২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার চূড়ান্ত রুটিন
সহজ বাংলা
এসএসসি ও এইচএসসি বাংলার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নপূরণে তোমাদের পাশে আছি, থাকবো।
এইচএসসি ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির
বাংলা নিয়ে যত ভয়
সহজ বাংলায় হবে জয়।
Operating as usual
সহজ বাংলায় কোর্স ও ব্যাচে ভর্তি চলছে।
টেস্ট পরবর্তী রিভিশন ব্যাচ ও চূড়ান্ত প্রস্তুতি ব্যাচ শুরু হয়েছে। এই প্যাকেজে থাকছে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের সম্পূর্ণ রিভিশন ও বাংলা প্রথম পত্রের প্রতি বিষয়ে ২০০ নম্বরসহ মোট ৩২০০ নম্বরের এমসিকিউ টেস্ট । সেই সাথে ছোট ব্যাচে কম খরচে নিজেকে শেষ সময়ে ঝালিয়ে নিতে সবচেয়ে ভালো অপশন সহজ বাংলা। শীঘ্রই ভর্তি হতে যোগাযোগ করতে পারো 01711-705152 নম্বরে।
নতুন ব্যাচে ভর্তি চলছে...
টেস্ট পরবর্তী রিভিশন ব্যাচ ও চূড়ান্ত প্রস্তুতি ব্যাচ শুরু হয়েছে। বাংলা দ্বিতীয় পত্রের সম্পূর্ণ রিভিশন ও বাংলা প্রথম পত্রের প্রতি বিষয়ে ২০০ নম্বরসহ মোট ৩২০০ নম্বরের এমসিকিউ টেস্ট থাকছে এই প্যাকেজে। নিজেকে শেষ সময়ে ঝালিয়ে নিতে শীঘ্রই ভর্তি হতে যোগাযোগ কর 01711-705152 নম্বরে।
শুভকামনা তোমাদের জন্য...
সিরিয়াসলি ফান না, চলুন সরকারি চাকরির পরীক্ষার খাতায় সন্ধি ও সমাস শিখি।
গরু নাকি গোরু? কোন বানানটি ঠিক?
গরু না গোরু—কোন বানান ঠিক, এ নিয়ে তর্ক ছিল, আছে, থাকবেই। চলমান এ বিতর্ক নিরসনে বাংলা একাডেমি একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছে। কারো কাছে তা মনঃপূত হতে পারে, নাও পারে। ব্যাখ্যায় সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলমান বানান বিতর্কে যে বিকল্প বানানের কথা বলা হচ্ছে তা ইতোমধ্যে ‘আধুনিক বাংলা অভিধান’-এর পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত সংস্করণে সংযোজিত হয়েছে। এছাড়াও বহুল ব্যবহৃত শব্দের বিকল্প বানানও এ সংস্করণে যোগ করা হয়েছে। ‘আধুনিক বাংলা অভিধান’-এর এ সংস্করণটি অচিরেই বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হবে এবং চলমান বানান-বিতর্কের অবসান ঘটবে- এমনটাই প্রত্যাশা।
তার মানে গরু এবং গোরু দুটো বানানই ঠিক। বাংলা একাডেমি সেই স্বীকৃতি দিয়েছে। ঝামেলা হচ্ছে তাহলে কোথায়? ঝামেলা হচ্ছে বর্তমান সংস্করণে গোরু বানানটি ঠিক। তাই এটাই শুদ্ধ বানান। তবে অনেক শব্দের বিকল্প বানান আছে। গোরু শব্দটির বিকল্প বানান হচ্ছে গরু। সেটিও কিন্তু ভুল বলা যাচ্ছে না।
সংস্কৃত ‘গোরূপ’ থেকে পর্যায়ক্রমে ‘গরু’ শব্দটি ( গোরূপ > গোরুপ > গোরু > গরু) বাংলায় এসেছে। বাংলা একাডেমির জামিল চৌধুরী সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা অভিধান’-এ ‘গরু’ বানানভুক্তিটি নাই। তিনি গোরুকেই রেখেছেন। ফলে বেশ একটা সরগরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিধানে আছে: ‘গোরু’। অনেকেই বলে থাকেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি ‘গোরু’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। হ্যাঁ, করেছেন; কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ‘গরু’ শব্দও ব্যবহার করেছেন। যেমন তিনি ব্যবহার করেছেন গাভী, বৃষ, গাঈ (গাই), ধেনু ইত্যাদি শব্দ। যেহেতু রবীন্দ্রযুগে বানানের তেমন কোন প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম ছিলো না তাই সেটি নিয়ে কথা না বলাই ভালো।
রবীন্দ্রনাথের ‘গরু’ ও ‘গোরু’ বানান ব্যবহারের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা যাক:
গরু— এই বানানে লেখা:
* ‘কোন দুটি গরু শব্দ করিতেছে? তোমারই দুটি গরু শব্দ করিতেছে।’ (‘সংস্কৃত শিক্ষা’, দ্বিতীয় ভাগ)
* ‘আমার সাহায্য চায়, ফলফুলুরি দেয় এনে, কারও বা ঘরে গরু আছে দুধ জুগিয়ে থাকে।’ (‘চার অধ্যায়’)
গোরু— এই বানানে লেখা:
* ‘ম চালায় গোরুগাড়ি / ধান নিয়ে যায় বাড়ি’। (প্রথম ভাগ : ‘সহজ পাঠ’)
* ‘অভ্যাসের মেঠো পথ দিয়া গাড়ির গোরু আপনি চলে, গাড়োয়ান ঘুমাইয়া পড়িলেও ক্ষতি হয় না।’ (ভাষার কথা : ‘বাংলা শব্দতত্ত্ব’)
এভাবে অসংখ্য জায়গায় রবীন্দ্রনাথ দুটি বানানকেই ঠাঁই দিয়েছেন। একটি শিশুপাঠ্য গ্রন্থ থেকে অন্যটি বড়োদের জন্য রচনা থেকে। লক্ষ্য করার বিষয়, ‘সংস্কৃত শিক্ষা’ বইতেও রবীন্দ্রনাথ ‘গরু’ বানান লিখছেন, নির্ভেজাল সংস্কৃত শব্দ নির্বাচন করেননি।
অতএব, বাংলা একাডেমির উচিত ছিলো বাংলা শব্দ ‘গরু’ ‘আধুনিক বাংলা অভিধান’-এ ভুক্তি হিসেবে রাখা। এতে তেমন কোন দোষ হতো না। তবে বাংলা একাডেমি তাদের নতুন সংস্করণে দুটো বানানকেই ভুক্তি হিসেবে রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তাই আপাতত এই বিতর্ক এখানেই শেষ।
অতৎসম শব্দে ষ এর ব্যবহার
