Deni Kafela

Deni Kafela

Share

ইসলামের সঠিক আকিদা ও সঠিক ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এই পেইজটি তৈরি। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।

Operating as usual

মৃ-ত্যুর আগের শেষ আবদার। 😭🙏 delwar hussain saidi | delwar hussain saidi waz 15/08/2023

আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের উচ্চ আসনে বসাক।তার মত আলেমের কথা বর্ননা করার অপেক্ষা রাখে না। তিনি মানুষের অন্তরে ছিলেন থাকবে তার কর্মের মাধ্যমে।

মৃ-ত্যুর আগের শেষ আবদার। 😭🙏 delwar hussain saidi | delwar hussain saidi waz মৃ-ত্যুর আগে শেষ আবদার। 😭🙏 delwar hussain saidi | delwar hussain saidi waz

Photos from Deni Kafela's post 13/08/2023

আমরা ইসলামের নামে দলে দলে ভাগ না হ‌ই।তা হলেই আচিরেই আমাদের ধ্বংশ নেমে আসবে।

01/06/2023
26/05/2023

জুমার খুতবা। যাত্রাবাড়ি সালাফি জামে মসজিদ।২৬/০৫/২০২৩।

15/05/2023

ফরজের দেখি গরোজ কম,নফলের দেখি দাম।
এসব এখন নামধারি সব মুসলমানের কাম।
পড়ে আছে সব মিলাদ আর খেচুরির টানে,
ধর্ম কর্ম জেনে ইসলাম কজনে আর মানে?
ধর্ম চলে হুজুর দিয়ে, নবীর দেয় না দাম।
এসব এখন ভন্ড সব মুসলমানের কাম।

08/05/2023

মানুষের আয়ু কতটুকু সময়?এ নিয়ে অসাধারন আলোচনা করলেন মুফতী আলাউদ্দিন হক্কানি।

07/05/2023

আমাদের আমল পরিবর্তন করার জন্য আমরা কি করি?

06/05/2023
06/05/2023

গুনাহ মাফ করার যোগ্যতা আমাদের মাঝে আছে কি?এ নিয়ে প্রশ্ন করলেন মুফতী আলাউদ্দিন হক্কানি।

06/05/2023

পবিত্র জুমার খুতবা। অসাধারণ আলোচনা করলেন মুফতী আলাউদ্দিন হক্কানি।

01/05/2023

এশার নামাজ
হযরত মূসা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম নীলনদ অতিক্রম করে যখন ফেরাউন এবং তার সৈন্য-সামন্ত থেকে মুক্তিলাভ করলেন, তখন শুকরিয়া স্বরূপ চার রাকাআত নামাজ আদায় করেছিলেন। যা আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে বান্দার উপর ইশার ফরজ নামাজ হিসেবে আরোপিত হয়েছে।
হযরত মূসা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম ফেরাউনের হাত থেকে মুক্তি লাভের জন্য এক রাকাআত, নীলনদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এক রাকাআত, অবাধ্য ইসরাইলদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এক রাকাআত এবং ফেরাউন তার সৈন্য-সামন্ত নীল নদে ডুবে ধ্বংস হওয়ার জন্য এক রাকাআত, সব মিলিয়ে মোট চার রাকাআত নামাজ আদায় করেছিলেন। এই চার রাকাআত নামাজ-ই ইশার চার রাকাত নামাজ হিসেবে আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে আরোপিত হয়েছে। সুবহান-আল্লাহ্ !!
কেউ কেউ বলেছেন, এবং আমার কাছে এ মতটি বিশুদ্ধ এবং অত্যন্ত শক্তিশালী মনে হয়েছে তা হচ্ছে ; ইশার নামাজ কোনো নবী রাসুল পড়েননি, কোনো নবী রাসূলের প্রতি আরোপিত হয়নি, একমাত্র শুধুমাত্র কেবলমাত্র আমাদের নবী সর্বশেষ নবী, সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উপর আরোপিত হয়েছে অর্থাৎ উম্মতে মুহাম্মদীর উপর কেবলমাত্র ইশারের নামাজ ফরয করা হয়েছে। অন্য কোনো নবীর উম্মত ইশার নামাজ পড়েন নি। সুবহান-আল্লাহ্ !!
যৎসামান্য লেখার চেষ্টা করেছি, তা কেবল মাত্র সম্ভব হয়েছে মহান পরওয়ারদেগার আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের জন্য। আমরা মানুষ। আর মানুষ মাত্রই ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। ভুল করা এটা বড় কোনো বিষয় নয় ওই ব্যক্তির জন্য যে ব্যক্তি ভুল সংশোধনের জন্য সদা সর্বদা প্রস্তুত। এ কথার সমর্থনে একটি হাদীসও এসেছে – রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেকটি বনী-আদম ভুলকারী। তবে, উত্তম ভুলকারী সেই ব্যক্তি যে তাঁর ভুলের ব্যাপারে তওবা করে নেয়। তো যে কথা বলা আমার উদ্দেশ্য সেটি হচ্ছে – আমার লেখায় কোনো প্রকারের ভুল যদি কোনো ভাইয়ের নজরে পড়ে সেটি আমাকে জানিয়ে বাধিত করবেন। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান !!





