Banwari Nagar Fazil Degree Madrasah - বনওয়ারীনগর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা

Banwari Nagar Fazil Degree Madrasah - বনওয়ারীনগর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা

Share

Banwari Nagar Fazil Degree Madrasah is the biggest and most popular madrasah of Faridpur, Pabna.

Operating as usual

Photos from Banwari Nagar Fazil Degree Madrasah - বনওয়ারীনগর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা's post 13/07/2022

আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে বনওয়ারী নগর সিনিয়র মাদ্রাসা অ্যালামনাই রিইউনিয়ন সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যদিও উপস্থিতি আরও বেশি হওয়ার আশা ছিল, তবুও যারা আজকে উপস্থিত থেকে এই প্রোগ্রামটিকে সফল করেছেন সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।

আশা করি সামনে আরও অনেক ভাইদের পাশে পাবো। সবাই কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ এবং মতামত দিয়েছেন যা পর্যালোচনা করে ইন শা আল্লাহ সবাইকে সাথে নিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
আজকে যারা উপস্থিত ছিলেন, সবাইকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

১২ সেপ্টেম্বর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে 03/09/2021

১২ সেপ্টেম্বর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে  ১২ সেপ্টেম্বর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ কথা জানিয়েছেন।...

15/07/2021

যে সকল শিক্ষার্থী জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনের তালিকাভুক্তির আবেদন করতে পারেন নি। তারা নির্বাচন কমিশনের এই লিঙ্কে (https://services.nidw.gov.bd/new_voter) প্রবেশ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

অনলাইনে আবেদন করতে যা যা প্রয়োজন:
১. অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি
২.নাগরিকত্ব সনদ
৩.পিতার NID কার্ড
৪.মাতার NID কার্ড।
৫.সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
৬.পাসপোর্ট (যদি থাকে)
৭.বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর NID কার্ড
৮.মোবাইল নাম্বার।
৯. বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।
১০.টেক্স/কর রশিদ।

এই ডকুমেন্ট গুলা দিয়ে অনলাইনে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করুন।

আবেদন লিঙ্ক : (https://services.nidw.gov.bd/new_voter)

আবেদন কপির পিডিএফ ফরম বাজারের কম্পিউটার দোকান হতে এক পেইজে প্রিন্ট করে সে প্রিন্ট কপিতে আপনার ওয়ার্ড মেম্বারের/কাউন্সিলরের সাক্ষর + সিল ও সনাক্তকারীর সাক্ষর নিবেন তারপর নির্বাচন কমিশন আপনাকে যখন মেসেজ দিবে তখন আপনার আবেদন ফরম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আপনার নিকটস্থ উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে যাবেন। সেখানে গিয়ে ছবি ও প্রিঙ্গার ও সাক্ষর দিয়ে স্লিপ নাম্বার নিয়ে আসবেন। তার কিছুদিন পর আপনি স্লিপ নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে অনলালাইন থেকে আপনার NID কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।এবং সেটা দিয়ে যাবতীয় কাজ করতে পারবেন।

(Copy)

নতুন নিবন্ধন ১) নতুন ভোটার হিসাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাই।

পাবনায় প্রতিরোধযুদ্ধ 01/12/2020

পাবনায় প্রতিরোধযুদ্ধ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নিরীহ বাঙালি অসীম সাহসে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তানের প্রশিক্ষিত বাহিনীর বিরুদ্ধে । ছিন.....

01/12/2020

মোসাদের হাতে নিহত হওয়া মুসলিম বিজ্ঞানীগণ


গত শতকে অনেক গুপ্তহত্যা ঘটিয়েছে ইসরায়েলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলন থেকে শুরু করে আরব দেশের মুসলিম বিজ্ঞানীরা যারা ইসরায়েলের স্বার্থের পরিপন্থি তাদেরও বাদ দেয়নি মোসাদ। 'বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরী হত্যাযন্ত্র' খ্যাত মোসাদের শিকার থেকে রেহাই পাননি বিজ্ঞানীরাও। শত্রুদেরকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে নিতে পারবে এমন অনেককেই লক্ষ্য বানায় মোসাদ। তারপর সুযোগ বুঝে ঘায়েল করে দেওয়া হয়। তাদের গুপ্তহত্যার শিকার কয়েকজন বিজ্ঞানী ও গবেষককে নিয়ে আজকের আয়োজন।
সামিরাহ মুসা

১৯৫২ সালে মিসরীয় পরমাণু বিজ্ঞানী সামিরাহ মুসাকে হত্যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইসরাইলের গুপ্তহত্যার এই মিশন। ড. সামিরাহকে যুক্তরাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে হত্যা করা হয়। এই নারী বিজ্ঞানীকে ইসরাইলের পছন্দ না করার কারণ তিনি মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন। এছাড়া তিনি কম মূল্যে পরমাণু উপকরণ উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছিলেন।
ইয়াহিয়া এল মাশাদ

