Pabna Medical College Hospital

Pabna Medical College Hospital

Share

You may also like

Voice of Muslim TV
Voice of Muslim TV

Pabna Medical College Hospital's Main page.

03/09/2024

পাবনা মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে যেকোনো বিষয়ে জানতে যুক্ত থাকুন PMC insiders পেজের সাথে।কোনো প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞেস করুন পেইজের ইনবক্সে।প্রয়োজনে পেইজটিতে দেওয়া নাম্বারে কল করতে পারবেন।

03/07/2024

Dotcor দের Hadnwttring এত খারাপ হওয়া সত্ত্বেও Hopstial বা দোকানের Phamraicst রা prsepctriion এত সহজে কিভাবে বুঝে যায় ভেবে দেখেছেন কখনো??
উত্তরটা কিন্তু এই Qeusiton এর মধ্যেই দিয়ে রেখেছি। এতক্ষণে হয়তো খেয়াল করেননি যে এই post এর সবগুলো Egnislh বানানই ভুল, তবুও আপনার পড়তে খুব বেশি বেগ পেতে হচ্ছেনা। কারণটা হলো আপনার konwdlege এবং Hmuan Bairn এর কেরামতি। আপনার চেনা-জানা শব্দগুলির শুধু শুরু ও শেষের Lteter এবং tatol Lteter সংখ্যা ঠিক থাকলেই, মাঝে উল্টা পাল্টা করে যাই থাকুক না কেন আপনার আমার Biran সেটাকে roecginze করে ফেলে। 🙂
©

20/04/2024

অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে।

গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয় তাহলে তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছুক্ষণ কথা বলে একটি সাক্ষাৎকার নিয়ে নিবো।

কিন্তু আমার জন্য সবচেয়ে ঝক্কির বিষয় ছিলো এটি যে, আমি তাঁর বাসা চিনিনা। আবার তাঁর ফোন নাম্বারও কারো কাছে নেই। কয়েকজন বন্ধু মারফতে কেবল এটাই জানলাম মানুষটি মনিপুরীপাড়ার একটি ভাড়া বাড়িতে পরিবার সমেত থাকেন।

কিন্তু মনিপুরী পাড়ায় তো হাজারের উপর বাড়ি। তিনি কোন বাড়িতে থাকেন এটি কি করে বের করবো! জানা নেই কিছুই। কেবল ভাবনা যদি কোনভাবে তাঁর সঙ্গে দেখা করার একটা সুযোগ মিলে। সেই চিন্তা থেকেই গেলাম মণিপুরীপাড়ায়। কয়েকজন বয়স্ক লোককে জিজ্ঞেস করলাম, সবার প্রতিউত্তর একটাই, এমন নামে তো কাউকে চিনিনা।

হঠাৎ মনে হলো আমি এলাকার সিকিউরিটি ইনচার্জের সাহায্য নিচ্ছিনা কেন! কারণ সিকিউরিটি ইনচার্জ হয়তো জানতে পারে। মণিপুরী পাড়ার সিকিউরিটি ইনচার্জকে ফোন দিয়ে পরিচয় বলে তাঁর নাম জানিয়ে বললাম যদি ফোন নাম্বার বা বাসার ঠিকানাটা পাওয়া যায়। সিকিউরিটি ইনচার্জ বললেন, ফোন নাম্বার আমার কাছে নেই, তবে বাসার ঠিকানাটা দিতে পারি। তিনি তো বাসা থেকে তেমন বের হননা। কারো সাথে দেখাও করেননা কথাও বলেন না। কারো সাথেই যোগাযোগ নেই। অতঃপর সিকিউরিটি ইনচার্জ মারফত বাসার ঠিকানাটা পাওয়া গেল।

ঠিক তখনই লোডশেডিং শুরু হওয়ায় এক ঘণ্টা তিনি যে বিল্ডিংয়ে থাকেন সে বিল্ডিংয়ের চারপাশে ঘুরঘুর করলাম। বিদ্যুৎ আসতেই বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি বেয়ে উঠলাম চতুর্থ তলায়। মনে তখন ধুকধুক করছে। যদি একটাবার তাঁর সঙ্গে দেখা হয় তবে কি প্রথমে কি করবো তাই ভাবছি। ভাবলাম প্রথমে তাঁর পা ছুঁয়ে সালাম বা নমস্কার জানাবো।

চারতলায় উঠে কলিংবেল টিপতেই ভিতর থেকে প্রশ্ন এলো ' কে এসেছেন ? আপনি কে?' বললাম, 'একটা প্রয়োজনে আপনার সঙ্গে কথা বলতে এসেছি।'

জবাব পেয়ে দরজা খুলেই বললেন ‘কি প্রয়োজন? কোথা থেকে এসেছেন?’ বললাম, ‘অমুক পত্রিকা থেকে এসেছি একটা বিশেষ দরকারে। তিনি বললেন 'কি দরকার?' আমি বললাম, 'যদি অনুমতি দেন তো একটু আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’ তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে এবার আপনি আসতে পারেন।’

বললাম, ‘ভিতরে আসবো?’ পুরোটা বলার আগেই আমার মুখের উপর দিয়েই দড়াম করে তিনি দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভিতর থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে বললেন, ‘আপনি চলে যান। আমি এসব বিষয়ে কথা বলিনা।'

