
Sona pur High School, Rajnagar Sylhet, BD
۞সরল, সহজ একটি বাক্যও বদলে দিতে পারে আপ


এস এস সি রেজাল্ট ২০২২
পাশের হার ৮৪.২১%
জিপিএ A+ ৩ জন
A ৫১ জন
A- ৩৪জন
অভিনন্দন সবাইকে

পাশের হার ৯৫.৪২% জিপিএ৫ : ১০জন.


Our school website
http://www.sonapurhighschool.edu.bd
Home Jalalabad Cantonment, Boteshawr, Sylhet

রাজনগরে সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন সমাজকল্যান মন্ত্রী।।
এম,এন,ইসলাম, মৌলভীবাজার : ৪৭ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ১ নং ফতেপুর ইউপির সোনাপুর উচচ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেছেন সমাজ কল্যান মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী এম,পি। সোমবার দুপুরে........ www.bijoyerdak71.com/রাজনগরে-সোনাপুর-উচ্চ-বিদ/

♦সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট♦পর্ব- ১
কিছু মানুষের প্রচেষ্ঠায় গবিন্দপুর গ্রামে ১৯৬৫ইং সালে সমাজ কল্যাণ সমিতি নামে একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা লাভ করে।এই সংগঠনের উদ্যোগে ১৯৬৬ ইং সালে সোনাপুর সরকারী(তৎকালীন বেসরকারী) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে বয়স্কদের শিক্ষা দানের উদ্দেশ্যে "নাইট স্কুল" চালু করা হয়।
নাইট স্কুলের শিক্ষক ছিলেন-
মো: ইব্রাহীম আলী মাষ্টার, মো: হামদু মিয়া (ভেড়িগাও), মৌলভী তফজ্জুল আলী।কালক্রমে এর কার্যক্রম বন্দ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে ইব্রাহীম আলী মাষ্টার এলাকায় একটি মাধ্যমিক স্কুল গড়ার চিন্তায়, সমাজ কল্যাণ সমিতির সদস্যদের সাথে ও এলাকার কলেজ পড়ুয়া ছাত্র এবং শিক্ষানুরাগীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে বৈঠক ডাকলেন। বৈঠকে ইব্রাহীম আলী মাষ্টার স্কুল প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে, মাষ্টার নিজাম উদ্দিন সহ এলাকার সব মানূষ সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
পরবর্তীতে ১৯৭২ ইং সালে সোনাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে ৮১ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ক্লাশ শুরু করা হয়।তখন প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক ছিলেন-মো: মখদ্দছ আলী (প্রধান শিক্ষক), মো: নিজাম উদ্দিন (সহকারী শিক্ষক), মো: আব্দুল মালিক (গ্রাম গালিম পুর), বিধান শিল প্রমুখ।
পর্যায়ক্রমে এলাকার মানুষের অকৃত্রিম দানে স্থায়ী ভাবে বিল্ডিং নির্মাণ করে "সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়" নামকরণ করে কার্যক্রম শুরু করা হয়।
স্কুলের সভাপতির দায়ীত্বে যারা ছিলেন, ক্রমানুসারে তাদের নাম- ১/ মরহুম আব্দুর রইছ মখলু (ইউনিয়ন চেয়ারম্যান)
২/ মরহুম আইন উদ্দিন।
৩/ ইব্রাহীম আলী মাষ্টার।
৪/ চেরাগ মিয়া চৌধুরী।
৫/ইব্রাহীম আলী মাষ্টার।
৬/ রঙ্গেশ কুমার শীল।
৭/ রাখাল চন্দ্র দাশ (বর্তমানে সভাপতির দায়ীত্বে আছেন)
বর্তমানে স্কুলের তিনটি বিল্ডিং আছে ও দ্বিতল বিশিষ্ট বিল্ডিং এর কাজ চলছে।
পরবর্তী পোষ্ট, স্কুলের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে।অপেক্ষায় থাকুন সূষ্ঠ সংবাদ পাওয়ার প্রত্যাশায়।



খণ্ডচিত্র
এ দিকে প্রশ্ন হলোÑ নাটকের এই নষ্ট চরিত্রের প্রবণতা সমাজে কিভাবে পড়ছে? সাাৎকারে বিভিন্ন নারী তাদের জীবনের আশপাশে কিংবা চাুষ ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা বর্ণনা করেছেন। সংেেপ তুলে ধরা হলো সেসব খণ্ডচিত্রÑ
১. ছয় বছরের ছোট মেয়ে। খালার সাথে খেলা করছে। এমন সময় একটা ছেলে ও মেয়ের মধ্যকার ভালোবাসার চিহ্ন (হার্ট) লাগানো একটা শোপিস দেখিয়ে খালা বললÑ ‘এটা ভালো না।’ তখন সেই ছোট মেয়েটি বলে, ‘খালামণি! এটা ভালো না, তবে টিভিতে ছেলেমেয়ের মধ্যে এমন যেটা দেখায় সেটা ভালো।’ খালা পিচ্চিটার কথা শুনে অবাক হয়ে বলে,‘এইটুকু বয়সে ভারতীয় চ্যানেল থেকে এ কী শিখছে সে!’
