Ruman Bhattacharya
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Ruman Bhattacharya, Education, .
শহীদ
বলতো দেখি পতাকায় মোদের কয়টি রং আছে ,শিক্ষক এসে সুধালেন হেসে দ্বিতীয় শ্রেণীর কাছে। একসাথে মিলে সব ছেলে বলে চিৎকার করে জোরে, তিনটি বর্ণ রয়েছে রাঙানো জাতীয় পতাকা জুড়ে। শ্রেণীর পিছনে বেঞ্চের কোণে শিশু ছিল এক বসে, পাঁচটি রং আছে বলল সে মৃদু ভাসে। কথা তার শুনে বাকি শিশু গণে হেসে খায় লুটোপুটি, শিক্ষক রেগে বলেন হেঁকে বোঝাও কি করে পাঁচটি। মাথা নিচু করে ভয়ার্ত সরে শিশুটি বলে উপরে গেরুয়া, মাঝখানে সাদা,সবুজ আছে তার তলে, আর আছে গোলাকার চাকা নীল রং আছে এতে, শিক্ষক বলে এটিকে ধরলে তবুও হচ্ছে চারটে। অবোধ শিশুটি বলল তখন রং আছে আর এক লাল লাল দেখা যায় এই পতাকার মাঝে,বাবাকে যখন আনল ওরা কফিনের ঢাকা খুলে জড়ানো রয়েছে দেহ খানা তার পতাকা আর ফুলে রক্তের দাগের ছিল লাল লাল ছোপ এই পতাকার মাঝে এই নিয়েই হল পাঁচটা এবারে তো ঠিক আছে। সরল শিশুটির জবাব খানা ঝাকিয়ে দিল বুক, অশ্রু এলো নয়ন ভরে শুকনো হলো মুখ। আজকে যারা দেশের জন্য করছে বলিদান, স্বাধীনতার শহীদ সম তাদের অমর প্রাণ। হয়েছি স্বাধীন পেরিয়েছে ৭০ টি বছর, দেশ বাঁচাতে যাচ্ছে যে প্রাণ রাখছি কি তার খবর।
প্রেমে কষ্টের পরে সুখ
ছেলেটার সাত বছরের রিলেশন ছিল মেয়েটার সাথে মেয়েটা আমাদের ডিপার্টমেন্টে পড়তো নাম মোহনা আর ছেলেটার নাম ছিল রবি আমাদের স্কুলেই পড়তো দু বছরে সিনিয়ার কোনদিন হাসি ছাড়া ওকে দেখিনি এত ভদ্র ছেলে স্কুলে পাওয়া দুষ্কর ছিল। মেয়েটাকে ভালোবাসতো পাগলের মতন। প্রাই দেখতাম দুজনে একসাথে হাত ধরে বাড়ি ফিরছে। আমাদের চোখে চোখ পড়তেই হাত ছেড়ে দিয়ে হাসি দিত রবি মাঝে মাঝে টিফিনের সময় দেখতাম দুজনে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে গুদগুজ করছে।
একটা চাকরির অভাবেই সেই সম্পর্কটা বদলে গেল কি ভীষণভাবে!
ততদিনে রবির পড়াশোনা শেষ চাকরি পাচ্ছে না বলে এখানেই থেকে গেল আরো দেড় বছর মেয়েটা ছেড়ে চলে গিয়েছিল পড়াশোনা শেষের এক বছর পর বাড়ি থেকে বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল সেই ছেলে আবার নাকি আইএসসি ক্যাডার যাওয়ার আগে মেয়েটা বলেছিল চাকরি পাও না যোগ্যতা নেই তো প্রেম করতে এসেছিল কেন? ব্রেকআপের পর রবি প্রায়ই গঙ্গার ঘাটে যেত সিগারেট খেতে, হাতে সব সময় কোন না কোন ইউপিএস সি বই থাকতো ঘন্টার পর ঘন্টা ধোঁয়া ছাড় তো আর আমাদের গল্প বলতো সমস্ত জীবনেরই কথা ওর বাড়ির রান্না ঘরের কোথাও মার্বেল ভেঙে গেছে কোথাও আবার মোর্চা পড়েছে ওর বড় বোনটারও বিয়ের বয়স হয়েছে বাবার পেনশনের টাকায় আর চলে না। মাঝে মাঝে কথা বলা বন্ধ করে জলের দিকে তাকিয়ে থাকতো কি যেন ভাবতো হয়তো সে ভাবনা আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। পড়া শেষ করার দেড় বছর পর যে বাড়িতে থাকতো সে বাড়ি থেকেও তাকে বের করে দিল আর বের করল তারাই যাদের সে নিজেই এই বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল যেদিন চলে গেল সেদিন খুব কেঁদেছিল রবি। আমি স্কুল থেকে বেরিয়ে দেখছিলাম সে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আমাকে দেখে সে নিজের চোখের জল আটকে রেখে একটা হাসি দিল আর বলেছিল জীবনে যাই করিস কিন্তু প্রেম করিস না প্রেম করলে গার্লফ্রেন্ড জীবনটাকে তেজপাতা বানিয়ে দেবে। একটা কাগজে লিখে দেওয়ালে টাঙিয়ে রেখেছিলাম।