মিশর, ব্রিটেন এবং রাশিয়ায় পড়াশোনা করে এসে এই গবেষক মিশরের আণবিক সংস্থায় যোগ দেন। ৩য় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর মিশরের বেসামরিক আণবিক কর্মসূচী একদম বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৬৭ সালের পর এল মাশাদ ইরাকে চলে যান এবং দেশটির আণবিক সংস্থায় যোগ দেন। রিঅ্যাক্টরের জন্য প্রচুর খুচরা যন্ত্রপাতি ইউরোপ থেকে আমদানি করতে হতো। এর জন্য এল মাশাদকে ফ্রান্সে নিজেদের কেনাকাটার সমন্বয়কারী হিসেবে নিযুক্ত করে ইরাক। মোসাদ যখন এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয় তখন তাকে হত্যা করে।
প্যারিসের লা মেরিডিয়ান হোটেলে গলা কাটা অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকা এক নারীও আত্মহত্যা করেন, যদিও প্যারিস পুলিশের ধারণা, ঐ নারী আত্মহত্যা করেননি, বরং এটিও মোসাদের কাজ।

ড. মাজিদ শাহরিয়ারি ও ড. আব্বাস-দাভানি

নিউট্রন বিশেষজ্ঞ মাজিদ শাহরিয়ারি ইরানের এক প্রতিভাবান পরমাণু গবেষক। নির্দিষ্ট পদবী না জানা গেলেও ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার একজন প্রকৌশলী হিসেবে উল্লেখ করা হতো তাকে।
২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর নিজে গাড়ি চালিয়ে কর্মস্থল শহীদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ট্রাফিক জ্যামে গাড়ির গতি কমে যেতেই হঠাৎ মোটরবাইক থেকে গুপ্তঘাতক চুম্বক লাগানো সি-৪ বোমা গাড়ির দরজায় আটকে দেয়। কয়েক সেকেন্ড পরেই বিস্ফোরণ ঘটে এবং তিনি মারা যান। পাশের আসনে বসা ড. মাজিদের স্ত্রীও মারাত্মক জখম হন এই হামলায়।
এর কিছু দূরেই দ্বিতীয় একটি হামলা হয়। এতে তেহরানের রাস্তায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহীদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক অধ্যাপক ড. আব্বাসির গাড়ি লক্ষ্য করেও একইভাবে হামলা হয়। আহত হলেও শেষপর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যান তিনি। একই দিনে তৃতীয় আরেকটি বিস্ফোরণের কথাও শোনা যায়, যদিও ইরানের গণমাধ্যমে পুলিশ প্রধান তা অস্বীকার করেন।
পদার্থবিজ্ঞানে প্রচুর জ্ঞান রাখা ড. আব্বাসি ইরানের আণবিক সংস্থার তৎকালীন প্রধান ছিলেন। অস্ত্রের উন্নতির জন্য লেজার প্রযুক্তি নিয়েও গবেষণা করতেন তিনি। লেজার প্রযুক্তি গোলা বা রকেটের লক্ষ্য ভেদ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও ইরানের হাতে গোনা কয়েকজন আইসোটোপ পৃথকীকরণ বিশেষজ্ঞের মধ্যে তিনি একজন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে অসহযোগিতার অভিযোগে ২০০৭ সালে জাতিসংঘ তার ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং বিদেশে থাকা সমস্ত সম্পদ জব্দ করার হুকুম দেয়। প্রাথমিক তদন্ত করলেও তেহরান পুলিশ ঘটনার হোতাদের ধরতে ব্যর্থ হয়।

মাসুদ আলী মোহাম্মদী

প্রতিভাবান এই গবেষক ইরানের বিখ্যাত শারিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। গোপনে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সাথে বেশ ভালোভাবেই যুক্ত ছিলেন। ইরানের অভিজাত রেভ্যলুশনারি গার্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততা আছে বলে শোনা যায়। ২০০৯ সালে হজ্জ করতে গিয়ে তিনি প্রথম বুঝতে পারেন, কেউ তাকে অনুসরণ করছে।
তিনি ভেবেছিলেন, স্বদেশের মাটি তার জন্য নিরাপদ। কিন্তু ২০১০ সালের এক সকালে বাড়ির থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠার সময় একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। পাশের এক মোটরবাইকের সাথে একটি বোমা বাঁধা ছিল। সেটি এতই শক্তিশালী ছিল যে আশেপাশের বাড়ির কাঁচ পর্যন্ত শক-ওয়েভে ভেঙে যায়।
২০০৯ সালে উইকিলিকসের ফাঁস করা এক মার্কিন তারবার্তা বিশ্লেষণ করে ইরান সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে। আটক মজিদ জামালি মোসাদের সাথে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ২০১১ সালে তার ফাঁসি হয়।

দারিউশ রেজায়ি

৩৫ বছর বয়সী পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক দারিউশ রেজায়ি ইরানের বুশেহর পরমাণু প্রকল্পের একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশলী ছিলেন। বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্লাস নিয়ে ফেরার সময় মোসাদের দুই এজেন্ট তাকে অনুসরণ করে। দক্ষিণ তেহরানের অভিজাত এলাকা বনি হাশেম স্ট্রিটে বাড়ির কাছাকাছি আসতেই গুলি করা হয় তাকে। পশ্চিমাদের বিশ্বাস, বুশেহর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আড়ালে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করছিল। এটিতেও কোনো ক্লু পায়নি পুলিশ।

