Jamia Darul Arqam Al-Islamia

Jamia Darul Arqam Al-Islamia

Share

The Pioneer of Islamic Education (Qawmi Stream) in Brahmanbaria, Bangladesh. Currently this page is

আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ সহ মুসলিম বিশ্ব আবহমান কাল থেকেই চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রের শিকার। পশ্চিমা কুশিক্ষা ও ধর্মহীনতার ভয়াল থাবায় জাতি আজ ক্ষত-বিক্ষত, দিশেহারা ও কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সর্বগ্রাসী ষড়যন্ত্র ও নানাবিধ সমস্যার আবর্তে নিমজ্জিত মুসলিম উম্মাহ। ভ্রষ্টতা আর অপসংস্কৃতির সয়লাব আজ সর্বত্র। বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুসলিম জাতি আজ দূর্বল। এহেন কঠিন ও নাজুক পরিস্থিতিতে ইসলামের সঠিক আক্বিদা-বি

Operating as usual

02/11/2023

হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ:) এর অন্যতম প্রধান খলীফা, বাংলাদেশের অবিসংবাদিত মুখলিছ দা'ঈ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (BUET) এবং ওআইসির অধীনে পরিচালিত' ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি' (IUT) এর সাবেক প্রফেসর এবং অসংখ্য বর্ষীয়ান আলেমের রাহবার, প্রফেসর হামিদুর রহমান সাহেব তাঁর পরম বন্ধুর (الرفيق الأعلى) ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়ার সংক্ষিপ্ত সফর শেষে অনন্ত পথে যাত্রা শুরু করেছেন।

ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!

14/08/2023

আসসালামু আলাইকুম।

জরুরী ভিত্তিতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ১ জন মুয়াজ্জিন ও ২ জন দারোয়ান প্রয়োজন!

থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।

মাসিক বেতন: ৭,০০০/=

লোকেশন: জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

আগ্রহীগণ যোগাযোগ করুন: 01743711718

14/08/2023

নিকট অতীতের সবচেয়ে বড় মাজলুম আলেমে দ্বীন! ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন!!

আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন ৷

24/11/2022

الشيخ العلاّمة المُحدث الدكتور محمود الطحّان في ذمة الله. وهو أحد أكبر العلماء المتخصصين في علم الحديث، وصاحب الكتابين المشهورين {تيسير مصطلح الحديث - أصول التخريج ودراسة الأسانيد} وكتبه كانت من اوائل ما درسنا في كلية الشريعة قبل اكثر من 35 عاما واستفدنا منها-

فرحمه الله وجزاه عن الأمة الإسلامية كل خير.
وجزى الله خيرا كل من تتلمذنا على أيديهم من علمائنا الأفاضل في كلية الشريعة ورحم الله من توفي منهم.

17/07/2022

একটি জরুরী এ‘লান!
----------‌‌---------------------
আলহামদুলিল্লাহ, পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আগামীকাল সোমবার (১৮ই জুলাই) সকাল ৮: ৩০ মিনিট থেকে জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এর যথারীতি সবক শুরু হবে, ইনশাআল্লাহ।

09/06/2022


🚫
❤️

07/06/2022

👎
🚫
❤️
❤️

না'তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! 💓

30/11/2021

বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড-বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়্যাহ এর কো-চেয়ারম্যান, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শায়খুল হাদিস ও জামেয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়ার মহা-পরিচালক আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান (হাফিজাহুল্লাহু তায়া’লা) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মনোনীত হয়েছেন।

মহান আল্লাহ তায়া’লা আমাদের অভিভাবক, প্রাণপ্রিয় মুদীরে মুহতারাম আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমানকে সুস্বাস্থ্য ও হায়াতে তায়্যিবাহ দান করুন। আমীন।

29/11/2021

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, ঢাকা খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী সাহেব আর নেই।

ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

30/10/2021

আলহামদুলিল্লাহ, বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সিনিয়র সহ সভাপতি ও আল-হাইয়াতুল উলইয়ার কো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গৌরব, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শায়খুল হাদীস, উস্তাযুল আসাতিযা ও আমাদের প্রাণপ্রিয় মুদীরে মুহতারাম আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান। (হাফিজাহুল্লাহু তায়া’লা!)

07/09/2021

একটি জরুরী এ‘লান!!!
----------‌‌------------------------------------------------------------
এতদ্বারা জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল বিভাগের ছাত্র ও শিক্ষকগণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে সকল বিভাগ যথারীতি খোলা থাকবে ও দরসের ধারাবাহিক কার্যক্রম শুরু হবে, ইনশাআল্লাহ।

অতএব, ১১ সেপ্টেম্বর শনিবারের মধ্যেই জামিয়ার সকল ছাত্রকে হাজির হয়ে ছাত্রাবাসের নিজ নিজ সিটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এখনও যারা ভর্তি হয়নি, তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত ভর্তি হওয়ার নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
----------‌‌------------------------------------------------------------
আদেশক্রমে
জামিয়া কর্তৃপক্ষ
০৬/০৯/২১ ঈসায়ী

27/03/2021

اللهم احصهم عددا واقتلهم بددا ولا تغادر منهم أحدا.. اللهم خذهم أخذ عزيز مقتدر...

13/02/2021

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব ও ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস আল্লামা বেলায়তুল্লাহ নুর রহ. ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন! 😞

মহান আল্লাহ তায়া’লা হযরতকে জান্নাতের উঁচু মাক্বাম দান করুন, আমীন!

25/12/2020
13/12/2020

إنا لله وإنا إليه راجعون. اللهم اغفر له وارحمه وعافه واعف عنه وأكرم نزله ووسع مدخله واغسله بالماء والثلج والبرد ونقه من الذنوب والخطايا كما ينقى الثوب الأبيض من الدنس

15/11/2020

‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের’ আমীর মনোনীত হয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (দাঃ বাঃ) এবং নায়েবে আমীর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আমাদের প্রানপ্রিয় মুদীরে মুহতারাম আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান (হাফিজাহুল্লাহ)!! মহাসচিব হিসেবে মনোনীত হয়েছেন জমিয়ত মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী সাহেব। মহান আল্লাহ তায়া’লা তাদের ছায়া দীর্ঘায়িত করুন, আমিন!

Photos from Jamia Darul Arqam Al-Islamia's post 30/10/2020

গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত, ফ্রান্সে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কে ব্যঙ্গচিত্র করার প্রতিবাদে ও ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসমাবেশে জামেয়ার সন্মানিত আসাতিজা ও তালেবুল ইলমদের অংশগ্রহণের একাংশ! মহান আল্লাহ তায়া’লা আমাদের আন্দোলনকে কবুল করুন এবং অব্যাহতভাবে রাসূল বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন!

🚫
❣️

25/08/2020

#আমার_দেখা_আল্লামা_শায়েখ_সাজিদুর_রহমান_হাফিজাহুল্লাহ

#ব্যক্তি_সাজিদ

অনাড়ম্বর, লৌকিকতা মুক্ত, নিরহঙ্কার, প্রচার বিমুখ, নিরলস, কর্মোদ্যোগী, কর্মোদ্যমী, কাজে বিশ্বাসী, সাদামাটা, বিনম্র, উদার এক ব্যক্তিত্বের নাম শেখ সাজিদ। পরোপকারে খুব মরিয়া তিনি। কারও দোষচর্চা করা বা কারও প্রতি হিংসা-প্রতিহিংসা লালন করার প্রবণতা তো দুরের কথা সূচনাই তার দ্বারা হওয়া দুষ্কর। তাঁর বয়স অধিক আকাশ ছোঁয়া প্রসিদ্ধির জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ নির্বিশেষ সর্ব মহলে মূল্যায়ন ও গ্রহণযোগ্যতার কমতি নেই। হিংসার শিকার এ মানুষটি বিতর্ক ও বিতর্কিত বিষয় থেকে অনেক দূরে। কি এক মহা পুরুষ তিনি?

