اَلسَّلاَمْ عَلَيْـــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللہِ وَبَرَكَاتُهُ🥀
★দৈনন্দিন আমল লিস্ট★
১. সালাত মনোযোগ সহকারে আওয়াল ওয়াক্তে আদায় করা, প্রতিদিন ১২ রাকাত সুন্নাতে মুআক্কাদা সহ। কারণ এই বারো রাকাআত সুন্নাহ আদায় করলে জান্নাতে আমাদের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।
২. আযানের জবাব ও দূআ পড়া। এবং আযান শেষে দুরূদ শরীফ পাঠ করা।
৩. ওযুর পর কালিমা শাহাদাত পড়া ও দূআ করা।
৪. ফরজ সলাতের পর দূআ পড়া। আয়াতুল কুরসি, তাসবীহে ফাতেমী। (৩৩ সুবহানাল্লহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লহু আকবার ১বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু..... পড়া।)
৫. সকাল-সন্ধা ও রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি, সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস ৩ বার করে পড়ে ফুঁ দিয়ে সারা শরীরে হাত বুলানো। ঘুমানোর আগে ওযু, দুআ, বিছানা ঝাড়া, সূরা মুলক, সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত পড়া এবং ঘুম থেকে উঠে দূআ পড়া।
৬. খাবার আগে পরে দূআ পড়া ও শেষে দুআ পড়া।
৭. বাথরুমে যাওয়ার আগে ও বের হাওয়ার পর দূআ পড়া।
৮. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আয়াতুল কুরসি এবং বাম পা দিয়ে বের হওয়া এবং সালাম দিয়ে ও ডান পা দিয়ে গৃহে প্রবেশ করা।
৯. শুক্রবার সূরা কাহফ পড়া, সূরা কাহফের প্রথম ও শেষ ১০ আয়াত পড়া, মুখস্থ না থাকলে মুখস্থ করা।
১০. তাহাজ্জুদ সলাতের নিয়ত করে ঘুমানো এবং যথাসম্ভব নফল সালাত (ইশরাক, চাশত, জাওয়াল ও আওয়াবীনের সলাত ইত্যাদি) আদায় করা।
১১. সোম ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বীজের সাওম রাখা।
১২.প্রতিদিন সবাইকে ক্ষমা করে, অন্তরে হিংসা বিদ্বেষ না রেখে ঘুমানো।
১২. অবসর সময় বা কাজ করতে করতে ইস্তিগফার, দুরুদ শরীফ পাঠের অভ্যাস করা।
১৩. প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করা ।
১৪. সর্বাবস্থায় আল্লহর উপর তাওয়াক্কুল এবং সবর করা।
১৫. ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো পড়া এবং অনুধাবন করা।
১৬. মৃত্যু নিয়ে ভাবা। সর্ব রোগের এক চিকিৎসা কারণ আমাদের সমস্যাগুলো মোটামুটি সবই দুনিয়াবি তাই মৃত্যুর কথা স্মরণ করলে সমস্যাগুলো হালকা মনে হবে।
১৭. নামাজের দুআ ও সূরা অর্থসহ রিভিশন দেয়া।
১৮. হালাল খাবার গ্রহণ করা, কারণ হারাম খাদ্য গ্রহণকারীর দূআ কবুল হয় না।
১৯. সকাল সন্ধ্যার মাসনূন দুআগুলো পড়া।
২০. নিজের যত্ন নেওয়া।
★বর্জনীয় কাজ★
১. গান, মুভি, মিউজিক, সিরিয়াল, টিকটিক ভিডিও, হারাম বিষয়গুলোর অভ্যাস থাকলে পরিহার করা।
২. পর্দা বা বেপর্দা, নিজের বা অন্যের ছবি আপলোড না করা।
বাচ্চাদের ছবি, খাবারের
Beauty of Islam
এই পেইজটি সম্পুর্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠা
Operating as usual
অন্তর বা হৃদপিণ্ড আরবিতে قلب বলা হয় ।
সাধারণ দৃষ্টিতে অন্তর হলো শরীরের একটি গোশতের টুকরা ।
ألا وإن في الجسد مضغة (قلب)
তথা শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে । সহীহ বুখারী - ৫২।
ইসলামে অন্তর বলতে এমন একটা স্থানকে বোঝানো হয় , যার মধ্যে সত্য বা মিথ্যা, ইমান বা কুফরী , তাকওয়া বা অবাধ্যতা ইত্যাদি থাকে।
فإن القلب الذي هو محل..رقم الفتوى... : 344320
islamweb.net
আমি বলবো অন্তর হলো শরীরের রক্ত সঞ্চালন কারী ও একটি একমুখী অনুভূতি। যেমনঃ সেখানে ঘৃণা আর ভালোবাসা দুইটা একসাথে থাকে না । শুধু একটাই থাকবে । আপনি একটা বিষয় ঘৃণার সাথে সাথে ভালোবাসতে পারবেন না।
অন্তর পুরো শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে এবং সমস্ত রক্ত এটার মধেই আবার ফিরে আসে । এ থেকে বোঝা গেল পুরো শরীরের সাথে অন্তরের স্পষ্ট তো সম্পর্ক রয়েছে ।