২. মধ্যবয়সী মহিলা। বিয়ের আয়োজনে মহিলাটি যেভাবে শাড়ি পড়েছে, তা দেখে সবাই যেন একটু অস্বস্তি বোধ করছে। বড়গলা, হাতাকাটা, তার ওপর পাতলা শাড়ি! ঠিক যেমনটা সিরিয়ালে দেখা যায়।
৩. সাত বছরের এক মেয়ে। বড় বোনের সাথে হিন্দি সিরিয়াল দেখছে। নাটকের মাঝে এমন একটা আপত্তিকর দৃশ্য এলো যে শিশুটি নিজেই লজ্জিত। এই বয়সে তার মাথায় যা না ঢোকার তাই ঢুকে গেল। আর তার এমন অবস্থা দেখে বড় বোনও নিরুত্তর! বলার কিছু নেই। কারণ, এমন আপত্তিকর দৃশ্যের কোনো বর্ণনাই হয় না; বরং বিরক্তির সৃষ্টি হয়।
৪. এক ইফতার মাহফিলে পাঁচ বছরের এক মুসলমান মেয়ে কথায় কথায় আফসোসের সুরে ‘হায় রাম, হায় রাম’ বলে উঠছে। এই অবস্থা দেখে তার মাকে জিজ্ঞেস করায় মা নিঃসঙ্কোচে বলে উঠলÑ সুপার হিট এক ভারতীয় অভিনেত্রীর মুখে এই কথা বারবার শুনে সেও শিখে ফেলেছে।
এ ছাড়া, হিন্দি সিরিয়াল দেখতে না পেরে আত্মহত্যা, কিংবা তাদের অন্ধ অনুকরণ করতে গিয়ে জীবনকে অন্ধকার জগতের দিকে ঠেলে দেয়া ইত্যাদি খণ্ডচিত্র ছাড়াও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আরো করুণ চিত্র ঘটে যাচ্ছে যেখারেূ প্রতিনিয়ত হিন্দি সিরিয়ালে ছেলেমেয়েদের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত, লিভটুগেদার, অবাধ মেলামেশা ইত্যাদি আমরা গলধঃকরণ করছি।
হিন্দি সিরিয়াল
ফাতেমা মাহফুজ
সাত বছরের এক মেয়ে। বড় বোনের সাথে হিন্দি সিরিয়াল দেখছে। নাটকের মাঝে এমন একটা ..................................
http://www.dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=OTE5OTg=&s=MjI=
নাস্তিকদের নিয়ে জাগ্রত কবি মুহিব খানের
বিপ্লবী কন্টে একটি কবিতা;
===================
মুহাম্মাদের নিন্দা ছড়ায়
কোন হারামীর বেটা?
ধইরা তারে মাজায়-ঘাড়ে
মুগুর দিয়ে পেটা।
ধর্মদ্রোহী নাস্তিকেরা
বাড় বেড়েছে বড্ড এরা।
ভিনদেশিদের দাস-দাসী সব,
প্রভুর চরণ চাটা।
ওই ছাগুদের কান কেটে দে,
চান্দিতে মার ঝাঁটা।
জাগরে সবাই বজ্র রোষে,
তীব্র জোশে ওঠরে ফুঁসে।
দ্বীন ঈমানের দেখতে সুদিন,
জ্বলছে যাদের গা-টা।
মুসলমানের দেশ থেকে ওই,
পরগাছাদের ছাটা।
ওই প্রগতির অন্তরালে,
ব্যস্ত ওরা ঘৃণ্য চালে।
তাল মেলাতে ওদের তালে,
দেখতো লাফায় ক্যাঠা?
আয় নিয়ে আয় দা লাঠি বাঁশ,
খুন্তি শাবল ট্যাঁটা।
মুসলমানের রাষ্ট্রে বসে,
ধর্ম নিয়ে হিসাব কষে।
ওই শালাদের কে দিয়েছে,
এত্তো বুকের পাটা?
সব শালারে ঠেঙ্গা মেরে,
জাহান্নামে পাঠা।
খুব হয়েছে!
এবার যদি-শাস্তি না হয়,
জ্বলবে গদি ভয় কি তোদের!
আজকে ভয়ের সব দরোজাই আঁটা।
বাঁচতে হলে কাঁটার জোরেই,
তুলতে হবে কাঁটা।
ধর্মনিরপেক্ষতা আজ,
ধর্মগ্রাসের তিক্ত আওয়াজ।
কণ্ঠ চেপে ধর শালাদের,
আর দিবি না ভাটা।
আর দেরি নয়,
থাকতে সময় হাড্ডি ওদের ফাটা।
দেশকে নিয়ে খেলছে ওরাই,
ওদের সাথেই আজকে লড়াই।
আয় ছুটে আয় এক সাথে সব,
এক পথে ধর হাঁটা।
প্রাণ খুলে তাকবীর ধ্বনি দে,
হাঁক জোরে কালমা-টা।
ধর্ম নিয়ে পেঁচগি বাধায়,
কোনখানে কোন হারামজাদায়।
এ বলো আর সে বলো সব,
এক কাঁঠালের আঠা।
সব কটাকে লাত্থি মেরে,
দেশ থেকে আজ হঠা।

যারা বেদআত পন্থী তাদের মধ্যে দীনী শিক্ষাও থাকে না দীনও থাকে না। ভিক্তিহীন মনগড়া অনেক কথা আবিস্কার করে সেগুলো হেকে বেড়ায়।
যাতে অজ্ঞ লকদের মধ্যে সহজে প্রভাব বিস্তার করা যায়। তাদের উদ্দেশ্য হলো হালুয়া-রুটি। রসনার তৃপ্তির জন্যেই এ সকল ভন্ডামি চলছে। এরা নিজের দীনকে খাবার করেছে এবং মানুষকে গোমরাহ করেছে। এরূপ এক বেদাআত পন্থীর ঘটনা শোনা গেছে এক গ্রামে।
সে গ্রামে একটি মসজিদ ছিল। সে মসজিদে এক মোল্লা থাকতো।
এক বুড়ি সওয়াবের আশা করে কিছু খাবার রান্না করে নিয়ে গেল মসজিদের মোল্লা খাওয়াবে বলে। মসজিদে গিয়ে দেখেন মোল্লা নেই। সেখানে একজন মুসাফির অবস্থান করছিল।বুড়ি প্রথমে মোল্লা মোল্লা বলে আওয়াজ দিল। কিন্তু মোল্লার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বুড়ি ভাবলো-খাবার খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে হলো সওয়াব লাভ করা। এ মুসাফিরকে দিলেও তো সওয়াব লাভ হবে। তাহলে এ মুসাফিরকেই খাবার দিয়ে দিই। একথা ভেবে খাবার গুলো মুসাফিরকে দিয়ে ফিরে চললো।
মসজিদ থেকে বের হতেই দেখলো মোল্লা এসে গেছে। বুড়িকে জিজ্ঞেস করলো, ‘কি জন্যে এসেছিলে?’
