নতুন কারিকুলামের মুল্যায়নে অভিভাবকদের উৎকন্ঠার কিছু নেই , শিক্ষার্থীদের মুখস্ত করার কিছু নেই , কোচিং এর কোন প্রয়োজন নেই । আছে নিয়মিত স্কুলে আসা , শ্রেনীতে মনোযোগী থাকা, বিষয় অনুধাবন করা, গ্রুপে/ দলে কাজ করার সামর্থ্য অর্জন করা , ব্যক্তি , পরিবার, সমাজ , পরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় সমস্যা চিহ্নিত করে সম্ভাব্য সমাধানে দক্ষতার সাথে একক ও দলীয় গবেষনা ও সমাধান কল্পে সুপারিশ প্রদানের প্রক্রিয়া রপ্ত করা এবং দায়িত্বশীল ও মানবিক মানুষ হতে আচরনিক উন্নয়ন অনুশীলন করা এবং সহানুভুতিশীল নাগরিক হয়ে ওঠার অভ্যেস গড়ে তোলা ।
পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় । Pabna Govt. Girls' High School
It's a teachers & students centered page. Anyone can observe the school notice, on line class & cultural activity etc.
Operating as usual
ফিনল্যান্ডে অবস্থানরত একজন বাংলাদেশীর সেদেশের কারিকুলামে অধ্যয়নরত সন্তানদের নিয়ে একটি লেখা....
ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে লেখার জন্য অনেকে আমাকে অনুরোধ করেছেন। আসলে ফেসবুকে দু এক লাইন লিখে এ বিশাল কর্মযজ্ঞ বুঝিয়ে দেয়া প্রায় অসম্ভব। এটা নিয়ে গবেষণা পত্র লিখতে হবে হয়তো।
তবুও কৌতুহল মেটাতে আমার স্বল্প অভিজ্ঞতা থেকে যা দেখেছি তা নিচের কয়েকটি ছবিতে তুলে ধরলাম।
সকাল ৮ টায় ক্লাস শুরু হয়। ১১-১২ টায় ফ্রি লাঞ্চ, ভেজিটেরিয়ান ও ননভেজ দুটো অপশনই আছে। সাথে দুধ,দই এসব। ১/২ টায় ছুটি।
মোট দশটি সাবজেক্ট ক্লাস ফাইভে। তার মধ্যে ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ ও ক্রাফট রয়েছে। ফিনল্যান্ডে সাঁতার শেখা বাধ্যতা মূলক ও ক্লাস নাইনে সুইমিং টেস্ট হয়।ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ ক্লাস সপ্তাহে দুদিন ইনডোর বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে হয় যাতে বাচ্চাদের সুস্বাস্হ্য বজায় থাকে। মোটামুটি বাচ্চাদের ঘাম ছুটিয়ে দেয় যাতে ওরা স্ট্রং হয়ে বেড়ে ওঠে। এর বাইরে কুকিং ক্লাব আছে যেখানে ওরা ক্লাস শেষে বেকিং, কুকিং এসব শেখে। একটা রেস্টুরেন্ট চালানোর মতো আধুনিক কিচেন স্কুলে আছে। আটা, ময়দা, তেল, ঘি, আন্ডা মাংস সব স্কুল থেকেই দেয়।
এই সামারে স্কুল থেকে সুইমিং ক্লাবে নিয়ে দু সপ্তাহে আমার মেয়েকে সুইমিং শিখিয়ে দেয়। যেহেতু আমরা মুসলিম ও আমার মেয়ে হিজাব পরিধান করে তাই ইসলামীক পোশাকে আমার মেয়ে ট্রেইনিং সম্পন্ন করে। উল্লেখ্য হিজাব ও ইসলামী প্র্যাকটিসের ব্যাপারে শিক্ষকরা বেশ সচেতন।
গত রোজায় লাঞ্চ ব্রেকে অন্য বাচ্চারা ঘুরে ফিরে চকলেট বা অন্যকিছু খাওয়ার সময় টিচাররা নাকি তাদের অনুরোধ করেছে আমার বাচ্চাদের সামনে না খেতে কারণ তারা রোজা রেখেছে। ব্যাপারটি আমার সব বাচ্চারাই আমাকে জানিয়েছে।
ক্রাফট ক্লাসে তারা কাঠের কাজ থেকে শুরু করে ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স শেখে। সকল র-মেটেরিয়াল স্কুল থেকে সরবরাহ করে। আমার বড় মেয়ে ক্লাস সেভেনে ব্লু-টুথ স্পিকার বানিয়ে বাসায় নিয়ে আসে। প্রথম দেখায় আমি ভেবেছিলাম দোকান থেকে কিনে আনা কারণ এতটাই নিখুঁত ভাবে বানানো। এই শিক্ষার উদ্দেশ্য বাচ্চাদের সকল হ্যান্ডি কাজ স্কুলেই শিখিয়ে দেয়া যাতে বেসিনের পানির টেপ থেকে ড্রেইন পাইপ বা বাসার লাইট, ফ্যান ফিটিংসের কাজ নিজেরাই করতে পারে। তবে এগুলো সহ শিক্ষা, মূল শিক্ষা নয়।
আইটি ক্লাসে ওরা ল্যাপটপ ব্যাবহার করে প্রোগ্রামিং ও কোডিং শিখছে। স্কুলে ভর্তির পরপরই প্রত্যেকের জন্য ল্যাপটপ বরাদ্দ। তবে তা শুধু স্কুলে ব্যাবহার করা যায়। আর কোডিং মানে সত্যিকারের কোডিং, কপি পেষ্ট নয়।
প্রতিদিনের পড়ালেখার জন্য দুটো আ্যপ আছে। একটা অভিভাবকদের আর একটা স্টুডেন্টদের। প্রতি মুহূর্তে ঐ আ্যপ থেকে সকল তথ্য আমরা দেখতে পারি।
স্কুল থেকে বই বাসায় আনতে হয়না। সপ্তাহে দু এক দিন কোন হোমওয়ার্ক যদি দেয় তাহলে বই বাসায় নিয়ে আসে। আমার চার বাচ্চাদের বই আমি কখনো দেখিনি। এই লেখাটি লিখতে গিয়ে কটা বই আনিয়ে নিয়েছি।
স্কুলের বইখাতা থেকে সকল উপকরণ ফ্রি, লাঞ্চ ফ্রি, নো এডমিশান কস্ট। ওদের পড়ালেখা বাবদ আমি সব মিলিয়ে এক হাজার টাকাও খরচ করতে হয়নি। শুধু বছরের শুরুতে স্কুল ব্যাগ, এক ডজন পেন্সিল ও কলম আর একটা ইরেজার অভিভাবকদের কিনে দিতে হয়। ব্যাগ প্রতিবছর না দিলেও চলে।
বাচ্চাদের জন্য ফ্রি লাইব্রেরী কার্ড ইস্যু করা আছে। লাইব্রেরী থেকে বই, সিডি অথবা প্রিন্ট আউট ফ্রি নেয়া যায়। লাইব্রেরী কার্ড প্রথমবার করতে গিয়ে আমি বুঝতে পারিনি ওটা লাইব্রেরী। ভেবেছিলাম কোন সাজানো গোছানো কর্পোরেট অফিস।
ক্লাসের পড়া ক্লাসে শেষ হয়। বাসার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের এ সংক্রান্ত কোন দায়িত্ব নেই। আমরা শুধু আ্যপ থেকে ওদের গ্রেডিং দেখি আর পেরেন্টস মিটিং আ্যটেন্ড করি।
