Balusair High School
Balusair High School is the only high school in Mahishashura union under Narsingdi Sadar Upazilla. I It is established in 1977 by honourable Mahbubur Rahman.
Operating as usual
চল প্রতিজ্ঞা করি, 'খারাপ কিছু দেখবো না', 'খারাপ কিছু বলবো না', 'খারাপ কিছু শুনবো না'।
তীব্র তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর আগামী ০৮-০৬-২০২৩ তারিখ বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমতাবস্থায় আগামীকাল ০৮-০৬-২০২৩ তারিখের নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। ১১-০৬-২০২৩ রবি বার হতে পরীক্ষা কার্যক্রম যথারীতি চলবে। স্থগিত পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রধান শিক্ষক
বালুসাইর উচ্চ বিদ্যালয়।
একজন আতিউর রহমান!!
..............................................................
আমার জন্ম জামালপুর জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে। ১৪ কিলোমিটার দূরের শহরে যেতে হতো পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে। পুরো গ্রামের মধ্যে একমাত্র মেট্রিক পাস ছিলেন আমার চাচা মফিজউদ্দিন। আমার বাবা একজন অতি দরিদ্র ভূমিহীন কৃষক। আমরা পাঁচ ভাই, তিন বোন। কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো আমাদের।
আমার দাদার আর্থিক অবস্থা ছিলো মোটামুটি। কিন্তু তিনি আমার বাবাকে তাঁর বাড়িতে ঠাঁই দেননি। দাদার বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে একটা ছনের ঘরে আমরা এতগুলো ভাই-বোন আর বাবা-মা থাকতাম। মা তাঁর বাবার বাড়ি থেকে নানার সম্পত্তির সামান্য অংশ পেয়েছিলেন। তাতে তিন বিঘা জমি কেনা হয়। চাষাবাদের জন্য অনুপযুক্ত ওই জমিতে বহু কষ্টে বাবা যা ফলাতেন, তাতে বছরে ৫/৬ মাসের খাবার জুটতো। দারিদ্র্য কী জিনিস, তা আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি- খাবার নেই, পরনের কাপড় নেই; কী এক অবস্থা !
আমার মা সামান্য লেখাপড়া জানতেন। তাঁর কাছেই আমার পড়াশোনার হাতেখড়ি। তারপর বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। কিন্তু আমার পরিবারে এতটাই অভাব যে, আমি যখন তৃতীয় শ্রেণীতে উঠলাম, তখন আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলো না। বড় ভাই আরো আগে স্কুল ছেড়ে কাজে ঢুকেছেন। আমাকেও লেখাপড়া ছেড়ে রোজগারের পথে নামতে হলো।
আমাদের একটা গাভী আর কয়েকটা খাসি ছিল। আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওগুলো মাঠে চরাতাম। বিকেল বেলা গাভীর দুধ নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম। এভাবে দুই ভাই মিলে যা আয় করতাম, তাতে কোনরকমে দিন কাটছিল। কিছুদিন চলার পর দুধ বিক্রির আয় থেকে সঞ্চিত আট টাকা দিয়ে আমি পান-বিড়ির দোকান দেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে বসতাম। পড়াশোনা তো বন্ধই, আদৌ করবো- সেই স্বপ্নও ছিল না !
এক বিকেলে বড় ভাই বললেন, আজ স্কুল মাঠে নাটক হবে। স্পষ্ট মনে আছে, তখন আমার গায়ে দেওয়ার মতো কোন জামা নেই। খালি গা আর লুঙ্গি পরে আমি ভাইয়ের সঙ্গে নাটক দেখতে চলেছি। স্কুলে পৌঁছে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক ! চারদিকে এত আনন্দময় চমৎকার পরিবেশ ! আমার মনে হলো, আমিও তো আর সবার মতোই হতে পারতাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাকে আবার স্কুলে ফিরে আসতে হবে।
নাটক দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড় ভাইকে বললাম, আমি কি আবার স্কুলে ফিরে আসতে পারি না ? আমার বলার ভঙ্গি বা করুণ চাহনি দেখেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণেই হোক কথাটা ভাইয়ের মনে ধরলো। তিনি বললেন, ঠিক আছে কাল হেডস্যারের সঙ্গে আলাপ করবো।
