05/03/2023
আসসালামুয়ালাইকুম। আজকে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন কিন্তু জনপ্রিয় একটি টপিক্স নিয়ে।
IoT এর সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। এই পর্বে আপনাদের IoT সম্পর্কে বেসিক কিছু ধারণা দিবো।
এবার চলুন জেনে নেই ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) কি?
বর্তমান যুগে খুব জনপ্রিয় কিছু টেকনোলজির মধ্যে IoT অন্যতম। ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে আমরা অনেক বেশি ইন্টারনেট বা অনলাইন নির্ভর হয়ে যাচ্ছি। মোবাইল ফোন, কম্পিউটার,স্মার্ট ওয়াচ, টিভি, কফি মেকার, টোস্টার মেশিন এমন কি ফুলের টবে পানি দেয়ার সিস্টেমকেও অনলাইনের সাথে আমরা কানেক্টেড করছি। ইন্টারনেট এমন একটা যোগাযোগ মাধ্যম যা আমাদের সবগুলো ডিজিটাল ডিভাইসকে ইন্টারকানেক্টেড করতে পারে।
আইওটি হল মূলত ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইস সংযুক্ত করা যা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে বা বিভিন্ন কাজে সাহায্য করবে।
উদাহরণ হিসেবে স্মার্ট ফ্রিজের কথা বলা যেতে পারে। আইওটি প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করা গেলে স্মার্ট ফ্রিজ হবে এমন একটি যন্ত্র যা নিজ থেকেই ভেতরে প্রয়োজনীয় খাদ্য আছে কিনা তা শনাক্ত করতে সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে ফ্রিজের ভেতরে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে যা ফ্রিজের ভেতরের অবস্থা পরিদর্শন করে গ্রাহককে টেক্সটের মাধ্যমে সামগ্রিক অবস্থা জানাবে।
ইন্টারনেট অব থিংস কিভাবে কাজ করে ?
প্রাক্টিকালি বিশ্লেষণ করতে গেলেঃ আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু করি, বা বিবেচনা করি তার সবকিছুই মোটামুটি কোন না কোন সেন্সর দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে ডিজিটাল ডাটায় রূপান্তর করা যায়। আর এই ডাটা সমূহকে বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তৈরি করা যায়। এছাড়াও এসব সিদ্ধান্ত সমূহকে বিবেচনা করে নতুন নির্দেশনা এবং গাইডলাইনও তৈরি করা যায়। সিদ্ধান্ত, গাইডলাইন সবই যেহেতু ডিজিটাল ডাটা তাই স্টোরেজ ডিভাইস সমূহে সহজেই এসব তথ্য জমা রাখা যায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরিসংখ্যান বা গ্রাফের মাধ্যমে দেখানো যায়।
অর্থাৎ সংক্ষেপে বলতে গেলে, কোন পরিবর্তনকে পর্যবেক্ষণ করা, প্রসেস করা, সিদ্ধান্ত তৈরি করা এবং ঐ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সিস্টেমের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলোকে পরিচালনা, সংরক্ষণ, ভিজুয়ালাইজেশন এই সব গুলো বিষয়কে সমন্বিত করে যে নতুন ধারণা প্রবর্তিত হয়েছে সেটিই ইন্টারনেট অব থিংস বা IoT ।
ইন্টারনেট অব থিংস বা IoT এর ক্ষেত্রে সেন্সরগুলো নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিবেশ থেকে ডাটা সংগ্রহ করে ওয়্যার কমিউনিকেশন, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি(RF), সিরিয়াল কমিউনিকেশন(UART) বা সিরিয়িাল পেরিফেরাল ইন্টারফেস (SPI) ইত্যাদি কমিউনিকেশনের মাধ্যমে লোকাল প্রসেসিং ডিভাইসে ডাটা প্রসেস করে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন কমিউনিকেশন প্রটোকল যেমন HTTP, MQTT, WiFi, Bluetooth ইত্যাদি ব্যবহার করে ওয়েব সার্ভার বা ক্লাউড সার্ভারে পাঠানো হয়। সার্ভারে বা ক্লাউড সিস্টেমের, ডাটাবেজে ডাটা সমূহ জমা থাকে। এর মাধ্যমে সেন্সর থেকে প্রাপ্ত ডাটাসমুহকে, ডাটা এনালাইটিক্স এর মাধ্যমে ডাটা প্রসেস করা হয় এবং সিস্টেম থেকেই ফলাফলসমুহকে ফিল্টারিং করে সিদ্ধান্ত বা কমান্ড তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে এর মাধ্যমে স্টোরেজ ডাটাসমুহের সাথে ডিপেন্ডেড অন্যান্য সিস্টেমসমুহকে পরিচালনা করা হয়। ডাটা ভিজুয়্যালাইজারের মাধ্যমে গ্রাফিক্যালি বা পরিসংখ্যান আকারে রিপোর্ট প্রদর্শন করা হয়। সমস্ত প্রক্রিয়াটি অনলাইন নির্ভর হওয়ায় দূর থেকেই সিস্টেমে কমান্ড পাঠানোর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ, স্ট্যাটাস ভিজুয়ালাইজ করা, চালু করা-বন্ধ করা সবকিছুই IoT এর মাধ্যমে করা যায়।
আইওটি কি নিরাপদ?
