
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
লোকপ্রশাসন বিভাগের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় লোক প্রশাসন বিভাগের পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।অভিনন্দন ম্যাডাম
Sangida Rahman
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Department of Public Administration,Pust, Community College, Pabna Hiway Road, Pabna.
Operating as usual
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
লোকপ্রশাসন বিভাগের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় লোক প্রশাসন বিভাগের পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।অভিনন্দন ম্যাডাম
Sangida Rahman
প্রসাশন বলতে আপনি কী বুঝেন?
উ: প্রশাসন বলতে এমন একটি ব্যবস্থাকে বুঝায় যেখানে সামগ্রিকভাবে জনগণের সাথে সংশ্লিষ্ট কার্যাদির সুষ্টু ব্যবস্থা করা হয়।
★প্রসাশন ক্যাডারে নিয়োগ দেয়া হলে আপনার ভুমিকা কী হবে?
উ: এক্ষেত্রে একজন সহকারী কমিশনার হিসেবে প্রশাসক এর স্টাফ অফিসার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা (CrPc অনুসারে) প্রয়োগ, বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, পাবলিক পরীক্ষা ও স্কুল সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তদারকি, আসামীদের জবানবন্দী নেয়া ইত্যাদি দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে।
★প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পেলে আপনি কোন ক্যাডারে নিযুক্ত হবেন?
উ: মাঠ প্রশাসনে সহকারী কমিশনার অথবা, সচিবালয়ে সহকারী সচিব হিসেবে।
★প্রশাসনের শাখা বলতে কী বুঝেন?
উ: .... মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মূল কার্য সম্পাদনকারী একককে বুঝায়।
★এরুপ শাখার মূল দ্বায়িত্বে কে থাকেন?
উ: একজন সহকারী সচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকতা।
★ আচ্ছা, একটু আগে CrPc এর কথা বললেন, বলুন দেখি এটি কে ড্রাফট করেছিলেন?
উ: ১৮৯৮ সালে লর্ড ম্যাকলে
★CrPc এর পূর্ণরুপ কী?
উ; The Code of Criminal Procedure (1898)
★CrPc প্রণয়ণের উদ্দেশ্যে কী?
উ: ফৌজদারি কার্যবিধি অপরাধীদের খুঁজে বের করা, তাদের বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করা এবং অপরাধ দমনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। সেসব প্রক্রিয়া ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি বা কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিয়্যার ১৮৯৮-এ নির্দেশ করা হয়েছে। ফৌজদারি আদালত গঠন এবং সেগুলির এখতিয়ার ও ক্ষমতা ছাড়াও কার্যবিধিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: অভিযুক্ত ও সাক্ষীদের প্রতি সমন জারি করা, অভিযুক্ত ও সাক্ষীদের গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা জারি করা, পলাতক অভিযুক্তকে ফেরার ঘোষণা করা এবং তার সম্পত্তি ক্রোক করা, তল্লাশি পরোয়ানা, অন্যায়ভাবে আটককৃত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা; তল্লাশির সঙ্গে সম্পৃক্ত সাধারণ বিধিব্যবস্থা, বেআইনি সমাবেশে বাধাদান, জনজীবনে উৎপাত ও শান্তিভঙ্গ, স্থাবর সম্পত্তির দখল নিয়ে বিরোধ, অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের ক্ষমতা, অপরাধ সংগঠনের ব্যাপারে পুলিশের নিকট অভিযোগ পেশ এবং তদন্ত চালানো ও অপরাধীদের ফৌজদারিতে সোপর্দ করার ক্ষেত্রে পুলিশের ক্ষমতা, পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অথবা ব্যক্তি কর্তৃক দায়েরকৃত ফরিয়াদ অথবা তার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচারার্থ মকদ্দমা গ্রহণ, তদন্তের স্থান, ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়রা জজ কর্তৃক মামলাসমূহের বিচারকার্য, মামলার দ্রুত বা সংক্ষিপ্ত বিচার, তদন্ত ও বিচারকার্যের সাধারণ বিধানবলি, রায় প্রদান, মৃত্যুদন্ড অনুমোদন বা বহাল করণের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে পেশ, রায় ও আদেশ কার্যকরকরণ, সাময়িকভাবে দন্ড স্থগিতকরণ, দন্ডাদেশ মওকুফ ও হ্রাসকরণ, আদালতের বিচারে পূর্বে খালাস অথবা পূর্বে দোষী প্রতিপাদনের ফলাফল, রায় আদেশ ও দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল, বরাত ও পুনর্বিচার, পাগলদের বিচার, বিচার প্রশাসনকে প্রভাবিত করে এমন অপরাধের মকদ্দমা, স্ত্রী ও সন্তানদের ভরনপোষণ, পুলিশী হাজত অথবা ব্যক্তিগত আটক অবস্থা থেকে বিনাবিচারের আটক ব্যক্তিদের মুক্তির জন্য পেশকৃত হেবিয়াস কর্পাসের ভিত্তিতে প্রদত্ত নির্দেশ, ফৌজদারি আদালতের সরকারি উকিলদের নিয়োগ কার্যাবলি, অভিযুক্তদের জামিন, সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণের জন্য কমিশন নিয়োগ করা, সাক্ষ্য সংক্রান্ত বিশেষ বিধান, মুচলেকা, সম্পত্তি বিক্রয়, এক আদালত থেকে অন্য আদালতে মামলা স্থানান্তর, নিয়ম বহির্ভূত মকদ্দমা এবং স্থানীয় পরিদর্শন, বিচার বিষয়ের মীমাংসায় সঠিক সাক্ষ্য হাজিরের (সমনের) নির্দেশ দানে আদালতের ক্ষমতা অথবা আদালতে উপস্থিত যেকোন ব্যক্তির সাক্ষ্য বা জবানবন্দি গ্রহণ, আদালতের অভিমত প্রকাশের পদ্ধতি, হাইকোর্ট বিভাগের সহজাত ক্ষমতা ইত্যাদির ন্যায় বিবিধ বিষয়।
★সরকারি কর্মকতা-কর্মচারীদের কর্তব্য কী?
উ: সংবিধানের ২১ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সকল সময়ে জনগণের সেবা করার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।
★প্রজাতন্ত্র ও গণপ্রজাতন্ত্র কী?
