বর্ণালী সাইবার একাডেমী / Barnali Cyber Academy

বর্ণালী সাইবার একাডেমী / Barnali Cyber Academy

এখানে বিভিন্ন জ্ঞানমূলক তথ্য পোস্ট করা হবে। কোন ভুল হলে সেটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখব

Operating as usual

11/10/2024

২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়া নাগরিক হান গাং (한강)। তিনি তার বিখ্যাত উপন্যাস "দা ভেজিটেরিয়ান" /নিরামিষ (채식주의자)। তিন খন্ডের প্রকাশিত এই উপন্যাসটি প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয়েছিল ২০০৭ সালে। এটি কোরিয়ান ভাষায় কোন সাহিত্যিকের প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়।

তিনি খোয়াংজু সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ইয়নশে বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করেন। নোবেল পুরস্কার বিজয় লাভের সময় তার বয়স ৫৩ বছর।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল হল "হান গাং" নদীর তীরে অবস্থিত।

27/09/2024

14 oct 2023
চারদিকে শুধু উন্নয়ন এবং উন্নয়নের কথা শুনি। আমার কাছে উন্নয়ন বলতে কি বুঝায় একটু আসুন ভেবে দেখি।

রাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম একটি একক যদি পরিবারকে বিবেচনা করি তাহলে আমি দুটি পরিবারের সাথে তুলনা করে উন্নয়নের হিসাব করতে পারি। প্রতিটি পরিবারে তিনজন ছেলে হিসেবে বিবেচনা করি।

প্রথম পরিবার, এই পরিবারের জনক শহরে বাস করে শহরে বহু দল কয়েকটি বাড়ি রয়েছে , কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বাসার আশেপাশে রাস্তাঘাট খুবই উন্নত। তার প্রথম সন্তান বিবাহিত পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি , এখনও বাবার উপর নির্ভরশীল, কোনো কর্মের সাথে যুক্ত নয় কিংবা কোন কর্ম করার ধৈর্য বা দক্ষতা কোনোটিই নাই। এই পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান হচ্ছে পড়াশোনা কোনরকম একটু করেছে, স্থানীয় পাতিনেতা, সকল প্রকার নেশার সাথে কম বেশি জড়িত। শেষ সন্তান হচ্ছে, মাধ্যমিকে পড়াশোনা করে , মারামারি প্রতিদিন তার নিত্যদিনের ঘটনা, পড়াশুনাতে একদম মনোযোগী নয়।

দ্বিতীয় পরিবার হচ্ছে, গ্রামে বাস করে একজন ভূমিহীন কৃষকের পরিবার। এই পরিবারের প্রথম সন্তান দেশের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করে। খুব কষ্ট করে টিউশনি করে এবং সততার সাথে চলে এবং সে খুব কাজে দক্ষ। দ্বিতীয় সন্তান, গ্রামের একটি বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা থেকে খুব ভালো এবং খুব জ্ঞানপিপাসু। একদম ছোট সন্তান হচ্ছে প্রাথমিকে পড়াশোনা করে, একাডেমিকে খুব ভালো করতেছে।

দুটি পরিবারের মধ্যে কোন পরিবারের ভবিষ্যৎ ভাল? কোন পরিবারের উন্নয়ন বেশি হয়েছে ??

আমাদের দেশে উন্নয়ন বলতে শুধু রাস্তাঘাট, অবকাঠামো বোঝানো হয়। আমাদের মনে রাখতে হবে মধ্যপ্রাচ্যের রাস্তাঘাট কিন্তু অনেক উন্নত কিন্তু তাদেরকে কিন্তু উন্নত দেশ বলা হয় না। কারণ সেখানে মাথার মেধা নাই। যা আছে সবকিছু ভঙ্গুর , ধার করা। নাই সম অধিকার , নাই সুশাসন , নাই গণতন্ত্র। শুধু রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হচ্ছে খুব ঝুঁকিপূর্ণ কাজ।

ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয় , উন্নয়নের সাথে প্রধানত দরকার সুশিক্ষা, সুশাসন, সামাজিক নিরাপত্তা, নিরাপদ খাদ্য, সবার সুচিকিৎসা, ব্যবসা সহজীকরণ, প্রকৃত গণতন্ত্র, চাকুরীর নিরাপত্তা, সম অধিকার, সমান আইন।

উন্নত দেশেও ছোট ছোট রাস্তাঘাট, চিপাচিপা গলি আছে। কিন্তু সেখানেও যে সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলি আমাদের এখানে চিন্তা করা যায় না।

11/09/2024

ডি সি /জেলা প্রশাসক (পর্ব-০১):

জেলা প্রশাসক মূলত বাংলাদেশের একটি জেলার প্রধান প্রশাসনিক এবং রাজস্ব কর্মকর্তা। একই সাথে তিনি বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রধান প্রটোকল অফিসার, ডেপুটি কমিশনার বা ডিসি, জেলা কালেক্টর।

বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান মতে বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার হওয়ার কারণে জেলা প্রশাসকগণ একটি জেলাতে জাতীয় সরকারের সবথেকে বড় প্রতিনিধি। তিনি জেলাতে সকল কিছুর তদারকি করেন এবং কেন্দ্রীয় কিংবা জাতীয় সরকারের কাছে জবাবদিহি এবং তথ্য অভিহিত করেন।

অন্যদিকে, তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বা বিসিএস এর প্রশাসন ক্যাডার একজন গুরুত্বপূর্ণ আমলা। তবে, জেলা প্রশাসকদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অন্যদিকে, কার্যবিধিমালা ১৯৯৬ অনুসারে সিভিল সার্ভিস সমূহের নিয়ন্ত্রণ, পদায়ন, বদলি অন্যান্য যাবতীয় কাজ করে থাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ে পূর্ব নাম হচ্ছে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়।
শুরুতে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করলেও পরবর্তীতে সিনিয়র সহকারী কমিশনার হয়ে থাকেন। এর পরবর্তী ধাপ উপসচিব পদমর্যাদার যে কাউকে সরকার জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকেন। ব্যতিক্রমী ভাবে যুগ্ম সচিব কেও জেলা প্রশাসক হিসেবে সরকার নিয়োগ দিয়ে থাকে।
তবে উল্লেখ্য যে, ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বা পদমর্যাদা ক্রম অনুসারে উপসচিব ২৫ টি ক্রমের মধ্যে ২৫, কিন্তু জেলা প্রশাসক হিসাবে এই পদমর্যাদাক্রম ২৪।

নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসককে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবেও নিয়োগের পরিপত্র জারি করে থাকে।

তবে বর্তমান সময়ে জেলা প্রশাসক পদটি ব্রিটিশ শাসনামলে জেলা কালেক্টর পদ নামে সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তীতে দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা এবং জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নামে আরেকটি পদ দেয়া হয়। যে কারণে জেলায় কোন জরুরী অবস্থা জারি করা হলে লেখা থাকে আদেশক্রমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান আমলে একটি জেলার সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমের সমন্বয় করার জন্য এর নাম রাখা হয় ডেপুটি কমিশনার।