বুড়ি বললো, কিছু খাবার এনেছিলাম তোমাকে না পেয়ে মুসাফিরকে দিয়ে গেলাম।
একথা শোনা মাত্রই মোল্লা সাহেবের গায়ে যেন আগুন জ্বলে উঠলো। ভাবলো, এ দেখি এক নতুন রাস্তা তৈরী হচ্ছে। এখানেই এটা বন্ধ করে দিতে হবে। না হলে আমার অস্তিত্ব থাকবে না।
সুতরাং সে মসজিদে এসে হাতে একটি লাঠি নিয়ে মেঝেতে সজোরে আঘাত করতে লাগলো। সারা মসজিদে পাগলের মত ছোটাছুটি করে লাঠির আঘাত করতে করতে অবশেষে ধরাস করে পড়ে গেল এবং মীঝেতে হাত-পা শটান করে শুয়ে পড়লো।
কি হলো, কি হলো’বলে সারা গ্রামের লোক মসজিদে গিয়ে হাজির।
মোল্লাকে ধরাধরি করে টেনে তুললো। এরপর জিজ্ঞেস করলো, ‘কী হয়েছে মোল্লাজী, তোমার কী হয়েছে?’
মোল্লা বললো, ‘এই গ্রামে আর আমার থাকা হবে না।’
গ্রামের লোকেরা কারণ জিজ্ঞেস করলো।
মোল্লা সাহেব বললো, ‘আমি এখানকার সব মৃতকে চিনি। মুসাফির সবাইকে চেনে না। তাই খাবার বিতরণ করার সময় অন্য গ্রামের মৃতদেরকে দিয়েছি, প্রকৃত হকদার কিছুই পায়নি। মুসাফির বুঝতে পারেনি বলে তাকে কিছু বলেনি। কিন্তু যখন আমি আসলাম তখন সকল মৃত ব্যক্তি আমাকে ঘিরে ধরলো। আমি এতে ভয় পেলাম, এ লাঠি মারলাম আর বললাম, যখন আমার হাতে খাবার দেয়নি তখন তোমাদের হাতে খাবার দেব কিভাবে? কিন্তু আমার একটি কথাও শুনলো না, সবাই আমাকে চিৎ করে ফেলে দিয়ে বুকের উপর চড়ে বসলো। তোমরা যদি এসে না ধরতে তবে আমার প্রাণ বধ করে ছাড়তো। কিন্তু তোমরা এভাবে আমাকে কতদিন রক্ষা করবে। তাই আমার এখান থেকে চলে যাওয়াই ভাল।’
একথা শুনে গ্রাম বাসী একেবারে অসহায় হয়ে পড়লো।
তারপর সবাই একমত হয়ে বললো, ‘কোথায় যেয়ো না, এখন থেকে তোমার হাতেই সব খাবার দেওয়া হবে।’
এসব ভিক্তিহীন কথায় লোকগুলকে বশ করে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করে নিল বটে, কিন্তু একটুও ভাবলো না যে, এ লোকগুলো এরূপ বিশ্বাসের মাধ্যমে হেদায়েত প্রাপ্ত হবে না-কি গোমরাহীর গভীর অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।
বন্ধু তোমার পা কেঁটে গেলে ব্যাথা হয় কেন বুকে?
বন্ধু তোমার হাত ভেঙ্গে গেলে জল আসে কেন চোখে?
বন্ধু তোমার ভাই মরে গেলে তুমি কাঁদো কোন দুঃখে?
বন্ধু তোমার ঘর পুড়ে গেলে ভেঙ্গে পড়ো কোন শোকে?
বলবে আমায় পাগল তুমি কি বোঝনা সহজ কথা!
যে কোন অঙ্গে আঘাত পেলে যে সারা দেহে করে ব্যাথা।
শিরায় শিরায় রক্ত ধারায় মিশে যায় যন্ত্রনা।
প্রকৃতির এই শাশ্বত বিধান তুমি কেন বুঝলে না?
ওগো বন্ধু আমার আসল কথাটা তাহলে এবার শোনো,
সারা দুনিয়ার মুসলমানের ভেদাভেদ নাই কোনো।
উত্তর হতে দক্ষিন মেরু সকল মুসলমান,
সাদা-কালো ধনী-গরীব সবাই এক দেহ এক প্রাণ।
#তবে_ফিলিস্তিনের_বুকে_ভেসে_যায়_কত_মুসলমানের_খুন,
#তবুও_তোমার_রক্তে_এখনো_জ্বলেনা_কেন_আগুন?
বন্ধু জ্বলেনা কেন আগুন?
বন্ধু জ্বলেনা কেন আগুন?
বন্ধু জ্বলেনা কেন আগুন?
