হযরত ফাতেমাতুয যোহরা মহিলা মাদরাসা
ভাটি এলাকায় একমাত্র মহিলা মাদ্রাসা
Operating as usual

যেভাবে নেবেন রমজানের প্রস্তুতি
মজান উদযাপনের জন্য দুই মাস আগ থেকেই এর প্রস্তুতি শুরু হয়। রজব ও শাবান এই দুই মাস রমজানের প্রস্তুতির মাস। রমজান যতই ঘনিয়ে আসত, রমজান নিয়ে রাসুল (সা.) এর আলোচনা ও আমলের মাত্রা ততই বেড়ে যেত এবং তিনি সাহাবায়ে কেরাম (রা.) কে রমজানের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিতেন। শবেবরাত অর্থাৎ মধ্য শাবান থেকে সাহাবায়ে কেরামের কাজকর্ম ও আমলে রমজানের আগমনবার্তা পাওয়া যেত।
দোয়ার মাধ্যমে প্রস্তুতি : মহানবী (সা.) রমজানের দুই মাস আগে থেকেই রমজান প্রাপ্তির জন্য দোয়া করতে থাকতেন। তিনি বলতেনÑ ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবা ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।’ অর্থ : ‘হে আল্লাহ আপনি আমাদের রজব ও শাবান মাসের বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (শুআবুল ঈমান : ৩৮১৫)।
শাবান মাসের হিসাবে খুব সতর্কতা
অবলম্বন : শাবান মাস রমজানের বার্তা নিয়ে আগমন করে। কাজেই এ মাস রমজানের সর্বোচ্চ প্রস্তুতির মাস হিসেবে কাজে লাগানোর সময়। রমজানের শুরু কখন থেকে হচ্ছে, তা বোঝার জন্য শাবান মাসের হিসাব রাখার কোনো বিকল্প নেই। রাসুল (সা.) নিজেও এ মাসে খুব সতর্কতার সঙ্গে চাঁদের হিসাব রাখতেন। এই মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসের এভাবে হিসাব রাখতেন না। অন্যদেরও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের খুব হিসাব করতেন। এছাড়া অন্য কোনো মাস এত হিসাব করতেন না। অতঃপর রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখতেন। যদি মেঘলার কারণে চাঁদ গোপন থাকত তবে শাবান মাস ৩০ দিনে গণনা করতেন, অতঃপর রোজা রাখতেন। (সুনানু আবি দাউদ : ২৩২৭)।
শাবান মাসে রোজার অভ্যাস করে রমজানের প্রস্তুতি : রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে মহানবী (সা.) শাবান মাসে খুব বেশি পরিমাণে রোজা রাখতেন। প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম বোখারি (রহ.) তার অমূল্য হাদিস গ্রন্থ সহি বোখারিতে ‘শাবান মাসের রোজা’ শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় তৈরি করেছেন। সেখানে তিনি নবী (সা.) এর শাবান মাসের রোজা সম্পর্কে আয়েশা (রা.) এর বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) লাগাতার রোজা রাখতেন। আমরা বলতাম, তিনি আর রোজা ছাড়বেন না। আবার তিনি এভাবে রোজা ছাড়তেন। আমরা বলতাম, তিনি আর রোজা রাখবেন না। আমি রাসুল (সা.) কে রমজান ছাড়া কোনো পুরো মাসের রোজা পালন করতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে কোনো মাসে বেশি (নফল) রোজা পালন করতে দেখিনি। (বোখারি : ১৮৬৮; মুসলিম : ২৭৭৭)। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) (প্রায়) পুরো শাবান মাসই (নফল) রোজা পালন করতেন। (বোখারি : ১৮৬৯; মুসলিম : ২৭৭৯)।
রমজানের দু-একদিন আগে রোজা না
রাখা : রমজানের প্রস্তুতির মধ্যে এটিও একটি বিষয় যে, রমজানের মর্যাদা রক্ষায় তার দুই-একদিন আগে রোজা না রাখা। রাসুল (সা.) রমজানের দুই-একদিন আগ থেকে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। তবে যদি কেউ আগে থেকে রোজা রাখতে অভ্যস্ত হয় তার ব্যাপার আলাদা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন রমজানের একদিন কিংবা দুই দিন আগে অবশ্যই রোজা না রাখে। তবে হ্যাঁ, কারও (আগে থেকেই) এদিনে রোজা রাখার নিয়মে চলে এসে থাকলে সে ওই দিনও রোজা রাখতে পারে।’ (বোখারি : ১৮১৫; মুসলিম : ২৫৭০)।
