পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

Share

পয়রাটিলা (১৫০০) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহুবল, হবিগঞ্জ

Operating as usual

29/04/2024

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ

ঢাকা,২৯ এপ্রিল ২০২৪

সারাদেশে বহমান তীব্র তাপপ্রবাহের দরুন শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় আগামী বৃহস্পতিবার (০২ মে, ২০২৪) পর্যন্ত দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

মাহবুবুর রহমান তুহিন
সিনিয়র তথ্য অফিসার
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
০১৫৫২৪৭৫০০৯

27/04/2024

সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়
মর্নিং শিফটে
সকাল ৮ টা- ১১.৩০ পর্যন্ত। ১ম ও ২য় শ্রেণি সকাল ৮ টা থেকে ৯ : ৩০ পর্যন্ত।

৩য়,৪র্থ, ৫ম সকাল ৯:৪৫ থেকে ১১:৩০ পর্যন্ত

প্রাক প্রাথমিক ক্লাস বন্ধ থাকবে।

Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 14/03/2024

অদ্য ১৪-০৩-২০২৪ খ্রি. তারিখ পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-এ অভিভাবক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 01/01/2024

বই উৎসব ২০২৪❣️❣️।

31/12/2023
Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 27/12/2023

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক রুটিন ২০২৪

08/11/2023

৩য় প্রান্তিক(বার্ষিক) মূল্যায়ন ২০২৩ এর রুটিন।

Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 03/10/2023
31/08/2023

আমাদের সিরিয়াস বাবা ঘরে ফিরতো রাত সাড়ে দশটায়। বাবা আসার আগ অবধি ঘর টা থাকতো আমাদের রাজ্য। যে যেমন মন চায় করতাম। উচ্চ স্বরে কথা বলা৷ হাসতে হাসতে খিল ধরতো ভাই বোন দের। মাও জোরেই চিল্লাচিল্লি করতো আমাদের।

বাবা ঘরে ঢুকতো সাড়ে দশটায়। সাথে বাজারের থলে। শীতকাল হলে নানা সবজি, ফুলকপি বেগুন, শীম। আর ছোট ছোট নানা রকমের মাছে একটা মিক্স মাছ আনতো। মাছটা মা কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করতো অদ্ভুত এক সুঘ্রাণ আসতো। মোটা চালের ভাত টা অনায়সে গ্রো-গ্রাসে চলে যেত।
বাবা ঘরে ঢুকলে সব শান্ত হয়ে যেত। বাবা ঘরে ঢুকলে নাকে আসতো, বাবার গায়ে থাকতো তীব্র সিগারেটের গন্ধ। গলির মোড়েই খেয়ে আসত বাবা। আর সারাদিনের ক্লান্ত ঘাম। অদ্ভুত এক গন্ধ। আমার কাছে বাবার পরিচিত কিছু যদি থাকতো তা হলো বাবার সে গায়ের গন্ধ টা৷ সারাজীবনে এই গন্ধ টার মতো পরিচিত কিছুই হয় নি আমার আর।

ছোট থেকে দেখে আসা বাবা সস্তা সেই ডোরা কাটা, দাড়ি দাড়ি কয়েক টা শার্ট।যা কলার গুলো পরিস্কার করতে করতে রোজ প্রায় নরম হয়ে চামড়া উঠে গিয়েছিলো।

তিন টা ফরমাল প্যান্ট। বাবার জিনিস বলতে এইসবেই পরিচিত ছিল আমার।

পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে আমি সবার ছোট। যখন ক্লাস নাইনে উঠি তখন থেকে বাবাকে আমি এইভাবে খেয়াল করতে থাকি। বড় আপু,তার পর দুই ভাই, এরপর ছোট আপু আর এরপর আমি।

আমি বাবার কোলে উঠে আবদার করে পাশে বসেছি এমন কোন স্মৃতি আমার ছিলো না।
আমি মাঝেমধ্যে ভাইয়া আর আপুদের জিজ্ঞেস করতাম তোমার বাবার সাথে কখনো বসে আদর পাও নি?

ভাইয়া হাসতো, এইসব রূপকথার গল্প আসেও কেমনে তোর মাথায়?

বড় আপু রাবেয়া, ধমক দিতো।
-কেন করবে না? বাবা অফিস থেকে ফিরে প্রায় তো কোলে নিয়ে বসতো। তুই তো বাবার কোলে বসে থাকতি বাবার থাল থেকে একটা একটা ভাত খেতি। আর একবার তো বাবার কোলেই খাওয়ার সময় পটি করে দিয়েছিলি৷

বলতে বলতেই ওরা খিলখিল করে হাসে। রাবেয়া আপু আর রুবিয়া আপু।দুজনেই সারাদিন খিল খিল করে হাসে। তাদের ঢেউ ভাঙ্গা চুল গুলো সামনের দিকে চলে আসে। হাসতে হাসতে পেছন নিয়ে যায় এক হাতে অন্য হাতে উড়না টেনে আরেকটু গলার সাথে পেঁচায়।
ওদের মরিচা রঙের গায়ের রং, না ফর্সা না কালো। না সাদা না হলুদ এমন দাত গুলো বের হয়ে আসে।
আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি।
ভাইয়াদের সাথে কখনো সখনো খাওয়া হয়। তখন খুব মজা হয় আমাদের। সাব্বির ভাইয়া রুবিয়া আপুকে সারাক্ষন বিরক্ত করে। রাবেয়া আপু শান্ত হলেও রুবিয়া আপু ভীষণ মারকাটুরে।

কোন কথায় সে ফেলে না। কথায় না পারলে মাকে বিচার দেবে। মা তার মাথার উপর তোলা কানের পেছনে গুজে রাখা উড়নাটা খুলে আবার গুজে কানের দিকে। মায়ের সোনার বড় রিং কানের দুল টা নড়ে৷ মা হাল্কা চেঁচিয়ে বলবে,

- আহ, এত বড় ছেলে এইসব কি করিস খাওয়ার সময়?

