02/03/2023
#ফিজিক্সফান।
দৌড়ালে ওজন কমে। এটা কি সত্যি? আমরা ওজন কমানোর জন্য অনেকে দৌড়াই। দৌড়ালে শরীরের ক্যালরি বার্ন হয় ফলে ওজন কমে। কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞানের পরিভাষায় ভর বা mass একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র অনুযায়ী একটি বস্তু যত জোরে গতিশীল থাকবে তার ভর তত বেশি হবে। গতিশীল বস্তুর ভর বৃদ্ধি পায় এটি একটি গাণিতিকভাবে প্রমাণিত সত্য। ছবির সূত্রটি অনুযায়ী কোন বস্তুর বেগ আলোর গতির যত কাছাকাছি যাবে সে বস্তুর ভর তত বৃদ্ধি পাবে। তাহলে কি উসাইন বোল্ট যখন দৌড়ায় তার ভরও কি বাড়ে? হ্যাঁ, বাড়ে তবে উসাইন বোল্টের গতি আলোর গতির তুলনায় যেমন অত্যন্ত কম সেরকম ভরের বৃদ্ধিটাও হয় অত্যন্ত নগণ্য।
01/03/2023
কিছু কিছু শামুক ঘুমাতে পারে টানা তিন বছর, এটা কি সত্যি? হ্যাঁ, এটা সত্যি। শামুকের বেঁচে থাকার জন্য দরকার আর্দ্র আবহাওয়া। আবহাওয়া কোন কারনে শুষ্ক হয়ে গেলে শামুক সেই আবহাওয়া থেকে বাঁচার জন্য ঘুমিয়ে পড়ে। এ সময় শামুকের দেহ থেকে এক ধরনের মিউকাস জাতীয় পদার্থ নিঃসৃত হয় যার মাধ্যমে শামুক নিজেকে আর্দ্র এবং পিচ্ছিল রাখে। শুষ্ক আবহাওয়া দীর্ঘায়িত হলে শামুক কোন রকম খাদ্য গ্রহণ ব্যতীত টানা তিন বছর ঘুমিয়ে থাকার রেকর্ড রয়েছে।
01/03/2023
একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর যেসব ছাত্র-ছাত্রীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে চাও, এখন থেকেই প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য ব্যয় করো। এখন ব্যয় করা এই সামান্য সময় ভর্তিযুদ্ধে তোমাকে এগিয়ে দেবে বহুদূর। ডক্টরস এইচএসসি সলিউশন তোমাদেরকে দিচ্ছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজির একাডেমিক কোর্স প্লাস প্রত্যেক ক্লাসের পর মাত্র ৩০ মিনিটের মেডিকেল ভর্তির এডভান্স কোর্স। যারা জীবনে ডাক্তার হওয়া ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারো না তাদের জন্য এই কোর্স উপকারী হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। ১০ মার্চের মধ্যে ভর্তি হলে সম্পূর্ণ কোর্সে "৭০% ডিসকাউন্ট"।
রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগাযোগ করো
01789274385, চকবাজার শাখা ও জিইসি শাখা।
26/02/2023
উদ্ভিদ কোষে কোষ প্রাচীরের নিচে প্রোটোপ্লাজমকে ঘিরে যে সজীব ঝিল্লি থাকে তাকে প্লাজমা মেমব্রেন বা কোষঝিল্লি বলে। কোষ ঝিল্লির গঠন নিয়ে অনেকগুলো মডেল প্রস্তাব করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মডেল হল ফ্লুইড মোজাইক মডেল। ১৯৭২ সালে বিজ্ঞানী সিঙ্গার ও নিকলসন এই মডেল প্রস্তাব করেন। এই মডেল অনুযায়ী কোষ দিল্লি অনেকটা তরল বা ফ্লুইডের মত আচরণ করে।