ইরান, উজবেকিস্তান, আজারবাইজান আর আফগানিস্তানের মানুষও দাবি করে যে, হোজ্জা তাদেরই দেশের লোক। বিভিন্ন দেশ হোজ্জাকে তাদের লোক বলে দাবি করলেও শুধুমাত্র তুরস্কের আকসেইর শহরেই প্রতিবছর জুলাইয়ের ৫ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত ‘আন্তর্জাতিক নাসির উদ্দীন হোজ্জা উৎসব’ পালন করা হয়ে থাকে।
হোজ্জা মানুষটা ছোটখাটো, বেঁটে। মাথায় পরে পাগড়ি আর গায়ে চড়ায় জোব্বা। সার্বক্ষণিক সঙ্গী একটা গাধা। হোজ্জাকে নিয়ে হাজারেরও বেশি গল্প চালু আছে। কোনো গল্পে তাকে মনে হয় খুব বুদ্ধিমান একজন মানুষ। আবার কোনো গল্পে তার আচরণ একেবারেই বোকার মতো হয়। তবে তিনি পরিচিত তার সুক্ষ্ণ রসবোধের কারণে। তার নানা কথা আমাদের যেমন হাসায়, তেমনি ভাবায়ও বটে।
যাই হোক, হোজ্জা নিয়ে অনেক কথাই হল। এই বিখ্যাত মানুষটির বিভিন্ন মজার ঘটনা তোমাদের জানানোর জন্যই আজ বসা। চলো, আর কথা না বাড়িয়ে হোজ্জার গল্পগুলো শুনে আসি।
যাওয়া লাগবে না
একদিন হোজ্জার স্ত্রী খুব অসুস্থ হয়ে পড়ল এবং ডাক্তার ডাকতে বলল। হোজ্জা স্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ল। তারপর ছুট লাগাল ডাক্তার ডেকে আনার জন্য। কিন্তু রাস্তার দিকের জানালার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রী জানালা দিয়ে গলা বের করে চেঁচিয়ে বলল, ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ! ব্যথাটা চলে গেছে, ডাক্তারের দরকার নেই।’
হোজ্জা স্ত্রীর কথা শুনল ঠিকই কিন্তু তারপরও ডাক্তারের বাড়ি গিয়ে বলল, “ডাক্তার সাহেব, আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ ছিল এবং আপনাকে ডেকে আনার জন্য বলেছিল। কিন্তু আপনাকে ডেকে আনতে বের হওয়ার সময় বলল সে সুস্থ বোধ করছে, আপনাকে ডাকার দরকার নেই। তাই আপনাকে বলতে এলাম যে তাকে দেখতে যাওয়া লাগবে না।”
কোনো অভিযোগ নেই
বিবির পিড়াপিড়িতে নাসিরুদ্দিন হোজ্জা একটা গরু কিনল। কিন্তু গরু ও গাধার জন্য গোয়ালঘরে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায়, একটা ঘুমালে আরেকটাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। প্রিয় গাধার এই দুরবস্থা দেখে হোজ্জা একদিন খোদার কাছে প্রার্থনা করছে-- “হে আল্লাহ, দয়া করে গরুটাকে মেরে ফেল, যাতে আমার গাধাটা একটু আরাম করে ঘুমাতে পারে।”
পরদিন সকালে সে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখে, গাধাটা মরে পড়ে আছে। প্রাণপ্রিয় গাধার মৃত্যুতে হতাশ হয়ে হোজ্জা মন খারাপ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, “কোনো অভিযোগ করব না, খোদা। কিন্তু তুমি সারা দুনিয়ার মালিক হয়েও, কোনটা গরু আর কোনটা গাধা এইটা চিনলে না!”
কে বেশি পেটুক
নাসিরুদ্দিন হোজ্জার বাড়িতে তার কিছু বন্ধু এসেছেন। অতিথিদের তরমুজ দিয়ে আপ্যায়ন করলেন হোজ্জা। বন্ধুদের সঙ্গে খেতে বসলেন হোজ্জা নিজেও।
হোজ্জার পাশেই বসেছিলেন তার এক দুষ্টু বন্ধু। তরমুজ খেয়ে খেয়ে বন্ধুটি হোজ্জার সামনে তরমুজের খোসা রাখছিলেন। খাওয়া শেষে দেখা গেল, হোজ্জার সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ।
দুষ্টু বন্ধুটি অন্যদের বললেন, “দেখেছেন কাণ্ড? হোজ্জা কেমন পেটুক? তার সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ হয়ে গেছে!”
হোজ্জা হেসে বললেন, “আর আমার বন্ধুটির সামনে দেখছি একটা খোসাও নেই! উনি খোসাসুদ্ধ খেয়েছেন! এখন আপনারাই বলুন, কে বেশি পেটুক!”
ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিওনা
আগামী ৩১ শে মার্চ ২০১৪ রাজনগর উপজেলাবাসী তাদের অভিবাহক নির্বাচন করবেন. তাদের হাতে আছে ছয় টি অপশন.
১. মৌলানা আহমদ বিলাল
২. মিসবাহুদ্দুলা
৩. জামি আহমদ.
৪.আব্দুল মান্নান
৫. আছকির খান.
৬. আব্দুল মতিন
মেরে দোস্ত
যে নামাজ ছেড়ে দিল সে আল্লাহকে ছেড়ে দিল। যে আল্লাহকে ছেড়ে দিল সে মুরতাদ হয়ে গেল। আজকে মুসলমান এমন সব সৎ স্বভাব হারিয়েছে যে স্বভাবগুলো জাহিলী যুগেও প্রচলিত ছিল।
মুহতারাম ভাই.
একদল সাহাবী রাঃ আল্লাহর রাসূল সঃ এর দরবারে হাজির হয়ে বললেন.হে আল্লাহর রাসূল.জাহিলী যুগে আমাদের মাঝে পাঁচটি গুন ছিল.আমরা কি এখনও এ স্বভাবকে টিকিয়ে রাখবো? আমরা জাহিলী যুগেও ছবর করতাম। শোকর আদায় করতাম। ধর্মের জন্য যুদ্ধ করতাম এবং সে যুদ্ধ থেকে পলায়ন করতাম না। শত্রুর দুঃখে ও আমরা দুঃখিত হতাম.শত্রুর বিপদাপদে খুশি হতাম না। সর্বাবস্হায় সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে যা কিছু ঘটত তা আমরা মেনে নিতাম। মেরে ভাই.আজতো মুসলমানের মাঝে ও তা নাই। আমাদের মাঝে ঈমান আছে কিনা এর পরীক্ষা হলো নামাজ।নামাজ আছে তো ঈমান আছে।
Collected from World Muslim gathering in Dhaka

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সামনে ধূমপান করলেন নতুন সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী। প্রকাশ্যে ধূমপান দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও নতুন এই মন্ত্রী মেধাবী শিক্ষার্থীদের সামনে বসেই সিগারেটে সুখটান দেন!
