Department of History, University of Chittagong
The department of History were established in 1966 University of Chittagong It was opened on 18 November 1966. Back in 1962, Mr.
University of Chittagong situated on 1,757 acres of beautiful hilly land in mauja Fatehpur under hathazari upazila, 22 km north of chittagong city. Mohammad Ferdaus Khan, Deputy Director of Public Instruction of East Pakistan, prepared a preliminary draft plan of Chittagong University. Prior to that the Chittagong University Movement Council was formed in 1961 with Badshah Mia Chowdhury, a disting
Operating as usual
ওরিয়েন্টেশন
ইতিহাস-৫৯, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
আমরা তোমাদের ভুলব না।
'বন্যা সংকটে জরুরী ত্রাণ তহবিল গঠন'
প্রিয় সুহৃদ,
উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারকে সহযোগিতার জন্য 'ইতিহাস পরিবার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়' তহবিল সংগ্রহ করছে। আসুন এই দুর্যোগে আমরা ভালবাসার হাত বাড়িয়ে সংকটে থাকে মানুষের পাশে দাঁড়াই।
সহযোগিতা পাঠাবার ঠিকানা:
সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী (মাস্টার্স)
বিকাশ: 01789877424
আকিজ মাহমুদ (চতুর্থ বর্ষ)
বিকাশ ও নগদ: 01798977966
তাহমিদ হাসান তৌকি (তৃতীয় বর্ষ)
বিকাশ: 01301198084
হাসিবুল হাসান বাবু (দ্বিতীয় বর্ষ)
রকেট: 017784443724
মো.রাকিবুল ইসলাম ইমন (প্রথম বর্ষ)
রকেট: 013278528450
Md Miraz Hossain (4th year)
Agrani Bank: 0200015006965
University of Chittagong Branch
ধন্যবাদান্তে,
ইতিহাস পরিবার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
আসসালামু আলাইকুম,
দেশ আকস্মিক বন্যায় এক ক্রান্তিকাল পার করছে। নিশ্চয় দেশের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা অবগত আছেন।
ফেনীর ছয় উপজেলা ইতোমধ্যে প্লাবিত। ভারত থেকে খুলে দেওয়া বাঁধের পানি প্রবাহ কোনভাবেই কমছে না। সাথে যুক্ত হয়েছে টানা বৃষ্টি।
এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস পরিবারের ফেনীস্থ শিক্ষার্থীবৃন্দ প্লাবিত এলাকায় আটকে পড়া জনগণকে উদ্ধার ও জরূরী প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। ফেনী জেলার এই দুর্দিনে ইতিহাস বিভাগের সাবেক ও বর্তমান সকল ব্যাচ এবং শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। যারা অনুদান প্রদানের মাধ্যমে শরীক হতে চান তাঁরা অনুদান প্রদানের মাধ্যমে এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
টীমের সদস্যরা হলঃ
~~~~~~~~~~~~~~
মাসুদ রেজা (ইতিহাস-৫২) ফেনী সদর,
01891-562701
আজহারুল ইসলাম আশিক (ইতিহাস-৫৩ ব্যাচ)
01679558434
নিলয় (ইতিহাস-৫৪ ব্যাচ) ছাগলনাইয়া, ফেনী।
01518457655
পারভেজ (ইতিহাস-৫৪ ব্যাচ) সোনাগাজী, ফেনী।
01870-310559
মাসুম (ইতিহাস-৫৪ ব্যাচ), চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।
01718-570500
রবিউল আলম (ইতিহাস-৫৭ ব্যাচ)
01823975400
ধৃতি(৫৪ ব্যাচ)
হাবিব(৫৪ ব্যাচ)
সাখাওয়ত(৫৪ ব্যাচ)
জাহিদ হাসান(৫৫ ব্যাচ)
মনিরুল ইসলাম (৫৫ ব্যাচ)
ত্রিশান (২২-২৩ সেশন)
★ সাবজেক্ট রিভিউ - ★ইতিহাস ★