#শিক্ষক_সাজিদ

শিক্ষকতার অঙ্কুরেই যিনি শিষ্যদের মাঝে সফলতার ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সারগর্ভ দীর্ঘ আলোচনা অল্প কথায় হৃদয়ঙ্গম করানোর যোগ্যতায় আমি নিজেই সাক্ষী। শত বাধা, প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকূলতা সত্বেও সবক প্রদানে নিয়মতান্ত্রিকতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্বতঃস্ফূর্ত। সবক প্রদানে অলসতা ও অনুপস্থিতি তাঁর তবিয়ত বিরোধী। দৈনন্দিন পরিমিত মাত্রায় পাঠ দান করে নির্দিষ্ট মেয়াদে কিতাবের নেছাব শেষ করা তাঁর জন্য যথেষ্ট তৃপ্তিদায়ক ও আনন্দের। পাঠ দানে এতটা অনুরাগী যে, দায়িত্বের বাহিরেও তিনি কর্মোৎসুক। সময়ের আগেই দরসগায় উপস্থিত হওয়া তার সহজাত প্রবৃত্তি। শিক্ষানবিশদের প্রতি মমতা ও মূল্যায়ন নজিরবিহীন। তাঁর ছাত্রত্ব বরণ করতে শিক্ষানুরাগীরা খুবই উৎসুক। তাঁর জ্ঞানের সুধা পাওয়া ছাত্রদের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে যার কোন পরিসংখ্যান কারও জানা নেই।

#মুহতামিম_সাজিদ

শেখ সাজিদ হলেন সফল মুহতামিমের এক বিস্ময়কর জ্যান্ত নমুনা। সময়ের সল্প পরিসরে সাজিদ সাহেবের হাতে গড়া বিশাল আয়তন ও আকাশ ছুঁই ছুঁই প্রসিদ্ধির বিদ্যানিকেতন জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া আল্লাহ্ তা'আলার অভূতপূর্ব এক সৃষ্টি। সময়ের বে-নজির এ লোকটি ব্যস্ততার পাহাড় মাথায় নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সাধারণ বিষয়েও খবর রাখতে ত্রুটি করেন না। তার প্রতিটি কথা, কাজ ও পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানের প্রতি অগাধ ভালবাসা ও দরদমাখা। ব্যক্তি স্বার্থ ভূলুন্ঠিত করে প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার বাস্তব উপমা তিনি। অনিয়ম পছন্দ করেন না বলে কাউকে অনিয়মতান্ত্রিক চলার প্রশ্রয় দিতে খুবই সংকীর্ণ। কোন অপরাধে অধিনস্থ কাউকে শাসন করতে যেয়ে মাত্রাতিরিক্ত, অসহনীয় বা বৈষম্যমূলক আচরণ হয়ে যায় কি না তা খেয়াল করা তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কারও প্রতি প্রতিহিংসা বা স্বজনপ্রীতি লালন না করা তাঁর সভাবজাত আদর্শ। নিজে যোগ্য ও চরিত্রবান হওয়ায় যোগ্যতা ও চরিত্রের যথাযথ মূল্যায়ন তাঁর কাছে পাওয়া যায়।

#জ্ঞানের_মানদণ্ডে_শেখ_সাজিদ

তাঁর জ্ঞান পয়োধি সুবিশাল। ছোটদের আদর্শ, সাথীদের ঈর্ষা ও বড়দের আস্থার জায়গা। যোগ্যতায় ঈর্ষণীয় সাফল্যে আছেন তিনি। যে কোন কিতাব পড়িয়ে ছাত্রদের সুখপাঠের ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিজ্ঞতা তো বহু আগেই অর্জন হয়েছে। শৈশবকালীন জ্ঞানপিপাসা অদ্যাবধি তাঁর মাঝে বিদ্যমান। বয়স অধিক ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে কুতুব্বিনি রীতিমতই করে যাচ্ছেন। সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি আরবি ভাষার প্রয়োজনীয় ও প্রশংসনীয় জ্ঞান অর্জনে সমসাময়িক আরও দশজন থেকে আলাদা। কোরআনের আয়াত ও রাসূলের হাদিস উপস্থিত করে বিষয় ভিত্তিক যে কোন আলোচনা পেশ করার যোগ্যতা তো বিস্ময়কর। ক্ষনজন্মা এ মহা পুরুষের প্রশংসা হারামাইনের মুদির শেখ সুদাইসের যবানে থেকে এ জাতি শুনে ধন্য হয়েছে। যোগ্যতায় তাঁর ক্ষেত্রে মুরুব্বিদের আস্থা এতটা ঘন ছিল যে, কর্মজীবনের প্রারম্ভেই হাটহাজারী, নাজিরহাট, জামিয়া ইনুছিয়ার মত বিদ্যাসাগরে মানুষ বানানোর কারিগর হিসেবে নিযুক্ত হয়ে সফলতা অর্জন করেছেন।

#বুজুর্গীর_মানদণ্ডে_শেখ_সাজিদ

যথা সময়ে জামাতের সহিত নামাজাদায়ের এক অনুপম দৃষ্টান্ত শেখ সাজিদ। রাতের শেষ প্রহরে তাহাজ্জুদ নামাজান্তে রবের কাছে কায়মনোবাক্যে রোনাজারি করা তাঁর প্রতি রাতের রুটিন। সময় ও ওয়াদা রক্ষা করায় অতুলনীয়। সময় অনুপাতে আজকার আদায় ও কোরআন তেলাওয়াতে বে-মিছাল। ইশরাক, আওয়াবীন ও অন্যান্য নফল ইবাদত সহ ফরজ নামাজান্তে মুছাল্লায় বসে জিকিরে মাশগুল থাকা তাঁর প্রতি দিনের অভ্যাস। মোটকথা তিনি ভাব ও বেশভূষার কৃত্রিম বুজুর্গ নয় সঠিক অর্থের বুজুর্গীর নমুনা।

#নেতৃত্বের_বিচারে_শেখ_সাজিদ

মসনদ ও মুকুটহীন এক সম্রাটের নাম শেখ সাজিদ। পদবী ছাড়াই সর্বস্তরের আপামর জনসাধারণের মাঝে নেতৃত্বের এক ঠিকানা হলেন তিনি। দীর্ঘ দিনের ভোগান্তির বিষয়গুলি নিমেষেই শেষ হয়ে যাওয়ার এক আস্থা। নির্মোহ এ লোকটি পদ ও পদবীর চিন্তা না করে কাজ করতে উৎসুক। তাঁর উপর চাপিয়ে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের সংখ্যা অপ্রতুল। জাতীয় পর্যায় থেকে নিয়ে তৃণমূল পর্যন্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে সমাসীন তিনি। দায়িত্বের চেয়েও বেশি শ্রম দেয়া তার সব সময়ের অভ্যাস হওয়ায় তাঁকে ব্যর্থ হইতে দেখা যায় না।

#ওয়াজের_ময়দানে_শেখ_সাজিদ

কোরআন সুন্নাহর সহি কথাগুলি গনমানুষের কর্ণকুহরে পৌঁছানো হল তাঁর তৎপরতা। প্রতিটি কথার উৎস হিসেবে হাদিস পেশ করার দরুন "হাদিস বিশারদ" উপাধিতে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন পৌরাণিক কাল থেকে। তাঁর গোছানো দলিল ভিত্তিক আলোচনা থেকে মানুষ আমলি খোরাক পায়। ভিত্তিহীন ঘটনা বলা, হাসানো, মাতানো ও অপ্রয়োজনীয় কথা তাঁর আলোচনায় স্থান পায় না। ওয়াজের ময়দানের সম্রাটদের বিশেষ একজন তিনি। এ মহা মনীষী জাতির জন্য বিশাল এক নিয়ামত। আল্লাহ্ তা'আলা এ মহা পুরুষের আয়ুকে আমাদের মাঝে দীর্ঘ করুন। আমীন।

অজানা, অদেখা বিষয়গুলি উল্লেখ না করা ও উল্লিখিত বিষয়ে অতিরঞ্জন তো হয়নি তবে তাত্ত্বিক, শব্দ চয়ন ও শব্দ বুননের কমতির জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

খুৎবা চলা অবস্থায় দানবাক্স চালানো বা টাকা ওঠানোর বিধান! 08/08/2020

খুৎবা চলা অবস্থায় দানবাক্স চালানো বা টাকা ওঠানোর বিধান!