এমনকি ‘ইয়াওমুশ শক’ তথা সন্দেহের দিনও রোজা রাখা যাবে না। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার দরুন শাবান মাসের ২৯ তারিখ রাতে চাঁদ দেখা না গেলে পরের দিনকে ইয়াওমুশ শক বা সন্দেহের দিন বলা হয়। কারণ সেদিন শাবান মাসের ৩০ তারিখ বা রমজানের ১ তারিখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হাদিসের বর্ণনা মতে, আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি সন্দেহের দিন রোজা রাখল, সে আবুল কাসেম (রাসুল সা.) এর নাফরমানি করল। (তিরমিজি : ৬৮৬; আবু দাউদ : ২৩৩৬)।
রমজানের ব্যক্তিগত প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা : বরকতময় মাস রমজান একজন মোমিনের চাওয়া-পাওয়ার একমাত্র উপযুক্ত সময়। জীবন পরিবর্তনের এক বাস্তব বিরল সুযোগ হিসেবেই এ মাস আগমন করে। সুতরাং রমজানকে গতানুগতিক ধারায় কাটিয়ে দেওয়া সুস্থ বিবেকের কাজ নয়। রমজানে মোমিনের চাওয়া-পাওয়ার সংযোগ ঘটাতে হলে প্রয়োজন পূর্বপরিকল্পনা। কাজেই আল্লাহর আনুগত্যে রমজানের রাত-দিনকে কাটানোর জন্য কার্যকরী একটি পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। এ পরিকল্পনায় কয়েকটি জিনিস থাকতে পারে। ১. রমজানে বেশি সময় ইবাদতে কাটানোর জন্য কিছু কাজকর্ম, অনুষ্ঠান, ভ্রমণ ও প্রোগ্রাম রমজান-পূর্ব সময়ে সেরে নেওয়া। ২. বিশেষ কোনো রোগব্যাধি থাকলে রমজানের আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রমজানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করা। ৩. হাটবাজারে সময় নষ্ট না করার জন্য যথাসম্ভব হাটবাজার রমজানের আগেই সেরে নেওয়ার চেষ্টা করা। ৪. রমজানে পালনীয় ইবাদত-বন্দেগিসংক্রান্ত বিধিবিধান রমজানের আগেই জেনে নেওয়া। যেন এগুলো আল্লাহর দরবারে সহি ও গ্রহণযোগ্য হয়। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা না জান তাহলে জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো।’ (সূরা আম্বিয়া : ৭)। এছাড়াও নিজস্ব অবস্থান হিসাব করে রমজান উদযাপনের জন্য ব্যক্তিগত প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।
রমজানের পারিবারিক প্রস্তুতি : রমজান আসার আগেই তার পরিপূর্ণ বরকত ও পুণ্য অর্জনে পরিবারকে মনোযোগী এবং আগ্রহী করতে পারিবারিক তালিম করা যেতে পারে। পরিবারের কোনো সদস্য কোরআন তেলাওয়াত করতে না পারলে তাকে শেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবারের সবাই যেন রমজানে বেশি পরিমাণ তেলাওয়াত করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। রমজানের কাজকর্মের ভিড়ে পরিবারের নারী সদস্যরা যেন আমল করতে অপারগ না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখে প্রত্যেক সদস্যকে বিভিন্ন কাজ ভাগ করে নিতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতা করতে হবে। রমজানকে পরিপূর্ণ গুরুত্ব দিতে অনৈসলামিক টিভি প্রোগ্রামমুক্ত পরিবার গঠন করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।’ (সূরা আত-তাহরিম : ৬)।
