📕📕
অনুভূতি দিয়ে মনের মণিকোঠায়
পরম সত্তা আপনার
প্রতিপালক মহান আল্লাহ্কে
স্মরন করার সাথেসাথে তাঁর
দেয়া নিয়ামতগুলোকেও স্মরন করুন
দেখবেন, আপনার মনে প্রশান্তি চলে এসেছে…
বিপদের দিনগুলো স্মরন করুন
সে সময়ে কিভাবেই না
তিনি আপনাকে ঐ অবস্থা
থেকে এখনো বেঁচে রেখেছেন…
এভাবে অনুভূতি দিয়ে এগুতে থাকুন
আপনার রবের দিকে আশা নিয়ে
আর চিন্তা করুন তাঁর দেয়া নিয়ামতের ব্যাপারে জবাবদিহীতা নিয়ে। কেননা কিছু মানুষকে মহান আল্লাহ ভাল কাজের প্রতিদান দুনিয়াতেই দিয়ে শেষ করবেন পরকালে আগুন ছাড়া কিছুই নেই।
নিয়ত করুন ভাল কাজের।
এবার চিন্তা করে দেখুন আপনার রব কতইনা ভাল যে
একটি ভাল কাজের নিয়ত করলেই একটা সওয়াব
দিবেন যা নাকি উহুদ পাহাড় সমান ব্যয়বহুল ও মূল্যবান স্বর্ণের দামের সমান।
এভাবে ধীরে ধীরে নিশ্চিন্তে আপনার রবের দিকে আসুন তওবা করুন আর আপনার রব যা নিষেধ করেছেন তা কখনোই আর আপনি করবেন না ।
এবার তাঁর প্রতি সুধারণা করুন যা আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।
এবার মনে মনে সেই অন্তহীন গভীর অকৃত্রিম অনুভূতির আলো দিয়ে উপলব্ধি করুন
তাঁর পবিত্রতা ঘোষনা করুন সুবহানআল্লাহ।
আবার ও মনে মনে উপলব্ধি করুন তাঁর দয়াময়তার কথা আর অন্তরের গভীর অনুভূতি দিয়ে প্রশান্তি ও সন্তুষ্টির সুরে "আলহামদুলিল্লাহ" বলুন।
মহান রাব্বুল আলামীন এর ডাকে আজানের সাথে সাথে মসজিদের পানে ছুটে চলুন
আর মনে করুন একদিন দুনিয়ার কাজ
তো ছাড়তেই হবে আর একদিন
দেহ নামক খাচাঁটা ও ছাড়তে হবে এবার নয়ন ভরে দেখে নিন
মসজিদে রাখা শেষ বাহনরুপ খাটিয়া।!
এবার আল্লাহ্র রহমত চেয়ে দুখুল মসজিদ
দুরাকাত সালাত আদায় করুন সালাতে
মনোযোগ দিয়ে আপনার রবের কথা শুনুন
অনুভূতির কান দিয়ে দেখবেন আপনার রব
কি বলেছেন সারাদিন যাঁকে ভয় করেছেন
তাঁর জন্যই কাজ করেছেন
এভাবেই তাঁর প্রতিবিশ্বাস ধরে থেকে প্রতিদিন
পার করুন। এভাবে পজেটিভ ধারনাই আপনাকে রবের দিকে চলতে শেখাবে
📕📕
এবার উপরের চিন্তার সাথে মিলিয়ে নিন।
(১)আপনি আপনার রব-আল্লাহ্ কে অস্বীকার করেননি না দেখেই বিশ্বাস করেছেন এজন্য পাবেনঃ-
সূরা ইয়াসীন:11 - আপনি কেবল তাদেরকেই সতর্ক করতে পারেন, যারা উপদেশ অনুসরণ করে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। অতএব আপনি তাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে দিন ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের।
সূরা আল মুলক:6 - যারা তাদের পালনকর্তাকে অস্বীকার করেছে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্থান।
(২)আপনি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তথা মোরসালীনদের অনুসরণ করেছেনঃ
সূরা ইয়াসীন:20 - অতঃপর শহরের প্রান্তভাগ থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এল। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় তোমরা রসূলগণের অনুসরণ কর।
সূরা ইয়াসীন:21 - অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত।
(৩)আপনি আল্লাহ্র কথা শোনেছেন সেই মত
কাজ করেছেনঃ
সূরা ইয়াসীন:60 - হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?
