
Bailchari Nazmunnessa High School
Comments
https://eduguideline.com/
Bailchari Nazmunnessa High School. Founder: Ameerul Hajj Khan Bahadur Badi Ahmad Chowdhury
Operating as usual


খান বাহাদুর বদি আহমদ ছৌধুরী Ameerul Hajj Khan Bahadur Badi Ahmad Chowdhury প্রতিষ্টিত বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের কিছু রুপান্তর

স্কুলের গোল্ডেন টাইম


আমাদের শ্রদ্দেয় সাবেক সভাপতি
২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে বাঁশখালী বৈলছড়ী নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ডা. মনিরুল আলমের শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল করিম এবং সভাপতি আহমদুল ইসলাম চৌধুরী বক্তব্য রাখছেন।
www.ahmadulislamchowdhury.info
ওয়েবসাইট এর ফটো গ্যালারী থেকে নেয়া

এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এক যুবক তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে দেখতে পেলেন। বহুদিন পর ছোটবেলার শিক্ষককে দেখে যুবক তাঁর কাছে ছুটে গেলেন এবং বললেন, "স্যার, আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন ?"
শিক্ষক বললেন, ''না, আমি খুব দুঃখিত, তোমাকে চিনতে পারছি না।"
যুবক তখন বললেন, "স্যার,আমি আপনার ছাত্র, আপনার মনে থাকার কথা, থ্রিতে পড়ার সময় আমাদের এক সহপাঠীর দামি একটি কলম চুরি হয়েছিল।
সেই সহপাঠী কাঁদতে কাঁদতে আপনাকে নালিশ করল। আর আপনি সব ছাত্রকে চোখ বন্ধ করে দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়াতে বললেন। তারপর একজন একজন করে চেক করতে শুরু করলেন । আমি ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। কারণ কলমটি ছিল আমার পকেটে।
আমি যে কলমটি চুরি করেছি তা আবিষ্কার হওয়ার পর আমি যে লজ্জার মুখোমুখি হব, আমার শিক্ষকরা আমার সম্পর্কে যে ধারণা পাবেন, স্কুলে সবাই আমাকে 'চোর' বলে ডাকবে এবং এটি জানার পর আমার মা-বাবার কী প্রতিক্রিয়া হবে- এই সমস্ত ভাবতে ভাবতে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হল।
একসময় আমার পালা এল । আমি অনুভব করলাম আমার পকেট থেকে আপনি কলমটি বের করছেন। কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আপনি কিছু বলছেন না এবং আপনি বাকী শিক্ষার্থীদের পকেট অনুসন্ধান করে চলেছেন।
তারপর যখন অনুসন্ধান শেষ হল, আপনি আমাদের চোখ খুলতে বললেন এবং আমাদের সবাইকে বসতে বললেন। ভয়ে আমি বসতে পারছিলাম না, কারণ আমার মনে হচ্ছিল একটু পরেই আপনি আমাকে ডাকবেন। না, আপনি তা না করে কলমটি সবাইকে দেখালেন এবং মালিককে ফেরৎ দিলেন।
কলমটি যে চুরি করেছে তার নাম আপনি আর কখনও কাউকে বলেননি। আপনি আমাকে একটি কথাও বলেননি, এবং আপনি কখনও কারও কাছে গল্পটির উল্লেখও করেননি।
স্যার , আপনি সেদিন আমার মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন।
এই ঘটনার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জীবনে আর অন্যের জিনিস ছুঁয়েও দেখব না। "
"স্যার, এখন গল্পটি মনে পড়েছে কি ? গল্পটি আপনার ভোলার কথা না !!"
শিক্ষক জবাব দিলেন, " হ্যাঁ! গল্পটি খুব ভালভাবেই মনে আছে আমার। তবে কার পকেটে কলমটি পাওয়া গিয়েছিল তা কখনো জানতে পারিনি। কারণ যখন আমি সবার পকেট চেক করছিলাম তখন আমি ইচ্ছে করেই তোমাদের মত নিজের চোখও বন্ধ করে রেখেছিলাম।"
এভাবেই প্রাথমিক শিক্ষকরা আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন জাতি গঠনে কাজ করে চলেন নিরন্তর। কিন্তু তাঁরা যথাযথ মর্যাদা পায়না। যতদিন না আমলারা এটা বুঝতে পারবে, ততদিন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়, জাতির প্রকৃত বিকাশ সম্ভব নয়।

বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় প্রতিষ্ঠাতা আমিরুল হজ্জ্ব খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী র জীবনের উপর আজকের দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত উপসম্পাদকীয়।
স্মরণ : খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী
ড. মুন্সি নজরুল ইসলাম
শুক্রবার , ১২ এপ্রিল, ২০১৯
আগামীকাল ১৩ এপ্রিল খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরীর ৫৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর স্মরণে আজকের এই প্রয়াস-
আমার ৩ কথা। যথা-(১) হয়, চট্টগ্রাম বিভাগে চাউল দিতেই হইবে। অথবা (২) আমাকে এখানে মারিয়া ফেলিতে হইবে। অথবা (৩) আমি এখানে কাহাকেও কোন কাজ করিতে দিব না। আমার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ পর্যন্ত, শেষ রক্তবিন্দু শরীরে থাকা পর্যন্ত আমি বাহির হইব না। আমার দেশের দুঃখ কষ্টের কথা আমি বলিবই বলিব।
হট্টগোলের মধ্যে খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী যে কথাগুলো বলেছিলেন: “আমি চট্টগ্রামের লোক। আমার দেশের লোক অনাহারে মারা যাইবে অথচ মেম্বরী গদী রক্ষার জন্য এই (অন্যায়) আদেশ রক্ষা করিয়া (এসেম্বলী হলের) বাহির হইব, ইহা আমার পক্ষে কখনও হইবে না ও হইতে পারিবে না।”
১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগের অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছিল। স্বাভাবিক খাদ্যের অভাবে মানুষ কলা গাছ পর্যন্ত খাচ্ছিল। ব্রিটিশের দুর্দান্ত প্রতাব, অবিভক্ত বাংলার কলকাতার এসেম্বলী হলে তখনকার এম.এল.এ আমিরুল হজ্ব খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী জীবনবাজি রেখে উক্ত পার্লামেন্ট অধিবেশনে ১৯৪৪ সালের ৭ জুন স্পিকারের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হন। এতে ব্রিটিশ সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের দুর্ভিক্ষের কারণে দু’টি বিশেষ ট্রেন ও দু’টি বিশেষ স্টিমার যোগে চট্টগ্রামের জন্য ৭ লক্ষ টন চাউল প্রেরণ করেন। ফলে দুর্ভিক্ষ দমন হয়, চাউলের বাজার পর্যায়ক্রমে স্থিতিশীল হয়ে আসে। তখনকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি.এস.এম. স্টুয়ার্ট সেই চাউল পেয়ে অধীনস্থ সকল অফিসারদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্য স্থানে চট্টগ্রামের লকাড়ু পার্লামেন্টেরিয়ান খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আপনি চট্টগ্রামবাসীকে ও বিভাগীয় লোকদেরকে বাঁচালেন”।
বস্তুত আমিরুল হজ্ব খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরীর জীবন মানব কল্যাণে। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক, শাসনে, ন্যায় বিচারে ছিলেন কঠোর। দেশপ্রেমের পাশাপাশি ধর্ম পালনের ভিতর দিয়ে মানব কল্যাণে তাঁর জীবন অতিবাহিত হয়।
তাঁর পূর্ব পুরুষ পবিত্র আরব বংশীয়। মহান হযরত ছৈয়দ আবদুর রহমান ছিদ্দিকী পবিত্র আরব ভূমি হতে ভারতবর্ষের গৌড়ে আসেন ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে। তাঁর অধস্তন ছৈয়দ মুহাম্মদ খান ছিদ্দিকী দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার মল্লিক সোবহান গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তিনি ছিলেন নবাব শায়েস্তা খানের নায়েবে উজির তথা প্রতিমন্ত্রী। তাঁরই অধস্তন পুরুষ মুহাম্মদ হোসেন চৌধুরী, যিনি আহমদ হাসেন চৌধুরী নামেও পরিচিত। তিনি ১৭০০ শতাব্দীর দিকে বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ী গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তাঁরই বংশধর আমিরুল হজ্ব খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী ১৮৮৬ সালের ২৩ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তারা ৩ ভাই ২ বোন। অপর দুই ভ্রাতা হলেন খান সাহেব আলহাজ্ব রফিক আহমদ চৌধুরী ও কাজী আলহাজ্ব আজিজ আহমদ চৌধুরী। দুই বোন হলেন আছিয়া খাতুন চৌধুরী ও আবেদা খাতুন চৌধুরী।
