
Thinking Quotes
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Thinking Quotes, Education, Mirpur.
একজন মুসলিম কখনো মন মতো স্বাধীন হতে পারে না। তার প্রত্যেকটি কার্যক্রম হতে হবে আল্লাহর আদেশ মতো ও রাসূলের (সা) সুন্নাত মোতাবেক। আর পৃথিবীর কোন মানুষকে সে আনুগত্য সে করবে না। আর একেই বলে প্রকৃত স্বাধীন।
Operating as usual


পর্ব: ০৫
নারী স্বাধীনতা শব্দটা কয়েক দশক ধরে বেশ বাংলাদেশে বেশ পরিচিত। বই খাতা, সোশাল মিডিয়া সব জায়গাতেই এই নারী স্বাধীনতা একটা আন্দোলনের নাম। অনেকের মতে ইসলাম ধর্ম নারীদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। আবার কেউ বলে ইসলাম ধর্মকে হুজুররা বিক্রিত করে নারীদের দাবায়ে রাখা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কী করা হয়েছে সে টপিকে যাবো না। আমরা যাবো সনাতন ধর্ম নারীদের কতটা স্বাধীনতা দিয়েছে সেই টপিকে। কারণ অনেক হিন্দু দাদা দিদিরা বলে থাকেন তাদের ধর্মে নারীদের সব বিষয়ে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। চলুন তাদের স্বাধীনতার কিছু রূপ দেখে আসি।
আজকের প্রত্যেকটা রেফারেন্স দিবো “মনুসংহিতা” গ্রন্থের ৫ম অধ্যায় থেকে। আর প্রত্যেকটা শ্লোকের পাশে শ্লোক নাম্বার উল্লেখ করে দিবো। সত্যসন্ধ্যানী ভাই বোনেরা মিলিয়ে দেখবেন।
🛑 বালয়া বা যুবত্যা বা বৃদ্ধয়া বাপি যোষিতা।
ন স্বাতন্ত্র্যেণ কর্তব্যং কিঞ্চিৎ কার্যং গৃহেষ্বপি॥ [৪৭]
অনুবাদ: বাড়ীতেও বালিকা, যুবতী বা বৃদ্ধা নারী স্বাধীনভাবে কিছু করবেন না।
🛑 বাল্যে পিতুর্বশে তিষ্ঠেৎ পাণিগ্রাহস্য যৌবনে।
পুত্রাণাং ভর্তরি প্রেতে ন ভজেৎ স্ত্রী স্বতন্ত্রতাম্॥ [১৪৮]
অনুবাদ: বাল্যকালে পিতার, যৌবনে পতির ও পতিমৃত হলে পুত্রদের অধীনে স্ত্রীলোক থাকবেন; স্ত্রীলোক স্বাধীনভাবে থাকবেন না।
🛑 পিত্রা ভর্ত্রা সুতৈর্বাপি নেচ্ছেদ্বিরহমাত্মনঃ।
এষাং বিরহেণ স্ত্রী গর্হ্যে কুর্যাদুভে কুলে॥ [১৪৯]
অনুবাদ: পিতা, পতি বা পুত্রের সঙ্গে বিচ্ছেদ কামনা করবেন না; কারণ, এদের বিরহে নারী (পিতৃ মাতৃ) উভয় কুলকে নিন্দনীয় করেন।
🛑 সদা প্রহৃষ্টয়া ভাব্যং গৃহকার্যেষু দক্ষয়া।
সুসংস্কৃতোপস্করয়া ব্যয়ে চামুক্তহস্তয়া॥ [১৫০]
অনুবাদ: স্ত্রীলোক সর্বদা আনন্দিত ও গৃহকর্মে দক্ষ হবেন! তিনি গৃহোপকরণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন এবং ব্যয়ে অমুক্তহস্ত (হিসাবী) হবেন।
🛑 বিশীলঃ কামবৃত্তো বা গুণৈর্বা পরিবর্জিতঃ।
উপচর্যঃ স্ত্রিয়া সাধ্ব্যা সততং দেববৎ পতিঃ॥ [১৫৪]
অনুবাদ: পতি দুশ্চরিত্র, কামুক বা গুণহীন হলেও তিনি সাধ্বী স্ত্রী কর্তৃক সর্বদা দেবতার ন্যায় সেব্য।
🛑 নাস্তি স্ত্রীণাং পৃথগ্ যজ্ঞো ন ব্রতং নাপ্যুপোষণম্।
পতিং শুশ্রূষতে যেন তেন স্বর্গে মহীয়তে।[১৫৫]
অনুবাদ: (পতির থেকে) স্বতন্ত্র ভাবে স্ত্রীলোকের যজ্ঞ, ব্ৰত বা উপবাস নেই। তিনি যে পতিসেবা করেন, তাতেই স্বর্গে পূজিতা হন।
🛑 পাণিগ্রাহস্য সাধ্বী স্ত্রী জীবতো বা মৃতস্য বা।
পতিলোকমভীপ্সন্তী নাচরেৎ কিঞ্চিদপ্রিয়ম্॥[১৫৬]
অনুবাদ: পতিলোককামী সাধ্বী নারী জীবিত বা মৃত পতির অপ্রিয় কিছু করবেন না।
🛑 কামন্তু ক্ষপয়েদ্দেহং পুষ্পমূলফলৈঃ শুভৈঃ।
ন তু নামাপি গৃহ্নীয়াৎ পত্যৌ প্রেতে পরস্য তু॥[১৫৭]
অনুবাদ: স্ত্রী বরং পবিত্র মল, মূল, ফুল খেয়ে দেহ ক্ষয় করবেন, তথাপি পতি মৃত হলে অন্যের নামোচ্চারণ করবেন না।
🛑 অপত্যলোভাদ্ যা তু স্ত্রী ভর্তারমতিবর্ততে।
সেহ নিন্দামবাপ্নোতি পতিলোকাচ্চ হীয়তে॥[১৬১]
অনুবাদ: সন্তান লোভে যে নারী স্বামীকে লঙ্ঘন করেন (অর্থাৎ ব্যাভিচারিণী হন) তিনি ইহকালে নিন্দিত হন এবং পতিলোক থেকে ভ্রষ্ট হন।
🛑 ব্যভিচারাত্তু ভর্তুঃ স্ত্রী লোকে প্রাপ্নোতি নিন্দ্যতাম্।শৃগালযোনিং প্রাপ্নোতি পাপরোগৈশ্চ পীড্যতে॥[১৬৪]
অনুবাদ: স্ত্রী স্বামীকে অবহেলা করে ব্যভিচারিণী হলে সংসারে নিন্দনীয় হয়, শৃগালের জন্ম প্রাপ্ত হয় এবং (যক্ষ্মা কুষ্ঠাদি) পাপরোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
✒️ Thinking Quotes

পর্ব: ০৪
“মনস্মৃতি” সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্মৃতিগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম। এটি স্বয়ং সনাতনীদের আদিমানব মনুর নিজের বলা কথাগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে।
মনস্মৃতি ২য় অধ্যায়ের ২১৫ নং শ্লোকে উল্লেখ আছে,
অত আহ মাত্রেতি। মাত্রা ভাগ্যা দুহিত্রা বা নিৰ্জ্জনগৃহাদৌ নাসীত, যতোঽতিবল ইন্দ্রিয়গণঃ শাস্ত্রনিয়মিতাত্মানমপি পুরুষং পরবশ করোতি
অনুবাদ: মাতা, ভগিনী ও কন্যা প্রভৃতির সহিতও পুরুষ নির্জ্জন গৃহে বাস করিবে না, যেহেতু, ইন্দ্রিয়গণ একান্ত বলবান্, ইহারা জ্ঞানবান পুরুষকেও আকর্ষণ করে।
এখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে একজন পুরুষের উচিৎ নয় তার মা,বোন,কন্যার কাছেও একাকী অবস্থান না করা। যেটা ইসলামের থেকেও অনেক কঠোর বিধান।
কুরআনের আয়াত। সূরা নিসা আয়াত নাম্বার ২৩ এ উল্লেখ আছে,
