𝐁𝐃 𝐋𝐚𝐰 𝐒𝐜𝐡𝐨𝐨𝐥

𝐁𝐃 𝐋𝐚𝐰 𝐒𝐜𝐡𝐨𝐨𝐥

Comments

#ভূমি_আইন #২০২২
ভূমি আইন ২০২২ নামে কোনো আইন পাস হয়নি। গুজব ছড়াবেন না।
অভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নবনির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে যারা স্থান পেলেন
----------------------------------------------------
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি এবং ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের কমিটিতে আরো যারা স্থান পেয়েছেন

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য

বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শাজাহান খান এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, সিমিন হোসেন রিমি

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক

মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, ডা. দীপু মনি এমপি, ড. হাছান মাহমুদ এমপি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম

কোষাধ্যক্ষ
এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি

সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক

ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক
ড. শাম্মী আহমেদ

আইন বিষয়ক সম্পাদক

অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু

কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক
ফরিদুন্নাহার লাইলী

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক
ড. সেলিম মাহমুদ

ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
আমিনুল ইসলাম

দপ্তর সম্পাদক
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি

বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক
দেলোয়ার হোসেন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর

মহিলা বিষয়ক সম্পাদক
জাহানারা বেগম

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি

শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক
শামসুন নাহার চাঁপা

শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক
মো. সিদ্দিকুর রহমান

সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক
অসীম কুমার উকিল এমপি

স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক
ডা. রোকেয়া সুলতানা

সাংগঠনিক সম্পাদক

আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম এমপি, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী

উপ-দপ্তর সম্পাদক
সায়েম খান

সদস্য
সদস্যদের নির্বাচিত করতে প্রেসিডিয়াম সভায় নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
দলিল রেজিস্ট্রি পদ্ধতি এবং রেজিস্ট্রির ধাপসমুহ

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহঃ- দলিল রেজিস্ট্রির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ক্রেতাকে সংগ্রহ করতে হবে। বিক্রেতার নিকট থেকে জমির মালিকানা সম্পর্কিত কাগজপত্র যেমন, প্রয়োজনীয় বায়া দলিল, খতিয়ান (সি,এস,; এস,এ,; আর,এস, বা বি,এস,; নামজারি বা খারিজ ইত্যাদি; আপনার জন্য যেটি প্রযোজ্য), ভূমি উন্নয়ন কর (পূর্বে খাজনা নামে পরিচিত ছিল) পরিশোধের রশিদ, মৌজা ম্যাপ, টিআইএন সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্মসনদপত্র ইত্যাদি সংগ্রহ করে তা যাচাই-বাছাই করতে হবে। আপনার জমি-জমার কাগজপত্র সম্পর্কিত ভাল ধারণা না থাকলে প্রয়োজনে একজন সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখক বা আইনজীবীর পরামর্শ নিতে পারেন।



#দলিল প্রস্তুতকরণঃ- বিক্রেতার নিকট থেকে সংগৃহীত কাগজ-পত্র সঠিক পাওয়া গেলে খতিয়ান ও ম্যাপ অনুসারে জমির অবস্থান ঠিক আছে কিনা তা একজন আমিন দ্বারা মেপে দেখতে হবে। এরপর একজন দলিল লেখক বা আইনজীবীর মাধ্যমে দলিলের সরকার নির্ধারিত ফরমেট অনুসরণ করে দলিল প্রস্তুত করতে হবে। এজন্য জমি-জমার আইন কানুন এবং দলিল রেজিস্ট্রি সম্বন্ধে ভাল ধারণা আছে এমন একজন সরকারি সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখক বা আইনজীবী বাছাই করতে হবে। প্রয়োজনে দলিল লেখক বা আইনজীবী সম্বন্ধে অধিকতর খোজ-খবর ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দলিলের পাশাপাশি সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে পাঠানোর জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফরমেটে এল,টি নোটিশ (সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশ) লিখতে হবে।

#প্রস্তুতকৃত দলিলটি যাচাইকরণঃ- প্রস্তুত হয়ে গেলে দলিলটি ভালভাবে পড়ে দেখতে হবে যে, আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী দলিলটি সঠিকভাবে প্রস্তুত হয়েছে কিনা, বিশেষ করে দলিলের ‘তফশীল’ অংশে মৌজার নাম, জমির খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, জমির পরিমান সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা এবং ‘হাত নকশা’ অংশে সঠিকভাবে জমির ম্যাপ অনুসারে হাত অংকন করা হয়েছে কিনা। দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর এবং জমির পরিমাণ অংকে লেখার পাশাপাশি কথায় লেখা নিশ্চিত করতে হবে।



#দলিল সম্পাদনঃ- ‘দলিল সম্পাদন’ অর্থ দলিলের দাতা/বিক্রেতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্যান্য দলিলের পক্ষগণ কর্তৃক দলিলের প্রতি পৃষ্ঠায় আড়াআড়িভাবে নাম-স্বাক্ষর করা। দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে দলিলে লিখিত বিষয়বস্তু অনুমোদন করা হয়ে থাকে। নাম-স্বাক্ষর অর্থ আপনার পূর্ণ নাম (সংক্ষিপ্ত স্বাক্ষর নয়) দলিলের প্রতি পৃষ্ঠায় লেখা। এছাড়া সম্পত্তি হস্তান্তর দলিলের ১৭ নং কলামে নাম স্বাক্ষর এবং ৩ নং কলামের ক্রেতা/গ্রহিতার ছবি ও স্ট্যাম্পে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির টিপ এবং নাম-স্বাক্ষর করতে হয় (এমনভাবে টিপ ও নাম-স্বাক্ষর করতে হয় যাতে টিপ ও নাম অর্ধেক ছবিতে ও অর্ধেক স্ট্যাম্পে পড়ে)।

যে তারিখে দলিলটি সম্পাদন করা হয়, সেই তারিখকে সম্পাদনের তারিখ বলে। সাফ-কবলা, দানপত্র, দানের ঘোষনাপত্র, হেবার ঘোষণাপত্র, হেবাবিল এওয়াজ দলিলের ১০ (দশ) নম্বর কলামে সম্পাদনের তারিখ বাংলায় এবং ইংরেজিতে দিতে হয়। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলের ১ (এক) নম্বর কলামে সম্পাদনের তারিখ দিতে হয়। অন্যান্য দলিল যেগুলোর সরকার নির্ধারিত কোন ফরমেট নেই, সেগুলোতে সুবিধামত যে কোন যায়গায় সম্পাদনের তারিখ দেয়া যায়।

#সাধারণত কোন ব্যক্তি লিখতে পারলে তিনি নিজে দলিলের প্রতি পাতার নির্দিষ্ট স্থানে তার নাম লিখেন এবং লিখতে অসমর্থ হলে তার পক্ষে ঐ দলিলের সনাক্তকারী সম্পাদনকারীর নাম ব-কলমে দলিলের নির্দিষ্ট যায়গায় লিখে দেন এবং নিজের নামও স্বাক্ষর করেন।

সাফ কবলা, হেবার ঘোষনাপত্র, দানের ঘোষনাপত্র, দানপত্র, হেবাবিল এওয়াজ প্রভৃতি দলিল দাতা সম্পাদন করেন। কিন্তু বায়নাপত্র উভয় পক্ষকে সম্পাদন করতে হয় (রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ১৭(এ) ধারা অনুসারে)। বন্টননামা, বিনিময় প্রভৃতি দলিলে সকল পক্ষকে সম্পাদন করতে হয়।



#রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রির জন্য দলিল দাখিল করাঃ– দলিল সম্পাদনের পর মূল দলিল; এল,টি নোটিশ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের একসেট ফটোকপি এবং বিভিন্ন খাতে রেজিস্ট্রেশন ফি, কর ও শুল্ক পরিশোধের মূল পে-অর্ডার (একসেট ফটোকপিসহ) সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় মূল কাগজপত্র সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক দলিল পরীক্ষা এবং সম্পাদনকারী (দাতা/বিক্রেতা বা অন্য পক্ষ) কর্তৃক সম্পাদন স্বীকার করার পর রেজিস্ট্রি অফিসে রক্ষিত ‘টিপের বহি’তে সম্পাদনকারীর বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির টিপ গ্রহণ করা হয়। এভাবে রেজিস্ট্রির জন্য দলিল গ্রহণ করার পর দলিলের দাখিলকারী বা দাখিলকারী কর্তৃক মনোনীত অন্য কোন ব্যক্তিকে ‘৫২ ধারার রশিদ’ প্রদান করা হয়। এই রশিদ সযত্নে সংরক্ষণ করতে হবে কেননা রেজিস্ট্রির পর মূল দলিল ফেরত নেওয়ার সময় এই রশিদ রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দিতে হয়।



