
৪টি এ+ সহ "প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়" এর এসএসসি-২০২২ এর রেজাল্ট ৯৩.৫৫% । এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীদের জন্য রইলো অভিনন্দন ও শুভকামনা।
প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল প্রকার আপ?
Operating as usual
৪টি এ+ সহ "প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়" এর এসএসসি-২০২২ এর রেজাল্ট ৯৩.৫৫% । এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীদের জন্য রইলো অভিনন্দন ও শুভকামনা।
০৭-১১-২০২২ তারিখ ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে একাডেমিক ছুটি।
চোখ উঠা কি,চোখ কেন উঠে, চোখ উঠার লক্ষণ
এবং আমাদের করণীয়
প্রতিবছরই গরম ঠান্ডার সন্ধিক্ষণ পরিস্থিতি চোখ উঠার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।তবে চোখ বছরের যেকোন সময়েই কম বেশি উঠতে পারে।অতি সম্প্রতি স্কুল কলেজগামী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চোখ উঠার প্রাদুর্ভাব খুব বেশি দেখা দিয়েছে যা স্কুল,কলেজগামী অভিভাবকদের মহা আতংকের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাছাড়া চোখ যেকোন বয়সের মানুষের হতে পারে এমনকি হচ্ছেও।তাই এই গুরুত্বপূর্ণ সমসাময়িক বিষয়টি নিয়ে আমার আজকের লেখা।তাহলে চলুন প্রিয় পাঠক চলে যাই মূল বিষয়ে।
চোখ উঠা কি
চোখ উঠা বা কন্জাঙ্কটিভাইটিস হচ্ছে চোখের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। সাধারণভাবে প্রচলিত কথা ‘চোখ ওঠা’ বলতে চোখ লাল হওয়া বুঝানো হয়ে থাকে। কিন্তু চোখ লাল হওয়া একটি উপসর্গ মাত্র। বিভিন্ন কারণে চোখ লাল হতে পারে। যেমন-জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে, এডিনো ভাইরাসজনিত কারণে, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসজনিত কারণে, স্কেলেরার ইনফেকশনজনিত কারণে,ইউভিয়াল টিস্যু ইনফেকশনজনিত কারণ ইত্যাদি। তবে ভাইরাস কেরাটাইটিস বা হারপেম সিমপেক্স ভাইরাসজনিত ইনফেকশনই মুলত ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এ ধরনের ইনফেকশনে সাধারণত এক চোখ আক্রান্ত হয়ে থাকে। পরবর্তীতে দুচোখেও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চোখে চুলকানির লক্ষণও প্রতিয়মান হয়।
চোখ কেন উঠে
সাধারনত অতি গরম থেকে আবহাওয়া ঠান্ডার দিকে যাবার কালে গরম-ঠান্ডার সন্ধিক্ষণে পরিবেশগত ভাবেই চোখ উঠতে শুরু করে।তবে চোখ উঠা হতে পারে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে। এ ছাড়া ভাইরাস আক্রমণের কারণেও চোখ উঠার সমস্যা হতে পারে। বেশির ভাগ সময়ই ভাইরাসে চোখ উঠে।অপরিষ্কার বা নোংরা জীবনযাপন চোখ উঠার অন্যতম কারণ। চোখ উঠা রোগে চোখ লাল হয়ে যায়। আর এমনটি হয় এই কনজাঙ্কটিভার রক্তনালিগুলো প্রদাহর কারণে ফুলে বড় হয়ে যাওয়া এবং তাতে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে।
চোখ উঠার লক্ষণ সমূহ
ঘুম থেকে ওঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা, সব সময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি, চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা, আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা, সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখের কোনায় ময়লা (যা কেতুর নামে প্রচলিত) জমা, চোখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি চোখ উঠার লক্ষণ।
আক্রান্তরা যা করবেননা
* চোখ চুলকানো থেকে বিরত থাকুন।
* রোগীর ব্যবহার করা সামগ্রী অন্যদের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
*এক চোখে সমস্যা দেখা দিলে অন্য চোখকে সংক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখতে হবে।
*আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে।
*আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, কাপড়-চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না।
* হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেও অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই হ্যান্ডশেক করার পর দ্রুত হাত ধুয়ে ফেলুন। নোংরা হাতে কখনই চোখে হাত দেবেন না।
চোখ উঠলে আমাদের কী কী করণীয়
১. আক্রান্ত চোখে নোংরা পানি, ধুলাবালি, দূষিত বাতাস যেন চোখে প্রবেশ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এছাড়া সকালে ওঠার পর চোখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। অনেকে চোখে ওঠলে বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন বা চোখে পানির ঝাপটা দেন। এটি মোটেই করা যাবেনা।
২. চোখ ওঠা ছোঁয়াচে রোগ, তাই যাদের চোখ ওঠেছে, তাদের সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। চোখ আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, কাপড়চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি হ্যান্ডশেকও করা যাবেনা।
