অধিকাংশ পুরুষই নিজের উপার্জিত সম্পদ নিজের জীবদ্দশায় ভোগ করে যেতে পারে না।
কিছু মানুষ নেশার ঘোরে ছুটতে গিয়ে সম্পদ শুধু গড়তে গড়তেই হারিয়ে যায়, এরা জানে না কখন কোথায় থামতে হবে.......
কিছু মানুষ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন আর বন্ধু দ্বারা প্রতারিত হয়ে অর্জিত, উপার্জিত অর্থসম্পদ সবই হারিয়ে ফেলে ......
কিছু মানুষ স্নেহ আর ভালবাসার ঘোরে অপাত্রে বিলিয়ে দেয়...
আর কিছু মানুষ সম্পর্কের মূল্যায়ন করে না বলে সবাই তাকে ছেড়ে যায়, জীবন কাটে একাকীত্বে আর সম্পদ থাকলেও সেটা উপভোগ করার মত মন-মানসিকতা থাকে না।
Atique Ua Khan
Kamrul Islam Rubel
Kamrul Islam Rubel Official Fan Page শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড
Operating as usual

বাবা কখনোই নিজের জন্য বাঁচে না😥🌸

ইয়া রব্বী,
আমার মতো এভাবে কে আর পথ হারায়?
তোমার মতো এভাবে কে আর পথ দেখায়?
আমাকে তুমি ধরে রাখো—ভালোবাসায়, রহমতে, নিয়ামতে।
বুকের মধ্যে আস্ত একটা জান্নাত নিয়ে চলার তৌফিক দাও।

আপনজন ভেবে আমরা অন্যের জন্য যাই করিনা কেন, দিনশেষে উনাদের নজরে সেটা কেবল আমারদের দ্বায়িত্ব ছাড়া কিছুই না........
প্রয়োজন ফুরালে কিন্তু কখনোই মানুষের রঙ পাল্টায় না, বরং তার আসল রঙ বের হয়।
চিরসত্য হলো....
কাছের মানুষ আর দূরের মানুষ বলতে, কোনো কথা নেই! সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সবাই কাছের আবার সবাই দূরের হয়ে যায়।

ইসলামে শ্রমিকের অধিকার,শ্রমিক ঠকানোর পরিণতি ভয়াবহ
শ্রমিকরা মালিকের পরিবারভুক্ত
ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিক মালিকের পরিবারভুক্ত। ইসলাম শ্রমিককে ‘ভাই’ স্বীকৃতি দিয়ে তার জন্য মর্যাদাপূর্ণ জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করতে বলেছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের দাসরা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাদের তোমাদের অধীন করেছেন, কাজেই কারো ভাই যদি তার অধীনে থাকে, তবে সে যা খায়, তা থেকে যেন তাকে খেতে দেয় এবং সে যা পরিধান করে, তা থেকে যেন পরিধান করায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৫৪৫)
শ্রমিকের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা
শ্রমিকের মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মালিকেরই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মালিকানাধীন (অধীন) ব্যক্তির জন্য খাবার ও কাপড়ের অধিকার আছে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৬৬২)
মজুরি নিয়ে টালবাহানা নয়
বেতন ও পারিশ্রমিক কর্মজীবীর অধিকার—ইসলাম দ্রুততম সময়ে তা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ঘাম শুকানোর আগেই শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিয়ে দাও। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৪৪৩০)
ঠুনকো অজুহাতে বেতন-ভাতা ও প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা আরো ভয়ংকর অপরাধ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির বিপক্ষে থাকব।...আর একজন সে, যে কাউকে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার পর তা থেকে কাজ বুঝে নিয়েছে অথচ তার প্রাপ্য দেয়নি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২২২৭)
দুর্দিনে শ্রমিকের পাশে থাকবে মালিক
ইসলাম সাধারণভাবেই দুর্দিনে অভাবগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আর অসহায় ও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তি যদি হয় তার সেবাদানকারী শ্রমিক—তবে এই দায়িত্ব বেড়ে যায় বহুগুণ।
কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) মালিকপক্ষকে শ্রমিকের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সে যা খায়, তা থেকে যেন তাকে খেতে দেয় এবং সে যা পরিধান করে, তা থেকে যেন পরিধান করায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৫৪৫)
ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, ‘যৌবনকালে যে ব্যক্তি শ্রম দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের সেবা করেছে, বৃদ্ধকালে রাষ্ট্র (কর্তৃপক্ষ) তার হাতে ভিক্ষার ঝুলি তুলে দিতে পারে না।’ (ইবনে মাজাহ)
লভ্যাংশের ভিত্তিতে অংশীদারিত্ব লাভ করার অধিকার:
ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিকদের লাভের মধ্যে অংশীদার হওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। এর নিমিত্তে ইসলাম মুদারাবাত, মুজারাআত প্রভৃতি পন্থা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও তাদের মুনাফার অংশীদার হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। নবী করিম (সা.) শ্রমিককে মজুরিদান করার পরেও তাকে লাভের অংশ দেয়ার জন্যও উপদেশ দিয়ে বলেছেন, ‘শ্রমিকদের তাদের শ্রমার্জিত সম্পদ (লাভ) হতেও অংশ দিও। কারণ আল্লাহর মজুরকে বঞ্চিত করা যায়না।(মুসনাদে আহমাদ)
অন্য একটি হাদীসে রাসূল (সা:) বলেন: “তোমারভৃত্য যদি তোমার জন্য রান্না করে এবং তা নিয়ে তোমার কাছে আসে, রান্না করার সময় আগুনের তাপ এবং ধোঁয়া তাকে কষ্ট দিয়েছে, তখন কষ্টকে কিছু লাঘবের জন্য তোমার সঙ্গে বসিয়ে তাকে খাওয়াবে”। যে কষ্ট স্বীকার করে রান্না করে তার যেমন রান্না করা খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার অধিকার আছে, তেমনি যে শ্রমিক টেক্সাইলে কাজ করে, তার শ্রম দিয়ে মালিকের যে মুনাফা হয়, বেতনের বাইরেও তার ওই মুনাফার একটি অংশ ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী তার প্রাপ্য।
অবকাশ বা ছুটি পাওয়ার অধিকার:
শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য বিশ্রাম, আপনজনদের সাথে একত্রে থাকা ও সামাজিক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করার জন্য সাপ্তাহিক ও বাৎসরিক ছুটি প্রয়োজন। বিশ্রামহীনভাবে বা ছুটি ব্যতিত টানা কাজ করতে শ্রমিককে বাধ্য করানো যাবে না। একসঙ্গে কয়েক ঘণ্টা কাজ করার পর কিংবা নিরবিচ্ছিন্ন কয়েকদিন কাজ করলে তাকে ছুটি বা অবসর দিতে হবে। আরাম ও বিশ্রামের সুযোগ করে দিতে হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, “আল্লাহ তোমাদের প্রতি সহজতা ও নম্রতা আরোপ করতে চান, কঠোরতা ও কঠিনতা আরোপ করতে ইচ্ছুক নন” (সূরা বাকারাঃ ১৮৫)। রাসূলে কারীম (সা:) বলেনঃ “তোমরা সহজ পন্থা অবলম্বন কর, কঠোরতা অবলম্বন করবে না”। নবী করীম (সা:) আরো বলেছেন, তোমরা তোমাদের কর্মচারীদের থেকে যতটা হালকা কাজ নেবে, তোমাদের আমলনামায় ততটা পুরস্কার ও পুণ্য লেখা থাকবে (তারগীব ও তারহীব)।
আনুপাতিকভাবে মজুরি পাওয়ার অধিকার:
ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিকের শ্রমের অনুপাতে মজুরি নির্ধারণ করা মালিকের কর্তব্য। মালিক শ্রমিকদের ভরণপোষণের পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করার অজুহাতে কর্মচারীদের উপর সক্রীয় শক্তিবলে অতিরিক্ত কাজের বোঝা চাপিয়ে দিতে পারবে না। কেউ অতিরিক্ত বা অতি উত্তম কাজ করলে বা কাউকে দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করালে তার জন্য অতিরিক্ত মজুরি বা পুরস্কার দিতে হবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘যে লোক এক বিন্দু পরিমাণ উত্তম কাজ করবে, সে তা দেখতে পাবে’।(সূরা যিলযাল ৭)
মালিক যদি অতিরিক্ত কাজ শ্রমিকের উপর চাপিয়ে দেয়, তাহলে তাকে সাহায্য করার ব্যাপারে রাসূল (সা:) নির্দেশ দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা:) বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “ শক্তি সামর্থের অতিরিক্ত কাজ শ্রমিকের উপর চাপাবেনা। যদি তার সামর্থের অতিরিক্ত কোন কাজ তাকে দাও তাহলে সে কাজে তাকে সাহায্য কর।(বুখারী, মুসলিম)।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দীর্ঘ দিনের খাদেম ছিলেন হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর সঙ্গে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আচরণ কেমন ছিল, তা বর্ণনা করে তিনি বলেন-
‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দীর্ঘ ১০ বছর খেদমত করেছি। তিনি আমার সম্পর্কে কখনো ‘উহ’ শব্দটি বলেননি এবং কোনো দিন বলেননি যে, এটা করো নি কেন? ওটা করো নি কেন? বরং আমার বহু কাজ তিনি নিজে করে দিতেন।’ (মিশকাত)
শ্রমিক ঠকানোর ভয়াবহ পরিণতি
শ্রমিক ঠকানো ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্যতম পাপ, বরং ইসলামের নির্দেশনা হলো, শ্রমিক তার প্রাপ্য সম্পর্কে ওয়াকিফহাল না হলেও মালিক তাকে প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবে। যেমন—শোআইব (আ.) মুসা (আ.)-কে ডেকে এনে পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তখন নারীদ্বয়ের একজন সলজ্জ পায়ে তার কাছে এলো এবং বলল, আমার পিতা আপনাকে আমন্ত্রণ করেছেন আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করানোর বিনিময় প্রদানের জন্য।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ২৫)
অথচ বর্তমানে অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হয়। মহানবী (সা.) এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যে জাতির দুর্বল লোকেরা জোরজবরদস্তি ছাড়া তাদের পাওনা আদায় করতে পারে না, সেই জাতি কখনো পবিত্র হতে পারে না।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৪২৬)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘...যে ব্যক্তি কারো কাছ থেকে শ্রম আদায় করল এবং তার পারিশ্রমিক না দিয়ে চলে গেল; অপরজন হলো, যে অনর্থক কোনো প্রাণী হত্যা করে।’ (মুসতাদরাকুল হাকিম, হাদিস : ২৭৪৩)
ভেবে দেখা উচিত, এই গুণগুলো আমাদের মধ্যে আছে কিনা! দুনিয়ার লোভে পড়ে কোন্ পাপ কাজটি আমরা করি না। মিথ্যা কথা বলা থেকে শুরু করে আমানতের খেয়ানত পর্যন্ত সবই আমরা করে বেড়াই। লোক ঠকাই। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করি।
অথচ, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যার চরিত্রে আমানতদারী নেই, তার ঈমান নেই। আর যে অঙ্গীকার রক্ষা করে না তার দ্বীন নেই। (মুসনাদে আহমাদ)।
অন্য হাদিসে তিনি বলেছেন, মুনাফিকের লক্ষণ তিনটি- যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন ওয়াদা করে তখন তা ভঙ্গ করে আর যখন তার কাছে আমানত রাখা হয় তখন সে তার খেয়ানত করে। (বুখারি, মুসলিম)।
‘তোমরা অধীনস্থদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে এবং তাদেরকে কোন রকমের কষ্ট দেবে না। তোমরা কি জান না, তাদেরও তোমাদের মতো একটি হৃদয় আছে। ব্যথা দানে তারা দুঃখিত হয় এবং কষ্টবোধ করে। আরাম ও শান্তি প্রদান করলে সন্তুষ্ট হয়। তোমাদের কী হয়েছে যে, তোমরা তাদের প্রতি আন্তরিকতা প্রদর্শন কর না।’ -বুখারী।
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বলেছেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (সা:) এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা:) চাকর-বাকরের অপরাধ আমি কতবার ক্ষমা করব? রাসুল (সা:) চুপ রইলেন। সে পুনরায় তাঁকে প্রশ্ন করলে এবারও তিনি চুপ রইলেন। সে পুনরায় তাঁকে প্রশ্ন করলে এবারও তিনি চুপ রইলেন। চতুর্থবার বলার পর বললেন, ‘প্রত্যেক দিন সত্তরবার তাকে ক্ষমা করবে। (আবু দাউদ)।
একজন শ্রমিক অন্যেক কাজ করে অর্থের প্রয়োজনে। তিনি তার শ্রম দিচ্ছেন নিজের জীবন পরিচালনা এবং তার পোষ্যদের ভরণ-পোষণ নির্বাহ করার জন্যে। তাই তাকে যিনি শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করবেন উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেয়া তার নৈতিক দায়িত্ব। ইসলামী বিধানে শ্রমিক, চাষী এবং অন্যান্য শ্রমজীবীকে কেউ বিনা পারিশ্রমিক খাটাতে পারে না। ইসলামের নির্দেশনা অনুসারে শ্রমিকের কাজের ফল বা মজুরী কিংবা পারিশ্রমিক যথাযথ দেয়া এবং কোনোরকম জুলুম-অন্যায়, নিপীড়ন, শোষণ করা উচিত নয়। যদি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ আলোচনার ভিত্তিতে শ্রমিককে নির্ধারিত পারিশ্রমিক প্রদান না করে, তার প্রাপ্য পারিশ্রমিক কমিয়ে দেয় কিংবা ঠকিয়ে দেয় তিনি হবেন আল্লাহর দৃষ্টিতে জালিম। আর জালিমের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। তার কোন সাহায্যকারী কিয়ামতে থাকবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘প্রত্যেকের মর্যাদা তার কাজ অনুযায়ী, এটা এজন্য যে, আল্লাহ প্রত্যেকের কর্মেও পূর্ণ প্রতিফল দিবেন এবং তাদের প্রতি অবিচার করা হবে না ।’ (সূরা আহকাফ:১৯)
অনেক সময় শ্রমিকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মালিকগণ উপযুক্ত মজুরী প্রদান না করে ইচ্ছামত মজুরী দেন এবং শ্রমিকদের বঞ্চিত করেন ও ঠকান। আর শ্রমিকগণ নীরবে তা সহ্য করে থাকে। এ ধরনের কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ যদি শ্রমিকের মজুরি না দেয় অথবা দিতে গড়িমসি করে, তার বিষয়ে বলতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির প্রতিপক্ষ হবো। আর আমি যাদের প্রতিপক্ষ হবো, তাদেরকে পরাজিত করেই ছাড়ব। তাদের একজন হলো, এমন ব্যক্তি যে কাউকে মজুর নিয়োগ করে পুরোপুরি কাজ আদায় করে নেয়, কিন্তু তাকে তার পারিশ্রমিক পরিপূর্ণভাবে আদায় করে দেয়না (বুখারী)।
স্বামী-স্ত্রী প্রচন্ড ঝগড়ার পর
স্বামী রাগ করে মাদ্রাসায় চলে গেল।
দশ মিনিট পরে স্ত্রীর ফোন,
"আমি চললাম, তোমার সংসার, ছেলেমেয়ে সব ফেলে।
যে দিকে দু'চোখ যায়।
স্বামী ঠিক আছে, যাও বলে ফোনটা কেটে দিল।
(এটা বিশ্বাস)!
