৃত্ত তৈরি করতে বললেন। এবং সবাই‌কে চোখ বন্ধ কর‌তে নি‌র্দেশ দি‌লেন। এরপর ঘড়ি না পাওয়া পর্যন্ত আপনি এক এক করে আমাদের সবার পকেট খুঁজ‌তে লাগ‌লেন।
আমরা সবাই আপনার নির্দেশ মতো দাঁ‌ড়ি‌য়ে রইলাম।
আপনি এক এক ক‌রে পকেট চেক ক‌রে একটা সময় আপনি যখন আমার পকেটে হাত দি‌য়ে ঘ‌ড়ি‌টি খুঁ‌জে পে‌লেন তখন ভ‌য়ে আমার সমস্ত শরীর কাঁপ‌ছিল। কিন্তুু সেই মুহূ‌র্তে ঘা‌ড়ি‌টি আমার প‌কে‌টে পাবার পরও আপনি কিছু ব‌লেন‌নি এবং শেষ ছাত্র পর্যন্ত সবার প‌কেট চেক কর‌ছি‌লেন। সব‌শে‌ষে আপ‌নি সবাই‌কে বললেন ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে। এবার তোমরা সবাই চোখ খুল‌তে পা‌রো। ঘ‌ড়ি‌টি পাবার পর আমার সেই বন্ধু‌টি আপনার কা‌ছে জান‌তে চে‌য়ে‌ছিল ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গি‌য়ে‌ছিল? ‌কিন্তুু আপনি তা‌কে ব‌লে‌ছি‌লেন, ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তোমার ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ।
সেই দি‌নের ঘটনা নি‌য়ে পরবর্তী‌তে আপনি আমার সা‌থে কো‌নো কথা ব‌লেন‌নি। এমন‌কি সে কাজের জন‌্য আপনি আমাকে তিরস্কারও করেননি। নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য আপ‌নি আমাকে স্কু‌লের কো‌নো কামরায় নিয়ে যাননি। সেই ঘটনা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে লজ্জাজনক দিন। অথচ আপ‌নি অত‌্যন্ত বু‌দ্ধিমত্তার সা‌থে, কৌশল অবলম্বন ক‌রে চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি‌টি উদ্ধার কর‌লেন এবং আমার মর্যাদা চিরতরে রক্ষা করলেন।
সে ঘটনার পর আমি অ‌নেক‌দিন অনু‌শোচনায় ভোগে‌ছি। ক্লা‌সে ঘ‌টে যাওয়া ঘটনার রেশ সে দিন চ‌লে গে‌লেও এর প্রভাব র‌য়ে যায় আমার ম‌নের ম‌ধ্যে। বি‌বে‌কের যু‌দ্ধে বার বার দং‌শিত হ‌য়ে‌ছি। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এই সব অ‌নৈ‌তিক কাজ আর কখ‌নো করব না। একজন ভা‌লো মানুষ হ‌বে‌া। একজন শিক্ষক হ‌বো। স‌ত্যিকার অ‌র্থে মানুষ গড়ার কা‌রিগর হ‌বো। আপনার কাছ থে‌কে সে দিন আমি স্পষ্টভাবে বার্তা পেয়েছিলাম প্রকৃতপ‌ক্ষে কি ধর‌ণের একজন শিক্ষা‌বি‌দ হওয়া উ‌চিত। অপমান ছাড়াও মানু‌ষকে সং‌শোধন করা যায় সে‌টি আপনার কাছ থে‌কে শি‌খে‌ছি। আপনার উদারতা এবং মহানুভবতা আজ আমা‌কে শিক্ষ‌কের মর্যাদায় আসীন ক‌রে‌ছে।
সা‌বেক ছা‌ত্রের কথাগু‌লো শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষক বল‌লেন হ‌্যাঁ সেই ঘটনা আমার ম‌নে আছে। চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি আমি সবার পকেটে খুঁজেছিলাম। কিন্তুু আমি তোমাকে মনে রাখিনি, কারণ সে সময় আমার চোখও বন্ধ ছিল।