ভাইয়ার এইসবে কিছু হয় না। রুবিয়া আপু উঠে ভাইয়ার পিঠে ধুম করে আবার কিল লাগায়।

ভাইয়া ওর চুল টেনে দেয়ে এঁটো হাতে। সে ফ্লোরে পা বারি দিয়ে কান্না করে। মেজ ভাইয়া আরেকটা বেনী টান দেয় এঁটো হাতে। মা বকতে গিয়ে হেসে দেয়। রুবিয়া আপু ভাত খাওয়ার সময় হাত ধোঁয়ার সময় যে গামলা টা দেওয়া হতো সবাই এঁটো ফেলতো সে গামলায় হাত ডুবিয়ে দুই হাত ওদের শার্টে মুছে দৌঁড় দিতো। ওর পাড়ার দোকান থেকে কেনা সস্তা নূপুর টা ঝুনঝুন করতো।

এইসব কোন কিছুই আমার বাবার দেখা হয় নি। এইসব মজার খাওয়ায় সময় টাতে আমি কখনো বাবাকে দেখি নি।
বাবা যখন বাড়ি ফিরতো আমাদের সবার প্রায় খাওয়া শেষ৷ সবাই একেবারে চুপচাপ। মাও ধীরে কথা বলতো। ধীরে হাটতো। আপুদের কথা গুলো ভলিউম বিহীন হতো।
বাবা যেদিকে থাকতো ভাইয়ারা সেদিকে পা দিতো না। বিরক্তি টেনে অন্য দিকে যেতো৷

মা বসে থাকতো। বাবার সাথে খেতে বসতো। মা ভাতের হাঁড়ির পাশে পিরা নিয়ে বসতো। আমাদের সেমি পাকা সিমেন্ট উঠে যাওয়া এ্যাশ কালারের ফ্লোরে একটা সাদা চালের বস্তা বিছানো থাকতো। বাবা মাদুরে বসতো। বাবার পাতে তরকারি তুলে দিতো মা । বাবা মায়ের সাথে হাল্কা কথা বলতো। আসলে মায়েই বলে যেত বাবা শুধু হু-হু করতো।

আমাদের সারাদিনের ফারমাশেয় যা মাকে বলে বলে আমরা বিরক্ত করে ফেলি, মা বিরক্তি নিয়ে চেঁচিয়ে উঠতো। সেগুলো মা আবার আস্তে আস্তে বলতো বাবাকে। কার স্কুলের বেতন দিতে হবে, কার টিউশনের ফি লাগবে,কার মডেল টেস্টের টাকা লাগবে, এইসব মা বলতো। কার জুতা লাগবে। নতুন ড্রেস লাগবে।

মা আস্তে আস্তে বলতো।
সামনে কারো বিয়ে থাকলে,কেউ বেড়াতে আসবে বললে।
মোট কথা সব খরচের একটা সামারি থাকতো, খুব সফট ভয়েসে।
প্রতিদিন বলতে পারতো না। কোন কোন দিন বাবা বিরক্তি নিয়ে, " আহ! " বলে উঠতো। সেদিন মা একেবারেই চুপ।

দূর থেকে দাঁড়িয়ে আপুরা ইশারা করতো বলার জন্য। মা মাথা নাড়তো। চোখ বড় করে সড়ে যেত বলতো।

বেতন -ফি এইসব মাকে দিয়ে গেলেও। জুতা, শার্ট এইসবের জন্য বাবাকে দেখাতে হতো। আসলেই লাগবে কিনা?

বাবা খাবার শেষে এককাপ গরম দুধ খেত। তার সে বেতের চেয়ারে। পা তুলে বসতো। আমাদের যাদের যা লাগবে তা বাবার সামনে বলতে হতো৷
ব্যাগ বা স্যান্ডেল লাগলে তা ছিড়ে গেলে তা আগে দেখাতে হবে। বাবা যদি বলতো আরো কিছুদিন চলবে তাহলে আমাদের আর্জি সেখানেই শেষ হতো। মা চোখ টিপতো।
যার অর্থ, এখন যা। আমি দেখছি।

বাবা সকালে আটটায় বের হতো। বাবা বের হয়ে গেলে আবারো আমাদের ছন্দে চলতো ঘর। মায়ের হাকডাক। বোনেদের উচ্চস্বরে হাসি।

হঠাৎ আমার মনে হতো বাবা কি সারাজীবনেই এমন? আমাদের মতো মজা করা,হাসি তামশা, এইসব কি কিছুই ছিলো না বাবা? করতো না? বাবার কোন বন্ধুও ছিলো না?

একে একে বোনেদের বিয়ে হয়ে গেল।বোন দের বিয়েতেও বাবার কোন উচ্ছ্বাস ছিলো না। কেমন যেন সেই পরিচিত চিন্তিত আর গম্ভীর মুখ।

একটা পুরানো আয়রণ করা সুতি পাঞ্জাবিতেই বাবার বোনদের বিয়ে পার করে ফেলে। ক্লাবে আমরা যখন হাসিতে, খুশিতে, ছবিতে, নাচানাচিতে ছিলাম। বাবাকে ধরে আনা হয় রান্না ঘরে বাবুর্চির সাথে ঝগড়া করার সময়।

মায়ের সাথে সবার ছবি তোলার ধুম। বাবার কথা, বাবার সাথে ছবি তোলার কথা কারো মনেই নেই।
শুধু মা আলতো করে বলল,
- বিয়ে তো শেষ তোর বাবাকে একটা ছবি তোলার জন্য ডাক কেউ।
ভাইয়ারা বা বোন কেউ কোন আগ্রহ দেখাল না। মাও যেন আবার ভুলে গেল।
আমি ভয়ে ভয়ে গেলাম রান্নাঘরে।

