
Congratulations to dear Shaheens on your getting chance in different Government Medical Colleges. We are proud of you ❤️
Learn English for better future ❤️
Operating as usual
Congratulations to dear Shaheens on your getting chance in different Government Medical Colleges. We are proud of you ❤️
'দুষ্টু ছেলে'
একদিন এক ভদ্রলোক আমার কলেজ বিল্ডিং এর বারান্দা দিয়ে খুব জীর্ণশীর্ণ ভাবে হেটে যাচ্ছিল। সাধারনত স্কুল বা কলেজ পর্যায়ের অভিভাবকরা এতটা বয়স্ক হয় না। চারিদিকে পরিবেশের সাথে তাকে দেখতে একটু বেমানান লাগছিল।
কলেজে সাধারণত সবাই খুব ব্যস্ত থাকে। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাইকে মনে হয় 'সময়' নামের দৈত্য তাড়া করে ফিরে। আমি আমার সময়ের ঘোড়ার লাগাম টেনে দাড়িয়ে গেলাম আর ভদ্রলোকটার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে চেনার চেষ্টা করছিলাম। কেন যেন খুব পরিচিত মনে হল। একটু ভারী গোছের মানুষটা, মায়াবী মুখের গড়ন, গায়ের রং বেশ, মাথার চুলগুলো কাঁচাপাকা, মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি -প্রায় পাকা। খুব বেশি বয়স্ক না যেমনটি পিছন থেকে হাটার ধরন দেখে মনে হচ্ছিল।
লোকটি আমার দিকে হেঁটে আসছে দেখে আমিও একটু এগিয়ে গেলাম। তার হাটতে খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছিল যেন জীবনের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় একজন আহত প্রতিযোগী, যে 'সময়' নামক ঘোড়ার পিঠে চড়তে গিয়ে পড়ে পা ভেঙে ফেলেছে। অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিল। আমি কাছে গিয়ে সালাম দিতেই আমাকে 'রেজা স্যার' বলে সম্বোধন করল। আমি অবাক হয়ে তার দিকে চেয়ে আছি। তার চোখগুলো যেন এস. টি. কোলরিজের সেই বৃদ্ধ নাবিকের মত। এক ধরনের পাগলামী দৃষ্টি! ফর্সা চেহারার মধ্যে কালো রঙের চোখগুলো যেন কষ্ট আর আনন্দের মিশ্রণে ছল্ ছল্ করছিল।
তার কথাগুলো যেন বাতাসে ভেসে এসে আমার কানের পর্দা ভেদ করে সোজা মাথার ভিতর ব্রেনের স্থায়ী স্মৃতির স্নায়ুগুলোকে উত্তেজিত করতে লাগল। আমি খুঁজতে লাগলাম আমার কোথাও কোনো স্নায়ুকোষে এমন কোনো ছবি আছে যার সাথে তাকে মেলানো যায়।
অবশেষে সফল হলাম। ভদ্রলোককে বললাম," আপনি তুষারের আব্বু না?" ভদ্রলোক অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে দিলেন। তার হাসিই আমাকে বুঝিয়ে দিল আমার আন্দাজ ঠিক হয়েছে। আমারও খুব তৃপ্তি লাগলো কারণ কারো নাম ধরে বলতে পারা আমার জন্য একটু কষ্টসাধ্য। আমার বেশিরভাগ ছবিগুলোই মনের অস্থায়ী মেমোরিতে রাখি যা কম্পিউটারের মত 'শাট-ডাউন' করলেই মুছে যায়। তবে খুব প্রয়োজনীয় হলে তা অবশ্যই স্থায়ী মেমোরিতে 'সেভ' করে নিই।
তারপর কুশলাদির এক পর্যায়ে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম," হঠাৎ কলেজ এসেছেন কেন?"
