Offspring Bangladesh

Teach your children to love and respect animal❤️❤️🐈🐈

Promoting resilience in your kids or child students

Early Childhood Educator (ECE) & Caregivers certificate course"_

Our Honorable Course Facilitator





https://www.facebook.com/events/407249921010510?ref=newsfeed

বর্তমান সময়ে অভিভাবকরা তাদের শিশু সন্তানদের সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠা ও শিক্ষার ব্যাপারে আগের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী ও সচেতন হয়েছেন,সেই সাথে বাবা-মায়েদের রয়েছে হাজারো কর্মব্যস্ততা ও দায়িত্ব যার প্রধান প্রমাণ স্বরুপ দেখা যায়- শিশুর যত্নের জন্য বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বে বাড়ছে দিবা যত্ন কেন্দ্র বা ডে-কেয়ারের সংখ্যা এবং সেই সাথে নার্সারী,কিন্ডারগার্টেন, টিউটোরিয়াল,প্রি-স্কুল পরিচয়ে বহু শিশু বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে কিন্তু ডে-কেয়ার কিংবা প্রি-স্কুল যাই হোক না কেন শিশুরা এসব প্রতিষ্ঠানে থাকবে কার কাছে? কার কাছ থেকে নিবে তার বয়স উপযোগী শিক্ষা?

এক্ষেত্রে শুধুমাত্র একজন ECE এবং প্রশিক্ষিত Caregiver ই পারেন শিশুর জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে, সেই সাথে শিশুর বর্ধন ও বিকাশের প্রতি লক্ষ্য রেখে বয়স উপযোগী শিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি মজবুত করতে,তাই সারাবিশ্বে ECE এবং Caregiver অত্যন্ত সম্মান জনক ও দায়িত্বশীল পেশা সেই সাথে ECE এবং প্রশিক্ষিত Caregiver এর রয়েছে বিপুল চাহিদা।

কিন্তু আমাদের দেশে ডে-কেয়ারের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে প্রশিক্ষিত ECE এবং Caregiver এর সংখ্যা সে ভাবে বাড়ছে না,ফলে শিশুদের আমরা স্নেহ করি ঠিকই, কিন্তু শিশুর সম্যক বিকাশের পক্ষে কোন পন্থা গ্রহণযোগ্য এবং কোনটি বর্জনীয় অধিকাংশেরই এ জ্ঞান না থাকায় অনেক সময় অজান্তে শিশুদের ক্ষতিই করে থাকি।

ECE এবং Caregiver কোর্স করে আপনি নিজেই হতে পারেন একটি আদর্শ ডে- কেয়ার বা চাইল্ড কেয়ার এর প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠিত ডে-কেয়ারে চাকরি পেতে পারেন, ECE এবং Caregiver কোর্স করে আপনি সম্মান জনক দীর্ঘস্থায়ী দায়িত্বশীল ক্যারিয়ার গড়তে পারেন, বিভিন্ন সংস্থা যেখানে শিশু বিষয়ক কার্যক্রম রয়েছে সেখানেও চাকরির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।এমনকি শিশু সেবাকর্মী হিসেবে চাকরি নিয়ে আপনি বিদেশেও যেতে পারেন এই সকল উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই আমরা Early Childhood Educator (ECE) & Caregivers Certificate Course প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

📑 Class Schedule: Every Friday & Saturday (Total: 12 Class)
📅 Course Starts Dates: 19-Nov-2021
🕒 Time: 3:30PM to 5.00 pm
🏠 Location: Online- Google Meet

✅ Course Fees: BDT 4,000/= (per participant)

✅ Application Deadline: (2-Oct-2021 to 11-Nov-21)

✅ Certificate: After successful completion of the course.

✅ Course Facilitator:
Child Developmental Specialist, Food Nutritionist & MBBS Doctor.

✔️ For Registration ⬇️
https://docs.google.com/forms/d/1ngd4Al_AP5Lyr355nEntOwoPylcGfe2lS9JVauCZj98/edit

📧 Email: [email protected]
📞 01717-578-167
🌐 www.facebook.com/Offspringbd

Offspring Bangladesh Offspring Bangladesh is an organization which work for child development, parenting & family welfare.