আমার তখন কী যে অনুভূতি হয়েছিলো তা আমি আসলে ভাষায় বর্ণনা করতে পারবো না। আমার দেশটির উপর তীব্র ঘৃণা জন্মালো। মনে হলো আমি মাটি খুঁড়ে তখনই ঢুকে পড়ি। কিংবা মরে যাই। আর তীব্র এক লজ্জাবোধ আমাকে চরমভাবে গ্রাস করলো। তিনি শিব নারায়ণ দাস যাকে আমরা সামান্য স্বীকৃতিটুকু দিতেও চরম কার্পণ্য করেছি।

তিনি সেই শিবনারায়ণ দাস যার নকশাকৃত পতাকা আমরা গোটা মুক্তিযুদ্ধকালে ব্যবহার করেছি। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় তাঁর নকশা করা পতাকাতেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

দেশ স্বাধীনের পর সে পতাকা থেকে মানচিত্র ছিঁড়ে তুলে পটুয়া কামরুল হাসানকে নিয়ে আমরা পতাকা সংশোধন করিয়ে শিবনারায়ণ দাসকে ইতিহাস থেকে পুরোপুরি মুছে দিয়েছি। মূল পতাকার নকশা করেও আজ অব্দি কোন প্রকার স্বীকৃতি পাননি শিবনারায়ণ দাস।

তিনি সেই শিবনারায়ণ দাস যিনি ১৯৭০ সালে ছিলেন কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা। ডাকসাইটে এই ছাত্রনেতা মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণেও প্রাণ বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন, দুর্ধর্ষ গেরিলা যোদ্ধা হওয়ার পরেও কখনোই তিনি ন্যূনতম মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিটুকুও পাননি। তাঁর স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরীও নিজেও ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।

তাঁর বাবা শহীদ বুদ্ধিজীবী চিকিৎসক সতীশচন্দ্র দাস মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়ার পরেও শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি তো দূরের কথা; পাননি শহীদের স্বীকৃতিটুকুও।

কেন তাঁদের অভিমান হবেনা বলতে পারেন? কেন তাঁর আমাদের উপর রাগ হবেনা? আমার ভাগ্য ভালো যে তিনি আমার মুখের উপর দরজা আটকে চলে যেতে বলেছিলেন। অন্তত জুতাপেটা করেননি।

শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গী ছাত্রনেতারা মন্ত্রী হয়েছেন, নেহাতই হয়েছেন এমপি। কেউ পেয়েছেন দলের সর্বোচ্চ পদ, রাজপথে পাজেরো হাঁকিয়ে বেড়িয়েছেন। এটি হওয়াটাই তো স্বাভাবিক ছিল। কারণ তাঁদের ত্যাগের ফলেই তো নির্মিত এই স্বদেশ। অথচ শিবনারায়ণ দাসকে আজ ধুঁকে ধুঁকে শ্বাসকষ্টে ভুগতে হয়।

আজ শিবনারায়ণ দাস মেয়ের কাছে একটি ভাড়া বাসায় আশ্রয়ী হয়ে থাকেন। সেই বাড়ির প্রতিবেশীদের কাছেই শুনেছি চিকিৎসা করতে হলে আজো চারবার করে ভাবতে হয় শিবনারায়ণ দাসকে।

শিবনারায়ণ দাস যেন আজ এক বিস্মৃত ইতিহাস। যাকে আমরা স্রেফ ভুলে গেছি। আমাদের এক অনন্য কারিগরকে আমরা স্রেফ উচ্ছেদ করেছি। পাঠ্যপুস্তকে জাতীয় পতাকার ইতিহাস লেখা হয়েছে তাঁকে বাদ দিয়েছি।
সর্বত্র জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হিসেবে পটুয়া কামরুল হাসানের নাম। নেই কোথাও শিবনারায়ণ দাসের নাম।

এসব ক্ষোভ অভিমান আর প্রচণ্ড কষ্টবোধ থেকেই পুরোপুরি নিভৃতচারী হয়ে গিয়েছিন শিবনারায়ণ দাস। প্রচার বিমুখ শিবনারায়ণ এড়িয়ে চলেছেন সমস্ত কিছু।

এই মানুষটিকে পদে পদে আমরা অপমান করেছি। লাঞ্ছিত করেছি, অপদস্ত করেছি। কিন্তু এরপরেও কি আমাদের বিন্দুমাত্র আত্মসমালোচনা হবেনা? এভাবেই শিবনারায়ণ দাস চলে গেছেন। আমরা কখনোই তাঁকে স্পর্শ করার সুযোগটুকুও পাইনি।

আজ সকালে চির ঘুমের দেশে পাড়ি জমালেন শিবনারায়ণ দাস। আমৃত্যু শিবনারায়ণ দাস সেই অভিমানটুকু জিইয়ে রেখেছিলেন।

কেনইবা রাখবেন না, আমাদের ইতিহাসের অনন্য সেই কারিগরকে যে আমরা তীব্র অবহেলিত, অবাঞ্চিত করে রেখেছিলাম। কি অদ্ভুত আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য ভাবতেই ভীষণ লজ্জা লাগে।

আজ মৃত্যুর পর হয়তো শিবনারায়ণ দাস পুষ্পস্তবক পাবেন। তাঁর কফিন হয়তো ফুলে ফুলে ঢেকে যাবে। নানাজন নানা বিবৃতি দিবে। প্রধানমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রীরাও শোকবার্তা পাঠাতে পারেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে যে শিবনারায়ণ দাস ধুঁকতে ধুঁকতে বেঁচেছিলেন, সেই হিসেব টার কি হবে? হয়তো কখনো শিবনারায়ণ দাস মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় পদক পাবেন, তাতে আদৌ শিবনারায়ণ দাসের কি হবে?