"স্যার, আমার মেয়ে, ফারিয়া এই কলেজে পড়ে। একজন শিক্ষকের সাথে দেখা করতে এসেছিলাম।"
আমি তাকে অনুরোধ করে কলেজ ক্যান্টিনে চা খাওয়ানোর জন্য নিয়ে গেলাম। খুব আস্তে আস্তে, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিল। আমি জানতে চাইলাম "আপনার কি হয়েছে, এভাবে হাঁটছেন কেন?"
"স্যার, আমি পাঁচ বছর আগে stroke করেছিলাম। আমার তুষার তখন কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ত। সংখ্যাটা জানার পর আমার 'টাইম মেশিনে' চড়ে আমার স্থায়ী মেমোরিতে তুষারের চেহারা বের করার চেষ্টা করলাম। প্রথমে অস্পষ্ট দেখলেও ভোরের কুয়াশার মতো আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে লাগল। আসলে ক্লাসের দুষ্টুদের কথাই যেন বেশি মনে থাকে।
তুষার ছিল সেই দুষ্টদের শিরোমণি। বিন্দুমাত্র পড়ালেখায় মনোযোগ ছিল না। আমার মনে হয় আমার শিক্ষকতা জীবনের সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার তাকে দিয়ে statement লিখিয়েছিলাম। এমন কোন দিন ছিল না যে সে ক্লাস ফাঁকি দেয়নি। সবচেয়ে অবাধ্য, বখাটে ছেলেদের সেরা। অবাধ্যদের যদি কোন Encyclopedia থাকত, তাহলে সম্ভবত তার নাম সবার প্রথমে স্থান পেত। এসব ভাবতে ভাবতে ভদ্রলোককে নিয়ে ক্যান্টিনের চেয়ারে বসিয়ে চায়ের অর্ডার দিলাম। চা আসতে একটু সময় লাগবে, তাই ভদ্রলোকের পাশে বসলাম। আমি তুষার সম্পর্কে কিছু জানতে চাওয়ার আগেই লোকটা কথা বলতে শুরু করল।
"স্যার, আপনার মনে আছে, আমার ছেলের ব্যাপারে আপনাকে কত অভিযোগ করতাম? ওকে যে কত বকা দিয়েছি! কত মেরেছি! পড়ালেখা করতে চাইত না। এসএসসি পরীক্ষায় কত খারাপ রেজাল্ট করল। আমিতো সেই বছরই চাকরি থেকে অবসর নিলাম। ঢাকা শহরে কিছু করতে পারিনি, স্যার। পেনশনের টাকাগুলো দিয়ে কয়েক বন্ধু মিলে একটা ব্যবসা শুরু করেছিলাম, আর সামান্য কিছু টাকা ব্যাংকে ছিল। আমার বন্ধুরা আমার সাথে খুব বেঈমানী করেছে। আমরা কয়েক বন্ধু মিলে একটা ভেটেনারি ওষুধের কোম্পানি খুলেছিলাম। অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম; কিন্তু শেষ পর্যন্ত........."