ম্যাজিস্ট্রেট ল্যাটিন ভাষার শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে প্রশাসক বা শাসক। ভারতের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বাংলাতে জেলা শাসক বলা হলেও বাংলাদেশে এটি প্রশাসক হিসাবে বলা হয়ে থাকে। যদিও জেলা প্রশাসক শব্দটি ডেপুটি কমিশনার শব্দের সরাসরি বঙ্গানুবাদ নয়।

উল্লেখ্য যে, সরকারি চাকুরীতে সর্বমোট ২০ টি পে স্কেল গ্রেট রয়েছে। স্পেশাল এবং সুপার গ্রেড সহ ১-৯ পর্যন্ত হচ্ছে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের গ্রেড। যারা চাকরির শুরুতে ৯ম গ্রেডে যোগদান করে। তবে জেলা প্রশাসক, গ্রেট ৫ এর একজন কর্মকর্তা। উল্লেখ্য , পে স্কেল হচ্ছে কোন দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত একটি বিশেষ নীতিমালা। জাতীয় বেতন স্কেল'২০১৫ অনুসারে একজন জেলা প্রশাসকের বেতন হচ্ছে (৪৩০০০-৬৯৮৫০ টাকা) এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা।
-
লেখকঃ আল-আমিন রাসেল
২০২৪ জানুয়ারি ৫
(বর্ণালী সাইবার একাডেমি)

এ ধরনের আরও লেখা পেতে চাইলে,
লাইক দিন,
www.facebook.com/barnalicyberA

এবং যুক্ত হতে পারেন,
www.facebook.com/groups/1015633872103411

08/08/2024

অভিনন্দন !!
অন্তবর্তীকালীন সরকার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দিকে তাকিয়ে আছে সারা বিশ্ব।
আশা করি, বাংলাদেশ এবার উন্নত বিশ্বের আদলে তৈরি হবে...

05/08/2024

সকল প্রবাসী ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানো শুরু করে দেন রেকর্ড করতে চাই।

বিদেশে যারা উচ্চ পদে আছেন তারা দেশে আসার প্রস্তুতি নিন , দেশে কর্মসংস্থান হলে আমাদের আর বিদেশে যেতে হবে না সকলে দেশেই চাকরি করতে পারব। সকলকে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে। ইনশাআল্লাহ।

02/08/2024

অবসর সময় কি আর করার।
শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের ফ্রি উপকার করার চেষ্টা।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে যারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করতেছে তাদের জন্য রসায়ন বই লিখতেছি। দায়িত্ব নিয়েই বলছি, এটি বাংলাদেশের সেরা একটা বই হবে। যারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যায়নরত তাদের প্রথম দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সেমিস্টারে রসায়নের একটা বই পড়তে হয়। গভীরভাবে বুঝতে পারলে রসায়ন খুব সহজ একটি বিষয়।

আপনার পরিচিত শিক্ষার্থী থাকলে তাদেরকে মেনশন দিতে পারেন।

লেখক: আল আমিন রাসেল
বর্ণালী সাইবার একাডেমী।

ফ্রি বই পেতে হলে ইমেইল করুন
অথবা,
হোয়াটসঅ্যাপে নক দিন :01327739549

08/07/2024

৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অনলাইন কেন্দ্রিক ব্যবসারতে পরিসেবার থেকে মূল নজর থাকে টাকার দিকে।

চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে ক্রেতা সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
চিরচরিত বাঙালির অভ্যাস, শর্টকাটে দ্রুত লাভ করা।

এই বিজ্ঞাপনের সাথে নতুন সংযোজন, কথায় কথায় আলহামদুলিল্লাহ এবং মুখমন্ডলে হালকা দাড়ি।

একটি অনলাইন ব্যবসার যে পরিমাণ নেগেটিভ ইফেক্ট থাকে সেটি অধিকাংশ ক্রেতা জানতে পারে না। কারণ সময়ের অভাবে তাদের জানা সুযোগ নাই। যে অল্পমাত্র ক্রেতা তাদের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা নিয়ে থাকে যদি শুধুমাত্র তারাই গ্রাহক হয় তবে সেটাই সেই অনলাইন ব্যবসার জন্য যথেষ্ট।

এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের কঠোর হওয়া দরকার।

16/06/2024
10/06/2024

কোরিয়ানদের স্বাধীনতা

প্রকৃতিক সম্পদ বিহীন, ৭০% পাহাড়ের এই দেশটির লোকজন মধ্যপ্রাচ্য সহ আমাদের দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন এ কামলা দিয়েছে৷ নিজেদের করেছে শিল্প উন্নত দেশ।

প্রকৃত ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা বলতে যা বুঝায় তা এরা উপভোগ করে যাচ্ছে.....

তবে আমাদের থেকে স্বাধীনতার ব্যাপকভাবে ভিন্নতা রয়েছে।

এখানে রাতে গ্রামের গলিতে ছোট পোশাক পড়ে, কোটি টাকা নিয়ে, মদ্য করে অবচেতন হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকলেও কেউ তাকে বিরক্ত করবে না। বরং পুলিশ চিকিৎসা দিয়ে, বাসায় দিয়ে আসবে। যতই মাতাল হন, অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে।

চাইলেই এখানে অনুমতি ছাড়া, সভা, সমাবেশ, মিছিল, সড়কে প্রতিবন্ধকতা, বড় পার্টি করতে পারবেন না।

রাস্তায়, পরিবহনে, আবাসিক এলাকায় চিৎকার, খালি গায়ে বাহিরে বের হওয়া, আযান দেয়া, জোড়ে উচ্চশব্দে কিছু চালাতে পারবেন না।

কাঊকে ক্ষতি না করে যত প্রকার চিত্তরঞ্জন, ক্যাসিনো, বা ইচ্ছা মত যে কোন ধর্ম পালন করতে পারবেন।

রাষ্ট্র বা প্রজাতন্ত্রের কার্মচারীরা প্রস্তুত থাকে তার নাগরিকদের সেবা দেয়ার জন্য। পুলিশ সত্যিকারের জনগনের বন্ধু।

গালাগালির জন্য কোন আইন মনে হয় নাই। তাই খুশি বলতে পারবেন। যাই বলুক না কেন যে আগে গায়ে হাত দিবে সেই অপরাধী।

নিরাপত্তার যেকোন উন্নত দেশ থেকেও এগিয়ে আছে। অপরাধ করা খুব সহজ। পার পাওয়ার কোন উপায় নাই৷ পুরো দেশটি CCTV এর আওতায়। ভাববেন না এরা খুব সভ্য তাহলে তো CCTV লাগত না। তাই, আইন অমান্য করলে, যত ক্ষমতাধর হন না কেন। সাজা পেতেই হবে।