বদি আহমদ চৌধুরী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তের পর পরই কর্ম জীবনে পা বাড়ান। মাত্র ১৮ বছর বয়সে আনোয়ারা বরুমচড়া মামা বাড়ির আবদুল বারীর মুন্সি এস্টেট ম্যানেজারের চাকরিতে নিযুক্ত হন। এখানে ত্যাগ ও নিষ্ঠার সাথে ২/১ বছর অতিবাহিত করার পর আনোয়ারা বিখ্যাত জমিদার এরশাদ আলী সরকারের সংস্পর্শে আসেন। এরশাদ আলীর এস্টেটে দীর্ঘ দিন ধরে দায়িত্ব পালন করেন। বিশাল জমিদারী এস্টেটের গুরু দায়িত্ব পালনে তিনি প্রভাবশালী ও প্রজামহলের কাছে সমানভাবে আলোকিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। ফলে ব্রিটিশ কর্তৃক প্রথম ইউনিয়ন বোর্ড গঠন তথা ১৯২০ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত একাধারে ৩০ বছর বাঁশখালীর বৈলছড়ী-কাথারিয়া ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯২৯ সালের জুন মাসে প্রথম বার উত্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে বাংলাদেশের প্রান্তসীমা টেকনাফ পর্যন্ত তৎকালে ১৩ থানার এম.এল.সি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। ৮ বছর পর্যন্ত এ পদে অধিষ্ঠিত থাকেন তিনি।
পরবর্তীতে ১৯৪৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগের ৫ জেলা তথা বৃহত্তর চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বৃহত্তর নোয়াখালী, ত্রিপুরা (বর্তমান বৃহত্তর কুমিল্লা) ও বৃহত্তর সিলেটের জমিদারগণের প্রতিনিধি হিসেবে এডভোকেট প্রবুদ কুমার দাশ এন.বি.বি.এল কে পরাজিত করে বিপুল ভোটে এম.এল.এ নির্বাচিত হন। বেঙ্গল এসেম্বলীতে সদস্য থাকাকালীন প্রায় প্রতিটি অধিবেশনে তিনি বক্তব্য উপস্থাপন করতেন।
জনসেবা ও জনগণের কল্যাণের জন্যই কাজ করতেন। চট্টগ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নে শিক্ষা সংস্কৃতির প্রসারে প্রতিকৃত হিসেবে ভূমিকা রেখে গেছেন। তাঁর উদার দিল ও অঢেল সাহসে তখনকার চট্টগ্রাম ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়নি। চট্টগ্রামের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করার আইন পাস, শিক্ষাকর স্থগিতকরণ, অসংখ্য স্কুল কলেজে সরকারি অনুদান ও সাহায্য প্রদান, নিজ উদ্যোগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা, নিজ গ্রামে ডাকঘর, বাজার , ডাক্তার খানা প্রভৃতি তাঁরই প্রচেষ্টার ফসল।
১৯১৯ সালে ৩৪ বছর বয়সে সর্বপ্রথম তাঁর ফরজ হজ্ব আদায় করেন। সেই বছর তিনি আকবরী হজ্ব পেয়েছিলেন। ভারতীয় হজ্ব কমিটির একাধিক বার সদস্য ছিলেন। ১৯৩৫ সালে তিনি পুনর্বার ভারত সরকারের হজ্ব প্রতিনিধি তথা আমিরুল হজ্ব হিসেবে মুম্বাই থেকে হজ্বে গমন করেছিলেন। ঐ সময় সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ হজ্ব উপলক্ষে মক্কা শরীফে ছিলেন। ফলে খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী ভারতবর্ষ সহ বিশ্বের হজ্ব যাত্রীগণের সুযোগ সুবিধার বিষয়ে একাধিক বার বাদশাহ আবদুল আজিজের সাথে সাক্ষাৎ করেন। পরবর্তী বছর ১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ সরকার জনসেবার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে খান বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেন।
তিনি জীবনে ভারতবর্ষের বড় বড় প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের মেম্বার ছিলেন। তৎমধ্যে ইন্ডিয়া রোড বোর্ড কমিটি, আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে এডভাইজারী কমিটি, বেঙ্গল মেডিকেল স্ট্যান্ডিং কমিটি, বেঙ্গল ইরিগেশনাল স্ট্যান্ডিং কমিটি, বেঙ্গল রেভিনিউ স্ট্যান্ডিং কমিটি, বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল বোর্ড, চট্টগ্রাম ডিস্ট্রিক বোর্ড, স্কুল বোর্ড, ইন্ডাস্ট্রি বোর্ড, চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কমিটিসহ বহু প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় জমিদার এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী, পটিয়া টি কোম্পানীর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, কলকাতা দেশ প্রিয় সুগার মিল, ইন্দো বার্মা ট্রেডার্স ব্যাংক ইত্যাদি একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডাইরেক্টর ছিলেন।