পরদিন দুই ভাই আবার স্কুলে গেলাম। বড় ভাই আমাকে হেডস্যারের রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতরে গেলেন। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট শুনছি, ভাই বলছেন আমাকে যেন বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগটুকু দেওয়া হয়। কিন্তু হেডস্যার অবজ্ঞার ভঙ্গিতে বললেন, সবাইকে দিয়ে কি লেখাপড়া হয় ! স্যারের কথা শুনে আমার মাথা নিচু হয়ে গেল। যতখানি আশা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম, স্যারের এক কথাতেই সব ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল। তবু বড় ভাই অনেক পীড়াপীড়ি করে আমার পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি যোগাড় করলেন। পরীক্ষার তখন আর মাত্র তিন মাস বাকি। বাড়ি ফিরে মাকে বললাম, আমাকে তিন মাসের ছুটি দিতে হবে। আমি আর এখানে থাকবো না। কারণ ঘরে খাবার নেই, পরনে কাপড় নেই- আমার কোন বইও নেই, কিন্তু আমাকে পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
মা বললেন, কোথায় যাবি ? বললাম, আমার এককালের সহপাঠী এবং এখন ক্লাসের ফার্স্টবয় মোজাম্মেলের বাড়িতে যাবো। ওর মায়ের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। যে ক’দিন কথা বলেছি, তাতে করে খুব ভালো মানুষ বলে মনে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাকে উনি ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।
দুরু দুরু মনে মোজাম্মেলের বাড়ি গেলাম। সবকিছু খুলে বলতেই খালাম্মা সানন্দে রাজি হলেন। আমার খাবার আর আশ্রয় জুটলো; শুরু হলো নতুন জীবন। নতুন করে পড়াশোনা শুরু করলাম। প্রতিক্ষণেই হেডস্যারের সেই অবজ্ঞাসূচক কথা মনে পড়ে যায়, জেদ কাজ করে মনে; আরো ভালো করে পড়াশোনা করি।
যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হলো। আমি এক-একটি পরীক্ষা শেষ করছি আর ক্রমেই যেন উজ্জীবিত হচ্ছি। আমার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাচ্ছে। ফল প্রকাশের দিন আমি স্কুলে গিয়ে প্রথম সারিতে বসলাম। হেডস্যার ফলাফল নিয়ে এলেন। আমি লক্ষ্য করলাম, পড়তে গিয়ে তিনি কেমন যেন দ্বিধান্বিত। আড়চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছেন। তারপর ফল ঘোষণা করলেন। আমি প্রথম হয়েছি ! খবর শুনে বড় ভাই আনন্দে কেঁদে ফেললেন। শুধু আমি নির্বিকার- যেন এটাই হওয়ার কথা ছিল।
বাড়ি ফেরার পথে সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। আমি আর আমার ভাই গর্বিত ভঙ্গিতে হেঁটে আসছি। আর পিছনে এক দল ছেলেমেয়ে আমাকে নিয়ে হৈ চৈ করছে, স্লোগান দিচ্ছে। সারা গাঁয়ে সাড়া পড়ে গেল ! আমার নিরক্ষর বাবা, যাঁর কাছে ফার্স্ট আর লাস্ট একই কথা- তিনিও আনন্দে আত্মহারা; শুধু এইটুকু বুঝলেন যে, ছেলে বিশেষ কিছু একটা করেছে। যখন শুনলেন আমি ওপরের কাসে উঠেছি, নতুন বই লাগবে, পরদিনই ঘরের খাসিটা হাটে নিয়ে গিয়ে ১২ টাকায় বিক্রি করে দিলেন। তারপর আমাকে সঙ্গে নিয়ে জামালপুর গেলেন। সেখানকার নবনূর লাইব্রেরি থেকে নতুন বই কিনলাম।
আমার জীবনযাত্রা এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আমি রোজ স্কুলে যাই। অবসরে সংসারের কাজ করি। ইতোমধ্যে স্যারদের সুনজরে পড়ে গেছি। ফয়েজ মৌলভী স্যার আমাকে তাঁর সন্তানের মতো দেখাশুনা করতে লাগলেন। সবার আদর, যত্ন, স্নেহে আমি ফার্স্ট হয়েই পঞ্চম শ্রেণীতে উঠলাম। এতদিনে গ্রামের একমাত্র মেট্রিক পাস মফিজউদ্দিন চাচা আমার খোঁজ নিলেন। তাঁর বাড়িতে আমার আশ্রয় জুটলো।
প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে আমি দিঘপাইত জুনিয়র হাইস্কুলে ভর্তি হই। চাচা ওই স্কুলের শিক্ষক। অন্য শিক্ষকরাও আমার সংগ্রামের কথা জানতেন। তাই সবার বাড়তি আদর-ভালোবাসা পেতাম।
আমি যখন সপ্তম শ্রেণী পেরিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে উঠবো, তখন চাচা একদিন কোত্থেকে যেন একটা বিজ্ঞাপন কেটে নিয়ে এসে আমাকে দেখালেন। ওইটা ছিল ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বিজ্ঞাপন। যথাসময়ে ফরম পুরণ করে পাঠালাম। এখানে বলা দরকার, আমার নাম ছিল আতাউর রহমান। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের ভর্তি ফরমে স্কুলের হেডস্যার আমার নাম আতিউর রহমান লিখে চাচাকে বলেছিলেন, এই ছেলে একদিন অনেক বড় কিছু হবে। দেশে অনেক আতাউর আছে। ওর নামটা একটু আলাদা হওয়া দরকার; তাই আতিউর করে দিলাম।
আমি রাত জেগে পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নিলাম। নির্ধারিত দিনে চাচার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে রওনা হলাম। ওই আমার জীবনে প্রথম ময়মনসিংহ যাওয়া। গিয়ে সবকিছু দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ ! এত এত ছেলের মধ্যে আমিই কেবল পায়জামা আর স্পঞ্জ পরে এসেছি ! আমার মনে হলো, না আসাটাই ভালো ছিল। অহেতুক কষ্ট করলাম। যাই হোক পরীক্ষা দিলাম; ভাবলাম হবে না। কিন্তু দুই মাস পর চিঠি পেলাম, আমি নির্বাচিত হয়েছি। এখন চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যেতে হবে।