বেঁচে থাকতে যে মানুষটিকে আমরা মূল্যায়ন করিনি, স্রেফ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিতেও কার্পণ্য করেছি, সেই মানুষটার সামান্য পচা ফুলের স্তবকে কি আসে যায়?

@আহমাদ ইশতিয়াকের পেজ থেকে...
https://www.facebook.com/share/p/nVya7tmG1xjxDUFt/?mibextid=oFDknk

03/04/2024

আপডেট: পাবনা মেডিকেল কলেজে ৩য় মাইগ্রেশনে চান্সপ্রাপ্ত ছোট ভাই-বোনেরা তোমাদের ভর্তি আগামীকাল ৪ তারিখ থেকে ৬ তারিখের মধ্যে হওয়া লাগবে। কাগজ আসলে তো ভালোই আর না আসলেও সমস্যা নাই।তোমরা সব প্রয়োজনীয় কাগজের ফটোকপি নিয়ে আসবে,তাহলেই হবে।ঈদের জন্যে স্যাররা এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

আর ভর্তি হতে আসার আগে ভর্তি কার্যক্রমে দায়িত্বরত নুরশাদ আপুকে ফোন দিয়ে জানাবে।
আপুর ফোন নং এর জন্যে ইনবক্স করতে পারো।

বি.দ্র. নওগাঁ,মাগুরা,রাঙ্গামাটি ও কিশোরগঞ্জ মেডিকেলের কাগজ এসে পড়েছে।

31/03/2024

৩য় মাইগ্রেশনের ফলাফল: পাবনা মেডিকেল কলেজ

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় পেজে মেসেজ দিতে পারেন।এছাড়া কলেজ সম্পর্কে জানতেও আমাদের মেসেজ করতে পারেন।

18/12/2023
12/08/2023

ডেঙ্গুর বর্তমান অবস্থার কথা আমরা সকলেই জানি।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায় কমবেশি সকলেই জানি, কিন্তু ডেঙ্গু হয়ে গেলে আমাদের এপ্রোচ কি হবে সেটা নিয়ে আজকের এই আলোচনা।

মনে করুন আপনার জ্বর হলো। এখন কি করবেন?
* এটা নর্মাল, সিজনাল, এই কথা চিন্তা করা বন্ধ।
* দেখি ১-২দিন, দেখাদেখি বন্ধ।
* আমার তো সর্দি কাশি আছে,তাহলে এটা ডেঙ্গু না, ভাবা বন্ধ করুন।
কারন?
ডেঙ্গু জ্বরের প্যাটার্ন পাল্টেছে। একসময় চিকিৎসকরা সর্দি কাশি থাকলে আর ডেঙ্গু ভাবতো না। এখন আর সেটা নেই। গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে একটা আউটব্রেকের সময় যে কোন ফিভারেই শুরুতেই ভাবতে হবে আমি আউটব্রেকের কবলে পড়েছি। এটাই হচ্ছে নির্দেশিত। একটা সময় র‍্যাশ হতো, এখন র‍্যাশ দেখাই যায়না খুব একটা। এবছর জ্বরের তীব্রতাতেও পরিবর্তন এসেছে, অনেকেরি ১০০-১০১ এ ডেঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড শরীর ব্যথার কারণে এটাকে ব্রেক বোন ফিভার বলতো আগে, এবছর সেই প্যাটার্নেও পরিবর্তন এসেছে, আগে ৫-৬দিনের দিন রোগীর কন্ডিশন খারাপ হতো, এখন ৩দিনের মাথাতেই ইভেন জ্বরের ১-২দিনেও কেউ কেউ ক্রিটিকাল কন্ডিশনে চলে যাচ্ছে।

ডেঙ্গুর ক্লাসিক্যাল সিম্পটম:
তীব্র জ্বর, প্রচন্ড শরীর ব্যথা, বিশে করে কোমর ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, মাথা ব্যথা। তবে বর্তমান ডেঙ্গুতে এমনটা নাও থাকতে পারে।

করণী-১:
প্রথম দিনেই হসপিটাল গিয়ে তিনটি টেস্ট করে ফেলা।
১)CBC
2)Dengue NS1
3) SGOT
করার পর কি করবেন? কারণ NS1 positive means আপনার ডেঙ্গু নিশ্চিত। কিন্তু ধরুন কোন কারণে আপনার রিপোর্ট সব নর্মাল আসলো। প্রথম দিনে এটা হতেই পারে। তবে সব নর্মাল আসার সম্ভাবনা কম।
প্রথমেই CBC report এর HCT/PCV নামে একটা টার্ম আছে, হেমাটোক্রিট বা প্যাকড সেল ভলিউম, এটা কত পার্সেন্ট আছে মার্ক করে ফেলবেন বা লিখে ফেলবেন। কারণ এটাই আপনাকে পরবর্তীতে অনেক কিছু গাইড করবে। ধরুন আপনার আসলো ৩৬%, আপনার হিমোগ্লোবিন ১২%, তাহলে নর্মাল এবং প্রথম দিন এটা নর্মাল আসবে। আর নর্মাল রেঞ্জ আপনার কত সেটি জানা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের দেশে ডেমোগ্রাফিক্যালি হেমাটোক্রিট ক্লাসিফাই করা নেই। তাই নিজের বেজ লাইন জেনে রাখবেন। হেমাটোক্রিট আপনার হিমোগ্লোবিনের ৩গুন সাধারণ অবস্থায়।
যদি দেখেন আপনার SGOT সাধারণ মাত্রার চাইতে ১-২গুন বেশি, তাহলে ওকে, এটাকে সাধারণ অবস্থা ভেবে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু যদি SGOT ৪-৫গুন হয়ে যায়, তবে এই রোগী সামনের দিকে খারাপ হওয়ার চান্স অনেক বেশি। তাই সতর্ক হয়ে যেতে হবে আগেই।

