05/12/2024
The $299 Tesla Phone Will Be The End Of iPhone!
Think of a phone that costs just $299 but offers global internet connectivity through satellites, charges itself with sunlight, and seamlessly controls your car, home, and more.
©
゚viralシfypシ゚
17/11/2024
নিজে নিজে কানাডার ভিসা করার সম্পূর্ণ পদ্ধতি 🇨🇦
আপনি যদি নিজে নিজে কানাডার ভিসা আবেদন করতে চান তবে এই গাইডটি আপনার জন্য। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে সহজেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
১. প্রাথমিক প্রস্তুতি
প্রথমে, আপনার ব্রাউজার (Chrome, Firefox, Safari) ওপেন করুন এবং সার্চ বারে "IRCC" লিখে সার্চ করুন। IRCC (Immigration Refugees and Citizenship Canada) ওয়েবসাইটে যান এবং GCKey বাটনে ক্লিক করে GCKey একাউন্ট খুলুন। একাউন্ট খোলার সময় আপনাকে ইমেইল অ্যাড্রেস, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোশ্চেন সেভ করে রাখতে হবে। একাউন্ট ক্রিয়েট করার পর এই তথ্যগুলো দিয়ে আপনি লগইন করবেন।
২. অ্যাপ্লিকেশন শুরু
আপনার GCKey একাউন্টে লগইন করুন এবং "Start an application" বাটনে ক্লিক করুন। তারপর "Apply to come to Canada" ক্লিক করুন। ভিসা ক্যাটাগরি থেকে "Visitor Visa, Study and Work Permit" সিলেক্ট করুন। তারপর যে প্রশ্ন আসবে তার উত্তর দিন, যেমন "What is your current country/territory of residence?" এখানে "Bangladesh" সিলেক্ট করুন।
৩. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড
সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর আপনাকে ডকুমেন্ট রিকোয়ারমেন্ট এর তালিকা দেওয়া হবে। নিচের তিনটি PDF ফর্ম সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে পূরণ করতে হবে:
1. Application Form (IMM5257)
2. Family Information (IMM5245)
3. Schedule 1 (IMM5227)
আপলোড করতে হবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:
1. অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
2. ট্রাভেল হিস্ট্রি (ভিসা ও ইমিগ্রেশন এন্ট্রি এক্সিট সিল)
3. পাসপোর্ট কপি
4. ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও ব্যাংক সলভেন্সি
5. সাম্প্রতিক ছবি
6. ট্রাভেল ইটিনারি, হোটেল রিজার্ভেশন, ইনভাইটেশন বা স্পন্সরশিপ
7. ফ্যামিলি ইনফরমেশন
8. শিডিউল ১ ফর্ম
9. ক্লায়েন্ট ইনফরমেশন বা কাভার লেটার
10. কর্মচারী সার্টিফিকেট বা অফিস আইডি কার্ড বা NOC
সব ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করুন।
৪. পেমেন্ট
ডকুমেন্ট আপলোড করার পর পেমেন্ট অপশন আসবে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করুন।
অ্যাপ্লিকেশন ফি: 100 CAD
বায়োমেট্রিক্স ফি: 85 CAD
মোট: 185 CAD
৫. বায়োমেট্রিক্স
পেমেন্ট করার পর বায়োমেট্রিক রিকোয়েস্ট ইমেইল আসবে। বায়োমেট্রিক দেওয়ার জন্য VFS গ্লোবাল থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনুযায়ী VFS আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি নেবে। বায়োমেট্রিক সম্পন্ন হলে আপনাকে পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হবে।
৬. রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা
আপনার ইমেইলে নোটিশ আসলে IRCC পোর্টালে GCKey একাউন্ট চেক করুন। ভিসা রিকুয়েস্ট ডাউনলোড করে পুনরায় VFS অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে পাসপোর্ট সাবমিট করুন। ভিসা অনুমোদন হলে ২ সপ্তাহের মধ্যে পাসপোর্ট ভিসাসহ ফেরত পাবেন।
৭. রিজেকশন ও পুনরায় আবেদন
যদি কোন কারণে ভিসা রিজেক্ট হয়, তাহলে GCKey একাউন্টে রিজেকশন লেটার আসবে। বায়োমেট্রিক দিলে তা ১০ বছর মেয়াদে রিজার্ভ থাকে। পুনরায় আবেদন করার সময় বায়োমেট্রিক্স ফি দিতে হবে না, শুধু 100 CAD ভিসা ফি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
এই প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করে নিজে নিজে কানাডার ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। সৌভাগ্য কামনা করছি!
