
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষার
Anandamohan Bose, who founded the City College in 1878, decided to open a branch of it at his home t
কলেজের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
শতবর্ষের ঐতিহ্যে লালিত আনন্দ মোহন কলেজ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কলেজগুলোর অন্যতম। এ কলেজের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। আনন্দ মোহল কলেজ ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এর কার্যক্রম শুর" হয় ১৯০৯ সালে। এই মহান উদ্য্যোগের সঙ্গে যাঁর নাম জড়িয়ে আছে, তিনি হচ্ছেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক, সমাজসংস্কারক ব্যারিস্টার আনন্দমোহন বসু ১৮৮৩ সালে ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহ শহরের রাম
Operating as usual
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষার
রাতের কলেজ মাঠ।
ক্রিকেট
কলেজ মাঠ
দিনের শেষে এই পেজ এ লাইক দিয়ে সাথে থাকুন ।
কোথাও কোনো সমস্যা হলে থানায় অভিযোগ দিন ।
ময়মনসিংহে মেসের শিক্ষার্থীরা পিষ্ট সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিতে শিক্ষানগরী হিসেবে খ্যাত ময়মনসিংহের পাড়া-মহল্লায় মেসে বসবাস প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষার্থীর। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীদে.....
সবাই পড়বেন
ঘটনাটি ১৯৯৬/১৯৯৭ সালের দিকে, সেদিন বস হাত ভেঙ্গে যাওয়ার পরেও ৩০ টি গান গেয়েছিল যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিড়ল।
ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজে শো, এল আর বি যায় শো করতে,,,,, সে সময় এতো এতো মানুষ ছিল যে এল আর বির গাড়িই ঢুকতে পারছিল না......
এল আর বির গাড়ি দেখো সেদিন কলেজের মাঠে থাকা কলেজের, কলেজের বারান্দায় ছাদে হাজার হাজার মানুষের মুখে মুখে এল আর বি এল আর বি চিৎকারে পুরো আকাশ বাতাস একাকার হয়ে গিয়েছিল।
অনেক কস্টে বস, এল আর বি কে নিয়ে ষ্টেজে উঠে, ষ্টেজে উঠার পর মানুষের চাপে মানুষের ভিড়ে সেদিন ষ্টেজ ভেঙ্গে যায়,,,,, সেদিন আর শো হয়নি।
সেদিন বস ও এল আর বি টিম আনন্দ মোহন কলেজের ভিপির বাসায় থেকে যায়।
বস এতটাই গান পাগল মানুষ ছিল এতটাই ভক্তদের ভালবাসতো যে জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মানুষকে ভক্তদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে গান শুনিয়েছিলেন।
এমনটা বাংলাদেশে ২য় জন কেউই করেনি।
যাই হোক সেদিন রাতে ভিপির বাসায় থাকার পর বস বললেন কাল ষ্টেজ রেডি করো আমরা আবার শো করবো।
পরের দিন সে জায়গায় আর ষ্টেজ হয়নি, ষ্টেজ হয়েছিল ১ তলা একটি ছাদের উপরে।
সে ছাদে যাওয়ার মতো কোনো সিড়ি ছিলনা।
বাঁশের একটি চঙ্গো বানানো হয় যা সিড়ির মতো।
আর বি টিম সেটি বেয়ে বেয়ে উপরে উঠে, কিন্তু বস যখনই উঠতে যায় তখনই পা স্লিপ করে নিয়ে পরে যায়।
সাথে সাথে বস এর হাত ভেঙ্গে যায়, কাঁদ থেকে হাতের হাড্ডি সরে যায়।
বস নাছোড় বান্দা, গান করবেই।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি লোক হাত ঘড়ি দেখাচ্ছে তিনি আর কেউ না আমাদের এল আর বি এর বর্তমান সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ও ম্যানেজার Shamim Ahmed ভাই।
তিনি ভিপি কে বলছেন এখনো ডাক্তার আসছে না কেনো???
মানুষের ভিড়ে সেদিন গাড়িও বের হতে পারছিল না
অবশেষে বস সেদিন সেই তীব্র ব্যাথা নিয়েও ষ্টেজে উঠে গান শুরু করে দিলেন।
কিছুক্ষন পর ডাক্তার এসে বস গান গাওয়া অবস্থায় কোমড়ে ২ টা ব্যাথা নাশক ইনজেকশন দেয়।
সে অবস্থায় বস গীটার বাজাচ্ছি ১ হাতে, শুধু ডান হাতে রিফ বাজাচ্ছিলেন।
বস বললেন আমিতো সারা জীবন গীটার বাজালাম আজ আপনার সবাই মুখে মুখে গীটার বাজাবেন....