সূরা ইয়াসীন:61 - এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ।
সূরা আল-যুমার:10 - বলুন, হে আমার বিশ্বাসী বান্দাগণ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। যারা এ দুনিয়াতে সৎকাজ করে, তাদের জন্যে রয়েছে পুণ্য। আল্লাহর পৃথিবী প্রশস্ত। যারা সবরকারী, তারাই তাদের পুরস্কার পায় অগণিত।
(৪)আল্লাহ্র ভয়ে আপনার শরীরের লোম কাঁটাদিয়ে উঠেছিলঃ
সূরা আল-যুমার:23 - আল্লাহ উত্তম বাণী তথা কিতাব নাযিল করেছেন, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, পূনঃ পূনঃ পঠিত। এতে তাদের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে চামড়ার উপর, যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে, এরপর তাদের চামড়া ও অন্তর আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়। এটাই আল্লাহর পথ নির্দেশ, এর মাধ্যমে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।
(৫)আল্লাহ্ ভয়ে সবার আগে মসজিদে এসেছেন সকাল সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকেন রাতে ও সেজদা দিয়ে থাকেনঃ
সূরা আল-যুমার:9 - যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশংকা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না; বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।
সূরা সেজদাহ:16 - তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে আলাদা থাকে। তারা তাদের পালনকর্তাকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।
সূরা সেজদাহ:17 - কেউ জানে না তার জন্যে কৃতকর্মের কি কি নয়ন-প্রীতিকর প্রতিদান লুক্কায়িত আছে
(৬)অসংখ্য কাজ রেখে মসজিদে এসেছেন ইমামের কথাও শুনলেন কেননা আপনি আখিরাত জীবন বিশ্বাস করেছেনঃ
সূরা আন-নূর:37 - এমন লোকেরা, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামায কায়েম করা থেকে এবং যাকাত প্রদান করা থেকে বিরত রাখে না। তারা ভয় করে সেই দিনকে, যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ উল্টে যাবে।
সূরা আল-যুমার:18 - যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন এবং~ তারাই বুদ্ধিমান।
(৭)রেজেকের কথা চিন্তা করেননিতাঁর কাছেই সাহায্য চেয়েছেন -
⁂
সূরা আল ফাতিহা:5 - আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
সূরা আল জুমুআহ:11 - তারা যখন কোন ব্যবসায়ের সুযোগ অথবা ক্রীড়াকৌতুক দেখে তখন আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে তারা সেদিকে ছুটে যায়। বলুনঃ আল্লাহর কাছে যা আছে, তা ক্রীড়াকৌতুক ও ব্যবসায় অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। আল্লাহ সর্বোত্তম রিযিকদাতা।
(৮)আপনি আল্লাহ্ কে বিশ্বাস করে দুনিয়ার কাজ ফেলে ভুল করছেন কি ধর্ম মান্য করেঃ-
⁂
সূরা আল-যুমার:22 - আল্লাহ যার বক্ষ ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন, অতঃপর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে রয়েছে। (সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়) যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরণের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্যে দূর্ভোগ। তারা সুস্পষ্ঠ গোমরাহীতে রয়েছে।
সূরা আল ফাতহ:28 - তিনিই তাঁর রসূলকে হেদায়েত ও সত্য ধর্মসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে একে অন্য সমস্ত ধর্মের উপর জয়যুক্ত করেন। সত্য প্রতিষ্ঠাতারূপে আল্লাহ যথেষ্ট।
সূরা সেজদাহ:18 - ঈমানদার বা বিশ্বাসী ব্যক্তি কি অবাধ্যের অনুরূপ? তারা সমান নয়।
(৯)কেউ আপনাকে হিংসা করে তাই নামাজে দোয়া করলেন আর আল্লাহ্ উপর ভরসা করেছেনঃ-
সূরা আল ফাতহ:26 - কেননা, কাফেররা তাদের অন্তরে মূর্খতাযুগের জেদ পোষণ করত। অতঃপর আল্লাহ তাঁর রসূল ও মুমিনদের উপর স্বীয় প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদের জন্যে সংযমের দায়িত্ব অপরিহার্য করে দিলেন। বস্তুতঃ তারাই ছিল এর অধিকতর যোগ্য ও উপযুক্ত। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।
(১০)এই আলোচনায় আপনি কি আল্লাহ্র দিকে আসবারব জন্য মনস্থির করলেন? আপনার কি বিশ্বাস বাড়লো?? কুধারনা না করে আল্লাহ্র প্রতি কি সুধরনার অনুভুতি আপনার মনে আসন পেয়েছে কি??