কতগুলো প্রোটিন অনু এরমধ্যে মোজাইকের মত ভেসে থাকে। এ কারণে একে ফ্লুইড মোজাইক মডেল বলে। প্রোটিন অনুগুলো সমুদ্রে ভাসমান বরফের চাই বা আইসবার্গ এর মত ভেসে থাকে বলে একে আইসবার্গ মডেলও বলা হয়। এই মডেল অনুযায়ী প্লাজমা মেমব্রেন বা কোষ ঝিল্লি একটি দ্বিস্তর বিশিষ্ট ফসফোলিপিড অনু দ্বারা গঠিত। প্রতিটি ফসফোলিপিডের একটি ফসফেট মাথা এবং দুইটি ফ্যাটি এসিড লেজ থাকে। মাথা এবং লেজের মধ্যে একটি গ্লিসারল অণু থাকে। ফ্যাটি এসিড লেজটি নন পোলার হওয়ার কারণে এটি এটি পানিকে বিকর্ষণ করে। এ কারণে লেজটিকে হাইড্রোফোবিক বা পানি বিদ্বেষী বলা হয়। ফসফেট মাথাটি পোলার হওয়াতে এটি পানিকে আকর্ষণ করে। এ কারণে মাথাটিকে পানিগ্রাহী বা হাইড্রোফিলিক বলা হয়। উভয়স্তরের মাথা দুটি বিপরীত দিকে এবং লেজ দুটি মুখোমুখি অবস্থান করে। এই দ্বিস্তর বিশিষ্ট ফসফোলিপিড কোন কঠিন পদার্থ নয় বরং তরল পদার্থের মত আচরণ করে। এই তরল ফসফোলিপিডে প্রোটিন এবং কোলেস্টেরল অনু ভাসমান থাকে। এই ভাসমান প্রোটিন তিন ধরনের। ইন্টিগ্রাল প্রোটিন, পেরিফেরাল প্রোটিন এবং লিপিড সম্পৃক্ত প্রোটিন। ইন্টিগ্রাল প্রোটিন লিপিড বাইলেয়ারের ভিতরে অবস্থান করে। পেরিফেরাল প্রোটিন লিপিড বাইলেয়ারের বাইরের দিকে অবস্থান করে। লিপিড সম্পৃক্ত প্রোটিন লিপিড বাইলেয়ারের বাইরে অবস্থান করলেও এটি লিপিড বাইলেয়ারের সাথে সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। এছাড়া প্লাজমা মেমব্রেনের উপর গ্লাইকো প্রোটিন এবং গ্লাইকো ক্যালিক্স নামক চিনির স্তর থাকে।
23/02/2023
একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর যেসব ছাত্র-ছাত্রীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে চাও, এখন থেকেই যদি প্রতিদিন 15 থেকে 30 মিনিট সময় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য ব্যয় করো, এখন ব্যয় করা এই সামান্য সময় ভর্তিযুদ্ধে তোমাকে এগিয়ে দেবে বহুদূর। ডক্টরস এইচএসসি সলিউশন তোমাদেরকে দিচ্ছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি প্রত্যেক ক্লাসের পর মাত্র ৩০ মিনিটের মেডিকেল ভর্তির এডভান্স কোর্স সম্পূর্ণ ফ্রি। একাডেমিক পড়াশোনার যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য যা পড়ানোর ক্লাসেই পড়ানো হবে বাসায় গিয়ে এক লাইনও পড়তে হবে না। যারা জীবনে ডাক্তার হওয়া ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারো না তাদের জন্য এই কোর্স উপকারী হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
প্রত্যেক সপ্তাহে থাকছে ২ টি ফ্রি যাচাই ক্লাস। ফ্রি ক্লাসে রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগাযোগ করো
01789274385, চকবাজার শাখা ও জিইসি শাখা।
14/01/2023
নটোকর্ডঃ
প্রশ্নঃ স্যার নটোকর্ড কি?