উ: যে রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান সরাসরি জনগণ বা প্রজা কর্তৃক নির্বাচিত হয়, সেই রাষ্ট্রকে প্রজাতন্ত্র বলে। আর পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হলে তাকে গণপ্রজাতন্ত্র বলে। (বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্র)
★ ফেডারেশন ও কনফেডারেশন কী?
উ: কতগুলো স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য একত্রিত হয়ে কোন সংস্থা গঠন করলে তাকে ফেডারেশন বলে আর, কতগুলো স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র একত্রিত হয়ে কোন সংস্থা গঠন করলে তাকে কনফেডারেশন বলে।
★Cadre বলতে কী বুঝেন?
উ: ক্যাডার বলতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ নিয়ে গঠিত ক্ষুদ্র দলকে বুঝায়।
★ প্রশাসন ক্যাডারকে কেন Dynamic Cadre বলা হয়? কারণ,
* প্রশাসন ক্যাডার থেকে অন্যান্য ক্যাডারে প্রেষণে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
*দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নীতি প্রণয়ণে মূখ্য ভুমিকা রাখা যায়।
*প্রত্যক্ষভাবে জনগণের সাথে কাজ করা যায় বলে জনসেবার সুযোগ বেশি।
*অন্যান্য ক্যাডারের তুলনায় মর্যাদা বেশি এবং পদোন্নতি দ্রুত হয়।ইত্যাদি
★মোবাইল কোর্ট কী?
উ: আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং দ্রুত অপরাধ দমনের লক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে তা আমলে নিয়ে দণ্ড আরোপের সীমিত ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত আদালতকে মোবাইল কোর্ট বলে। (মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯)
★টাস্কফোর্স কী?
উ: কোন নির্দিষ্ট সমস্যা মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন সংস্থার ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত অস্থায়ী গ্রুপ বা দলকে টাস্কফোর্স বলে।
★ডিক্রি কী?
ডিক্রি হল আদালত কর্তৃক প্রদত্ত মামলার চূড়ান্ত ফলাফল যা বিচারের সাথে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের অধিকার রক্ষা করে।
★ মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন ক্যাডারের পদ সোপান কী?
বিভাগীয় কমিশনার > অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার > জেলা প্রশাসক > অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক > উপজেলা/থানা নির্বাহী অফিসার > সহকারী কমিশনার
★মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পদ কী?
উ: যথাক্রমে বিভাগীয় কমিশনার ও সহকারী কমিশনার
★সহকারী কমিশনারের কাজ কী?
*CrPc এর অধীন প্রদত্ত ম্যাজি্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ।
*অবৈধ সমাবেশ বা দাঙ্গা দমনে পুলিশ বাহিনীকে গাইড করা।
*মোবাইল কোর্ট পরিচালনা।
*VIP ব্যক্তিদের প্রটোকল অফিসার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করা
*অবৈধ দখলদারিত্ব উচ্ছেদে নেতৃত্ব দেয়া ইত্যাদি।
★ সহকারি ভূমি কমিশনারের ( AC Land) কাজ কী?
উ:
* জমির মালিকদের নামজারি।
*ভূমি উন্নয়ন কর আদায়।
*খাস জমি চিহ্নিতককরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও বন্দোবস্ত প্রদান।
*পরিত্যাক্ত ও অর্পিত সম্পত্তির ব্যাবস্থাপনা।
*জলমহাল, বালুমহাল ও সায়রাতমহাল ব্যাবস্থাপনা।
*জরিপ সংক্রান্ত ভুলত্রুটি সংশোধন।
*দেওয়ানী মামলায় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করা।
★কোন উপজেলায় AC land না থাকলে কে তার দ্বায়িত্ব পালন করে?
উ: UNO
★ সহকারি কমিশনারগণ কার অধীনে দ্বায়িত্ব পালন করেন?
উ: জেলা প্রশাসক বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার হিসেবে।
★ উপজেলার প্রসাশনিক প্রধান কে?
উ: UNO
★ DC ও SP এর মধ্যে পার্থক্য কী?
উ: জেলায় সচিবালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাহী দ্বায়িত্ব পালন করেন ডিসি.. এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার কাজ করেন এসপি।
★সচিবালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের পদসোপান কী?
উসচিব/সিনিয়র সচিব > অতিরিক্ত সচিব > যুগ্মসচিব > উপসচিব > সিনিয়র স: সচিব > স: সচিব
★ব্রিটিশ আমলে DC Office কে কী বলা হত?
উ: Collectorate Office
★জেনেভা কনভেনশন কী?
উ: যুদ্ধ-উপদ্রুত ও যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে জনহিতকর আচরণের জন্য যে আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে, তার একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে জেনেভা কনভেনশন (জেনেভা কনভেনশনস)।
এতে চারটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি ও তিনটি বাড়তি প্রটোকল রয়েছে। বস্তুত, একবচন শব্দ হিসেবে জেনেভা কনভেনশন ১৯৪৯ সালের একটি সন্ধিপত্রকে নির্দেশ করে, যেটি সম্পাদিত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ও এর ফলাফল হিসেবে। এই সন্ধিপত্রেই চতুর্থ চুক্তিটি যোগ করা হয় ও প্রথম তিনটি চুক্তির (১৮৬৪, ১৯০৬, ১৯২৯) হালনাগাদ করা হয়। চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের (১৯৪৯) বিভিন্ন অনুচ্ছেদে যুদ্ধকালীন সময়ে বা সামরিক সংঘাতে ধৃত ব্যক্তির মৌলিক অধিকারসমূহ নির্দিষ্টভাবে ও বিশদ ভাষায় নিরূপণ করা হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আহতদের এবং যুদ্ধাঞ্চল ও এর কাছাকাছি এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা। ১৯৪৯ সালের এই চুক্তিগুলোকে সম্পূর্ণরূপে অথবা রিজার্ভেশনসহ (একটি চুক্তির কার্যধারা মুলতুবি রাখার প্রক্রিয়া) আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেছে ১৯৪ টি দেশ।
★বাজেট কী?