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهٰتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوٰتُكُمْ وَعَمّٰتُكُمْ وَخٰلٰتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ وَأُمَّهٰتُكُمُ الّٰتِىٓ أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوٰتُكُم مِّنَ الرَّضٰعَةِ وَأُمَّهٰتُ نِسَآئِكُمْ وَرَبٰٓئِبُكُمُ الّٰتِى فِى حُجُورِكُم مِّن نِّسَآئِكُمُ الّٰتِى دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُوا دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلٰٓئِلُ أَبْنَآئِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلٰبِكُمْ وَأَن تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا
তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে, তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাতিজীদেরকে, ভাগ্নীদেরকে, তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদেরকে, তোমাদের শ্বাশুড়ীদেরকে, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং দুই বোনকে একত্র করা(তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
এই আয়াত থেকে বোঝা যায় একজন পুরুষের জন্য কয়েকজন বাদে বাকি সকল নারী তার জন্য গায়রে মাহরাম (যাদের সাথে বিয়ে করা জায়েজ, যাদের সাথে মেলামেশা করা হারাম)। একজন পুরুষের মাহরাম হলেন হলেন মা, মেয়ে, বোন, ফুফু/মাসি, খালা/পিসি, ভাতিজি, ভাগ্নী, দুধমা, দুধবোন, শাশুড়ি, কোন স্ত্রীর যদি পূর্বের স্বামী কর্তৃক কন্যা থাকে, পূত্রবধু যাদের সাথে সে চলাফেরা করতে পারে, কথাবার্তা বলতে পারে। এরা ব্যতিত একজন পুরুষ অন্য কোন নারীর সাথে খোলামেলা বা ফ্রি মিক্সিং করতে পারবে না।
এছাড়াও রাসূল (সা) বলেছেন,
لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلَّا كَانَ ثالثهما الشَّيْطَان
💠 কোনো পুরুষ অপর (মাহরাম নয় তথা বিবাহ বৈধ এমন) নারীর সাথে নিঃসঙ্গে দেখা হলেই শয়তান সেখানে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত হয়। [মিশকাত হা/৩১১৮]
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, হিন্দু ধর্মে নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা একদমই নিষিদ্ধ এমনকি সে তার মা, বোন, মেয়ের সাথেও নির্জনে থাকবে না।
আর ইসলাম ধর্মে মা, বোন, মেয়ে এইরকম কিছু আত্মীয় ব্যতিত কোন নারীর সাথে মেলামেশা করবে না।
যদিও এখানে সনাতন ধর্ম একটু কঠোরতা অবলম্বন করেছে। কিন্তু এখানেও ইসলামের সাথে হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য রয়েছে।

পর্ব: ০৩
চাণক্য শ্লোক বহুল প্রচলিত একটি বই। যেটির রচয়িতা চাণ্যক্য নিজেই৷ তাকে সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই পন্ডিত হিসেবে মানেন৷ তারই "চাণ্যক্য শ্লোক" বই থেকে নারীদের নিয়ে তার বলে যাওয়া কিছু কথা এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে।
🛑 নারীণাং ভূষণং পতিঃ
অর্থ: রাত্রির ভূষণ চন্দ্র, নারীর অলংকার পতি।
🛑 পতিতা নিহতা: স্ত্রিয়:
অর্থ: চরিত্র হারালে নারীর জীবন নষ্ট
🛑 নখিনাঞ্চ নারীনাঞ্চ শৃঙ্গিণাং শস্রপাণিনাম্
বিশ্বাসো নৈব কর্ত্তব্য: স্ত্রীষু রাজকুলেষু
অর্থ: নখধর প্রাণী, নদী, শৃঙ্গবান প্রাণী, শস্ত্রধারী পুরুষ, নারী এবং রাজপুরুষকে কখনোই বিশ্বাস করা উচিৎ নয়।
🛑 চরিরাবরণা স্ত্রিয়:
অর্থ: নারীর আবরণ চরিত্র
🛑 রতিপুত্রফলা নারী
অর্থ: নারীর রতিফল পুত্রলাভে
🛑 ভ্রমন্ সম্পূজ্যতে রাজা ভ্রমণ্ সম্পূজ্যতে দ্বিজ:
ভ্রমন্ সম্পূজ্যতে যোগী ভ্রমন্তী স্ত্রী বিনশ্যতি
অর্থ: ত্রমণে রাজার সম্মান বাড়ে। ব্রাহ্মণেরও সম্মান বাড়ে ভ্রমণে। যোগীর সম্মানও বৃদ্ধি পায় ভ্রমণে কিন্তু এই ভ্রমণেই নারীর বিনাশ ঘটে।
🛑 নারীরূপং পতিব্রতা
অর্থ: পতিপরয়াণা নারীই নারীদের মধ্যে প্রশংসনীয়
🛑 নদী পাতয়তে কূলং নারী পাতয়তে কুলম্।
নারীণাঞ্চ নদীনাঞ্চ স্বচ্ছন্দললিতা গতিঃ৷৷
অর্থ: নদী ও নারী উভয়ের গতি অত্যন্ত সুন্দর। কিন্তু স্বেচ্ছাচারিণী হলে নদী তীরভূমিকে এবং নারী নিজের বংশকে নষ্ট করে।
🛑 নাঞ্জনং শুরুতাং যাতি বৈকল্যঞ্চ বহু শ্রুতম্।
ন নারী স্থিরবুদ্ধিঃ স্যাৎ ন মূর্খঃ সংস্কৃতস্বদেৎ ॥
অর্থ: কৃষ্ণবর্ণ কখনও শ্বেত শুভ্র হয় না। বহু শাস্ত্র অধ্যয়ন করলে শাস্ত্রজ্ঞানীর কখনও বৈকল্য জন্মায় না। নারীর কখনও স্থিরবুদ্ধি হয় না। আর মূর্খ কখনও শুদ্ধ ভাষা(সংস্কৃত) বলতে পারে না।

পর্ব ২:
🟥 সনাতন ধর্মে নারীর পোশাক পুরুষ এবং পুরুষের পোশাক নারীর পরা নিষিদ্ধ
ঋগবেদ ১০ মন্ডল, শুক্ত ৮৫, শ্লোক ৩০ এ উল্লেখ আছে:
অশ্রীরা তনুর্ভতি রুশতী পাপয়ামুয়া
পতিষ'দ্বধ্বোবাসসা ঘমঙ্গমভিধিৎসতে
অনুবাদ: যদি পতি বধূর বস্তুদ্বারা আপন অঙ্গ আচ্ছাদন করিবার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে এই কৃত্যা আক্রমণ করে, উজ্জ্বল শরীরও শ্রীভ্রষ্ট হইয়া যায়।
এই একই বিধান ইসলাম ধর্মের সাথেও মিলে যায়।
ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
❝আল্লাহ তায়ালা সেইসকল পুরুষদের উপর অভিশাপ করেছেন, যারা মহিলাদের বেশ ধারণ করে এবং সেই সব মহিলাদের উপর অভিশাপ করেছেন, যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে❞ [ছহিহ বুখারী হা: ৫৮৮৫]
এইখান থেকেও আমরা বলতে পারি সনাতন ধর্ম ও ইসলামের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। কিন্তু সমাজে যখন নারীরা পুরুষের মতো কাপড় (জিন্স প্যান্ট, শার্ট, গেঞ্জি ইত্যাদি) পরে ঘুরে বেড়ায় তখন মুসলিমেরা নিষেধ বা সমালোচনা করলে হিন্দু ভাইয়েরাই এগিয়ে আসে মুসলিমদের বিরোধিতা করার জন্য। তারা বলে যার যেমন ইচ্ছা সে সেভাবে পোশাক পরুক তাতে নাকি আমরা কিছু বলতে পারব না। এটা নাকি তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত পছন্দ৷
