রাতের বেলা ঘুমানোর আগে গুরুত্তপূর্ণ কিছু আমল
A Muslim Girl cooks
cooking channel
Operating as usual
বিপদ মুক্ত হতে এবং রিজিক বৃদ্ধি করতে এই ২ টি আমল করুন।
"সুবহানাল্লহি ওয়া বিহামদিহি, আদাদা খলকিহি ওয়া রিদা নাফসিহি, ওয়া জিনাতা আরশিহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি" (সহিহ মুসলিম ৭০৮৮)।
যে ব্যক্তি ফজর নামাযের পর এ কালিমাটি ৩ বার পাঠ করবে সে ফজর হতে শুরু করে চাশতের সময় পর্যন্ত যিকর করার মত সওয়াব পায়।
চাশতের সময়সীমা হলো সূর্যোদয়ের জন্য নিষিদ্ধ সময়ের পর থেকে দ্বি-প্রহরের আগ পর্যন্ত পুরো সকাল সময়টা। যা মোটামুটি দিনের অর্ধেক সময়। এজন্য অনেক সময় বলা হয়ে থাকে ফজরের পর উক্ত কালিমাটি ৩বার পাঠ করলে সারা সকাল/ দিনের অর্ধেক সময় যিকর করার মত সওয়াব হয়।
এতো গেল দিনের অর্ধেক সময় যিকর করার মত সওয়াব পাওয়ার আমল। আপনি কি জানেন একটা কালিমা আছে যেটি দিন-রাতের যেকোন সময় শুধুমাত্র একবার পাঠ করলে ঐ সারা রাত-দিন(২৪ ঘণ্টা) পুরোটা সময় যিকর করার মত সওয়াব হয়।
রসূল (সঃ)বলেন "আমি কি তোমাদের এমন জিনিস শিখিয়ে দেব না, যা একবার পাঠে সারা রাত -দিন যিকর এর মত সওয়াব হবে। এটা তোমরা নিজে শেখো এবং অন্যদের শিখিয়ে দাও"। তা হলো-
# আলহামদু লিল্লাহি আদাদা মা খলাক,ওয়ালহামদু লিল্লাহি মিলআ মা খলাক্ব, ওয়ালহামদু লিল্লাহি আদাদা মা ফিস-সামাওয়াতি অমা ফিল আরদ, ওয়ালহামদু লিল্লাহি আদাদা মা আহছা কিতাবাহু, ওয়ালহামদু লিল্লাহি মিল-আ মা আহছা কিতাবাহু, ওয়ালহামদুিলল্লাহি আদাদা কুল্লি শাই’, ওয়ালহামদু
লিল্লাহি মিলআ কুল্লি শাই'। ওয়া তুসাব্বিহুল্লাহা মিছলাহুন্না (তাবারানী সহীহুল জামে’ ২৬১৫নং, সিলসিলা সহিহাহ২৫৭৮)।
কান্না ধরে রাখতে পারবেন না।!
একদিন রাতের বেলা,
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম আরবের গলি দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ এক ঘর থেকে অসহায় এক কান্নার আওয়াজ শুনে নবীজি সেই ঘরে গিয়ে দেখলেন,একজন হাতে চক্কি ( হাত দিয়ে আটা তৈরির এক যন্ত্র) ঘুরাচ্ছে।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কি হল তোমার। কান্না করছো কেন.? প্রতি উত্তরে তিনি বললেন, আমি মক্কার সর্দার উমাইয়ার ক্রয় করা গোলাম (ইসলামের প্রাথমিক সময়) । অনেক যন্ত্রণায় আছি আমি। সারাটিদিন মাঠে তার ছাগল দুব্বা ছড়াই,আর রাতে সে আমাকে দিয়ে গম থেকে আটা তৈরি করায়।
ভালো করে খেতে ও দেয়না, ঘুমাইতে ও দেয় না।
শরীরে খুবী অসুস্থতা বোধ হচ্ছে।
এই কথা শুনে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম,সেই ব্যক্তিকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, তুমি কিছুক্ষণ আরাম কর। আমি ই তোমার কাজ করে দিচ্ছে, এই বলে নবীজি হাতে চক্কি নিয়ে কাজ শুরু করে দিলেন। আর বড় ক্লান্ত শরীর নিয়ে সেই গোলাম কে ঘুমানোর সুযোগ করে দিলেন।
এইভাবে প্রতি গভীর রাতে নবীজি তার ঘরে গিয়ে তাকে সাহায্য করতেন। এবং নিজে কাজ করে তাকে ঘুমানোর সুযোগ করে দিতেন।
একদিন সেই গোলাম বলে, সাবধানে থাকিয়েন, এইখানে নাকি এক মোহাম্মদ আছে। তার থেকে দুরে থাকবেন, সে নাকি অনেক বড় যাদুকর। তার কাছে যে একবার যায় সে নাকি ফেরত আসতে পারেনা। ওর ধর্ম গ্রহণ করে নেয়।
এমন কথা শুনে দয়াল নবীজি মুচকি হাসলেন..