নিজের সন্তানকে সম্মান করা কি জরুরি?

১. সন্তানের সাথে কথা বলার সময় ভাষার ব্যাপারে সচেতন হন,তা সে যত ছোট শিশুই হোক না কেন! কখনোই বাচ্চার সামনে তাকে গালাগালি করা ঠিক নয়।

২. সন্তানকে কখনোই 'বোকা', 'গাধা 'ইত্যাদি বলে অসম্মান করবেন না বা ট্যাগ করবেন না। আমরা নিজেও সকল বিষয়ে পারদর্শী নই, একটি শিশুও সকল বিষয়ে পারদর্শী হবে না। বরং তাকে উৎসাহিত করলে সে তার যোগ্যতার চেয়ে বেশি কিছু করতে পারবে।

৩. সন্তানের সাথে আচার-আচরণের ক্ষেত্রে, আপনি নিজে কোন ভুল করলে অবশ্যই ক্ষমা চান।

৪. কিছু ব্যাপারে অবশ্যই সন্তানের সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে শিখুন। যেমন, সে কাউকে নিজেকে ধরতে দিবে কিনা, সে নিজে কাউকে ধরবে কিনা, সে আদৌ বাইরে যেতে চায় কিনা ইত্যাদি।

৫.আমাদের যেমন ব্যক্তিগত সময় প্রয়োজন, তেমনি শিশুদেরও প্রয়োজন। সন্তানের প্রাইভেসিকে সম্মান করুন।

৬.একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে, সন্তানের সবকিছু তাকে জিজ্ঞেস না করে ধরার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।

৭. সন্তানের সম্পূর্ণ বক্তব্য শুনুন, এরপর নিজের মতামত দিন।

৮.সন্তানকে বুঝান, আপনি তাকে নি:শর্তভাবে ভালবাসেন।

৯.সন্তানের সামনে বাকিদের সম্মান করে কথা বলুন।

১০. সন্তানকে সবাইকে সম্মান করতে উৎসাহিত করুন।

সম্মান একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়, আপনি কাওকে না দিলে,তার থেকে আশা করাটাও অনুচিত!

Dr. Shusama Reza

'ডাউন সিন্ড্রোম'

ডাউন সিন্ড্রোম কি, এর কারন, লক্ষন ও প্রতিকার কিভাবে করা যায়?

ডাউন সিনড্রোম একটি বিশেষ ধরণের জেনেটিক বা জিনগত অবস্থা। ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জন্ম নেয়া মানুষের ক্রোমোজোমের গঠন সাধারণ মানুষের ক্রোমোজমের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। এর কারণে মানুষের মধ্যে মৃদু বা মাঝারি স্তরের বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যা, বেড়ে ওঠায় বিলম্ব বা অন্য কিছু শারীরিক বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) তথ্য মতে, বিশ্বে প্রতি ৮০০ শিশুর মধ্যে একজন ডাউন সিনড্রোম শিশু জন্মগ্রহণ করে থাকে। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৭০ লাখ ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত ব্যাক্তি রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশে প্রতিদিন ১৫ জন ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত শিশু জন্ম নেয় এবং দেশে প্রতি বছর পাঁচ হাজার ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত শিশু জন্মায়। দেশে প্রায় দুই লাখ শিশু এ সমস্যায় ভুগছে।