ভদ্রলোকটি কথাগুলো শেষ করতে পারল না। কপালের ললাট প্রশস্ত করে চোখের পাতাগুলো চেপে ধরল আর চোখের কোনায় সকালের শিশির ফোটার মত দু ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগল। আমি আর ভদ্রলোকটার দিকে তাকাতে পারলাম না। মাথা নিচু করে ভাবছিলাম, "অর্থ মানুষকে কতটা পিশাচ করে তোলে! অর্থের কাছে বন্ধুত্ব কিংবা জীবনের মিষ্টি সম্পর্কগুলো সবই হার মেনে যায়। অনেক কিছুর মায়া কাটিয়েছে মানুষ কিন্তু একটা জিনিসের মায়া কাটাতে পারেনি, সেটা- অর্থ।"
ভদ্রলোকটি হাতের দুটো আঙ্গুল দিয়ে চোখ দুটো মুছে ফেলল। ভেজা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আরো কিছু বলতে চাইলো ; কিন্তু কেন যেন থেমে গেল। হয়ত ভাবছিল, স্যারকে এসব কথা বলা উচিত হচ্ছে কি না। ক্যান্টিনের ছেলেটা এসে আমাদের দু'কাপ চা দিয়ে গেল। চা হাতে নিলাম কিন্তু খেতে ভাল লাগছিল না। চা-টা পাশে রেখে দিয়ে লোকটার দিকে তাকালাম। কিছু নিস্তব্ধতা ভেঙে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, " তুষার, এখন কি করছে?" লোকটা আবার চোখটা মুছে আমার দিকে তাকাল যেন প্রশ্নটা তার খুব পছন্দ হয়েছে।
"স্যার, তুষারই তো এখন আমাদের জীবনের একমাত্র ভরসা। যাকে নিয়ে আমি কোনদিন কিছু আশা করিনি; ভেবেছিলাম এই ছেলেটাই আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিবে। সেই আমাদের সংসারে এখন একমাত্র অবলম্বন। ও একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে CSE তে চতুর্থ বর্ষে পড়ে। আমার যতটুকু টাকা সঞ্চয় ছিল প্রায় সবটুকু দিয়ে ওকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেছিলাম। ভেবেছিলাম টাকাগুলো শেষ হলে সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাব। তারপরও ছেলেটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াব। অন্তত জীবনের একটা স্বপ্নতো পূরণ হোক।
সত্যিই আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে- আমার ছেলেটা এখন পড়ালেখার পাশাপাশি কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি করে। আর সফটওয়্যারগুলো বিক্রি করে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা রোজগার করে। সে টাকা দিয়েই ও সংসার, বোনের আর ওর পড়াশোনার খরচ চালায়। সারাদিন পড়াশোনার পাশাপাশি আবার রাত জেগে জেগে কম্পিউটারে কাজ করে। ওর অনেক পরিশ্রম হয়। কিন্তু কি করব বলেন, আমি তো কিছু করতে পারি না।"
এবার আমি আর চোখ খুলে রাখতে পারলাম না। আমার মাথার পিছনটা খুব ভারি হয়ে আসছিল। চোখগুলো ক্রমশ ভিজে যাচ্ছিল, আর একটা আনন্দের অনুভূতি আমার স্নায়ুগুলোকে উত্তেজিত করে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিচ্ছিল। ক্রমশ আমার তৃতীয় চোখ খুলে গেল আর আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম - একটা ছেলে আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। দুটি হাত সামনে ভাঁজ করা, মাথাটা নিচু আর চোখগুলো একদৃষ্টিতে মাটির দিকে চেয়ে আছে। অত্যন্ত বিনয়ী, সবচেয়ে ভদ্র। কি মিষ্টি, মায়াবী হাসি! কি দৃঢ়তার সাথে দাঁড়িয়ে আছে! মনে হয় আমি কোনোদিন দেখিনি এমন ভালো ছেলে, ভদ্র ছেলে। আমি উঠে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম, চুলগুলো আলতো করে উপরে টেনে বললাম," বাবা, বেঁচে থাকো। তোমার জন্য আমাদের সবার দোয়া- তুমি জীবনে কোনোদিন কখনও হারবে না।"
'অহংকার'
জনৈক অহংকারী ভদ্রলোক একজন শিক্ষকের সাথে পরিচিত হতে এসে আগে তার অফিসের কার্ডটা ধরিয়ে দিয়ে বললেন- আমি মন্ত্রণালয়ে আছি। পাশে দীর্ঘাকায় তার সন্তানটি দীর্ঘ দৃষ্টি দিয়ে দন্ডায়মান শিক্ষকের কার্ডের উপর দীর্ঘ দৃষ্টিপাত লক্ষ্য করছিল। সে শিক্ষকের বিনয়াবনতীর বিপরীতে তার বাবার অহংকারী দৃষ্টি ক্ষুধার্ত সিংহের বাচ্চার মত গিলছিল।
শিক্ষকের মনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের মতো একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল- আচ্ছা মানুষের অহংকার কিসে- সততায় না অসততায়, অর্থে না অনর্থে, ভালোবাসায় না ভালোবাসাহীনতায়? নয়তো, এই যে অহংকার এর উৎস কি? আজকাল কি মানুষ শুধু নিজেকে অর্থ দিয়ে মাপে যে সমাজে সে কোন পর্যায়ে অবস্থান করে?