এই অন্তর আপনার প্রতিটি অঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করে । তাইতো ভালো হবে জেনেও ছাত্ররা পড়াশোনা করতে চায় না , ক্ষতিকর জেনেও অনেক মানুষ বিড়ি খায়।
কারন জানা থকলেই মানুষ মনুষত্ব সম্পূর্ণ হয় না।
ইসলামে অন্তরের অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । প্রথমের হাদিসটা পুরোটা পড়ুন।
عن النعمان بن بشير رضي الله عنهما قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: ((ألا وإن في الجسد مضغة إذا صلحت صلح الجسد كله، وإذا فسدت فسد الجسد كله، ألا وهي القلب))؛ متفق عليه:
নুমান ইবনে বাসির রাঃ বলেন আমি রাসুল সাঃ কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ "তোমরা জেনে রাখ শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে যদি সেটা সুস্থ হয়ে যায় পুরো শরীরেই সুস্থ হয়ে যায় । যদি এটা অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যায় । আর এটা হলো কলব বা অন্তর" ।
তাহলে বুঝতে পারলাম অন্তরের দুইটা অবস্থাঃ সুস্থ আর অসুস্থ । এই বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা কি কিছু বলছেন ? চলেন দেখে আসি ।
অন্তর যে অসুস্থ হয় এর বেপারে আল্লাহ বলেনঃ
فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ فَزَادَهُمُ اللَّهُ مَرَضًا ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ بِمَا كَانُوا يَكْذِبُونَ ﴿١٠ البقرة﴾
"তাদের অন্তরে রোগ আছে , আল্লাহ তাদের অন্তরের রোগ আরো বাড়িয়ে দেন , তারা যে এই বেপারে মিথ্যা বলেছে এই কারনে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি । "
এখানে স্পষ্ট ভাবে অন্তরের রোগের কথা বলা হয়েছে ।
তাহলে আমরা অন্তরকে কিভাবে সুস্থ করবো এবং রাখবো । দুইটা কাজ।
১-অন্তর সুস্থ করতে হলে বিশুদ্ধ ইমান আনতে হবে । আমি বলছি না বিতর্কিত বিষয় গুলোর উপর ইমান আনা । যেমন, আল্লাহ কোথায় আছেন, রাসূল সাঃ কিসের তৈরি ইত্যাদি। ইমান সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সাঃ যা বলছেন তার উপর ইমান আনলেই চলবে । জিবরাঈল আঃ রাসূল সাঃ জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহর রাসূল সাঃ ইমান কি? তিনি বললেনঃ
أن تُؤمن بالله وملائكته وكتبه ورسله واليوم الآخر، وتؤمن بالقدر خيره وشره
ক । আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। মানে لا اله الا الله
খ । ফেরেস্তাদের প্রতি বিশ্বাস। মানে ফেরেস্তারা হলো আল্লাহর হুকুম পালন কারী আল্লাহ সৃষ্টি।
গ । আসমানী কিতাব সমূহের প্রতি বিশ্বাস। মানে শুধু কোরআন নয় সমস্ত আসমানী কিতাব আল্লাহর পক্ষ থেকে তা বিশ্বাস করা । তবে কোরআন ব্যতিত অন্য কোনো কিতাব বিধ্যমান নাই ।
ঘ । রাসূলদের প্রতি বিশ্বাস। মানে আদম থেকে মুহাম্মদ সাঃ পর্যন্ত সকল নবী রাসুলদের প্রতি বিশ্বাস আনতে হবে । আর মুহাম্মদ সাঃ সর্বোশেষ নবী ও রাসূল।
ঙ । আখেরাত বিশ্বাস। মানে মৃত্যুর পরের জীবন।
চ । ভাগ্যের প্রতি বিশ্বাস, ভালো ও খারাপ দুইটার প্রতিই । কারন এটাই নির্ধারিত ছিলো ।
এর বাহিরে আর কোন বিষয়ে অতিরিক্ত প্রশ্ন করা ঠিক না । যদিও সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা আছে তারপরেও এর অতিরিক্ত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন নাই ।
২ - ইমান ঠিক রাখাঃ- ইমান ঠিক রাখতে হলে , আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করতে হবে ।
أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ [النساء:59]
"আল্লাহ ও রাসূল সাঃ এর আনুগত্য করো , এবং উলুল আমর যারা তাদের" ।
মনে করেন আপনি ইমান আনলেন কিন্তু নামাজ আদায় করেন না তাহলে আপনি কি আপনার ইমান টিকিয়ে রাখতে পারবেন?