৩. কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। এ জন্য দিনে তিন থেকে চারবার চোখের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করতে হবে। চোখে চুলকানি থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করতে হবে। এ ক্ষেত্র অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪। সাবানপানি দিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই হাত পরিষ্কার করতে হবে।
৫। কোনো কারণে চোখ ভেজা থাকলে চোখ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে। ব্যবহারের পর টিস্যু পেপারটি অবশ্যই ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে। নইলে ব্যবহার করা টিস্যু পেপার থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
৬। চোখ উঠলে চশমার ব্যবহার করুন। এতে চোখে স্পর্শ করা কমবে এবং ধুলাবালু, ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পাবে। আলোয় অস্বস্তিও কমবে।
৭। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
৮। নিজের ব্যবহার করা প্রসাধনসামগ্রী ও ব্যক্তিগত কাপড়চোপড় অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। একইভাবে অন্যের ব্যবহৃত প্রসাধনসামগ্রী ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র রোগীর ব্যবহার করা চলবে না।
৯। চোখ ঘষে চুলকানো যাবে না। অন্য কারও আই ড্রপ ব্যবহার করা উচিত হবে না। এতে আবার কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।
১০। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন
দৃষ্টি ঝাপসা হলে, চোখ খুব বেশি লাল হলে, খুব বেশি চুলকালে বা অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
পরিশেষে বলা যায়,চোঁখ উঠা একটি ছোঁয়াছে রোগ।রোগটিকে একবারে হালাকাভাবে নেবার সুযোগ নেই।অবহেলা করলে চোখের মত জিনিস ক্ষতি হতে বেশি সময় নিবেনা।তাই আসুন সচেতন হই,চোখ উঠার প্রাদুর্ভাব থেকে দূরে থাকি,আর আক্রান্ত যেকেউকে অবহেলা না করে উপরে বর্ণিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে তাকে দ্রুত সারিয়ে তুলি।
জীবন কৃষ্ণ সরকার
কবি ও প্রাবন্ধিক
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া,যুগান্তর,প্রথম আলো,বাঙ্গালি নিউজ ২৪ ডটকম
৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের মেয়েরা ফুটবল ,কাবাডি , সাঁতার ও হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায় ২য় পুরস্কার পেয়েছে ।বালকদল কাবাডিতে২য় পুরস্কার এবং সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। মোট ৫টি পুরস্কার পেয়েছে ।
পদ্মা সেতু নতুন বাংলাদেশের প্রতীক।পদ্মা সেতু উদ্বোধনের কারণে ১৭কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাই প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ গর্বিত ।আমরা শ্রদ্ধার সাথে ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ।
এই মাত্র এসএস সি পরীক্ষা স্থগিত করা হলো
প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি পরীক্ষা ২০২২ এর পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র সাউথ সুরমা হাই স্কুল ।
এসএস সি পরীক্ষা ২০২২এর সংশোধিত রুটিন
Progati High School Achieved International School Award (2022-2024) from British Council.
Half Yearly Exam Routine-2022
প্রগতি পরিবারের পক্ষ থেকে
আজ ২৬ শে মার্চ "মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস" উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বাধীনতার ৫১ বছর,আমাদের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা
স্বাধীনতা শব্দটি উচ্চার যতটা সহজ তার চেয়ে হাজার লক্ষ গুণ কঠিন সেটি অর্জন করা।দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে,অগণিত মানুষের প্রাণ বিসর্জন,ত্রিশ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হানি সব মিলিয়ে অবর্ননীয় ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতাটুকু পেয়েছি।ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ অঙ্কুরিত হয়েছিল পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের সময় তার পরিচর্যায় তা মহীরুহে পরিণত হয় এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ত্রিশ লাখ প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঠিক দিক নির্দেশনায় যে দুর্লভ স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি তার সুফলই বা আমরা কতটুকু ঘরে তুলতে পারছি সেই দিকটিই স্বাধীনতার ৫১ বছরে এসে আমাদের আলোচ্য বিষয়।
স্বাধীনতা মানে শুধু দেশকে দুষ্টচক্রের কবল থেকে ছিনিয়ে আনা নয়। স্বাধীনতা মানে দেশকে সব আগ্রাসন থেকে রক্ষা করা। স্বাধীনভাবে মানুষের চলাফেরা এবং বাসযোগ্য করে তোলা। অন্যায়-অত্যাচার-জুলুম-নির্যাতন, সামম্প্রদায়িক চেতনা সব কিছুর পাহাড় ভেঙে একটি শান্তিসুখের দেশ গড়া। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরে পদাপর্ণ করে তা কতটুকু সম্ভব হয়েছে? আমাদের দেশ যেন দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। প্রতিদিন কলমের এক গুঁতোয় লুটপাট হয়ে যায় হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে দুর্নীতির এমন প্রত্যাশাতো ছিল না!