বছর শেষে কোন পরীক্ষা নেই। প্রতিটি চ্যাপ্টার শেষে ক্লাস টেস্ট হয় ও তার উপর গ্রেডিং হয়। নতুন অবস্থায় আমি মিটিং এ গ্রেডিং সিস্টেম জানতে চাইলে ক্লাসের প্রজেক্টরে দেখায় আমার মেয়ের অংকে গ্রেড ৮ , আর প্রাপ্ত নাম্বার ৭৫। প্রশ্ন করায় উত্তর দেয় গ্রেডিং প্রাপ্ত নাম্বার এর উপর নয় বরং মনোযোগ, ক্রিটিক্যাল থিংকিং, প্রবলেম সলভিং, সহপাঠীদের সাহায্য করা ইত্যাদি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। উল্লেখ্য ৪৫° কোন অংকন করতে না পারায় জিলা স্কুলের ইকবাল স্যার আমার পাছায় যে বেতের বারিটি দিয়ে ছিলেন, ঐ মুহুর্তে ঠিক সে কথাই মনে পরেছিল।
ওদের পড়ালেখার জন্য আমি এক মিনিট সময়ও খরচ করিনা। স্কুল থেকে নিজেরাই শিখছে। গ্রেড খারাপ হলে ঐ বাচ্চার জন্য আরেকজন টিচার নিয়োগ করে। দেখাযায় একই ক্লাসে ২৪ জন বাচ্চা একজন টিচারের কাছে পড়ছে আর গ্রেড খারাপ হওয়া বাচ্চার পাশে আরেকজন টিচার বসে আছে। আমি শুধু আ্যপ খুলে গ্রেড দেখি, অভিভাবক হিসেবে আমার দায়িত্ব এটুকুই।
তবে আপত্তিকর ব্যাপার হলো এরা শিক্ষকদের নাম ধরে ডাকে ও মাঝে মাঝে চেয়ারে বসে টেবিলে পা তুলে ক্লাস করে।
আজ ৫ বছর বয়সী ছোট ছেলেটাকে প্রি-স্কুল থেকে আনার সময় তার টিচারকে বলে "হেপ্পা ওনা" - " বিদায় ওনা" । সোনালী চুলের নীল নয়না টিচারের নাম ওনা।
সব জায়গায় সব পদ্ধতি চলে না।উপকরণ নাই, ভালো শিক্ষক নাই, শিক্ষক এর ভালো বেতন নাই, শিক্ষা খাতে বাজেট নাই বা কম, মান সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান নাই, লাইব্রেরী নাই, শুধু নাই নাই দিয়ে সব কিছু চলে না। তারপরও আমরা আশায় বুক বাঁধি ভালো কিছু হবে।

৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন রুটিন ২০২৩
মুঠোফোনসহ ইলেকট্রনিক পর্দায় বেশি সময় কাটালে শিশুর বেশি ক্ষতি :
ঢাকা ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছোট শিশুদের মুঠোফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পর্দায় চোখ রাখার সঙ্গে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের সম্পর্ক আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এক বছর বয়সী শিশুরা ইলেকট্রনিক পর্দায় বেশি সময় কাটালে দুই থেকে চার বছর বয়সে তাদের যোগাযোগ দক্ষতার ও সমস্যা সমাধানে দক্ষতার উন্নতি বিলম্বিত হয়। জাপানের শিশুদের নিয়ে এই গবেষণা হয়েছে।
শিশুরা টেলিভিশন দেখে, ভিডিওতে খেলা করে বা কম্পিউটারের পর্দায় ও মুঠোফোনে কার্টুনসহ নানা কিছু দেখে সময় কাটায়। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা আছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুব কম বয়সী শিশুদের ইলেকট্রনিক পর্দায় সময় কাটানো নিয়ে অনেক বেশি কথা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, শিশুরা বেশি সময় ধরে ইলেকট্রনিক পর্দায় চোখ রাখলে তাতে তাদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় কি না। গবেষণা বলছে, বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত জাপানের দুটি এলাকায় ৫০টি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা ২৩ হাজার ১৩০ জন মা এবং সমানসংখ্যক শিশুকে এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে ৭ হাজার ৯৭ জন মা ও তাঁদের শিশুদের তথ্য গবেষণার বিশ্লেষণে কাজে লাগানো হয়েছিল। গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালের মার্চে। এই গবেষণার তথ্য নিয়ে একটি প্রবন্ধ গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে ছাপা হয়েছে।
এক বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে গবেষণাটি শুরু হয়েছিল। এই শিশুদের বয়স যখন দুই ও চার বছর হয়েছিল, তখন তাদের মানসিক বিকাশ পরিমাপ ও পর্যালোচনা করা হয়েছিল। বিকাশের ক্ষেত্রে পাঁচটি বিষয় দেখা হয়েছিল—যোগাযোগ, হাঁটাচলার মতো পেশি সঞ্চালন, জিনিসপত্র ধরা বা ছবি আঁকার মতো পেশি সঞ্চালন, বিচার বিবেচনা এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক দক্ষতা।
প্রাথমিক পর্যায়ে গবেষকেরা শিশুর মায়েদের একটি প্রশ্ন করেছিলেন, একটি সাধারণ দিনে আপনি আপনার শিশুকে টেলিভিশন দেখতে বা ভিডিওতে খেলতে, কম্পিউটারে বা মুঠোফোনের পর্দায় কতটা সময় চোখ রাখতে দেন? পাঁচ ধরনের উত্তর দেওয়ার সুযোগ ছিল—কোনো সুযোগ দিই না, এক ঘণ্টার কম, এক ঘণ্টার বেশি, তবে দুই ঘণ্টার কম, দুই ঘণ্টার বেশি তবে চার ঘণ্টার কম এবং প্রতিদিন চার ঘণ্টা বা চার ঘণ্টার বেশি সময়।
৭ হাজার ৯৭টি শিশুর মধ্যে ৫২ শতাংশ ছিল ছেলে ও ৮ শতাংশ ছিল মেয়েশিশু। প্রতিদিন ইলেকট্রনিক পর্দায় সময় কাটানোর ক্ষেত্রে দেখা গেছে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ শিশু এক ঘণ্টার কম সময় ব্যয় করে। ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ এক ঘণ্টার বেশি ও দুই ঘণ্টার কম সময় ব্যয় করে। ১৮ শতাংশ শিশু দুই ঘণ্টার বেশি ও চার ঘণ্টার কম সময় ব্যয় করে। চার ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ব্যয় করে ৪ শতাংশ শিশু। যেসব মায়ের বয়স তুলনামূলকভাবে কম, যাঁদের আগে সন্তান হয়নি, যাঁদের পারিবারিক উপার্জন কম, যেসব মায়ের শিক্ষা কম এবং যেসব মা প্রসবের পরে বিষণ্নতায় ভুগেছিলেন, তাঁদের শিশুরা বেশি সময় ধরে ইলেকট্রনিক পর্দায় চোখ রাখে।