বাজেট (সরকারি) একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য সরকারের ব্যয় ও রাজস্বসমূহের একটি পূর্বাভাষ। বাংলাদেশ সরকারের একটি বাজেটের সময়কাল হচ্ছে একটি অর্থবৎসর, যা একটি বৎসরের ১ জুলাই থেকে পরবর্তী বৎসরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিস্তৃত। সরকারি বাজেটে কর ও মুদ্রাসংক্রান্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারি অর্থের আহরণ, আবণ্টন ও বিতরণ করা হয়।
★ECNEC কী?
উ: এর পূর্ণরুপ Executive Committee of the National Economic Council বা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় জাতীয় নীতি ও উদ্দেশ্য সম্বলিত উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদনের জন্য দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ। এ পরিষদ কর্তৃক প্রণীত লক্ষ ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী সাধারণত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের নিজ নিজ পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করে। মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্য এ পরিষদের সদস্য থাকেন। প্রধানমন্ত্রী তথা সরকার প্রধান পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন।
★NICAR কী?
উ: National Implementation Committee for Administrative Reform বা প্রশাসনিক পূণর্বিন্যাস সংকান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। এর কাজ হল প্রশাসনিক সংস্কারের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট উপস্থাপন করা
★ম্যাজিস্ট্রট কাকে বলে?
উ: ১৮৯৭ সালে প্রণীত General Clauses Act-1897 অনুসারে যিনি ফৌজদারি আইন প্রয়োগ করে বিচারকার্য পরিচালনা করেন তিনিই ম্যাজিস্ট্রেট।
( ক্ষমতা প্রয়োগের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট তিন শ্রেণীতে বিভক্ত, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এবং তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট। মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে প্রত্যেক জেলায় একজন ডেপুটি কমিশনার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে, এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এবং জয়েন্ট ডেপুটি কমিশনার জয়েন্ট ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এঁরা প্রত্যেকেই প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ভোগ করেন। এঁদের পাশাপাশি মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে প্রত্যেক জেলায় প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী বা তৃতীয় শ্রেণীর আরও কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
জেলায় নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য সকল ম্যাজিস্ট্রেট কার্যত ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে থাকেন যদিও এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এবং জয়েন্ট ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কার্যত ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অধীনস্থ ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে কার্যবণ্টনও করতে পারেন। একজন প্রথম শ্রেণী বা দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট একটি উপজেলা/থানার দায়িত্বে বহাল থাকেন। এধরনের একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে উপজেলা/থানা ম্যাজিস্ট্রেট বলা হয়। তিনি ঐ থানার যেকোন অংশে সংঘটিত কোনো অপরাধ আমলে নিতে পারেন। সরকার যে-কোন ম্যাজিস্ট্রেটকে অতিরিক্ত ক্ষমতাও প্রদান করতে পারে। মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে এধরনের এলাকা বা তার যেকোন অংশে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, এডিশনাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। এডিশনাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্য সব মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে থাকেন এবং তিনিই অধীনস্থ ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করেন।)
★Civil Service কী?
সরকার বা সরকার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জনগণকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানকে বলা হয় সিভিল সার্ভিস।
★সংবিধানের আলোকে পিএসসি সম্পর্কে বলুন?
১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশকে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়। তার ফলে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের চাকরির প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়। সংবিধানে সিভিল সার্ভিস শব্দটা ব্যবহার করা হয় নি, তবে সকল শ্রেণীর সিভিল সার্ভেন্টকে প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োজিত ব্যক্তি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চাকরি সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক অধ্যায় (১৩৬ নং অনুচ্ছেদে) অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে।
প্রথম, এই অনুচ্ছেদে সিভিল সার্ভিসের সদস্যদের চাকরির শর্তাবলি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদকে দেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয়, এতে সরকারকে সিভিল সার্ভিস পুনর্গঠন করার এবং সিভিল সার্ভিস সদস্যদের অসুবিধা ঘটতে পারে চাকরির এমন শর্তাবলি পরিবর্তন করারও ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
★বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস দিবস কবে?
উ: প্রতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর।
★সিটিজেন চার্টার কী?
উ: একটি সরকারী অফিসে জনগণ কী কী সেবা পাবে তা জনগণকে পরিষ্কারভাবে যে সনদের মাধ্যমে জানানো হয় তাই সিটিজেন চার্টার।
★ Floor Crossing বলতে কী বুঝেন?
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ মোতাবেক কোন সংসদ সদস্য যদি
!) নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেন বা !!) দল থেকে পদত্যাগ করেন তবে,
উক্ত সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হবে। এরুপ কার্যকে Floor Crossing বলে।
★Casting Vote কী?
উ: সংসদে কোন প্রস্তাবের পক্ষে বিপক্ষে সমান ভোট হলে স্পিকার যে ভোট দেন তাই Casting Vote.
★Rules of Procedure সম্পর্কে কী জানেন?
উ: এটি হল কিছু বিধিমালা যার মাধ্যমে কোন সংস্থা কিভাবে পরিচালিত হবে, কার্যপ্রণালী কী হবে ইত্যাদির নির্দেশনা থাকে তাকে Rules of Procedure বলে।
★Rules of Business কী?
উ: যে বিধিমালার মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এর কার্যাবলি ও দ্বায়িত্ব বন্টন করা হয় তাকে Rules of Business বলে।
★Rules of Allocation বলতে কী বুঝেন?
উ: সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, " রাষ্ট্রপতি সরকারী কার্যাবলী বন্টন ও পরিচালনার জন্য বিধিসমূহ প্রণয়ন করিবেন।" এটিই Rules of Allocation.
★Administrative Tribunal বা উ: প্রসাশনিক ট্রাইব্যুনাল কী?
এটি এমন একটি ট্রাইব্যুনাল যা সরকারি কর্মকতা -কর্মচারীদের চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নেয়। (জেলা জজ বা তার সমমর্যাদার কেউ এ ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক হন।)
★প্রটোকল কী?
উ: প্রটোকল বলতে দুই বা ততোধিক কূটনৈতিক বা দেশের মধ্যে উপনীত সমঝোতাকে বুঝায়। আবার দুই বা ততোধিক দেশের সরকার প্রধানদের এবং বিদেশি ব্যক্তিবর্গের সাথে সভা, আলাপ-আলোচনা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিধানাবলিকেও প্রটোকল বলে।
★What is Penal Code ?
