মডেল টেস্ট কেন?
• কোন কাজে লক্ষ্যমাত্রা থাকলে কাজটি অর্থপূর্ণ হয়। পরীক্ষার একদম কাছাকাছি সময়ে পড়াশোনার লক্ষ্যমাত্রা থাকে যেন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া যায়। কিন্তু মানুষ নিজে কি নিজেকে বিচার করতে পারে? এজন্য দ্বিতীয় কোন একটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয়ে পরে। একটি মডেল টেস্ট হয়ত শিক্ষার্থীর মেধাকে আমূল বদলে দেবেনা, কিন্তু এর মাধ্যমে সে একটা ধারণা অন্তত পাবে সে কোন অবস্থানে আছে। মডেল টে
স্ট নিজেকে যাচাই ও ঝালাই করার একটা নিয়ামক ।
• শিক্ষার্থীদের একটি প্রচলিত প্রবণতা হল পড়াশোনায় অধারাবাহিকতা। নিয়মিত পড়াশোনার চর্চা না থাকলে শেষের দিকে বকেয়া পড়ার তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়। এই প্রবণতা অবশ্য পরিত্যাজ্য। এজন্য প্রয়োজন একটি ব্যবস্থা যেখানে শিক্ষার্থীকে নিয়মিত পড়তে হবেই। চাপ দিয়ে পড়াশোনা করানো যায়না, এতে বরং মানসিক অত্যাচারটাই প্রকট হয়ে উঠে। মডেল টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে কেউ কিছু চাপিয়ে দিচ্ছেনা, ভাল করার পরোক্ষ চাপটা তার নিজের মধ্য থেকেই আসবে।
• প্রতিযোগিতা প্রণোদনা জোগায়। একই বয়সের অনেকগুলো মানুষ যখন একই বিষয়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে অবতীর্ণ হয়, বিষয়টা তখন মনস্তাত্ত্বিক হয়ে উঠে। নিজেকে অন্যের চেয়ে এগিয়ে নেবার একটা তাড়না কাজ করে। এই তাড়নাটি সুস্থ প্রতিযোগিতার। ঘরে বসে কেউ হয়ত অনেক ভাল প্রস্তুতি নিচ্ছে, কারণ পড়াশোনা তো শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীর নিজেকেই করতে হবে। কিন্তু ঘরের মধ্যে সে একা, তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই; ফলে বিকাশটাও একটা লেভেলে আটকে থাকে। মডেল টেস্ট নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবার রসদ জোগায়।
• Practice makes a man perfect- প্রস্তুতি যত বেশি হবে দূর্বলতাও তত ভাল মত চোখে পড়বে। দূর্বলতার চেয়েও বড় বিষয় হল ভুলচুক, যা নিয়মিতই হয়ে থাকে। কিন্তু ক্রমাগত চর্চার ফলে একই ধরনের ভুল হবার সম্ভাবনা হ্রাস পায়, অন্যধরনের ভুলও হতে পারে। মডেল টেস্ট ব্যাপারটাকে সেই নিরিখে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এখানে হাজারটা ভুল হলেও সংশোধনের সুযোগ থেকে যাচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী সাধারণত কী ধরনের ভুল বেশি করে সে সম্পর্কেও সচেতন হবার সুযোগ পাচ্ছে।
• মেধা যেমনই হোক শিক্ষার্থী মাত্রই পরীক্ষা নিয়ে শংকিত থাকে। পরীক্ষায় কেমন প্রশ্ন আসবে, পারবো কি পারবো না এধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব অনেক সময়ই আত্মবিশ্বাস নড়বড়ে করে দেয়। ব্যাপারটা যেহেতু মানসিক, তাই মানসিকভাবেই এর সমাধান করা উচিৎ। বোর্ড পরীক্ষার অনুরূপ প্রশ্নে বারংবার পরীক্ষা দিলে একটা পর্যায়ে হয়ত তার উপলব্ধি হতে পারে বোর্ডে তো বই থেকেই প্রশ্ন আসবে, এই ফরম্যাটেই প্রশ্ন আসবে; তাহলে ভয়ের কী আছে?
• পরীক্ষার সময় বণ্টন চর্চাটাও জরুরী। তিন ঘন্টা সময়ে কিভাবে নিজের সেরাটা তুলে ধরা যায় সেটা বুঝতে হবে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে টাইম ম্যানেজমেন্ট ব্যাপারটার সঙ্গে ধাতস্থ হয়ে গেলে মূল পরীক্ষার সময় অনেকটাই নির্ভার থাকা যায়। মডেল টেস্ট এই নিরীক্ষণের সুযোগটি দেয়।
• বইয়ের সব অধ্যায়ে দক্ষতা সমান থাকেনা, অধ্যায়ভিত্তিক দক্ষতা যাচাইয়ের জন্যও মডেল টেস্ট কার্যকরী একটি উপায় হতে পারে।
ফি সংক্রান্ত তথ্য:
SSC-2012 Model Test:
Objective Model Test : 4000 tk (will start from 28.10.11)
Final Model Test : 1700 tk (will start from 17.12.11)
HSC-2012 Model Test:
Duronto Package : 8500 tk (will start from 25.11.11)
Prottoy Package : 7500 tk (will start from 05.12.11)