Nurul Alam Madani

ধারাবাহিক টকশো দেখতে চোখ রাখুন Safeer Academy أكاديمية السفير পেইজে।এবারের টকশোটি হবে সম্পূর্ণ আরবিতে। এ আয়োজন বিশেষ করে যারা আরবি ভাষা বুঝেন, আরবিকে যারা মনে-প্রাণে ভালবাসেন তাদের জন্য।

শারীয়াহ গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য:

তারিখ: ২৬ -১১-২০২২ ঈসায়ী
(আগামী শনিবার)
সময়: বিকেল ৪টা
ভেন্যু : ইয়ার সিক্স (সেকশন: A) ক্লাসরুম (বালক)।

বি.দ্র. ভর্তি পরীক্ষা বলতে— সাধারণ একটি অ্যাসেসমেন্টকে বুঝানো হয়েছে। যেন প্রত্যেক শিক্ষার্থীর লেভেল যাচাই করে সে- অনুযায়ী সেমিস্টারে যুক্ত করা যায়।

টকশোটি দেখতে চোখ রাখুন আমাদের পেইজে

আলিম প্রথম বর্ষে ভর্তি চলছে:
=====================
আরবি ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী একদল দক্ষ আলেমে দ্বীন তৈরির লক্ষ্যে সাফীর একাডেমিতে চালু করা হচ্ছে আলিম প্রোগ্রাম।
ভর্তি পরীক্ষা: ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২
ক্লাস শুরু: ১লা জানুয়ারি, ২০২৩
ভর্তির যোগ্যতা: ২০২২ সালের দাখিল/এসএসসি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ-৩ পেতে হবে। রেজাল্ট পাবলিশ হওয়ার আগেও আবেদন করা যাবে।
অনলাইনে আবেদন করতে হবে: https://www.safeeracademy.org/home/apply-online

জেনারেল শিক্ষিতদের জন্য
শরীয়াহ গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রাম:
====================
👉মেয়াদ: ৩ বছর (মোট ৮ সেমিস্টার/প্রতি সেমিস্টার ৪ মাস)
👉ক্লাস শুরু: ১লা জানুয়ারী
👉প্রথম ভর্তি পরীক্ষা: ২৬ নভেম্বর, ২০২২
👉দ্বিতীয় ভর্তি পরীক্ষা: ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২
👉ক্লাস শিডিউল: শুক্র, শনি ও সোমবার (সন্ধ্যা ৬-৮ টা)
👉মোট পঠিতব্য সাবজেক্ট: ২০ টি
👉ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা: SSC/DAKHIL পাশ।
👉নারী পুরুষ সকলের জন্য উন্মুক্ত।
👉ভর্তি ফি: ৪০০০ টাকা
👉সেমিস্টার ফি: ৬০০০ টাকা
👉ক্লাস পদ্ধতি: সরাসরি ও অনলাইন।
👉স্কলারশিপ : দরিদ্রদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে।
👉ক্লাস নিবেন যারা: দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলারবৃন্দ।
👉সার্টিফিকেট ও পুরস্কার: সফলভাবে গ্রাজুয়েশন সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট এবং পুরস্কার প্রদান করা হবে।
তত্ত্বাবধান: ড. আবুল কালাম আজাদ, লন্ডন।
কো-অর্ডিনেটর: শায়খ নুরুল আলম মাদানী
যোগাযোগ: 01322-879161/01858-149618
আবেদন করুন অনলাইনে: https://www.safeeracademy.org/home/course-apply

মানুষ নিজ কর্মে সুভাস ছড়ায়

সমাজের দৃষ্টিতে আপনি একটা খুবই ভালো মানুষ। নম্র, ভদ্র ও সৎকর্মশীল। অনলাইন-অফলাইনে আপনার হাজার-সহস্র ফলোয়ার। অগণন মুহিব্বিন। তাদের দৃষ্টিতে আপনার মাঝে কোনো দোষ নেই। নেই কোনো ভুল-ত্রুটি। এমনকী তারা আপনার মাঝে খুঁজে পায় না মন্দ- শব্দটির লেশমাত্র প্রভাব। এককথায়, তারা আপনাকে একটা ফেরেস্তা জানে। আপনার শুধু গুণকীর্তন করে।

কিন্তু আপনি কি আসলেই তাই?