যে বিধিতে ফৌজদারি অপরাধের শাস্তির বিধান উল্লেখ আছে তাই Penal Code.
প্রশ্ন- বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার আপনার প্রথম পছন্দ কেন?
উত্তর- পেশাটি সরাসরি মাঠ পর্যায়ের জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত তাই এ পেশায় প্রত্যক্ষভাবে জনসেবার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া প্রশাসনিক পদ হওয়ার সুবাদে শৃংখলা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভুমিকা রাখা যায়।
প্রশ্ন- মাঠ প্রশাসনের পদসোপান বলুন।
উত্তর- বিভাগীয় কমিশনার> অতি: বিভাগীয় কমিশনার> জেলা প্রশাসক > অতি: জেলা প্রশাসক > থানা/উপজেলা নির্বাহী অফিসার> সহকারী কমিশনার
প্রশ্ন - সচিবালয়ের সাংগাঠনিক কাঠামো বলেন।
উত্তর- সচিব> অতি: সচিব> যুগ্ন সচিব> উপসচিব> সিনিয়র সহকারী সচিব> সহকারী সচিব
প্রশ্ন - তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এর বিচারিক ক্ষমতা কত?
উত্তর- ২ বছর কারাদন্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা।
প্রশ্ন - আর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কত বছর জেল দিতে পারে?
উত্তর: প্রথম- ৫ বছর আর দ্বিতীয়- ৩ বছর।
প্রশ্ন- Order of precedence এর প্রথম ১০ টি ধাপের মধ্যে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ধাপে কারা থাকবেন?
উত্তর- প্রথম- রাষ্ট্রপতি, ১০ম- উপমন্ত্রীগণ।
প্রশ্ন - ম্যাজিস্ট্রেট বলতে কী বোঝেন?
উত্তর- এমন একজন বিচারক, যিনি নিম্ন আদালতে বিচারকার্য সম্পাদন করেন। General Clauses Act. 1897 এর সেকশন ৩(৩১) অনুযায়ী, যে ব্যক্তি Code of criminal procedure অধীনে ন্যস্ত কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করেন তাকে ম্যাজিস্ট্রেট বলা হয়।
প্রশ্ন - প্রশাসন কত প্রকার?
উত্তর- রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায়- ২ প্রকার। Public Administration & Private Administration.
প্রশ্ন - বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কে আছেন?
উত্তর- সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
প্রশ্ন - Presidential Order কী?
উত্তর- যখন দেশে কোন সংসদ থাকে না তখন যদি দেশের জরুরি প্রয়োজনে আইন জারির দরকার পড়ে, রাষ্ট্রপতি আদেশ জারি করে আইন প্রণয়ন করতে পারেন। এটাকে Presidential Order বলে।
প্রশ্ন - জেলা প্রশাসকের অফিসের আয়ের উৎস কী?
উত্তর- ভুমি রাজস্ব, কর, খাজনা, ইজারা ইত্যাদি।
প্রশ্ন - কোন আইন দ্বারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজ ভাগ করা হয়?
উত্তর- Rules of Business.
প্রশ্ন - মন্ত্রণালয়ের প্রধান কর্মকর্তা কে?
উত্তর- সচিব।
প্রশ্ন - বিভাগীয় কমিশনারের পদমর্যাদা কী?
উত্তর- যুগ্ন সচিব।
প্রশ্ন - Bangladesh civil service day কবে?
উত্তর- ১ সেপ্টেম্বর।
প্রশ্ন-১: একবাক্যে বলুন প্রশাসন বলতে কী বুঝেন?
উত্তর- স্যার, ইংরেজি Administration শব্দটি ল্যাটিন Ministrate শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ সেবা করা; তাই প্রশাসন বলতে আমরা বুঝি জনসাধারণের বিষয়াদি বা মনুষের সমষ্টিগত কার্যাবলি পরিচালনা করা।
প্রশ্ন-২: স্থানীয় সরকার প্রশাসন কত ধরনের হতে পারে?
উত্তর- স্থানীয় সররকার দুই ধরনের হতে পারে-
১. শহর কেন্দ্রিক, যার দুটি অংশ: পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন
২. গ্রাম কেন্দ্রিক, যার তিনটি কম্পোনেন্ট: জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ।
প্রশ্ন-৩: এসি(ল্যান্ড) এর কাজ কী?
উত্তর- সরকারি সম্পত্তির দেখভাল করা, ভূমি রাজস্ব সংগ্রহ করা, ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় বিবাদের আইনগত সমাধান দেওয়া, ভুমি মালিকের নাম খারিজ করা ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৪: সরকারের প্রধান তিনটি শাখা কী?
উত্তর- Executive (নির্বাহী বিভাগ), Legislative (আইনবিভাগ) এবং Judiciary (বিচারবিভাগ)।
প্রশ্ন-৫: নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর মধ্যে তফাত কী?
উত্তর- স্যার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা আর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারবিভাগের কর্মকর্তা।
প্রশ্ন-৬: একজন ডিসির কাজকে কয়ভাগে ভাগে ভাগ করা যেতে পারে?
উত্তর: তিন ভাগে স্যার: Deputy Commissioner হিসেবে, District Magistrate হিসেবে এবং District Collector হিসেবে।
প্রশ্ন-৭: এর বাইরে তিনি কী কী কাজ করেন?
উত্তর- এর বাইরে স্যার, রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় SP কে নির্দেশনা, আদমশুমারি পরিচালনা, ত্রাণ, পুনর্বাসন, সংবাদ প্রকাশনা ইত্যাদি কাজ করেন।
প্রশ্ন-৮: ম্যাজিস্ট্রেট এর সংজ্ঞা দিন।
উত্তর- General Clauses Act. 1897 এর ৩(৩১) এবং Bengal Clauses Act. 1899 এর ৩(২৫) অনুযায়ী যখন কোন ব্যক্তি ফৌজদারী কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পান তখন তাকে ম্যাজিস্ট্রেট বলে।
১। মন্ত্রিসভা ও কেবিনেটের মধ্যে পার্থক্য কী?