এদেশের মানুষের মাঝে বর্তমান সময় দলে দলে কোন্দল লেগে থাকে, লেগে থাকে ধনী-গরিব শ্রেণি বৈষম্য। এতে ধূলিসাৎ হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বেঁচে থাকার প্রত্যাশা। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের মূল দর্শনের একটি ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়া।
মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণাপত্রের মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি যেন আজও কেবল স্বপ্নেই থেকে গেছে। মানবিক মূল্যবোধ হারিয়ে গেছে। ন্যায়বিচার বাস্তবায়ন যেন কঠিন হয়ে পড়েছে।
আমাদের অর্জন
অনেক সমস্যায় জর্জড়িত থাকার পরেও আমাদের অনেক অর্জনও রয়েছে।
এখন পৃথিবীতে যে ১১টি দেশকে ভবিষৎ উন্নয়নের জন্য ‘উদীয়মান এগারো’ বলে অভিহিত করা হয়, তাদের মধ্যে আমরা একটি দেশ হিসাবে বিরাজ করছি। আমরা গত কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের আশপাশে ধরে রেখেছি। আমাদের দেশে দারিদ্র্যের হার ১৯৭৪ সালে ছিল ৭৫ শতাংশ। (অর্থাৎ শতকরা ৭৫টি পরিবারেরই বেঁচে থাকার মতো খাবার কেনার সামর্থ্য ছিল না) আজ সেই হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও করোনার কারণে তা আবার কিছুটা বেড়ে গিয়ে থাকতে পারে (কারো কারো মতে দ্বিগুণ হয়ে গেছে)। আমরা ১৯৭১ সালে ছিলাম কৃষিপ্রধান দেশ। আজ জিডিপিতে কৃষির অবদান মাত্র ১৩ শতাংশ, শিল্পের ৩০ শতাংশ এবং সেবা খাতের অবদান ৫৭ শতাংশ। আমরা আজ কাঠামোগতভাবে আধুনিক শিল্পায়িত দেশে পরিণত হতে চলেছি। কিন্তু প্রায় ১৬ কোটি লোককে আজ আমাদের কৃষকেরা কম জমিতে দ্বিগুণ-ত্রিগুণ উত্পাদন বৃদ্ধি করে খাইয়ে-পরিয়ে রেখেছেন—এটা মোটেও কম কোনো অর্জন নয়!
আমাদের দেশে লক্ষণীয়ভাবে নারীরা কাজে-কর্মে এগিয়ে এসেছেন এবং তার ফলে অনেক পরিবারেই এখন দুজন উপার্জনকারী সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দারিদ্র্যের চাপও অনেক কমেছে। আমাদের দেশে প্রায় শতভাগ শিশু এখন প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
আমাদের প্রত্যাশা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের এক ভাষনে করণীয় প্রসঙ্গে বলেছিলেন, আমাদের এক নম্বর কাজ হলো- দুর্নীতিবাজ খতম করা দুই নম্বর হলো- কলকারখানায়, ক্ষেতে-খামারে প্রোডাকশন বাড়ানো, তিন নম্বর হল- পপুলেশন প্ল্যানিং, চার নম্বর হল- জাতীয় ঐক্য।
আজও বাংলাদেশের জনসাধারণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য এই চারটি কর্ম গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় জীবনে অনেক বড় সমস্যা। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর পেছন ফিরে তাকালে অনেক অর্জন আমাদের আশান্বিত করবে। কিন্তু তৃপ্ত হবার সুযোগ নেই। এখনও জাতীয় উন্নয়ন অগ্রগতিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি হীন ব্যক্তিস্বার্থ দলীয় সংকীর্ণতায় আমাদের জাতীয় ঐক্যের পথে বড় বাধা। আমরা ৫০ বছর পরেও সবার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারিনি।
এ সংকট নিরসনের কথা ভাবতেই হবে। উপায় উদ্ভাবন করতে হবে। বিকল্প পথ তৈরি করতে হবে গরিব মানুষের কল্যাণে। শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রসার ঘটেছে সন্দেহ নেই কিন্তু শিক্ষা এখনো বাণিজ্য। শিক্ষাকে মানসম্পন্ন করতে হবে।শিক্ষকদের জীবন মান ও উন্নয়ন করতে হবে।তাদের বেতন ভাতা বাড়িভাড়া বাড়াতে হবে,ধীরে ধীরে সকল বিদ্যালয় জাতীয়করণ করতে হবে।শিক্ষার গলদ তথা উগ্র ভোগবাদী মূল্যবোধ থেকে বের হতে হবে মানবিক মূল্যবোধের পথ রচনা করতেই হবে যাতে নিকট ও দূর ভবিষ্যতে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াতে না পারে।তাহলেই প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার সুফল হাতে আসবে নচেত তা কাগুজেই থেকে যাবে।
লেখক
জীবন কৃষ্ণ সরকার
কবি ও প্রাবন্ধিক
সভাপতি,হাওর সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থা(হাসুস) বাংলাদেশ।
তথ্যসূত্রঃ নিউজবাংলা২৪ডটকম(নাসির উদ্দীন'র কলাম),চ্যানেল আই অনলাইন,দৈনিক যায় যায় দিন(মাঈন উদ্দীন হাসান'র কলাম),দৈনিক সিলেটের ডাক,দৈনিক ইনকিলাব,বাংলানিউজ এক্সপ্রেস ডটকম
ভয়াল ২৫শে মার্চঃ যে রাতের কথা বাঙালি আজো ভুলেনি,ভুলবেও না কোনদিন
আজ ২৫ মার্চ ভয়াল কাল রাত। ১৯৭১-এর ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে হাজার হাজার ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সশস্ত্র পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামের অভিযানে নির্বিচারে হত্যা করা হয় তাদের।