এদের সাপেক্ষে আমরা স্বাধীন। কারন, ক্ষমতা যদি হাতে থাকে,
যত প্রকার অপরাধ বা কাজ আছে করা যাবে, শাস্তি পেতে হবে না।

লেখক -আল-আমিন রাসেল
বর্নালী সাইবার একাডেমী

01/06/2024

কোরিয়া নিয়ে আমাদের দেশে চাকুরীর পরিক্ষাতে যে প্রশ্ন প্রায়শই আসে :

১) সকাল বেলার শান্তি বলা হয় -কোরিয়ার রাজধানী সিউল কে।
২) ব্লু হাউস - কোরিয়ার রাষ্ট্রপতির সরকারী বাসভবন এর নাম।
৩) জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন দক্ষিন কোরিয়ার নাগরিক।
৪) G-20 ভুক্ত এশিয়ার দুটি দেশ হল কোরিয়া ও জাপান। G-20 হল বিশ্বের অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী ২০ টি দেশের গ্রুপ।
৫) দুই কোরিয়ার মধ্যকার বিরোধপূর্ণ গ্রামের নাম পানমুনজম। বাস্তবে এটি উভয় কোরিয়ার অফিসিয়াল সাক্ষাতের স্থান।
৬) ৩৮ ডিগ্রী অক্ষরেখা বরাবর দুই কোরিয়া বিভক্ত।
৭) কোরিয়া একটি উপদ্বীপ। উল্লেখ্য যে কোরিয়া বলতে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে বুঝানো হয়।

আরো,

১) দক্ষিন কোরিয়ার, দুই কোরিয়া একত্রিকরন মন্ত্রণালয় - 통일부 / ministry of unification রয়েছে। দক্ষিন কোরিয়ান বয়স্ক মানুষেরা একত্র হতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও নতুন প্রজন্ম ততটা আগ্রহ কম। বর্তমান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রজন্ম উত্তর কোরিয়াকে অদ্ভুত এবং খুব গরিব দেশ মনে করে। যদিও উত্তর কোরিয়া খুব গরিব দেশ।

২) দুই কোরিয়া মধ্যে বিরোধ চলমান ১৯৪৫ সাল থেকে।১৯৪৮ সালে আলাদা হয়। ১৯৫০-৫৩ যুদ্ধ চলে। যদিও ১৯৫৩ সালে জাতিসংঘ ও আমেরিকার মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতি হয়েছে। ৩৮ ডিগ্রী অক্ষরেখা বরাবর আলাদা হয়েছে। যদিও দুই কোরিয়ার এক অংশ অন্য অংশের পুরোটা দাবি করে। উভয় কোরিয়া সাংবিধানিকভাবে সম্পূর্ণ করিয়ান উপদ্বীপ।
এখন পর্যন্ত কেউ কাউকে সৃক্রিতি দেয় নি। তবে ২০১৯ সালে উভয় দেশ যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হয়েছে।

অন্যতথ্য,
১) ১৯৫৭ সাল থেকে দক্ষিন কোরিয়াতে ২৮৫০০ আমেরিকান সেনারা নিরাপত্তা দিয়ে এসেছে। যা USFK- United States Forces Korea নামে পরিচিত।
২) দুই কোরিয়া এর সীমান্ত ২৫০ কিলোমিটার, প্রস্থ ৪ কিলোমিটার, যা DMZ বা Demilitarized Zone নামে পরিচিত। এখানে প্রচুর ল্যান্ড মাইন রয়েছে।
৩) সকল কোরিয়ান পুরুষ এর জন্য, ১৮-৩৮ বছর বয়সের মধ্যে ২ বছরের মিলিটারি প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক।

৪) ১৯৯৭ সালের এশিয়ান অর্থনীতিক মন্দার IMF - ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফাণ্ড এর সহযোগিতা নিয়ে মন্দা থেকে বের হয়ে এসেছিল। এটাকে কিছু দক্ষিণ কোরিয়ান প্রবাসী ভুলে বলে থাকেন, IMF কোরিয়া কিনেছিল। ।
৫) খিস্টপূর্ব ৭ শতাব্দী থেকে দুই কোরিয়া এক সাথে। ১৯৪৮ সালে আলাদা হয়। উত্তর কোরিয়ার পাশে কিছু এলাকা চীনের অধীনে ছিল মাত্র। ১৩৯২ সাল থেকে বর্তমান দুই কোরিয়া একই ছিল। সুতরাং চীনের অধীনে ছিল না।

৬) কোরিয়ান পপ সঙ্গীতকে কে পপ বলা হয়। নাটক কে কে ড্রামা। জনপ্রিয় ব্যান্ড গ্রুপ বিটিএস দক্ষিণ কোরিয়ার।

৭) দক্ষিণ কোরিয়াকে স্থানীয় ভাষায় হানগুক বলা হয়। রাজধানী সিউলকে বলা হয় ছউল।
------

লেখক- আল-আমিন রাসেল
বর্ণালী সাইবার একাডেমী

18/05/2024

টুরিস্ট ভিসা বা ভ্রমণ ভিসা:

একটি দেশের নাগরিককে অন্য একটি দেশে ভ্রমণ করতে গেলে পাসপোর্ট থাকতে হয়। আমাদের দেশের পাসপোর্ট এ লেখা অনুযায়ী , মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুরোধক্রমে ইজরাইল ব্যতীত সকল দেশে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।

বিভিন্ন দেশ তার দেশের নানান ক্যাটাগরি ভিসা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম শর্ত বা ডকুমেন্টের চাহিদা আরোপ করে থাকে। যেকোনো দেশের নাগরিককে অন্য একটি দেশে ঘুরতে জন্য ভ্রমণ ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে। কিন্তু ভিসা দিবে কি , দিবে না এটা নির্ভর করে ওই দেশের দূতাবাস বা হাইকমিশনারের উপর। ভিসা দেয়ার পরেও সর্বোপরি নির্ভর করে ওই দেশের ইমিগ্রেশন থেকে সর্বশেষ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে কিনা। যদি কোন কারনে সন্দেহ মনে হয় , তাহলে ওই দেশের ইমিগ্রেশন থেকেই ফেরত পাঠাতে পারে।

ভ্রমণ ভিসা পাবার ক্ষেত্রে সব থেকে যে বড় ব্যাপারটি কাজ করে সেটি হচ্ছে, পৃথিবী হচ্ছে একটা বাস্তবতার চরম ক্ষেত্র এবং সবাই তেলেমাথায় তেল দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে , খবরের পিছনের খবরই হচ্ছে আসল খবর।