অথচ তাদের সনাতন ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ ভগবত গীতাতে উল্লেখ আছে, “শাস্ত্র মোতাবেক না চলে নিজ ইচ্ছানুযায়ী চললে সে ব্যক্তি কখনো কল্যাণের লাভ করতে পারে না” [ভগবত গীতা ১৬ অধ্যায়, ২৩-২৪ শ্লোক]

পর্ব ১:
সনাতন বা হিন্দু ধর্মে নারীদের পর্দার বিধান
ঋগবেদ ৮ম মন্ডল , শুক্ত ৩৩, শ্লোক ১৯ এ বলা আছে:
অধঃ পশ্যস্ব মোপরি সন্তরাং পাদকৌ হর।
মা তে কাশপ্লকৌ বৃশান্ স্ত্রী হি ব্রহ্মা বভূবিথ।।
অনুবাদ: হে নারী! (অধঃ পশ্যস্ব) নিচে দেখো, বিনয়শীল হও (মা উপরি) উপরে দেখিও না ,উদ্ধত হইও না (পাদকৌ) দুই পা (সন্তরাম্ হর) উত্তম প্রকারে একত্র করে রাখো, অসভ্যের মতো চলিও না (তে) তোমার (কশপ্লকৌ মা দৃশন্) কনুই আদি যেন কেহ না দেখে, এইরূপ বিনয়াচার দ্বারা তুমি (স্ত্রী হি) নারী হয়েও অবশ্যই (ব্রহ্মা বভূবিথ) বেদবেত্তা তথা পূজিতা হইতে পারবে।
ভাবার্থ:
মন্ত্রে নারীর শালীনতার যথেষ্টই সুন্দর চিত্রণ করেছেন। প্রত্যেক স্ত্রীর এই গুণ গুলো নিজের জীবনে ধারণ করা উচিত।
১. স্ত্রীকে নিজের দৃষ্টি সদা নীচে রাকা উচিত, উপরে নয়। নিচে দৃষ্টি রাখা লজ্জা আর শালীনতার চিহ্ন। উপরে দেখা নির্লজ্জতা আর অশালীনতার দ্যোতক।
২. স্ত্রীর চলার সময় দুই পাকে মিলিয়ে যথার্থ সাবধানে অগ্রসর হওয়া উচিত। হেলে দুলে, হাব-ভাবের প্রদর্শন করে, চঞ্চালতা আর অস্থিরতা দ্বারা চলা উচিত নয়।
৩. নারীদের বস্ত্র ইহা প্রকার ধারণ করা উচিত যে তাহাদের গুপ্ত-অঙ্গ-স্তন, পেট, পীঠ, জঙ্ঘা, কনুই আদি দেখতে দেবে না। নিজের অঙ্গের প্রদর্শন করা বিলাশিতা আর লম্পটতার দ্যোতক।
৪. নারীর জন্য এমন বন্ধন কেন? এমন কঠোর সাধনা কিজন্য? এইজন্য যে নারী ব্রহ্মা, সে জীবন-নির্মাত্রী আর সৃজনকর্ত্রী। যদি নারীই বিগড়ে যায় তখন সৃষ্টিও বিগড়ে যায়। মাতারা আর বনেরা! নিজের অঙ্গের প্রদর্শন করবে না।।
যেরূপ উত্তম ফলের জন্য উত্তম বীজের চয়ন করতে হয় , কেননা যদি বীজই নিকৃষ্ট, হীনবীর্য, দোষ যুক্ত হয় তবে উৎপন্ন উৎকৃষ্ট হয় না। ঐরূপই স্ত্রী যদি সংযমী, লজ্জাগুণশালী, গম্ভীর, শালীন, পুরুষার্থী, ত্যাগী, তপস্বী হয়, চরিত্রবান হয় তখন সন্তানও ঐরূপই হয়।
আজ উচ্ছৃঙ্খল, স্বচ্ছন্দী, লম্পট, অলস, প্রমাদী, কামুক, ক্রোধী সন্তানের মূখ্য কারণ মা-ই হয়। মায়ের পদবী কেবল বাচ্চার উৎপন্ন করাতে অথবা তাহাদিগের রুটি খাওয়াতে অথবা লাল, নীল, হলুদ কাপর পরিধানের জন্য হয় না। মা, মা তখনই হয় যখন সে বাচ্চাকে চরিত্রবান, রাষ্ট্র ভক্ত, ঈশ্বর বিশ্বাসী, সমাজ সেবা বানিয়ে। এই সবই হওয়া উচিত যখন সে স্বয়ং এই গুণের দ্বারা যুক্ত থাকে।
আজ সমাজে যে স্ত্রীদের সাথে উত্তক্ত, খারাপ দুষ্ট কৌশল, দুরাচার, বলাৎকার আদির ঘটনা বানিয়ে যায়, ইহাতে স্ত্রীরাও কারণ। তাহারা যদি উত্তম অরঞ্জিত বস্ত্র পরিধান করত, নিজের স্তন, নিতম্ব আদি কামোক্তজনক অঙ্গের প্রদর্শন না করত, নিজের চোখ নিচের দিকে রেখে, সোজা রাস্তাতে চলত তখন দুষ্টের সাহস হতো না যে তাহার উত্তক্ত করা। যখন স্ত্রীরা স্বয়ংই ঢঙ্গ করে, রঙ্গ-তামাসা, চুছ বস্ত্রকে পরিধান করে, হেলে-দুলে, আকর্ণ শ্রৃঙ্গার করে ঘর থেকে বাহিরে যায়, বাজারে কেনাকাটা করে তখন ঐ দুরাত্মার ইহার দুরাচার করার সাহস হয়। যদি ঐরকম না করত। স্তন, নিতম্ব আদি গোপানঙ্গের প্রদর্ন করা লম্পটতা, এই লম্পটতার প্রদর্শন দর্শনকারীর মনে বিষয়াক্তি উৎপন্ন হয় আর বিষয়াক্ত ব্যক্তিই ব্যভিচারী, দুরাচারী বানানোর প্রয়াস করেন আর যে সমাজে দুরাচার, ব্যভিচার, অনাচার বিস্তার হয় ওই সমাজে শৌর্য, পরাক্রম, উৎসাহ, আদর্শ পরম্পরার বিনাশ হয়ে যায়।
বিশ্বের এক বহুত বড় সমস্যা যে বাচ্চা খারাপ হয়ে যায়। সকলেই বরে থাকেন যে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বৈদিক জীবন পদ্ধত্তি দ্বারা পরীক্ষা করা যায় তো এই নিষ্কর্ষ নিবারণে বাচ্চা নষ্ট হতো না, বিগড়ে যাওয়া আর বিগড়ানোকারীর মধ্যে মা-র নাম শীর্ষস্থ হত। স্ত্রী নতুন সন্তানের জননীই নয় পরন্তু জীবন নির্মাত্রীও হয় এজন্য বেদে ব্রহ্মা শব্দ প্রয়োগ করেছেন।
ভাষ্যঃ স্বামী জগদীশ্বরানন্দ সরস্বতী
ঋগ্বেদ ৮।৩৩।১৯ -উক্ত মন্ত্র অনুসারে যজ্ঞে নারীর গুরুত্ব বেশি, তাকে বিনয়ী হতে হবে। মন্ত্র বলে যে নিচের দিকে তাকাও, উপরে নয়। আপনার সাথে অভদ্র হবেন না। আপনি অবশ্যই বাড়ির শাসক, তবে আপনিই সেই ব্যক্তি যিনি আপনার পা একসাথে রাখেন, আপনার পা অভদ্রতার সাথে ছড়িয়ে রাখবে না,তাহলে এইভাবে আপনার নিজেকে সঠিকভাবে ঢেকে রাখা উচিত যাতে আপনার গোড়ালি এবং নীচের অঙ্গগুলি দৃশ্যমান না হয়। কাপড় দিয়ে নিজেকে ভালোভাবে ঢেকে রাখুন যাতে আপনার নিচের অঙ্গগুলো দৃশ্যমান না হয়।
প্রকৃতপক্ষে, এই ধরনের আচরণ যজ্ঞের নির্দেষ, একজন মহিলা অবশ্যই গৃহকর্তার যজ্ঞে ব্রহ্মা (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঋত্বিজ) হয়।
টীকা, (পন্ডিত হরিশরন সিদ্ধালঙ্কার) কেবলমাত্র একজন গর্বিত এবং ভদ্র মহিলাই গৃহস্থের যজ্ঞে ব্রহ্মা হন, তিনি গৃহস্থের যজ্ঞকে ত্রুটিহীন ও বাধাহীন করে সম্পন্ন করেন। তাকে নম্র হতে হবে, শালীন চালচলন হতে হবে এবং সঠিক পোশাক পরতে হবে।
রাসূল (সা) বলেন,
مِن حَقِّ الزَّوجِ عَلَى زَوجَتِهِ إن سَالَ دَماً وَقَيحاً وَصَديداً فَلَحَسَتهُ بِلِسَانِهَا مَا أَدَّتْ حَقَّهُ.