রমজানের সামাজিক প্রস্তুতি : রাসুল (সা.) রমজান-পূর্ব সময়ে সমাজের লোকদের রমজান আগমনের বার্তা দিতেন। রমজানের সুসংবাদ জানাতেন এবং পাড়া-প্রতিবেশীসহ সবাইকে রোজা রাখার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতেন। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এ মাস আসার আগেই সামাজিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। সবারই খেয়াল রাখা উচিত, নিজের দ্বারা যেন কোনো রোজাদারের ক্ষতি না হয়। পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে রমজানে গানবাজনা, সিনেমা, হোটেল ইত্যাদি বন্ধ রাখতে হবে। পাশাপাশি অশ্লীল কথাবার্তা ও কাজকর্ম থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে হবে। দীর্ঘ এগারো মাসের পাপাচারের কারণে অন্তরে যে কালিমা লেপন হয়েছে, তা দূর করতে হবে এবং কুপ্রবৃত্তির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রমজানের মর্যাদাগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে হবে। রমজানের প্রস্তুতিমূলক সভা-সমাবেশ ও সেমিনারসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় রমজানের আলোচনা বৃদ্ধি করতে হবে, যেন সামাজিকভাবে সবাই রমজানের জন্য প্রস্তুত ও আগ্রহী হয়। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি উপদেশ দিতে থাকো, কারণ উপদেশ মোমিনদের উপকারে আসবে।’ (সূরা যারিয়াত : ৫৫)।
রমজানের অর্থনৈতিক প্রস্তুতি : রমজান-পূর্ব সময়ে অর্থনৈতিকভাবেও প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। রমজানের বাজার যেহেতু আমাদের দেশে একটু ভিন্ন রূপ ধারণ করে, তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত দ্রব্য কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে অন্যকে সহযোগিতা করতে হবে। দানের হাত আরও বাড়াতে হবে। রাসুল (সা.) রমজান মাসে প্রচুর পরিমাণ দান করতেন। (বোখারি : ৬; মুসলিম : ৬১৪৯)।
জাকাত ফরজ হলে হিসাবটা আগেই করে নিতে হবে। রমজান এলেই অধিকাংশ ব্যবসায়ী খুশিতে আত্মহারা হন। এ সুযোগে মুনাফা করে নেন বছরের দ্বিগুণ। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বাড়তি ফায়দা লোটার চেষ্টা করেন। এ কারণে ভালো সব পণ্য থাকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এটি শুধু চরম অন্যায়ই নয়; অমানবিকতাও বটে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সচেতন হওয়া উচিত। দাম বাড়ানোর কারণে যেন কোনো রোজাদার কষ্ট না পান এবং নিজেরাও যেন হালাল উপার্জনে রোজা পালন করেন।
লেখক : মাওলানা সালেহ আহমদ, প্রাবন্ধিক-কলামিস্ট
(অনলাইন থেকে সংগৃহীত)

কোভিড থেকে বাঁচার উপায়
আমেরিকার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ ক্লিনিকের প্রধান ডাঃ ফাহিম ইউনুস ২০ বছর ধরে ভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন। তার মতো ভাইরাস চেনা ডাক্তার অনেক কম আছে। কোভিড ১৯ নিয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্য টুইট করেছেন।
তিনি লিখেছেন, আমরা কত মাস বা কত বছর কোভিড ১৯ এর সাথে থাকবো তা কেউ জানিনা। এই অজানা সময়কে অস্বীকার করার যেমন দরকার নেই তেমনি আতঙ্কিত হবারও প্রয়োজন নেই। কোভিড ভাইরাস পর্যবেক্ষণ করে আমরা বিজ্ঞানীরা এপর্যন্ত যা বুঝেছি তাতে বলতে পারি, আমাদের জীবনকে অহেতুক কঠিন করার কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের সুখে থাকা দরকার তার জন্যে দরকার করোনা নিয়ে সত্য কথাগুলো জানা।
সত্য কথাগুলি কি কি?
১) কোভিড থেকে বাঁচার শুধুমাত্র তিনটি উপায় আছে-- মাস্ক পড়া, হাত ধোয়া এবং ১.৮ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা। এই তিনটি কাজ ভাইরাস থেকে রক্ষা পাবার সেরা পদ্ধতি।