#দলিল রেজিস্ট্রিঃ- রেজিস্ট্রি অফিসে ‘রেজিস্ট্রির জন্য দলিল গ্রহণ’ ও ‘দলিল রেজিস্ট্রি’ একই বিষয় নয়। রেজিস্ট্রির জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে যে দলিলটি গৃহিত হলো তা রেজিস্ট্রি করতে অফিসভেদে দুই-তিন বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। রেজিস্ট্রির জন্য গৃহিত দলিলে প্রথমে দলিল দাখিলকারী, সম্পাদনকারী, সনাক্তকারী, দলিল দাখিলের সময়-তারিখ, পরিশোধকৃত ফি, কর ও শুল্ক ইত্যাদি বিষয়ে পৃষ্টাঙ্কন ও সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষরের পর দলিলটি বালাম (ভলিউম) বহিতে ধারাবাহিকভাবে নকল করা হয়। এরপর মূল দলিলের শেষ পৃষ্টার উলটো পার্শ্বে ‘দলিলটি কত সালের, কত নম্বর বালাম বহির, কত পৃষ্টা থেকে কত পৃষ্টায় নকল করা হয়েছে’ তা লিখে সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষর করা হয়। দলিলটি বালাম বহিতে নকলকরা এবং সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষর করার নাম দলিল রেজিস্ট্রি। দলিলটির রেজিস্ট্রি কার্যক্রম শেষ হলে দলিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ (দাতা/বিক্রেতা-গ্রহিতার নাম, মৌজার নাম, দাগ নম্বর ইত্যাদি) নিয়ে ‘সূচিবহি’ তৈরি করা হয়, যাতে দলিলটি ভবিষ্যতে সহজেই খুজে পাওয়া যায়।



#মূল দলিল ফেরত প্রদানঃ- দলিলের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে রেজিস্ট্রির জন্য দলিল দাখিলের সময় প্রদানকৃত ‘৫২ ধারার রশিদ’ জমা দিয়ে দাখিলকারী বা তার মনোনীত ব্যক্তি মূল দলিল গ্রহণ।

সংগৃহীত
Bar Council Written Exam Result 2022
এখন থেকে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য শুধুমাত্র ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনের বর্ণিত উপায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে। পাশাপাশি বর্তমানে আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।

ঋণ আদায়ের জন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলা বাতিল করে বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতি ও বদলী
সাক্ষ্য আইন (সংশোধিত) ২০২২
Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872) এর এই সংশোধনী Evidence (Amendment) Act, 2022 নামে অভিহিত হইবে। -
গেজেট প্রকাশ/কার্যকারীতাঃ বুধবার, আগস্ট ৩১, ২০২২ইং।
দেওয়ানী মামলা ধাপ সমূহ
এনরোলমেন্ট লিখিত পরীক্ষার নোটিশ ২০২২
১লা জুলাই ২০২২ ইং হইতে কার্যকর উল্লেখযোগ্য স্ট্যাম্প সিডিউল পরিবর্তন সমূহ ঃ
১. হলফনামা পূর্ব ২০০ বর্তমান ৩০০
২. নকল পূর্ব ৫০ বর্তমান ২০০
৩. হেবা পূর্ব ২০০ বর্তমান ১০০০
৪. বন্টন পূর্ব ৫০ বর্তমান ১০০
৫. বিনিময় পূর্ব ১.৫% বর্তমান ১%
৬. পাওয়ার(ব্যাংক) পূর্ব ১০০০ বর্তমান ২০০০
কোর্ট ফি কি?
আদালত বা বিচারিক কার্যক্রম বা মামলা মোকদ্দমা পরিচালনার জন্য সরকারকে যে ফি দিতে হয়। তাকেই আমরা কোর্ট ফি বলে থাকি। এই কোর্ট ফি সরকারের রাজস্ব আহরনের একটি উৎস। এই কোর্ট ফি শুধমাত্র সরকারের এখানে আইনজীবীর কোন অংশ থাকেনা। তাই কোর্ট ফি হলো আপনার আইনজীবীর মামলা পরিচালনার বাইরে সরকারের জন্য নির্ধারিত ফি।
কোর্ট ফি আইন ১৮৭০ এর অধীনে কোর্ট ফি নিয়ন্ত্রিত হয়।কোর্ট ফি সবসময় একই থাকবে বিষয়টি এমন নয়। এটি প্রয়োজনে প্রতিবছরই পরিবতির্ত হতে পারে।
কোর্ট ফি কয় প্রকার?
কোর্ট ফি দুই ধরনের- ১. মূল্যমান অনুসারে কোর্ট ফি বা এডভোলারাম কোর্ট ফি, ২. নির্ধারিত কোর্ট ফি। (ফিক্সড কোর্ট ফি)
কোর্ট ফি কিভাবে নির্ধারন করা হয়?
কোর্ট ফি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মোকদ্দমার মূল্যমানের ওপর বা দাবির মূল্যমানের ওপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়ে থাকে। আবার কখনো কখনো মোকদ্দমার মূল্যমানের ওপর কোর্ট ফি নির্ভর করে না, বরং একটি ফি নির্দিষ্ট করা থাকে। কোর্ট ফি সাধারণত নেয়া হয় স্ট্যাম্পের মাধ্যমে। তবে যেখানে স্ট্যাম্প না পাওয়া যায় সেখানে নগদ বা রশিদের মাধ্যমেও কোর্ট ফি পরিশোধ করা যায়।
একেক পদ্ধতিতে কোর্ট ফির মূল্য নির্ধারণ করা হয় তার আগে বিষয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কীভাবে করা হয় নিচে তা সংক্ষেপে দেয়া হলো।
কোর্ট ফি নির্ধারণের সাধারণ পদ্ধতি :
কোনো মোকদ্দমার মূল্যমানের ওপর বা দাবির মূল্যমানের ওপর কোর্ট ফি নির্ণয় করা হয়ে থাকে।মোকদ্দমার একটা তায়দাদ মুল্য থাকে। যা আপনি আরজিতে দেখতে পারবেন। উক্ত তায়দাদের ওপর ২% এবং উক্ত ২% এর ওপর ১৫% ভ্যাট- অর্থাৎ মোট (২% + ২% এর ১৫%= কোর্ট ফি) এভাবেই কোর্ট ফি নির্ধারিত হয়।
মানি স্যুট বা অর্থঋণ মোকদ্দমার কোর্ট ফি নির্ধারণ পদ্ধতি :
মানি স্যুট বা অর্থ আদায়ের মামলা এবং অর্থঋণ মামলা এই দুটিই হলো অর্থ আদায় সংক্রান্ত মামলা। এই মামলা গুলোতে মানি স্যুট বা অর্থঋণ মোকদ্দমার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কোর্ট ফি হলো ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ কোর্ট ফি হবে ৫০,০০০ টাকা।
দেওয়ানি মোকদ্দমার কোর্ট ফি কত?:
দেওয়ানি মোকদ্দমার সর্বনিম্ন কোর্ট ফি হবে ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ কোর্ট ফি হবে ৪০,০০০ টাকা।
সাকসেশন মোকদ্দমার কোর্ট ফি কত?:
সাকসেশন উত্তরাধিকার মোকদ্দমায় ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি। পরবর্তী ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ১% এবং পরবর্তী ১৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত্ম ২%। যেমন : কোনো মোকদ্দমার তায়দাদ ধরি ১৫,০০,০০০ টাকা। এর কোর্ট ফি হবে ১৫,০০,০০০ টাকার ২%=৩০,০০০ টাকা ৩০,০০০ টাকার ১৫%= ৪,৫০০ টাকা। মোট কোর্ট ফি লাগবে ৩০,০০০+৪,৫০০=৩৪,৫০০ টাকা।