মোস্তফা আহমাদ রোশান

৩২ বছর বয়সী কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আহমাদ রোশান ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণু কেন্দ্রের পরিচালক ছিলেন। ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি প্রতিদিনকার মতো উত্তর তেহরানের রাস্তা দিয়ে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় হঠাৎ তার গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদশীরা জানায়, মোটরসাইকেল থেকে দুজন লোক কিছু একটা গাড়িতে বসিয়ে দিয়েছিল। পুলিশ পরে বের করে, গাড়িতে চুম্বক সংযুক্ত বোমা বসানো হয়েছিল। কয়েক মুহূর্ত পরেই বিস্ফোরণ ঘটে। শক্ত প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারলেও এটা প্রায় নিশ্চিত, ইরানের বিপ্লব বিরোধী গোষ্ঠী মুজাহিদিন-ই খালকের সহায়তায় এই বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে মোসাদ।
ধারণা করা হয়, সে সময় ইরানের পুলিশ এবং গোয়েন্দা দপ্তরের মধ্যে আদান-প্রদান হওয়া বিভিন্ন বার্তায়ও আড়ি পেতেছিল মোসাদ এজেন্টরা।

মোহাম্মদ জাওয়ারি

হামাসের আল কাসসাম ব্রিগেডের হয়ে কাজ করা সামরিক বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ জাওয়ারি ১০ বছর ধরে ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছিলেন। ৪৯ বছর বয়সী এই প্রকৌশলী আবাবিল নামের একটি ড্রোন তৈরি করছিলেন। ২০১৪ সালে আবাবিল প্রথম স্বল্পমাত্রায় ব্যবহার করা হলেও ধারণা করা হয়, এতে কোনো অস্ত্র ছিল না। জাওয়ারি আবাবিলকে অস্ত্র বহনের উপযোগী করে তুলছিলেন। আল জাজিরার এক রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি হামাসের ড্রোন প্রজেক্টের দলনেতা ছিলেন।
২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বরে তিউনিশিয়ার সফক্স শহরে গাড়ি চালানোর সময় হঠাৎ করেই একটি ট্রাক এসে তার পথ আটকে দাঁড়ায়। সাইলেন্সার লাগানো বন্দুক থেকে ২০টি গুলিতে তাকে ঝাঁঝরা করে দেয়। ঘটনাস্থলের পাশেই একটি ক্যাফের সিসিটিভিতে সবকিছু ধরা পড়ছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, অজ্ঞাত কোনো হ্যাকার সিসিটিভিটি অচল করে রেখেছে এবং সব ফুটেজ ডিলিট করে দিয়েছে। ধারণা করা হয়, সাংবাদিক ছদ্মবেশে একজন মোসাদ এজেন্ট তার সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন এবং সেখান থেকে ইসরায়েল তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।

ফাদি আল-বাৎশ

শিক্ষায় অন্যতম সফল এই ফিলিস্তিনি নাগরিক ২০১১ সালে উচ্চতর গবেষণার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া আসেন। কুয়ালালামপুর ইউনিভার্সিটি অব মালায় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি শিক্ষকতা এবং গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি ড্রোন প্রযুক্তির উপর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি নিজের প্রতিভার ছাপও রাখেন। ২০১৬ সালে লাভ করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পুরষ্কার। খুব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা হয়, ফাদি হামাসের জন্য রকেট আধুনিকায়নের কাজ করছিলেন।
প্রতিদিনের মতো ২১ এপ্রিল সকালে নামাজ পড়তে বেড়িয়েছিলেন ফাদি। মসজিদের সামনে আসতেই ২০ মিনিট ধরে মোটরবাইকে অপেক্ষা করা দুই গুপ্তঘাতক ১০টি গুলি চালায় তাকে লক্ষ্য করে। এর মধ্যে ৪টি গুলি তার মাথায় বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমাদ ঘটনার জন্য কারো নাম উল্লেখ না করে 'একটি বিদেশী সংস্থা'র কথা বলেন। তবে এটি সবার কাছেই পরিষ্কার, এই হত্যার পেছনে মোসাদ ছাড়া আর কেউ নেই।

মোহসেন ফখরিজাদেহ

সর্বশেষ মোহসেন ফখরিজাদেহ, ইরানের অন্যতম একজন পরমানু বিজ্ঞানী। ইরানের পরমাণু গবেষনায় যারা অবদান প্রথম সারির দিকে।

যিনি ইরানের একমাত্র বিজ্ঞানী যাকে নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২ বছর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিজ্ঞানীর নাম উচ্চারন করেছিলেন। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এই বিজ্ঞানীকে ৩ বছর এর আগেও একবার হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিল।
রাজধানী তেহরানের পূর্বদিকে অবসার্দ নামক এলাকায় হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় এই অন্যতম বিজ্ঞানীকে।
তিনি তেহরানের ইমাম হুসেইন ইউনিভার্সিটির ফিজিক্স ডেপ্টের শিক্ষক ছিলেন।
পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে মোহসিন ফখরিযাদে ইরানের পরমাণু কর্মসূচীর প্রধান হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

