এই গল্পটা আমাদের অনেকেরই জীবনের প্রতিচ্ছবি।
মুদি দোকানে ডিম কিনতে গিয়েছি। পাশে এক লোক বাচ্চা নিয়ে দোকানে এসেছে। লোকটা সম্ভবত শ্রমিক বা রিকশাচালক। শুকনা। কন্ঠার হাড্ডি বের হয়ে গেছে। অভাব অনটন তাকে কেমন জীর্ণশীর্ণ করে দিয়েছে।
তার বাচ্চাটারও একই অবস্থা। লোকটা ২৫০ গ্রাম তেল আর লবন কিনতে এসেছে। বাচ্চাটা জুলজুল চোখে লজেন্সের বয়ামের দিকে তাকিয়ে আছে। বেচারা চাইতে সাহস পাচ্ছে না। ওর বাবা সেটা বুঝতে পেরেছে। কিন্তু দারিদ্র্য মাঝেমাঝে চোখে নির্লজ্জ টিনের চশমা পড়িয়ে দেয়। সেই কথিত "চশমার" আড়ালে ছেলের মায়াভরা মুখটা দেখে ভালোবাসায় ভেজা গলায় বাবাটা বললো, "কিছু লইবি?"
ছেলেটা লাজুক ভাবে কথা না বলে আঙ্গুল তুলে দেখালো। বাবা হেসে লজেন্সের বয়ামের কৌটা খুলে দুইটা লজেন্স বের করে ছেলেকে খুব আদর করে বলো, "তিনের ঘরের নামতাটা কও তো বাপ"
বলেই লোকটা আড়চোখে সবার দিকে হালকা তাকালো। তার সেই দৃষ্টিতে কেমন একটা চাপা উত্তেজনা। যদি না পারে? সবাই তো তাকিয়ে আছে!
ডিমের পুটুলি হাতে নিয়ে আমিও তাকিয়ে আছি ছেলেটার দিকে।
দোকানদারও সরু চোখে তাকিয়ে আছে। এই পিচ্চি পোলা! নাক দিয়ে সিকনি ঝরছে, সে বলবে তিনের ঘরের নামতা! এই কঙ্কালসার ছেলে তিনে তিনে কত হয় সেটাই তো জানে না!
ছেলের হাতে লজেন্স। সে লজেন্স দুইটা এহাত-ওহাত করছে। বাবার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে স্পোর্টস কারের গতিতে সে বলতে শুরু করলো,
"তিন অক্কে তিন, তিন দুগুনি ছয়, তিন তিরিক্কা নয়, তিন চাইরে বারো...."
কেমন টেনেটেনে গানের তালে মাথা নেড়েনেড়ে সে বলে যাচ্ছে। বাবার চোখে যেন নামতার পাতাটা সেঁটে আছে, ও শুধু দেখে দেখে পড়ে যাচ্ছে।
নামতা শেষ হলো ত্রিশ কি চল্লিশ সেকেন্ডে। শেষ করে সে একটা লজেন্স মুখে পুড়লো। মুখ ঝলমল করে বাবাকে বললো, "আব্বা, চাইরের নামতাও পারি। কমু?"
সেই জীর্ণ লোকটা, হয়তো প্রতিদিন ঠিক মতো পয়সা পায় না। পাঁচটাকা বেশী রিকশা ভাড়া চাইলে দুইচারটা গালি খায়, মহাজনের গুঁতা খায়।
সেই গাল ভাঙ্গা কুঁজো হয়ে যাওয়া লোকটা প্রতিদিনই হেরে যায়। সমাজের কাছে, সংসারের কাছে, পিতৃত্বের কাছে।
আজ সে হারেনি। আজ তার অনেক বেশি আনন্দ। সবার সামনে ছেলে তার মুখ উজ্জ্বল করেছে। এবার সে আড়চোখে না, পূর্ণ দৃষ্টিতে আমাদের সবার দিকে তাকালো। তার চোখে গর্বের অশ্রু, আনন্দাশ্রু।
যে লোক শুধু পরাজিতই হয়, আমাদের চোখে, আসলে সে পরাজিত না। সে আসলে অনেক বড় যোদ্ধা। আমাদের চেয়ে অনেক সাহসী। আমরা তো যুদ্ধের আগে নানান পরিকল্পনা করি, কত ফন্দিফিকির, কাকে নিচে নামিয়ে কাকে মাড়িয়ে আমরা উপরে উঠবো।
কিন্তু এই লোকগুলো কাউকে মাড়িয়ে উপরে উঠতে চায় না, নিশ্চিত পরাজয় জেনেও প্রাণপণ যুদ্ধ করে যায়।
যে সিঁড়ি বেয়ে আমরা তড়তড়িয়ে উপরে উঠে যাই, আমরা কি জানি তাদের কাঁধের উপরই সেই সিঁড়ি চাপানো!