দুপুরে লাঞ্চ টাইমে বাসায় এসে দেখে স্ত্রী কোথাও যায়নি,
বাসাতেই আছে এবং রান্না বান্না করে
টেবিলে খাবার সাজিয়ে রেখেছে।
(এটা মায়া)
এরপর দুজন দুই রুমে মুড অফ করে শুয়ে আছে,
কারো কোন কথা নেই। কেউ কাউকে খেতেও ডাকছে না,
নিজেও খাচ্ছে না।
(এটা অভিমান)
বিকেলে স্ত্রী তার বাচ্চাকে নিয়ে মাদ্রাসায় চলে গেল।
(এটা দায়িত্ববোধ)
স্বামী বেচারা প্রচন্ড ক্ষুধার্ত হয়ে
ডাইনিং টেবিলে গিয়ে দেখে দুটো প্লেট সাজানো,
দুটো গ্লাসে পানি ঢালা,
তারপর কি ভেবে ফিরে এলো রুমে।
ঠিক করলো স্ত্রী এলে দুজন একসাথে খাবে।
(এটা অপেক্ষা)
রুমে এসে স্ত্রীর মোবাইলে টেক্সট করলো,
"তুমি যে কারনে যেতে পারোনি,
আমিও সে কারণে খেতে পারিনি।"
(এটা ভালোবাসা..!)
শুধু ভালোবাসা দিয়ে সংসার টেকে না,
সংসার টিকে থাকার জন্য দরকার বিশ্বাস,
মায়া, অভিমান, দায়িত্ববোধ এবং অপেক্ষার...।
সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর
21 July 2021
১. প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অল্পতুষ্টি অবলম্বন কর; ধনী হয়ে যাবে।
২. প্রশ্নঃ আমি সবচেয়ে বড় আলেম (ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী) হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, তাক্বওয়া (আল্লাহ্ ভীরুতা) অবলম্বন কর, আলেম হয়ে যাবে।
৩. প্রশ্নঃ সম্মানী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সৃষ্টির কাছে চাওয়া বন্ধ কর; সম্মানী হয়ে যাবে।
৪. প্রশ্নঃ ভাল মানুষ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপকার কর।
৫. প্রশ্নঃ ন্যায়পরায়ণ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা নিজের জন্য পছন্দ কর; তা অন্যের জন্যেও পছন্দ কর
৬. প্রশ্নঃ শক্তিশালী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর উপর ভরসা কর।
৭. প্রশ্নঃ আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার অধিকরী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ (জিকির) কর।
৮. প্রশ্নঃ রিযিকের প্রশস্ততা চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সর্বদা অযু অবস্থায় থাকো।
৯. প্রশ্নঃ আল্লাহর কাছে সমস্ত দোয়া কবুলের আশা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, হারাম খাবার হতে বিরত থাকো।
১০. প্রশ্নঃ ঈমানে পূর্ণতা কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, চরিত্রবান হও ৷
১১. প্রশ্নঃ কেয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে গুনামুক্ত হয়ে সাক্ষাৎ করতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জানাবত তথা গোসল ফরজ হওয়ার সাথে সাথে গোসল করে নাও।
১২. প্রশ্নঃ গুনাহ্ কিভাবে কমে যাবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী ইস্তেগফার (আল্লাহর নিকট কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা) কর।
১৩. প্রশ্নঃ কেয়ামত দিবসে আলোতে থাকতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জুলুম করা ছেড়ে দাও।
১৪. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ তা’য়ালার অনুগ্রহ কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর বান্দাদের উপর দয়া-অনুগ্রহ কর।
১৫. প্রশ্নঃ আমি চাই আল্লাহ্ তা’য়ালা আমার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখ।
১৬. প্রশ্নঃ অপমানিত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যিনা (ব্যভিচার) থেকে বেঁচে থাকো।
১৭. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) এর নিকট প্রিয় হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের (সাঃ) এর নিকট পছন্দনীয় তা নিজের জন্য প্রিয় বানিয়ে নাও।
১৮. প্রশ্নঃ আল্লাহর একান্ত অনুগত হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, ফরজ সমূহকে গুরুত্বের সহিত আদায় কর।
১৯. প্রশ্নঃ ইহ্সান সম্পাদনকারী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, এমন ভাবে আল্লাহর এবাদত কর যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ অথবা তিনি তোমাকে দেখছেন।
২০. প্রশ্নঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! (সাঃ) কোন বস্তু গুনাহ্ মাফে সহায়তা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন,
ক) কান্না। (আল্লাহর নিকট, কৃত গুনাহের জন্য)
খ) বিনয়।
গ) অসুস্থতা।
২১. প্রশ্নঃ কোন জিনিষ দোযখের ভয়াবহ আগুনকে শীতল করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুনিয়ার মুছিবত সমূহ।
২২. প্রশ্নঃ কোন কাজ আল্লাহর ক্রোধ ঠান্ডা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, গোপন দান এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা।
২৩. প্রশ্নঃ সবচাইতে নিকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুশ্চরিত্র এবং কৃপণতা।
২৪. প্রশ্নঃ সবচাইতে উৎকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সচ্চরিত্র, বিনয় এবং ধৈর্য্য।
২৫. প্রশ্নঃ আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার উপায় কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপর রাগান্বিত হওয়া পরিহার কর।
আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন…।
পবিত্র আল-কোরআনের ১০০ টি নির্দেশনা।
০১. কথাবার্তায় কর্কশ হবেন না। (০৩ঃ১৫৯)
০২. রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন (০৩ঃ১৩৪)।
০৩. অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। (০৪ঃ ৩৬)
০৪. অহংকার করবেন না। (০৭ঃ ১৩)
০৫. অন্যকে তার ভুলের জন্য ক্ষমা করুন (০৭ঃ ১৯৯)
০৬. লোকদের সাথে ধীরস্থির হয়ে শান্তভাবে কথা বলুন। (২০ঃ ৪৪)
০৭. উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। (৩১ঃ ১৯)
০৮. অন্যকে উপহাস করবেন না (৪৯ঃ ১১)
০৯. পিতামাতার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করুন। (১৭ঃ ২৩)
১০. পিতামাতার প্রতি অসম্মানজনক শব্দ উচ্চারণ করবেন না। (১৭ঃ ২৩)
১১. অনুমতি না নিয়ে পিতামাতার শোবার ঘরে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ ৫৮)
১২. ঋণ গ্রহণ করলে তা লিখে রাখুন। (০২ঃ ২৮২)
১৩. কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না। (০২ঃ ১৭০)