©
14/11/2024
বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক। কিন্তু বিদেশে পড়তে যাওয়ার মত আর্থিক সক্ষমতা সবার নেই।বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট দেখানোর সক্ষমতা নেই। সেই সাথে স্পন্সরের ডকুমেন্টস,সোর্স অব ইনকাম, সোর্স অব ফান্ডের জটিলতায় বেশিরভাগ মানুষই বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে পারছে না।
শুধুমাত্র ইনফরমেশন না জানার কারণে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর বিদেশে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে । অথচ "ডেনমার্ক" এমন একটি দেশ যেখানে শুধুমাত্র এক সেমিস্টার টিউশন ফিস দিয়েই কোন প্রকার ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট এবং স্পন্সর রিলেটেড ডকুমেন্টস ছাড়াই যাওয়া যায়। এমনকি ডেনমার্কে ব্যাচেলরেও স্পাউস কে সাথে নেয়া যায় ।একমাত্র ডেনমার্কেই কোন ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট, প্রুফ অব ফান্ড, স্পন্সরের ডকুমেন্টস কিছুই লাগেনা।
ব্যাচেলরের ক্ষেত্রে ডেনমার্কে IELTS 6.5 এবং ইউনিভার্সিটিতে ১ বছর সম্পন্ন করতে হবে, মাস্টার্সে 6.5 লাগে,এছাড়াও বাজেট ন্যূনতম ১৫ লাখ টাকা রাখলেই হয়। অথচ আমাদের বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা ডেনমার্ক সম্পর্কে তথ্য না জানার কারণে এত বড় একটি সুযোগ পেয়েও হেলায় হারাচ্ছে। শুধু তাই নয় ডেনমার্কে ৭/৮ বছরের মধ্যেই PR এর জন্য আবেদন করা যায়।
#বাংলাদেশ
©
03/11/2024
আমার ব্যান্ডস্কোর 8.5 শুনে English Olympiad অনুষ্ঠানে অনেকেই আমার কাছে ইংরেজি ভাষা শেখার ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন। তাদেরকে যা বলেছিলাম, তা তুলে ধরলাম এখানে।
#আরবি বর্ণমালায় T এবং P নেই। অ্যারাবিয়ানরা তাই কখনোই টেন বা পেন বলতে পারে না। ওদের অ্যালফাবেটে T এবং P এর কাছাকাছি যে দুটো অক্ষর আছে সেগুলো ت (তা) এবং ف (ফা) হওয়ায় ওরা টেন এবং পেন উচ্চারণ করলে সেটা শোনাবে তেন এবং ফেন। এখন আপনি বা আমি ইংরেজী শিখানোর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে গুচ্ছের টাকা নিয়ে যদি অ্যারাবিয়ানদের সারা জীবন প্রোনান্সিয়েশন শিখাই, তারা কি কখনোই T এবং P এর সঠিক উচ্চারণ করতে পারবে? আর না পারলে কি তারা ইংরেজী শিখতে পারবে না?
‘তে থাকার বাস্তবতা থেকে আমি একটা জিনিষ বুঝতে পারছি যে, ইংরেজি ভাষার উচ্চারণে অনেক ভিন্নতা আছে, যা সব সময় ধ্বনিগত নয়। এমনকি সব আমেরিকানের ইংরেজি উচ্চারণও একরম না। আমি যদি বোস্টন ও ক্যালিফোর্ণিয়ার দুজন বন্ধুকে কথা বলতে শুনি, শুধু উচ্চারণ শুনেই বলে দিতে পারব কে বোস্টনের আর কে ক্যালিফোর্নিয়ার। অথচ দুজনেই আমেরিকান, দুজনেই ইংরেজি বলছে।
কাজেই ভাষা শেখার নাম করে মূলত উচ্চারণ শেখা কোন কাজের কথা নয়। #বাংলাদেশ‘এ যারা ইংরেজী শেখায়, তারা আসলে প্রোনান্সিয়েশনে অনেক বেশী জোড় দেয়, যার আসলে কোনই দরকার নেই।
এটা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয় যে একজন ইংরেজ, একজন আমেরিকান, একজন স্প্যানিশ, একজন চায়নিজ, একজন আরব ও একজন ইন্ডিয়ান ব্যক্তি একই জায়গায় বসে একই বিষয় নিয়ে ইংরেজীতে কথা বললে তাদের প্রত্যেকের #ইংরেজী বলার স্টাইল আলাদা হবে। ইংরেজী বাক্যগুলো গ্র্যামাটিক্যালি কারেক্ট হলে এতেতো দোষের কিছু নেই। উপভাষা বা অঞ্চলের উপর নির্ভর করে এক এক দেশের মানুষের অ্যাকসেন্ট বা ডায়ালেক্ট এক এক রকম হওয়াটাইতো একটা সৌন্দর্য।
নিজেদের স্বতন্ত্র স্টাইল বাদ দিয়ে Ravi Shastri আর Michael Vaughan কে দিয়ে যদি আমি একই উচ্চারণে ইংরেজি বলানোর চেষ্টা করি, আপনি সেই ধারাভাষ্য শুনবেন?