উপরের কথাগুলো দশ বছর আগের কথা।
ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত একটা কাজে, বহুদিন ধরে চেষ্টা করছিলাম কোন এক কাস্টম অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষত নিজের জানা কোন অফিসার থাকলে তো সাহায্য টা বেশি পাওয়া যায় তাই অনেক খোঁজ খবর নিয়ে যা জানতে পারলাম তা শুনে আমার মাথা ঘুরে গেল কারণ রবি মুম্বাই এয়ারপোর্ট এর একজন নামিদামি কাস্টম অফিসার একদিন সময় করে গেলাম রবির অফিসে, যা চকচকে অফিস একটা টেবিলে রবি বসেছিল আমাকে দেখে বিশাল একটা হাসি দিল দিয়ে এগিয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। এ কথা সে কথা বলার পর উঠল সংসারের কথা। বললাম আমি বিয়ে-থা করিনি এখনো সিঙ্গেল জীবন নিয়ে ভালো কাটাচ্ছি রবির কথা জিজ্ঞেস করতে সে বলল বিয়ে করেছে ফুটফুটে একটা বাচ্চাও হয়েছে, বৌদি নাকি মুম্বাই মেডিকেলের ডাক্তার অনেকক্ষণ যাবার পর মনে একটা কথা উঠেছিল সেটা জিজ্ঞেস করলাম শেষ পর্যন্ত বললাম মোহনার কথা মনে পড়ে না রবি একটা বড় হাসি দিয়ে বলল নারে ভাই জীবনে যা চেয়েছি। তার থেকে বেশি পেয়েছি। এখন আর ওসব ছোটখাটো চাওয়া পাওয়া গুলো জিজ্ঞেস করলাম মোহনার আর কোনো খবর পাসনি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল শুনেছিলাম বছরখানেক আগে ডিভোর্স হয়ে গেছে এরপর আর কোন খবর পায়নি। রবির গাড়িতে একসাথে বাড়ি ফেরার পথে রবি একটা কথা বলল। সে বলল যে লাইফে কাউকে ঠকাস নারে কারণ লাইফ কাউকে ছাড় দেয় না প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়ে।
Revenge of nature
সত্যি লাইফ কি ভীষণ রং পাল্টায়।।
প্রেমের গল্প
আমার জীবনে যখন প্রেম আসে তখন আমি ক্লাস ইলেভেনে পড়ি খুব অল্প বয়সেই পেকে গেছে। তাই না বলেন আসলে তার সাথে আমার দেখা আরো আগে আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। ফাইনাল পরীক্ষা পর মামার বাড়ি ঘুরতে যাচ্ছিলাম বাসের উপচে পড়া ভিড় মনে হচ্ছিল যেন দুনিয়ার সমস্ত লোক এই বাসে চলে এসেছে যেহেতু মাছ রাস্তা থেকে বাসে উঠেছি সেহেতু আমি কোন সিট পাইনি। সেই বাসে একটি সিটে বসেছিল সেই মেয়েটি আর তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি প্রথমে আলাপ শুরু হয়েছিল may I help you থেকে আমি আবার অচেনা মানুষের সাথে বিশেষত মেয়েদের সাথে কথা বলতে বেশি পছন্দ করি না আমার পিঠে দুটি ব্যাগ থাকার মনে মনে ভাবলাম যে সাহায্য নিলে মন্দ হয় না পিঠে ব্যাগটা খুলে তাকে দিলাম ধরার জন্য প্রায় এক ঘন্টা জার্নি শেষে এবার নামার পালা মেয়েটার কাছ থেকে আমি ব্যাগটা নিয়ে নিলাম এবং ছোট্ট একটা ধন্যবাদ মেয়েটাকে জানিয়ে দিলাম এই ধন্যবাদ ছাড়া আমি আর কোন কথা বলিনি মনে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল ঠিকই কিন্তু সাহস পাচ্ছিলাম না জিজ্ঞেস করার অবাক হলাম তখনই যখন দেখলাম আমি যেখানে নামছি সেই মেয়েটা ও