১৪. ঋণ গ্রহণকারীর কঠিন পরিস্থিতিতে পরিশোধের সময় বাড়িয়ে দিন। (২ঃ ২৮০)
১৫. কখনো সুদের সাথে জড়িত হবেন না। (০২ঃ ২৭৫)
১৬. কখনো ঘুষের সাথে জড়িতে হবেন না। (০২ঃ১৮৮)
১৭. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন না। (০২.১৭৭)
১৮. আস্থা রাখুন (০২ঃ ২৮৩)
১৯. সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করবেন না। (২:৪২)
২০. ইনসাফের সাথে বিচার করবেন। (০৪ঃ ৫৮)
২১. ন্যায়বিচারের জন্য দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যান। (০৪: ১৩৫)
২২. মৃতদের সম্পদ তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুষ্ঠভাবে বিতরণ করুন। (০৪ঃ ০৭)
২৩. মহিলাদের উত্তরাধিকারের অধিকার আদায় করুন। (০৪ঃ ০৭)
২৪. এতিমদের সম্পত্তি গ্রাস করবেন না। (০৪.১০)
২৫. এতিমদের রক্ষা করুন। (০২.২২০)
২৬. অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করবেন না। (০৪ঃ ২৯)
২৭. মানুষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা করুন। (৪৯ঃ ০৯)
২৮. সন্দেহ এড়িয়ে চলুন। (৪৯ঃ ১২)
২৯. গুপ্তচরবৃত্তি করবেন না, কুৎসা রটাবেন না। (৪৯ঃ ১২)
৩০. আল্লাহর বিধানুসারে বিচার করুন। (০৫ঃ ৪৫)
৩১. সাদাকাতে সম্পদ ব্যয় করুন। (৫৭ঃ০৭)
৩২.দরিদ্রকে খাবার খাওয়ান। (১০৭ঃ ০৩)
৩৩. অভাবীকে অভাব পূরুনের উপায় বাতলে দিন। (০২ঃ ২৭৩)
৩৪. অপব্যয় করবেন না। (১৭ঃ ২৯)
৩৫. খোঁটা দিয়ে দানকে নষ্ট করে দিবেন না। (০২ঃ ২৬৪)
৩৬. অতিথিকে সম্মান করুন। (৫১ঃ ২৬)
৩৭. কেবলমাত্র নিজে আমল করে তারপর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যকে আমল করার আদেশ দিবেন। (০২ঃ৪৪)
৩৮. কাউকে গালাগালি করবেন না। (০২ঃ ৬০)
৩৯. লোকজনকে মসজিদে যেতে বাধা দিবেন না। (০২ঃ ১৪৪)
৪০. কেবল তাদের সাথেই লড়াই করুন, যারা আপনার সাথে লড়াই করে (০২ঃ ১৯০)
৪১. যুদ্ধের শিষ্টাচার মেনে চলুন। (০২ঃ ১৯১)
৪২. যুদ্ধেংদেহী হবেন না। (০৮ঃ১৫)
৪৩. দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। (০২ঃ ২৫৬)
৪৪. সকল নবির উপর ঈমান আনুন। (২: ২৮৫)
৪৫. স্ত্রীর মাসিকের সময় যৌন মিলন করবেন না। (০২ঃ ২২২)
৪৬. আপনার শিশুকে পূর্ণ দুবছর বুকের দুধ খাওয়ান। (০২ঃ ২৩৩)
৪৭. অননুমোদিত উপায়ে যৌন মিলন করবেন না। (১৭ঃ ৩২)
৪৮. যোগ্যতা অনুসারে নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করুন। (০২ঃ ২৪৭)
৪৯. কোনো ব্যক্তিকে সামর্থ্যের বাহিরে বেশি বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। (০২ঃ ২৮৬)
৫০. বিভক্তি উসকে দিবেন না। (০৩ঃ ১০৩)
৫১. মহাবিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করুন (৩: ১৯১)
৫২. আমল অনুযায়ী পুরুষ ও মহিলাদের সমান পুরষ্কার পাবেন; তাই আমল করুন। (৩: ১৯৫)
৫৩. 'মাহরাম' আত্মীয়কে বিবাহ করবেন না। (০৪ঃ ২৩)
৫৪. পুরুষ হিসেবে মহিলাদের সুরক্ষা দিন। (০৪ঃ ৩৪)
৫৫. কৃপণ হবেন না । (০৪ঃ ৩৭)
৫৬. অন্তরে পরশ্রীকাতরতা পুষে রাখবেন না। (০৪ঃ ৫৪)
৫৭. একে অপরকে হত্যা করবেন না। (০৪ঃ ৯২)
৫৮. প্রতারণার পক্ষে ওকালতি করবেন না। (০৪ঃ ১০৫)
৫৯. পাপ কাজে এবং আগ্রাসনে সহযোগিতা করবেন না। (০৫ঃ০২)
৬০. সৎ কাজে সহযোগিতা করুন। (০৫ঃ ০২)
৬১. সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই কোনোকিছু সত্য বলে গ্রহণ করবেন না। ( ০৬ঃ ১১৬)
৬২. ন্যায়বিচার করুন। (০৫ঃ ০৮)
৬৩. অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। (০৫ঃ ৩৮)
৬৪. পাপ ও বেআইনী কাজের বিরুদ্ধে লড়াই করুন (০৫ঃ ৬৩)
৬৫. মৃত প্রাণী, রক্ত, শুকরের মাংস ভক্ষণ থেকে দূরে থাকুন। (০৫ঃ ০৩)
৬৬. মাদক এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন (৫:৯০)
৬৭. জুয়া খেলবেন না। (০৫ঃ ৯০)
৬৮. অন্য ধর্মের দেবদেবীদের অবমাননা করবেন না। (০৬ঃ ১০৮)
৬৯. ক্রেতাকে ঠকানোর উদ্দ্যেশ্যে মাপে কম দিবেন না। (০৬ঃ ১৫২)
৭০. খান এবং পান করুন; তবে অপচয় করবেন না। (০৭ঃ ৩১)
৭১. নামাজের সময় ভালো পোশাক পরিধান করুন। (০৭ঃ ৩১)
৭২. আশ্রয়প্রার্থীকে সুরক্ষা দিন, সহযোগিতা করুন। (০৯ঃ ০৬)
৭৩. বিশুদ্ধতাকে আঁকড়ে ধরুন। (০৯ঃ ১০৮)
৭৪. আল্লাহর রহমতের আশা কখনই পরিত্যাগ করবেন না। (১২ঃ ৮৭)
৭৫. অজ্ঞতাবশত ভুল করলে আল্লাহর ক্ষমা প্রত্যাশা করুন। ( ১৬ঃ ১১৯)
৭৬. মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করুন হিকমা ও উত্তমভাবে। (১৬ঃ ১২৫)
৭৭. অন্যের পাপের বোঝা কাউকে বইতে হবে না, বিশ্বাস করুন। (১৭ঃ ১৫)
৭৮. দারিদ্র্যের ভয়ে আপনার বাচ্চাদের হত্যা করবেন না। (১৭ঃ ৩১)
৭৯. যে বিষয়ে জ্ঞান আপনার জ্ঞান নাই, সে বিষয়ে কারও পিছু লাগবেন না। (১৭ঃ ৩৬)
৮০. নিরর্থক কাজ থেকে দূরে থাকুন। (২৩ঃ ০৩)
৮১. অনুমতি না নিয়ে অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ ২৭)
৮২. যারা আল্লাহকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, তাদের জন্য তিনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন, এই বিশ্বাস রাখুন। (২৪:৫৫)
৮৩. জমিনে নম্রভাবে চলাফেরা করুন। (২৫ঃ ৬৩)
৮৪. পৃথিবীতে আপনার অংশকে অবহেলা করবেন না। (২৮ঃ ৭৭)
৮৫. আল্লাহর সাথে অন্য কোনো উপাস্যকে ডাকবেন না। (২৮ঃ ৮৮)
৮৬. সমকামিতার ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হবেন না। (২৯ঃ ২৯)
৮৭. সৎ কাজের আদেশ দিন, অসৎ কাজে বাধা দিন। (৩১ঃ ১৭)
৮৮. জমিনের উপর দম্ভভরে ঘুরে বেড়াবেন না। (৩১ঃ ১৮)
৮৯. মহিলারা তাদের জাকজমকপূর্ণ পোষাক প্রদর্শন করে বেড়াবে না। (৩৩ঃ ৩৩)
৯০. আল্লাহ সকল গুনাহ ক্ষমা করেন, বিশ্বাস রাখুন। (৩৯ঃ ৫৩)
৯১. আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবেন না। (৩৯ঃ ৫৩)
৯২. ভালো দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করুন। (৪১ঃ ৩৪)
৯৩. পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। (৪২ঃ ১৩)
৯৪. সর্বোত্তম মানুষ হওয়ার লড়াই করুন। (৪৯ঃ ১৩)
৯৫. বৈরাগ্যবাদী হবেন না। ( ৫৭ঃ ২৭)
৯৬. জ্ঞান অন্বেষণে ব্যাপৃত হোন। ( ৫৮ঃ ১১)
৯৭. অমুসলিমদের সাথে সদয় এবং নিরপেক্ষ আচরণ করুন। (৬০ঃ ০৮)
৯৮. লোভ থেকে নিজেকে বাঁচান। (৬৪ঃ ১৬)
৯৯. আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। (৭৩ঃ ২০)
১০০. ভিক্ষুককে ফিরিয়ে দিবেন না। (৯৩ঃ ১০)
এভাবে যদি আগে কখনও ভাবতাম!