আপনাদের পরিচিত যেসকল বাংলাভাষী ভাইবোন জাপানিজ, চায়নিজ, ফ্রেঞ্চ বা স্প্যানিশ জানেন, আপনারা কি মনে করেন যে তাদের মুখে বলা ওইসব #ভাষা কখনোই ওইসব দেশের ন্যাটিভদের মত হয়? সেটা প্রয়োজনও নেই, সম্ভবও নয়। মূল ব্যাপার হল আপনার সেই বাংলাভাষী ভাইবোন একজন জাপানিজ, চায়নিজ, ফ্রেঞ্চ বা স্প্যানিশ এর সাথে কথোপকথন করতে পারছে কিনা, সেইসব ভাষা শুদ্ধভাবে পড়তে ও লিখতে পারছে কিনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যাদেরকে ইংরেজি শেখানোর ব্যাবসায় খুঁজে পাবেন, দেখবেন তারা অন্যদের ইংরেজী শেখানোর জন্য #বই লিখছে, ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করছে। কিন্তু তারা নিজেরা কি এধরণের বই পড়ে বা #ভিডিও দেখে ইংরেজি শিখেছিল? মোটেও না। অন্যকে ইংরেজি শেখানোর যে বইটা সে নিজে লিখল, সেটা পড়ার আগেইতো সে ইংরেজি জানত। তাহলে সে যেভাবে শিখেছে আপনাকে সেভাবে শিখতে না বলে তার লেখা বই পড়ে ইংরেজি শিখতে বলছে কেন? একটু ভাবুন।
যেকোন ভাষাই আসলে শিখতে হয় দুটো উপায়ে -
(i) প্রাকৃতিকভাবে আয়ত্ত করা বা Natural Acquisition এবং
(ii) প্রেক্ষিতভিত্তিক শিক্ষা বা Contextual Learning
শিশুদের #মাতৃভাষা শেখার মত শুনে, দেখে, ও ব্যবহার করে ভাষা শেখাকেই বলে Natural Acquisition বা প্রাকৃতিকভাবে আয়ত্ত করা। আনুষ্ঠানিক প্রোনান্সিয়েশন শেখা নয়, বরং প্রকাশ, অনুকরণ, এবং মিথস্ক্রিয়া বা exposure, imitation, and interaction হল ভাষা শেখার আসল কৌশল।
পক্ষান্তরে #উচ্চারণ এর জন্য নির্দিষ্ট শব্দাংশ বা ধ্বনির প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দিতে গিয়ে ভাষার ছন্দ ও সুরকে ব্যাহত না করে, বরং ভাষার ব্যবহার ও প্রসঙ্গকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়াই হল Contextual Learning বা প্রেক্ষিতভিত্তিক শিক্ষা।
ইংরেজি ভাষা শেখানোর #ব্যবসায়ী‘রা আপনাকে phonics, phonetics আর phonology গেলাতে চেষ্টা করলেও আপনি এটা সহজেই বোঝার কথা যে, মূলত Comprehension and Communication বা অনুধাবন ও যোগাযোগ হল কোন ভাষায় সাবলীল হতে পারার একমাত্র উপায়।
I mean learning English cannot be a course that you study and sit for exam. It’s a journey, it’s a life style.
© Faatiha Aayat
02/11/2024
বাংলাদেশ থেকে জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ২০২৪
🔰 ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে কাজের সুযোগ পেতে আগ্রহীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসার চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে। জার্মানি দীর্ঘদিন ধরে দক্ষ ও পরিশ্রমী কর্মীর ঘাটতি মোকাবিলা করছে, এবং সেই প্রেক্ষাপটেই তারা অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন এনে কাজের উদ্দেশ্যে আসা প্রবাসীদের জন্য আরও সুযোগ করে দিচ্ছে। এর ফলে, বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে দক্ষ কর্মীদের জন্য ২০২৪ সালে জার্মানিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া সহজতর হবে।
✅ জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজনীয়তা
১. যোগ্যতা এবং দক্ষতা:
জার্মানিতে কাজ করার জন্য আপনাকে বিশেষ দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। এক্ষেত্রে সাধারণত ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি), ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য সেবা, নির্মাণ শিল্প এবং অটোমোবাইল শিল্পের মতো সেক্টরে দক্ষতার চাহিদা বেশি। আপনার কাজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা, সনদপত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা জমা দিতে হবে।
২. ভাষাগত দক্ষতা:
জার্মান ভাষার ওপর ভালো দক্ষতা থাকাটা ওয়ার্ক পারমিটের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা এনে দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, B1 বা B2 লেভেলের জার্মান ভাষা দক্ষতার প্রমাণ প্রয়োজন হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে, ইংরেজি ভাষার ওপর নির্ভর করে কাজের সুযোগও পাওয়া যায়।