আরো জানুন : মুসলিম ইতিহাসে বিখ্যাত ৭ জন যোদ্ধা

Categoriesইসলাম
Tagsআসর, ইশা, নামাজ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কখন কিভাবে আসলো, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কিভাবে আসলো, ফজর যোহর আসর মাগরিব, মাগরিব, যোহর
Post navigation
মুসলিম ইতিহাসে বিখ্যাত সাতজন যোদ্ধা
নামাজের সময় – পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাসনূন (সুন্নত) সময়

01/05/2023

মাগরিবের নামাজ
মাগরিবের নামাজ কখন কিভাবে এসেছে, এ ব্যাপারে কয়েকটা মতামত পাওয়া যায়। নিম্নে সবগুলোই উল্লেখ করা হলো ;

যখন আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন দাউদ আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম -এর তওবা কবুল করলেন, তখন তিনি শুকরিয়া স্বরূপ তিন রাকাআত নামাজ আদায় করলেন। যা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে বান্দার ওপর মাগরিবের ফরজ নামাজ হিসেবে আরোপিত হয়েছে।
কেউ কেউ বলেছেন, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম নিজে খোদা না হওয়ার নিদর্শন স্বরূপ এক রাকাআত, তাঁর মাতা মারিয়াম আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম খোদা না হওয়ার নিদর্শন স্বরূপ এক রাকাআত, একমাত্র মহান আল্লাহ্ তা’আলাকে খোদা স্বীকারের নিদর্শনস্বরূপ এক রাকাআত, তিনটি কারণে তিনি তিন রাকাত নামাজ আদায় করেছিলেন।পরবর্তীতে এ তিন রাকাআত নামাজ-ই মাগরিবের ফরজ হিসেবে আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে আরোপিত হয়েছে।
আবার কেউ কেউ বলেছেন, হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালামের দেওয়া জামা হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম যখন তিনার চোখে ঘষলেন, সাথে সাথেই ইয়াকুব আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালামের দৃষ্টিশক্তি ফিরে এলো এবং ইউসুফ আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালামকে জীবিত অবস্থায় এবং দ্বীনের ওপর অটল পেলেন। এই তিন কারণে শুকরিয়া স্বরূপ তিন রাকাত নামাজ আদায় করেছিলেন। যা আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে বান্দার উপর মাগরিবের ফরজ নামাজ হিসেবে আরোপিত হয়েছে। সুবহান-আল্লাহ্ !!