মামলা মোকদ্দমা পরিচালনার জন্য আদালতকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে কোর্ট ফি দিতে হয়। এই ফি আইনজীবী ফিয়ের বাইরে মামলা দায়েরের খরচ। মামলা দায়েরের খরচ নির্ধারণ করা হয় কোর্ট ফিস অ্যাক্ট, ১৮৭০ (সংশোধনী ২০১০), এবং ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০-এর এসআরও নাম্বার ৩২৬-আইন/২০১০ অনুযায়ী।
কোর্ট ফি সরকারের আয়ের একটি উৎস, সাধারণত প্রতিবছর সরকার তার বার্ষিক অর্থ পরিকল্পনায় কত হারে কোন বিষয়ে কেমন কোর্ট ফি নেয়া হবে তা নির্ধারণ করে।
 কোর্ট ফি দুই ধরনের। যথাঃ
১. মূল্যমান অনুসারে কোর্ট ফি (Ad Valorem Court Fee)
২. নির্ধারিত কোর্ট ফি (Fixed Court Fee)
কোনো কোনো ক্ষেত্রে মোকদ্দমার মূল্যমানের ওপর বা দাবির মূল্যমানের ওপর ভিত্তি করে কোর্ট ফি নির্ণয় করা হয়ে থাকে যাকে বলা হয় “Ad Valorem Court Fee”। আবার কখনো কখনো মোকদ্দমার মূল্যমানের ওপর কোর্ট ফি নির্ভর করে না, বরং একটি ফি নির্দিষ্ট (Fixed) করা থাকে। কোর্ট ফি সাধারণত নেয়া হয় স্ট্যাম্পের মাধ্যমে। তবে যেখানে স্ট্যাম্প না পাওয়া যায় সেখানে নগদ বা রশিদের মাধ্যমেও কোর্ট ফি পরিশোধ করা যায়।
একেক পদ্ধতিতে কোর্ট ফির মূল্য নির্ধারণ করা হয় তার আগে বিষয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কীভাবে করা হয় নিচে তা সংক্ষেপে দেয়া হলো।
কোর্ট ফি নির্ধারণের সাধারণ পদ্ধতি: কোনো মোকদ্দমার মূল্যমানের ওপর বা দাবির মূল্যমানের ওপর কোর্ট ফি নির্ণয় করা হয়ে থাকে। তায়দাদের ওপর ২% এবং উক্ত ২% এর ওপর ১৫% ভ্যাট- এভাবেই কোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ মোট (২% + ২% এর ১৫%= কোর্ট ফি)।
মানি স্যুট বা অর্থঋণ মোকদ্দমার কোর্ট ফি নির্ধারণ পদ্ধতি : মানি স্যুট বা অর্থঋণ মোকদ্দমার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কোর্ট ফি হলো ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ কোর্ট ফি হবে ৫০,০০০ টাকা।
দেওয়ানি মোকদ্দমা : দেওয়ানি মোকদ্দমার সর্বনিম্ন কোর্ট ফি হবে ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ কোর্ট ফি হবে ৪০,০০০ টাকা।
সাকসেশন মোকদ্দমা : সাকসেশন উত্তরাধিকার মোকদ্দমায় ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি। পরবর্তী ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ১% এবং পরবর্তী ১৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত্ম ২%। যেমন : কোনো মোকদ্দমার তায়দাদ ধরি ১৫,০০,০০০ টাকা। এর কোর্ট ফি হবে ১৫,০০,০০০ টাকার ২%=৩০,০০০ টাকা ৩০,০০০ টাকার ১৫%= ৪,৫০০ টাকা। মোট কোর্ট ফি লাগবে ৩০,০০০+৪,৫০০=৩৪,৫০০ টাকা।

-------------------------------------------------------------------

১ আগস্ট কোর্ট ফিস (সংশোধনী) আইন, ২০১০-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ আইন কার্যকর হয়েছে।
পাওনা টাকা আদায়ে মামলা দায়ের করতে হলে কমপক্ষে মোট দাবিকৃত টাকার ১০ শতাংশ হারে কোর্ট ফি দিতে হবে নতুন আইনে। আগে প্রতি এক লাখ টাকা পাওনা আদায়ে ছয় হাজার, দুই লাখ টাকা আদায়ে সাত হাজার ১০০ টাকা ফি দিতে হতো। এখন সেটা যথাক্রমে ১০ হাজার ও ২০ হাজার টাকা। ক্ষতিপূরণ মামলা দায়েরের ফিও এই হারে। সরকারের সঙ্গে লেনদেনসংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ব্যক্তি কাস্টমস বা এক্সাইজ বিভাগের কোনো কর্মকর্তা বা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন বা দরখাস্ত করলে আগে মাত্র চার টাকা কোর্ট ফি দিতে হতো। এখন দিতে হবে ২০০ টাকা। এভাবে ভূমি রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে আবেদন দাখিলে, কোনো স্থানের উন্নয়ন সম্পর্কে বলবৎ কোনো আইনের আওতায় পৌরসভা বা জেলা পরিষদে আবেদনে, স্মল কজ কোর্টে আবেদনে এবং দেওয়ানি, ফৌজদারি বা রাজস্ব আদালত, বোর্ড বা নির্বাহী কর্মকর্তার দেওয়া কোনো রায়, ডিক্রি বা আদেশের বা নথিভুক্ত কোনো দলিলের অনুলিপি পেতে দাখিল করা আবেদনপত্রের সঙ্গে ২০০ টাকার কোর্ট ফি দাখিল করতে হবে। আগে এসব ফি ছিল চার টাকা। দেওয়ানি বা ফৌজদারি বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে করা যেকোনো আবেদনে পাঁচ টাকার জায়গায় এখন ১০ টাকা ফি দিতে হবে। কোনো দেওয়ানি আদালতে অন্য কোনো আদালতের নথি তলবের আবেদন করলে পাঁচ টাকার জায়গায় এখন ২৫ টাকা ফি দিতে হবে। দখলি স্বত্ব প্রতিষ্ঠা বা খণ্ডন মামলার আরজি বা আপিলের স্মারক দাখিল করলে ১০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা আর যেকোনো আদালতে জামিননামা বা মুচলেকা দাখিল করলে ১০ টাকার স্থলে ২৫ টাকা, যেকোনো আদালতে ওকালতনামা দাখিল করতে ১০ টাকার স্থলে ৩০ টাকা, কমিশনার, কাস্টমস বা এক্সাইজ বিভাগের কালেক্টরেট বা প্রধান রাজস্ব বা নির্বাহী ছাড়া কোনো বিভাগের নির্বাহী প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা কোনো ওকালতনামায় ২০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা কোর্ট ফি দিতে হবে বলে সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ভূসম্পত্তির রেজিস্ট্রারের কোনো লিখন বা মালিকের নাম পরিবর্তন বা কর্তন এবং কোনো রোয়েদাদ রদের জন্য ২০০ টাকার স্থলে এক হাজার টাকা, ১৯৪০ সালের সালিসি আইনের আওতায় করা দরখাস্তে ২০০ টাকার স্থলে এক হাজার টাকা, ১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের অধীন আদালতের মতামতের জন্য প্রশ্ন সংবলিত লিখিত চুক্তিপত্রে ২০০ টাকার স্থলে এক হাজার টাকা কোর্ট ফি দিতে হবে বলে নতুন আইনে বলা হয়েছে।

“Ignorance of Law is no Excuse”

আইনের অজ্ঞতা ক্ষমার অযোগ্য কিংবা আইনের অজ্ঞতা ক্ষমার কোনো কারণ হতে পারে না’। অর্থাৎ সাধারণ ভাবে ধরে নেয়া হবে যে রাষ্ট্রের সকল নাগরিকেরা সংশ্লিষ্ট আইনটি সম্পর্কে জানেন। আর এ কারণে আপনি যদি বাস্তবে সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে না জেনে ওই আইনটির কোনো বিধি-বিধান লঙ্ঘন করেন এবং আপনি যদি পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট আইনটি সম্পর্কে জানেন না বলে কোনো অজুহাত দেখান তবে তা রাষ্ট্রের কাছে কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না।আর আপনাক

Operating as usual

24/01/2023

#ভূমি_আইন #২০২২
ভূমি আইন ২০২২ নামে কোনো আইন পাস হয়নি। গুজব ছড়াবেন না।

24/12/2022

অভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নবনির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে যারা স্থান পেলেন
----------------------------------------------------
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি এবং ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের কমিটিতে আরো যারা স্থান পেয়েছেন

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য

বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শাজাহান খান এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, সিমিন হোসেন রিমি

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক

মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, ডা. দীপু মনি এমপি, ড. হাছান মাহমুদ এমপি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম

কোষাধ্যক্ষ
এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি

সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক

ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক
ড. শাম্মী আহমেদ

আইন বিষয়ক সম্পাদক

অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু

কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক
ফরিদুন্নাহার লাইলী

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক
ড. সেলিম মাহমুদ

ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
আমিনুল ইসলাম

দপ্তর সম্পাদক
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি

বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক
দেলোয়ার হোসেন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর

মহিলা বিষয়ক সম্পাদক
জাহানারা বেগম

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি

শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক
শামসুন নাহার চাঁপা

শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক
মো. সিদ্দিকুর রহমান

সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক
অসীম কুমার উকিল এমপি

স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক
ডা. রোকেয়া সুলতানা

সাংগঠনিক সম্পাদক

আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম এমপি, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী

উপ-দপ্তর সম্পাদক
সায়েম খান

সদস্য
সদস্যদের নির্বাচিত করতে প্রেসিডিয়াম সভায় নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।

13/12/2022

দলিল রেজিস্ট্রি পদ্ধতি এবং রেজিস্ট্রির ধাপসমুহ

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহঃ- দলিল রেজিস্ট্রির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ক্রেতাকে সংগ্রহ করতে হবে। বিক্রেতার নিকট থেকে জমির মালিকানা সম্পর্কিত কাগজপত্র যেমন, প্রয়োজনীয় বায়া দলিল, খতিয়ান (সি,এস,; এস,এ,; আর,এস, বা বি,এস,; নামজারি বা খারিজ ইত্যাদি; আপনার জন্য যেটি প্রযোজ্য), ভূমি উন্নয়ন কর (পূর্বে খাজনা নামে পরিচিত ছিল) পরিশোধের রশিদ, মৌজা ম্যাপ, টিআইএন সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্মসনদপত্র ইত্যাদি সংগ্রহ করে তা যাচাই-বাছাই করতে হবে। আপনার জমি-জমার কাগজপত্র সম্পর্কিত ভাল ধারণা না থাকলে প্রয়োজনে একজন সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখক বা আইনজীবীর পরামর্শ নিতে পারেন।



#দলিল প্রস্তুতকরণঃ- বিক্রেতার নিকট থেকে সংগৃহীত কাগজ-পত্র সঠিক পাওয়া গেলে খতিয়ান ও ম্যাপ অনুসারে জমির অবস্থান ঠিক আছে কিনা তা একজন আমিন দ্বারা মেপে দেখতে হবে। এরপর একজন দলিল লেখক বা আইনজীবীর মাধ্যমে দলিলের সরকার নির্ধারিত ফরমেট অনুসরণ করে দলিল প্রস্তুত করতে হবে। এজন্য জমি-জমার আইন কানুন এবং দলিল রেজিস্ট্রি সম্বন্ধে ভাল ধারণা আছে এমন একজন সরকারি সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখক বা আইনজীবী বাছাই করতে হবে। প্রয়োজনে দলিল লেখক বা আইনজীবী সম্বন্ধে অধিকতর খোজ-খবর ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দলিলের পাশাপাশি সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে পাঠানোর জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফরমেটে এল,টি নোটিশ (সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশ) লিখতে হবে।

#প্রস্তুতকৃত দলিলটি যাচাইকরণঃ- প্রস্তুত হয়ে গেলে দলিলটি ভালভাবে পড়ে দেখতে হবে যে, আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী দলিলটি সঠিকভাবে প্রস্তুত হয়েছে কিনা, বিশেষ করে দলিলের ‘তফশীল’ অংশে মৌজার নাম, জমির খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, জমির পরিমান সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা এবং ‘হাত নকশা’ অংশে সঠিকভাবে জমির ম্যাপ অনুসারে হাত অংকন করা হয়েছে কিনা। দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর এবং জমির পরিমাণ অংকে লেখার পাশাপাশি কথায় লেখা নিশ্চিত করতে হবে।



#দলিল সম্পাদনঃ- ‘দলিল সম্পাদন’ অর্থ দলিলের দাতা/বিক্রেতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্যান্য দলিলের পক্ষগণ কর্তৃক দলিলের প্রতি পৃষ্ঠায় আড়াআড়িভাবে নাম-স্বাক্ষর করা। দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে দলিলে লিখিত বিষয়বস্তু অনুমোদন করা হয়ে থাকে। নাম-স্বাক্ষর অর্থ আপনার পূর্ণ নাম (সংক্ষিপ্ত স্বাক্ষর নয়) দলিলের প্রতি পৃষ্ঠায় লেখা। এছাড়া সম্পত্তি হস্তান্তর দলিলের ১৭ নং কলামে নাম স্বাক্ষর এবং ৩ নং কলামের ক্রেতা/গ্রহিতার ছবি ও স্ট্যাম্পে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির টিপ এবং নাম-স্বাক্ষর করতে হয় (এমনভাবে টিপ ও নাম-স্বাক্ষর করতে হয় যাতে টিপ ও নাম অর্ধেক ছবিতে ও অর্ধেক স্ট্যাম্পে পড়ে)।

যে তারিখে দলিলটি সম্পাদন করা হয়, সেই তারিখকে সম্পাদনের তারিখ বলে। সাফ-কবলা, দানপত্র, দানের ঘোষনাপত্র, হেবার ঘোষণাপত্র, হেবাবিল এওয়াজ দলিলের ১০ (দশ) নম্বর কলামে সম্পাদনের তারিখ বাংলায় এবং ইংরেজিতে দিতে হয়। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলের ১ (এক) নম্বর কলামে সম্পাদনের তারিখ দিতে হয়। অন্যান্য দলিল যেগুলোর সরকার নির্ধারিত কোন ফরমেট নেই, সেগুলোতে সুবিধামত যে কোন যায়গায় সম্পাদনের তারিখ দেয়া যায়।

#সাধারণত কোন ব্যক্তি লিখতে পারলে তিনি নিজে দলিলের প্রতি পাতার নির্দিষ্ট স্থানে তার নাম লিখেন এবং লিখতে অসমর্থ হলে তার পক্ষে ঐ দলিলের সনাক্তকারী সম্পাদনকারীর নাম ব-কলমে দলিলের নির্দিষ্ট যায়গায় লিখে দেন এবং নিজের নামও স্বাক্ষর করেন।

সাফ কবলা, হেবার ঘোষনাপত্র, দানের ঘোষনাপত্র, দানপত্র, হেবাবিল এওয়াজ প্রভৃতি দলিল দাতা সম্পাদন করেন। কিন্তু বায়নাপত্র উভয় পক্ষকে সম্পাদন করতে হয় (রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ১৭(এ) ধারা অনুসারে)। বন্টননামা, বিনিময় প্রভৃতি দলিলে সকল পক্ষকে সম্পাদন করতে হয়।



#রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রির জন্য দলিল দাখিল করাঃ– দলিল সম্পাদনের পর মূল দলিল; এল,টি নোটিশ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের একসেট ফটোকপি এবং বিভিন্ন খাতে রেজিস্ট্রেশন ফি, কর ও শুল্ক পরিশোধের মূল পে-অর্ডার (একসেট ফটোকপিসহ) সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় মূল কাগজপত্র সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক দলিল পরীক্ষা এবং সম্পাদনকারী (দাতা/বিক্রেতা বা অন্য পক্ষ) কর্তৃক সম্পাদন স্বীকার করার পর রেজিস্ট্রি অফিসে রক্ষিত ‘টিপের বহি’তে সম্পাদনকারীর বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির টিপ গ্রহণ করা হয়। এভাবে রেজিস্ট্রির জন্য দলিল গ্রহণ করার পর দলিলের দাখিলকারী বা দাখিলকারী কর্তৃক মনোনীত অন্য কোন ব্যক্তিকে ‘৫২ ধারার রশিদ’ প্রদান করা হয়। এই রশিদ সযত্নে সংরক্ষণ করতে হবে কেননা রেজিস্ট্রির পর মূল দলিল ফেরত নেওয়ার সময় এই রশিদ রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দিতে হয়।



#দলিল রেজিস্ট্রিঃ- রেজিস্ট্রি অফিসে ‘রেজিস্ট্রির জন্য দলিল গ্রহণ’ ও ‘দলিল রেজিস্ট্রি’ একই বিষয় নয়। রেজিস্ট্রির জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে যে দলিলটি গৃহিত হলো তা রেজিস্ট্রি করতে অফিসভেদে দুই-তিন বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। রেজিস্ট্রির জন্য গৃহিত দলিলে প্রথমে দলিল দাখিলকারী, সম্পাদনকারী, সনাক্তকারী, দলিল দাখিলের সময়-তারিখ, পরিশোধকৃত ফি, কর ও শুল্ক ইত্যাদি বিষয়ে পৃষ্টাঙ্কন ও সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষরের পর দলিলটি বালাম (ভলিউম) বহিতে ধারাবাহিকভাবে নকল করা হয়। এরপর মূল দলিলের শেষ পৃষ্টার উলটো পার্শ্বে ‘দলিলটি কত সালের, কত নম্বর বালাম বহির, কত পৃষ্টা থেকে কত পৃষ্টায় নকল করা হয়েছে’ তা লিখে সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষর করা হয়। দলিলটি বালাম বহিতে নকলকরা এবং সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষর করার নাম দলিল রেজিস্ট্রি। দলিলটির রেজিস্ট্রি কার্যক্রম শেষ হলে দলিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ (দাতা/বিক্রেতা-গ্রহিতার নাম, মৌজার নাম, দাগ নম্বর ইত্যাদি) নিয়ে ‘সূচিবহি’ তৈরি করা হয়, যাতে দলিলটি ভবিষ্যতে সহজেই খুজে পাওয়া যায়।