বাবাকে ডাকলাম,

- মা ডাকছিলো, একটা ছবি তুলতে।

বাবা সাথে সাথে কোন উত্তর না দিলেও বাবুর্চিকে বকাবকি শেষ করে আমাকে আলতো করে বলল,
- বেশি ক্ষন থাকতে পারব না। ধুম করে লুকিয়ে ফেলবে জিনিস। চল।

বাবা স্টেজে উঠায় সবাই নেমে গেল। আপু ডেকে সবাইকে তুলল আবার।

সবার ছোট হওয়ায় বাবার রানের উপর আমাকে বসানো হলো। মা পাশে বসল। রুবিয়া আপু পেছনে দাড়াঁল ভাইয়ারা নিচে হাটু ভেঙে। যাতে সবাই এক ফ্রেমে সুন্দর করে আসে।

আমি ভয়ে ভয়ে বসেছিলাম। হঠাৎ বাবা আলতো করে ধরলো আমায়। পিঠে হাত বুলালেন।।আমি স্পর্শ করলাম প্রথম বার বাবার স্পর্শ ত্বকে নয় বুকের ভেতরে কোন একটা দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা লাগায়। কাঁপুনি ছুটায়।

এরপর সবাই আবার মেতে উঠলো মজায়। বাবা ফিরে গেল আবার রান্নাঘরে বাবুর্চি পাহারা দিতে।
সেদিন আমার প্রথম বার মনে হলো আমাদের বেড়ে উঠা, আমাদের জীবন, আমাদের পড়ালেখা, আমাদের এই আনন্দ, নতুন জামা। সব তো বাবার টাকায়৷ বাবার জন্য৷
কিন্তু আমাদের আনন্দে কোন ভাগীদারেই যেন তিনি নেই। তিনি নন।

এক বুক হাহাকার সেদিন বুকে জেগে উঠেছিলো বলে আমি বোধহয় শেষ অবধি ছাড়তে পারি নি বাবাকে। কি যেন একটা উলের কাটার মতো ফুটতো৷

আপুদের বিয়ে হয়ে গেল। ভাইয়ারা কেউ সিলেট কেউ কক্সবাজার চলে গেল চাকরি নিয়ে। বিয়ে করে যে যার বউ নিয়ে।

আমাদের ঘর আবার ঠান্ডা আর নিশ্চুপ হয়ে গেল। কিন্তু সেটা বাবার জন্য না। তখন সবে আমার ইন্টার শেষ করে ভার্সিটি লাইফ শুরু হচ্ছিল। বাবা রিটায়ার্ড হলো।

বাবার আর ফেরার টাইম নেই। বাবা ঢুকলে সব থমকে যাচ্ছে না। বোনেরা ভাইয়েরা এলে প্রথম প্রথম আগের মতো বাবার সামনে চুপ থাকার চেষ্টা করলেও ধীরে ধীরে সব কমতে শুরু করলো।

''বাবা আছে, তো কি হয়েছে?'' সবার মধ্যে এমন একটা ভাব আসা শুরু করলো।

আমাদের কথাবার্তা।হাসি মজা করা বাবা দূর থেকে অবাক চোখে দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেল৷
আমরাও অভ্যস্ত হয়ে গেলাম বাবার থাকাটা।
বাবার নিস্পৃহ চাহনী ভেজা শমুকের মতো ধীর হতে লাগলো৷

আমি বাবার সে দাপট চলা কে মিস করতে করতে এক সময় সেটা মায়ায় পরিণত হলো৷ তখন আমিই শুধু বাবাকে আগের মতো সম্মান দিয়ে চলতাম।

বাবা ধীরে ধীরে মিশতে চাইছিলো আমাদের জগতে৷ যে জগতে যিনি কোন কালেই ছিলেন না। তিনি ছিলো রাত সাড়ে দশ টা থেকে সকাল আটটার একজন অথিতি মাত্র।।যাকে সবাই ভয় পেতাম। মাও এখন ভয় পায় না। আমাদের বাসা চেঞ্জ হলো। সেই স্যাতস্যাতে ফ্লোরে এখন চকচকে। মা আর কাজ করে না। কাজের মেয়ে একটা আছে।যাকে তদরাকি করা আর ওর না পারার কাজের ফর্দ শোনায় মূল জীবনে পরিণত হয়েছে।

আমরা এখনো আমাদের সিরিয়াস বাবাকে কোন প্লানে ইনভলব করতে ভুলে যায়। ভাইয়েরা বোনেরা বাড়িতে এলে পার্কে ঘুরতে যাওয়া প্লান হয়। সবাই যখন ঘুরে এলাম মা সহ। বাবা পাড়ার দোকান থেকে ফিরে এসে বলল,
-কোথায় গিয়েছিলে সবাই?

- পার্কে!