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যে চারটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে তার মধ্যে ইতিহাস বিভাগ অন্যতম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি, ইতিহাসের অধ্যাপক এ. আর. মল্লিক স্যারের হাত ধরে ইতিহাস বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। এরপর উপমহাদেশের স্বনামধন্য ইতিহাসবিদ অধ্যাপক আব্দুল করিম স্যারের হাত ধরে এই বিভাগ অনেকদূর এগিয়ে যায়। এই বিভাগের একমাত্র ইমিরিটাস অধ্যাপক হচ্ছেন আমাদের আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন স্যার। যিনি শিক্ষায় একুশে পদক প্রাপ্ত।
★শিক্ষা পদ্ধতি : ইয়ার বেসিস শিক্ষা পদ্ধতি চালু আছে। প্রতি বছরে একবার ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা নেয়া হয়। ইতিহাস বিভাগে ইতিহাসের পাশাপাশি রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ভূগোল,অর্থনীতি ও সমাজতত্ত্বের উপরেও কোর্স পড়ানো হয়।
★সেশন জট:
ইতিহাস বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম দ্রুততম ডিপার্টমেন্ট হিসেবে পরিচিত। শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এখানে সেশনজটের স্বাদ নেয়ার কোন সুযোগ নেই! চার বছর মেয়াদী অনার্স কোর্স চার বছরেই শেষ হয়ে যায়।
★রেজাল্ট:
ইতোপূর্বে ইতিহাস বিভাগের রেজাল্ট অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এর তুলনায় কিছুটা খারাপ হলেও আস্তে আস্তে সেটা কাটিয়ে উঠার আশা করা যাচ্ছে। তবে,গড়ে মোটামুটি ৩ থাকে(আউট অব ৪ স্কেল)।
★বিদেশে স্কলারশিপ:
এখানে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে বিশ্বের বিভিন্ন নামিদামি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে ইতিহাসকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে পড়ানো হয়।
★ইতিহাস বিভাগের বিশেষ সুবিধা:
পড়াশোনা শেষ করে সবাই একটা ভাল চাকুরির প্রত্যাশা করে। এক্ষেত্রে, অধিকাংশেরই বিসিএস সহ বিভিন্ন প্রথম শ্রেনির সরকারি চাকুরিই বেশি পছন্দ।
যারা এসব চাকুরির প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে চান তাদের জন্য ইতিহাস বিভাগ বিশেষ উপকারী। এখানে বাংলা সহ পুরো ভারতবর্ষের ইতিহাস বিশেষ গুরুত্বের সাথে পড়ানো হয়। এতে বিসিএস সহ অন্যান্য প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সিলেবাসের বেশ কিছু অংশ পড়া হয়ে যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশ বিষয়াবলী ও সাধারণ জ্ঞানের অনেকটাই কাভার হয়ে যায়। এছাড়া, আন্তর্জাতিক ইতিহাস পড়ার সুবাধে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর অনেক কিছুও পড়া হয়ে যায়।
★ জব সেক্টর:-
বিসিএস বা অন্যান্য প্রতিযোগিতা-মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি চাকুরি লাভ করা যায়। এক্ষেত্রে, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধার কথা উপরে বলেছি।
ইতিহাস বিভাগের সাবেকদের একটা বড় অংশ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আছেন। তাদের পথ ধরে এসব প্রতিষ্ঠানে জব করতে পারেন।
বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, এমপিও ভুক্ত স্কুল কলেজে শিক্ষকতাকেও পেশা হিসেবে নিতে পারেন।
ইতিহাসকে অনেকে রসকষহীন সাবজেক্ট বলে থাকেন। কিন্তু আমি বলব, জানার আগ্রহ নিয়ে পড়লে ইতিহাস অনেক মজার একটা সাবজেক্ট।
সংগ্রহেঃ রুবাইদা আফসানা
৪৭তম ব্যাচ- ইতিহাস বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
তথ্যসূত্রঃ
শহীদুল্লাহ আনছারী
২৩ মত ব্যাচ
২৯.০৬.২৪.