সাধারণত মূর্ধন্য-ণ ও মূর্ধন্য-ষ দিয়ে আমরা তৎসম শব্দ চিনে থাকি। অতৎসম শব্দে ‘ণ’ এর ব্যবহার এখন আর নেই। বাংলা একাডেমির প্রমিত বানানের নিয়মে স্পষ্ট বলা হয়েছে “অতৎসম শব্দের বানানে ণ ব্যবহার করা হবে না।” কিন্তু ষ এর ক্ষেত্রে এমন কোন কঠিন নিয়ম করা যায়নি। এর সঙ্গত কারণও আছে। বিভিন্ন অর্ধতৎসম ও তদ্ভব শব্দে ষ এমনভাবে মিশে আছে, যে এসব শব্দ হতে ষ আর কিছুতেই পরিহার করা যায় না। তাই তৎসম নয়, এমন বহু শব্দে ষ বহাল তবিয়তে বিরাজ করছে।
এই প্রসঙ্গে নিম্নের বিষয়গুলো লক্ষণীয়:
১। সংস্কৃত শব্দের কোমল রূপে ষ বহাল থাকে। যেমন বর্ষা> বরষা, হর্ষ> হরষ।
২। তৎসম শব্দের যুক্তাক্ষর রূপে ষ থাকলে, তদ্ভবে একই যুক্তাক্ষর বা ষ যুক্ত অন্য একটি যুক্তাক্ষর হতে পারে। স্পষ্ট>পষ্ট, তৃষ্ণা> তেষ্টা, কৃষ্ণ> কেষ্টা, বিষ্ণু>বিষ্টু, বৈষ্ণব> বোষ্টম।
৩। তৎসমে ণ থাকলে তদ্ভবে ন হয়। যেমন কর্ণ>কান, স্বর্ণ>সোনা। কিন্তু ষ থাকলে তদ্ভবেও ষ থাকে। যেমন আমিষ>আঁষ, ষণ্ড>ষাঁড়, সুনিষণ্নক>সুষনি
৪। বাংলা সংখ্যাবাচক ষোল, ষাট ইত্যাদি শব্দে অবিসংবাদিতভাবে ষ হয়।
৫। আধুনিক বাংলা ক্রিয়াপদে ণ হয় না**, কিন্তু ষ হতে পারে। যেমন পোষা, মুষড়ে পড়া, শুষে নেয়া ইত্যাদি।
৬। বিদেশি শব্দে বাংলা একাডেমি ষ এর প্রয়োজন নেই বলে মত দিয়েছেন। কিন্তু ণ এর মত কোন কঠিন নিষেধাজ্ঞা নেই। ণ এর জন্য বলা হয়েছে “অতৎসম শব্দের বানানে ণ ব্যবহার করা হবে না।” আর ষ এর জন্য বলা হয়েছে “বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।” তবে ইংরেজির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে স অথবা শ ব্যবহারের নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য ষ দিয়ে লেখা হয় এমন অন্তত একটি বিদেশি শব্দ আছে, তা হল ষড়্। এই শব্দটি ফারসি শলাহ্ থেকে এসেছে যার অর্থ চক্রান্ত। শেষকথা, ষ বর্ণটি ণ এর মত শুধু সংস্কৃতে সীমাবদ্ধ নয়। তাই অতৎসম শব্দে ষ এর ব্যবহার নিয়ে যেন কোন দ্বিধায় না পড়ি আমরা।
*বাংলা একাডেমি বিদেশি তথা সকল অতৎসম শব্দে ণ বর্জন করেছেন। কিন্তু কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রবর্তিত বাঙ্গালা বানানের নিয়মে বলা হয়েছে “অ-সংস্কৃত শব্দে কেবল ‘ন’ হইবে, যথা- কান, সোনা, বামুন, কোরান, করোনা। কিন্তু যুক্তাক্ষর ণ্ট, ণ্ঠ, ণ্ড, ণ্ঢ চলিবে, যথা ঘুণ্টি, লণ্ঠন, ঠাণ্ডা।”। বাংলা একাডেমি এর মতে লন্ঠন, ঠান্ডা ইত্যাদি বানান প্রমিত।
**প্রাচীন বাংলা ক্রিয়াপদে ণ দেখা যায়। যেমন “লুই ভণই গুরু পুচ্ছিঅ জাণ” (চর্যাপদ), অর্থ লুই বলছেন গুরুকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও।
বাংলা বানানে তৎসম শব্দ চেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তৎসম শব্দ চেনার বিভিন্ন কৌশল রয়েছে, যা দেখে সহজেই তৎসম শব্দ চেনা যায়। চলো কিছু তৎসম শব্দ চেনার কৌশল আয়ত্ব করি।
১। মূর্ধন্য-ণ যুক্ত সব শব্দ তৎসম। ষ যুক্ত অধিকাংশ শব্দ তৎসম, কিন্তু সকল শব্দ তৎসম নয়। যেমন পোষা, ষোলো, বোষ্টম প্রভৃতি তৎসম নয়।
২। প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মানুযায়ী ‘ঈ ঊ ঋ এবং এই তিনটি বর্ণের কারচিহ্ন ‘ী, ূ, ৃ’- যুক্ত সব শব্দই তৎসম শব্দ।
৩। যেসব শব্দের পূর্বে প্র, পরা, অপ, সম, অব, অনু, নির(নিঃ), দুর(দুঃ), উৎ, অধি, পরি, প্রতি, উপ, অভি, অতি প্রভৃতি উপসর্গ যুক্ত থাকে সেগুলো তৎসম শব্দ হবে।
৪। ক্ত্র, ক্ম, ক্ষ, ক্ষ্ণ, ক্ষ্য, ক্ষ্ম, ক্ষ্ম্য, গ্ধ, গ্ন্য, গ্ম, ঘ্ন, ঙ্ক্ষ, ঙ্ম, চ্ছ্ব, চ্ছ্র, জ্ঝ, জ্ঞ, ঞ্ছ, ঢ্র, ত্ত্ব, ত্ম্য, ত্র্য, দ্ব্য, দ্ম, ধ্ন, ধ্ম, ন্ত্য, ন্ত্ব, ন্ত্র, ন্ত্র্য, ন্দ্ব, ন্ধ্য, ন্ধ্র, ন্ন্য, ল্ম, শ্ছ, শ্ম, ষ্ক্র, ষ্ট্য, ষ্ট্র, ষ্ব, ষ্ম, স্ত্য, স্থ্য, হ্ন্য, হ্ম, হ্ল ইত্যাদি যুক্তবর্ণ কেবল তৎসম শব্দে দেখা যায়। অতএব এমন যুক্তবর্ণ-যুক্ত শব্দ তৎসম।
৫। বিসর্গযুক্ত শব্দগুলো এবং বিসর্গসন্ধিসাধিত শব্দগুলো তৎসম শব্দ।
৬। বহুবচনবাচক গণ, বৃন্দ, মণ্ডলী, বর্গ, আবলি, গুচ্ছ, দাম, নিকর, পুঞ্জ, মালা, রাজি, রাশি প্রভৃতি থাকলে শব্দ তৎসম হয়।
৭। সমাসবদ্ধ পদের একটি অংশ তৎসম জানা থাকলে অপর অংশটি এবং সমস্তপদটিও তৎসম হয়। যেমন চন্দ্রমুখ শব্দে চন্দ্র অংশটি তৎসম জানা থাকলে বলা যায় ‘মুখ’ এবং ‘চন্দ্রমুখ’ শব্দদ্বয়ও তৎসম।
৮। উপমান কর্মধারয়, উপমিত কর্মধারয় এবং রূপক কর্মধারয় সমাস দ্বারা সাধিত শব্দগুলো সাধারণত তৎসম হয়।
৯। অব্যয়ীভাব এবং প্রাদি সমাস দ্বারা সাধিত পদগুলো সাধারণত তৎসম হয়। তবে ব্যতিক্রমও আছে।
১০। শব্দের শেষে -তব্য এবং -অনীয় থাকলে সেসব শব্দ তৎসম হয়। যেমন : কর্তব্য, দ্রষ্টব্য, ভবিতব্য, করণীয়, দর্শনীয় প্রভৃতি তৎসম।
১১। শব্দের শেষে তা, ত্ব, তর, তম, বান, মান, এয়, র্য প্রভৃতি থাকলে সাধারণত শব্দগুলো তৎসম হয়।
১২। অব্যয়পদের শেষে ত থাকলে তা সাধারণ তৎসম হয়। যেমন : প্রথমত, অন্তত, জ্ঞানত। তবে এ নিয়মের আওতায় পড়ে না, এমন বহু তৎসম শব্দ বাংলায় ব্যবহৃত হয়। সেসব শব্দগুলো আয়ত্তে আনার জন্য চর্চা প্রয়োজন।
এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষার সময়...