গোলাম বলে, আপনি হাসছেন কেন.?
নবীজি বলেন, তুমি যে মোহাম্মদ এর কথা বলছো, আমি ই হলাম সে মোহাম্মদ।
এই কথা শুনে, নবীজির সুন্দর চারিত্রিক বাস্তব প্রমাণ দেখে ওই গোলাম অঝোর নয়নে কান্না করতে লাগলেন। সাথে সাথে নবীজির কাছে কালিমা পড়ে মুসলমান হয়ে যান। সুবহানআল্লাহ🖤🤲
(সিরাতে নববী-৬৮৩)
©️
নামাজে সালাম ফিরানোর আগে এই দোয়াটি পড়ুন ঋণ মুক্তি পাবেন।
আজকের রান্না আলু দিয়ে মুরগীর ঝোল।
যারা সন্তানকে দ্বীনদার হিসেবে দেখতে চান তারা অবশ্যই লিখাটা পড়ে দেখবেনঃ
মুসলিম বাবা-মা হিসেবে কখন থেকে বাচ্চাকে ইসলাম সম্পর্কে ধারনা দিবো? এজ আর্লি এজ পসিবল।
মনে হতে পারে বাচ্চা বুঝবে না, কিন্তু ব্রেইন ঠিকই ক্যাচ করে নিবে।
একটা রাফ গাইডলাইন আছে এখানে বাচ্চার ১৮-৩৬ মাস বয়সী হলেই এই কাজ গুলি শুরু করে দিবেন ইনশা আল্লাহ।
আকিদাহঃ❤️
- আল্লাহ কোথায় আছেন? তোমার রব কে? কে তোমাকে বানিয়েছেন?
- বাচ্চার সাথে কথা বলুন আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে (আকাশ, গাছ-পালা, ফুল প্রজাপতি কে বানিয়েছেন?)
ডেইলি দুআঃ❤️
- ঘুম থেকে উঠার দু’আ, ঘুমাতে যাওয়ার আগের দু’আ।
- খাওয়ার আগের দু’আ, খাওয়ার পরের দু’আ।
- হাঁচি দিলে কি বলতে বলতে হয়?
- সালামের প্রচার শেখানো, ছোট-বড় সবাইকে সালাম দেয়া।
- বাথরুমে যাওয়ার দু’আ, বের হওয়ার দু’আ।
- বাসা থেকে বের হওয়ার দু’আ।
- সব কাজ করার আগে বিসমিল্লাহ বলা।
- যে কোন কাজ করবো বলার আগে ইনশা আল্লাহ বলা,
-সুন্দর কিছু দেখলে মাশা আল্লাহ বলা,
-কোন কিছু গিফট পেলে জাযাকাল্লাহু খায়রান বলা।
কুরআনঃ❤️
- রেগুলার কুরআন বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়ুন।
বাচ্চা পাশে বসে থাকতে পারে।
- ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী, সূরা ফাতিহা, কূল যুক্ত সূরা বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়েন।
খুব দ্রুত দেখবেন বাচ্চা আপনার সাথে পড়ছে।
আখলাকঃ❤️
- খাবার এবং পানি ডান হাতে খাওয়া, বসে খাওয়া এবং বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া।
- যে কোন কাজ করার আগে বাবা-মায়ের পারমিশন নেয়া, ভুল হলে মাফ চাইতে শেখা।
- যত ছোট বয়সই হোক, পোশাক বদলানোর সময় লজ্জ্বার ধারনা দেয়া। অন্যদের সামনে বাচ্চার ডায়াপার চেইঞ্জ করবেন না। তাকে আড়াল রাখুন। লাজুক হতে শিক্ষা দেওয়া...কারন আল্লাহ্ লজ্জাশীলতা পছন্দ করেন।
- শেয়ারিং শেখান। যে কোন কিছু অন্যদের সাথে শেয়ার করলে প্রশংসা করুন।
ভালো কাজগুলোকে এপ্রিশিয়েট করুন এবং এভাবে ওদের বোঝান যে আল্লাহ এটা পছন্দ করেন, রসূল (সাঃ) এভাবে বলেছেন...আলহাম'দুলিল্লাহ্!