প্রতিটি নতুন প্রযুক্তিরই কিছু না কিছু খুঁত থাকে। আইওটির ক্ষেত্রে যথেষ্ট নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা রক্ষা করা মূল বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আইওটি ডিভাইসসমূহে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা সংরক্ষিত থাকে। এই যেমন স্মার্ট মিটার জানে কখন ব্যবহারকারী ঘরে আছেন কিংবা তিনি কি ধরণের যন্ত্র ব্যবহার করেন। এই তথ্যগুলো অন্যান্য ডিভাইসেও শেয়ার করা হয় এবং প্রস্তুতকারী কোম্পানিটির ডেটাবেসে সংরক্ষিত থাকে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, আইওটি ডিভাইসসমুহে গোপনীয়তা রক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নিজেদের দাবি সত্য প্রমাণ করতে তারা বেবি মনিটর থেকে শুরু করে স্বয়ংক্রিয় আলোকব্যবস্থা, স্মার্ট ফ্রিজ এমনকি ট্রাফিক সিগন্যাল ও হ্যাক করতে সক্ষম হয়েছেন।
ব্যবসাক্ষেত্রে আইওটির প্রভাব কতটুকু?
ব্যবসা বাণিজ্যে আইওটির ব্যবহার অনেকটা নির্ভর করবে আপনি কোন শিল্প মাধ্যমে কাজ করছেন তার উপর। উৎপাদন শিল্পে আইওটি ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ উপযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি এবং লোকবল সংগঠনের কাজে আইওটি ব্যাবহার করা যেতে পারে। বর্তমানে শস্য ফলন বৃদ্ধি এবং গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের কাজে সেন্সর ব্যবহার করা হচ্ছে।
এরকম অসংখ্য উদাহরণ টেনে বলা যায়, কম্পিউটার কিংবা ওয়েবের মত আইওটিও একটা সময় বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। তবে এক্ষেত্রে একটি জিনিস মাথায় রাখা উচিত- যখন কোনো নির্দিষ্ট যন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সেন্সর বা ডিভাইস ব্যবহার করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল ফল আসবে বলে আশা করা যায়। এই যেমন স্মার্ট টি মেইকারের কথাই ধরা যাক। আপনার যখনই চা পানের ইচ্ছা করবে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার জন্য চা চলে আসলে বলাই বাহুল্য জীবনটা আরো সহজ হবে।
কিন্তু যখন ব্যক্তিবিশেষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে তখন তা মানবেতর অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। এই যেমন যদি নিরাপত্তা কার্ড যদি অফিসে কোন কর্মচারী কখন কোথায় আছেন বা কোন কাজে কতটুকু সময় ব্যয় করছেন তা শনাক্ত করারা কাজে ব্যবহার করা হয় তবে তা উল্টো ভাল আনতে পারে। বিশেষ করে কর্মচারীদের উপর অতিরিক্ত নজরদারী বরং উলটো ফল বয়ে আনবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আইওটি কি ভূমিকা পালন করবে?
বর্তমানে স্মার্ট পিল ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও অনেকেই এখন কব্জিতে স্মার্ট ওয়াচ বা ফিটনেস ব্যান্ড বেঁধে রাস্তায় দৌঁড়াতে নামছেন যা তাদের হৃদস্পন্দন নির্ণয় করবে। এ সবই আইওটি প্রযুক্তির সফলতার সম্ভাবনা বহু গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইনটেল থেকে বানানো স্মার্ট ওয়াচের মাধ্যমে পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি চলাফেরা করতে কতটুকু কাঁপুনি অনুভব করেন তার সঠিক পরিমাণ জানা যাবে। ‘সোনাম্বা’ বৃদ্ধ বা অসুস্থ ব্যক্তিদের দৈনন্দিন কার্যাবলি মনিটর করে কোন ব্যতিক্রম হলে তা শনাক্ত করে। এছাড়া হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন শনাক্ত করার জন্য ‘এলাইভ কোর’ ব্যবহার করতে পারেন।
মূলত স্বাস্থ্যসেবা এমন একটি বিষয় যেখানে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহের মাধমে রোগ নির্ণয়, নিরাময় বা বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব। তাই এক্ষেত্রের উন্নতিতে আইওটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
আজকের মত এতটুকুই। পরবর্তী পর্ব পাওয়ার জন্য যন্ত্র-তান্ত্রিক ল্যাবের পাশেই থাকুন।
07/02/2023
Design and Implementation of a Multi Ways Car Accident Alert and Accident Prevention System
17/08/2022
ট্রান্সফর্মার এমন একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা ফ্রিকোয়েন্সি এবং পাওয়ার একই রেখে ভোল্টেজকে নিম্নগামী থেকে উচ্চগামী বা উচ্চগামী থেকে নিম্নগামীতে রুপান্তর করে।
কম থেকে বেশি ভোল্টেজে রূপান্তরের জন্য ব্যবহৃত ট্রান্সফর্মারকে "স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার" বা "উচ্চধাপী ট্রান্সফর্মার" এবং বেশি থেকে কম ভোল্টেজে রূপান্তরের জন্য ব্যবহৃত ট্রান্সফর্মারকে "স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমার" বা "নিম্নধাপী ট্রান্সফর্মার" বলা হয়।
গঠনঃ
ট্রান্সফর্মারের মূলত ২টি অংশ থাকে যথা –
(i) প্রাইমারী কয়েলঃ ট্রান্সফরমারের যে সাইডে পাওয়ার সাপ্লাই দেওয়া হয় তাকে প্রাইমারি কয়েল বলে।
(ii) (ii) সেকেন্ডারি কয়েলঃ ট্রান্সফরমারের যে সাইডে থেকে আউটপুট সংগ্রহ করা হয় তাকে সেকেন্ডারি সাইড বলে।
প্রকারভেদঃ
(ক) কার্যপ্রণালী অনুসারে
১) step up transformer
২) step down transformer
(খ) কোরের গঠন অনুসারে
১) core type transformer
২) shell type transformer
৩) spiral core type transformer
(গ) ব্যাবহার অনুসারে
১) power transformer
২) Distribution transformer
৩) Auto transformer
৪) Instrument transformer
ইন্সট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার আবার ২ প্রকার- কারেন্ট ট্রান্সফরমার, পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমার।
(ঘ) ফ্রিকোয়েন্সি অনুসারে
১) Audio frequency transformer
২) Radio frequency transformer
(ঙ) ফেজের সংখ্যা অনুসারে
১) single phase transformer
২) poly phase transformer
(চ) শীতলীকরণ অনুসারে
১) Natural cooled transformer
২) উচ্চ চাপযুক্ত বাতাস দ্বারা কুলিং ট্রান্সফরমার
৩) তৈলে নিমজ্জিত সেল্ফকুলিং ট্রান্সফরমার
৪) তৈলে নিমজ্জিত পানি দ্বারা কুলিং ট্রান্সফরমার
(ছ) স্থাপন অনুসারে
১) Indoor type transformer
২) Outdoor type transformer
৩) Underground transformer
৪) pole mounted transformer
কার্যপ্রণালিঃ
* স্টেপ-আপে ইনপুট ভোল্টেজের থেকে আউটপুটের ভোল্টেজ বেশি হয়।
*স্টেপ-ডাউনের ক্ষেত্রে আউটপুটের ভোল্টেজের থেকে ইনপুটের ভোল্টেজ বেশি হয়।
12/03/2022
Project Name: An Implementation On Bidirectional Text Communication Using Visible Light Communication Based On LI-FI Technology.