গবেষকেরা বলছেন, ইলেকট্রনিক পর্দায় বেশি সময় চোখ রাখার সঙ্গে শিশুর বিকাশ বিলম্বিত হওয়ার ঝুঁকি আছে। কত সময় চোখ রাখলে কোন ধরনের বিকাশ কতটা বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত হয়, তা বিস্তারিতভাবে গবেষণা প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়েছে।
এক বছর বয়সে বেশি সময় পর্দায় চোখ রাখলে দুই বছর বয়সে শিশুর যোগাযোগ দক্ষতা, ছোট কাজে পেশি সঞ্চালন, বিচার বিবেচনা, ব্যক্তিগত ও সামাজিক দক্ষতায় ঘাটতি পড়ে। অন্যদিকে এক বছর বয়সে বেশি সময় পর্দায় চোখ রাখলে তার বিরূপ প্রভাব চার বছরে স্পষ্ট হয়। চার বছর বয়সে দেখা যায়, ওই সব শিশুর যোগাযোগ দক্ষতা ও সামাজিক জ্ঞানবুদ্ধির ঘাটতি দেখা দেয়। উপসংহারে বলা হচ্ছে, এক বছর বয়সে বেশি সময় ইলেকট্রনিক পর্দায় চোখ রাখার অর্থ দুই ও চার বয়সে শিশুরা যোগাযোগ দক্ষতা ও বিচার–বিবেচনার দক্ষতার সমস্যায় পড়ে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমের অধ্যাপক গোপেন কুমার কুন্ড প্রথম আলোকে বলেন, কম বয়সী শিশু বেশি সময় ধরেই ইলেকট্রনিক পর্দায় চোখ রাখলে শিশুর বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়—গবেষণায় তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের সচেতন ও সতর্ক হওয়া উচিত।
সম্মানিত অভিভাবকগণকে বিনীতভাবে বলছি : "স্কুল পালালেই রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছুটি গল্পে উল্লেখিত ১৩-১৪ বছরের "বালাই " নামক শিক্ষার্থীদের আমরা কোলেপিঠে করে মানুষ করি।
ইদানীং দেখা যাচ্ছে কিছু শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে স্কুলে অনুপস্থিত থাকে। একদিন আসেতো তিনদিন আসেনা। অভিভাবকদের ফোন দিলে বলেন, স্যার, ছেলে /মেয়ে বলে, স্কুলে ক্লাস হয়না। আসলে এটি সর্বৈব সত্য নয়। কেসস্ট্যাডি করে দেখা গেছে,যে সকল শিক্ষার্থী কারণে অকারণে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে তারাই মূলত: নিজেকে সেভ করতে অভিভাবকদের মিথ্যা তথ্য দেয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিদ্যালয়ে না গিয়ে তারা বাসায় বসে কী করে! আমার মাঝে মধ্যে ইচ্ছে হয়, আলাদীনের চেরাগ হাতে থাকলে দৈত্যকে বলতাম, ঘরে ঘরে নিয়ে দেখাও, ছেলে মেয়েরা স্কুল ফাঁকি দিয়ে ঘরে বসে কী করছে? কিন্তু সে সক্ষমতা আমার নেই। তাই কল্পনায় বুঝে নেই, নিশ্চয়ই ছেলেমেয়েরা এসময় ভালো কিছু করেনা। হয় টিভি দেখে নাহয় মোবাইল টিপে অথবা আড্ডা দিয়ে কিংবা ঘুমিয়ে এই সময়টা কাটায়। আর যদি তাই হয় তবে কেন স্কুলের মিছে বদনাম করা!
স্কুলে দুয়েকটি ক্লাস মিস হলেও ঘর থেকে বেটার একটা সময় কাটে বাচ্চাদের। স্কুলে বাচ্চারা পাঠ্যপুস্তক জ্ঞান ছাড়াও শিক্ষকদের নীতি নৈতিকতা জ্ঞান, মোটিভেশান লাভ করে। এর বাইরেও স্কুলে তারা ভাতৃত্ব, বন্ধুত্ব, ধৈর্য্য সহিষ্ণুতা, দেশপ্রেমসহ মানবিক গুণাবলি অর্জন করে।এমনকি ক্লাসের ফাঁকে কিংবা গ্যাপ ক্লাসে পরিশোধিত দুষ্টুমি, আড্ডা, খেলাধুলা ইত্যাদিও বাচ্চাদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করে।
কাজেই সম্মানিত অভিভাবকগণ, সচেতন থাকুন। আপনার সন্তানকে নিয়মিত স্কুলে পাঠান। স্কুলে না গিয়ে কোন অজুহাত দাঁড় করালে তা খতিয়ে দেখুন। তাদের টেলিভিশন কিংবা মোবাইল আসক্তির কারণেই স্কুল ফাঁকি দিচ্ছে কিনা তা বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে স্কুলে এসে শিক্ষকদের সাথে কথা বলুন।
আর স্কুল ফাঁকি দিয়ে ছেলেমেয়েরা বাসায় সিরিয়াসলি পড়ছে দেখে যে সকল অভিভাবক খুশি হন কিংবা যে সকল অভিভাবক মনে করেন স্কুলে গিয়ে সময় নষ্ট করে লাভ নেই বরং তার চেয়ে বাসায় বসে পড়লেই আপনার সন্তান সেরা রেজাল্ট করবে তাদের উদ্দেশ্য বলছি, স্কুলকে অবজ্ঞা করে এপর্যন্ত কোন ছেলে মেয়ে ভালো কিছু করেছে এমন অভিজ্ঞতা আমার পঁচিশ বছরের শিক্ষকতা জীবনে নেই। প্রবাদে আছে, স্কুল পালালেই রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না।
সংগৃহীত
'সমালোচনাকে কখনোই খুব বেশি প্রাধান্য দিবেন না ...'
একদিন বাবা ও ছেলে তাদের পোষা গাধাটিকে বিক্রি করার জন্য হাটের পথে রওনা দিল। বাবা, ছেলে ও গাধা তিনজনই হেঁটে যাচ্ছে।
কিছুদূর যাওয়ার পর একজন লোক তাদের দেখে বলল, এরা কত বোকা! গাধা থাকতে হেঁটে যাচ্ছে। একজন তো গাধার পিঠে উঠে আরাম করে যেতে পারে।
লোকটির কথা শুনে বাবা তার ছেলেকে গাধার পিঠে উঠিয়ে দিলেন। ছেলে গাধার পিঠে আর বাবা হেঁটে চলেছেন। কিছুদূর যাওয়ার পর আর একজন বলল, কী বেয়াদব ছেলে! নিজে গাধার পিঠে আর বুড়ো বাপকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এ মন্তব্য শোনার পর বাবা ও ছেলে স্থান পরিবর্তন করল। এবার বাবা গাধার পিঠে উঠল আর ছেলে হেঁটে চলল। আরও কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর আর এক ব্যক্তি মন্তব্য করল, কী নিষ্ঠুর পিতা! নিজে গাধার পিঠে উঠছে আর মাসুম বাচ্চাটিকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এ মন্তব্য শোনার পর বাবা ও ছেলে দুজনই গাধার পিঠে উঠল। গাধা চলতে শুরু করল। কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর তাদের দেখে আর একজন আক্ষেপ করে বলল, কী অত্যাচার! কী অবিচার! একটি গাধা তার উপর দুটি লোক!