খুৎবা চলা অবস্থায় দানবাক্স চালানো বা টাকা ওঠানোর বিধান! আওয়ার ইসলাম: অনেক মসজিদে দেখা যায়, খুৎবা চলা অবস্থায়ও দানবাক্স চলতে থাকে। এ সময়ে মসজিদের জন্য দান করা বা দান সংগ.....

26/07/2020

ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানের ভক্ত ও হিতাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি এ পেইজে লাইক দেয়ার অনুরোধ রইল।

25/07/2020

একটি জরুরী এ‘লান!!!
----------‌‌----------------------------------------------------------------
এতদ্বারা জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিতাব বিভাগের ছাত্র ও শিক্ষকগণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামি ২৭ শে জুলাই ২০২০ ঈসায়ী সোমবার সকাল ১০.০০ টায় জামিয়ায় জরুরী ভিত্তিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।

আজ শনিবার ২৫/০৭/২০২০ তারিখ বাদ আসর জামিয়ার অফিসে এক জরুরি সভায় সকল শিক্ষকের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
---------------‌‌-----------------------------------------------------------
আদেশক্রমে
আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ
প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস
জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ।

19/07/2020

من تميزات الشيخ ساجد الرحمن حفظه الله وأطال بقاءه:
----------‌‌----------------------------------------------------------------
بقلم/ الأستاذ المفتي أبو داؤد الأرقمي
----------‌‌----------------------------------------------------------------
أنه يخلص العمل لله تعالى ويبغي رضاه ولا يطلب عرضا ولا غرضا ولا وجه غيره، ويُرى لا تُسَابِقُ الصلاةُ إلا وهو يسبقها، وما يَسمعُ الإقامةَ إلا وهو في المسجد، ويواظب على قيام الليل وصلاة بعد الإشراق، ويقوم بدوام قراءة الأدعية الواردة في الكتاب والسنة، وتُعْجِبه البذاذةُ والنظافةُ جد الإعجاب، ويرأف بمن تحت كنفه، ويُعقٌِبُ زجرا برفقٍ، ولا يأتي أحدا بما يصعُبُ تحمُّلُه، ويُجِلُّ أهل إجلال ولو من تلامذته، وهو منفعل محثوث في عمله، فعَّالٌ لما آلى إليه الرأي، قَوَّالٌ للحق، بمعزل عن الثأر والعصبية، أمين موثوق به في المالية والديانة، ويدوم أداءُ مهامِّ تدريسه، ويقول: أنا أقوم بدوام كل عمل أبدأ فيه.

28/05/2020

ব্রেকিং নিউজ!!! ব্রেকিং নিউজ!!!

ভর্তি সংক্রান্ত জরুরী বিজ্ঞপ্তি
----------‌‌----------------------------------------------------------------
দেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৪৪১-৪২ হিজরী নতুন শিক্ষাবর্ষের সকল ছাত্রদের ভর্তি কার্যক্রম আগামী ৬ ই শাওয়াল ৩০ মে শনিবার থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।

অতএব, এখনও যারা ভর্তি হতে বাকি, তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাসময়ে দ্রুত ভর্তি হওয়ার নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।

ভর্তির নিয়মাবলী :
১. প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন করে উপরের জামাতে উন্নিত করা হবে।

২. সরাসরি উপস্থিত হতে না পারলে অনলাইনেও ভর্তি হওয়া যাবে।

৩. যারা অনলাইনে ভর্তি হবে তারা জামিয়ার বিকাশ, রকেট ও নগদে টাকা পাঠাতে পারবে।

বিকাশ ও নগদ : ০১৯২৩৭০২৮২২, ০১৭৪৩৭১১৭১৮, ০১৭১২৩১৮০২২, রকেট : ০১৯২৩৭০২৮২২৪, ০১৭৪৩৭১১৭১৮২

৪. ভর্তি কার্যক্রমের সময় : সকাল ০৯ টা থেকে বিকাল ৪:৩০ মিনিট পর্যন্ত।

৫. ভর্তিচ্ছু ছাত্র প্রথমে নিম্নের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে নিজের তথ্য প্রদান করবে এবং ভর্তির যোগ্য কিনা জেনে নেবে।

৬. কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর নিম্নের নাম্বারে টাকা প্রেরণ করবে এবং উপরোল্লিখিত নাম্বারে ফোন করে নিশ্চিত হবে।

৭. টাকা প্রেরণের পর প্রত্যেক ছাত্রকে যেসব তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে: ১. যে নম্বর থেকে টাকা পাঠিয়েছে। ২. যে নম্বরে পাঠিয়েছে। ৩. কোড নম্বর।

ভর্তি সংক্রান্ত সার্বিক যোগাযোগ :
কিতাব বিভাগ : ০১৭১২-৩১৮০২২, ০১৯২৩-৭০২৮২২, ০১৭৪৩-৭১১৭১৮
হিফজ ও মকতব বিভাগ : ০১৭১১-১৬০২৬৫, ০১৭১৬-৬৬৯৯৫৮
----------‌‌----------------------------------------------------------------
আদেশক্রমে
আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ
প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস
জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ।

19/05/2020

ভর্তি সংক্রান্ত জরুরী বিজ্ঞপ্তি
----------‌‌----------------------------------------------------------------
এতদ্বারা জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল বিভাগের ছাত্রদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামীকাল ২০ মে ২০২০ ঈসায়ী বুধবার থেকে ১৪৪১-৪২ নতুন শিক্ষা বর্ষের পুরাতন ছাত্রদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।

ভর্তির নিয়মাবলী:

১. প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন করে উপররে জামাতে উন্নিত করা হবে।

২. সরাসরি উপস্থিত হতে না পারলে অনলাইনেও ভর্তি হওয়া যাবে।

৩. যারা অনলাইনে ভর্তি হবে তারা জামিয়ার বিকাশ, রকেট ও নগদে টাকা পাঠাতে পারবে।

বিকাশ ও নগদ:
০১৯২৩-৭০২৮২২
০১৭৪৩-৭১১৭১৮
০১৭১২-৩১৮০২২

রকেট:
০১৯২৩-৭০২৮২২৪
০১৭৪৩-৭১১৭১৮২

৪. নতুন ছাত্রদের ভর্তির তারিখ পরে জানানো হবে ইনশাআল্লাহ।

৪. ভর্তি কার্যক্রমের সময়: সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

ভর্তি সংক্রান্ত সার্বিক যোগাযোগ:

কিতাব বিভাগ:
০১৭১২-৩১৮০২২
০১৯২৩-৭০২৮২২
০১৭৪৩-৭১১৭১৮

হিফজ ও মকতব বিভাগ:
০১৭১১-১৬০২৬৫
০১৭১৬-৬৬৯৯৫৮

আজ মঙ্গলবার ১৯/০৫/২০২০ তারিখ বাদ যোহর জামিয়ার মসজিদে এক জরুরি সভায় আসাতাযায়ে কেরামগণের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
----------‌‌----------------------------------------------------------------
আদেশক্রমে
আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ
প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস
জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ।

08/05/2020

রোযা ও রমযান আল্লাহর বিরাট নেয়ামত
--------------------------------------------------------------------------
আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ।
মুহতামিম, জামিআ দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও শায়খুল হাদিস, জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
--------------------------------------------------------------------------
الحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله، وعلى آله وصحبه ومن والاه، أما بعد،
দেখতে দেখতেই রমযানুল মুবারকের প্রথম দশক ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় দশকেরও দুয়েকদিন চলে গেলো। আল্লাহ যেন আমাদেরকে রমযানের বাকী দিনগুলো যথাযথ কদর করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

আজকের এই অবসরে রমযানের ফযীলতের বিষয়ে একটি হাদীস আপনাদের খেদমতে আরয করছি। হযরত আবু হুরায়রা রাযি. হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