সরকারের প্রধানমন্ত্রী, সকল মন্ত্রী , প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠিত । কিন্তু কেবিনেট শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও উপদেষ্টা বা সদস্যদের নিয়ে গঠিত ।
২। কেবিনেটের কয়েকটা কার্যাবলী উল্লেখ করুন।
ক. সংসদে পেশ করার জন্য চূড়ান্ত শাসননীতি নির্ধারণ বা নীতি সংক্রান্ত কাজ
খ. সংসদ কর্তৃক গৃহীত নীতি অনুসারে শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করা বা শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কাজ ।
গ. সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কাজের সীমা নির্ধারণ েএবং তাদের মাঝে সমন্বয় সাধন।
৩। টাস্ক ফোর্স কাকে বলে ?
একটি নির্দিষ্ট সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য বা একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সম্পাদন করার জন্য বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি অস্থায়ী বা সাময়িক গ্রুপকে টাস্ক ফোর্স বলে । এটি সাধারণত কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের একটি গ্রুপ বা সমিতি যা উক্ত নির্দিষ্ট বিষয় বা সমস্যা পরীক্ষাকরণ ও সমাধানের জন্য গঠিত ।
৪। গেজেট বিজ্ঞপ্তি কী ?
সরকার যে সমস্ত বিষয় লিখিতভাবে সরকারি ও আধাসরকারি অফিস এবং জনগণকে অবহিত করে তাকে গেজেট বিজ্ঞপ্তি বলে । সাধারণত আইন, অধ্যাদেশ , সরকারি আদেশ- নিষেধ, গেজেটের কর্মকর্তাদের নিয়োগ , বদলি, পদোন্নতি ইত্যাদি বিষয় গেজেট বিজ্ঞপ্তি দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
১। দপ্তরবিহীন মন্ত্রী কী ?
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী মন্ত্রী হচ্ছেন এমন একজন মন্ত্রী যার কোন নির্দিষ্ট দায়িত্ব নেই অথবা যিনি কোন নির্দিষ্ট মন্ত্রণায়ের দায়িত্বে নন। {সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত দপ্তর দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন তিনি আজ মারা গেছেন }
২। টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী কী ?
মন্ত্রিসভার যেসব সদস্য জাতীয় সংসদে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি না হয়েও বা সংসদ সদস্য না হয়েও মন্ত্রিসভায় স্থান পান বা মন্ত্রী হন তাদেরকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী । মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর সংখ্যা কখনই এক -দশমাংশের বেশি হবে না এবং সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাকেন এমন ব্যক্তিকেই টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী মন্ত্রী হিসেবে নেয়া যাবে ।
৩। সাংবিধানিক সংস্থা কী এবং কয়টি?
সাংবিধানিক সংস্থা:
সংবিধানে বিবৃত বিধিমতে যে সকল প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোকে সাংবিধানিক সংস্থা বলে । বাংলাদেশে সাংবিধানিক সংস্থা সংস্থা রয়েছে ৬টি । যথা:
ক. শাসন বা নির্বাহী বিভাগ
খ. আইন বিভাগ
গ. বিচার বিভাগ
ঘ. নির্বাচন কমিশন
ঙ. সরকারি কর্মকমিশন
চ. মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রেকের দপ্তর ।
৪। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা কী ?
যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সচিবালায় বা মন্ত্রাণালয় কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত হয়ে নিজস্ব বিধিমালার আওতায় অনেকটা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয় তাকে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বলে । যেমন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৫। Referrendum (গণভোট) ও Plebiscite (গণভোট) কী ?
Referrendum (গণভোট): রাষ্ট্রের আইন পরিষদ কর্তৃক পাশকৃত কোন বিতর্কিত বিলের ওপর জনসাধারণের সমর্থন যাচাইয়ের জন্য গৃহীত ভোটকে Referrendum (গণভোট) বলে।
Plebiscite (গণভোট): রাষ্ট্রের কোন সাধারণ বা গুরুত্বপূণ বিষয়ে সরাসরি জনসমর্থন যাচাইয়ের জন্য গৃহীত ভোটকে Plebiscite (গণভোট) বলে।
৬। Straw Vote কী ?
আসন্ন কোন নির্বাচনের ফলাফল কী হতে পারে সে সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করার উদ্দেশ্যে কোন প্রতিষ্ঠান , সংস্থা বা সংবাদপত্রের উদ্যোগে যে বেসরকারি ভোট গ্রহণ করা য় সে ভোটকে স্ট্র ভোট বলে ।
৭। কাস্টিং ভোট কী?
কোন আইনসভার স্পিকারের ভোটকে কাস্টিং ভোট বলে। আইনসভায় কোন বিষয়ে কোন বিষয়ে ভোটাভুটির ক্ষেত্রে পক্ষে -বিপক্ষে সমান সংখ্যক ভোট পড়লে স্পিকার তার কাস্টিং ভোট প্রদান করে বিলে পক্ষে অথবা সংখ্যা গরিষ্ঠতা আনয়ন করে ৮। ক্রস ভোট কী ?
বাংলাদেমের সংবিধানের ৭০নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কোন সদস্য সংসদে উত্থাপিত কোন বিষয়ে ভোটাভুটির ক্ষেত্রে তিনি যে দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সে দলের বিপক্ষে ভোটদান করলে বা সংসদের অপর কোন দলকে ভোটদান করলে তাকে ক্রস ভোট বলে। এক্ষেত্রে সে সংসদ সদস্যের সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে।
৯। বাংলাদেশের সংবিধানে কয়টি মৌলিক অধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে? কোন কোন মৌলিক অধিকারের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় ?
১৮টি । যেসব মৌলিক মৌলিক অধিকারের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় :
ক. আইনের দৃষ্টিতে সমতা ( ২৭নং)
খ. জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ ( ৩৩)
গ. বিচার থেকে রক্ষা পাওয়ার অধিকার
ঘ. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় স্বাধীনতা
১। বাংলাদেশের সরকারী নাম কী ?
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ / The People's Republic of Bangladesh .
২। বাংলাদেশের সংবিধানের নাম কী ?
= গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান বা Constitution of the People's Republic of Bangladesh .
৩। জাতীয় সংসদে হুইপ এর কাজ কী ?
সংসদের সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং কোন বিষয়ে ভোটাভুটির সময় নিজ নিজ দলের সংসদ সদস্যদের সংঘবদ্ধ করা সরকারি ও বিরোধী দলীয় হুইপের কাজ ।
৪। বিল কী? সরকারি বিল ও বেসরকারি বিল কী ?