#মূল দলিল ফেরত প্রদানঃ- দলিলের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে রেজিস্ট্রির জন্য দলিল দাখিলের সময় প্রদানকৃত ‘৫২ ধারার রশিদ’ জমা দিয়ে দাখিলকারী বা তার মনোনীত ব্যক্তি মূল দলিল গ্রহণ।

সংগৃহীত

Photos from 𝐁𝐃 𝐋𝐚𝐰 𝐒𝐜𝐡𝐨𝐨𝐥's post 09/12/2022

Bar Council Written Exam Result 2022

23/11/2022

এখন থেকে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য শুধুমাত্র ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনের বর্ণিত উপায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে। পাশাপাশি বর্তমানে আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।

ঋণ আদায়ের জন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলা বাতিল করে বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

14/11/2022

সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতি ও বদলী

Photos from 𝐁𝐃 𝐋𝐚𝐰 𝐒𝐜𝐡𝐨𝐨𝐥's post 03/09/2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধিত) ২০২২
Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872) এর এই সংশোধনী Evidence (Amendment) Act, 2022 নামে অভিহিত হইবে। -
গেজেট প্রকাশ/কার্যকারীতাঃ বুধবার, আগস্ট ৩১, ২০২২ইং।

10/08/2022

দেওয়ানী মামলা ধাপ সমূহ

07/08/2022

এনরোলমেন্ট লিখিত পরীক্ষার নোটিশ ২০২২

02/07/2022

১লা জুলাই ২০২২ ইং হইতে কার্যকর উল্লেখযোগ্য স্ট্যাম্প সিডিউল পরিবর্তন সমূহ ঃ
১. হলফনামা পূর্ব ২০০ বর্তমান ৩০০
২. নকল পূর্ব ৫০ বর্তমান ২০০
৩. হেবা পূর্ব ২০০ বর্তমান ১০০০
৪. বন্টন পূর্ব ৫০ বর্তমান ১০০
৫. বিনিময় পূর্ব ১.৫% বর্তমান ১%
৬. পাওয়ার(ব্যাংক) পূর্ব ১০০০ বর্তমান ২০০০

Photos from 𝐁𝐚𝐧𝐠𝐥𝐚𝐝𝐞𝐬𝐡 𝐁𝐚𝐫 𝐂𝐨𝐮𝐧𝐜𝐢𝐥 𝐄𝐧𝐫𝐨𝐥𝐦𝐞𝐧𝐭 𝐒𝐜𝐡𝐨𝐨𝐥's post 17/06/2022

Photos from 𝐁𝐚𝐧𝐠𝐥𝐚𝐝𝐞𝐬𝐡 𝐁𝐚𝐫 𝐂𝐨𝐮𝐧𝐜𝐢𝐥 𝐄𝐧𝐫𝐨𝐥𝐦𝐞𝐧𝐭 𝐒𝐜𝐡𝐨𝐨𝐥's post

22/05/2022

কোর্ট ফি কি?
আদালত বা বিচারিক কার্যক্রম বা মামলা মোকদ্দমা পরিচালনার জন্য সরকারকে যে ফি দিতে হয়। তাকেই আমরা কোর্ট ফি বলে থাকি। এই কোর্ট ফি সরকারের রাজস্ব আহরনের একটি উৎস। এই কোর্ট ফি শুধমাত্র সরকারের এখানে আইনজীবীর কোন অংশ থাকেনা। তাই কোর্ট ফি হলো আপনার আইনজীবীর মামলা পরিচালনার বাইরে সরকারের জন্য নির্ধারিত ফি।
কোর্ট ফি আইন ১৮৭০ এর অধীনে কোর্ট ফি নিয়ন্ত্রিত হয়।কোর্ট ফি সবসময় একই থাকবে বিষয়টি এমন নয়। এটি প্রয়োজনে প্রতিবছরই পরিবতির্ত হতে পারে।
কোর্ট ফি কয় প্রকার?
কোর্ট ফি দুই ধরনের- ১. মূল্যমান অনুসারে কোর্ট ফি বা এডভোলারাম কোর্ট ফি, ২. নির্ধারিত কোর্ট ফি। (ফিক্সড কোর্ট ফি)
কোর্ট ফি কিভাবে নির্ধারন করা হয়?
কোর্ট ফি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মোকদ্দমার মূল্যমানের ওপর বা দাবির মূল্যমানের ওপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়ে থাকে। আবার কখনো কখনো মোকদ্দমার মূল্যমানের ওপর কোর্ট ফি নির্ভর করে না, বরং একটি ফি নির্দিষ্ট করা থাকে। কোর্ট ফি সাধারণত নেয়া হয় স্ট্যাম্পের মাধ্যমে। তবে যেখানে স্ট্যাম্প না পাওয়া যায় সেখানে নগদ বা রশিদের মাধ্যমেও কোর্ট ফি পরিশোধ করা যায়।
একেক পদ্ধতিতে কোর্ট ফির মূল্য নির্ধারণ করা হয় তার আগে বিষয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কীভাবে করা হয় নিচে তা সংক্ষেপে দেয়া হলো।
কোর্ট ফি নির্ধারণের সাধারণ পদ্ধতি :
কোনো মোকদ্দমার মূল্যমানের ওপর বা দাবির মূল্যমানের ওপর কোর্ট ফি নির্ণয় করা হয়ে থাকে।মোকদ্দমার একটা তায়দাদ মুল্য থাকে। যা আপনি আরজিতে দেখতে পারবেন। উক্ত তায়দাদের ওপর ২% এবং উক্ত ২% এর ওপর ১৫% ভ্যাট- অর্থাৎ মোট (২% + ২% এর ১৫%= কোর্ট ফি) এভাবেই কোর্ট ফি নির্ধারিত হয়।
মানি স্যুট বা অর্থঋণ মোকদ্দমার কোর্ট ফি নির্ধারণ পদ্ধতি :
মানি স্যুট বা অর্থ আদায়ের মামলা এবং অর্থঋণ মামলা এই দুটিই হলো অর্থ আদায় সংক্রান্ত মামলা। এই মামলা গুলোতে মানি স্যুট বা অর্থঋণ মোকদ্দমার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কোর্ট ফি হলো ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ কোর্ট ফি হবে ৫০,০০০ টাকা।
দেওয়ানি মোকদ্দমার কোর্ট ফি কত?:
দেওয়ানি মোকদ্দমার সর্বনিম্ন কোর্ট ফি হবে ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ কোর্ট ফি হবে ৪০,০০০ টাকা।
সাকসেশন মোকদ্দমার কোর্ট ফি কত?:
সাকসেশন উত্তরাধিকার মোকদ্দমায় ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি। পরবর্তী ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ১% এবং পরবর্তী ১৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত্ম ২%। যেমন : কোনো মোকদ্দমার তায়দাদ ধরি ১৫,০০,০০০ টাকা। এর কোর্ট ফি হবে ১৫,০০,০০০ টাকার ২%=৩০,০০০ টাকা ৩০,০০০ টাকার ১৫%= ৪,৫০০ টাকা। মোট কোর্ট ফি লাগবে ৩০,০০০+৪,৫০০=৩৪,৫০০ টাকা।