সিরাজউদ্দৌল্লা নাটকের গুরুত্বপূর্ণ ৫০টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও তার জ্ঞানমূলক উত্তর:-
০১. “সিরাজউদ্দৌলা’ একটি ঐতিহাসিক নাটক”- ব্যাখ্যা কর।
অনু. জ্ঞান: ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকটি ঐতিহাসিক, কারণ ইতিহাসকে আশ্রয় করে এটি রচিত হয়েছে।
০২. ভিক্টরি অর ডেথ, ভিক্টরি অর ডেথ। ব্যাখ্যা কর।
অনু. জ্ঞান: ব্রিটিশ সৈনিকদের উদ্দীপ্ত করতে ক্যাপ্টেন ক্লেটন উক্তিটি করেছিলো।
০৩. কাপুরুষ বাঙালির কাছে যুদ্ধ বন্ধ হবে না।
অনু. জ্ঞান: ক্যাপ্টেন ক্লেটন দম্ভোক্তি করে ওয়ালী খানকে কাপুরুষ বাঙালি বলে তিরস্কার করেছিলো।
০৪. ‘যুদ্ধ বন্ধ করবার আদেশ দিন, ক্যাপ্টেন ক্লেটন।’ ওয়ালী খান কেন যুদ্ধ বন্ধ করার অনুরোধ করেন?
অনু. জ্ঞান: ইংরেজদের পক্ষে লড়াইরত বাঙালি সৈনিক নবাব সৈন্যের ক্ষিপ্রতা ও ক্ষমতা আঁচ করতে পেরে যুদ্ধ বন্ধ করার অনুরোধ করেন।
০৫. ‘আমি সব খবর রাখি হলওয়েল’- সিরাজ এ উক্তিটি কেন করেছেন?
অনু. জ্ঞান: ইংরেজদের সব অপকর্মের কথা জানতে পেরেছেন নবাব সিরাজ কিন্তু হলওয়েল সেটা অস্বীকার করলে নবাব উক্ত উক্তিটি করেন।
০৬. ‘আশা করি নবাব আমাদের উপরে অন্যায় জুলুম করবেন না'- হলওয়েলের নবাবের প্রতি এ বিশ্বাসের কারণ কী?
অনু. জ্ঞান: নবাব হলওয়েলকে তার কৃতকার্যের উপযুক্ত প্রতিফল নেবার জন্য তৈরি হতে বললে কাতর স্বরে হলওয়েল উদ্ধৃত আবেদন জানায়।
০৭. ইংরেজ সৈন্যরা তাদের দুর্দশার জন্য ড্রেককে দায়ী করলেন কেন?
অনু. জ্ঞান: সকলের ধারণা ড্রেকের ভুল পদক্ষেপের জন্যই ইংরেজদের দুর্দশা। এ কারণে সবাই ড্রেককে দায়ী করলেন।
০৮. ঘসেটি বেগম কেন সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে গেলেন?
অনু. জ্ঞান: নিঃসন্তান বিধবা মাতৃস্থানীয়া সিরাজের খালা ঘসেটি বেগমের বাংলার শাসনভার নিয়ন্ত্রণে অভিলাষী ছিলেন বলেই সিরাজের বিরুদ্ধে গেলেন।
০৯. ঘসেটি বেগম সিরাজউদ্দৌলাকে অভিশাপ দিলেন কেন?
অনু. জ্ঞান: জলসা ভেঙে দিয়ে ঘসেটি বেগমকে প্রাসাদে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ায় ঘসেটি বেগম ক্রোধে সিাজউদ্দৌলাকে অভিশাপ দেন।
১০. নবাব সিরাজউদ্দৌলা নিজেকে নিজেই অভিযুক্ত করেছেন কেন?
অনু. জ্ঞান: বাংলার প্রজা সাধারণের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করতে পারেননি বলেই নবাব সিরাজউদ্দৌলা নিজেকে নিজেই অভিযুক্ত করেছেন।
১১. নবাবের প্রতি ক্লাইভের ভয় না থাকার কারণ কী?
অনু. জ্ঞান: ক্লাইভ জানেন পরিষদবর্গের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে নবাব শক্তিশূন্য ও অবলম্বনহীন তাই নবাবের প্রতি তাঁর কোনো ভয় নেই।
১২. ‘আমরা এমন কিছু করলাম যা ইতিহাস হবে।” কথাটির ভাবার্থ কী?
অনু. জ্ঞান: ‘সিরাজউদ্দৌলা' নাটকে ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভের এ উক্তিটি নানা দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ।
১৩. ঘসেটি বেগম কেন বলেছেন ‘বসতে আসিনি দেখতে এলাম কত সুখে আছ তুমি।”
অনু. জ্ঞান: নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাছে ঘসেটি বেগমের স্বরূপ স্পষ্টভাবে উন্মোচিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি তার ছোট বোনকে উপরিউক্ত উক্তিটি করেছেন।
১৪. ‘সিরাজ আমার কেউ নয়’- ঘসেটি বেগম কেন একথা বলেছে?
অনু. জ্ঞান: নবাব মহিষী লুৎফুন্নিসার কক্ষে নবাবের খালা ঘসেটি বেগম প্রচ- আক্রোশ, বিদ্বেষ ও অনুশোচনায় নবাবের মা ও স্ত্রীর সামনে এ উক্তিটি করেছিলেন।
১৫. ‘তুমিও আমার বিচার করতে বসলে’- সিরাজউদ্দৌলা কেন লুৎফাকে একথা বলেছেন?
অনু. জ্ঞান: নানা ষড়যন্ত্রের শিকার সিরাজউদ্দৌলা যখন তাঁর বিশ্বাসের শেষ আশ্রয় সহধর্মিনী লুৎফার কাছে আসে তখন স্ত্রীর অনুযোগের উত্তর দিতে গিয়ে বিপর্যস্ত নবাব এ উক্তিটি করেছেন।
১৬. পলাশীর যুদ্ধে নবাব পক্ষের পরাজয়ের কারণ কী?
অনু. জ্ঞান: রাজ অমাত্যদের ষড়যন্ত্রের কারণেই পলাশীর প্রান্তরে নবাব পক্ষের পরাজয় ঘটেছিল।
১৭. ফরাসি সেনাপতি নবাবের পক্ষ হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন কেন?
অনু. জ্ঞান: প্রতিপক্ষ ইংরেজদের ঘায়েল করে ব্যবসায়ের জগতে তাদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ফরাসি সেনাপতি নবাবের পক্ষ হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।
১৮. “আমার শেষ যুদ্ধ পলাশীতেই।” উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
অনু. জ্ঞান: ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে নবাবের বিশ্বস্ত সেনাপতি মোহনলাল নবাবের উদ্দেশ্যে এ উক্তিটি করেছিলেন।
১৯. “গুপ্তচরের কাজ করেছি দেশের স্বাধীনতার খাতিরে।”- রাইসুল জুহালা কেন এ মন্তব্যটি করেছে?