সবাই খুব খুশি; কেবল আমিই হতাশ। আমার একটা প্যান্ট নেই, যেটা পরে যাবো। শেষে স্কুলের কেরানি কানাই লাল বিশ্বাসের ফুলপ্যান্টটা ধার করলাম। আর একটা শার্ট যোগাড় হলো। আমি আর চাচা অচেনা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। চাচা শিখিয়ে দিলেন, মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমি যেন দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলি: ম্যা আই কাম ইন স্যার ? ঠিকমতোই বললাম। তবে এত উচ্চস্বরে বললাম যে, উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।
পরীক্ষকদের একজন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ এম. ডাব্লিউ. পিট আমাকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে সবকিছু আঁচ করে ফেললেন। পরম স্নেহে তিনি আমাকে বসালেন। মুহূর্তের মধ্যে তিনি আমার খুব আপন হয়ে গেলেন। আমার মনে হলো, তিনি থাকলে আমার কোন ভয় নেই। পিট স্যার আমার লিখিত পরীক্ষার খাতায় চোখ বুলিয়ে নিলেন। তারপর অন্য পরীক্ষকদের সঙ্গে ইংরেজিতে কী-সব আলাপ করলেন। আমি সবটা না বুঝলেও আঁচ করতে পারলাম যে, আমাকে তাঁদের পছন্দ হয়েছে। তবে তাঁরা কিছুই বললেন না। পরদিন ঢাকা শহর ঘুরে দেখে বাড়ি ফিরে এলাম। যথারীতি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করলাম। কারণ আমি ধরেই নিয়েছি, আমার চান্স হবে না।
হঠাৎ তিন মাস পর চিঠি এলো। আমি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছি। মাসে ১৫০ টাকা বেতন লাগবে। এর মধ্যে ১০০ টাকা বৃত্তি দেওয়া হবে, বাকি ৫০ টাকা আমার পরিবারকে যোগান দিতে হবে। চিঠি পড়ে মন ভেঙে গেল। যেখানে আমার পরিবারের তিনবেলা খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই, আমি চাচার বাড়িতে মানুষ হচ্ছি, সেখানে প্রতিমাসে ৫০ টাকা বেতন যোগানোর কথা চিন্তাও করা যায় না !
এই যখন অবস্থা, তখন প্রথমবারের মতো আমার দাদা সরব হলেন। এত বছর পর নাতির (আমার) খোঁজ নিলেন। আমাকে অন্য চাচাদের কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, তোমরা থাকতে নাতি আমার এত ভালো সুযোগ পেয়েও পড়তে পারবে না ? কিন্তু তাঁদের অবস্থাও খুব বেশি ভালো ছিল না। তাঁরা বললেন, একবার না হয় ৫০ টাকা যোগাড় করে দেবো, কিন্তু প্রতি মাসে তো সম্ভব নয়। দাদাও বিষয়টা বুঝলেন।
আমি আর কোন আশার আলো দেখতে না পেয়ে সেই ফয়েজ মৌলভী স্যারের কাছে গেলাম। তিনি বললেন, আমি থাকতে কোন চিন্তা করবে না। পরদিন আরো দুইজন সহকর্মী আর আমাকে নিয়ে তিনি হাটে গেলেন। সেখানে গামছা পেতে দোকানে দোকানে ঘুরলেন। সবাইকে বিস্তারিত বলে সাহায্য চাইলেন। সবাই সাধ্য মতো আট আনা, চার আনা, এক টাকা, দুই টাকা দিলেন। সব মিলিয়ে ১৫০ টাকা হলো। আর চাচারা দিলেন ৫০ টাকা। এই সামান্য টাকা সম্বল করে আমি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হলাম। যাতায়াত খরচ বাদ দিয়ে আমি ১৫০ টাকায় তিন মাসের বেতন পরিশোধ করলাম। শুরু হলো অন্য এক জীবন।
প্রথম দিনেই এম. ডাব্লিউ. পিট স্যার আমাকে দেখতে এলেন। আমি সবকিছু খুলে বললাম। আরো জানালাম যে, যেহেতু আমার আর বেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই তিন মাস পর ক্যাডেট কলেজ ছেড়ে চলে যেতে হবে। সব শুনে স্যার আমার বিষয়টা বোর্ড মিটিঙে তুললেন এবং পুরো ১৫০ টাকাই বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিলেন। সেই থেকে আমাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এস.এস.সি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম স্থান অধিকার করলাম এবং আরো অনেক সাফল্যের মুকুট যোগ হলো।
আমার জীবনটা সাধারণ মানুষের অনুদানে ভরপুর। পরবর্তীকালে আমি আমার এলাকায় স্কুল করেছি, কলেজ করেছি। যখন যাকে যতটা পারি, সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতাও করি। কিন্তু সেই যে হাট থেকে তোলা ১৫০ টাকা; সেই ঋণ আজও শোধ হয়নি। আমার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করলেও সেই ঋণ শোধ হবে না!
(অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমানের নিজের ভাষায় তাঁর জীবন কথা)
১৭ মার্চ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস -২০২৩ উদযাপন।
উদযাপনেঃ
বালুসাইর উচ্চ বিদ্যালয়,
বালুসাইর,মাধবদী,
নরসিংদী সদর,নরসিংদী।
★☺একজন চা ওয়ালা যদি দেশের প্রধান
মন্ত্রি হতে পারে৷(নরেন্দ্র মোদি)
★☺হাইস্কুলের বাস্কেটবল টিম থেকে বাদ
পড়া ছেলেটা যদি পৃথিবির সেরা
বাস্কেটবল প্লেয়ার হতে পারে৷(মাইকেল
জর্ডান)
★☺একটি ছেলে,যার গার্লফ্রেন্ড তাকে
ব্রেকাপ করে এবং তাকে সমস্ত Social সাইড
থেকে ব্লোক করে দেয়৷ পরবর্তিতে সে
যদি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় Social নেটওয়ার্ক
Facebook তৈরি করতে পারে৷ (মার্ক
জুকারবার্গ)
★☺এক ব্যাক্তি যার পুরো বডি অচল৷
চলাফেরা তো দুরের কথা যে হাত-পা
নাড়াতে ও পারে না৷ সে যদি পৃথিবীর
সেরা বিজ্ঞানী হতে পারে৷ (স্টিফেন
হকিং)
★☺এক ব্যক্তি যে সফল হওয়ার জন্য ৯৯৯ বার
ফেল করে ১০০০ বারে বৈদ্যুতিক বাল্প
আবিস্কার করতে পারে৷(থমাস আলভা
এডিসন)
★🙃 এক সময় বিল গেটস একটি ব্যাংক থেকে কিছু লোন
চেয়েছিলেন।কিন্তু ব্যাংক তাঁকে লোন দেয়নি।
সেই ছেলেটি একদিন সেই ব্যাংকটিই কিনে নিয়েছিলেন।
★🙃ছেঁড়া শার্টের কারণে এন্ড্রু কার্নেগিকে পার্কে ঢুকতে
দেওয়া হয়নি। সেই বস্তির ছেলে একদিন অন্যতম ধনী
ব্যক্তি হওয়ার পর পুরো পার্কটি ক্রয় করেন
এবং সেখানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছিলেন,
''আজ থেকে পার্ক সবার জন্য উন্মুক্ত''।
আজ গলা ধাক্কা খেয়েছেন? কোন ব্যাপার না।
একদিন সেই গলায় ফুল দেওয়ার জন্য সেই
লোকগুলোই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকবে।
আজ কেউ আপনাকে ঠকিয়েছে?
কোন ব্যাপার না।
একদিন সে-ই আপসোস করে বলবে,
আপনাকে ঠকিয়ে সে উল্টো নিজেরই সর্বনাশ করেছে।
আজ আপনাকে দেখে "ক্ষ্যাত" বলে কেউ দূরে সরে যাচ্ছে?
ব্যাপার না।
একদিন আপনাকে একটু ছুঁয়ে দেখার জন্য সে-ই
আপনার কাছে আসবে।
আজ গরিব বলে কেউ আপনাকে অবজ্ঞা করছে?