এ বাংলা কিংবা উপমহাদেশের মুসলমান শাসকদের পূর্নাঙ্গ ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দানকারী প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ শ্রদ্ধেয় ড. আবদুল করিম স্যারের আজ জন্মদিন।
তিনি বাঁশখালি উপজেলার চপাছড়ি গ্রামে ১৯২৮ সালের পহেলা জুন জন্মগ্রহণ করেন।
তার প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন মাদ্রাসা দিয়ে। পরবর্তী তিনি মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক শেষ করে ১৯৪৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন বর্তমান চট্টগ্রাম কলেজে। এখান থেকে তিনি প্রথম বিভাগে আইএ পরিক্ষায় ২ স্থান অধিকার করেন। ১৯৪৬ সালে একই বিভাগ থেকে ৮ম স্থান অধিকার করে আই এ পাশ করেন। অতপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৪৯ সালে ২য় শ্রেনিতে বি.এ পাস করেন। ১৯৫০ সালে একই বিভাগ থেকে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি অধ্যাপক আহমদ হাসান দানীর অনুপ্রেরণায় গবেষণা কর্ম শুরু করেন। অধ্যাপক আহমদ হাসান দানীর তত্ত্বাবধানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর পিএইচডি শিরোনাম ছিল ‘Social History of the Muslims in Bengal’ যা পরে পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৬০-৬১ সালে আবদুল করিম লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের School of Oriental and African Studies থেকে ‘Murshid Quli Khan and His Times’ শিরোনামে দ্বিতীয় পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এটিও পরে পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এ ছিল তার শিক্ষা জীবন।
তিনি পিএইচডি করার আগে অর্থাৎ এম.এ পাস করার পরপরই ১৯৫১ সালে ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সহকারী হাউস টিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৫৭ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি ঐ হলের হাউস টিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তিনি নিজ এলাকার মায়ার টানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন এবং যোগদাব করেন। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৬৯ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নিত হন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭৫-১৯৮১ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ এ সিনিয়র ফেলো হিসেবে যোগ দেন। এ সময়ে (১৯৮৯-১৯৯০) তিনি দুই খন্ডে বাংলায় মুগলদের ইতিহাস রচনা করেন যা পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়।
অধ্যাপক আবদুল করিমের পান্ডিত্য এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের জন্য ২০০১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক অধ্যাপক ইমেরিটাস নিযুক্ত করে।
তার প্রকাশিত গ্রন্থ গুলো হলো :- বাংলার ইতিহাস ( সুলতানি আমল), বাংলার ইতিহাস ( মুঘল আমল), বাংলার ইতিহাস : মুসলিম বিজয় থেকল সিপাহী বিপ্লব পর্যন্ত (১২০০-১৮৫৭) এবং চট্টগ্রামে ইসলাম এগুলো ছিল ওনার বাংলা ভাষায় প্রকাশিত গ্রন্থ। তার ইংরেজি ভাষায় ও বহু গ্রন্থ ছিল। যথা - সোশ্যাল হিস্টরি অফ দ্যা মুসলিম ইন বেঙ্গল, মুর্শিখুলি খান এন্ড হিজ টাইম, কার্পাস অফ দি অ্যারাবিক এন্ড পার্সিয়ান ইনস্ক্রিপশন, ঢাকা দ্যা মুঘল ক্যাপিটাল ও দ্যা রোহিঙ্গাস : এ শর্ট অ্যাকাউন্ট অফ দেয়ার হিস্টোরি এন্ড কালচার ইত্যাদি।
২০০৭ সালের ২৪ জুলাই চট্টগ্রামে এই তিনি মৃত্যুবরন করেন ।