বাবা ও ছেলে পড়ল মহাসমস্যায়। কী মুশকিল! গাধার সাথে হেঁটে গেলে দোষ! ছেলে উঠলে দোষ! বাবা উঠলে দোষ! দুজন উঠলে দোষ! এখন কী করা যায়?
বাবা ও ছেলে মিলে নতুন বুদ্ধি বের করল। তারা বাঁশ ও রশি যোগাড় করল। তারপর সেই রশি দিয়ে গাধার চার পা বাঁধল। তারপর পায়ের ফাঁক দিয়ে বাঁশ ঢুকিয়ে দিল। বাবা সামনে আর ছেলে পিছনে বাঁশ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে শুরু করল। গাধা রইল ঝুলে। গাধাকে কাঁধে নিয়ে পুল পার হওয়ার সময় গাধা ভয় পেয়ে নড়ে উঠল। বাবা, ছেলে ও গাধা পড়ে গেল খালে। গাধার মেরুদন্ড ভাঙল। বাবা ও ছেলের ভাঙল পা। গাধা আর বেঁচা হলো না। বাবা ও ছেলে আহত অবস্থায় বাড়ি ফিরে এলো।
উপরের গল্পটি প্রাচীন উপকথা। লোকের সমালোচনাকে যারা খুব বেশি ভয় পায় তাদের জন্য এ গল্পটি শিক্ষণীয়।
লোকের সমালোচনাকে কখনোই খুব বেশি প্রাধান্য দিবেন না। এতে আপনার মনের স্বাধীনতা নষ্ট হবে, মানসিক প্রশান্তির বদলে অশান্তিতে ভুগবেন।
একটা কথা মনে রাখবেন, যারা সবসময় আপনার নেতিবাচক সমালোচনা করে; তাদের মূল লক্ষ্য আপনার ভুল ধরিয়ে দেওয়া নয়, বরং আপনার সুখ দেখে তারা ঈর্ষান্বিত হয়! এমনও দেখা যায়, আপনাকে ভুল পথে পরিচালিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য! তাই এই ধরনের নিন্দুকের কথা এক মিনিট চিন্তা করা মানেই আপনার মূল্যবান সময় থেকে এক মিনিট অপচয় করছেন।
তবে হ্যাঁ, একথাও সত্য যে সব সমালোচনাই খারাপ নয়। যখন আপনার বাবা-মা কিংবা প্রকৃত শুভাকাংখীরা আপনার সমালোচনা করবে, তখন চিন্তা করুন আপনার কোথাও হয়তো কোনো ভুল হচ্ছে। ভুলের উৎস অনুসন্ধান করুন এবং সে-অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।

আগামী কাল বৃহস্পতিবার (০৮/০৬/২০২৩) এর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা মাউশির নির্দেশনানুসারে স্থগিত করা হয়েছে
সিঙ্গাপুরে একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল পরীক্ষার আগে আগে অভিভাবকদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন,চিঠিটির বাংলায় অনুবাদ পড়ুন, প্লিজ:
প্রিয় অভিভাবক,
কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার সন্তানের পরীক্ষা শুরু হবে। আমি জানি, আপনারা খুব আশা করছেন যে, আপনাদের ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করবে।
একটা বিষয় মনে রাখবেন যে, যারা পরীক্ষা দিতে বসবে, তাদের মধ্যে একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে শিল্পী হবে, যার গণিত শেখার কোনো দরকার নেই।
একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হবে, যার ইতিহাস কিংবা ইংরেজি সাহিত্যে পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন নেই।
একজন সংগীতশিল্পী হবে, যে রসায়নে কত নম্বর পেয়েছে তাতে তার ভবিষ্যতে কিছু আসে-যায় না।
একজন খেলোয়াড় হবে, তার শারীরিক দক্ষতা পদার্থবিজ্ঞান থেকে বেশি জরুরি।
যদি আপনার ছেলে বা মেয়ে পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পায়, সেটা হবে খুবই চমৎকার। কিন্তু যদি না পায়, তাহলে প্লিজ, তাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস কিংবা সম্মানটুকু কেড়ে নেবেন না।
তাদেরকে বুঝিয়ে বলবেন যে, পরীক্ষার নম্বর নিয়ে যেন তারা মাথা না ঘামায়, এটা তো একটা পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদেরকে জীবনে আরো অনেক বড় কিছু করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আপনি আপনার সন্তানকে আজই বলুন যে, সে পরীক্ষায় যত নম্বরই পাক, আপনি সব সময় তাকে ভালোবাসেন এবং কখনোই পরীক্ষার নম্বর দিয়ে তার বিচার করবেন না!
প্লিজ, এই কাজটি করুন, যখন এটা করবেন, দেখবেন যে, আপনার সন্তান একদিন পৃথিবীটাকে জয় করবে!!
একটি পরীক্ষা কিংবা একটি পরীক্ষায় কম নম্বর কখনোই তাদের স্বপ্ন কিংবা মেধা কেড়ে নিতে পারবে না।
প্লিজ,আরেকটা কথা মনে রাখবেন যে, এই পৃথিবীতে কেবল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার, প্রফেসর বা আইনজীবীরাই একমাত্র সুখী মানুষ নন।
অনেক শুভেচ্ছাসহ -
প্রিন্সিপাল
(সংগৃহীত এবং সংশোধিত)
প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি
১। একজন কয়েদীর কথা জানি। কয়েদী নাম্বার ৪৬৬৬৪, ২৭ বছর জেলে থাকার পরেও তিনি নোবেল শান্তি পুরষ্কার জিতেছেন।
- তিনি নেলসন মেন্ডেলা
২। আরেক পিতৃপরিচয়হীন যুবকের কথা জানি। তার থাকার কোনো রুম ছিল না, বন্ধুদের রুমের মেঝেতে ঘুমাতেন। ব্যবহৃত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে পাঁচ সেন্ট করে কামাই করতেন, যেটা দিয়ে খাবার কিনতেন। প্রতি রোববার রাতে তিনি সাত মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতেন শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য।
- তিনি অ্যাপল এবং পিক্সার অ্যানিমেশন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও স্টিভ জবস
৩। আরেক যুবকের নাম জানি, মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। তাঁকে বলা হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল ড্রপ আউট। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পান তিনি। কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশায় তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটান। ড্রপ আউট হওয়ার ৩২ বছর পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন তিনি।
- তিনি বিল গেটস
৪। আরেক এতিমের কথা জানি। ১১ বছর বয়সে এতিম হন। ১২ বছর বয়সে ঘর থেকে পালিয়ে যান। হতাশ হয়ে ১৯ বছর বয়সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
অনেক বিখ্যাত বইয়ের লেখন তিনি তার মধ্যে “আমার বিশ্ববিদ্যালয়” একটি, যদিও তিনি কোনদিন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা সুযোগ পান নাই।
- তিনি বিখ্যাত লেখক, নাট্যকার আর রাজনীতিবিদ
-মাক্সিম গোর্কি