মামলা মোকদ্দমা পরিচালনার জন্য আদালতকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে কোর্ট ফি দিতে হয়। এই ফি আইনজীবী ফিয়ের বাইরে মামলা দায়েরের খরচ। মামলা দায়েরের খরচ নির্ধারণ করা হয় কোর্ট ফিস অ্যাক্ট, ১৮৭০ (সংশোধনী ২০১০), এবং ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০-এর এসআরও নাম্বার ৩২৬-আইন/২০১০ অনুযায়ী।
কোর্ট ফি সরকারের আয়ের একটি উৎস, সাধারণত প্রতিবছর সরকার তার বার্ষিক অর্থ পরিকল্পনায় কত হারে কোন বিষয়ে কেমন কোর্ট ফি নেয়া হবে তা নির্ধারণ করে।
 কোর্ট ফি দুই ধরনের। যথাঃ
১. মূল্যমান অনুসারে কোর্ট ফি (Ad Valorem Court Fee)
২. নির্ধারিত কোর্ট ফি (Fixed Court Fee)
কোনো কোনো ক্ষেত্রে মোকদ্দমার মূল্যমানের ওপর বা দাবির মূল্যমানের ওপর ভিত্তি করে কোর্ট ফি নির্ণয় করা হয়ে থাকে যাকে বলা হয় “Ad Valorem Court Fee”। আবার কখনো কখনো মোকদ্দমার মূল্যমানের ওপর কোর্ট ফি নির্ভর করে না, বরং একটি ফি নির্দিষ্ট (Fixed) করা থাকে। কোর্ট ফি সাধারণত নেয়া হয় স্ট্যাম্পের মাধ্যমে। তবে যেখানে স্ট্যাম্প না পাওয়া যায় সেখানে নগদ বা রশিদের মাধ্যমেও কোর্ট ফি পরিশোধ করা যায়।
একেক পদ্ধতিতে কোর্ট ফির মূল্য নির্ধারণ করা হয় তার আগে বিষয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কীভাবে করা হয় নিচে তা সংক্ষেপে দেয়া হলো।
কোর্ট ফি নির্ধারণের সাধারণ পদ্ধতি: কোনো মোকদ্দমার মূল্যমানের ওপর বা দাবির মূল্যমানের ওপর কোর্ট ফি নির্ণয় করা হয়ে থাকে। তায়দাদের ওপর ২% এবং উক্ত ২% এর ওপর ১৫% ভ্যাট- এভাবেই কোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ মোট (২% + ২% এর ১৫%= কোর্ট ফি)।
মানি স্যুট বা অর্থঋণ মোকদ্দমার কোর্ট ফি নির্ধারণ পদ্ধতি : মানি স্যুট বা অর্থঋণ মোকদ্দমার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কোর্ট ফি হলো ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ কোর্ট ফি হবে ৫০,০০০ টাকা।
দেওয়ানি মোকদ্দমা : দেওয়ানি মোকদ্দমার সর্বনিম্ন কোর্ট ফি হবে ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ কোর্ট ফি হবে ৪০,০০০ টাকা।
সাকসেশন মোকদ্দমা : সাকসেশন উত্তরাধিকার মোকদ্দমায় ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি। পরবর্তী ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ১% এবং পরবর্তী ১৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত্ম ২%। যেমন : কোনো মোকদ্দমার তায়দাদ ধরি ১৫,০০,০০০ টাকা। এর কোর্ট ফি হবে ১৫,০০,০০০ টাকার ২%=৩০,০০০ টাকা ৩০,০০০ টাকার ১৫%= ৪,৫০০ টাকা। মোট কোর্ট ফি লাগবে ৩০,০০০+৪,৫০০=৩৪,৫০০ টাকা।

-------------------------------------------------------------------

১ আগস্ট কোর্ট ফিস (সংশোধনী) আইন, ২০১০-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ আইন কার্যকর হয়েছে।
পাওনা টাকা আদায়ে মামলা দায়ের করতে হলে কমপক্ষে মোট দাবিকৃত টাকার ১০ শতাংশ হারে কোর্ট ফি দিতে হবে নতুন আইনে। আগে প্রতি এক লাখ টাকা পাওনা আদায়ে ছয় হাজার, দুই লাখ টাকা আদায়ে সাত হাজার ১০০ টাকা ফি দিতে হতো। এখন সেটা যথাক্রমে ১০ হাজার ও ২০ হাজার টাকা। ক্ষতিপূরণ মামলা দায়েরের ফিও এই হারে। সরকারের সঙ্গে লেনদেনসংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ব্যক্তি কাস্টমস বা এক্সাইজ বিভাগের কোনো কর্মকর্তা বা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন বা দরখাস্ত করলে আগে মাত্র চার টাকা কোর্ট ফি দিতে হতো। এখন দিতে হবে ২০০ টাকা। এভাবে ভূমি রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে আবেদন দাখিলে, কোনো স্থানের উন্নয়ন সম্পর্কে বলবৎ কোনো আইনের আওতায় পৌরসভা বা জেলা পরিষদে আবেদনে, স্মল কজ কোর্টে আবেদনে এবং দেওয়ানি, ফৌজদারি বা রাজস্ব আদালত, বোর্ড বা নির্বাহী কর্মকর্তার দেওয়া কোনো রায়, ডিক্রি বা আদেশের বা নথিভুক্ত কোনো দলিলের অনুলিপি পেতে দাখিল করা আবেদনপত্রের সঙ্গে ২০০ টাকার কোর্ট ফি দাখিল করতে হবে। আগে এসব ফি ছিল চার টাকা। দেওয়ানি বা ফৌজদারি বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে করা যেকোনো আবেদনে পাঁচ টাকার জায়গায় এখন ১০ টাকা ফি দিতে হবে। কোনো দেওয়ানি আদালতে অন্য কোনো আদালতের নথি তলবের আবেদন করলে পাঁচ টাকার জায়গায় এখন ২৫ টাকা ফি দিতে হবে। দখলি স্বত্ব প্রতিষ্ঠা বা খণ্ডন মামলার আরজি বা আপিলের স্মারক দাখিল করলে ১০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা আর যেকোনো আদালতে জামিননামা বা মুচলেকা দাখিল করলে ১০ টাকার স্থলে ২৫ টাকা, যেকোনো আদালতে ওকালতনামা দাখিল করতে ১০ টাকার স্থলে ৩০ টাকা, কমিশনার, কাস্টমস বা এক্সাইজ বিভাগের কালেক্টরেট বা প্রধান রাজস্ব বা নির্বাহী ছাড়া কোনো বিভাগের নির্বাহী প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা কোনো ওকালতনামায় ২০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা কোর্ট ফি দিতে হবে বলে সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ভূসম্পত্তির রেজিস্ট্রারের কোনো লিখন বা মালিকের নাম পরিবর্তন বা কর্তন এবং কোনো রোয়েদাদ রদের জন্য ২০০ টাকার স্থলে এক হাজার টাকা, ১৯৪০ সালের সালিসি আইনের আওতায় করা দরখাস্তে ২০০ টাকার স্থলে এক হাজার টাকা, ১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের অধীন আদালতের মতামতের জন্য প্রশ্ন সংবলিত লিখিত চুক্তিপত্রে ২০০ টাকার স্থলে এক হাজার টাকা কোর্ট ফি দিতে হবে বলে নতুন আইনে বলা হয়েছে।