তিনি দীর্ঘ সময় ধরে নিরলস ভাবে ইতিহাস গবেষণায় কাজ করে গেছেন। তিনি বাংলা ইতিহাস নিয়ে কাজ করেছেন। আবার উপমহাদেশের মুসলিম শাসন বা মধ্য যুগের ইতিহাস নিয়ে ও কাজ করেছেন। তার এসকল কাজ-কর্ম তাকে একজন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ হিসাবে ইতিহাসে স্থান করে দিয়েছে। যার নিরলস পরিশ্রমের কারণে আজ আমরা বাংলা কিংবা উপমহাদেশের মধ্যেযুগের এত সুন্দর ইতিহাস পড়তে পারি। যার গুরুত্ব আমরা ইতিহাস পড়ুয়ারা প্রতিনিয়ত উপলব্ধি করতে পারি।
- Rewrite : Hasnat Hasan Rahat
( ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। তথ্যে কোনো ভুল থাকলে কিংবা অপূর্ণ থাকলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে সহযোগিতা করবেন।)
সোর্চ :
১. উইকিপিডিয়া
২. বাংলাপিডিয়া
৩. দৈনিক ইত্তেফাক
"একজন জ্যোতির্বিদ ( শিক্ষক) তোমার সাথে মহাকাশ সম্পর্কে তাঁর অর্জিত বিদ্যা নিয়ে কথা বলতে পারবেন, কিন্তু তোমাকে সেই বিদ্যা দান করতে পারবেন না।" উপরের কোটেশন দিয়ে শুরু করা যাক প্রফেসর ড. আবদুল করিমকে নিয়ে আমাদের আলাপ। শিক্ষক হিসেবে আবদুল করিম ছিলেন আসলেই একজন জ্যৈতির্বিদ। তাঁর জ্ঞানের দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছে উপমহাদেশে জুড়ে। প্রফেসর আবদুল করিম একজন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, গুণী শিক্ষক ও পন্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। ১৯২৮ সালের ১ জুন চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার চাঁপাছড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষে ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে ইতিহাস বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে যোগ দেন৷ পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. আবদুল করিম সম্পর্কে সবচেয়ে সুন্দর কথা হলো, স্যার জানতেন প্রশাসন ও পড়াশোনা দুটো কিভাবে একসাথে চালিয়ে নেওয়া যায়। গবেষক হিসেবে তিনি উচ্চমার্গের, শিক্ষক হিসেবে অনুসরণযোগ্য। শিক্ষা প্রশাসক হিসেবে তাঁর কৃতিত্ব সম্পর্কে মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন," চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, প্রথম হল আলাওল হলের প্রভোস্ট, দু'দফায় আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিন এবং সুদীর্ঘ ছয় বছর উপাচার্যের দায়িত্ব তিনি পালন করেছিলেন ঈর্ষনীয় দক্ষতা ও প্রজ্ঞার সাথে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন বিভাগ খোলার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। "
গবেষণা, শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে স্যার দৃঢ়তা ও সফলতার ছাপ রাখতে পেরেছিলেন কারণ তাঁকে পদপবীর জন্য কোন নেতার বারান্দায় বসে থাকতে হয়নি। স্যারের যোগ্যতা ও ব্যক্তিত্ব-ই তাঁকে মর্যাদার আসনে নিয়ে গিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর কৃতী ছাত্রদেরকে সহকর্মী হিসেবে নিয়ে আসতেন তিনি। অবশ্যই সেকালে একটা রেওয়াজ ছিল এমন যে বিভাগের কৃতী ছাত্রদেরকে শিক্ষকরা ডেকে চাকরি দিতেন। বর্তমানে যা সম্পূর্ণ বিপরীত। তাঁর প্রাক্তন ছাত্র ও পরে সহকর্মী মোকাদ্দেসুর রহমান " করিম স্যার ঃ কাছ থেকে দেখা " শিরোনামে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লিখেছেনঃ
"প্রাক্তন ছাত্র, এখন নবীন সহকর্মী - সে এক অন্যরকম অনুভূতি। তবে ছাত্র জীবনের ভয়ভীতি বা সংকোচ কেটে যেতে সময় লাগেনি অবশ্যই এ ব্যাপারে স্যারই এগিয়ে এসেছিলেন। বিভাগীয় প্রধানের রুমে বসতে হতো আমাদেরকে কক্ষ স্বল্পতার কারণে। স্যার একদিন আমাকে সিগারেট অফার করলেন-- আমি তো ভয়ে লজ্জায় আধমরা। স্যারই সাহস দিলেন, " এখন তো আর ছাত্র নও, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমার সহকর্মী। নাও সিগারেট নাও, মাঝেমধ্যে আমাকেও দিও।"