বাবা তার চামড়ার জুতো গুলো দরজার পাশে দেওয়ালে হাতের হেলান দিয়ে খুলতে খুলতে বলে,

- কই বললি না তো কেউ। আমাকেও বলতি, আমিও ঘুরে আসতাম।

মা বলে উঠলো, তুমি যাবে না তাই।

বাবা ' ও' বলে তার পাঞ্জাবির পকেট থেকে ছোট মোবাইল টা শোকেসের পাশে রেখে ভেতরে চলে গেল।

আমরা খেয়াল করলাম, বাবা যাবে না এইটা আমরা এমন ভাবে গেঁথে নিয়েছি বাবাকে যাওয়ার জন্য বলার কথা কারো মাথায় এলো না। কারণ বাবা যে আমাদের সিরিয়াস বাবা।

যার এই সংসারে অথিতি হওয়াটা আমাদের জন্যেই ছিলো। সকালে বের হতে রাতে ফিরতো বলে নির্ধিদায় বোনেদের বিয়ে হয়েছে আর পূরণ হয়েছে সব ভাইয়ের পরীক্ষার ফরম।

তারপর একদিন কোন কারণ ছাড়া মা মারা গেল। সবাই বলতে লাগল, আহারে সুখের সময় মরে গেল।
আমি ভাবতাম, মা কি অসুখী ছিলো?
আমাদের পাঁচ ভাইবোন নিয়ে। বাবাকে নিচু স্বরে আমাদের ফরমায়েশ গুলো দেওয়াতে তো মা সংসার খুঁজে নিয়েছিলো৷ মা তো অসুখী ছিলো না৷ মা তার সন্তানদের আদর পেয়েছি। তার সন্তান দের দুনিয়ায় বিশাল একটা জায়গা নিয়ে রেখেছিলো। মায়ের সাথে আলোচনা হতো, তর্ক হতো, সিদ্ধান্ত হতো।
মা জিতে গিয়েছিল। এই ক্ষেত্রে হেরে গিয়েছিল বাবা। কারো দুনিয়ায় কোন জায়গা করতে না পেরে।

আমি আর বাবাই রয়ে গেলাম বাসায়। বাবার পাশে গিয়ে বসে গল্প করা, হাসতে হাসতে খেলা দেখা, সারাদিন কি করেছি এসে বলার ছোটবেলার তীব্র ইচ্ছাটা তখনো কেমন যেন তুষের আগুনের মতো জ্বলতো।

কিন্তু, খাবার খেয়েছেন? আর ওষুধ খেয়েছেন? ওষুধ লাগলে বলিয়েন। এই চক্রে আমি আটকে গেলাম। কোন দ্বার আমি ভাঙ্গতে পারছিলাম না।

একদিন বন্ধুদের সাথে খেলা না দেখে ফিরে এলাম ঘরে। টিভি ছেড়ে বাবাকে ডাকলাম,
- খেলা দেখবেন?

বাবা এক গাল হেসে,
- দেয়, দেখি।
বলে পাশে এসে বসলো।

কাজের মেয়েটাকে বলে মুড়ি মাখিয়ে নিলাম। বাবার সাথে এই বাটি থেকে খাবো ভাবতে পারি নি কখনো।

খেলার উত্তেজনায় যখন চিৎকার করে উঠি, ভয়ে আবার চুপ হয়ে যায়।

বাবা কোন কথা বলে না। যেন খুশিই হয়।

ধীরে ধীরে আমার সিরিয়াস বাবা আমাদের খেলা দেখার পার্টনার হয়ে যায়।

দুজনে চিৎকার করে উঠি। আমার ভয় কাটে৷ বাবার স্পর্শ পেলে আর কেঁপে উঠি না। দুইজন দুইদলের হয়ে ঝগড়া করি।

আমার কাছে যা রূপকথার গল্পের চেয়ে কম নয়।

অফিসে সবাইকে পিজ্জা দেওয়া হয়। আমার টা বাসায় নিয়ে আসি। খেলা দেখার সময় আমি বের করে খেতে নিই। বাবাকে বলি, খাবেন?

বাবা অবাক চোখে বলে,।
-এইটা কি জিনিস, দেয় খেয়ে দেখি।
খেয়ে বলল।
- মজা তো। আগে তো খাই নি।

আমি অবাক হলাম, আমরা ভাই বোনেরা পিজ্জা খেয়েছি অনেক আগে থেকে। মাও খেতো৷ কিন্তু বাবা ফেরার আগে। আশ্চর্য কখনো বাবাকে খাওয়ানো হয় নি। কারণ বাবা তো আমাদের সিরিয়াস বাবা ছিলো৷ আমার বুকে আবার ফুটলো উলের কাটা।

একটা লেদার জ্যাকেট কিনে আনলাম। বাবাকে দেখালাম। বেশ গম্ভীর গলায় বাবা সব দিকে ঘুরিয়ে দেখে বলল,
-দাম কত নিলো?
দাম বলার পর অবাক স্বরে তাকিয়ে বলল,

-এত টাকা দিয়ে এইসব কেনার সাহস হয় কি করে তোদের?

আমি জানি আমাদের সবার সিনিয়াস বাবা কাপড় চোপড়ের মতো তুচ্ছ জিনিসে খরচ করার সাহস করতো না।

বাবা তারপর হাতে দিয়ে বলল, তবে ঠান্ডা লাগবে না। বাইক চালাস তো। আমি তো শীতের সময় যখন ফিরতাম বুকের উপর শক্ত ঢাল দিতাম ঠান্ডা না লাগার জন্য।

আমি জানি,সে কথা। তবে আর উচ্চারণ করলাম না। সাহস হলো না৷ বাবার হাতে জ্যাকেট টা দিয়ে আলতো করে বললাম,

-এইটা আপনার জন্য। পরে দেখেন। ফিটিং হয় কিনা? না হলে চেঞ্জ করে আনব।

বাবা অবাক চোখে তাকালেন আবার৷ অবিশ্বাস্য চোখে। বিশ্বাস হচ্ছে না উনার।

আমি একটু জোরেই বললাম, পরে দেখেন নইলে চেঞ্জ করে আনি৷
উনি পরে দেখলেন।
ড্রয়িং রুমে আয়না আছে তাও উনি বেশ তাড়াতাড়ি করে উনার রুমের দিকে যেতে যেতে বললেন,
-দাঁড়া আয়না দেখে আসি।