করণীয়-২:
প্রথম দিনেই ডাক্তার দেখাবেন। প্যারাসিটামল ছাড়া কোন ব্যথার মেডিসিন খেয়েছেন তো বিপদ আছে। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ শুনবেন ও মেনে চলবেন।

করণীয়-৩:
প্রতিদিন CBC টেস্ট করতেই হবে মাস্ট। সিবিসি করে কি চেক করবেন? Platelet? না। HCT বা হেমাটোক্রিট। বিলিভ মি, যত প্যাশেন্ট মারা যাচ্ছেন, সব ডেঙ্গু শক সিন্ড্রমে, কেউ প্লাটিলেট বা ব্লিডিং হয়ে মারা যাচ্ছেন না। হেমোরেজিক ডেঙ্গুর চাইতে এখন আমাদের দেশে ডেঙ্গু শক হচ্ছে বেশি। আর এই হেমাটোক্রিট আপনাকে ইন্ডিকেশন দিবে এই শক সম্পর্কে। CBC থেকে আপনি কিভাবে কি বুঝবেন এবং দ্রুত হসপিটাল যাবেন?
যদি দেখেন আপনা HCT/PCV প্রথম দিনের নর্মাল রেঞ্জের চাউতে অনেক বেড়ে গেছে, ধরুন ছিলো ৩৫%, এখন ৪০%-৪৫%, তাহলে আপনার প্লাজমা লিকেজ হচ্ছে, শক।
যদি দেখেন হিমোগ্লোবিন এবং HCT দুটোই প্রথম দিনের চাইতে অনেক কমে গেছে, তবে আপনার শরীরে কোথাও ব্লিডিং হচ্ছে, সাথে কালো পায়খানা, লাল প্রশ্রাব, দাঁতের মাড়ি থেকে, নাক থেকে রক্ত পড়ছে। দ্রুত হসপিটাল ভর্তি হবেন। এক মুহুর্ত দেরি করা যাবেনা।
আর কী কী বুঝা যাবে CBC থেকে? যদি আপনার WBC count বা হোয়াইট ব্লাড কাউন্ট ৫হাজারের নিচে নেমে যায়, লিউকোপিনিয়া, এবং মনে রাখবেন, WBC count না কমার আগে আপনার প্লাটিলেট কমবে না। WBC count কমার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার Platelet count কমতে শুরু করবে। Platelet count যখন ১লাখের নিচে নেমে যাবে, তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার প্লাজমা লিকেইজ শুরু হবে, এবং আপনি শকের দিকে ধাবিত হবেন। তাহলে CBC কতটা গুরুত্বপূর্ণ আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। মনে রাখবেন, প্রতিদিন CBC করতে হবে। প্লাটিলেট কমে গেলে মরবেন না, তাই প্লাটিলেট নিয়ে হাহুতাশ করবেন না। প্লাটিলেট ২০হাজারের নিচে না নামলে অন্য কোন প্রব্লেম না থাকলে ব্লিডিং হয়না, কারোর ১০হাজারেও কিছু হয়না। এটা আমাদের দেশে একটা অকারণ আতঙ্ক। পেপে পাতাও খাওয়া লাগবেনা, প্লাটিলেট যখন বাড়বে, একদিনেই কয়েক লাখ বেড়ে যাবে।