28/02/2022
Project Name: Design and implementation of virtual eye and navigation system for visually impaired people.
06/02/2022
Project Name: Design and Implementation of Smart Electrical Power Management System with IoT Platform.
07/11/2021
Project Name: Design and Implementation of a Healthcare Monitoring Robot for COVID-19 Patients.
13/05/2021
Dear members, students, volunteers, customers and well wishers Eid Mubarak!
May Allah bring you joy, happiness, peace and prosperity on this blessed occasion. Wishing you and your family on this happy occasion of Eid!
29/01/2021
Project Name: Fog computing based patient healthcare monitoring system.
22/01/2021
Project Name: A Prototype Model of Accident Decreasing Car with Alcohol detection, sleep detection, accident alert and automatic speed control system.
03/01/2021
Project Name: IoT Based Patient Healthcare Monitoring System.
18/12/2020
Design and Implementation of an IoT based Load Control System with Database.
12/12/2020
Design and implementation of IoT based food quality monitoring system.
10/09/2020
টিউটোরিয়াল, প্রজেক্ট, প্রডাক্ট রিলেটেড যেকোন ধরনের অাপডেট এবং সকল প্রকার ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক্স, মোবাইল এক্সেসসরিস, কম্পিউটার এক্সেসসরিস, বায়োমেডিক্যাল ডিভাইসের জন্য ভিজিট করুন অামাদের ওয়েবসাইটে।
ওয়েবসাইট লিংকঃ www.techtrade-bd.com
Tech Trade BD – Online Store at Chittagong Bangladesh
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন ধরনের প্রজেক্ট এবং প্রডাক্টের জন্য কল করুন ০১৮২২২৬৫২৬০
09/09/2020
Project Name: Design and Implementation of Smart Medicine Reminder for elderly people.
31/07/2020
Dear members, students, volunteers, customers and well wishers Eid Mubarak!
May Allah bring you joy, happiness, peace and prosperity on this blessed occasion. Wishing you and your family on this happy occasion of Eid!
Stay home, stay safe.
23/07/2020
~ গবেষকদের জন্য সু-অভ্যাস বা Best Practices ~
ভালো গবেষক হতে হলে গবেষণার কাজটা করার পাশাপাশি আপনাকে কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এর দরকারটা কী? গবেষণার নানা কাজ ভালো ভাবে করার কিছু গোপন রহস্য আছে। জীবনের অন্য সব ক্ষেত্রে যেমন ভালো অভ্যাস আপনার জীবনকে সহজ ও সমৃদ্ধ করে, গবেষণার জগতটাও তার ব্যতিক্রম নয়। আসুন, দেখা যাক, ভালো গবেষকদের অভ্যাস কী কী। আপনি যদি একজন ভালো গবেষক হতে চান, তাহলে এই অভ্যাসগুলা রপ্ত করে ফেলুন এবং নিয়মিত চর্চা করুন।
(* ঝানু গবেষকদের জন্য এগুলো পুরানো ব্যাপার হলেও খুব কম গবেষকই নতুনদের এগুলো জানান, তাই প্রায় সবাইকেই ঠেকে শিখতে হয়। নতুন গবেষকদের সুবিধার্থে তাই এই লেখাটা লিখেছি। জ্ঞান তো আর লুকিয়ে রাখার বিষয় না। )
** লিখে রাখা
আমাদের মনে রাখার ক্ষমতা কিন্তু অসীম নয়। একটা কিছু শুনলে বা আলোচনা করলে সেটা আপনার মনে ৫ মিনিট পরেও থাকবে, তার কোনোই গ্যারান্টি নাই। আবার ধরুন হঠাৎ মাথায় একটা আইডিয়া এলো, সেটা যে মনে রাখতে পারবেন পরে, তা তো নিশ্চিত করা লাগবে, তাই না?