করিম স্যার লেখালেখি ও গবেষণা করতেন বাংলা ইংরেজি দুই ভাষায়। আরবী ফার্সীও ভালো জানতেন তিনি। প্রথম বার পিএইচডি করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। গবেষণার বিষয় ছিল বাংলার মুসলমানদের সামাজিক ইতিহাস। দ্বিতীয়বার পিএইচডি করেন লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুর্শিদ খুলী খানের উপর। গবেষণা সম্পর্কে ড. করিম এর অনুরাগের একটা উদাহরণ দেয়া যাক তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী ও শ্যালক ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরীর লেখা থেকে।
"শিক্ষক সমিতির সভাপতি হয়ে যখন আমি স্যারের বাসায় গেলাম তখন তিনি মুচকি হেসে অভিবাদন করলেন। তারপর বললেন, ' সভাপতি হওয়ার চেয়ে তুমি একটা পাবলিকেশনের খবর নিয়ে আসলে আমি আরো খুশি হতাম।"
ড. করিমের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কুড়িটির অধিক। তাঁর আত্মজীবনী পড়ে সমকালীন সমাজ ও সংস্কৃতি, শিক্ষাব্যবস্থা ও রাজনীতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা যায়। বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে স্যারের প্রবন্ধ সংখ্যা প্রায় দুইশো। শিক্ষায় ও গবেষণায় তাঁর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি দেশে বিদেশের নানা পদক ও পুরস্কার লাভ করেছেন। একুশে পদক, ইন্ডিয়ান ন্যুমিজম্যাটিক সোসাইটির আকবর রৌপ্যপদক, ড. এনামুল হক পদক, আবদুল হাই স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি স্বর্নপদক এবং বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক ইত্যাদি।
আমাদের ছোটবেলায় দুইজন অধ্যাপকের নাম শুনেছিলাম। একজন ড. করিম, অন্যজন অধ্যাপক আসহাব উদ্দীন আহমদ। দুজনেরই বাড়ি বাঁশখালী। শিক্ষাক্ষেত্রে দুজন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন৷ প্রতিষ্ঠা করেছেন বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রেখে গেছেন অসংখ্য গুণগ্রাহী ও কীর্তিমান শিক্ষক। হাটহাজারী কলেজ ও বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠায় ড. করিমের অবদান অনবদ্য। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বেড়ে ওঠাতে ড. করিমের অবদান অনস্বীকার্য। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদ তাঁর নামে নামকরণের কারণ হয়তো এটাই।
৯৬তম জন্মবার্ষিকে এই মহান শিক্ষকের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। খোদা তাঁকে বেহেশতবাসী করুন।
আলমগীর মোহাম্মদ
০১.৬.২৪
আমাদের শিক্ষাগুরু ইতিহাস বিভাগের সাবেক প্রথিতযশা শিক্ষক, নির্মোহ, প্রচার বিমুখ জ্ঞান সাধক, অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হক স্যারের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে স্যারের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
মহান আল্লাহ্ স্যারকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমিন।
🔴 ঘোষণাঃ 🔴
যুদ্ধ, নগরায়ণ, শিল্পায়ন প্রভৃতির ফলে বর্তমানকালে বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ক্রমে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে । এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিককালে মানুষ নিজেদের সুষ্ঠভাবে বেঁচে থাকার তাগিদে পরিবেশ সম্পর্কে ক্রমে সচেতন হয়ে উঠছে । তাই পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনে দিকে দিকে আন্দোলন, প্রচার অভিযান প্রভৃতি শুরু হয়েছে ।
১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকের পরিবেশগত আন্দোলন থেকে পরিবেশগত ইতিহাস প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আবির্ভূত হয় এবং পরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবেশগত ইতিহাস এখন সাধারণ ইতিহাসের একটি উপক্ষেত্র হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