লক্ষণঃ

ডাউন সিনড্রোম লক্ষণ নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের কিছু শারীরিক ও স্নায়বিক লক্ষণ দেখা যায়। যেমন—
♦ এই শিশুগুলো খুব নরম তুলতুলে হয়। লো মাসেল টোনের কারণে শরীরটা একটু ফোলা ফোলা হয়।
♦ অনেকের মধ্যে জিহ্বাটা একটু বের করে রাখার প্রবণতা থাকে। মুখমণ্ডল ছোট হয়, থুতনি সেভাবে বোঝা যায় না, গলা ছোট হয় (মংগোলিয় ফেস)।
♦ এ শিশুদের মাংসপেশির শিথিলতা, বামনতা বা কম উচ্চতা, চোখের কোণ ওপরের দিকে ওঠানো, চ্যাপ্টা নাক, ছোট কান, হাতের তালুতে একটিমাত্র রেখা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যও দেখা যায়।
♦ কানে কম শোনা, কথা বলতে দেরি হওয়া, কম বুদ্ধি ইত্যাদি জটিলতা থাকতে পারে।
♦ হাঁটাচলা ও মাংসপেশির গঠন সঠিক হয় না।
♦ আইকিউ বা বুদ্ধিমত্তা সাধারণত অনেক কম হয়।
♦ অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্তরা কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলে।
♦ কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্তদের অল্প বয়সেই হৃদরোগের সমস্যা হয়। আর কিছু ক্ষেত্রে বয়স বাড়লে হার্টের সমস্যা গুরুতর হয়ে ওঠে।
♦ টেস্টিকুলার ক্যান্সার ও লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
♦ দাঁতে সংক্রমণ বা দাঁত পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
♦ জন্মগতভাবে কিছু রোগ যেমন—অ্যানেটশন ডিফিক্ট হাইপার অ্যাকটিভিটি (এডিএইচডি) হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

শনাক্তের উপায়ঃ

উন্নত দেশগুলোতে গর্ভবতী মাকে ডাউন সিনড্রোম শিশু এবং অন্যান্য সম্ভাব্য জন্মগত ত্রুটি নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনাগত শিশুটি ডাউন সিনড্রোম শিশু কি না, রক্তের ক্রমোজম সংখ্যা বা ক্যারিওটাইপিং পরীক্ষার মাধ্যমেই তা নিশ্চিত হওয়া যায়।
গর্ভাবস্থার ১১ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক গর্ভফুল থেকে কোষকলা সংগ্রহের মাধ্যমে অথবা ১৫ থেকে ১৮ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভস্থ শিশুর চারপাশের তরলের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। তখন আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে, মায়ের রক্ত নিয়ে বা মায়ের পেটের পানি, ভ্রূণের টিস্যু ইত্যাদি নিয়ে পরীক্ষা করা যায়। এরপর মা-বাবা গর্ভাবস্থা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আশার কথা যে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখন বাংলাদেশেই করা যায়।

করণীয়ঃ

ডাউন সিনড্রোম কোনো রোগ নয়, তাই এটি নিরাময় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে সঠিক সময়ে লক্ষণগুলো চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, পুষ্টিকর খাবার, স্পিচ, ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি , অকুপেশনাল থেরাপি ও ফিজিক্যাল থেরাপি এবং ডেভেলপমেন্টাল থেরাপি দিলে তারা অন্য স্বাভাবিক শিশুর মতো পড়ালেখা করে কর্মক্ষম বা স্বনির্ভর হতে পারে অথবা প্রয়োজনীয় পরিচর্যায় শারীরিক সমস্যাগুলো কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
মনে রাখতে হবে, ডাউন সিনড্রোম প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই। মায়ের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাউন শিশু হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে বিধায় চিকিৎসাবিজ্ঞানে অধিক বয়সে, বিশেষ করে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব বয়সে মা হওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়। আবার মায়ের আগের সন্তান যদি ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত থাকে, তবে পরবর্তী সময় সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পাশাপাশি পরিবেশদূষণ রোধসহ গর্ভবতী মায়ের উচিত ভেজাল খাদ্য ও ভেজাল প্রসাধনী বর্জন করা, তেজস্ক্রিয়তা এড়িয়ে চলা ইত্যাদি। এসব কারণেও ডাউন শিশুর জন্ম হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।

আপনার সন্তানের নেতিবাচক ব্যবহারকে সংশোধন করার আগে তার সাথে আপনার মনের ইতিবাচক সংযোগস্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন। তবেই অভিভাবকত্বের গতিপথ হবে সহজ।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10159405358609002&id=68793499001

Play is all about learning and bonding.