উত্তরঃ মেসোডার্ম উদ্ভূত কোষ দিয়ে গঠিত ভ্রূণাবস্থায় বা আজীবন দেহের পৃষ্ঠ-মধ্যরেখা বরাবর অবস্থিত কিছুটা নমনীয়, স্থিতিস্থাপক ও ছিদ্রযুক্ত দন্ডকে নটোকর্ড বলে।
প্রশ্নঃ স্যার আরেকটু সহজ করে বুঝিয়ে বললে ভালো হতো।
উত্তরঃ মানুষের পিঠে একটি মেরুদন্ড থাকে না? ভ্রূণাবস্থায় এই মেরুদন্ডটা নরম এবং নমনীয় থাকে। একেই নটোকর্ড বলে। কোন কোন প্রাণির ক্ষেত্রে এই নটোকর্ড সারাজীবন থাকে। কোন কোন প্রাণির ক্ষেত্রে এই নটোকর্ডটি শক্ত হয়ে মেরুদন্ডে পরিণত হয়। যে পর্বের প্রাণিদের নটোকর্ড থাকে তাকে কর্ডাটা পর্ব বলে। কর্ডাটা পর্বের অধীনে যে উপপর্বের প্রাণিদের নটোকর্ড পরিণত অবস্থায় মেরুদন্ডে পরিণত হয় সেই উপপর্বকে ভার্টিব্রাটা বলে। আগেই বলেছিলাম যেসব প্রাণির ভ্রূণে তিনটি কোষস্তর থাকে তাদেরকে ত্রিস্তরী প্রাণি বলে। মাঝের কোষস্তরটি কে বলে মেসোডার্ম। নটোকর্ড এই মেসোডার্ম থেকে আসে।
স্যারঃ পৃষ্ঠ-মধ্যরেখা বলতে কি বুঝিয়েছে?
উত্তরঃ কোন প্রাণির পিঠের মাঝামাঝি ঘাড় থেকে কোমর পর্যন্ত যদি একটা রেখা আকো ঐটাই পৃষ্ঠ-মধ্যরেখা।
প্রশ্নঃ স্যার নমনীয় আর স্থিতিস্থাপক তো একই জিনিস। সংজ্ঞা তে দুইটা টার্মই ব্যবহার করলো কেন?
উত্তরঃ না, পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় এই দুটো এক নয়। সহজ ভাবে বললে যদি কোন পদার্থ কে বাকানো যায় তাকে নমনীয় বলে। আবার ছেড়ে দিলে যদি তা বাকানো অবস্থা থেকে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে তাকে স্থিতিস্থাপক বলে।
প্রশ্নঃ স্যার যেসকল প্রাণিদের দেহে নটোকর্ড থাকে না তাদেরকে কি বলবো?
উত্তরঃ ননকর্ডেট।
প্রশ্নঃ আর যাদের দেহে নটোকর্ড থাকে?
উত্তরঃ তাদেরকে কর্ডেট বলে। কর্ডাটা পর্বের সকল প্রাণিই কর্ডেট। কর্ডাটা পর্বের তিনটি উপপর্ব আছে। ১) ইউরোকর্ডাটা ২) সেফালোকর্ডাটা ৩) ভার্টিব্রাটা।
ইউরোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণিদের নটোকর্ড শুধুমাত্র লার্ভাদশায় থাকে। তাও আবার পিঠে নয় শুধু লেজের দিকে।
সেফালোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণিদের নটোকর্ড মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত থাকে এবং সারাজীবন থাকে।
কর্ডাটা উপপর্বের প্রাণিদের নটোকর্ড শুধুমাত্র ভ্রূণীয় অবস্থায় থাকে। পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় তা মেরুদন্ডে পরিণত হয়।
প্রশ্নঃ স্যার লাস্ট একটা প্রশ্ন। নটোকর্ড নরম থাকে কেন?
উত্তরঃ কারণ নটোকর্ড তরুনাস্থি দিয়ে তৈরি হয়। নটোকর্ডের কিছু তরুনাস্থি মেরুদন্ডে থেকে যায়। এদেরকে আন্তঃকশেরুকীয় তরুনাস্থি বলে। এখন আবার এটা নিয়ে কোন প্রশ্ন করো না। মানবদেহ পড়ানোর সময় এটা বিস্তারিত আলোচনা হবে।
12/01/2023
সিলোমঃ
প্রশ্নঃ স্যার সিলোমের উপর ভিত্তি করে প্রাণি সমূহ কিভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা যায়?
উত্তরঃ ১) এসিলোমেট, ২)স্যুডোসিলোমেট বা অপ্রকৃত সিলেট ও ৩) ইউসিলোমেট বা প্রকৃত সিলোমেট।
প্রশ্নঃ স্যার এসিলোমেট কি?