পরিবেশের স্থির ও পরিবর্তনশীল রূপের চর্চা পরিবেশের ইতিহাসচর্চার মূল বৈশিষ্ট্য । পরিবেশের ইতিহাসচর্চা আধুনিক ইতিহাসচার্চাকে সমৃদ্ধ করে তোলে । প্রাকৃতিক পরিবেশ কীভাবে মানুষের জীবনধারণ প্রণালী, রীতিনীতি ও সভ্যতাকে প্রভাবিত করে তার আলোচনা পরিবেশের ইতিহাসচর্চার অন্যতম বৈশিষ্ট্য । পাশাপাশি একটি সভ্যতা ধ্বংসের ও বিকাশের পিছনেও পরিবেশের বিশেষ ভূমিকা লক্ষ করা যায় । একটি জাতির জীবনযাত্রার ধরন, সংস্কৃতি, ধর্মাচার ও সমাজের জাতিপ্রকৃতি পরিবেশ দ্বারা কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, তা জানার জন্য পরিবেশের ইতিহাস অপরিহার্য ।
পরিবেশের ইতিহাসচর্চার গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ হল রিচার্ড গ্রোভের 'গ্রিন ইম্পিরিয়ালিজম', 'ইকোলজি', 'ক্লাইমেট অ্যান্ড এম্পায়ার', ডেভিড আর্নল্ড সম্পাদিত 'নেচার, কালচার', 'ইম্পিরিয়ালিজম', রামচন্দ্র গুহ ও মাধব গ্যাডগিল রচিত 'দিস ফিসারডল্যান্ড : অ্যান ইকোলজিক্যাল হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া', আলফ্রেড ডব্লিউ ক্রসবি -এর লেখা 'ইকোলজিক্যাল ইম্পিরিয়ালিজম' প্রভৃতি । উপনিবেশিক শাসনামলের পরিবেশ ইতিহাস চর্চাকে একধাপ এগিয়ে নিয়েছেন প্রফেসর ড. রঞ্জন চক্রবর্তী। তাঁর লেখা সিচুয়েটিং এনভায়রনমেন্টাল হিস্ট্রি, ক্রিটিক্যাল থিমস ইন এনভায়েরনমেন্টাল হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া পরিবেশ ইতিহাস চর্চা ও পঠন পাঠনে গুরুত্বপূর্ণ।
আগামী ৫ জুন ২০২৪ বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ইতিহাস ও ঐতিহ্য গবেষনা কেন্দ্র ১ম গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট কনফারেন্স এর আয়োজন করেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আগ্রহী ছাত্র ছাত্রীদের আগামী ১ জুন ২০২৪ তারিখের মধ্যে সমীর কান্তি মোহরের, সেমিনার লাইব্রেরিয়ান এর নিকট প্রবন্ধের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার আহবান জানানো হচ্ছে।
প্রবন্ধের বিষয়বস্তু
১. প্রাচীন বাংলার জনপদ ও পরিবেশ
২. পাল সাম্রাজ্য ও প্রাচীন বাংলার পরিবেশ : সন্ধ্যাকর নন্দীর রাম চরিতের বিবরণের আলোকে
৩. বাংলার ইতিহাসে নদ নদী/ করতোয়া মহাত্ম্য/ গঙ্গাস্রোতোহন্তরেষু
৪. বাংলার সড়ক পথ /গ্রান্ড ট্রাংক রোড, সরাইখানা, যোগাযোগ ও পরিবেশ : মোগল ইতিহাসে
৫. বন বনায়ন : উপনিবেশিক শাসনামলে (১৭৫৭-১৯৪৭)
সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগের জন্য
প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম
আহবায়ক
১ম গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট কনফারেন্স,
ইতিহাস ও ঐতিহ্য গবেষণা কেন্দ্র, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিভাগীয় শিক্ষা সফর - ২০২৪
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
আপনি ইতিহাস বিভাগের কততম ব্যাচ? এই প্রশ্নে আপনারা ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন দেখে খুব আনন্দিত হচ্ছি। বিভাগের সকল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস বিভাগের এলামনাই এসোসিয়েশন গঠন করার উদ্দেশ্যে সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। আশা করছি আপনারা নিজ নিজ ব্যাচের সব বন্ধুদের কাছে এই নিউজ ছড়িয়ে দিবেন।
নোট:
খুব শীঘ্রই এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিভাগীয় সিদ্ধান্তের পর আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
https://www.facebook.com/share/p/vAdWS4ojmAUzAo9o/?mibextid=oFDknk
আপনি ইতিহাস বিভাগের কততম ব্যাচ?