24/01/2022

মায়ের অভিভাবকত্ব
সম্পর্কে আমরা কতটুকু
জানি?
অভিভাবকত্ব কি?
নাবালক, নির্বোধ ও উণ্মাদ যারা নিজের দেখাশোনা নিজে করতে অক্ষম তাদের বিষয়-সম্পত্তি, শিক্ষা, সামাজিক সমস্যা, নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনবোধে তাদের পক্ষে যে কোন মামলা- মোকদ্দমা পরিচালনার দায়িত্ব আইনসম্মতভাবে পালন করাই হচ্ছে অভিভাবকত্ব৷ নাবালকরা তাদের অপরিপক্ক বুদ্ধি,অভিজ্ঞতার অভাব এবং সীমিত বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন হওয়ার কারণে অন্য কেউ যেন তার দূর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করতে না পারে সেজন্য তাদের অধিকার সংরক্ষণের প্রয়োজনে অভিভাবকদের দরকার । আইনগত ব্যাখ্যাঃ মুসলিম আইনে বাবা হলেন সন্তানের প্রকৃত আইনগত অভিভাবক। এ আইনে মা সন্তানের অভিভাবক হতে পারেন না। তবে তিনি সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেন বা জিম্মাদার হতে পারেন। মুসলিম আইনে বাবাই একমাত্র অভিভাবক। তার মৃত্যুতে অন্য কেউ অভিভাবক নিযুক্ত হবেন। তবে একটা নির্দিষ্টকরণ বয়স পর্যন্ত মা সন্তানদের অভিভাবক বা তত্ত্বাবধানের অধিকারীনি। কিন্তু তিনি স্বাভাবিক অভিভাবক নন। নাবালকের নিকট-আত্নীয় নাবালকের প্রকৃতিগত অভিভাবক বলে গন্য হয়৷ অনেক সময় কোন বিশেষ ব্যক্তিকে অভিভাবকের দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। মুসলিম আইনে পিতা জীবিত থাকলে তিনিই নাবালকের শরীর ও সম্পত্তির স্বাভাবিক ও আইনানুগ অভিভাবক৷ নাবালকের পক্ষে কোন কাজ সম্পন্ন করতে হলে পিতাকে আদালতের হুকুমের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। ছেলের ৭ বছরের পরে ও মেয়ের বয়ঃসন্ধির পর পিতা নাবালকের অভিভাবকত্বের অধিকার পান। তবে' পিতার এই অধিকার চূড়ান্ত নয়। সবক্ষেত্রেই আদালত সন্তানের কল্যাণকে প্রাধান্য দেবেন। পিতার আচরণের কারণে (যেমনঃ পিতা যদি কখনই সন্তানদের ভরণপোষণ না দেয়) সন্তানদের মায়ের কাছ থেকে আলাদা করা যুক্তিসঙ্গত হবে না। কারণ বাবা তার আচরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন যে সে সন্তানের কল্যাণে আগ্রহী নয়। আবার মা যদি বাবার আর্থিক সাহায্য ছাড়াই সফলভাবে সন্তানদের নিজ খরচে লালন পালন করে, সেক্ষেত্রে আদালত সন্তাদের পিতার কাছে দিতে অস্বীকার করতে পারে। বিয়ে–বিচ্ছেদের পর মার অভিভাবকত্ব: সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে বিচ্ছেদপ্রাপ্ত দম্পত্তির মধ্যে প্রায়ই বিরোধ তৈরী হয়। মা কিছু সময় পর্যন্ত সন্তানের জিম্মাদার থাকেন। মুসলিম আইনে মা নিচের সময় পর্যন্ত সন্তানের জিম্মাদার থাকতে পারেন। যেমনঃ
১৷ ছেলে সন্তানের সাত বছর বয়স
পর্যন্ত;
২৷ মেয়ে সন্তানের বয়ঃসন্ধি কাল
পর্যন্ত;
সন্তানের বয়স শর্ত অনুযায়ী থাকলেও মা জিম্মাদার থাকতে পারবেন না নিচের কারণগুলো জন্য: আদালতের আদেশ ছাড়া মাকে জিম্মাদারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অসৎ জীবন যাপন করলে; মা পুনরায় বিয়ে করলে; সন্তানের প্রতি অবহেলা করলেও দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে এবং বিয়ে থাকা অবস্থায় বাবার বসবাসস্থল থেকে দূরে কোথাও বসবাস করলে৷ উপরোক্ত কারনগুলো ব্যতীত আদালতের আদেশ ছাড়া মাকে জিম্মাদারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তালাক হওয়ার কারণে মা জিম্মাদারিত্বের অধিকার হারান না। কিন্তু মা যদি অনাত্নীয় এমন কাউকে বিয়ে করেন যিনি সন্তানের সাথে রক্ত সম্পর্কের কারণে নিষিদ্ধ স্তরের কেউ নন, এরকম ক্ষেত্রে মা পুনরায় বিয়ে করায় জিম্মাদারিত্বের অধিকার হারাবেন। অবশ্য আদালত যদি মনে করে দ্বিতীয় বিয়ে করা সত্ত্বেও মার সাথে থাকলেই সন্তানের কল্যাণ হবে, তবে আদালত মাকে অনেক সময় সন্তানের অভিভাবকত্ব দিতে পারেন। উদাহরণ: আকাশ ও মলির বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর। তাদের একটি ছেলে সন্তান আছে। দু’জনের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় আকাশ মলিকে তালাক দেয় ও চার বছরের ছেলেকে নিজের কাছে রাখে। মলিকে সন্তানের মুখ পর্যন্ত দেখতে দেয় না। আইন অনুযায়ী মলি তার ছেলেকে ৭ বছর পর্যন্ত রাখতে পারবে। আকাশ এই অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করতে পারবে না। অভিভাবকত্ব বা জিম্মাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে তার নিষ্পত্তি করবে আদালত। সন্তানের অভিভাবকত্ব ও জিম্মাদারিত্ব নিয়ে মা-বাবা কেউ আদালতের কাছে গেলে আদালত সন্তানের স্বার্থ বা মঙ্গল যার কাছে বেশি নিরাপদ মনে করবে তাকেই অভিভাবকত্বের অধিকার দেবে। মা মারা গেলে কারা নাবালকের অভিভাবক হতে পারবে যখন কোন নাবালকের মা মারা যায় বা অন্য কোন কারণে অভিভাবকত্বের অধিকার হারিয়ে ফেলে সেক্ষেত্রে নিচের মহিলা আত্নীয়রা তার জিম্মাদারিত্বের অধিকার পাবে৷ তারা হলেনঃ
১৷ মা-এর মা, যত উপরের দিকে হোক (যেমনঃ নানী, নানীর মা);
২৷ পিতার মা, যত উপরের দিকে হোক (দাদী, দাদীর মা);
৩৷ আপন বোন (যাদের বাবা-মা একই);
৪৷ বৈপিত্রেয় বোন (মা একই কিন্তু বাবা ভিন্ন);
৫৷ আপন বোনের মেয়ে, যত নিচের দিকে হোক;
৬৷ বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে, যত নিচের দিকে হোক;
৭৷ আপন খালা, যত উপরের দিকে হোক;
৮৷ বৈপিত্রেয় খালা, যত উপরের দিকে হোক এবং ৯৷ পূর্ণ ফুফু, যত উপরের দিকে হোক৷ উপরের উল্লিখিত মহিলারা না থাকলে নাবালকের যারা অভিভাবক হতে পারে তারা জিম্মাদারিত্বের অধিকার পাবে। ১৯৮০ সালের গার্ডিয়ান এন্ড ওয়ার্ডস এক্ট অনুযায়ীঃ যে ব্যক্তি কোন নাবালকের শরীর অথবা সম্পত্তি অথবা সম্পত্তি ও শরীর উভয়ের তত্বাবধানে নিযুক্ত থাকে তাকে অভিভাবক বলে। ১৯৮০ সালের গার্ডিয়ান এন্ড ওয়ার্ডস এক্ট এর ৮ নং ধারা মতে, নাবালকের অভিভাবক নিয়োগের জন্য আদালতে দরখাস্ত করতে হবে।' আদালত সেই দরখাস্ত পরীক্ষা করে দেখবেন এবং প্রয়োজন মনে করলে নাবালকের কল্যাণের জন্য অভিভাবক নিযুক্ত করবেন। আদালত যাকে অভিভাবক নিয়োগ করবেন তিনি আদালতের অনুমতি ছাড়া নাবালকের সম্পত্তি বিক্রি বা বন্ধক দিতে পারবেন না এবং ১০ নং ধারা অনুযায়ী অনুমোদিত ফরমে তা করতে হবে।

24/01/2022

বিনিময় (Exchange) কি?
১৮৮২ সালের সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ১১৮ ধারায় বলা হয়েছে যে যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি তাদের পারস্পারিক মতামতের ভিত্তিতে একজন আর এক জনের একটি জিনিসের মালিকানা স্বত্বের বদলে অপর একজনের কোন জিনিসের মালিকানা স্বত্বের হস্তান্তর, অথবা কোনো একটি জিনিস অর্থ এবং অপর জিনিসটি অন্য কিছু হয় অথবা দুটি জিনিসই যদি অর্থ হয় এবং তা যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে আদান প্রদান হয়ে থাকে তাহলে সেই পদ্ধতিকে বিনিময় বলে।
যেমন: রহিম করিমকে ৫০০০/- দিল এবং করিম বিনিময়ে রহিমকে তার ২৫ শতাংশ জমি এক বছরের জন্য আবাদ করার সুযোগ দিল।
বিনিময় কি ভাবে করা যায়?
বিনিময়ের সম্পত্তি দুটো যদি স্থাবর সম্পত্তি হয় এবং তার একটির মূল্য যদি ১০০ টাকা বা তার বেশি হয়, তাহলে উক্ত বিনিময়টি রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে।
কিন্তু বিনিময় মুল্য যদি ১০০ টাকার কম হয় তাহলে শুধুমাত্র দখল অর্পনের মাধ্যমে কার্যকর করা যাবে ৷
স্থাবর সম্পত্তির বিনিময় দখল অর্পনের মাধ্যমে করা যায় আবার রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমেও করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য যে মৌখিক বিনিময় দ্বারা কোনো পক্ষের কোনো স্বার্থের সৃষ্টি হয় না । কাজেই অস্থাবর সম্পত্তি এবং ১০০ টাকার কম মূল্যের স্থাবর সম্পত্তির বিনিময় রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমে করা হলে তা বৈধ্য হবে ।
বিনিময়ের পক্ষসমুহের অধিকার ও দায়িত্ব: বিনিময়ের প্রত্যেক পক্ষই হলেন একজন ক্রেতা এবং বিক্রেতা । বিনিময়ের প্রত্যেক পক্ষই একই সংগে তাদের পরস্পরের বিষয় বস্তু, একই সময়ে হস্তান্তর এবং গ্রহন করবে। উভয় পক্ষই তাদের সস্পত্তির যাবতীয় বিষয়ে পরস্পরকে অবগত করবে । মোট কথা উভয় পক্ষই সমান ভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং অধিকার ভোগ করবে ।
বিনিময় এবং বিক্রয়ের মধ্যে পার্থক্য:
বিক্রয়ের ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে সম্পত্তি হস্তান্তরিত হয়, কিন্তু বিনিময়ের ক্ষেত্রে একটি সম্পত্তির বদলে অপর একটি সম্পত্তি হস্তান্তরিত হয় ।
মূল্য বা টাকার বিনিময়ে সম্পত্তি হস্তান্তরকে বিক্রয় বলে । অন্য দিকে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে সম্পত্তির আপোষমূলক হস্তান্তরকে বিনিময় বলে ।
বিনিময়ের ক্ষেত্রে কোনো কোনো সময় দেখা যায় যে সম্পত্তির সাথে কিছু অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে যেমন বিনিময়যোগ্য সম্পত্তির মুল্য কম বা বেশি হলে সেক্ষেত্রে অর্থ বা টাকা প্রদান করেও বিনিময় সমন্বয় করা যেতে পারে কিন্তু বিক্রির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অর্থ বা টাকা প্রদান করতে হয়।