এজন্য ভালো গবেষকেরা সব সময় হাতের কাছে একটা নোটবই রাখেন, সব সময়ে সব আইডিয়া মাথায় এলেই টুকে ফেলেন। অথবা কারো সাথে গবেষণার কাজে কথা বলার পরে দরকারী সব কথা লিখে ফেলেন।
এই নোটবই সাথে রাখা, আর সবকিছু লিখে রাখাটা রপ্ত করতে হবে আপনাকে। আবারও বলি জোর দিয়ে, মানুষ হিসাবে আপনি শ্রুতিধর নন, কাজেই সবকিছু হাতে কলমে লিখে রাখতে হবে।
** মনোযোগ দিয়ে শোনা
আমাদের একটা বড় সমস্যা, আমরা শুনি কম, বলি বেশি। একজন গবেষক হতে হলে আপনাকে অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনাটা শিখতে হবে, অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। আপনি কোনো গবেষকের রিসার্চ প্রেজেন্টেশন যদি দেখতে যান, অথবা অন্য কোনো গবেষকের সাথে কথা বলেন, সেসময়ে মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনার ও বোঝার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, যত শুনবেন, আর উপরে লিখে রাখার পরামর্শ অনুযায়ী যত লিখবেন, ততোই শিখতে ও জানতে পারবেন।
** পরাজয়ে ডরেনা বীর
ভালো গবেষকদের মতো ধৈর্যশীল মানুষ দুনিয়াতে মেলা ভার। গবেষণায় ভালো করতে হলে আপনাকে অবশ্যই চরম ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের অধিকারী হতে হবে। অধিকাংশ গবেষণা সফল হবে না, অধিকাংশ কাজ আটকে যাবে, অনেক সমস্যার সমাধান নাও মিলতে পারে। আবার অনেক সময়ে আপনার কষ্টের গবেষণার ফলাফল কোনো জার্নাল বা কনফারেন্স থেকে রিজেক্ট হতে পারে। পেতে পারেন রিভিউয়ারদের কড়া সমালোচনা। এসব দেখে মুষড়ে পড়লে চলবেনা, বরং শোককে শক্তিতে পরিণত করে, পরাজয়ে, পেপার রিজেকশনে ভীত না হয়ে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। দুনিয়ার সব সফল গবেষক এভাবেই পেয়েছেন সাফল্য। কাজেই ধৈর্য ধরুন, অপরিসীম ধৈর্য।
** ভুল বোঝার ক্ষমতা
ভালো গবেষকেরা কিন্তু নিজেদের ভুল খুব সহজে স্বীকার করে নেন এবং সেই ভুল থেকে শিক্ষা নেন। গবেষণার কাজ করতে গিয়ে আপনার প্রচুর ভুল হবে। ভুল পদ্ধতিতে কাজ করতে গিয়ে কাজটা নাও হতে পারে। আবার আপনি যে তত্ত্ব বের করেছিলেন, সেটি হয়তো পরীক্ষালব্ধ ফলাফলের সাথে মিলে না, যার মানে আপনার তত্ত্বটি ভুল।
গবেষক হিসাবে আপনাকে খোলা মন নিয়ে কাজ করতে হবে। স্বীকার করে নিতে হবে, আপনি সর্বজ্ঞ নন, আপনার ভুল হতে পারে, এবং সেইক্ষেত্রে অত আগে ভুলটা স্বীকার করে নিয়ে সঠিক পথে চলে যেতে পারবেন, ততোই ভালো। সেজন্য এটিচিউড পাল্টান, এবং ভুল স্বীকার করে নিতে সব সময়েই থাকুন প্রস্তুত।
(গবেষণায় হাতে খড়ি বই থেকে)
#গবেষণা
26/06/2020
~ গবেষণা - রিভিউ বা সার্ভে আর্টিকেল লিখবেন কী ভাবে? ~
যেকোনো বিষয়ে গবেষণা করতে গেলে আসলে প্রথমে সেই বিষয়ের আদ্যোপান্ত জানতে হবে।
এটা একেবারেই আবশ্যকীয় ব্যাপার, কারণ --
(১) আপনার তো আগে পুরা ব্যাপারটা বুঝতে হবে, তবেই না নতুন কিছু বলতে পারবেন, তাই না?
(২) আগে কে কী কাজ করেছে তা না জানলে হয়তো আপনি নতুন করে চাকা আবিষ্কারের মতোই অনেক খেটে খুটে এমন কিছু বের করবেন, যা আগেই কেউ করে ফেলেছে, কাজেই সময়টা নষ্ট হবে, এবং
(৩) আপনার পরবর্তী পেপারে আলোচনা করে দেখাতে তো হবে, অন্যদের কাজের চাইতে আপনার কাজটা আলাদা কেনো, সেসময়ে ইতিমধ্যে হয়ে যাওয়া কাজ সম্পর্কে যদি বলতে না পারেন, তাহলে কিন্তু রিভিউয়ার ধরে নিবে এই এলাকায় আপনার জ্ঞান সীমিত।
রিভিউ বা সার্ভে করার গুরুত্বটা তো বোঝা গেলো, কিন্তু সেটাকে আর্টিকেল আকারে লেখার দরকারটা কী? মৌলিক গবেষণাপত্রের চাইতে এরকম সার্ভের গুরুত্ব অনেক কম বটে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই রকম সার্ভেকে একটা আর্টিকেল বানিয়ে লিখে ফেলাটার দরকার আছে। কারণ না লিখলে আপনি যা সার্ভে করেছেন, সেটা আপনার নিজের কাছেও পরিষ্কার হবে না। অনেক জার্নালেই সার্ভে আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়, আর আরেকটা বড় কারণ হলো এরকম সার্ভে আর্টিকেলের গুরুত্ব অনেক বেশি — প্রচুর মানুষ ওটা পড়বে, আর তার চাইতেও বড় কথা, সেটাকে সাইট করবে।
তো, রিভিউ ধরণের নিবন্ধ লিখবেন কী করে?