না, মোটেও না। আপনার মাঝে নেই খুলুক্বে আযিমের ছেঁড়াফাটা প্রভাব, নেই আল্লাহর কোনো ভয়, নেই সততা-আমানতদারিতা। যা আছে, সব লোক দেখানো। কিছু মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন শুধু। সমাজে ‘ভালো’ মানুষ সাজার অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন। তাইতো গীবত করতে, পরের হক নষ্ট করতে আপনার হৃদয় একবারও কাঁপে না। দিল মোচড় খায় না।

এই যদি হয় আপনার অবস্থা, তা হলে মনে রাখুন— মানুষের এমন প্রশংসা কিয়ামত দিবসে আপনার কোনো কাজে আসবে না। বাঁচাতে পারবে না আপনাকে আল্লাহর অবধারিত আযাব থেকে, জাহান্নামের উত্তপ্ত আগুন থেকে, যার লেলিহানে মুহূর্তেই ঝলসে যাবে শরীরের পুরো চামড়া, চামড়াগুলো টুকরো টুকরো হয়ে ঝরে পড়বে গা থেকে। ‘চামড়া একবার পুড়ে গেলে আবার নতুন করে চামড়া সৃষ্টি করা হবে। আবার তা পুড়বে। এভাবেই তারা পুরোমাত্রায় শাস্তি ভোগ করবে।’ [নিসা : ০৫]

পক্ষান্তরে, কিছু মানুষ যদি আপনার বদনাম করে বেড়ায়, আপনার নামে নানা মিথ্যা রটায়, ভর্ৎসনা করে যায় অনবরত, অথচ আপনি এ-সবের ধারে-কাছেও নেই। তাদের ছুঁড়ে মারা ‘অপবাদের’ কোনোটিই বিন্দুমাত্র স্পর্শ করতে পারে নি আপনাকে। কলুষিত করতে পারে নি আপনার জীবনকে।

তাই যদি হয়, আপনার কোনো ভয় নেই। চিন্তার কোনো কারণ নেই। তাদের এসব কথা আপনার তিল মাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। সুতরাং তাদের কথায় কষ্ট নিবেন না, মন খারাপ করবেন না, বরং আপনার সৎ কর্মে অবিচল থাকুন। নিজেকে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল রাখুন।

মনে রাখবেন— কোনো মানুষ যখনই সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উপরের দিকে উঠতে শুরু করে, তখনই তার কিছু হিংসুক- শত্রæ পয়দা হয়, তাকে গিলে খেতে চায়, তাকে পেছন থেকে টেনে ধরতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। হিংসুকদের এমন নগ্ন থাবা থেকে রেহায় পায়নি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট মানুষগুলোও, নবি-রসুলগণও। এমনকী রেহাই পায়নি আখিরি নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত। তাঁকেও মিথ্যুক বলেছে ওরা, তাঁর দুর্নাম করেছে, তাঁর সাথে শত্রুতা করেছে।
তবে তিনি শত্রুদের মোকাবেলায় কখনো দ্বীন ছাড়েন নি। সৎ কর্ম থেকে পিছপা হননি। দাওয়াতি মিশন থেকে তিল পরিমাণও সরে দাঁড়ান নি, বরং সবর করেছেন, সত্য প্রচারে সীসার মতো অটল ছিলেন। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সান্ত্বনা দিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, ‘হে নবি! আমি জানি, ওরা যে কথাবার্তা বলে, তা আপনাকে কষ্ট দেয়। কিন্তু ওরা শুধু আপনাকেই মিথ্যাবাদী বলে না, এ সীমালঙ্গনকারীরা আল্লাহর বাণীকেও অস্বীকার করে। আপনার পূর্বেও অনেক রসুলকে মিথ্যাবাদী বলা হয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে মিথ্যা বলা ও নির্যাতন করা সত্ত্বেও আমার সাহয্য না পৌঁছা পর্যন্ত তারা সবর করেছিলেন। আল্লাহর নির্দেশ ও ফায়সালা পরিবর্তন করার ক্ষমতা কারো নেই।’ [আনআম : ৩৩-৩৪]

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আরো বলেন, ‘আমি তো জানি, ওদের কথাবার্তায় আপনার অন্তর বিষণ্ন হয়। (আর এ বিষণ্নতার প্রতিকার খুব সহজ) আপনি আপনার প্রাতপালকের প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন। এবং সিজদাকারীদের মধ্যে শামিল হোন। আমৃত্যু আপনার প্রতিপালকের ইবাদত করুন।’ [হিজর : ৯৭-৯৯]

অন্যদিকে, একজন মানুষ যতই অন্যায়কারী, পাপাচারী হোক না কেন, তারও কিছু মুহিব্বিন থাকে। তাকেও কিছু মানুষ ভালোবাসে। তাইতো ফেরাউন, নমরুদের মতো পৃথিবীর নিকৃষ্টতম মানুষগুলোরও কিছু প্রিয়জন ছিল। তাদেরকেও ভালোবাসতো। তাদেরকে সমর্থন দিতো। তাদের অনুসরণ-অনুকরণ করতো।

কিন্তু কিছু মানুষের এই সমর্থন দেওয়া-না-দেওয়া, ভালোবাসা-না বাসার ওপর নির্ভর করে না একজন মানুষের কীর্তি ও সফলতা, বরং মানুষ নিজ কর্মে সুভাস ছড়ায়।

বিখ্যাত তাবেয়ি মুতরাফ ইবন আব্দুল্লাহ বলেন, 'আমাকে ইমাম মালেক রহমাতুল্লাহি আলাইহি জিজ্ঞাসা করলেন, লোকেরা আমার ব্যাপরে কী বলে? আমি বললাম, আপনার বন্ধুরা আপনার প্রশংসা করে, আর শত্রুরা বদনাম করে। তখন ইমাম মালেক বললেন, মানুষ এমনই। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই— দুনিয়ার সব মানুষ যেন আমার প্রশংসা না করে। কারণ এতে আত্মপ্রবোধে পড়ে প্রতারিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। আবার সব মানুষ যেন বদনাম না করে। কেননা সবাই মিলে একটা মানুষের বদনাম করা মানে— ঐ ব্যক্তির মাঝে উক্ত দোষ-ত্রুটি বিদ্যমান।’ [তাবকা-তুল মুফাসসিরিন]

আরো উত্তম কিছু অপেক্ষা করছে আপনার জন্যে

আসলে তোমরা যা অপছন্দ করছ, তা-ই তোমাদের জন্যে ভালো হতে পারে, আর যা তোমরা পছন্দ করছ, তা হতে পারে তোমাদের জন্যে খারাপ। নিশ্চয়ই আল্লাহ যা জানেন, তোমরা তা জানো না।
[বাকারা : ২১৬]

সুখ-দুঃখ, পাওয়া না পাওয়ার মধ্য দিয়েই চলে প্রতিটি মানুষের জীবন। জন্মের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া বিরতিহীন এই জীবনতরীটি চলার পথে কখনো কখনো মুখোমুখি হয় সুখ-শান্তি, দুঃখ-দুর্দশা, কষ্ট-ক্লেশ, জয়-পরাজয়, উত্তান-পতন সহ নানান কিসিমের হাজার-সহস্র দুঃখ-বেদনার। লালিত স্বপ্ন, কাঙ্খিত চাকরী-বাকরী, ধন-দৌলত, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এ রকম আরো কত কিছু হারানোর ভীষণ কষ্ট বুকে চেপে ধরে জীবননৌকা বয়ে চলে তার গন্তব্য অভিমুখে। বিষণœতা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় অনেকের হৃদয় ফেঁটে ছারকার হয়ে যায়। তখন স্নিগ্ধ ভোরের হিমেল হাওয়াও তার কাছে মনে হয় গ্রীষ্মের উষ্ণ বায়ু, পাখির মন মাতানো কলরব তার কাছে লাগে গাধার কর্কশ আওয়াজের মতো। এককথায়, তার কাছে ভালো লাগা বলতে আর কিছু থাকে না এই ধরণীর বুকে। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বস্তুটিও তার চোখে নিকৃষ্টতম কুৎচিত ও বেমানান মনে হয়। এমনকী এই চরম পর্যায়ের হতাশা ও পেরেশানী থেকে অনেকেই আবার জীবনের ইতি টেনে নেয়। আত্মহত্যা করে একপ্রকার প্রশান্তি (!) খুঁজে বেড়ায় জাহান্নামের অতল গহ্বরে।

কিন্তু, আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছন, আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া বিপদ-আপদের মধ্যেই রয়েছে মহান রবের কোনো না কোনো হিকমত। এর ভেতরেই প্রজ্ঞাময় মহান রব্বুল আলমিন লুকিয়ে রেখেছেন আপনার জন্য মহা কল্যাণ। অতি সুখ। এই বিপদে ধৈর্য ধরতে পারলেই তিনি আপনাকে দেবেন আরো উত্তম কিছু। দামি বস্তু। কুরআনের ভাষায়, “বিনিময়ে আমাদের রব হয়তো দান করবেন এর চেয়ে ভালো কিছু। আমরা আমাদের রবের দিকে রুজু করছি।”