‘‘স্ত্রীর কাছে স্বামীর এমন অধিকার আছে যে, স্ত্রী যদি স্বামীর দেহের ঘা চেঁটেও থাকে তবুও সে তার যথার্থ হক আদায় করতে পারবে না।’’
[হাকেম , ইবনে হিববান, ইবনে আবী শাইবাহ , সহীহুল জামে ৩১৪৮ নং]
সে খারাপ মানে সবাই খারাপ। এরা বিশ্বাসও করতে পারে না পৃথিবীতে প্রেম প্রীতি করা ছাড়াও মানুষ বাঁচতে পারে।

9/11 এর ডকুমেন্টারি।
Link 1: https://t.me/secretrevealed911doc/3
Link 2: https://odysee.com/$/download/911-part-1/f6354bdd413659e796e75a94c98bf8838773b620
Link 3: https://www.terabox.com/wap/share/filelist?surl=a4dnqwUpQNhbom6A6ssQ_Q
Secret Revealed 911- 22 YOD Pt.1

নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আমাদের সুশীল, নারীবাদি, পশ্চিমা কান্ট্রি, মিডিয়া বেশ তৎপর। তারা নারীদের মুক্তি চায়। তারা নারীদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। কিন্তু আসলেই কী তাই? নাকি এটাকে বলে শেয়ালের কাছে মুরগী বরগা দেওয়া? চলুন একটু বিশ্লেষণ করা যাক।
🛑 এডভ্যাটাইজমেন্ট স্ট্রাটেজি দিয়েই শুরু করি।
একটি গাড়ির বিজ্ঞাপনে কী দেখি আমরা? একটা দারুন এক্সপেন্সিভ কারের পাশে বিকিনি পরিহিত নারী না থাকলে এড সম্পন্ন হয় না৷ একটা সুগন্ধি সাবান বিক্রি করার জন্য নারীদেরকে অর্ধ উলঙ্গ হওয়া একটা পরিচিত বিষয়। বডি স্প্রে বিজ্ঞাপনের কাহিনীও একই। পুরুষ সেই পারফিউম মাখলে সুন্দরী নারীরা হিপনোটাইজ হয়ে যায়।
এরকম প্রত্যেকটি এডভ্যাটাইজের মাধ্যমে নারীকে পন্য হিসেবে তুলে ধরা হয়। অথচ এটাকে নারীরা তাদের ক্ষমতায়ন মনে করে। বিবেক বুদ্ধি সব গেল কোথায়?
🛑 কোন শোরুম উদ্বোধন করতে গেলে নারী ছাড়া সম্ভব না। নারীরা সেজেগুজে, ফুল ছড়িয়ে, নেচে গেয়ে শো রুম উদ্বোধন করে। এই কাজে নারীদেরকে কতটা নিম্ন পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে একটু ভাবুন।
🛑 স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি সব জায়গায় কোন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে বরণ করার জন্য নারীদেরকে ব্যবহার করা হয়। নারীরা শাড়ি পরে ফুলের ডালা নিয়ে দাঁড়ায় থাকবে আর অতিথিকে ফুল ছড়াবে, গলায় মালা দিবে। আবারও এখানে নারীদেরকে পন্য হিসেবে ব্যবহার করা হলো।
🛑 কোন কনসার্টে বা প্রতিষ্ঠানিক কোন অনুষ্ঠানের কথা চিন্তা করুন। সেখানে নারীদের নৃত্য পরিবেশন তো কমন বিষয়। হালকা পাতলা জামাকাপড় ও গাড় মেকআপে তাদেরকে উপস্থাপন করা চাই ই চাই। নারীরাও বেশ আনন্দের সাথে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিত করে কাকে বেশি আকর্ষণীয় দেখায়।
🛑 বেসরকারি অফিস। সেখানে নারীকে বসের পারসোনাল এসিসট্যান্স হিসেবে রাখা হয়। কোন পুরুষের P.A হবার সুযোগ নাই। কেন নারীকে রাখা হয় এটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। আর সেই P.A এর দায়িত্ব সবসময় সুন্দর করে সেজেগুজে থাকা। বসের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে রাখতেই হবে অন্যথা চাকরি থাকবে না।
🛑 শুধু বেসরকারি চাকরি নয় বরং যত প্রকার চাকরি রয়েছে সবগুলোতে অল্প বয়সী নারীদেরকে পর্দা সহকারে চাকরি করার সুযোগ থাকে না। তাকে থাকতে হবে সেজে গুজে পরিপাটি হয়ে।
🛑 মডেলিং এর কথা সবাই আমার থেকে ভালোই জানেন আশা করছি। শুনলাম মডেলিং এর মাধ্যমেই নারীদের এমপাওয়ারমেন্ট বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এভাবেও যে ক্ষমতায়ন করা যায় আগে জানত না এ সমাজ।
🛑 সোশাল মিডিয়া। আপনাকে আমি বলব এখনই আপনি দেশে বিদেশের যেকোনো একজন সেলিব্রিটি বা মোটামুটি পরিচিত নারীর পারসোনাল একাউন্টে যান। দেখুন তার অর্ধ উলঙ্গ ছবিতে কয়টা লাইকস এবং একটা স্বাভাবিক ছবিতে কয়টা লাইকস। পার্থক্যটা এখানেই। নারীরাও বুঝে গেছে মার্কেট কিসে। যত কাপড় ফেলবে তত বড় মডেল, তত বড় সেলিব্রিটি, তত বেশি সুগার ড্যাডি, তত বেশি টাকা। এই হচ্ছে নারীদের ক্ষমতায়ন।
🛑 রিসেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়েও হিজাব নিষিদ্ধ করার পায়তারা করছে। কিন্তু কেন? এখানে কী নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা নেই? উলঙ্গ হওয়ার স্বাধীনতা আছে কিন্তু বোরখা পরার স্বাধীনতা নেই?
🛑 নার্সিং এ আবেদন করতে গেলে বিবাহিত হওয়া যায় না। নার্সিং এর কাজে ৯০ শতাংশই থাকে নারী। পুরুষদের (অথবা নারীদের) সেবা করার জন্য সুন্দর দেখে নার্স রাখা হয়। কিন্তু কেন? একজন পুরুষ কী এই সেবা দিতে পারে না?
🛑 খেলাধুলাতেও একই নোংড়ামি। ফুটবল খেলায় পুরুষদের ড্রেসকোড দেখেন আর নারীদের ড্রেসকোড দেখেন৷ নারীদের কাপড় বেশি ছোট এবং বেশি টাইট ফিটিং। আপনারা কী জানেন নারীদের ভলিভল খেলায় তাদের জন্য বিকিনি পড়া বাধ্যতামূলক? তারা ইচ্ছা করলেও লম্বা পোশাক পরতে পারবে না। যদিও পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন বিধান নাই। এরপর রেসলিং বলেন, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বলেন প্রত্যেকটা জায়গায় নারীদেরকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এমন উদাহরণ আসলে শেষ করা যাবে না। আপনারা নিজেরাও সবই জানেন ও বোঝেন। কীভাবে নারীদেরকে ব্যবহার করে বিশ্ব বাজার চলছে। তাদের ক্ষমতায়নের নাম করে তাদেরকে পন্য হিসেবে তুলে ধরেছে। কিন্তু দু:খজনক বিষয় এই নারীরাই এইসকল কাজের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে। তারা ভাবছে এতেই নারীদের মুক্তি।
⚪ শেষ বয়সে নারীদের কেমন পরিণতি হয়?