নাম:
সেশন:
ব্যাচ:
ফোন নং:
বর্তমান পেশা:
ঠিকানা :
কমেন্টে লিখেন..
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস বিভাগের এলামনাই এসোসিয়েশন গঠন করার উদ্দেশ্যে সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। আশা করছি আপনারা নিজ নিজ ব্যাচের সব বন্ধুদের কাছে এই নিউজ ছড়িয়ে দিবেন।
৩১.০১.২০২৪
ইতিহাস বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরু জাতীয় অধ্যাপক ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন স্যারের সেমিনার। প্রবন্ধের শিরোনামঃ ১৯৭০ সনের নির্বাচন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
ইতিহাস বিভাগ এর সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুম স্যার University of Oxford এর ভিজিটিং ফেলোশিপ এওয়ার্ড লাভ করে আজ যুক্তরাজ্য গমনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। স্যার ইতিপূর্বে University of Cambridge এ ভিজিটিং স্কলার হিসেবে গবেষণা প্রগ্রাম সম্পন্ন করেন।বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ পুরস্কার প্রাপ্ত এই কৃতিমান ইতিহাসবিদ তাঁর গবেষণা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে তিনি জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, তুরস্ক,জার্মানি, নেদারল্যান্ডস,পোল্যান্ড,যুক্তরাজ্য, মিশর,আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চ এসোসিয়েশন থেকে এওয়ার্ডস, স্কলারশিপ, ফেলোসিপ ও গ্রান্টস লাভ করেন। তিনি তাঁর উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সেমিনার-সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে এশিয়া,ইউরোপ,অস্ট্রেলিয়া,আফ্রিকা ও আমেরিকা মহাদেশের ২০টিরও অধিক দেশ সফর করেন।
স্যারের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি।
মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
ইসলামের ইতিহাস বিভাগ।
আমাদের ইতিহাস বিভাগও এভাবে একদিন রঙ্গিন হবে।
ইতিহাস বিভাগের নবনিযুক্ত ১৮ তম সভাপতি প্রফেসর ড. শামীমা হায়দার ম্যামকে উদ্দীপ্ত-৫৫ (২০১৯-২০) ব্যাচের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ❤️
জন্মদিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহ ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের হাকিম মৌলভী মুজিবুল হকের জৈষ্ঠ পুত্র। আজকের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত ১০.০০ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিকের ডক্টরেট করা শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম। শিক্ষকতা জীবনে তিনি আলাওল হলের প্রভোষ্ট, ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির গেস্ট অধ্যাপক হিসেবে বহু ক্যাডেট অফিসারের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা দান করেছেন। ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরে যান তিনি। সর্বশেষ তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্বে পালন করেন।
"প্রেস বিজ্ঞপ্তি"
‘বঙ্গবন্ধু ব্লু-ইকোনোমি গবেষণা কেন্দ্রের' সীমানা প্রাচীর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে চবি উপাচার্য - "আমরা এখন শুধু স্বপ্ন দেখিনা, স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে জানি"
=====
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সমুদ্রতট সংলগ্ন শীলখালি মৌজায় 'বঙ্গবন্ধু ব্লু-ইকোনোমি গবেষণা কেন্দ্র' এর সীমানা প্রাচীরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এর শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু ব্লু-ইকোনোমি গবেষণা কেন্দ্র’ এর জন্য কক্সবাজারে সরকার কর্তৃক ৬.৯৮ একর ভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২৪ নভেম্বর ২০২৩ বিকাল ৩:০০ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার উক্ত ভূমির সীমানা প্রাচীরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