ব্যস্ত শহর ঢাকা প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঘুমের। রাত সাড়ে ১১টায় ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হলো কাপুরুষ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ছড়িয়ে পড়ল শহরময়। আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে গর্জে উঠল অত্যাধুনিক রাইফেল, মেশিনগান ও মর্টার। নিরীহ মানুষের আর্তনাদে ভারী হলো রাতের বাতাস। মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণের মাধ্যমে পাকিস্তানি জল্লাদ বাহিনী নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। শুরু হলো বর্বরোচিত নিধনযজ্ঞ আর ধ্বংসের উন্মত্ত তাণ্ডব। হকচকিত বাঙালি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঢলে পড়ল মৃত্যুর কোলে। মধ্যরাতে ঢাকা পরিণত হয় লাশের শহরে।ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদর দফতর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে তখন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে লাশের পর লাশ। মধ্যরাতের ঢাকা তখন লাশের শহর। এমনভাবে নিরস্ত্র-ঘুমন্ত মানুষের ওপর চালানো এ হত্যাযজ্ঞে স্তম্ভিত বিশ্ব বিবেক।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে থাকা গণমাধ্যমও সেদিন রেহাই পায়নি জল্লাদ ইয়াহিয়ার পরিকল্পনা থেকে। পাকিস্তানি হানাদারেরা সেই রাতে অগ্নিসংযোগ করে, মর্টার শেল ছুড়ে একে একে দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, জাতীয় প্রেসক্লাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। এ হামলায় জীবন দিতে হয় বেশ কয়েক জন গণমাধ্যমকর্মীকেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও জান্তাদের কালো থাবা থেকে রক্ষা পাননি। ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়।
রাতেই স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে।
গোপনে পাকিস্তানে পালিয়ে যান ইয়াহিয়া খান, যাবার আগে নির্দেশ দিয়ে যান নিরস্ত্র বাঙালীর ওপর সশস্ত্র হামলার। মধ্যরাতেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুমন্ত বাঙালীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদারদাররা।
রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা ঢাকা নগরীর ওপর সশস্ত্র অভিযানে নামে নরপিশাচ পাকিস্তানি হানাদাররা। চালায় মধ্যযুগীয় পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ।
২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। তার আগেই ইপিআরএর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু।
এই ভয়াল রাত্রির কথা মনে হলে আজো বাঙালী হৃদয়ে ভয় আতংক বিরাজ করে,সেই সাথে পাকিস্তানী বর্বর হানাদার বাহিনীর প্রতি আজো ঘৃণা জন্মে।কত অশ্রু জড়ানো এই ভয়াল রাতের কথা বাঙালী আজো ভুলেনি ভুলবেও না কোনদিন।আজো এই রাত আসলে প্রতিটি বাঙালীর হৃদয় শিহরিত হয়,আন্দোলিত হয়।তাই এই রাতটি বিশ্ব দরবারে গণহত্যাদিবস হিসেবে পালিত হোক।সারা বিশ্ব জানুক নিরীহ বাঙালির উপর ১৯৭১ এ ঘটে যাওয়া বর্বর অত্যাচারের কথা।
লেখক
জীবন কৃষ্ণ সরকার
কবি ও প্রবান্ধিক
সভাপতি,হাওর সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থা(হাসুস) বাংলাদেশ।
তথ্যসূত্রঃ চ্যানেল আই অনলাইন,দৈনিক ইত্তেফাক,সারাবাংলা ডটনেট
শবে বরাতের ইতিকথাঃ কবে ,কেন কিভাবে পালন করা হয় এই রাতটি,শবে বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শবে বরাত কি
বিশ্বমুক্তকোষ উইকিপিডিয়া হতে জানা যায় “ শবে বরাত বা মধ্য-শা'বান বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরী শা'বান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ রাত।উপমহাদেশে এই রাতকে শবে বরাত বলা হয়। ইসলামী বিশ্বাস মতে, এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অনেক মুসলমান নফল ইবাদাতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করেন। অনেক অঞ্চলে, এই রাতে তাঁদের মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।"
জাগোনিউজ২৪ডটকম হতে জানা যায় “‘শবে বরাত’ একটি ফারসি শব্দ। ‘শব’ অর্থ- রাত আর ‘বরাত’ অর্থ ভাগ্য। দু’টো শব্দ একত্রে করলে অর্থ দাঁড়ায় ‘ভাগ্যের রাত বা ভাগ্যের রজনী।আরবীতে রাতটিকে বলা হয় লাইতুল বরাত,যেখানে লায়লাতুল অর্থও রাত।তার মানে আরবীতে লায়লাতুল বরাত অর্থও সৌভাগ্যের রজনী বা রাত।এই রাতে প্রত্যেক মানুষের ভাগ্য লিখে দেয়া হয়। তাই এ রাতে অনেক বেশী নামাজ পড়ে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে হয়।"
কবে থেকে শবে বরাত পালন করা হয়
ঠিক একবারে নির্ধারিত কোন তারিখ বলা না গেলেও ঢাকাপ্রকাশ২৪ডটকম থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