01/05/2023

আসরের নামাজ
আসরের নামাজ কখন কিভাবে এসেছে, এ ব্যাপারে কয়েকটা মতামত পাওয়া যায়। নিম্নে সবগুলোই উল্লেখ করা হলো ;

হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম বিরাট এক সামুদ্রিক মাছের পেটে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সে অন্ধকার থেকে মুক্তি লাভের পর শুকরিয়া স্বরুপ চার রাকাআত নামাজ আদায় করেছিলেন। এ চার রাকাত নামাজ-ই আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে বান্দার ওপর আসরের ফরজ নামাজ হিসেবে আরোপিত হয়েছে।
কেউ কেউ বলেছেন, হযরত উজাইর আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম একশ বছর মৃত অবস্থায় ছিলেন। একশ বছর পর আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন উজাইর আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, কত বছর মৃত অবস্থায় ছিলে? প্রত্যুত্তরে তিনি বললেন একদিন অথবা এক দিনের কিছু সময় মৃত অবস্থায় ছিলাম। আল্লাহ তায়ালা বললেন যে, না। বরং তুমি একশ বছর মৃত অবস্থায় ছিলে। একথা শুনে তিনি শুকরিয়া স্বরূপ চার রাকাআত নামাজ আদায় করলেন।

01/05/2023

জোহরের নামাজ
মুসলিম জাতির পিতা। যার ব্যাপারে কোরআন মাজিদে বলা হয়েছে, তিনি এমন ব্যক্তিত্ব যিনি তোমাদের নাম মুসলমান দিয়েছেন। তিনি হলেন আমাদের জাতির পিতা ইব্রাহিম আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম। ইব্রাহিম আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম নিজের পুত্রকে নিজে কুরবানী করতে মনোবল না হারানোর কারণে এক রাকাআত, পুত্রের মায়া মন থেকে দূর করতে পারার কারণে এক রাকাআত, হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাতু ওয়াস সলাম মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকার কারণে এক রাকাআত, হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম -এর পরিবর্তে দুম্বা কোরবানি হয়ে যাওয়ার কারণে এক রাকাআত, মোট চার রাকাআত নামাজ শুকরিয়া স্বরুপ আদায় করেছিলেন। এ চার রাকাত নামাজ-ই আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে বান্দার ওপর জোহরের ফরজ নামাজ হিসেবে আরোপিত হয়েছে। সুবহান-আল্লাহ্ !!

01/05/2023

ফজরের নামাজ
দুনিয়াবাসীর জন্য প্রথম পয়গাম্বর আদি পিতা হযরত আদম আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম যখন বেহেশত হতে দুনিয়ায় প্রেরণ হয়েছিলেন, তখন দুনিয়া ছিল গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন। এতে তিনি মহা সংকটে পড়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে সারা রাত কেঁদে কেঁদে কাটালেন। তারপর যখন রাতের ঘোর অন্ধকার দূরীভূত হয়ে ভোরের আলো প্রকাশ পেল, তখন তিনি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরিয়া স্বরূপ দুই রাকাআত নামাজ আদায় করলেন। এই দুই রাকাআত নামাজ-ই আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে বান্দার ওপর ফজরের ফরজ নামাজ হিসেবে আরোপিত হলো। সুবহান-আল্লাহ্ !!