ধরুন ব্যাংকের ক্ষেত্রে বলা যাক, অনেককে ৫ হাজার টাকা লোন দেয় না, আবার অনেককে ১ কোটি টাকা লোন দেয়। নির্ভর করে, তার কি পরিমান টাকা পরিশোধ করার যোগ্যতা আছে।

বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে সহজেই ভিসা দেওয়া হয় সেই সব দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, মাথাপিছু আয়, কর্মের সুযোগ এবং দেশের মান আমাদের দেশের প্রায় একই মানের। আবার, অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে , দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উপরে।

যদি ভুল না বলে থাকি , আমাদের দেশের সাথে ৪৮ টি দেশের সাথে ভিসা ফ্রি অথবা ভিসা অন অ্যারিভাল (ওই দেশে উপস্থিত হয়ে ভিসা) আছে। কম-বেশি পরিবর্তনশীল। সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে বা নীল পাসপোর্ট বা অফিসিয়াল পাসপোর্ট এবং কূটনৈতিক কিংবা লাল পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে অনেক দেশে অতি সহজেই ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে।

এবার ধরুন বাংলাদেশ থেকে আপনি ভারতে যেতে চাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ এবং ভারত একই মানের দেশ। সেক্ষেত্রে আপনি সহজেই ভিসা পাবেন। যদি তাদের চাহিদার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে পারেন।

এবার আসুন দক্ষিণ কোরিয়া ক্ষেত্রে, দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের একটি অতি উন্নত দেশ এবং টাকা সঞ্চয় এর পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দেশ। সে দেশের শ্রমবাজারে কর্মী ঘাটতি আছে। তাই সহজেই সেই দেশে গিয়ে অন্য যে কোন দেশের লোকের অবৈধভাবে কাজ করার সুযোগ আছে। কেউ যদি দক্ষিণ কোরিয়াতে ভ্রমণ করতে যেতে চায় , প্রথমে তাকে প্রমাণ দিতে হবে তিনি আসলেই ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন। তার ওই দেশে অবৈধভাবে থাকার কোন প্রকার ইচ্ছা নাই।
এর জন্য ব্যাংকে বাংলাদেশে অনেক টাকা দেখাতে হতে পারে। পরিমাণ ৩০ লাখ থেকে ১ কোটির উপরেও হতে পারে। অথবা, তাকে বাংলাদেশে বড় চাকরি দেখাতে হবে, যার বেতন কোরিয়ার একজন নাগরিকের গড় বেতনের থেকেও বেশি। অথবা, তাকে দেখাতে হবে যে, বাংলাদেশে তার একটি সামাজিক ভাল অবস্থান রয়েছে। অথবা, দেখাতে হবে , তার রাজনৈতিক বড় প্রভাব রয়েছে। অথবা, তাকে দেখাতে হবে বাংলাদেশে যে ব্যবসা বা কর্ম করে তার অবস্থান অনেক ভাল। যা কোরিয়ার স্বাভাবিক গড় আয়ের থেকে বেশি বা কাছাকাছি। অথবা, সত্যিকারের একজন ভ্রমণকারী হিসেবে তার কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করার অতীতের ভিসা রয়েছে এবং দুই-একটি উন্নত দেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে সব দেশে তিনি অবৈধভাবে অবস্থান করেননি কখনো। এমন হতে পারে , কোন কোরিয়ান কিংবা কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান থেকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভ্রমণের আমন্ত্রণ।

অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি, যে ভাবেই হোক তাকে প্রমাণ দিতে হবে যে, কোরিয়াতে গিয়ে সে অবৈধভাবে বসবাস করার থেকে সে বাংলাদেশ এ ভাল অবস্থানে রয়েছে। এত কিছু প্রমাণের সাপেক্ষে , যদি কোরিয়ান সরকার তথা কোরিয়ান দূতাবাস মনে করে যে তাকে কোরিয়া ঘুরতে আসতে দেয়া যেতে পারে, তখনই কেবলমাত্র ভিসা দেয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে নিশ্চিতভাবে কোন কোন ডকুমেন্টগুলি দিলে ভিসা দিবে , এটা একমাত্র ওই দেশের দূতাবাস নির্ভর। যতই প্রমাণপত্র দেয়া যাবে ,ততই সহজ হবে।

এখন ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন। আমি কি বলতে চাচ্ছি। কোন দেশ কি কারনে আমাকে ভিসা দিবে। আমার কি যোগ্যতা আছে ওই দেশে ভিসা পাওয়ার ? তারা তো আমার পরিবার বা আত্মীয়-স্বজন কেউ না।

মোটকথা, একটি দেশের নাগরিককে তার দেশ অপেক্ষা ভাল অর্থনীতির দেশে যেতে হলে তাকে তত বেশি প্রমাণ দিতে হবে। অন্যদিকে, একটি দেশের নাগরিককে তার দেশ অপেক্ষা অধিকতর দুর্বল অর্থনৈতিক দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ততো কম প্রমাণ পত্র দিতে হবে।

সম্প্রতি বেসরকারিভাবে কোরিয়াতে প্রথমবারের মতো কর্মী নিয়োগ হয়েছে। সেক্ষেত্রে খুব সাবধানে অনেক তথ্য নিয়ে যাচাই-বাছাই করে তারপরে টাকা দিবেন। দেশে বড় একটা চক্র এখন এই জিনিসটাকে সহজ দেখিয়ে টাকা নিবে। খুব সাবধান , খুব সাবধান।

এর আগের স্বল্পমেয়াদি কৃষি ভিসা চালু করেছিল মাত্র কিছু লোকের জন্য। সে ক্ষেত্রে উপজাতিদের প্রধান্য দেয়া হয়েছিল।

বর্তমানে আগের যেকোন সময়কারের থেকেও কোরিয়াতে বেশি বেশি সরকারিভাবে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে, কোরিয়ান ভাষা ভালভাবে রপ্ত করতে হবে। তাই কোরিয়াতে কেউ যেতে চাইলে চাকরির উদ্দেশ্যে কোরিয়ান ভাষা শিখে নেয়া হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ।

বিদেশে , কর্মের মাধ্যমে আমরা রেমিটেন্স আয় করতে পারবো। ভ্রমণের মাধ্যমে জ্ঞান আরোহন করতে পারব।

সর্বোপরি , ভ্রমণ হোক আর কর্ম হোক। বিদেশ ভ্রমণ কিংবা প্রবাস জীবন হোক আনন্দময়।
----

লেখক:
আল-আমিন রাসেল
সাবেক দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী,
প্রতিষ্ঠাতা -বর্ণালী সাইবার একাডেমী

18/05/2024

কোরিয়ার স্বাধীনতা ..

প্রকৃতিক সম্পদ বিহীন, ৭০% পাহাড়ের এই দেশটির লোকজন মধ্যপ্রাচ্য সহ আমাদের দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন এ কামলা দিয়েছে৷ করেছে শিল্প উন্নত দেশ।

প্রকৃত ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা বলতে যা বুঝায় তা এরা উপভোগ করে যাচ্ছে.....