বিল>> সংসদে উত্থাপিত আইনের খসড়া বা প্রস্তাবকে বিল বলে। আইন পাশ করানোর জন্য সংসদে প্রতিটি প্রস্তাবকে বিল আকারে উত্থাপন করতে হয়।
সরকারি বিল >> যে বিল কোন মন্ত্রী কর্তৃক সংসদে উত্থাপিত হয় তাকে সরকারি বিল বলে ।
বেসরকারি বিল >> কোন সাধারণ সংসদ সদস্য কর্তৃক যে বিল সংসদে উত্থাপিত হয় তাকে বেসরকারি বলে।
৫। বাংলাদেশের সংবিধানে আমলাতন্ত্রে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘কর্মকর্তা না কর্মচারি ‘ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ?
বাংলাদেশ সংবিধানে আমলাতন্ত্রে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘কর্মচারী’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে , কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ হয়নি। এদিক বিবেচনায় বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ সাংবিধানিকভাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা নন , কর্মচারী ।
৬। রাষ্ট্রপতি কোন বিল ফেরত পাঠাতে পারেন না ?
= অর্থবিল। অর্থবিলে স্পিকারে স্বাক্ষর থাকে ।
৭। সংসদীয় সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝায় ?
সংসদীয় সার্বভৌমত্বের মূল কথা হল সংসদে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আইন পরিষদ বা সংসদের সংখ্যা গরিষ্ঠ মতামতই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে । এর বিরুদ্ধে শাসন বিভাগ বা সরকার কোন পদক্ষেপ করতে পারবে না এবং শাসন বিভাগ সংসদের নিকট জবাবদিহিতা করবে ।
৮। ছায়া মন্ত্রিসভা কাকে বলে ? নির্বাচনে পূর্বে বা ক্ষমতায় আসার পূর্বে রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী সদস্যদের মধ্যে ভবিষ্যৎ মন্ত্রিসভায় কে কোন মন্ত্রাণায়ের দায়িত্ব পাবেন তা মোটামুটি স্থির হয়ে যায়। অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত ও অপ্রকাশিত অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তজনিত এ মন্ত্রিসভাকে ছায়া মন্ত্রিসভা বলে।
৯। হুলিয়া কী?
যদি কোন আদালতের েএরুপ বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে ( সাক্ষ্য গ্রহণ করার পরে অথবা পূর্বে) উক্ত আদালত যারা বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন সে ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন অথবা পরোয়ানা কার্যকর না হতে পারে সেজন্য আত্মগোপন করেছেন , তাহলে আদালত উক্ত ব্যক্তি পলাতক হিসেবে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে ৩০দিনের মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে একটি লিখিত ঘোষণা প্রকাশ করতে পারেন। এই ঘোষণাকে হুলিয়া বলা হয়।
১।বাঙালি সংস্কৃতি কী ?
বাঙালিরা যেসব কর্ম হাজার বছরেরও আগে থেকে করে আসছে । যেমন, তাদের ভাষা, জীবনযাপন, বিশ্বাস, পোশাকপরিধান রীতি, ধর্ম ইত্যাদি
২। জাতীয়তাবাদ কী ?
জাতীয়বাদ একটি রাজনৈতিক অভিধা । কোনো জাতির চেতনা ও বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে যে রাজনৈতিক মতবাদ গড়ে ওঠে তাকেই জাতীয়তাবাদ বলে ্
৩। মঙ্গল শোভাযাত্রা কী ?
শোভাযাত্র অর্থ সুন্দর করে সেজে , বহু বর্ণিল আয়োজনে মিছিল করা । মানুষের মঙ্গল কামনা করে যখন এমন মিছিল করা হয় এবং সেখানে গান , বাদ্য , আনন্দ উল্লাস থাকে তখন তাকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বলে ।
১। মন্ত্রীসভা ও মন্ত্রীপরিষদ এর ভিতর পার্থক্য কী?
মন্ত্রীসভা হল সকল মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত। সকল মন্ত্রী বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে সকল পূর্ণ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী - কে। অপরপক্ষে শুধুমাত্র পূর্ণ মন্ত্রী দের কে নিয়ে গঠিত হয় মন্ত্রী পরিষদ। মন্ত্রী পরিষদে প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী গণ অন্তর্ভুক্ত নন। মন্ত্রীসভাকে ইংরেজীতে বলা হয় Cabinet এবং মন্ত্রী পরিষদকে বলা হয় Council of Ministers.
প্রশ্ন: প্রধানমন্ত্রীর পদ নেই এমন তিনটি দেশের নাম বলুন।
উত্তর: USA, France, South Africa
প্রশ্ন: What is Buffer State?
উত্তর: The neutral independent and small country which is situated between two antagonising states is called Buffer State.
প্রশ্ন: Give two example.
উত্তর: 1. Belgium in world war I between Germany & France.
2. Paraguay between Brazil & Argentina.
প্রশ্ন: UNCLOS এবং EEZ কী?
উত্তর: UNCLOS এর পূর্ণরূপ United Nations Convention on the Law of the Sea. এবং EEZ হচ্ছে Exclusive Economic Zone যা মহীসোপান হতে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সমুদ্রসীমাকে বোঝায়।
প্রশ্ন: ম্যাজিস্ট্রেট কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: ম্যাজিস্ট্রেট সাধারনত ২ প্রকার- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
প্রশ্ন: বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট কত ধরনের হতে পারে?
উত্তর: বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট চার শ্রেণির—
১. চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
২. মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট
৩. ২য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট
৪. ৩য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট
প্রশ্ন: বিচারে RI ও SI অর্থ কী?
উত্তর: RI--- Rigorous Imprisonment, SI--- Simple Imprisonment
প্রশ্ন: পূর্ণরূপ বলুন: CrPC, CPC, PRB.