রাসূল সাঃ বলেনঃ
من ترك الصلاة فقد كفر
"যে নামাজ ত্যাগ করলো সে কুফরি করলো " ।
এভাবে ইসলামের প্রতিটা বিষয় নিজের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমেই আপনি আপনার অন্তরকে সুস্থ রাখতে পারবেন।
আর এই সুস্থ কলবের অধিকারীরাই জান্নাতের মেহমান। আল্লাহ আমাদের সবার অন্তরকে সুস্থ করুন আমিন ।
- মোঃ মাহবুব মহসিন - আল হাদিস এন্ড ইসলামীক স্টাডি'স দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা।
আমি ভাবতেছি ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ফতুয়া দিবো আর রিয়াল কামাবো।😢😢😢 কেমন হয় ভাইয়েরা?
প্রশ্নঃ প্রেম করে বিয়ে করলে কি সংসার সুখের হয় না ?
উত্তরঃ বাস্তবতা বেশিরভাগ অসুখি হওয়াই ।
তবে আল্লাহই ভালো জানেন সুখি হওয়া আর না হওয়ার বেপারে। তবে হারামতো হারামই। কেহ ভুল পথে থাকলে তা ত্যগ করে সঠিকটা গ্রহণ করলে আল্লাহ খুশি হন ।
কাউকে পছন্দ করে মনে বিয়ের আশা করা দোষের কিছু না , কিন্তু মেলামেশা,দেখা দেওয়া, কথা বলা এগুলো সম্পূর্ণ হারাম তবে সম্পূর্ণ বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে অভিভাবকদের অনুমতি নিয়ে , সামান্য কথা বলা বা দেখা দেওয়া জায়েজ আছে ।
❏ -গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলো হলো- ❏
(১) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে শয়তান সারা রাত তার নিকটে যাবে না।
__________(বুখারি-২৩১১)।
★
★
(2) রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (আ-মানার রাসূলু–) তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে ।
__________(বুখারি- ৪০০৮)।
★
★
(৩) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সূরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শির্ক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী।
__________(সহীহ তারগীব-৬০২)।
★
★
(৪) একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার সাহাবাদের বললেন, তোমাদের কেউ কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে অসমর্থ হবে? এতে সকলকে বিষয়টি ভারী মনে হলো। বলল, একাজ আমাদের মধ্যে কে পারবে, হে আল্লাহর রাসূল?! তিনি বললেন, সূরা ইখলাস হল এক তৃতীয়াংশ কুরআন।
__________(বুখারী- ৫০১৫)
★
★
(৫) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দো‘য়া টি বলতেন।
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ
(আল্লাহুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া)।
❛হে আল্লাহ্! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো❜।
__________(বুখারি- ৬৩২৪)।
★
★
(৬) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) হযরত আলী এবং ফতেমা (রাঃ)- কে বলেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু বলে দিবো না যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা (৩৩) বার সুবহানাল্লাহ, (৩৩) বার আলহামদুলিল্লাহ্, এবং (৩৪) বার আল্লাহু আকবার বলবে, তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে।
__________(বুখারী- ৩৭০৫)।
★
★
(৭) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেন,
যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সূরা মূলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।
__________( তিরমিজি-২৮৯০)।
★
★
➤ আল্লাহ্ পাক আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুক,,
★ আমিন ★
❄ রাতে ঘুমানোর আগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল !!
# একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লক্ষ করলেন এক মহিলা পাগলের মত তার হারিয়ে যাওয়া শিশুকে খুঁজছে।অনেকক্ষণ পর সে বাচ্চাটিকে খুঁজে পেল। বুকে জড়িয়ে ধরে শিশুটাকে দুধ খাওয়াতে লাগল। একজন মা তার
সন্তানকে পাগলের মত খুঁজবেন, শিশুর ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা করবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু অতি সাধারন এই
ঘটনার মধ্যেও রাসুল (সাঃ) অসাধারণত্ব খুঁজে পেলেন।সাহাবিরাও এই দৃশ্য দেখছিলেন। তাই তিনি সাহাবিদের
**উদ্দেশ্যে বললেন, "তোমরা কি মনে করো এই মহিলা কখনো তার বাচ্চাকে আগুনের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলতে পারবে?" সাহাবীরা জবাব দিলেন, "আল্লাহর কসম! কখনোই**
**সে এটা করবেনা।**
**" রাসুল (সাঃ) তখন বললেন,**
**"এই মহিলা তার সন্তানের প্রতি যতটুকু মমতাময়ী, আল্লাহ তার**
**বান্দার প্রতি এর চেয়েও বেশি দয়াময়।"**
# # (সহীহ মুসলিম:২৭৫৪)
আইডিতে একটা পোস্ট করে অধীর আগ্রহে বসে আছেন, কখন লাইক পড়বে আর কখন ই বা কমেন্ট আসবে?
- না এটা দ্বীনি হলো না!
আইডিতে পোস্ট করেছেন ভাবছেন রিচ হচ্ছে না ক্যান, ধ্যাত!!
- না এটাও দ্বীনি হলো না!
আইডিতে এত ফ্রেন্ডস তবুও কেন আমার সাথে কেউ কথা বলে না যাই কারো সাথে জমিয়ে আড্ডা দেই! (ইবাদতের সময় যাক চলে)
- না এটাও দ্বীনি হলো না!
তাহলে দ্বীনি কোনটা?
পোস্টে রিয়েক্ট, কমেন্ট, রিচ বা ফ্রেন্ডস বানাতে আগ্রহী না হয়ে আপনার পোস্ট দেখে কেউ হেদায়েতের সুঘ্রাণ পেয়েছে কিনা এটাই আসল কথা!
আপনার পোস্টে রিচ কম কষ্ট পান কেন? হয়তো আপনার পোস্ট দেখে কেউ একজন দ্বীনে ফিরেছে। আলহামদুলিল্লাহ বলুন!
আর একটা কথা না বললেই নয়, বেছে বেছে দ্বীনি বোন যেমন লিস্টে রাখবে তেমনি বে-দ্বীনি বোনদের ও রেখো!
- কারণ দেখেই মানুষ শেখে, আমিও ফেসবুকেই কিছু দ্বীনি বোনদের সুবাদে দ্বীনের সুঘ্রাণ পেয়েছি!
আলহামদুলিল্লাহ্ 🌻
আল্লহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কখন কাকে হেদায়াত দান করবেন একমাত্র তিনি ই জানেন, আমরা কাউকে ভালোবেসে দ্বীনের পথে/হেদায়াত দিতে পারবো না। আল্লহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যাদের ভালোবাসেন তাদের ই হেদায়াত দান করেন।
আর যারা হেদায়াত পেয়েছেন তারা আলহামদুলিল্লাহ বলুন, হেদায়াত পেয়ে অবহেলা না করে দ্বীনকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরুন। হেদায়াত পেয়েও যারা অবহেলা করে তাদের থেকে হতভাগা আর কে হতে পারে!?
সংগৃহীত ও পরিমার্জিত
_এক ব্যক্তি ঘরের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে এক গরীব ব্যাক্তিকে ডাস্টবিন থেকে কিছু কুড়াতে দেখে বলল-
“আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া যে আমি গরীব নই”!
_গরীব লোকটি রাস্তার দিকে তাকিয়ে একজন পাগল ব্যক্তিকে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখে বলল-
“আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া যে আমি পাগল নই”!