সূরা আল আহযাব:73 - যাতে আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ, মুনাফিক নারী, মুশরিক পুরুষ, মুশরিক নারীদেরকে শাস্তি দেন এবং মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে ক্ষমা করেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সূরা আল ফাতহ:6 - এবং যাতে তিনি কপট বিশ্বাসী পুরুষ ও কপট বিশ্বাসিনী নারী এবং অংশীবাদী পুরুষ ও অংশীবাদিনী নারীদেরকে শাস্তি দেন, যারা আল্লাহ সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষন করে। তাদের জন্য মন্দ পরিনাম। আল্লাহ তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাদেরকে অভিশপ্ত করেছেন। এবং তাহাদের জন্যে জাহান্নাম প্রস্তুত রেখেছেন। তাদের প্রত্যাবর্তন স্থল অত্যন্ত মন্দ।
সূরা আল-আনফাল:2 - যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ার দেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে।
সূরা আল ফাতহ:4 - তিনি মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেন, যাতে তাদের ঈমানের সাথে আরও ঈমান বেড়ে যায়। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের বাহিনীসমূহ আল্লাহরই এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
ʘ শান্তির ধর্ম ইসলাম ʘ
Nearby schools & colleges
Court Road, Maulvi Bazar
Moulvibazar Tsc
Moulvibazar
Moulvi bazar
Kadam Hata
Sylhet, Sylhet
Shamra Bazar
Dhaka
Sherpur point Moulvi Bazar
Moulvibazar
Maulvi Bazar FAHIM2020
Moulvibazar Tsc
South Kolimabad, MoulviBazar
✽↔✽ এডমিন ✽↔✽
★ আছাদ উদ্দিন ★
যোগাযোগঃ→http://m.facebook.com/ASADUDDIN.B
√√ লাইক করুন ইসলামীক জ্
আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেনঃ- “প্রচার করো, যদি একটিমাত্র আয়াতও হয়”।
---[সহীহ বুখারিঃ→ ৩৪৬]
যে কোনো প্রয়োজনে এডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন, ফেইসবুক লিঙ্কঃ→http://m.facebook.com/hoqe1
ফোনঃ→ +8801733282532
ই-মেইলঃ→
[email protected]
স্কাইপঃ→ asaduddin520
আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেনঃ- আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় কাজ হলো সময়মত নামায আদায় করা।
---(বুখারী ও মুসলিম)
বিঃ দ্রঃ- ইসলাম প্রচার করা আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
Operating as usual
📕📕
কেমন আছেন আপনারা
সারাদিনে একবার চিন্তা করুন
সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হবে আপনাকে ।
আপনার রবের সান্নিধ্যে কি নিয়ে যাবেন ?