৫। আরেকজন, বাবার সাথে মুদি দোকান করতো। পরিবারে এতই অভাব ছিলো যে, স্কুল নাগাদ পড়েই তাকে থেমে যেতে হয়েছিলো। সেই ব্যক্তিই একসময় হয়ে উঠে বিরাট বিপ্লবী নেতা।
- তিনি চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুং
৬। এমন একজনকে জানি যিনি অভাবের তাড়নায় কুলিগিরি করতো। একদিন বাসের কন্ডাক্টরের
কাজের জন্য গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। যে যুবকটি অংকে পারদর্শী নয় বলে বাসের কন্ডাক্টর হতে পারেনি, পরবর্তীতে সে-ই হন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী। নাম
- জন মেজর
৭। আরেক ছেলের বাবা-মা এতটাই গরিব ছিলো যে, তার জন্মের পর নাম রেজিস্ট্রি করতেই দু’দিন দেরি হয়। কে জানেন? সে-ই আজকের ফুটবল কিংবদন্তী! নাম
- রোনাল্ডো
৮। বাবা ছিলো জেলে। ছেলেকে সাথে করে বাবা মাছ ধরতো কারন অন্য স্বাভাবিক আর ১০ জন থেকে তিনি পানির নিচে মাছকে খুব ভালোভাবে দেখতে পেতেন। সেই জেলের ছেলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সুপারস্টার। নাম
-জয়সুরিয়া
৯। পড়ালেখায় মারাত্মক দুর্বল ছিলেন তিনি। কোনো কিছু মনে থাকত না। ক্লাসের শেষ বেঞ্চে বসে থাকতেন। ফেল করেছেন বারবার। ক্লার্ক এর চাকরিও করেছেন তিনি। পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছেন তিনি তার থিউরি অফ রিলিটিভিটি দিয়ে। নোবেলও পেয়েছেন তিনি। তার নাম
- আলবার্ট আইনস্টাইন
১০। ক্লাসের সবচেয়ে দুর্বল ছাত্র ছিলেন তিনি। স্কুল থেকে বহিস্কারও করা হয়েছিলো তাকে। তিনি পৃথিবী আলোকিত করেছেন তাঁর আবিষ্কার দিয়ে। তাঁর নাম
-টমাস আলভা এডিসন
১১। শব্দগুলোকে তিনি উল্টা লিখতেন। পড়ালেখায় একদম শুন্য। উড়োজাহাজ আবিস্কারের ৪০০ বছর আগে তিনি উড়োজাহাজের মডেল এঁকে গেছেন। তিনি
- লিওনার্ড ডা ভিঞ্চি
১২। পরীক্ষায় তিনি সবসময় ফেল। ২২টা একাডেমিক পুরষ্কার জিতেছেন জীবদ্দশায়। তিনি মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক এর জন্মদাতা। মিকি মউসের গলার স্বর তার নিজের দেওয়া। তিনি
-ওয়াল্ট ডিসনি
১৩। শব্দের খেলা তিনি বুজতেন না। 7 নাম্বারকে তিনি বলতেন উল্টা নাক!! এই স্প্যানিশ ভদ্রলোক একজন কবি, লেখক, পেইন্টার, কেমিস্ট, স্টেজ ডিজাইনার, ভাস্কর। তিনি
- পাবলো পিকাসো।
পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষই ইউনিক, তার ভাবনাগুলি তার মতই। সবাই যা পারে, আমাকেও তা-ই পারতে হবে, এমন কিছুতো নয়! শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে কেন? আমাদের সমস্যাটা ওইখানেই।
আমাদের প্রত্যেক ঘরে ঘরে Toppers আর Rankers চাই। জিপিএ ৫, গোল্ডেন পেতে হবে! সবাইকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার, ম্যাজিস্ট্রেট.... হতেই হবে!! আঙ্গুলকে টেনে লম্বা করতেই হবে, যেভাবেই হোক...! দরকার হলে আঙ্গুল ভেঙ্গে যাক!!
একটা কথা মনে রাখতে হবে, "পৃথিবীতে সবাই
জিনিয়াস, কিন্তু আপনি যদি একটি মাছকে তালগাছ বেয়ে ওঠার ক্ষমতা দিয়ে বিচার করেন, তবে সে সারাজীবন নিজেকে অপদার্থই ভেবে যাবে"
... আলবার্ট আইনস্টাইন।
Copied from one of my friend'd timeline.
পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব, হরিশ চন্দ্র চৌধুরী স্যারের মমতাময়ী মা আজ ১০/০১/২০২৩ তারিখ রাত ৮.৩০ মিনিটের সময় তাঁর গ্রামের বাড়ী চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে পরলোক গমন করেছেন। তাঁর বিধেহী আত্মার সদ্গতি কামনা করছি এবং তাঁর নিকটজনেরা যেন এই বিয়োগান্তক শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন এ কামনা করছি ।

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে







সংকটের গভীরে ভয়াবহ রূপ!
-------------------------------------------
০১.
কাউকে সত্যিকারের শুদ্ধ, সংশোধন ও সৃষ্টিশীল করতে চাইলে, তাকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। কাজ ছাড়া খালি জ্ঞান দান ও ক্রমাগত উপদেশ-নসিহতে মানুষের শুদ্ধতম পরিগঠন সম্ভব না।
ইসলাম ধর্ম মতে প্রত্যেকটা মানুষের সাথে একজন করে শয়তান থাকে। এখন যাকে উপদেশ, নসিহত ও জ্ঞান প্রদান করা হচ্ছে—সাথে থাকা সেই শয়তান ঐসমস্ত উপদেশ, নসিহত, জ্ঞান ইত্যাদি ভলি(volley) বলের মতোন মাথার উপর দিয়ে ছুঁড়ে দিতেই পারে। দেয়ও—কারণ শয়তানের কাজই তাই।
এজন্য উত্তম কৌশল হচ্ছে: উপদেশ, নসিহত ও জ্ঞানের বিষয়বস্তুকে শুধু 'দান ও প্রদান'-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তাকে কাজ বা আমলে পরিণত করা।
সমাজ, বাস্তবতা ও গণ-মানুষের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার বিষয়বস্তুকে কাজে পরিণত না করার কারণেই দেখা দিয়েছে উপযুক্ত শিক্ষার অভাবজনিত 'বৃহত্তর সংকট'—অনিয়ন্ত্রিত ও অবিকশিত একটা প্রজন্ম তৈরি হয়ে গেছে।
০২.
আধুনিক বিশ্বে শিক্ষা ও সভ্যতায় অগ্রসর রাষ্ট্রগুলোর শিক্ষার্থীদের শিখন শেখানো কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে কাজের মাধ্যমে।
সেইসব উন্নত রাষ্ট্রের বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মনোযোগের মূল ফোকাস বিন্দুটা থাকে তাদের ওপর অর্পিত কাজে। আর শিক্ষকের নজরদারি থাকে 'শিক্ষার্থী' ও 'অর্পিত কাজ'—উভয়ের ওপর।
আমরা বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষকরা মনে করে থাকি যে, সমস্ত শিক্ষার্থীদের মনোযোগের ফোকাস বিন্দুটা ঠিকরে পড়বে শিক্ষকের ওপর। শিক্ষার্থীরা মন দিয়ে শিক্ষকদের কথা শুনে যাবে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো শিক্ষার্থীদের মনো-সংযোগের অখণ্ড ফোকাস বিন্দুর অধিকাংশই ক্ষয়ে যায় প্রতিদিনকার প্রাইভেট, কোচিঙ, হোমটিউটর এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাসে। একটা পর্যায়ে তো শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ও ধৈর্যচ্যুতির ঘটনা ঘটতেই পারে। ঘটেও। আর কতো! তখন শিক্ষকরা ধমক-ধামক দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে থাকেন। আরও দ্রুত ফল লাভের জন্য এখন কেউ কেউ চাচ্ছেন যে, আচ্ছা-মোতন বেতানোর সোনালী দিন ফেরত পেতে!