“শবে বরাত পালন কবে থেকে শুরু হলো–এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই আলোড়িত হয়। আলা ইবনুল হারিস (র.) থেকে বর্ণনায় দেখতে পাওয়া যায়, হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, একদিন গভীর রাত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজ পড়ছিলেন। নামাজ পড়ার সময় তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে সেজদা করেন। এভাবে দাঁড়িয়ে থেকে সেজদা করতে দেখে, হজরত আয়েশা (রা.) এর ধারণা হয়, রাসুলাল্লাহ (সা.) হয়তো নামাজ পড়তে গিয়ে ইন্তেকাল করেছেন।
হজরত আয়েশা (রা.) তখন তার সন্দেহ দূর করার জন্যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃদ্ধাঙ্গুলিটি ধরে নাড়া দেয়। তাতে রাসুলাল্লাহ (সা.) আঙুল নাড়িয়ে সারা দেয়। এরপর রাসুলাল্লাহ (সা.) সেজদা থেকে উঠে নামাজ শেষ করে হজরত আয়েশা (রা.) কে বললেন, হে আয়েশা! তোমার কি ধারণা, আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? হজরত আয়েশা (রা.) তখন উত্তরে বলেন, না, ইয়া রাসুলুল্লাহ। আপনার দীর্ঘক্ষণ সেজদা করা দেখে আমি শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, আপনি হয়তো ইন্তেকাল করেছেন? তাই আমি আমার সন্দেহ মেটানোর জন্য আপনার আঙুল নেড়ে, আপনাকে পরীক্ষা করে দেখছিলাম আপনি জীবিত আছেন কি না।
নবীজি তখন আয়েশাকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি জানো, আজকের রাতটি কী রাত? আয়েশা তখন নবীজিকে বলেন, আল্লাহ ও তার রাসুলই আমার অপেক্ষা ভালো জানবেন আজেকের রাতটির তাৎপর্য কী?
তখন রাসুলাল্লাহ (সা.) বললেন, আজকের রাতটি হলো অর্ধ শাবানের রাত। মহান আল্লাহ তায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে তার বান্দার সব প্রার্থনা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং যারা ক্ষমাপ্রার্থী তাদের পাপ ক্ষমা করে দেন। আর যারা অনুগ্রহপ্রার্থী তাদের অনুগ্রহ করেন, তাদের বরকত প্রদান করেন। আর যারা বিদ্বেষ প্রদানকারী, তাদের ক্ষমা না করে তাদের নিজের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।
ইসলাম ধর্মে শবে বরাত কোনো আনন্দ উৎসব নয়। শবে বরাতের রাত হলো ইবাদতের রাত। শাবান মাস সহ শবে বরাতের রাত হলো আল্লাহর কাছে ইবাদত করার একটি উপযুক্ত সময়।"
শবেবরাত কেন, কিভাবে পালন করা হয়
দৈনিক প্রথম আলো হতে জানা যায় “হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সৌভাগ্যের রাত হিসেবে পরিচিত। এই রাতে বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন মহান আল্লাহ তাআলা। এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ পড়েন, কোরআন তিলাওয়াত করেন এবং জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ–অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন মুসলমানরা।পবিত্র শবে বরাতকে কেন্দ্র করে বাড়িতে বাড়িতে হরেক রকমের হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ উপাদেয় খাবার তৈরি করার প্রচলন রয়েছে। এসব খাবার আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যার পর অনেকে কবরস্থানে যান আপনজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করতে।পবিত্র শবে বরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। তাই শবে বরাত থেকেই আসন্ন পবিত্র রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আরবি দিনপঞ্জিকা অনুসারে, শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস।"
শবেবরাতের গুরুত্ব
শবে বরাতের সীমাহীন গুরুত্বের বিষয়টি এর নামকরণ থেকে বোঝা যায়। শবে বরাতের অর্থ মুক্তির রাত। কারণ এই রাতের ইবাদতের মাধ্যমে বান্দা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের একান্ত নৈকট্য অর্জন করতে পারে এবং জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। হজরত আলী ইবনে আবু তালিব (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন মধ্য শাবানের রাতটি (শবে বরাত) আসে, তোমরা রাত জেগে নামাজ (নফল) আদায় করো এবং দিনে রোজা রাখ। কেননা এ রাতে সূর্যাস্তের সাথে সাথে মহান আল্লাহ প্রথম আসমানে নেমে আসেন। আর আহ্বান করতে থকেন, আছ কি কেউ ক্ষমা প্রার্থনাকারী? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। আছ কি কেউ রিজিক প্রার্থনাকারী? আমি তাকে রিজিক দান করব। আছ কি কেউ আরোগ্য কামনাকারী? আমি তাকে রোগ থেকে আরোগ্য দান করব। এভাবে মহান আল্লাহ সূর্যোদয় পর্যন্ত আহ্বান করতে থাকেন। (সুনানে ইবনে মাযা, হাদিস : ১৩৮৮)। সুতরাং যে রাতে মহান আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করার জন্য আহ্বান করতে থাকেন এবং অপেক্ষা করতে থাকেন, সে রাতটি যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
শবেবরাতের তাৎপর্য