কোরআন ছাড়া কিছুই থাকবে না এজগতের হাত দিয়ে ছোঁয়া কোন জিনিস।
তাই দুনিয়ার জন্য অস্থির না হয়ে অন্তরে আলোজ্বলে নিন এ কোরআন দিয়ে।
তৈরি করে নিন প্রশান্ত আত্মা’
বা নফসে মুতমাইনন্যা
📕
মানব মন আপন সত্তার দিকে মন্দ কাজের আদেশদাতা। কিন্তু মানুষ যখন আল্লাহ্ ও আখেরাতের ভয়ে মনের আদেশ পালনে বিরত থাকে, তখন তা (لَوَّامَة) হয়ে যায়। অর্থাৎ মন্দ কাজের জন্য তিরস্কারকারী ও মন্দ কাজ থেকে তাওবাকারী এবং যখন কোন মানুষ নিজের মনের বিরুদ্ধে প্রচেষ্টা করতে করতে মনকে এ স্তরে পৌঁছিয়ে দেয় যে, তার মধ্যে মন্দ কাজের কোন স্পৃহাই অবশিষ্ট থাকে না, তখন তা (مُطْمَئِنَّة) হয়ে যায়। অর্থাৎ প্রশান্ত ও নিরুদ্বেগ মন। পুণ্যবানরা চেষ্টা-সাধনার মাধ্যমে এ স্তর অর্জন করতে পারে। [ইবনুল কাইয়্যেম, আর রূহ: ২২০]
√প্রশান্ত আত্মা’ বলে এমন মানুষকে বুঝানো হয়েছে যে, কোন প্রকার সন্দেহ সংশয় ছাড়াই পূর্ণ নিশ্চিন্ততা সহকারে ঠাণ্ডা মাথায় এক ও লা-শরীক আল্লাহকে নিজের রব এবং নবীগণ যে সত্য দ্বীন এনেছিলেন তাকে নিজের দ্বীন ও জীবন বিধান হিসেবে গণ্য করেছে।
আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কাছ থেকে যে বিশ্বাস ও বিধানই পাওয়া গেছে তাকে সে পুরোপুরি সত্য বলে মেনে নিয়েছে। আল্লাহর দ্বীন যে জিনিসটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তাকে সে অনিচ্ছা সত্ত্বেও নয় বরং এই বিশ্বাস সহকারে বর্জন করেছে যে, সত্যিই তা খারাপ।
সত্য-প্রীতির পথে যে কোন ত্যাগ স্বীকারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে সে নির্দ্ধিধায় তা করেছে। এই পথে যেসব সংকট, সমস্যা, কষ্ট ও বিপদের মুখোমুখি হতে হয়েছে হাসি মুখে সেগুলো বরদাশত করেছে।
অন্যায় পথে চলে লোকদের দুনিয়ায় নানান ধরনের স্বার্থ, ঐশ্বর্য ও সুখ-সম্ভার লাভ করার যেসব দৃশ্য সে দেখছে তা থেকে বঞ্চিত থাকার জন্য তার নিজের মধ্যে কোন ক্ষোভ বা আক্ষেপ জাগেনি।
বরং সত্য দ্বীন অনুসরণ করার ফলে সে যে এই সমস্ত আবর্জনা থেকে মুক্ত থেকেছে, এজন্য সে নিজের মধ্যে পূর্ণ নিশ্চিন্ততা অনুভব করেছে।
কুরআনের অন্যত্র এই অবস্থাটিকে ‘শারহে সদর’ বা হৃদয় উন্মুক্ত করে দেয়া অর্থে বর্ণনা করা হয়েছে।
(সূরা আল আন-আম:125 - অতঃপর আল্লাহ যাকে পথ-প্রদর্শন করতে চান, তার বক্ষকে ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে দেন এবং যাকে বিপথগামী করতে চান, তার বক্ষকে সংকীর্ণ অত্যধিক সংকীর্ণ করে দেন-যেন সে সবেগে আকাশে আরোহণ করছে। এমনি ভাবে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না। আল্লাহ তাদের উপর আযাব বর্ষন করেন।)
!!!