ক্রিটিকাল ফেইজ:
--------------------------
মনে রাখবেন, জ্বর থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু রোগী মারা যায়না, বরং বিপদ শুরু হয় মূলত জ্বর কমার পর এবং সাধারণত আগে ৫-৬দিনের মাথায় ক্রিটিকাল ফেইজ শুরু হতো, কিন্তু এখন ৩দিনের শুরুতেই রোগীরা শকে চলে যাচ্ছে। ইভেন অনেকে জ্বর থাকা অবস্থাতেই ক্রিটিকাল হয়ে যাচ্ছে। তাই ফিভার কমে গেলে আরও সতর্ক হতে হবে। এই ফেজে আপনার প্লাটিলেট দ্রুত কমে যাবে। কিন্তু আগেই বলেছি, আপনাকে দেখতে হবে হেমাটোক্রিট।
এই ফেজে আর কী কী করলে বুঝতে পারবেন আপনার রোগী খারাপ হচ্ছে কিনা?
#ব্লাড_প্রেশার মাপবেন। দিনে ৪-৫বার মিনিমাম। বরং প্রথম দিন থেকেই মাপবেন।
এক্ষেত্রে ধরেন অনেকেরি আগে থেকে বিশেষ করে মেয়েদের ব্লাড প্রেশার লো থাকে, সো মাপার সময় আগে কত থাকতো জেনে নিবেন। বাসায় একটা ব্লাড প্রেশার মেশিন রাখবেন, ডিজিটাল মেশিন হলে পর পর দুইবার মাপবেন, আর ম্যানুয়াল হলে একবার মাপবেন।
এতে কি বুঝা যাবে? যদি ব্লাড প্রেশার সিস্টোলিক আইমিন উপরেরটা ১০০ এর নিচে নেমে যায় এবং ডায়স্টলিক মানে নিচেরটা ৬০ এর নিচে নেমে যায়, তবে এলার্ট হয়ে যান।
কিন্তু ধরেন উপরের প্রেশার ১০০-১১০ আর নিচেরটা ৯০। আপনি ভাবলেন নর্মাল। বা ৯০/৭০ বা ১২০/১০০। না, এটা নর্মাল না। দুটোর বিয়োগফল কত আসে? অনেক কাছাকাছি না? এটাকে বলে ন্যারো পালস প্রেশার এবং এই পালস প্রেশার যদি ২০ এর কম হয়, অর্থাৎ দুটোর পার্থক্য যদি ২০ এর কম হউ, ইউ আর ইন শক ওর আপনি শকে যাচ্ছেন।
দ্রুত হসপিটাল।
এই ক্রিটিকাল ফেজে আর কী কী বিষয় গুরুত্বপূর্ণ?
তীব্র পেটে ব্যথা হচ্ছে কিনা? এটা শকের লক্ষন।
লো প্রেশারের সাথে আপনার রোগীর হাত ও পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে কিনা, এটা শকের লক্ষন।
আপনার রোগী অস্থিরতা দেখাচ্ছে কিনা, একদম নেতিয়ে দূর্বল ফ্যাকাশে হয়ে গেলো কিনা, বিপদ চিহ্ন।
খুব ভালোকরে প্রশ্রাবের দিকে খেয়াল করবেন। কয়বার প্রশ্রাব করছে, কতটুকু প্রশ্রাব হচ্ছে প্রতিবার। যদি প্রশ্রাব কমে যায়, অল্প প্রশ্রাব হয়, হসপিটাল সোজা ভর্তি হয়ে যাবেন।
রোগীর কি শ্বাসকষ্ট হচ্ছে? পেট ফুলে যাচ্ছে? হঠাৎ করে গা ঝাকুনি দিয়ে খিচুনি হচ্ছে? দ্রুত হসপিটাল নিয়ে যান।

আর কি করতে পারেন? হাতের আঙুলের নখে জোরে চাপ দিয়ে ধরুন কিছুক্ষণ, নখ সাদা হয়ে গেলে এবার ছাড়ুন, এবার ভালোভাবে খেয়াল করুন নখের রঙ ফিরে আসতে কত সময় লাগছে, যদি বেশি সময় লাগে, বেশি বলতে কত? ২ সেকেন্ডের বেশি লাগলে আপনার রোগী শকে আছে। এটাকে বলে ক্যাপিলারি রিফিল টাইম।
আর কি করতে পারেন?
ব্লাড প্রেশার মেশিন নিন, এবার হাতের কব্জি মাঝে রেখে যেভাবে ব্লাড প্রেশার মাপবেন সেভাবে বাতাস দিয়ে টাইট করুন, টাইট অবস্থায় ৪-৫মিনিট দিয়ে রাখুন, এবার বাতাস ছাড়ুন, এবং খেয়াল করুন বাহুতে লাল লাল কতগুলো দাগ পড়েছে ছোট ছোট, ছোট্ট একটা বক্স কল্পনা করে যদি মনে হয় অনেক বেশি লাল লাল স্পট, দ্রুত হসপিটাল চলে যান। এটাকে বলে টর্নিকেট টেস্ট। সব রিপোর্ট নর্মাল আসলেও যদি আপনার টর্নিকেট টেস্ট পজিটিভ আসে, নিশ্চিত থাকুন আপনার ডেঙ্গু। এটা একদম প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন করবেন।

বমি ও পাতলা পায়খানা:
-----------------------------------
দিনে ৩বারের বেশি বমি করলে, ৩বারের বেশি পাতলা পায়খানা হলে সোজা হসপিটাল চলে যাবেন। একমুহূর্ত দেরি করা যাবেনা।

বাসায় কি করবেন?
---------------------------
প্রচুর পরিমানে তরল খাওয়াবেন। ২-৩লিটার, ডাবের পানি, আধা লিটার পানিতে গোলানো স্যালাইনের পানি, স্যুপ,শরবত লবন চিনি দেয়া খাওয়াবেন। যতক্ষণ মুখে খেতে পারবে খাওয়াবেন, যখন আর পারবেনা, বমি হবে অনেক, পাতলা পায়খানা, হসপিটাল নিয়ে যাবেন।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক থাকবেন।
বেশিরভাগ রোগী মারা যায় শুরুতেই ডাক্তারের পরামর্শ না নেয়াতে, বিপদ চিহ্ন না জানাতে, বাসায় থেকে রোগী খারাপ করে ফেলে।

******ডায়বেটিস, হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোক, কিডনি, লিভার, ক্যান্সার, SLE প্যাশেন্ট হলে প্রথম দিনেই হসপিটাল ভর্তি করে দিবেন।

********আপনার বাড়ির কাছের হসপিটালে আগে যাবেন।
সব সরকারি হসপিটালের ম্যানেজমেন্ট ভালো, বারান্দায় শুয়ে থাকলেও, কারণ সরকারি হসপিটাল এবং মেডিকেল কলেজ গুলোতে ন্যাশনাল গাউড লাইন মেনে চিকিৎসা দেয়া হয়।