আমরা বাচ্চাদের মাইর দিয়েই মাইর শেখাই। কোনো মানব সন্তানই মা'য়ের পেট থেকে হাত পাকায়ে আসে না। বাস্তবতা অনেক পাল্টেছে। আগের সেই বাস্তবতা নাই। বুঝতে হবে।
০৩.
বাচ্চাদের মধ্যে সামাজিকীকরণ ও দেশ-রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা জাগাতে হলে অবশ্যই পাঠের বিভিন্ন বিষয়বস্তুকে সমাজের সাথে যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের দিয়ে কাজ করায়ে নিতে হবে। এইসব কাজের ধরনধারণ নিয়েই মূলতঃ গড়ে ওঠেছে প্যাডাগোজি বা শিক্ষণ বিজ্ঞান।
প্যাডাগোজি বা শিক্ষণ বিজ্ঞানের আভিধানিক অর্থ হলো—'শিখনের বিজ্ঞানসম্মত শৈল্পিক উপায়'। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের পাঠকার্যক্রম হবে বিজ্ঞান ভিত্তিক, এবং তাতে থাকবে শিল্প।
বিজ্ঞান ও শিল্প। মোটাদাগে বিজ্ঞান হলো 'গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ' আর শিল্প হলো 'আনন্দ'।
সার কথা হলো: পাঠের বিষয়বস্তুকে সমাজবাস্তবতার সাথে মিলিয়ে যেইসব কাজ শিক্ষার্থীরা করবে—তা হবে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণমূলক—যাতে থাকবে অপার আনন্দ ও বিনোদন।
০৪.
প্যাডাগোজির উদাহরণ হিশাবে আমরা পেশ করতে পারি জন ডিউই-এর 'সমস্যা সমাধান' ও থর্ণ ডাইকের 'প্রচেষ্টা ও ভুল সংশোধন' পদ্ধতির কথা।
'সমস্যা সমাধান' ও 'প্রচেষ্টা-ভুল সংশোধন'—এই দুই পদ্ধতির আলোকে উইলিয়াম হার্ড কিলপ্যাট্রিক প্রস্তুত করেন দুর্দান্ত এক পদ্ধতি, তার নাম—'প্রজেক্ট পদ্ধতি'।
আমাদের ২০১২-এর শিক্ষানীতিতে খাস করে উল্লেখ করা হয় 'সামাজিক গঠনবাদ'-এর কথা। সামাজিক গঠনবাদ, অর্থাৎ পাঠের বিষয়বস্তুকে বায়বীয় না করে সমাজবাস্তবতার সাথে যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের শিখন সম্পন্ন করতে হলে 'প্রজেক্ট পদ্ধতি' খুব দরকারী একটা জিনিস।
০৫.
প্রজেক্ট পদ্ধতির মৌলিক ভিত্তি হলো:
ক. করে শেখা
খ. জীবন থেকে শেখা এবং
গ. পরস্পরের সহযোগিতায়, মিলেমিশে একসঙ্গে কাজের মধ্য দিয়ে শেখা।
ফ্রান্সের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ জে. ডেলরস, যিনি একসময় ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ইউনেস্কোর নিকট শিক্ষা বিষয়ক একটা প্রবন্ধ জমা দেন, যার শিরোনাম ছিলো—'লার্নিং: দ্য ট্রেজার উইদিন'। সেখানেও তিনি ঘুরিয়েফিরিয়ে প্রজেক্ট পদ্ধতির কথাই বলেছেন।
ডেলরস শিক্ষার চারটি স্তম্ভের কথা বলেন:
ক. জানতে শেখা
খ. করতে শেখা
গ. হাতে শেখা এবং
ঘ. একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে শেখা।
প্রজেক্ট পদ্ধতির মৌলিক ভিত্তি এবং ডেলরসের চারটি স্তম্ভ মূল্যায়ন করলে, এটা বুঝতে কষ্ট হয় না যে কাজ ছাড়া শিখন সম্পন্ন হয় না; এবং শিক্ষার একটা অভীষ্ট লক্ষ্য হলো—'সামাজিকতা'।
০৬.
প্রজেক্ট পদ্ধতিতে শিক্ষককে অবশ্যই পাঠের বিভিন্ন বিষয়বস্তুর আলোকে শিক্ষার্থীদের সমুখে বিবিধ সামাজিক সমস্যা তুলে ধরতে হবে—শিক্ষার্থীরা একক বা দলগতভাবে পছন্দসই কোনো একটা সমস্যা বেছে নিয়ে সমাজের বিস্তীর্ণ অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়বে।
তারপর, শিক্ষার্থীরা মানুষের সাথে মিশবে। তথ্য সংগ্রহ করবে। সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণ যাচাই-বাছাই করবে। ভুল হলে আবারও সমাজের কাছে যাবে। প্রয়োজনীয় মানুষের সাথে কথা বলবে। সংশোধন করে নেবে।
সবশেষে, সমস্যা সমাধানের একটা প্রকল্প তৈরি করে তা প্রতিবেদন আকারে শিক্ষকের নিকট জমা দেবে। সেইটা নিয়ে শিক্ষক আলাপ করবেন। প্রয়োজনীয় সংশোধনী দেবেন।
এখন, এইভাবে যদি সমাজের সাথে যুক্ত করে পাঠকার্যক্রম সঞ্চালিত হতে থাকে; তাহলে বাচ্চাদের মধ্যে একটা পর্যায়ে সামাজিকীকরণ ঘটে যেতে বাধ্য। তাছাড়া ঘুরতে-ফিরতে সমাজের নানা মানুষ, ঘটনা ও অভিজ্ঞতার সাথে বাচ্চাদের পরিচয় ঘটবে—যা তাদের মজাও দেবে।
যেমন 'দুই বিঘা জমি' কবিতার আলোকে শিক্ষক সমস্যা দেখালেন—"সমাজের যারা প্রতিপত্তি ও অর্থবিত্ত ধারণ করে থাকে, তাদেরই কারো কারো দ্বারা সমাজের ন্যায়বিচার বিনষ্ট হয় এবং সাধারণ মানুষ জুলুমের শিকার হয়"—এই সমস্যার সমাধান কল্পে শিক্ষার্থীরা সরেজমিনে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে একটা প্রজেক্ট বা প্রকল্প তৈরির কাজ করবে, যা হবে সৃজনশীল ও রোমাঞ্চকর।
০৭.
আমাদের বিরাজমান সমাজবাস্তবতায় শিক্ষার্থীরা কী কাজ করে থাকে?
