সত্যিকারের মানুষ গড়ার কারিগর!
Samadar Para Multi Lateral High School
The Honorable Teachers of the School are:
MD. ABUL KALAM
ABDUR RAHMAN
S.M. WAZIUDDIN CHY
MOZAMMEL HOQUE
MD. MUKTER HOSSAIN
MD.
ATAULLAH
SABER AHMED HAZARI
NILMANI DAS
MD. NASIR UDDIN
EBTAKHARUL ISLAM
MD YUNUS
RAJAUL KARIM
প্রতিবছর বই ছাপানোর দরকার নেই, বিকল্প ভাবুন!
_____._____._____.__🔰__._____._____._____
আমার ছেলে এখন কানাডার একটা জুনিয়র স্কুলে ক্লাস সিক্সে পড়ে। প্রি-স্কুল থেকে সে এখানে লেখাপড়া শুরু করলেও আজ পর্যন্ত আমি আমার ছেলের পাঠ্যবইয়ের কোনো চেহারা দেখিনি। প্রথম প্রথম আমার খুব অশান্তি লাগতো বই-খাতা-কলম-পেনসিল ছাড়া স্কুল হয় কিভাবে? কিন্তু, এটাই সত্যি শুধু একটা ব্যাগের মধ্যে সামান্য খাবার, স্কুল থেকে দেওয়া একটা প্রিন্টেড নোট ফাইল নিয়েই চলছে তার প্রাইমারি থেকে জুনিয়র স্কুল পর্যন্ত।
তার মানে কি ওদের পাঠ্যবই নেই? অবশ্যই আছে, সিলেবাসও আছে। কিন্তু, সেগুলো প্রতিদিন কাঁধে বা ব্যাগে করে স্কুলে নিয়ে যেতে হয় না, নিয়ে আসতে হয় না। সেগুলো স্কুলেই থাকে, সেখানেই লেখাপড়া করতে হয়।
কানাডার স্কুলের ছেলেমেয়েরা ক্লাস-লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে লেখাপড়া ও অনুশীলন করে। ক্লাস টেস্ট দিয়ে শিক্ষকের দেওয়া সামান্য ‘হোম ওয়ার্ক’ নিয়ে বাসায় ফেরে! সেটাও তাদের স্কুল থেকে দেওয়া প্রিন্টেড ফরমেটের লুজ শিটে প্রতিদিন করে নিয়ে যেতে হয়। এটা করতে তাদের হেলেদুলে আধঘণ্টা থেকে একঘণ্টা সময় লাগে।
তাদের মূল লেখাপড়া ও মূল্যায়নের কাজ প্রতিদিনের ক্লাসে-স্কুলেই হয়ে থাকে। কখন পরীক্ষা হয়, টেস্ট হয় সেটা আমরা জানতেও পারি না। কিন্তু, বছরের নির্দিষ্ট সময়ে খামের মধ্যে সন্তানের গ্রেড, পারফরমেন্স ও রিপোর্ট কার্ড ঠিকই বাসায় চলে আসে।
যতটুকু জানি প্রতিবেশী শ্রীলংকাতেও একই ব্যবস্থা চালু আছে। সেখানেও স্কুলের বই ব্যবহার করেই ছেলেমেয়েদের পড়তে হয়। বিশ্বের উন্নত-উন্নয়নশীল অনেক দেশেই এই ব্যবস্থা চালু আছে।
কানাডা-আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন ব্যবস্থা যখন দেখি তখন নিজের দেশের কথা মনে হয়। বাংলাদেশে ২০১০ সাল থেকে বছরের শুরুর দিনে মানে ১ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী ছেলেমেয়েদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করেন। যাকে ‘বই উৎসব’ বলা হয়। অনেক অনিয়মের মধ্যে এটাও একটা সাফল্য যে, নিয়ম করে ঠিক সময়ে শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। এ জন্য সরকারকে সাধুবাদ।
প্রশ্ন হচ্ছে— প্রতিবছর ‘শিক্ষা উৎসব’র নামে হাজার কোটি টাকা খরচ করে কোটি কোটি বই ছাপানোর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা-পদ্ধতিও আছে কি না, চালু করা যায় কি না?— সে প্রসঙ্গ। যেহেতু প্রতিবছর একই বই নতুন মোড়কে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সে কারণে কাজটা মোটেই কঠিন নয়, সহজেই করা সম্ভব। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ব্যবস্থা-পদ্ধতি অনেক বছর ধরে চালু আছে।
এনসিটিবি’র তথ্য মতে, ২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রায় ৩৫ কোটি বই ছাপানো হবে। এর মধ্যে মাধ্যমিকে প্রায় ২৪ কোটি ৪১ লাখ বই ছাপানো হবে। এতে সরকারের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫০ কোটি টাকা।