"أُعْطِيَتْ أُمَّتِي خَمْسَ خِصَالٍ فِي رَمَضَانَ، لَمْ تُعْطَهَا أُمَّةٌ قَبْلَهُمْ. خُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ، وَتَسْتَغْفِرُ لَهُمْ الْمَلَائِكَةُ حَتَّى يُفْطِرُوا، وَيُزَيِّنُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ كُلَّ يَوْمٍ جَنَّتَهُ، ثُمَّ يَقُولُ: يُوشِكُ عِبَادِي الصَّالِحُونَ أَنْ يُلْقُوا عَنْهُمْ الْمَئُونَةَ وَالْأَذَى، وَيَصِيرُوا إِلَيْكِ، وَيُصَفَّدُ فِيهِ مَرَدَةُ الشَّيَاطِينِ؛ فَلَا يَخْلُصُوا إِلَى مَا كَانُوا يَخْلُصُونَ إِلَيْهِ فِي غَيْرِهِ. وَيُغْفَرُ لَهُمْ فِي آخِرِ لَيْلَةٍ".
قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَهِيَ لَيْلَةُ الْقَدْرِ؟ قَالَ: لَا. وَلَكِنَّ الْعَامِلَ إِنَّمَا يُوَفَّى أَجْرَهُ إِذَا قَضَى عَمَلَهُ.
ইমাম আহমাদ রহ. তাঁর বিখ্যাত ‘মুসনাদে’, (হাদীস,৭৯০৪) ইমাম বাযযার রহ. তাঁর ‘আলবাহরুয যাখখার’ কিতাবে (হাদীস, ৮৫৭১) ও ইমাম বায়হাকী রহ. তাঁর ‘শুআ‘বুল ঈমান’ গ্রন্থে (হাদীস, ৩৬০২) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এভাবে এই ধারায় গোটা হাদীসটি সনদের বিচারে কিছুটা দুর্বল হলেও আলাদা আলাদাভাবে বিষয়গুলো অন্যান্য একাধিক সহীহ সনদে বিভিন্ন হাদীসের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া যেহেতু এটি আমলের ফাযায়েলের প্রসঙ্গে বর্ণিত হয়েছে, মুহাদ্দীসগণ একে গ্রহণযোগ্য হাদীস বলেছেন। (তামহীদ, ১৬/১৫৪)

হাদীস শরীফে ইরশাদ হচ্ছে, রমযানে আমার উম্মতকে এমন পাঁচটি বৈশিষ্ট্য দান করা হয়েছে, যেগুলো এদের পূর্বে অন্য কোনো উম্মতকে দেওয়া হয়নি।

এক. রোযাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের খোশবুর চেয়েও উত্তম ও প্রিয়।

এটা মূলতঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি অনন্য সম্মানদান। বান্দা আল্লাহর ওয়াস্তে সারাদিন মুখে কিছু না দিয়ে রোযা রেখেছে, যার কারণে তার মুখে অনাহারজনিত কারণে এক ধরণের দুর্গন্ধ তৈরী হয়েছে। সেই দুর্গন্ধকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মেশকের ঘ্রাণের চেয়েও বেশি প্রিয় ও উত্তম গণ্য করছেন। সুবহানাল্লাহ!

দুই. রোযাদারগণ ইফতার করা পর্যন্ত ফিরিশতাগণ তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করতে থাকে। সুবহানাল্লাহ, আল্লাহর নিষ্পাপ মাখলুকেরা রোযাদারদের জন্য ক্ষমা প্রাথর্না করছে!

তিন. আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত প্রতিদিনই তাঁর জান্নাত রোযাদারদের জন্য সজ্জিত করেন। এরপের তিনি জান্নাতকে বলতে থাকেন, “শীঘ্রই দেখ আমার নেককার বান্দারা তাদের বোঝা ও কষ্ট ঝেড়ে ফেলবে এরপরে তোমার কাছে পৌঁছে যাবে।” আমরা শুধু বলতে পারি, আল্লাহু আকবার!

চার. রমযানে দুর্বিনীত শয়তানগুলোকে শেকল-বাঁধা করে ফেলা হয়। ফলে অন্যান্য মাসে শয়তান যেখানে যেখানে যেতে পারে, রমযানে সেখানে যেতে পারে না। এটাও রমযানের অতি গুরুত্বপূর্ণ এক নেয়ামত।

এই যে শয়তান শেকল-বাঁধা হয়ে যাওয়া, এর আসলে অর্থ কী? এর ব্যাখ্যা ইমাম শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবী রহ. তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা’য় যেভাবে করেছেন এর সারমর্ম হলো, রমযানে আমরা দেখি, আল্লাহর নেক বান্দা যারা, তারা এই মাসে আমল-ইবাদতের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ইহতেমাম করেন। রোযা তো আছেই, তিলাওয়াত, যিকির, তাসবীহ, তাওবা-ইস্তিগফার, দান-সদকা ইত্যাদি অনেক রকম নেক আমলে নিজেদেরকে ব্যাপৃত করে রাখেন।

আল্লাহর নেক বান্দাদের এই বিশেষ অবস্থার নূর ও বরকতের কল্যাণে পুরো পরিবেশে অন্যরকম নূর বিরাজ করতে থাকে। এতে করে সমাজের সাধারণ স্তরের মুমিন-মুসলমানদের মধ্যেও বিশেষ এক ধরণের হালত পয়দা হয়। তাদের মধ্যেও ইবাদত-বন্দেগীর বিশেষ এক প্রেরণা জাগ্রত হয়। তাদেরকেও দেখা যায় যে, অন্যান্য সময়ের তুলনায় তার রমযানে একটু বেশি দ্বীনমুখী ও আল্লাহমুখী। এতে করে দেখা যায় যে, সমাজে পাপাচার ও অবাধ্যাচারের দৌড়াত্ম হ্রাস পায়।

শয়তান বন্দী হওয়ার মর্ম তাহলে ঐ লোকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যারা মূলত রমজানের সেই নূরানী পরিবেশ থেকে উপকৃত হতে চায়, নিজেদেরকে সৌভাগ্যের অধিকারী করতে চায়। তাদেরই জন্য মূলত জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জান্নাতকে প্রতিদিন সজ্জিত করা হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আর যারা কাফের-মুশরিক, যারা পাপিষ্ঠ-দুরাচার, যারা সীমাহীন গাফলতের মধ্যে ডুবে থাকে তাদের সাথে এই সকল নূর ও বরকতের কী সম্পর্ক? তারা তো নিজেরাই নিজেদেরকে বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত করে রেখেছে, তারাই তো শয়তানের আনুগত্যে নিজেদেরকে ডুবিয়ে রেখেছে। (মাআ‘রিফুল হাদীস ২/৩৪৫)

পাঁচ. রমযানের সর্বশেষ রাত্রিতে রোযাদারদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। এই অসামান্য দানের কথা শুনে সাহাবায়ে কেরাম আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এটা কি লাইলাতুল কদরের কথা? রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, না, এখানে বিষয়টা হলো, শ্রমিক যখন তার কাজ সমাধা করে ফেলে তখন তার পারিশ্রমিক আদায় করা তো হবেই।

রমযানে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এত বিপুল দয়া ও দান, আমরা আর যেন উদাসীনতার মধ্যে না থাকি, আমরা যেন যথাযথ গুরুত্ব ও পাবন্দীর সাথে রমযানের কদর করার বিষয়ে সচেষ্ট হই। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন।
১৪ রমজান ১৪৪১ হিজরী

লেখক: মুহতামিম, জামিআ দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও শায়খুল হাদিস, জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

05/05/2020

রোযা স্বভাব-চরিত্র সংশোধনের এক মহান উপায়
------------------------------------------------------------------------
আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ।
মুহতামিম, জামিআ দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও শায়খুল হাদিস, জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
------------------------------------------------------------------------
الحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله، وعلى آله وصحبه ومن والاه، أما بعد،