প্রাইভেট, কোচিঙ ও স্কুলে যায়। শিক্ষকের প্রদেয় বিদ্যা আহরণ করে। বাসাবাড়িতে হোমটিউটরের কাছ থেকে বিদ্যা গেলে। আর পরীক্ষা দেয়।
উক্ত কাজে শিক্ষার্থীদের তথ্যমূলক জ্ঞানের বিকাশ ঘটে। অবশ্যই ঘটে। অর্থাৎ উগান্ডার রাজধানীর নাম কী, বিশ্বের কোন হ্রদের পানি মিঠা, রেহানা মরিয়ম নূর ছবির পরিচালক কে, ইত্যাদি—এই মার্কা। কিন্তু শিক্ষার যে আরও দুইটা উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র, যেমন: চিত্তশুদ্ধি বা মানব মনের প্রকর্ষ এবং সৃষ্টিশীল কর্মের বিকাশ ঘটছে না।
জ্ঞানমূলক ক্ষেত্রের বিকাশের জন্য প্রাইভেট ও কোচিঙের অপরিসর কক্ষই যথেষ্ট। বিদ্যালয়গুলো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে যা করছে, দিনশেষে তা একরকম অলস কোচিঙ সেন্টারের মতোই—কিছু জ্ঞান বিতরণ করে যাচ্ছে মাত্র!
শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ সম্পন্ন ও সৃষ্টিশীল কর্মমুখী মানুষ বানাতে চাইলে, তাদেরকে অনিবার্যরূপে সমাজের সাথে যুক্ত করে শেখাতে হবে। যে ছেলে সাইকেল চালাতে জানে না, তার সামনে একখানা সাইকেল হাজির করে যতোই ত্বত্ত্ব ও তথ্য পরিবেশন করা হোক না কেনো; মাঠে না নিলে কস্মিনকালেও ঐ ছেলে সাইকেল চালানো শিখবে না। এটাই বাস্তবতা।
০৮.
বিদ্যালয়ের ভূমিকা ছাড়া বাচ্চাদের সমাজের সাথে যুক্ত করে পাঠদান সম্ভব নয়। কথাহলো বিদ্যালয়গুলো এই ভূমিকাতে নেই কেনো? এর উত্তর বেশ দীর্ঘ। সংক্ষেপে:
★ কারিকুলাম ও বইপুস্তক যুগোপযোগী না।
★ আধুনিক ও মানসম্মত পর্যাপ্ত বিদ্যালয় এবং যথাযোগ্য শিক্ষক নাই।
★ শিক্ষকদের নড়বড়ে বেতন কাঠামো।
★ অভিভাবকদের পরিবর্তিত ও ক্ষেত্র বিশেষে বিকৃত মানসিকতা।
★ উৎপাদিত শিক্ষকের ব্যবস্থা না রেখে, চাকুরী খুঁজতে এসে শিক্ষক—এই নীতি অবলম্বনে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া জারি রাখা।
★ কোনো একটা শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের পূর্বে মাঠপর্যায়ের হালহকিকত সম্পর্কে সম্যক ধারণা না রাখা। ইত্যাদি…
শিক্ষার সমগ্র সিস্টেম তৎপর হলেই কেবল পাঠের বিষয়বস্তুকে সমাজের সাথে যুক্ত করে কোনো একটি সমস্যা নিয়ে সানন্দে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের কাজ চলিয়ে যাওয়া সম্ভব।
শিক্ষা এমন একটা জিনিস, যার সমগ্র সিস্টেমের A to Z কোথাও সামান্যতম ছিদ্র রাখা যাবে না; রাখলেই ঐ ছিদ্র পথে একেকটা দানব বেরিয়ে আসবেই!
০৯.
গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ—শব্দ দুটি ওজস্বী। বেশ ভারি মনে হয়। তা হোক। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বেলায় তা হবে বিনোদনের মোড়কে। এজন্যই বিবিধ শিখন পদ্ধতি বা প্যাডাগোজি উদ্ভাবিত হয়েছে।
যেমন: একটা বাচ্চা ছবি আঁকে নিজের মনের গরজে। মনের আনন্দে। অথচ সেখানে অবধারিত ভাবে কাজ করে 'গবেষণা' ও 'পর্যবেক্ষণ'—রেখা স্থাপন, চিত্রের বিন্যাস, রঙের মিথস্ক্রিয়া ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীদের বিনোদনের খুব দরকার। সারাদিন প্রাইভেট, কোচিঙ, বিদ্যালয়, হোমটিউটর—বিনোদনের অফুরন্ত সুযোগ কোথায়? বিষয়টা ভয়াবহ ও বিপদজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
একসময় বাংলা ফিল্মে ঢুকে পড়েছিল খোলামেলা যৌনতা। অশ্লীলতা। সেইটা উপভোগ করতে যেতো সারাদিনের খেটে খাওয়া মানুষরা, যাদের ক্লান্ত শরীর ও শ্রান্ত মন শৈল্পিক বিনোদন আস্বাদনের ধৈর্য্য রাখতো না—অতএব, যৌনতা!
লাগাতার বিনোদন বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বেলাতেও তাই হয়েছে—অতএব, যৌনতা!
খবরে যা পেলাম তাতে আমার মনে হয়েছে উৎপল স্যারের হত্যাকাণ্ডের সাথে ঐ 'অতএব, যৌনতার' একটা সম্বন্ধ আছে।
১০.
এখনকার প্রজন্ম হয়তো অনেক কিছুই জানে। কিন্তু সমাজ সম্পৃক্ত হৃদয়বৃত্তি ও সৃজনশীল চিন্তা-ভাবনা চর্চার অভাবে তারা খুব কমই জানে যে, একটা কাজ শুরু করে কীভাবে তার নান্দনিক ও সফল পরিসমাপ্তি ঘটাতে হয়। জানে না। ফলে, তারা তাদের সহপাঠীকে খুন করে। শিক্ষককে হত্যা করে। তাদের হাতে মা-বাবা লাঞ্ছিত হয়। তারা নিজেরাও নিজেদের হত্যা করে থাকে।
নান্দনিক ও সফল পরিসমাপ্তির সূক্ষ্ম ভাবনা আমাদের বড়োদের ক'জনারই বা আছে?
অর্থবিত্ত ও প্রতিপত্তির পেছনে ছুটতে গিয়ে আমরা বড়োরা ভুলেই বসে আছি যে কখন, কোথায়, কীভাবে থামতে হবে—আসল ট্রাজেডি এটাই।
খামোখা পোলাপানদের দোষ দিয়ে কী লাভ!
তারিখ: ৪/০৭/২০২২
খোন্দকার কাওসার আহমেদ
ক-এর কারিশমা!⚠️
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী কলেজের কনিষ্ঠ কেরাণী কার্তিক কুমার কর্মকারের কোকিল-কন্ঠী কন্যা কপিলা কর্মকার কাশিতে কাশিতে করুণ কন্ঠে কমল কাকাকে কহিল- কাকা, কড়ই কাঠের কেদারা কিংবা কারখানার কাপড় কেনাকাটায় কৃষাণীরা কিছুটা কৃচ্ছতা করিলেও কলকাতার কিশোরী কন্যাদের কাছে কুষ্টিয়ার কুচকুচে কালো কাতান কাপড়ের কদর কল্পনাতীত। কীর্তিমান কতিপয় কলাকুশলী কিংবা কিশোর কবিরাও কালি-কলমের কল্যাণে কদরের কিছু কার্যকর কথা কৌশলে, কখনো কবিতার কিতাবে, কখনো 'কালের কন্ঠ' কাগজের কলামে কহিয়াছেন। কিন্তু কাকা, কস্মিনকালে কেউ কি কখনো কহিয়াছেন- কী কারণে, কিসের কারসাজিতে, কেমন করিয়া কোথাকার কোন কাশ্মিরী কম্বল কিংবা কর্ণাটকের কমলা কাতানের কাছে কালক্রমে কুলীন-কূলের কায়িক কৃষাণীদের কাঙ্ক্ষিত কালজয়ী কারুকার্যময় কাতান কাপড়ের কদর কমিল?