প্রাথমিকের বইয়ের চাহিদা এখনো না আসলেও গত বছরের চাহিদা ধরে প্রায় ১০ কোটি ৫৪ লাখ বইয়ের দরপত্র দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলে বিনামূল্যের ৩৫ কোটি বই ছাপাতে সরকারের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ১,১০০ কোটি টাকা।
বই ছাপার সঙ্গে যুক্ত আছে প্রকাশনা শিল্প, শ্রমশক্তি ও বিশাল পুঁজি। কিন্তু, প্রতিবছর একই বই ছাপাতে যেমন প্রচুর অর্থের দরকার একই সঙ্গে সরকার ও প্রশাসনকে এদিকে গভীর মনোযোগ রাখতে হয়। বই বিতরণের জন্য সর্বত্র একটি বাড়তি আয়োজন করতে হয়। এর যোগাযোগ ও ব্যবস্থাপনার একটি বিরাট দিক আছে।
কিন্তু, বছর বছর বই ছাপার যদি কোনো বিকল্প ব্যবস্থা থাকে, তাহলে সে পথে না গিয়ে কেনো শিক্ষার সীমিত বাজেটের মধ্যে এই বিপুল অংকের টাকা খরচ করে প্রতিবছর বই ছাপা হয়— তা বোধগোম্য নয়!
এ কাজের সঙ্গে যুক্ত আমলা, নীতিনির্ধারক ও রাজনীতিকরা কি বিষয়টি কখনো ভেবে দেখেছেন? ভেবে দেখেননি, এগুলো নিয়ে তাদের ভাবার সময় নেই অথবা তারা এগুলো নিয়ে ভাবতে চান না।
শত শত আমলা ও নীতিনির্ধারক প্রতিমাসে সরকারি টাকায় বিদেশে শিক্ষণ-প্রশিক্ষণে যান। কিন্তু, তারা কী শিক্ষা নেন, কী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন? এর কোনো বাস্তব প্রয়োগ তো দেখি না, উন্নয়নেও এর ভূমিকা দেখি না।
আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকদের আগ্রহ কেবল টাকা-পয়সা ভিত্তিক প্রকল্পের দিকে। যেখানে স্বার্থ-সুবিধা ও কমিশন বাণিজ্য আছে, যেখানে অনাহুত খবরদারি-মাতব্বরি আছে সেখানে তাদের আগ্রহ বেশি।
আমাদের সম্পদ কম, সমস্যা অনেক। কিন্তু, আমাদের অনেক সংকট সমাধানের বড় সমস্যা অর্থ নয়, সংকট উপযুক্ত নীতি ও পদ্ধতির। অর্থের সংকট, সম্পদের সীমাবদ্ধতার কথা নির্বোধ জনগণকে বোঝানো হয়। কিন্তু, আমলা-মন্ত্রীদের বিলাসিতার কোনো ঘাটতি নেই।
যে অভিজ্ঞতার গল্প দিয়ে লেখাটা শুরু করেছিলাম সেখানে ফিরে যাই। সরকার প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে পাঠ্যবইগুলো না দিয়ে বইগুলো স্কুলের ক্লাস-লাইব্রেরিতে রাখবে। সেখান থেকে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা স্কুলে গিয়ে বইগুলো নিয়ে পড়বে এবং শিক্ষকরাও তাদের সেখান থেকে পড়াবেন ও শেখাবেন।
পাঠ্যবইয়ের লেখাপড়া ছেলেমেয়েরা স্কুলেই শেষ করে আসবে। শিক্ষকরা বাসার জন্য শিশুদের সিলেবাস অনুযায়ী ফরমেট করা সামান্য বা প্রয়োজনীয় ‘হোমওয়ার্ক’ দেবেন। সেটা তারা বাসা থেকে করে নিয়ে আসবে।
এভাবেই পালা করে বছরের পর বছর শিক্ষার্থীরা এ বইগুলো ব্যবহার করবে। এই পদ্ধতি চালু করা গেলে প্রতিবছর বিপুল অর্থ খরচ করে বই ছাপাতে হবে না। বই ঠিক মতো ছাপা হলো কি না তা নিয়ে তাদের আর নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে না।
এটা করতে আমাদের অনেক কিছু করার দরকার নেই, শুধু শিক্ষা-কাঠামোয় কিছুটা ব্যবস্থাগত পরিবর্তন আনতে হবে।
উত্তর আমেরিকার শিক্ষা হচ্ছে বিশ্বের সেরা শিক্ষাগুলোর একটি সেখানে এ পদ্ধতি চালু আছে অনেক বছর ধরে। সীমিত সামর্থের দেশ বাংলাদেশ এ পদ্ধতি সহজে চালু করতে পারে।
কেউ বলতে পারেন প্রতিবছর পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তন হলে, সেটা না ছাপিয়ে তো উপায় নেই! প্রশ্ন হচ্ছে সেরকম কিছু হলে ভিন্ন কথা।