30/04/2023

যোহরের সময়ে নামায নির্ধারণ হওয়ার কারণ
১ম উত্তর: যোহরের সময়কে নির্ধারণ করার কারণ হল মহাবিশ্বে সূর্য হল অনেক বড় একটা গ্রহ, এজন্য সূর্যপূজারী মুশরিকরা তার পূজা-অর্চনা করে। সূর্যোদয় থেকে তাদের পূজা শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত সূর্য ওপরে ওঠতে থাকে এবং সাথে সাথে তার ঔজ্জ্বল্য এবং তেজ বাড়তে থাকে। কিন্তু দুপুরের পর থেকে সূর্য ঢলতে শুরু করে, সাথে সাথে তার তেজ এবং গর্বও কমে যেতে থাকে। এই ঢলে যাওয়া তার নশ্বরতাকে প্রমাণ করে। যখন সূর্য ঢলে পড়ে, তখন যেন আল্লাহ বলেন, হে লোকসকল! ফজর থেকে দুপুর পর্যন্ত মুশরিকরা বাতিল উপাস্য অর্থাৎ সূর্যের পূজা করছিল। হে আমার বান্দা-বান্দিরা তোমরা কোথায়? আসো আমার ইবাদত কর। মুশরিকদের বিপরীতে যোহরের নামায আদায় কর। সূর্য পূজার জন্য তাদের ওপর গযব অবতীর্ণ হবে আর নামায পড়ার কারণে তোমাদের ওপর রহমত বর্ষিত হবে। তাই যোহরের সময় নামায নির্ধারণ করা হল।
২য় উত্তর: হযরত ইবরাহীম আ. যখন আগুনের গর্ত থেকে মুক্ত হয়েছিলেন, তখন সহজাত প্রবৃত্তির দাবি অনুযায়ী শৈশবেও আসল প্রভুর সন্ধান করার আগ্রহ অন্তরে ছিল। তাই রাতের আকাশে উজ্জ্বল তারা দেখে অন্যমনস্ক ভঙ্গিতে বলেছিলেন, এগুলো আমার প্রভু। যখন সেগুলো ডুবে গেল, তখন বলেছিলেন, যারা লুকিয়ে যায় তাদের আমি ভালবাসি না। তারপর যখন চন্দ্র উদিত হল, যার ঔজ্জ্বল্য তারাদের চেয়ে ঢের বেশি ছিল, তখন বললেন এটি আমার প্রভু। কিন্তু ফজরের সময় তার ঔজ্জ্বল্য গোপন হয়ে গেলে অনুতাপের সুরে বললেন, যদি আমার প্রভু আমায় সাহায্য না করেন, আমি তো নির্ঘাত পথহারা হয়ে যাব। ফজরের সময় যখন সূর্য উদিত হল, তখন অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে বললেন, ব্যস আমার প্রভু তো এটাই! এটা সবার বড়ও! কিন্তু যখন সূর্যও ঢলতে শুরু করল এবং তার আলো কমে যেতে লাগল, তখন বললেন, আমি শিরক থেকে মুক্ত। আমি নিজের চেহারা ঐ সত্ত্বার দিকে ফিরিয়ে নিলাম যিনি আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন। অতপর তিনি শুকরিয়া স্বরূপ যোহরের চার রাকাত নামায আদায় করেছিলেন। কুরআন কারীমে এর বর্ণনা এসেছে- যখন রজনীর অন্ধকার তার উপর সমাচ্ছন্ন হল, তখন সে একটি তারকা দেখতে পেল। বলল এটি আমার প্রতিপালক। তারপর যখন তা অস্তমিত হল, তখন বলল, আমি অস্তগামীদেরকে ভালবাসিনা। (সূরা আনয়াম, আয়াত: ৭৬)
আল্লাহ তায়ালা ইবরাহীম আ.-এর কথা ও নামায খুবই পছন্দ করলেন। যেভাবে তাঁর কুরবানী, পানির জন্য হাজেরা আ. এর দৌঁড়াদৌঁড়ি এবং তাওয়াফকে পছন্দ করলেন। এজন্যই সেই বিখ্যাত একত্ববাদী ব্যক্তি ইবরাহীম আ. এর স্মরণে সূর্য ঢলার পর যোহরের নামায ফরয করে দেয়া হয়েছে, যাতে যোহর আদায়কারীদের হাশর ইবরাহীম আ. এর সাথে হয়। কেননা, কেয়ামতের দিন তাঁর অনুসারীরাই তাঁর সাথে থাকবেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- মানুষদের ভেতর ইবরাহীমের সাথে (ঘনিষ্ঠবান) সম্পর্কেও বেশী অধিকার তো আছে সে সব লোকের, যারা তার অনুসরণ করেছে। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৬৮)
৩য় উত্তর: হযরত আলী রা. বলেন, একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাজিরদের একটি জামাতে অবস্থানরত ছিলেন। এমন সময় ইহুদীদের একটা দল তাঁর দরবারে উপস্থিত হয়ে বলল, হে মুহাম্মদ! আমরা আপনাকে এমন কতিপয় প্রশ্ন করতে চাই, যার উত্তর উচু স্তরের পয়গম্বর ব্যতীত কারো পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঠিক আছে প্রশ্ন করো।
ইহুদী দল: হে মুহাম্মদ! আপনার উম্মতের ওপর দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায কেন ফরয হল এবং নির্দিষ্ট পাঁচটি সময়কে কেন নির্বাচিত করা হল?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম : হে ইহুদীদল! যোহরের নামাযের ব্যাপারে হেকমত হল, তখন ফেরেশতারা আসমানের ওপর তাসবীহ পড়েন, সে সময় আসমানের দরজাসমূহ খুলে যায় এবং দোয়া কবুল হয়। এজন্য আল্লাহ তায়ালা সেই সময়ের নামায (যোহর) ফরয করে দিয়েছেন। যাতে ফেরেশতাকুলের সাথে মিলিত হয়, দোয়া কবুল এবং আমলসমূহ দ্রুত আসমানের ওপর পৌঁছে যায়। যে ব্যক্তি যোহরের নামায আদায় করবে, আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামের আগুনের ওপর তার শরীরকে হারাম করে দিবেন। (মাজালেসে সুন্নিয়া)