তার সাথে তারা লোকটাও সেখানেই নামল কেন আরো অবাক হলাম যখন তখন দেখলাম আমি যে বাড়িতে ঢুকছি। সেই অচেনা মেয়েটা ও তার সাথে থাকা লোকটি ও একই বাড়িতে ঢুকছে। সে যাই হোক সেখানে বিস্তারিত আলাপ করিয়ে দিলেন আমার মামা পরে জানতে পারলাম যে সেটা আমার মামার একটা ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মেয়ে অনেকদিন পর যখন আমরা বন্ধু হই তখন আমি জানতে পারি যে মেয়েটি বাবা আমাকে চিনত সেই মেয়েটিকে বলেছিল আমার ব্যাগ ধরার জন্য কিন্তু কি আশ্চর্য দেখুন আমাকে চিনেই যখন তখন কথা বলা হচ্ছিল না কেন সে যাই হোক যেহেতু আমরা একই ক্লাসে পড়তাম এরপরই আমাদের বন্ধুত্ব হয়ে যায় এবং আমাদের যত কথা হতো সমস্ত পড়াশোনা কে ঘিরে হত কথা হতো মোবাইলে কারণ তার বাড়ি আমার বাড়ি থেকে অনেকটাই দূর তবে তখন ও আমরা সম্পর্কে জড়াইনি যখন আমরা ক্লাস ইলেভেনের পড়ি তখন সম্পর্কে জড়াই। তবে আমি কিন্তু সম্পর্কের ব্যাপারটা বলতে যাইনি, প্রস্তাব পেয়েছিলাম মোবাইলের মাধ্যমে আমি আগে বলেছি যে মেয়েদের সাথে কথা বলার মত সাহস আমার হয়ে ওঠে না। বিশেষত এসব ব্যাপারে কাল ক্রমে তার বাবার বদলি হয়ে যায় কলকাতায়। বাধ্য হয়ে সেও পরিবারের সাথে কলকাতায় পারি জমায় দূরত্বরটা অনেক বেড়ে গেল বলা বাহুল্য এখনো সে কলকাতাতেই থাকে। যাওয়ার আগের দিন শেষ দেখা খুব কেঁদেছিল মেয়েটা। আর যাওয়ার আগে কয়েকজন বন্ধুর সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিয়ে যায়। কেমন যেন হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেল সবকিছুই। সেদিন কোনমতে বিষাদ ভরা মন নিয়ে বাড়ি ফিরলাম কয়েকদিন কিছু আর ভালো লাগছিল না। পরিচয়টা পুর বের হলেও মাত্র দু বছরে আমরা অনেক কাছাকাছি চলে এসেছিলাম আর এই অল্প সময়টুকুতেই নিজেরা না চাইতেও ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল। বাড়িতে কিছু বলিনি। শুধু মাথা ব্যাথা করছে বলে চালিয়ে দিলাম কি ভাবছেন আমাদের সম্পর্কটা ভেঙে যাবে? একেবারেই নয়, দূরত্ব বাড়লেও সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। আমাদের এই সম্পর্কটা আর পাঁচটা মানুষের মতো নয় বর্তমানে প্রেমিকদের থেকে সম্পূর্ণ অনেকটাই আলাদা একেবারেই সাদামাটা। আমাদের সম্পর্কটা বলা যায় অনেকটা বন্ধুত্বের মতো আর পাঁচ জন প্রেমিকের মতো ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলা এটা আমার পছন্দ নয় সেও মানিয়ে নিয়েছে আস্তে আস্তে। অনেকের মুখে শুনেছিলাম কি যে অনেকদিন পর দেখা করতে গেলে অনেক গিফট নিয়ে যেতে হয় কিন্তু সে পুরোটাই আলাদা সে দামি গিফট চায় না সে শুধু আমার মুখটা দেখলেই অনেক খুশি হয়ে যেত কোন দামি রেস্টুরেন্টে নয় আমরা সাধারণত সাদামাটা দোকানে খাবার খেতাম। খাবার খেয়ে যখন আমি বিল দিতে যেতাম তখন সে আমাকে বকতো বলতো বিলটা আমি দিবো দিয়ে নিজেই দিত আর তখন আমার মনে হতো সে আমার প্রতি খুব কেয়ারিং। তারপর যখন সে আমার বুকে মাথা রাখতো তখন আমার মনের ভিতর একটা আলাদা শিহরণ খেলে যেত কি জানি এটাই হয়তো প্রেম এটাই হয়তো ভালোবাসা। কেউ একজন ঠিকই বলেছিল যে রিলেশন শিপই হোক কিংবা ফ্রেন্ডশিপ লং ডিস্টেন্স ইজ অলওয়েস বেস্ট