অন্যান্য

১৯৬৭ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি গাড়ী দুর্ঘটনায় মিশরীয় পারমাণবিক বিজ্ঞানী সামির নাগুবকে হত্যা করেছিলো মোসাদ , যখন তিনি মারা যান তখন মিশরীয় পারমাণু গবেষণা কর্মসূচি চালু করতে সহায়তা করার জন্য দেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।
১৯৬৭ সালে আরেক মিসরীয় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. সামির নাজিবকে হত্যা করে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা। পরমাণু প্রযুক্তির সামরিক প্রয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা করছিলেন তিনি। মার্কিন শহর ডেট্রয়টে তাকে হত্যা করা হয়।
১৯৮৯ সালে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু দুর্বৃত্ত মিসরীয় বিজ্ঞানী সাইদ আল-বোদায়েরকে তার নিজের বাসভবনে গুলি করে হত্যা করে। মাইক্রোওয়েভ বিষয়ে কাজ করছিলেন তিনি।
১৯৯১ সালে লেবাননের পদার্থবিজ্ঞানী রামাল হাসান রামাল প্যারিসে রহস্যজনকভাবে খুন হন। তিনি মোসাদের শিকার বলে মনে করা হয়।
২০০৪ সালে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বাকুবাতে ইরাকি পারমাণবিক বিজ্ঞানী ইব্রাহিম আল-ধহেরিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনিও মোসাদের শিকার বলে মনে করা হয়।
ফিলিস্তিনি প্রকৌশলী ও কানাডায় পিএইচডি গবেষক হাসান আলি খাইরুদ্দিনকে হত্যা করে মোসাদ। বিশ্ব অর্থনীতিতে ইহুদি আধিপত্য নিয়ে গবেষণা করছিলেন তিনি। না থামলে মেরে ফেলা হবে- এমন হুমকি আগে থেকেই দেয়া হচ্ছিল ২৩ বছর বয়সী এই গবেষককে। শেষ পর্যন্ত সেন্ট ম্যারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়।
এছাড়াও লেবাননের আরেক বিজ্ঞান শিক্ষার্থী হিশাম সালিম মুরাদকে হত্যার পেছনে মোসাদকে সন্দেহ করা হয়। তিনি জোসেফ ফুরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরমাণু পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। এই গুপ্তহত্যার পেছনে মোসাদ জড়িত বলে মনে করে নিতহের পরিবার। চলতি বছরের ২৫ মার্চ পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনি রসায়নবিদ ইমান হোসাম আল-রোজাকে হত্যা করে ইসরাইল।
এভাবে আরব বিশ্বের বিজ্ঞানীদের হত্যা করে নিজের আধিপত্যবাদী এজেন্ডা কায়েম রেখেছে ইসরাইল। আরব বিশ্ব যাতে পরমাণু প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে না পারে সেজন্য এই গুপ্তহত্যার পথ বেছে নেয় দেশটি। এ ব্যাপারে তুর্কি রাজনৈতিক ভাষ্যকার মোস্তফা ওজান বলেন, ‘আরবরা পরমাণবিক শক্তির অধিকারী হবে এমনটা কখনো চায় না ইসরাইল, আর এ কারণেই তারা মিসর, ইরাক, ইরানের মতো মুসলিম দেশগুলোর বিজ্ঞানীদের টার্গেট করে। এসব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ইসরাইল কখনো কোনো মন্তব্য করে না যাতে বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা সৃষ্টি না করে।’

মোঃ সোহানুর রহমান সোহান
৩০/১১/২০২০

21/08/2020

খুবই গুরুত্বপুর্ণ কিছু কথা।

বাবার এক বন্ধু ছিল, নাম তার আজিজুর রহমান খান, আজিজ আংকেল বলেই ডাকতাম। আজিজ আংকেল একজন লেখক ছিলেন, কম্পিউটারের উপর তার হরেক রকম বই আজও স্কুল-কলেজের আইসিটি সাবজেক্টের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়। তখন বোধহয় ক্লাস সেভেন বা সিক্সে পড়ি, সময়টা ২০০৬ সাল। আজিজ আংকেলের একটা বই ছিলো বাসায়, বইটি তখন আপুর পাঠ্যবই ছিলো। খুব কৌতূহলবশত একটি বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে গিয়ে আমি সর্বপ্রথম কম্পিউটারের ভাইরাস সম্পর্কে জানতে পারি। ট্রোজান হর্স থেকে শুরু করে হাজারো ম্যালওয়ারের কথা চিন্তা করেই ভয় লাগছিলো। কীভাবে ভাইরাস আমাদের কম্পিউটারের দরকারি সব ফাইলকে ওলটপালট করে দেয়, কীভাবে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য ছিনিয়ে নেয়- এসকল প্রশ্নের উত্তরগুলো খুব গোছানো ছিল বইটির পাতায়।