ব্যাপার না।
এসব পিছুগল্পের দিকে তাকিয়ে থাকলে আপনি চিরকাল
অপমান, লাথি, গুঁতা, বাঁশ, ক্রাশ ইত্যাদি
খেয়েই যাবেন।
কে কী করছে, কী ভাবছে-সেসব বাদ দিয়ে নিজের লক্ষ্যে
এগিয়ে গেলেই কেবল একদিন আপনি উদাহরণ কিংবা
দৃষ্টান্ত হতে পারবেন।
জীবনে ছোট খাট বিষয় নিয়ে পড়ে থাকার কোন মানে হয়না।
জীবনে বেঁচে থাকার জন্য অনেক কিছু করতে হয়,
মেনে নিতে হয়।
সময় যখন পক্ষে থাকে না তখন অনেক কিছু সহ্য করেও মুখ
বুজে কাজ করে যেতে হয়।
★একটু বেঁচে থাকার জন্য জগতের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিরা
যুগে যুগে নজরুলের মতো চায়ের দোকানে কাজ করে
জীবন বাঁচিয়েছেন।
মস্তিষ্কে শুধু একটি কথা গেঁথে রাখুনঃ
"সময় এখন আপনার পক্ষে না।
অপেক্ষা করুন,একদিন সময় আপনার হবে।"
ইনশাআল্লাহ।
[সংগৃহীত]
সন্তানের জন্য চমৎকার শিক্ষামূলক উপদেশ
বাবাকে এক ছেলের জিজ্ঞাসা!!
-“বাবা, সফল জীবন কাকে বলে?"
বাবা (সরাসরি উত্তর না দিয়ে) বললেন/
- “আমার সাথে চলো, আজ ঘুড়ি উড়াবো। তখন বলবো।"
বাবা ঘুড়ি ওড়ানো শুরু করলেন। ছেলে মনযোগ দিয়ে দেখছে। আকাশে ঘুড়ি বেশ কিছু ওপরে উঠার পর বাবা বললেনঃ
- “এই দেখো ঘুড়িটা অতো উচুতেও কেমন বাতাসে ভেসে আছে। তোমার কি মনে হয়না, এই সূতার টানের কারণে ঘুড়িটা আরোও উপরে যেতে পারছেনা?"
ছেলে,
“তা ঠিক, সূতো না থাকলে ওটা আরও উপরে যেতে পারতো!"
বাবা আলগোছে সূতোটা কেটে দিলেন। ঘুড়িটা সূতার টান মুক্ত হয়েই প্রথমে কিছুটা উপরে উঠে গেল। কিন্তু একটু পরেই নিচের দিকে নামতে নামতে অদৃশ্য হয়ে গেল।
এবার বাবা ছেলেকে জীবনের দর্শন শুনাচ্ছেন ...
"শোনো, জীবনে আমরা যে উচ্চতায় বা পর্যায়ে আছি বা থাকি; সেখান থেকে প্রায় মনে হয় ঘুড়ির সূতার মত কিছু কিছু বন্ধন আমাদের আরও উপরে যেতে বাধা দেয়। যেমনঃ
■ ঘর,
■ মা-বাবা,
■ পরিবার,
■ অনুশাসন,
■ সন্তান ইত্যাদি।
আর আমরাও সেইসব বাঁধন থেকে কখনো কখনো মুক্ত হতে চাই। বাস্তবে ঐ বন্ধনগুলোই আমাদের উঁচুতে টিকিয়ে রাখে, স্থির রাখে, নিচে পড়ে যেতে দেয় না। ঐ বন্ধন না থাকলে আমরা হয়তো ক্ষণিকের জন্য কিছুটা উপরে যেতে পারি, কিন্তু অল্পসময়েই আমাদেরও পতন হবে ঐ বিনে সূতোর ঘুড়ির মতই!
জীবনে তুমি যদি উঁচুতে টিকে থাকতে চাও, তবে কখনোই ঐ বন্ধন ছিঁড়বে না। সুতা আর ঘুড়ির মিলিত বন্ধন যেমন আকাশে ঘুড়িকে দেয় ভারসাম্য; তেমনি সামাজিক, পারিবারিক বন্ধনও আমাদের জীবনের উচ্চতায় টিকে থাকার ভারসাম্য দেয়। আর এটাই প্রকৃত সফল জীবন।"
সংগৃহীত
১৪০০ সাল
- কাজী নজরুল ইসলাম---চক্রবাক
[কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "আজি হতে শতবর্ষ পরে" পড়িয়া]
আজি হ’তে শত বর্ষ আগে!
কে কবি, স্মরণ তুমি ক’রেছিলে আমাদেরে শত আনুরাগে,
আজি হ’তে শত বর্ষ আগে।
ধেয়ানী গো, রহস্য-দুলাল!
উতারি’ ঘোমটাখানি তোমার আঁখির আগে
কবে এল সুদূর আড়াল?
