Enlightened Quran

Enlightened Quran

"প্রচার করো,,
যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়"।।
[সহীহ বুখারী:৩৪৬১].

Operating as usual

19/03/2023

ড. বিলাল ফিলিপ্স এর উক্তি গুলো এতই সুন্দর ও আশাজাগানিয়া যে, পড়লে আপনার উপর এর প্রভাব অনিবার্য।

উনার কিছু উক্তিঃ-

🖊১/ 'আপনার জীবনের জন্য আপনার পরিকল্পনা থেকে আল্লাহর পরিকল্পনাই
উত্তম।

🖊২/ 'যেখানে আপনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছেন, সেখানে চিন্তিত হওয়ার কোন মানে হয় না । প্রয়োজন শুধু একটু ধৈর্যধারণ করা...।'

🖊৩/ 'আপনি কি মনে করছেন এমন কেউ নেই যাকে আপনার ব্যক্তিগত কথা ও দুশ্চিন্তাগুলো শেয়ার করবেন? তাহলে আপনি শ্রেষ্ঠ শ্রবণকারীর আল্লাহ্ তা'আলাকেই ভুলে গেছেন।'

🖊৪/ 'আপনি যা ই করেন না কেন এই দুনিয়ার মানুষদের সন্তুষ্ট করতে পারবেন না। তাই দুনিয়ার সকল মানুষদের খুশি করার মিথ্যা আশা ছেড়ে তাদের সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করতে চেষ্টা করুন।'

🖊৫/ 'ফর্সা আর সৌন্দর্য কখনোই এক কথা নয়। ফর্সা কেবল চামড়ার মধ্যে ফুটে উঠলেও সৌন্দর্য ফুটে উঠতে প্রয়োজন আল্লাহর আনুগত্য ও উত্তম চরিত্র।'

🖊৬/ 'আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত প্রতিটা বিষয়ই আপনার প্রতি সুবিচার। প্রয়োজন শুধু আপনাকে তাঁর প্রতি আস্থাশীল ও নির্ভরশীল হওয়া এবং তাঁরই উপর ভরসা করা।'

🖊৭/ 'আপনি যত বেশি আল্লাহর উপর ভরসা করবেন, আপনার পক্ষে ধৈর্যধারণ
ততোবেশি সহজ হবে।'

🖊৮/ 'একাকীত্ব সবসময়ই একটু বিরক্তিকর মনে হয় । তবে যে তাঁর প্রভুর (আল্লাহর) আনুগত্য করে করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না।'

🖊৯/ 'মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণের চেয়ে মুসলিম হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে পারাটাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।'

🖊১০/ 'এমন কাউকে ভালোবাসা উচিত নয় যে আল্লাহকেই ভালোবাসতে জানেননা।'

🖊১১/ 'আমরা অনেক সময় ধরে কোন মানুষকে প্রভাবিত করেও তার খুব কমই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি, অথচ আমরা এমন এক সত্তাকে (আল্লাহকে) ভুলে থাকি যে কিনা সবসময়ই আমাদের প্রতি দৃষ্টি রাখেন।'

🖊১২/ 'সবচেয়ে কষ্টসাধ্য বিষয় হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এমন কিছু
বর্জন করা যা আপনি ভালোবাসেন। তবে মনে রাখবেন আল্লাহ সবসময়ই কোন কিছুর পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম কিছু দিয়ে থাকেন।'

🖊১৩/ 'এমন কারো সঙ্গী হোন যে আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।'

🖊১৪/ 'যদি কেউ আপনার প্রভুর আনুগত্য পছন্দ না করে তবে আপনারও তাকে পছন্দ করার কোন যুক্তি নেই।'

🖊১৫/ 'যখন পৃথিবীর কেউ আপনাকে বুঝতে চেষ্টা করে না, তখন এতটুকু মনে রাখুন আল্লাহ্ আপনাকে বুঝেন।'

🖊১৬/ 'নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে প্রতিটা বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করুন। কেননা আপনার জন্য কোনটি কল্যাণকর তা তিনিই ভালো জানেন।'

🖊১৭/ 'যেখানে এক নিমিষেই পেছনের সকল অন্যায় থেকে পরিত্রাণ পেয়ে একটি সুন্দর আগামীর আশা করা যায় সেখানে নিরাশ হওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না । প্রয়োজন শুধু সত্যকে মেনে নেয়ার সৎসাহস।'

🖊১৮/ 'যেখানে রসূলুল্লাহ্ (সা:) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক আল্লাহর নিকট ক্ষমা
প্রার্থনা করতেন, সেখানে আমরা অন্তত
দুই-একবার করছিতো?'