নামাযের জন্য আসরের সময় কেন নির্ধারিত হল
১ম উত্তর: আসরের সময় হযরত আদম আ. স্ত্রীর কথা শুনে নিষিদ্ধ গাছের ফল ভক্ষণ করেছিলেন, যার ফলে তাঁকে দিগম্বর করে জান্নাত থেকে বের করে দিয়ে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। এসবকিছুই আসরের সময় ঘটেছিল। তিনি তখন নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে আল্লাহকে নারাজ করেছিলেন। এর বিপরীতে উম্মতে মুহাম্মদীকেও সর্বপ্রকার খানা-পিনা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে, আর অল্প সময়ের জন্য নামাযে মশগুল হয়ে রোযাদারের মত থাকতে বলা হয়েছে। যাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে রহমত আর নেয়ামতের যোগ্য হয়ে যায়। আদম আ. আসরের সময় আল্লাহর মর্জির খেলাফ কাজ করেছিল। নিষিদ্ধ ফল খেয়ে জান্নাত থেকে বের হয়ে পৃথিবী নামক কয়েদ খানায় আসতে হয়েছিল, একই সময়ে এই উম্মত, খানাপিনা ত্যাগ করে, অন্যের সাথে কথাবার্তা না বলে আল্লাহর কথা মেনে নামায পড়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে।
২য় উত্তর: হযরত ইউনুস আ. কে আল্লাহ চার ধরনের অন্ধকারে বন্দী করেছিলেন, ১. সমুদ্রের অন্ধকারে, ২. মৎস উদরের অন্ধকারে, ৩. আবার উক্ত মৎসকে যে বড় মৎস গিলেছিল তার অন্ধকারে, ৪. রাতের অন্ধকারে।
হযরত ইউনুস আ. প্রচুর অন্ধকারে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মাছের পেটের ভিতর দোয়া ইউনুস পাঠ করা শুরু করে দিলেন। এটি পড়ার দরুন মাছ তাঁকে জমির ওপর বের করে দিতে আদিষ্ট হল। কুরআন বলছে- যদি তিনি তাসবীহ না পড়তেন, কেয়ামত পর্যন্ত মৎস উদরেই থেকে যেতেন। তাই মাছ তাঁকে স্থলভাগে এসে উগরে দিল। (তাফসীর, সূরা সাফফাত, আয়াত ১৪৩ ও ১৪৪)
আসরের সময় তিনি চার ধরনের অন্ধকার থেকে মুক্তি পাওয়ার ওপর শুকরিয়া স্বরূপ চার রাকাত নামায পড়েছিলেন, এজন্য আল্লাহ তাআলা আমাদের ওপর এই সময়ে চার রাকাত নামায ফরয করে দিয়েছেন। যাতে ইউনুস আ. এর বিপদের কথা স্মরণ থাকে ও আল্লাহর নাম এবং তাঁর তাসবীহ’র শক্তিমত্তার কথা খেয়াল থাকে। আর নামাযের বরকতে ইউনুস আ. এর মত সর্বপ্রকার বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
৩য় উত্তর: প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য মৃত্যুর পর কবরের প্রশ্ন আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত আছে। আর মৃত ব্যক্তির জন্য সময়টি অত্যন্ত কঠিন হবে এবং খুবই অপারগ বিষয় হবে। কিন্তু আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের জন্য আসরের নামায ফরয করার মাধ্যমে সেই কঠিনতম অবস্থাকে সহজ করে দিয়েছেন। এভাবে যে, যখন মৃত ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার জীবিত করা হবে, তখন তার মনে হবে, এই বুঝি আসরের সময় চলে যাচ্ছে, এখনই সূর্য ডুবে যাবে। আবার এদিকে মুনকার-নাকির খুব দ্রুত এবং ভয়ঙ্কর আকৃতি ধারণ করে প্রশ্ন করবেন, তোমার প্রভু কে? আর নামাযী ব্যক্তি নামাযের চিন্তায় এতই মগ্ন থাকবেন যে, তিনি প্রশ্নের কোন পরওয়াই করবেন না। কোন ধরণের ভয়ভীতিও তার থাকবে না। তাই আল্লাহ তায়ালা আসরের নামায ফরয করেছেন, যাতে সেই সময় মুসলমান নামাযের অভ্যস্ত থাকে। আর কবরের প্রশ্নের সময় শুধু নামাযের কথাই অন্তরে থাকে। আর তার অন্তর যেন নামাযের দিকেই ফিরানো থাকে। মুনকার-নাকিরের আওয়াজের প্রতি ভ্রুক্ষেপও যেন তার না থাকে বরং সে যেন নামায নামায বলে শ্লোগান দিতে থাকে। আর এটা কোন নতুন বিষয় নয়। এ ধরণের শত শত ঘটনা ইতিপূর্বে সংঘটিত হয়েছে, এখনো হচ্ছে, কোন প্রিয় বস্তুর চিন্তায় পড়লে অন্য সবকিছু থেকে বে-খবর হয়ে যায়।