১২৫ টি শব্দের অর্থ জানলে কুরআনের ৫৫% শব্দের অর্থ জানা হয়ে যায় আর ৩২০ টি জানলে জানা হয় ৭৫%!!! (সুবহানাল্লাহ)
জ্বি, ঠিক তাই। কুরআনের শব্দ সংখ্যা ৭৭,৪০০ এর কিছু বেশি হলেও ধাতু ও মৌলিকত্বের বিচারে শব্দ মাত্র ১৮২০ টি। এই শব্দগুলোর অনেক শব্দেরই ঘটেছে পুনরাবৃত্তি। তাই, বেশি ব্যবহৃত শব্দগুলো আগে শিখলে কুরআনের আয়াতগুলোর অর্থ বুঝতে সহজ হয়।
আমার মতে, যারা মাদরাসায় পড়েননি বা আরবী যাদের ভাষা নয়, তারা এসব পুনরাবৃত্তিমূলক শব্দগুলো হতে ৫-১০ টি দৈনিক মনে রাখলে বেশিদিন লাগবে না এসব জানতে ইন-শা-আল্লাহ।
দ্রুতই তখন কুরআন পড়ার সময় দেখবেন অর্থ পুরো না বুঝলেও অনেক আয়াতেরই অর্থের অনুবাদ ছাড়াই অনেকটা কাছাকাছি যেতে পারবেন।
আল্লাহ আমাদের জন্য কুরআন বুঝা ও মানা সহজ করুন,
আমীন।
আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। সেজন্য আমরা যখন কোরআন পড়ি, না বুঝেই তেলাওয়াত করতে হয়। কারণ আমরা কোরআনিক আরবী জানিনা। কোরআন পড়ার পাশাপাশি বুঝে পড়াটা খুব জরুরী।
তেলাওয়াতের সময় যখন তেলাওয়াত করি তখন শুধু আবৃত্তি করি কিন্তু কী পড়তেছি কী এটার ব্যাখ্যা, এটার অর্থ কী আমরা জানি না! নামাযে যখন ইমামের পেছনে শুনি তখন যদি আমরা কুরআনের আরবী বুঝতে পারতাম তাহলে নামাযে খুশু খুযু আসতো, মনোযোগ দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা কী করি?
সারাটা জীবনই এভাবে না বুঝে কাটিয়ে দেই, কখনও কুরআনের আরবী শেখার চেষ্টাও করিনা! কতোই অভাগা আমরা!
পার্থিব জীবনের সফলতার জন্য বইয়ের পর বই আমরা মুখস্ত করতে পারি। গোগ্রাসে গিলতে পারি শত শত থিওরী, শুধুমাত্র এই দুনিয়ায় কয়টা বছর ভালো থাকার জন্য। কখনোই দ্বীনি ইলম জানার জন্য চেষ্টা করিনা আমরা। অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, জ্ঞান অর্জন প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর উপর ফরয।
কোরআনিক আরবী শিখতে হলে আমরা ভয় পাই। মনে করি না জানি এটা কতো কঠিন। আসলে যারা শিখেছেন তাদের অভিজ্ঞতা মতে, এটা খুবই সহজ শুধুমাত্র একটু চেষ্টা দরকার। আপনাকে পুরো আরবী ভাষা শিখতে হবেনা।
Vocabulary শিখতে হবে যতো বেশি পারেন। আজকে ইনশাআল্লাহ পবিত্র কোরআনে অনেক বেশি ব্যবহৃত ১০০ টি শব্দ দেয়ার চেষ্টা করবো। এগুলো একদম বেসিক noun, pronoun, adjective, verb, preposition and question words.
জোড়া তালি দেয়ার শব্দগুলো শিখতে পারলে ইনশা আল্লাহ যখন Vocabulary আরো বেশি করে জানবেন তখন আরবী পড়ে নিজেই অর্থ বুঝে নিতে পারবেন। প্রতিদিন ইনশা আল্লাহ পাঁচটি করে শব্দ শিখবেন এটাই যথেষ্ট।
1st day:
1.هَذَا[হাযা](this(male-এটা
2.هَـذِهِ -[হাযিহি]this(female এটা)
3.هَـؤُلآءِ -[হা-উলা-ই]these (এইসকল)
4.ذَلِكَ -[যালিকা]that(male যাহা, যে)
5.تِلْكَ -[তিলকা]that(female যাহা,যে)
2nd day :
6.أُولَئِكَ -[উলাইকা]those(যাহারা,সেগুলো)
7.اَلَّذِىْ -[আল্লাযি]who(male যে)
8.اَلَّتِىْ -[আল্লাতি]who (female)
9.اَلَّذِيْنَ -[আল্লাযিনা]those who(তোমরা যারা)
10.تَحْتَ -[তাহতা]under(তলদেশে,নিচে)
3rd day :
11.فَوْقَ -[ফাওক্বা]above(উপর)
12.قَبْلَ -[ক্ববলা](before -(সামনে,আগে
13.ﺑَﻌْدَ -[বা'দা]after(পরে,পরবর্তী কালে,)
14.بَيْنَ -[বাইনা]between(মধ্যবর্তী স্থানে)
15.دُونَ -[দুনা]besides(তুলনায়,পার্শ্বে)
4th day :
16.عِنْدَ -['ইন্দা]near (নিকটবর্তী, প্রায়)
17.يَمِيْنْ -[ইয়ামিন]right(ন্যায়,ঠিক,সত্য)
18.شِمَالْ -[শিমাল]left(বাদিকে)
19.ٱللَّه -Allah
20.رَب -রব
5th day :
21.أَرْض -[আরদ্বা](পৃথিবী (World
22.قَوْم -[ক্বওম]nation জাতি
23.ءَايَة -[আয়াহ]চিহ্ন /আায়াত
24.كُل -[কুল্লু]every (প্রত্যেক, সব)
25.رَسُول -[রসূল]messenger (দূত)
6th day :
26.يَوْم -[ইয়াওম] day (দিন)
27.عَذَاب - ['আযাব] punishment (আজাব)
28.سَمَآء -[সামা'] sky(আকাশ)
29.شَىْء -[শাইই্] thing(জিনিস,ঘটনা,ব্যাপার)
30.كِتَاب -[কিতাব
7th day :
31.حَق -[হাক্ব] truth (সত্য)
32.نَاس - [নাস] people (সম্প্রদায়)
33.مِن - [মিন] from (হতে, থেকে)
34.فِى -[ফী] in (অভ্যন্তরে, মধ্যে)
35.عَلَى -['আলা] upon (সন্নিকটে)
8th day :
36.اِلَى -[ইলা] to (কাছে, প্রতি)
37.عَن -['আন] about (সম্পর্কিত,সম্পর্ক)
38.حَتَّی -[হাঁত্তা] until (যতক্ষণ না)