🖊১৯/ 'যে কেউ আল্লাহর নিকট নিজেকে সমর্পণ করবে সে কিছুই হারাবে না।'

🖊২০/ 'সত্যিকার সফল তখনই হবেন, যখন আপনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন।'

Collected

23/01/2023
23/01/2023

দাঈদের সংকট: পারস্পরিক সহনশীলতা, সম্মানবোধ
□○◇□○◇□○◇□○◇□○◇□○◇

মুসলিম মাত্রই একজন দাঈ। কল্যাণের দিকে মানুষকে আহ্বান করাই হচ্ছে তার ধর্ম। যদিও দাওয়াতের এ পরিচয়কে আমরা সঠিকভাবে বহন করছি না। সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনের কাজে আমরা সবাই অংশগ্রহণ করছি না।

এর পেছনে মৌলিক কারণটি হচ্ছে, আমাদের চিন্তার দৈন্যদশা। আমরা ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোকে একটি পেশার মতো মনে করছি। সমাজের ভাবনা হচ্ছে, নির্দিষ্ট কিছু লোক এ কাজের আঞ্জাম দেবেন। তাঁরাই কেবল এ পেশার সাথে সংযুক্ত থাকবেন। ডাক্তার, শিক্ষক কিংবা উকিলের মতো, দাঈও হচ্ছেন একজন পেশাজীবী। তাঁরা ইসলাম বিষয়ে কিছু বয়ান দেবেন। শ্রোতারাও আবেগে আপ্লুত হবেন। সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বলে ঘরে ফিরে যাবেন। দিনশেষে দাঈদের কিছু হাদিয়া দিয়ে খুশি করে দেবেন।

জ্ঞান ও চিন্তাগত সংকটের কোন পর্যায়ে পৌঁছলে একটি মুসলিম সমাজের চিন্তা এমন হতে পারে? অথচ ইসলাম দাওয়াতের জিম্মাদারিকে প্রত্যেক বিশ্বাসীর জন্য ব্যক্তিগত আবশ্যকীয় দায়িত্ব হিসেবে নির্ধারণ করেছে। কেননা, ইসলাম পুরো সমাজব্যবস্থাকে একটি জাহাজের মতো মনে করে। যার প্রতিটি যাত্রীর ওপর মৌলিক কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জাহাজের সুস্থ পরিচালনায় কাজ করবেন। সকলে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকবেন। এভাবে সকলেই যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মানজিলে মাকসুদে পৌঁছে যাবেন।

এমতাবস্থায় কেউ যদি জাহাজের ক্ষতি করতে চায়, এর মধ্যে ফুটো করতে চায়, তবে আমাদের করণীয় কী হওয়া উচিত? আমাদের ভাবনা কি এমন হওয়া উচিত যে, তাকে সংশোধন তো আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? দাঈরাই কেবল এসবের সংশোধনে কাজ করবেন।

বিষয়টি কখনোই এমন হওয়া উচিত নয়। সমাজের প্রতিটি অনিয়মে আমাদের সকলের ধারণা থাকা উচিত। সংশোধনের প্রয়াস থাকা উচিত। নয়তো একদিন সমাজ নামক এই জাহাজ আমাদের সকলকে সাথে নিয়ে ডুবে যাবে।

এখানে লক্ষণীয় হচ্ছে, দাঈ ও আলিমের মাঝে ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। একটি সমাজের স্থিতিশীলতার জন্য সকলের আলিম হওয়া উচিত নয়। কিন্তু আল্লাহর পথের দাঈ হওয়া সমাজের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। কেননা, সকলের পারস্পরিক সংশোধন এবং শুদ্ধতার মাধ্যমেই মূলত একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গড়ে ওঠে।দ্বীনের দাওয়াতকে মানুষের তরে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আদব চর্চাও জরুরি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আমাদের ভাষার ক্ষেত্রে মার্জিত ভাব দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ ইসলামের আহ্বানকে পৌঁছাতে গিয়ে নবিজি কখনো চিত্কার চ্যাঁচামেচি করেছেন, গালমন্দ করেছেন- এমন একটি বর্ণনাও খুঁজে পাওয়া যায় না। ফেরাউনের মতো স্বৈরশাসকের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও নবি মুসা (আ.)-কে আদব চর্চার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দাঈদের আরেকটি সংকট হচ্ছে, পারস্পরিক মতপার্থক্যের ক্ষেত্রে আদব চর্চায় ব্যর্থতা। আমাদের পারস্পরিক সহনশীলতা এবং সম্মানবোধের বড়োই অভাব পরিলক্ষিত হয়। একে অপরকে দোষারোপের মাত্রা তাকফির ইস্যুতে গিয়ে ঠেকে। ইমাম শাফেয়ি (রহ.) আমাদের এ বাস্তবতাকে কত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুল

دیانتنا التصنع والترائي......
فنحن به نخادع من يرانا
وليس الذئب يأكل لحم ذئب.....
ويأكل بعضنابعضا عيانا

“আমাদের দ্বীনদারি, পহেজগারি কেবল মেকি ও প্রদর্শনমূলক। আমরা এর মাধ্যমে আমাদের দর্শকদের সাথে প্রতারণাই করে থাকি। কোনো নেকড়ে অন্য নেকড়ের গোশত ভক্ষণ করে না।
(কিন্তু আফসোস) আমরা দেখেশুনেই একে অপরের গোশত ভক্ষণ করছি”।

26/12/2022

হঠাৎ যদি শুনি রঙিন পৃথিবীটা ছাড়ার সময় এসে পরেছে, খুব বেশিদিন নেই হাতে। কোনোভাবেই বেঁচে থাকার রাস্তা নেই — কেমন লাগবে তখন?

প্রিয় মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে শুধু অঝোরে অশ্রু ফেলতে হবে হয়তো। কোনো পাওয়া না পাওয়া নিয়ে কোনো আকাঙ্খা থাকবেনা, একান্তই মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন কাটবে।

বাস্তবেও কিন্তু মৃত্যুর কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে ঐ যে গ্যারান্টিও নেই যে এতো সময় আছে হাতে। আর তাই হয়তো বাঁচার আশায় রঙিন পৃথিবীর বেড়াজালে আঁটকে যাই বারবার। এটা ভেবে ভরসা পাই — বয়সের ভারে নুয়ে পরা বৃদ্ধ তো দিব্যি হেটে চলছে,জীবিকার সংগ্রাম করছে তাহলে আমি কেন নয়।

কিন্তু যারা কঠিন রোগাক্রান্ত অথবা কোনো মাজলুম ব্যক্তি যখন নিশ্চিত হয় তার মৃত্যু অবধারিত এবং সেটা খুব দেড়ি নয়, এমন ব্যক্তি আর যাই হোক রঙিন পৃথিবীর আশা বাধে না। হাতের কাছে থাকা কিছু রিপোর্ট বা চিহ্নই বার বার মনে করিয়ে দেয় তোমার দিনগুলো কেবল মওতের জন্যই।

বস্তুত তাদের জন্য অনেক কষ্ট লাগলেও আপাতদৃষ্টিতে তাদের মতো নসীব কয়জনের হয়? সে জানে তার জন্য কবর অপেক্ষা করছে তাই সে কবরের প্রস্তুতিতে দিন কাটায়। হোক একটা দিনই, গুণাহ্ মাফের জন্য তো এক মুহুর্তও যথেষ্ট যদি ইখলাস থাকে।

আর এদিকে আমরা? অনিশ্চয়তার ভিড়ে বিলাসিতার পাহাড় জমাই, আনন্দের জোয়ারে গুনাহের সমুদ্রে ভাসছি, কখনও হয়তো আমল করছি আবার কখনও ওয়াক্তিয়া স্বলাতটুকোতেও তৎপর হইনা। গড়ে তুলি অনিয়ম। যদিও অনুভব করি এই অনিয়ম হতে পারে জাহান্নামের কারণ, তবুও ভাবি তওবাহ করে নিবো। হয়তো করিও কিন্তু সবসময় যে তওবার সুযোগ পাবো তার গ্যারান্টি কি?

আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, ‘‘সারাজীবন অন্যায় করে মৃত্যু শয্যায় এসে যারা বলে, আমি তওবাহ করলাম, তাদের তওবা কোন কাজে আসবে না। আর সত্য অস্বীকারকারী হিসেবেই যারা মৃত্যুবরণ করে, তাদের জন্যেও তওবা নয়। তাদের জন্যে আমি নিদারুণ শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছি।’’ (সূরাহ আন-নিসা, আয়াত : ১৮)

আমি মাঝে মাঝে ভাবি আল্লাহ্ আমাকেও একটা সময় বেঁধে দিতো যেটা সম্পর্কে আমি জ্ঞাত হতাম। দিনগুলো শুধু জান্নাতের আশায় কাটিয়ে দিতাম। না থাকতো শরিরের চাহিদা আর না থাকতো অন্তরের আশা। ভয় হয় এমন যেনো না হয় আমার মওত সেকেন্ডেই আমাকে ধরে ফেলবে আর আমি বেখেয়াল।

ভয় হয় অপবিত্র অবস্থায় বা গুনাহের ক্বলব নিয়ে না রব্বের সামনে উপস্থিত হতে হয়। এতো ভাবি প্রস্তুতি নিবো তবুও বার বার হাল ছেড়ে দেই আনন্দের মেলায় ডুবে।

অথচ আল্লাহ্ স্বরণ করিয়ে দেন, "(হে নবী) তাদের বলুন, যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালাতে চাচ্ছ, তোমাদেরকে সে মৃত্যুর মুখোমুখি হতেই হবে। শেষ পর্যন্ত তোমাদেরকে হাজির করা হবে দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা আল্লাহর কাছে। জীবদ্দশায় যা করেছ, তা তোমরা তখন পুরোপুরি জানতে ও উপলব্ধি করতে পারবে।" (সূরাহ জুমআ, আয়াত : ৮)

মিছে মায়া জেনেও নফসের সাথে যুদ্ধে বারবার হেরে যায়।নফসের চক্রান্তেই যেন ফেঁসে যেতে ওঁৎ পেতে থাকি। আমি হারতে চাইনা, চাইনা কবরের সংকীর্ণতা। আমি চাই কবরের প্রশ্বস্ততা যেটা জান্নাতের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়। চাই অথচ চাওয়ার লক্ষ্যে এগোতে পারিনা আফসোস।

‘নিশ্চয়ই কখন কেয়ামত হবে তা শুধু আল্লাহই জানেন। তিনি মেঘ থেকে বৃষ্টিবর্ষণ করেন। তিনি জানেন জরায়ুতে কী আছে। অথচ কেউই জানে না আগামীকাল তার জন্যে কী অপেক্ষা করছে এবং কেউ জানে না কোথায় তার মৃত্যু হবে। শুধু আল্লাহই সর্বজ্ঞ, সব বিষয়ে অবহিত।’ (সূরাহ লোকমান, আয়াত : ৩৪)

"দূরাচারীরা কি মনে করে যে, তাদের জীবন ও মৃত্যু এবং বিশ্বাসী ও সৎকর্মশীলদের জীবন ও মৃত্যু একইরকম হবে? কত ভ্রান্ত ধারণা ওদের।" (সূরাহ জাসিয়া, আয়াত : ২১)
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂

লেখাঃ Ayra Tehreem Ushmi (আল্লাহ্‌ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)

_
#ওহী (Seeking The Way To Jannah)

24/12/2022

সূরা ফাতির (فاطر), আয়াত: ৩

یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ ؕ ہَلۡ مِنۡ خَالِقٍ غَیۡرُ اللّٰہِ یَرۡزُقُکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ وَالۡاَرۡضِ ؕ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۫ۖ فَاَنّٰی تُؤۡفَکُوۡنَ

অর্থঃ হে মানুষ, তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর। আল্লাহ ব্যতীত এমন কোন স্রষ্টা আছে কি, যে তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযিক দান করে? তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তোমরা কোথায় ফিরে যাচ্ছ?

19/11/2022

সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ নিয়ামতগুলোর একটি হলো তাওফিক। যিকর একটি সহজ ইবাদত হওয়ার পরও খুব কম মানুষই এই ইবাদতটি করার তাওফিক (সক্ষমতা-সৌভাগ্য) লাভ করে। তাওফিকের সৌভাগ্য সবার হয় না।

ইমাম ইবনু আলান (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তাওফিক বিষয়টি খুবই বিরল। এজন্যই তা কুরআনে মাত্র একবার উল্লেখ করা হয়েছে।’ [দালিলুল ফালিহিন: ১/২১]

তাওফিকের বিষয়টি শুধু সুরা হুদে এসেছে—

وَمَا تَوۡفِیۡقِیۡۤ اِلَّا بِاللّٰهِ ؕعَلَیۡهِ تَوَکَّلۡتُ وَ اِلَیۡهِ اُنِیۡبُ

‘‘আর, আল্লাহ ব্যতীত আমার (কোনোকিছু করার) তাওফিক (সক্ষমতা) নেই। আমি তাঁর উপরই ভরসা করি এবং তাঁর দিকেই আমি প্রত্যাবর্তন করবো।’’ [সুরা হুদ, আয়াত: ৮৮]