সত্যি বলতে কী, ২০১৯ এ এসে আমাদের খুব একটা সময় নেই এইসব ভাইরাস নিয়ে মাথা ঘামানোর। কেননা, বর্তমানের কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমগুলো এতই শক্তিশালী হয়েছে যে এইসব ভাইরাস তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আজকাল তো উইন্ডোজ ডিফেন্ডার (মাইক্রোসফট উইন্ডোজের নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা) দিয়েও দিব্যি কাটিয়ে দেয়া যায় ভাইরাসের চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই। আর একটা কথা সত্যি যে, অনেকের কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপেই ছোটখাটো ভাইরাস থাকতে পারে, যেগুলো মূলত রসায়নের পর্যায় সারণির ১৮ নাম্বার গ্রুপের মৌলগুলোর মতই নিষ্ক্রিয়।

সমস্যাটা শুরু হয় ২০১৪-১৫ সাল নাগাদ। সে সময়টায় সাইবার জগতে একটি সমস্যার আবির্ভাব ঘটে, নাম তার “র‍্যানসমওয়্যার (Ransomware)।” র‍্যানসমওয়্যার কী বা এর ধরণ সম্পর্কে বলার আগে আরো কিছু তথ্য জানিয়ে রাখা উচিত। ২০১৭ সালের মে মাসে পুরো পৃথিবীজুড়ে বিশাল আকারের একটি সাইবার অ্যাটাক হয়, যার মূল হোতা এই র‍্যানসমওয়্যার। ওয়ানাক্রাই (WannaCry) নামের এক কুৎসিত ম্যালওয়ারের সাহায্যে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিগত কম্পিউটার আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলো। এমনকি পৃথিবীর বড় বড় অনেক কোম্পানির সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থাও রীতিমত ভেঙ্গে পড়েছিলো। সাম্প্রতিক সময়ের এইরকম র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণ পুরো পৃথিবীবাসীকেই সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবার স্থান তৈরি করে দেয়।

র‍্যানসমওয়্যার আসলে কী?

র‍্যানসমওয়্যার মূলত এক বিশেষ ধরণের ম্যালওয়ার, যা কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্যের দখল নিয়ে নেয় এবং কিছু অংকের টাকা প্রদানের বিনিময়ে ঐসব ফাইল বা তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, টাকা প্রদানের পরও গ্রাহক তার নিজস্ব ফাইলের সম্পূর্ণ অ্যাকসেস পায় না। এজন্য এধরনের ভাইরাস বা ম্যালওয়ার সবসময়ই ভয়ংকর। ১৯৮০ সালের শেষের দিকে যখন র‍্যানসমওয়্যার প্রথম আবিষ্কার হয়, তখনকার সময়ে এই টাকা লেনদেনের ব্যাপারটা পুরোটাই সম্পন্ন হতো স্নেইল মেইল (Snail Mail) এর মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে র‍্যানসমওয়্যার তৈরিকারক হ্যাকাররা লেনদেন করে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে।

র‍্যানসমওয়্যারের প্রকারভেদ

র‍্যানসমওয়্যার মূলত ৩ প্রকারের-

১. স্কেয়ারওয়্যার (Scareware):

নাম শুনে যতটা না ভয়ংকর লাগছে, আসলে এই ভাইরাস ঠিক অতটা ভয়ংকর নয়। কিছু ক্ষতিকারক সিস্টেম সফটওয়্যার ও স্ক্যামরূপী ভাইরাসের সমন্বয়ে এটি গঠিত। ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর সময় এমন একটি পপ-আপ মেসেজ আসতে পারে যেখানে লেখা থাকবে যে, একটি ভাইরাস ধরা পড়েছে এবং ভাইরাসটি থেকে মুক্তি পেতে কিছু টাকা প্রদান করতে হবে। টাকা প্রদান না করলেও স্কেয়ারওয়্যার তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারে না। অনেক সময় ব্যক্তিগত কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু ক্ষতিকারক সফটওয়্যার ইন্সটল করারও অনুমতি চায় এসব ম্যালওয়ার। কম্পিউটারে হালনাগাদকৃত অ্যান্টিভাইরাস থাকলে স্কেয়ারওয়্যার নিয়ে চিন্তা করার খুব বেশি প্রয়োজন নেই।

২. স্ক্রিন লকার:

এই ধরণের ম্যালওয়ার একটু চিন্তাভাবনা করার বিষয়ই বটে। কেননা নাম শুনেই বুঝা যাচ্ছে যে, একবার যদি এই ধরণের কিছু কম্পিউটারের সিস্টেমে ঢুকে পড়ে, তবে আক্ষরিক অর্থেই আমরা অন্ধ হয়ে যাবো কম্পিউটারের সামনে। কম্পিউটার অন করলেই পর্দায় একটি সতর্কীকরণ বার্তা আসবে, পর্দায় আন্তর্জাতিক কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার লোগো থাকবে (যেমন- যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই) এবং বলা হবে যে, উক্ত কম্পিউটারে অবৈধ কার্যক্রমের জন্য কিছু অর্থদণ্ড দেয়া লাগবে। কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে, বিশ্বের কোনো গোয়েন্দা সংস্থা-ই অবৈধ কার্যক্রমের জন্য হঠাৎ করে কোনো পার্সোনাল কম্পিউটারের তথ্য আটকে রেখে টাকা দাবী করে না।