যা এই পৃথিবীতে শুধু এমন দৃশ্য আনন্দ মোহন কলেজের হাজার হাজার দর্শক শুধু দেখেছিলেন।
বস ডান হাতে লীড বাজাচ্ছিলেন আর গানের মাঝ খানে যে গীটার সলো থাকে সেদিন মাঠে থাকা হাজার হাজার দর্শক মুখ দিয়েই বাজাচ্ছিলেন, যেমন হাসতে দেখে, কেউ সুখি নয় গানে যেমন বসের গীটারের সুরের পাশে পাশে যেমন আমরা মুখ দিয়ে গুনগুন করে করি, সেদিন দর্শক রা তা মুখ দিয়েই জোরে জোরে গাইছিল।
এমন দৃশ্য যারা দেখেছেন, তারা সত্যিই ভাগ্যবান।
ভাঙ্গা হাত নিয়েও ৩০ টি গান গেয়েও আইয়ুব বাচ্চু বস ভক্তদের ভালবাসার ঋন শোধ করেছিলেন।
বাংলাদেশের আর কোনো শিল্পী ভক্তদের ভালবেসে এমনটা করেছে কিনা জানা নেই।
এ মানুষটা কখনোই ষ্টেজে গাইতে গিয়ে খুব কম গান গেয়ে ফিরে এসেছে এমনটি খুব একটা বেশি হয়নি।
যতই কস্ট হোক যতই শরীর অসুস্থ থাকুক, গান উনি ঠিকই গেয়ে এসেছেন।
বস আপনি বসই, আপনার তুলনা আপনি নীজেই।
আপনার মতো মিউজিক লাভার পৃথিবীতে আর কখনো জন্ম নিবে না।
ভাল থাকবেন বস।
পরিশেষে বসের বানীঃ থেমে যাবো বলেতো আসিনি
ভেঙ্গে যাবো বলেই জোয়ারে ভাসিনি
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। কিন্তু কষ্টের বিষয় একটা হিন্দু নেতা কে খুঁজে পাওয়া যাইতেসে না
জামালপুরে হিন্দু নারীকে গাছে বেঁধে লাঞ্ছিত করে জমি দখল জামালপুর সদরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক হিন্দু নারীকে গাছের সাথে বেঁধে এবং অপর নারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে জমি দখল ...
দিনের শেষে এই পেজ এ লাইক দিয়ে আপডেট থাকুন
সৌদি আরবেও ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে তা প্রতিহত করা হয়েছে বলে দেশটির স্...
কলেজ এর সামনে Millennium কোম্পানি এর WIFI connect হয় কিন্তু Browse হয় না। এই কোম্পানি নিজের নাম প্রচারের জন্যে wifi দিতেছে । কিন্তু ব্যান্ডউইথ ছাড়া।
সব শেষে একটি কথাই বলবো যদি লজ্জা থাকে তো ব্যান্ডউইথ দিয়ে মানুষকে সেবা করেন ধোঁকাবাজি কইরেন না আর।
আমাদের কলেজ
একজন মায়ের জন্য রক্ত প্রয়োজন । রুগী স্বদেশ হাসপাতালে ।রক্তের Group A +(Positive ) contact 01616745972
অনেকে আনন্দে মোহন কলেজে ভর্তির পয়েন্ট জানতে চেয়েছেন..তাদের জন্য ভর্তি সংক্রান্ত নোটিশ দেয়া হলো।
দুঃখিত দেড়িতে পোস্টের জন্য।
মৌলভী হামিদ উদ্দিন ভবন
আনন্দ মোহন কলেজ ।
মৌলভী হামিদ উদ্দিন ময়মনসিংহ জেলার প্রথম মুসলিম গ্রাজুয়েট । আঞ্জুমান ইসলামিয়া র সভাপতি ছিলেন । আনন্দ মোহন কলেজের জন্যে কাচিঝুলিতে ২৬ বিঘা জমি দান করেন । তিনি এই কলেজের নামের প্রস্তাবক । তাই প্রেসিডেন্সি কলেজের সহপাঠী আনন্দ মোহন বসুর নামেই আনন্দ মোহন কলেজটির নামকরণ করা হয় ।
শহরে কাচিঝুলি থেকে কলেজ রোড পর্যন্ত একটি সড়কের নামকরণ হয়েছে মৌলভী হামিদ উদ্দিন সাহেবের নামে ।
তথ্য - প্রবন্ধ (আনন্দ মোহন কলেজ ডায়েরি)
"মেয়েদের ' জাস্টফ্রেন্ড ' হিসাবে কামলা খাটা সকল সংগ্রামী ভাইদের জন্যে শ্রমিক দিবসের শুভেচ্ছা রইলো " 👷
🙄🙄😏😏😍😍😛😛
৩৫ আন্দোলনকারী এক বোনকে পুলিশ নির্মমভাবে এইভাবে লাঠিচার্জ করে গুরুতর আহত করে........