30/04/2023

মাগরিবের সময়ে নামায ফরয হওয়ার কারণ
প্রথম উত্তর: হযরত ইয়াকুব আ. প্রায় ৪০-৮০ বছর পর্যন্ত হযরত ইউসূফ আ. এর বিরহে অত্যন্ত অস্থির জীবন যাপন করছিলেন। যখন আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করলেন এবং বাহক দ্বারা হযরত ইউসূফ আ. এর জামা তাঁর দরবারে পৌঁছান, তখন জামাটি ইয়াকুব আ. এর চেহারার ওপর রাখা হল। সাথে সাথে তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরে এল এবং তাঁর সব চিন্তা দূরিভূত হয়ে গেল। তিনি বাহকের কাছে জানতে চাইলেন, আমার ইউসূফ কোন ধর্মের ওপর আছে, সে আবার ধর্মকর্ম পাল্টে ফেলেনি তো? বাহক বলল, না তিনি ইবরাহীম আ. এর দ্বীনের ওপর অটল আছেন। তখন ইয়াকূব আ. কৃতজ্ঞতা বশত: তিন রাকাত নামায পড়লেন। প্রথম রাকাত দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার শুকরিয়া হিসাবে, দ্বিতীয় রাকাত ইউসূফ আ. এর জীবিত থাকার শুকরিয়া স্বরূপ, তৃতীয় রাকাত তিনি দ্বীনে ইবরাহীমীর ওপর অটল থাকার শুকরিয়া হিসাবে। হযরত ইয়াকূব আ. এর অনুকরণ করার জন্য উম্মতে মুহাম্মদীর ওপর মাগরিবের নামায ফরয করা হয়েছে।
দ্বিতীয় উত্তর: মাগরিবের সময় দিনের আলো শেষ হয়ে রাতের অন্ধকার শুরু হয়। সময়টা অত্যন্ত বিপজ্জনক, কারণ তখন বিভিন্ন হিংস্র প্রাণী এবং খারাপ জ্বীনদের উপদ্রব শুরু হয়। এজন্যই মাগরিবের পর বাচ্চাদের ঘরের বাইরে রাখার ব্যাপারে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা আছে। আবার এদিকে অন্ধকারের কারণে চক্ষুদ্বয়ও নিষ্ফল হয়ে পড়ে। মোটকথা, আত্মরক্ষার কোন উপায় উপকরণ থাকে না। এমন অবস্থায় আল্লাহই একমাত্র আমাদের রক্ষা করতে পারেন। আর যেহেতু নামায বান্দার হেফাজত অর্জন করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম, তাই মাগরিবে তাকে নামায পড়তে হয় যাতে আমরা পুরো রাত সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে বেঁচে থাকতে পারি।
তৃতীয় উত্তর: সন্ধ্যায় পুরো দিনের সমস্ত নেয়ামত পূর্ণ হয়। এমনিতে প্রত্যেক নেয়ামতের জন্য স্বতন্ত্রভাবে শুকরিয়া আদায় করা উচিৎ, তাই দিনের রহমতের বর্ষণ শেষ হওয়ার সাথে সাথে নামায আদায় করে সব রহমত আর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার একটা ব্যবস্থা করা হল। কেননা অধিকাংশ বস্তুর শেষাংশকেই মূল ধরা হয়।
এশারের সময়ে নামায ফরয হওয়ার কারণ
প্রথম উত্তর: হযরত মূসা আ. মিশর থেকে বনী ইসরাঈলকে নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার দিন চারটি বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন- ১. নিজে সুস্থভাবে লোহিত সাগর পাড়ি দেওয়া, ২. স্বজাতিকে পার করানো, ৩. ফেরাউন থেকে মুক্তি পাওয়া, ৪. ফেরাউনের ধ্বংস। অতএব আল্লাহ তায়ালা এশারের সময় তাঁকে এ চার ধরণের চিন্তা থেকে মুক্তি দিলেন। কুরআন কারীমে এর বর্ণনা এসেছে- আর আমি ফেরাউন এবং তার পুরো বাহিনিকে সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছিলাম। (সূরা বাকারা, আয়াত ৫০)