৩. এনক্রিপ্টিং র‍্যানসমওয়্যার:

এবার আসা যাক মূল আসামীর দিকে। এই ধরণের ম্যালওয়ার আসলেই খুব বিপদজনক। এধরণের ম্যালওয়ারের আক্রমণে অনেকসময় ভীষণ শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিমিষেই বিকল হয়ে যেতে পারে। এই ম্যালওয়ারের বিশেষত্ব হলো, একবার এই ম্যালওয়ার আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করলেই সর্বপ্রথম এটি কম্পিউটারের ড্রাইভে থাকা প্রত্যেকটি ফাইলকে এনক্রিপ্টেড করে ফেলে। সোজা বাংলায় বললে, ফাইলগুলোকে লক করে দেয় যেন ঐ ফাইল সাইবার অপরাধীরা ছাড়া অন্য কেউ খুলতে না পারে। এবং শেষে টাকা দাবী করে। ব্যাস ! একবার যদি কোনো ফাইল এনক্রিপ্টেড হয়ে যায়, তাহলে কোনো তৃতীয় পক্ষের সফটওয়্যার বা অ্যান্টিভাইরাস ঐ ফাইল পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এমনকি, টাকা দেয়ার পরও কোনো গ্যারান্টি থাকবে না যে সাইবার অপরাধীরা সহিহ-সালামত আপনার সকল ফাইল আপনাকে ফেরত দিবে কিনা।

র‍্যানসমওয়্যার হ্যাকারদের টার্গেট

শুরুর দিকে র‍্যানসমওয়্যার হ্যাকারদের মূল টার্গেট ছিলো ব্যক্তিগত কম্পিউটার, কেননা এসব কম্পিউটারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব দুর্বল হয়, পাশাপাশি জরুরী সকল তথ্যের ব্যাকআপও অনেক সময় থাকে না। কিন্তু ধীরে ধীরে র‍্যানসমওয়্যার যখন শক্তিশালী হওয়া শুরু করলো, এটি পা বাড়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দিকে। বিভিন্ন কোম্পানির ব্যাক্তিগত তথ্য ও ওয়েবসাইট আক্রমণ করে র‍্যানসমওয়্যার হ্যাকাররা ছিনিয়ে নেয় ঐসব কোম্পানির বিভিন্ন তথ্য, থেমে যায় তাদের আয়ের পথ। ২০১৭ সালের দিকে পুরো পৃথিবীজুড়ে ছোট ও মাঝারি আকারের প্রায় ৩৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণের শিকার হয়।

শুরুরদিকে র‍্যানসমওয়্যার এর প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিলো ইউরোপ। কিন্তু এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার অর্থনীতির উন্নতির কারণে এই অঞ্চলগুলোও র‍্যানসমওয়্যার এর মত সাইবার আক্রমণের শিকার হতে পারে। অপরদিকে, অনেক সময় দেখা যায় বৃহৎ কোম্পানিগুলো তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে র‍্যানসমওয়্যার রুখে দেয়। এসব কারণে কিন্তু আমার-আপনার মত কম্পিউটার ব্যবহারকারীরাও ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারি।

🔰 র‍্যানসমওয়্যার যেভাবে আক্রমণ করে

বিভিন্নভাবেই র‍্যানসমওয়্যার একটি কম্পিউটারের সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে। তবে সবচেয়ে চিরচেনা উপায় হচ্ছে ম্যালস্পাম (Malspam/ Malicious Spam) । কোনো এক ভোরে আপনি দেখলেন আপনার একটি নতুন ইমেইলের বার্তা এসেছে। আপনি দেরি না করে দ্রুতই আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট এ গিয়ে ঐ ইমেইল চেক করলেন। ইমেইলের সাথে একটি ফাইল এটাচমেন্ট থাকতে পারে, পিডিএফ বা ওয়ার্ড ডকুমেন্ট এর আকারে, অথবা থাকতে পারে একটি সোশ্যাল মিডিয়ার লিংক। ফাইল বা লিংকটি ওপেন করা মাত্রই আপনার কম্পিউটারের সকল ফাইল ধীরে ধীরে এনক্রিপ্টেড হওয়া শুরু করবে।

এই ম্যালস্পামগুলো সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে আমাদের বোকা বানাতে পারে। অনেক সময় ফেসবুকে কোনোরকম না দেখেশুনেই হরেক রকম লিংকে ক্লিক করে বসি। এভাবেও কিন্তু র‍্যানসমওয়্যার ছড়িয়ে পড়তে পারে।

র‍্যানসমওয়্যার ছড়িয়ে পড়ার আরো একটি উপায় হচ্ছে ম্যালভার্টাইজিং (Malvertising) ।