অনু. জ্ঞান: দেশপ্রেমিক রাইসুল জুহালার কাছে নিজ জীবনের চেয়ে দেশ বড়, তাই দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে উক্ত মন্তব্যটি করেছে।
২০. পলায়নপর জনতাকে উদ্বুদ্ধ করতে নবাব কেন আকুল আবেদন জানান?
অনু. জ্ঞান: পলাশীর যুদ্ধে পরাজয়ের পর মুর্শিদাবাদে উপস্থিত ভীতসন্ত্রস্ত ও পলায়নপর জনতাকে দেশ রক্ষার সংগ্রামে আত্মনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করতে নবাব আকুল আবেদন জানান।
২১. “এই প্রাণদান আমরা ব্যর্থ হতে দেব না।”- উক্তিটির ভাবার্থ কী?
অনু. জ্ঞান: ‘সিরাজউদ্দৌলা' নাটকে এ উক্তিটি করেছেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা।
২২. ক্লাইভ আসা অবধি নবাব সিংহাসনের হাতল ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন কেন?
অনু. জ্ঞান: ক্লাইভের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্যের কারণে মিরজাফর কর্নেল ক্লাইভ আসা অবধি সিংহাসনের হাতল ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন।
২৩.“ইনি কী নবাব না ফকির।”- মিরজাফর সম্বন্ধে ক্লাইভের এ উক্তির কারণ কী?
অনু. জ্ঞান: কর্নেল ক্লাইভ দরবারে প্রবেশ করে নতুন নবাবকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বিস্মিত হন এবং ব্যঙ্গ করে বলেন ইনি কী নবাব না ফকির।
২৪. উমিচাঁদ মিরজাফরকে খুন করে ফেলার কথা কেন বলেছিলেন?
অনু. জ্ঞান: প্রতারিত উমিচাঁদ চুক্তির অর্থ না পেয়ে উন্মাদের মতো উপর্যুক্ত কথা বলেছেন।
২৫. মিরন সিরাজকে মোহাম্মদি বেগকে দিয়ে হত্যা করিয়েছিল কেন?
অনু. জ্ঞান: মদ্যপ ও নারীলোলুপ মিরন সিরাজের পত্নী লুৎফুন্নিসাকে পাওয়ার জন্য মোহাম্মদি বেগকে দিয়ে সিরাজকে হত্যা করিয়েছিল।
২৬. মোহাম্মদি বেগ সিরাজকে হত্যা করবে, এ কথা সিরাজের কাছে কেন অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল?
অনু. জ্ঞান: শৈশবে অনাথ মোহাম্মদি বেগকে সন্তান স্নেহে লালন- পালন করেছিলেন সিরাজের পিতা- মাতা, ঐ স্নেহের ঋণের কথা স্মরণ করে সিরাজের মনে হয়েছিল মোহাম্মদি বেগ তাকে হত্যা করবে না।
২৭. কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটস্কে সিরাজ কেন অভিযুক্ত করেছেন?
অনু. জ্ঞান: কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটস্কে সিরাজউদ্দৌলা প্রজাদের ওপর নিষ্ঠুর আচরণ ও অত্যাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।
২৮. ‘কেউ নেই... কেউ আমার সঙ্গে দাঁড়াল না লুৎফা।’ লুৎফার কাছে সিরাজের এ আকুতির কারণ কী?
অনু. জ্ঞান: আপদকালে বিপন্ন নবাবের কাছে কেউ না দাঁড়ালে হঠাৎ প্রকাশ্য দরবারে লুৎফার আগমনে হতাশ, বিহ্বল ও নিঃসঙ্গ নবাব এ আকুতি করেছেন।
২৯. ‘লোকবল বাড়–ক আর না বাড়–ক আহার্যের অংশীদার বাড়ল তা অবশ্যই ঠিক।’ হ্যারি একথা বললেন কেন?
অনু. জ্ঞান: নবাব সৈন্য কর্তৃক তাড়া খেয়ে ভাগীরথী নদীতে ভাসমান জাহাজে বসে নিজেদের চরম দুরবস্থা এবং আহার্যের অভাব প্রসঙ্গে মার্টিন ও ড্রেককে উদ্দেশ্য করে হ্যারি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
৩০. ‘ঘরের লোক অবিশ্বাসী হলে বাইরের লোকের পক্ষে সবই সম্ভব’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
অনু. জ্ঞান: নবাব সিরাজের কাছের মানুষের বিশ্বাসঘাতকতার বিষয়টি প্রশ্নের বক্তব্যে প্রকাশিত হয়েছে।
৩১. ‘সমস্ত দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে আমার কাছে দু একদিন বিশ্রাম করুন।’- ব্যাখ্যা কর।
অনু. জ্ঞান: প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে তার স্ত্রী লুৎফুন্নেসা।
৩২. ‘আপনাদের দেশে আবার শান্তি আসলো’-ক্লাইভ এ কথা কেন বলেছে?
অনু. জ্ঞান: মিরজাফর মসনদে বসার পর ক্লাইভ মিরজাফরকে খুশি করার জন্য উক্তিটি করে।
৩৩. মোহনলাল কেন মিরনের জলসা ঘরে প্রবেশ করেন?
অনু. জ্ঞান: তিনি খবর পেয়েছিলেন যে মিরন তার জলসা ঘরে বসে অন্যান্যদের সাথে ষড়যন্ত্র করছেন নবাবের বিরুদ্ধে তাই তিনি মিরনের জলসা ঘরে প্রবেশ করেন।
৩৪. নবাব সিরাজ প্রত্যেকটি ইংরেজের সমস্ত সম্পত্তি কেন বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিলেন?
অনু. জ্ঞান: এদেশের সাধারণ নাগরিকের উপর জুলুম, অত্যাচার এবং নবাবকে না জানিয়ে দুর্গে শক্তি বৃদ্ধির কারণে নবাব সিরাজ প্রত্যেকটি ইংরেজের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিলেন।
৩৫. সিরাজউদ্দৌলা কেন ইংরেজদের বাণিজ্য করার অধিকার প্রত্যাহার করলেন?
অনু. জ্ঞান: নবাবকে না জানিয়ে ইংরেজরা কাশিমবাজার দুর্গে অস্ত্র আমদানি, নানা ধরনের নিষিদ্ধ কাজ এবং নবাবের শত্রু কৃষ্ণবল্লভকে আশ্রয় দেয়ার অপরাধে নবাব ইংরেজদের বাণিজ্য করার অধিকার প্রত্যাহার করলেন।
৩৬. ‘আমি চিরকাল ইংরেজদের বন্ধু’ - উমিচাঁদ এ কথাটি চিঠিতে কেন লিখেছেন?
অনু. জ্ঞান: উমিচাঁদ চিঠির মাধ্যমে লেখা উক্ত কথাটি দ্বারা ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য ও তাদের সহযোগিতা করার ভাবটি ব্যক্ত করেছেন।
৩৭. ‘ব্রিটিশ সিংহ ভয়ে লেজ গুটিয়ে নিলেন’- ব্যাখ্যা কর।
অনু. জ্ঞান: নবাবের সৈন্যের কাছে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের ইংরেজদের পরাজয়ের পর পলায়ন করতে দেখে উমিচাঁদ উক্তিটি করেছেন।
৩৮. পলাশী যুদ্ধে নবাব কেন পরাজিত হলেন?