৩. জব অফার:
জার্মানিতে কাজের জন্য আপনাকে প্রথমে একটি চাকরির প্রস্তাব (Job Offer) পেতে হবে। জার্মান নিয়োগকর্তারা যদি আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং ভাষাগত যোগ্যতার সাথে সন্তুষ্ট হন, তাহলে তারা আপনাকে নিয়োগ দিতে আগ্রহী হতে পারেন। জব অফার পেলে আপনি ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
✅ আবেদন প্রক্রিয়া
জার্মান ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে।
১. চাকরির আবেদন:
প্রথমে আপনাকে জার্মানির কোনো কোম্পানিতে চাকরির আবেদন করতে হবে। জার্মানির জনপ্রিয় চাকরির ওয়েবসাইটগুলোতে (যেমন: Stepstone, Indeed, Glassdoor) বিভিন্ন ধরনের চাকরির বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়।
২. চাকরির চুক্তি (Job Contract):
চাকরির জন্য নির্বাচিত হলে, কোম্পানি থেকে একটি চাকরির চুক্তি পাবেন। এই চুক্তি আপনার ওয়ার্ক পারমিটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নথি হবে।
৩. ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন:
চাকরির চুক্তিপত্র পেয়ে গেলে জার্মান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে। আপনার আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য নিচের ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হবে:
- চাকরির চুক্তি
- পাসপোর্ট (মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে)
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র
- ভাষার দক্ষতা সার্টিফিকেট (যদি প্রয়োজন হয়)
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- জীবনবৃত্তান্ত (CV)
✅ জার্মান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধাপসমূহ
১. চাকরির অফার পাওয়া:
প্রথম ধাপ হলো জার্মানির কোনো কোম্পানি থেকে চাকরির অফার পাওয়া।
২. ভিসা আবেদন:
চাকরির অফার পাওয়ার পর জার্মান দূতাবাস বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে ওয়ার্ক ভিসার আবেদন করা হয়।
৩. ওয়ার্ক পারমিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন:
ভিসা প্রাপ্তি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা পূরণের পর আপনি জার্মানিতে যেতে পারবেন এবং আপনার নতুন চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন।
✅ জার্মানিতে ২০২৪ সালে কোন সেক্টরে বেশি কাজের সুযোগ?
২০২৪ সালে জার্মানিতে কিছু নির্দিষ্ট সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মীদের চাহিদা থাকবে বেশি। এই সেক্টরগুলো হলো:
1. ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি)
2. স্বাস্থ্যসেবা (নার্স, ডাক্তার)
3. ইঞ্জিনিয়ারিং (মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল)
4. নির্মাণ শিল্প
5. অটোমোবাইল শিল্প
6. কারিগরি কাজ (ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার)
✅ জার্মানিতে কাজের সুবিধা
জার্মানিতে কাজের সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে উন্নত জীবনযাপন মান, চমৎকার কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্য বীমা, পেনশন সুবিধা এবং উচ্চ বেতন কাঠামো। জার্মানির বেতন কাঠামো বেশ উদার, যা অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা এবং কাজের ধরন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
©
13/10/2024
☘️❤️কিছু মসলা তৈরির পদ্ধতি ❤️ নিত্য প্রয়োজনীয় মসলা রেসিপি টিপস্ সহ দেখুন কাজে লাগবে 🌶️👇👇,☘️
🌶️☘️⚫ ১.চাট মসলা👇
উপকরণঃ
সরিষা দানা হাফ চামচ
মেথি ১/৪ চা চামচ
শুকনো মরিচ ১০-১২ টি
জিরা ৩ টেবিল চামচ
ধনিয়া ২ টেবিল চামচ
গোটা গোলমরিচ ১ টেবিল চামচ
আমচূর পাউডার ২চামুচ
আদা পাউডার ১চা চামুচ
মৌরি ১ টেবিল চামচ
লবঙ্গ ১০টি
পাঁচফোড়ন দেড় টেবিল চামচ