সংগৃহীত।
বাহারি পিঠা

12/01/2024

“বাহিরের স্বাধীনতা গিয়াছে বলিয়া অন্তরের স্বাধীনতাকেও আমরা যেন বিসর্জন না দিই।”
___-কাজী নজরুল ইসলাম

11/01/2024

বল্লাল সেন বাংলার সেন রাজবংশের দ্বিতীয় নৃপতি ছিলেন। তিনি ১১৬০ থেকে ১১৭৯ সাল পর্যন্ত সেনবংশের রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন সেন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় সেনের পুত্র এবং উত্তরসূরী। রাজা বল্লাল সেন বাংলার সামাজিক সংস্কার, বিশেষ করে কৌলিন্য প্রথা প্রবর্তনকারী হিসাবে পরিচিত। তিনি সুপণ্ডিত ও লেখক ছিলেন। ‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুদসাগর’ তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা। বল্লাল সেন তাঁর রাজত্বের সময় বহুদূর পর্যন্ত সাম্রাজ্য বিস্তার করেন। যেমন :- বরেন্দ্রভূমি, রাঢ়, বঙ্গ, এবং মিথিলা প্রভৃতি এইসব অঞ্চলগুলি তাঁর অধীনস্থ ছিল। সেই সময়ের স্মৃতি আজও বহন করে চলেছে ‘বল্লাল ঢিপি’। এটি অবস্থিত নদীয়া জেলায়। নবদ্বীপের অদূরে মায়াপুরের খুব কাছে বামুনপুকুর বাজারে।

বামুনপুকুর বাজারে অর্থাৎ ভক্ত চাঁদকাজীর সমাধিস্থল থেকে পাঁচমিনিট উত্তর-পশ্চিম দিকে হাঁটলেই দেখা যাবে সুপ্রসিদ্ধ বল্লাল ঢিপি। একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, বল্লাল ঢিপির পার্শ্বস্থ একটি গোরস্থান রয়েছে। আর এই ঢিপির নীচে বল্লাল সেনের আমলে নির্মিত প্রাসাদ ছিল বলে অনুমান করা হয়। তবে বর্তমানে এটি পুরাকীর্তি সংরক্ষণ আইন অনুসারে সংরক্ষিত করা হয়েছে। বল্লাল ঢিপি লম্বায় প্রায় চারশো ফুট ও উচ্চতায় পঁচিশ থেকে ত্রিশ ফুট। দূর থেকে দেখলে পাহাড়ের মত দেখায়। ঢিপিটি সবুজ ঘাসে মোড়া, আর চারিদিক ঘেরা রয়েছে কাঁটাতার দিয়ে।

ঢিপিতে ঢোকার সময় বড় লোহার গেটযুক্ত মূল প্রবেশদ্বার রয়েছে। এই মূল প্রবেশদ্বার থেকে দুই পা এগোলে ইঁটের সিড়ি বেয়ে ওঠা যাবে এই ঢিপির উপর। আর উপর থেকে ডানদিকে সিড়ি বেয়ে নামলে দুদিকে প্রায় ত্রিশ ফুট করে উঁচু দেওয়াল দেখা যায়। তবে এই ঢিপির উপরে বেশিরভাগই পোড়ামাটির ইট, চুন ও সুরকি দিয়ে তৈরি হয়েছে।