শবে বরাতের রাতটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ফজিলতপূর্ণ এই রাতে মহান আল্লাহ বান্দার গুনাহ ক্ষমা করেন ঠিকই কিন্তু নিঃশর্ত ভাবে নয়। মহান আল্লাহর ক্ষমা পেতে তাকে পাশবিক গুণ বর্জন ও ঈমানের দাবি পূরণ করতে হবে। হজরত কাসির ইবনে মুরাহ আল-হাজরামি মাকহুল থেকে একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা শাবান মাসের মধ্য রজনীতে (শবে বরাতে) প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং মুশরিক আর হিংসুক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সুনানে ইবনে মাযা, হাদিস : ১৩৯০, মুসান্নেফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৯২৩, মুসান্নেফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ২৯৮৫৯ ) হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) নবী করিম (সা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নিসফে শাবানের রাতে (শবে বরাতে) আল্লাহতায়ালা সমগ্র সৃষ্টির প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক আর হিংসুক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৬৬৫, মুসনাদে শামিয়্যিন, হাদিস : ২০৫)
পরিশেষে বলা যায় শবেবরাতের রাতটি মূলত মহিমান্বিত একটি রাত। এই রাতে সকল মুমিন-মুসলমান নিজ আত্মার সমস্ত খেদ ঝেড়ে ফেলে দিয়ে একনিষ্ঠ ভাবে মহান স্রষ্টার ইবাদতে মগ্ন হোক, পাশবিক চিন্তা-চেতনা অন্তর থেকে দূর যাক,সেই সাথে মানবিক মূল্যবোধ মূল্যবোধ সহ মায়মমতায় ভরপুর হোক প্রতিটি মুমিন মুসলমানের হৃদয়,পৃথিবী হয়ে উঠুক পবিত্রময় এক আলয়।
লেখক
জীবন কৃষ্ণ সরকার
কবি ও প্রবন্ধিক
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া,জাগোনিউজ,দৈনিক প্রথম আলো,এনটিভি অনলাইন,ঢাকা প্রকাশ২৪ডটকম,বিভিন্ন পত্রপত্রিকা
বিঃদ্রঃ কারো দৃষ্টিতে লেখায় কোন ভুল পরিলক্ষিত হলে আমাকে নক করবেন।প্রয়োজনে পূনঃএডিট করা হবে।
পবিত্র শব-ই-বরাত উপলক্ষে আগামী ১৯-০৩-২০২২ সকল শ্রেণির ক্লাস বন্ধ থাকবে
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা।
বঙ্গবন্ধুঃ যার জন্ম না হলে জন্ম হতোনা একটি দেশ বাংলাদেশ
ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবলই একটি মানুষের নাম নয় বরং একটি যুগের নাম,একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম যার জন্ম না হলে জন্ম হতো না আমাদের আজকের চির সবুজ দেশটির।আজকে যে দেশটিতে দাঁড়িয়ে গান,কবিতা লিখি,যে দেশটির বুকে দাঁড়িয়ে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেই,অজস্র কলকাকলির শব্দ শুনি সেই দেশটির রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে নামটি স্থায়ী হয়ে আছে সেই নামটি হলো জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।আর তাই তো কবি লিখেছেন-
“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা
গৌরি মেঘনা বহমান,
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।"
- অন্নদাশঙ্কর রায়
সত্যিই তাই।যে নামটি আমাদের নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে জড়িয়ে আছে তার নাম পদ্মা, মেঘনা, যমুনা যতদিন বহমান থাকবে ততদিন তো থাকবেই এমনকি কোন কারণে পদ্মা,মেঘনা,যমুনা ও গৌরী বহমান না থাকলেও আমাদের মাঝে অমলিন হয়ে থাকবে।
কেন বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে জন্ম হতোনা এই দেশের
ছাত্র জীবন থেকেই প্রতিবাদী এ প্রাণপুরুষ প্রতিটি আন্দোলনে সবার আগে। তার প্রতিটি কথাতেই ছিল প্রতিবাদী সূর। পাকিস্তানের সামরিক শাসকেরা সব সময় বঙ্গবন্ধুর ভয়ে তটস্ত থাকত। সে কারণে তারা বিভিন্ন অজুহাতে তাকে জেলে বন্দী রেখেই স্বস্তি পেত।
সর্ব প্রথম জেল থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগকে তিনি পৌছে দিয়েছেন রাজনীতির শীর্ষ দুয়ারে। ১৯৬৬ সালে সর্ব প্রথম ৬ দফা কর্মসূচীর মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছেন। এই ৬ দফা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ।
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্রষ্টা, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যুক্তফ্রন্টের হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ, ছয় দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন ও একাত্তরের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামসহ মৃত্যু অবধি অসংখ্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন, বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির জীবনে শুভ প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন বলেই মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে স্বাধীনতা অর্জন সম্ভবপর হয়েছিল। শেখ মুজিব অজস্র স্বাধীনতা সংগঠকের দীক্ষাগুরু ছিলেন, ছিলেন নয়নের মণি, আত্মার আত্মীয় ও পথ প্রদর্শক। স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাকমূহুর্তে তাঁর অঙ্গুলি নির্দেশেই পূর্ব পাকিস্তান পরিচালিত হতো। অসাধারণ বাগ্মি, দূরদৃষ্টি, শত্রুকে আপন করে নেওয়ার অপার মানসিকতা, রাজনৈতিক কর্মীদের প্রতি সুমহান স্নেহ ও অগাধ ভালবাসা ব্যক্তি শেখ মুজিবকে অনন্য উচ্চতায় স্থান দিয়েছিল। শেখ মুজিবের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছেন: আমি হিমালয় দেখিনি তবে মুজিবকে দেখেছি।