আমার মনে হয় না প্রতিবছর এই কাজ হয়। এ ক্ষেত্রে আমার মত হচ্ছে— পাঠ্যপুস্তকে যদি কোনো মৌলিক পরিবর্তন না ঘটে তাহলে তথাকথিত গদবাঁধা পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। দুই-একটা গদ্য-পদ্য-অধ্যায় পরিবর্তনে শিক্ষার গুণমানের কোনো তারতম্য হয় না বিধায় সেটা করা জরুরি নয়। তাহলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কেনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না?
পাঠ্যপুস্তকে যদি পরিবর্তন করতেই হয় অন্তত ৫ থেকে ১০ বছর পরপর এই কাজটি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন নীতিমালা অনুসরণ করে। সরকারও শিক্ষা-সংশ্লিষ্টদের নিয়ে প্রচলিত নীতির পুনর্বিন্যাস করতে পারে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক যুগান্তকারী মৌলিক কোনো পরিবর্তন ঘটলে তা নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।
আসলে বাংলাদেশের সব কিছুর মধ্যে ফন্দিফিকির ঢুকে গেছে। সে কারণে অর্থনৈতিক প্রকল্পে সংশ্লিষ্টদের আগ্রহ বেশি। আমলা, নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্টরা তাদের স্বার্থ-সুবিধা-বাণিজ্য ও কমিশনের উপযোগী কাজ করতে বেশি আগ্রহী হন। সেটা করেই তারা তাদের প্রচলিত বা নিত্যনতুন ধারাকে যৌক্তিকতা দেন এবং নিজেদের করিৎকর্মা হিসেবে জাহির করেন।
আমাদের দেশের আমলারা শুধু মোটা মোটা অংকের খরচের পথ বের করেন। কিভাবে খরচ কমিয়ে বা খরচ না করে একটা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা তারা করতে পারেন না, বা করতে চান না!
একটা ব্যবস্থা উন্নত করা বা পরিবর্তনের নামে যে প্রকল্পগুলো তৈরি করা হয়, এর বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয় ও তুঘলকি কাণ্ড। এর চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে— সে সব খাতে দরকারের অনেকগুণ বেশি অর্থ বরাদ্দ নেওয়া হয়। পত্রিকার পাতায় প্রায়ই পর্দা, বালিশ, চেয়ার, কাঁটাচামচ ক্রয় ও বিদেশ ভ্রমণের অবিশ্বাস্য, অসঙ্গতিপূর্ণ নানা প্রকল্পের মুখরোচক সংবাদ দেখতে হয়।
প্রতিবছর বই ছেপে হাজার কোটি খরচ না করে সে টাকা দিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যবস্থা করা যায়। দেশের অনেক স্কুলের অবকাঠামো অত্যন্ত দূর্বল-শোচনীয়— সেগুলো সংস্কার-মেরামত করা যায়।
শিক্ষার মান নিয়ে অনেক কথা আছে। এর উন্নয়ন ও গবেষণায় জন্যে অর্থের প্রয়োজন। দেশে দূর্যোগকালীন শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। বর্তমান মহাদূর্যোগে লেখাপড়া ছাড়া অটোপ্রমোশন দিয়ে চলছে, যা শিক্ষার জন্য মহাবিপদ তৈরি করছে।
ডিজিটালাইজেশনের কথা বলা হলেও প্রযুক্তিগত সুবিধা, ইন্টারনেট, ডাটার অভাবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার বাইরে আছে। এ সমস্যা সমাধানের কোনো দৃশ্যমান পরিকল্পনা, উদ্যোগ দেখছি না। চলমান বিপদ-দূর্যোগ সহসাই শেষ হওয়ার নয়। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও অর্থায়ন দরকার।
শেষ কথা, আমাদের দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড়সম সমস্যা আছে সে কথা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এর সব সমস্যাই অর্থনৈতিক নয়। এই সমস্যার অন্তত অর্ধেক দূর করা সম্ভব কেবল উপযুক্ত নীতি, পদ্ধতি, ব্যবস্থাগ্রহণ ও প্রয়োগের মাধ্যমে। সে জন্য দরকার কিছুটা সততা ও দেশপ্রেম। সেটা বিদেশ থেকে আমদানি করা সম্ভব নয়, দেশ থেকেই করতে হবে!
