বাইতুল হিকমাহ্ মডেল মাদরাসা

শিক্ষার কোনো বয়স নেই। বাইতুল হিকমাহ মডেল মাদরাসার নূরানী শিক্ষক হাফেজ, ক্বারী মোঃ আনিছুর রহমান সাহেবের পরিচলানায় বিভিন্ন বয়স, শ্রেণি ও পেশার ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে চলছে নৈশকালীন কুরআন শিক্ষা ক্লাস। আজ ১০ জুন ২০২৪ তারিখ, রোজ সোমবার এ সকল শিক্ষার্থীকে আমপারার সবক প্রদান করা হলো। সবক প্রদান করেন ভাদড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্মানিত খতীব মাওলানা মোঃ আব্দুর রহিম সাহেব।

মাসিক শিক্ষা মূল্যায়ন- ৪ : গভীর মনোনিবেশ সহকারে অংশগ্রহণকারী কচিকাঁচা শিক্ষার্থীবৃন্দের একাংশ।

আমাদের মাদরাসা

শিক্ষক এবং ছাত্রের হাতের লেখা দুই স্লেটেই আছে। কোনটি কার লেখা?

অর্থ- আপনার/আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
‘সালাম’ একটি সম্মানজনক, অভ্যর্থনামূলক, অভিনন্দনজ্ঞাপক, শান্তিময় ও উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন পরিপূর্ণ ইসলামী অভিবাদন। ইসলাম ধর্মে সালামের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাছাড়া অভিবাদন, সম্ভাষণ, অভ্যর্থনা, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর ক্ষেত্রে সালামের মত এত সুন্দর রীতি ও পদ্ধতি পৃথিবীতে আর একটিও নেই।

আমার কথা (অন্যদের কাছে) পৌছিয়ে দাও, তা যদি একটি আয়াতও হয়।
(সহীহ বুখারীঃ ৩২১৫)

مَن كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًاوَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا
যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন।এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।
-সুরা তালাক(২-৩)

বাইতুল হিকমাহ মডেল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের প্রথম পর্ব শিক্ষা মূল্যায়ন- ২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশ ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের কিছু চিত্র (২৯ এপ্রিল ২০২৪ রোজ সোমবার)

বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি? যদি পানি ভূগর্ভে তোমাদের নাগালের বাইরে চলে যায়, তাহলে কে তোমাদেরকে এনে দেবে প্রবহমান পানি?’
সুরা মুলক-৩০

তোমাদের ওপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন।'' [সূরা আশ-শুরা (৪২):৩০]

নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত;
কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের। আসর২-৩

তিনি, ‍যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমাদের পরীক্ষা হয়ে যায়-তোমাদের মধ্যে কার কর্ম অধিক উত্তম। (সুরা মুলক-২)

তারপর যে ব্যক্তি সামান্য পরিমান ভালো কাজ করবে সে তা দেখবে। আর যে সামান্য পরিমান খারাপ কাজ করবে সে তা দেখতে পাবে।(সুরা যিলযালঃ ৭-৮)

বাইতুল হিকমাহ্ কী?
********************
বাইতুল হিকমাহ (আরবি: بيت الحكمة; Bayt al-Hikma) ছিল আব্বাসীয় আমলে ইরাকের বাগদাদে প্রতিষ্ঠিত একটি গ্রন্থাগার, অনুবাদকেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[১] এটিকে ইসলামি স্বর্ণযুগের একটি প্রধান বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাইতুল হিকমাহ খলিফা হারুনুর রশিদ (শাসনকাল ৭৮৬-৮০৯ খ্রিষ্টাব্দ) প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার পুত্র আল মামুন (শাসনকাল ৮১৩-৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) এর সময় তা সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌছায়। জ্ঞানের আদানপ্রদানের জন্য আল মামুন অনেক জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিকে বাইতুল হিকমাহতে নিয়ে আসেন। ৯ম থেকে ১৩ শতক পর্যন্ত পারসিয়ান ও খ্রিষ্টানসহ[২] অসংখ্য পণ্ডিত ব্যক্তি এই গবেষণা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন। আরবিতে গ্রন্থ অনুবাদ ও সংরক্ষণের পাশাপাশি পণ্ডিতরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক অবদান রাখেন।[৩][৪]

আল মামুনের শাসনামলে মানমন্দির স্থাপিত হয়। এসময় এই প্রতিষ্ঠানটি গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাবিজ্ঞান, আলকেমি, প্রাণিবিদ্যা, ভূগোল ও মানচিত্রাঙ্কনবিদ্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানচর্চার অপ্রতিদ্বন্দ্বী স্থান হয়ে উঠে। ভারতীয়, গ্রীক ও পারসিয়ান রচনা ব্যবহার করে পণ্ডিতরা বৈশ্বিক জ্ঞানের বিরাট ভান্ডার অর্জন করেন এবং এর মাধ্যমে তাদের নিজেদের আবিষ্কারের দিকে এগিয়ে যান। নবম শতকের মধ্যভাগে বাইতুল হিকমাহ ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ গ্রন্থভান্ডার।[৪]

মাসিক শিক্ষা মূল্যায়ন ২/২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ

ভাদড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের বার্ষিক ইসলামী জালসায়- বাইতুল হিকমাহ্ মডেল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সিয়াম ইসলাম ওমর, মোঃ মুস্তাকিম, রিফাতুল ইসলাম রিফাত এবং অন্যান্যদের হাদিস, দুআ, মাস্আলা ইত্যাদি পরিবেশন মুগ্ধ করেছে সকলকে।

মোঃ মুস্তাকিম، শ্রেণি- নার্সারি

অদ্য ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ, রোজ সোমবার, বিকেল ৫ ঘটিকার সময় কৃষকদের মাঝে সার বিতরণের জন্য শাহিদা গার্ডেন, ভাদড়া, চাটমোহর- এ অবস্থিত বাইতুল হিকমাহ মডেল মাদরাসায় আগমন করেন কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দীন, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, পাবনা। পিছনের ব্লাকবোর্ডে প্রদর্শিত, অত্র মাদরাসার নূরানী শিক্ষক, হাফেজ, ক্বারী মোঃ আনিছুর রহমানের হাতের লেখা দেখে তিনি অত্যন্ত মুগ্ধ হন এবং তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে এরকম লেখা শিক্ষা দেয়ার ব্যাপারে শিক্ষকবৃন্দকে অনুপ্রাণিত করেন।