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর শোকর, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে আপন মেহেরবানীতে রহমত-বরকতের মাস, নাজাত ও মুক্তির মাস রমযানে পৌঁছে দিয়েছেন, রোযা পালনের তাওফীক নসীব করেছেন।

{الْحَمْد لِلَّهِ الَّذِي هَدَانَا لِهَذَا وَمَا كُنَّا لِنَهْتَدِيَ لَوْلَا أَنْ هَدَانَا اللَّه}

আল্লাহরই শোকর, আল্লাহরই প্রশংসা তিনি আমাদেরকে এর তাওফীক দান করেছেন। আল্লাহ তাওফীক না দিলে আমরা কোনোভাবেই এর উপযুক্ত ছিলাম না।

করোনা ভাইরাস কবলিত পৃথিবীতে এই বছরের রমযান অন্যান্য বছরের রমযানের মত নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে রমযানকে আমাদের অনেক অনেক বেশী কদর করা উচিত। রোযা ও রমযানের যতবিধ উপকার আছে, এর যত কল্যাণ ও বরকত আছে; আমাদের করণীয় হলো, সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও পাবন্দীর সাথে সেই উপকার-কল্যাণ হাসিল করার চেষ্টা করা। নিজেদেরকে শোধরে নেওয়া, নিজেদেরকে আল্লাহর প্রকৃত বান্দা হিসাবে গড়ে তোলা, সর্বোপরি আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ় ও মজবুত করার অত্যন্ত উর্বর মৌসুম এই রমযান।

বছরের এক মাস রোযার যে বিধান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দান করেছেন, একজন মুমিন এই রোযার বিধান যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে তার ঈমানী যিন্দেগীতে অনেক রকম কল্যাণ, সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারে। এর মধ্যে অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য এই যে, প্রকৃত হক্ব আদায় করে রোযা পালনের মাধ্যমে মুমিন তার আখলাক-চরিত্র দুরস্ত করে নিতে পারে।
ইসলামের অন্য সব রুকনের মতই রোযার একটা আকৃতিগত দিক আছে, আরেকটা আছে প্রকৃতিগত দিক। আকৃতিগত দিকটা হলো, দিনের বেলা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা। এটা হলো রোযার কাঠামোগত দিক। কিন্তু নিছক এই নির্দিষ্ট সময়ের উপবাস বা অনাহারকে রোযা বলা হয় না। রোযা হওয়ার জন্য সেখানে নিয়ত লাগবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার বিধান মান্য করার প্রেরণা লাগবে, রোযার সকল আহকাম অনুসরণ করতে হবে। তো আল্লাহর বিধান মান্য করে, আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রেরণা নিয়ে নিয়তের সাথে রোযার সকল বিধান অনুসরণ করে রোযা রাখলে সেটা হবে রোযা। এই রোযা মুমিনের যিন্দেগীতে আল্লাহর রহমত নিয়ে আসবে। বিপুল বরকত ও সমৃদ্ধির উপায় হবে। তার জান্নাত লাভের ওসীলা হবে।

হাদীস শরীফে রোযাদারের অসংখ্য ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, তেমনি রোযা যথাযথভাবে পালন না করলে কঠোর হুঁশিয়ারীও এসেছে। সাথে সাথে একজন প্রকৃত রোযাদারের কী বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত, সেই বিষয়েও বিস্তারিত বিবরণ এসেছে।
একটি হাদীস দেখুন, কী অসাধারণ!

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رضى الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: "كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ الْحَسَنَةُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ. قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: إِلاَّ الصَّوْمَ؛ فَإِنَّهُ لِى وَأَنَا أَجْزِى بِهِ، يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أَجْلِي".
"وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ. وَإِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلَا يَرْفُثْ وَلَا يَصْخَبْ، فَإِنْ سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ، فَلْيَقُلْ: إِنِّي امْرُؤٌ صَائِمٌ".
"وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ: لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ لِلصَّائِمِ".
"لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ، يَفْرَحُهُمَا إِذَا أَفْطَرَ فَرِحَ، وَإِذَا لَقِيَ رَبَّهُ فَرِحَ بِصَوْمِهِ".

আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সাধারণত আদম সন্তানের যে কোনো নেক আমলের সওয়াব দশ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। (এ হলো এই উম্মতের জন্য আল্লাহ রাহমানুর রাহীমের সাধারণ রীতি। কিন্তু রোযার বিষয়টি অন্যরকম। রোযার ক্ষেত্রে) আল্লাহ বলেন, রোযা এই সাধারণ রীতির ঊর্ধ্বে। কেননা রোযার আমলটি বান্দার পক্ষ থেকে বিশেষভাবে আমারই জন্য হয়ে থাকে এবং আমি নিজে (আপন শান মোতাবেক) এর প্রতিদান দেবো। সে তো আমারই জন্য তার অন্তরের চাহিদা ও খাবার গ্রহণ বর্জন করে থাকছে।

এরপরে আছে, রোযা হলো (আল্লাহর আযাব-গযব ও সকল রকম অশ্লীল-অন্যায় থেকে) ঢালস্বরূপ। সুতরাং তোমাদের কেউ যেদিন রোযা রাখবে সে যেন কোনো অশ্লীল ও গর্হিত কোনো কথা-কাজে লিপ্ত না হয়, কোনো প্রকার মুর্খতাসুলভ আচরণ না করে এবং ঝগড়া-বিবাদ, হৈচৈ ও শোরগোল না করে। কেউ যদি তাকে গালমন্দ করে, অথবা তার সাথে লড়াই-ঝগড়া করে তাহলে সে যেন বলে দেয়, আমি রোযাদার মানুষ।

এরপরে আছে, ঐ যাতের কসম যার হাতে মুহাম্মাদের জান, রোযাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের খোশবুর চেয়েও উত্তম।
এরপরের অংশ হলো, রোযাদারের জন্য আছে দুটি আনন্দের লগ্ন, যখন সে আনন্দিত হয়। যখন সে ইফতার করে তখন সে ইফতার দ্বারা আনন্দিত হয়। আর যখন সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে তখন সে তার রোযার দ্বারা আনন্দ লাভ করে। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০৪, ১৮৯৪, সহীহ মুসলিম, ১১৫১)

হাদীসে বেশ কয়েকটি অংশ আছে। আমাদের আলোচ্য অংশটি হলো, রোযা অবস্থায় অশ্লীল ও গর্হিত কথা-কাজে লিপ্ত হওয়া, হৈচৈ-শোরগোল করা একজন রোযাদারের পক্ষে কখনো সমীচীন নয়। অশ্লীলতা, গালিগালাজ সবসময়ই মন্দ। তবে রোযা অবস্থায় এর কদর্যতা চূড়ান্ত হয়। এটা স্বভাবের মারাত্মক নীচুতার প্রকাশ। তো রোযার যথাযথ বরকত ও ফযীলত লাভের জন্য প্রবৃত্তি দমন করা, পানাহার থেকে বিরত থাকা যেমন জরুরী তেমনি স্বভাবের নীচু ও অসঙ্গত আচরণ থেকেও বেঁচে থাকাও জরুরী। কেউ রোযাও রাখবে আবার স্বভাব-চরিত্রের উন্নতি-উৎকর্ষের ক্ষেত্রে কোনো রকম মনোযোগী হবে না, তার এই রোযার যথাযথ ফল সে কখনো পাবে না।

আবু হুরায়রা রাযি. থেকেই বর্ণিত আরেকটি হাদীস দেখুন,

"مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ فِي أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ".