যখন নারীরা তাদের যৌবনকাল শেষ করে। যখন আর তাদের উপর পুরুষ নামক নারীপিপাশুদের নজর যায় না তখনই সেই নারীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে যায়। এখন আর তাকে কেউ কোন কাজের অফার করে না। বসেরও আর তাকে ভালো লাগে না। বস এখন অন্য অল্প বয়সী নারী চায়। দুনিয়ার এই মোহে সে ঘর সংসারও করেনি। সন্তান লালন পালনও করেনি ঠিকভাবে। স্বামীও নাই যে পাশে থাকবে। তখন সেই নারী নিজের জীবনের কৃতকর্মের জন্য হায়হুকাশ করতে থাকে। কিন্তু আর কিছু যে করার নাই। সে যে নতুন করে আবার বিয়ে করবে তারও উপায় নাই। পুরুষরা তো শুধু অল্প বয়সী মেয়ে খোঁজে। এভাবে সামাজিকভাবেও কোন মূল্য থাকে না। লোকে দূর দূর করে তাড়ায় দেয়। কারণ তার যে সৌন্দর্য নামক সম্পদ ছিল সেটা সে খরচ করে ফেলেছে অন্যভাবে।
🛑 সকল নারীবাদি ও ভিক্টিম পুরুষের জন্য একটি শিক্ষামূলক ঘটনা।
একজন বোন পরামর্শের জন্য গ্রুপে পোস্ট করে। পোস্টটি নিম্নরূপ:
আসসালামু আলাইকুম।পরিচয় গোপন রাখার জন্যে ফেইক আইডি দিয়ে পোস্ট করার জন্য দুঃখিত।
আমার বয়স ২৮ আর আমার স্বামীর বয়স ৩০। আমাদের বিয়ে হয়েছে ২ বছর হলো । এখনও কোনো বাচ্চা নেই নি। বিয়ের আগে আমার স্বামী বলেছিল তোমাকে চাকরি করতে হবে না আমি এতে রাজি হয়ে যাই কিন্তু এত পড়াশোনা করে আমি শুধু ঘর সংসার করতে চাই নি।তাই স্বামীকে বলি যে আমি চাকরি করবো।সে প্রথম প্রথম রাজি ছিল না। পরে অনেক জোর করার পর রাজি হয়।সে বলছিলো চাকরি করলেও রান্নার আর ঘরের মেইন দায়িত্ব আমাকে করতে হবে।আমি এতে রাজি হয়ে যাই। আলহামদুলিল্লাহ ৭ মাস আগে আমার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে জব হয়। প্রথম প্রথম ঘর আর চাকরি একসাথে সামলাতে পারলেও ২ মাস পর হাপিয়ে উঠি।তাই আমি হাসব্যান্ড কে বলি রান্নার দায়িত্ব অর্ধেক নিতে।সে এতে রাজি হয় এবং আমরা সপ্তাহে তিন দিন আমি এবং সপ্তাহে তিনদিন উনি আর শুক্র বার আমরা দুই জন এই রান্না করি। কিন্তু সে যেইদিন থেকে এই কাজটি করতে শুরু করে ওইদিন থেকেই আমার কাছ থেকে অর্ধেক বাসা ভাড়া আর অর্ধেক বাজারের খরচ চায়। আমি দেই সাথে আমাকে মাঝে মাঝে বাজারে পাঠায়।কিন্তু অর্ধেক খরচ করতে গিয়ে আমার আর তেমন টাকা বাকি থাকেনা।উনি আমার থেকে অনেক টাকা কামাই করেন কিন্তু কোনো কম্প্রোমাইজ করেন না।আমাকে অর্ধেক খরচ এই দিতে হয়।এখন আমি কি করবো? উনাকে যদি বলি ভরণ পোষণের দায়িত্ব আপনার তাহলে উনি বলেন তুমি ত চাকরি করই। এই সামান্য বেতনে আমার অর্ধেক খরচ চালানো অনেক দুর্বিসহ অবস্থা। আমার ক্রিম আর ফেস ওয়াশ সাবান শ্যাম্পু কেনার টাকাও দেয় না বলে যে ওগুলো তো আমি ব্যবহার করবো না তাহলে কিনে দেবো কেনো। ওনার থেকে সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করতে দেয় কিন্তু আমার পছন্দের shampoo আমি কিনতে পারি না । শুধু এই না আমার কসমেটিকস গুলাও আমার নিজের টাকা তেই কিনতে হয়।আমি কিভাবে আমার হাসব্যান্ড কি ঠিক করতে পারবো? বাজে মন্তব্য না করে ভালো উপদেশ দিন।
বক্তব্যের সারমর্মঃ
১। নারী এবং পুরুষের সমান অধিকার কথাটার মধ্যেই ঘাপলা রয়েছে।
২। ভারতবর্ষে প্রতি বছর পুরুষেরা আত্মহত্যা করে ৯৮ হাজার পক্ষান্তরে নারীরা ৩১ হাজার।
৩। False R**e, False Harrassment এর ভয়ংকর দিক।
৪। নারীরা সুবিধা নিবে কিন্তু অসুবিধা নিবে না।
বক্তব্য দিয়েছেন: নন্দিনী ভট্টাচার্য ম্যাম
নারীদের দেখে মাঝে মাঝে বিবর্তনবাদ বিশ্বাস হয় আমার।
চোখের সামনে নিকাবের পরিবর্তে মাস্ক পর্দার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলো।
এ এক বিরাট বিবর্তন।

শিক্ষা:
১। হিজাব পরলেই তাকে দ্বীনদার ভাববেন না।
২। অতীত না জেনে বিবাহ করবেন না।
৩। কাবিন আপনার যতটুকু সামর্থ্য সে অনুযায়ী দিন এবং সাথে সাথেই দিয়ে দিন।
৪। নারীরা বিপদে পরলেই স্বামীর নামে নারী নির্যাতন মামলা, যৌতুক ইত্যাদি অভিযোগ উঠাবে। এই বিষয়টি আগে থেকেই পুলিশকে জানাবেন।
ইমান অর্থ “বিশ্বাস” এইটা ভুল কনসেপ্ট। এইটা মুরজিয়াদের বানানো কথা।
প্রকৃতপক্ষে, ইমান অর্থ স্বীকৃতি দেওয়া, মেনে নেওয়া, বিশ্বাসের সাথে মেনে নেওয়া।

🛑 পর্ব: ০১
নাস্তিক, মুক্তমনা, সুশীল, ইসলাম বিদ্বেষী, নারীবাদিদের অতি প্রিয়ভাজন একজন ব্যাক্তির নাম হুমায়ুন আজাদ। তিনি নিজেকে নারীবাদি বলে দাবী করতেন। তিনিসহ যত নাস্তিক সমাজ রয়েছে তারা কতটা নারীর মঙ্গল চায়, নারীর অধিকারের পক্ষে কথা বলত সেইটা অনেকের কাছেই আড়াল রয়ে গেছে। উপর উপর হয়তো তারা নারীদের মন জয় করার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু এদের ভিতরের চিন্তাচেতনা ছিল সম্পূর্ণই আলাদা।
হ্যাঁ তারা মূলত নারীদের ভোগ করার উদ্দেশ্য নারীদের সামনে তাদের অধিকার তুলে ধরে। এতে করে সহজেই তাদের স্বার্থসিদ্ধি করেছে।
আমি এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে হুমায়ুন আজাদের অনেক বিতর্কিত বই "আমার অবিশ্বাস" বইটির কিছু কোটেশন তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ। উদ্দেশ্য পরিষ্কার। তার নারীদের নিয়ে কী চিন্তাচেতনা ছিল সেটায় তুলে ধরা।
১। কয়েক বছর আগে সারা সন্ধ্যা চুষতে চিবুতে ইচ্ছা হয়েছিল চুইংগামের মতো এক তরুণীকে। [পৃ: ১৫]