_____._____._____🔰_____._____._____
ড. মঞ্জুরে খোদা,
প্রাবন্ধিক-গবেষক,
ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, কানাডা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লো ৬ আগস্ট পর্যন্ত
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের সোমবার (১৫ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন।
করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে সীমিত পরিসরে অফিস ও গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়েছে।
তবে গত ১ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস শুধুমাত্র প্রশাসনিক রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে (যথা: ছাত্রভর্তি, বিজ্ঞানাগার, পাঠাগার, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ইত্যাদি) সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। তবে অসুস্থ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, সন্তান সম্ভবা নারী এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
করোনা ভাইরাস এর বিস্তার রোধ করতে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা!
স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আজ ১৬ই মার্চ সোমবার মধ্যাহ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের পর শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
ঘটনাটা ভারতের বাঙ্গালোর শহরের এক স্কুলের। নামী স্কুল একদম নীচু ক্লাশে ভর্তির সুযোগ পাওয়াও দুষ্কর। সেইখানে এক ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে তার বাবা মা দুরু দুরু বুকে পৌঁছেছেন ইন্টারভিউ দিতে। খুব স্বাভাবিকভাবেই শিশুটি বোঝেই না যে সে কেন সেখানে গেছে। ঘরে সে, তার বাবা-মা, একজন শিক্ষিকা আর প্রিন্সিপাল ম্যাম।
কথোপকথন সবই ইংরিজিতে।
"What's your name?"
"Sita"
"Good. Tell me something you know"
"I know many things. Tell me what you want...!"
যাঃ, এডমিশনের সব আশা গেল বুঝি! সীতার মা সামাল দিতে কিছু বলতে যাচ্ছিলেন, প্রিন্সি ম্যাম তাঁকে নিরস্ত করলেন। সীতাকে বললেন,
"Tell any rhyme or story which you know.."
"Which one you want.. Rhyme or Story!?"
"Ok. Plz tell me a story.."
"Do uou want to hear what I studied or what I wrote..!?"
সচকিত প্রিন্সিপাল "Oh! you write stories...???"
"Why should I not write..?"
ঘরে পিন পড়লে শব্দ শোনা যাবে। কোনোমতে প্রিন্সিপাল বললেন
Ok, tell me the story which you have written-?
One day "Ravanan kidnapped Sita & took her to Srilanka"
এবার সকলের মুচকি হাসির পালা।
"Rama asked Hanumans” help to rescue Sita. Hanuman too agreed to help Rama ..."
সকলেই স্বচ্ছন্দ, প্রিন্সিপাল হাসলেন
"Then?"
"Now, Hanuman called his friend Spider man."
কহানিমে টুইস্ট
"Why?"
"Because there are lot of mountains between India and Srilanka.. but if we have Spiderman we can go easily with his rope..."
প্রি - “But Hanuman can fly isn't it.. ?"
“Yes. But he is having Sanjeevi Mountain on one hand so he cannot fly very fast.!"
সবাই চুপ দেখে সীতার প্রশ্ন "Should I continue or not?.".
"Ok plz continue!"
"Hanuman and Spiderman flew to Srilanka and rescued Sita. Sita said Thanks to both!"