অনু. জ্ঞান: সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতা এবং আত্মীয় পরিজনদের ষড়ষন্ত্রের ফলে পলাশী যুদ্ধে নবাব সিরাজ পারাজিত হলেন।
৩৯. ‘আজীবন নবাবের আজ্ঞাবহ হয়েই থাকব’ কথাটি কে, কেন বলেছে?
অনু. জ্ঞান: কথাটি বলেছে নবাব সিরাজের প্রধান সেনাপতি মিরজাফর ধর্মগ্রন্থ স্পর্শ করে নবাবের বিশ্বাস অর্জন করার জন্যে।
৪০. মোহাম্মদি বেগ মিরনের কাছে কেন দশ হাজার টাকা চাইল?
অনু. জ্ঞান: নবাব সিরাজকে হত্যা করার পারিশ্রমিক হিসেবে মোহাম্মদি বেগ মিরনের কাছে দশ হাজার টাকা চাইল।
৪১. সিরাজউদ্দৌলা একটি দিনের জন্যেও কেন সুখে নবাবি করতে পারেননি?
অনু. জ্ঞান: চারদিকে ষড়যন্ত্রের দেয়াল, নিজের অমাত্যবর্গের বিশ্বাসঘাতকতা, আত্মীয়ের প্রতিহিংসার আগুন সব মিলিয়ে সিরাজ একদিনের জন্যেও সুখে নবাবি করতে পারেননি।
৪২. “এসেছ শয়তান। ধাওয়া করেছো আমার পিছু।” বুঝিয়ে লেখ।
অনু. জ্ঞান: উক্ত কথাটি বলেছেন ঘসেটি বেগম সিরাজকে উদ্দেশ্য করে।
৪৩. ঘসেটি বেগম কেন সিরাজের ধ্বংস কামনা করেন?
অনু. জ্ঞান: নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্যে এবং বহুদিন লালিত প্রতিহিংসার কারণে ঘসেটি বেগম নবাব সিরাজের ধ্বংস কামনা করেন।
৪৪. ‘বৃদ্ধ নবাবকে ছলনায় ভুলিয়ে সিংহাসন দখল করেছ” - ব্যাখ্যা কর
অনু. জ্ঞান: উক্ত কথাটি বলেছেন সিরাজের বড়খালা ঘসেটি বেগম, সিরাজের মা আমেনা বেগমের উদ্দেশ্যে।
৪৫. ‘আমাকে শেষ করে দিয়েছে হুজুর’ - কে, কেন এ কথা বলেছে?
অনু. জ্ঞান: কথাটি বলেছে ইংরেজদের অত্যাচারে সর্বস্বান্ত উৎপীড়িত ব্যক্তি।
৪৬. ক্লাইভ কেন সিরাজকে হত্যা না করা পর্যন্ত স্বস্তি পায় না?
অনু. জ্ঞান: কারণ ক্লাইভ জানে প্রজারা সিরাজকে ভালোবাসে এবং যে কোনো সময় বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে। তাই তিনি তাড়াতাড়ি চান সিরাজকে হত্যা করতে।
৪৭. ‘নিশ্চিন্ত হোক বাংলার প্রত্যেকটি নরনারী’- বুঝিয়ে লেখ।
অনু. জ্ঞান: উক্ত বাক্যটি দ্বারা নবাব সিরাজউদ্দৌলার গভীর দেশপ্রেম ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসার ভাবটি প্রকাশিত হয়েছে।
৪৮. মিরজাফররা সিরাজের পতন চায় কেন?
অনু. জ্ঞান: নবাব সিরাজের পতন হলে মিরজাফরসহ আরও অনেকের স্বার্থ উদ্ধার হবে এজন্যে তারা সিরাজের পতন চায়।
৪৯. ‘এ-পীড়ন তুমি দেখলে না?’ কে, কেন বলেছে এ কথা?
অনু. জ্ঞান: কথাটি বলেছেন নবাব সিরাজ তার মৃত্যুর আগ মুহূর্তে তার উপরে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে।
৫০. ‘আমাকে শেষ করে দিয়েছে হুজুর- ব্যাখ্যা কর।
অনু. জ্ঞান: ‘আমাকে শেষ করে দিয়েছে হুজুর’ কথাটি বলেছে ইংরেজ দ্বারা অত্যাচারিত জনৈক উৎপীড়িত ব্যক্তি।
মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ময়মনসিংহ- এর একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
গদ্য
অপরিচিতা, বিলাসী, মানব-কল্যাণ, বায়ান্নর দিনগুলো, রেইনকোট
কবিতা
বিদ্রোহী, তাহারেই পড়ে মনে, আঠারো বছর বয়স, ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯, আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
সহপাঠ
নাটক- সিরাজউদ্দৌল্লা, উপন্যাস- লালসালু
কিছু কথা...
বাংলা বানান শেখার ৪০টি নিয়ম
পর্ব - ০১
বাংলা বানান শেখার কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম
১. দূরত্ব বোঝায় না এরূপ শব্দে উ-কার যোগে ‘দুর’ (‘দুর’ উপসর্গ) বা ‘দু+র/রেফ’ হবে।
যেমন— দুরবস্থা, দুরন্ত, দুরাকাঙ্ক্ষা, দুরারোগ্য, দুরূহ, দুর্গা, দুর্গতি, দুর্গ, দুর্দান্ত, দুর্নীতি, দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, দুর্নাম, দুর্ভোগ, দুর্দিন, দুর্বল, দুর্জয় ইত্যাদি।
২. দূরত্ব বোঝায় এমন শব্দে ঊ-কার যোগে ‘দূর’ হবে।
যেমন— দূর, দূরবর্তী, দূর-দূরান্ত, দূরীকরণ, অদূর, দূরত্ব, দূরবীক্ষণ ইত্যাদি।
৩. পদের শেষে ‘-জীবী’ ঈ-কার হবে।
যেমন— চাকরিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, কৃষিজীবী, আইনজীবী ইত্যাদি।
৪. পদের শেষে ‘-বলি’ (আবলি) ই-কার হবে।
যেমন— কার্যাবলি, শর্তাবলি, ব্যাখ্যাবলি, নিয়মাবলি, তথ্যাবলি ইত্যাদি।
৫. ‘স্ট’ এবং ‘ষ্ট’ ব্যবহার: বিদেশি শব্দে ‘স্ট’ ব্যবহার হবে। বিশেষ করে ইংরেজি st যোগে শব্দগুলোতে ‘স্ট’ ব্যবহার হবে।
যেমন—পোস্ট, স্টার, স্টাফ, স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, স্ট্যাটাস, মাস্টার, ডাস্টার, পোস্টার, স্টুডিও, ফাস্ট, লাস্ট, বেস্ট ইত্যাদি। ষত্ব-বিধান অনুযায়ী বাংলা বানানে ট-বর্গীয় বর্ণে ‘ষ্ট’ ব্যবহার হবে।
যেমন— বৃষ্টি, কৃষ্টি, সৃষ্টি, দৃষ্টি, মিষ্টি, নষ্ট, কষ্ট, তুষ্ট, সন্তুষ্ট ইত্যাদি।
৬. ‘পূর্ণ’ এবং ‘পুন’ (পুনঃ/পুন+রেফ/পুনরায়) ব্যবহার
‘পূর্ণ’ (ইংরেজিতে Full/Complete অর্থে) শব্দটিতে ঊ-কার এবং র্ণ যোগে ব্যবহার হবে।
যেমন— পূর্ণরূপ, পূর্ণমান, সম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ ইত্যাদি।
‘পুন’ (পুনঃ/পুন+রেফ/পুনরায়— ইংরেজিতে Re-অর্থে) শব্দটিতে উ-কার হবে এবং অন্য শব্দটির সাথে যুক্ত হয়ে ব্যবহার হবে।
যেমন— পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, পুনঃপুন, পুনর্জীবিত, পুনর্নিয়োগ, পুনর্নির্মাণ, পুনর্মিলন, পুনর্লাভ, পুনর্মুদ্রিত, পুনরুদ্ধার, পুনর্বিচার, পুনর্বিবেচনা, পুনর্গঠন, পুনর্বাসন ইত্যাদি।
৭. পদের শেষে’-গ্রস্থ’ নয় ‘-গ্রস্ত’ হবে।
যেমন— বাধাগ্রস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ইত্যাদি।
৮. অঞ্জলি দ্বারা গঠিত সকল শব্দে ই-কার হবে।
যেমন— অঞ্জলি, গীতাঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি ইত্যাদি।
৯. ‘কে’ এবং ‘-কে’ ব্যবহার: প্রশ্নবোধক অর্থে ‘কে’ (ইংরেজিতে Who অর্থে) আলাদা ব্যবহার হয়।
যেমন— হৃদয় কে?