উত্তর: Code of criminal procedure, Code of civil procedure, Police regulation of Bangladesh.
collected #
সুপ্রিয় লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
লোকপ্রশাসন বিভাগ একটি পরিবারের মতো, আমরা সকলে এই পরিবারের গর্বিত সদস্য।
নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতির ন্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতিও আজ হোঁচট খেয়েছে। আমরা প্রায় সকলেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, দেশীয় এমন অচলাবস্থায় আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে।
এমতাবস্থায় লোকপ্রশাসন বিভাগের পক্ষ থেকে সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয় অত্র বিভাগের যে সকল শিক্ষার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন তাদের পরিচয় গোপন রাখা সাপেক্ষ্যে সহায়তা প্রদান করার মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
আমরা যারা একটু অসচ্ছল কিন্তু আত্নসম্মানবোধের জন্য অসচ্ছলতা প্রকাশে অনিচ্ছুক শুধুমাত্র তাদের জন্যই এই উদ্যোগ।
সহায়তা পাঠানোর জন্য শিক্ষার্থীর নাম, রোল ও বিকাশ একাউন্ট নাম্বার চেয়ারম্যান স্যারের নিম্নোক্ত নাম্বারে (০১৭২৭৯৪৭৬৯৯) মেসেজের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য আন্তরিকতার সহিত জানানো হলো।
বিদ্রঃ শিক্ষার্থীর নাম ও পরিচয় অবশ্যই গোপন রাখা হবে।
লাইব্রেরী কার্ড বানানোর আবেদনের নমুনা কপি
"Corporate Koutuhol"
Guest:
Dr.Jebunnessa
Assoicate Professor & Chairperson
Dept. Of Public Administration
Jahangirnagar University
................................
পাবনা-ঢাকা হাইওয়ের পাশেই বিশাল গেইটটার উপরে বড় বড় করে লেখা আছে 'পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়'।গেইট দিয়ে ঢুকেই হাতের বামপাশে সফেদ দেওয়ালের বিশাল শাদা গম্বুজের মসজিদ।মসজিদের আদল অনেকটা রাশিয়ার কুলশরিফ মসদিজের মতো।ডানপাশে সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠের পরে সোজা চোখে পড়বে স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা চত্ত্বরের স্বমহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা।চত্ত্বরের পিছনে হাতের বাম পাশে ড.এম.এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন আর ডানপাশে ক্যাফেটেরিয়া রেখে মাঝের রাস্তা দিয়ে সোজা এগিয়ে এলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল। একটা বিল্ডিঙ নীল-শাদা আরেকটা লাল-সাদা,চারপাশে বদ্ধ জলার মাঝে ইংরেজি L আকৃতির বিল্ডিং দুটি নিরবে আশ্রয় দিয়ে আসছে প্রায় পাঁচশতাধিক ছাত্রকে।হলটা নিরবে দাঁড়িয়ে থাকলেও এর ভিতরের পরিবেশ মোটেও নিরব নয়।পড়াশোনা আড্ডা আর হইহল্লায় গভীর রাত পর্যন্ত এই হল সরব থাকে।রাত পোহায়,ভোর হয়।এ হলের অধিকাংশ বাসিন্দাদের সকালের খাবার ডাইনিংয়ের মোটা চালের গরম খিচুড়ি সাথে অর্ধেক ডিমভাজি নাহয় ছোলার ডাল।বাকী অর্ধেকের কিছু অংশ গেইটের অস্থায়ী হোটেলগুলাতে নাস্তা করে আর কিছু অংশের নাস্তা হয় সকালের স্লটের ক্লাস শেষ হওয়ার পরে পাউরুটি আর কলা।দিনের বেশিরভাগ সময়ই সবাই ক্লাস নিয়ে ব্যস্ত থাকে।সকালে ক্লাস দুপুরে ল্যাব আর বিকালে টিউশনি।এর মধ্যে দুপুরের খাবারটা কেউ কোনমতে খেয়ে নেয়,তা হলে ক্ষুধা পেটেই দৌড় দেয় বাস ধরার জন্য।দুহাজার টাকার টেবিল ব্যবসায় রোজ তিরিশ টাকা ইনভেস্ট করে অটো ধরে শহরে যাওয়া-আসার লসটা তো আর মনে মানে না।দুপুর পর্যন্ত ক্যাফেটেরিয়ায় জমজমাট আড্ডা চলে,বন্ধু-বান্ধব,ভাইয়া-ছোট বোন,প্রেমিক-প্রেমিকা ইত্যাদিতে সরগরম থাকে ক্যাফেটেরিয়া। বিকেল হলেই শুরু হয় উৎসব।থার্ড স্লটটা অলস একটা স্লট।এই স্লটে ক্লাস পরা মানেই হলোই নির্ধারিত সময়ের আগে ছুটি।পড়ন্ত বিকেলে রোদের তেজটা একটু কমে আসলেই চত্ত্বরে আড্ডা জমে,আড্ডা জমে গাছের তলার নতুন বসার জায়গাগুলোতে,বাস ছাড়ার সাথে সাথেই যে আড্ডার আয়ু শেষ হয়ে যায়।দুপুরে খেয়ে যাদের অল্প একটু ভাত ঘুমের পরে যারা টিউশনিতে যাওয়ার পরিকল্পনায় থাকে তাদেরকে প্রায়ই এই সময় লাল রঙের দোতলা বিআরটিসি বাসের পিছনে দৌড়াতে দেখা যায়।একটামাত্র মাঠে এসময় দুদলে বাইজন করে ভাগ হয়ে সবাই ফুটবল খেলে।ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামে।দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসময় আমার মতো যারা ঘুমায় তারা জলা থেকে উঠে আসা ঝাঁকে ঝাঁকে মশার গান শোনে আড়মোড়া ভাঙে,বাইরে যাওয়ার সময় হয়েছে।