Explore the science behind helping your child grow and develop.

The science of play It’s not just fun – it’s fundamental to your child’s development

ছয় মাসের বাচ্চা কোলে বসে মায়ের হাতের মোবাইল ধরতে চাচ্ছে, খামচি দিচ্ছে বারবার মোবাইল স্ক্রিনের উপর। কান্নাকাটি নেই বাচ্চার। মা' খুব খুশি। শান্তিতে আছেন তিনি। সামনে মোবাইলের আলোকিত ডিসপ্লে ধরলেই বাচ্চা চুপ হয়ে যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে বাচ্চাকে নিশ্চিন্তে খাবার খাওয়ানো শুরু করলেন মা।

বাচ্চাকে বাবার কোলে দিয়ে মা সংসারের কাজে হাত লাগাতে চলে গেলেন। বাবা বাচ্চা কোলে নিয়ে টিভি দেখছেন আর সোনা কাঁদে না!, বাবু কাঁদে না! বলে অশান্ত বাচ্চা থামাবার চেষ্টা করছেন। বাচ্চার দৃষ্টি বারবার টিভি পর্দার দিকে যাচ্ছে আর কান্না থেমে যাচ্ছে। বাবা সেটা খেয়াল করে হাসি মুখে বাচ্চার মাথা চেপে ধরলেন টিভির স্ক্রিন বরাবর।

মা' বোনদের বাচ্চা শান্ত করার একটি উত্তম টেকনিক শিখিয়ে দিলাম! (পরামর্শ চার্জ টিনের বাক্সে ১২ টাকা)।

বাবা পরিবার ছেড়ে দূরে চাকুরি করেন। ৩/৪ মাস পরপর আসতে পারে পরিবারের কাছে। মা সংসার আর চাকুরি নিয়ে ব্যস্ত। ছেলে স্কুলে পড়ে, ভাল ছাত্র, ভাল রেজাল্ট। একবার বাবা এসে ছেলের রেজাল্ট দেখে খুশি হয়ে উত্তম টাকা দিয়ে উত্তম মোবাইল কিনে দিয়ে গেলেন। ছেলে উত্তম গেম পাবজি নিয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণে এমন ব্যস্ত হয়ে গেলো যে, উত্তমরুপেই তার রেজাল্ট শেষ হয়ে গেল। এরপর বাবা মা উভয়েই উত্তম পন্থায় ছেলের হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার যতবারই চেষ্টা করলেন, ছেলে যে কোনো একটা দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে ভেবে ততবারই উত্তমরুপে তা ছেলের হাতে ফিরিয়ে দিলেন, সাথে মাথায় হাতও বুলিয়ে দিলেন।

এই সত্য গল্প পড়ার জন্য আবার টিনের বাক্সে ১২ টাকা।

দুই সন্তানকেই মা মানুষ করেছে, প্রথমে ঝুনঝুনি খেলনা, তারপর টুনটুনির হাড়িপাতিল, খেলার ঘরবাড়ি। এটাই ছিল বাচ্চাদের ৫/৬ মাস বয়স থেকে খাওয়াবার এবং বাচ্চাকে শান্ত ও ব্যস্ত রাখার টেকনিক। এরপর একটু বড় হলে সুন্দর সুন্দর ছবি দেখিয়ে, তারপর আর একটু বড় হলে ছবি সহ মা' মনমাতানো গল্প বলে খাওয়াতো। এরপর বাচ্চার হাতে গল্পের বই ধরিয়ে দেয়ার প্র্যাকটিস। খেল খতম! এখন দুইজনেই বড় হয়েছে। পড়ালেখার পাশাপাশি অবসর সময়ে বই পড়ায় ব্যস্ত তারা। নো মোবাইল, নো পাবজি। কোনো গেজেটের উপর আসক্তি বা নেশা নেই এদের। বড়টার নামে মাত্র ফেসবুক একাউন্ট। বিন্দুমাত্র কু-অভ্যাস নেই তাদের। সেই ছোটবেলা থেকেই ভালত্বের সব কিছুই গেঁথে দেয়া হয়েছে এদের অন্তরে চিরজীবনের জন্য।