39.مَعَ -[মা'আ]with(একত্রে, সঙ্গে)
40.بِ -[বি]with(সাথে)
9th day:
41.كَ -[কা]like (মত,প্রায়)
42.لِ -[লি] for (জন্য)
43.مَن -[মান] who (যে)
44.مَا / مَاذَا -[মা যা] (what (কী, যাহা
45.أَيْنَ -[আইনা] where (যেথায়,কোথায়)
10 the day :
46.مَتى -[মাতা] when(কখন,তখন)
47.لِمَ / لِمَاذَا -[লিমা/লিমা যা] why(কেন,কী জন্য)
48.كَيْفَ -[কাইফা] how (কেমন,কিভাবে)
49.هَلْ -[হাল] are (হয়)
50.أَيُّ -[আইয়্যু] which (যেটি, যেগুলো)
11 the day :
51.كَمْ -[কামা] how much (কতোটুকু)
52.لَا -[লা] no(না)
53.مَا -[মা] not (মোটেই নয়)
54.لَمْ -[লাম] not (নয়)
55.لَنْ -[লান] never (কখনোও না)
12 th day :
56 .كَلَّا -[কুল্লা] nay (বস্তুত)
57.لَيْسَ -[লাইসা] it is not (মতো নয়)
58.بَلَى -[বালা] of course (নিশ্চয়ই)
59.نَعَمْ [নাআ'ম]-yes
60.مُؤْمِن -[মু'মিন] believer(বিশ্বাসী)
13 th day :
61.سَبِيل -[সাবিল] way (পথ,উপায়)
62.أَمْر -[আম্র]command (আজ্ঞা, নির্দেশ)
63.بَعْض -[বা'দ] some (কেহ,কিছু)
64.خَيْر -[খইর] better (উত্তম, শ্রেষ্ঠ)
65.إِلَٰه -ইলাহ
14 th day :
66.آخِر -[আখির] last ( শেষ)
67.جَنَّة -[জান্নাহ] বাগান
68.نَار -[নার] fire ( আগুন)
69.غَيْر -[গইর] without (ব্যতিরেকে,ব্যতীত)
70.قَلْب -[ক্বলব] heart ( অন্তর)
15th day :
71.عَبْد -[আব্দ]slave (গোলাম)
72.أَهْل -[আহল] family (দল,পরিবার)
73.يَد -[ইয়াদ] hand(আয়ত্তে,হাত)
74.قَالَ -[ক্বলা] he said (বলেছেন)
75.كَانَ [কানা] -he was
16th day :(verbal)
76.ءَامَنَ- [আমানা-he believed (তিনি বিশ্বাস করেছিলেন)
77.عَلِمَ -[আলিমা]he knew (তিনি জানতেন)
78.جَعَلَ -[জা'আলা]he made (তৈরী করেছেন)
79.كَفَرَ -[কাফার] he disbelieved (অবিশ্বাস করেছিলো)
80.جَآءَ [জাআ]-he came
17th day :
81.عَمِلَ -[আমিলা]he did (করেছিলেন)
82.آتَى -[আ—তা] he gave (তিনি দিয়েছেন/লেন)
83.رَءَا -[—রআ]he saw (তিনি দেখেছিলেন)
84.أَتَى -[আতা]he came (তিনি এসেছিলেন)
85.شَآءَ -[শা—আ] he wished (ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন)
18th day :
86.خَلَقَ -[খলাক্ব] he created (তিনি তৈরী করেছেন)
87.أَنزَلَ -[আংযালা]he sent down(তিনি প্রেরণ করলেন)
88.كَذَّبَ -[কাযযাবা] he denied (মিথ্যে বলা অর্থে ব্যবহৃতও হয়,অস্বীকার করা অর্থেও)
89.دَعَا -[দা'আা] he invoked (প্রার্থনা করা অর্থে)
90.ٱتَّقَى -[আত্তাক্বা] he feared (ভয়)
19th day :
91.هَدَى -[হাদা] he guided (পরিচালিত করলেন)
92.هُوَ -[হুয়া] he (তিনি,সে)
93.هُمَا -[হুমা] they both (উভয়েই)
94.هُمْ -[হুম] they (male -তারা)
95.هِيَ -[হিয়া] she (এটা স্ত্রীবাচক)(সে)
20 th day :
96.هُنَّ -[হুন্না] they (female তারা)
97.أَنْتَ -[আংতা] you (male,তুমি)
98.أَنْتُمَا -[আংতুমা] you both (তোমরা উভয়েই)
99.أَنَا -[আনা] I (আমি)
100.نَحْنُ -[নাহঁনু] we (আমরা)
উপরিউক্ত শব্দগুলোর সম্ভাব্য বাংলা অর্থ দেয়ার চেষ্টা করেছি,তবে বিভিন্ন আয়াতে শব্দগুলোর অর্থ ভিন্ন হতে পারে সে ব্যাপারে ইনশাআল্লাহ খেয়াল রাখবেন।
যেহেতু কোরআনে কারিম আমাদের জীবনের সঠিক গাইড লাইন দেয়। সে জন্যে অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। সকাল কিংবা রাতে অথবা সাহরির আগে-পরে তাফসির চর্চার কাজ করতে পারেন। কোরআনে কারিমকে বুক সেলফে সাজিয়ে রেখে লাভ নেই। অনুবাদসহ বাংলা তাফসির গ্রন্থ কিনে ঘরের শোভা বাড়িয়ে লাভ নেই। কোরআন শরিফ এবং তাফসিরগুলোকে সেলফ থেকে নামিয়ে পড়ার টেবিলে আনতে হবে, নিয়মিত পড়তে হবে।
আল্লাহ তায়ালা কোরআনে একবার নয়, দু'বার নয় বরং ৪ বার বলেছেন--
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে । অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? [সূরা কামার ৫৪:১৭, ২২, ৩২, ৪০]
তাই চলুন কোরআনকে কোরআনের ভাষাতেই বুঝার চেষ্টা করি ।
- সংগৃহীত।
আজকে আমার মেয়েদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, "তোমাদের কি কখনো মনে হয় যে ইসলাম স্বামীকে স্ত্রীর উপর প্রাধান্য দিয়ে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষকে নেতৃত্বের তাগিদ দিয়ে, উত্তরাধিকার আইনে ছেলেকে মেয়ের দ্বিগুণ দিয়ে একটু পক্ষপাতিত্ব করেছে? বিষয়টি মেনে নিতে কি একটু হলেও কি কষ্ট হয়?"
