বিজ্ঞানের ছাত্রদের গুরুত্বপূর্ণ টুল থ্রিডি প্রিন্টার। স্কুলে থাকা অবস্থায়ই তারা যদি থ্রিডি মডেল তৈরী করতে ও প্রিন্ট করতে পারে সেটা তাদের এডভান্স লেভেলে নিয়ে যাবে।
কোনক, গোলক ইত্যাদির আয়তন পরিমাপের বিষয়গুলো ম্যাথ থেকে বাস্তবে চলে আসবে। এমন কি থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে শিক্ষকরা তাদের ল্যাব এর প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোও বানিয়ে নিতে পারবে। যেমন- হিউম্যান স্কেলিটন। যা তাদের ল্যাবের ইকুইপমেন্ট চাহিদাও মিটাবে।
হাইস্কুলে যে কাগজের বাক্স দিয়ে রোবট ও বিভিন্ন মডেল বানানো শিখানো হচ্ছে সেটার পরিবর্তে তাদের কম্পিউটারে থ্রিডি মডেল বানানো ও প্রিন্ট করা শিখালে তারা দ্রুত নতুন পৃথিবীর সাথে এডজাস্ট করতে পারবে।
বাংলাদেশের স্কুলে এগুলা না শিখালেও আমাদের বাচ্চাদের শিখার জন্য আমরা কিনতে পারি। নিজেরা শিখে বাচ্চাদের শিখাতে পারি।
টিউটরিয়ালবিডি
টিউটোরিয়ালবিডি বাংলাদেশের প্রথম টিউটোরিয়াল ভিত্তক ওয়েবসাইট।
টিউটোরিয়ালবিডি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট। এখানে শিক্ষামূলক নানান আর্টিকেশ প্রকাশ করা হয়। সাধারন শিক্ষা, তথ্য প্রযুক্তি, ইদানিং কালের বিজ্ঞান, ও স্বাস্থ্য সচেতনতাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।
Operating as usual
গেমিং, ইউটিউব এবং এপসগুলো আমাদের এডুকেশন সিস্টেমকে পরিবর্তন করছে।
কিছু কিডস বই বের হয়েছে যা কিডস গেমকে নকল করে বানানো। বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে যে মোবাইল আসক্ত দূর করবে এই বই।
খুবই জনপ্রিয় কিছু ইউটিউব ভিডিও আছে যেখানে কোন কিছু বানানো হচ্ছে। কোন খেলনা বা সুন্দর কিছু ক্রিয়েটিভ কিছু বানানো হচ্ছে। প্রচুর ভিউ এগুলোতে।
এখন এই জিনিসগুলো বানানোর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্টুডেন্টরা স্কুলে মার্কস পাবে।
গ্রামে বড় হওয়া শিশু কিশোররা প্রচুর খেলনা তৈরী করে- তাই বলা চলে তারা প্রাকৃতিকভাবেই বেশ ক্রিয়েটিভ।
(১) শিক্ষাব্যবস্থার পরিকল্পিত ধ্বংশে মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা নিশ্চিত বাড়ছে। পড়ালেখার সাথে চাকরীর সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে অনেক আগেই- এ কারনেও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বাড়ছে।
ধনীরাও তাদের সন্তানদের জন্য ভাল থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাসহ কওমী সিলেবাসের মাদ্রাসার খোজ করছে।
শহরে অনেকগুলো মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিতও হয়েছে- যার সম্পর্কে ভাল ধারণা আমার নাই। (আপনারা বেশি টাকা খরচ করা যায়, এমন মাদ্রাসার তথ্য দিতে পারেন।) গ্রাম ও শহরতলীতে কিন্ডারগার্টেনের মতো ছোট মাদ্রাসা ব্যবসাও গড়ে উঠছে। ধীরে ধীরে এগুলো একসময় বড় মাদ্রাসা হয়ে উঠবে। মোটকথা সরকারী সিলেবাসকে মানুষ থুথু দিচ্ছে।
(২) মাদ্রাসা ছাত্ররা যেহেতু সরকারী চাকরী করতে পারে না, তাই কিছু অবিভাবকরা আইব্রিড পড়ালেখার প্লান করছে। কেউ স্কুলে পড়ায়, এবং মাদ্রাসার পড়ার জন্য আলাদা শিক্ষকের ব্যবস্থা রাখে।
কেউ কেউ মাদ্রাসায় পড়ায় এবং জেনারেল সিলেবাস টিচার রেখে পড়ায় এবং এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ায়। চাকরী করতে গেলে অবশ্যই তাকে মাদ্রাসা পড়ার কথা গোপন রাখতে হবে, সুন্নতি লেবাস ছেড়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে।
ইসলামিস্টদের যদি সরকারী টপ লেভেলের চাকরী করতে হয় তাহলে তাদের গুপ্তচরের মতো লুকিয়ে যেতে হবে। চাকরী ক্ষেত্রে হুজুর শ্রেনীকে চাকরী দেওয়া হয় না, এজন্য যে তাদের দূর্নীতির ইকোসিস্টেম নষ্ট হবে। এ বিষয়ে অনেক বিস্তারিত বলা যায়।
(৩) শহরে বড় স্কুলগুলোর ছাত্রসখ্যার চেয়ে ছোট স্কুল বা কিন্ডাগার্টেন অনেক বেড়ে গেছে। এই কিন্ডারগার্টেনগুলোতে ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়ানো হয়। বেশিভাগ কিন্ডারগার্টেনের বড় মাঠ নাই, কমন রুম নাই, সইন্স ল্যাবরেটরী নাই, লাইব্রেরী নাই, কম্পিউটার ল্যাব নাই। বক্তব্য প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি নাই। অন্যান্য এক্সট্রা কারিকুলাম একটিভিটিও সীমিত। শিক্ষকদের বেতনও কম, মূলতঃ যারা চাকরী পায় না, বেকার তারাই কিন্ডারকার্টেনে চাকরী টিচিং করে।
ফলে বাংলাদেশটা শিশুদের জন্য ভয়াবহ একটা দেশে পরিনত হয়েছে। অনেক পরিবারই গ্রাম ছেড়ে শহরে আসে, দেশ ছেড়ে পরিবারসহ বিদেশ চলে যায় শুধু তার বাচ্চাটার উন্নত পড়ালেখার জন্য।
(৪) কিছু ভাল স্কুল ও ভাল শিক্ষকরা অবশ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা সিলেবাসের বাইরের বইও পড়ায়। যেমন নবম-দশম শ্রেনীর বর্তমান সাইন্স বইগুলো একদম বাজে হয়ে গেছে। এজন্য এইচএসসি সাইন্স কঠিন হয়ে যায়, অনেকেই সাইন্স পাল্টে আটর্স কমার্সে চলে যায়।
ভাল শিক্ষকরা আগের বিভিন্ন সময়ের বই থেকে পড়ায়, ভাল স্কুলগুলো সাইন্সল্যাবে পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট রাখে। ক্লাসের মাঝে যদি ল্যাবে যাওয়া দরকার হয় তাহলে ল্যাবে চলে যায়। বা সইন্স ইকুইপমেন্ট (যেমন- মাইক্রোস্কোপ) ক্লাসে নিয়ে আসে। তাদের চেষ্টায় কিছু ছাত্র এগিয়ে যায়।
"উইনডোজ-১১ প্রো কী OEM" মাইক্রোসফটের স্টিকার পাইকারী ও খুচরা আমার কাছ থেকে নিতে পারেন।