সোমবার বিকেল ৩টায় সিলেট বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসেই এ কাণ্ড ঘটান মন্ত্রী।
ধূমপায়ী মন্ত্রী! Largest News Portal From Bangladesh
চেয়ারম্যান লন্ডনে ফতেহপুর ইউপিবাসী নানাবিধ সমস্যায়
রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি | ২৬ জানুয়ারি ২০১৪, রবিবার Manobzamin
রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছুটি ছাড়া প্রায় ১ মাস ধরে দেশের বাইরে থাকায় সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন ওই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সময় না বাড়ানোয় তার স্বাক্ষরে ইউনিয়ন পরিষদের জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোও বৈধতা পাচ্ছে না। রাজনগর উপজেলা পরিষদ ও ফতেহপুর ইউনিয়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেহপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ইংল্যান্ড প্রবাসী মতিউর রহমান লয়লুছ ৩ মাসের ছুটি নিয়ে ইংল্যান্ডে যান। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য শ্যামা পদ দাশ। বিগত ৩১শে ডিসেম্বর ইউপি চেয়ারম্যানের ৩ মাসের ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি এখনও দেশে ফেরেননি। এদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মেয়াদ বৃদ্ধি না হওয়ায় পরিষদের কার্যক্রমে তিনি বৈধভাবে স্বাক্ষর করতে পারছেন না। এতে বিগত ১লা জানুয়ারি থেকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চেয়ারম্যান ছাড়াই চলছে। পরিষদের সকল কাগজে সই করছেন সেই আগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও পরিষদের সরকারি কাগজে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা বৈধ কিনা এ ব্যাপারে জাননতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শ্যামা পদ দাস বলেন, তা হয়তো বৈধ নয়। তবে ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে চেয়ারম্যান ২৯শে ডিসেম্বর ইংল্যান্ড থেকে মেডিকেল রিপোর্ট পাঠিয়েছেন আরও ৩ মাস ছুটি বাড়ানোর জন্য। আবেদন দিয়ে আরও ৩ মাস ছুটির সময় বৃদ্ধি করার জন্য সচিবকে বলেছি। সময় মঞ্জুর করা হয়েছ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি ভালভাবে জানি না। ইউপি সচিব তা বলতে পারবেন। ইউপি সদস্য আলী নেওয়াজ ও মঈনুদ্দীন আহমদ বলেন, ১লা জানুয়ারির পরে আমাদের অনেক কাগজেই বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেছেন। ইউনিয়ন কিভাবে চলছে তা বলে বুঝাতে পারবো না। সাধারণ মানুষ স্বাক্ষর নিতে এতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে পায়না তিনি থাকেন শ্রীমঙ্গলে। এতে মানুষের সমস্যা হচ্ছে। ছুটি মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাজ অবৈধ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধ হলেওতো তিনি স্বাক্ষর করছেন। এ বিষয়ে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্ব চালাতে পারবেন তবে ছুটি ছাড়া যেটুকু সময় দেশের বাইরে আছেন এ সময় মঞ্জুর করাতে না পারলে তার সমস্যা হবে।
মানব মুকুটের লেখক মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী তার বইয়ের প্রস্তাবনায় লিখেছেন : ‘যে সমস্ত মহাপুরুষের আবির্ভাবে এই পাপ-পঙ্কিল পৃথিবী ধন্য হইয়াছে, যাঁহাদিগের প্রেমের অমৃত সেচনে দুঃখ তপ্ত মানবচিত্ত স্নিগ্ধ হইয়াছে, যাঁহারা মানব সমাজের যুগ্-যুগান্তরের কুক্ষিগত কালিমা রশ্মির মধ্য হইতে সূর্যের ন্যায় উত্থিত হইয়া পাপের কুহক ভাঙ্গিয়াছেন, ধর্মের নবীন কিরণ জ্বালাইয়াছেন ও পতিত মানবকে সত্য ও প্রেমে সঞ্জীবিত করিয়া নবীন জীবন পথে টানিয়া লইয়া গিয়াছেন, ইসলাম ধর্মের প্রচারক হজরত মুহাম্মদ সা: তাঁহাদের অন্যতম।’
আমি জনাব চৌধুরীর সাথে একমত হয়ে অত্যন্ত বিনীতভাবে শুধু এটুকু সংযোজন করতে চাই : ‘হজরত মুহাম্মদ সা: তা ছাড়াও ছিলেন বিশ্বমানবের শ্রেষ্ঠতম শিক্ষক। তিনি ছিলেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম রাষ্ট্রনায়কও।’ এই ছোট্ট নিবন্ধে শুধু এ সম্বন্ধে দু-চারটি কথা বলতে চাই। সাধের জন্মভূমি পরিত্যাগ করে মক্কা থেকে যখন হজরত মুহাম্মদ সা: ইয়াসরিবে পা রাখলেন, ইয়াসরিবের জনসমষ্টি তাঁকে অভূতপূর্ব পরিবেশে অত্যন্ত আবেগঘন আবহে স্বাগত জানালেন। ইয়াসরিব নগরীর চাবি তাঁর হাতে তুলে দিয়ে তাঁকে শুধু প্রিয়তম ব্যক্তিত্বরূপে আপন করে নিলেন তাই নয়; এই নগরীর পরিচালনার সব দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দিয়ে তাঁর নেতৃত্ব অবনত মস্তকে স্বীকার করে নিলেন। এই স্বীকৃতির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ইয়াসরিবের জনগণ তাদের প্রিয় নগরীর নামকরণ করলেন ‘মদিনাতুন্নবী’ অথবা ‘মদিনাতুর রাসূল।’ দিনটি ১২ রবিউল আউয়াল। খ্রিষ্টীয় ৬২২ অব্দের ২২ অথবা ২৪ সেপ্টেম্বর। একটি লিখিত সংবিধানের মাধ্যমে (মদিনা চার্টার) বিশ্বের এই অংশে প্রতিষ্ঠিত হলো জনগণের সম্মতিভিত্তিক, কল্যাণমুখী, গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সৃষ্টি হলো অনবদ্য এক দৃষ্টান্ত সকল প্রকার স্বৈরাচারমুক্ত। ব্যক্তি প্রভাবের ঊর্ধ্বে। প্রভুত্ববাদকে অস্বীকার করে সম্পূর্ণরূপে জনগণের সম্মতিভিত্তিক, চুক্তির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মদিনা রাষ্ট্রের জন্ম হলো।