তবে আমাদের থেকে স্বাধীনতার ব্যাপকভাবে ভিন্নতা রয়েছে।

এখানে রাতে গ্রামের গলিতে ছোট পোশাক পড়ে, কোটি টাকা নিয়ে, মদ্য করে অবচেতন হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকলেও কেউ তাকে বিরক্ত করবে না। বরং পুলিশ চিকিৎসা দিয়ে, বাসায় দিয়ে আসবে। যতই মাতাল হন, অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে।

চাইলেই এখানে অনুমতি ছাড়া, সভা, সমাবেশ, মিছিল, সড়কে প্রতিবন্ধকতা, বড় পার্টি করতে পারবেন না।

রাস্তায়, পরিবহনে, আবাসিক এলাকায় চিৎকার, খালি গায়ে বাহিরে বের হওয়া, আযান দেয়া, জোড়ে উচ্চশব্দে কিছু চালাতে পারবেন না।

কাঊকে ক্ষতি না করে যত প্রকার চিত্তরঞ্জন, ক্যাসিনো, বা ইচ্ছা মত যে কোন ধর্ম পালন করতে পারবেন।

রাষ্ট্র বা প্রজাতন্ত্রের কার্মচারীরা প্রস্তুত থাকে তার নাগরিকদের সেবা দেয়ার জন্য। পুলিশ সত্যিকারের জনগনের বন্ধু।

গালাগালির জন্য কোন আইন মনে হয় নাই। তাই খুশি বলতে পারবেন। যাই বলুক না কেন যে আগে গায়ে হাত দিবে সেই অপরাধী।

নিরাপত্তার যেকোন উন্নত দেশ থেকেও এগিয়ে আছে। অপরাধ করা খুব সহজ। পার পাওয়ার কোন উপায় নাই৷ পুরো দেশটি CCTV এর আওতায়। ভাববেন না এরা খুব সভ্য তাহলে তো CCTV লাগত না। তাই, আইন অমান্য করলে, যত ক্ষমতাধর হন না কেন। সাজা পেতেই হবে।

এদের সাপেক্ষে আমরা স্বাধীন। কারন, ক্ষমতা যদি হাতে থাকে,
যত প্রকার অপরাধ বা কাজ আছে করা যাবে, শাস্তি পেতে হবে না।

লেখক : আল-আমিন রাসেল

বর্ণালী সাইবার একাডেমী / Barnali Cyber Academy

09/05/2024

বিশ্ববিদ্যালয় এর কিছু পদবী :

বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা সম্পর্কিত কিংবা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদবী থাকে।

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আইন অনুযায়ী পদাধিকার বলে আচার্য বা চ্যান্সেলর হচ্ছেন রাষ্ট্রের মহামান্য রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রপতি।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আচার্য বা চ্যান্সেলর হচ্ছেন ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট এর সমগোত্রীয় পর্যায়ের পদবী।

উপাচার্য বা ভাইস-চ্যান্সেলর বা ভিসি হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী বা দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান। যিনি আচার্য এর সহযোগী হিসেবে কাজ করে থাকেন। অন্যদিকে, উপাচার্যের সহযোগী হিসেবে কাজ করে থাকেন উপ-উপাচার্য।

আমাদের দেশে শিক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূলত চারটি পদবী হয়ে থাকে।

সর্বোচ্চ পদবী হচ্ছে অধ্যাপক বা প্রফেসর। একজন পূর্ণ অধ্যাপক হচ্ছেন প্রকৃত শিক্ষাবিদ যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদবী।

এর পরের ধাপে রয়েছে সহযোগী অধ্যাপক বা এসোসিয়েট প্রফেসর।

এর পরের ধাপে সহকারি অধ্যাপক বা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর।

একদম সর্বশেষ ধাপে রয়েছে লেকচারার বা প্রভাষক।

এমিরেটস অধ্যাপকরা হলেন সাবেক অধ্যাপক যাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার কারণে কর্তৃপক্ষ রেখে দেন। সাধারণত গবেষণার সুযোগ সুবিধা দেয়া হলেও বেতন দেয়া হয় না।

জাতীয় অধ্যাপক হচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক শিক্ষা-গবেষণা কে বিকশিত করার লক্ষ্যে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে বিশেষ সম্মান সূচক উপাধি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন মাসিক সম্মানী দিয়ে থাকে। এরা মূলত দেশের যে কোন প্রান্তে ভ্রাম্যমান অধ্যাপক হিসেবে কাজ করতে পারেন।

প্রক্টর হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় একটি দায়িত্বশীল পদ, যিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা এর প্রধান দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

প্রভোস্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কোন আবাসিক হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান।

বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনুষদের প্রধানের পদবী হচ্ছে ডিন।

পরিচালক হচ্ছে প্রশাসনিক কোন বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের প্রধান।

বিভাগ বা বিষয়ের প্রধানের পদবী হচ্ছে চেয়ারম্যান অথবা বিভাগীয় প্রধান।

অধ্যক্ষ বা প্রিন্সিপাল হচ্ছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে কলেজ এবং মহাবিদ্যালয় প্রধান নির্বাহী। তার সহযোগী হিসেবে থাকেন উপাধ্যক্ষ।

রেজিস্টার মূলত শিক্ষার্থীদের রেকর্ড সংরক্ষণকারী কর্মকর্তা। যিনি একই সাথে বিভিন্ন নিয়োগ, কর্মীদের তালিকা প্রণয়ন, রেকর্ড, নিবন্ধন এবং কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
----
লেখকঃ আল-আমিন রাসেল
২০২০ মে ০৯
(বর্ণালী সাইবার একাডেমি)

10/04/2024

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা,
ঈদ মোবারক💖

পিকচার ক্রেডিট: Mohammad Shah Amanot

10/04/2024

সকলকে পবিত্র ঈদুল শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক ❤️

17/03/2024

দক্ষিণ কোরিয়া (পর্ব-০৭):

সাংবিধানিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে ধর্ম পালনের জন্য স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। বাস্তবে পৃথিবীর যেকোনো দেশের সাপেক্ষে নিজ নিজ ধর্মপালনের সম্পূর্ণ স্বাধীন। ধর্মের নামে এখন পর্যন্ত এই দেশটিতে কোন প্রকার সহিংসতা হয়নি। এই দেশের ৫৭% মানুষ ধর্মহীন। অর্থাৎ এরা ধর্ম আছে কিংবা নাই সেটার ব্যাপারে আগ্রহী নয়। ২৭% খ্রিষ্টান, ১৫% করিয়ান বুদ্ধিস্ট। তবে এগুলি শুধুমাত্র পরিসংখ্যানিক নামমাত্র হিসাব। বাস্তবে, এই দেশের প্রায় সকলেই ধর্মের প্রতি কোন প্রকার আগ্রহী নয়। এরা নিজেদের সংস্কৃতিকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তবে এখানে প্রচুর পরিমাণে গির্জা এবং বিদেশিদের দ্বারা পরিচালিত বেশ কয়েকটি মসজিদ, মন্দির রয়েছে।