২। আমি ছুঁয়ে সুখ পেয়েছি। আকাশ আর আগুন ছুঁয়ে ফেলেছি কতোবার; ঘাস দেখলে এখনো ছুঁতে ইচ্ছে করে, পশু দেখলে ছুঁতে ইচ্ছে করে, কোনো কোনো নারী দেখলে ছুঁতে ইচ্ছে করে, কিন্ত ছুঁই না। সবকিছু ছোয়া অনুমোদিত নয়। ওষ্ঠ দিয়ে ছোঁয়া নিবিড়তম ছোঁয়া, যা কিছু ওষ্ঠ দিয়ে ছুঁয়েছি, তারাই আমাকে সুখী করেছে সবচেয়ে বেশি। আমাদের সমাজে ছোঁয়া খুবই নিষিদ্ধ ব্যাপার; আমরা খুব কম মানুষকেই ছুঁতে পারি, খুব কম মানুষকেই ছোঁয়ার অধিকার আছে আমাদের। ছোঁয়া এখানে পাপ; কোনো পুরুষ যদি কোনো নারীকে ছোঁয়,কোন নারী যদি কোন পুরুষকে ছোঁয় তাতে সূর্য খ'সে পড়ে না, আকাশে হুলস্থুল শুরু হয়ে যায় না; কিন্তু আমরা মনে করি মহাজগত তাতে খেপে উঠছে। শরীর খুবই আপত্তিকর আমাদের কাছে, একে অজস্র পাপের উৎস ভেবে আমরা ভয় পাই; পবিত্র বইগুলো সব সময় মনে করিয়ে দেয় যে আমরা পাপী, তাই আমাদের সুখ নয়, শাস্তি প্রাপ্য। কিন্তু আমি ছুঁয়েছি, ছোঁয়া পেয়েছি, তাতে চাঁদতারা খ'সে পড়ে নি। ছুঁয়ে ও ছোঁয়া পেয়ে আমি যে-সুখ পেয়েছি, তা আর কিছুতে পাই নি। [পৃ:১৬]
৩। কামু বলেছেন, আমাদের জীবন একই রোববারের পর সোমবার, সোমবারের পর মঙ্গলবার, মঙ্গলবারের পর বুধবারের, একই নিরর্থকতার পুনরাবৃত্তি । এই নিরর্থকতার মুখোমুখি কীভাবে দাঁড়াতে পারি? কামুর মতে একটিই সত্যিকার দার্শনিক সমস্যা রয়েছে, তা হচ্ছে আত্মহত্যা। জীবনের এই মহানিরর্থকতায় মানুষ একটি কাজই করতে পারে, তা হচ্ছে আত্মহত্যা। জীবন কি যাপন করার উপযুক্ত? বেঁচে থাকার কি কোনো মানে হয়? কোনো অর্থ আছে কি 'নিরুদ্দেস যাত্রা' লেখার, বা মহাকাশে নভোযান পাঠানোর, বা নগ্ন স্তনে চুম্বনের, বা জন্মদানের? [পৃ: ১৯]

আলহামদুলিল্লাহ।
নাস্তিক এবং নারীবাদিদের করা সবচেয়ে জনপ্রিয় একটা বিষয় হচ্ছে ❝রাসূল (সা) এবং মা আয়িশা (রা:) এর বিবাহ❞।
অনেকের মধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল অথবা কারও মধ্যে কিছু প্রশ্ন ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, এই ডিবেটের মাধ্যমে সকল প্রশ্ন, সংশয়ের নিরোশন হলো
বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই Br. Rahul Hossain - Ruhul Amin ভাইকে। তিনি এই ডিবেটের মাধ্যমে পুরো বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষের কাছে হক্ব তুলে ধরেছেন এবং বাতিলকে দুমরে মুচরে দিয়েছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তার ইলমে বরকত দান করুন।
ডিবেটের সঞ্চালন সাহেব আলী ইবনে সাত্তার ভাই যথেষ্ট নমনীয়, বিনয়ী এবং নিরোপেক্ষভাবেই বিতর্ক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন। যদিও তাকে নিয়ে হয়তো আসাদ নূর প্রশ্ন তুলবেন।
যারা যারা এখনও ডিবেটটি দেখেননি তাদের জন্য ভিডিও লিংক কমেন্টে দিয়ে দিচ্ছি।

প্রথম কমেন্ট দেখেন :
follow us on Twitter, Instagram & Telegram :
https://twitter.com/ShomotVai
https://instagram.com/sohomotvai0.2
https://t.me/sohomotvai
#সহমতভাই #সিরিয়াসভাই

The End!

🟥 পুরুষদের ১০ টি বড় সমস্যা:
আজকে পুরুষদের মেজর কয়েকটি সমস্যা উল্লেখ করব। যেগুলো ইসলামের দৃষ্টিতে কঠিন অপরাধ। তবে একটা কথা আগেই বলে রাখি। যে গুনাহগুলো উল্লেখ করব এইগুলো যে শুধু পুরুষরাই করে থাকে এমন নয়। নারীরাও করতে পারে। তবে সমাজে পুরুষরাই এগুলোতে বেশি এগিয়ে। শুরু করা যাক। আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
🛑 ১। নেশা করা:
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوٓا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلٰمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطٰنِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। [মায়িদা ৯০]
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ، وَفِيْ رِوَايَةٍ: وَكُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ.
‘‘প্রত্যেক নেশাকর বস্ত্তই মদ বা মদ জাতীয়। আর প্রত্যেক নেশাকর বস্ত্তই তো হারাম। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, প্রত্যেক মদ জাতীয় বস্ত্তই হারাম’’। [মুসলিম ২০০৩; আবূ দাউদ ৩৬৭৯; ইব্নু মাজাহ্ ৩৪৫০, ৩৪৫৩]
🛑 ২৷ নারী ফিতনা:
আল্লাহ বলেন,
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنٰىٓ ۖ إِنَّهُۥ كَانَ فٰحِشَةً وَسَآءَ سَبِيلًا
আর তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ। [ইসরাইল ৩২]
রাসূল (সা) ইরশাদ করেন:
يَا شَبَابَ قُرَيْشٍ! احْفَظُوْا فُرُوْجَكُمْ، لَا تَزْنُوْا، أَلَا مَنْ حَفِظَ فَرْجَهُ فَلَهُ الْـجَنَّةُ.
‘‘হে কুরাইশ যুবকরা! তোমরা নিজ যৌনাঙ্গ হিফাযত করো। কখনো ব্যভিচার করো না। জেনে রাখো, যে ব্যক্তি নিজ যৌনাঙ্গ হিফাযত করতে পেরেছে তার জন্যই তো জান্নাত’’। [সা’হীহুত্ তারগীবি ওয়াত্ তারহীবি, হাদীস ২৪১০]
রাসূল (সা) বলেন,
سَعِيدٍ الْخُدْرِيٌّ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ : فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ فَإِنَّ
أَوَّلَ فِتْنَةِ عَنْ أَبِى بنِي إِسْرَائِيلَ كَانَتْ فِي النِّسَاءِ».