ম্যালভার্টাইজিং এর পূর্ণরূপ হলো ম্যালওয়ার অ্যাডভারর্টাইজিং। এই ম্যালভার্টাইজিং এর সাহায্যে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মধ্য দিয়ে র‍্যানসমওয়্যার ছড়িয়ে পড়ে। এর একটি ভয়ংকর দিক হলো, ম্যালভার্টাইজিং এ আক্রান্ত হতে হলে এমন নয় যে কোনো লিংক বা অ্যাড এ ক্লিক করা লাগবে। এমনও হতে পারে, নিরাপদ ব্রাউজিং এর পরও আপনি ম্যালভার্টাইজিং এর কাছে বন্দি হয়ে যাচ্ছেন।

🔰 ম্যাক র‍্যানসমওয়্যার

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য অ্যাপলের ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের জুড়ি নেই। কিন্তু র‍্যানসমওয়্যার এর থাবা থেকে মুক্তি পায়নি এই ম্যাক ও। ২০১৬ সালে ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য প্রথম র‍্যানসমওয়্যার বের হয়। কেরেঞ্জার (KeRanger) নামের একটি অ্যাপ ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমে ঢুকে খুব নিষ্ক্রিয়রূপী আকার ধারণ করে। এমতাবস্থায় ম্যাক ওএস এর নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাও এটিকে শনাক্ত করতে পারে না। ৩-৪ দিন ধরে এই ক্ষতিকারক অ্যাপ ম্যাকের সব ফাইল নিজের ডাটাবেসে কপি করে এবং সবশেষে এনক্রিপ্টেড করা শুরু করে। ম্যাক এই এনক্রিপশনে বাধা প্রদান করলে ঐ অ্যাপ ডাটাগুলো ডিলেট করে দিতে থাকে। এরকম হইচই ফেলা এক ঘটনার পরপরই অ্যাপলের সফটওয়্যার নিরাপত্তা দল কোমরে কাপড় বেঁধে এর সমাধানে নেমে পড়েন এবং খুব দ্রুতই তারা একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা তাদের অপারেটিং সিস্টেমের নতুন আপডেটে যুক্ত করেন যার নাম এক্সপ্রোটেক্ট (XProtect) ।

সংক্রমিত হলে করণীয়:

“বহুল আলোচিত র‍্যানসমওয়্যার দ্বারা কখনও সংক্রমিত হলে আদৌ কি কিছু করার আছে?”

উত্তর: সত্যি বলতে র‍্যানসমওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হলে তা থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসার কোনো নিশ্চয়তা নেই। যদিও কিছু পদক্ষেপ নিলে হারিয়ে যাওয়া তথ্য ফিরে পাওয়া যায়।

র‍্যানসমওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হলে করণীয়গুলো হচ্ছে-

১. রুল নাম্বার ওয়ান হচ্ছে কখনোই র‍্যানসমকে (র‍্যানসমওয়্যার তৈরিকারক) টাকা প্রদান করা যাবে না। কেননা অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য আটকে রেখে অর্থ দাবী করা যে কোনো আইনেই অপরাধের পর্যায়ে পড়ে এবং র‍্যানসমকে ঐ অর্থ প্রদান করে কিছুতেই এই অপরাধের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।

২. অনলাইনে বিনামূল্যে বিভিন্ন ডিক্রিপ্টর সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এগুলো খুব বেশি একটা কার্যকরী না হলেও কিছু কিছু ফাইল এসব ডিক্রিপ্টরের মাধ্যমে ফেরত পাওয়া যায়।

৩. র‍্যানসমওয়্যার এর জন্য বিশেষ ধরণের অ্যান্টিভাইরাসের ন্যায় “র‍্যানসমওয়্যার রিমেডিয়েশন (Ransomware Remediation)” সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এসব সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার স্ক্যান করে নিলে র‍্যানসমওয়্যার এর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় বটে, কিন্তু হারানো তথ্য ফিরে পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা থাকে না এটাও সত্যি।

৪. কোনো সময় যদি আপনি বুঝতে পারেন যে, আপনার কম্পিউটার আচমকা অনেক ধীরগতির হয়ে পড়েছে এবং কম্পিউটার থেকে অন্য কোথাও ফাইল আপলোড হচ্ছে, তবে সঙ্গে সঙ্গে কম্পিউটার শাট ডাউন করে ফেলা উচিত কিংবা কম্পিউটারের ইন্টারনেট সংযোগ কিছুক্ষণের জন্য হলেও বিচ্ছিন্ন করে ফেলা উচিত।

র‍্যানসমওয়্যার থেকে বাঁচতে করণীয় 🔰

১. সর্বদা কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ করতে হবে। এ ধরণের নিরাপত্তা ঝুঁকি চলে আসলে অপারেটিং সিস্টেমের তৈরিকারকেরা খুব দ্রুতই এর সমাধানও নিয়ে আসেন। এসব সমাধান (Patch) তারা তাদের পরবর্তী আপডেটের সাথেই গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।

২. জরুরী ও অতিপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো অনলাইন ড্রাইভে রেখে দেয়া শ্রেয়। কেননা নিজের কম্পিউটারের চেয়ে অনলাইনে এসব শক্তিশালী সার্ভারে ফাইল রেখে দেয়া অনেকটাই নিরাপদ। গুগল ড্রাইভ, আইক্লাউড, ওয়ানড্রাইভ উল্লেখযোগ্য।