প্রশ্ন করা বোঝায় না এমন শব্দে ‘-কে’ এক সাথে ব্যবহার হবে।
যেমন—হৃদয়কে আসতে বলো।
১০. বিদেশি শব্দে ণ, ছ, ষ ব্যবহার হবে না।
যেমন— হর্ন, কর্নার, সমিল (করাতকল), স্টার, আস্সালামু আলাইকুম, ইনসান, বাসস্ট্যান্ড ইত্যাদি।
অপরিচিতা গল্পের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন (২য় পর্ব)
২১. গল্পকথকের মতে কার ভাষাটা অত্যন্ত আঁট?
উত্তর : গল্পকথকের মতে বিনুদাদার ভাষাটা অত্যন্ত আঁট।
২২. বিয়ে উপলক্ষে কন্যাপক্ষকে কোথায় আসতে হলো?
উত্তর : বিয়ে উপলক্ষে কন্যাপক্ষকে কলকাতায় আসতে হলো।
২৩. কার চেহারা চোখে পড়বার মতো ?
উত্তর : শম্ভুনাথ বাবুর চেহারা চোখে পড়বার মতো।
২৪. গল্পকথকের মতে বেহাই সম্প্রদায়ের কী থাকাটা দোষের?
উত্তর : গল্পকথকের মতে বেহাই সম্প্রদায়ের তেজ থাকাটা দোষের।
২৫. শম্ভুনাথ বাবুর স্মিতহাস্য বন্ধুটি পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : শম্ভুনাথ বাবুর স্মিতহাস্য বন্ধুটি পেশায় ছিলেন উকিল।
২৬. শম্ভুনাথ বাবুর মেয়ের গহনাগুলো কোন আমলের ছিল?
উত্তর : শম্ভুনাথ বাবুর মেয়ের গহনাগুলো তাঁর পিতামহীদের আমলের ছিল।
২৭. মামা অনুপমকে কোথায় গিয়ে বসতে বললেন?
উত্তর : মামা অনুপমকে সভায় গিয়ে বসতে বললেন।
২৮. বরযাত্রীদের খাওয়া শেষ হলে শম্ভুনাথ বাবু কাকে খেতে বললেন?
উত্তর : বরযাত্রীদের খাওয়া শেষ হলে শম্ভুনাথ বাবু অনুপমকে খেতে বললেন।
২৯. কার বিরুদ্ধে চলা অনুপমের পক্ষে অসম্ভব?
উত্তর : মামার বিরুদ্ধে চলা অনুপমের পক্ষে অসম্ভব।
৩০. কল্যাণীকে কার ফটোগ্রাফ দেখানো হয়েছিল?
উত্তর : কল্যাণীকে অনুপমের ফটোগ্রাফ দেখানো হয়েছিল।
৩১. অনুপমের মতে, তার ছবিটি কীসের মধ্যে লুকানো আছে?
উত্তর : অনুপমের মতে, তার ছবিটি একটি বাক্সের মধ্যে লুকানো আছে।
৩২. কে বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে?
উত্তর : কল্যাণী বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে।
৩৩. মাকে নিয়ে অনুপম কোথায় চলছিল?
উত্তর : মাকে নিয়ে অনুপম তীর্থে চলছিল।
৩৪. তীর্থে যাওয়ার সময় মায়ের ভার কার উপর ছিল?
উত্তর : তীর্থে যাওয়ার সময় মায়ের ভার ছিল অনুপমের উপর।
৩৫. শম্ভুনাথ সেনের মেয়ের নাম কী?
উত্তর : শম্ভুনাথ সেনের মেয়ের নাম কল্যাণী।
৩৬. কার নিষেধ অমান্য করে অনুপম কানপুরে এসেছে?
উত্তর : মামার নিষেধ অমান্য করে অনুপম কানপুরে এসেছে?
৩৭. বিয়ে ভাঙার পর কল্যাণী কোন ব্রত গ্রহণ করেছে?
উত্তর : বিয়ে ভাঙার পর কল্যাণী মেয়েদের শিক্ষার ব্রত গ্রহণ করেছে।
৩৮. কে লজ্জায় অনুপমের বিয়ের কথা তুলতে পারেন না?
উত্তর : মামা লজ্জায় অনুপমের বিয়ের কথা তুলতে পারেন না।
অপরিচিতা গল্পের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১. ‘অপরিচিতা’ গল্পের গল্পকথকের নাম কী?
উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পের গল্পকথকের নাম অনুপম।
২. ‘অপরিচিতা’ গল্পের গল্পকথকের বয়স কত?
উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পের গল্পকথকের বয়স সাতাশ বছর।
৩. কার সুন্দর চেহারা নিয়ে পন্ডিতমশায় বিদ্রুপ করতেন?
উত্তর : অনুপমের সুন্দর চেহারা নিয়ে পন্ডিতমশায় বিদ্রুপ করতেন।
৪. পন্ডিতমশায় অনুপমের সুন্দর চেহারা কীসের সঙ্গে তুলনা করতেন?
উত্তর : পন্ডিতমশায় অনুপমের সুন্দর চেহারা শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সঙ্গে তুলনা করতেন।
৫. অনুপমের মা কেমন ঘরের মেয়ে ছিলেন?
উত্তর : অনুপমের মা গরিব ঘরের মেয়ে ছিলেন।
৬. অনুপমের পিতা পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : অনুপমের পিতা পেশায় উকিল ছিলেন।
৭. অনুপমের আসল অভিভাবক কে?
উত্তর : অনুপমের আসল অভিভাবক তার মামা।
৮. বিয়ে সম্বন্ধে কার একটা বিশেষ মত ছিল?
উত্তর : বিয়ে সম্বন্ধে মামার একটা বিশেষ মত ছিল।
৯. অনুপমের বন্ধুর নাম কী?
উত্তর : অনুপমের বন্ধুর নাম হরিশ।
১০. হরিশ কোথায় কাজ করে?
উত্তর : হরিশ কানপুরে কাজ করে।
১১. ছুটিতে হরিশ কোথায় এসেছে?
উত্তর : ছুটিতে হরিশ কলকাতায় এসেছে।
১২. হরিশ অনুপমকে কী ধরনের মেয়ের সন্ধান দিয়েছিল?
উত্তর : হরিশ অনুপমকে খাসা মেয়ের সন্ধান দিয়েছিল।
১৩. অবকাশের মরুভূমির মধ্যে অনুপম কীসের মরীচিকা দেখছিল?