ভালোবাসার ক্যাম্পাস,
একটি মানবিক সাহায্যের আবেদন।
নাম :মনা মিয়া
বাড়ি :ফুলপুর ,ময়মনসিংহ
আপনারা যারা বিগত পনের বছর ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এর অধ্যয়ন করে গেছেন কিংবা করছেন। তারা সবার এই ছেলেটি পরিচিত। ময়মনসিংহ কলেজ রোড, মীর বাড়ি মোড় এ রুবেল ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর এ দ্বীর্ঘসময় কর্মরত ছিল ছেলেটি। সদা হাস্যউজ্জল, ধার্মিক ছেলে মনা বাঁচতে চায়। বিগত দুই বছর যাবত ওর দুটি কিডনী বিকল অবস্থায় আছে। দ্বীর্ঘদিন জীবনের সাথে যুদ্ধ করছে দরিদ্র পরিবারের সন্তান মনা মিয়া। দিনের পর দিন
ডায়ালাইসিস করে আজ সে নিঃস্ব। নিজের ভিঠা মাটি পর্যন্ত বিক্রি করে দিছে। ডাক্তার বলছে ওর কিডনি প্রতিস্থাপন না করলে বেশি দিন বাঁচানো সম্ভব নয়।
বহু চেষ্টা করে একটি কিডনি পাওয়া গেলেও প্রতিস্থাপন ব্যায় মিঠানোর ক্ষমতা মনা ও তার পরিবার এর নেই। ঐতিহ্যবাহী আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এর লক্ষ লক্ষ সাবেক ছাত্র -ছাত্রী ও বাংলাদেশের সচেতন মানুষ যদি মনা কে সামান্য সহযোগিতা করে। সৃষ্টিকর্তা সহায় হলে নতুন জীবন পেতে পারে মনা।
মানব সেবা প্রতিটা ধর্মে অত্যন্ত নেককাজ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই আপনাদের সবার কাছে আবেদন
ছেলেটিকে বাঁচতে সাহায্য করুন।
যোগাযোগ :রুবেল ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর
কলেজ রোড ময়মনসিংহ
বিকাশ নাম্বার :০১৭১৬৫৯৮৯২০
পূবালী ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার
০৩১৩৯০১০৬৮৪৫৬
শেয়ার করে বেশি সংখ্যক মানুষকে আবেদন টি দেখার সুযোগ করে দিন।
অভিনন্দন ড. হাসান কামাল স্যার । ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডের ১ম চেয়ারম্যান মনোনিত হওয়ার জন্য।
Earn Money with easy way. Its fully free. Just need to signup
https://goo.gl/vZ8p7P
শতবর্ষের ঐতিহ্যে লালিত আনন্দ মোহন কলেজ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কলেজগুলোর অন্যতম। এ কলেজের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। আনন্দ মোহল কলেজ ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এর কার্যক্রম শুর" হয় ১৯০৯ সালে। এই মহান উদ্য্যোগের সঙ্গে যাঁর নাম জড়িয়ে আছে, তিনি হচ্ছেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক, সমাজসংস্কারক ব্যারিস্টার আনন্দমোহন বসু ১৮৮৩ সালে ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহ শহরের রাম বাবু রোডে তাঁর পৈত্রিক বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করে "ময়মনসিংহ ইনস্টিটিউশন”। আনন্দমোহন বসু ১৮৮২ সালে ভারত সরকার কর্তৃক গঠিত প্রথম শিক্ষা কমিশনের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন। তাছাড়া তিনি কলকাতার সিটি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। কলকাতার বেশকিছু গণ্যমান্য শিক্ষাবিদ নিয়ে গঠিত একটি কাউন্সিল সিটি কলেজ পরিচালনা করতেন, আনন্দমোহন বসু ছিলেন সেই কাউন্সিলের সভাপতি।