একজন বিদ্বান বলেছেন, ‘আসমান থেকে তাওফিকের চাইতে দামি কোনো কিছু নেমে আসে না। আর জমিন থেকে ইখলাসের চেয়ে মূল্যবান কোনো কিছু উপরে ওঠে না।’ [আত-তাহবির শারহুত তাহরির, পৃষ্ঠা: ৬২]

ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আল্লাহ যাকে ভালবাসেন, তাকে তিনি সেসব কাজ করার তাওফিক দেন, যা তিনি ভালবাসেন।’

তাই, আমরা আল্লাহর কাছে সবসময় নেক আমলের তাওফিক চাবো। কারণ আল্লাহ তাওফিক না দিলে কোনো কিছু করার সাধ্য কারও নেই।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা উচ্চারণে সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী এবং আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়। তা হলো—

سُبْحَانَ اللّٰهِ وبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللّٰهِ الْعَظِيمِ

(সুব‘হা-নাল্লা-হি ওয়া বি‘হামদিহি সুব‘হা-নাল্লা-হিল আযি-ম)

অর্থ: আল্লাহ পবিত্র, প্রশংসা কেবল তাঁরই; মহান আল্লাহ ত্রুটিমুক্ত, পুতঃপবিত্র। [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৭৫৬৩]

এটি এটি সহজ আমল, আমরা অনেকেই জানিও। কিন্তু পালন করি কতজন? এই যে আমরা জানার পরও আমল করছি না, এর মানে হলো, আল্লাহ কর্তৃক তাওফিকপ্রাপ্ত হচ্ছি না। তবে, আল্লাহর দিকে ধাবিত হলে, আল্লাহ কাউকে বঞ্চিত করেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘যে তাঁর অভিমুখী হয়, তাকে তিনি সঠিক পথপ্রদর্শন করেন।’’ [সুরা আশ-শুরা, আয়াত: ১৩]

এজন্য সবসময় নেক আমলের বাসনা এবং বদ আমলের প্রতি ঘৃণার বিষয়ে আল্লাহর তাওফিক কামনা করতে হবে। পাশাপাশি যেকোনো গুনাহ হয়ে গেলে দ্রুতই তাওবাহ করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে হবে। কারণ গুনাহই মূলত তাওফিকলাভের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে যায়।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা যদি তাঁর কোনো বান্দার কল্যাণ করার ইচ্ছা করেন, তাহলে তাকে কাজ করার তাওফিক প্রদান করেন।’’ প্রশ্ন করা হলো, ‘হে আল্লাহ্‌র রাসুল! তিনি কিভাবে তাকে কাজ করার তাওফিক দেন?’ তিনি বললেন, ‘‘তিনি সেই বান্দাকে মারা যাওয়ার আগে নেক আমলের সুযোগ দান করেন।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ২১৪২; হাদিসটি সহিহ]

15/11/2022

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’লা আমাদের বলছেন -

"হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি (অন্যান্য কাজ হতে) অবসর হও এবং ইবাদতে মন দাও, তাহলে আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্র ঘুচিয়ে দেব। আর যদি তা না কর, তবে তোমার হাতকে ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব কখনোই দূর করব না।"

[ তিরমিযি: ২৬৫৪, ইবনে মাজাহ: ৪১০৭ (সহিহ)]

উপলবদ্ধি যেটা আসলো, আসলে সময়ের বারাকাহ কমে যায়না বরং আমরাই ইবাদাতের সুযোগ থেকে ধীরে ধীরে সরে এসে অতিরিক্ত দুনিয়াবী ব্যস্ততায় নিজেদেরকে সঁপে দেই ।

তারপর যখন এক সময় অন্তরে দুনিয়া পরিপূর্ণ ঢুকে যায়, ইবাদাত তখন প্রাণ হারায় । আর এভাবে বেড়ে যায় রবের সাথে যোজন যোজন দুরত্ব ।

রাসুলুল্লাহ ‎ﷺ বলেছেন,
“ যার জীবনের চিন্তা (লক্ষ্য) হবে আখিরাত আল্লাহ্ তার অন্তরে স্বচ্ছলতা দিবেন । তার কর্মকাণ্ড গুছিয়ে দিবেন এবং দুনিয়া অনুগত ও বাধ্য হয়ে তার নিকট আসবে । আর যার চিন্তা (লক্ষ্য) হবে দুনিয়া, আল্লাহ্ তার দুচোখের মাঝে দারিদ্র রেখে দিবেন, তার কর্মকাণ্ড বিক্ষিপ্ত করে দিবেন (ফলে সে অস্থিরতায় কাতরাবে) এবং দুনিয়া থেকে সে ততটুকুই অর্জন করতে পারবে, যা তার জন্য পূর্বনির্ধারিত।"