উত্তরঃ যাদের ভ্রূণীয় পরিস্ফুটনের সময় সিলোম থাকে না তাদেরকে এসিলোমেট প্রাণি বলে।
প্রশ্নঃ স্যার সিলোম থাকে না কেন?
উত্তরঃ আসলে ভ্রূণীয় পরিস্ফুটনের সময় সব প্রায় প্রাণির ক্ষেত্রেই একটা অন্তঃস্থ ফাকা স্থান থাকে। একে ব্লাস্টোসিল বলে। এসিলোমেট প্রাণির ক্ষেত্রে এই ব্লাস্টোসিল নামক গহবরটি মেসোডার্মাল স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা কোষ দ্বারা পূর্ণ থাকে। তাই এদেরকে এসিলোমেট প্রাণি বলে।
প্রশ্নঃ স্যার মেসোডার্মাল স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা কি?
উত্তরঃ সোফার মধ্যে যে ফোম থাকে দেখেছো? লক্ষ্য করলে দেখবে ফোমের মধ্যে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। মেসোডার্ম থেকে উদ্ভুত এরকম ছোট ছোট ছিদ্রযুক্ত টিস্যু কে মেসোডার্মাল স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা বলে। উদ্ভিদবিজ্ঞান যখন পড়াবো তখন দেখবে উদ্ভিদের মধ্যেও স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা থাকে।
প্রশ্নঃ স্যার স্যুডোসিলোমেট বলতে কি বুঝায়
উত্তরঃ স্যুডোসিলোমেট প্রাণিও সিলোম বিহীন তবে ভ্রূণীয় পরিস্ফুটনের সময় অন্তঃস্থ ফাকা স্থানটি (ব্লাস্টোসিল) ঘিরে কখনো কখনো মেসোডার্মাল কোষস্তর অবস্থান করে। কিন্তু কোষগুলো কখনও পূর্ণ কোষস্তর বা পেরিটোনিয়াম সৃষ্টি করে ব্লাস্টোসিলকে সম্পূর্ণ বেস্টন করে না।
প্রশ্নঃ স্যার এতো কঠিন করে বললে কিভাবে বুঝবো?
উত্তরঃ আমরা জানি ত্রিস্তরী প্রাণির ভ্রূণীয় পরিস্ফুটনের সময় মেসোডার্ম স্তর থেকে সৃষ্ট যে গহবর মেসোডার্মাল কোষে নির্মিত পেরিটোনিয়াম নামক ঝিল্লিতে আবৃত থাকে তাকে সিলোম বলে। সিলোম হবার শর্ত দুইটি। একটি গহবর থাকতে হবে এবং গহবরটি পেরিটোনিয়াম নামক মেসোডার্মাল কোষস্তর দ্বারা সম্পূর্ণ আবৃত থাকতে হবে। স্যুডোসিলোমেট প্রাণির ভ্রূণীয় কোষস্তরে গহবর থাকলেও সেটি মেসোডার্মাল কোষস্তর দ্বারা আবৃত থাকে না, অথবা আবৃত থাকলেও সেই আবরণটি অসম্পূর্ণ। অর্থাৎ স্যূডোসিলোমেট প্রাণি সিলোম থাকার একটি শর্ত পূরণ করলেও অপর শর্তটি পূরণ করে না। তাই এদেরকে স্যূডোসিলোমেট প্রাণি বলে। স্যূডো (pseudo) শব্দের অর্থ হলো নকল বা মিথ্যা।
প্রশ্নঃ স্যার ইউসিলোমেট প্রাণি বলতে কি বুঝি?
উত্তরঃ এরা প্রকৃত সিলোমযুক্ত প্রাণি কারণ ভ্রূণিয় মেসোডার্মের অভ্যন্তর থেকে গহবররূপে সিলোম উদ্ভুত হয় এবং চাপা, মেসোডার্মাল এপিথেলিয়াল কোষে গঠিত পেরিটোনিয়াম স্তরে সম্পূর্ণ বেষ্টিত থাকে।
প্রশ্নঃ স্যার এবার আমি এটা সহজ করে বলি?
উত্তরঃ বলো।
প্রশ্নঃ সিলোম গঠিত হওয়ার যে দুটো শর্ত বলেছিলেন সে দুটোই যেসব প্রাণি পূরণ করে তাদেরকে ইউসিলোমেট প্রাণি বলে। ঠিক না স্যার?