তারা দু'জন মাথা নাড়ল। আল্লাহ্ তাদের রহম করুক। আমাদের অনেক মেয়েদেরই আজ এই অবস্থা।
আমি ওদের বললাম, যদি মানুষ না বানিয়ে আল্লাহ্ তোমাকে জ্বিন হিসেবে তৈরি করতেন তাহলে কি করতে? সেটাতো হতো পুরুষ ও নারী দুই মাখলুকাতের নিচে?
আর যদি এমন হতো যে সারা জীবন অনেক কষ্ট করে জ্ঞান অর্জন করেছ, ইবাদত বন্দেগী করেছ এবং শারীরিক ভাবে অনেক শক্তি অর্জন করেছ। কিন্তু হঠাত করে একদিন হাঁটুর বয়সী এক সদ্য নড়তে শেখা মাটির তৈরি বস্তুকে সিজদা করতে বলত, তাহলে কি করতা? সেই পরীক্ষায় কি পাশ করতে পারতে?
নারীবাদের বয়ানটা আসলে ইবলিশেরই বয়ান। আমি ওর সমান বা উঁচু হলাম না কেন? সে কেন আমার থেকে শ্রেষ্ঠ হবে??
আরে যিনি সৃষ্টি করেন সিদ্ধান্ত তো তারই, তাই না? একই মাটি দিয়ে তৈরি রক্ত মাংসের আমি আর নবীকুল কি এক? সোনার চামচ মুখে জন্ম নেয়া আরব, সাত ফিট লম্বা এনবিএ প্লেয়ার আর একজন অন্ধ কিংবা বিকলাঙ্গ কি এক হয়? তুমি যখন ময়দা দিয়ে পরোটা বানাও, আবার কেকও বানাও তখন পরোটা কি আন্দোলন করতে পারে যে সে কেন কেক হলো না? তার কী সেই অধিকার আছে? সে তো ছিলই না! সে যে পরোটা হয়ে টেবিলে উঠতে পেরেছে তার জন্যই তো তার ধন্যবাদ দেয়া উচিত!
কিন্তু মানুষে মানুষে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ্র বিচারটা ন্যয়ভিত্তিক। সেটা বোঝার জন্য আখিরাতের হিসেবকে সামনে আনতে হবে। মাথাটা ঠাণ্ডা রেখে একটু চেষ্টা করলেই শত শত কোটি পুরুষকে পেছনে ফেলে জান্নাতের উপরের পর্যায়ে চলে যেতে পারবে এবং এভাবে অনেক মেয়েরাই যাবে। আর সেটা যাবে পুরুষের সমান হবার আন্দোলন না করেই। ভালো নারী হবার মাধ্যমে।
তাই, আল্লাহ তোমাকে কি বানিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছে তা নিয়ে অভিযোগ না করে নিজেকে নিজের অবস্থান থেকে শ্রেষ্ঠ করে গড়ে তোল।
Shaer Hassan

বিয়ের জন্য সঠিক বয়স কত হওয়া উচিত?
এইদেশে ছেলেদের প্রতিষ্ঠিত হতে ৩০-৩২ বছর লেগে যায়। আবার করোনা, খাদ্যাভ্যাস আর লাইফস্টাইলসহ বিভিন্ন কারণে দেখছি ৫০ পেরোবার আগেই অনেকে মারা যাচ্ছে। এদের সন্তানদের গড় বয়স ১২-১৫ বছর অর্থাৎ তারা প্রতিষ্ঠিত হবার বেশ আগেই বাবা মারা যাওয়াতে জীবিকা নির্বাহ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি নিতে নিতে বয়স ২৭-২৮ পেরিয়ে যায়। অল্প বয়সে বিয়ে দিলে তারা পুরোপুরি স্বামীর উপর নির্ভরশীল হয় এবং স্বামী ঠিকভাবে সংসারের দায়িত্ব না নিলে তখন তারা অথৈ সাগরে পড়ে যায়। ৩০ বছরে ১ম গর্ভধারণ করলে বড় সন্তান চাকুরি পেতে পেতে মায়ের বয়স হয়ে যায় ৬০। কন্যা সন্তানের বিয়ে হলেও অনেক পুত্র সন্তান তখনো অবিবাহিত থেকে যায়।
বিশেষ করে করোনাকাল আমাদের অনেক কিছুই নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।
পুত্র কন্যারা প্রতিষ্ঠিত না হলে বাবা-মায়ের মৃত্যুতে সেই পরিবার অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর এরকম পরিবারের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও সমাজের উপর অযাচিত চাপ বাড়তে থাকে।
এর সম্ভাব্য সমাধানগুলো হতে পারে,
- আমাদের সাধারণ ধ্যান-ধারণা হতে বের হয়ে পুত্র-কন্যারা একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর হতে পড়ালেখার সাথে সাথে অর্থ উপার্জনের দিকেও মনোযোগী হতে পারে।
- বিয়ের জন্য শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রি পর্যন্ত অপেক্ষা না করা।
- অপচয় বর্জন করে বিয়ের খরচ কমিয়ে আনা, সম্ভাব্য সংসারের জন্য পরিবার হতে সঞ্চয় করা এবং মিতব্যয়ী, বিলাসিতা বর্জিত দাম্পত্য।
বিয়ের গড় বয়স কমে আসলে বাবা-মায়ের রিটায়ার বা মৃত্যুর গড় বয়সের আগেই পুত্র-কন্যারা জীবনযুদ্ধের জন্য ভালভাবে প্রস্তুত হতে পারবে।
ব্যক্তিগতভাবে আমার পছন্দ,
-:ছেলেরা উপার্জন শুরু করার ৬-১২ মাস পর
- মেয়েরা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর....
এরপর আসবে বাকি পড়ালেখা, উচ্চতর ডিগ্রি, বিসিএস, স্বপ্ন, ক্যারিয়ার.... সবকিছু.....
আপনি প্রকৃতিকে অস্বীকার করে নিজের রাস্তায় হাঁটতে চাইলে প্রকৃতি একসময় ঠিকই প্রতিশোধ নিবে।
Atique Ua Khan

সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।🌙
ঈদ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।

মাশাআল্লাহ, খুবই সুন্দর ডিজাইন নিয়ে কোরআনের সহজ ৪৭ টি সুরার অনবদ্ধ সংকলন। নিজে পড়ুন ও অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন। প্রিয়জনদের উপহার দিয়ে আখিরাতে বিনিয়োগ করুন।
আমলের ১৩ টি ফজিলত পূর্ণ সুরা সহ সহজ ৪৭ সুরা
কালার কোডেড উচ্চারণ ও অনুবাদ সহ
অন্তত একটি কোরআন হলেও উপহার দিন।
✅যা যা পাচ্ছেন আমাদের এই সহজ কোরআনেঃ
★ সুরা আল ফাতিহা
★ সুরা আল বাক্বারা (১-৬)
★ সুরা আল বাক্বারা (আয়াতুল কুরসী)
★সুরা আল বাক্বারা (আমানার রাসুলু)
★ সুরা আল ইমরান (শেষ ১০ আয়াত)
★ সুরা আল কাহ্ফ (প্রথম ১০ আয়াত)
★ সুরা আল হাশর (শেষ ৩ আয়াত)
★ সুরা ইয়াসীন
★ সুরা আর রহমান
★ সুরা আল ওয়াকি'আ
★ সুরা আল মূলক
★ সুরা আল কাহ্ফ
★ সুরা মুজ্জাম্মিল
★ সুরা দুখান
সুরা সাজদাহ
আম্মা পারা (৩০ তম পারার ৩৭ টি সুরা)
এবং বিশেষ ফজিলত পূর্ণ কিছু কোরআনিক দোয়া ও হাদিস।
সাথে থাকছে রঙিন হরফে তাজওয়ীদের নিয়মাবলি
(যাতে সহজেই পড়ার নিয়ম শিখে নিতে পারেন),
ওয়াকফের চিহ্ন,
হরফ উচ্চারণের পদ্ধতি,
আল্লাহর সুন্দরতম গুনবাচক নাম ও তার অর্থ সহ
আরও অনেক কিছু।
✅অর্ডার করতে ইনবক্স করুন

কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের বাহ্যিক লিবাসে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। কিন্তু লোকচোখের অন্তরালে থাকা দূষিত অন্তরে পরিবর্তন আসে না। বাইরের বেশভূষায় দ্বীনের ছোঁয়া আসে, কিন্তু অন্তরের আত্মশুদ্ধিতে দ্বীনের ছোঁয়া নেই। মুখের কথায়, আদবে আখলাকে জাহিলিয়াতের ছাপ রয়ে যায়। নিজের জন্যই প্রশ্ন রয়ে যায়: তাহলে কীভাবে নিজেকে শুদ্ধ করব?