সপ্তদশ শতাব্দীতে ব্রিটেনের খ্যাতনামা দার্শনিক জন লক (John Lock) যে তত্ত্বের ভিত্তিতে বলেছিলেনÑ ‘সেই রাষ্ট্রই সর্বশ্রেষ্ঠ যা শাসিতদের সম্মতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ [That government is the best one which is based on the consent of the government] সেই তত্ত্বের বাস্তব প্রয়োগ ঘটে মদিনায় ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে এবং এই অনবদ্য সৃষ্টির মূলে ছিলেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম মনীষী হজরত মুহাম্মদ সা:। এই নগরীতে প্রতিষ্ঠিত হয় মহানবীর নেতৃত্বে মসজিদে নববী। এই মসজিদই ছিল গণতান্ত্রিক মদিনা রাষ্ট্রের নির্বাহী কর্তৃত্বের প্রাণকেন্দ্র। আইন প্রণয়নের কেন্দ্রবিন্দু এবং ন্যায়নীতির শীর্ষস্থান, বিচার বিভাগের শীর্ষস্থান।
মদিনা রাষ্ট্রের ভিত্তি ছিল মদিনা সনদ-৫৩ অনুচ্ছেদ সম্মিলিত লিখিত সংবিধান। এর ভূমিকায় সনদকে চিহ্নিত করা হয়েছিল ‘কিতাব’রূপে এবং আধুনিক অর্থে সংবিধান। সনদের ২৩, ৪০, ৪৬ ও ৫১ অনুচ্ছেদে সনদকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘সহিফা’ হিসেবে এবং আধুনিক অর্থে তাও হলো সংবিধান। প্রকৃত প্রস্তাবে মদিনা সনদ ছিল একটি সংবিধান এবং মানব সভ্যতার ইতিহাসে এটাই হলো সর্বপ্রথম লিখিত পূর্ণাঙ্গ সংবিধান। পাশ্চাত্যের প্রচারণায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে অজ্ঞতায় এবং মুসলিম পণ্ডিতদের ঔদাসীন্যের ফলে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের ছাত্রছাত্রীরা জানে, আমেরিকার সংবিধানই সমগ্র বিশ্বে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ১৭৮৯ সালে, কিন্তু এর প্রায় সাড়ে এগার শ’ বছর আগেই রচিত হয়েছে মদিনা সনদ। রাসূলুল্লাহ সা: রাজনীতিক ছিলেন না। তিনি ছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় এক রাষ্ট্রনায়ক, শ্রেষ্ঠতম প্রজ্ঞায় বিভূষিত একজন জননেতা। যদি তিনি চাইতেন তিনি হতে পারতেন পরম পরাক্রমশালী সম্রাট। হতে পারতেন প্রবল প্রতাপান্বিত বাদশাহ। মহামহিম সুলতান। আর তখনকার এটিই ছিল নিয়ম। সূচনা করতে পারতেন রোমান সম্রাটদের অথবা পারস্য সম্রাটের মতো অথবা চীনের রাজাধিরাজের মতো, মিসরের ফেরাউনদের মতো এক পারিবারিক ধারা (dynastic line)। রাজনীতিক হলে তিনি হয়তো তাই করতেন, কেননা তখনকার বিশ্বে অর্থাৎ সপ্তম শতাব্দীতে পৃথিবীর কোথাও গণতন্ত্রের চিহ্নিমাত্র ছিল না। রাজনীতিকরা সবসময় বর্তমান কালেই বসবাস করেন। তাদের দৃষ্টি থাকে ক্ষমতার দিকে এবং ক্ষমতাপ্রসূত সুযোগ-সুবিধা অথবা বৈভব-প্রভাবের দিকে। দৃষ্টি থাকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অথবা পারিবারিক পর্যায়ে বিলাসিতার দিকে। আল্লাহর রাসূল হজরত মুহাম্মদ সা: ছিলেন একজন রাষ্ট্রনায়ক (Statesman), বর্তমানে বসবাস করেও তিনি দৃষ্টি রেখেছিলেন মানব জাতির ভবিষ্যতের দিকে, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে। মানব জাতির ঐক্য-সংহতির দিকেই তিনি দৃষ্টি রেখেছিলেন। দৃষ্টি দিয়েছিলেন তাদের পরিপূর্ণ জীবনের দিকে, তাদের ইহলৌকিন এবং পারলৌকিক সম্পূর্ণতার দিকে।
জনসম্মতির ওপর ভিত্তি করে যেসব রাষ্ট্র পরবর্তীকালে গড়ে ওঠে; যেমন ১৬৮৮ সালের গৌরবময় বিপ্লবের পরে ইংল্যান্ডের অবস্থা অথবা ১৭৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তেরটি উপনিবেশের অবস্থা অথবা ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের পরে ফ্রান্সের অবস্থা ছিল অত্যন্ত সঙ্কটজনক। গৃহযুদ্ধের আগুনে ঝলসে গেছে সমাজজীবন। অনিশ্চয়তার অন্ধকার থেকে গেছে চারদিক। কিন্তু মদিনা রাষ্ট্র বিশ্বময় মাথা তুলে স্থিতিশীলতার আশীর্বাদ নিয়ে সমৃদ্ধি ও শান্তিপূর্ণ অবস্থার সম্পদকে মূলধন করে বিশ্বজয়ী হয়ে ওঠে সেই মদিনা রাষ্ট্র। অথচ সপ্তম শতাব্দীতে রাষ্ট্র গঠনের আগে মদিনার অবস্থা ছিল অনেকটা নৈরাজ্যপূর্ণ। ওই সময় মদিনায় ছিল সুসংগঠিত আদি পৌত্তলিক সম্প্রদায়। ছিল দেশী ও বিদেশী ইহুদি জনগোষ্ঠী। তার পরে আসেন মক্কা থেকে হিজরত করে নব্য মুসলিমরা। প্রত্যেক ইতিহাসবিদ একথা অত্যন্ত জোরে প্রচার করেছেন যে, তখনকার আবর সমাজ ছিল গোত্র-গোষ্ঠীতে খণ্ডছিন্ন, শতধাবিভক্ত এবং ওই সব গোত্র-গোষ্ঠী-উপজাতি সব সময় লিপ্ত ছিল পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, হিংসা-বিদ্বেষ, অসূয়াতাড়িত প্রতিহিংসার জিঘাংসায়। সমাজে ছিল না কোনো ঐক্যবোধ, ছিল না সহানুভূতি অথবা সহযোগিতার কোনো সূত্র। সংক্ষেপে প্রাক-ইসলাম আরবে সমাজজীবনে ‘নিঃসঙ্গ, দীন, কদর্য, পশুতুল্য এবং স্বল্পায়ু’ (Solitary, Poor, nasty, brutis and short) মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাজ্ঞ রাষ্ট্রনায়ক হজরত মুহাম্মদ সা: সৃজনশীল নেতৃত্বে এবং সীমাহীন আন্তরিকতার সেই খণ্ডছিন্ন শতধাবিভক্ত সমাজ জীবনের অফুরন্ত কল্যাণকামী প্রবাহের সৃষ্টি হয়ে তা পরবর্তী সাত শ’ বছর ধরে স্থায়ী হয়ে সমগ্র বিশ্বের চিন্তাভাবনাকে আলোকিত করে রাখে। সৃষ্টি করে নতুন নতুন সৃষ্টির প্রাণ, যা অতীতে আর কখনো দেখা যায়নি।