24/01/2022

জমি নিয়ে বিরোধ হলে কী করবেন?

জমিজমাকে কেন্দ্র করে যেকোনো সময় বিরোধ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, নিজের কেনা জমি অন্য কেউ দখল করে মালিকানা দাবি করছে কিংবা জাল দলিল তৈরি করে জমির দখল নিতে চায়। আদালতে মিথ্যা মামলাও ঠুকে দেয়। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এ ঝামেলা থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সে জন্য জানা থাকতে হবে জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে কীভাবে প্রতিকার পাবেন।
ফৌজদারি প্রতিকার -
জমি দখলকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে পারেন। এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হবে প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। আর এ মামলা করতে হবে বেদখল হয়ে গেলে কিংবা বেদখল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ার দুই মাসের মধ্যে। কোনো মামলা করলে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিপক্ষের ওপর সমন জারি করবেন। পরবর্তী সময়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সম্পত্তির দখলদার কে তা নির্ধারণ করবেন। প্রয়োজনে সরেজমিনে তদন্তের আদেশ দিতে পারেন পুলিশকে। তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রকৃত দখলদার কে, সে বিষয়ে রায় দেবেন। তবে ১৪৫ ধারায় প্রতিকার চাইতে গেলে এখানে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করা যাবে না। এর মাধ্যমে শুধু প্রকৃত দখলদার নির্ণয় করার জন্য প্রতিকার চাওয়া যাবে।
মালিকানা দাবি করবেন যেভাবে -
জমির মালিকানা বা স্বত্ব দাবির জন্য দেওয়ানি আদালতের আশ্রয় নিতে হবে। জমি অবৈধভাবে দখলচ্যুত হলে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ও ৯ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার পেতে পারেন। এ আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী জমির মালিক নির্ধারিত পদ্ধতিতে জমিটি পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রতিকার চাইতে পারেন। তবে এ ধারা অনুযায়ী, দখলচ্যুত ব্যক্তিকে জমিতে তাঁর স্বত্ব বা মালিকানা আছে কিংবা মালিকানার দাবি রয়েছে, তার ঘোষণা চাইতে হবে। না হলে এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার পাওয়া সম্ভব হয় না। ৮ ধারার স্বত্ব প্রমাণসহ মামলা করার ক্ষেত্রে বেদখল হওয়ার পর থেকে ১২ বছরের মধ্যে মামলা করার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের মামলাকে সাধারণত স্বত্ব সাব্যস্ত খাস দখলের মামলা বলা হয়।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হলে মালিকানা প্রমাণের দরকার নেই। শুধু জমি থেকে দখলচ্যুত হয়েছেন—এটি প্রমাণ করলেই চলবে। ৯ ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোনো ব্যক্তি বেদখল হন, তবে তিনি বা তাঁর মাধ্যমে দাবিদার কোনো ব্যক্তি মোকদ্দমার মাধ্যমে এর দখল পুনরুদ্ধার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যেসব দিক বিবেচনা করা হয়, সেগুলো হলো—বাদী অর্থাৎ যিনি প্রতিকার দাবি করেছেন, তিনি জমিটি দখল করে আসছিলেন কি না; বিবাদী তাঁকে জোরপূর্বক বেদখল করেছেন কি না; বিবাদী বেআইনিভাবে জমিতে প্রবেশ করেছেন কি না।
তবে বাদীকে অবশ্যই বেদখল হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। অন্যথায় এ ধারায় মামলা করার অধিকার হারাতে হবে তাঁকে। তবে সরকারের বিরুদ্ধে এ ধারায় প্রতিকার চাওয়া যাবে না।
কোথায় ও কীভাবে আইনের আশ্রয় নেবেন -
জমিজমার মালিকানা নিয়ে প্রতিকারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এখতিয়ারাধীন আদালতে মামলা করতে হবে। মামলার মূল্যমান চার লাখ টাকার কম হলে সহকারী জজ আদালতে এবং চার লাখের বেশি হলে অসীম এখতিয়ার পর্যন্ত যুগ্ম জেলা জজ আদালতে প্রতিকার চাইতে হবে। মামলা দায়ের করতে হবে আইনজীবীর মাধ্যমে। মালিকানাসহ দখলের প্রতিকার চাইলে জমির মূল্য বাবদ অ্যাড-ভ্যালোরেম (মূল্যানুপাতে) কোর্ট ফি দিতে হবে। ৯ ধারা অনুযায়ী শুধু দখলের জন্য প্রতিকার চাইলে সম্পত্তির মূল্য অনুসারে যে কোর্ট ফি তার অর্ধেক, অর্থাৎ অ্যাড-ভ্যালোরেম কোর্ট ফির অর্ধেক পরিমাণ কোর্ট ফি দিতে হবে। জমির মালিকানাসহ দখল কিংবা শুধু দখল চেয়ে প্রতিকারের ক্ষেত্রে যদি বাদী মনে করেন, তাঁর জমিটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে, তাহলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাইতে পারেন পৃথক আবেদনের মাধ্যমে।

Videos (show all)

Famous song in memory of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, The father of the Bengali nation
প্রকৃতির শোধ
১৯৫০ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমার অনবদ্য অংশ।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঈগল
“ হায় হায়রে, জীবনটা চলে গেছে, আমি কেন আইন নিয়ে পড়লাম!”
কারোনা কালে বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা বাতিলের দাবী
বার কাউন্সিলের পরীক্ষা বাতিলের দাবী সাংসদদের
করোনা কালে বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা বাতিলের দাবীতে সাংসদ

Location

Category

Telephone

Website

Address


Mymensingh
2200

Other Schools in Mymensingh (show all)
CBMC,B CBMC,B
At Winnerpar On A Panoramic 23 Acres Land 10 Km From Mymensingh Town Towards Dha
Mymensingh, 2200

Community based medical college Bangladesh was established as an academic enterprise of Community H

Nusan Jannat Hridoy Nusan Jannat Hridoy
Mymensingh

Winnerpar Govt. Primary School Winnerpar Govt. Primary School
School Road, Winnerpar, Churkhai
Mymensingh, 2200

Chandab Dokkhin Government  Primary School Chandab Dokkhin Government Primary School
Chandab
Mymensingh, VALUKA

English Private programme, Mymensingh English Private programme, Mymensingh
আকুয়া, নাসিরাবাদ কলেজ রোড সংল
Mymensingh, 2200

All classes of English grammar will be discussed on this page . H.S.C/S.S.C Spoken English .

Ashraf chowdhury fazil madrasah Ashraf chowdhury fazil madrasah
Muzzampur, Nandail
Mymensingh, 2290

দারুছ ছুন্নাহ্ দাখিল মাদরাসা, দারুছ ছুন্নাহ্ দাখিল মাদরাসা,
Luxmipur, Fulbaria
Mymensingh, 2200

এই মাদরাসাটি ১৯৮৩ সালে ময়মনসিংহ জেলা?

Dewangonj Islamia High School Dewangonj Islamia High School
Nandail
Mymensingh

Medhasiri Model School Medhasiri Model School
Mymensingh

বিদ্যা অমূল্য ধন করিবে যতন মিলিবে রতন?

Fayaz Model School Fayaz Model School
17 Saheb Ali Road, Notun Bazar
Mymensingh, 2200

আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষার প্রয়াসে, ফয়েজ শিক্ষা পরিবার হয়ে উঠুক আপনার প্রথম পছন্দ।