আটটা থেকে ডাইনিংয়ে খাবার পাওয়া যায়।একদল ছেলে আছে যারা পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা নিয়ে ডাইনিং খোলার জন্য অপেক্ষা করে, খোলার সাথে সাথেই ভাত,সব্জি আর ডাল গোগ্রাসে গিলতে থাকে।রাতে মাঝে মাঝে ডিমভাজি থাকে,আর থাকে গরম ডালের পানির মধ্যে সাঁতার কাটতে থাকা মৃত টিকটিকি।হঠাত হঠাত ভাতের মধ্যে দেখা দেয় চালের পোকা।ক্ষুধায় অন্ধ হয়ে থাকা চোখ সেই পোকা দেখতে পেলেও হ্যালুসিনেশন ভেবে তা বেমালুম ভুলে যায়।রাতের বাসে আসে এক ঘণ্টা পরে।এই একটা ঘন্টা সময়ের মধ্যে প্রায়দিনই খাবার শেষ হয়ে যায়।সারাদিন না খেয়ে থেকে শহর থেকে বাসে উঠেই সীটে বসে যে ভাবতে শুরু করে ডাইনিংয়ের ফ্রী ভাতে আজ সারাদিনের খরচ হওয়া ক্যলরিটুকু পুষিয়ে নিতে হবে,তার আবার গেইটের হোটেলের দিকে ছুটতে হয়।বেশি অভিমানী ছেলগুলা আবার রাতেও কলা-রুটির মাঝে তৃপ্তি খোঁজে।রাত বাড়তেই থাকে।সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেটা বিছানায় গা এলিয়ে দেয় একটু রেস্ট নিয়ে উঠে পরতে বসবে ভেবে,কিন্তু এর মাঝেই দু-তিন ঘণ্টা সময় যে পার হয়ে যায় ক্লান্তি আর অবসাদ তা ভুলিয়ে দেয়।ছোটভাইটা ঘুমাচ্ছে দেখে চোখে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন চোখের ফোর্থ ইয়ারের বড় ভাই রুমের টিউবলাইটটা অফ করে দেয়। টেবিল ল্যাম্প জ্বেলে একটা রোমাঞ্চ নিয়ে পড়তে বসে,একদিন আমি অনেক বড় হবো।একদল আড্ডাবাজ এ রুম ও রুম আড্ডা দিয়ে গভীর রাতে রুমে ফিরে।ধীরে ধীরে সবাই ঘুমায়,কেউ চোখ জুড়ে স্বপ্ন আর কেউ বুক জুড়ে হতাশা নিয়ে।শেষ রাতে হলের মসজিদে আজান হয়,এসময় অনেকেই ঘুম থেকে উঠে ফজর সালাত আদায়ের জন্য।আবার অনেকেই কাল সকালে ক্লাস আছে বলে নিজেকে চোখে ঘুম আনার চেষ্টা করে.....
Collected. .....
লোকপ্রশাসন বিভাগে সকলকে স্বাগতম❤❤❤❤
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের 2018-19 শিক্ষাবর্ষের
সার্কুলার প্রকাশ।
আবেদনের সময়: ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর।
বিস্তারিত: www.pust.ac.bd
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৮ যথাযথ মর্যাদার সাথে উদযাপনের অংশ হিসেবে, স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পন করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. রোস্তম আলী স্যার। স্যারের জন্য অনেক অভিনন্দন ও শুভ কামনা।।
10 batch, public administration
orientation class,all junior, best of luck
বসন্ত বরন,ও পিঠা উৎসব
আমরা আছি থাকবো লোক(মানুষ)এর পাশে। কারন লোকই আমাদের সব। আমরা লোকের জন্য প্রশাসণ কথায় বিশ্বাস রাখি।
কোন এক সময়..... আমাদের ক্যাম্পাসের রং
University ranking in Bangladesh and World-2017
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম- পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পজিশন-
World ranking- 11890 (2016), 14522 (2017)
University dept. presence ranking- 18613
Impact ranking- 13776
Openess ranking- 5125
Excellence ranking- 5778
Public university ranking in Bangladesh- 28
Both public and private university ranking-64
ধরণ- সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত- ২০০৮ ইং
আচার্য- মহামান্য রাষ্ট্রপতি
উপাচার্য- অধ্যাপক ড. আল নকীব চৌধুরী
শিক্ষার্থী- ২৭০০ (আনুমানিক)
অবস্থান- পাবনা, বাংলাদেশ।
শিক্ষাঙ্গন- শহুরে, ৩০ একর।
সংক্ষিপ্ত নাম- পাবিপ্রবি (pust)
ওয়েবসাইট- www.pust.ac.bd
মোট অনুষদ পাঁচটি। বিভাগ ২০ টি।
বিভাগসমূহ:
১.সি.এস.ই
২. ইইই
৩. ইটিই
৪. সিই
৫. আই.সি.ই
৬. আর্কিটেকচার
৭. নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা
৮. গণিত
৯. ফার্মেসী
১০. পদার্থবিজ্ঞান
১১. রসায়ন
১২. পরিসংখ্যান
১৩. ব্যবসায় প্রশাসন
১৪. অর্থনীতি
১৫. বাংলা
১৬. সমাজকর্ম
১৭. লোকপ্রশাসন
১৮. ইতিহাস
১৯. ইংরেজি
২০. ভূগোল
সাংস্কৃতিক জোট:
১. অনিরুদ্ধ নাট্যদল
২. Distun
ক্যারিয়ার ক্লাব:
১. Youth Allience
বিজ্ঞান সংগঠন:
Scienteria
লাইব্রেরী:
১ টি। প্রায় ৫০০০০ বই আছে।
রাজনৈতিক দল:
১. বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
২. জাসদ
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন:
১. জোনাকি
২. নতুন সূর্যোদয়
৩. আগামীর সূর্য
৪. Help- হেল্প
৫. বন্ধু
৬.ইচ্ছে
উপাচার্যগণ:
১. অধ্যাপক ড.আমিন উদ্দীন মৃধা(প্রথম)
২. অধ্যাপক ড. মোজাফফর রহমান
৩. অধ্যাপক ড. আল নকীব চৌধুরী ( বর্তমান)
আবাসিক হল-
১. বিএসএমআরএইচ ( ছাত্র)
২. শেখ হাসিনা হল (ছাত্রী)
পাবনা, বাংলাদেশ
Pabna University of Science and Technology Department of Computer Science and Engineering of Pabna University of Science and Technology is going to organize a week long Intra University IT fair programme from 27th December 2014 to 31st December 2014. In 27th December 2014, the fair will be inaugurated by Architect Yafes Osman, honourable Min...
ICT Cell develop and maintain ICT related task in Pabna University of Science and Technology.
※ সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ পাবনা ※ Check In
✔ Verified Official©Page Official® ✔Verified by Facebook ۩ █║▌│█│║▌║││
It is an official page of Pabna Textile Engineering Institute. Stay with us for know latest news about Pabna Textile Engineering Institute.