প্রথমেই আপনার গবেষণার বিষয়ের key word গুলা দিয়ে গুগল স্কলার বা scopus বা পাবমেড এরকম আপনার এলাকার রিসার্চ ডেটাবেইজে সার্চ করুন, কী কী পেপার আসে। এর মধ্যে যেসব পেপার সাম্প্রতিক এবং অনেকবার সাইট করা হয়েছে, সেরকম পেপারগুলাকে আপনার তালিকায় নিন। সেগুলা পড়ে ফেলুন, মূল বিষয় নিজের ভাষায় এক পাতায় লিখে ফেলুন প্রতিটা পেপারের জন্য।
তার পরের ধাপে এইসব পেপারে অন্য যেসব পেপারকে সাইট করা হয়েছে, তাদের তালিকা করুন, এবং সেগুলাকেও পড়ে সারমর্ম নিজের ভাষায় লিখুন।
এই ধারাটা চালু রাখুন, মানে যেকোনো পেপার পড়ার পরে সেই পেপারে আলোচিত অন্য পেপারগুলাকেও পড়ে ফেলতে থাকেন।
মোটামুটি দিনে ২/৩টা করে পেপার পড়তে হবে অন্তত। এভাবে মাসখানেক পড়ার পরে এই এলাকার সব রিসার্চ সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা হবেই। আর প্রতিটা পেপার পড়ার সময়ে তার সারমর্ম, ভালো, খারাপ দিক, এসব যদি ১ পাতায় লিখে ফেলে থাকেন, তাহলে আপনার হাতে মাস শেষে খুব বিশাল একটা সারমর্ম থাকবে, সবকিছু এক করলে এই এলাকার রিসার্চ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
কাজটা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। সব রিসার্চ সম্পর্কে জানার পরে আপনার কাজ হবে সেগুলোকে নানা ক্যাটেগরিতে ভাগ করা, প্রতিটি ক্যাটেগরির নানা কাজকে তুলনা করা, নানা ভাবে বিভিন্ন রিসার্চের ভালো খারাপ দিক তুলনা করে আলোচনা করা। সেটা আবশ্যকীয় অংশ যেকোনো রিভিউ পেপারের। কারণ রিভিউ পেপারের উদ্দেশ্য হলো পাঠককে কোনো বিষয় সম্পর্কে সম্যুক ধারণা দেয়া।
আরো কিছু পরামর্শ — রেফারেন্স ম্যানেজের জন্য বিবটেক্স (BibTeX) বা এন্ডনোট (EndNote) বা অনলাইন সাইটেশন ম্যানেজার ব্যবহার করুন। নইলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে।
প্রতি পেপারের সারমর্ম প্লেইন টেক্সট ফাইলে রাখাই ভালো, তাতে করে একত্র করতে সুবিধা হবে।
সারমর্ম নিজের ভাষায় লিখবেন। দয়া করে আলসেমি করে কোনো পেপার থেকে কপি পেস্ট মারবেন না। সেটা করলে প্লেজিয়ারিজম বা লেখাচুরির দায় আসবে আপনার উপরে, যা খুব ভয়াবহ অভিযোগ।
এভাবেই লিখে ফেলতে পারেন survey article, আর সেটা জার্নালেও প্রকাশ করতে পারেন।
(গবেষণায় হাতে খড়ি বই থেকে)
#গবেষণায়হাতেখড়ি
28/05/2020
Call for Applications: Commonwealth of Learning- Coursera Workforce Recovery Program
We have recently partnered with the Commonwealth of Learning to implement Workforce Recovery Program in Bangladesh. This is a skill development program that will create opportunities for unemployed Bangladeshi citizens to access 3800 eLearning courses free of cost on the world’s leading eLearning Platform, Coursera. The program is targeted for all unemployed youth and adults, especially those who lost their employment/income opportunity due to COVID 19 pandemic and wish to gain new skills, to upskill/ reskill to secure a job/income opportunity.
For details on your eligibility and online application form: https://forms.gle/Gtk3uvKs5DDSpXE88
coustesy: better future for women
24/05/2020
Dear members, students, volunteers, customers and well wishers Eid Mubarak!
May Allah bring you joy, happiness, peace and prosperity on this blessed occasion. Wishing you and your family on this happy occasion of Eid!
Stay home, stay safe.
24/04/2020
বর্তমান বিশ্বে ওপেন সোর্স হার্ডওয়্যার হিসেবে আরডুইনো সবচাইতে জনপ্রিয়। এর জনপ্রিয়তার প্রধান কারন হচ্ছে গুছানো লাইব্রেরী এবং অন্যান্য চিপ এর চাইতে সহজ কমান্ড।
আজকে আমি আপনাদের শিখাবো কিভাবে কম খরচে নিজের হাতে আরডুইনো বানাবেন। এই পদ্ধতিতে ১০০-১২০ টাকা খরচ করেই একটি আরডুইনো বানাতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:
১. একটি আরডুইনো অথবা একটি USB TTL
২. ১টি atmega8a microcontroller
৩. ১টি 10k resistor
4. ১টি পুশ বাটন
৫. ১টি 16 MHZ এর ক্রিস্টাল অসিলেটর
৬. ২টি ২২ pf ceramic capacitor
৭. ১টি ৭৮০৫ ভোল্টেজ রেগুলেটর
৮. ২টি 10 uf electrolytic capacitor
কার্যপ্রণালী :
পাওয়ার সাপ্লাই:
মাইক্রোকন্ট্রোলারে ৫v এর বেশি ভোল্টেজ দিলে মাইক্রোকন্ট্রোলার পুড়ে যায়। তাই আপনাকে প্রথমে একটি পাওয়ার সাপ্লাই বানিয়ে নিতে হবে। এই জন্য আপনার ১টি ৭৮০৫ আইসি এবং ২টি ১০ uf capacitor লাগবে।
পাওয়ার সাপ্লাই বানানোর পর
১. atmega8 এর ১নাম্বার পিনের সাথে 10k resistor এবং পুশ বাটন প্যারালালি বসাতে হবে।