১৯৮০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ময়মনসিংহ ইনস্টিটিউশন "ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট স্কুল” নামে অভিহিত হয়। ১৮৯৯ সালে আনন্দমোহন বসু কলকাতা থেকে ময়মনসিংহ এলে ময়মনসিংহের স্থানীয় উৎসাহী অধিবাসীগণ ছাড়াও "ময়মনসিংহ সভা” এবং "আঞ্জুমানে ইসলামিয়া” এর যৌথ আবেদনে ময়মনসিংহে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবী জানানো হয়। এ দাবীর পরিপ্রেক্ষীতে কলকাতা সিটি কলেজ কাউন্সিলের সভাপতি আনন্দমোহন বসু ১৯০১ সনের ১৮ জুলাই সিটি কলেজিয়েট স্কুলকে ‘ময়মনসিংহ সিটি কলেজ’ নামে দ্বিতীয় শ্রেণীর কলেজে রূপান্তর করে এবং একে কলকাতার সিটি কলেজের সাথে যুক্ত করেন। প্রাথমিক অবস্থায় কলকাতা সিটি কলেজ কাউন্সিলের আর্থিক সহযোগিতায় ময়মনসিংহ সিটি কলেজ পরিচালিত হতো, পরের বছর ১৯০২ সালের এপ্রিল মাসে এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক দ্বিতীয় গ্রেডের কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ইতোমধ্যে স্থানীয় অধিবাসীদের অর্থ সাহায্যে কলেজের পুরোবাগে রাস্তার পাশে কলেজের জন্য পাকা ভবন নির্মিত হয়।
১৯০৬ সালে আনন্দমোহন বসুর মৃত্যুর পর ময়মনসিংহ সিটি কলেজ নানা সংকটের সম্মুখীন হয়। প্রথমত কলকাতা সিটি কলেজ কাউন্সিল অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে ময়মনসিংহ সিটি কলেজকে কলকাতার সিটি কলেজ থেকে বিযুক্তকরণের জন্য কলাকতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট দাবী পেশ করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ১৯০৮ সালের ৩১ মার্চ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কলকাতা সিটি কলেজ থেকে ময়মসসিংহ সিটি কলেজের সংযুক্তি সম্পূর্ণর"পে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এই অবস্থায় কলেজের কার্যক্রম একপ্রকার বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। তখন প্রিন্সিপাল বৈকুন্ঠনাথ চক্রবর্তী কলেজটির পুনর্গঠনের উদ্যোগে নেন এবং তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি. জে. আর. ব্ল্যাকউডের শরণাপন্ন হন। মিদ জে. আর. বল্যাকউড স্থানীয় শিক্ষাবিদ ও উদ্যমী ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নতুন কমিটি গঠন করে " ময়মনসিংহ কলেজ ” নামে কলেজটিকে পুনুজ্জবীত করেন। এ কমিটি কলেজের পরিচালনা ও যাবতীয় খরচের দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং কলেজের জন্য তহবিল ও নতুন জায়গা সংগ্রহের জোরালো প্রচেষ্টা গ্রহন করে। তৎকালীন ভাবরত সরকারের গ্রান্ট-ইন-এইড- এর আওতায় অর্থ সাহায্য প্রদােেনর জন্য বিভাগীয় কমিশনার এর সাথে কমিটি সাক্ষাৎ করে।
বিভাগীয় কমিশানার কলেজের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ৫৫,০০০/-(পঞ্চান্ন হাজার) টাকা বরাদ্দ দেন। পাশাপাশি কলেজের সার্বিক উন্নতির জন্য স্থানীয় কয়েকজন জমিদার ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগতভাবে ১,১৮,৩৯৫/- (এক লক্ষ আঠার হাজার তিনশত পঁচানব্বই) টাকা এককালীন অনুদান প্রদান করেন। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের নাম ও অনুদানের পরিমাণ নিন্মর"প:
১. মহারাজা শশীকান্ত আচার্য্য চৌধুরী (মুক্তাগাছা) ৪৫,০০০/- টাকা
২. রাজা যোগেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী ( রামগোপালপুর ) ৩০,০০০/- টাকা
৩. রাণী দিনমনি চৌধুরাণী ( সন্তোষ) ২০,০০০/- টাকা
৪. বাবু হেমচন্দ্র চৌধুরী (আম্বারিয়া) ১০,০০০/- টাকা
৫. রাজা জগতকিশোর রায় চৌধুরী (গৌরীপুর) ৫,৫০০/- টাকা
৬. বাবু প্রমথনাথ রায় চৌধুরী ( সন্তেষ) ৫,০০০/- টাকা
৭. রাণী হেমন্ত কুমারী দেবী (পুটিয়া) ১,০০০/- টাকা
৮. শ্রীমতি বামা সুন্দরী দেবী (ভবানীপুর) ১,০০০/- টাকা