"সেন রাজাদের রাজা বল্লাল সেনের নামাঙ্কিত এই বৃহদাকার ঢিপিতে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ ১৯৮২-৮৩ থেকে ১৯৮৮-৮৯ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে উৎখনন পরিচালনা করে। উৎখননের দ্বারা এখানে আবিষ্কৃত হয়েছে বিস্তৃত প্রাঙ্গনের মধ্যে অবস্থিত বৃহদায়তন ইটের ইমারত যার চারিদিকে ছিল উচ্চ প্রাচীর। উৎখননে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পঙ্খের মূর্তি, পোড়ামাটির মানুষ, জীবজন্তুর মূর্তি, তামা ও লোহার তৈরি নানান জিনিসপত্র, পেরেক ও নানান প্রত্নসামগ্রী। অষ্টম ও নবম শতকের ধংসপ্রাপ্ত পুরাতন স্থাপত্যকীর্তির উপর পুনঃনির্মিত এই সৌধের উপরিভাগ আনুমানিক দ্বাদশ শতকের। বিভিন্ন সময়ে মেরামত, পরিবর্তন ও সংযোজনের নিদর্শনবাহী এই স্থাপত্য দ্বাদশ শতকে একটি বিশাল দেবালয় রূপ পরিগ্রহন করে।"

বল্লাল সেনের রচিত "অদ্ভুদসাগর" উল্লেখ অনুসারে অনুমান করা হয় যে, বল্লাল ঢিপির প্রাচীনত্ব আটশো বছরের বেশি। আবার অনেকে এটিকে প্রপিতামহ সামন্ত সেনের প্রাসাদের ধংসস্তুপ বলে মনে করেন। তবে পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের মতে বল্লাল ঢিপি সামন্ত সেনের পৌত্র বিজয় সেনের প্রাসাদ।

যাই হোক না কেন, নদীয়ার বামুনপুকুরে এই রাজ প্রাসাদের ধংসস্তূপটি বল্লাল ঢিপি নামেই খ্যাত। এটি পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নক্ষেত্র নামে পরিচিত

10/01/2024

মদনমোহন তর্কালঙ্কার

আমার পণ

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,
আমি যেন সেই কাজ করি ভাল মনে।
ভাইবোন সকলেরে যেন ভালবাসি,
এক সাথে থাকি যেন সবে মিলেমিশি।
ভাল ছেলেদের সাথে মিশে করি খেলা,
পাঠের সময় যেন নাহি করি হেলা।
সুখী যেন নাহি হই আর কারো দুখে,
মিছে কথা কভু যেন নাহি আসে মুখে।
সাবধানে যেন লোভ সামলিয়ে থাকি,
কিছুতে কাহারে যেন নাহি দেই ফাঁকি।
ঝগড়া না করি যেন কভু কারো সনে
সকালে উঠিয়া এই বলি মনে মনে।

29/10/2023

মান্দার ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদ।

30/06/2023

ল্যাও ঠেলা 😂😂😂

বিয়ে খাওয়ার মাঝখানে খবর এসেছে বর পালিয়ে গেছে চারিদিকে তুলকালাম কান্ড। এইদিকে আমার প্লেটে মাংস কম পরেছে চারিদিকে চেয়েও মাংস দেয়ার মত কাউকে পেলাম না। অবশেষে অনেক উঁকিঝুঁকির পর দেখি কন্যারে ঘিরে সবাই দাঁড়িয়ে আছে প্লেট হাতে নিয়ে বাবুর্চি টাইপের এক লোকরে বললাম, ভাইসাব গরুর মাংসের হাড়ি কোথায়? সে আমার দিকে তাকিয়ে কর্কশ স্বরে বলে উঠলো, ছেলে উদাও হয়ে গেছে আর আপনি খাবারের পিছনে এখনো পরে আছেন।

বুঝলাম না ছেলে গেছে তো কি হইছে আমারে দাওয়াত দেয়া হইছে আমি খেতে এসেছি। এইদিকে কন্যা চিৎকার করে বলছে, আমি বিয়ে না করে উঠবোনা এক্ষুনি আমাকে বিয়ে দিতে হবে। আমিও প্লেট হাতে নিয়ে বললাম, হক কথা বারবার কন্যা সাজা ভালো লক্ষণ না আজই বিয়ে হওয়া উচিত। দেখলাম দুইতিনজন সহমত জানিয়ে মাথা নাড়া দিলো।