তখন মূসা আ. চার ধরণের চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়ার কৃতজ্ঞতা আদায়ে চার রাকাত নামায আদায় করেন। এ ধরণের শুকরিয়া আদায় করা আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মদীর ওপর ফরয করে দিলেন যাতে বাতিলের মোকাবিলায় সত্যের জয়ের ওপরে আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। কেননা সব সফলতাই তো আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে, মানুষ কখনো স্বীয় শক্তিমত্তার সাহায্যে সফলতা আনতে পারে না।
দ্বিতীয় উত্তর: এশার সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিরাজে গমন করে অনন্য সম্মান লাভ করেন। বিশেষ এই মিরাজ তো শুধু রাসূলের জন্যই ছিল, কিন্তু রূহানী মিরাজ অর্থাৎ নামাযতো সব মুসলমানের জন্য। আসল মিরাজ আর তার প্রতিরূপ নামাযের মাঝে সামঞ্জস্য সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এশার সময়টিকে নির্ধারণ করা হয়েছে। কেননা, বরকতময় কাজের সময়গুলো বরকতময় হয়ে থাকে। আবার সময়ের মধ্যে মিল থাকার কারণে উভয়ের মাঝে সামঞ্জস্যটুকুও ফুটে ওঠে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার সময় আসমানসমূহের ওপর তাশরীফ নিয়ে গেলেন। সেখানে আল্লাহর দীদার নসীব হল। আর তাঁর উম্মত আসমানের পরিবর্তে মসজিদে যায়। সেখানে আল্লাহর রূহানী যিয়ারত অর্জন করে বিরল মর্যাদার অধিষ্ঠিত হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- নামায মুমিনের মিরাজ।
তৃতীয় উত্তর: নামাযের অন্য চার ওয়াক্তে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও তাদের প্রভুদের পূজা করে। কিন্তু এশার সময়টিতে তারা ইবাদত করে না, খাওয়া-দাওয়া, ঘুম ইত্যাদিতে ব্যস্ত থাকে। মুসলমান এই সময়টিতেও নিজেদের আসল কর্ম অর্থাৎ যার জন্য তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে, তা আনন্দ চিত্তে আদায় করে থাকেন। আর মুসলমানদের সৃষ্টি করা হয়েছে ইবাদতের জন্য। যেমন আল্লাহ বলেন- আমি মানুষ এবং জ্বীনকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। (সূরা যারিয়াত, আয়াত ৫৬)
মুনাফিকদের জন্যে ২ ওয়াক্ত নামায অত্যন্ত কঠিন
একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাযের জন্য ঘর থেকে বের হতে দেরী করে ফেলেন। এদিকে মসজিদে আগত মুসল্লীগণ দেরী হওয়ার দরুন ঝিমুচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে বললেন, তোমরা আনন্দিত হও! কারণ তোমরা এমন একটা সময়ের অপেক্ষা করছ, যার জন্য কেউই অপেক্ষা করে না। অর্থাৎ এশার সময়টি শুধু তোমাদের জন্যই দান করা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মুনাফিকদের বেলায় ফজর এবং এশার নামায অত্যন্ত কঠিন। যদি তারা জানত, এই নামাযদ্বয়ের সওয়াবের পরিমাণ কত বেশি? তখন তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে ছুটে আসত। (মুসলিম শরিফ) (চলবে)