শেখ মুজিবের দূরদর্শিতা, সাংগঠনিক দৃঢ়তা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণেই মাত্র ৯ মাসের ব্যবধানে আমাদের স্বাধীনতার লালিত স্বপ্নকে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। কী অসাধারণ যোগ্যতা ছিল বঙ্গবন্ধুর, যার বদৌলতে তিনি একমাত্র নেতা এবং দীক্ষাগুরু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। মার্চের সেই উত্তাল দিনগুলোতে তাঁর মুখের এক একটি বাণী এবং নির্দেশ বাঙালি জাতির প্রতিটি মানুষের কাছে পথ্যের ন্যায় বিবেচিত হয়েছিল। আর ৭ মার্চের সেই ক্ষণজন্মা ও বুদ্ধিদীপ্ত ভাষণ পুরো পৃথিবীকে জানিয়ে দিয়েছিল, বাঙালি জাতি তাদের মুক্তির জন্য কতটা কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছেছিল, আর সেটি কেবল সম্ভব হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর পাহাড়সম তীক্ষ্ম এবং তেজোদীপ্ত নেতৃত্বের জন্যই। যার জন্য তিনি তিলে তিলে বাঙালিকে বিভিন্ন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রস্তুত করতে পেরেছিলেন সংঘবদ্ধ এবং প্রতিবাদী জাতি হিসেবে এবং যার প্রত্যক্ষ ফলাফল বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা।
ক্যারিশমেটিক লিডার হিসেবে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অনন্য। রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রথিতযশা, তাই তো ২৫শে মার্চ বিকালের দিকেই তিনি জানতে পারেন যে ইয়াহিয়ার সঙ্গে সব ধরনের সম্ভাবনার আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঠিক তখনই তিনি তার প্রজ্ঞাবান এবং তেজোদীপ্ত সহকর্মীদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নিরাপদ স্থানে সরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেবার নির্দেশ দেন। কিন্তু সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, তিনি তাঁর বত্রিশ নম্বর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে পালিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান, যাতে পাকিস্তানিরা কোন মিথ্যার আশ্রয় নিতে না পারে। এ প্রসঙ্গে মার্কিন লেখক রবার্ট পেইন তাঁর “ম্যাসাকার” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেনঃ মধ্যরাত অবধি বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে ঘটনা প্রবাহ আমূল পাল্টে যাচ্ছে। টেলিফোনের মাধ্যমে কামানের গোলার শব্দের সাথে সাথে নিরীহ মানুষের চিৎকারে চারপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছিল। অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আক্রমণ সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। তিনি আঁচ করতে পেরেছিলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানের অধ্যুষিত সামরিক ঘাটিতে পাকিস্তানিরা আগে আক্রমণ করবে। তাই সেই রাতেই, ২৬শে মার্চে, বাঙালির অবিসংবাদিত জননেতা দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি নিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে। সাথে সাথে জনৈক বন্ধুকে বেতার যোগে ঘোষণাটি পাঠাবার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
পাকিস্তানি কুচক্রী সরকার স্বাধীনতা ঘোষনার অপরাধে বঙ্গবন্ধুকে দেশদ্রোহীতার অপরাধে ফাঁসির আদেশ দেয়। কিন্তু প্রতিবাদী সুশীল বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপে বার বার তাকে ফাঁসির দড়ি থেকে ফিরিয়ে এনেছে। ১৯৭২ সালের ১০ই মার্চ যখন তিনি দেশে ফিরেছিলেন এ দেশের মানুষ আবেগে উচ্ছাসে বরণ করেছিল এ বিশ্ববরেণ্য নেতাকে।
৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক, প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সচিব ও মুজিব বাহিনীর অন্যতম নেতৃস্থানীয় সর্বজনাব, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা, জননেতা তোফায়েল আহমেদের ভাষ্যমতে, ১৯৭১ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি তিনি সহ-শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান এবং আব্দুর রাজ্জাককে বঙ্গবন্ধু ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বাড়িতে ডেকে নিয়ে একটি ঠিকানা মুখস্থ করতে বললেন। ঠিকানাটি ছিল: ২১ রাজেন্দ্র রোড, নর্দার্ন রোড, ভবানীপুর, কলকাতা। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আক্রান্ত হলে এখান থেকেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতে হবে। পরবর্তীতে সেই বাড়িতেই মুজিব বাহিনীর নেতৃবৃন্দ অবস্থান করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের রনকৌশল ঠিক করতেন। রাজেন্দ্র রোডের পাশেই থিয়েটার রোডে জাতীয় চার নেতা বাস করতেন যুদ্ধকালীন সময়ে। এ সব তদারকি কিন্তু বঙ্গবন্ধু গ্রেফতারের পূর্বেই ব্যবস্থা করে গিয়েছিলেন। কারণ বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের জন্য প্লাটফরম তৈরি করেছিলেন যেগুলোর উপর ভিত্তি করেই মহান মুক্তিসংগ্রাম পরিচালিত হয়েছিল।