লবণ ১ টেবিল চামচ
বিট লবণ ৩ টেবিল চামচ
প্রণালিঃ
১। প্রতিটি উপকরণ শুকনা তাওয়া বা ফ্রাই প্যানে ভালোভাবে টেলে নিতে হবে।
২। খেয়াল রাখতে হবে যেন পুড়ে না যায়।
৩। এরপর সব একসঙ্গে গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার চাট মসলা।
☘️⚫ ২.ম্যাগী ম্যাজিক মসলা / নুডুলসের মসলা তৈরি👇
উপকরনঃ
মরিচগুড়া ১ চা চামচ
হলুদগুড়া ১/২ চা চামচ
ধনিয়াগুড়া ১ চা চামচ
জিরাগুড়া ১ চা চামচ
পেয়াজ গুড়া ১ টে. চামচ
আদা গুড়া ১ চা চামচ
রসুন গুড়া ১ টে. চামচ
গরম মসলা গুড়া ১ চা চামচ
গোল মরিচ গুড়া ১ চা চামচ
মেথি গুড়া ১/২ চা চামচ
আমচুর পাউডার ১/২ চা চামচ
টেস্টিং সল্ট ২ চা চামচ
বিট লবন ১/২ চা চামচ
চিলি ফ্লেক্স ২ চা চামচ
কর্ণফ্লোয়ার ১ টে. চামচ
চিনি ২ টে. চামচ
লবন ১ চা চামচ
প্রণালীঃ
১। সব উপকরন একসাথে ব্লেন্ডারে মিহি গুড়া করে নিন।
২। এরপর শুকনো কাঁচের বয়ামে বা এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করুন।
⚫ ☘️৩.চটপটির মশলা তৈরি👇
উপকরনঃ
মৌরী ১ চা চামচ
শুকনা মরিচ ১০/১২টা
জিরা ১ চা চামচ
মেথি ১ চা চামচ
ধনিয়া ১ চা চামচ
গোলমরিচ ১/২ চা চামচ
কালোজিরা ১/২ চা চামচ
লবঙ্গ ১/২ চা চামচ
রাঁধুনি ১ চা চামচ
পাচঁফোড়ন ১ চা চামচ
বিট লবন ২ টে. চামচ
প্রণালীঃ
১। সব মসলা হালকা টেলে ঠান্ডা করে নিন।
২। চটপটির মসলা বেশী টালা ঠিক না, বেশী টালা হলে মসলা কালো হয়ে চটপটির রং নষ্ট হয়ে যায়।
৩। এবার ব্লেন্ডারে দিয়ে গুড়া করুন।
৪। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে তৈরি মশলা কাঁচের বয়াম অথবা এয়ারটাইট বক্সে করে রেফ্রিজারেটরের নরমাল অংশে রাখতে পারেন।
⚫ ৪☘️.শাহী গরম মসলা তৈরি👇
উপকরণঃ
এলাচ ১২-১৪ টি
দারুচিনি ৪ টুকরো (মাঝারি)
তেজপাতা ৪ টি
কালো গোল মরিচ ২ টে. চামচ
লবঙ্গ ১ টে. চামচ
জিরা ২ টে. চামচ
ধনিয়া ২ টে. চামচ
মৌরি/মিষ্টি জিরা ১ টে. চামচ
জয়ফল অর্ধেক টা
জয়ত্রী ছোট ১ টুকরো
প্রণালীঃ
১। সব উপকরণ শুকনো তাওয়ায় অল্প আঁচে টেলে নিন ঘ্রান ছড়ানো পর্যন্ত।
২। টালা মসলা ঠান্ডা হলে ব্লেন্ডারে দিয়ে পছন্দসই মিহি গুঁড়ো করে নিন।
৩। শুকনো এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষণ করুন এক-দুই মাস পর্যন্ত।
৪। এরপর আবার তৈরি করে নিবেন।
৫। নিরামিষ রান্না, সবজির আইটেম কিংবা যেকোন মাংস রান্নাতে এই গরম মশলা ব্যবহারে খাবারের স্বাদ এবং সুগন্ধ দুটোই বহুগুণ বেড়ে যাবে☺️
🍀🍀😍 #ইউনিক রেসিপি টিপস্ পেতে পেইজটি ফলো দিয়ে শেয়ার করে রাখতে পারেন ☘️☘️☘️🌶️
©
゚ ゚viralシ ゚ ゚ ゚
23/09/2024
বিদেশে পড়তে যাওয়ার ১ বছর আগে থেকেই কি কি করণীয়:
১ :আপনার নাম এবং আপনার পিতামাতার নামের সাথে মিল রেখে সার্টিফিকেটে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করবেন, হতে পারে নামের বানানে ভুল বা অন্য কিছু, এ সময়ে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন আপনার পিতামাতার ভোটার আইডিতে যে নাম আছে ঔ নাম ই যেন সার্টিফিকেটে থাকে, মোট কথা আপনার জন্মসনদ, সার্টিফিকেট এবং বাবামার এনআইডিতে যেন সেম নাম থাকে
,
২ পাসপোর্ট তৈরি ঃ পাসপোর্ট তৈরির সময় পূর্বের সার্টিফিটের মতো নাম এবং স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার দিকে খেয়াল রাখবেন, এমন যেন না হয় জন্মসনদে আছে বর্তমান ঠিকানা বরিশাল কিন্তু পাসপোর্টে কোনোভাবে এসে গেছে নোয়াখালী
,
( ১,২ নং পয়েন্টে কোনোভাবে ভুল হলে এগুলো সংসোধন বিদেশে পরতে যান বা না যান এমনিতেই জরুরি এবং সংসোদন একটু সময় সাপেক্ষ বিষয়)
,
,
৩ SSC, HSC এর নম্বরপএ এবং সার্টিফিকেট বোর্ড থেকে সংগ্রহ করা এবং মাস্টার্সে যেতে চাইলে অনার্সের সার্টিফিকেট বিশব্বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে সংগ্রহ করে রাখা
,
৪ সার্টিফিকেট সংগ্রহের পর এগুলো শিক্ষা, এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করা
,