[ তিরমিযি: ২৪৬৫, সিলসিলা সহিহাহ: ৯৪৯-৯৫০ (সহিহ)]

29/09/2022

সুবহানআল্লাহ

29/09/2022

প্রিয় ছোট্ট শিল্পী মুয়াজ ❤️

Timeline photos 25/09/2022
14/08/2022

চারটা জিনিস চেহারাকে মলিন করে এবং আনন্দ ও সম্মান কেড়ে নেয়ঃ
(১) মিথ্যা
(২) ঔদ্ধত্য ও অহংকার
(৩) জ্ঞান ছাড়া অতিরিক্ত প্রশ্ন করা
(৪) লজ্জাহীনতা ও অশ্লীলতা।

চারটা জিনিস আনন্দ ও সম্মান ফিরিয়ে আনেঃ
(১) তাক্বওয়া
(২) সত্যবাদীতা
(৩) দানশীলতা এবং
(৪) আত্মসম্মান।

10/08/2022

সূরা আল মায়িদাহ (المآئدة), আয়াত: ৩৫

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ وَابۡتَغُوۡۤا اِلَیۡہِ الۡوَسِیۡلَۃَ وَجَاہِدُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِہٖ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ

হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য অন্বেষন কর এবং তাঁর পথে জেহাদ কর যাতে তোমরা সফলকাম হও।

Want your school to be the top-listed School/college in Dhaka?

Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

প্রিয় ছোট্ট শিল্পী মুয়াজ ❤️

Location

Website

Address


Dhaka
Other Dhaka schools & colleges (show all)
Daffodil Institute of IT (DIIT) Daffodil Institute of IT (DIIT)
Daffodil Plaza, 4/2 Sobhanbag (6th & 7th Floor) Mirpur Road, Dhanmondi
Dhaka, 1207

Daffodil Institute of IT runs professional BBA, CSE, BTHM, MBA & MTHM programs under the NU.

AUST-ARCHIES AUST-ARCHIES
141 & 142, Love Road, Tejgaon Industrial Area
Dhaka, 1208

Government Laboratory High School, Dhaka Government Laboratory High School, Dhaka
Dhaka, 1205

Govt. Lab. (as it is popularly known) was established on 3 September 1961. The boys' school is a lea

Willes Little Flower Higher Secondary School Willes Little Flower Higher Secondary School
85, Kakrail, Ramna
Dhaka, 1000

LIGHT MORE LIGHT

Dhaka Residential Model College Dhaka Residential Model College
Mirpur Road, Mohammadpur
Dhaka, 1207

Unofficial page of Dhaka Residential Model College created by a Remian. Do not take this for a way t

Mohammadpur Government High School Mohammadpur Government High School
হুঁমায়ূন রোড, মোহাম্মদপুর, Humayun Road, Mohammadpur
Dhaka, 1207

আপনাদের কাছে যদি ছবি থাকে তবে অবশ্ব্য?

Dhaka Commerce College Dhaka Commerce College
Commerce College Road, Mirpur 1
Dhaka, 1216

Dhaka Commerce College (DCC) ► Est.:1989 ► For Business Study & Science ► At Chiriakhana Road, Mirp

Dr Rafiuddin Ahmed Dr Rafiuddin Ahmed
Dhaka, 1217

I am working as an Associate Professor of Marketing at the University of Dhaka, Bangladesh. Besides t

St. Joseph Higher Secondary School St. Joseph Higher Secondary School
97 Asad Avenue, Mohammadpur
Dhaka, 1207

Home of all Josephites

Motijheel Govt. Boys' School Debating Club (M.G.B.S.D.C.) Motijheel Govt. Boys' School Debating Club (M.G.B.S.D.C.)
Motijheel Govt. Boys' High School
Dhaka, DHAKA-1000

RAJUK Uttara Model School & College RAJUK Uttara Model School & College
Sector-6, Uttara Model Town
Dhaka, 1230

RAJUK Uttara Model College(RUMC) is a co-educational Bangladeshi High school(Grade VI-XII) situated

EWU EWU
Dhaka, 1212

The idea of establishing a private university to provide quality education at an affordable cost in