অর্থ: যে ব্যক্তি (রোযা অবস্থায়) মিথ্যাচার ও অন্যায় কর্ম ত্যাগ করলো না, তার পানাহার ত্যাগ করার প্রতি আল্লাহর কোনোই প্রয়োজন নেই। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০৩)

কত বড় ধমক! কী কঠোর হুঁশিয়ারী! তো এই হাদীস থেকে আমরা পাই, স্বভাবের উন্নতি সাধন করা, নীচুতা-হীনতা থেকে বেঁচে থাকা, সকল রকম অন্যায়-অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকা, এসবও রোযার অন্যতম উদ্দেশ্য। বস্তুত স্বভাবের উৎকর্ষের বিষয়টি ইসলামের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বুনিয়াদী বিষয়গুলোর মধ্যেও গভীরভাবে লক্ষণীয়। যেমন, নামাজ। ইসলামে ঈমানের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নামাজ। এই নামাজের বিষয়ে কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে,

"إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَىٰ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ " ﴿٤٥ العنكبوت﴾

অর্থ: নিশ্চয় নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে (নামাজীকে) বাধা প্রদান করে। (সূরা আনকাবুত, ৪৫)
এরপরে ধরুন, যাকাত। যাকাতের ক্ষেত্রে কুরআন মাজীদে পরিষ্কার ইরশাদ হয়েছে,

{خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِم بِهَا}

অর্থ: (হে নবী!) তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহণ করুন। যার মাধ্যমে আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশুদ্ধ করবেন। (সূরা তাওবা ১০৩)

তদ্রুপ হজ্বের বিধানের প্রসঙ্গেও কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে,

{الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُومَاتٌ ۚ فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ}

অর্থ: হজ্জ্বের নির্দিষ্ট কিছু মাস আছে। যে ব্যক্তি সেসব মাসে (ইহরাম বেঁধে) নিজের উপর হজ্জ্ব অবধারিত করে নেয়, সে হজ্জ্বের সময় কোনো অশ্লীল কথা বলবে না, কোনো গুনাহ করবে না। এবং ঝগড়াও নয়। (সূরা বাকারা, ১৯৮)

এছাড়াও আরো বিভিন্ন আয়াত-হাদীস থেকে একথা পরিষ্কার যে, ইসলামের বুনিয়দী সব রুকনেরই অন্যতম মাকসাদ হলো, মুমিনের স্বভাব-চরিত্রের সংশোধন।

আর এমনিতেই স্বভাব-চরিত্রের প্রসঙ্গটি ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। কুরআন মাজীদে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বি‘সাতের অন্যতম মাকসাদ উল্লেখিত হয়েছে, وَيُزَكِّيهِمْ (আর তিনি তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন।) সূরা বাকারা ১২৯, সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১২৬, সূরা জুমআ‘ আয়াত,২)।

আর ঐ হাদীস তো প্রসিদ্ধ। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, "إنما بعثت لأتمم مكارم الأخلاق". আমাকে তো প্রেরণ করা হয়েছেই উত্তম চরিত্রের পূর্ণাঙ্গতর শিক্ষাদানের জন্য। (মুসনাদে বাযযার, ৮৯৪৯, মুসনাদে আহমাদ ৮৯৩৯)

হাকীমুল উম্মত হযরত থানভী রহ. ইসলামের বিধানাবলীর যে পঁাচটি শ্রেণীবিভাগ করেছেন, তথা, আক্বায়েদ, ইবাদাত, মুআ‘মালাত, মুআ‘শারাত ও আখলাক; এই পাঁচ শ্রেণীর অন্যতম হলো, আখলাক। আখলাকের বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা অত্যন্ত ব্যাপক ও বিস্তৃত, সেই সাথে শতভাগ পূর্ণাঙ্গ ও যথার্থ। এর ছোট্ট ছোট্ট বিষয়গুলোও সেখানে কী পরিষ্কার!

এখানে এই বিষয়ের মূলনীতি পর্যায়ের শুধু একটি হাদীস উল্লেখ করা যেতে পারে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

"من أحب أن يزحزح عن النار ويدخل الجنة، فلتدركه منيته وهو يؤمن بالله واليوم الآخر ويأتي إلى الناس ما يحب ان يؤتي إليه".

‘যে চায় তাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হোক, জান্নাতে প্রবেশ করানো হোক, তাহলে তার মৃত্যু যেন আসে এমন অবস্থায় যে, সে আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে এবং সে যেন মানুষের সাথে এমন আচরণ করে, যে আচরণ নিজের সাথে করা হোক সে পছন্দ করে।’ (মুসনাদে আহমাদ, ৬৮০৭; সহীহ মুসলিম, ১৮৪৪)

দেখুন, এই হাদীসে স্বভাবের অন্যতম বড় প্রকাশ ক্ষেত্র, মানুষের সাথে আচরণের বিষয়ে কেমন সুন্দর, সহজ ও স্বভাব-অনুকূল একটি মূলনীতি বর্ণিত হয়েছে। প্রায়োগিক জীবনে যদি এই মূলনীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয় তাহলে আচরণ হবে নির্ভুল, প্রশান্তিময় ও স্নিগ্ধতাপূর্ণ।
আবার দেখুন, মানুষের সাথে আচার-ব্যবহার সুন্দর করার গুরুত্ব কত, সেটা এই হাদীস থেকে পাওয়া যাচ্ছে। মানবের চূড়ান্ত সফলতা; জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের উপায় হিসাবে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈমানের পর উত্তম আচার-ব্যবহারের কথা বলছেন।

তাই আমার সকল মুমিন ভাইদের কাছে দরখাস্ত, আমরা সকলে যথাযথভাবে রোযা ও রমযানের হক আদায়ে সচেষ্ট হই। আমরা যেন রোযার সকল কল্যাণ ও উপকার অর্জনে যত্নবান হই। আমাদের স্বভাব-চরিত্র উন্নত করার ব্যাপারে মনোযোগী হই। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন।

১২ রমজান ১৪৪০ হিজরী
৬ মে ২০২০ ঈসায়ী

29/04/2020

করোনাভাইরাস: ইস্তিগফারই আমাদের সুরক্ষার উপায়
----------‌‌----------------------------------------------------------------
আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ
প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, জামিআ দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।
----------‌‌----------------------------------------------------------------
الحمد لله، والصلاة والسلام رسول الله، وعلي آله وصحبه ومن والاه، أما بعد،
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গোটা বিশ্বেই যে অবরুদ্ধ পরিস্থিতি ও বিপর্যস্ত অবস্থা চলছে, এতে আমরা সকলেই এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি। আমরা কেউই জানি না, কবে এই সংকট দূর হবে, আমরা আবার স্বাভাবিক জীবন-যাত্রায় ফিরে যেতে পারবো! গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এখন সবাই করোনা প্রসঙ্গেই সরব। সংবাদ, মতামত, বিশ্লেষণ ও পরিসংখ্যান, ইত্যাদি সবকিছু যেন এখন করোনা নিয়েই। এগুলো নিয়ে মানুষজনের আগ্রহ ও কৌতূহলেরও কমতি নেই। দুঃখের সাথেই বলতে হচ্ছে, ঘরে বন্দী মানুষজনের সময়ের বিপুল অংশ হরণ করে নিচ্ছে এই করোনা ভাইরাস নিয়ে আড্ডা-গল্প, আলোচনা-পর্যালোচনা। মোবাইল, টেলিভিশনের সামনে বসে থেকেই মানুষ দিনের দীর্ঘ সময় পার করে দিচ্ছে। অথচ এই দুর্যোগকালে আমাদের সময়টা কীভাবে কাটানো উচিত, এই বিষয়ে কারো যেন কোনো চিন্তাই নেই।

আমরা দেখেছি, বড় বড় ক্ষমতাধর ও উন্নত দেশগুলো এই ক্ষুদ্র, যাকে খোলা চোখে দেখা যায় না পর্যন্ত, এই করোনাভাইরাসের কাছে তারা কীভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে। এখন আমাদের আল্লাহর আশ্রয় ছাড়া আর কোথাও কি কোনো ঠিকানা আছে? আমাদের করণীয় হলো, আমরা এখন ঘরে থাকার সময়টাতে সবরকম উদাসীনতা বর্জন করি, অহেতুক কাজ থেকে বিরত থাকি, অযথা সময় নষ্ট না করি। এই অবসরের সময়টাতে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করা, আল্লাহর সমীপে নিজেকে সমর্পণ করার বিষয়ে সাধ্যমতো সচেষ্ট হই। এখনই সময় সংশোধনের। এখনই সময় প্রত্যাবর্তনের।

করোনাভাইরাসের বিষয়ে কত রকম বিষয়ই আমরা চর্চা করি! করোনা, এটা কী? কোত্থেকে এলো? এর লক্ষণ কী? উপসর্গ কী? এ থেকে আত্মরক্ষার উপায় কী? এর কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলা করার পদ্ধতি কী? কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশন, লকডাউন, ইত্যাদি নতুন নতুন শব্দ আমাদের নিয়মিত ব্যবহারে যুক্ত হয়ে গেছে। তো এসব আপন জায়গায় সীমার ভিতরে থেকে সংশ্লিষ্টদের জন্য হয়তো প্রয়োজনীয়। কিন্তু শুধু এসবের পিছনে পড়ে আমরা এই করোনা থেকে আত্মরক্ষার আরো বড় কোনো কর্ম থেকে উদাসীন হয়ে আছি না তো?