এ উপলক্ষ্যে উক্ত জায়গায় (টেকনাফের শীলখালি) এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব কে এম নুর আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং চবি এস্টেট শাখার প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মোঃ আলতাফ-উল-আলম এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রক্টর জনাব অরূপ বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, চবি মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম এবং শীলখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আমজাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, চবি অনুষদ সমূহের ডিনবৃন্দ, চবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, চবি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ, চবি ফাইন্যান্স কমিটির সদস্যবৃন্দ, চবি ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনার পরিচালক, চবি কলেজ পরিদর্শক, চবি গ্রন্থাগারিক, চবি হলসমূহের প্রভোস্টবৃন্দ, চবি প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, চবি শিক্ষকবৃন্দ, চবি বিভিন্ন অফিস প্রধানবৃন্দ, চবি এস্টেট শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ, চবি প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকৌশলীবৃন্দ, চবি কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মাননীয় উপাচার্য বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য চবি প্রশাসনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বহুল প্রত্যাশিত এ জায়গাটি সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ গবেষণা কেন্দ্রটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং দেশের সুনীল অর্থনীতি গবেষণায় সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে। এতে একদিকে সমুদ্র বিজ্ঞানের শিক্ষক-গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি তাঁদের গবেষণার মাধ্যমে দেশ-জাতিও উপকৃত হবে। চবি'র জন্য কক্সবাজার এ জায়গা বরাদ্দ দেয়ায় চবি মাননীয় উপাচার্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। একই সাথে মাননীয় ভূমি মন্ত্রী জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ এম.পি. ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, টেকনাফের ইউএনও ও এসি ল্যান্ড এবং উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ যারা সহযোগিতা করেছেন তাঁদের প্রতিও মাননীয় উপাচার্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, "আমরা এখন শুধু স্বপ্ন দেখিনা, স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে জানি"। এ ভূমিতে অনেক কিছুই করা যাবে। বহুল প্রত্যাশিত একটি স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ লাভ করছে। পরে মাননীয় উপাচার্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন চবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন।
----------
স্বাক্ষরিত/-
(দিবাকর বড়ুয়া)
ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য)
রেজিস্ট্রার অফিস
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
তারিখঃ ২৫.১১.২০২৩
প্রিয় মানুষটার আজ জন্মদিন।
জন্মদিনে আপনার জন্য দোয়া রইল স্যার...
জান্নাতবাসী হোন।
আমীন।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Telephone
Website
Address
Chittagong
4331
Opening Hours
Monday | 09:00 - 15:00 |
Tuesday | 09:00 - 15:00 |
Wednesday | 09:00 - 15:00 |
Thursday | 09:00 - 15:00 |
Sunday | 09:00 - 15:00 |
432 Late Zahur Ahmed Road, Mehedibagh
Chittagong, 4000
বাতি - আলো গতি সাফল্য Light . Speed . Success . BATI is a Training I
House No. 287, Road No. 12, Block/B, Chandgoan Residential Area
Chittagong, 4212
Specialized coaching center for class 2 - 12 (Bangla, NC & BC). Our teachers are well experienced belongs to CUET and CMC. We offer classes for almost all the subject. For more information please contact us. Thank you
Chittagong
Chittagong, 4330
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ এর সেবায় নিজেকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়োজিত রাখার একটি প্রচেষ্টা মাত্র
Moulabibazar, Mohara, Kalurghat, Chandgaon, Bangladesh
Chittagong, 4208
One of the best school in Chittagong.
Chadni Chawk Complex, College Road, Chawkbazar, Chattogram
Chittagong, 4203
Career! A ray which will earn by using yourself by proper way & guide☞
Golam Ali Nazir Para
Chittagong, 4212
An International standard Mohila Madrasah in Chittagong under Bangladesh Madrasah Education Board.
618 Epic Ittehad Point (3rd Floor), Nur Ahmed Road, Kazir Dewri
Chittagong, 4000
2- week residential program at the University of Oxford.
আজিজনগর, উত্তর পাড়া, লামা, বান্দরবান, বাংলাদেশ।
Chittagong
طلب العلم فریضة علی کل مسلم (দ্বীনি) ইলম (শিক্ষ?
Block/A, Halishahar Housing State
Chittagong, 4216
An originative institution to gift you the wings of both English & Bengali. Good Luck.