লোকটা আজ সাহস পেয়েছে। তিনের ঘরের নামতাটা শুধু নামতা নয়, একটা সাহস, একজন বাবার শক্ত একটা কাঁধ, একটা অবলম্বন। তিনের ঘরের নামতাটা এই দরিদ্র লোকটার স্বপ্ন পূরণের উপাখ্যান।
লোকটা তার ছেলেকে কোলে তুলে ফেললো। সে কেঁদেই ফেলেছে। এই সময় হুট করে দোকানী ডীপফ্রিজ খুলে একটা ললি আইসক্রিম পিচ্চির হাতে দিলো,
"সাবাস! জজ ব্যারিস্টার হইয়া দেখায়া দিস সবাইরে! ল, আইসক্রিম খা। বেশি খাইস না, গলা ফুইলা গেলে কথা কইবার পারবি না।"
ছেলেটা খুশি মনে আইসক্রিমটা নিলো। বাবা ছেলে চলে গেলো। আমি ওদের দিকে তাকিয়ে আছি।
দোকানদার আমাকে বললো, "আমি তো ভাববারও পারি নাই। বান্দরটা কেমনে চ্যালচ্যালাইয়া নামতা কইয়া দিলো! দেখলেন নি কারবার ডা!"
একি! দোকানির চোখেও পানি! আসলে যারা ক্ষুধার কষ্ট বোঝে, তাদের একজনের মনের সাথে অন্যজনের মন একই সুতোয় গাঁথা থাকে। একজনের কষ্ট আরেকজন বুঝতে পারে, আবার আনন্দগুলোও স্পর্শ করে প্রবলভাবে।
আর আমরা? কোটি টাকার স্বপ্নে বিভোর আর প্রতিযোগীতার উন্নাসিকতায় ভুলে যাই আমরা আসলে কি!!!
আমি ডিম হাতে একা একাই হাঁটছি আর বলছি, "তিন অক্কে তিন, তিন দুগুনে ছয় ..."
আমাকেও সংক্রামিত করেছে তাদের জয়ের আনন্দ ❤️
সংগৃহীত
Bagdha Ibtedaye Cadete Madrasha
Assalamu alikum "Bagdha Ibtedaye Cadete Madrasha" is a modern and islamic institute in Bagdha.
Operating as usual
রবিউল আউয়াল প্রিয় রাসুলে কারীম সা. এর আগমনের মাস।সেই উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের যৌথ কণ্ঠে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জনপ্রিয় নাতে রাসুল সা. "ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলোরে দুনিয়ায়"।
আসবেই আসবে এ দেশের ক্ষমতা নতুন এক ওমরের দখলে।ইনশাআল্লাহ। ✊🇧🇩🤲
বানভাসিদের জন্য আমাদের ক্ষুদ্রতম প্রয়াস...
আপনিও চাইলে আমাদের ছোট বাচ্চাদের সাথে শরিক থাকতে পারেন।
যোগাযোগ :
মাও. মীর মুহা. শাহজালাল
+8801604318966
কতটা সাবলীলভাবে গাইলো।মন্ত্রমুগ্ধের মতোই শুনছিলাম বারংবার। আপনারাও শুনুন আন্দোলিত হবেন সুরের মূর্ছনায়।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।
২:১১ মিনিটে হুজুর কেবলা রফিকে আলার দরবারে চলে গেলেন।
ইবতেদায়ী ক্যাডেট মাদ্রাসার দ্বিতীয় সেমিস্টার পরিক্ষা ২০২৪ ইং ।
আজ আরবী ১৪৪৬ হিজরির প্রথম জুমুআ,
আল্লাহ আপনি আমাদের সকলকে এই পবিত্র জুমার দিনের অসিলায় মাফ করে দিন।
বাবাকে নিয়ে ছাত্রীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা...
বাবা! তোমার শাসন,তোমার বারণ যত
ভালবাসা তার-ও বেশি,
হৃদয় গহীনে তুমি,আমার পৃথিবী তুমি
অনেক বেশি ভালোবাসি!
ও বাবা!অনেক বেশি ভালোবাসি।।
fans
শিক্ষকদের নিয়ে আমাদের মাদ্রাসার ছাত্রীদের যৌথ কণ্ঠে মুগ্ধতা কাড়া একটি সঙ্গীত...
জীবনের লক্ষ্য স্থির হোক সুরে সুরে...
শিক্ষকগণের ৯ প্রকারের দোষমুক্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন:
১। লোভ - লালসা ২। আকাঙ্খা ৩। রাগ ৪। মিথ্যা ৫। পরনিন্দা ৬। কৃপণতা ৭। হিংসা - বিদ্বেষ ৮। অহংকার ৯। লোক দেখানো আমল
শিক্ষকগণকে ৭ টি গুণ অর্জন করতে হবে : ১। মেজাজের ভারসাম্যতা ২।সচ্চরিত্রতা ৩। সৎ উদ্দেশ্য ও ন্যায়- নীতির অনুসারী ৪। সহনশীলতা ৫। অল্পে তুষ্টি ৬। ধৈর্য্যশীলতা ৭। কৃতজ্ঞতা
শিক্ষকের ভাষাগত ৩টি গুণ থাকা অপরিহার্য: ১। ধীরস্থিরতা ২। সহজতা ৩। মধুরতা
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সবাইকে ধৈর্যধারণ করার তওফিক দান করুন।
সাপ্তাহিক জলসায় শিক্ষার্থীদের তেলাওয়াত...