resistor এর এক প্রান্ত মাইক্রোকন্ট্রোলারের সাথে এবং অপর প্রান্ত +৫v তে কানেক্টেড করতে হবে।
পুশ বাটনের এক প্রান্ত মাইক্রোকন্ট্রোলারের সাথে এবং অপর প্রান্ত গ্রাউন্ডে কানেক্টেড করতে হবে।
২. ৭ এবং ২০ নাম্বার পিন +৫v তে কানেক্টেড করতে হবে।
৩. ৮ এবং ২২ নাম্বার পিন গ্রাউন্ডে কানেক্টেড করতে হবে।
৪. ৯ এবং ১০ নাম্বার পিনের সাথে oscillator কানেক্টেড করতে হবে। ৯ এবং ১০ পিনের সাথে যথাক্রমে ২টি ২২pf capacitor কানেক্টেড করতে হবে। উভয় capacitor এর অপর প্রান্ত গ্রাউন্ডে কানেক্টেড করতে হবে।
প্রোগামিং পদ্ধতি:
প্রোগামিং প্রক্রিয়া দুইটি স্টেপে করতে হয়।
১. Bootload system
২. Upload system
১. বুটলোড সিস্টেম : কোড আপলোড করার আগে প্রথমে মাইক্রোকন্ট্রোলার কে বুটলোড করে নিতে হয়।
এক্ষেএে
(ক) মাইক্রোকন্ট্রোলারের ১ নাম্বার পিনকে আরডুইনোর ১০ নাম্বার পিনের সাথে যুক্ত করুন।
(খ) ১৭ নাম্বার পিনকে আরডুইনোর ১১ নাম্বার পিনের সাথে যুক্ত করুন।
(গ) ১৮ নাম্বার পিনকে আরডুইনোর ১২ নাম্বার পিনের সাথে যুক্ত করুন।
(ঘ) ১৯ নাম্বার পিনকে আরডুইনোর ১৩ নাম্বার পিনের সাথে যুক্ত করুন।
(ঙ) তারপর aurduino software এ examples option থেকে aurduino isp কোডটা সিলেক্ট করুন।
(চ) এরপর tools এ গিয়ে Burn bootloader option তে ক্লিক করুন।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো আপনার আরডুইনো।
২. আপলোড সিস্টেম: এবার আপনি নরমাল আরডুইনোর মত নিজের ইচ্ছামত কোড আপলোড করতে পারবেন।
লেখালেখির তেমন অভ্যাস নাই। কয়েকজনের রিকুয়েস্টে এই টিউটোরিয়াল লেখা।
কোনো ধরনের ভুলএুটি হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
02/04/2020
Coursera থেকে ফ্রি সার্টিফিকেট পাবার উপায়!
কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় যাদের ঘরে বসে কাজ করা সম্ভব তারা ঘরে বসেই কাজ করছো। অনেকেই প্রোডাক্টিভ থাকার চেষ্টা করেও পারছো না। কিংবা কাজ করার পরও হাতে প্রচুর সময় থেকে যাচ্ছে। তাদের জন্য Coursera থেকে কিভাবে ফ্রিতে কোর্স করে সার্টিফিকেট পাওয়া যায় তা নিয়ে এই পোস্ট। Coursera এর কোর্সগুলো ‘Enroll for free’ অপশনটি ব্যবহার করে যে কেউ চাইলে ফ্রিতেই করতে পারবে। তবে সার্টিফিকেট পেতে চাইলে সেক্ষেত্রে গড়ে প্রায় ৫০ ডলারের মতো পরিশোধ করতে হয়। ফলে অনেকেই শেষ পর্যন্ত এত নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তৈরি করা কোর্সগুলো ফ্রি তে করতেও আগ্রহী হয় না।
হ্যাঁ, এটা সত্যি যে কেবল সার্টিফিকেট কোন অর্থ বহন করে না। কেবল সার্টিফিকেট দেখেই তোমাকে কোথাও জব অফার করবে না। তবে একটি সার্টিফিকেট আমাদের কোর্সটি শেষ পর্যন্ত করার জন্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তোমার রিজুমিতে এ ধরনের সার্টিফিকেট তোমার শিখতে চাওয়ার মানসিকতা প্রকাশ করে। তাছাড়া আর যাই হোক, এত কষ্ট করে গড়ে ১০ থেকে ১৪ ঘন্টা সময় দেওয়ার পর একটি সার্টিফিকেট নিজের কাছে একটি দৃশ্যমান অর্জন হিসেবে কাজ করে যা পরবর্তিতে আমাদের আরও বেশী শিখতে আগ্রহী করে তোলে।
তোমরা অনেকেই Coursera, Edx এর মতো এডুকেশনাল সাইটগুলোর ফাইনান্সিয়াল এইডের ব্যাপারটা জানো। Edx এ কোর্সগুলোতে সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয় ফাইনান্সিয়াল এইডের জন্য এপ্লাই করলে। অর্থ্যাৎ ৯০ শতাংশ যদি এইড পেলেও বাকি ১০ শতাংশ মাস্টারকার্ড কিংবা এর মতন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু যদি ঠিকমতো কিছু বিষয় মাথায় রেখে এপ্লাই করা হয় Coursera তে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত এইড পাওয়া যায়। অর্থাৎ মাস্টারকার্ড কিংবা অন্য কোন আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম দিয়ে কোর্স ফি পরিশোধ করার কোন ঝামেলাই নেই। কেবল একটি ইমেইলই যথেষ্ট পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। কিভাবে তা করবে তা নিয়েই এই পোস্ট। ব্যাপারটা খুবই সহজ। নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করলেই নিশ্চিত থাকতে পারো যে তুমি ফাইনান্সিয়াল এইড পেয়ে যাবে।
১। প্রথমেই সিদ্ধান্ত নাও কোন বিষয়ের উপর তুমি কোর্স করতে চাও। পরামর্শ থাকবে বিগিনার লেভেলের কোর্স দিয়ে শুরু করার। বিগিনার লেভেল যদি কমপ্লিট খুব ইজি মনে হয় তবেই ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের কোর্স বেছে নাও। নাহয় কোর্সের মাঝপথে গিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারো। ফলস্বরূপ তুমি মূল্যবান একটি কোর্সের সার্টিফিকেট থেকে বঞ্চিত হবে এবং পরেরবার অ্যাপ্লাই করলে আর এইড না’ও পেতে পারো। So, start small.