উত্তরঃ exactly.
প্রশ্নঃ স্যার লাস্ট একটা প্রশ্ন। চাপা মেসোডার্মাল এপিথেলিয়াল কোষ বলা হয়েছে। "চাপা" কথাটা দিয়ে কি বুঝানো হয়েছে।
উত্তরঃ একধরণের এপিথেলিয়াল কোষ আছে যারা মাছের আইশের মতো চ্যাপ্টা। এদেরকে চাপা এপিথেলিয়াল কোষ বা স্কোয়ামাস এপিথেলিয়াল কোষ বলে।
11/01/2023
সিলোম (Coelom):
প্রশ্নঃ স্যার সিলোম কি?
উত্তরঃ ত্রিস্তরী প্রাণির ভ্রূণীয় পরিস্ফুটনের সময় মেসোডার্ম স্তর থেকে সৃষ্ট যে গহবর মেসোডার্মাল কোষে নির্মিত পেরিটোনিয়াম নামক ঝিল্লিতে আবৃত থাকে তাকে সিলোম বলে।
প্রশ্নঃ স্যার মাথার উপর দিয়ে গেলো।
উত্তরঃ মনে করো মানুষের পেটের ভিতর পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্র, যকৃত ইত্যাদি অঙ্গ আছে। এদের থাকার জন্য একটা গহবর লাগবে না? এই গহবর কেই সিলোম বলে। তবে একটা ব্যাপার হলো যখন মানুষ বা অন্য প্রাণী গর্ভাবস্থায় ভ্রূণীয় পর্যায়ে থাকে তখনই এই গহবর কে সিলোম বলে। পরিণত বয়সে এই সিলোম কে অন্য নামে ডাকা হতে পারে। যেমন মানুষের পেটের অভ্যন্তরের গহবর কে পেরিটোনিয়াল ক্যাভিটি বলে। অর্থাৎ সহজ ভাষায় বোঝার জন্য বললে মানুষের ভ্রূণের জন্য যেটা সিলোম, পরিপূর্ণ মানুষের জন্য সেটা পেরিটোনিয়াল ক্যাভিটি।
প্রশ্নঃ স্যার ত্রিস্তরী প্রাণি ব্যাপারটা কি?
উত্তরঃ প্রাণিদেহের একেকটা অঙ্গ ভ্রূণের একেক স্তরের কোষ থেকে উৎপত্তি হয়। উন্নত প্রাণির ক্ষেত্রে ভ্রূণের তিন স্তরের কোষ থাকে। এক্টোডার্ম, মেসোডার্ম ও এন্ডোডার্ম। এই ধরণের প্রাণিকে ত্রিস্তরী প্রাণি বলে। যেমন মানুষ একটি ত্রিস্তরী প্রাণি। সিলোম কিন্তু মেসোডার্ম থেকে আসবে। সিলোম কে আবৃত করে রাখা পেরিটোনিয়াম নামক ঝিল্লিও মেসোডার্ম থেকে আসবে। আরেকটা বিষয় খেয়াল করতে হবে সিলোম, এক্টোডার্ম, মেসোডার্ম, এন্ডোডার্ম এই টার্মগুলো সাধারণত ভ্রূণের জন্য ব্যবহৃত হয়, পরিপূর্ণ প্রাণির জন্য নয়।
চলবে..
Disclaimer: বুঝার সুবিধার্থে কিছু বিষয়কে অতি সরলীকরণ করা হয়ে থাকতে পারে।
11/01/2023
প্রতিসাম্য:
প্রশ্নঃ স্যার দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসাম্য কি?
উত্তরঃ যখন কোন প্রাণীর দেহকে কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর শুধু একবার ডান ও বাম পাশে অর্থাৎ স্যাজিটাল তল বরাবর দুটি সদৃশ অংশে ভাগ করা যায় তখন তাকে দ্বিপার্শীয় প্রতিসাম্য বলে।
প্রশ্নঃ স্যার আরেকটু বুঝিয়ে বলুন।
উত্তরঃ কোন মানবদেহকে মাঝ বরাবর দুই ভাগ করলে প্রত্যেক ভাগে একটি করে হাত, একটি করে পা, একটি করে চোখ, কান ইত্যাদি থাকবে। অর্থাৎ দুই পাশে সমান সমান দুইটি অংশে বিভক্ত হবে। এটাই দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসাম্য৷ কমেন্টে চিত্র দেখো।
প্রশ্নঃ স্যার স্যাজিটাল তল কি?