না, কোনো কিছুই জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়নি বাচ্চাদের উপর। তাদের এমনভাবে বুঝানো হয়েছে যে, যা কিছু করা হচ্ছে, তা তাদের মঙ্গলের জন্য। বাবা মায়ের প্রতি সে বিশ্বাস নিয়েই বাচ্চারা হাসিমুখে তা মেনে নিয়েছে।

পিতা মাতা হিসেবে শুধু স্বপ্ন দেখলেই হবে না, সেই স্বপ্নের বীজ বুনতে হবে আপনাকে। বাচ্চার জেদের কাছে হার মেনে যা চাইবে বা বলবে, সব ইচ্ছা পূরণ করে বা মেনে নিয়ে ভাল ফসল তোলার হার অতি নগণ্য, হাতেগোনা দুই একটি হতে পারে।

বাচ্চাদের জেদ সৃষ্টির আগেই যথাযথ ব্যবস্থা নিন, যাতে সে জেদ না করে।

জন্মের সাথে সাথেই বাচ্চারা মায়ের সাথে আই- কনট্যাক্ট করতে পারে। এরপর মায়ের স্পর্শ, উত্তাপ সব বুঝতে পারে। এরপর আলো, শব্দের উৎস, কম্পন বা রিদমে কনসেনট্রেট করার চেষ্টা করে তারা। এ কারণেই বাচ্চা এসব গেজেটে চুপ মেরে যায়।

এখন সিদ্ধান্ত আপনাদের। বাচ্চাদের কোন পথে, কিভাবে বড় করবেন। পরে হায় হায় করবেন, আমার বাচ্চা গেজেট ছাড়া থাকতে পারে না, তা বলে আর লাভ হবে না।

আজ এক পোস্টে একজন লিখেছেন, আমার বাবা মা আমাকে সব সময় অভিশাপ দেয়। কথায় কথায় অভিশাপ দেয়া তাঁদের অভ্যাস হয়ে গেছে। তিনি জানতে চেয়েছেন, এই ধরণের অভিশাপ তাঁর ক্ষতির কারণ হবে কিনা।

বাবা মা' কথায় কথায় সন্তানকে অভিশাপ দিলে তাঁর গায়ে লাগবে কিনা সেটা জানি না কিন্তু সেই সন্তানের মানসিক এবং মানবিক কল্যাণ যে ধ্বংস হয়ে যাবে তা নিশ্চিত। কোনো বাবা মায়ের ভুলেও এমন কোনো শব্দ উচ্চারণ করা উচিত নয়, তা যদি হাসতে হাসতেও হয়। প্রকৃতি বিরুদ্ধ এমন কাজ করবেন না ভুল করেও।

@ Mahbub Kabir Milon Sir

ঈদ মুবারাক 🌙

তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
আল্লাহ আমাদের এবং আপনার (ইবাদত )কবুল করুন।

দেশে বিদেশে অবস্থানরত, সবাইকে জানাচ্ছি অফস্প্রিং বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঈদ হোক কল্যাণময় এবং বরকতময়।

আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারের জন্য রইলো অনেক দোয়া ও শুভকামনা।

শ্রমিক পাক তার ন্যায্য অধিকার এবং সম্মান, বন্ধ হোক শিশু শ্রম, নিশ্চিত হোক শ্রমিকের বেঁচে থাকার অধিকার.