কাজে-কর্মে কুশীলব কিন্তু কেবলই কৌতূহলী কপিলা কর্মকারের কঠিন কথায় কিঞ্চিৎ কর্ণপাত করিয়া ক্লান্ত কাকা কুষ্টিয়ার কিংবদন্তি কালো কাতানের ক্রমেই কদর কমার কয়েকটি কারণ কোমল কন্ঠে কপিলার কানে কানে কহিলেন।
কৃষ্ণকায় কাকাকে কাপড়ের কষ্টের কেচ্ছা-কাহিনী কহিয়া কপিলা কর্দমাক্ত কলস কাঙ্খে করিয়া কালোকেশী কাকিকে কহিল- কাবেরী কোলের কেয়া-কুঞ্জে কোয়েলের কলকাকলি কিংবা কেতকী কদম কুসুম কাননে কোকিলের কন্ঠে কুহুকুহু কুজনের কতই কারিশমা! কিন্তু কাকী, কদর্য কাক কী কারণে কর্কশ কন্ঠে কানের কাছে কেবল কা-কা করে?
কাঁচের কংকন করিয়া কিংকর্তব্যবিমূঢ় কাকী কিলানো কাঁঠালের কদলি কচলাইতে কচলাইতে কহিলেন- কুৎসিত কেতাদুরস্ত কাকের কাজই কা-কা কলরবে কোলাহল করিয়া কেরামতির কৃতিত্ব কুড়ানো!
#কংগৃহীত

আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ - দৈনিকশিক্ষা আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষ.....
চাঞ্চল্যকর ইতিহাস।
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে এতো বিতর্ক হবে কেন?
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিয়ে করেছিলেন ১৪ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ৮ বছর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ২২ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১১ বছর। বঙ্কিমচন্দ্র বিয়ে করেছিলেন ১১ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৪ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রী সারদা দেবীর বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর। শিবনাথ শাস্ত্রী বিয়ে করেছিলেন ১৩ বছর বয়সে, তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১০ বছর। রাজনারায়ণ বসু বিয়ে করেছিলেন ১৭ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১১ বছর। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৯ বছর বয়সে, তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৭ বছর বসে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর।
লিনা মেদিনা! ৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন বয়সে সন্তানের জন্ম দেয়ায় বিশ্বরেকর্ড করা সর্বকনিষ্টা মা উল্লেখ করে তার বন্ধনা করা হয়। দ্বিতীয় কিং রিচার্ড ত্রিশ বছর বয়সে ফরাসি রাজকুমারী ৭বছর বয়সী ইসাবেলাকে বিয়ে করেন। পর্তুগালে রাজা ডেনিস বারো বছর বয়সী সেন্ট এলিজাবেথকে বিবাহ করেছিলেন। নরওয়ের ষষ্ঠ রাজা হাকোন দশ বছরের রাণী মার্গারেটকে বিবাহ করেছিলেন। এসেক্সের কাউন্ট আগ্নেসের বিয়ের পাকা কথা হয় মাত্র তিন বছর বয়সে। বারো বছর বয়সে তার বিবাহ হয় পঞ্চাশ বছর বয়সী সঙ্গির সাথে। রোমানোস ইতালির রাজকন্যা চার বছর বয়সী বার্থা ইউডোকিয়াকে বিবাহ করেন।
ইতিহাসের পাতায় এরকম অসংখ্য নজির আছে। এগুলো আমাদের ইতিহাসের অংশ। এসব আমাদের ভুলে যাওয়া সমীচিন নয়।
একসময় সতীদাহ প্রথা ছিল। জীবন্ত নারীকে সহমরণে তার মৃত স্বামীর সঙ্গে চিতায় আত্মহুতি দিতে হতো। কিন্তু সতীদাহ বা সহমরণই হিন্দু ধর্মের বৈশিষ্ট্য বলার অর্থ হিন্দুর প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ চর্চা করা। হিন্দু শাস্ত্রের ধূয়া তুলে হিন্দুর প্রতি ঘৃণা ও সহিংসতা একালে কেউ প্রদর্শন করে না। কারণ, সমাজ, আইন, সংস্কৃতি ও ইতিহাস ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের চেতনা উপলব্ধি ও বিচার ক্ষমতা অনেক বিকশিত হয়েছে। আগের মতো নাই। ইতিহাস ও সমাজ স্থির কিছু নয়, বদলায়। ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু দেশ ও কাল বিবেচনায় না নিয়ে রবীন্দ্রনাথকে দোষী করলে সেটা কাণ্ডজ্ঞানের অভাব হবে। তাই না?
তাহলে ইসলামের নবী মুহাম্মদ সা. কে নিয়ে এত বিতর্ক কেন হবে?
আয়শা রা: ৯ বছর বয়সে মুহাম্মাদ সা: এর সাথে সংসার শুরু করায় মুহাম্মদ সা: কে নিয়ে এতো বিতর্ক কেন? আসলে রাসুলুল্লাহ সা: কে নিয়ে অহেতুক সমালোচনার প্রধান কারণ হলো তার অতুলনীয় উত্তম চরিত্র মাধুরী। যে চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে দেড় হাজার বছর ধরে মানুষ অনবরত ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। রাসূলুল্লাহ সা: কে নিয়ে বিতর্কিত করে তারা বিশ্বব্যাপী ইসলাম গ্রহনের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চায়।
নূপুর শর্মারা যা-ই বলুক না কেনো? স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তার হাবীবের চরিত্রের শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন।
اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ
কিয়ামত পর্যন্ত এই চরিত্র মাধুরী পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে প্রধান আকর্ষণ হয়ে থাকবে। দলে দলে মানুষ মুহাম্মদ সা: এর উম্মত হবেই, হবে, ইনশাআল্লাহ।
তোমাকে ভালোবাসি হে নবী! তোমার জন্য আমার বাবা-মা কোরবান।
মাওলানা ওযায়ের আমীন সাহেবের টাইমলাইন থেকে।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Location
Website
Address
Haji Muhammad Mohshin Road
Pabna
6600
Greencity, Ishwardi
Pabna, 6620
Free learning platform for all student's. It doesn't matter is he poor or rich.
Radhanagar Rotgor
Pabna, 6600
Edris's Physics Academy is a rising educational platform intending across the country.
Ataikula Road. Pabna
Pabna
Unlock your bright future at Inova Hi-Tech Institute😊
Pabna, 6600
অর্থ ও আরবি গ্রামার সহ শিশু - অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের হিফয মাদরাসা।কারিগরি শিক্ষা সহ
VILLAGE: JHI KALKATI, MONDOL MOR, BHANGURA
Pabna
As-salamu Alaikum. Here you will enjoy bangla islamic oaj, bangla islamic video, bangla viral waz, b
College Road
Pabna
জাতীয় বিশ্বিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ও ডিগ্রি এর পদার্থবিজ্ঞান , রসায়ন ও গনিত অনলাইন কোর্স