_পাগল লোকটি তার সামনে দিয়ে একটি এম্বুলেন্সে এক অসুস্থ ব্যাক্তিকে যেতে দেখে বলল-
“আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া যে আমি ওরকম অসুস্থ নই”!
_অসুস্থ ব্যক্তিটি হাসপাতালে পৌঁছেই এক ব্যক্তিকে স্ট্রেচারে তুলে মর্গে নিয়ে যেতে দেখে বলল-
“আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া যে আমি মৃত নই”
_মৃত_লোকটি তার দাফনে ব্যস্ত লোকদের দিকে তাকিয়ে চিন্তা করে -
“আর একবার যদি দুনিয়াতে যাওয়ার সুযোগ পেতাম, অনেক নেকী অর্জন করে আসতাম”.....💔
কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত আজ পর্যন্ত কোন কবরবাসী মৃত্যুর পর ২য় বারের জন্য দুনিয়াতে ফিরে আসেনি।
এবার প্রথম মানুষটার স্থানে নিজেকে রেখে একবার কল্পনা করুন তো.....
এক এক করে আপনার জন্য আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতগুলো গণনা শুরু করুন। কতটা নেয়ামতের মধ্যে আল্লাহ আপনাকে ডুবিয়ে রেখেছেন, ভাবতে পারেন?
আল্লাহপাক বলেন -
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
[সুরা আর-রহমান - ১৬]
আল্লাহপ্রদত্ত সেই নিয়ামতগুলো গুনতে গেলে আপনার এই একটা জীবন অনেক ছোট মনে হবে।
তাই আসুন আমরা যে যার অবস্থান থেকে সকল অবস্থায় বলি;
٭★٭আলহামদুলিল্লাহ্٭★٭
*আপনি যখন একই গুনাহ বার বার করেন, তখন হয়তো ভাবেন আমি একই গুনাহ বার বার করছি, আল্লাহ সুবাহানু-ওয়া-তায়ালা কি আমায় আর ক্ষমা করবেন? তওবা করেই বা আর কি হবে? আমি তো পাপী। আমি তো ক্ষমা পাবোই না।
*কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে, এটা শয়তানের সবচেয়ে বড় একটি ফাঁদ। আপনি যাতে আল্লাহ সুবাহানু-ওয়া-তায়ালার কাছে তওবা না করেন, সেজন্য শয়তান আপনাকে ফুসলায়। সে আপনাকে এসে বলে একই গুনাহ বার বার করেছিস। তোর লজ্জা লাগে না তওবা করতে। আল্লাহ কি বার বার তোকে ক্ষমা করবেন নাকি?
*আপনি হয়তো বা জানেন না আল্লাহ সুবাহানু-ওয়া-তায়ালার গুণবাচক নামের মধ্যে একটি নাম "আত তাওয়াব"। অর্থাৎ বার বার তওবা কবুলকারী। আপনি যতবার গুনাহ করবেন আল্লাহ তায়ালা ততবারই আপনাকে ক্ষমা করতে প্রস্তুত।
*আল্লাহ সুবাহানু-ওয়া-তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন;
" হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের উপর জুলুম করেছ। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না; নিশ্চয়ই আল্লাহ গুনাহ-সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। তিনি তো মহা ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। [আয- যুমার: ৫৩]
*দেখুন! এখানে আল্লাহ সুবাহানু-ওয়া-তায়ালা কিন্তু বলেন নি যে, "হে মানুষেরা"! বরং তিনি বলেছেন আমার বান্দারা। কত ভালোবেসে আপনাকে ডাকছেন তিনি। কত মায়া করে ডাকছেন। আর আপনি বলছেন তিনি আপনাকে ক্ষমা করবেন না। এটা কখনো হতে পারে?