আল্লাহ যার বক্ষকে ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করেছেন, সে তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আগত আলোয় রয়েছে, (সে কি তার সমান যে এরূপ নয়?) দুর্ভোগ তাদের জন্য যাদের কঠোর হৃদয় আল্লাহর স্মরণ হতে বিমুখ। তারা রয়েছে প্রকাশ্য গুমরাহীতে।”(সূরা যুমার ৩৯:২২)
•
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: এর অর্থ হল তাওহীদ ও তার প্রতি ঈমান আনার জন্য অন্তরকে প্রশস্তকরণ। (ইবনে কাসীর, ৩/৩৭৫)
!!!
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিভাবে আল্লাহ তা‘আলা অন্তরকে প্রশস্ত করে দেন?
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: একটি আলো অন্তরে দিয়ে দেয়া হয়। ফলে অন্তর খুলে যায় ও (ইসলাম গ্রহণের জন্য) প্রশস্ত হয়ে পড়ে।
!!
পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হল, এর কি কোন আলামত আছে যে তা বুঝা যাবে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সে পরকালের প্রতি ঝুঁকে পড়বে, দুনিয়ার প্রতি তার অনাসক্তি থাকবে এবং মৃত্যু আসার পূর্বেই তার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকবে। (আযউয়াউল বায়ান, ইবনে কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
!!
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা যে ব্যক্তির কল্যাণ চান তাকে দীনের জ্ঞান অর্জন করার তৌফিক দান করেন। (সহীহ বুখারী হা: ৭১, সহীহ মুসলিম হা: ১০৩৭)
📕📕
অতএব,
সূরা আল আন-আম:132 - প্রত্যেকের জন্যে তাদের কর্মের আনুপাতিক মর্যাদা আছে এবং আপনার প্রতিপালক তাদের কর্ম সম্পর্কে বেখবর নন।
!!!!
অন্তর প্রশস্ত হয় এমন দোয়া
পাঠ করুন -মুসা আঃ বলেছিলেন
ফেরাউনের কাছে দ্বীনের দাওয়াতে ঃ
قَالَ رَبِّ اشۡرَحۡ لِىۡ صَدۡرِىۙ﴾
﴿ وَيَسِّرۡ لِىۡۤ اَمۡرِىۙ﴾﴿وَاحۡلُلۡ عُقۡدَةً مِّنۡ لِّسَانِىۙ﴾﴿ يَفۡقَهُوۡا قَوۡلِى﴾
(সুরাআত ত্বহা২৫.২৮)
মূসা বললো, “হে আমার রব! আমার বুক প্রশস্ত করে দাও। এবং আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দাওএবং আমার জিভের জড়তা দূর করে দাও, যাতে লোকেরা আমার কথা বুঝতে পারে।
,,,,
অর্থাৎ আমার মনে এ মহান দায়িত্বভার বহন করার মতো হিম্মত সৃষ্টি করে দাও। আমার উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়িয়ে দাও। যেহেতু হযরত মূসাকে (আ) একটি অনেক বড় কাজের দায়িত্ব সোপর্দ করা হচ্ছিল যা করার জন্য দুরন্ত সাহসের প্রয়োজন তাই তিনি দোয়া করেন, আমাকে এমন ধৈর্য, দৃঢ়তা, সংযম, সহনশীলতা, নির্ভীকতা ও দুর্জয় সংকল্প দান করো যা এ কাজের জন্য প্রয়োজন।
১] تَبَارَكَ শব্দটি بركة থেকে উদ্ভূত। যার অর্থ, চিরত্ব ও স্থায়িত্ব। অর্থাৎ, তাঁর নাম চিরন্তন ও চিরস্থায়ী। অথবা তাঁর নিকট সর্বদাই বরকত ও কল্যাণের ভান্ডার বিদ্যমান। কেউ কেউ তার অর্থ করেছেন, আল্লাহর মহিমা, গৌরব ও মর্যাদার উচ্চতা। আর যাঁর নাম এত বরকতময় তথা এত কল্যাণ ও উচ্চতার অধিকারী, তখন তাঁর সত্তা কতই না কল্যাণময় এবং কতই না বড়ত্ব ও উচ্চতার অধিকারী