২। কোর্সের নামের ঠিক নিচের দিকে Financial aid avilable সেকশনে ক্লিক করো। দুটি অপশন পাবে এরপর। Continue to the application এ ক্লিক করো। পরের ধাপ পার করতে ১০ সেকেন্ড লাগবে। নিজেই শেষ করো এবং Continue বাটনে ক্লিক করো। এর পরের পেইজটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
৩। প্রথমেই Educational Background সিলেক্ট করো।
৪। Annual income ০০ ডলার লিখতে পারো যদি তুমি Unemployed হও। ১০৮০ ডলারও টাইপ করতে পারো; তুমি পার্ট টাইম জব করো এবং প্রতিদিন ৩ ডলার আয় করো তা ধরে নিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। অথবা তোমার উপার্জন অনুযায়ী কোন নম্বর লিখতে পারো। এখানে মূল লক্ষ্য এটা প্রমাণ করা যে তুমি কোর্স ফি দিতে সক্ষম নও।
৫। Employment status তুমি Part-time বা Unemployed বা চাইলে অন্য অপশনগুলোও সিলেক্ট করতে পারো, তবে তা অবশ্যই আগের ও পরের ধাপগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
৬। আমরা যেহেতু কোর্সটি সম্পুর্ণ ফ্রিতে করতে চাচ্ছি তাই How much can you afford to pay? (Per month) অপশনে ০০ ডলার লিখবো।
৭। পরের ধাপে তোমাকে অন্তত ১৫০ শব্দের মধ্যে “কেন তোমার ফাইনান্সিয়াল এইড দরকার” তার বর্ণনা দিতে হবে। এই সেকশন ও পরের দুইটা সেকশন খুব বেশী গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বলতে পারো যে তুমি বাংলাদেশে বসবাস করো, মিডল ক্লাস ফ্যামিলিতে আছো ইত্যাদি। তোমার ফ্যামিলির কন্ডিশন এমনভাবে বর্ণনা করো যাতে তারা বুঝতে পারে যে তোমার পক্ষে কোর্স ফি দেয়া সম্ভব নয়। শেষে এটাও বলো যে তুমি জবের জন্য নতুন স্কিল ডেভেলপ করার চেষ্টা করছো এবং সার্টিফেকেট পেলে তা তোমার রিজুমিতে তা যোগ করার সুযোগ পাবে ইত্যাদি। Coursera এর মতো সাইটগুলো শেখার মানসিকতাকে খুব মূল্যায়ন করে। সবকিছু ১৫০ শব্দের মধ্যে প্রকাশ করতে খুব বেশী কষ্ট হওয়ার কথা না।
৮। এই ধাপে তোমাকে ১৫০ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে “কিভাবে ওই কোর্স তোমাকে ক্যারিয়ার গোল অর্জন করতে সাহায্য করবে”। এটাও একদম সহজ। নিজের ক্যারিয়ার গোল আর তা অর্জন করতে ওই কোর্সটার গুরুত্ব সুন্দর করে লিখে ফেলো। গ্রামার নিয়ে বা লিখার ধরণ নিয়ে খুব বেশী মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। তোমার লক্ষ্য নিজের মনের ভাব প্রকাশ করা, এটাই কেবল মাথায় রাখো।
৯। পরের ধাপে প্রশ্নটা হলোঃ Would you consider using a low-interest loan to pay for your courses? অবশ্যই তুমি No সিলেক্ট করবে।
১০। যদি আগের ধাপের উত্তর না হয় তাহলে কেন “না” লিখেছো তা’ই এই অংশে বর্ণনা করবে। এখানে কোন লিমিট নেই। সুতরাং সংক্ষেপে এটাই লিখো যে তুমি একজন শিক্ষার্থী বা পার্ট টাইম জব হোল্ডার এবং মাসে মাত্র ৯০ ডলারের মতো আয় করো (এটি ৪ নং ধাপে পার্ট টাইম জবের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ৯০ ডলার ধরা হয়েছে) কিংবা জব করলে বলো যে তোমার স্যালারি খুব কম। তুমি যা আয় করো তার পুরোটাই খরচ হয়ে যায়। Unemployed হলে তাও নিজের ভাষায় ৭ নং ধাপের সাথে সামঞ্জস্য রেখে লিখে ফেলো।
তোমার অ্যাপ্লিকেশন রেডি হয়ে গেলো! এখন সাবমিট করে দাও। সাবমিট করার কিছুক্ষনের মধ্যেই অ্যাপ্লিকেশন রিসিভ হওয়ার কনফার্মেশন ইমেইল পাবে। সাবমিট করার ১৫ দিন পরে তোমাকে মেইল করে জানানো হবে যে তোমার ফাইনান্সিয়াল এইড এপ্রুভ হলো কি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে এখন পর্যন্ত Learning how to learn কোর্সটা সহ ৩ টা কোর্সে এপ্লাই করেছি এবং ৩ টাতেই ফুল ফাইনান্সিয়াল এইড পেয়েছি। আশা করি, ধাপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করলে তুমিও পেয়ে যাবে।