কন্যা আবার বলে উঠলো, এই মুহুর্তে আমার বিয়ে না হলে আমি গলায় দড়ি দিবো। আমি মুরগির রানে কামর দিয়ে বললাম, দেয়াই উচিত এভাবে অপমান মেনে নেয়া যায়না। এবারও কয়েকজন পাব্লিক মাথা নেড়ে বললো, ঠিক ঠিক।

কন্যা কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো, আব্বা আমি কিন্তু এক কথা দুইবার বলবো না। তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করেন নয়তো অঘটন ঘটে যাবে। মাংস শেষ হাড্ডিতে কামড় দিয়ে বললাম, দ্রুত ব্যবস্থা না হলে ভাংচুর হবে। এবার সবাই মিলে আমার দিকে ঘুরে তাকালো কন্যার বাপ আমার হাত ধরে বললো, করো কি? আমি বললাম, কিছু করিনা মাংসের হাড়িটা কোথায় বলতে পারেন? সে টাইট করে হাত চেপে বললো, টাকা দুই লাখ দিবো ব্যবসা করবা আর এক্ষুনি আমার মেয়েকে বিয়ে করবা। আশেপাশের সবাই বললো, ঠিক ঠিক বিয়ে করা উচিত।

আমি দুইলাখ কেন দশলাখ দিলেও বিয়ে করবোনা বলতে গেছিলাম কিন্তু সবার চোখের দিকে তাকিয়ে ভিতরের কথা ভিতরে রয়ে গেছে। হবু শ্বশুর আব্বা টেনে চেয়ারে বসিয়ে বললেন, এই জামাইরে মাংস দিয়া যাও। মাংস দূরে থাক পানিও এখন গলা দিয়ে নামছেনা। এ কি মুসিবতে পরলাম....

সংগৃহীত

30/06/2023

৯০ ভাগ মহিলা স্বামীর বান্ধবীকে ঘৃ"ণা করে, কিন্তু ৯৯ ভাগ স্বামীই তার স্ত্রীর বান্ধবীকে পছন্দ করে, এটাই পুরুষের উদারতা😌🤗

30/05/2023

#শরীর_ব্যবসার অজানা দিক নিয়ে লিখবো বলেছিলাম। বন্ধুরা অনেকেই রেসপন্স করেছেন। ভালো লেগেছে। আজ শুরু করছি তাহলে।
শুরুটা আমার পছন্দের প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার ইতিহাস দিয়েই করা যাক। আজ রইলো প্রাচীন মিশরের শরীর ব্যবসার কিছু অজানা তথ্য। বন্ধুরা জানাবেন কেমন লাগলো...

#প্রথম_পর্ব

আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগেই প্রাচীন মিশরীয়রা জন্মনিয়ন্ত্রণের বেশ কিছু পন্থা আবিষ্কার করেছিল। আসলে প্রাচীন মিশরীয় সমাজে অবাধ যৌন স্বাধীনতা উপভোগ করার জন্যে এই পন্থা আবিষ্কারে তারা একরকম বাধ্যই হয়েছিল। এই পন্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল মধু আর সোডিয়াম বাই কার্বনেটের এক বিশেষ মিশ্রণ। যৌন মিলনের আগে এই বিশেষ মিশ্রণ নারী দেহের যৌনাঙ্গের ভেতরে প্রলেপের মতন করে লাগানো হতো।

সেই প্রাচীন কালেই এলিট ক্লাসের মিশরীয় নারীরা যৌনতার বিষয়ে যথেষ্ট আধুনিক ছিলেন। শোনা যায় প্রথম যৌবনে ক্লিওপেট্রা নাকি নিজের একাকিত্ব দূর করতে এক রকম ভাইব্রেটর ব্যবহার করতেন। প্যাপিরাস পাতা দিয়ে বানানো এক ধরণের সরু ঠোঙার ভেতরে অসংখ্য জীবন্ত মৌমাছি ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। মৌমাছিদের গুঞ্জনের ফলে যে কম্পনের সৃষ্টি হয় তাকে নিজের শরীরে উপভোগ করতেন ক্লিওপেট্রা।

