নাস্তিক, সেক্যুলার ও সুশীল নারীবাদীদের হৃদয় কাপিয়ে দেওয়ার মতো ভিডিও
#ইসলাম
#মুসলিম
#দ্বীন
Islam- The symbol of peace
Welcome to ''Islam- The symbol of peace" page
Operating as usual

লজ্জা লাগছে কেউ সাহায্য চাইলে আমরা ভাংতি খুঁজে পাই না.....
চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার বাজারে একটি হোটেলে বসলাম। লক্ষ্য ছিলো সিংগাড়া খাবো। এই পদার্থটি আমার সহ্য হয় না। খাওয়ার সাথে সাথে এসিডিটি হয়। তবু লোভে পড়ে খাই। মাঝে মাঝে। সিংগাড়া শেষ করেই ঔষধ খাই।
আমি সব সময় হোটেল-রেস্টুরেন্টের এক কোণায় গিয়ে বসি। একটু লুকিয়ে থাকার ইচ্ছে আরকি। আমি অবশ্যই অন্তর্মুখী মানুষ।
গতকাল কোণার টেবিল ফাঁকা না থাকায় ম্যানাজারের খুব কাছের একটি টেবিলে বসলাম। তার সব কথা শুনতে পাচ্ছিলাম।
একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। কাতর কন্ঠে বললেন, "বাবা, খুব ক্ষুধা লেগেছে। কিছু খেতে দিতে পারো?"
ম্যানেজার একটা টেবিল দেখিয়ে বললেন, "ঐ জায়গায় গিয়ে বসেন খালা।" তারপর চিৎকার দিয়ে বললেন, "খালাকে এক প্লেট খিচুড়ি দে।"
আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। ছোট্ট হোটেল। তেমন বেচাকেনা হয় বলেও মনে হলো না।
দুই তিন মিনিটের মধ্যেই আরো একজন বৃদ্ধা ভিক্ষুক ভিক্ষা নিতে এলেন। ম্যানেজার বললেন, "খাওয়া দাওয়া হয়েছে খালা?"
খালাকে নিশ্চুপ দেখে আগের খালার পাশের চেয়ারে বসালেন এবং তাকেও এক প্লেট খিচুড়ি দেওয়া হলো। দুই জন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত বয়োঃবৃদ্ধাকে খেতে দেখে কী যে ভালো লাগছিলো!
এরপর আরো একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। ম্যানাজারের সামনে দাঁড়ালেন। বললেন, "বাবা, ভিক্ষা করতে এসেছিলাম। তেমন ভিক্ষা পাইনি আজ। বাড়ি যাওয়ার ভাড়া নেই। ভাড়াটা দিতে পারো।"
ম্যানাজার বললো, "আমার তেমন বিক্রি হয়নি খালা। আপনি বরং একটু খেয়ে যান। দেখেন কেউ ভাড়াটা দিতে পারে কিনা।"
এতোক্ষণ যে বয়টি খাবার পরিবেশন করছিলো সে বললো, "খালা কয় টাকা ভাড়া লাগে বাড়ি যেতে?"
-১৫ টাকা বাবা।
হোটেল বয়টি পকেট থেকে ২০ টাকার একটা নোট বের করে খালার হাতে দিয়ে বললেন, "নেন, এটা রাখেন। একটু খিচুড়ি খেয়ে বাড়ি যান। আমি খিচুড়ি দিচ্ছি।"
হোটেল ম্যানাজার হাসতে হাসতে বললেন, "শালা যেমন ম্যানাজার, তেমন তার কর্মচারীরা! কেউ মানুষকে ফিরাতে জানে না।"
তারপর বললেন, "শোন, কোন ভিক্ষুক যেন খেতে এসে না ফিরে যায়। সবাইকে খাওয়াবি।"
আমি সব দেখছিলাম। মাথা নিচু করে বসে আছি। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। মনের ভেতর তোলপাড় চলছে।
ম্যানাজারকে এক সময় কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম, "ভাই, আপনার ঐ কর্মচারী ছেলেটি সম্পর্কে আমাকে একটু বলুন তো প্লিজ। কয় টাকা বেতন দেন ওকে।"
- ব্যবসা তো তেমন চলে না ভাই। সারাদিন হোটেল খোলা। রাত নয়টা পর্যন্ত। ওকে ১২০ টাকা দিই।
- বাড়িতে কে কে আছে ওর?