উত্তর : অবকাশের মরুভূমির মধ্যে অনুপম নারীরূপের মরীচিকা দেখছিল।
১৪. মেয়ের বয়স পনেরো শুনে কার মন ভার হলো?
উত্তর : মেয়ের বয়স পনেরো শুনে মামার মন ভার হলো।
১৫. মামা কলকাতার বাইরের পৃথিবীটাকে কোন দ্বীপের অন্তর্গত বলে জানেন?
উত্তর : মামা কলকাতার বাইরের পৃথিবীটাকে আন্দামান দ্বীপের অন্তর্গত বলে জানেন।
১৬. বিশেষ কাজে মামা একবার কোথায় গিয়েছিলেন?
উত্তর : বিশেষ কাজে মামা একবার কোন্নগর গিয়েছিলেন।
১৭. এককালে কাদের বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল?
উত্তর : এককালে শম্ভুনাথ সেনদের বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল।
১৮. কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য কাকে পাঠানো হলো?
উত্তর : কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য বিনুদাদাকে পাঠানো হলো।
১৯. বিনুদাদা অনুপমের সম্পর্কে কী হন?
উত্তর : বিনুদাদা অনুপমের সম্পর্কে পিস্তুতো ভাই হন।
২০. বিনুদাদার রুচি ও দক্ষতার ওপরে অনুপম কতটুকু নির্ভর করতে পারেন?
উত্তর : বিনুদাদার রুচি ও দক্ষতার ওপর গল্পকথক ষোলো আনা নির্ভর করতে পারেন।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, খুব শিঘ্রই সহজ বাংলা পেইজ নিয়মিত বাংলা বিষয়ক বিভিন্ন ক্লাস নিয়ে হাজির হচ্ছে। তোমরা কী কী বিষয়ে, কেমন ক্লাস ও কর্মসূচি চাও তা জানাতে পারো। আজ থেকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের বেশ কিছু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ এমসিকিউ, সৃজনশীল প্রশ্নের জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করবো। আশা করি এতে তোমরা উপকৃত হবে।
নিয়মিত পোস্ট পেতে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথে থাকো। ‘বাংলা নিয়ে যত ভয়, সহজ বাংলায় হবে জয়’... ইনশাআল্লাহ।
আগামী জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে এলো শিক্ষা বোর্ডগুলো। নতুন পরিকল্পনা হলো আগামী আগস্টে এই পরীক্ষা শুরু করা হবে। তারই আলোকে নির্বাচনী পরীক্ষাও এক মাস পিছিয়ে ৩০ মে থেকে শুরু হচ্ছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র: প্রথম আলো
শুভ সকাল।
আপনি একজন মানুষকে সাধারণত দুইভাবে বোকা বানাতে পারেন।
প্রথমটি হচ্ছে ছবি দিয়ে, অন্যটি হচ্ছে.....see more
ভুল বানান পার্ট - ১
উৎকর্ষতা, উৎকৃষ্টতা, সখ্যতা, সৌজন্যতা, বিদেহী, উল্লেখিত ভুল বানান
আমরা প্রায়শই না জেনে, না বুঝে বেশ কিছু বানান ভুল করে থাকি। এমনকি ভুল শব্দটির বানানেও এভাবে 'ভূল' লিখি। এতে প্রায়শই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। যদি খেয়াল করি, তবে দেখবো বানান ভুলের বেশ কিছু কারণ আছে। মোটা দাগে কয়েকটি কারণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ১. শব্দের উৎপত্তি ও গঠন সম্পর্কে না জানা, ২. কার, ফলা, রেফ এদের ব্যবহার না জানা, ৩. যে যার মতো যুক্তি দিয়ে শব্দের বানান লেখা।
এর মধ্যে শব্দের গঠনরীতি সম্পর্কে অজ্ঞতার ফলে বানান-বিভ্রান্তির ঘটনা অত্যাধিক। শুদ্ধ বানানের জন্য শব্দ বা পদগঠনের নিয়মাবলি জানা অপরিহার্য। শব্দ গঠন না জানার কারণে ‘উৎকর্ষ’ (উৎ+√কৃষ্+অ)
কে ‘উৎকর্ষতা’, 'উৎকৃষ্ট' (উৎ+√কৃষ্+ত) কে 'উৎকৃষ্টতা' ‘সখ্য’ (সখি+য) কে ‘সখ্যতা’, ‘সৌজন্য’ (সুজন+য) কে ‘সৌজন্যতা’ লিখি। এভাবে ‘দরিদ্রতা’ (দরিদ্র+তা) বা ‘দারিদ্র্য’ (দরিদ্র+য) এর পরিবর্তে ভুলভাবে ‘দারিদ্র্যতা’ লেখা হয়। আমরা প্রত্যয় সাধিত এ শব্দগুলোর উৎপত্তি জানিনা বলে অযথা বিশেষ্য কিংবা বিশেষণকে পুনরায় বিশেষণ পদে পরিণত করতে গিয়েই বানান ভুল করি। আবার 'তা' প্রত্যয়ের সঠিক ব্যবহার না জানাটাও একটা কারণ। 'তা' একটি সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। এটি 'শত্রু+তা = শত্রুতা', 'বন্ধু+তা = বন্ধুতা' এরকম কিছু শব্দে যুক্ত হয়। কিংবা প্রতিযোগিতা, সহযোগিতা এরকম ইন প্রত্যয় সাধিত শব্দে ব্যবহৃত হয়।
আবার দেখা যায় কারো মৃত্যুর পর শোকবার্তায় প্রায়শই বলা হয়— তার ‘বিদেহী’ আত্মার কল্যাণ কামনা করি। ‘বিদেহী’ একটি অশুদ্ধ শব্দ। উপসর্গ সাধিত ‘বিদেহ’ (বি+দেহ) শব্দের অর্থ দেহশূন্য বা অশরীরী। বিদেহ শব্দটিই বিশেষণ, কাজেই এর শেষে ঈ-প্রত্যয় যোগে পুনরায় বিশেষণ করা ভুল। ‘উল্লেখিত’ (বিশেষণ) শব্দটি ব্যাকরণ-সিদ্ধ নয়। অভিধানেও নেই। শুদ্ধ হলো উল্লিখিত। শব্দটি সন্ধির নিয়মে গঠিত (উল্লিখিত = উৎ + লিখিত)। তবে উল্লেখ, (বিশেষ্য) উল্লেখ্য, (বিশেষণ) উল্লেখযোগ্য (বিশেষণ) সঠিক।
অভিনন্দন টিম টাইগার্স। এরকম আগ্রাসী ক্রিকেট অনেকদিন দেখা হয়নি। ধারাবাহিকতা বজায় থাক, এটাই প্রত্যাশা। ❤️
অন্ত অ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের নিয়ম।
জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ শুরুর পরিকল্পনা।
তোমাদের প্রস্তুতি শেষ তো?