মদিনা রাষ্ট্র শুধু মুসলমানদের রাষ্ট্র নয়, নয় কুরাইশদের অথবা মুহাজির বা আনসারদের। এই রাষ্ট্র সব ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবার। মুসলমান ও ইহুদির। আদি পৌত্তলিক ও অমুসলিমদের। যে যার ধর্ম অনুসরণ করবে, কিন্তু জাতি হিসেবে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে সবাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ; এর প্রতিরক্ষায় সবাই কৃতসঙ্কল্প। জাতীয়তার প্রকৃতি বিশ্লেষণকারী হাজারো তাত্ত্বিক আজ পর্যন্ত যেসব জটিল ক্ষেত্রে কোনো সুষ্ঠু সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হননি, বিভ্রান্তির চোরাবালিতে পথ হারিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে মদিনা সনদের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা রাষ্ট্রটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম রাষ্ট্রনায়কের নেতৃত্বে কিভাবে সহজ এবং সরল পথে পথপরিক্রমা শুরু করেছিল তা আজো সবাই বিস্ময়াভিভূত হয়ে পর্যালোচনা করে থাকেন। আধুনিক জাতীয়তার যেমন রয়েছে আকর্ষণীয় এক সম্মিলনের স্বর্ণসূত্র, অন্য দিকে তেমনি রয়েছে বিভাজনের এক প্রবণতা। কিছুসংখ্যক জনসমষ্টি একত্র হয়ে যেমন জাতি গঠন করে, তেমনি জাতি হিসেবে তারা বিশ্ব মানবসম্প্রদায় থেকে স্বাতন্ত্র্য অনুভব করে বিচ্ছিন্ন হয়েও পড়ে। মদিনা রাষ্ট্রটি কিন্তু একক উম্মাহ্র দেয়াল ডিঙিয়ে ভৌগোলিক সীমারেখা ছাড়িয়ে রীতিনীতি এবং সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের সব বাধাবন্ধনকে জয় করে, বিশ্বময় উম্মাহর পথ প্রশস্ত করেছে। যে চুক্তির ভিত্তিতে মদিনা রাষ্ট্রের জন্ম হয়, সেই চুক্তিতে নবী করিম সা: স্বাক্ষর করেন একজন জননেতারূপে সততার মূর্ত রূপ জনকল্যাণকামী এক পরিপূর্ণ মানুষ রূপে। এই ধারা যদি অব্যাহত থাকত, সমগ্র মুসলিম বিশ্ব গণতন্ত্রের উজ্জ্বল আলোকে আলোকিত হয়ে যেত সপ্তম এবং অষ্টম শতকেই। পাশ্চাত্যে আজ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, গণইচ্ছা, গণ-অধিকার, ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য নিয়ে গর্ব করে এবং গর্বভরে বলে থাকে, একই ভিত্তিতে উন্নত এক সভ্যতার সৃষ্টি হয়েছে। মুসলিম বিশ্বে রাসূলে করিম সা: কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত গণসম্মতিভিত্তিক মদিনা রাষ্ট্রের আদর্শ সার্বিকভাবে বাস্তবায়ন হলে মানব জাতি উন্নততর পর্যায়ে উন্নীত হতে পারত। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের বিশেষজ্ঞ এবং পর্যালোচকদের চোখে মদিনা রাষ্ট্রের গৌরবজনক বৈশিষ্ট্যগুলো সঠিকভাবে ধরা পড়েনি। আমাদের পণ্ডিতদের মনোযোগও এ সব বিষয়ে তেমনভাবে আকৃষ্ট হয়নি। আমরা তাই নিজেদের সোনার খনিকে উপেক্ষা করে অন্যদের কয়লা খনির মূল্য নির্ধারণেই অধিক ব্যস্ত রয়েছি এবং হীনমন্যতার শিকার হয়েছি। এই হীনমন্যতা জয় করতেই হবে।
মানবজাতির শিক্ষক এই মহামানবের রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা পর্যালোচনার আগে তার জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ও অত্যন্ত সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। হেরা গুহায় তাঁর ধ্যানমগ্নতা, তারপর বাস্তবতার জগতে তাঁর প্রত্যাবর্তন, এককথায়, পারমার্থিকতা এবং যুক্তির তথা আধ্যাত্মিকতা এবং কর্মনিষ্ঠার সুষ্ঠু সমন্বয়Ñ এই হলো এক দিকে যেমন তার জীবনের সৌন্দর্য, তেমনি ইসলামের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অবদান। মরমিবাদ দিয়ে যার শুরু, রাষ্ট্রের মধ্যে তার পরিপূর্ণতা। এই তো মানবজীবনের সারবত্তা। এই সারবত্তার মূর্তরূপ হলেন আদর্শ মানব হজরত মুহাম্মদ সা:-এর জীবন। এক অর্থে, এ তো এক পরশমণি। এর স্পর্শে সব কিছুই সোনা হয়ে ওঠে। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর কৃতিত্ব যে অসাধারণ তাতে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না। আমাদের দুর্ভাগ্য, মুসলিম বিশ্ব এই পরশমণির স্পর্শ থেকে আজ দূরে। যেকোনোভাবে হোক মুসলমানদের এই পরশমণির স্পর্শ লাভ করতেই হবে।
লেখক : রাষ্ট্রবিজ্ঞানী; সাবেক উপাচার্য, ঢাবি
এরশাদ তো একদা একটা করিলো ভীষণ পণ
যে করেই হোক ঠেকাবেন তিনি দেশের নির্বাচন
বলিলেন তিনি এ নহে কাহিনী আগেকার ফাঁকা বুলি
প্রয়োজনে আমি নিজেই করিবো পিস্তলহীন গুলি
নিজের খুলি নিজে উড়াবেন? দেখিয়া নতুন ফাঁপড়
আগেভাগে তাই কাটিয়া পড়িলো বন্ধুটি কাজী জাফর
সরকার কহে করো কী? করো কী ? ওহে এরশাদ লাল
গাড়ি তৈরি বিছানা তৈরি— তৈরি হাসপাতাল
বিরোধীদল তো সাহস যোগালো ‘এরশাদ লাল ব্রেভো’
জামাতিরা কয় চাঁদার টাকা দ্বিগুণ করিয়া দেবো
গুপ্তচররা চোরা হেসে কয় তাহারে যাবে না ছোঁয়া
জেনারেল হাসে, আছে না মাথায় তেঁতুল বাবার দোয়া?