সূরা আর-রহমানে বেশির ভাগ আল্লাহ তা'আলার অবদান ও মানুষের প্রতি অনুগ্রহ বর্ণিত হয়েছে। উপসংহার সার-সংক্ষেপ হিসেবে বলা হয়েছেঃ আল্লাহর পবিত্র সত্তা অনন্য। তাঁর নামও খুব পুণ্যময়। তার নামের সাথেই এসব অবদান কায়েম ও প্রতিষ্ঠিত আছে। [কুরতুবী; ইবন কাসীর]
হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাত আদায়ের পরে বসা অবস্থায় বলতেন,
اللّٰهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَيا ذَاالْجَلَالِ وَالإكْرَامِ
“হে আল্লাহ্ আপনি সালাম (শান্তি নিরাপত্তাপ্রদানকারী), আপনার পক্ষ থেকেই সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তা) আসে। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় মহানুভব।” [মুসলিম: ৫৯১, ৫৯২]
কোন বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমরা “ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম” বলে বেশী বেশী করে সার্বক্ষনিক আল্লাহর কাছে চাও”। [তিরমিয়ী: ৩৫২২, মুসনাদে আহমদঃ ৪/১৭৭]
💠💠💠
আপনি কি জানেন কেন শয়তানের সৃষ্টি???
সূরা আল আ’রাফ আয়াত:27 - হে বনী-আদম শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে; যেমন সে তোমাদের পিতামাতাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে এমতাবস্থায় যে, তাদের পোশাক তাদের থেকে খুলিয়ে দিয়েছি-যাতে তাদেরকে লজ্জাস্থান দেখিয়ে দেয়। সে এবং তার দলবল তোমাদেরকে দেখে, যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখ না। আমি শয়তানদেরকে তাদের বন্ধু করে দিয়েছি, , যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না।
☼
সূরা মারইয়াম আয়াত:83 - আপনি কি লক্ষ্য করেননি যে, আমি কাফেরদের উপর শয়তানদেরকে ছেড়ে দিয়েছি। তারা তাদেরকে বিশেষভাবে (মন্দকর্মে) উৎসাহিত করে।
☼
সূরা মারইয়াম আয়াত:84 - সুতরাং তাদের ব্যাপারে আপনি তাড়াহুড়া করবেন না। আমি তো তাদের গণনা পূর্ণ করছি মাত্র।
!!!
অন্যকে চমকপ্রদ কথা ওয়াহী করে (অতি গোপনীয়ভাবে জানিয়ে দেয়)।’وحي শব্দটি কুরআন কারীমে কয়েকটি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তার মধ্যে এটি একটি অর্থ: শয়তানের কুমন্ত্রণা ও খারাপ কাজ মানুষের মনে সৌন্দর্যময় করে তুলে ধরা। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَإِنَّ الشَّيٰطِيْنَ لَيُوْحُوْنَ إِلٰٓى أَوْلِيَآئِهِمْ لِيُجَادِلُوْكُمْ)
“নিশ্চয়ই শয়তানেরা তাদের বন্ধুদেরকে তোমাদের সাথে বিবাদ করতে ওয়াহী প্রেরণ করে (গোপনীয়ভাবে জানিয়ে দেয়)” (সূরা আন্‘আম ৬:১২১)
(الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَةِ)
“যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না”অর্থাৎ যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না শয়তানের কুমন্ত্রণার শিকার তারাই হয় এবং তারাই তা পছন্দ করে ও সে অনুযায়ী আমলও করে। আর এ কথাও সত্য যে, মানুষের অন্তরে আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস যত দুর্বল হবে, তারা শয়তানের কুমন্ত্রণার জালে তত ফেঁসে যাবে!