আমরা ঈমানদার হিসাবে যদি ঈমানী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি চিন্তা করি তাহলে আমরা স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে পারবো, এই পরিস্থিতি আমাদের কৃতকর্মের কারণেই এসেছে। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে,

{ظَهَرَ ٱلْفَسَادُ فِى ٱلْبَرِّ وَٱلْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِى ٱلنَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ ٱلَّذِى عَمِلُواْ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونٍَ}

‘‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে জলে ও স্থলে নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়েছে, আল্লাহ তাদেরকে তাদের কতক কৃতকর্মের স্বাদ গ্রহণ করাবেন সেজন্য; হয়তো এর ফলে তারা ফিরে আসবে।’’

আয়াতের অর্থ স্পষ্ট। এখানে আয়াতের শেষে لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ (হয়তো এর ফলে তারা ফিরে আসবে।) অংশটি আমাদের মনোযোগের দাবী রাখে। অর্থাৎ এই বিপদ-দুর্যোগ আসেই এই জন্য যে আমরা জন্য সংশোধন হই, আমরা যেন আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করি।

সংশোধন ও প্রত্যাবর্তনের কুরআন-নির্দেশিত পন্থা হলো, ইস্তিগফার। নিজের কৃত অন্যায়-অপরাধের জন্য আল্লাহর দরবারে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করা। বস্তুত ইস্তিগফারই হতে পারে আমাদের এই দুর্যোগের সময় সুরক্ষার উপায়। এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,

{وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونٍَ}

‘‘আর আল্লাহ এমন নন যে, তিনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন তাদের ইস্তিগফাররত অবস্থায়।’’
(সূরা আনফাল, ৩৩)

এই জন্যই পূবর্বর্তী নবীগণ তাঁদের কাউমকে সংশোধন ও প্রত্যাবর্তনের দাওয়াত দিয়েছেন ইস্তিগফারের আহ্বানের মধ্য দিয়ে। সাইয়িদুনা হযরত নূহ আ. সুদীর্ঘকাল তাঁর কওমকে হিদায়াতের পথে, ন্যায় ও সত্যের পথে দাওয়াত দিয়েছেন। তাঁর কাউম শুধু অস্বীকার আর প্রত্যাখ্যান করতে থেকেছে। কাউম যখন অনাবৃষ্টির কারণে হাহাকার করতে লাগলো তখন তিনি তাদেরকে ইস্তিগফারের দাওয়াত দিয়েছিলেন।

কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে,

{فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا * يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا * وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا}

‘‘আমি তাদেরকে বলেছি, আপন প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চিত জেনো, তিনি অতি ক্ষমাশীল। (তাহলে) তিনি আকাশ থেকে তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে প্রবৃদ্ধি দান করবেন। এবং তোমাদের জন্য সৃষ্টি করবেন উদ্যানরাজি, আর ব্যবস্থা করে দেবেন তোমাদের জন্য নদ-নদীর।’’ (সূরা নূহ, ১০-১২)

এই আয়াতে স্পষ্ট যে, ইস্তিগফার করলে আল্লাহ তাদের অনাবৃষ্টি, - যেটা তাদের জন্য ছিলো আকাল-দুর্ভিক্ষ - দূর করে মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। অন্যান্য অনেক নেয়ামতে তাদেরকে ভরে দেবেন।

এই একই বিষয় আমরা সাইয়িদুনা হযরত হুদ আ. এর দাওয়াতেও পাই। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে,

{وَيَٰقَوْمِ ٱسْتَغْفِرُواْ رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوٓاْ إِلَيْهِ يُرْسِلِ ٱلسَّمَآءَ عَلَيْكُم مِّدْرَارًا وَيَزِدْكُمْ قُوَّةً إِلَىٰ قُوَّتِكُمْ وَلَا تَتَوَلَّوْاْ مُجْرِمِينٍَ}
ٍ
‘‘আর হে আমার কাউম, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, অতঃপর তাঁরই দিকে ফিরে এসো। তিনি তোমাদের প্রতি আকাশ থেকে মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের বিদ্যমান শক্তির সাথে বাড়তি আরো শক্তি যোগাবেন। আর তোমরা অপরাধী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না।’’ (সূরা হুদ, ৫২)

এখানে وَيَزِدْكُمْ قُوَّةً إِلَىٰ قُوَّتِكُمْ (এবং তোমাদের বিদ্যমান শক্তির সাথে বাড়তি আরো শক্তি যোগাবেন।) অংশটি অনন্য। আমরা হয়তো মনে করি, আমরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আবিষ্কার, উদ্ভাবনের একবিংশ শতাব্দীর মানুষ। কিন্তু আমাদের অসাহায়ত্ব তো এখন আমাদের সবারই চোখের সামনে। এই আয়াত থেকে আমরা পাই, ইস্তিগফারের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের বিদ্যমান শক্তি, আবিষ্কার-উদ্ভাবনের শক্তি আরো অনেক বাড়িয়ে দেবেন। আল্লাহর শান মোতাবেক বাড়িয়ে দেবেন।

আয়াতের শেষ অংশে আছে, وَلَا تَتَوَلَّوْاْ مُجْرِمِينَ (আর তোমরা অপরাধী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না।) অর্থাৎ এরপরও তোমরা যদি আমার দাওয়াত কবুল না করো, আমাকে প্রত্যাখ্যান করো, এরপরও তোমরা যদি ইস্তিগফার না করো, নিজেদের অন্যায়-অপরাধের বিষয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করো তাহলে তোমরা হবে সাংঘাতিক পর্যায়ের অপরাধী। সেটা তোমরা হয়ো না।

এরপরে আমরা সবাই জানি, নূহ আ. এর কাউম, হুদ আ. আর কাউম তাঁদের নবীর দাওয়াত কবুল করেনি, একপর্যায়ে আল্লাহ পাক আযাব দিয়ে তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।

সাইয়িদুনা শোয়াইব আ. তাঁর কাওমকে নূহ আ. এর কাউম, হুদ আ. এর কাউম, এবং অন্যান্য কাউমের আযাবের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদেরকে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিয়েছেন, ন্যায় ও ইনসাফের দিকে আহ্বান করেছেন। এরপরে তিনি বিশেষভাবে বলছেন,

{وَاسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ إِنَّ رَبِّي رَحِيمٌ وَدُودٌٍ}

‘‘আর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। তারপর তাঁরই দিকে ফিরে এসো। নিশ্চয় আমার প্রতিপালক পরম দয়াময়, অসীম প্রেমময়।’’ (সূরা হুদ, ৯০)

এই আয়াত থেকে আমরা পাই, ইস্তিগফার এবং তাওবা আল্লাহর রহম, করম ও মমতাকে আকর্ষণ করে। অন্য এক আয়াতে পরিষ্কার এসেছে,

{لَوْلا تَسْتَغْفِرُونَ اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونٍَ}

‘‘তোমরা কেন আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছো না; যাতে তোমাদের প্রতি রহম করা হয়।’’ (সূরা নামল, ৪৬)