তখন না বুঝলেও পরে বুঝেছি। বাবা কেন পালিয়ে গেল সামনে থেকে।অনেকক্ষন পর স্বাভাবিক হয়ে ফিরে বলল,
- কত্ত আরাম রে খোকা এইটা। ভেতরে পুরো গরম উম।

বাবা নাকি ছোট বেলায় আমায় খোকা ডাকতো। বুদ্ধির পর এই প্রথম শুনলাম।

বাবাকে বললাম,
-চলেন আজ বাইকে করে ঘুরে আসি।

বাবা যেন চোখেমুখে বাচ্চাদের উচ্ছ্বাস দেখালো আমায়। বাবা সারাজীবন বাইক চালিয়েছে। বাবাকে প্রথম বাইকের পেছনে বসাতে ভয়েই লাগছিলো আমার।

বাবা আমার পেছনে বসলেই আমি দূরত্বে ছিলাম। হঠাৎ কাঁধে হাত দিয়ে ধরল বাবা। সেই বুকের দেওয়ালে ধাক্কা দেওয়ার মতো অনুভূতি টা। বাবা ধীরে আমার পিঠ ঘেঁসে বসলো।

কাঁপা স্বরে বাবা বলে উঠলো,
-তোকে কখনো আমার বাইকের পেছনে বসিয়ে ঘুরতে নিই নি, তাই না রে খোকা?

আমি জানি না কি ছিলো সে কথায়। অঝোরে ঝড়ছিল আমার চোখ বেয়ে পানি। রাস্তার তীব্র ঠান্ডা বাতাস সে কান্নায় বাতাস লাগিয়ে শীতল করছিল চেহেরাটা যেন জমে যাচ্ছে বরফ, উড়ে যাচ্ছে পানি গুলো।

হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার পেছনে ঘাড়ের দিকে কিছু অংশের শার্টটা কেমন যেন ভেজা ভেজা লাগছে।

আমি নিঃশব্দে বাবার মনের শব্দ গুলো শুনছিলাম। যেসব বাবারা সন্তানের জীবন বানাতে নিজের জীবন হারিয়ে হয়ে যায় সিরিয়াস বাবা।

আমাদের_সিরিয়াস_বাবা

সংগ্রহীত!💚

05/06/2023

ছেলে শোধরাতে চায় - বাবা'র ঋণ !!!
ছেলেরা বাবা হয়, বাবা কখনো ছেলে হতে পারে না।
ইতালী প্রবাসী ছেলে তার জীবনের প্রথম মাসের বেতন পেয়ে তার বাবাকে ফোন করলো -
হ্যালো আব্বু?
- হ্যা,
বাবু কেমন আছিস?
বাবা আমি ভাল আছি। তুমি ভাল আছো তো?
- শরীর ভাল, তবে তোকে খুব মনে পড়ে।
বাদ দে তোর কি খবর বল?
আমিও ভাল আছি। একটা নাম্বার দিচ্ছি লেখ। (মানিগ্রাম)
- কিসের নাম্বার খোকা?
আমি সেলারী পেয়েছি বাবা। পুরা এক লাখ
- আলহামদুলিল্লাহ্‌।
বাবা একটা কথা বলি? ( কিছুটা দুষ্টামির ছলে )
- এতদিন পর ফোন করেছিস মাত্র একটা কথাই বলবি?
বাবা তুমি তো বলেছিলে পিতৃ ঋণ কোন দিন শোধ হয় না। তুমি ছাব্বিশ বছরে আমার পেছনে যত টাকা খরচ করেছ তুমি কি জানো আমি আগামী পাঁচ বছরে সে টাকা তোমায় ফিরিয়ে দিতে পারবো। আমার এখানে এক টাকা তোমার ওখানে একশ টাকা বাবা'।
- বাবা : ( কিছুটা মুচকি হেসে) বাবা একটা গল্প শুনবি?
ছেলেটা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। নিচু স্বরে বললো-
বলো বাবা শুনবো......
- বাবা : তোর বয়স যখন চার আমার বেতন তখন তিন হাজার টাকা। ১,২০০ টাকা ঘর ভাড়া দিয়ে ১,৮০০ টাকায় চলে সংসার। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে সব সময় চেষ্টা করেছি তোর 'মা কে 'সুখী করতে। তোকে যেই বার স্কুলে ভর্তি করলাম সেবার ই প্রথম আমরা আমাদের ম্যারিজডে টা পালন করিনি। সে বছর তোর মাকে কিছুই দিতে পারিনি আমি।
তুই যখন কলেজে উঠলি আমাদের অবস্থা তখন মোটা মুটি ভাল। কিন্তু খুব কষ্ট হয়ে গেছিল যখন আমার ট্রান্সফার নারায়ণগঞ্জ হয়। রোজ রোজ উত্তরা থেকে নারায়ণগঞ্জ বাসে করে, পায়ে হেটে, ঘামে ভিজে খুব দুর্বিষহ লাগছিল। একদিন শোরুম থেকে একটা বাইক দেখে আসলাম। সে রাতে আমি স্বপ্নেও দেখেছিলাম আমি বাইকে চড়ে অফিস যাচ্ছি। কিন্তু পরের দিন তুই বায়না ধরলি উত্তরা থেকে বনানী ভার্সিটি করতে তোর কষ্ট হয়। তোর কষ্টে আমার কষ্ট হয় বাবা। আমি তোকে বাইক টা কিনে দিয়েছিলাম।
আমার এক টাকা তোর ওখানে এখন এক পয়সা! কিন্তু মনে করে দেখ এই এক টাকা দিয়ে তুই বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করেছিস। ব্রান্ড নিউ মোবাইলে হেড ফোন কানে লাগিয়ে সারা রাত গান শুনেছিস। পিকনিক করেছিস, ট্যুর করেছিস, কন্সার্ট দেখেছিস। তোর প্রতিটা দিন ছিল স্বপ্নের মতন।
আর তোর একশ টাকা নিয়ে আমি এখন হার্টের বাইপাস করাই ডায়াবেটিক মাপাই । জানিস বাবা আমার মাছ খাওয়া নিষেধ, মাংস খাওয়া নিষেধ, কি করে এত টাকা খরচ করি বল! তোর টাকা নিয়ে তাই আমি কল্পনার হাট বসাই। সে হাটে আমি বাইক চালিয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াই। বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখতে যাই। তোর মায়ের হাত ধরে চাঁদনী পসরে সেন্ট মার্টিনের বালুচরে হেঁটে বেড়াই।
- ছেলে : বাবা চুপ করো প্লীজ! আমি তোমার কাছে চলে আসব। টাকা না তোমার ভালবাসা তোমায় ফিরিয়ে দিব।
- বাবা : হাহাহা বোঁকা ছেলে! বাবাদের ভালবাসা কখনো ফিরিয়ে দেয়া যায় না। ছোট্ট শিশুর মল মুত্রও মোছা যায় আর বুড়োদের ঘরেও ঢোকা যায় না।
তোকে একটা প্রশ্ন করি বাবা। ধর তুই আমি আর তোর খোকা তিন জন এক নৌকায় বসে আছি। হঠাৎ নৌকা টা ডুবতে শুরু করলো ..... যে কোন একজনকে বাঁচাতে পারবি তুই। কাকে বাঁচাবি বল?
ছেলেটা হাজার চেষ্টা করেও এক চুল ঠোঁট নড়াতে পারছেনা!
- বাবা : উত্তর দিতে হবে না। ছেলেরা বাবা হয়, বাবা কখনো ছেলে হতে পারে না। পৃথিবীতে সব চেয়ে ভারী জিনিস কি জানিস?
পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ!
আমি শুধু জায়নামাজে বসে একটা জিনিস চাই। আমার কবরের ঘরটায় যেন আমি আমার ছেলের কাঁধে চড়ে যাই। তাহলেই তুই একটা ঋণ শোধ করতে পারবি, তোকে কোলে নেয়ার ঋণ।