*আপনি ক্ষমা চেয়েছেন আর আল্লাহ বলেছেন আমি ক্ষমা করবোনা। এমনটা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। আপনি তওবা করতে দেরি কিন্তু তিনি ক্ষমা করতে দেরি করেন না। তাই হে আমার ভাই বোন! একটি বার আল্লাহর কাছে ফিরে এসে দেখুন না কেমন প্রশান্তি অনুভব হয় আপনার অন্তরে।
এক মুরুব্বিকে প্রায়ই দেখি মসজিদের সামনে এলোমেলো পড়ে থাকা অন্যের জুতোগুলো গুছিয়ে সোজা করে রাখেন । প্রায়ই এমন করতে দেখে ভালো লাগলো, একদিন কথা বলতে ইচ্ছে হলো । জিজ্ঞাস করে জানতে চাইলাম, 'আপনি কেন এই কাজটা করেন ।' উনি এড়িয়ে যাচ্ছিল, বলতে চাইছিল না । অনিচ্ছাকৃত ভাবে যেটা বোঝাতে চাইলো তাহলো অন্যের জুতা ঠিক করে নিজেকে উনি বোঝ দিতে চান তার কোন দাম নেই, তার কোন আমিত্ব নেই, নিজের অহমিকা এভাবে যদি কিছুটা প্রশমিত করা যায়।
একবার এক দূরের জার্নিতে এক পাম্পের টয়লেটে লম্বা সময় ওয়েট করতে হলো । একজন ঢুকছেন তো বের হওয়ার কোন লক্ষণই নাই । অনেকক্ষণ পর কাঁচা পাকা লম্বা দাড়ি নূরানী চেহারার একজন বের হলেন । পাজামা উঠানো, পাঞ্জাবির দুহাতাও কনুই পর্যন্ত উঠানো । পাঞ্জাবি পায়জামার অনেকটাই ভিজে গেছে । জিজ্ঞেস করলাম 'অনেক সময় লাগলো আর আপনার এই অবস্থা কেন ?' কোন এক মসজিদের ইমাম তিনি, বাড়ি যাচ্ছিলেন । বাথরুমে ঢুকে খুব নোংরা দেখে পরিষ্কার করে দিলেন, যেন অন্যান্য মানুষের কষ্ট না হয় ।
একবার দেখলাম এক কিশোর অজু শেষ করে দোয়া করলো । তারপর পকেট থেকে এক টুকরা কাপড় বের করে পানি ছিটায় ভিজে যাওয়া অজু খানার প্রত্যেকটা বসার জায়গা মুছে দিচ্ছিল ।
কতটা সুন্দর মনের মানুষ এরা তাই না !
একবার এক দাওয়াতে খাবারের টেবিলে সবাই খাওয়া শেষ করে উঠে গেছে । আমার ডান পাশে বসা ভাইটি সবার অলক্ষ্যে টেবিলের বিভিন্ন প্রান্তে পড়ে থাকা ভাত গুলো একে একে উঠালো, আমি কৌতুহল নিয়ে দেখছি । এবার সে ওঠে বেসিনের দিকে চলল, আমি তাকে ফলো করছি । দেখলাম সে কল ছেড়ে হাতের ভাত গুলো ধুয়ে মুখে নিল । আমি দেখে ফেলাতে কিছুটা লজ্জা পেল । আমি বললাম 'এমনটা তো কেউ করে না ।' ঝটপট দ্বিধাহীন জবাব দিলেন 'এটা আমার নবীর সুন্নত ।'
এই মানুষগুলো দেখতে আমাদের মতই কিন্তু এরা সাধারণের মাঝেও কত না অসাধারণ । আমরা অধিকাংশ মানুষ ভালো কাজগুলো জনসম্মুখে করি বাহবার আশায় । এই অদ্ভুত সুন্দর মনের মানুষগুলো আল্লাহ সন্তুষ্টি খুঁজে ফেরে সকলের অগোচরে । আপনি প্রকৃত সুন্দর ততখানি, যতখানি আপনি একাকী নিজের কাছে সুন্দর ।।
-Golam Rabbi
আরবী হরফের উচ্চারনের স্থান । এটা শেয়ার করুন আশা করি সদকায়ে জারিয় হবে । যত জন আপনার শেয়ারের কারনে জানতে পারবে এবং শিখবে ততটা ফরজ সোয়াবের অধিকারি হবেন ।
ফ্রিতে কোরআনের ভাষা শিখি --
এটা সর্ম্পূণ ফি সাবিলিল্লাহ ।
যারা আগ্রহী তারা পেইজট ফলো করেন এবং অন্যের কাছে শেয়ার করে সদকায়ে জারিয়া মূলক একটি কাজে শরিক থাকেন ।
এই পেইজ এ টিউটিরিয়াল গুলো আপলোড করা হবে এবং প্রয়োজনীয় সবকিছু ।
আলেমরা মাইর খাইছে তাতে আলেমরা আফছুছ করে না । কারন , তারা জানে আল্লাহর রাস্তায় রক্তের প্রতিটা ফুটার জন্য আল্লাহ পুরস্কার দিবেন । কিন্তু তাদের জন্য আফসোস , দুনিয়ার স্বার্থ হাসিলের জন্য দ্বীনকে বিক্রয় করছে !