- কেউ নেই তেমন। মা মারা গেছে। বাবা আরেকটি বিয়ে করেছে। ওর নানা-নানি বয়স্ক হয়ে গেছে। কোন কাজ করতে পারে না। এই ছেলেটি কাজ করে নানা-নানিকে খাওয়ায়।
আমার কাছে এবার অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে গেল। সারাজীবন ভালোবাসা, মায়া, স্নেহ বঞ্চিত বলেই, এই ছেলেটার হৃদয় ভালোবাসা আর মায়ায় পরিপূর্ণ।
ছোট্ট ছেলেটিকে কাছে ডাকলাম। বললাম, "লেখাপড়া করেছো?"
- না স্যার।
- ঢাকার দিকে কোন কাজ ম্যানেজ করে দিলে যাবা? একটু বেশি বেতনের?
- নানা-নানি চলতে পারে না। তাদের গোসল করার পানি তুলে দিতে হয়। টয়লেটের, অযুর। খাওয়ার রান্না করতে হয়। আমি এদের রেখে যেতে পারবো না স্যার।
আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ফিরে এসেছি। মনটা কেমন ভার হয়ে আছে। ছেলেটা সারাদিন কাজ করে একশত কুড়ি টাকা পায়। তিন জন মানুষের সংসার। কীভাবে চলে! এর থেকে সে আবার অসহায়দের দান করে!
মন খারাপ হলে আমি আল-কুরআন খুলে বসি। আজও কুরআনুল কারীম খুলতেই সূরা আল-বাকারার একটি আয়াতে চোখ আটকে গেল। "এরা নিজেদের রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে.. "
আমি আয়াতটির তাফসীর পড়া শুরু করলাম। সেখানে লেখা, "মানুষের এমন পরিমাণ দান করা উচিত, যাতে তার নিজের খাবারে টান পড়ে।"
মনের মধ্যে তোলপাড় হচ্ছে। নিজের খাবারে টান পড়া মানে, গোশত খেতাম, দান করার কারণে এখন মাছ খেতে হচ্ছে। দুই প্লেট ভাত খেতাম এখন এক প্লেট খেতে হচ্ছে।
কী অদ্ভুতভাবে আয়াতটি আমার কাছে খুলে যাচ্ছে! তাবুক যুদ্ধের সময় আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ(সাঃ) বললেন, "আজ কে বেশি দান করতে পারো দেখি?"
উসমান (রাঃ) একশত উট দিয়েছিলেন। উমর (রাঃ) তার সম্পদের অর্ধেক দিয়েছিলেন। আবু বকর (রাঃ) দিয়েছিলেন এক মুষ্টি খেজুর বা একটু যব জাতীয় কিছু আর তার বাড়িতে ঐটুকু সম্পদই ছিলো।
রাসূল (সাঃ) যা বলেছিলেন তার সারমর্ম হলো, আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) দানে প্রথম হয়েছে। সে তার সম্পদের শতভাগ দিয়েছে।
আমার চোখে ইসলামের ইতিহাসের সেই সোনালী দিন, আজকের ঐ হোটেল কর্মচারী আর আল-কুরআনের আয়াত "তারা রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে" এই বিষয়গুলো এক অসহ্য ভালোলাগার এবং পরিতাপের বিষয় হয়ে উঠলো। কী করতে পারলাম জীবনে ভাবতে গিয়ে চোখ থেকে টপ টপ করে কয়েক ফোঁটা পানি পড়লো আল-কুরআনের পাতায়। আমি তাড়াতাড়ি কুরআনুল কারীম বন্ধ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আরশে আজীম থেকে আল্লাহ তায়ালাও নিশ্চয় আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। কোন কিছুই তো তার দৃষ্টির আড়ালে নয়।
কোন এক ভাই এর লিখা 💜

"𝘼𝙡𝙡𝙖𝙝 𝙃𝙪 𝘼𝙠𝙗𝙖𝙧"
The powerful words of our Hijabi sister facing off with her oppressors in India. May Allah give her strength. 🤲🏼

দ্বীন ও দুনিয়া কি আলাদা? ॥
দুনিয়ার যে বিষয়টা মানুষকে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেছে তা হল দ্বীন(ধর্ম) ও দুনিয়ার পৃথকীকরণ । অর্থাৎ দ্বীন ও দুনিয়ার কাজকে পৃথক পৃথক করে দেয়া হয়েছে । দ্বীন ও দুনিয়াকে দাড় করানো হয়েছে দুইটা পরস্পর বিরোধী অবস্থানে । একটাকে বিবেচনা করা হয়েছে অন্যটার প্রতিবন্ধক হিসেবে । যেখানে দ্বীন থাকবে সেখানেই কিছুতেই দুনিয়া থাকতে পারেনা । আবার যেখানে দুনিয়া থাকবে সেখানেও কোনভাবেই দ্বীন থাকতে পারেনা । কিন্তু মানব জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ পথ প্রদর্শক ও শিক্ষক মোহাম্মাদুর রাসূলু্ল্লাহ (স) এ নিয়ম ভেঙ্গে দিয়ে দ্বীন ও দুনিয়াকে একই সুতায় গেথে দিয়েছেন । শুধুমাত্র সমাজ সংস্কারমূলক ও মানবতাবাদী বাণীর প্রচারই নয় বরং সেসব নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে দেখিয়েও গেছেন এই মহামানব । কার্যত তিনি (স) এমন কিছু বলেন নি যা তার বাস্তব জীবনে প্রয়োগ ছিলনা ।
আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক আন্তরিকতা ও সৎ উদ্দেশ্যে দুনিয়ার যেকোন কার্যাবলী সম্পাদন করাই হল দ্বীন । সহজ কথায় আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক দুনিয়াদারীর নামই দ্বীন । কিছু মানুষ মনে করে শুধুমাত্র নামাজ, রোজা, হাজ্জ্ব, যাকাত, যিকির-আযকার, কোরআন তিলাওয়াত, মোরাকাবা-ধ্যান, গৃহত্যাগ করে বৈরাগীর জীবন যাপন করা এবং পাহাড়ের গুহায় বসে আল্লাহকে স্মরণ করার নাম দ্বীনদারী । আর ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরী-বাকরী, বিয়ে-শাদী, সংসার, সন্তান লালন পালন, পারস্পরিক লেনদেন ও সাহায্য সহযোগীতা ইত্যাদি হল দুনিয়াদারী । ইসলাম আসলে এ জাতীয় ভ্রান্ত ধারনার মূলোৎপাটন করেছে । ইসলাম বলেছে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক উপরোক্ত প্রতিটা কাজই ইবাদাত তথা দ্বীন । অর্থাৎ মানুষ তার জীবদ্দশায় যাই করুক না কেন তা যদি আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে আর রাসূল(স) এর দেখানে পদ্ধতি মত হয় তবে তা নি:সন্দেহে দ্বীন।
বস্তুত ইসলাম দ্বীন ও দুনিয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য করেনি । একজন মুসলিমের সব কাজই দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত । সে যখন রাস্তায় হাটে তখন রাসূল প্রদর্শিত কতিপয় সুন্নত(পদ্ধতি) যেমন রাস্তার ডান দিক দিয়ে হাটা, মধ্যম গতিতে হাটা, কাউকে কষ্ট না দিয়ে হাটা, কারো সঙ্গে দেখা হলে সালাম বিনিময় করে কুশল জিজ্ঞেস করা, রাস্তায় কোন কষ্টদায়ক বস্তু থাকলে তা সরিয়ে দেয়া, হারাম দৃশ্য থেকে দৃ্ষ্টির হেফাজত করা ইত্যাদি পদ্ধতিসমূহ মেনে চললে তার রাস্তায় হাটা পুরো সময়টা ইবাদাত হবে সন্দেহ নেই ।
আবার সে যখন খাবার খাওয়ার সময় হাত ধুয়ে, ডান হাতে, বিসমিল্লাহ্ বলে, নিজের দিক থেকে, ছোট ছোট লোকমায় হালাল ও পব্ত্রি খাবার খায় এবং খাওয়া শেষে আল্লাহর প্রশংসা বা নির্ধারিত দোয়া পাঠ করে তখন তার খাওয়ার পুরো সময়টা হয় ইবাদাত ।
আবার সে যখন সৎ ভাবে হালাল বস্তুর ব্যবসা করে, ক্রেতাকে ঠকায় না, নষ্ট মাল বিক্রির জন্য মিথ্যা বলেনা, অধিক লাভের জন্য মাল মজুত করেনা, তখন তার এই ব্যবসা হয় ইবাদাত ।