💠
মানুষের উপর শয়তানের হামলা
শুধু চতুর্দিকেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং আরো ব্যাপক।
ইবলীস আদম সন্তানদের উপর আক্রমণ
করার জন্য চারটি দিক বর্ণনা করেছে- অগ্র, পশ্চাৎ, ডান ও বাম।
এখানে প্রকৃতপক্ষে কোন সীমাবদ্ধতা উদ্দেশ্য নয়; বরং এর অর্থ হল প্রত্যেক দিক ও প্রত্যেক কোণ থেকে।
এভাবে হাদীসের এ বর্ণনাও এর পরিপন্থী নয় যে, শয়তান মানবদেহে প্রবেশ করে রক্তবাহী রগের মাধ্যমে। তারপর সমগ্র দেহে হস্তক্ষেপ করে।
☼
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন,
এখানে সামনে থেকে আসার অর্থ, দুনিয়ায়।
পশ্চাৎ দিক থেকে আসার অর্থ আখেরাতে।
ডানদিক থেকে আসার অর্থ, নেককাজের মাধ্যমে আসা। আর বামদিক থেকে আসার অর্থ, গুনাহের দিক থেকে আসা। [তাবারী; আত-তাফসীরুস সহীহ]
☼
কাতাদাহ বলেন, ‘ইবলীস মানুষের সামনে থেকে এসে বলে, পুনরুত্থান নেই, জান্নাত নেই, জাহান্নাম নেই।
মানুষের পিছন দিক থেকে দুনিয়াকে তার কাছে চাকচিক্যময় করে তোলে এবং দুনিয়ার প্রতি লোভ লাগিয়ে সেদিক আহবান করতে থাকে।
তার ডানদিক থেকে আসার অর্থ নেক কাজ করার সময় সেটা করতে দেরী করায়, আর বাম দিক থেকে আসার অর্থ, গোনাহ ও অপরাধমূলক কাজকে সুশোভিত করে দেয়, সেদিকে আহবান করে, সেটার প্রতি নির্দেশ দেয়।” হে বনী আদম! শয়তান তোমার সবদিক থেকেই আসছে, তবে সে তোমার উপর দিক থেকে আসে না, কারণ, সে তোমার ও আল্লাহর রহমতের মধ্যে বাধা হতে পারে না। [তাবারী]
☼
শয়তান বলেছিল তার ধারণা অনুসারে।
সে মনে করেছিল যে, তারা তার আহবানে সাড়া দিবে, তার অনুসরণ করবে। যাতে সে তাদেরকে ধ্বংস করতে পারে।
আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র শয়তানের এ ধারণার কথা স্পষ্ট বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “আর অবশ্যই তাদের সম্বন্ধে ইবলীস তার ধারণা সত্য প্রমাণ করল, ফলে তাদের মধ্যে একটি মুমিন দল ছাড়া সবাই তার অনুসরণ করল" [সূরা সাবা: ২০] [আদওয়াউল বায়ান] ইবন
☼
আব্বাস বলেন, এখানে মানুষদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ না থাকার কথা বলে, তাওহীদের কথা বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ আপনি তাদেরকে তাওহীদবাদী পাবেন না। [তাবারী]
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Moulvi Bazar
3251
Syed Mujtaba Ai Road (Old Hospital Road)
Moulvi Bazar, MOULVIBAZAR3200
The classical moment of all of our lifes.....our glorious School...Please suggest your classmates an
Moulvi Bazar, 3251
Hello everyone this Sabuj Mian & I am an instructor of English.I 've been teaching English for many years.I am here to provide you lesson on various topics in facebook and youtube.If my videos help you,plz like ,share and comment.
Moulvi Bazar
কোন প্রাণিই জানে না, কোথায় এবং কিভাবে ?
Moulvi Bazar, 3200
Its Fully Crypto Analysis Group, we are try to give the maximum crypto analysis.
Moulvibazar TSC
Moulvi Bazar, 3200
মৌলবীবাজারের এক মাত্র সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ
Moulvi Bazar, 3200
This is our childhood school We love it more than our life. This is the best for ever..
Moulvi Bazar, 3200
এডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন।Admin Link: https://www.facebook.com/sujaul.islam Md. Sujaul Islam
Gurarai Bazar
Moulvi Bazar, 3203
Wahid Siddek High School