সিরাহ্ঃ❤️
- রসূল (সাঃ) এবং সাহাবীদের গল্প বলুন।
- ছোট হাদীসগুলো গল্পের মতো করে বলুন।
- কুরআনের ঘটনাগুলো নিজের ভাষায় গুছিয়ে বলুন।
ইবাদাহঃ❤️
- নামায বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়ুন। না দাঁড়ালেও খেলার এরিয়া যাতে আশেপাশে থাকে।
(সূত্র কৃতজ্ঞতাঃ কনফেশন অফ মুসলিম মামাহোলিক ডট কম।)
বাবা-মায়েদের জন্য টিপসঃ
- এই বয়সী বাচ্চাদের ধরে-বেঁধে শেখানোর কিছু নেই।
নিজেদের লাইফে প্র্যাকটিস করলে, বাচ্চারা দেখেই শিখবে।
নিজের লাইফে নাই কিন্তু আশা করি, বাচ্চাকে শেখাতে পারবো-এই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসুন।
আমি যদি চাই বাচ্চা ইসলামিক মাইন্ডের হবে, তাহলে আগে নিজেকেই সেই ছাঁচে গড়ে নিতে হবে।
মাসনূন দু’আ গুলো বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়ুন।
বাচ্চারা শুনতে শুনতেই শেখে।
আলাদা করে শেখানোর দরকার নেই।
বাচ্চাকে আগে আল্লাহকে ভালোবাসতে শেখান।❤
যেমনঃ আল্লাহ রাগ করবেন, এটা বলার বদলে আল্লাহ এভাবে এভাবে করলে খুশি হবেন-এরকম বলতে পারেন। তাকে জানান, আল্লাহই সবচাইতে বেশী ভালোবাসে তাকে, এমনকি বাবা-মায়ের চাইতেও!
- রসূল (সাঃ) এর সুন্নাহর প্রতি ভালোবাসা গড়ে তুলুন।
যে কোন ব্যাপারে উনাকেই রোল মডেল করুন।
- সুস্থতা- অসুস্থতা আল্লাহর কাছ থেকে আসে, ধারনা দিন।
যে কোন ধরনের ব্যাথা পাওয়ায় বা অসুস্থতায় একমাত্রই আল্লাহই তাকে সুস্থ করবে এটা বোঝান।
- জান্নাত সম্পর্কে ধারনা দিন।
সেটা কত চমৎকার জায়গা সময়ে সময়ে বর্ননা করুন।
যাতে এই জায়গায় যাওয়ার ব্যাপারে বাচ্চার আগ্রহ মাথায় গেঁথে যায়।
- ছেলে হলে মসজিদের সাথে এটাচমেন্ট তৈরী করে দিন।
সম্ভব হলে বাচ্চাকে জামাতে নামায পড়ার সময় সাথে রাখুন।
- বাচ্চাকে ভালো মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। ইন শা আল্লাহ্
রহমানুর রাহিম আমাদের কবুল করুন!!!
আমীন।
(সংগৃহীত )
সবচেয়ে ভারি আমল কেয়ামতের মাঠে কোনটি?
খুব সহজে লাউ রান্না রেসিপি।
দুনিয়ার মতো অস্থায়ী এক জগতের অনিশ্চিত ক্যারিয়ার নিয়ে আমার যদি টেনশনে চোখ মুখ কালো হয়ে আসে, রাত নির্ঘুম কাটে তবে আখি*রাতের মতো স্থায়ী জগতের ক্যারিয়ার নিয়ে আমার কোন লেভেলের টেনশন হওয়া উচিত তা কি আমাকে একটুও ভাবাচ্ছে?©
যে দোয়া পড়লে আপনি সবচেয়ে বেশি আমল কারি হবেন।
দেশী চাওমিন রেসিপি।
•••রাত্রি বেলা আপনি ঘুমালেন! কিন্তুু আপনার আমলনামায় লেখা হলো সারারাত তাহাজ্জুদ নামাজের সওয়াব!!!
আলহামদুলিল্লাহ্
আপনি যদি ৩ মিনিট খরচ করে ঘুমানোর আগে সূরা বাকারাহ এর শেষ ২ আয়াত পড়েন তাহলে পেতে পারেন এমন অফার [১]
আর ২ মিনিট খরচ করে যদি আয়াতুল কুরসি পড়ে নেন,,তাহলে সারা রাতের জন্য একজন পাহাড়াদার ফেরেস্তা নিযুক্ত হয়ে যাবে আপনার নিরাপত্তার কাজে !!!
আলহামদুলিল্লাহ্ [২]
আপনি এতটা স্পেশাল একজন বডিগার্ড সাইডে রেখে ঘুমাবেন,, আপনি কল্পনা করেন!!!
আচ্ছা, সারাদিন তো অনেক পাপ করা হল! পাপগুলো কি রিমুভ করা লাগবে না??বলেন!!
তার জন্য ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার বলতে আর কতক্ষন লাগে!!! [ ৩]
আর ঘুমানোর সময় অজু করে শুইলে তো, পুরা সুন্নাহ এর উপরেই শুয়ে পড়লেন!!
এখন ডান কাত হয়ে "আল্লাহুমা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া" বলে শান্তির এক ঘুম.... [৪]
ইং শা আল্লাহ্।🌼
রেফারেন্সঃ
(১)বুখারী ৪০০৮
(২)বুখারী ৩২৭৫
(৩)বুখারী ৬৩১৮, মুসলিম ৬৯১৫
(৪)বুখারী ২৪৭, ৬৬২৪
🌸😊
Collected.
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Website
Address
4225