আজ ঐতিহাসিক মে দিবস। দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ ও ন্যায্য পাওনার দাবীতে শ্রমিকদের জীবন বিলিয়ে দেয়ার দিন। বস্ততান্ত্রিক সমাজে একটি গোষ্টি শ্রমিকদের ঘাম ঝরিয়ে আরো পুজিঁপতি হতে চায়,কিন্তু শ্রমিকের ন্যায্যতা পরিশোধ করতে চায় না। আল্লাহ তা’য়ালা শ্রমের মর্যাদা যেমন দিয়েছেন,তেমনি পৃথিবীকে উপভোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শ্রমেরে ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন। শ্রমিকের শরীরের ঘাম শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বেই পাওনা পরিশোধের ব্যাপারে ইসলাম জোর তাগিদ দিয়েছে। শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে নানামুখী লাঞ্চনার শিকার হন । মানসিক-শারিরিক । দু’মুঠো অন্নের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ,জীবন যৌবন সব বিলিয়ে দিতে হয়। রাসুল (সঃ) শ্রমিকদের সম্মাানিত করেছেন। রাসুল (সঃ) এর সাথে যারা কর্মজীবী সাহাবী ছিলেন তাদের বর্ণিত হাদীস থেকে জানা যায় যে তিনি কখনো তাদের কারো কাজে ভুল করলে শাস্তি দেননি, তারা তাকে রাগান্নিত হতে দেখেননি, বকাবকিও করেন নি। অথচ আজকের সমাজে শ্রমজীবী মানুষকে অপমানিত করাই যেন মালিক পক্ষের অন্যতম কর্তব্যকর্মে পরিণত হয়েছে। আমরা এমন একটি শোষন মুক্ত সমাজ চাই যে সমাজে প্রতিটি মানুষ তার শ্রমের ন্যায্য মূল্য পাবে। সবাই সবার সুখে সুখি হবে সবার দুঃখে দুঃখি হবে, শ্রমিক বলে কাউকে অবজ্ঞা করা হবেনা। আমরা সবাই মানুষ এটিই আমােদর শ্রেষ্ট পরিচয়.

Ramadan Mubarak ✨

১. আপনার শিশুকে বলবেন না:
দেয়ালে দৃশ্য বা ছবি এঁকো না।
বরং তাকে বলুন:
তুমি তোমার খাতায় দৃশ্য বা ছবি আঁকো, আঁকা শেষ হলে দৃশ্য বা ছবিটা দেয়ালে বা ফ্রিজের ওপর বা বোর্ডে লটকে দিবে।
২. আপনার সন্তানকে বলবেন না:
উঠো! নামায পড়ে নাও, না হলে জাহান্নামে যাবে।
বরং তাকে বলুন:
চলো! একসাথে নামাযটা আদায় করে নেই তাহলে জান্নাতেও একসাথে থাকতে পারবো।
৩. আপনার সন্তানকে বলবেন না:
এই তোমার কামরাটা পরিষ্কার করে নাও, ইশ! খোয়াড় বানিয়ে রেখেছে কামরাটাকে।
বরং তাকে বলুন:
তোমার কামরাটা কি তুমি একাই গোছাতে পারবে? নাকি আমি সাহায্য করবো? তুমি তো সব সময় একাই সবকিছু গুছিয়ে রাখো।
৪. সন্তানকে বলবেন না:
হয়েছে খেলাধূলা ছেড়ে এবার পড়তে বসো। খেলার চেয়ে পড়ালেখা গুরুত্বপূর্ণ।
বরং তাকে বলুন:
তুমি তাড়াতাড়ি আজকের পড়াটা শেষ করে ফেলো, তাহলে পরে খেলার জন্য অনেক সময় পাবে।
৫. আপনার সন্তানকে বলবেন না:
এই! দাঁত ব্রাশ করো, আমি না বললে দেখি তুমি দাঁতে হাতই দাও না।
বরং বলুন:
তুমি তো দেখি আমি বলার আগেই দাঁত পরিষ্কার করে ফেলো!
৬. আপনার সন্তানকে বলবেন না:
বাম কাত হয়ে শুয়ো না।
বরং তাকে বলুন:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ডানকাত হয়ে শুতে শিখিয়েছেন।
৭. আপনার সন্তানকে বলবেন না:
একদম চকলেট খাবে না। সারাদিন শুধু চকলেট আর চকলেট। দাঁতগুলো তো সব এভাবেই যাবে।
বরং তাকে বলুন:
তোমাকে দিনে একবার চকলেট খাওয়ার অনুমিত দেয়া যাবে, কারণ তুমি নিজ দায়িত্বেই প্রতিদিন দাঁত পরিষ্কার করে ফেলো।
#সংগৃহীত