এখানে গড় হিসেবে এশিয়া মহাদেশের সবথেকে বেশি মদ্যপান হয়ে থাকে। এখানের বিশ্বব্যাপী পরিচিত পানিয় এর নাম হচ্ছে সজু। মদ্যপান করে গাড়ি চালালে কিংবা যে কোন অপরাধ করলে শাস্তি ভোগ করতে হয়।

রাজধানী সিউল এ অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সেবার মান বাংলাদেশের অন্যান্য সরকারী দপ্তর থেকে অনেক ভাল এবং অনেকটা উন্নত বিশ্বের দপ্তরের মত।

৩০০ সদস্য বিশিষ্ট এখানে জাতীয় আইনসভা রয়েছে। এরমধ্যে ২৫৩ জন জনগণের সরাসরি প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। বাকি সদস্যগণ আনুপাতিক রাজনৈতিক দলের ভিত্তিতে পরোক্ষ ভাবে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী। জনগণের মতপ্রকাশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। এখানে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে উচ্চতম স্তর এর সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রয়েছে।

কোরিয়ান খাবার মূলত চাল, নুডুলস, শাকসবজি, মাছ ও মাংসের উপর ভিত্তি করে। একদম বয়স্ক প্রজন্ম অতীতে কুকুর খেয়ে থাকলেও বর্তমান প্রজন্ম সকলেই ঘৃণা করে। এখানের রান্নার প্রক্রিয়া অনেকটা ভিন্ন। তবে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। অনেক খাবার কাঁচা এবং অর্ধসিদ্ধ খেয়ে থাকে। কোরিয়ান খাবারের গজানো সবজির একটি ঐতিহ্যবাহী চিরাচরিত খাদ্যের নাম হচ্ছে কিমছি।

-
লেখকঃ আল-আমিন রাসেল
২০২০ সেপ্টেম্বর ২৭
সুয়ন সিটি, দক্ষিণ কোরিয়া
(বর্ণালী সাইবার একাডেমি)

25/12/2023

সবাইকে বর্ণালী কোরিয়ান ভাষা কেন্দ্র বরিশাল এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং সুস্বাগতম।🌹

আমরা অতি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে,
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে আমরা নতুন একটি প্রাইভেট ব্যাচ চালু করতে যাচ্ছি।💕

গুণগতমান এর দিক থেকে আমরা বরিশাল বিভাগের সেরা ছিলাম এবং আপনাদের নিয়ে সেরা হয়ে থাকতে চাই। 🇰🇷🇰🇷

সুতরাং , শুধুমাত্র সিরিয়াস মানুষ & ভালো মন-মানসিকতার মানুষদের যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। এছাড়া কারো যোগাযোগ করার প্রয়োজন নাই।

বর্ণালী কোরিয়ান ভাষা কেন্দ্র,
নজরুল ইসলাম সড়ক,
নতুল্লাবাদ , বরিশাল।

📞01327739549

14/10/2023

চারদিকে শুধু উন্নয়ন এবং উন্নয়নের কথা শুনি। আমার কাছে উন্নয়ন বলতে কি বুঝায় একটু আসুন ভেবে দেখি।

রাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম একটি একক যদি পরিবারকে বিবেচনা করি তাহলে আমি দুটি পরিবারের সাথে তুলনা করে উন্নয়নের হিসাব করতে পারি। প্রতিটি পরিবারে তিনজন ছেলে হিসেবে বিবেচনা করি।

প্রথম পরিবার, এই পরিবারের জনক শহরে বাস করে শহরে বহু দল কয়েকটি বাড়ি রয়েছে , কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বাসার আশেপাশে রাস্তাঘাট খুবই উন্নত। তার প্রথম সন্তান বিবাহিত পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি , এখনও বাবার উপর নির্ভরশীল, কোনো কর্মের সাথে যুক্ত নয় কিংবা কোন কর্ম করার ধৈর্য বা দক্ষতা কোনোটিই নাই। এই পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান হচ্ছে পড়াশোনা কোনরকম একটু করেছে, স্থানীয় পাতিনেতা, সকল প্রকার নেশার সাথে কম বেশি জড়িত। শেষ সন্তান হচ্ছে, মাধ্যমিকে পড়াশোনা করে , মারামারি প্রতিদিন তার নিত্যদিনের ঘটনা, পড়াশুনাতে একদম মনোযোগী নয়।

দ্বিতীয় পরিবার হচ্ছে, গ্রামে বাস করে একজন ভূমিহীন কৃষকের পরিবার। এই পরিবারের প্রথম সন্তান দেশের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করে। খুব কষ্ট করে টিউশনি করে এবং সততার সাথে চলে এবং সে খুব কাজে দক্ষ। দ্বিতীয় সন্তান, গ্রামের একটি বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা থেকে খুব ভালো এবং খুব জ্ঞানপিপাসু। একদম ছোট সন্তান হচ্ছে প্রাথমিকে পড়াশোনা করে, একাডেমিকে খুব ভালো করতেছে।

দুটি পরিবারের মধ্যে কোন পরিবারের ভবিষ্যৎ ভাল? কোন পরিবারের উন্নয়ন বেশি হয়েছে ??

আমাদের দেশে উন্নয়ন বলতে শুধু রাস্তাঘাট, অবকাঠামো বোঝানো হয়।

ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয় , উন্নয়নের সাথে প্রধানত দরকার সুশিক্ষা, সুশাসন, সামাজিক নিরাপত্তা, নিরাপদ খাদ্য, সবার সুচিকিৎসা, ব্যবসা সহজীকরণ, প্রকৃত গণতন্ত্র, চাকুরীর নিরাপত্তা, সম অধিকার, সমান আইন।

উন্নত দেশেও ছোট ছোট রাস্তাঘাট, চিপাচিপা গলি আছে। কিন্তু সেখানেও যে সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলি আমাদের এখানে চিন্তা করা যায় না।

Photos from বর্ণালী সাইবার একাডেমী / Barnali Cyber Academy's post 31/05/2023

আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সাদিকুর রহমান সাদিক আজকে ৩১-৫-২০২৩ তারিখে প্রথম শিফটে ১৯৫ মার্ক পেয়েছে।✌️✌️ যা রেকর্ড সংখ্যক মার্ক।
তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।❤️❤️
শুরু থেকেই তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠানের একান্ত তত্ত্বাবধানে ছিল এবং তিনিও আমাদেরকে সর্বোচ্চ সময় দিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছি তাকে কোরিয়ান স্টাইলে সবকিছু করতে।