তাঁর জমিদারী আভিজাত্য জীবন একালে ভাববার বিষয়। বাঁশখালী গ্রামের বাড়িতে প্রতি বেলায় নিয়মিত ৬০/৭০ জন লোক খাবার খেতেন। তৎমধ্যে ৮/১০ জন মুন্সি কেরানী, ১০/১২ জন কাজের লোক, ১০/১৫ জন কাজের মেয়ে থাকত। নিজ বাড়ি ঘর বাদেও প্রাইমারী ও হাই স্কুল, পোস্ট অফিস, ডাক্তারখানা ইত্যাদি সেবামূলক কাজের কল্যাণে তাঁর বাড়িতে মাসিক বেতনে কাঠ মিস্ত্রী থাকত। আরও থাকত দালান নির্মাণের মিস্ত্রী। বাঁশখালী গ্রামের বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম শহর ও বৃহত্তর চকরিয়া- উজানটিয়া- রাজাখালী যাতায়াতের জন্য থাকত নিজস্ব ব্যবস্থাপনা। যেমন তাকে বহনের জন্য বৃহৎ পালকি, কয়েকটি ঘোড়া, নদীপথে যাতায়াতের জন্য নিজস্ব সাম্পান, সেই অনুপাতে মাসিক বেতনে লোকজন থাকত। এ সব লোকদের গ্রামের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া ফ্রি। বাঁশখালী গ্রামের বাড়িতে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মুসাফিরের খাবার ব্যবস্থা থাকত। সেই সময় পায়ে হেঁটে যাতায়াতকালে কোন সম্ভ্রান্ত পরিবারে রাত্রিযাপন করার প্রচলন ছিল। সন্ধ্যার পর মুসাফিরের সংখ্যা ২০/৩০ জন অবস্থাভেদে ৪০/৫০ জন বা তারও বেশি হত। মুসাফিরের খাবারের মেনুতে থাকত সবজি ,মাছ বা মাংস কোন এক প্রকারের। তাঁর ঘরে অতিথির খাবার নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার ছিল। আরবীয়রা সাহায্যের জন্য আসতেন প্রতি বছর। একাধিক আরবীয় গ্রুপ তাঁর বাড়িতে অবস্থান নিতেন। তাঁদের জন্য আরবীয় নিয়মে মরিচবিহীন খাবার রান্না হত। বাড়ির সম্মুখস্থ নজমুন্নেছা প্রাইমারী ও হাই স্কুলের কোন বেতন ছিল না ছাত্র/ছাত্রী হতে। তিনি নিজ তহবিল থেকে মাসিক শিক্ষক বেতন, টুল টেবিল, আসবাবপত্র, খাতা কলম, কালি, ডাস্টার, চক ইত্যাদি প্রধান শিক্ষকের চাহিদামত প্রদান করতেন। বাঁশখালী তাদের বাড়ির ভিতরে ও সম্মুখ দিকে তিনটি পুকুর,চতুরদিকে গড় খাই ,বাড়ির সম্মুখ দিকে পারিবারিক মসজিদ, মকতব, ইউনিয়ন পরিষদ, প্রাইমারী স্কুল, হাই স্কুল ঐ সংলগ্ন খেলার মাঠ,বাজার, বাজার মসজিদ, পুকুর, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সাব পোস্ট অফিস মিলে বহু একর এরিয়া নিয়ে তাঁর খানদানী পরিবারের আভিজাত্য ভেসে উঠে।
চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া মিয়াখান নগরে ১৯৫০ সালে দ্বিতল বিশিষ্ট দালান নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে আরও দুটি দালান ও একটি বাংলো বাড়ি নির্মাণ করা হয়। সেই সময় রাস্তার ধারে নলকূপ বসিয়ে বাকলিয়া বাসীর জন্য উৎসর্গ করেন। ফলে স্রোতের মত নর-নারী আসতে থাকত নলকূপ থেকে খাবার পানি নিতে। যেহেতু ঐ সময় গ্রামাঞ্চলে নলকূপ ছিল না। মানুষের পুকুরের পানি খেতে হত। সে মতে পুকুর সংরক্ষণ করা হত। কিন্তু বাকলিয়াতে খাওয়ার পানির উপযোগী কোন পুকুর ছিল না। বাঁশখালী ও বৃহত্তর চকরিয়াবাসী চট্টগ্রামে আসলে এখানে থাকতেন ফ্রি, সাথে খাবারও।
প্রায় প্রতি বছর চট্টগ্রাম শহরে তাঁর স্মরণ সভা হয়ে থাকে। প্রায় সভায় সাবেক এম.এন.এ ও রাষ্ট্রদূত আতাউর রহমান খান কায়সার উপস্থিত থাকতেন। তিনি বক্তব্যে প্রসঙ্গে বলেন,“চট্টগ্রামে অনেক খান বাহাদুর রয়েছে। তাদের পরিচিতি পেতে খান বাহাদুর বলে নাম উল্লেখ করতে হবে। কিন্তু শুধু খান বাহাদুর সাহেব বললে এতে খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরীকে বুঝাবে”। অর্থাৎ তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলে খান বাহাদুর হিসেবে এত বেশি পরিচিতি লাভ করেছেন।
অতি বয়স্ক জনের মুখে এখনও শুনা যায়, ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ হওয়ার সময় সংখ্যালঘুরা প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন। চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিশেষ করে বাঁশখালীতে যাতে সংখ্যালঘুরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এতে তাঁর প্রবল ভূমিকা ছিল। ন্যায়পরায়ণ, ন্যায় বিচার ইহাই ছিল তাঁর আদর্শ চরিত্র।
খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরীর সময় নিষ্টতা ও শৃংখলাবোধ একালে ভাববার বিষয়। রুটিন মাফিক সঠিকভাবে কাজটি সেরে ফেলার জন্য তিনি থাকতেন তৎপর। এতে তিনি ঘন্টা মিনিটত নয়ই সেকেন্ড পর্যন্ত হিসাব রাখতেন। যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে অবাক করা ব্যাপার মনে হবে। এ মহান ব্যক্তিত্ব ১৯৬২ সালের ১৩ এপ্রিল শুক্রবার নিজ বাড়ির মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে কিছুক্ষণের ব্যবধানে ৭৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। মহান আল্লাহ পাক এ জনদরদী খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরীকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক। আমিন।
লেখক : প্রফেসর (অবঃ), গণিত বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আমিরুল হজ্ব খাঁন বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরীর ৫৬তম মৃত্যু বার্ষিকী স্মরন সভায় সকল সুভানুদ্বায়ীর উপস্থিতি কামনা করা হচ্ছে।
Test live