#বাবা
সংগ্রহীত:

01/06/2023

রিফাত নামের এক শিশুকে দেখলাম কনফিডেন্সের সাথে উত্তর দিচ্ছে। জাতীয় ফুলের নাম – ফুল। শিক্ষক বলছেন কী ফুল? সে আবারো গলার জোড় আরো এক স্কেল বাড়িয়ে বলছে – গাঙের ফুল।
আমি রিফাতের দীপ্তিময় চোখের দিকে তাকিয়ে ঘুরে এলাম আমার স্কুল জীবনে। এক শিক্ষক আমাকে জিজ্ঞেস করছে 'জাতীয় ফুলের নাম কি?
আমি ভয়ে ভয়ে উত্তর দিয়েছিলাম – গোলাপ।
আমার শিক্ষক আমাকে মারেননি কিন্তু খুব হেসেছিলেন। বলেছিলেন পরের দিন যেন পড়া শিখে আসি।

এর কয়েক বছর পরে আমি আমার মেয়েকে স্কুলে দিলাম। সেও একদিন এই প্রশ্নের সম্মুখীন হলো।
আমার মেয়ে উত্তর দিয়েছিল 'গাঁদা ফুল। কারণ আমি তখন ফুলের বাগান করি। শীত আসলেই বাগান ভরে যেতো গাঁদাফুল দিয়ে। গোলাপও ফুটুতো। কিন্তু গোলাপ গাছে ছিল কাঁটা। সে তার ছোট ছোট হাত দিয়ে গাঁদাফুল ছিড়তো, খেলতো। সবাইকে উপহার দিতো। আমি শেখানো সত্বেও সে তার প্রিয় ফুলের নামটিই শিক্ষককে বলল – এখানেই লেগে গেল গণ্ডগোল। শিক্ষক বিরক্ত হলেন। আমার কাছে চিঠি পাঠালেন, আমি যেন পরদিন স্কুলে আসি।

আমি মেয়েকে হাজারবার জিজ্ঞেস করেও কারণ বলতে পারলো না। আমি স্কুলে যেতেই শিক্ষক আমাকে জানালেন – আমার বাচ্চা ক্লাসে মনোযোগী না। সে নিয়মিত পড়া করে আসে না।
এবং আমি অভিভাবক হিসেবে অযোগ্য। কারণ আমি বাচ্চার খেয়াল রাখি না। আমি ভয়ে লজ্জায় থরথর করে কেঁপে উঠলাম। তারপর কোনমতে জিজ্ঞেস করলাম – কোন প্রশ্নের উত্তর আমার মেয়ে দিতে পারেনি। জানার পরে অবাক হওয়া ছাড়া আমার কিছু করার ছিল না।
সেদিন শুধু আমি না। আরো বেশ কয়েকজন মা বাবাকে টিচার ডেকেছিলেন। এবং তার প্রতিটি কারণ ছিল নিতান্ত তুচ্ছ।