প্রাচীন মিশরীয় সমাজ যৌনতা প্রসঙ্গে এতটাই আধুনিক ছিল যে অন্যান্য সভ্যতাগুলোর মতন তারা নারীর কুমারিত্ব নিয়ে বিশেষ বিব্রত হতো না। প্রাচীন মিশরীয় শব্দমালায় ‘ভার্জিন’ বলে কোনও শব্দের উল্লেখই পাওয়া যায় না। বিবাহের সময়ও প্রাচীন মিশরের পুরুষরা নারীদের কুমারিত্ব নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাত না। বিবাহের আগে কোনও নারী যদি স্যাক্রেড প্রস্টিটিউশনের সঙ্গে জড়িত থাকতো তবে তাকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হতো।
প্রাচীন মিশরে বিবাহের আগে শারীরিক মিলনকে সহজভাবে দেখা হলেও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বেশ ঘৃণ্য কাজের মধ্যেই পড়তো, বিশেষ করে নারীর ক্ষেত্রে। বিবাহের পর অন্য পুরুষের সঙ্গে শারীরিক মিলনের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির উদাহরণও রয়েছে প্রাচীন মিশরীয় ইতিহাসে। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও সেই শাস্তি ছিল বেশ লঘু।

প্রাচীন মিশরে ডিভোর্সের প্রথা প্রচলিত থাকলেও তা চাইলেই সম্ভব হতো না। মূলত দুটি কারণে ডিভোর্সকে মেনে নিত প্রাচীন মিশরীয় সমাজ। সন্তানহীনতা এবং বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া ছিল সেই দুটি কারণ।

পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম ওরাল সেক্স’এর উদাহরণ কিন্তু প্রাচীন মিশরীয় মাইথোলজিতেই খুঁজে পাওয়া যায়। দেবতা সেথ তার ভাই দেবতা ওসাইরিসকে খুন করেছিলেন তাদের হাফ সিস্টার দেবী আইসিস’কে পাবার জন্যে। ওসাইরিসকে খুন করার পর তার শরীরকে অসংখ্য টুকরো করে নীল নদের উপত্যকায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দেবতা সেথ। দেবী আইসিস অবশ্য নিজের ভালোবাসার মানুষ ওসাইরিসকে পুনরায় বাঁচিয়ে তুলেছিলেন। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি নীল নদের বিস্তীর্ণ উপত্যকা জুড়ে ওসাইরিসের শরীরের অংশ খুঁজে একত্রিত করেছিলেন। তবে সব কিছু খুঁজে পেলেও ওসাইরিসের যৌনাঙ্গ খুঁজে পাননি তিনি। ফলে ওসাইরিসের শরীরে প্রাণের সঞ্চার সম্ভব হচ্ছিল না। তখন দেবী আইসিস নীল নদের তীরের পবিত্র মাটি দিয়ে একটি পুরুষাঙ্গ বানান। তারপর মাটির তৈরি সেই পুরুষাঙ্গকে নিজের দুই ঠোঁটের মাঝে রেখে তাতে উষ্ণতা প্রদান করেন এবং তা ওসাইরিসের শরীরে সঠিক জায়গায় স্থাপন করেন। সঙ্গে সঙ্গে দেবতা ওসাইরিস যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন এবং তার শরীরে প্রাণের সঞ্চার হয়।

প্রাচীন মিশরে যৌনাঙ্গের মতন দেখতে অ্যামুলেট পরিধান করার রীতি ছিল। সাধারণত দেবতার মন্দিরে স্যাক্রেড প্রস্টিটিউশনের সঙ্গে যুক্ত নারীরা দেবতার যৌনাঙ্গের আকৃতির অ্যামুলেট পরতেন তাদের দুই বাহুতে।

চলবে...

© বিশ্বজিৎ সাহা

Want your school to be the top-listed School/college in Rajshahi?

Click here to claim your Sponsored Listing.

Location

Telephone

Address


Rajshahi