সকলকে অমর একুশে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা আর সকল ভাষা শহীদদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম।


Memories of Golden Jubilee

54th Deth Anniversery of School Founder

শুভ নব বর্ষ।

News on Seminar in memory of our School founder Ameerul Hajj Khan Bahadur Badi Ahmad Chowdhury published at www.banglanews24.com
http://www.banglanews24.com/daily-chittagong/news/481072/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%A8
‘খান বাহাদুর বদি আহমদের মত অভিভাবক প্রয়োজন’ | banglanews24.com খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরীর মত সাহসী নির্ভরযোগ্য অভিভাবক সমাজে আজ বেশি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ ফজলুল করিম।


54th Death Anniversery of Ameerul Hajj Khan Bahadur Badi Ahmed Chowdhury

Janab Nurul Islam Chowdhury founder member of Bailchari Nazmunnessa High School

Janab Mahmudul Islam Chowdhury founder member of Bailchari Nazmunnessa High School https://www.facebook.com/Mahmudu.Mia786

Janab Ahmadul Islam Chowdhury founder member of Bailchari Nazmunnessa High School. Ahmadul Islam Chowdhury

Founder of the School Janab Ameerul Hajj Khan Bahadur Badi Ahmad Chowdhury (MLA, MLC, President of Zaminder Association)

School compound in Winter time.

Janab Mostafizur Rahman. Renown for best teacher in English.
Hello there!
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Telephone
Address
Khan Bahadur Bari
Bailchari
CHITTAGONG
Opening Hours
Monday | 09:00 - 16:00 |
Tuesday | 09:00 - 16:00 |
Wednesday | 09:00 - 16:00 |
Thursday | 09:00 - 16:00 |
Saturday | 09:00 - 16:00 |
Sunday | 09:00 - 16:00 |