প্রশ্নঃ যে তল বরাবর একটা মানবদেহকে কাটলে দেহটি ডান ও বাম দুই অংশে বিভক্ত হয় তাকে স্যাজিটাল তল বা অনুদৈর্ঘ্য তল বলে। কমেন্টে চিত্র দেখো।
প্রশ্নঃ স্যার আর কোন ধরণের তল আছে?
উত্তরঃ যে তল বরাবর কাটলে মানবদেহ সম্মুখ ও পশ্চাত দুই অংশে বিভক্ত হয় তাকে করোনাল তল বা সম্মুখ তল বলে। যে তল বরাবর কাটলে মানবদেহ উপরের অংশ ও নীচের অংশ এই দুই অংশে বিভক্ত হয় তাকে ট্রান্সভার্স তল বা অনুপ্রস্থ তল বলে। কমেন্টে চিত্রে দেখো।
প্রশ্নঃ স্যার দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম প্রাণি কি কি আছে?
উত্তরঃ প্রথমত তুমি নিজেই দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম। অর্থাৎ মানুষ দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম প্রাণি। এছাড়া প্রজাপতি, মাছি, কচ্ছপ, ব্যাঙ ইত্যাদি দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসাম্যের উদাহরণ।
চলবে..
10/01/2023
প্রতিসাম্যতাঃ
প্রশ্নঃ স্যার দ্বিঅরীয় প্রতিসাম্য কি?
উত্তরঃ কোন প্রাণীদেহে যখন কোন অঙ্গের সংখ্যা একটি বা একজোড়া হওয়ায় অনুদৈর্ঘ্য অক্ষ বরাবর শুধু দুটি তল পরস্পর সমকোণে অতিক্রম করতে পারে ফলে ঐ প্রাণিদেহ ৪ টি সদৃশ অংশে বিভক্ত হতে পারে। এ ধরণের প্রতিসাম্য হচ্ছে দ্বিঅরীয় প্রতিসাম্য।
প্রশ্নঃ স্যার খুবই জটিল, কিছুই তো মাথায় ঢুকলো না।
উত্তরঃ মনে করো কোন কোন প্রাণীর দুটো হাত আছে। তাকে তুমি এমন ভাবে দুই ভাগ করলে যেন প্রত্যেক ভাগেই দুইটি হাতই অর্ধেক অর্ধেক থাকে । এরপর প্রত্যেক কে আবার দুই ভাগ করলে যেন চারটা ভাগের প্রত্যেকের মধ্যে একটা হাতের অর্ধেক করে থাকে। এটাই দ্বি অরীয় প্রতিসাম্য। দ্বি অরীয় প্রতিসম প্রাণিকে চারটি সমান ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রশ্নঃ স্যার তারপরেও মাথার উপর দিয়ে গেলো।
উত্তরঃ কমেন্টের চিত্রে দেখো। এরপরেও না বুঝলে বাকিটা ক্লাসে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
প্রশ্নঃ স্যার দ্বি অরীয় প্রতিসম কোন কোন প্রানী আছে?
উত্তরঃ Ctenophora পর্বভূক্ত প্রাণি Ceoloplana. ( কমেন্টে ছবি দেখো)
প্রশ্নঃ স্যার দ্বিঅরীয় প্রতিসম হয়ে লাভ কি?
উত্তরঃ লাভ হচ্ছে এদের সাধারণত দুইটি কর্ষিকা থাকে ফলে এরা শরীরের উভয়দিকে খাদ্য বা বিপদ শনাক্ত করতে পারে।
চলবে..
09/01/2023
প্রতিসাম্য (Symmetry):
প্রশ্নঃ প্রতিসাম্য কি?