এজন্যই আমরা প্রথম থেকেই বলেছি, আমাদের কাছে কেউ পড়াশোনা করলে তিন - চার মাসে সে ১৫০ প্লাস নিশ্চিতভাবে পাবে বিধায় আমরা নো পাশ/রোস্টার , নো ফি অফার নিয়ে এসেছি। এরকম অফার দেওয়ার মতো সাহস খুব কম প্রতিষ্ঠানের রয়েছে।

তাহার জন্য সকলে দোয়া করবেন যেন তার আগামীর কাজ গুলি সুন্দরভাবে হয়।

আপনারা হয়তো জানেন, আমি বর্তমানে বরিশাল শহরে থাকি। বরিশাল অঞ্চলের তথা বাংলাদেশের কিছু মানুষের উপকারের জন্য যাতে করে রেমিটেন্স যোদ্ধা তৈরি করতে পারি এবং ৩-৪ বছরের মধ্যে কোটিপতি করে দিতে পারি। এই উদ্দেশ্য নিয়েই বর্ণালী কোরিয়ান ভাষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি। আজকের দিন পর্যন্ত এটা নিয়ে আমাদের কোন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নাই। আমাদের বর্তমান সকল শিক্ষার্থী এটা অবগত।

আমি কোনদিন কারো কাছ থেকে এক টাকা প্রতারনা করে আয় করছি এরকম নজির কেউ দেখাতে পারবে না।

এই সেক্টরে অনেক প্রতারণা করা হয় বিধায় আমি চাচ্ছি যে, এমনভাবে শিক্ষার্থিদের উপকার করে দিব যাহাতে ছাত্ররা পরে শিক্ষক হওয়ার মত যোগ্যতা অর্জন করে। যাহাতে, বরিশালের প্রতি উপজেলায় আমাদের শিক্ষার্থী থাকে। তারা আমাদের মতো করে এভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারে। আমেরিকার ডিভি লটারি বন্ধ হওয়ার পর বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া একটি ভাল সুযোগ রেখেছে। এই সেক্টরে পড়াশোনা করাবে, টাকা নেবে এটা স্বাভাবিক কিন্তু প্রতারণা হবে। যা চাই না ।আমার তো সুযোগ রয়েছে এখানে কিছু সেবা দেওয়ার তাই করে যাচ্ছে মাত্র।

সকলে দোয়া করবেন। পাশে থাকবেন।

বর্ণালী কোরিয়ান ভাষা কেন্দ্র, বরিশাল।

26/05/2023

কয়েকদিনের মধ্যেই সার্কুলার হচ্ছে...
স্বল্প ব্যয়ে উচ্চ বেতনে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চাইলে ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণে জন্য অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে । ২০২৩ সনে নির্ধারিত কোটা পূরণের লক্ষ্যে এই সার্কুলার দেওয়া হবে এবং সবাইকে দ্রুত পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য অনুরোধ করা গেল। বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত হয়েছে।

আমার দ্বারা পরিচালিত,
বরিশাল অঞ্চলের সেরা প্রতিষ্ঠান
বর্ণালী কোরিয়ান ভাষা কেন্দ্র
বরিশাল।

12/04/2023

টুরিস্ট ভিসা বা ভ্রমণ ভিসা:

একটি দেশের নাগরিককে অন্য একটি দেশে ভ্রমণ করতে গেলে পাসপোর্ট থাকতে হয়। আমাদের দেশের পাসপোর্ট এ লেখা অনুযায়ী , মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুরোধক্রমে ইজরাইল ব্যতীত সকল দেশে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।

বিভিন্ন দেশ তার দেশের নানান ক্যাটাগরি ভিসা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম শর্ত বা ডকুমেন্টের চাহিদা আরোপ করে থাকে। যেকোনো দেশের নাগরিককে অন্য একটি দেশে ঘুরতে জন্য ভ্রমণ ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে। কিন্তু ভিসা দিবে কি , দিবে না এটা নির্ভর করে ওই দেশের দূতাবাস বা হাইকমিশনারের উপর। ভিসা দেয়ার পরেও সর্বোপরি নির্ভর করে ওই দেশের ইমিগ্রেশন থেকে সর্বশেষ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে কিনা। যদি কোন কারনে সন্দেহ মনে হয় , তাহলে ওই দেশের ইমিগ্রেশন থেকেই ফেরত পাঠাতে পারে।

ভ্রমণ ভিসা পাবার ক্ষেত্রে সব থেকে যে বড় ব্যাপারটি কাজ করে সেটি হচ্ছে, পৃথিবী হচ্ছে একটা বাস্তবতার চরম ক্ষেত্র এবং সবাই তেলেমাথায় তেল দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে , খবরের পিছনের খবরই হচ্ছে আসল খবর।

ধরুন ব্যাংকের ক্ষেত্রে বলা যাক, অনেককে ৫ হাজার টাকা লোন দেয় না, আবার অনেককে ১ কোটি টাকা লোন দেয়। নির্ভর করে, তার কি পরিমান টাকা পরিশোধ করার যোগ্যতা আছে।

বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে সহজেই ভিসা দেওয়া হয় সেই সব দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, মাথাপিছু আয়, কর্মের সুযোগ এবং দেশের মান আমাদের দেশের প্রায় একই মানের। আবার, অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে , দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উপরে।

যদি ভুল না বলে থাকি , আমাদের দেশের সাথে ৪৮ টি দেশের সাথে ভিসা ফ্রি অথবা ভিসা অন অ্যারিভাল (ওই দেশে উপস্থিত হয়ে ভিসা) আছে। কম-বেশি পরিবর্তনশীল। সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে বা নীল পাসপোর্ট বা অফিসিয়াল পাসপোর্ট এবং কূটনৈতিক কিংবা লাল পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে অনেক দেশে অতি সহজেই ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে।

এবার ধরুন বাংলাদেশ থেকে আপনি ভারতে যেতে চাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ এবং ভারত একই মানের দেশ। সেক্ষেত্রে আপনি সহজেই ভিসা পাবেন। যদি তাদের চাহিদার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে পারেন।