১৯৬৯-৭০ সালের নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে তিনি এই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ‘এক নেতা এক দেশ, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে বাঙালির আলাদা রাষ্ট্র ও জাতিসত্তা গঠনের প্রত্যয় গড়ে ওঠে। তাঁর নেতৃত্বে জনগণের আস্থা ছিল বলেই আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অভূতপূর্ব ম্যান্ডেট পায়।
এই অভূতপূর্ব জনসমর্থনের জন্যই তিনি ১৯৭১ সালে শান্তিপূর্ণভাবে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাত থেকে নিজের হাতে ক্ষমতা গ্রহণ করতে পেরেছিলেন। লাখ লাখ বাঙালি তাঁর আদেশের অপেক্ষায় ছিল এবং একমাত্র তাঁর নির্দেশই তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল। তাই স্বাধীনতার ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর নামেই ঘোষিত হয়েছিল। ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধও হয়েছিল তাঁর নামেই। দেশে–বিদেশে সবাই মাত্র একজন নেতাকেই চিনতেন—তিনি বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী বিজয় ও অপার জনসমর্থন তাঁর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামকে বৈধতা দিয়েছিল।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসজুড়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালিদের যে ঐক্য দেখা গিয়েছিল, তা নজিরবিহীন। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যখন অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন, তখন সারা দেশের মানুষ, এমনকি সরকারি কর্মচারীরাও সে ডাকে সাড়া দেন। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের কার্যত সরকারপ্রধান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বাঙালিরা নিজেদের একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে অনুভব করতে শুরু করে। এই অনুভূতিই তাদের মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
সর্বশেষে বলতে হয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ধারক ও বাহক। মূলত তার দিকনির্দেশনাই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে এবং এতে দ্বিমতের কোন সুযোগ নেই। দেশের পাশাপাশি বর্হিবিশ্বেও মুক্তি-স্বাধীনতার জন্য শেখ মুজিব বহু নেতৃত্ব তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন বিধায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরুর অল্প দিনের মধ্যেই বিশ্ববিবেক সৃষ্টি হয়েছিল। বিশ্ববিবেকের জনমত স্বাধীনতার পক্ষে আমাদের সাহস এবং অনুপ্রেরণাকে আশান্বিত করেছিল। সুতরাং আমরা বলতেই পারি, বঙ্গবন্ধু এবং আমাদের মুক্তি স্বাধীনতা একই সূত্রে গাঁথা।অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ,বঙ্গবন্ধু মানেই আমাদের বাঙালি জাতির অস্থিত্ব।কাজেই আবারো বলতে হয় বঙ্গবন্ধ,যার জন্ম না হলে জন্ম হতো না একটি দেশ বাংলাদেশ।তাই বিনম্র শ্রদ্ধা হে মহান বীর সেনানী,তোমার আত্মার চির শান্তিই আমাদের সকলের কাম্য।
লেখক
জীবন কৃষ্ণ সরকার
কবি ও প্রাবন্ধিক
বিঃদ্রঃ লেখাটি কপি নয় শেয়ার করার অনুরোধ রাখছি।
তথ্যসূত্রঃ স্বাধীনতা সংগ্রামে শেখমুজিব(মোঃ সাখাওয়াত হোসেন- চ্যানেল আই অনলাইন),বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের অভ্যূদয়- রওনক জাহান,প্রথম আলো,বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা।
Best School of the country. http://bbsc.edu.bd
M C ACADEMY,GOLAPGONJ Established in 1934. FOUNDER: Late Mohammed Chowdhury. RECOGNITION: The Board of Intermediate and Secondary Education, Comilla / Sylhet.
Dr. Toufique Rahman Chowdhury- an economist,a banker,a social leader or better known as an eminent e
Sylhet Govt. Agragami Girls' High School & College
"Shahjalal Jamea Islamia Kamil Madrasha is one of the best and well known Madrashas (Islamic School)
This is a Robotics, Aeronautics & Interfacing Research group. Its a group started by Shahjalal Unive
Sylhet polytechnic is a one of the most popular institute of the Bangladesh. It is situeted in the
BBIS was established in 1997,it is one of the leading schools in Sylhet. We believe in sharing, know
All pesent and past members, associates, activists, supporters, welwishers of BICS SUST.