৫ IELTS preparation :আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রিপারেশন টা একটু আগে থেকেই নেওয়া ভালো, কারন অনেকের কাঙ্খিত স্কোর তুলতে অনেক বেশি সময় লেগে যায় এবং এই সময়ের কারণে, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন মিস করে ফেলে, যার জন্য এডুকেশন গ্যাপ বেড়ে যায় যার জন্য ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়
,
৬ স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকলে আন্ডার-গ্র্যাজুয়েটের স্টুডেন্টদের জন্য SAT/ ACT পরীক্ষা এবং স্নাতকোত্তর ছাত্রীদের জন্য GRE/ GMAT পরীক্ষার প্রস্তুতিতে আগে থেকে নেওয়া ভালো
,
৭ আপনার পরিচিত বা যে সকল শিক্ষকরা আপনাকে ভালো জানে, এই সকল শিক্ষকদের মধ্য থেকে দুইজন টিচারের রেকমেন্ডেশন লেটার সংগ্রহ করে রাখা
,
৮ SOP লেখার প্রিপারেশন ঃ বিদেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য SOP লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি প্রিপারেশন অনেক আগে থেকেই নেওয়া ভালো, যে কিভাবে আপনি এটাকে লিখবেন, এর জন্য অভিজ্ঞ ভাইদের সহযোগিতা নেওয়া বা বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ বা অন্য কোথা থেকে সহযোগিতা নেওয়া এবং নিজের মতো করে এটাকে প্রস্তুতি নেওয়া যাতে SOP ভাষাটা নিজের মতো করে হয়
,
৯ ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে মিল রেখে আপনি যে দেশে পড়তে যেতে চাচ্ছেন ওই দেশের মিনিমাম পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করে রাখা এবং যে সাবজেক্টে পড়তে যেতে চাচ্ছেন ওই সাবজেক্টটা যেন আপনার পূর্বের পড়া সাবজেক্ট এর সাথে মিল খায়,ধরেন ধরেন আপনি সায়েন্স থেকে এইচএসসি পাশ করছেন সুতরাং আপনাকে এমন কোন সাবজেক্টই পরবর্তীতে চয়েজ করতে হবে যেটা সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে মিল খায় বা ব্যবসা শিক্ষা বিষয় থেকে আগে পড়াশোনা করে থাকলে এমন সাবজেক্ট পছন্দ করতে হবে যেটা যেন ব্যাবসা শিক্ষার সাথে মিল থাকে
,
১০ আপনার বাজেট, আপনার পছন্দের শহর সহ সব কিছু বিষয় মাথায় রেখে মিনিমাম পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ আগে থেকে পছন্দ করে রাখা
,
১১ আপনি যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করবেন সে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের ডেডলাইনের দিকে খেয়াল রাখা এবং সে অনুযায়ী আগে থেকেই আবেদন করা
,
১২ ভলেন্টিয়ার সংগঠনে যুক্ত ঃআপনি যদি খুব সহজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করে সিলেক্ট হতে চান বা স্কলারশীপ পেতে চান এবং সহজেই ভিসা পেতে চান তাহলে কিছু ভলেন্টিয়ার সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকা এবং তার যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করে রাখা
,
১৩ বিদেশে গেলে বেশিরভাগ সময় আপনাকে নিজেকে নিজের রান্না করে খেতে হবে সুতরাং আগে থেকেই দেশ থেকে রান্না শিখে যাওয়া টা ভালো
,
১৪ যদি সম্ভব হয় ড্রাইভিং শেখা তাহলে শিখে ফেলুন, ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে রাখুন এবং যদি আরও সম্ভব হয় তাহলে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে রাখতে পারেন
,
১৫ যদি সম্ভব হয় তাহলে কম্পিউটারে নিজের স্কিল দেশ থেকে আপগ্রেড করে যান যেমন microsoft-office, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্টের কাজ শেখা এবং সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে রাখতে পারেন এটা বিদেশে আপনাকে অনেক সাপোর্ট দিবে
,
আমার কাছে এই ১৫ টা পয়েন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়ছিল, আশা করি অনেকের কাজে আসবে ।
©
22/08/2024
আসসালামুআলাইকুম,
ভালো নেই ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি সহ আরো অনেক জেলা 😭
সেই সাথে ভালো নেই আমার জন্মভূমি কুমিল্লা 😭😭😭
কুমিল্লার বেশিরভাগ উপজেলা খুব ভয়াবহ অবস্থায় আছে।
সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী 🤲🤲
আলহামদুলিল্লাহ!!