ক্রমাগত আত্মশুদ্ধির পথে শক্ত থাকার জন্য কুরআনের সাথে লেগে থাকার কোন বিকল্প নেই। দিনে যে কয় মিনিট স্ক্রলিং করি, তার সমপরিমাণ সময় কি কুরআনের সাথে কাটাই? আমাদের কাছে স্ক্রলিং বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি কুরআন?
কুরআনের সাথে লেগে থাকুন। এই একটা কথা যতবার বলবো, ততবারই কম হবে। যে যেভাবে পারেন, আল্লাহর কালামের সাথে লেগে থাকুন। তিলাওয়াত করুন, তিলাওয়াত শুনুন, পরিচিত আয়াত মুখস্ত করুন, কুরআনের অর্থ বাংলায় পড়ুন, ইংরেজিতে পড়ুন, তিন চারটা তাফসীর মিলিয়ে পড়ুন, নোট করুন, কুরআন নিয়ে জার্নালিং করুন, কুরআনের আয়াতগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করুন।
"তারা কি কুরআন নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করে না? নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?"
(সূরা মুহাম্মদ: ২৪)
আপনি যদি কুরআন নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করা ছেড়ে দেন, আপনার অন্তরের অবস্থাটা কি হবে ভেবে দেখেছেন কখনো? আপনার মন ছোট হয়ে আসবে, মানসিকতা সংকীর্ণ হয়ে যাবে, দুনিয়ার কষ্টকেই আপনার কাছে মনে হবে জীবনের শেষ সীমা! দুনিয়ামুখী চিন্তাভাবনা কীভাবে যে তিলে তিলে আপনাকে ধ্বংস করে দিবে, টেরও পাবেন না। নিজেদের অনিষ্ট থেকে আমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
কুরআনের সাথে লেগে থাকলে আমাদের এই অন্তরটা শুদ্ধতা এবং স্নিগময় প্রশান্তির খুব কাছাকাছি থাকবে। আপনার নিজের জন্য এই জীবনে কুরআনের সাথে লেগে থাকাকে সহজ করুন।
কীভাবে কোরআনের সাথে লেগে থাকা নিজের জন্য সহজ করতে পারি? এই ব্যাপারে কিছু প্র্যাকটিক্যাল টিপস এমন হতে পারে:
🔸 আপনার প্রতিদিনের রুটিনে দৈনিক এবং সাপ্তাহিক কিছু সময় ছকে বাঁধা থাকবে কেবলমাত্র কুরআনের জন্য। ওই সময় আপনি-আমি অন্য কিছুই করব না। যেমন প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সূরা বাকারাহর শেষ দুই আয়াত পড়লেন, সূরা মূলক পড়লাম, প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে সূরা কাহাফ পড়লাম।
🔸 উক্ত আমল গুলো সম্পন্ন করতে ছবির সহজ কুরআনের ছোট্ট কপিটি সংগ্রহ করতে পারেন।
কুরআন নিয়ে অলসতা চলে আসার সুযোগটাই যেন আমরা না দেই! হাতের নাগালে এমন ছোট সাইজের, হালকা, সুন্দর কভারের সহজ কুরআন এভেইলেবেল থাকলে, কুরআন পড়ার অভ্যাসটা গড়া আরো সহজ হয়ে যাবে।
ছবিতে উল্লেখিত এই কুরআনের কপিতে সম্পূর্ণ কুরআন নেই, তবে আমাদের প্রতিদিনের আমলের জন্য পড়ার সূরা গুলো সুন্দর করে একত্রিত করা আছে। এটা আমি ঘরের এমন একটা জায়গায় তুলে রেখেছি যে, ঘরে ঢোকার সাথে সাথে এই কুরআনের কপিটার দিকে চোখ চলে যায়। তখন না পড়ে উপায় থাকে না। একজন বোনের ব্যক্তিগত জীবনে নিজের চোখেই দেখেছি, যে এই ছোট্ট একটা "সহজ কুরআন" সংগ্রহ করে চোখের সামনে রেখে দেয়ার ফলে কুরআন পড়ার পরিমান তার জীবনে বেড়ে গিয়েছে আলহামদুল্লিলাহ! এই কপিটাই হতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনি যে কোন কুরআন কপি আপনার হাতের নাগালেই রাখুন। ইন শা আল্লাহ দেখবেন আপনার কুরআনের সাথে সময় কাটানো আল্লাহর ইচ্ছায় বেড়ে যাচ্ছে।
🔸 নারীদের বিশেষ সময়ে যারা কুরআন তিলাওয়াত থেকে দূরে থাকেন, তারা সূরা মূলক, সূরা বাকারাহ, এগুলোর নিয়ম করে তিলাওয়াত শুনবেন। শুক্রবার সূরা কাহাফের তিলাওয়াত শুনবেন যদি ঐ সপ্তাহে ছুটি থাকে। তাও কুরআন থেকে লম্বা সময় ধরে একেবারে বিচ্ছিন্ন থাকবেন না।
কুরআন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়াটাই আমাদের অধঃপতনের প্রথম ধাপ। কুরআন বিহীন অন্তর একটা মৃত অন্তর। কুরআন বিহীন জীবন একটা অন্ধের জীবন।
অন্ধের মতই আমরা এখানে-সেখানে হাতড়িয়ে বেড়াই এক ফোঁটা শান্তির খোঁজে। অন্ধের মত শান্তি খুঁজি, আত্মশুদ্ধির উপায় খুঁজি, খুঁজে যাচ্ছি জীবনের অর্থ! না না, এর মানে এই না যে, আমাদের চোখ অন্ধ, কুরআন বিহীন মানুষের অন্তরটাই অন্ধ।
"তারা কি যমীনে ভ্রমণ করে না? তাহলে তারা হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারত, আর তাদের কান শুনতে পারত। প্রকৃতপক্ষে চোখ অন্ধ নয়, বরং বুকের ভিতর যে হৃদয় আছে তা-ই অন্ধ।"
(কুরআন ২২:৪৬)
এমন অন্তরের অন্ধত্ব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই, যা দুনিয়া আখিরাতে কোন উপকার নিয়ে আসে না। আল্লাহ আপনি কুরআনকে আমাদের হৃদয়ের বসন্ত বানিয়ে দিন, বানিয়ে দিন আমাদের দুঃখ-কষ্টের অবসান কারী। আমিন।
🌻
#রাইটিং_থেরাপি
Click here to claim your Sponsored Listing.
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Moulvi Bazar
3200
Moulvi Bazar, 3118
Always wear a smile, because your smile is reason for many others smile.