২) গ্রীষ্মে ভাইরাসটি তার প্রভাব হ্রাস করে না। ভারত, ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনায় গ্রীষ্মকালেই ভাইরাসটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
৩) লিটার কে লিটার গরম জল পান করে করে কোন লাভ নেই। কারণ সেল ওয়ালে ঢুকে যাওয়া ভাইরাসকে পান করা গরম পানির উষ্ণতা কোনো ক্ষতি করতে পারেনা। খামাখা শুধু বারবার টয়লেট যেতে হয় পেশাব করতে।
৪) যদি আপনার বাড়িতে কোভিড ১৯ রোগী না থাকে তবে বাড়ির মেঝে, দেয়াল, উপরিভাগের সব কিছুকে জীবাণুমুক্ত করার কোন দরকার নেই, কোনো লাভ নেই।
৫) কার্গো প্যাকেজ, শপিং ব্যাগ, পেট্রোল পাম্প, শপিং কার্ট বা ব্যাংকের এটিএম মেশিন সংক্রমণ সৃষ্টি করে না। আপনার হাত ধুয়ে নেবেন বারবার এবং যথারীতি আপনার জীবন যাপন করুন।
৬) কোভিড ১৯ কোন খাদ্য সংক্রমণ এর মাধ্যমে ছড়ানো রোগ নয়। এটি ফ্লুর সংক্রমণের মতো হাঁচি কাশির ফোটাগুলির সাথে সম্পর্কিত। অর্ডার করা খাবার থেকে কোভিড ১৯ সংক্রমণ হওয়ার কোনও প্রমাণিত ঝুঁকি পাওয়া যায়নি। আপনার অর্ডারকৃত খাবারগুলিকে আপনি চাইলে মাইক্রোওয়েভে কিছুটা গরম করে নিতে পারেন।
৭) অনেকে মনে করেন সুয়ানা নিলে গরম বাষ্প শরীরে প্রবেশ করে কোভিড ভাইরাসগুলিকে হত্যা করবে,-- কখনোই না। যা কোষে প্রবেশ করেছে তাকে কোন প্রকার উষ্ণতা ধ্বংস করতে পারবেনা, তা পানি বা বাষ্প যাই হোক।
৮) অনেক অ্যালার্জি এবং অন্য ভাইরাল সংক্রমণ হলেও আপনার গন্ধ অনুভূতি হারাতে পারেন। গন্ধ না পাওয়া কোভিড ১৯-এর একটি অ-নির্দিষ্ট লক্ষণ, সু-নিদৃষ্ট লক্ষণ নয়।
৯) বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর তাৎক্ষণিক জামাকাপড় পরিবর্তন করার এবং স্নান করার কোনো দরকার নেই। স্নানে-শুদ্ধতা একটি পুণ্যের কাজ হলেও কোভিড ঠেকাতে এটির প্রয়োজন নেই।
১০) কোভিড ১৯ ভাইরাসটি বাতাসে ভেসে থাকে না। এটি একটি ড্রিপ সংক্রমণ যার জন্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ প্রয়োজন। তাই আপনি খোলা পার্কের নির্মল বাতাসে অন্য মানুষের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে ঘুরে আসতে পারেন।
১১) কোভিড ১৯ মানুষের জাতি বা ধর্ম বুঝে আক্রমন করেনা, যেকোন ধরণের যেকোন জাতির মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে।
১২) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বিশেষ সাবান ব্যবহার না করে কোভিড ১৯ এর বিপরীতে যেকোন সাধারণ সাবান ব্যবহার করাই যথেষ্ট। ভাইরাস কোনভাবেই ব্যাকটিরিয়া নয়।
১৩) আপনার জুতোর মাধ্যমে কোভিড ১৯ বাড়িতে এনে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা দিনে মাথায় দু'বার বজ্রপাত হবার মতো। আমি ২০ বছর ধরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছি, বুঝেছি ড্রপ সংক্রমণ কখনো জুতার নাধ্যমে ছড়িয়ে যায় না।
১৪) ভিনেগার, সোডা, আদার রস, বিভিন্ন হারবের রস জাতীয় জিনিষ পান ভাইরাস থেকে রক্ষা করেনা। বৈজ্ঞানিক কোন প্রমাণ নেই।
১৫) সারাক্ষন গ্লাভস পরে থাকা একটি ভুল ধারণা, ভাইরাসটি গ্লাভসে জমে থাকতে পারে, এবং তারপর নিজের অজান্তে আপনার মুখটি স্পর্শ করলে সহজেই সংক্রমণ হতে পারে।
১৬) রেস্টুরেন্ট কর্মীরা একটি গ্লাভস পরেই সব খাদ্য স্পর্শ করতে থাকে, এটি প্রায়শঃই বদলানো দরকার। সাধারণ মানুষদের জন্য গ্লাভসের বদলে বারবার হাত ধোওয়াই ভাল।
(সংগৃহিত)

সময় থাকতে সতর্ক হোন, দয়া করে সতর্ক হোন...