আনাগত আমাদের দখিন-দূয়ারী
বাতায়ন খুলি তুমি, হে গোপন হে স্বপ্ন-চারী,
এসেছিলে বসন্তের গন্ধবহ-সাথে,
শত বর্ষ পরে যেথা তোমার কবিতাখানি পড়িতেছি রাতে।
নেহারিলে বেদনা-উজ্জ্বল আঁখি-নীরে,
আনমনা প্রজাপতি নীরব পাখায়
উদাসীন, গেলে ধীরে ফিরে।
আজি মোরা শত বর্ষ পরে
যৌবন-বেদনা-রাঙা তোমার কবিতাখানি
পড়িতেছি অনুরাগ-ভরে ।।
জড়িত জাগর ঘুমে শিথিল শয়নে
শুনিতেছি প্রিয়া মোর তোমার ইঙ্গিত গান সজল নয়নে।
আজো হায়
বারে বারে খুলে যায়
দক্ষিণের রুদ্ধ বাতায়ন,
গুমরি গুমরি কাঁদে উচাটন বসন্ত-পবন
মনে মনে বনে বনে পল্লব মর্মরে,
কবরীর অশ্রুজল বেশী-খসা ফুল-দল পড়ে ঝ’রে ঝ’রে!
ঝিরি ঝিরি কাঁপে কালো নয়ন-পল্লব,
মধুপের মুখ হতে কাড়িয়া মধুপী পিয়ে পরাগ আসব!
কপোতের চষ্ণুপুটে কপোতীর হারায় কূজন
পরিয়াছে বনবধূ যৌবন-আরক্তিম কিংশুক-বসন।
রহিয়া রহিয়া আজো ধরনীর হিয়া
সমীর উচ্ছ্বাস্ব যেন উঠে নিঃশ্বসিয়া!
তোমা হ’তে শত বর্ষ পরে--
তোমার কবিতাখানি পড়িতেছি,
হে কবীন্দ্র, অনুরাগ ভরে!
আজি এই মদালসা ফাগুন-নিশীথে
তোমার ইঙ্গিত জাগে তোমার সঙ্গীতে!
চতুরালি, ধরিয়াছি তোমার চাতুরী।
করি' চুরি
আসিয়াছ আমাদের দুরন্ত যৌবনে,
কাব্য হ’য়ে, গান হ’য়ে, সিক্তকন্ঠে রঙ্গীলা স্বপনে।
আজিকার যত ফুল- বিহঙ্গের যত গান যত রক্ত-রাগ
তব অনুরাগ হ’তে হে চির-কিশোর কবি,
আনিয়াছে ভাগ !
আজি নব-বসন্তের প্রভাত-বেলায়
গান হ’য়ে মাতিয়াছে আমাদের যৌবন-মেলায়।
আনন্দ দুলাল ওগো হে চির অমর।
তরুণ তরুণি মোরা জাগিতেছি আজ তব মাধবী বাসর।
যত গান গাহিয়াছ ফুল-ফোটা রাতে--
সবগুলি তার
একবার--তা’ পর আবার
প্রিয়া গাহে, আমি গাহি, আমি গাহি প্রিয়া গাহে সাথে।
গান-শেষে অর্ধরাতে স্বপনেতে শুনি
কাঁদে প্রিয়া, “ওগো কবি ওগো বন্ধু ওগো মোর গুণী--”
স্বপ্ন যায় থামি',
দেখি, বন্ধু, আসিয়াছ প্রিয়ার নয়ন-পাতে অশ্রু হ’য়ে নামি'।
মনে লাগে, শত বর্ষ আগে
তুমি জাগো--তব সাথে আরো কেহ জাগে
দূরে কোন্ ঝিলিমিলি-তলে
লুলিত-অঞ্চলে।
তোমার ইঙ্গিতখানি সঙ্গীতের করুণ পাখায়
উড়ে যেতে যেতে সেই বাতায়নে ক্ষণিক তাকায়,
ছুঁয়ে যায় আখি-জল রেখা,
নুয়ে যায় অলক-কুসুম,
তারপর যায় হারাইয়া,--তুমি একা বসিয়া নিঝ্ঝুম।
সে কাহার আঁখিনীর- শিশির লাগিয়া,
মুকুলিকা বাণী তব কোনটি বা ওঠে মঞ্জুরিয়া,
কোনটি বা তখনো গুঞ্জরি ফেরে মনে
গোপনে স্বপনে।
সহসা খুলিয়া গেল দ্বার,
আজিকার বসন্ত প্রভাতখানি দাঁড়াল করিয়া নমস্কার।
শতবর্ষ আগেকার তোমারি সে বাসন্তিকা দূতি
আজি তব নবীনের জানায় আকুতি!...