• আদ্য 'অ'-ধ্বনির স্বাভাবিক উচ্চারণের যে কোন পাঁচটি নিয়ম লেখ ।
• আদ্য 'অ'-ধ্বনির অর্ধ বিবৃত বা বিবৃত যে কোন পাঁচটি উচ্চারণের নিয়ম লেখ।
• 'অ'-ধ্বনি উচ্চারণের যে কোন পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
• আদ্য 'অ' ধ্বনি উচ্চারণের যে কোন পাঁচটি নিয়ম লেখ।
• ‘অ’-ধ্বনির স্বাভাবিক বা বিবৃত উচ্চারণের যে কোন পাঁচটি নিয়ম লেখ।
১. কোন শব্দের আদিতে বা শুরুতে 'অ' ধ্বনি থাকলে শব্দটি যদি নেতিবাচক বা না বোধক অর্থে ব্যবহৃত হয় তাহলে সেই আদ্য 'অ' স্বাভাবিকভাবে উচ্চারিত হয়। যেমন: অসীম-অশিম্, অটল-অটোল্, অপ্রতুল-অপ্রোতুল্, অনাচার-অনাচার্, অকাট্য-অকাট্ টো, অমল- অমোল্, অপ্রাকৃত-অপ্রাকৃতো, অমৃত-অমৃতো, অদৃষ্ট-অদৃশটো ইত্যাদি।
২. কোন শব্দের আদিতে বা শুরুতে 'অ' থাকলে তারপরে 'অ' কিংবা 'আ' স্বর সংযুক্ত থাকলে সেই আদ্য 'অ' স্বাভাবিকভাবে উচ্চারিত হয়। যেমন: বরাহ-বরাহো, কথা-কথা, অমানিশা অমানিশা, যত-জতো, কত-কতো, শত-শতো, রত-রতো ইত্যাদি।
৩. কোন শব্দের আদিতে 'সহিত' কিংবা সম্পূর্ণ অর্থে 'স' থাকলে, সেই 'স' এর সাথে থাকা আদ্য 'অ' স্বাভাবিকভাবে উচ্চারিত হবে। যেমন: সকল-শকোল্, সস্ত্রীক-শস্ ত্রিক, সম্পূর্ণ-শম্ পুর্ নো ইত্যাদি।
৪. একাক্ষরিক শব্দের আদিতে 'অ' থাকলে এবং পরে মূর্ধন্য (ণ) থাকলে, সেই 'অ'-ধ্বনির উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যেমনঃ মণ- মন্, পণ- পন্, গণ-গন্, শণ-শন্ ।
৫. একাক্ষরিক শব্দের আদিতে 'অ' থাকলে তারপরে দন্ত্য-ন না থাকলে সেই আদ্য 'অ' স্বাভাবিকভাবে উচ্চারিত হয়। যেমন: নদ-নদ্, টব-টব্, শব-শব্, দম-দম্, রব-রব্ ইত্যাদি।
৬. আদি স্বর পরের স্বরের সঙ্গে মিল থাকায় অর্থাৎ স্বরসঙ্গতির কারণে আদ্য 'অ' স্বাভাবিকভাবে উচ্চারিত হয়। যেমন: কলম-কলোম্, কবর-কবোর্, খবর-খবোর্, জবর-জবোর্ ইত্যাদি।
বাংলা বানান শেখার কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম
পর্ব - ০৭
৩১. ভাষা ও জাতিতে ই-কার হবে। যেমন— বাঙালি/বাঙ্গালি, জাপানি, ইংরেজি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, আরবি, ফারসি ইত্যাদি।
৩২. ব্যক্তির ‘-কারী’-তে (আরী) ঈ-কার হবে।
যেমন— সহকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী, পথচারী, কর্মচারী ইত্যাদি। ব্যক্তির ‘-কারী’ নয়, এমন শব্দে ই-কার হবে।
যেমন— সরকারি, দরকারি ইত্যাদি।
৩৩. প্রমিত বানানে শব্দের শেষে ঈ-কার থাকলে –গণ যোগে ই-কার হয়।
যেমন— সহকারী>সহকারিগণ, কর্মচারী>কর্মচারিগণ,
কর্মী>কর্মিগণ, আবেদনকারী>আবেদনকারিগণ
ইত্যাদি।
৩৪. ‘বেশি’ এবং ‘-বেশী’ ব্যবহার: ‘বহু’, ‘অনেক’ অর্থে ব্যবহার হবে
‘বেশি’। শব্দের শেষে
যেমন— ছদ্মবেশী, প্রতিবেশী অর্থে ‘-
বেশী’ ব্যবহার হবে।
৩৫. ‘ৎ’-এর সাথে স্বরচিহ্ন যোগ হলে ‘ত’ হবে।
যেমন— জগৎ>জগতে জাগতিক, বিদ্যুৎ>বিদ্যুত, বৈদ্যুতিক, ভবিষ্যৎ>ভবিষ্যতে, আত্মসাৎ>আত্মসাত সাক্ষাৎ>সাক্ষাত ইত্যাদি।
😬
বাংলা বানান শেখার কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম
পর্ব - ০৬
২৬. নঞর্থক পদগুলো (নাই, নেই, না, নি) আলাদা করে লিখতে হবে।
যেমন— বলে নাই, বলে নি, আমার ভয় নাই, আমার ভয় নেই, হবে না, যাবে না।
২৭. অ-তৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দে ই-কার ব্যবহার হবে।
যেমন— সরকারি, তরকারি, গাড়ি, বাড়ি, দাড়ি, শাড়ি, চুরি, চাকরি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, সিঙ্গি, ছুরি, টুপি, দিঘি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বেআইনি, কুমির, নানি, দাদি, বিবি, চাচি, মাসি, পিসি, দিদি, বুড়ি, নিচু।
২৮. ত্ব, তা, নী, ণী, সভা, পরিষদ, জগৎ, বিদ্যা, তত্ত্ব শব্দের শেষে যোগ হলে ই-কার হবে।
যেমন— দায়িত্ব (দায়ী), প্রতিদ্বন্দ্বিতা (প্রতিদ্বন্দ্বী), প্রার্থিতা (প্রার্থী), দুঃখিনী (দুঃখী), অধিকারিণী (অধিকারী), সহযোগিতা (সহযোগী), মন্ত্রিত্ব, মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিপরিষদ (মন্ত্রী), প্রাণিবিদ্যা, প্রাণিতত্ত্ব, প্রাণিজগৎ, প্রাণিসম্পদ (প্রাণী) ইত্যাদি।
২৯. ঈ, ঈয়, অনীয় প্রত্যয় যোগ ঈ-কার হবে।
যেমন— জাতীয় (জাতি), দেশীয় (দেশি ), পানীয় (পানি), জলীয়, স্থানীয়, স্মরণীয়, বরণীয়, গোপনীয়, ভারতীয়, মাননীয়, বায়বীয়, প্রয়োজনীয়, পালনীয়, তুলনীয়, শোচনীয়, রাজকীয়, লক্ষণীয়, করণীয়।
৩০. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না৷
যেমন— অর্চনা, অর্জন, অর্থ, অর্ধ, কর্দম, কর্তন, কর্ম, কার্য, গর্জন, মূর্ছা, কার্তিক, বার্ধক্য, বার্তা, সূর্য৷
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
2200
Bhaluka
Mymensingh
I want to serve the human beings through my profession
জিলা স্কুল মোড়, ময়মনসিংহ
Mymensingh, 2230
kid's English language courses
Mymensingh
সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর অনলাইন ক্লাস এর বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম।
Mymensingh, 2200
Premier Ideal Online School will be run to conduct online teaching activities among the students. It is ready as schools across the country are closed to deal with the Corona disaster.
Opposite Of Zilla School Gate
Mymensingh, 2200
To help others means to help urself.
Mymensingh
Mymensingh, 2200
বিভিন্ন চাকরি সহায়ক প্রশ্ন ও সাধারণ জ্ঞান পেতে পেজটি ফলো করে সাথে থাকবেন।