আরেক আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পরিষ্কারভাবে ইস্তিগফারের নির্দেশ করেছেন এবং পার্থিব জীবনেই এর অসামান্য ফল ও কার্যকারিতার কথা উল্লেখ করেছেন। তেমনিভাবে ইস্তিগফার না করার বিষয়ে কঠিন হুঁশিয়ারিও দান করেছেন। ইরশাদ হয়েছে,

{وَأَنِ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ يُمَتِّعْكُم مَّتَاعًا حَسَنًا إِلَىٰ أَجَلٍ مُّسَمًّى وَيُؤْتِ كُلَّ ذِي فَضْلٍ فَضْلَهُ ۖ وَإِن تَوَلَّوْا فَإِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ كَبِيرٍ}

‘‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, অতঃপর তাঁরই দিকে ফিরে এসো। তিনি তোমাদেরকে এক নির্ধারিত কাল (তথা মৃত্যু) পর্যন্ত উত্তম জীবন উপভোগ করতে দেবেন এবং যে কেউ বেশি আমল করবে তাকে নিজের পক্ষ থেকে বেশি প্রতিদান দেবেন।আর তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে আমি তোমাদের জন্য এক মহা দিবসের শাস্তির আশঙ্কা করি। আল্লাহরই কাছে তোমাদের ফিরে যেতে হবে এবং তিনি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান।’’ (সূরা হুদ, ৩-৪)

হাদীস শরীফেও রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই বিষয়ে অত্যন্ত তাকীদ করেছেন। নিজে আমলের মাধ্যমে উম্মতকে তা শিক্ষা দিয়েছেন। এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনার অবকাশ নেই। শুধু একটি হাদীস উল্লেখ করছি। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

وعنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضِي اللَّه عنْهُما قَال: قالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: منْ لَزِم الاسْتِغْفَار، جَعَلَ اللَّه لَهُ مِنْ كُلِّ ضِيقٍ مخْرجًا، ومنْ كُلِّ هَمٍّ فَرجًا، وَرَزَقَهُ مِنْ حيْثُ لاَ يَحْتَسِبْ.

‘‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তিগফার করে, আল্লাহ তার জন্য সকল সংকটে সমাধান বের করে দেবেন, সকল দুশ্চিন্তা থেকে প্রশান্তি দিয়ে দেবেন। আর তাকে এমনভাবে রিযিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।’’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৫২০)

হাদীস শরীফের পরিষ্কার নির্দেশনা, বিপদে-সংকটে ইস্তিগফারই হবে আমাদের সুরক্ষার উপায়।
তো ইস্তিগফারের পদ্ধতি কী? সবচেয়ে সহজ ও সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি তো হলো, অন্তর থেকে বেশি বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থানা করছি) বলা। আল্লাহ, আমাকে মাফ করে দাও। এছাড়াও হাদীস শরীফে ইস্তিগফারের আরো অনেক বাক্য বর্ণিত হয়েছে। যেমন,

أَسْتَغْفِرُ اللَّه الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُو الحيَّ الْقَيُّومَ وأَتُوبُ إِلَيهِ

আরেকটি বাক্য, যা মূলত কুরআন মাজীদের একটি আয়াত। এটা সাধরণত সবাই জানে। সেটা ইস্তিগফারের ক্ষেত্রে অনেক সুন্দর ও উপযোগী। আবার এটা বিপদ থেকে মুক্তির ব্যাপারে অনেকের কাছে পরীক্ষিতও বটে। তা হলো,

{لاَ إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ}

‘‘(আল্লাহ!) তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তুমি চিরপবিত্র। নিশ্চয়ই আমি একজন অপরাধী।’’
এই দুআর মধ্যে তাওহীদ আছে, তাসবীহ আছে, তাওবা ও ইস্তিগফার আছে। দুআটি নিজের গুনাহ স্মরণ করে, নিজেকে অপরাধী মনে করে যত বেশি পড়া যায় তত কল্যাণকর।

আমরা সবাই জানি, এই দুআ‘র বদৌলতে আল্লাহ পাক হযরত ইউনুস আ.কে বিপদ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। এরপরের আয়াতে আল্লাহর ওয়াদা আছে, وَكَذَٰلِكَ نُنجِي الْمُؤْمِنِينَ (এভাবেই আমি ঈমানদেরকে মুক্তি দেবো।)

অবশেষে একটি বিষয়ে একটু দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। সংক্ষেপে বিষয়টি এই যে, তাওবা, ইস্তিগফার, নেক আমল ইত্যাদির প্রসঙ্গ আসলেই আমাদের অনেকের বা কারো কারো ধারণা হলো, ‘এগুলো তো আলেম-উলামাদের কাজ অথবা সমাজের দ্বীনদার দাড়িওয়ালাদের কাজ। আমরা এগুলো কীভাবে করবো?’ একরকম মানসিকতা অনেকের মধ্যে আছে। কোনো সন্দেহ নেই যে, এটা অত্যন্ত গোমরাহীর কথা। ভয়াবহ মূর্খতার কথা। আবার আল্লাহর নারাযী ও ক্রোধ ডেকে আনার কারণ। আমাদের সর্বস্তরের সকল মুলমানের জন্যই এই বিষয়গুলো অতীব জরুরী। প্রত্যেকেরই করণীয় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সংশোধনের পথে, নেক আমলের পথে অগ্রসর হওয়া। তাওবা ও ইস্তিগফারে মনোনিবেশ করা।

আল্লাহ যেন আমাদেরকে ভরপুর আমলের তাওফীক দান করুন। আমাদেরকে দ্রুততম সময়ে এই দুর্দশা থেকে উদ্ধার করুন। এই সময়টুকুর মধ্যে আমাদেরকে আল্লাহর নেক বান্দা বানিয়ে দেন। আমীন।
----------‌‌----------------------------------------------------------------
লেখক:
প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, জামিআ দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
শায়খুল হাদীস, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

Want your school to be the top-listed School/college in Brahmanbaria?

Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

Location

Category

Telephone

Address


Arqambaag, West Medda (Opposite Of Police Line)
Brahmanbaria
3400
Other High Schools in Brahmanbaria (show all)
Bangladesh Gas Fields School & College, Brahmanbaria Bangladesh Gas Fields School & College, Brahmanbaria
Birashar Head Office Complex
Brahmanbaria, 3400

রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়
Rampur, Kasba
Brahmanbaria, 3462

রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রামপুর, বিষ্ণাউড়ি, গোপীনাথপুর, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট  বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
Court Road, Nabinagar
Brahmanbaria

Nabinagar Ichchhamoyee Pilot Girls High School

Ujanchar K.N School & College Ujanchar K.N School & College
Brahmanbaria, 3420

Lower secondary education- First stage of secondary education building on primary education, typically with a more subject-oriented curriculum. Students are generally around 12-15 years Old.

Disary Disary
কলেজপাড়া, ব্রাক্ষণবাড়িয়া
Brahmanbaria, 3400

একাডেমিক কোচিং সেন্টার, কলেজপাড়া, ব্র?

Chandidwar High School Chandidwar High School
Brahmanbaria, 3462

Chandidwar High School, Kasba, Brahmanbaria.

Chhatura Chandpur Online School & College Chhatura Chandpur Online School & College
Chhatura Sharif, Akhaura
Brahmanbaria, 3452

This is the online school for Chhatura Chandpur School and collge students.

Shah Farasat Ali High School Shah Farasat Ali High School
Brahmanbaria

Shah Farasat Ali High School

কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়
গ্রামঃ কাইতলা, উপজেলাঃ নবীনগর, জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া
Brahmanbaria

বর্ণনাঃ মাধ্যমিক বিদ্যালয় । জেএসসি ?

Brahmanbaria High School Brahmanbaria High School
Brahmanbaria, 3400

ব্রাহ্মাণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়

Annada Govt High School BNCC Annada Govt High School BNCC
Brahmanbaria

Annada govt high School BNCC

Annada Govt. High School, BNCC Platoon Annada Govt. High School, BNCC Platoon
Brahmanbaria
Brahmanbaria, 3400

জ্ঞান, শৃঙ্খলা, সেচ্ছাসেবী 🤍 🖤 🤍