"Why"
"When you are helped you should say Thanks!৷ So Sita requested Hanuman to call Hulk..."
কুতূহলী শ্রোতাদের কাছে সীতার ব্যাখ্যা " Now Sita is there, so to take her safely back to Rama she called Hulk"
এবার শিক্ষিকা - “What??? "Hanuman can carry Sita right?"
"Yes. But he has Sanjeevi Mountain in one hand and has to hold spider man on the other"
সকলের মুচকি হাসি পরোয়া না করে সীতা বলে চলে. " So when they all started to India they met my friend Akshay! "
"How come Akshay there now?"
"Because its my story and I can bring any one there!"
এতক্ষণে প্রিন্সিপাল সীতার কথায় খানিকটা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন, তাই পরের চমকের জন্য অপেক্ষা করেন।
সীতা মহা উৎসাহে বল চলেছে, "Then all started to India and landed at Bangalore majestic bus stop!"
প্রি "Why they have landed In majestic bus stop?
"Because they forgot the way..& Hulk got an idea and called Dora!"
এবার নতুন চরিত্র - ডোরা
"Dora came and she took Sita to malleshwaram 5th cross ..... that's all!"
সীতার গল্প শেষ, তার মুখে স্বর্গীয় হাসি. 😀
প্রিন্সি ম্যাম তবুও শুধোন "Why malleshwaram 5th cross...?"
"Ohh! Because Sita lives there & I am Sita!!!"
প্রিন্সিপাল সীতাকে জড়িয়ে ধরেন।
সীতা এখন ঐ স্কুলে পড়ছে।
আমার পাওয়া পোস্টগুলোর অন্যতম সেরা। খালি ভাবছি এই শৈশব, এই কল্পনাকে আমরা নিয়ত টুঁটি টিপে মারছি না তো!🏻
_
[সংগৃহীত: মূল লেখকের নাম জানা যায়নি]
র্যাগিং নয়, সৌহার্দ্যে জড়িয়ে থাকুক প্রাণের বিদ্যাঙ্গন!
==================================
১২ই জানুয়ারী'২০২০ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে র্যাগিং বিরোধী কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন।
দেশের সকল স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরু হয়েছে নতুন একটি শিক্ষাবর্ষ। নবীন ছাত্রছাত্রী ভাইবোনেরা যেন র্যাগিংয়ের শিকার না হন সেই পরিবেশ গড়ে তুলতে সচেতন শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
🌄 "শিক্ষাঙ্গনে ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি-২০২০"
__________________________________________
২০২০ সালের শিক্ষাবর্ষে মোট ৮৫ দিন ছুটি থাকছে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে।
ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি অনুমোদন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধান শিক্ষকের সংরক্ষিত তিনদিনের ছুটিসহ বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে মোট ৮৫ দিন ছুটি থাকছে নতুন বছরে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মো. মোকসেদ আলী স্বাক্ষরিত এ ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কমকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না।
HAPPY NEW YEAR-2020! 🎉
বাংলাদেশের স্কুল গুলোতে ছোট ছোট সময়ের যেমন ৫০ মিনিট বা ১ ঘন্টার ক্লাসে একই দিনে প্রায় সব বিষয় পড়ানোর চল আছে। এতে করে শিক্ষকরা গাল গল্প করে, পড়া ধরার নাম করে সময় ক্ষেপণ করে চলে যান। বিপরীতে দীর্ঘ পিরিয়ডে ক্লাস নিয়ে কিভাবে পড়ালেখা স্কুলেই সীমাবদ্ধ রাখা যায় রার স্থায়ী পদ্ধতি ডেভেলপ করতে হবে।
অষ্টম পর্যন্ত (প্রাথমিক ও নিন্ম মাধ্যমিকে) বাড়ির কাজের নিময় একেবারেই তুলে দিয়ে স্কুলকেই প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার কেন্দ্র বানাতে হবে। একটা দীর্ঘ সময় স্কুলে থাকার পরেও আমাদের সন্তানদের বাড়িতে এসে পড়তে হবে এটা মানা যায় না। এই বাড়ির কাজের জন্যও দরকার হয়ে পড়েছে কোচিং আর প্রাইভেট। গ্রামীণ ও প্রান্তিক সমাজে অবিভাবকের পক্ষে প্রাইভেট পড়ানোটা আর্থিক দিক থেকে একটা লাক্সারি।
তাই পড়ালেখা ও শিক্ষণ স্কুলেই সীমাবদ্ধ রাখতে মাথাপিছু শিক্ষকের নিয়োগের মানদণ্ড ঠিক করে দিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। মাথাপিছু শিক্ষার্থী সংখ্যার বিপরীতে শিক্ষক সংখ্যার মানদন্ড তৈরি করা আজ বড়ই দরকার। ভিকারুন্নিসা স্কুলের ক্রাইসিসেরর সময় দেখা গেছে একটা মাত্র শ্রেনীকক্ষে ৮৪ জন শিক্ষার্থী, এই সমস্যা বহু স্কুলে।