লাফাইয়া ওঠে নানা মিডিয়া গলায় মত্যাহার
এরশাদ লাল ঘোষণা দিলেন পত্র প্রত্যাহার
যেই কথা সেই কাজ তার? নড়ে না সে এক চুল
বোকারা কহিলো প্রত্যাহার আর তাহার তারিখ ভুল
এরশাদ লাল টিকিয়া রহিলো আর বাকি যারা বোকা
এখন তাহারা টের পাইতেছে কাহাকে যে বলে ধোঁকা
শপথ নিলেন চোরাগোপ্তা বানালো যখন সরকার
সব জায়গাতে এরশাদ লাল যখন যেখানে দরকার
ভগবান তুমি যুগে যুগে দেখি পাঠাও এমন ভূত!
কাল যিনি গুলি খাবার কথা আজ তিনি রাজদূত
ইহাকেই বলে আহলিয়া যুগ ইহাকেই কলিকাল
যুগ যুগ তুমি জিন্দা রহো ওহে এরশাদ লাল

অবশেষে না ফেরার দেশে চলেই গেলেন মামুন ukbdnews.com ::...First online daily bengali newspaper in UK
congratulations !!! Crime minister Shekh Hasina .....!!!
আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা, শান্তি চাই-- প্রধানমন্ত্রী।
*মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার এই বক্তব্যটির কথা মনে আছে কি??? শুধু এই প্রধানমন্ত্রী পদটির জন্য প্রতিদিন মানুষ জীবন্ত পুড়ে মরছে!!
প্রধানমন্ত্রীত্ব চান নাকি শান্তি চান সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। অবশ্য, মানুষ পুড়ে মরলে প্রধানমন্ত্রীরও ক্ষতি নেই, বিরুধিদলের নেত্রীরও ক্ষতি নেই। একজনের ছেলে বিদেশে থাকে, কিছুদিন পর পর দেশে ঘুরতে আসে। আরেকজনের ছেলে বিদেশে থেকে আয়েশি জীবনযাপন করছে। তাদের গায়েতো আর পেট্রোলবোমা, ককটেলের উত্তাপ লাগে না। ক্ষতি শুধু ভুক্তভোগী পরিবারের।
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র মাদ্রাসা সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল আগামী ২৯ ডিসেম্বর রোববার প্রকাশিত হবে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে ৩০ ডিসেম্বর সোমবার।
এখনো তিনি মানুষের হূদয়ে জাগ্রত—সেই হুগলী থেকে গোটা পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে সুদূর বাংলাদেশেও। তিনি হাজি মুহম্মদ মুহসীন। মৃত্যুর ২০০ বছর পরও এতটুকু ম্লান হয়নি তাঁর স্মৃতি, কীর্তিগাথা। আজও তিনি দানবীর হিসেবে অমর, প্রাতঃস্মরণীয়।
ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি দানবীর হাজি মুহম্মদ মুহসীনের কথা। আজ সেই তিনি নেই। এই তো সেদিন, ২৯ নভেম্বর চলে গেল এই মহান পুরুষের মৃত্যুদিন। হুগলীর ইমামবাড়াসহ সর্বত্র দিনটি পালিত হলেও কলকাতায় ছিল না কোনো আয়োজন। হুগলীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ২০০ বছর পূর্ণ হওয়া এই মৃত্যুদিবসকে ঘিরে তিন দিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে কলকাতা ও ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন বহু খ্যাতিমান বিশিষ্টজন।
হাজি মুহসীন জন্মেছিলেন ১৭৩২ সালের ১ আগস্ট। তাঁর পিতা হাজি ফয়জুল্লাহ। জানা যায়, তাঁর পূর্বপুরুষেরা এসেছিলেন সুদূর ইরান বা পারস্য থেকে। তবে তাঁদের আদি বাস ছিল আরবে।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Location
Category
Website
Address
Moulvi Bazar
3120
Old Hospital Road Moulvibazar
Moulvi Bazar, 3200
মৌলভীবাজার শহরের শ্রেষ্ঠ এবং প্রাচী?
গ্রাম: বিরইনতলা, ডাক: বিটুলী-৩২৫১, উপজেলা: জুড়ী, মৌলভীবাজার।
Moulvi Bazar
Dewan Bari, College Road, Srimangal
Moulvi Bazar, 3210
The page of Shah Mostafa Jamea Islamia High School's SSC 2022 Batch's All Students.
Syed Mujtoba Ali Road
Moulvi Bazar, 3200
A Government High School in Moulvibazar, Bangladesh