৩. প্রতিমাসেই অ্যান্টিভাইরাসগুলোর নতুন নতুন আপডেট আসে। প্রত্যেক কম্পিউটারেই সর্বশেষ হালনাগাদকৃত অ্যান্টিভাইরাস থাকা উচিত। অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার না করলেও যেন উইন্ডোজ ডিফেন্ডার এর মত নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলোর রিয়েল টাইম প্রোটেকশন ও ওয়েব ব্রাউজিং প্রোটেকশন সর্বদা সচল থাকে।

যেকোনো সময় র‍্যানসমরা নতুন নতুন ম্যালওয়ার নিয়ে হাজির হতে পারে। তাই সময় এসেছে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে নিজের সচেষ্ট হওয়ার, অন্যদের সতর্ক করার।

এই লেখাটি লিখেছেন : Fardin Islam. 😁

আমাদের বিজ্ঞান গ্রুপে সাম্প্রতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনায় অংশ নিন বাংলায় বিজ্ঞানচর্চাঃ Engineer's Diary Science Club

07/08/2020


07-08-2020

06/08/2020


06-08-2020

05/08/2020


05-08-2020

04/08/2020


04-08-2020

30/07/2020


30-07-2020

29/07/2020


29-07-2020

28/07/2020


28-07-2020

27/07/2020


27-07-2020

26/07/2020


26-07-2020

24/07/2020


24-07-2020

23/07/2020


23-07-2020

22/07/2020


22-07-2020

17/07/2020


17-07-2020

16/07/2020


16-07-2020

13/07/2020


13-07-2020



নতুন আক্রান্তঃ ৩০৯৯ জন
নতুন মৃত্যুঃ ৩৯ জন
নতুন সুস্থ্যঃ ৪৭০৩ জন
নতুন পরীক্ষাঃ ১২৪২৩ টি নমুনা
*
সর্বমোট আক্রান্তঃ ১৮৬৮৯৪ জন
সর্বমোট মৃত্যুঃ ২৩৯১ জন
সর্বমোট সুস্থ্যঃ ৯৮৩১৭ জন

12/07/2020


12-07-2020

11/07/2020


11-07-2020

10/07/2020


10-07-2020

09/07/2020


09-07-2020

08/07/2020


08-07-2020

07/07/2020


07-07-2020

06/07/2020


06-07-2020

05/07/2020


05-07-2020

04/07/2020


04-07-2020

Want your school to be the top-listed School/college in Pabna?

Click here to claim your Sponsored Listing.

বনওয়ারী নগর সিনিয়র আলিম মাদরাসার

পাবনা জেলার অন্তর্গত ফরিপুর উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত বনওয়ারী নগর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা যা ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। নিরন্তর শিক্ষার আলো ছড়িয়ে চলেছে আর গড়ে তুলেছে নিষ্ঠাবান বহু মানবসত্তা। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার অনন্য এক নাম ফরিদপুরের এই বনওয়ারী নগর আলিম মাদ্রাসা।

Location

Category

Website

Address


Pabna
6650
Other High Schools in Pabna (show all)
Bornodip Model school and college. Bornodip Model school and college.
Pabna, 6670

Education for humanity.

DAZHSCian DAZHSCian
Pabna

দাড়ামুদা খোয়াজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ দাড়ামুদা খোয়াজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ
Pabna, Rajshahi Division
Pabna, 6670

Official Page Of Daramuda Khoaj Uddin School and College

Malifa Habibur Rahman High School Malifa Habibur Rahman High School
Malipha, Sujanagar
Pabna

Santhia Govt. Pilot Model High School,Pabna Santhia Govt. Pilot Model High School,Pabna
Abu Yousuf Sheikh Avenue
Pabna, 6670

Udaypur High School, Sujanagar,  Pabna Udaypur High School, Sujanagar, Pabna
Udaypur High Schhool Sujanojar Pabna
Pabna

শিক্ষার জন্য এসো সেবার জন্য বেরিয়ে য?

Dhulauri Bilateral High School Dhulauri Bilateral High School
Santhia
Pabna, 6670

Dhulauri Bilateral High School ধুলাউড়ি দ্বিপক্ষীয় উচ্চ বিদ্যালয় Pabna

Sobuj Kumar Sarkar Sobuj Kumar Sarkar
Bornil Coaching, Rothghor
Pabna, 6600

"আমি ঘর ছাড়িয়া বাহির হইয়া, জোছনা ধরিতে যাই। হাত ভর্তি চাঁদের আলো,ধরতে গেলেই নাই"

Jagir Hossain Academy, Pabna Jagir Hossain Academy, Pabna
Pabna
Pabna

A famous high school in pabna town.

Demra H.Z High School Campus Demra H.Z High School Campus
Demra, Faridpur
Pabna, 6650

This high school campus page�

বেড়া বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,বেড়া,পাবনা। বেড়া বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,বেড়া,পাবনা।
Pabna

বেড়া বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় বেড়া,?

Uttar Sengram High School Uttar Sengram High School
Uttar Sengram, Chatmohar Pabna
Pabna, 6630

Uttar Sengram High School(USHS) It's established in 1997. Established by MD. Saiful Islam. The Scho