একজন শিক্ষকের পক্ষে এক ঘন্টায় ২০ বা ২৫ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে সময় দেয়া অসম্ভব। শ্রেণীতে অধিক সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী থাকায় তারা ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে, আর যাচ্ছে, কিন্তু শিক্ষক জানেন না তারা কি শিখছে! এভাবে চলে না। স্কুলে সংখ্যা বাড়াতে হবে, মাথাপিছু শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষক সংখ্যা বাড়াতে হবে।
লিখেছেনঃ ফাইজ তাইয়েব আহমেদ,
প্রখ্যাত গবেষক, চিন্তাবিদ ও কলাম লেখক।
ছমদর পাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সিনিয়র শিক্ষক জনাব আব্দুর রহমান স্যারের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
আমরা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং মরহুমের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্যারের মানবীয় দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করে উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস এর মেহমান করে নিন। আমীন।
সাতকানিয়ার ছমদর পাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সিনিয়র শিক্ষক জনাব আব্দুর রহমান সাহেব গতকাল ১লা আগস্ট'২০১৯ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন...
আজ শুক্রবার সকাল ১১.০০ টায় মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে জানাযার নামাজের পর উনাকে দাফন করা হবে।
ছমদর পাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সর্বশেষ বিদায়ী ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এবং অত্র বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র এবং বাংলাদেশের সকল প্রান্ত থেকে যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনেরা ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আশানুরূপ ফলাফল অর্জনে কৃতকার্য হয়েছ তোমাদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
আর যারা আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করতে পারেনি তাদেরকে বলছি হতাশ না হয়ে ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, তোমাদের জন্যও রইল অনিঃশেষ শুভকামনা... বেস্ট অফ লাক এহেড!
রেজাল্ট যেমনই হোক, তোমাদের মধ্যে থাকা দরকার ভাল করার সংকল্প, নিজেকে গড়ার ইচ্ছাশক্তি, সাহস, দেশপ্রেম, একটা ভাল মানুষ হবার প্রতিজ্ঞা... আর কিছুনা। আমরা তোমাদের মধ্যে এসবও দেখতে চাই, শুধুই এ প্লাস না।
থমাস আলভা এডিসন বলেছেন, “জীবনে যেকোনো কিছুকে অর্জন করতে গেলে, এই তিনটে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের প্রয়োজন – কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ়তা এবং সাধারণ জ্ঞান”।
অভিনন্দন!
Click here to claim your Sponsored Listing.
Location
Category
Website
Address
Chittagong
4386
Zakir Hossain Road
Chittagong, 1207
upload photos of ur IPSC lyf...& dont 4get 2 invite more & more friends...:)
Campus-1: 3 Zakir Hossaun Road, South Khulshi. Campus-2: House No. 1, Road No. 1, South Khulshi
Chittagong
Worst School In the WORLDDD!!!
Chittagong
A kindergarten school which is ruled by Chittagong City Corporation
2no Gate
Chittagong, 4209
Darsul Quran Madrasah offers 3 programs: 1) Islamic School 2) Sahih Al-Quran Learning 3) Hifzul Quran
4 Number Word Paschim Boroghona, Banshkhali
Chittagong, 4390
This is an non Government madrasah. managed by the help of all muslim.
Chittagong, 4350
A Trusted Educational Academy For your Child.We provide Them A 1st class education service As like your home.Our All Teacher Are very Friendly and Responsible to tech they are student.
পূর্ব চাম্বল, চাম্বল, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম
Chittagong, ৪৩৯০
চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়,চাম্বল বাঁশখালী চট্টগ্রাম।