*******বাসায় পালস অক্সিমিটার থাকলে অক্সিজেন স্যাচুরেশন চেক করবেন।

********কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে হার্ট ইনভলভ হয়ে যাবে, দেরি করলে অর্গান ফেইলিউর হয়ে যায়। ভাইরাল মায়োকার্ডাইটিস কিংবা একিউট কিডনি ইঞ্জুরির রোগীর জন্য আইসিউ লাগবেই। এসব রোগী বাইরে ম্যানেজ করা যায়না। রোগী খারাপ দেখলে সকল প্রস্তুতি রাখুন। যে কোন ইসিজি চেঞ্জেস, বিশেষ করে ট্যাকিকার্ডিয়া, শ্বাস দ্রুত হওয়া মানে ট্যাকিপেনিয়া বিপদ চিহ্ন। খারাপ হওয়ার আশংকা বেশি। কারো কারো ক্ষেত্রে প্লুরাল ইফিউশন অর্থাৎ লাংসে পানি চলে আসতে পারে।

*******মনে রাখবেন, প্রতিদিন সিবিসি টেস্ট, ডাক্তারের পরামর্শ, হসপিটাল এডমিশনের প্রস্তুতি, প্রচুর তরল খাওয়ানো, ব্লাড প্রেশার মাপা, বিপদ চিহ্ন খেয়াল করা, দেরি না করে হসপিটাল নেয়া, জ্বর কমে গেলে আরও সতর্ক হওয়া, প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোন মেডিসিন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া না খাওয়ানো।

*******ডেঙু এখন আর শুধু ঢাকাতে সীমাবদ্ধ না, সারা বাংলাদেশে ছড়িয়েছে।

*******দিনে রাতে যে কোন সময় ডেঙ্গু মশা কামড়ায়।
*******পরিষ্কার নোংরা সব পানিতেই ডেঙ্গু হচ্ছে।
*******Dengue NS1 test জ্বর শুরু হওয়ার ৩দিন পর করলে লাভ নেই। সেক্ষেত্রে CBC, SGOT, Dengue Antibody (IgG+IgM) করতে হবে।
*******যারা রক্ত তরল করার মেডিসিন খান, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেটি বন্ধ রাখবেন কিংবা খাবেন। কোন অবস্থাতেই নিজে নিজে বন্ধ বা খাওয়া যাবেনা।

সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহর কাছে বেশি বেশি সুরক্ষা চাইবেন। চারপাশ পরিষ্কার রাখবেন।
সতর্ক থাকবেন।

তথ্যসূত্র:
------------
Dengue National Guideline
CDC

25/07/2023

সদ্য পাওয়া

ডেঙ্গুতে এক দিনে ১৬ জনের মৃত্যু

09/07/2023

অভিনন্দন শ্রদ্ধেয় Dr.Rafiqul Hasan Rimon স্যার❣️
নব-নিযুক্ত সহকারী পরিচালক,
২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল,পাবনা।

Photos from Pabna Medical College Hospital's post 11/12/2022

পাবনা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত
সভাপতি,
অধ্যাপক ডাঃ আবু মোঃ Shafiq Hasan Jewel স্যার।
(বিভাগীয় প্রধান, মেডিসিন বিভাগ,পাবনা মেডিকেল কলেজ)
এবং,
সাধারণ সম্পাদক
ডাঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ স্যার।
(সহকারী অধ্যাপক,সার্জারি বিভাগ,পাবনা মেডিকেল কলেজ।
যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক,
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ পাবনা )
সহ পামেক শিক্ষক সমিতির সবাইকে জানাই
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।🌺

Photos from Pabna Medical College Hospital's post 20/10/2022

ভূতুড়ে পামেক👻

ছবি তুলেছে: খালিদ মাহমুদ রুমি (পি-১১)

19/08/2022

দ্বিতীয় মাইগ্রেশনে পামেকে চান্স প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি নোটিশ।
ভর্তি ২০ ও ২১ তারিখ

Photos from Pabna Medical College Hospital's post 04/08/2022

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাপ্ত ICU এম্বুলেন্স উদ্বোধন ।।।

Photos from Pabna Medical College Hospital's post 28/07/2022

হেপাটোলজী বিভাগ, পাবনা মেডিকেল কলেজ এর আয়োজনে বিশ্ব হেপাটাইটিস ডে পালিত

15/06/2022

জামালপুর ও নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ থেকে সনদপত্র না আসায় মাইগ্রেশন প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আগামী শনিবার ১৮/০৬/২২ ইং তারিখে ভর্তি হওয়ার জন্য বলা হলো।
আদেশক্রমে,
কর্তৃপক্ষ
পাবনা মেডিকেল কলেজ পাবনা

08/06/2022

প্রথম মাইগ্রেশনে নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি নোটিশ

22/05/2022

Let's play with radiology.

Plate No: 01

Radiological diagnosis???

Photos from Pabna Medical College Hospital's post 27/04/2022

২০২১-২০২২ইং শিক্ষা বর্ষের ভর্তির নোটিশ

31/03/2022

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সীটপ্লান(২০২১-২২)
কেন্দ্র: পাবনা মেডিকেল কলেজ।

Photos from Pabna Medical College Hospital's post 26/03/2022

২৬ মার্চ, ২০২২
"মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস"
সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের প্রতি পাবনা মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

Photos from Pabna Medical College Hospital's post 13/03/2022

#সতর্কীকরণ_বিজ্ঞপ্তি

বেক্সিমকো কোম্পানির "নাপা" সিরাপের নিন্মোক্ত ব্যাচ নং-৩২১১৩১২১ সম্বলিত ঔষধ কারো কাছে থাকলে দ্রুত নিকটস্থ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন এবং সেটি বিক্রি থেকে বিরত থাকুন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাপা সিরাপ খেয়ে দুই ভাই মারা যাওয়ায় ঔষধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ নোটিশটি দিয়েছে।