বাচ্চাদের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত আমাদের অঙ্গিকার।শতভাগ সফল না হলেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি অঙ্গীকার পূরণের পথে।
"কুরবানী হোক মনের পশু বুকেরই ঈদগাহে "-সুরে সুরে বাচ্চাদের কন্ঠে কুরবানির আত্মত্যাগের মহান বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র।
অল্পেই তুষ্টি...💖
পৃথিবীর সকল শিক্ষকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, নির্মল ভালবাসা ও সহস্র সালাম🧑🏫💖🥀
ভালো লাগলে সম্পূর্ণ গানের জন্য কমেন্টে জানান!
অপসংস্কৃতির বিনাশে,সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশের বিকল্প নেই।ভিডিওটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
পবিত্র কালামুল্লাহর তেলাওয়াত কতই না মধুর!
চতুর্থ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী 'কারিমা আক্তার' -এর আবেগঘন কণ্ঠে- "এত ভালোবাসো কেন মালিক আমায়"
ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যকেও শোনার সুযোগ করে দিন।
হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিলো দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা ফতওয়া জারি করেছিলো, “যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা ‘রৌরব’ নামক নরকে যাবে।” ঐ সময় তুর্কি বংশোদ্ভূত ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজী নির্যাতিত বাঙালীদের মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন এবং ১২০৪ সালে মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ারী নিয়ে সেন রাজাকে পরাজিত করে বাংলাকে স্বাধীন করেন। বক্তারা বলেন, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলাজীর বাংলা বিজয়ের মাধ্যম দিয়ে সেইদিন শুধু ভূমির বিজয় হয়নি, সাথে মুক্ত হয়েছিলো বাঙ্গালীদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’।
ভাষাবিদ দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন, “মুসলমান সম্রাটগণ বর্তমান বঙ্গ-সাহিত্যের জন্মদাতা বললে অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গ-সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গ-ভাষা বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা।” অধ্যাপক ও গবেষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “যদি বাংলায় মুসলিম বিজয় ত্বরান্বিত না হতো এবং এদেশে আরো কয়েক শতকের জন্য পূ্র্বের শাসন অব্যাহত থাকতো, তবে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং অবহেলিত ও বিস্মৃত-প্রায় হয়ে অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হতো।”
মধ্যযুগে মুসলিম শাসকদের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষার যে সাহিত্য চর্চা শুরু হয়, তার মাধ্যমে বাংলা ভাষা একটি পরিপূর্ণ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার যোগ্যতা অর্জন করে।
বাংলা ভাষাকে কলুষিত করার চেষ্টা পরবর্তীতে যুগে যুগে আরো হয়। ১৮শ’ সনে ব্রিটিশরা কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বাংলা ভাষার আরবী ও ফারসী শব্দ বাদ দিয়ে সংস্কৃত শব্দ প্রবেশের উদ্দেশ্যে সাহিত্য চর্চা শুরু করে। তারা দেখাতে চায়, “বাংলা ভাষার সাথে মুসলমানদের কোন সম্পর্ক নেই”।
মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রচার করা হয়, বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন শরীফ অনুবাদ নাকি গিরিশ চন্দ্র সেন করেছে। অথচ ১৮৮৬ সালে গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদের বহু পূর্বে ১৮০৮ সালে বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমীরুদ্দীন বসুনিয়া। এরপর ১৮৩৬ সনে মৌলভী নাঈমুদ্দীন পূর্ণাঙ্গ কুরআন মাজীদের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। অথচ এ ইতিহাস প্রচার করা হয় না।
সুত্র: খন্দকার কামরুল হুদা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও শেখ মুজিব, ১৯৯৫ পৃ. ৩২, বাংলাপিডিয়া
লেখক.. DrYear Ali
আলহামদুলিল্লাহ!বাগধা ইবতেদায়ী ক্যাডেট মাদ্রাসার সম্মানিত শিক্ষক মাও. মো.শফিকুল ইসলাম নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ এর প্রধান নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষন কেন্দ্র থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে তার দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Telephone
Address
Bagdha, Agailjhara
Barishal
8242
P943+4M9, Bhanga-Barisal Highway, বরিশাল
Barishal, 8200
কারিগরি শিক্ষা আত্মনির্ভরশীলতার চাবিকাঠি
Bogra Road Barisal, 8200
Barishal
Oxford Mission High School Is a Leading School in Barisal, It Was Established in 1900. The "Epiphany
Barishal
yes i can. we are discussion all students primary method educate. it’s online class
Moshang
Barishal, 8222
“Education breeds confidence. Confidence breeds hope. Hope breeds peace.”