এরপরে একদিন আমার মেয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হলো। স্কুল কলেজের পরে ভার্সিটিতে যে আমার মেয়ের জন্য এমন অপমান লেখা আছে আমি জানতাম না। আমার মেয়ের একবার এসাইনমেন্ট তৈরি হলো না। বাড়িতে মেহমান পাশাপাশি তার অসুস্থতা। দুই মিলিয়ে সে দেরি করে ফেললো।
এক স্বনামধন্য শিক্ষক আমার মেয়ের সমস্ত শিক্ষাদীক্ষা যে ' ভুল' এমনকি ভার্সিটিতে না এসে তার যে অশিক্ষিত থাকা উচিৎ ছিল জানাতে ভুললেন না।
আমার কথা কিন্তু কোন শিক্ষককে ছোট করার উদ্দেশ্যে না। আমি নিজেও পেয়েছি – আক্কাস স্যার, মিজানুর স্যার, অসীম স্যার, শিউলি আপা, ডেইজি আপা, রোকেয়া ম্যাডাম, রুখসানা ম্যাডামদের মতো শিক্ষক।
উনারা ক্লাসে পড়াতেন না পড়া হৃদয়ে গেঁথে দিতেন। উনারা ক্লাসে ঢুকতেন হাসতে হাসতে। যেন এইমাত্র কোন মজার কাণ্ড ঘটে গেছে। আর পেয়েছি 'মমতাজ ' আপাকে। তিনি যেন শুধু আমার শিক্ষকই ছিলেন না ছিলেন অভিভাবকও।

আজ রিফাতের বলার কনফিডেন্স দেখে আমি আবার আগের দিনে ফিরে গেছি। সেই শ্লেটে লেখার দিনে। যখন দুলে দুলে শিক্ষক যা বলতেন তাই আওড়াতাম। তখন যে সব ছড়া কবিতা, নামতা শিখেছি, আজও তা মূখস্ত আছে।
আমি ধন্যবাদ জানাই রিফাতের শিক্ষককে। উনি যখন রিফাতের মজার উত্তর শুনে বললেন – 'সব্বনাশটা কইরালচে। '

উনি শেখাচ্ছেন হাসিমুখে। না বকে, শাস্তি না দিয়ে, অপমান না করে। তাই অকুণ্ঠ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা তাকে না জানিয়ে পারছি না। একদিন রিফাত হয়তো অনেক বড় হবে। তার বড় হওয়ার পেছনে সে হয়তো মনে করবে তার মাদ্রাসা বা স্কুলের শিক্ষকদের অবদান।

তাকরিমের মতো গোল্ড মেডেল নিয়ে স্যারের বাসায় যাবে। স্যারকে ডাকবে – স্যার, স্যার বাসায় আছেন?
- কে?
- আমি রিফাত।
- কোন রিফাত?
- জাতীয় ফুল গাঙের ফুল, বলা রিফাত।
- স্যার দেখেন আমি আপনার জন্য একটি উপহার এনেছি।
- তারপর সেই সোনার পদক বা মেডেলটি স্যারের হাতে তুলে দেবে।
- আমরা সেই সুন্দর দিনটির অপেক্ষায় রইলাম।

- #আমরা করবো জয়।

Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 21/05/2023

প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন- ২০২৩

18/05/2023

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিল গেটস। এই বিল গেটসকে কেউ একজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "পৃথিবীতে আপনার চেয়ে ধনী আর কি কেউ আছে? বিল গেটস বলেছিলেন, "হ্যাঁ, এমন একজন আছেন, যিনি আমার চেয়েও ধনী।" এরপর, তিনি একটি গল্পের কথা বর্ণনা করলেন। এটা এমন এক সময় ছিল, যখন আমি ধনী কিংবা বিখ্যাত ছিলাম না। একদিন আমি নিউইয়র্কের বিমান বন্দরে গিয়েছিলাম। তখন আমি একজন সংবাদপত্র বিক্রেতাকে দেখেছিলাম। আমি তার থেকে একটি সংবাদপত্র ক্রয় করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, তখন আমার কাছে খুচরা পয়সা ছিল না। তাই আমি সংবাদপত্র ক্রয় করার ধারণাটি ছেড়ে সেটা বিক্রেতার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাকে আমার কাছে যথেষ্ট অর্থ না থাকার কথা বলেছিলাম। সে বিক্রেতা আমাকে বলেছিলেন, "এটা আমি আপনাকে ফ্রি দিচ্ছি।" তার অনুরোধে আমি পত্রিকাটি নিয়েছিলাম। কাকতালীয়ভাবে, দুই থেকে তিন মাস পরে আমি একই বিমান বন্দরে আবার অবতরণ করেছিলাম এবং সেদিনও পত্রিকা ক্রয় করার জন্য আমার কাছে খুচরা টাকা ছিল না। বিক্রেতা আবার পত্রিকাটি আমাকে ফ্রি অফার করেছিলেন। আমি সেটা প্রত্যাখ্যান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আমি এটি নিতে পারব না। কারণ, আজও আমার কাছে যথেষ্ট অর্থ নেই। তিনি বলেছিলেন, "আপনি পত্রিকাটি নিতে পারেন, আমি এটা আমার লাভ থেকে ভাগ করে দিচ্ছি। এতে আমার কোনও ক্ষতি হবে না।" আমি পত্রিকাটি নিয়েছিলাম। প্রায় ১৯ বছর পরে আমি বিখ্যাত এবং মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছি। হঠাৎ করে সেই সংবাদপত্র বিক্রেতার কথা মনে পড়ল। আমি তার সন্ধান শুরু করি এবং প্রায় দেড় মাস অনুসন্ধানের পরে আমি তাকে খুঁজে পেয়েছিলাম। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, "আপনি কি আমাকে চেনেন? তিনি বলেছিলেন, "হ্যাঁ, আপনি বিল গেটস।" আমি তাকে আবারও জিজ্ঞাসা করেছিলাম, "আপনার মনে আছে?! আপনি আমাকে বিনামূল্যে একটি পত্রিকা দিয়েছিলেন? বিক্রেতা বললেন, "হ্যাঁ, মনে আছে।" আপনাকে দুইবার আমি পত্রিকা দিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, "সে সময় আপনি আমাকে যে সাহায্যটা করেছিলেন তা আমি আজ ফিরিয়ে দিতে চাই। আপনি আপনার জীবনে কি চান বলুন, আমি সেটা পূরণ করব।’' বিক্রেতা বললেন, "স্যার, আপনি কি করে মনে করেন যে এটা করে আপনি আমার সাহায্যের সাথে মেলাতে পারবেন?" আমি জিজ্ঞাসা করলাম, "কিন্তু, কেন?" তিনি বলেছিলেন, "আমি যখন দরিদ্র সংবাদপত্রের বিক্রেতা ছিলাম, তখন আপনাকে সাহায্য করেছিলাম আর আপনি আমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন তখন-ই যখন আপনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠলেন। তাহলে কীভাবে আপনার সাহায্য আমার সাহায্যের সাথে মিলে?" বিল গেটস বলেছিলেন, "আমি সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম যে, সংবাদপত্রের বিক্রেতা আমার চেয়ে বেশি ধনী ছিলেন। কারণ, তিনি কাউকে সাহায্য করার জন্য ধনী হওয়ার অপেক্ষা করেননি।" আমাদের বুঝতে হবে যে, সত্যিকারের ধনী ব্যক্তি হলো তারা যাদের প্রচুর অর্থের চেয়েও ধনী একটি মন আছে। দামী একটি মন থাকা প্রচুর অর্থের চেয়েও প্রয়োজনীয়।