এই বিপদের মুহূর্তে আমি আমার নিজ এলাকায় আমার পরিবারসহ আমাদের এলাকার সকলের বিপদে পাশে থাকার জন্য নিরাপদে যথাসময়ে পৌঁছাতে পেরেছি।
আমাকেসহ আমাদের বন্যা কবলিত এলাকার সবাইকে আপনার মোনাজাতে অন্তত রাইখেন প্লিজ 🤲🤲
বিঃদ্রঃ বর্তমানে যেহেতু আমি আমার নিজ এলাকা কুমিল্লা দেবিদ্ধারে অবস্থান করছি তাই যেকোনো বিপদে আমাকে জানাতে পারেন ও যারা দূরবর্তী আছেন তারা আপডেট জানার জন্য নক করতে পারেন।
সর্বোপরি পুরো দেশবাসীকে আমাদের বন্যা কবলিত এলাকায় পাশে থাকার অনুরোধ রইলো।
অন্তত দোয়ার মাধ্যমে হলেও আমাদের বন্যা কবলিত এলাকার পাশে থাকুন।
21/08/2024
★HSC-24 পরিক্ষা বাতিল সংক্রান্ত যৌক্তিক আলোচনা★
আসসালামুআলাইকুম,
প্রথমেই, ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কারণ আমি অতি ক্ষুদ্র নগন্য একজন মানুষ।
তাই আমার ভূল হতে পারে সেটা স্বাভাবিক।
আমার কোন ভূল হলে সকলকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার এবং কষ্ট করে আমার এই দীর্ঘ লিখাটুকু পড়ার অনুরোধ রইলো।
যেহেতু আমি একজন শিক্ষক তাই নিজের চোখের সামনে প্রিয় ছোট ভাই-বোন ও শিক্ষার্থীদের এত বড় ক্ষতি দেখতে ও মানতে কষ্ট হচ্ছিলো সেজন্য নিজের দায়বদ্ধতা থেকে আমার একান্ত ব্যক্তিগত অভিমতটুকু শেয়ার করলাম।
যা একান্তই আমার নিজের অভিমত আবারও বলছি।।
আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষেরা অনেক কষ্ট করে আন্দোলন করে আমাদের এই দেশটাকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছি, বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া গনতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি।
আর এই বাক-স্বাধীনতার ফিরে পাওয়ার শক্তিতেই হয়তো এই লেখাগুলো মন খুলে লিখতে পারছি যার জন্য আমি সর্বপ্রথম আমার রব ও দ্বিতীয়ত আমার দেশের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের নিকট কৃতজ্ঞ।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা মন্ডলী আমরা দেশের সাধারণ মানুষেরা, অনেক আশা-ভরসা নিয়ে আপনাদেরকে এই দেশ সংস্কারের দায়িত্বে বসিয়েছি তাই অনুগ্রহপূর্বক আমাদের কে নিরাশ করবেন না প্লিজ 🙏🙏🙏
আমি শুরুতেই বলেই নিচ্ছি আমি আমার লিখার মাধ্যমে কোনভাবেই এই অর্ন্তবর্তী সরকারের বিরোধিতা করছিনা কেবলমাত্র বাক-স্বাধীনতার শক্তিতে আমার মতামত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
→প্রথমত, বর্তমান বাংলাদেশের দায়িত্বরত খুবই মেধাসম্পন্ন ও মেধাকে সর্বোচ্চ মূল্যায়নকারী মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা মন্ডলীদের কাছ থেকে HSC - 24 এর পরিক্ষা বাতিল করার এই অযৌক্তিক সিধান্তটি আমাকে রীতিমতো হতবাক করেছে এইজন্য যে ওনারা হয়তো নিশ্চয়ই জানেন, এইভাবে পরিক্ষা ছাড়া সাবজেক্ট ম্যাপিং এর ফলাফল এর নেতিবাচক দিকগুলো কতটা ক্ষতিকর হতে পারে একটা শিক্ষার্থীর দেশ ও বিশেষ করে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য।
এরপরও ওনাদের মতো মেধাসম্পন্ন ব্যাক্তি বর্গের কাছ থেকে এমন সিদ্ধান্ত কোনভাবেই কাম্য ছিলো না।
এখন, আপনারা যদি বলেন এটা তো উপদেষ্টা মন্ডলীরা সিদ্ধান্ত দেয়নি কিংবা ওনাদের সাথে পরামর্শ করা হয়নি।সিদ্ধান্ত দিয়েছেন দায়িত্বরত শিক্ষা সচিব তপন কুমার সরকার।
তাহলে, এখানে আমার প্রশ্ন, "জাতির এত বড় একটা সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা মন্ডলীদের পরামর্শ ব্যতীত কিভাবে গ্রহণ করা হয়?"
→দ্বিতীয়ত, আপনারা বলতেই পারেন, "এটা শিক্ষার্থীদের দাবি ছিলো সরকার শুধুমাত্র তা মেনে নিয়েছে।"
আমিও এটার সাথে একমত।
কিন্তু, এইখানে আমার একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, "ঢাকায় শুধুমাত্র কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের অবস্থান ও দাবির উপর নির্ভর করে কি প্রায় সাড়ে বারো লক্ষ শিক্ষার্থীদের জীবনের এত বড় ভূল সিদ্ধান্ত আপনারা সমর্থন করতে পারেন?"