ময়মনসিংহ জেলার প্রথম মুসলিম গ্র্যাজুয়েট, আনন্দমোহন বসুর কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের সহপাঠী বন্ধু, আঞ্জুমানে ইসলামিয়া - এর সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মৌলভী হামিদ উদ্দিন আহমদ কলেজের জন্য কাঁচিঝুলীতে ২৬ বিঘা জমি দান করেন এবং তার বন্ধু আনন্দমোহন বসুর নামে কলেজটির নামকরণের প্রস্তাব করেন। মৌলভী হামিদ উদ্দিন ছাড়াও তার জমির পাশ্ববর্তী আরো কয়েক বিঘা জায়গা স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ কলেজের জন্য দান করেন। সরকারি-বেসরকারি নানা উৎস থেকে সংগৃহীত অর্থ এবং জমি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজটি কাঁচিঝুলীর বর্তমান স্থানে স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। নতুন ভব নির্মানসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করে ১৯০৮ সালের শেষের দিকে "ময়মনসিংহ কলেজ” এর নাম পরিবর্তন করে মৌলভী হামিদ উদ্দিন এর প্রস্তাবমতো কলেজের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা আনন্দমোহন বসুর নামানুসারে " আনন্দ মোহন কলেজ ” রাখা হয় এবং শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়। কয়েক বছরের মধ্যেই এটি একটি প্রথম শ্রেণীর কলেজে উন্নীত হয়। ফলে ১৯১৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এটিকে প্রথম গ্রেডের কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। কলেজের সার্বিক উন্নয়নে ময়মনসিংহ পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান রায় বাহাদুর শ্যামাচরণ রায় এর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
১৯১৪ সালে কলেজটি প্রথম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার পর থেকে কলেজরি খ্যাতি এবং ছাত্রসংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং কালকমে এটি এতদঞ্চললের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে । ১৯৬৪ সালের অক্টোবরে কলেজকিে সরকারিকরণ করা হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ‘ বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার পর কলেজের ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ একাডেমিক কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চার হয়। শিক্ষকের পদ সংখ্যা বৃদ্ধি, নতুন নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠা, ছাত্রাবাস, ছাত্রীনিবাস ও একাডেমিক ভবন নির্মিত হয়। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠাকালে যেখানে আনন্দ মোহন কলেজে ছাত্র ছিল ১৭৮ জন এবং শিক্ষক ছিলেন ৯জন, সেখানে বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা প্রায় ২৫,০০০ এবং শিক্ষকের পদ ২০১টি। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক কোর্সসহ ১৮টি বিষয়ে অনার্স ও মাষ্টার্স কোর্স চালু আছে। ছাত্রদের জন্য ৩টি ছাত্রাবাস এবং ছাত্রীদের জন্য ২টি ছাত্রীনিবাস রয়েছে। প্রায় অর্ধলক্ষ পুস্তকসমৃদ্ধ একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি রয়েছে। তাছাড়া প্রতি বিভাগে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক পুস্তকসমৃদ্ধ সেমিনার-লাইব্রেরি। কলেজে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট কার্যক্রম চালু রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি খেলাধূলা, সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রভৃতি শিক্ষা সহায়ক কর্মকান্ডের ব্যবস্থা রয়েছে।
Only Helping Page For Civil Engineer/Architectural Engineer/Mechanical Engineer/Electrical Engineer