29/04/2023

এমন যদি আইন হত! এশার ছলাতের আজান হবার স‌ংঙ্গে সংঙ্গে বাংলাদেশের সব ব্যাবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকবে।

26/04/2023
Want your school to be the top-listed School/college in Barishal?

Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

দলে দলে বিভক্তি।
জুমার খুতবা। যাত্রাবাড়ি সালাফি জামে মসজিদ।২৬/০৫/২০২৩।
মানুষের আয়ু কতটুকু সময়?
মানুষের আয়ু কতটুকু সময়?এ নিয়ে অসাধারন আলোচনা করলেন মুফতী আলাউদ্দিন হক্কানি।
আমাদের আমল পরিবর্তন করার জন্য আমরা  কি করি?
গুনাহ মাফ করার যোগ্যতা আমাদের মাঝে আছে কি?এ নিয়ে প্রশ্ন করলেন মুফতী আলাউদ্দিন হক্কানি।
গুনাহ মাফ করার যোগ্যতা আমাদের নাই।
পবিত্র জুমার খুতবা। অসাধারণ আলোচনা করলেন মুফতী আলাউদ্দিন হক্কানি।

Location

Telephone

Website

Address


Barishal
8241
Other Educational Consultants in Barishal (show all)
RNC English Language Club RNC English Language Club
Bangla Bazer
Barishal

𝚁𝙽𝙲 𝙴𝚗𝚐𝚕𝚒𝚜𝚑 𝙻𝚊𝚗𝚐𝚞𝚊𝚐𝚎 𝙲𝚕𝚞𝚋!

উদ্যোক্তা একাডেমি- Uddokta Academy উদ্যোক্তা একাডেমি- Uddokta Academy
ফজলুল হক এভিনিউ, ৩য় তলা, কাকলির মোড় সংলগ্ন
Barishal, 8200

উদ্যোক্তা একাডেমি- Uddokta Academy

Dada's Care Dada's Care
Professor Goli, Kawniya
Barishal, 8200

Dada's Care - We are here to help you with your MBA & BBA maths-related subjects.

Study Room Study Room
Jhalokathi
Barishal

Nizamuddin Degree College Hosnabad Nizamuddin Degree College Hosnabad
Hosnabad, Gournadi
Barishal, 8215

This page contain nizamuddin degree college related information and images.

Climax Academy Climax Academy
35/1 Talukder Vaban
Barishal, 8200

In order to achieve humanity for the creative development of the.

Siddiqur Rahman Sadi Siddiqur Rahman Sadi
Barguna
Barishal

Sayem Sayem
Barishal

Educational videos, !

Machuakhali Sher-E-Bangla Secondary School Machuakhali Sher-E-Bangla Secondary School
Machuakhali
Barishal, 8283

MSB High School

Wiser English Learning Academy Wiser English Learning Academy
A Wahid Sarok, Shagordi Chandu Market, Rupatoli
Barishal

Wiser English Learning Academy is newly initiated to provide tuition on a basic or advanced level of English courses (e.g IELTS, Spoken English) in association & partnership with the British Council and foreign Universities.

Pious Preparatory Madrasah Pious Preparatory Madrasah
৫নং রোড, হাউজিং এস্টেট, রূপাতলী, বরিশাল।
Barishal, 8200

The Rakib 0.3 The Rakib 0.3
Patukhali
Barishal

Vp Village Project Advanced Update