Collected

14/05/2023

হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা ,মাধবপুর,হবিগঞ্জসদর,চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ, বানিয়াচং,আজমিরীগঞ্জ, লাখাই, বাহুবল ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার রুটিন।

26/04/2023

সম্মানিত অভিভাবকগনকে জানানানো যাচ্ছে যে, দীর্ঘদিন ছুটির পর আগামীকাল ২৭/০৪/২০২৩ খ্রি. রোজ বৃহস্পতিবার থেকে স্কুল খোলা থাকবে। আপনার সন্তানকে যথা সময়ে স্কুলে পাঠানোর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ রইলো।

03/03/2023

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ (১২/০৩/২৩-১৪/০৩/২৩) পালনের কর্মসূচি
সংগৃহীত

Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 19/12/2022

বার্ষিক পরীক্ষা!

Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 02/11/2022

করোনার টিকা (প্রথম ডোজ) প্রদান কার্যক্রম ।

Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 18/09/2022

পঞ্চম শ্রেণির গণিত বিষয়ের উপর সাপ্তাহিক পরীক্ষা।

Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 14/09/2022

অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আমাদের বিদ্যালয়ের সম্মানিত তিনজন শিক্ষক জনাব আবদুল্লাহ আল সামী, জনাব চয়ন দেব এবং জনাব আব্দুল আউয়াল পেশাগত প্রশিক্ষণ 'ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড)' পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্যারদের অভিনন্দন!

Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 08/09/2022

আজ আমাদের স্কুলে হবিগঞ্জ ছাত্র সমন্বয় ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষ রোপন কমসূচি ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়।

Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 27/03/2022

আজ পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন জনাব আব্দুল ওয়াহেদ, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, বাহুবল, হবিগঞ্জ।

Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 26/03/2022

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা-২০২২

Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 17/03/2022

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শুভ জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

Photos from পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'s post 01/01/2022

বই উৎসব ২০২২

Want your school to be the top-listed School/college in Habiganj?

Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

৪র্থ শ্রেণি, প্রাথমিক বিজ্ঞান

Location

Category

Address


পয়রাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
Habiganj
৩৩১০

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00
Other Schools in Habiganj (show all)
Shahjalal High School,Sughar,Habiganj. Shahjalal High School,Sughar,Habiganj.
Sughar, Laskarpur, Habiganj Sadar, Habiganj, Sylhet
Habiganj, SHSSHS

N. H. Zahed Academy N. H. Zahed Academy
Habiganj, 3350

কারিগরি সহায়তায়ঃ ব্র‍্যাক

HGHS batch 21 HGHS batch 21
Habiganj Sadar, Sylhet, Bangladesh
Habiganj, 3300

হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ব্যাচ ২০২১ এর ছাত্রদের দ্বারা পরিচালিত

দি  রাইজিং স্টার কেজি এন্ড হাই স্কুল দি রাইজিং স্টার কেজি এন্ড হাই স্কুল
Kotiadi Bazar
Habiganj

আত্মজ্ঞান লাভই হল শিক্ষা।

Sk Soleman 02 Sk Soleman 02
হবিগঞ্জ
Habiganj, সোলেমান

মানের কতা

JDM High School JDM High School
Bithanggol, Baniyachong
Habiganj

Centenary Celebration Jagadishpur j.c High School-2024 Centenary Celebration Jagadishpur j.c High School-2024
Jagadishpur, Itakola, Madhabpur, Habigonj
Habiganj, 3333

Centenary Celebration Jagadishpur j.c High School-2024.

দি রোজেস কালেক্টরেট স্কুল, হবিগঞ্জ দি রোজেস কালেক্টরেট স্কুল, হবিগঞ্জ
Brindaban College Road
Habiganj, 3300

হবিগঞ্জ এর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

English Spoken Club English Spoken Club
Habiganj Sadar, Sylhet
Habiganj, 3300

হাকাজুরা নুরে হেরা মাদরাসা  Hakajura Nure Hera Madrasah হাকাজুরা নুরে হেরা মাদরাসা Hakajura Nure Hera Madrasah
Hakajura Ranigaw Cunarughat Habiganj
Habiganj

দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মিয়াধন মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিয়াধন মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
Habiganj, 3360

করোনা কালীন ক্লাস পরিচালনা করা ।

Habiganj Girls High School Habiganj Girls High School
Mohila College Road
Habiganj

it is a page for Habiganj Girls High Schools students and teachers