একইভাবে যখন সে শরীয়তের বিধান মেনে স্ত্রী সহবাস করে তখনও এ কাজ তাদের দুজনের জন্য ইবাদাত হিসেবেই পরিগণিত হয় । কারন এর প্রধান উদ্দেশ্য হল বংশবিস্তারের মাধ্যমে আল্লাহর দুনিয়া আবাদ এবং নিজেদের জৈবিক চাহিদা(দেহের হক) পূরণ করা । তারা যদি তাদের এই জৈবিক চাহিদা পূরণের জন্য অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে বেগানা কারো সাথে সহবাস করতো তাহলে তা হত গুনাহ(অপরাধ) । কিন্তু তারা এ চাহিদা পূরণের জন্য সম্পূর্ণ বৈধ পন্থা অবলম্বন করেছে । কাজেই গুনাহের বিপরীত সওয়ার । আর যে কাজে সওয়াব হয় তা অবশ্যই ইবাদাত ।
এই ভাবে মুমিনের জীবনের আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল(স) প্রদর্শিত প্রতিটা কাজই ইবাদাত । মানুষ আল্লাহর আবদ বা গোলাম । আর গোলামের সব কাজই গোলামী। সে আল্লাহর হুকুমে নামাজ আদায় করতে মসজিদে গেলে সেটা গোলামী হয় আর ঐ আল্লাহর হুমুকেই হালাল ব্যবসা বা অন্যান্য কাজ করলে তা গোলামী নয় এটা একটা ইসলাম বিরোধী চরম ভ্রান্ত ধারনা । মূলত মসজিদে যে আল্লাহর হুকুম মানা হয় মসজিদের বাইরেও সে আল্লাহরই হুকুম মানতে হবে । তবেই তার নামাজ যেমন ইবাদত হবে তেমনি চাকরী বা ব্যবসাও হবে ইবাদাত । আর যার সব কাজই ইবাদাত হিসেবে পরিগণিত হবে সে দুনিয়াতে যেমন শান্তি পাবে পরকালে তেমন পাবে মুক্তি ও চির শান্তির জান্নাত।
collected
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Chittagong
4217
Bangladesh Bank Colony, Agrabad
Chittagong, 4100
UnOfficial page.. Bangladesh Bank Colony High School....
House # 11, Road # 1, Nasirabad H/S
Chittagong, 4000
Sunshine Grammar School, established in 1985, is the first international school in Chattogram.
Baradarogahat, Sitakunda
Chittagong, 4311
* JSC, SSC, HSC Degree এবং Honors পরীক্ষার্থীদের জন্য। * JDC, Dhakhil, Alim পরীক্ষার্থীদের জন্য। *University Admission, Teacher's Registration Exam
Sirajuddullah Road
Chittagong, 4203
Allessayparagraph.com Is an Educational Website Where Are Available High-Quality English Essays, Compositions, Paragraphs, Applications, Email, Letters, Conversation, Grammar, Etc. For Free!
Near Halishahar Ahmed Mia City Corporation Girls' High School, Salt-Gola Crossing Road, 38no. Ward, South-Middle Halishahar, Bandar
Chittagong
A place for enlightening yourselves
Raozan
Chittagong, 4340
10 Minute School is the largest online education platform in Bangladesh. Through our website, app and social media, more than 2 million students are accessing quality education each day to accelerate their learning.
86/A, CPDL Khan Manor
Chittagong
This channel will serve the society with the solution of our future generation. In all aspects of their challenges of this new age of technology like parenting, education, character building, life skills, physical and mental activities.
বি. কে টাওয়ার (নিচ তলা), লালচাঁন্দ রোড, গুলজার মোড়, চট্টগ্রাম
Chittagong, 4203
A University Admission Coaching.