তোমরা দুনিয়া এবং নারীদের থেকে সাবধান থাক। কারণ নিশ্চয়ই বনী ইসরাঈলের প্রথম ফিতনা নারী নিয়েই ঘটেছিল' (ছহীহ মুসলিম, হা/২৭৪২)
🛑 ৩। দূর্নীতি: আল্লাহ বলেন,
وَيٰقَوْمِ أَوْفُوا الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ بِالْقِسْطِ ۖ وَلَا تَبْخَسُوا النَّاسَ أَشْيَآءَهُمْ وَلَا تَعْثَوْا فِى الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ
আর হে আমার কওম, মাপ ও ওযন পূর্ণ কর ইনসাফের সাথে এবং মানুষকে তাদের পণ্য কম দিও না; আর যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িও না। [হুদ ৮৫]
🛑 ৪। চোখের হিফাজত না করা:
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ ذَٰلِكَ أَزۡكَىٰ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا يَصۡنَعُونَ ٣٠ ﴾ [النور : ٣٠]
“মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হিফাজত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত”। [নূর ৩০]
রাসূল (সা) বলেছেন,
كُتِبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ نَصِيبُهُ مِنَ الزِّنَى مُدْرِكٌ ذَلِكَ لاَ مَحَالَةَ فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ وَالأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الاِسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلاَمُ وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
আদাম সন্তানের উপর ব্যভিচারের যে অংশ লিখিত রয়েছে তা অবশ্যই সে, প্রাপ্ত হবে। নিঃসন্দেহে দু’চোখের ব্যভিচার হলো তাকানো, দু’কানের ব্যভিচার হলো শোনা, জিহ্বার ব্যভিচার হলো কথোপকথন করা, হাতের ব্যভিচার হলো শক্ত করে ধরা, পায়ের ব্যভিচার হলো হেঁটে যাওয়া, হৃদয়ের ব্যভিচার হচ্ছে কামনা-বাসনা করা। আর লজ্জাস্থান তা সত্যায়িত করে বা মিথ্যা সাব্যস্ত করে। [মুসলিম: ৬৬৪৭]
🛑 ৫। টাখনুর নিচে কাপড় পরা:
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ» قَالَ: فَقَرَأَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ مِرَارًا، قَالَ أَبُو ذَرٍّ: خَابُوا وَخَسِرُوا، مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: «الْمُسْبِلُ، وَالْمَنَّانُ، وَالْمُنَفِّقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ»
“তিন প্রকার লোকের সাথে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি। তারা হলো-টাখনুর নিচে কাপড় (অন্য বর্ণনায় লুঙ্গী) পরিধানকারী, খোঁটাদানকারী (অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে খোঁটা না দিয়ে কোনো কিছু দান করে না) ও মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারী”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৬; মিশকাত, হাদীস নং ২৭৯৫]
🛑 ৬। অশ্লীল বন্ধুবান্ধবদের সাথে চলাফেরা:
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتُ بَعۡضُہُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ
💠 আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী একে অপরের বন্ধু [তাওবাহ :৭১]
🛑 ৭। মা-বাবার কথা না শোনা:
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَوَصَّيْنَا الْإِنسٰنَ بِوٰلِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهُۥ وَهْنًا عَلٰى وَهْنٍ وَفِصٰلُهُۥ فِى عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِى وَلِوٰلِدَيْكَ إِلَىَّ الْمَصِيرُ
আর আমি মানুষকে তার মাতাপিতার ব্যাপারে (সদাচরণের) নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভে ধারণ করে। আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দু’বছরে; সুতরাং আমার ও তোমার পিতা-মাতার শুকরিয়া আদায় কর। প্রত্যাবর্তন তো আমার কাছেই। [লুকমান ১৪]
🛑 ৮। সোশাল মিডিয়ার নেতিবাচক ব্যবহার:
সোশাল মিডিয়ার নেতিবাচক ব্যবহার মানে নারীদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক, অশ্লীল ছবি দেখা, গান বাজনা শোনা ইত্যাদি। এইগুলো সম্পর্কে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি।
🛑 ৯। বিয়েতে যৌতুক:
আল্লাহ বলেন,
﴿وَلاَ تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُوا فَرِيقاً مِنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالأ
বাকিটা আল্লহর হাতে নয়; বরং সবটাই আল্লহর হাতে।
🎤 শায়খ Abdur Raquib হাফিজাহুল্লাহ
আল্লাহ তায়ালা নবী করিম মুহাম্মদ (সা) কে উদ্দেশ্য করে কুরআন কারীমে বলেন,
وَمَآ أَكْثَرُ النَّاسِ وَلَوْ حَرَصْتَ بِمُؤْمِنِينَ
আর তুমি আকাঙ্খা করলেও অধিকাংশ মানুষ মুমিন হবার নয়। [ইউসুফ ১০৩]
আল্লাহ বলেন,
ثُمَّ إِنَّ رَبَّكَ لِلَّذِينَ عَمِلُوا السُّوٓءَ بِجَهٰلَةٍ ثُمَّ تَابُوا مِنۢ بَعْدِ ذٰلِكَ وَأَصْلَحُوٓا إِنَّ رَبَّكَ مِنۢ بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ
তারপর নিশ্চয় তোমার রব তাদের জন্য, যারা অজ্ঞাতসারে মন্দ কাজ করেছে, এরপর তারা তওবা করেছে এবং পরিশুদ্ধ হয়েছে। নিশ্চয় তোমার রব এসবের পর পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [নাহল ১১৯]

নসীহতের বিষয়টি ব্যাপক: তবে আমরা এখানে কেবল শাসকদের সঙ্গে নসীহতের অংশটুকু নিয়ে আলোচনা করব।
ইবন আবদুল বার বলেন, আলিমগণ একমত যে, শাসকদের নসীহত করা ফরয। [আল-ইস্তিযকার (৮/৫৭১)]
নাওয়াওয়ি (রহ:) বলেন, “মুসলিম শাসকদের নসীহত হবে, ন্যায়কাজে তাদের সাহায্য করা, তাতে তাদের আনুগত্য করা, তাদেরকে হকের নির্দেশ প্রদান করা, তাদেরকে নম্র ও কোমলভাবে হক কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া, তারা যা থেকে অমনোযোগী হয়ে আছে তা মনে করিয়ে দেওয়া, তাদের কাছে মুসলিমদের যেসব অধিকার আদায় করা হয়নি তা জানিয়ে দেওয়া, তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা বের না হওয়া, তাদের আনুগত্য করার জন্য মানুষের অন্তরে মিল-মুহাব্বাতের ব্যবস্থা করা। খাত্তাবি বলেন, তাদের জন্য নসীহতের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে তাদের সঙ্গে জিহাদ করা, তাদের কাছে যাকাত প্রদান করা, যখন তাদের থেকে কোনো যুলুম বা খারাপ আচরণ দেখা যায় তখন তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন না করা, তাদের মিথ্যা প্রশংসা করে ধোঁকা না দেওয়া, তাদের জন্য সঠিক পথে চলার দুআ করা।' [শারহু সহীহ মুসলিম (২/২২৭)]
আবু নুআইম বলেন, শাসক ও গভর্নরদেরকে যারা নসীহত করবে তারা সৎপথ প্রাপ্ত হবে, আর যারা তাদের ধোঁকা দিবে তারা পথভ্রষ্ট হবে এবং সীমালঙ্ঘন করবে। [ফদীলাতুল আদিলীন, পৃ. ১৪০]
🛑 শাসককে নসীহতের পদ্ধতি:
ইয়াদ ইবন গানাম রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, 'যে- কেউ শাসককে কোনো বিষয়ে নসীহত করতে চায় সে যেন তা প্রকাশ্যে না করে, বরং তার কাছে গিয়ে করে; যদি তার থেকে শাসক তা গ্রহণ করে তো ভালো, না হলে সে তার দায়িত্ব আদায় করেছে।' [আহমাদ, আল-মুসনাদ, হাদীস নং ১৫৩৩৩, সহীহ সনদে]