ঈমান নিয়ে প্রশ্ন তুললে আপনারা আবার ট্রল করা শুরু করবেন(চরমোনাই ভোট দিলেই কি ইমান বাচবে !)
থাক ঐ বিষয়টা পাশ কাটিয়ে বলতে চাই আমরা মুসলমান এক না হলে তারা আমাদের ধংস করে দিবে ! আমরা এক হলে ইসলাম দাঁড়াবে ।
আল্লাহর রাস্তার মাধ্যমে আল্লাহ মুসলমানদের বিজয় দেন ! কিছু মানুষ কে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেন ।
তবে , আলেম ওলামাদের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়া আপনাদের দায়িত্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বদ্ধ হওয়ার মানদন্ড কি ??
ঐ মানদন্ডের উপর বিচার করুন চরমোনাই কি ঐ মানদন্ডেরই প্রতিষ্ঠা করতে চায় ?? যদি চায় তাহলে চরমোনাই কে সমর্থন করা আপনার ঈমানী দায়িত্ব।
#চরমোনাই
ধৈর্য্য ধরুন এবং সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন। আল্লাহর রহমত এর উপর নিরাশ হবেনা। তিনি নিশ্চয়ই আপনাকে সাহায্য করবেন।
😍😍 আল্লাহর কাছে চাওয়ার একটি সফল টিপস । সাবাইকে জানিয়ে দিন আল্লাহর কাছে কিভাবে চাইতে হয় ।
যেদিন সফল হবেন, সেদিন অনুভব করবেন! কত সুন্দর ছিলো আল্লাহর পরিকল্পনা...
"নিশ্চয়ই আল্লাহ সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনাকারী।"
[সূরা আনফাল : ৩০]🌸
😶😶😶 তুমি মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারবে না
বাহিরের শত্রু থেকে বড় শত্রু আমাদের নিজেদের নফস ।
আমাদের অন্তর কি তালাবদ্ধ হয়ে গেছে?
আল্লাহ কে ডাকলে আল্লাহ সাড়া দিবেনই।
আল্লাহ থাকতে ভয় কিসের ???
আমাদের যারা ধোঁকা দেয় তাদের বিশ্বাস করি না । অথচ আমাদের নিজের জীবন ই অনেক ধোঁকা দেয় ।
ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো জীবন ব্যাবস্থা পরিপূর্ণ না ।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Sylhet
3131
31, Golden Tower(2nd Floor), Airport Road, Amberkhana/৩১, গোল্ডেন টাওয়ার(৩য় তলা), এয়ারপোর্ট রোড, আম্বরখানা
Sylhet, 3100
Initiator's directed by highly skilled teachers aimed to make your journey towards dreams smooth and
Rayghor, Kanaighat
Sylhet
I will upload some classes and motivational vedio in the page . All are invited to watch the vedios .
Lamakazi Bridge
Sylhet, 3100
দু'জাহানে সাফল্য লাভের যোগ্য, দেশপ্রে?
Sylhet, 3100
গণিতকে আমরা যত কঠিন ভাবি আসলে গণিত ততো সহজ, যদি আমরা হাতে কলমে বুঝতে পারি।
Amborkhana
Sylhet, 3100
Easy Quran learning online platform সহজে কুরআন শিক্ষার অনলাইন প্লাটফর্ম
Sreekail, Cumilla
Sylhet, 3544
Hello, Students This is Golam Dastagir. i am teaching about mathematics. You can benefit and strong.
Sylhet, 3100
সিলেটের ভালো মানের ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত। গৃহ শিক্ষক দিচ্ছি 01580442109
Ambarkhana
Sylhet, 3100
Experienced Arabic Teacher Hafez Maulana Rezaul Karim, an Arabic teacher with 10 years of experience, is a teacher who is very good at reciting the Qur'an. Phone: 01827-183389