শিক্ষক কার্ড থেকে চোখ তুলে ভদ্রলোকের দিকে তাকাতেই তিনি বললেন, আমার ছেলেটাকে একটু দেখে রাখবেন। শিক্ষকের মনে প্রশ্নের ঘূর্ণিঝড়টা কিন্তু তখনও বেগবান। আচ্ছা মানুষের মূল্য কিসে- অহংকারে না অহংকারহীনতায়, সম্মানে না অসম্মানে, মর্যাদায় না অমর্যাদায়? সম্মানের জন্য কি মানুষের অহংকার না অহংকারের জন্য মানুষের সম্মান?
অবশেষে একটা উত্তর, উত্তরীয় বায়ুর মত এসে ঘূর্ণিঝড়ের বেগটা কমিয়ে দিল তা হল- অর্থ আর অসততাই সকল অহংকারের উৎস। শিক্ষক এবার বিনয়ের সাথে হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে, করমর্দন করে তাকে প্রতিশ্রুতি দিলেন- অবশ্যই!
ছেলেটি অপলক দৃষ্টিতে একবার শিক্ষকের দিকে আরেকবার বাবার দিকে তাকাচ্ছিল। বাবার পরিচয়ে সে অহংকারের বাতাসে পাল তুলে ভাসছিল। ছেলেটির দিকে চোখ পড়তেই শিক্ষকের মনে পড়ল বাদশা আলমগীরের ছেলের কথা, যে শিক্ষকের পায়ের
কাছে বিনয়াবনত হয়ে পানি ঢালছিল। কিন্তু এখন আসলে অহংকারহীনতায় কে বাঁচতে চায়?
শিক্ষক পুনরায় করমর্দন করে অহংকারী ভদ্রলোককে বিদায় জানালেন এবং বিনয়ের সাথে ছোট্ট অহংকারকে অভ্যর্থনা জানিয়ে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করালেন।
Join the 8th IELTA Seminar featuring our speakers from Bangladesh and Indonesia
on October 30, 2022, 8 AM New York Time.
Watch the Livestream at International English Language Teachers Association
Note: Zoom meeting details will be sent by the respective Country Ambassadors. Registration and evaluation links will be provided on the event itself.
Thanks to IELTA Bangladesh for giving me this opportunity & honour.❤️
(All of my students are invited to join the program using the Zoom ID & Password because it's open to all.)
One day a guest came to my classroom and taught me a lot of things & I am impressed.❤️
4th International Webinar-2022 of IELTA BANGLADESH
Right place for Business student .... BBA/MBA .... Accounting, Finance and as well as Business Studies for O/A level student.
As the country’s largest skills development center, BSDI has been working since 2003 to develop the necessary skills for the youth of Bangladesh.
Our mission is to make skilful & educated manpower by giving world standard education. We provide each student a diverse education in a safe, supportive environment that promotes self discipline and excellence in learning.
Embark on your academic journey overseas with Executive Study Abroad.
Dream Abroad Educational Consultancy (DAEC) place for interested people those who dream of studying abroad and we are here to catch dreams together. Our dream is to assist a student to get admission in a suitable university in Malaysia and China.
Certified Digital Marketer with 4year+ Experience. Expert in Facebook ads & Google Merchant center 💥
BCS & Job Math এর বেসিক, ছোটো-বড়ো সব সমস্যার সলভ, প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য এই পেইজ-এ সবাইকে স্বাগতম ☺️
Facilitate the students to get admission for higher study to overseas Universities and colleges.
Greenhouse tutorial is an uncompromising endeavour for the academic and moral development of our next leaders of the nation.
We leading CPA marketing education agency that helps individuals and businesses develop the skills