সামনে কি অপেক্ষা করছে তা আমরা কেউই জানি না। কিন্তু দুশ্চিন্তা বা সারাদিন ফেসবুক স্ক্রল কোনটাই কোন কিছু পরিবর্তন করবে না। তুমি যা করতে পারো তা হলো নিজের বাসায় অবস্থান করা, স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা, করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বাকি সব ব্যপারগুলো মাথায় রাখা, এবং সম্ভব হলে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে ডোনেশন কিংবা অন্য কোনভাবে সহায়তা করা। করোনা পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে এর বাইরে তোমার খুব বেশী কিছু করার নেই। তোমার অনবরত ফেসবুক স্ক্রলিং, অভিযোগ, দুঃশ্চিন্তা, এসব কোন কিছুই পরিবর্তন করবে না। সবসময় টেনশন না করে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে এই কোর্সগুলো অসাধারণ। তোমার যদি মনে হয় তুমি এক মাসে একটির বেশী কোর্স করতে পারবে তাহলে দুইটা আইডি দিয়ে দুইটার জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারো। কিন্তু পরামর্শ থাকবে খুব বেশী প্রেশার না নেওয়ার। ধীরে সুস্থে উপভোগ করেই কোর্সগুলো একটা একটা করে শেষ করো। শুধু সার্টিফিকেট অর্জনই যাতে মূল লক্ষ্য না হয়। একটা কোর্স এপ্রুভ হওয়ার ঠিক পরে আরেকটা আইডি দিয়ে আরও একটা কোর্স এর জন্য এপ্লাই করতে পারো। এতে একটি কোর্স শেষ করতে করতে আরেকটা এপ্রুভ হয়ে গেলো। তোমার গৃহবন্দী দিনগুলো হোক ফলদায়ক এবং উপভোগ্য।
বিঃদ্রঃ
- এপ্লিকেশন তুমি কেবল পিসি থেকে করতে পারবে। মোবাইল থেকে পারবে না।
- ভুলেও এইড এপ্রুভালের আগে কোর্সে Enroll করবে না। তাহলে তোমার এপ্লিকেশনটি আর এপ্রুভ হবে না।
- অন্য কোন কোর্সে Enroll করা থাকলে তোমার এপ্লিকেশনটি এপ্রুভ করা হবে না।
- এপ্রুভাল এর জন্য ১৫ দিন অপেক্ষা করাটা বিরক্তিকর মনে হলে Edx থেকে একই ধরনের একটা কোর্স ফ্রিতে করা শুরু করে দিতে পারো। তাহলে Coursera তে এপ্রুভ হওয়ার পর দ্রুত আরও সহজে সবকিছু বুঝতে পারবে।
মূল লক্ষ্য একটাই। আর তা হলো এই সময়টাকে কাজে লাগানো। এই সময়টিকে Crisis হিসেবে নিবে নাকি Opportunity হিসেবে নিবে সে সিদ্ধান্ত তোমার।
লেখক- মুকিত-উর রহমান, smartifier academy
02/04/2020
আইভি লীগে পড়তে না পারার আফসোস কার না হয়? কিন্তু এই করোনার আইসোলেশনের সময়ই সেই আফসোস মিটবে, সেটা কি কেউ ভেবেছিল? এটাই এখন সম্ভব! ৪০০-রও বেশি কোর্স এখন সম্পূর্ণ ফ্রি! এর মধ্যে আছে হার্ভার্ড, প্রিন্সটন, ডার্থমাউথ সহ Ivy League এর নামকরা সব ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিষয়ের কোর্স! (লিংক কমেন্টে)
সারাদিন ঘরে বসে থাকতে যারা বিরক্ত হচ্ছ, করার পাচ্ছ না তেমন কিছুই, তাদের জন্য এই কোর্সগুলো হতে পারে অলস সময়কে প্রোডাক্টিভ করার এক মোক্ষম উপায়।
কম্পিউটার সাইন্স, সোশ্যাল সাইন্স, ডাটা সাইন্স, বিজনেস, হিউম্যানিটিস, হেলথ মেডিসিন, প্রোগ্রামিং, এডুকেশন ও ট্রেনিং-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ৪০০ এর অধিক কোর্স যা সরাসরি Ivy League ইউনিভার্সিটিগুলো থেকে পরিচালিত, তা অনলাইনে বিশ্বের সকল শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
তাহলে আর কেন ডানা ভেঙ্গে অলস হয়ে বসে থাকবে? Crisis এর সময়কে এখনই পরিণত করো Opportunity হিসেবে! শুরু করে দাও তোমার পছন্দের কোর্সগুলি, আর আমাদের জানাও তোমাদের অভিজ্ঞতার কথা
https://www.freecodecamp.org/news/ivy-league-free-online-courses-a0d7ae675869/?fbclid=IwAR3ZwQrtMHIvJ1OFGU6vEUGyiy2nrCKk8Psfr_u9alwCwfXX8rFUdcCMS9M
https://online-learning.harvard.edu
credit: Smartifier Academy
Here are 450 Ivy League courses you can take online right now for free
The 8 Ivy League schools are among the most prestigious colleges in the world. They include Brown, Harvard, Cornell, Princeton, Dartmouth, Yale, and Columbia universities, and the University of Pennsylvania. All eight schools place in the top fifteen of the U.S. News and World Report national univer...
29/02/2020
Project Name:Design and implementation of an IoT based poultry farm monitoring system.
08/02/2020
Project Name: Design and Implementation of automatic speed control, alcohol, sleep detection and accident alert car with GSM and GPS
03/01/2020
Project Name: Vehicle location tracking and accident alert with alcohol detection over GSM and GPS.
10/12/2019
Project Name: Energy Savings Home Automation and Security System
21/11/2019
Project Name: Face Detection Using Raspberry pi