অনুরূপ উসামাহ ইবন যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তাকে বলা হলো, আপনি কি উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে গিয়ে তাকে নসীহত করবেন না? তিনি বললেন, তোমরা কি মনে করো, আমি তার সঙ্গে কথা বলি না? তোমাদেরকে শুনিয়ে বলতে হবে? আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি ও তিনি একান্তে কথা বলেছি, তবে এমন কোনো কাজের সূচনা করতে চাই না, যার শুরুটি আমাকে দিয়ে হবে।' [মুসলিম, আস-সহীহ হাদীস নং ২৯৮৯]
নাওয়াওয়ি বলেন, এর অর্থ আমি প্রথম সে ব্যক্তি না হই যে শাসকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলেছে। কাযী ইয়াদ বলেন, এর অর্থ প্রকাশ্যে বলে খারাপ পরিণতির দিকে মানুষদের পরিচালিত করতে চাই না, বরং শাসকের সঙ্গে কোমল ব্যবহার করা হবে, তাকে গোপনে নসীহত করা হবে এটা গ্রহণযোগ্য হওয়ার বেশি উপযুক্ত। [ফাতহুল বারি (১৩/৫২))
অনুরূপ সাঈদ ইবন জুমহান বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবন আবি আওফার কাছে গেলাম, তিনি তখন অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম, তিনি বললেন, তুমি কে? আমি বললাম, আমি সাঈদ ইবন জুমহান। তিনি বললেন, তোমার পিতা কী করেছে? আমি বললাম, তাকে আযারেকাহরা (খারিজিরা) হত্যা করেছে। তিনি বললেন, আল্লাহ আযারেকাহদের ওপর লানত করুন, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সা:) হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, তারা জাহান্নামের কুকুর'। তিনি বলেন, আমি বললাম, আযারেকাহ সম্প্রদায় নাকি সকল খারিজি সম্প্রদায়? তিনি বললেন, বরং সকল খারিজিরা। তিনি বললেন, আমি বললাম, কিন্তু শাসকরা তো মানুষের ওপর যুলুম করছে, তাদের সঙ্গে এটা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তখন তিনি আমার হাত শক্ত করে চেপে ধরে বললেন, আফসোস তোমার জন্য, হে ইবন জুমহান! তোমার ওপর কর্তব্য হচ্ছে বড়ো গোষ্ঠীর সঙ্গে থাকা, তোমার ওপর কর্তব্য হচ্ছে বড়ো গোষ্ঠীর সঙ্গে থাকা, যদি শাসক তোমার থেকে কথা শুনে তাহলে তার ঘরে আসবে, তারপর যা তুমি জানো তা তাকে জানাবে। যদি সে তা গ্রহণ করে তবে ভালো, নতুবা তাকে ছেড়ে দাও; কারণ তার থেকে বেশি জানো না।' [আহমাদ, আল-মুসনাদ, হাদীস নং ১৯৪১৫, হাসান সনদে]
অন্য হাদীসে এসেছে, যিয়াদ ইবন কুসাইব আল-আদাওয়ি বলেন, আমি আবু বাকরাহর সঙ্গে ইবন আমেরের মিম্বারের নিচে ছিলাম, তিনি খুতবাহ দিচ্ছিলেন, তার গায়ে ফিনফিনে কাপড় ছিল। আবু বিলাল বলেন, আমাদের আমীরের দিকে তাকাও, সে ফাসিকদের পোশাক পরিধান করেছে। তখন আবু বাকরাহ বললেনে, চুপ করো, আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে বলতে শুনেছি,
'যে-কেউ জমিনের বুকে আল্লাহর সুলতানকে অপমান করবে, আল্লাহও তাকে অপমানিত করবেন।' [তিরমিযি, আল-জামি, হাদীস নং ২২২৪]
🛑 শাসককে নসীহতের বিভিন্ন সুরত:
শাসককে নসীহত করার দুটি অবস্থা হতে পারে :
ক. একান্তে নসীহত করার সুযোগ থাকলে,
১. একান্ত নসীহত করা, যা উপরিউক্ত হাদীসসমূহ থেকে আমরা জেনেছি। আর এটাই শরীআত সম্মত পদ্ধতি। [ইবনুন নাহহাস, তামবীহুল গাফিলীন, পৃ. ৬৪; শাওকানি, আস-সাইল (৪/৫৫৬); সাদি, আর-রিয়াদুন নাদিরাহ: ৫০]
২. তাকে একান্তে নসীহত করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে নসীহত করা। এটা নিষিদ্ধ; এটিই মুসলিমদের মাঝে প্রথম ফিতনা যা বাগীরা এনেছিল। তাদের এ প্রকাশ্য বিরোধিতার কারণে বহু সাহাবিকে মারা পড়তে হয়।
৩. তাকে একান্তে নসীহত করার পর মানুষদেরকে বলে বেড়ানো। এটিও হারাম; কারণ:
•তা ইয়াদ ইবন গানাম-এর হাদীসের বিপরীত। (হাদিসটি পূর্বে বর্ণনা করেছি)
•সালাফরা শাসকদের সঙ্গে তা করতেন না। এর মাধ্যমে সে রিয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে, যা ইখলাসের দুর্বলতার প্রমাণ।
• এর মাধ্যমে ফিতনা ও বিচ্ছিন্নতার বীজ বপন করা হয়।
• এর মাধ্যমে শাসককে অপমান করা হয়, যা হাদীসে নিষিদ্ধ।
৪. তার অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন বৈঠকে, ওয়াজের স্থানে, খুতবায়, দারসে কেবল তার বিরুদ্ধে বলা। এটা একেবারেই হারাম। কারণ:
• এটিই গীবত, যা ইসলামি শরীআতে হারাম।
• এর মাধ্যমে ফিতনা ও সমস্যা আরো প্রকট হয়।
• এটি উপরিউক্ত ইয়াদ ইবন গানাম-এর হাদীসের বিপরীত। (পূর্বে বর্ণিত)
• এটি সালাফদের আদর্শের বিপরীত।
• এর মাধ্যমে শাসককে অপমান করা হয়।
• এর মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
খ. একান্তে নসীহত করার সুযোগ না থাকলে,
১. যদি তিনি এ ব্যাপারে বলার বেশি উপযোগী, না বলা হলে আল্লাহর হক নষ্ট হবে, তাহলে প্রকাশ্যে বলা অনুমোদিত, যেমনটি আবু সাঈদ আল- খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু মারওয়ানের সামনে সালাত দেরি করে পড়ার কারণে বলেছিলেন। দেখুন, বুখারি, আল-জামিউস সহীহ, হাদীস নং ১৫৬। অনুরূপ বলেছিলেন, হিশাম রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ইয়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু।
এখানে অবশ্যই জানা দরকার যে, যিনি বলছেন তিনি এমন পর্যায়ের লোক, যার প্রকাশ্যে বলার মতো যোগ্যতা আছে। তার কথার প্রভাব পড়বে আর শাসক তা মানতে বাধ্য হবেন।
২. যদি তিনি এ পর্যায়ের লোক নন, যার কথা শাসক শুনবেন, তাহলে তিনি কি নিজেকে প্রকাশ্যে বলার মাধ্যমে বিপদের দিকে ঠেলে দিবেন? বস্তুত তখন সামর্থ্যের নীতি চলে আসবে, তার মধ্যকার তৃতীয়টি অবশ্যই থাকতে হবে। কিন্তু তিনি তখন প্রকাশ্যে বলে নিজের ওপর বিপদ ডেকে আনবেন না। সাঈদ ইবন জুবাইর (রা:) বলেন, একলোক ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি কি আমার শাসককে সৎকাজের আদেশ করব? তিনি বললেন, যদি তোমার জানের ভয় থাকে তবে শাসককে ক্ষেপিয়ে দিবে না, যদি করার কিছু থাকে তো তার ও তোমার মাঝে।' [ইবন আবি শাইবাহ, আল-মুসান্নাফ (১৫/৭৪)]
৩. যদি আপনি শাসকের কাছে যাওয়ার মতো লোক না হন, তবে যারা যায় তাদের কাছে বলতে পারবেন, নতুবা সবর করবেন ও অন্তরে সে অবস্থার পরিবর্তন কামনা করবেন।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Website
Address
Shah Ali Market, Lift-10, Space-1109, Mirpur-10, Dhaka
Mirpur, 1216
STUDY || VISA PROCESS ||VISIT VISA FOR 51 COUNTRIES WITH LOW COST|| TOURISM || EMPLOYMENT || FAMILY
Mirpur, 3100
Arrival Tutor.com is Bangladesh's most trusted leading online platform for tutors & students. It hel
Senpara Parvata
Mirpur, 1216
Learn Data Skills for Future!! Data Science Era is an online educational platform that provides liv
156, Senpara Parbata
Mirpur, 1216
e-Shikhi is an online learning platform in Bangladesh.e-Shikhi offers various courses such like acad
Noubahini College Dhaka BNCC Platoon
Mirpur, 1206
Welcome to the official page of BNCD BNCC Platoon. This is a Non-profit and Government Organization.
Head Office/house-145, South Bishil, Mirpur/1
Mirpur, 1216
Bangladesh kindergarten association