"কোভিড পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। মাস দুয়েক একটু শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। কখনো একটা বেডও খালি রাখতে না পারলেও রোগিদের ওয়ার্ডে শিফট করা যাচ্ছিল। মৃত্যুহার অনেক কম ছিল। এক সপ্তাহের মাঝে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। আক্ষরিকভাবে রোগিদের বাঁচিয়ে রাখতে আমরা এখন যুদ্ধ করছি এবং হেরে যাচ্ছি। বারবার। এই পরিবর্তন আমরা আমাদের চোখের সামনে ঘটতে দেখছি।
আমাদের কথায় আপনারা বিরক্ত হন জানি, কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই, আমরা বারবার বলে যাই। কেউ না শুনলেও, সবাই মুচকি হাসলেও আমাদের বলে যেতে হবে। একটুখানি শ্বাস বুকের ভিতরে নেওয়ার জন্য মানুষের তীব্র কষ্টটা আপনারা কেউ পাশে দাঁড়িয়ে দেখেন না, শেষ সময়ের কষ্টটা কি তীব্র! আমার তেমন কোন শত্রু নেই, থাকলেও আমি তার এমন মৃত্যু চাইতাম না।
এর বিস্তার বাইরে থেকে তেমন বোঝা যায়না। যেই পরিবারের কেউ এর মাঝ দিয়ে যায় শুধু তারা জানেন। হয়তো আমরা আরেকটি ওয়েভের শুরুর পথে । এই সময়ে রোগিরা দ্রুত খারাপ হচ্ছেন। মনে রাখবেন, এখনো কোভিডের কোন চিকিৎসা পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। তাই এর প্রতিরোধই একমাত্র পথ।
আমাদের ফোন আবার ব্যাস্ত হয়ে গেছে চেনা অচেনা মানুষের কলে। খুব কষ্ট হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের কিছু করার থাকেনা।
বিশ্বাস করুন, আমাদের একমাত্র চাওয়া সবাই ভালো থাকুন। কার্ভের শুরুতে যদি এই অবস্থা থাকে তবে এর পিকে আমরাই বা কেমন থাকবো।
অনুরোধ জানাই বিনয়ের সাথে:
১. সকল সামাজিক জমায়েত থেকে অসামাজিকভাবে দূরে থাকুন।
২. পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের নিরাপদ রাখুন। (তবে এটাও মনে রাখবেন এবার আমরা প্রচুর তরুন রোগিও পাচ্ছি।)
৩. গত বছর মার্চ মাসে যে সকল সাবধানতা পালন করেছিলেন সেগুলোই একইভাবে পালন করুন, রিলিজিয়াসলী।
৪. মাস্ক নিজে পড়ুন, অন্যকে পড়তে বাধ্য করুন। প্রয়োজনে সীন ক্রিয়েট করুন।
৫. হাত সাবান দিয়ে বারবার ধুয়ে নিন। না পারলে স্যানিটাইজ করুন।
৬. অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়া একদম বন্ধ করে দিন, এই মুহুর্ত থেকে।
৭. বিপদে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয় আর হৃদয় প্রসারিত করতে হয়।
পরম করুনাময় সবাইকে নিরাপদ রাখুন।"
সংগৃহীত
Dr Shahjad Hossain Masum,
ICU In-Charge,
Kurmitola Hospital, Dhaka .

২০২১ সালের ১লা জানুয়ারি হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও এ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়েছে হযরত ফাতিমাতুয যোহরা রাঃ মহিলা মাদ্রাসার কাজ। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে নিজেদের অবস্থান থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে শরিক হওয়ায় জন্য।
এতে সম্পৃক্ত হয়েছেন এলাকার আলেম-ওলামা, মুরুব্বিয়ান ও সর্ব স্তরের জনগণ। একাউন্ট নাম্বার ৫৭০৬৭০১০০৮৪৪৪ সোনালী ব্যাংক, কাকাইলছেও শাখা, আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ। যোগাযোগ ঃ আহ্বায়ক হাজী খালেদুজ্জামান ০১৭১২০৮২০৯৭, সদস্য সচিব মাওলানা আলাউদ্দিন ০১৭১৭৩৩৩১২৫।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Gunoi, , Baniyasong
Habiganj
Shiekh Jahid Uddin (R:) Gunoi Alia madrasah
Habiganj
There is no alternative in studying with Protiva coaching. In this center we teach Class 6 to 12
Lalchand Tea Estate, Chunarughat
Habiganj
চা শ্রমিক সন্তানদের পিছিয়ে পড়তে দেবোনা, এগিয়ে নিতে আবিস্কৃত হয়েছি আমরা। প্রতিষ্ঠাতাঃ রনি গোয়ালা।
গ্রাম ছালেহাবাদ, ডাক শাহপুর বাজার, ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়ন।
Habiganj
বৈশ্বিক মহামারী করোনা দুর্যোগে ছাত্র
Nabiganj
Habiganj
Hello dear Darul Hikmah Alumni, A cordial welcome to "Darul Hikmah Alumni Association-DHAA"Non Profit volunteer community platform in Bangladesh.Aims to achieve the satisfaction of Almighty Allah regarding Darul Hikmah's Socio-economic development.
Habiganj
The world’s greatest achievers have been those who have always stayed focussed on their goals and have been consistent in their efforts.
Town Hall Road
Habiganj, 3300
তোমাদের সুপ্ত মেধাকে বিকশিত করতে আমরা দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