হে কবি-শাহান-শাহ। তোমারে দেখিনি মোরা,
সৃজিয়াছ যে তাজমহল-
শ্বেতচন্দনের ফোঁটা কালের কপালে ঝলমল--
বিস্ময়-বিমুগ্ধ মোরা তাই হেরি,
যৌবনেরে অভিশাপি-- “কেন তুই শতবর্ষ করিলি রে দেরী?”
হায়, মোরা আজ
মোম্তাজে দেখিনি, শুধু দেখিতেছি তাজ!
শতবর্ষ পরে আজি হে কবি-সম্রাট!
এসেছে নূতন কবি--করিতেছে তব নান্দীপাঠ!
উদয়াস্ত জুড়ি' আজো তব
কত না বন্দনা-ঋক ধ্বনিছে নব নব।
তোমারি সে হারা-সুরখানি
নববেণু-কুঞ্জে-ছায়ে বিকশিয়া তোলে নব বাণী।
আজি তব বরে
শতবেণু-বীণা বাজে আমাদের ঘরে।
তবুও পুরে না হিয়া ভরে না ক' প্রাণ,
শতবর্ষ সাঁতরিয়া ভেসে আসে স্বপ্নে তব গান।
মনে হয়, কবি ,
আজো আছ অস্তপাট আলো করি' আমাদেরি রবি!
আজি হ’তে শত বর্ষ আগে
যে অভিবাদন তুমি ক’রেছিলে নবীনেরে রাঙা অনুরাগে,
সে-অভিবাদনখানি আজি ফিরে চলে
প্রণামী-কমল হ’য়ে তব পদতলে!
মনে হয়, আসিয়াছ অপূর্ণের রূপে
ওগো পূর্ণ আমাদেরি মাঝে চুপে চুপে।
আজি এই অপূর্ণের কম্প্র কন্ঠস্বরে
তোমারি বসন্তগান গাহি তব বসন্ত-বাসরে--
তোমা হ’তে শতবর্ষ পরে!
বালুসাইর উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১২-১৮ বছরের সকল শিক্ষার্থীকে (এসএসসি ২০২১ সহ) যারা এখনো টিকা গ্রহণ করেনি আগামীকাল ২২-০১-২০২২ শনিবার বিদ্যলয়ে এসে তথ্য দেওয়ার জন্য বলা হলো।
বালুসাইর উচ্চ বিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষার্থী আজকে টিকা গ্রহণ করতে পারেনি তারা আগামীকাল ১৬/০১/২০২২ রবিবার সকাল ৯টায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে টিকা গ্রহণ করতে বলা হলো। রেজিষ্ট্রেশন করা টিকা কার্ড না থাকলে উপস্থিত শিক্ষকের নিকট থেকে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। তিনজন শিক্ষক যথাসময়ে উপস্থিত থাকবেন।
বালুসাইর উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১২-১৮ বছরের সকল শিক্ষার্থীকে (এসএসসি ২০২১ সহ) আগামী ১৬-০১-২০২২ রবিবার সকাল ৯ টায় সদর হাসপাতাল, নরসিংদী করোনা টিকা প্রদান করা হবে। এই লক্ষ্যে সকলকে ১৫-০১-২০২২ শনিবার বিদ্যলয়ে এসে নিজ নিজ শ্রেণি শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হলো। উল্লেখ্য টিকা গ্রহণ ছাড়া কাউকেই পরবর্তীতে ক্লাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
বালুসাইর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৩'র ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর সদ্য সমাপ্তকারী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র 'সোহাগ' গতকাল বাড়ি আসার পথে এক সড়ক দুর্ঘটনায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমায়। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার নামাজে জানাজা আজ সকাল ১০ টায় তার নিজ গ্রামে বালুসাইর শাহী ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সকলকে জানাজায় উপস্থিত হয়ে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করতে অনুরোধ করছি।
সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার!
সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা.
ছাত্রের ফেলের খবর দেয়া শিক্ষকের সাথে ছাত্রের বাবার দারুণ কথোপকথন:
-আপনি কি খালেদ আলম ?
- জ্বি, বলছি।
-ফাহাদ আলম কি আপনার ছেলে?
-জ্বি, আপনি কে বলছেন?
-আমি আপনার ছেলের ইউনিভার্সিটি থেকে বলছি। মাহবুবুল হক। হেড অফ ডিপার্টমেন্ট।
-ও, আচ্ছা। কেমন আছেন, স্যার?
- জ্বি, ভালো। আপনার ছেলে সম্পর্কে কিছু কথা বলার ছিল। ও তো কিছুদিন আগে থার্ড সেমিস্টার শেষ করেছে। সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট প্রকাশ হয়েছে দুই দিন আগে। আপনার ছেলে দুই কোর্সে ফেল করেছে। আপনাকে কি বলেছে?