Photos from The beauty of PMC campus's post 18/01/2022
09/01/2022

২০২০-২১ সেশনের সকল ছাত্র-ছাত্রীকে আগামী ০৯/০১/২০২২ইং তারিখের মধ্যে হোস্টেলে সিট গ্রহণ এবং নিয়মিত ক্লাস করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো

নির্দেশক্রমে,
কলেজ কর্তৃপক্ষ

27/12/2021

২০২০-২১ সেশনের ভর্তির নোটিশ

25/12/2021

2020-21 সেশনের যারা মাইগ্রেশন অথবা ওয়েটিং লিস্ট থেকে পাবনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে তাদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ডাকযোগে প্রেরিত নামের লিস্ট এখনো হাতে পাইনি। উক্ত লিস্ট পাওয়া সাপেক্ষে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ প্রদান করিবেন যেখানে ভর্তির তারিখ ও নিয়মাবলী উল্লেখ থাকবে।

12/12/2021

ভাতিজা থেকে রক্ত নিয়েছিলেন ১৫ দিন আগে, ৩ ব্যাগ।

পাইলস অপারেশন এর আগে ডক্টর হিমোগ্লোবিন করেকশন করিয়াছেন, কোনো এক জেলা শহরে হয়েছে এগুলো ।

আমাদের কাছে রোগী এসেছে এইভাবে... রক্ত পরিসঞ্চালনের একটু rare এবং delayed complication , TRANSFUSION ASSOCIATED GRAFT VERSUS HOST DISEASE, যদিও বই বলে এটা খুব rare complication, কিন্তু বাস্তবে এখন আর এটা এতো rare নাই এবং এর পরিণতি ৯৭-৯৯% ক্ষেত্রে খুব খারাপ, মৃত্যু।

তাই সাবধান হোন, নিকট আত্মীয় ( বিশেষত 1st degree relatives) থেকে রক্ত নেয়া ও আত্মীয় কে রক্ত দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

Dr. Nirjharini Joarder
Consultant
Transfusion Medicine.

কিছুটা সহজ ব্যখ্যা ঃ

কেন কেউ তার পরিবারের সদস্য থেকে রক্ত নিতে পারে না?

আসলে দারুণ একটা প্রশ্ন । ব্লাড ডোনেট সম্পর্কে এটা অনেক জিজ্ঞাসিত ও অত্যন্ত গুরত্বপূর্ন একটা প্রশ্ন। ছোট করে উত্তর শুনতে হলে বলি, আপনজনের কাছ থেকে রক্ত নিলে “transfusion-associated graft versus host disease” (TA-GvHD) ছড়ানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রক্রিয়াটি একটু জটিল কিন্তু এটাকে সহজভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব।

যখন আপনি কোন র‍্যান্ডম ডোনারের থেকে এক প্যাকেট রক্ত নেন, আসলে আপনি যা নেন তা হচ্ছে প্যাকেট ভর্তি লোহিত রক্ত কনিকা । প্লাজমা, শ্বেত রক্তকনিকা , অনুচক্রিকা সরিয়ে ফেলা হয় যতটা পারা যায়। একেবারে নিখুত করা যায় না, কিছু পরিমান লোহিত রক্তকনিকা আর প্লাটিলেট প্যাকেটে থেকেই যায়। এগুলো রক্তগৃহীতার জন্য ঝুকির কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং মাঝে মাঝে জীবন বিপন্ন করে ফেলে। এই ঝুকিগুলোর একটা অংশ আসে ডোনারের শ্বেত রক্তকনিকা থেকে। নির্দিষ্ট করে বললে T-cells থেকে।

T-cell হচ্ছে আমাদের প্রতিরক্ষা সিস্টেমের বস। T-লিম্ফোসাইট এর অপর নাম। এইটা লাস্ট লাইন ডিফেন্স সিস্টেম কিন্তু সবচাইতে শক্তিশালী লাইক ম্যানুয়েল নয়ার। এরা বোঝে কোন কোষটা আমাদের দেহের কোনটা বাইরের। যখন আমাদের দেহে বাইরে থেকে রক্ত আসে, ডোনারের দেয়া রক্তে থাকা T-cell গুলো রোগীর দেহে এসে তার দেহের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করবে কারণ সেটা তো তার চেনা না।

এখন দেখেন, আপনার অর্ধে একটা এটাক্যার ঢুকে গেছে। ডিফেন্ডার হিসেবে আপনি যদি তাকে না আটকান কি হবে? ফাকতালে গোল দিয়ে আসবে। ঠিক এভাবেই যখন ডোনারের রক্ত থেকে আসা T-cell গুলোকে না আটকে ছেড়ে দেয়া হয়, তারা সংখ্যা বৃদ্ধি করে আপনার বডির T-cell গুলোকে ধ্বংস করে দেবে। এটাকে “Graft versus host effect” এখানে graft হচ্ছে ডোনারের দেয়া ব্লাড আর host হচ্ছে পেশেন্ট। যখন রক্ত সঞ্চালনের সময় এটা হয় তখন এটাকে আর এই নামে না ডেকে “Transfusion-associated graft versus host disease” (TA-GvHD) নামে ডাকা হয়।