এবার আসুন দক্ষিণ কোরিয়া ক্ষেত্রে, দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের একটি অতি উন্নত দেশ এবং টাকা সঞ্চয় এর পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দেশ। সে দেশের শ্রমবাজারে কর্মী ঘাটতি আছে। তাই সহজেই সেই দেশে গিয়ে অন্য যে কোন দেশের লোকের অবৈধভাবে কাজ করার সুযোগ আছে। কেউ যদি দক্ষিণ কোরিয়াতে ভ্রমণ করতে যেতে চায় , প্রথমে তাকে প্রমাণ দিতে হবে তিনি আসলেই ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন। তার ওই দেশে অবৈধভাবে থাকার কোন প্রকার ইচ্ছা নাই।
এর জন্য ব্যাংকে বাংলাদেশে অনেক টাকা দেখাতে হতে পারে। পরিমাণ ৩০ লাখ থেকে ১ কোটির উপরেও হতে পারে। অথবা, তাকে বাংলাদেশে বড় চাকরি দেখাতে হবে, যার বেতন কোরিয়ার একজন নাগরিকের গড় বেতনের থেকেও বেশি। অথবা, তাকে দেখাতে হবে যে, বাংলাদেশে তার একটি সামাজিক ভাল অবস্থান রয়েছে। অথবা, দেখাতে হবে , তার রাজনৈতিক বড় প্রভাব রয়েছে। অথবা, তাকে দেখাতে হবে বাংলাদেশে যে ব্যবসা বা কর্ম করে তার অবস্থান অনেক ভাল। যা কোরিয়ার স্বাভাবিক গড় আয়ের থেকে বেশি বা কাছাকাছি। অথবা, সত্যিকারের একজন ভ্রমণকারী হিসেবে তার কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করার অতীতের ভিসা রয়েছে এবং দুই-একটি উন্নত দেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে সব দেশে তিনি অবৈধভাবে অবস্থান করেননি কখনো। এমন হতে পারে , কোন কোরিয়ান কিংবা কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান থেকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভ্রমণের আমন্ত্রণ।

অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি, যে ভাবেই হোক তাকে প্রমাণ দিতে হবে যে, কোরিয়াতে গিয়ে সে অবৈধভাবে বসবাস করার থেকে সে বাংলাদেশ এ ভাল অবস্থানে রয়েছে। এত কিছু প্রমাণের সাপেক্ষে , যদি কোরিয়ান সরকার তথা কোরিয়ান দূতাবাস মনে করে যে তাকে কোরিয়া ঘুরতে আসতে দেয়া যেতে পারে, তখনই কেবলমাত্র ভিসা দেয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে নিশ্চিতভাবে কোন কোন ডকুমেন্টগুলি দিলে ভিসা দিবে , এটা একমাত্র ওই দেশের দূতাবাস নির্ভর। যতই প্রমাণপত্র দেয়া যাবে ,ততই সহজ হবে।

এখন ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন। আমি কি বলতে চাচ্ছি। কোন দেশ কি কারনে আমাকে ভিসা দিবে। আমার কি যোগ্যতা আছে ওই দেশে ভিসা পাওয়ার ? তারা তো আমার পরিবার বা আত্মীয়-স্বজন কেউ না।

মোটকথা, একটি দেশের নাগরিককে তার দেশ অপেক্ষা ভাল অর্থনীতির দেশে যেতে হলে তাকে তত বেশি প্রমাণ দিতে হবে। অন্যদিকে, একটি দেশের নাগরিককে তার দেশ অপেক্ষা অধিকতর দুর্বল অর্থনৈতিক দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ততো কম প্রমাণ পত্র দিতে হবে।

সম্প্রতি বেসরকারিভাবে কোরিয়াতে প্রথমবারের মতো কর্মী নিয়োগ হয়েছে। সেক্ষেত্রে খুব সাবধানে অনেক তথ্য নিয়ে যাচাই-বাছাই করে তারপরে টাকা দিবেন। দেশে বড় একটা চক্র এখন এই জিনিসটাকে সহজ দেখিয়ে টাকা নিবে। খুব সাবধান , খুব সাবধান।

এর আগের স্বল্পমেয়াদি কৃষি ভিসা চালু করেছিল মাত্র কিছু লোকের জন্য। সে ক্ষেত্রে উপজাতিদের প্রধান্য দেয়া হয়েছিল।

বর্তমানে আগের যেকোন সময়কারের থেকেও কোরিয়াতে বেশি বেশি সরকারিভাবে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে, কোরিয়ান ভাষা ভালভাবে রপ্ত করতে হবে। তাই কোরিয়াতে কেউ যেতে চাইলে চাকরির উদ্দেশ্যে কোরিয়ান ভাষা শিখে নেয়া হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ।

বিদেশে , কর্মের মাধ্যমে আমরা রেমিটেন্স আয় করতে পারবো। ভ্রমণের মাধ্যমে জ্ঞান আরোহন করতে পারব।

সর্বোপরি , ভ্রমণ হোক আর কর্ম হোক। বিদেশ ভ্রমণ কিংবা প্রবাস জীবন হোক আনন্দময়।
----

লেখক:
আল-আমিন রাসেল

প্রতিষ্ঠাতা -বর্ণালী সাইবার একাডেমী,
পরিচালক- বর্ণালী কোরিয়ান ভাষা কেন্দ্র বরিশাল

16/03/2023

📢📢📢
নতুন ব্যাচে ভর্তি চলছে।

***অতি উন্নত দেশ দক্ষিণ কোরিয়াতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়াতে সরকারিভাবে চাকরির উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে কোরিয়ান ভাষার দক্ষতা অর্জন ছাড়া বিকল্প নাই।

অতি স্বল্প সময়ে হালাল পথে দ্রুত নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাইলে শুধুমাত্র ৩-৪ মাস কোরিয়ান ভাষা শিখলেই হবে। ২০২৩ সালে ১০ হাজার লোক নিবে। ১০ বছরের ভিসা।

বর্তমান সময়ে স্বল্প ব্যয়ে কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ বাংলাদেশ কে একমাত্র দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার দিয়েছে। সুতরাং, একটু চেষ্টা করলেই সম্ভব, ইনশাআল্লাহ। শুধু কোরিয়ান স্টাইলে পড়াশুনা করা দরকার।

দেশে চাকরির এই দুঃসময়ে এমন সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগানো হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ।

*চাকরিজীবীদের জন্য সন্ধ্যাকালীন বিশেষ ব্যাচ।
*মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যাচ।
*ছাত্র-ছাত্রীদের, আর্থিক সমস্যার থাকলে তাদের জন্য বিশেষ ছাড়।

বি দ্র : আপনাদের পাশ করার জন্য যতক্ষণ প্রয়োজন আমরা ততক্ষণ পড়াবো। বিজয় আমাদের হতেই হবে।

*দক্ষিণ কোরিয়া পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় টাকা সঞ্চয়ের দেশ। মাসে নিম্নে ২ লক্ষ এর অধিক টাকা সঞ্চয়ের সুযোগ এবং দক্ষিণ কোরিয়া পৃথিবীর সেরা ৫ টি দেশের একটি।✌️

আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত❤️
যোগাযোগ: বর্ণালী কোরিয়ান ভাষা কেন্দ্র,
নজরুল ইসলাম সড়ক, নতুল্লাবাদ, বরিশাল সিটি।
📞01327739549
📞01911924724

Want your school to be the top-listed School/college?

Website