- জ্বি, বলেছে।
-আমাদের ইউনিভার্সিটিতে কিছু নিয়ম-কানুন আছে। ফেল করলে আমরা ছাত্রদের আবারও পরীক্ষায় বসে পাস করার সুযোগ দেই। এরপরও ফেল করলে ইউনিভার্সিটিতে রাখার নিয়ম নেই।
-তা এসব আমাকে কেন বলছেন?
থতমত খেয়ে গেলেন ও প্রান্তের ব্যক্তি।
-না, মানে, আমি বলছিলাম আপনার ছেলে ফেল করেছে। আপনার কি উচিত না তার পড়াশোনার প্রতি খেয়াল রাখা?
-আমাকেই যদি তার পড়াশোনার দায়ভার নিতে হয়, তাহলে আপনি কী জন্যে আছেন?
-না, মানে আমি বলছিলাম আপনি কাউন্সেলিং করতে পারেন, বোঝাতে পারেন।
-অবশ্যই আমি তার সাথে কথা বলতে পারি। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে আপনি কি তার সাথে কথা বলেছেন?
-মানে? বুঝলাম না!
-আমি বলতে চাইছি, আমার ছেলে যে ফেল করল, গলদটা কোথায় বোঝার চেষ্টা করেছেন কি? দোষ পুরোটা কি ওর একার? আপনার কোনও দায়ভার নেই?
-কী বলতে চাইছেন আপনি?
-দেখুন, স্যার, খুব স্পষ্ট আর সহজ ভাষায় বলছি। এভাবে ছাত্রের ব্যর্থতায় সরাসরি মা-বাবাকে তলব করার আগে আপনাদের পাঁচবার ভাবা উচিত। পড়াশোনার জন্য ছেলেকে পাঠিয়েছি আপনাদের কাছে। তাকে পড়াতে না পারার, পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে না পারার, সফলতার পথ দেখাতে না পারার ব্যর্থতাটুকু পুরোপুরি আপনাদের। বাবা-মা কোনও শিক্ষক নন যে এসব পালন করবেন। এ দায়িত্বটুকু পালনের ভার আপনাদের উপরে দেয়া হয়েছে। কই, বেতন তো ঠিকই নেন। ছাত্রের সফলতারও ভাগ চান। তাহলে ব্যর্থতার ভার কেন শুধু ছাত্র আর মা-বাবার ওপরে চাপবে?
-আমি আসলে ওভাবে বুঝাতে চাইনি।
-কোনওভাবেই বোঝানোর দরকার পড়ত না, যদি যথাযথ শিক্ষকের দায়িত্ব আপনারা পালন করতে পারতেন।
-আমি রাখছি।
- দাড়ান । আপনার বাবার ফোন নম্বরটা পাঠিয়ে দেন।
-মানে? কেন?
-ব্যর্থ ছাত্রের পিতাকে ফোন করে যে দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন, ব্যর্থ শিক্ষকের বাবাকে ফোন করে আমিও একই দায়িত্ব পালন করতে চাই!
Copied.
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Village: Balushair
Narsingdi
1603
Opening Hours
Monday | 09:00 - 16:00 |
Tuesday | 09:00 - 16:00 |
Wednesday | 09:00 - 16:00 |
Thursday | 09:00 - 13:00 |
Saturday | 09:00 - 16:00 |
Sunday | 09:00 - 16:00 |
Narsingdi, 1640
This is not an official page of the school
Narsingdi
Shatirpara - Nabab - bari - Road .Narsingdi Sadar Narsingdi. Mir Imdad high school. Est: 1990
Putia, Shibpur
Narsingdi, 1600
পুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থী সবাইকে স্বাগতম।
Narsingdi, 1630
This is the Official Page of Dewaner Char Madhyamik Vidyalaya
ঘোরাদিয়া নরসিংদী সদর, নরসিংদী
Narsingdi
দারুল আহকাম দাখিল মাদরাসা একটি আদর্শ ও মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
Raban High School
Narsingdi, 1613
"প্রাক্তন স্টুডেন্টদের মেলবন্ধন"
Arjunchar, Chandunbari, Monohardi
Narsingdi, 1650
Arjunchar High School street in Monohardi Upzila.Teaching here class 6 to 10.
Luchanpur, Raipura
Narsingdi, 1630
We are UBUHSIAN(উবাইউবিয়ান)
Palash
Narsingdi, 1610
School, Teacher, Student news update khudi Mahmud girls High School
গ্রাম :লোচনপুর, ডাকঘর:বাখরনগর বাজার, থানা:রায়পুরা
Narsingdi
Institution:UTTAR BAKHARNAGAR UNION HIGH SCHOOL (EIIN:112792) শিক্ষার জন্য এসো সেবার জন্য বেরিয়ে যাও: