Celebrating the occasion with friends and colleague.
Hablauchcho Adarsha High School / হাবলাউচ্চ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
Nearby schools & colleges
Station Road
3400
Brahmanbaria Sadar
Bancharampur
East Paikpara
Sarail
Akhaura
Kasba
Bijoynagar
Chittagong
Jail Road
B-Baria
amaderbrahmanbaria.com
Operating as usual

গোপালগঞ্জে হিজরত করছিল নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। দেখেও চোখের শান্তি। বহু মানুষের হাহাকার এবং বদদোয়া বিফলে যাবেনা । আল্লাহ ছাড় দেন তবে ছেড়ে দেননা।
কাজ শুরু করার আগেই সমালোচনা কিভাবে করেন? কাজ শুরু করুক। ভুল করলে অবশ্যই সমালোচনা করব। কথা বলার স্বাধীনতার জন্যইতো এতো রক্ত ঝরল। ফেসবুকে একটা নিরীহ কমেন্ট করলেই যদি ফোন করে বিশেষ বাহিনীর লোক চা খাওয়ার দাওয়াত দেয় কেমন লাগতো? আগের কথা জানিনা । ১৯৯০ তে এরশাদ, ২০০৭ এ জেনারেল মঈন আর ২০২৪ এ শেখ হাসিনা টের পেয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ ছাত্ররা কি চিজ। ভবিষ্যতে সবাই সতর্ক থাকবে বলেই আশা করি।সেইম ভুল যদি ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় এসে করে তাহলে তাদেরকেও সেইম পরিনতি ভোগ করতে হবে। হানাহানি চাইনা, ভোটের অধিকার চাই। দিনের ভোট রাতে হোক সেটা চাইনা। মুক্ত পরিবেশে সুস্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সংখ্যা গরিস্ঠ মানুষ যাকেই নির্বাচিত করে তাকেই মেনে নেব। সেটা যদি বিএনপি না হয়ে আওয়ামী লীগও হয় তাতেও সমস্যা নাই।

এবার একটু ভিন্ন কিছু
Panchhi Banoo Udti Phiroon Mast Gagan Mein 4K Song in Color | Lata Mangeshkar | Nargis | Chori Chori Watch this Old Classic Color Hits song " Panchi Banoo Urdi Phiroon" sung by "Lata Mangeshkar. Starring : Nargis & Raj Kapoor from the classic movie 'Chori Ch...
আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহপাক এক জীবনে দুইবার স্বাধীনতা দেখার সৌভাগ্য হচ্ছে ইনশাআল্লাহ। একবার দিয়ে গেছে আমাদের বাপ-চাচা, পূর্বসূরিরা, আর একবার দিচ্ছে আমাদের সন্তানরা/উত্তরসূরীরা। এ এক বিরল অভিজ্ঞতা। সব কিছুর জন্য শোকর আলহামদুলিল্লাহ্

আর কিছুক্ষণ পরে বেলা ২ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দিবেন সেনা প্রধান।
বৈরী সময়ের সাতকাহন!
✍️
প্রায় দুই যুগ মফস্বলে বসবাসের পর সম্প্রতি ঢাকায় এসে মেট্রোরেলকে ভিত্তি করে মিরপুরে বাসা নিয়েছিলাম। সেনপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে দিলকুশায় অফিসে পৌঁছাতে ৩০/৩৫ মিনিটই যথেষ্ট ছিল। ট্রেনে মাত্র ২২/২৩ মিনিট। বাকীটা হাঁটা। ভাবা যায়!! অথচ অফিসের গাড়িতে সময় লাগে দেড় থেকে তিনঘন্টা! তাছাড়া মেট্রোর অভিজ্ঞতাও দারুণ, ঝকঝকে পরিচ্ছন্ন, কড়া এসি থাকায় কিছুটা গাদাগাদি করে দাঁড়ালেও ক্লান্তি বা বিরক্তির লেশমাত্র নেই। সত্যিই স্বপ্নের মেট্রো যানজটের এই নগরে নিঃসন্দেহে একটি বড় প্রাপ্তি ছিল সাধারণ মানুষের জন্য।
🖱️
তাই মেট্রোরেলের কোন প্রকার ধ্বংসলীলা কোনভাবেই মেনে নিতে পারি নি। ভীষণ মন খারাপ হবার মতোই এ ঘটনা। হ্যাঁ, কেবল মেট্রোই নয়; কোন স্থাপনায় হামলাই কাম্য নয়। একটা পর্যায়ে আন্দোলন আর ভাংচুর এক মোহনায় মিলিত হবার পুরনো ধারা থেকে বেরোতে না পারলে জাতীয় অগ্রগতি ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হবে।
🖱️
ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেলের ঘটনায় আমার স্মৃতির ক্যানভাসে ভেসে ওঠে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের একটি ঘটনা। সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের একটি মিছিল থেকে সেই সময়ের সবচেয়ে আধুনিক এবং বিপুল ব্যয়ে সদ্যনির্মিত চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ভয়াবহ হামলার স্টেশনটি পুরাই বিপর্যস্ত হয়েছিল। ঐ মিছিলের অগ্রভাগে আমিও একজন ছিলাম। যদ্দূর মানে পড়ে ছাত্রলীগও সেই মিছিলে ছিল। পুলিশ ও এরশাদের পেটোয়াবাহীনির পাল্টা আক্রমনে সেদিন আমার শরীর থেকেও কিঞ্চিৎ রক্ত ঝরে ছিল। বাস্তিবকই আন্দোলনকারীদের পীঠ যখন দেয়ালে ঠেকিয়ে দেয়া হয়, যৌক্তিক দাবিকে যখন দীর্ঘসূত্রিতার গ্যারাকলে ফেলে দেয়া হয় কিংবা দিনের পর দিন অবজ্ঞা বা উপহাস করা হয় তখন আন্দোলনকারীদের কিছু অংশ ধৈর্য্য হারায়, কেউ মারমুখী হয়। এমন পরিস্থিতিতে কখনে হিতাহিত বোধ কাজ করে না। আন্দোলন নিয়ন্ত্রন হারানোর ঝুঁকিতে পড়ে। তাছাড়া যখনই দীর্ঘসূত্রিতার কবলে পড়ে সমাধানের পথ জটিল হয় এবং তখনই সেই জটিলতার সুযোগ নিতে তৎপর হয় কিছু মহল। তখন ভাংচুরের ঘটনা ছাড়াও অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক ঘটনা ঘটে। ইতিহাসে এমন নজির ভুরি ভুরি। আমাদের ভারত উপমহাদেশের ছাত্র আন্দোলনের এটাও একটি অনন্য ঐতিহ্য; এটি নতুন নয়। হ্যাঁ, এই সংস্কৃতি থেকে বেরেয়ে আসা সময়ের দাবী। তাই আমিসাম্প্রতিক সকল ধ্বংসলীলার নিন্দা করি এবং দুঃখিত হই বটে কিন্তু শেষপর্যন্ত ২৪ সালের এই ভাংচুরের ঘটনার জন্য আমার চোখ ফেটে কান্না আসে না। প্রিয় মেট্রোর জন্যেও নয়। কেননা এসব সর্বাংশেই মেরামতযোগ্য। এগুলোকে আবারো ব্যবহারযোগ্য করে তোলা মোটেও অসম্ভব নয়। এক একজন পিকে হালদার বা বেনজির বা মতিউর বা ৪০০ কোটি টাকা খ্যাত সেই পিয়ন বা আবেদ আলী গংদের চুরির টাকা দিয়েও খুব সহজে এসব মেরামত করা যাবে। ঠিক এই কারণেই আমার কান্না আসে না।
🖱️
কিন্তু সত্যিই চোখ ফেটে আমার কান্না আসে নাম নাজানা সব আদম সন্তানের জন্য যারা শহীদ হল গুলি খেয়ে, মার খেয়ে–তাদের জন্য। মেট্রো চালু হবে একদিন, আমিও আবার মিরপুর থেকে মতিঝিল যাবো নিমিশেই কিন্তু ইনোসেন্ট কচি কচি সন্তানেরা আর কোন দিন হাঁটবে না মায়ের আচল ধরে, আদুরে বোনের হাত ধরে। পৃথিবীর সমস্ত শক্তি, সমস্ত সম্পদ একত্র করলেও ওদেরকে ফিরিয়ে আনার সাধ্য নেই কারো। তাঁদের কথা ভাবলে আমার হুহু করে কান্না আসে, চিৎকার করে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে মন চায়। চোখের প্লাবন আর বুকের রক্তক্ষরণ ঠেকাতে পারি না... স্বাধীন সোনার বাংলায় একি দেখলাম!!!
🖱️
স্থাপনার ক্ষতিও নিন্দাহ্যোগ্য কিন্তু যারা প্রাণহীন জড়বস্তুর সাথে প্রাণের তুলনা করতে আসেন, কোনটা বেশি মূল্যবান সেই হিসেব করতে বসেন–তাদের সাথে তর্ক করে সময় নস্ট সময় আমাদের নেই। চাইলেই তাদের প্রতিটি খোড়াযুক্তির উত্তর দেয়া যায়, কিন্তু এখন এসব অর্থহীন।
🖱️
মূল্যবান আর অমূল্য–এই দুটো শব্দের পার্থক্য যারা বুঝে না, তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লেভেল নিয়েই আমি সন্দিহান। আর কোন বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর সাথে তর্ক করে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না। ওদের জন্য বড়জোর করুণা হতে পারে–এতটুকুই; এর বেশি কিছু নয়।
🖱️
প্রভূ জ্ঞান দাও।
_______
যারা মানুষের প্রাণের সাথে স্থাপনার মূল্যকে মেলাতে চায় আর যারা জুলুম করে জিতে যাবার ভঙ্গি করে–তাদের জন্য কিছুই বলার নেই নতুন করে। সব বলা হয়েগেছে অনেক আগেই॥
📎
'শুন হে মানুষ ভাই, সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।'–বড়ু চণ্ডীদাস।
📎
‘তারা সামান্য হেসে নিক, শীঘ্রই তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য প্রচুর কাঁদবে।‘—সূরা আত তওবা: ৮২।
📎
‘আর জা'লিমরা শীঘ্রই জানতে পারবে, ওরা কোন পরিণতির দিকে ফিরে যাচ্ছে।‘—সূরা আশশুআরা: ২২৭।
_______
২৯ জুলাই ২০২৪
সেনপাড়া, ঢাকা।
কপি-পেস্ট
মোঃ মহিবুল ইসলাম

জাষ্ট একটা র্যান্ডম ছবি। একজন ২০ বছরের তরুন ফুটবলার একটা চ্যারিটির জন্য এক নবজাতককে কোলে নিয়ে ছবি তুললেন।
বার্সালোনার সাথে ইউনিসেফের একটা যৌথ চ্যারিটির অংশ হিসেবে খেলোয়াড়রা বাচ্চাদের সাথে ছবি তুলবে আর সেগুলো দিয়ে ক্যালেন্ডার হবে।
কাতালোনিয়ার শত শত বাচ্চার বাবা-মা আবেদন করলেন। মরক্কোর মুসা ইয়ামাল আর ইকুটেরিয়াল গিনির ইয়ায়ি বায়াম কাতালুনিয়াতেই সংসার পেতেছেন। তাঁদের শখ তাদের ছোট বাচ্চাটার সাথে বার্সালোনার তারকারা ছবি তুলুক। লটারিতে জিতেও গেলেন এই দম্পতি।
এর কিছুদিন পর, ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে তাঁরা দাওয়াত পেলেন ক্যাম্প নূতে। দুই ফটোগ্রাফার জোয়ান মন্তফোর্ত আর অরিয়ন কানাল তাঁদের চারমাস বয়সী বাচ্চাকে লামিনকে নিয়ে ছবি তোলার জায়গায় যেতে বললেন। ওদের জানানো হলো, লামিনের সাথে যিনি ছবি তুলবেন তিনি ২০ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন লিওনেল মেসি। সে দলের সবচেয়ে লাজুক ছেলে হলেও লা মেসিয়ার অন্যতম সেরা প্রতিভা।
লাজুক ছেলেটা জানালো, জীবনে এর আগে নাকি সে কখনো বাচ্চা কোলে নেয়নি। এই শুনে ছোট্ট লামিনের বাপমা বেশ একচোট হাসলেন, কে জানে হয়তো একটু শংকিতও হলেন। অনেকগুলো ছবির মধ্যে একটা ছবি ছোট্ট লামিলকে গোসল করিয়ে দিচ্ছেন সদ্য টিনেজ পেরোনো মেসি।
এর সাড়ে ষোল বছর পর যখন এই কথাগুলো লেখা হচ্ছে, তদ্দিনে ফুটবলপ্রেমীরা এই দুইজনকে চিনে গেছেন। যদি এই ছবিটা না থাকতো, তবে বেশিরভাগ এই ছবির বিবরণটাকে অতি কল্পনা বলে উড়ায়ে দিতেন নিশ্চিত!
যাহ! এইরকম হয় নাকি!
ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম এক দেবতা নিজ হাতে গোসল করিয়ে দিচ্ছেন এক ভবিষ্যত দেবদূতকে। খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসে ব্যাপটিজম বলে একটা ব্যাপার আছে, যেখানে একজন পাদ্রী, গোসল করিয়ে বাচ্চাকে পবিত্র ঈশ্বরের সন্তান বলে গ্রহণ করেন। অন্যন্য আব্রাহামিক ধর্মেও রিচুয়াল গোসল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফুটবলের গল্পে বহু লেখক অতিপ্রাকৃতের আলাপ করেন, ধর্মীয় রিচুয়াল আর মেটাফরের তুলনা দেন, কিন্তু এই যে ছবিটা, এর যে গল্পটা, তাঁকে অবিশ্বাস্য বললে কম বলা হয়।
লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির আঁকা ব্যাপটিজম অফ ক্রাইস্ট পেইন্টিং জগতের এক বিস্ময়, ফুটবলের ব্যাপটিজম অফ লামিন সেই বিস্ময়কে ছাপিয়ে গেলো বহুগুনে।
এইরকম সময়ে ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান দ্যা ফিকশন কথাটাকেও অত্যন্ত অপ্রতুল মনে হয়।
-কপি-পেস্ট

একটি স্থগিত খাবার বা মুলতুবি খাবার হল এমন একটি খাবার যা লোকেরা আগে থেকে অর্থ প্রদান করে, যারা পরে কোন অভাবী এটির অনুরোধ করলে তাদের সরবরাহ করা হয়। তারা যে অতিরিক্ত খাবার ক্রয় করে তা স্থগিত করা হয়েছে; অর্থাৎ, রেস্তোরাঁ অর্থের পরিমাণ চিহ্নিত করবে এবং দরিদ্রদের জন্য অতিরিক্ত খাবার ‘স্থগিত’ করবে। স্থগিত খাবার আজ এক কাপ কফি থেকে শুরু করে পুরো খাবারের ব্যবস্থা পর্যন্ত। সেটা সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার কিংবা রাতের খাবারও হতে পারে।
ভিয়েতনামে, স্থগিত খাবারের ধারণাটি "cơm treo" (হ্যাং-আপ খাবার) নামে পরিচিত। এই অনুশীলনটি ইতালিতে উদ্ভূত "cà phê treo" (সাসপেন্ডেড কফি) মডেল থেকে অনুপ্রাণিত, যেখানে গ্রাহকরা প্রয়োজনে কাউকে কফি দেওয়ার জন্য অগ্রিম অর্থ প্রদান করে। একইভাবে, "cơm treo" ভোজনরসিক, বিশেষ করে জনপ্রিয় ভাতের দোকানে "cơm bình dan" এবং "cơm tấm" রেস্তোরাঁয় গ্রাহকদের অতিরিক্ত খাবারের জন্য অর্থ প্রদানের অনুমতি দেয় যা পরে গৃহহীন ব্যক্তি, একা বসবাসকারী বয়স্ক ব্যক্তি বা শিশুদের দেওয়া হয় যারা অভিভাবকহীন।
ভাত, বিভিন্ন মাংস, মাছ এবং শাকসবজি সহ সাশ্রয়ী মূল্যের এবং পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করা এই খাবারের দোকানগুলি কমিউনিটি হাব হিসাবে কাজ করে যেখানে লোকেরা "আপনি কি আজকে cơm treo গ্রহণ করেন?" জিজ্ঞাসা করে শান্তভাবে অন্যদের সমর্থন করতে পারে। ("Hôm nay quán có nhận cơm treo Không?")। অর্থ প্রদানের পরে, অতিরিক্ত খাবার রেস্টুরেন্ট কর্তৃক নোট করা হয় এবং পরে যার প্রয়োজন এমন একজন ব্যক্তিকে সরবরাহ করা হয়। দয়ার এই গোপনীয় কাজটি নিশ্চিত করে যে দাতা এবং প্রাপক কেউ কাউকে চিনেনা, এতে করে প্রাপকের মর্যাদা বজায় থাকে। দান সম্পর্কে এটা ইসলামের শিক্ষা। কিন্তু এটা চর্চা করে অন্য ধর্মাবলম্বীরা। তাইতো আল্লামা ইকবাল একবার আক্ষেপ করে বলেছিলেন, আমি সারা ভারতবর্ষে কোটি মুসলমান দেখেছি কিন্তু ইসলামকে খুঁজে পাইনি। কিন্তু ইউরোপে কোন মুসলমান পাইনি কিন্তু ইসলামকে দেখেছি।

সা*প নিয়ে এতো কাহিনির আসল মাজেজা দুইদিন আগেই আমি এক কমেন্টে বলেছিলাম। এখন মিলিয়ে নেন। আসল ধান্ধা এই ঔষধ বেচা। কোটি কোটি টাকা বানিয়ে ফেলবে।
“Ah, I wish my dirty flesh could melt away into a v***r, or that God had not made a law against su***de. Oh God, God! How tired, stale, and pointless life is to me” (Hamlet)
"আপনি যেভাবেই হোক আমার বাচ্চাটাকে বাঁচান। ভাবতেও পারছি না কেন আত্মহত্যা করতে গেল! গাড়ি, বাড়ি, টাকা, পয়সা কিছুর অভাব নেই আমাদের। ওর নিজের প্রাইভেসিকে মূল্য দেই! তাহলে কেন এমন হলো? " ভদ্রমহিলা চোখ মুছলেন। সাথে আসা ভদ্রলোক ও।
পুরুষ মানুষ কাঁদতে শেখেন না আমাদের দেশে। কারণ তাতে কাপুরুষ আখ্যা পেতে হয়। অথচ কান্না মানুষের একটি আদিমতম মৌলিক আচরণ।
"কি হয়েছে?" আস্তে আস্তে প্রশ্ন করলাম!
"আমার ছেলে... " খেয়াল করলাম বলেই ভদ্রলোক একটু থমকালেন। গলা খাকারি দিয়ে আবার শুরু করলেন, " আমাদের ছেলের বয়স ১৭ বছর! ও আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করে। আমরা দুজনেই তখন বাসায়। দরজা ভেঙে বের করি। ইমিডিয়েটলি হাসপাতালে নেই। যেহেতু নিজেদের প্রতিষ্ঠান। তাই লোক জানাজানি হতে দেই নাই। ৩ দিন ভর্তি ছিল। সব রিপোর্ট স্বাভাবিক। এখন ওকে বাসায় আনবো। কিন্তু ওর কাউন্সিলিং প্রয়োজন। তাই আপনার কাছে আমরা আগে কথা বলতে এসেছি।"
ভদ্রলোক, ভদ্রমহিলা দুজনেই স্বনাম খ্যাত চিকিৎসক। চট করে সিরিয়াল পাওয়া যায় না। উভয়েরই মধ্যরাত পেরিয়ে যায় বাসায় ফিরতে ফিরতে।
কিন্তু আমার কানে খট করে লাগলো, ভদ্রলোকের একটা শব্দ। "আমার ছেলে!" যদিও আমার চোখাচোখি হওয়াতে তিনি শব্দটি পাল্টে বললেন, "আমাদের ছেলে।"
আমাদেরকে শেখানো হয়েছে একটা মানুষের যোগাযোগ মাধ্যমে ভাষার ব্যবহার (ভার্বাল বা মৌখিক) মাত্র ৭% বাকি ৯৩% হলো ভাষাবিহীন (নন ভার্বাল)। স্পষ্ট অনুভব করলাম স্বামী-স্ত্রীর ভাষাবিহীন আচরণে দারুন আশ্বস্তি। বসার ভঙ্গি, হাতের নড়াচড়া, পরস্পরের দিকে না তাকানো ইত্যাদি প্রকট।
"আপনাদের কি একটিই সন্তান!" দুজনেই মাথা ঝাঁকালেন। আমার সন্দেহ আস্তে আস্তে সিদ্ধান্তের দিকে এগুতে থাকলো।
"আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্ক কেমন?" স্থির গলায় নিচু স্বরে প্রশ্নটা করলাম।
পর্যায়ক্রমে স্বামীর দিকে স্থির চোখে তাকাতেই তিনি চোখ সরিয়ে নিলেন। স্ত্রীর দিকে তাকাতেও একই অবস্থা।
অনেকক্ষণ চুপচাপ থাকলেন দুজনেই। খেয়াল করলাম ভদ্রলোকের ঘাড়ের একটি রগ ফুলে উঠলো। ভদ্রমহিলা নখ খুঁটতে লাগলেন। মাথার উপরে ফ্যানের শব্দ ছাড়া সম্পূর্ণ স্তব্ধতা।
"দেখুন, আপনাদেরকে বিব্রত করার জন্য যে এই প্রশ্নটি আমি করিনি, আশা করি সেটা বুঝতে পারছেন। একটা মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তার পারিবারিক স্বাস্থ্যের ব্যকরণটাও বোঝা খুব জরুরি। আমি সেই জায়গা থেকেই প্রশ্নটি করেছি। আশা করি আমাকে ভুল বুঝবেন না!"
তারপর সেই কাউন্সিলিং টেবিলের গল্প।
উঠে এলো বাবা মায়ের সম্পর্কে প্রচন্ড তিক্ততার কাহিনী। একক পরিবারে বাচ্চাটি ধীরে ধীরে বড় হয়েছে দামি আয়ার কাছে। কিন্তু প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে শুনেছে বাবা-মার কুৎসিত ঝগড়া। পরস্পরকে জঘন্য ভাষায় দোষারোপ। অর্ধেকের বেশি পৃথিবী বাবা-মার সাথে ঘুরে এসেছে এরই মধ্যে বিভিন্ন কনফারেন্স এর সঙ্গী হয়ে বা ঈদের ছুটিতে। কিন্তু সেখানে ও ঝগড়া কমেনি। বাচ্চা স্পষ্ট বুঝে বাবা-মার বাইরের সোশ্যাল ইমেজ আর পারিবারিক চেহারার মুখোশগুলো খুব আলাদা। ফলে বাবা মার পরস্পরের দোষারোপের প্রেক্ষিতে বাচ্চার কারো উপরেই সম্মান জন্মেনি। কারণ মাকে বলতে শুনেছে একাধিক নারীর সাথে বাবাকে জড়িয়ে কুচ্ছিত কথা। আবার বাবাকে বলতে শুনেছে একই কথা মাকে নিয়ে। ছোটবেলায় মারামারি করতেও দেখেছে পরস্পরকে। অথচ দাম্পত্য সম্পর্ক এবং সন্তানের মানসিক বিকাশ অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত।
দাম্পত্য একটি দ্বৈরথ বটে! এর দ্বারা দুটি মানুষের ও পরিবারের আন্তসম্পর্ক সংজ্ঞায়িত হয়। বাবা-মা হলেন পৃথিবীতে প্রথম নিরাপদ মানুষ তাদের সন্তানের জন্য। দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ হতেই পারে। কিন্তু বাবা মার সাথে সন্তানের আজীবন সম্পর্ক থাকে। এই সম্পর্কে টানাপোড়ন, দ্বন্দ্ব, আনন্দ, বেদনা, সবই থাকতে পারে। বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যত্যয় থাকতে পারে। কিন্তু বিচ্ছেদ কখনোই নয়। এই ভূমিকায় অন্য কেউ প্রক্সি দিতে পারেনা। সন্তানের মানসিক বিকাশে বাবা মার দুই জনেরই ব্যক্তিগত ভূমিকা অপরিসীম। তাই বাচ্চা পালা শুধু মায়ের দায়িত্ব নয়। যারা মনে করেন বাচ্চা পালা শুধু মায়ের জিম্মা তাদের ভাবনার জায়গায় সীমাবদ্ধতা আছে।
"Parent-child relationships constitute a very special type of relationship in which every human is personally involved." (1)
এখন ধরুন, আলোচ্য দম্পতির মত বাবা-মা পরস্পর যুদ্ধ করে নিজেদের মধ্যে শক্তি খরচ করে ফেলছেন। তাহলে বাচ্চাকে কি শক্তি দেবেন? একই মানুষের বাবা-মা আর স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকা আলাদা। স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব ব্যক্তিগত। কিন্তু বাবা-মা ভূমিকা যৌথ। এটা প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রেও যা দায়িত্ব তিন নাম্বার বাচ্চার ক্ষেত্রেও একই। এখন বাবা-মার দাম্পত্যে যদি বনিবনা না থাকে তাহলে তারা বাচ্চাদের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন না কারণ নিজেদের রাগ, দুঃখ, ভয় এই তিনটা মৌলিক অনুভূতির বৃত্তে বাবা-মা এত বেশি ঘুরপাক খান যে তখন তারা নিজেরাও খুব অসহায় বোধ করেন। ফলে বাচ্চার সাথে মানসিক যোগাযোগ কমে যায়। নিজেকেই সামাল দিতে পারছেন না তো বাচ্চাকে কিভাবে দেবেন?
এর প্রভাব বাচ্চার উপর যে শুধু আজকেই পড়ছে তা কিন্ত নয়। প্রাপ্তবয়স্ক হলেও বাচ্চার আচরনে এর প্রভাব থাকবে। বাবা মার সাথে ভালো সম্পর্ক এবং খোলামেলা কথা বলবার পরিবেশ থাকলে বাচ্চা বয়সন্ধিকালে চমৎকারভাবে নিজেকে উতরে নিতে পারে। কিন্তু আলোচ্য শিশুটির ক্ষেত্রে বাবা-মা না পারস্পরকে বিশ্বাস করেছেন, না শ্রদ্ধা করেছেন উপরন্তু তারা বাচ্চাকে নিজের দলে টানতে যেয়ে বাচ্চা কেউ সম্মান, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস কোনটাই দেখাতে পারেননি। যার পরিণতি এসে ঠেকেছে আমার চেম্বারে।
"Hence, good parent-child communication filled with trust and respect can enhance children’s autonomy and provide adequate support for them to accomplish the developmental tasks during adolescence."(2)
বিভিন্ন বয়সের বাচ্চার চাহিদা বিভিন্ন । যেমন প্রথম ছয় মাস বাচ্চার যত্ন প্রয়োজন হয় অস্তিত্ব রক্ষায়। এই সময় যদি নির্দিষ্ট যত্ন না করা হয় ভবিষ্যতে এদের মধ্যে মাদকাসক্তির এর প্রবণতা দেখা যায়।
"Many of the studies evaluating relationship between children and parents have evaluated behaviors that could be considered externalizing, such as alcohol and drug use." (3,4)
মা বাচ্চাকে সব থেকে বেশি যত্ন করেন। কাজেই এই সময় বাবা শুধু নয় পুরো পরিবারের খেয়াল রাখা দরকার মা যাতে শান্তিতে থাকেন। অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চার কান্নায় বিরক্ত হয়ে অনেক বাবা আলাদা ঘুমাচ্ছেন। এটা করা যাবে না। বহুদিন আগে পড়া প্রবোধ কুমার সান্যালের একটি লেখা মনে পড়ল, "জন্মদাতা হওয়া সহজ, কিন্তু পিতা হওয়া বড় কঠিন।"
একটি প্রশ্ন এখানে উঠে আসতে পারে কর্মজীবী মা এর বাচ্চারা কি তাহলে অযত্নের শিকার? আমার পেশাগত অভিজ্ঞতা বলে, কর্মজীবী নয় বরং গৃহবধূ মা এর সন্তানরা বেশি ভুগে। কারণ আমাদের সমাজ গৃহবধূর উপর সব দায়িত্ব চাপিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে চায়। অথচ মোটেও হিসেব করে না এই কাজটি যদি একজন পেশাজীবী করতেন, তাহলে তিনি কতো টাকা নিতেন? এখনতো ঠিকা কাজের বুয়ারাও এক কাজ দুই কাজের জন্য আলাদা আলাদা টাকা দাবি করে। কাজেই, "কামাই তো করো না, তাই টাকার মূল্য বোঝো না!" এই কথাটি গৃহবধূকে বলবার আগে আজ থেকে দু'বার ভাবুন। তিনি আছেন বলেই জুতো সেলাই থেকে চণ্ডী পাঠ সব দ্বায়িত্ব তার ঘাড়ে চাপানো যাচ্ছে। অথচ তাকে নূন্যতম সন্মান ও স্বীকৃতি দিতে সমাজ নারাজ। ফলে তিনি বাসায় থাকলেও বিশ্রাম পান না। গবেষণায় উঠে এসেছে চাকুরীজীবী মা'দের সন্তানরা বেশি কোয়ালিটি টাইম পায় গৃহবধূ মা এর সন্তানদের থেকে। কিন্তু সেই পেশাজীবি মা এর ও কিন্তু রেহাই নেই। তিনি ঘরের কাজ করেন না, বাইরে কাজ করছেন বলেও কিন্তু সমাজ গেল! গেল! বলে রব তুলে! গবেষণা বলছে কর্মজীবী মা'দের বাচ্চারা অধিক স্বাবলম্বী হয়। একই সময় বাবা এবং মা কাজ সেরে ফিরলেও সংসারের বাড়তি দায়িত্ব, ঘরকন্নার বোঝা মা এর উপরে চাপানো হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে। মা কি দশভূজা দুর্গা? তিনি ঘর বাহির দুটোই সামলাচ্ছেন তারপরও সমাজ তার সাথে ব্লেম গেম খেলছে তুমি চাকরিটি ছেড়ে দাও! অথচ এই মা'টি প্রশংসার দাবিদার! কাজেই সন্তান যদি ছোটবেলা থেকেই মাকে অসম্মান করতে দেখে, সে কি শিখবে? আবার অনেক পরিবারেই শেখানো হয়, ছেলের বাড়ির মাথা উঁচু, মেয়ের বাড়ির মাথা নিচু! এই ধরনের পরিবারগুলোও শিশুকে মর্যাদাবোধ শেখাতে পারে না। মাকে সম্মান করতে না শেখালে শিশুর মধ্যেও ব্যক্তিত্বের ঘাটতি তৈরি হবে প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে। নেপোলিয়ন তো সাধে বলেন নাই, "If you give me a good mother I will give you a good Nation!"
কিন্তু গুড মাদারকে আমরা কখনো রান্নাঘরে আবদ্ধ থাকেন বলে অসম্মান করব, আবার কখনো চাকরি করছেন বলে অসম্মান করব তা তো হয় না! তাই না?
আলোচ্য বাচ্চাটির পেশাজীবী বাবা-মা দুজনের দ্বন্দ্বের সূত্রপাতই হয় মা ভালো রান্না করতে পারেন না, মা ভালো ঘর গুছাতে পারেন না, পঞ্চ ব্যঞ্জন রেধে দাওয়াত দিতে পারেন না আত্মীয়দের, মা হিসেবে ভালো সন্তানের যত্ন নিতে পারেন না ইত্যাদি ইত্যাদি! আলোচ্য ভদ্রলোক প্রতিমুহূর্তে খোটা দিতেন নিজের গৃহবধূ মার সাথে কর্মজীবী স্ত্রীকে তুলনা করে! ফলে দিনে দিনে মানসিক দূরত্ব বাড়তে থাকে। বেনো জলের মতো তৃতীয় পক্ষ এসে ঢুকে উভয়ের জীবনে। একজন চিকিৎসক খুব ভালো করে জানেন পোস্ট গ্রাজুয়েশন করাটা কি কঠিন জিনিস! অথচ সেই চিকিৎসকটিই যখন স্বামী হয়ে যান তখন একই কোর্সে কর্মরত স্ত্রীর কাছে সংসারের বাড়তি যত্ন দাবি করছেন। তিনি ভুলে যাচ্ছেন তার স্ত্রী'টিও পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সের ছাত্রী। আমার পেশাগত অভিজ্ঞতা বলে নারী চিকিৎসকবৃন্দ পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে থাকাকালীন সময় অনেক বেশি অন্য পেশাজীবী নারীদের থেকে ভোগান্তির শিকার হন। বাচ্চা রাখবে কে? কেন তিনি কোর্সটা ছেড়ে দিচ্ছেন না? ইত্যাদি প্রশ্নগুলোর শিকার একটি বড় সংখ্যক নারী চিকিৎসকদের হতে হয়। এবং এই সময়টি দাম্পত্য ফাটল ধরে! আলোচ্য দম্পতিও তখন থেকেই সমস্যা শুরু। যদিও বিয়ের শুরুটা হয়েছিল ক্যাম্পাস জীবনের উত্তাল প্রেমের মধ্য দিয়ে।
৬ থেকে ১৮ মাস বয়সে বাচ্চাকে যদি ঠিকভাবে বেড়ে উঠতে দেয়া হয় তবে ভবিষ্যতে বাচ্চার কর্মতৎপরতার জায়গাটা চমৎকার থাকবে। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে সে যখন প্রাপ্তবয়স্ক হবে তখন তার সম্পর্কগুলোকে সে নিরাপদ ভাববে। আমরা বলি অ্যাটাচমেন্ট স্টাইল। বাচ্চা কিভাবে সংযুক্ত হচ্ছে মার সাথে।
"Strong attachment ties between children and their parents are a necessary condition for good mental health of the future adult." (5).
মনে রাখবেন বাচ্চার বয়স যখন ৬ থেকে ১৮ মাস, এসময় দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপোড়ন মা'কে অস্থির করে তুললে বাচ্চা ভবিষ্যতে আন্তঃসম্পর্কের ইনসিকিউর বা অনিরাপদ বোধ এবং দুশ্চিন্তা বোধ করতে পারে। এদের মধ্যে কেউ শুধু দুশ্চিন্তা করেই ক্ষ্যান্ত হবে। এদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেকে ভবিষ্যতে নার্ভাস এবং অনিরাপদ ভাববে, কেউ কেউ এমন খোলসের ভেতর ঢুকে যাবে যে তার খোলসের মধ্যে আর কেউ ঢুকতেই পারবে না, আর কেউ খুব প্রচন্ড আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে ফলে ভালোবাসার মানুষটির হাত বাড়ালেও সেই হাত ধরা হয়না। কাজেই বাচ্চার স্বার্থেই বাচ্চার মাকে ভালো রাখুন। অনেক পরিবারেই এই সময় মাকে কাজ চাপিয়ে দেয়া হয়। বরং পরিবারের প্রত্যেক সদস্যর কর্তব্য এই সময় মাকে কাজের চাপ থেকে রেহাই দিয়ে নিজে দায়িত্ব নেয়া। ফলে মা বাচ্চাকে কোয়ালিটি সময় দিতে পারবে। কারণ বাচ্চার সাথে থাকা মানেই কিন্তু মানসম্মত অতিবাহিত করা নয়। মানসম্মত সময় দিতে গেলে মাকে মনোদৈহিক এবং মনোসামাজিকভাবে স্বস্তিতে থাকতে হবে।
বাচ্চার বয়স যখন ১৮ মাস থেকে ৩ বছর তখন তার মধ্যে চিন্তা করার শক্তি তৈরি হয়। এই সময়ে মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাচ্চা ভবিষ্যতে নিজে ভেবে নতুন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধায় পড়বে। ৩ থেকে ৬ বছর হল বাচ্চার নিজস্ব বোধ তৈরি হওয়ার সময়। ৬ থেকে ১২ বছর হল বাচ্চার স্কিল বা কার্যক্ষমতা তৈরীর সময়। পরবর্তী ১২ থেকে ১৯ বছর হল সমস্ত কিছু আশৈশব সে যা শিখেছে সেটাকে বিনি সুতার মালা সমন্বয় করে আত্মস্থ করবার সময়। সামাজিক দক্ষতা বিনির্মাণের সময়। প্রয়োজন বুঝে সেই আচরণ গুলোর পুনরাবৃত্তি করবার সময়। (Integration and regeneration)।
অনেক সময় চেম্বারে এসে বাবা মা বলেন, "আমার সন্তান প্রেম করছে আমরা তো জানিই না।"
এই প্রসঙ্গে কিছুদিন আগে কলাবাগানে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা খেয়াল করি, যেখানে মেয়েটা মৃত। বাচ্চা কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে আছে বাবা-মা কিছুই জানেন না। কমিউনিকেশন গ্যাপ। বাবা-মা সন্তানের মধ্যে মানসিক যোগাযোগই নেই।
এই সব ঘটনা বেশি ঘটে যখন দাম্পত্য সম্পর্ক খারাপ থাকে। বাবা-মার সদিচ্ছা থাকে বাচ্চার কি হচ্ছে একটু বুঝেন হয়তো কিন্তু কিভাবে কথা বলবেন সেই যোগাযোগের ভাষাটা জানা নেই। ফলে বাচ্চার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা তৈরি হতে থাকে অবচেতনভাবে।
বাচ্চাটি শৈশবে তাই অবচেতন ভাবে মনে করতে থাকে,
*"আমি কি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ?"
*"আমিই বাবা-মার ঝগড়ার কারণ।"
* "আমার কি আদৌ মূল্য আছে?"
* "আমি এই পরিবারের কেউ না।"
* "আমার জন্ম হওয়াই ভুল!"
এসব মনে করার মূল কারণ শৈশবে তার সামাজিক দক্ষতা কম এবং তথ্যভাণ্ডার অপ্রতুল।
কয়েকদিন আগেই এধরনের আর একটু বাচ্চাকে নিয়ে অন্য বাবা মা এসেছিলেন। বাচ্চাটি আত্মহত্যা করতে গেছে। বাবা আমার একটাই প্রশ্ন, "আমরা কিছুই বুঝলাম না বাচ্চাটি কেন আত্মহত্যা করতে গেলো?"
কিন্তু এই বাবা মা একবারো খেয়াল করলেন না যে বাচ্চাটা দিনে দিনে কিভাবে চুপচাপ হয়ে গেল, সোশ্যাল মিডিয়া আর অনলাইন গেমস সেই সারাদিন ডুবে থাকতো। বিষন্নতা বাচ্চার মনে পাশের রুমে থেকেও বাবা-মা তার খোঁজ পেলেন না। বাচ্চারাও কিন্তু বিষন্নতায় ভোগে। কয়টা বাবা-মা খেয়াল করেন যে, আমার বাচ্চাটি বিষন্নতায় ভুগছে?
"Four-in-ten U.S. parents with children younger than 18 say they are extremely or very worried that their children might struggle with anxiety or depression at some point." (6)
এসব কথা বলাটা খুব সোজা। কিন্তু বাচ্চা পালাটা বেশ কঠিন। তাই সব সময় একটা কথা বলি, "প্যারেন্টিং শেখা দরকার। আমরা যদি হাঁস মুরগি কিভাবে পালতে হয় সেটা শিখতে পারি তাহলে প্যারেন্টিং কেন নয়?"
আরেকটা প্রশ্ন আছে যে, "তাহলে বাবা-মার মধ্যে দ্বন্দ্ব সেটা কি থাকবে না?" অবশ্যই থাকবে। দুটো মানুষের মধ্যে তর্ক বিতর্ক থাকবেই। কিন্তু সেই ব্যাকরণটি জানা প্রয়োজন যে সেটা আমরা কিভাবে প্রকাশ করব যাতে বাচ্চার মানসিক বিকাশে কোন ক্ষতিকারক প্রভাব না ফেলে।
যে পরিবারগুলোতে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় সেখানে বাবা মারা নিজেদের হতাশা-ক্ষোভ দুঃখগুলো বাচ্চাদের সামনে এমনভাবে প্রকাশ করতে থাকেন যেটা বাচ্চাদের মধ্যে তীব্র কষ্ট তৈরি করে। কিন্তু এই বাচ্চাগুলো কারো কাছেই প্রকাশের জায়গা পায়না। বাবা-মা বাচ্চাদেরকে ব্যবহার করেন অপরজনকে ঘায়েল করার জন্য। এর থেকেও ভয়ংকর যেই পরিবারগুলো যেগুলি বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার যোগ্য কিন্তু প্রতিনিয়ত শুধুমাত্র সামাজিক কারণে একসাথে থেকে যাচ্ছে। কারণ সামাজিক একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে ব্রোকেন ফ্যামিলির বাচ্চারা নাকি নষ্ট হয়ে যায়। ডিভোর্স পরিবারের বাচ্চাগুলো জেনে যাচ্ছে বাবা-মা আলাদা হয়ে গেছেন। ফলে তারা নতুন করে শুরু করবার কথা ভাববার সুযোগ পায়। অথচ জোর করে থেকে যাওয়া সংসারগুলোতে বাবা-মা ক্রমাগত দোষ দিতে থাকেন শুধুমাত্র বাচ্চাদের খাতিরে তারা একসাথে আছেন। একবার ভাবুন তো! অষ্টপ্রহর যদি আপনাকে দোষের ভাগীদার করা হয় আপনার কেমন লাগবে? আপনারা সংসার করতে পারছেন না সেটা আপনাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার সেখানে বাচ্চাকে টানছেন কেন? বিয়ে টিকাতে বাচ্চার দোহাই দেয়া ভয়ংকর।
আসল কথা হলো বাচ্চা খুবই বুদ্ধিমান। তারা প্রচন্ডভাবে বাবা-মাকে খেয়াল করে। কাজেই পুঁথিগত নীতিবোধ, মূল্যবোধ এসব বুলি কপচিয়ে কোন লাভ নাই। একটা প্রবাদ আছে না, "পুঁথিগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন!"
বাবা মা নিজের জীবনে যে যে আচরণগুলো করেন বাচ্চারা ঠিক সেটাই শিখবে। আমি বক্তৃতায় অনেক ভালো কথা বলে বাসায় গিয়ে যদি কাজের মেয়েকে থাপ্পর মারি আমার বাচ্চাটাও তাই শিখবে।
গবেষণায় বলছে, মানুষের মস্তিষ্কে মিরর নিউরন (স্নায়ু কোষ) ২৫ বছর পর্যন্ত ডেভলপ করে। এই মিরর নিউরন দ্বারা বাবা-মার আচরণ একটি সামাজিক ছাঁচের সমীকরণে ফেলে, বাচ্চাটা সেটাই অনুকরণ করা শুরু করে নিজের অজান্তে। যার ব্যাপ্তি বাচ্চাদের প্রাপ্তবয়স্ক জীবন পর্যন্ত বিস্তৃত। কাজেই আমাকে সাবধান হতে হবে আমার দাম্পত্য সম্পর্কে আমি বাচ্চাকে কি শেখাচ্ছি? কারণ এর ফল শুধু বাচ্চা আজকেই ভোগ করবে না সেটা নয়! ভবিষ্যতেও বাচ্চাটা বাচ্চা অবচেতনভাবে এটা অনুকরণ করে ভুগবে। শুধু কি একটা বাচ্চা ভুগবে? না! প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে আমার এই আচরণগুলি, আমার এই চিন্তাগুলি অবচেতনভাবে অনুকরণ হতে থাকবে। একে হট পটেটো বলে। গরম মুখে পড়লে আমরা যেরকম নাচি ঠিক সেরকম তুর্কি নাচন নাচবে আমার বর্তমান আচরণের জন্য আমারই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। কাজেই বাবা-মার আচরণ, বিভিন্ন আন্তসম্পর্কে ব্যবহারের ধরন বাচ্চা ছোটবেলা থেকে দেখতে দেখতে, বিভিন্ন বয়সে ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে আত্তীকরণ করে বা গ্রহণ করে। শুধু তাই নয় আরো গভীরে ঢুকলে দেখা যাবে এর সাথে বংশ পরস্পরায় জীনগত বৈশিষ্ট্যের প্রভাবও বিদ্যমান। অর্থাৎ এই অনুকরণের অনুরণন মনোদৈহিক।
"Temperament which refers to an individual’s behavioral style as he or she relates to other persons and to the inanimate environment has been linked to parent-child relationship. It develops early in life (7), undergoes a process of modification throughout life span (😎, and is partially rooted in a person’s genetic makeup (9,10)."
রবীন্দ্রনাথ চমৎকার বলেছেন, "নিন্দা করতে গেলে বাইরে থেকে করা যায়, কিন্তু বিচার করতে গেলে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়”।
কাজেই অন্যের সাথে তুলনা করা বন্ধ করুন এই মুহূর্ত থেকে। বাচ্চাকে, " তুমি এটা পারো না সেটা পারো না, কিন্তু অমুকের বাচ্চা এটা পারে সেটা পারে!" বলে নিন্দা করবার আগে একবার একটু নিজের চোখে আয়নাটা ধরা প্রয়োজন, উপদেশ দেওয়া ছাড়া আমি নিজে বাচ্চার সামনে কি কি উদাহরণ ব্যক্তিগত জীবনে উপস্থিত করছি? আমি ব্যক্তিগত জীবনে কি কি আচরণ করছি যেটা দেখে বাচ্চা শিখবে?
নিজের চোখে আয়না ধরাটা একটি নিয়মিত চর্চার ব্যাপার। এটা একদিনে আয়ত্ত হবে না। সাধে তো আর সক্রেটিস বলেন নাই, " know thy self! " বা " নিজেকে জানো!" আমার স্বল্প জ্ঞানে মনে হয় নিজেকে জানার থেকেও কথাটি সম্ভবত নিজেকে চেনো! কারন আমরা অন্যকে চিনতে যত বেশি সময়ে বা মনোযোগ ব্যয় করি নিজেকে চিনতে মোটেও সেটা করি না। ইদানিং নিজের চোখে আয়না ধরলে তাই খুব অবাক লাগে আমার! এ আমি কাকে দেখি? আমার ভাবনার জগতের 'আদর্শ আমি' আর 'সত্যিকারের আমি' এর মধ্যে যে যোজন যোজন ফাঁক! কিভাবে মেটাবো সেই ফাঁক? তাই প্রতিমুহূর্তে নিজের চোখে আয়না ধরলে উপলব্ধি করি বুঝি কতটা কম জানি! নিজের ক্ষুদ্রতা, নিজের তুচ্ছতা, নিজের সীমাবদ্ধতাটুকু বুঝবার জন্য নিজের চোখে আয়না ধরা মানুষের ভীষন প্রয়োজন। 'আদর্শ আমি' আর 'সত্যিকারের আমি' এর মধ্যে ফাঁক থাকবে, অথচ আশা করব সন্তান আদর্শ হবে! তাহলে তো বোকার স্বর্গে বাস! তাই না?
একটা জিনিস স্পষ্ট মনে রাখা খুবই প্রয়োজন, শুধুমাত্র উপদেশ দিয়ে আর ঠিক ভুল বিচার করে সন্তান লালন পালন করা যায় না। জাজমেন্টাল মানসিকতার বাবা মার বাচ্চাদের ভোগান্তি অপরিসীম।
আলোচ্য বাচ্চাটির যতগুলো সেশন লেগেছে, তার বাবা-মায়ের কাপল কাউন্সিলিং সেশন তার থেকে বেশি লেগেছে। কারণ বাসার সামাজিক স্বাস্থ্য যদি সুস্থ না থাকে যতই কাউন্সিলিং করুক এই বাচ্চা ভবিষ্যতে আবার একই পরিণতি বেছে নিতে পারে। এর দায়ভার সম্পূর্ণ বাবা-মার। এটা বোঝাতে বাবা মাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে আমার। তবে আশার কথা শেষ পর্যন্ত তারা দুজনই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
যাঁরা বাচ্চাদেরকে সন্মান করতে জানেন তাদের জন্য সশ্রদ্ধ ভালোবাসা।
(আলোচ্য কথোপকথনের অংশটুকু আমার চেম্বারে আসা মানুষদুটির অনুমতি সাপেক্ষে, গোপনীয়তা বজায় রেখে, মনোসামাজিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হলো।)
1. Troll, L. E., & Fingerman, K. L. (1996). Connections between parents and their adult children. In C. Magai, & S. McFadden (Eds.), Handbook of emotion, adult development, and aging (pp. 185-205). San Diego: Academic Press.
2. Lai, K. W., & McBride-Chang, C. (2001). Suicidal ideation, parenting style, and family climate among Hong Kong adolescents. International Journal of Psychology, 36(2), 81-87
3. Brook, J. S., Whiteman, M., & Zheng, L. (2002). Intergenerational transmission of risks for problem behavior. Journal of Abnormal Child Psychology, 30, 65-76.
4. Windle, M. (2000). Parent, sibling, and peer influences on adolescent substance use and alcohol problems. Applied Developmental Science, 4, 98-110.
5. Bowlby, J. (1973). Attachment and loss, volume II. Separation: Anxiety and anger. Procedia Social and Behavioral Sciences, 30, 1625-1629.
6. Parenting in America Today.
7. Rettew, D. C., Stanger, C., McKee, L., Doyle, A., & Hudziak, J. J. (2010). Interactions Between Child and Parent Temperament and Child Behavior Problems. Focus, 8, 276-285.
8. Nigg, J. T., & Hinshaw, S. P. (1998). Parent personality traits and psychopathology associated with antisocial behaviors in childhood attention-deficit hyperactivity disorder. Journal of Child Psychology and Psychiatry, 39(2), 145-159.
9. Lemery, K. S., Essex, M. J., & Smider, N. A. (2002). Revealing the relation between temperament and behavior problem symptoms by eliminating measurement confounding: expert ratings and factor analyses. Child Development, 73(3), 867-882.
10. Olson, S. L., Bates, J. E., Sandy, J. M., & Lanthier, R. (2000). Early developmental precursors of externalizing behavior in middle childhood and adolescence. Journal of Abnormal Child Psychology, 28(2), 119-133.
অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া।
চিকিৎসক, কাউন্সিলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার।
ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বাংলাদেশ।
যারা জনগণের হক মেরে, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে, ব্যাংক লোন নিয়ে জনগণের টাকা মেরে কানাডায় বেগম পাড়ায় আবাস বানাচ্ছেন তারা আখেরাতে জাহান্নামে যাবে সেটা নিশ্চিত। কারণ আল্লাহ বান্দার হক যারা মারে তাদের ক্ষমা করবেন না। সেই সাথে আল্লাহর ওয়াদা মোতাবেক দুনিয়াতেও লাঞ্ছিত হবে ইনশাল্লাহ। বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে দাফন হয়ে চরম লাঞ্ছনার স্বীকার হবে ইনশাল্লাহ।

ডায়াবেটিস থেকে ত্বকের সমস্যা | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিস রোগীর এক-তৃতীয়াংশ ভোগেন বিভিন্ন চর্ম বা ত্বকের সমস্যায়। কিছু ত্বকের সমস্যা বারবার হওয়ায় অনেক সময.....
amaderbrahmanbaria.com
প্রতিদিন নিউজ আপডেট পেতে ভিজিট করুন
এমন যদি হতো আমার প্রিয় জন্মভূমিতে।

সোনার বাংলার দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্সের নমুনা

আমাদের একমাত্র ফুফুর পক্ষ থেকে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কার পথে রওয়ানা হলাম। ইনশাআল্লাহ আমি সবার জন্য দোয়া করব। আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন। আজ আমার জন্য খুশীর দিন। কারণ অনেক বছর যাবৎ বাড়ির সামনে একটা মসজিদ নির্মাণের স্বপ্ন ছিল কিন্তু একা আঞ্জাম দেবার সামর্থ্য ছিলনা। আল্লাহর ইচ্ছায় সবার সহযোগিতায় সেই স্বপ্ন পুরণ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। সেটার জন্য আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করা আরেকটা উদ্দেশ্য। যারা জানে মালে সহযোগিতা করেছেন, সাহস দিয়েছেন সবার জন্য মক্কায় গিয়ে দোয়া করব ইনশাআল্লাহ। আমার বাবা, চাচা-চাচী, ফুফু, দাদা-দাদী সহ সকল আত্বীয় পরিজনের জন্য খাস করে দোয়া করব যাতে উনারা কবরে শান্তিতে থাকেন, আল্লাহর রহমতের ছায়াতলে স্থান পান। পরিচিত বন্ধু বান্ধবসহ সকল কবরবাসীর জন্য মাগফেরাত এবং জীবিতদের জন্য সুস্থ এবং সাফল্য মন্ডিত জীবনের জন্য দোয়া করব। যারা অসুস্থ তাদের আশু আরোগ্য কামনার জন্য দোয়া করব । জাযাকাল্লাহ খাইর।
ওয়াও

পরিশ্রম করতে পারলে মফস্বল থেকেও বড় সুযোগ পাওয়া যায়।
ধুনটে অদম্য যমজ তিন ভাইয়ের মেডিকেলে পড়ার স্বপ্নপূরণ বগুড়ার ধুনট উপজেলার বথুয়াবাড়ি গ্রামের যমজ তিন ভাই শাফিউল হাসান, মাফিউল হাসান ও রাফিউল হাসান। তাঁরা তিনজনই ব্র্যা...

Frozen assets এর অর্থ যে হিমায়িত সম্পদ সেটা না জানা অধম আমি। আমাদের শিক্ষার মান কতটা উঁচু তার জন্য এই একটা উদাহরনই যথেস্ঠ।
হার্টে ব্লকঃ অ্যাসপিরিন কতদিন খাবেন?
ডা. মাহবুবর রহমান
হাসপাতাল থেকে কর্মক্লান্ত হয়ে কেবল বাসায় পা রেখেছি। রাত ১১ টা বাজে। শরীর মন চাইছে একটা নিরুপদ্রপ দীর্ঘ ঘুম। এমন সময় একটা ফোন কল বেজে উঠল। অনুজপ্রতিম প্রফেসর এম জি আজম দেশের সনামধন্য একজন কার্ডিওলজিস্ট। তিনি বললেন বারডেম হাসপাতালে কর্মরত একজন চিকিৎসকের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, আমি যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। সঙ্গে সঙ্গে ইসিজিও পাঠিয়ে দিলেন। ইসিজি দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। ম্যাসিভ অ্যাটাক! সবচেয়ে বড় অ্যাটাক।
শরীর ও মনের দাবী উপেক্ষা করে পেশাগত দায়িত্বকে কর্তব্য বলে মেনে নিলাম। আমার কর্মরত কনসালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডা আসিফকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলে আমি বেরিয়ে পড়লাম।
হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানান ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকে অ্যাটাককে স্ট্রোক বলে থাকেন। আসলে স্ট্রোক হলো মস্তিষ্ক বা ব্রেন এর রোগ। যার জন্য প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগের প্রকাশ ঘটে থাকে।
মোদ্দা কথায় হার্ট অ্যাটাক মানে হলো হার্টের কোন না কোন রক্তনালী হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া। ফলে হার্টের মাংসপেশির যে অংশ উক্ত রক্তনালীর মাধ্যমে অক্সিজেন পেত তা দ্রুত ধ্বংস হতে শুরু করে। রক্তনালীর ব্লকটি অপসারণ করতে না পারলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হার্টের ঐ অংশটির মৃত্যু ঘটে। এতে দুটো ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। ১। রোগীর আশু মৃত্যু ঘটতে পারে, ফুসফুসে পানি জমে তীব্র শ্বাসকষ্ট বা প্রকট হার্ট ফেইল্যুর হতে পারে। ২। হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা ক্রমাণ্বয়ে হ্রাস পেয়ে দীর্ঘমেয়াদী বা ক্রনিক হার্ট ফেইল্যুর এর জন্ম দিতে পারে। বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমে যাবে, আর যতদিন রোগী বেঁচে থাকবেন ততদিন এক যন্ত্রণাকাতর জীবনযাপন করতে হবে।
যাই হোক বাসা কাছে থাকায় সাত মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে গেলাম। ইতিমধ্যে রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে সরাসরি এনজিওগ্রাম করবার জন্য ওটি বা ক্যাথল্যাবে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের প্রাইমারী এনজিওপ্লাস্টি বা জরুরি রিং পরাবার টীম পুরোপুরি প্রস্তুত ( যা কিনা একটি আধুনিক কার্ডিয়াক হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকা বাধ্যতামূলক)।
রোগী ওটিতে ঢুকবার পাঁচ মিনিটের মধ্যে কোনরকম কাটাছেঁড়া বা বুক না কেটে হাতের রক্তনালীর (রেডিয়াল আর্টারি) ক্যানুলার মাধ্যমে এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হলো। রোগীর হার্টের সবচেয়ে বড় রক্তনালী (LAD) ১০০% বন্ধ! রক্তের দলা ( clots) দিয়ে পুরোপুরি বন্ধ। আমরা আর পাঁচ মিনিটের মধ্যে রক্তের দলা অপসারণ করে একটি রিং (Stent) পরিয়ে দিলাম। মুহূর্তে বন্ধ রক্তনালী খুলে গিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গেল। রোগীর বুকের ব্যথা চলে গেল। প্রেসার স্বাভাবিক হলো। আমরা রোগীকে ৪৮ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণ করবার জন্য করোনারী কেয়ার ইউনিটে (CCU) পাঠিয়ে দিলাম।
একটু পরে ইতিহাস নিয়ে জানতে পারলাম যে, রোগীর ২০১৩ সালে আরো একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এবং তখন অন্য একটি হাসপাতালে রিং পরানো হয়েছিল। আরো জানতে পারলাম যে, তিনি দীর্ঘকাল ধরে অ্যাসপিরিন সহ হার্টের কোন ওষুধ খেতেন না। উপরন্তু ধূমপান করতেন!
এটা জেনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। কারণ একজন চিকিৎসক হয়ে যদি এই দায়িত্বহীন জীবনযাপন করেন তাহলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কীইবা আশা করা যায়। মানুষকে সচেতন করবার আগে চিকিৎসককে সচেতন হতে হবে। কারণ সাধারণ মানুষ একজন চিকিৎসকের জীবনযাপন বা লাইফস্টাইল পর্যবেক্ষণ এবং অনুসরণ করেন।
এবারে আসি হার্টের কী কী ওষুধ অবিরামভাবে খেয়ে যেতে হবে এবং কেন খেতে হবে সে সম্পর্কে কিছু বলি। হার্টের রক্তনালীর দেয়ালে বিভিন্ন কারণে চর্বি জমে নালী সরু হতে থাকে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ধূমপান সহ তামাকজাত দ্রব্য , নিয়মিত ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত ওজন, চর্বিযুক্ত প্রাণিজ মাংস ভক্ষণ, রাত জাগা, অতিরিক্ত টেনশন করা ইত্যাদি কারণে রক্তনালীর চর্বি ফেটে যেতে পারে। চর্বির দলা ফেটে গেলে সেখানে রক্তের অনুচক্রিকা ( Platelets) এসে রক্ত জমাট বাঁধতে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যে চর্বির দলা একটি রক্তের দলায় পরিণত হয়ে পুরো রক্তনালী বন্ধ করে দেয়। তখনই রোগী বুকে চাপ, ব্যথা, শ্বাসকষ্ট , ঘাম, আতঙ্ক ইত্যাদি উপসর্গে আক্রান্ত হয়।
প্রতিরোধের উপায়ঃ
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে হলে উপরে বর্ণিত রোগ এবং ঝুঁকির প্রবণতাগুলো দূর করতে হবে। আর যদি ওষুধ এর প্রশ্ন আসে তাহলে হার্ট অ্যাটাক, রিং লাগানো বা বাইপাস সার্জারির পর দুটো ওষুধ অবিরামভাবে , প্রয়োজনে সারাজীবন খেয়ে যেতে হবে । একটি হল চর্বির দলা প্রতিরোধ, আরেকটি হলো অনুচক্রিকা প্রতিরোধ, যাতে রক্তকে জমাট করতে না পারে। চর্বির দলা প্রতিরোধে স্ট্যাটিন জাতীয় ওষুধ (যেমন Atorvastatin, Rosuvastatin ইত্যাদি ) এবং রক্তজমাট প্রতিরোধে রক্ত পাতলা করার ওষুধ ( যেমন Aspirin, Clopidogrel, Ticagrelor ইত্যাদি ) ডাক্তারের পরামর্শ মত অবিরামভাবে খেয়ে যেতে হবে।
রাত ১২ টার পর একটি সফল জীবনরক্ষাকারী এনজিওপ্লাস্টি সম্পন্ন করে যখন বাড়ির দিকে রওনা করলাম তখন কী আশ্চর্য, শরীর ও মনের সারাদিনের ক্লান্তি কোথায় উবে গেল !
২৯ ডিসেম্বর , ২০২৩
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Address
Hablauchcho
Brahmanbaria
3400
Birashar Head Office Complex
Brahmanbaria, 3400
Rampur, Kasba
Brahmanbaria, 3462
রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রামপুর, বিষ্ণাউড়ি, গোপীনাথপুর, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
Court Road, Nabinagar
Brahmanbaria
Nabinagar Ichchhamoyee Pilot Girls High School
Brahmanbaria, 3420
Lower secondary education- First stage of secondary education building on primary education, typically with a more subject-oriented curriculum. Students are generally around 12-15 years Old.
Chhatura Sharif, Akhaura
Brahmanbaria, 3452
This is the online school for Chhatura Chandpur School and collge students.
Arqambaag, West Medda (Opposite Of Police Line)
Brahmanbaria, 3400
The Pioneer of Islamic Education (Qawmi Stream) in Brahmanbaria, Bangladesh. Currently this page is
গ্রামঃ কাইতলা, উপজেলাঃ নবীনগর, জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া
Brahmanbaria
বর্ণনাঃ মাধ্যমিক বিদ্যালয় । জেএসসি ?