উত্তরঃ প্রতিসাম্য বলতে প্রাণিদেহের মধ্যরেখীয় তলের দুপাশে সদৃশ বা সমান আকার আকৃতি বিশিষ্ট অংশের অবস্থা বোঝায়।
প্রশ্নঃ আরেকটু সহজ করে বুঝিয়ে বলুন।
উত্তরঃ কোন প্রাণিকে কোন তল বা অক্ষ বরাবর কেটে সমান সমান অংশে ভাগ করা যায় কিনা তাকেই প্রতিসাম্য বলে।
প্রশ্নঃ যদি সমান সমান অংশে ভাগ করা না যায় তাকে কি বলবো?
উত্তরঃ অপ্রতিসম।
প্রশ্নঃ আর যদি সমান সমান অংশে ভাগ করা যায় তাকে কি বলবো?
উত্তরঃ প্রতিসম।
প্রশ্নঃ তল বা অক্ষ কি?
উত্তরঃ ১ নং কমেন্টের চিত্র দেখো।
প্রশ্নঃ প্রাণীদের কি কি ধরণের প্রতিসাম্য আছে?
উত্তরঃ গোলীয় প্রতিসাম্য, অরীয় প্রতিসাম্য, দ্বিঅরীয় প্রতিসাম্য, দ্বিপার্শীয় প্রতিসাম্য, অপ্রতিসাম্য।
প্রশ্নঃ গোলীয় প্রতিসাম্য কি?
উত্তরঃ একটি গোলককে যেভাবে কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত যে কোন তল বরাবর সদৃশ বা সমান অংশে ভাগ করা যায় তেমনি ভাবে কোন প্রাণিদেহকে যদি ভাগ করা যায় তাকে গোলীয় প্রতিসাম্য বলে।
প্রশ্নঃ আরেকটু সহজ করে বলবেন?
উত্তরঃ একটা বল বা গোলককে যদি যে কোন দিক থেকে মাঝ বরাবর কাটা হয় বলটি দুইটি সমান ভাগে বিভক্ত হয়। এটাই গোলীয় প্রতিসাম্য। ২ নং কমেন্টের চিত্র দেখো।
প্রশ্নঃ গোলীয় প্রতিসম প্রাণী কি কি আছে?
উত্তরঃ volvox, Radiolaria, Haliozoa ইত্যাদি এক কোষী প্রোটিস্টান জীব। ৩ নং কমেন্টে চিত্র দেখো।
প্রশ্নঃ স্যার প্রোটিস্টান জীব কি জিনিস?
উত্তরঃ এক কোষী জীবের জগত বা কিংডম কে প্রোটিস্টা বলে। প্রোটিস্টা জগতের অন্তর্গত জীবদেরকে প্রোটিস্টান বলে।
প্রশ্নঃ অরীয় প্রতিসাম্য কি?
উত্তরঃ কোন প্রাণির দেহকে যদি কেন্দ্রীয় লম্ব অক্ষ বরাবর কেটে সদৃশ দুইয়ের বেশি সংখ্যক অর্ধাংশে ভাগ করা যায় তখন সে ধরণের প্রতিসাম্যকে অরীয় প্রতিসাম্য বলে।
প্রশ্নঃ আরেকটু সহজ বলবেন কি? মাথায় কিছু ঢুকছে না।
উত্তরঃ একটা পানির গ্লাসকে লম্বালম্বি ভাবে যে কোন তল বরাবর কাটলে দুইটি সমান ভাগে ভাগ হয়। এটিই অরীয় প্রতিসাম্য। ৪ নং কমেন্টের চিত্র দেখো।
প্রশ্নঃ স্যার অরীয় প্রতিসাম্যের কোন উদাহরণ আছে?
উত্তরঃ হাইড্রা, জেলিফিশ, সী এনিমন। ৫ নং কমেন্টের চিত্র দেখো।
প্রশ্নঃ স্যার এরা অরীয় প্রতিসম কেন?
উত্তরঃ একটু কল্পনা করে দেখো, এরা সবাই গ্লাস, পানির বোতল বা ছাতার মতো আকৃতি হওয়ায় এদেরকে লম্বালম্বি ভাবে সমানভাগে ভাগ করা যায়। তাই এরা অরীয় প্রতিসম। ৫ নং কমেন্টের চিত্র দেখো।
চলবে..