এই সমর্থনের কারণে এটা দেখে পরবর্তী ব্যাচও যদি আবারো সামান্য কিছুতে পরিক্ষা বাতিলের দাবি জানায় তাহলে কি তাদের আন্দোলন দমাতে আবারো পরিক্ষা বন্ধ করে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের অটো পাশ দিবেন?
HSC - 24 শিক্ষার্থীরা তো সবেমাত্র ১৭-১৯ বছরের মধ্যে আছে তাই তাদের ভালো-মন্দ টা এখন হয়তো তারা ঐভাবে বুঝতে পারছে না।
কিন্তু, আপনারা তো মেধাসম্পন্ন।।
তাহলে, আপনারা কি চাইলে তাদের কে শান্তভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের ফলাফলের ক্ষতিকর দিকগুলো তাদের কাছে নমনীয় ভাবে তুলে ধরতে পারতেন না? 🤔
আপনাদের কি অন্তত এতটুকু দায়বদ্ধতা ছিলো না তাদের এই ভূল সিদ্ধান্ত টা যে তাদের জন্য ক্ষতিকর সেটা তাদেরকে বুঝানোর মত সময় ও মেধা তাদের পেছনে ব্যয় করার? 🤔
→সর্বশেষ, প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের বলছি,
আমি জানি, দেশ গঠনের এই দ্বিতীয় স্বাধীনতায় তোমাদের কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, তোমরা আন্দোলনের শেষ দিকে আমাদের এই স্বৈরাচার সরকার পতনের আন্দোলনটাকে কতটা বেগবান করেছো তা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি যেহেতু আমার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই কলেজ পড়ুয়া।।
আর এই আন্দোলনের জন্য অবশ্যই তোমাদের পড়াশোনার খুব বড় ক্ষতি হয়েছে তাই, তোমরা এই পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছোনা।
কিন্তু, একটাবার চিন্তা করে দেখো, পরিক্ষায় তোমাদের পড়াশোনা ক্ষতি হয়েছে বলে তোমরা কি তোমাদের ভবিষ্যৎ টাকে আরো ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাও?
তোমরা নিজেরাও বুঝতেছোনা যে, তোমরা না চাইতেও নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করে ফেলতেছো।
তোমরা প্রায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই পরিক্ষা শুরুর আগেই তোমাদের সকল বিষয়ের পড়া গুছিয়ে নিয়েছিলে নিশ্চয়ই?
এখন, যেহেতু আমাদের দেশ স্থিতিশীল হচ্ছে তাই তোমরা একটু সময় নিয়ে মাত্র সামান্য রিভিশন করে নিলে ৫০ নাম্বারের যেই পরীক্ষা সেটা খুব ভালোভাবেই দিতে পারবে এবং এতে তোমাদের ফলাফল সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের চেয়ে ভালো আসবে ইনশাআল্লাহ।
এটা হলে, তোমাদের জন্য ভালো, মাত্র সামান্য কিছু পড়াশোনা দিয়েই খুব ভালো ফলাফল করতে পারবা যেহেতু ১০০ নাম্বারের প্রশ্নে মাত্র ৫০ নাম্বার উত্তর দিতে হবে।
একটু চিন্তা করে দেখলেই বুঝবে প্রতি বিষয়ের মাত্র ২/৩ টা অধ্যায়ের প্রিপারেশন নিলেই তোমরা এই বিষয়গুলোতে নিশ্চিত এ+ তুলতে পারবে যা তোমাদের অনেকেরই হয়তো সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হলে মিস হয়ে যাবে 🤔
আর, তার থেকেও বড় বিষয় এই ফলাফল টুকু হবে তোমার কষ্টার্জিত ফলাফল যার গৌরব অনেক বেশি যেটা তোমরা সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের ফলাফলে পাবেনা।। 😊
এবং দেশ ও বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ও চাকরির ক্ষেত্রে তোমাদেরকে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের ফলাফলের ক্ষতির দিকগুলোতে পড়তে হবেনা।
আর, দেশে প্রায় সাড়ে বারো লক্ষ HSC-24 পরিক্ষার্থী রয়েছে তাই মাত্র কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদের দাবির উপর নির্ভর করে প্রায় সাড়ে বারো লক্ষ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত এভাবে অনিশ্চয়তায় ফেলে দিতে পারেন না। 🤔
তাই, এমন একটি সিদ্ধান্ত চাই যেখানে সকল শিক্ষার্থীদেরই মজ্ঞল হবে ইনশাআল্লাহ।
সর্বোপরি, এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে বাতিল করার ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎকে সুন্দরভাবে গড়তে দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করার অনুরোধ জানাচ্ছি।