এর ফলে যেটা হতে পারে, আমাদের বডি ডিফেন্সে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যেমন কেমোথেরেপি বা অন্য কোন চিকিৎসা বা রোগ থাকলে রক্ত নেয়া ভেজাল হবে কারণ তখন ডিফেন্স এমনিতেই দুর্বল থাকে আর ডোনারের রক্তের টি সেল এই সুযোগটা কাজে লাগায়। একবার ডোনারের টি লিম্ফোসাইড জিতে গেলে খেল খতম। TA-GvHD তে ভুগতে হবে। কোন সেকেন্ড লেগ মানে রিকভারের অপশন নেই।

এখন দেখেন, যিনি রক্ত নিবেন, তার ও দেহে তো T-cell আছে। এবং তার দেহে T-cell এর সংখ্যা ডোনারের রক্তের সাথে আসা T-cell এর থেকে অনেক অনেক বেশি। সে তো আর এট্যাকারকে ফেলে রাখবে না! (ম্যাগুয়ের টাইপ ডিফেন্ডার না হইলে! :) ) সে কি করবে? এট্যাকারকে তার ডিফেন্স দিয়ে ধরে অকার্যকর করে ফেলবে।

একটা সাধারণ প্রশ্ন, মাঠে ২২ টা প্লেয়ার থাকে,২ ভাগে ভাগ করে কি দিয়ে? জার্সি দিয়ে? এখন মনে করেন আপনার এট্যাকার আপনার হাফে আপনার জার্সি নিয়ে ঘুরছে। আপনি কি তাকে এট্যাকার ভাববেন??অবশ্যই না!

এটা হবে যখন আমরা ফার্স্ট ডিগ্রি রিলেটিভের কাছ থেকে রক্ত নিব! তাদের রক্তের আর আমাদের রক্তের গঠন তো প্রায় একই। ফলে আপনার ডিফেন্ডার মানে আপনার দেহের T-cell বিপরীত পক্ষের এট্যাকার অর্থাৎ ডোনারের T-cell কে চিনতে পারবে না। চিনতে না পারলে আটকানোর প্রশ্ন আসে? বিষয়টা এমন হবে আপনার দলের জার্সি পড়ে বিপক্ষ দলের এট্যাকার আপনার হাফে আর আপনার ডিফেন্ডার কিছু করার আগেই বিপক্ষ দলের গোল! অর্থাৎ (TA-GvHD) হয়ে যাবে!

তো কথা হচ্ছে আমরা কি এটা আটকাতে পারিনা? অবশ্যই পারব! কেন না? দেখেন ঘটনার মূল কোথায়? আপনার হাফে এট্যাকার না আসলে গোল হবে? তাই আমরা যে প্যাকেট থেকে রক্ত নিচ্ছি তা 25 Gy Gamma radiation দিয়ে দিলে আর ঝুকি থাকছে না। তবে বাংলাদেশে গামা ইরেডিয়েশন করার সুযোগ খুবই সীমিত।

এখন অনেকে বলবেন, আমরা তো পরিচিত জনের মধ্যে রক্ত দেই, সমস্যা হয় না। কেন হয় না? দেখেন, সবসময় তো এমন না যে আপনার ডিফেন্স ডোনারের টি সেল কে চিনতে পারবে না! চিনবে কিন্তু কিছু কিছু সময় মিস হওয়ার চান্স থাকে। আর ক্যান্সার বা এইডস বা দেহের প্রতিরক্ষা সিস্টেম দূর্বল থাকলে তো নিজেদের মধ্যে রক্ত দেয়ার প্রয়োজোন নেই। র‍্যান্ডম ডোনারের থেকে নেয়াই বেটার। তবে অবশ্যই ক্রসচেক করে নিতে হবে।

© Daanish Arefin Biswas sir

Want your school to be the top-listed School/college in Pabna?

Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

A short slide show video of PMC..Watch and Share.. 😉

Location

Telephone

Website

Address

Pabna
Pabna
Other Community Colleges in Pabna (show all)
Department Of Botany-Shahid Bulbul Govt College,Pabna Department Of Botany-Shahid Bulbul Govt College,Pabna
Pabna, 6600

@officialdepartmentofbotany

সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ, পাবনা । সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ, পাবনা ।
Ataikula Road Pabna
Pabna, 6600

জ্ঞানার্জনে উন্নতি

ICT Cell, PUST ICT Cell, PUST
Dhaka Pabna High Way
Pabna, 6600

ICT Cell develop and maintain ICT related task in Pabna University of Science and Technology.

Chatmohar RCN & BSN Pailot Model High School & College Chatmohar RCN & BSN Pailot Model High School & College
Pailot High School, Chatmohar
Pabna, 6630

Pabna polytechnic institute Pabna polytechnic institute
Pabna
Pabna, 6600

Pabna polytechnic institute is open 1962

Dulai High School - দুলাই উচ্চ বিদ্যালয় Dulai High School - দুলাই উচ্চ বিদ্যালয়
DULAI HIGH SCHOOL, DULAI, SUJANAGAR, PABNA
Pabna, 6600

Dulai High school (দুলাই উচ্চ বিদ্যালয়). It was established in 196

সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ পাবনা
※ সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ পাবনা ※
Pabna, 6600

※ সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ পাবনা ※ Check In

Dulai High School Dulai High School
DULAI HIGH SCHOOL, DULAI, SUJANAGAR, PABNA
Pabna, 6600

✔ Verified Official©Page Official® ✔Verified by Facebook ۩ █║▌│█│║▌║││

Pabna Textile Engineering Institute Pabna Textile Engineering Institute
Generel Hospital Road, Shalgaria
Pabna, 6600

It is an official page of Pabna Textile Engineering Institute. Stay with us for know latest news about Pabna Textile Engineering Institute.