কিন্তু, আপনি তা বুঝে উঠতে পারছেন না এখন।

ধরুন, বাস কাউন্টার থেকে আপনি একটি টিকেট কেটে রেখেছেন বিশেষ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে ঢাকা যাবেন বলে। সন্ধ্যা ৭টায় বাসটি ঢাকা অভিমুখে ছেড়ে যাবে। আপানাকে ৭টার মধ্যেই বাস কাউন্টারে উপস্থিত থাকতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে আপনি বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লেন। কিন্তু, পথিমধ্যে পড়লেন দীর্ঘ জ্যামে। সামনে যাওয়ার বিন্দুমাত্র ফুরসত নেই। এদিকে সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। ঘড়ির কাঁটা ৭টা ছুঁই ছুঁই করছে, তখনও আপনি বাস কাউন্টারে পৌঁছতে পারলেন না। পেরেশানীতে আপনার দিল দগ্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই জ্যাম থেকে ছুড়তে পারছেন না। শেষ পর্যন্ত ৭টা বেজেই গেল। যথাসময়ে কাউন্টারে পৌঁছা সম্ভব হলো না আপনার। বাসটি আপনাকে রেখে ছেড়ে গেল ঢাকা অভিমুখে। বিষণœ মনে আপনি বাসায় ফিরে এলেন। পরদিন ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে পারবেন না ভাবতেই আপনার মন ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। কারো সাথে মুখ খুলে দু-কথা পর্যন্ত বলতে ইচ্ছে করছে না। তাই ড্রয়িং রুমে একাকী বসে স্মার্ট ফোনটি হাতে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় একটু ঢুঁ মারলেন। মোবাইল হাতে নিতেই আপনার চোখে ভেসে উঠল অবিশ্বাস্য এক চিত্র। কল্পনাই করতে পারছেন না এমন দূর্ঘটনার চিত্র আপনাকে দেখতে হবে। যে গাড়িটি দিয়ে আপনার ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল, সেটি যাত্রাপথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গিয়েছে। প্রায় সব যাত্রী প্রাণ হারিয়ে। কয়েক জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কী অবিশ্বাস্য ব্যাপার! একটুর জন্যেই আপনি বিপদ থেকে মুক্তি পেলেন, প্রাণে বেঁচে গেলেন।

আচ্ছা, এবার বলুন তো, একটু আগেই যে কারণে আপনি ভীষণ মন খারাপ করেছিলেন, সেটি-ই এখন আপনার জন্য কল্যাণে পরিণত হয়েছে, আপনার জীবন বাঁচার উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আসলে মানুষের জীবনে যা-ই কিছু ঘটে, সব-ই তার জন্য কল্যাণকর। সৃষ্টিকর্তা মহান রব্বুল আলামিন কখনো বান্দার অকল্যাণ চান না, চাইতে পারেন না। আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিপাদ-আপদ আমাদের দৃষ্টিতে অকল্যাণ মনে হলেও এতে রয়েছে বান্দার জন্য আরো বড় কল্যাণ, বহু উপকারীতা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলা বলেন, “আসলে তোমরা যা অপছন্দ করছ, তা-ই তোমদের জন্যে ভালো হতে পারে, আর যা তোমরা পছন্দ করছ, তা হতে পারে তোমাদের জন্যে খারাপ। নিশ্চয়ই আল্লাহ যা জানেন, তোমরা তা জানো না।”

সুতরাং জীবনে কোনো কিছু হারানো বা না পাওয়া নিয়ে মন খারাপ করতে নেই, বরং মুমিনের উচিত, সবকিছুকে আল্লাহর ফায়সালা মনে করা এবং তার ফায়সালায় সন্তুষ্ট থাকা।

আরবি ভাষা কোর্সের আজকের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামটি চমৎকার ছিল।

#কুরআন_অনুধাবন #
আসলে আমিই মানুষের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্যের এ দিনগুলোর আবর্তন ঘটাই।
[আলে ইমরান -১৪০]

কে জানতো— মুসা আলাইহিস সালাম, যার পেশা ছিল মেষ চড়ানো, তিনিই একসময় হয়ে যাবেন কালিমুল্লাহ?

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যিনি সামান্য পয়সায় কুরাইশদের ছাগল চড়াতেন, কয়েক বছর পর তিনিই হবেন আখেরি নবি ও রাসুল?

আপনার জন্যেও রয়েছে সোনালি দিন, হয়তো সময় হয় নি এখনো।

চেষ্টা চালিয়ে যান...
আল্লাহর প্রতি সু ধারণা রাখুন...
দেখবেন— ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।

সীমিত আসনে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে

মাসিক আস-সাফীর সেপ্টেম্বর সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে আন্দরকিল্লা আল মানার লাইব্রেরীতে।